Author: ishika-banerjee

  • PM Modi in Mauritius: রামায়ণের যুগ থেকে ভারত-মরিশাস সম্পর্ক, দু-দিনের সফরে দ্বীপরাষ্ট্রে মোদি

    PM Modi in Mauritius: রামায়ণের যুগ থেকে ভারত-মরিশাস সম্পর্ক, দু-দিনের সফরে দ্বীপরাষ্ট্রে মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’দিনের সফরে মরিশাসে (Mauritius) পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Mauritius)। ১২ মার্চ মরিশাসের জাতীয় দিবসে প্রধান অতিথি হিসাবে যোগ দেবেন মোদি। মঙ্গলবার ভোরে মরিশাসের স্যার সিউওসাগুর রামগুলাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানানো হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী নবীন রামগুলাম। মরিশাসে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রী মোদিকে। ভারত ও মরিশাসের মধ্যে শক্তিশালী ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্কের কারণে মোদির এই সফর গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী রামগুলাম এটিকে তাঁর দেশের জন্য বিশেষ সম্মান বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, যে প্রধানমন্ত্রী মোদির এই সফর উভয় দেশের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।

    মরিশাসে একগুচ্ছ কর্মসূচি

    মরিশাসের সঙ্গে ভারতের গভীর সম্পর্ক। দুই দেশের সাংস্কৃতিক, ঐতিহাসিক মেলবন্ধন রয়েছে। আর রয়েছে ভারত মহাসাগর। মরিশাস যেন ‘মিনি ইন্ডিয়া’। ১২ মার্চ সেদেশের জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবারই দু-দিনের সফরে দ্বীপরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন মোদি (PM Modi in Mauritius)। সেখানকার প্রধানমন্ত্রী নবীন রামগুলাম, উপপ্রধানমন্ত্রী, মুখ্য বিচারক, স্পিকার, বিরোধী দলনেতা-সহ মরিশাসের ২০০ জন পদাধিকারিক মোদিকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী মোদির মরিশাস সফর, তাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সফরে প্রধানমন্ত্রী মোদি, মরিশাসের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। ভারতের আর্থিক সহায়তায় ২০টির বেশি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন মোদি। নরেন্দ্র মোদির এই মরিশাস সফরে ভারত ও মরিশাসের মধ্যে সামুদ্রিক নিরাপত্তা, উন্নয়নে অংশীদারিত্ব, আন্তর্জাতিক মঞ্চে সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান এবং দু দেশের জনগণের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের মতো একাধিক দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।

    মোদির সঙ্গে মরিশাসের সম্পর্ক

    প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi in Mauritius) সঙ্গে মরিশাসের সম্পর্ক বহু দিনের। তখনও তিনি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীও হননি। মরিশাস সফরে গিয়ে সবার মন জয় করেছিলেন। ১৯৯৮ সালের সেই মরিশাস সফরের কথা এক্স হ্যান্ডলে শেয়ার করেছেন মোদি। এক্স হ্যান্ডলে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, একশো বছরেরও বেশি আগে ভারতের বহু নাগরিক শ্রমিক হিসেবে মরিশাসে যান। সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন তুলসীদাসের রামায়ণ, হনুমান চালিশা। হিন্দি ভাষা মরিশাসের অন্যতম ভাষা হয়ে ওঠে। ১৯৯৮ সালের ২ থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত মরিশাসের মোকাতে ছিলেন মোদি। সেখানে ‘ইন্টারন্যাশনাল রামায়ণ কনফারেন্স’-এ যোগ দিয়েছিলেন। সেইসময় বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মোদি। ভারত ও মরিশাসকে এক সূত্রে বাঁধতে রামায়ণ কীভাবে সেতুর কাজ করেছে, ওই কনফারেন্সে তা তুলে ধরেছিলেন মোদি।

    ভারত-মরিশাস সম্পর্ক

    মরিশাসের সঙ্গে সেই সুপ্রাচীন কাল থেকেই ভারতের আত্মিক সম্পর্ক। দুদেশের সম্পর্কের সেতু রামায়ণ। আজও সেদেশে সমান জনপ্রিয় তুলসীদাসের রামায়ণ এবং হনুমান চালিশা। মরিশাসের অন্যতম প্রধান ভাষা হিন্দি। এই দ্বীপরাষ্ট্রে ভারতীয় বংশোদ্ভূত মানুষের জনসংখ্যা ১৩ লক্ষেরও বেশি। যা কিনা এই দ্বীপের জনসংখ্যার প্রায় ৭০ শতাংশের কাছাকাছি। উল্লেখ্য ১৯৭৬ সাল থেকে মহাত্মা গান্ধী ইনস্টিটিউট দুদেশের সংস্কৃতির প্রচারের জন্য একটি যৌথ মঞ্চ হিসেবে আজও কাজ করে চলেছে। প্রধানমন্ত্রীর বর্তমান সফরে দুদেশের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও শক্তিশালী হবে বলেই আশা কুটনীতিকদের। প্রসঙ্গত চিনা হুমকির কথা মাথায় রেখে ভারত মহাসাগরের বুকে মরিশাসে ভারত একটি বন্দরও গড়ে তুলেছে। সেখানকার পোর্ট লুইসে ভারতীয় নৌবাহিনীর একটি জাহাজ সামুদ্রিক নিরাপত্তার জন্য মোতায়নও রাখবে নয়া দিল্লি।

    মরিশাসের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্ক

    সিঙ্গাপুরের পর মরিশাস ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদারও বটে। বর্তমানে মরিশাস-ব্যাঙ্ক অফ বরোদা, লাইফ ইন্স্যুরেন্স কর্পোরেশন, নিউ ইন্ডিয়া অ্যাসিওরেন্স কর্পোরেশন, টেলিকমিউনিকেশনস কনসালটেন্ট ইন্ডিয়া লিমিটেড, ইন্ডিয়ান অয়েল (মরিশাস) লিমিটেড, মহানগর টেলিফোন (মরিশাস) লিমিটেড, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (মরিশাস) সহ ১১ টি ভারতীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা রয়েছে সেদেশে। উপগ্রহ উৎক্ষেপণ, মহাকাশ গবেষণা সহ একাধিক প্রকল্পে মরিশাসকে সহযোগিতা করছে ভারত। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো এবং মরিশাস রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন কাউন্সিল যৌথ উপগ্রহ নির্মাণের লক্ষ্যে ২০২৩ সালের ১ নভেম্বর একটি সমঝোতাপত্রে স্বাক্ষরও করেছে। বর্তমানে মরিশাসে সাড়ে ৮৫ কোটি মার্কিন ডলার ব্যায়ে ভারতের সহযোগিতায় গড়ে উঠছে মেট্রো এক্সপ্রেস প্রকল্প, সুপ্রিম কোর্ট বিল্ডিং তৈরি, নতুন হাসপাতাল সহ একাধিক প্রকল্প। কোভিডের সময়ও মরিশাসকে ভ্যাকসিন দিয়ে সাহায্য করেছিল ভারত।

  • ICC Champions Trophy: ভারতের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ে হিংসা! কেন দুবাইয়ের মঞ্চে নেই আয়োজক পাকিস্তান?

    ICC Champions Trophy: ভারতের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ে হিংসা! কেন দুবাইয়ের মঞ্চে নেই আয়োজক পাকিস্তান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (ICC Champions Trophy) ফাইনালে একজনও প্রতিনিধি না পাঠানোর জন্য তীব্র সমালোচনার মুখে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে চার উইকেটে হারিয়ে ভারত শিরোপা জয়ের পর পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বিসিসিআই-এর সভাপতি রজার বিনি এবং সচিব দেবজিৎ সাইকিয়া এবং নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট (এনজেডসি) পরিচালক রজার টোয়েস মঞ্চে উপস্থিত থাকলেও আয়োজক দেশ হিসেবে অনুপস্থিত ছিল পাকিস্তান। বিতর্কের মুখে আইসিসির এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘‘পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নকভি রবিবার দুবাইয়ে আসতে পারেননি। তাঁকে পাওয়া যায়নি। নিয়ম অনুযায়ী শুধু বোর্ড কর্তারাই পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে থাকতে পারেন। পিসিবির অন্য কোনও কর্তাও ছিলেন না। পাকিস্তানই প্রতিযোগিতার মূল আয়োজক। পিসিবির পক্ষে কারও উপস্থিত থাকা উচিত ছিল।’’

