Author: pranabjyoti

  • India China Relation: “ভারত-চিন সীমান্ত বিরোধ জটিল”, কবুল চিনের, তবে ‘আলোচনায় প্রস্তুত’, জানাল বেজিং

    India China Relation: “ভারত-চিন সীমান্ত বিরোধ জটিল”, কবুল চিনের, তবে ‘আলোচনায় প্রস্তুত’, জানাল বেজিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বদলাচ্ছে ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি। তাই কি বদলাচ্ছে চিনও (India China Relation)! কারণ সোমবার বেজিংয়ের তরফে একটি মন্তব্য, যাতে তারা স্বীকার করে নিয়েছে ভারত-চিন সীমান্ত বিরোধ (Border Dispute) জটিল। তবে এই সমস্যার সমাধান জটিল হলেও, ভারত-চিন সীমান্ত নির্ধারণ নিয়ে আলোচনায় প্রস্তুত তারা। এর পাশাপাশি তারা যে সীমান্ত এলাকায় শান্তি বজায় রাখতেও আগ্রহী, তাও জানিয়ে দিয়েছে ড্রাগন।

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের বৈঠকের ফাঁকে পার্শ্ববৈঠক (India China Relation)

    ২৬ জুন কুইংদাওয়ে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-র প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের বৈঠকের ফাঁকে পার্শ্ববৈঠক হয় ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী দং জুনের। সেই বৈঠকে রাজনাথ সীমান্তে বিশ্বাসযোগ্য পরিবেশ গড়ে তোলার ওপর জোর দেন এবং গ্রাউন্ডে অ্যাকশনের মাধ্যমে আস্থা ফেরানোর বার্তা দেন। এই বৈঠকের প্রেক্ষিতেই সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, “সীমান্ত সংক্রান্ত প্রশ্নটি অত্যন্ত জটিল। এটা এক দিনে মিটবে না। তবে ইতিমধ্যেই দুই দেশের মধ্যে একাধিক স্তরে যোগাযোগের জন্য নির্দিষ্ট ব্যবস্থা তৈরি হয়েছে, যা একটি ইতিবাচক দিক।”

    কী বললেন মাও নিং

    মাও নিং জানান, দুই দেশের মধ্যে বিশেষ প্রতিনিধি স্তরের আলোচনার একটি ফোরাম রয়েছে এবং সেখানে রাজনৈতিক মানদণ্ড ও দিশা নির্দেশক নীতি নিয়ে একমত হওয়া গিয়েছে। তিনি বলেন, “চিন আলোচনার মাধ্যমে সীমান্ত নির্ধারণ এবং সীমান্ত ব্যবস্থাপনা নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী। শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল সীমান্ত রক্ষায় যৌথভাবে কাজ করতে আমরা প্রস্তুত।” চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, “আমরা আশা করি ভারতও চিনের সঙ্গে একই পথে চলবে এবং যোগাযোগ অব্যাহত রেখে সীমান্তে শান্তি রক্ষায় কাজ করবে।”

    ২৩টি বৈঠক

    ভারত ও চিন (India China Relation) দুই দেশের মধ্যে বিশেষ প্রতিনিধিদের মধ্যে সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত ২৩টি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাহলে সীমান্ত বিরোধ সমাধানে এত সময় লাগছে কেন (Border Dispute)? এই প্রশ্নের উত্তরেই মাও নিং বলেন, “সীমান্ত প্রশ্নটি জটিল এবং এটি সমাধান করতে সময় লাগবে।” ভারত-চিন সীমান্ত বিরোধ সমাধানের জন্য কোনও সময়সীমা নির্ধারণ করা যেতে পারে কিনা, জানতে চাইলে মাও নিং বলেন, “আমরা আশা করি, ভারত-চিনের সঙ্গে একই বিষয়ে কাজ করবে। জটিল বিষয়গুলিতে কথা বলা চালিয়ে যাবে যাতে সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা যায়।”

    ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ

    গত সেপ্টেম্বরে চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই এবং ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের মধ্যে ২৩তম বিশেষ প্রতিনিধিদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই বৈঠকে দুই দেশই ২০২৪ সালের বিচ্ছিন্নতা চুক্তি নিশ্চিত করেছিল, যাতে সংশ্লিষ্ট এলাকায় টহল এবং পশুচারণ ফের শুরু করার অনুমতি মেলে। মাও নিং বলেন (India China Relation), “চিন সীমা নির্ধারণ আলোচনা এবং সীমান্ত ব্যবস্থাপনা-সহ বিভিন্ন বিষয় (Border Dispute) নিয়ে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখতে প্রস্তুত। সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা এক সঙ্গে রক্ষা করতে এবং সীমান্ত পারাপার বিনিময় সহযোগিতা এগিয়ে নিতেও আগ্রহী চিন।”

    আকসাই চিন দখল

    এশিয়া মহাদেশের দুই বৃহত্তম দেশ হল ভারত ও চিন। দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত রয়েছে ৩ হাজার ৪৮৮ কিলোমিটার। এই সীমান্ত নিয়েই দুই দেশের মধ্যে কয়েক দশক ধরে চলছে বিরোধ। এই সীমান্ত বিরোধ কেবল উভয় দেশকেই প্রভাবিত করে না, সমগ্র এশিয়া মহাদেশের শান্তি এবং নিরাপত্তাকেও প্রভাবিত করে। অনেক আগেই পশ্চিম লাদাখের আকসাই চিন দখল করেছে চিন। লাদাখের এই অংশটি ভারতের। যদিও চিন মনে করে এটি জিনজিয়াং প্রদেশের একটি অংশ। চিন পূর্বাঞ্চলীয় অরুণাচলপ্রদেশকে তাদের অংশ বলে দাবি করে। তাদের মতে, এটি তিব্বতেরই অংশ (India China Relation)।

    ভারত-চিন বিরোধ

    ২০১৭ সালে ডোকলামে চিন ও ভারতের মধ্যে বিরোধ বাঁধে। চিন ভারত-ভুটান-চিন ট্রাই-জংশনে রাস্তা তৈরির চেষ্টা করলে বাধা দেয় ভারত। এর পর ৭৩ দিন ধরে চোখে চোখ রেখে ঠায় দাঁড়িয়েছিল দুই দেশের সেনা (Border Dispute)। এর ঠিক তিন বছর পরে ২০২০ সালের ১৫-১৬ জুন গালওয়ান উপত্যকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় চিন ও ভারতীয় জওয়ানরা মুখোমুখি হন। সেবার দু’দেশের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষও হয়েছিল। এই সংঘর্ষে একজন কমান্ডার-সহ শহিদ হন ২০জন ভারতীয় সেনা। ২০২২ সালে তাওয়াংয়ে ফের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ভারত ও চিনে সেনাবাহিনী। উত্তরপ্রদেশের তাওয়াংয়ে ওই সংঘর্ষ হয়। তার পর থেকে দু’দেশেই রয়ে গিয়েছে সীমান্তে (Border Dispute) উত্তেজনা। যে উত্তেজনা প্রশমনে বরাবর সক্রিয় হয়েছে ভারত (India China Relation)।