    প্রশ্ন প্রাক্তন পাক তারকারই

    এ বিষয়ে প্রশ্ন তুলছেন প্রাক্তন পাক তারকা শোয়েব আখতার। সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ভিডিওবার্তায় শোয়েব বলেন, “ভারত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতে নিয়েছে। ভারতকে অভিনন্দন। যোগ্য দল হিসেবেই ভারত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। কিন্তু আমি একটা অদ্ভুত জিনিস দেখলাম, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কেউ ছিল না ফাইনাল ম্যাচে। অথচ পাকিস্তানই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক। কেউ কোনও ট্রফি দিতে এল না? কেন কেউ এখানে উপস্থিত নেই? এটা নিয়ে ভাবা উচিত। এটা একটা আন্তর্জাতিক মঞ্চ। এখানে আসা উচিত ছিল পাক বোর্ডের প্রতিনিধিদের।” অন্য আরও একটি ভিডিও বার্তায় তিনি প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন ভারতীয় দলকে। সেখানে তিনি বলেন, “টুর্নামেন্টের সেরা দল ভারত। বরুণ অসাধারণ বল করেছে। বিরাটের কামব্যাক ঘটেছে। রোহিত আজ দারুণ খেলল। তাঁরা দেখিয়ে দিল কীভাবে ভালো ক্রিকেট খেলতে হয়। ভারতকে অভিনন্দন। ওরা যোগ্য দল হিসেবেই জিতেছে।”

    পিসিবির ক্ষোভ

    যদিও জানা গিয়েছে, ভারত-নিউজিল্যান্ড ফাইনাল ম্যাচে উপস্থিত ছিলেন পিসিবির সিইও সুমাইর আহমেদ। তিনি প্রতিযোগিতার ডিরেক্টরও। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সমাপ্তি অনুষ্ঠানে সুমাইরই ছিলেন পাকিস্তানের প্রতিনিধি। তবু তাঁকে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। আইসিসির পক্ষে সমাপ্তি অনুষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্তেরা নাকি সুমাইরের উপস্থিতির কথা জানতেন না। আইসিসির এক কর্তা জানিয়েছেন, ভুল বোঝাবুঝি বা যোগাযোগের অভাবের ফলে এই ঘটনা ঘটে গিয়েছে। আইসিসির ব্যাখ্যায় অসন্তুষ্ট পিসিবি।

    সমালোচনার মুখে পাকিস্তান

    ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (ICC Champions Trophy) আয়োজনের দায়িত্ব ছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের। কিন্তু, টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই বিসিসিআই জানিয়ে দিয়েছিল যে নিরাপত্তার কারণে টিম ইন্ডিয়া পাকিস্তান যাবে না। শেষ পর্যন্ত ভারতের প্রত্যেকটা ম্যাচ দুবাইয়ে আয়োজন করা হয়েছিল। প্রশ্ন উঠছে আয়োজক দেশ পাকিস্তান হলেও ফাইনাল ম্যাচ দুবাইয়ে আয়োজন করা হল বলে অনুপস্থিত পাকিস্তান। গোটা টুর্নামেন্ট জুড়ে পাকিস্তানের ভূমিকা বারবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে। সেটা পরিকাঠামো হোক বা ম্যাচ আয়োজন। কিন্তু তা বলে ফাইনালে পাকিস্তান বোর্ডের কোনও প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন না? যতই হোক, তারাই তো আয়োজক। সেটা কি ভারতের সাফল্যে ‘রাগ’ করে?

  • Death Study: মৃত্যুর পরে আত্মার শরীর ত্যাগের সময় কী করে মস্তিষ্ক? নতুন দিশা গবেষণায়

    Death Study: মৃত্যুর পরে আত্মার শরীর ত্যাগের সময় কী করে মস্তিষ্ক? নতুন দিশা গবেষণায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু ধর্ম অনুসারে মৃত্যুতে আমাদের শুধু শরীর বিনষ্ট হয়। আত্মা অবিনশ্বর। গীতায় শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন যে আমরা যেমন জীর্ণ পোশাক ছেড়ে নতুন পোশাক পরি, তেমন আত্মাও জীর্ণ দেহ ত্যাগ করে নতুন দেহে প্রবেশ করে। মৃত্যু নিয়ে আমাদের চিন্তা -ভাবনা অনেক গভীরে। মৃত্যুর (Death Study) পরেও কি জীবনকে অনুভব করতে পারে মানুষ? হৃদস্পন্দন, রক্তপ্রবাহ থেমে যাওয়ার পরেও কি সক্রিয় থাকে মস্তিষ্ক, অন্তত কিছু ক্ষণ? মস্তিষ্কে আন্দোলিত হয় কোনও তরঙ্গ যা কি না মৃত্যুর অতলে তলিয়ে যাওয়ার সময়ও তুলে ধরে ফেলে আসা জীবনের ছবি? সাম্প্রতিক একটি গবেষণা এই সব প্রশ্নকেই উস্‌কে দিল। যা হৃদস্পন্দন, রক্ত প্রবাহ পুরোপুরি থেমে যাওয়ার পরের কিছু ক্ষণ ধরে মস্তিষ্কে কী কী ঘটে সেই সব ঘটনাই রেকর্ড করল। এই প্রথম।

    আত্মার শরীর ত্যাগ

    মৃত্যুর পর (Death Study) নিথর হয়ে যায় দেহ। কিন্তু আত্মার শেষও (Soul Leaving the Body) কি মৃত্যুতে? কোনও ব্যক্তির শরীর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলে, সঙ্গে সঙ্গে আত্মাও কি শেষ হয়ে যায়, না কি আরও কিছু ক্ষণ শরীরে বিরাজ করে আত্মা? এ নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে চমকপ্রদ তথ্য উঠে এল। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, চিকিৎসকরা যদি কাউকে মৃত ঘোষণা করেও দেন, তার পরও কিছু ক্ষণ মস্তিষ্ক কার্যকর থাকে। ওই সময়ই শরীর থেকে বেরিয়ে যায় আত্মা। মৃত্যুর আগের মুহূর্তে মানবশরীরে ঠিক কী ঘটে, তা নিয়ে গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, মৃত্যু পথগামী রোগী, যাঁর কোনও হৃদস্পন্দন নেই, রক্তচাপও নেই, অথচ মস্তিষ্ক কিছু ক্ষণ সক্রিয় থাকে। একঝলকে কোনও শক্তি যেন খেলে যায়, যা শরীর থেকে আত্মার বেরিয়ে যাওয়ার প্রমাণ। অ্যানেস্থেসিওলজিস্ট এবং মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক ডঃ স্টুয়ার্ট হামেরফ জানিয়েছেন, এর রোগীকে পর্যবেক্ষণ করে শরীর থেকে আত্মা বেরিয়ে যাওয়ার প্রমাণ মিলেছে।

    কী ঘটে মৃত্যুর পর

    ইউনিভার্সিটি অফ অ্যারিজোনার অধ্যাপক ডঃ হামেরফ জানিয়েছেন, ক্লিনিক্যালি ডেড এক রোগী, অর্থাৎ যাঁকে মৃত ঘোষণা করে দিয়েছেন চিকিৎসকরা, তাঁর মস্তিষ্কে নজরদারি চালানো হয়। ব্যবহার করা হয় ইলেক্ট্রোএনসেফালোগ্রামের (EEG) সেন্সর। রোগীর মৃত্যুর পরও ওই সেন্সরে অদ্ভূত এক শক্তির ঝলক ধরা পড়ে। ডঃ হামেরফ বলেন, “সব কিছু চলে গিয়েছিল, হঠাৎ শ্শ্শ্…হৃদস্পন্দন নেই, রক্তচাপ নেই, কিন্তু কার্যকলাপ চলছে। হতে পারে সেটি মৃত্যুর কাছাকাছি কোনও অভিজ্ঞতা, অথবা শরীর থেকে আত্মার বেরিয়ে যাওয়া।” আমেরিকার পত্রিকা নিউ ইয়র্ক পোস্টে ডঃ হামেরফ পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছে।