  • Welfare Revolution: সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থায় সর্বকালীন রেকর্ড গড়ল নরেন্দ্র মোদির ভারত

    Welfare Revolution: সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থায় সর্বকালীন রেকর্ড গড়ল নরেন্দ্র মোদির ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থায় সর্বকালীন রেকর্ড গড়ল নরেন্দ্র মোদির ভারত। এক দশকেরও কম সময়ে এই কভারেজ বেড়েছে তিনগুণেরও বেশি। সম্প্রতি প্রকাশিত সাসটেনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস ন্যাশনাল ইন্ডিকেটর ফ্রেমওয়ার্কের অগ্রগতি (Social Security Coverage) রিপোর্ট ২০২৫-এ এই তথ্য উঠে এসেছে। এই তথ্য উপস্থাপিত করেছে পরিসংখ্যান ও কর্মসূচি রূপায়ণ মন্ত্রক (Welfare Revolution)।

    সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা (Welfare Revolution)

    প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ভারতে সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থার আওতা ২০১৬ সালে যেখানে ছিল মাত্র ২২ শতাংশ, ২০২৫ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৪.৩ শতাংশে, যা সাম্প্রতিক বছরগুলিতে কোনও বড় গণতান্ত্রিক দেশের অন্যতম বৃহত্তম কল্যাণমূলক সাফল্য। এই বিপুল বৃদ্ধি ভারত সরকারের একটি সুস্পষ্ট নীতিগত পরিবর্তন নির্দেশ করে, যেখানে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও নিরাপত্তা-নির্ভর উন্নয়ন মডেল গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে। এর লক্ষ্য হল সমাজের দুর্বল শ্রেণিগুলির ক্ষমতায়ন এবং বৈষম্য হ্রাস করা, যা সাসটেনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস ১ (SDG 1) অর্থাৎ, “সর্বত্র ও সকল মাত্রায় দারিদ্র্য দূরীকরণ”-এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

    গুরুত্বপূর্ণ জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি

    ভারত গত এক দশকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি শুরু করেছে, যা সামাজিক নিরাপত্তা কভারেজের দ্রুত সম্প্রসারণে সহায়ক হয়েছে। এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য ছিল নগদ হস্তান্তর, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, পেনশন কভারেজ, খাদ্য নিরাপত্তা এবং বিমা প্রকল্পসমূহকে একটি বিস্তৃত নিরাপত্তা নেটওয়ার্কের আওতায় এনে নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা। ২০১৯ সালে শুরু হওয়া প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি (PM-KISAN) প্রকল্পের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের প্রতি বছর ৬,০০০ টাকা সরাসরি আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। ২০১৮ সালে চালু হওয়া আয়ুষ্মান ভারত (Social Security Coverage) প্রধানমন্ত্রীর জন আরোগ্য যোজনা (AB-PMJAY) প্রকল্পে প্রতি পরিবারকে বছরে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সেকেন্ডারি ও টারশিয়ারি হাসপাতাল চিকিৎসার জন্য কভার দেওয়া হয় (Welfare Revolution)। জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন, যা ২০১৩ সালে কার্যকর হয়েছিল, এবং সাম্প্রতিক কিছু প্রকল্প যেমন প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনায় (PMGKAY) বিনামূল্যে খাদ্যশস্য সরবরাহ করে খাদ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সহায়তা করেছে।

    ইন্দিরা গান্ধী জাতীয় বার্ধক্য পেনশন যোজনা (IGNOAPS) এবং প্রধানমন্ত্রী শ্রম যোগী মানধন যোজনার মাধ্যমে ভারত অসংগঠিত খাতের শ্রমিক, বৃদ্ধ ও বিধবাদের জন্য পেনশন ব্যবস্থার পরিধি বাড়িয়েছে। ২০১৪ সালে চালু হওয়া প্রধানমন্ত্রী জন ধন যোজনা (PMJDY) ৫০ কোটিরও বেশি অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ তৈরি করেছে। প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বিমা যোজনা ও প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা (Social Security Coverage) বিমা যোজনার মতো স্বল্প খরচের জীবন ও দুর্ঘটনা বিমা প্রকল্পগুলি লাখ লাখ দরিদ্র মানুষের কাছে বিমা সুরক্ষা পৌঁছে দিয়েছে (Welfare Revolution)।

  • Air India Flight: হঠাৎই বিমান নেমে এল ৯০০ ফুট নীচে, বড়সড় দুর্ঘটনা এড়াল এয়ার ইন্ডিয়া

    Air India Flight: হঠাৎই বিমান নেমে এল ৯০০ ফুট নীচে, বড়সড় দুর্ঘটনা এড়াল এয়ার ইন্ডিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার রেশ (Ahmedabad Crash) এখনও মিলিয়ে যায়নি। তার মধ্যেই বড়সড় বিপদ এড়াল সেই এয়ার ইন্ডিয়ার আরও একটি বিমান (Air India Flight)। ওড়ার খানিক পরেই হঠাৎই দিল্লি-ভিয়েনা বিমানটি নেমে আসে ৯০০ ফুট উচ্চতায়, যা অত্যন্ত বিপজ্জনক। তবে পাইলটদের দক্ষতায় দ্রুত বিমানের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পান তাঁরা। শেষমেশ গন্তব্যের দিকে নিরাপদেই পাড়ি দেয় এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি।

    মাটির কাছাকাছি চলে এল বিমান (Air India Flight)

    এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে জানানো হয়েছে, তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট পাইলটদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে রাখা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ১৪ জুন ভোরে বোয়িং ৭৭৭ বিমানটি দিল্লি থেকে ওড়ার সময় আবহাওয়া অত্যন্ত খারাপ ছিল। আমেদাবাদ দুর্ঘটনার মাত্র ৩৮ ঘণ্টা পর এই ঘটনাটি বোয়িং বিমানের নিরাপত্তা নিয়ে আরও উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এআই-১৮৭ ফ্লাইটটি বোয়িং ৭৭৭ ধরনের বিমান। ওই দিন দিল্লি থেকে ভিয়েনার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল সেটি। ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমানটিতে ‘স্টল’ সতর্কতা দেখা দেয় এবং সেটি হঠাৎ করেই ৯০০ ফুট উচ্চতায় নেমে আসে। ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন (DGCA) জানিয়েছে, বিমানের সিস্টেম তখন ‘গ্রাউন্ড প্রক্সিমিটি ওয়ার্নিং’ও জারি করেছিল, যা এমন সময়ে বাজে যখন বিমানটি মাটির খুব কাছাকাছি চলে এসেছিল।

    নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছল বিমান

    সূত্রের খবর, বিমানটি একবার স্টল সতর্কতা এবং দু’বার গ্রাউন্ড প্রক্সিমিটি অ্যালার্ট পেয়েছিল। ক্রু সদস্যরা দ্রুত বিমানটিকে স্থিতিশীল করেন এবং প্রায় ৯ ঘণ্টা আট মিনিটের যাত্রা শেষে নিরাপদে ভিয়েনা পৌঁছান (Air India Flight)। তবে পাইলটদের রিপোর্ট ও ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার থেকে পাওয়া তথ্যের মধ্যে পার্থক্য ধরা পড়েছে। পাইলটরা ঘটনাটিকে শুধু খারাপ আবহাওয়ার কারণে সৃষ্ট টার্বুলেন্স হিসেবে বর্ণনা করেন এবং কেবল স্টল সতর্কতার কথা স্বীকার করেন। কিন্তু তাঁরা গ্রাউন্ড প্রক্সিমিটি অ্যালার্টের বিষয়ে কিছু বলেননি।

    ব্ল্যাক বক্সের তথ্য বিশ্লেষণের পরেই জানা যায়, ফ্লাইট ক্রু এবং সেফটি ডিপার্টমেন্ট উভয়েই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন (Ahmedabad Crash) করেছেন। এর পরেই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় ওই বিমানের দুই পাইলটকে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিজিসিএ ডেকেছে এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India Flight) সেফটি ডিপার্টমেন্টের প্রধানকে।

  • Kazakhstan: জনসমক্ষে আর মুখ ঢাকা পোশাক পরা যাবে না, ফরমান কাজাখ সরকারের

    Kazakhstan: জনসমক্ষে আর মুখ ঢাকা পোশাক পরা যাবে না, ফরমান কাজাখ সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুলে হিজাব (Niqabs) পরে আসা যাবে না বলে বছর কয়েক আগেই নির্দেশিকা জারি করেছিল ৭০ ভাগ মুসলমানের দেশ কাজাখস্তান (Kazakhstan)। সরকারি ওয়েবসাইট ‘নাগরিকদের জন্য’ শিরোনামে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখন থেকে আর হিজাব পরা যাবে না। কারণ এমন ধর্মীয় পোশাক বা চিহ্ন কোনও না কোনওভাবে প্রোপাগান্ডা ছড়ানো বা গোঁড়ামি প্রচারে ভূমিকা রাখতে পারে। সেখানে এও বলা হয়েছিল, ধর্মনিরপেক্ষ দেশের সরকারের দায়িত্ব সব ধর্মের মানুষের জন্য সমান অধিকার নিশ্চিত করা। কোনও ধর্মাবলম্বীদের কোনওভাবে অগ্রাধিকার দেওয়া পুরোপুরিভাবে ধর্মনিরপেক্ষতার নীতিবিরোধী।

    নিষিদ্ধ নিকাব (Kazakhstan)

    এহেন ধর্মনিরপেক্ষ দেশটির প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমার্ত টোকায়েভ একটি আইনে স্বাক্ষর করেছেন, যাতে বলা হয়েছে জনসমক্ষে আর মুখ ঢাকা পোশাক পরা যাবে না। নয়া এই আইনে অবশ্য কিছু নির্দিষ্ট ও সুষ্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত পরিস্তিতিতে ওই পোশাক পরার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি কাজাখ সংসদে এই বিলটি পাশ হয়। চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয় প্রেসিডেন্টের কাছে। প্রেসিডেন্টের শিলমোহর পাওয়ায় বিলটি পরিণত হয়েছে আইনে। নয়া এই আইনে জনসমক্ষে যে কোনও ধরনের মুখ ঢাকা পোশাক পরা নিষিদ্ধ করেছে। তবে, কিছু নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে মুখ ঢাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে — যেমন, আইনগত প্রয়োজন, সরকারি দায়িত্ব পালনের সময়, চিকিৎসা সংক্রান্ত কারণে, চরম আবহাওয়া থেকে সুরক্ষার জন্য অথবা খেলাধুলো ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের সময় (Kazakhstan)।

    জননিরাপত্তার জন্য হুমকি স্বরূপ

    কাজাখ প্রশাসনের মতে, মুখ ঢাকার পর্দা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পক্ষে কোনও ব্যক্তিকে শনাক্ত করা কঠিন করে তোলে, যা জননিরাপত্তার জন্য হুমকি স্বরূপ। সে দেশের গণমাধ্যমের মতে, এই পদক্ষেপটি কাজাখস্তানের ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। এর উদ্দেশ্য হল, জাতীয় পরিচয়কে আরও সুদৃঢ় করা এবং এমন কিছু ধর্মীয় চর্চা থেকে নিজেকে দূরে সরানো, যেগুলিকে “বিদেশি” হিসেবে বিবেচনা করা হয় (Niqabs)।

    প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের মার্চ মাসে প্রেসিডেন্ট টোকায়েভ মন্তব্য করেছিলেন যে, নিকাব একটি পুরাতন ও অপ্রচলিত পোশাক, যা সদ্য চরমপন্থায় ঝুঁকে পড়া কিছু গোষ্ঠী কাজাখ নারীদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে। তিনি বলেন, এটি দেশের ঐতিহ্যবাহী মূল্যবোধের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। প্রসিডেন্ট বলেছিলেন, “এই নীতিটি শিক্ষা-সহ সকল ক্ষেত্রেই কঠোরভাবে অনুসরণ করা উচিত। স্কুল সর্বপ্রথম একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, যেখানে (Niqabs) শিশুরা জ্ঞান অর্জনের জন্য আসে। অন্যদিকে ধর্মীয় বিশ্বাস একটি পছন্দ এবং প্রতিটি নাগরিকের ব্যক্তিগত বিষয় (Kazakhstan)।”

  • Census 2026: দায়িত্বে ৩৪ লক্ষেরও বেশি কর্মী! আগামী বছরেই শুরু হবে জনগণনা, কীভাবে হবে?

    Census 2026: দায়িত্বে ৩৪ লক্ষেরও বেশি কর্মী! আগামী বছরেই শুরু হবে জনগণনা, কীভাবে হবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৬ সালের ১ এপ্রিল শুরু হবে জনগণনা (Census 2026)। ভারত সরকারের তরফে এ খবর আগেই জানানো হয়েছে। এটি হবে দেশের ষোড়শতম জনগণনা, স্বাধীনতার পর অষ্টমবার (Caste Data)। এই কর্মসূচির সূচনা হবে হাউসলিস্টিং অপারেশন দিয়ে। এটিই শুরু হবে পয়লা এপ্রিল। রেজিস্ট্রার জেনারেল ও জনগণনা কমিশনার মৃত্যুঞ্জয় কুমার নারায়ণ একটি চিঠির মাধ্যমে সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্য সচিবদের উদ্দেশে একথা জানিয়ে দেন। এই বৃহৎ তথ্যসংগ্রহ প্রচেষ্টায় যাতে ৩৪ লক্ষেরও বেশি কর্মী (গণনাকারী, তদারক ও ১.৩ লাখ জনগণনা আধিকারিক) থাকবেন, তাঁদের সম্পূর্ণ সহযোগিতা করতে দেশবাসীকে আহ্বান জানান তিনি ।

    ১০ বছর অন্তর জনগণনা (Census 2026)

    দেশ যখন পরাধীন ছিল, তখনও জনগণনা হত। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরেও হয়। প্রতি ১০ বছর অন্তর জনগণনা করা হয়। তবে কোভিড অতিমারির কারণে বন্ধ ছিল সপ্তদশ জনগণনা। সেটাই শুরু হবে ২০২৬ সালের পয়লা এপ্রিল। এই জনগণনা হবে ভারতের ইতিহাসে প্রথম ডিজিটাল জনগণনা। মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে তথ্য সংগ্রহ ও আপলোড করার এই পদ্ধতি তথ্য সংগ্রহের নির্ভুলতা, গতি ও দক্ষতায় বিপ্লব ঘটাবে বলে আশা করছেন আধিকারিকরা। দেশবাসীদের জন্য স্ব-গণনার (self-enumeration) সুযোগও থাকছে। এই পদ্ধতিতে তাঁরা নিজেরাই অনলাইনে জনগণনা সংক্রান্ত ফর্ম পূরণ করতে পারবেন। এটি হবে জনসাধারণের বড় পরিসরে অংশগ্রহণের প্রথম উদাহরণ।

    জনগণনা হবে দু’টি ধাপে

    প্রসঙ্গত, ফিজিক্যাল ও ডিজিটাল গণনার এই হাইব্রিড মডেলটি ভারতের প্রযুক্তিনির্ভর শাসনব্যবস্থার দিকে একটি সাহসী পদক্ষেপ। এর উদ্দেশ্য হল নির্ভুল তথ্য সংগ্রহ, মনুষ্যকৃত ভুল কমানো এবং জনকল্যাণ ও নীতিনির্ধারণে সহায়ক একটি কার্যকর জনতথ্যভান্ডার গড়ে তোলা। এবার জনগণনা হবে দু’টি ধাপে। প্রথম ধাপে হবে গৃহতালিকা প্রস্তুতের কাজ। এটাই শুরু হবে ১ এপ্রিল। এই ধাপে গৃহের অবস্থা, গৃহস্থালির সম্পদ এবং সুবিধা-অসুবিধা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এর মাধ্যমে শহর ও গ্রামাঞ্চলজুড়ে পরিকাঠামোগত উন্নয়ন ও জীবনধারার একটি চিত্র পাওয়া যাবে (Caste Data)। দ্বিতীয় ধাপে হবে জনগণনা। এটি শুরু হবে ২০২৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি।  এই ধাপে সংগ্রহ করা হবে ব্যক্তিগত স্তরে জনসংখ্যার তথ্য যেমন, জনতাত্ত্বিক (Census 2026) বৈশিষ্ট্য, সামাজিক-আর্থিক অবস্থা, ধর্ম, ভাষা ও সাংস্কৃতিক বিবরণ।

    জনগণনায় জাতিভিত্তিক তথ্য সংগ্রহ

    এবারই প্রথম জনগণনায় জাতিভিত্তিক তথ্য সংগ্রহ অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এটি পূর্ববর্তী সরকারি প্রতিশ্রুতি এবং বিভিন্ন রাজ্য সরকার ও সামাজিক ন্যায়বিচারের পক্ষে অবস্থানকারীদের দাবির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, এই সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতের কল্যাণমূলক কর্মসূচি, সংরক্ষণ নীতি এবং নির্বাচনী কৌশলে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে। জানা গিয়েছে, আগামী বছর যে জনগণনা শুরু হতে যাচ্ছে, তাতে অংশ নেবেন ৩৪ লক্ষেরও বেশি কর্মী। এঁরা ভারতের প্রতিটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে যাবেন। এটি হবে বিশ্বের বৃহত্তম প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডগুলির একটি। জানা গিয়েছে, তথ্য সংগ্রাহক ও তত্ত্বাবধায়কদের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ অবিলম্বে শুরু হবে। এঁদের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে কেন্দ্র, রাজ্য ও জেলা প্রশাসনের যৌথ সমন্বয়ে।

    তথ্য সংগ্রহ ও যাচাই

    এই কর্মীরা মেট্রোপলিটন ফ্ল্যাট থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রামের কুঁড়েঘর পর্যন্ত প্রতিটি বাড়ি পরিদর্শন করে তথ্য সংগ্রহ ও যাচাই করবেন। তাঁদের কাজকে সহায়তা করবে অ্যাপ-ভিত্তিক টুল এবং রিয়েল-টাইম তত্ত্বাবধায়ক ট্র্যাকিং সিস্টেম। এর ফলে নিশ্চিত হবে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা (Caste Data)। জানা গিয়েছে, রেজিস্ট্রার জেনারেল এবং জনগণনা কমিশনারের কার্যালয় নাগরিকদের জন্য প্রায় তিন ডজন প্রশ্ন তৈরি করেছে। এই সমীক্ষায় ফোন, ইন্টারনেট, সাইকেল, স্কুটার, মোটরসাইকেল, গাড়ি, ভ্যান, রেডিও, টিভি-র মতো জিনিসপত্র আছে কিনা, সেই বিষয়ে জানতে চাওয়া হবে (Census 2026)। এছাড়াও, পরিবারে পানীয় জলের উৎস, আলোর উৎস, শৌচাগারের ধরন, বর্জ্য জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা, স্নান ও রান্নাঘরের সুবিধা, রান্নার জন্য ব্যবহৃত জ্বালানি এবং এলপিজি বা পিএনজি সংযোগের মতো বিষয়গুলি সম্পর্কেও জনতে চাওয়া হবে। বাড়ির মেঝে, দেওয়াল এবং ছাদ কী দিয়ে তৈরি, সেটির অবস্থা, কতজন সদস্য সেখানে থাকেন, ঘরের সংখ্যা, বিবাহিত দম্পতি কতজন, পরিবারের প্রধান মহিলা নাকি তিনি তফশিলি জাতি-উপজাতির অন্তর্ভুক্ত, এই ধরনের নানা প্রশ্নও করা হবে।