    মৃত্যুর পর শক্তির বিচ্ছুরণ

    শরীর নিথর হয়ে যাওয়ার পর মস্তিষ্কের ওই কার্যকলাপকে গামা সিক্রোনি নামক কার্যকলাপের বিস্ফোরণ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। এটি একটি মস্তিষ্কে খেলে যাওয়া এক ধরনের তরঙ্গ, যা আমাদের সচেতন চিন্তা, সচেতনতা এবং উপলব্ধির সঙ্গে সংযুক্ত। ইইজি-তে সেই কার্যকলাপই ধরা পড়েছে বলে জানিয়েছেন ডঃ হামেরফ। তিনি জানিয়েছেন, ৩০ থেকে ৯০ সেকেন্ড পর্যন্ত এই কার্যকলাপ স্থায়ী হতে পারে। মৃত ঘোষণা করে দেওয়ার পরও চলে। ৫০ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রেই এমনটা ঘটে বলে জানিয়েছেন ডঃ হামেরফ। ক্ষণস্থায়ী ওই কার্যকলাপকে অনেকে নিউরনের ‘শেষ নিঃশ্বাস’ বলেন।

    চেতনার অবলুপ্তি, বলছে বিজ্ঞান

    ডঃ হামেরফের মতে, আসলে চেতনা (Soul Leaving the Body) শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়ারই প্রতীক ওই কার্যকলাপ। তাঁর মতে, চেতনা ধরে রাখতে বেশি শক্তির প্রয়োজন পড়ে না শরীরের। মস্তিষ্কের একেবারে গভীরে লুকিয়ে থাকে চেতনা। মানবশরীর যখন শেষ হয়, তাই একেবারে শেষে চেতনার অবলুপ্তি ঘটে। এ প্রসঙ্গে একটি গবেষণাপত্রেরও উল্লেখ করেন ডঃ হামেরফ, যার নেতৃত্বে ছিলেন ডঃ রবিন লেস্টার কারহার্ট-হ্যারিস। মানসিক স্বাস্থ্য এবং আচরণের উপর ওষুধের প্রভাব নিয়ে গবেষণা করেন তিনি। ইইজি-র পর্যবেক্ষণে এমআরআই করা হয় অনেকের, যেখানে সকলকে সাইকো অ্যাক্টিভ কমপাউন্ড দেওয়া হয়েছিল। চোখ বুজে সকলে শুয়েছিলেন। নড়াচড়া বারণ ছিল। সেই অভিজ্ঞতা কেমন ছিল, তা পরীক্ষার পর ব্যাখ্যাও করতে হয় সকলকে।

    জীবনের চিরন্তন সত্য মৃত্যু

    প্রত্যেক জীবন্ত প্রাণীর জীবনে মৃত্যু অনিবার্য। এই পৃথিবীতে যার জন্ম হয়েছে, তার মৃত্যু হবেই। তবে মৃত্যু ঠিক কবে এবং কী ভাবে আমাদের সামনে আসবে, তা আমরা কেউ জানি না। কিন্তু আমাদের জীবনে আর কিছু ঘটুক বা না ঘটুক, মৃত্যু ঘটবেই। আর এই সত্য আমরা কেউ পরিবর্তন করতে পারি না। হিন্দুধর্মের অন্যতম শাস্ত্রগ্রন্থ হল গরুঢ় পুরাণ। এই শাস্ত্রে মৃত্যু ও মৃত্যুর পরের অবস্থা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। গরুঢ় পুরাণে শ্রীবিষ্ণু নিজের বাহন গরুঢ় পাখিকে মানুষের কর্মফলের ভিত্তিতে যে মৃত্যুযন্ত্রণা ও মৃত্যুর পরের কষ্ট ভোগ করতে হয়, তার বর্ণনা দিয়েছেন ও কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। আধুনিক বিজ্ঞান প্রতিনিয়ত মৃত্যুর পরের রহস্য ভেদ করার চেষ্টা করছে। আগামী দিনে এ নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন ডঃ হামেরফ।

  • Lalit Modi: ভানুয়াতুর নাগরিকত্ব বাতিল! ভারতকে এড়াতে পারলেন না ললিত মোদি

    Lalit Modi: ভানুয়াতুর নাগরিকত্ব বাতিল! ভারতকে এড়াতে পারলেন না ললিত মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইপিএল আর্থিক তছরুপ মামলায় জড়িত ললিত মোদির পাসপোর্ট বাতিল করে দিল দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র ভানুয়াতু। ললিতের পাসপোর্ট বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন সেখানকার প্রধানমন্ত্রী জোথাম নাপাতু। কিছু দিন আগেই ভানুয়াতুর নাগরিকত্ব পেয়েছিলেন ললিত। তার পর তিনি ভারতীয় পাসপোর্ট ফিরিয়ে দিতে চেয়ে লন্ডনের ভারতীয় দূতাবাসে আবেদন করেন। তার মাঝেই ভানুয়াতু তাঁর পাসপোর্ট বাতিল করে দিল।

    কেন বাতিল পাসপোর্ট

    এক বিবৃতিতে নাপাতু বলেন, ‘আমি নিজে নাগরিকত্ব কমিশনকে ললিত মোদির ভানুয়াতুর পাসপোর্ট বাতিলের নির্দেশ দিয়েছি। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার হদিশ পাইনি আমরা। তবে সম্প্রতি ইন্টারপোলের তরফে সতর্কবার্তার জেরেই তাঁকে দেওয়া পাসপোর্ট ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে প্রশাসন তরফে।’ এরপরই ললিত মোদির বিরুদ্ধে পলায়নের অভিযোগ এনে সেদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যথাযথ কারণ ছাড়া ভানুয়াতুর নাগরিকত্ব পাওয়া সম্ভব নয়। কেউ প্রত্যর্পণ এড়ানোর জন্য ভানুয়াতুর শরণাপন্ন হলে, তাঁকে কোনও ভাবে সমর্থন করবে না আমাদের দেশ। সম্প্রতি প্রকাশিত কিছু তথ্য অনুযায়ী, ললিত মোদি সেই প্রত্যাপর্ণ এড়াতেই আমাদের কাছে শরণাপন্ন হয়েছিলেন।’

    ভারতের পাসপোর্টই ভরসা

    ললিতের পাসপোর্ট বাতিল করানোর জন্য উদ্যোগী হয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত নীতা ভূষণ। গত ৭ মার্চ ভারতীয় পাসপোর্ট ফেরত দেওয়ার আবেদন লন্ডনের দূতাবাসে জানান ললিত। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকও সেই খবর নিশ্চিত করেছিল। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘‘ললিত মোদী পাসপোর্ট জমা দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। আবেদনটি খতিয়ে দেখা হবে। উনি ভানুয়াতুর নাগরিকত্ব পেয়েছেন। আমাদের সে দিকটিও দেখতে হবে। আইন অনুযায়ী ওঁর বিরুদ্ধে যা করা সম্ভব, আমরা করছি।’’

    আইপিএল আর্থিক তছরুপ মামলায় অভিযুক্ত

    আইপিএলের জনক ললিত মোদি। আইপিএলের শীর্ষপদে থাকাকালীন বিপুল অঙ্কের আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে ললিতের বিরুদ্ধে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রচুর টাকাও তিনি নয়ছয় করেছেন বলে অভিযোগ। ২০১০ সালে ললিত ভারত ছাড়েন। তার পর থেকে লন্ডনেই আছেন। বিভিন্ন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত করছে। তবে ললিতকে দেশে ফেরানো যায়নি। উল্লেখ্য, বিপুল অর্থ থাকলে প্রশান্ত মহাসাগরের এই দ্বীপপুঞ্জের নাগরিক হওয়া যায়। ভানুয়াতুর নাগরিকত্ব পাওয়ার পদ্ধতি বেশ সহজ সরল। অত্যন্ত কম নথিপত্র লাগে সেখানে। সেই ফাঁক গলেই ললিত মোদি সেই দেশের নাগরিকত্ব অর্জন করেছিলেন। তবে এরই মধ্যে তাঁর ভানুয়াতুর পাসপোর্ট বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

     

     

     

     

  • ICC Champions Trophy: শুভেচ্ছা বার্তা প্রধানমন্ত্রীর, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতে অবসর জল্পনায় জল রোহিতের

    ICC Champions Trophy: শুভেচ্ছা বার্তা প্রধানমন্ত্রীর, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতে অবসর জল্পনায় জল রোহিতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখনই খেলা ছাড়ছেন না, বিশেষ করে একদিনের ক্রিকেট। এটাই তাঁর সবচেয়ে পছন্দের ফরম্যাট। খেলতে পারেন ২০২৭ বিশ্বকাপেও। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (ICC Champions Trophy) জিতে অবসরের জল্পনায় জল ঢাললেন রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)। সেরা ছেলেদের হাতেই রেখে যাবেন ভারতীয় ক্রিকেটের দায়িত্ব, ম্যাচ শেষে শুভমন গিলকে পাশে নিয়ে স্পষ্ট ঘোষণা কিং কোহলির (Virat Kohli)। অপরাজিত থেকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতল ভারত। রোহিত শর্মারা জেতার পরেই শুভেচ্ছাবার্তা পাঠান দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi), রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)।