    প্রশাসনিক ইউনিট

    কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে প্রশাসনিক ইউনিটগুলির সীমানা পরিবর্তনের প্রস্তাবিত কাজ ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করতে বলেছে। জনগণনার কাজের জন্য এই সীমানা চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে (Census 2026)। মুখ্যসচিবদের লেখা চিঠিতে কর্পোরেশন, রাজস্ব গ্রাম, তহশিল, মহকুমা বা জেলার সীমানা পরিবর্তনের প্রস্তাবিত কাজ ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গণনাকারীদের কাজের চাপ কমানোর জন্য প্রতিটি প্রশাসনিক অঞ্চলকে কতগুলি অংশে ভাগ করা হয়। এগুলিকে ব্লক বলা হয়। জনগণনার উদ্দেশ্যে তৈরি করা মানচিত্রে একটি ব্লককে একটি গ্রাম বা শহরের মধ্যে স্পষ্টভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে (Caste Data)। প্রসঙ্গত, শেষবার জনগণনা হয়েছিল ২০১১ সালে (Census 2026)।

  • SAARC: ভারতকে রুখতে সার্কের বিকল্প মঞ্চ তৈরি করছে চিন!

    SAARC: ভারতকে রুখতে সার্কের বিকল্প মঞ্চ তৈরি করছে চিন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্ব মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে ভারত। বিশ্বমঞ্চের সমস্ত ফোকাস কেড়ে নিচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। অতএব, দ্রুত রুখতে হবে ভারতকে! সেই কারণেই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় তৈরি হচ্ছে নয়া জোট (SAARC)। অন্তত পাকিস্তানের একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে (China) এমনই প্রতিবেদন। তাতে বলা হয়েছে, চলতি মাসে চিনে গিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন চিনা উপবিদেশমন্ত্রী সুন ওয়েইডং, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বিদেশসচিব রুহুল আলম সিদ্দিকী এবং পাকিস্তানের অতিরিক্ত বিদেশসচিব ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী। সার্কের প্রতিপক্ষ হিসেবে জোট গড়তেই হয়েছে ওই বৈঠক।

    বাংলাদেশের বক্তব্য (SAARC)

    বৈঠক শেষে বাংলাদেশের বিদেশ উপদেষ্টা তৌহিদ হাসান বলেন, “এই বৈঠকের সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই। আধিকারিকদের মধ্যে বৈঠক হয়েছে। নতুন করে কোনও জোট তৈরির আলোচনা হয়নি।” এই বৈঠক নিয়ে বিবৃতিও দিতে চায়নি বাংলাদেশ। যদিও বৈঠক শেষে পাকিস্তানের তরফে আলাদা করে জারি করা হয়েছে বিবৃতি।

    সার্কভুক্ত দেশ

    ১৮৮৫ সালে ভারত, ভুটান, বাংলাদেশ, মলদ্বীপ, নেপাল, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কা-সহ মোট সাতটি দেশ মিলে গঠিত হয় সার্ক। দক্ষিণ এশিয়ায় একটি শক্তিশালী জোট করতেই এই গোষ্ঠী তৈরির প্রস্তাব দিয়েছিল ভারত। পরবর্তীকালে এই গোষ্ঠীতে যোগ দেয় আফগানিস্তান। এর পর সার্কের সদস্য সংখ্যা বেড়ে হয় ৮। ২০১৪ সালে শেষবারের মতো নেপালের কাঠমান্ডুতে বৈঠক হয়েছিল সার্কের সদস্যদের। তারপর থেকেই কার্যত নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে এই গোষ্ঠী। অভিজ্ঞ মহলের মতে, এহেন পরিস্থিতিতে ভারতকে এড়িয়ে নয়া জোট গঠনে উদ্যোগী হয়েছে শি জিনপিংয়ের দেশ।

    পাকিস্তানের ‘এক্সপ্রেস ট্রিবিউন’ নামের একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯ জুন চিনের কুনমিংয়ে আয়োজিত একটি বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের প্রতিনিধিরা। ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মূলত সার্কের আওতাভুক্ত দেশগুলিকেই বৈঠকে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। আমন্ত্রিতের তালিকায় অবশ্য ঠাঁই হয়নি ভারতের (SAARC)।

    প্রসঙ্গত, ভারত উন্নত আঞ্চলিক সহযোগিতা ও সংযোগের জন্য সার্ককে ব্যবহার করার চেষ্টা করলেও, পাকিস্তান সেটিকে বারবারই কোণঠাসা করার চেষ্টা করেছে। বৃহত্তম সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে ভারত সার্কে উল্লেখযোগ্য অর্থ দিয়ে থাকে। সদস্য দেশগুলির মধ্যে শিক্ষা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য সার্ক উন্নয়ন তহবিল এবং নয়াদিল্লিতে দক্ষিণ এশিয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো (China) উদ্যোগের নেতৃত্ব দিয়ে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে ভারত (SAARC)।

  • BJP: এন্ট্রান্স পরীক্ষায় খারাপ রেজাল্ট করেও, কীভাবে ল’ কলেজে চান্স পেয়েছিলেন অভিযুক্ত জইব?

    BJP: এন্ট্রান্স পরীক্ষায় খারাপ রেজাল্ট করেও, কীভাবে ল’ কলেজে চান্স পেয়েছিলেন অভিযুক্ত জইব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজের ঘটনায় নয়া বিতর্ক। বিতর্ক উসকে দিলেন বিজেপির (BJP) আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। তাঁর দাবি, ধর্ষণে অভিযুক্ত জইব আহমেদ এন্ট্রান্স পরীক্ষায় খারাপ রেজাল্ট করেও, কীভাবে চান্স পেয়েছিলেন ওই কলেজে (Kasba Gangrape)? কে তাঁকে আড়াল করছেন? সেই প্রশ্নও তুলেছেন অমিত।

    অমিত মালব্যর বক্তব্য (BJP)

    সোমবার এক্স হ্যান্ডেলে অমিত লেখেন, “জইব কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন পাঠ্যক্রমের এন্ট্রান্স পরীক্ষায় খুবই হতাশাজনক ব়্যাঙ্ক করার পরেও কীভাবে ভর্তি হতে পারেন? কিউলেট ইউজি ২০২৪ (এন্ট্রান্স পরীক্ষা) সালের পরীক্ষায় মেধাতালিকায় জইবের স্থান ছিল ২৬৩৪। তার পরেও কোন জাদুবলে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত-স্বীকৃত সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজে ভর্তি হতে পারেন? তাঁর ভর্তি হওয়ায় অনেক মেধাবী ও আইন পড়ায় আগ্রহী ছাত্রদের ভর্তি হওয়া আটকে গিয়েছে। অনেক ভালো ব়্যাঙ্ক করা সত্ত্বেও কী কারণে বঞ্চিত হয়েছেন তাঁরা?”

    মালব্যর প্রশ্ন

    মালব্যর প্রশ্ন, “জইব আহমেদকে কে এই নামজাদা আইন কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন? কে তাঁকে আড়াল করে চলেছেন, আমরা এখনই তাঁদের নাম জানতে চাই।” অমিত আরও নির্দিষ্ট করে আক্রমণ শানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত রাজ্য সরকারকে। তাঁর কথায়, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলায় স্বাগত – যেখানে আইনের শাসনকে নিয়ে প্রহসন করা হয়। এখানে (BJP) রাজনৈতিক যোগ থাকলেই অপরাধীদের রক্ষাকবচ দেওয়া হয়। সুপরিকল্পিতভাবে সরকারি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করা হয়। ক্রিমিনালকে সুরক্ষা দেওয়া হচ্ছে রাজনৈতিক কানেকশনের ওপর ভিত্তি করে।”

    প্রসঙ্গত, কসবা গণধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র এবং প্রমিত মুখোপাধ্যায়ের পাশাপাশি গ্রেফতার করা হয়েছে জইব আহমেদকেও। তপসিয়ার বাসিন্দা জইব বর্তমানে ক্যালকাটা ল’ কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র। বয়স কুড়ির কাছাকাছি। দুই শাগরেদের কাছে মনোজিতের নির্দেশ ছিল, সব ভিডিও উড়িয়ে দে। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি। ইতিমধ্যেই পুলিশের হাতে চলে এসেছে ওই কলেজের সাড়ে সাত ঘণ্টার সিসিটিভি ফুটেজ। তাতে দেখা গিয়েছে, রাতে আতঙ্কিত অবস্থায় গেটের কাছে আসছেন নির্যাতিতা। গেটে তালা দেওয়া দেখে তিনি অসহায় হয়ে পড়েছেন। তখন দুই অভিযুক্ত তাঁকে টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছে গার্ডরুমের দিকে। সেখানেই ঘটে ভয়ঙ্কর এই ঘটনা। এ সংক্রান্ত বেশ কিছু আপত্তিকর ভিডিও উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা (BJP)। অভিযোগ (Kasba Gangrape), মনোজিতের নির্দেশে ওই ভিডিওগুলি তুলেছিল জইব ও প্রমিত।

  • Bangladesh Crisis: কুমিল্লায় হিন্দু বধূকে ধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল বাংলাদেশ

    Bangladesh Crisis: কুমিল্লায় হিন্দু বধূকে ধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল বাংলাদেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুমিল্লায় হিন্দু বধূকে ধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis)। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত স্থানীয় বিএনপি নেতা ফজর আলির গ্রেফতারির দাবিতে প্রতিবাদে ফেটে পড়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Dhaka University) পড়ুয়ারা। ঢাকা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে পড়ুয়াদের বিক্ষোভের জেরে উত্তাল বাংলাদেশের রাজধানী। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সরাসরি পদক্ষেপের দাবিতে সরব হয়েছেন প্রতিবাদীরা। ঘটনার প্রতিবাদে রবিরার রাতে মশাল হাতে মিছিল করেন তাঁরা।

    দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক সাজার দাবি (Bangladesh Crisis)

    মিছিল থেকে ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা দেওয়ার আওয়াজ ওঠে। মিছিল শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে। শাহবাগ প্রদক্ষিণ করে মিছিল শেষ হয় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে গিয়ে। কেন্দ্রীয় ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি সলমান সিদ্দিকি বলেন, “বিগত আওয়ামি লিগের আমলে তনু, খাদিজা-সহ অসংখ্যা নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। কিন্তু তাঁদের বিচার হয়নি। আমরা আশা করেছিলাম, ৫ অগাস্ট-পরবর্তী বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার নারীদের সেই নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। কিন্তু এই সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পরেও দেখলাম নারীরা ঘরে-বাইরে কোথাও নিরাপদ নন।” ইউনূস সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “এই সরকারের আমলেও আছিয়া, লামিয়া এবং কুমিল্লার মুরাদনগরের ঘটনা-সহ অসংখ্য ঘটনা ঘটেছে।” সিদ্দিকি বলেন, “এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।”

    ধর্ষণে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা

    প্রসঙ্গত, কুমিল্লার রামচন্দ্রপুর পচকিট্টা গ্রামের বাসিন্দা তথা স্থানীয় বিএনপি নেতা ফজর আলির বিরুদ্ধে অভিযোগ সে এক হিন্দু তরুণী বধূকে বাড়িতে ঢুকে গলায় ছুরি ধরে ধর্ষণ করে। দুই সন্তানের মা ওই বধূর চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে ফজরকে ধরে ফেলে। যদিও পরে সুযোগ বুঝে পালিয়ে যায় সে। পরে সায়েদাবাদ এলাকা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে (Bangladesh Crisis)। এই ঘটনার পর কুমিল্লার মুরাদনগর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ফজর-সহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এদের মধ্যে তিনজন ঘটনার ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও বাংলাদেশের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও (Dhaka University) এই ঘটনার প্রতিবাদে ছড়িয়ে পড়েছে ক্ষোভের আগুন। ঘটনায় মুখ খুলেছে ভারত সরকারও (Bangladesh Crisis)।

  • NRI: আমেরিকার প্রবাসী ভারতীয়দের জন্য সুখবর, রেমিট্যান্স ট্যাক্স কমে হল ১ শতাংশ, কতটা লাভ হল ভারতের?