    প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছাবার্তা

    ভারত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর এক্স মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী মোদি লেখেন, “একটা অসাধারণ খেলা। একটা অসাধারণ ফল। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দেশে নিয়ে আসায় ক্রিকেট দলকে নিয়ে গর্বিত। গোটা প্রতিযোগিতায় সকলে দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলেছে। এই সাফল্যের জন্য দলের প্রত্যেককে অনেক শুভেচ্ছা।” প্রধানমন্ত্রী মোদির ক্রিকেট প্রেমের কথা আগেও চোখে পড়েছে। এবারও রোহিতদের সাফল্য উচ্ছ্বসিত মোদি।

    ভারতীয় দলের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল

    চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (ICC Champions Trophy) জয়ের কৃতিত্ব দলের সকলকে ভাগ করে দিয়েছেন দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তিনি সমাজমাধ্যমে লেখেন, “আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতার জন্য ভারতীয় দলকে হৃদয় থেকে শুভেচ্ছা। ভারত একমাত্র দল যারা তিন বার এই প্রতিযোগিতা জিতল। এই ইতিহাস তৈরি করার জন্য দলের ক্রিকেটার, ম্যানেজমেন্ট, সাপোর্ট স্টাফদের ধন্যবাদ। ভারতীয় দলের ভবিষ্যৎ অনেক উজ্জ্বল।” আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ (Jay Shah) টুইটারে দলের এই সাফল্যকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, “একটি অত্যন্ত দৃঢ়সংকল্পিত নিউজিল্যান্ড (India vs New Zealand) দলের বিরুদ্ধে ভারতের অসাধারণ পারফরম্যান্সে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়। পুরুষদের ক্রিকেটে পরপর দুটি আইসিসি ট্রফি জয়ের জন্য অধিনায়ক রোহিত শর্মাকেও অভিনন্দন, গত বছরের টি২০ বিশ্বকাপের পর।”

    আগ্রাসী ক্রিকেটই পছন্দ রোহিতের

    সঞ্চালক ইয়ান বিশপের প্রশ্নের উত্তরে রোহিত বললেন, “দারুণ লাগছে জিততে পেরে। গোটা প্রতিযোগিতা জুড়েই আমরা ভালো খেলেছি। ফাইনালেও জেতার অনুভূতিটা বাকিগুলোর থেকে আলাদা। যে ভাবে খেলেছি সেটা বাড়তি তৃপ্তি দিচ্ছে। আগ্রাসী ক্রিকেটই পছন্দ।” এদিন এক সময় টানা উইকেট পড়লেও যে ভাবে কেএল রাহুল শেষ পর্যন্ত থেকে ম্যাচ বার করে দিয়েছেন তার প্রশংসা করেছেন রোহিত। একইসঙ্গে বোলার বরুণ চক্রবর্তীর প্রশংসাও শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে। রোহিতের কথায়, “কেএলের মানসিকতা নিয়ে কী আর বলব। চাপে পড়লে কখনও সেটা দেখাতে ভালোবাসে না। আজ একাই ম্যাচটা শেষ করে এল। চাপের মুখে ঠিক যে শটটা খেলতে হবে সেটাই খেলে। বাকিদের স্বাধীনভাবে খেলার সুযোগ করে দেয়। আজ যে রকম হার্দিককে খোলা মনে খেলতে দিল। আর, বরুণের মধ্যে আলাদা একটা ব্যাপার রয়েছে। এ ধরনের পিচে খেলতে গেলে ওর মতো বোলারদেরই দরকার।” কৃতজ্ঞতা জানালেন দুবাইয়ের দর্শকদেরও। রোহিত বললেন, “যাঁরা মাঠে এসে আমাদের সমর্থন করেছেন তাঁদের প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানাতে চাই। এখানকার দর্শকরা বরাবরই অসাধারণ। দুবাই আমাদের ঘরের মাঠ নয়। কিন্তু সমর্থকদের জন্যই এটা ঘরের মাঠ হয়ে উঠেছিল।”

    চাপের মুখে খেলার জন্য মুখিয়ে তরুণরা

    মিনি বিশ্বকাপ জেতার পর বিরাট কোহলি বলেন, “এই জয়ের অনুভূতি অসাধারণ। আমরা অস্ট্রেলিয়া সফরের পর ঘুরে দাঁড়াতে চেয়েছিলাম। একগুচ্ছ তরুণদের সঙ্গে খেলতে পেরে দারুণ লাগছে। ওরা ভালো ছন্দে রয়েছে। টিম ইন্ডিয়াকে সঠিক পথে নিয়ে যাচ্ছে। এতদিন ধরে খেলার পরও চাপের মুখে খেলার জন্য মুখিয়ে থাকি। খেতাব জেতার জন্য পুরো টিম বিভিন্ন ম্যাচে নানাভাবে এগিয়ে এসেছে। এই ধরণের টুর্নামেন্ট এলে দলের সকলে জেতার কথাই ভাবে। আমাদের দলগত প্রচেষ্টার ফলে এই ট্রফি জিতলাম।” দলে একগুচ্ছ তরুণ ক্রিকেটার, এরাই ভারতের ভবিষ্যত। বিরাট বললেন, “দলের তরুণদের সঙ্গে আমি আমার অভিজ্ঞতা বরাবর শেয়ার করি। কীভাবে এতগুলো বছর ধরে আমি খেলেছি, কোন পরিস্থিতিতে কী করি, সবই ওদের সঙ্গে শেয়ার করি।”

    অবসরের ভাবনা জাদেজার!

    রোহিত-কোহলি (Rohit-Kohli) ছাড়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (ICC Champions Trophy) আগে অবসরের জল্পনা চলছিল রবীন্দ্র জাদেজাকে নিয়েও। দুবাইয়ে ১০ ওভার বল করেছেন জাডেজা। মাত্র ৩০ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন তিনি। টম লাথামকে আউট করেন জাডেজা। তার পরেই দেখা যায়, কোহলি গিয়ে জাডেজাকে জড়িয়ে ধরেছেন। দু’জনের মধ্যে কিছু কথা হয়। সেই দৃশ্য নজরে পড়ে দর্শকদের। তার পরেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। এর আগে খেলা চলাকালীন অশ্বিন ও স্মিথকেও জড়িয়ে ধরেছিলেন কোহলি। তারপরই তাঁরা অবসরের কথা জানান। তাই এদিন কোহলি-জাদেজা আলিঙ্গনেও বাড়ে জল্পনা। গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার পরের দিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের এই ফরম্যাটকে বিদায় জানিয়েছেন জাদেজা। ভারতের টেস্ট দলে নিয়মিত খেলেন তিনি।

  • Attacks on Hindu: হিন্দুদের নিরাপত্তার দায়িত্ব বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের, ঢাকার উপর চাপ দিল্লির

    Attacks on Hindu: হিন্দুদের নিরাপত্তার দায়িত্ব বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের, ঢাকার উপর চাপ দিল্লির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দুদের নিরাপত্তার দায়িত্ব বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের। ফের সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে ঢাকার উপর চাপ বাড়াল ভারত। শুক্রবার বিবৃতি দিয়ে মহম্মদ ইউনূসের সরকারকে দায়িত্ব মনে করিয়ে দিলেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। বাংলাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারত। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রনধীর জয়সওয়াল শুক্রবার বলেন, “বাংলাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রতিদিন খারাপ হচ্ছে। সন্ত্রাসবাদী ও অপরাধীদের মুক্তির পর তা আরও ভয়াবহ হচ্ছে। এই অপরাধীদের গুরুতর অপরাধের জন্য শাস্তি দেওয়া হয়েছিল। ভারত একটি স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক বাংলাদেশের পক্ষে, যেখানে সব সমস্যা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দ্বারা সমাধান করা যায়।”

    সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা জরুরি

    জয়সওয়াল আরও বলেন, “আমরা বারবার বলেছি যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের, তাদের সম্পত্তি ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলি রক্ষা করার দায়িত্ব নিতে হবে।” তিনি বলেন, “২০২৪ সালের ৫ আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ২৩৭৪টি ঘটনার মধ্যে শুধুমাত্র ১২৫৪টি ঘটনার তদন্ত করেছে পুলিশ। এর মধ্যে ৯৮% ঘটনার সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। আমরা আশা করি যে বাংলাদেশ এসব হত্যাকাণ্ড, অগ্নিসংযোগ এবং সহিংসতার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনবে, এবং কোনো ধরনের রাজনৈতিক বৈষম্য না দেখিয়ে এসব বিষয় তদন্ত করবে।”

    বাংলাদেশের উন্নয়নে পাশে ভারত

    বাংলাদেশের সঙ্গে উন্নয়ন সহযোগিতা সম্পর্কিত প্রশ্নে, জয়সওয়াল বলেন, “উন্নয়ন সহযোগিতা হল ভারতের বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের অগ্রাধিকারমূলক ক্ষেত্র। সাম্প্রতিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং দীর্ঘদিনের স্থানীয় সমস্যা কিছু প্রকল্পের বাস্তবায়নকে প্রভাবিত করেছে। সরকার তাই প্রকল্প পোর্টফোলিওর যুক্তিসঙ্গতীকরণ এবং যৌথভাবে চূড়ান্ত করা প্রকল্পগুলি সময়মত বাস্তবায়ন করার উপর মনোযোগ দিয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সমর্থন ও ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার পর আমরা এগুলিকে এগিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছি।” সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে জয়সওয়াল বলেন, “বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব হলো হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেওয়া। তাদের সম্পত্তি ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলিকে রক্ষা করা।”

  • ICC Champions Trophy: বদলার ফাইনাল, কঠিন প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড! গ্যালারি জুড়ে তেরঙা ওড়ানোর ডাক বিরাটের

    ICC Champions Trophy: বদলার ফাইনাল, কঠিন প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড! গ্যালারি জুড়ে তেরঙা ওড়ানোর ডাক বিরাটের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ বেলায় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (ICC Champions Trophy)। রবিবার দপবাইয়ে মুখোমুখি ভারত ও নিউজল্যান্ড। অতীত বলছে আইসিসি খেতাব দখলের লড়াইয়ে নিউজিল্যান্ডের কাছে মাঝেমাঝেই ধাক্কা খেয়েছে ভারত। রবিবারও লড়াইটা সহজ হবে না। দক্ষিণ আফ্রিকাকে অনায়াসে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে উঠে গিয়েছে নিউজিল্যান্ড। গ্রুপ পর্বের পর ফাইনালেও ২৫ বছর আগে এমনই এক চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (সেই সময় নাম ছিল আইসিসি নক-আউট) ফাইনালে খেলতে নেমেছিল ভারত এবং নিউজিল্যান্ড। সেইবার ট্রফি জিততে পারেনি টিম ইন্ডিয়া। তবে এবার বদলা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে রোহিতদের কাছে। ইতিমধ্যেই গ্যালারি ভর্তি হয়েছে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক দেশ পাকিস্তান হয়েও সেখানে মাঠ ভরেনি। কিন্তু রবিবার ফাইনালে ভারত। টিকিট সব শেষ।

    বিরাট আবেদন-লহেড়া দো

    ইতিমধ্যে টিম ইন্ডিয়ার তারকা ব্যাটার বিরাট কোহলির একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ওই ভিডিওয় বিরাট ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকদের অনুরোধ করেছেন, তাঁরা যেন মাঠে আসেন এবং টিম ইন্ডিয়াকে সাপোর্ট করেন। কিং কোহলি বললেন, ‘‘আমি ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকদের শুধুমাত্র একটাই কথা বলতে চাই। মাঠে আসুন। আমাদের সাপোর্ট করুন। প্রত্যেকবার যেভাবে বিশাল সংখ্য়ক সমর্থক মাঠে এসে আমাদের সাপোর্ট করেন, এবারও আপনাদের থেকে তেমনই সাপোর্ট আমাদের দরকার।’’ সঙ্গে বিরাট আরও যোগ করেছেন, ‘‘ভারত থেকে দুবাই তো আর খুব বেশি দুরে নয়। সেকারণে আমি বিশ্বাস করি, ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকরা এখানেও স্টেডিয়াম খুব দ্রুত ভরিয়ে দেবেন। আপনাদের এই সমর্থনকে আমরা সবসময় সম্মান করি। বিশেষ করে বড় ম্যাচে এবং কঠিন পরিস্থিতিতে আপনারা সবসময় আমাদের পাশে থাকেন। সেকারণে আমি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ।’’ সবশেষে বিরাট বললেন, ‘‘আমরা সবসময় জেতার চেষ্টা করি। মাঠের মধ্যে নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দিই। ভারতের পতাকা আরও উঁচুতে ওড়াতে চাই। সেকারণে দয়া করে মাঠে আসুন। আমাদের সাপোর্ট করুন। আপনার মুখের হাসি আমরা মুছতে দেব না।’’

    কত টাকায় বিকোল টিকিট

    দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রায় ২৫,০০০ দর্শক একসঙ্গে বসে খেলা দেখতে পারবেন। ভারত বনাম নিউজিল্যান্ডের মধ্যে আয়োজিত ফাইনাল ম্যাচের জন্য গোটা স্টেডিয়াম ভর্তি হয়ে গিয়েছে। স্টেডিয়ামে ২৫ হাজার আসনের টিকিট চোখের নিমেষেই ফুরিয়ে গিয়েছে। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারত বনাম নিউজিল্যান্ড ম্যাচের টিকিট মোটামুটি ৬,০০০ টাকা থেকে শুরু হয়েছিল। আর এই টিকিট সর্বাধিক দাম গিয়ে ঠেকেছে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৮৭১ টাকায়। এই টিকিট কাটলে আপনাকে হসপিটালিটি বক্সে বসে ম্যাচ দেখার যাবতীয় সুযোগ সুবিধে দেওয়া হবে। মজার ব্যাপার, এই টিকিটও ইতিমধ্যে নিঃশেষ হয়ে গিয়েছে।

    ভারত-নিউজিল্যান্ড অতীত রেকর্ড

    আইসিসি একদিনের বিশ্বকাপের ইতিহাসে, দুটি দল ১১ বার মুখোমুখি হয়েছে। নিউজিল্যান্ড এবং ভারত প্রত্যেকেই ৫টি করে ম্যাচ জিতেছে এবং একটি ম্যাচ ড্র হয়েছে। তাছাড়া, এই একই কিউই দল ২০১৯ সালের আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ভারতের যাত্রা শেষ করেছিল। আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত কখনও নিউজিল্যান্ডকে হারাতে পারেনি। দুটি দল তিনবার একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে, যার তিনটি ম্যাচই কিউই দল জিতেছে। দুটি দল এর আগে ২০২১ সালের আইসিসি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল, যেখানে নিউজিল্যান্ড ভারতকে হারিয়ে তাদের প্রথম আইসিসি ইভেন্ট শিরোপা জিতেছিল। তবে একদিনের ক্রিকেটে অতীতে ভারত এবং নিউজিল্যান্ড মুখোমুখি হয়েছে ১১৯টি ম্যাচে। তার মধ্যে ৬১টি ম্যাচ জিতেছে টিম ইন্ডিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের জয় ৫০টি ম্যাচে।

    নিউজিল্যান্ডের চ্যালেঞ্জ

    চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (ICC Champions Trophy) আট দলের মধ্যে ভারতীয় দলের স্পিন আক্রমণের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার ক্ষমতা শুধু নিউজিল্যান্ডের রয়েছে। সেই দলের অধিনায়ক বাঁহাতি স্পিনার মিচেল স্যান্টনার। সেই সঙ্গে রয়েছেন মাইকেল ব্রেসওয়েল, গ্লেন ফিলিপ্স এবং রাচিন রবীন্দ্র। এ বারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ফিল্ডিংয়ে সবচেয়ে বেশি দক্ষতা দেখিয়েছে নিউজিল্যান্ড। গ্লেন ফিলিপ্স যেমন কিছু অবিশ্বাস্য ক্যাচ নিয়েছেন, তেমনই রান বাঁচিয়েছেন বাকি ফিল্ডারেরা। বিপক্ষের জন্য যা কঠিন পরিস্থিতি তৈরি করে দেয়। গত ম্যাচে ভারতের বিরুদ্ধে প্রায় ৩০-৪০ রান ফিল্ডিংয়ে বাঁচিয়েছিল নিউজিল্যান্ড।গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ৩০-৪০ রান বাঁচিয়ে দিলে চাপ তৈরি হয়ে যাবে যে কোনও দলের। স্যান্টনার বলেছেন, “দুবাইয়ে গিয়ে ভারতকে চাপে ফেলে দেওয়া আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে। কোন কৌশল কাজে লাগবে এবং কোনটা লাগবে না সেটা বুঝতে পেরেছি। বোলারেরা যে ভাবে ভারতের টপ অর্ডারকে বিপদে ফেলেছিল সেটা ভাল লেগেছিল। আরও এক বার টস জিততে পারলে ভাল লাগবে।”