    NRI: আমেরিকার প্রবাসী ভারতীয়দের জন্য সুখবর, রেমিট্যান্স ট্যাক্স কমে হল ১ শতাংশ, কতটা লাভ হল ভারতের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রবাসী ভারতীয়দের (NRI) জন্য সুখবর শোনাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন। সে দেশের সেনেট ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল অ্যাক্ট’-এ একটি গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছে। এই সংশোধনের ফলে রেমিট্যান্স (প্রবাসীরা যে অর্থ নিজের দেশে পাঠান)-এর (Remittance Tax) ওপর কর ৩.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে করা হয়েছে মাত্র ১ শতাংশ। এই সুখবর শোনা গেল এমন একটা সময়, যখন বিশ্বজুড়ে প্রবাসী ভারতীয়রা ব্যাপক উদ্বেগে ছিলেন। তাঁদের আশঙ্কা ছিল, আন্তর্জাতিক অর্থ পাঠানোয় ভারী আর্থিক বোঝা চাপবে।

    ব্যাপক উদ্বেগ (NRI)

    জানা গিয়েছে, প্রথমে বিলটিতে ৫ শতাংশ কর প্রস্তাব করা হয়েছিল। হাউস সংস্করণে এটাই কমিয়ে করা হয়েছিল ৩.৫ শতাংশ। এই হারও ব্যাপক উদ্বেগ সৃষ্টি করে। কারণ প্রবাসী ভারতীয়রা ফি বছর ভারতে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাঠান। রিজার্ভ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকেই ভারতের মোট রেমিট্যান্সের ২৭.৭ শতাংশ এসেছে। টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ প্রায় ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সংশোধিত সংস্করণ অনুযায়ী, এখন থেকে আমেরিকাভিত্তিক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে স্থানান্তর এবং সে দেশে ইস্যু করা ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে করা লেনদেনগুলি রেমিট্যান্স কর থেকে ছাড় পাবে। এই পরিবর্তন প্রবাসী ভারতীয়দের পক্ষ থেকে স্বাভাবিক পারিবারিক ও ব্যক্তিগত রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও সুরক্ষা দেবে।

     যোগ্য রেমিট্যান্সের ওপর প্রযোজ্য

    এই কর কেবলমাত্র (NRI) ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫-এর পরে করা যোগ্য রেমিট্যান্সের ওপর প্রযোজ্য হবে। ফলে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলির প্রস্তুতির জন্য হাতে যথেষ্ট সময় থাকবে। এই এক্সসাইজ করটি কেবল যাঁরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক নন, তাঁদের জন্য প্রযোজ্য হবে। এর মধ্যে রয়েছে উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন কর্মী, ছাত্রছাত্রী এবং গ্রিন কার্ডধারীরাও। ট্রাম্প প্রশাসনের এহেন সিদ্ধান্তের ফলে বহু ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন বাসিন্দার আর্থিক সিদ্ধান্তে প্রভাব পড়তে পারে (Remittance Tax)।যদিও ১ শতাংশ করের হারটি সাধারণ মনে হতে পারে, তবে এর প্রভাব যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। এটি এখনও উচ্চমূল্যের লেনদেনগুলিকে প্রভাবিত করতে পারে, যেমন এনআরই অ্যাকাউন্টে জমা, সম্পত্তি বিনিয়োগ এবং কর্পোরেট পুনর্বাসন কর্মসূচি ইত্যাদি। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা-পরবর্তী আয়ও যদি করমুক্ত পদ্ধতির মাধ্যমে স্থানান্তর না করা হয়, তবে এটি এই করের আওতায় পড়তে পারে।

    স্বল্পমেয়াদে স্বস্তি

    যদিও কমিয়ে দেওয়া করহার স্বল্পমেয়াদে স্বস্তি এনে দেয়, তবে অনেক এনআরআই এখন আরও স্পষ্ট নির্দেশনা ও সম্ভাব্য বৃহত্তর কর-ছাড়ের দাবি জানাচ্ছেন, বিশেষ করে পরিবারের জন্য পাঠানো প্রয়োজনীয় অর্থ দেওয়ার ক্ষেত্রে। আইনটির কার্যকর রূপ চূড়ান্ত হলে এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মতো দেশের মধ্যে ভবিষ্যতের আর্থিক লেনদেনের গতিপথ নির্ধারণ করবে। এদিকে, প্রবাসী ভারতীয়রা গত অর্থবর্ষে দেশে ১৩৫.৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাঠিয়েছেন, যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রেকর্ড। রিজার্ভ ব্যাংকের প্রকাশিত সাম্প্রতিক পেমেন্ট ব্যালেন্স ডেটা অনুযায়ী, প্রবাসী ভারতীয়দের পাঠানো ‘ব্যক্তিগত হস্তান্তর’ এর মাধ্যমে মোট প্রাপ্ত অর্থ আগের বছরের তুলনায় ১৪ শতাংশ বেশি (NRI)।

    প্রবাসী রেমিটেন্সের সবচেয়ে বড় প্রাপক ভারত

    ভারত গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে প্রবাসী রেমিটেন্সের সবচেয়ে বড় প্রাপক দেশ। ২০১৬-১৭ সালে যেখানে এই অঙ্ক ছিল ৬১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, সেখানে আট বছরের মধ্যে তা হয়েছে দ্বিগুণেরও বেশি (Remittance Tax)। রিজার্ভ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ৩১ মার্চ শেষ হওয়া অর্থবর্ষে মোট কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ইনফ্লোর ১ ট্রিলিয়ন ডলারের মধ্যে রেমিটেন্সের অংশ ছিল ১০ শতাংশেরও বেশি। আইডিএফসি ফার্স্ট ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ গৌরী সেনগুপ্ত বলেন, “ক্রুড অয়েলের দাম কম থাকা সত্ত্বেও রেমিটেন্সের জোরালো প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।” তিনি বলেন, “এর কারণ হল দক্ষ শ্রমশক্তির একটি ক্রমবর্ধমান অংশ উন্নত দেশ যেমন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং সিঙ্গাপুরে অভিবাসন করছে। আরবিআইয়ের তথ্য অনুযায়ী, এই তিনটি দেশ থেকে মোট রেমিটেন্সের প্রায় ৪৫ শতাংশ আসে,” তিনি বলেন, “তবে জিসিসি (GCC) দেশগুলির অংশ ক্রমেই কমে আসছে (NRI)।”