    অপরাজিত ভারত

    আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (ICC Champions Trophy) অপরাজিত থেকে ফাইনালে উঠেছে রোহিত শর্মার ভারত। সামনে এ বার নিউজিল্যান্ড (New Zealand)। গ্রুপ পর্বে কিউয়িরা শুধুমাত্র হেরেছিল ভারতের (India) কাছে। গ্রুপের ম্যাচে জিততে না পারলেও নিউজিল্যান্ড দল যথেষ্ট চাপে ফেলে দিয়েছিল ভারতকে। টপ অর্ডারকে কম রানে সাজঘরে ফেরত পাঠিয়েছিলেন কিউয়ি বোলারেরা। সেই একই কাজ ফাইনালেও করে দেখাতে চায় তারা। অন্যদিকে ভারত চায়, ফের জ্বলে উঠুক বিরাট ব্যাট, শতরান পান রোহিত। বরুণ চক্রবর্তীয় মিস্ট্রি স্পিনে ঘায়েল হকো কিউইরা। শামির স্বপ্নের স্পেলে খরের মতো উড়ে যাক নিউজিল্যান্ড। ফের একবার আইসিসি খেতাব হাতে তেরঙা নিয়ে মাঠ প্রদক্ষিণ করুন রোহিত-কোহলি জুটি।

    আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত বনাম নিউজিল্যান্ডের ফাইনাল ম্যাচটি ভারতীয় সময় অনুযায়ী শুরু হবে দুপুর ২.৩০ মিনিটে। ম্যাচের আগে ২টো নাগাদ টস হবে। ফাইনাল ম্যাচটির লাইভ স্ট্রিমিং (Live streaming) দেখা যাবে টিভিতে স্টার স্পোর্টস ২ ও স্পোর্টস ১৮-১ এবং স্পোর্টস ১৯-খেল। এ ছাড়া মোবাইলে দেখা যাবে জিওহটস্টার অ্যাপ্লিকেশনে।

  • Paresh Baruah: উলফা নেতা পরেশকে হাতের পুতুল বানিয়ে ভারতে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টায় চিন, বাংলাদেশ, আইএসআই!

    Paresh Baruah: উলফা নেতা পরেশকে হাতের পুতুল বানিয়ে ভারতে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টায় চিন, বাংলাদেশ, আইএসআই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের উত্তর-পূর্বে অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য সক্রিয় হয়ে উঠছে উলফা! ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্রে খবর, চিন, বাংলাদেশ এবং আইএসআই ‘অলিখিত ত্রয়ী’ আঁতাঁত গড়ে উলফা নেতা পরেশ বড়ুয়াকে ব্যবহার করার চেষ্টা করছে। সম্প্রতি পরেশ (Paresh Baruah) তাঁর গোপন ডেরা পরিবর্তন করেছে। অরুণাচল প্রদেশ-মায়ানমার সীমান্তের রুইলি এলাকায় চিনের পশ্চিম ইউনান প্রদেশে থাকতেন বড়ুয়া। এখন তিনি চিনের সিশুয়াংবান্না দাই অঞ্চল রয়েছেন তিনি। এটি অসমের অহম জনগণের সঙ্গে ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক এবং জাতিগত সম্পর্কযুক্ত তাই জনগণের একটি শক্তিশালী অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। বড়ুয়া সম্ভবত এরপর মং লা শহরে পৌঁছবেন যা মায়ানমারের অন্তর্গত হলেও চিনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

    কে এই পরেশ বড়ুয়া?

    অসমের একটি ছোট পরিবারে জন্ম পরেশের (Paresh Baruah)। তাঁর জন্ম সূত্রে যে ছিল বিপ্লব-প্রতিবাদের ধারা। অসমের মতক পরিবারে জন্ম হয় তাঁর। এই মতকদের পূর্বসূরি আবার অহম সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন। ফলত সংগ্রাম যে পরেশ বড়ুয়ার রক্তধারায় বইছে তা সন্দেহাতীত। পরেশও তার ব্যতিক্রম ছিল না। চাকরি ছেড়ে ১৯৮১ সালে ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অফ আসাম (সংক্ষেপে উলফা) গঠনের দু’বছর পর পরেশও এই ভারত-বিরোধী সংগঠনে নাম লেখায়। তৎকালীন পরিস্থিতিতে অসমে চলা দুরাবস্থা, অর্থনৈতিক ধস, বেকারত্ব প্রতিটি সামাজিক-অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটই পরেশের ভাবাবেগে আঘাত করে। যার জেরে অসাধ্য সাধনের পথে, দুর্নীতি-দুরাবস্থা থেকে অসমের স্বাধীনতা দাবিতে সরসরি রাষ্ট্রবিরোধী সংগঠন উলফায় নাম লেখান তিনি।

    কী এই উলফা?

    ১৯৭৯ সালের ৭ এপ্রিল, এক দল যুবকের নেতৃত্বে গঠন করা হয় ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব অসম। সে রাজ্যের স্বাধীনতার দাবিতে আন্দোলন শুরু করে উলফা। রাজনৈতিক আন্দোলন কিংবা অহিংসার পথ ছেড়ে সশস্ত্র সংগ্রামের পথ থেকেই স্বাধীনতা ছিনিয়ে নেওয়া আর্দশে এগোতে শুরু করে উলফা। ঝরে রক্ত, চলে আন্দোলন। গঠনের কয়েক বছরের মধ্যেই সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের তকমা পেয়ে যায় উলফা। উত্তর-পূর্বে নিজেদের আস্ফালন তৈরিতে বিপুল অস্ত্রের সম্ভার তৈরি করে তারা। সেই সূত্রেই বাড়ে চিনের সঙ্গে যোগাযোগ। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, এক বান্ধবীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রায়ই মায়ানমারের জঙ্গলে পেরিয়ে চিনে যেতেন তিনি। সেই বান্ধবী নাকি আবার ছদ্মবেশী চিনা গোয়েন্দা বলেই খবর।

    চিনের কাছাকাছি

    রাষ্ট্রের কাছে পরেশ বড়ুয়ার (Paresh Baruah) অপরাধী রূপে দর যত বেড়েছে। তত নিজের গা ঢাকা দিতে চিনের দিকে পা বাড়িয়েছেন পরেশ। এমনকি ভারতের উত্তর-পূর্বে সন্ত্রাস চালাতে বরাবরই বাংলাদেশকে মাধ্যম করেছেন পরেশ। অবশেষে ২০০৪ সালের অস্ত্র পাচার নাম জড়ায় পরেশ বড়ুয়ার। গা ঢাকা দিতে বারংবার চিনে গিয়ে লুকিয়েছিলেন তিনি। তবু মেলেনি স্বস্তি। বাংলাদেশ আদালত রায় দিয়েছিল পরেশের মৃত্যুদণ্ডের। সেই রায় বদলে গেল ইউনূস সরকারের আমলে। ফাঁসির সাজা মকুব হয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পান পরেশ বড়ুয়া।

    ভারতের ভয়

    বাংলাদেশ এখন ভারতের শত্রু দেশ চিন ও পাকিস্তানের কাছাকাছি চলে এসেছে, যা ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটিয়েছে, বিশেষত বাংলাদেশের হিন্দু সংখ্যালঘুদের উপর মৌলবাদী সহিংসতা ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে এবং ইউনূস-নেতৃত্বাধীন সরকার এই সহিংসতাগুলিকে থামানোর জন্য যথেষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি, এমনকি মৌলবাদী উপাদানগুলির দ্বারা সৃষ্ট নৃশংসতাকে অগ্রাহ্য করেছে বলে অভিযোগ। এই আবহে উলফা নেতা পরেশ বড়ুয়ার শাস্তি কমিয়ে দিয়ে ইউনূস সরকার ভারত-বিরোধী মনোভাব স্পষ্ট করেছে। ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্রে খবর, পাকিস্তানের আইএসআই, চিন এবং বাংলাদেশ ভারতের বিরুদ্ধে পরেশ বড়ুয়াকে একটি পুতুল হিসেবে ব্যবহার করছে।

    চিন-যাত্রা বড়ুয়ার

    নয়ের দশকে, ভারতের সেনাবাহিনী উলফার বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর পর, বড়ুয়া বাংলাদেশে পালিয়ে যান, যেখানে তাকে আইএসআই এবং তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া সরকারের কাছ থেকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় পদ্মাপাড় থেকেই উত্তর-পূর্ব ভারতের মধ্যে চরমপন্থী কার্যক্রম চালাচ্ছিলেন বড়ুয়া। তবে ২০০৬ সালের পর, যখন জিয়ার ক্ষমতা হ্রাস পায়, বড়ুয়া মনে করেন যে ঢাকা তাঁকে ভারতের ক্রোধ থেকে রক্ষা করতে পারবে না। তখনই তিনি চিনের রুইলি চলে যান। ২০০৯ সালে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামি লিগ সরকার বাংলাদেশে ক্ষমতায় আসে। এরপর অস্ত্র পাচার মামলায় পরেশ বড়ুয়াকে অভিযুক্ত করে বাংলাদেশ।

    চট্টগ্রাম অস্ত্র চোরাচালান কাণ্ড

    ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল, চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর ধারের জেটিঘাটে উদ্ধার হয় ১০ ট্রাক ভর্তি চিনা অস্ত্র। যার মধ্যে রকেট ও গ্রেনেড ছিল। পদ্মা নদীর পাড়ে তখন জোর শোরগোল। নাম জড়াচ্ছে একের পর এক বিএনপি নেতার। নাম জড়াল খোদ প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের। অবশেষে অস্ত্র পাচার মামলায় প্রকাশ্যে এল মাস্টারমাইন্ডের নাম। পরেশ বড়ুয়া। অভিযোগ, তখনকার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী পার্টি (বিএনপি) সরকারের সহায়তায় এবং পাকিস্তানের আইএসআইর মাধ্যমে এসব অস্ত্র উলফা ও অন্যান্য বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর কাছে পাঠানো হচ্ছিল। এই চট্টগ্রাম অস্ত্র চোরাচালান কাণ্ডটি বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অস্ত্র চোরাচালানের ঘটনা হিসেবে পরিচিত, যেখানে ৪,৯৩০টি অস্ত্র, ২৭,০২০টি গ্রেনেড, ৮৪০টি রকেট লঞ্চার, ৩০০টি রকেট, ৬,৩৯২টি ম্যাগাজিন এবং ১,১৪০,৫২০টি গুলি উদ্ধার করা হয়েছিল। পরেশ তখন ঢাকাতেই ছিলেন।

    ভারতের জন্য কেন উদ্বেগের?

    পরেশ বড়ুয়াকে (Paresh Baruah) ওই মামলায় ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি তাঁর ফাঁসির সাজা কমানো হয়। বিশ্লেষকরা মনে করেন, বাংলাদেশ আদালত পাকিস্তান এবং আইএসআইকে সন্তুষ্ট করতে প্রয়াস চালাচ্ছে। যেমন খালেদা জিয়া এবং অন্যান্য পাকিস্তানপন্থী নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা এবং গুরুতর অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট খালেদা জিয়াকে দুর্নীতির একটি মামলায় অব্যাহতি দিয়েছে, যেখানে তাকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল, যা পরে ১০ বছর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। সেরকম ভাবেই সাজা কমানো হয় পরেশের। ভারতের সীমান্তের কাছে চিনের সিশুয়াংবান্নায় এখন রয়েছেন পরেশ। তাঁকে ধরতে পারা যায়নি। দিল্লির ধারণা, বড়ুয়া এই কৌশলগত অবস্থানটি ব্যবহার করে ভারতের উত্তর-পূর্বে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করতে পারে। উলফার সমর্থনও বাড়াতে পারেন বড়ুয়া। কারণ সিশুয়াংবান্নায় তাই সম্প্রদায়ের সাথে অসমের অহম সম্প্রদায়ের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।

    শান্ত অসমকে অশান্ত করার চেষ্টা

    ৯০-এর দশকের সঙ্গে এখন যদিও কোনও মিল নেই। কেন্দ্রে মোদি সরকার ও অসমে হিমন্ত বিশ্বশর্মার ডাবল ইঞ্জিন সরকারের সৌজন্যে এখন বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন নামমাত্র রয়েছে অসমে। আন্দোলনকারীদের মূল স্রোতে ফেরাতে গত কয়েক বছর বড় পদক্ষেপ করেছিল কেন্দ্র ও অসম সরকার। উলফার আলোচনাপন্থীদের সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল অসম সরকার ও কেন্দ্র। কিন্তু বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনে অপর একটি শাখা আলফা (স্বাধীন) এই চুক্তির অংশ হয়নি। ফলে পরেশ বড়ুয়ার মৃত্যুদণ্ড খারিজ হয়ে যাওয়ায় ফের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলোতে নাশকতা বাড়বে বলে আশঙ্কা দিল্লির। চিন থেকেই ভারতে নাশকতার চক্রান্ত চালাবেন পরেশ এমনই অনুমান গোয়েন্দাদের।

  • Triveni Sangam: বিশুদ্ধতার প্রতীক, প্রয়াগরাজে ত্রিবেণী সঙ্গমের জল নিয়ে গবেষণা বিশ্বজুড়ে

    Triveni Sangam: বিশুদ্ধতার প্রতীক, প্রয়াগরাজে ত্রিবেণী সঙ্গমের জল নিয়ে গবেষণা বিশ্বজুড়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াগরাজে ত্রিবেণী সঙ্গমের জল বিশুদ্ধতার প্রতীক। রাজনীতিবিদরা যতই বিতর্ক তৈরি করুন না কেন, সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীরা দাবি করছেন, ত্রিবেণী সঙ্গমের জল কাচের মতো স্বচ্ছ। কোটি কোটি মানুষ যে জলে স্নান করেছেন, সেই জল কীভাবে স্বচ্ছ থাকে, তা নিয়ে বিজ্ঞানীরা গবেষণা করছেন। শুধু সারা ভারতের পুণ্যার্থীরাই নন, বিভিন্ন দেশ থেকেও বহু মানুষ প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ মেলায় যোগ দিয়েছিলেন। পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানা, দিল্লি, ওড়িশা, বিহার, অসম, ত্রিপুরা, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, কানাডা, সুইৎজারল্যান্ড, জার্মানির মতো দেশগুলি থেকেও পুণ্যার্থীরা প্রয়াগরাজে এসেছিলেন। প্রত্যেকেই ত্রিবেণী সঙ্গমের জল বাড়িতে নিয়ে গিয়েছেন। সেই জল অত্যন্ত পরিষ্কার।

    কীভাবে বিশুদ্ধ জল

    ত্রিবেণী সঙ্গমের জল কেন এত স্বচ্ছ্ব এই নিয়ে পদ্মশ্রী সম্মান পাওয়া বিজ্ঞানী ড. অজয় সোনকরের মতামত জানতে চেয়েছেন বিদেশি বিজ্ঞানীরা। কোটি কোটি মানুষের জমায়েত স্থলে যে ব্যবস্থাপনা করা হয়েছিল, তার জন্য উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের প্রশংসাও করেছেন বিদেশ থেকে আসা পুণ্যার্থীরা। মকর সংক্রান্তি থেকে মহা শিবরাত্রি পর্যন্ত প্রয়াগরাজে ত্রিবেণী সঙ্গমে ৬৫ কোটিরও বেশি পুণ্যার্থী স্নান করেছেন। সারা বিশ্বে কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে এত মানুষ উপস্থিত হননি। ফলে নজির গড়েছে মহাকুম্ভ। আনুষ্ঠানিকভাবে মেলা শেষ হওয়ার পর উত্তরপ্রদেশের ৭৫টি জেলায় ত্রিবেণী সঙ্গমের জল পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে দমকল বিভাগ।

    গঙ্গাজল স্বচ্ছ

    ত্রিবেণী সঙ্গমের জলের বিষয়ে ড. সোনকর জানিয়েছেন, অ্যালকালাইন ওয়াটারের চেয়েও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন গঙ্গাজল। এই জল পানের যোগ্য। তিনি বিজ্ঞানসম্মতভাবে এ কথা প্রমাণ করে দিয়েছেন। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। এই ভিডিও দেখে বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা গঙ্গাজল নিয়ে কৌতূহলী হয়ে উঠেছেন। অনেকেই এখন ড. সোনকরের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। তাঁরা গঙ্গাজলের বিশেষত্ব জানতে চাইছেন। ড. সোনকর গবেষণা করে জানিয়েছেন, গঙ্গাজলে ১,১০০ ধরনের ব্যাকটেরিওফাজ আছে। এগুলি ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া নষ্ট করে দেয়। এই বিষয়টি নিয়েই বিদেশি বিজ্ঞানীরা আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।

    গঙ্গা জলের প্রতি আকর্ষণ

    ভারতের পাশাপাশি সারা পৃথিবী, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, এই জল নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা চলছে। বৈশ্বিক গবেষণা সংস্থা একাডেমিয়া, যা লক্ষ লক্ষ বৈজ্ঞানিক পত্রিকা এবং জার্নাল প্রকাশ করে, তারা গঙ্গা জল নিয়ে গোপন রহস্য উন্মোচন করতে আগ্রহী। গঙ্গা জল নিয়ে এই মহা-আকর্ষণ ইউটিউব এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের গঙ্গা সংরক্ষণ ও পুনরুজ্জীবন প্রচেষ্টা এখন ভারতে সীমিত না হয়ে আন্তর্জাতিক আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। বহু আন্তর্জাতিক পর্যটক গঙ্গার জল নিজেদের বাড়িতে রাখতে ইচ্ছুক, যা তারা পবিত্রতা ও মর্যাদার প্রতীক হিসেবে দেখেন। গঙ্গার জলের প্রতি এই আকর্ষণ শুধু ধর্মীয় নয়, এটি এখন একটি সাংস্কৃতিক ও বৈজ্ঞানিক উত্তরাধিকার হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে।

  • India Bangladesh Relation: ‘খিলাফত’ গড়ার ডাক! বাংলাদেশে সহিংস চরমপন্থীদের মুক্তি, ক্ষুব্ধ ভারত

    India Bangladesh Relation: ‘খিলাফত’ গড়ার ডাক! বাংলাদেশে সহিংস চরমপন্থীদের মুক্তি, ক্ষুব্ধ ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদীদের আখড়া হয়ে উঠেছে নতুন বাংলাদেশ। পদ্মাপাড়ে প্রতিদিন যা ঘটছে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘আমরা উদ্বিগ্ন, কারণ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাচ্ছে, যা সহিংস চরমপন্থীদের মুক্তি দেওয়ার মাধ্যমে আরও বেড়েছে। আমরা একটি স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং উন্নয়নশীল বাংলাদেশ (India Bangladesh Relation) চাই, যেখানে সব সমস্যা গণতান্ত্রিক উপায়ে এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে সমাধান করা হবে।’’ উল্লেখ্য শুক্রবারও, নিষিদ্ধ ইসলামিক জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহরির মিছিল ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ঢাকা।

    খিলাফত গড়ার ডাক

    ইসলামিক স্টেটের (আইএস) কায়দায় বাংলাদেশে খিলাফত গড়ার ডাক দিয়েছে হিজবুত তাহরির! শুক্রবার ঢাকার রাস্তায় মিছিল করতে দেখা গেল শয়ে শয়ে মৌলবাদীকে। এই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনটির মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে পুলিশ। যা কেন্দ্র করে কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে ঢাকা। শেখ হাসিনার আমলে এই হিজবুত নখ-দাঁত বের করতে পারেনি। কিন্তু এখন গোটা বাংলাদেশে নৈরাজ্য। মহম্মদ ইউনূসের জমানায় মাথাচারা দিচ্ছে হিজবুতের মতো একাধিক জেহাদি গোষ্ঠী। জানা গিয়েছে, শুক্রবার ‘মার্চ ফর খিলাফত’ কর্মসূচির ডাক দেয় নিষিদ্ধ হিজবুত তাহরির। সেই মতোই জুম্মার নমাজের পর জেহাদিরা ঢাকায় একটি মিছিল বের করে। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে আসরে নামে পুলিশ। কিন্তু আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর বাধা অতিক্রম করেই মিছিলটি পল্টন মোড় পার হয়ে বিজয়নগর মোড়ের দিকে যায়। তখন পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় হিজবুত সদস্যদের। এরপর লাঠিপেটা করলে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন অলিগলিতে ঢুকে পড়ে। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা আবার সংগঠিত হয়ে পল্টন মোড়ের দিকে আসতে থাকে। পুলিশ ফের সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়লে মিছিলটি আবার ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।

    নিষিদ্ধ হিজবুত তাহরির

    আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ তথ্য বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, হিযবুত তাহরির (মুক্তির দল) দলটির লক্ষ্য হল ইসলামি খিলাফত প্রতিষ্ঠিত করা ও বিশ্বব্যাপী ইসলামি আইন বাস্তবায়ন করা। হিজবুত তাহরিকে বাংলাদেশ, চিন, রাশিয়া, পাকিস্তান, জার্মানি,তুরস্ক, ইংল্যান্ড, কাজাখস্তান এবং সমস্ত মধ্য এশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সমস্ত মধ্যপ্রাচ্যে (লেবানন, ইয়েমেন ব্যতীত) নিষিদ্ধ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি-জামাত সরকারের আমলে এই জঙ্গি সংগঠনটি বাংলাদেশে ঘাঁটি মজবুত করে। কিন্তু ২০০৯ সালের ২২ অক্টোবর হাসিনার নেতৃত্বাধীন তৎকালীন আওয়ামি লিগ সরকার হিজবুত তাহরিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। জনগণের নিরাপত্তার জন্য এই সংগঠনটি বিপজ্জনক বলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। শুধু বাংলাদেশই নয়, বিশ্বের বহু মুসলিম দেশেই হিজবুত তাহরিরকে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু গত ৫ অগাস্ট হাসিনা সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ায় ফের বাংলাদেশে মাথাচারা দিয়েছে তারা। পালন করছে নানা কর্মসূচি। আর সবটাই নীরব দর্শক হয়ে দেখছেন প্রধান উপদেষ্টা ইউনুস।

    চরমপন্থী সন্ত্রাসবাদীদের মুক্তি

    ইউনূস সরকার বাংলাদেশ ক্ষমতায় আসার পরই জেল থেকে মুক্তি পায় আনসারুল্লা বাংলা টিমের (এবিটি) প্রধান জসীমউদ্দিন রহমানি। আর তার মদতেই এখন ভারতকে রক্তাক্ত করার ছক কষেছে এবিটি। বাংলাদেশ এই সহিংস চরমপন্থীদের মুক্তি দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছে ভারত। এরা গঙ্গাপাড়ে অশান্তি লাগাতে সক্রিয় এমনই ধারণা ভারতের।

    ভারত-বিরোধিতা, তবু জল চাই

    দেশের অভ্যন্তরে ভারত-বিরোধী সুরকে মদত দিলেও গঙ্গার জলবণ্টন নিয়ে নরম সুর বাংলাদেশের। বাংলাদেশের জয়েন্ট রিভার কমিশনের সদস্য মহম্মদ আবুল হোসেনের নেতৃত্বে ১১ জনের প্রতিনিধি দল সোমবার পা রাখেন কলকাতায়। জয়েন্ট কমিটির টেকনিক্যাল বিশেষজ্ঞরা ভারতের সঙ্গে এই নিয়ে ৮৬ তম বৈঠক সারেন। ৩০ বছর পুরনো গঙ্গা পদ্মা জলবণ্টন চুক্তি পুনর্নবীকরণ নিয়ে হয় বৈঠক। ফরাক্কায় পর্যবেক্ষণ সেরে ফের কলকাতায় ফিরে ৬ মার্ত বৃহস্পতিবার বৈঠক সারেন তারা। শুক্রবার, ভারত বাংলাদেশ জয়েন্ট রিভার কমিশনের ফের বৈঠক হয়েছে। কমিশনের সদস্য আবুল হোসেন জানান, ফি বছরই সীমান্তে জল আদান প্রদান নিয়ে কমিশনের বৈঠক হয়। সেইমতো এবারেও বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। ভারতের জলশক্তি মন্ত্রক জানিয়েছে, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ৫৪টি এমন নদী রয়েছে যা সীমান্তের দুই পারে বিস্তৃত।

     

     

     

LinkedIn
Share