    প্রবাসী আয়ের ওপর প্রভাব

    তেলের দাম প্রায়ই গাল্ফ কো-অপারেশন কাউন্সিলের (GCC) দেশগুলির কাছ থেকে প্রবাসী আয়ের ওপর প্রভাব ফেলে। ভারতের শীর্ষ ব্যাঙ্কের একটি গবেষণাপত্র থেকে জানা গিয়েছে. ভারত এখনও ২০০ মার্কিন ডলার পাঠানোর জন্য বিশ্বের অন্যতম স্বল্প-ব্যয়বহুল দেশ হিসেবে রয়ে গিয়েছে। কারেন্ট অ্যাকাউন্টের অন্যান্য প্রধান উৎসগুলির মধ্যে রয়েছে সফটওয়্যার পরিষেবা আয় এবং ব্যবসায়িক পরিষেবা আয়। প্রতিটিই গত অর্থবর্ষে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সীমা অতিক্রম করেছে (Remittance Tax)। এই তিনটি উৎস (প্রবাসী আয়, সফটওয়্যার পরিষেবা ও ব্যবসায়িক পরিষেবা) মিলে মোট কারেন্ট অ্যাকাউন্টের আয়ের ৪০ শতাংশের বেশি অংশ জোগান দিয়েছে (NRI)।

  • India Secures Colombo Dockyard: শ্রীলঙ্কার বন্দর হস্তগত ভারতের, এবার ড্রাগনের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলবে হাতি!

    India Secures Colombo Dockyard: শ্রীলঙ্কার বন্দর হস্তগত ভারতের, এবার ড্রাগনের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলবে হাতি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শি জিনপিংয়ের নেতৃত্বাধীন চিনের আধিপত্য বিস্তারের স্বপ্নে জল ঢেলে দিল নরেন্দ্র মোদির ভারত! শ্রীলঙ্কার বৃহত্তম জাহাজ কারখানা কলম্বো ডকইয়ার্ড (India Secures Colombo Dockyard) পিএলসি-র ৫১ শতাংশ শেয়ার কিনে নিতে চলেছে নয়াদিল্লি। এজন্য খরচ হবে ৪৫৫ কোটি টাকা। ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিরক্ষা জাহাজ নির্মাতা সংস্থা মাঝগাঁও ডক শিপবিল্ডার্স লিমিটেড এটি অধিগ্রহণ করেছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এটি ভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূ-রাজনৈতিক ও কৌশলগত অগ্রগতির অংশ। শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা (Hambantota) বন্দর লিজ নিয়েছিল চিন। এবার তার পাশেই কলম্বো ডকইয়ার্ড পিএলসি-র ৫১ শতাংশ শেয়ার কিনে নিয়ে ড্রাগনকে টক্কর দিল হাতি। এর ফলে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে প্রভাব বিস্তারের প্রতিযোগিতায় বেজিং একটি বড় ধাক্কা খেল বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    কলম্বো ডকইয়ার্ড (India Secures Colombo Dockyard)

    কলম্বো ডকইয়ার্ডটি কলম্বো বন্দরের পাশেই। বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত আন্তর্জাতিক শিপিং রুট থেকে মাত্রই ১০ নটিক্যাল মাইল দূরে। এই শেয়ারগুলি জাপানি সংস্থা অনোমিচি ডক ইয়ার্ড থেকে কেনা হচ্ছে। কারণ জাপান থেকে আর্থিক সাহায্য না পাওয়ায় ভারতের সাহায্য চায় শ্রীলঙ্কা। কলম্বোর এই ডক ইয়ার্ড অধিগ্রহণ মাঝগাঁও ডক শিপবিল্ডার্স লিমিটেডের প্রথম বিদেশি বিনিয়োগ এবং এর মাধ্যমে কলম্বো ডক ইয়ার্ড এখন মুম্বইভিত্তিক এই রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের একটি সহায়ক সংস্থায় রূপান্তরিত হচ্ছে। মাস ছয়েকের মধ্যে এই লেনদেন সম্পন্ন হওয়ার কথা। এটি ভারতকে এনে দেবে একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত ও বাণিজ্যিক সুবিধা। এটি এমন একটি অঞ্চল যেখান দিয়ে বিশ্ব বাণিজ্যের এক তৃতীয়াংশ ও চিনের তেল আমদানির ৮০ শতাংশ পরিবাহিত হয়।

    মিলবে একাধিক সুবিধা

    বিশেষজ্ঞদের মতে, এই চুক্তিটি শুধুমাত্র চিন-পরিচালিত হাম্বানটোটা বন্দরের কাছাকাছি ভারতের উপস্থিতি নিশ্চিত করে না, বরং মাঝগাঁও ডকের কার্যকলাপের পরিসরও বিস্তৃত করে (India Secures Colombo Dockyard)। এই অধিগ্রহণের অংশ হিসেবে মাঝগাঁও ডক হাম্বানটোটা আন্তর্জাতিক বন্দরে (যেটি চায়না মার্চেন্টস পোর্টস গ্রুপ পরিচালনা করে) কলম্বো ডকইয়ার্ড কর্তৃক নির্মিত একটি পূর্ণাঙ্গ টেকনোলজিক্যাল ওয়ার্কশপে প্রবেশাধিকার পাবে। এই ওয়ার্কশপটি সমুদ্রপথে থাকা জাহাজগুলোর জন্য দ্রুত ও দক্ষ মেরামত পরিষেবা সরবরাহ নিশ্চিত করবে, যার ফলে বৈশ্বিক সমুদ্র পথ ব্যবহারকারীদের দক্ষতা ও অর্থনৈতিক সুবিধা বৃদ্ধি পাবে।

    অর্ধ শতাব্দী পুরানো

    কলম্বো ডকইয়ার্ড ৫০ বছরেরও বেশি পুরানো। এই ডকইয়ার্ড ভারত, জাপান, নরওয়ে, ফ্রান্স, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং আফ্রিকার কয়েকটি দেশের কাছে বিভিন্ন ধরণের ট্যাংকার ও টহলদারি নৌকা তৈরি ও রফতানি করেছে। চারটি ড্রাইডক এবং ২৫০০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের বর্তমান অর্ডার বুক-সহ এই শিপইয়ার্ডটি মাঝাগাঁও ডকের নেতৃত্বে দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান জাহাজ নির্মাণ ও মেরামত কেন্দ্র হয়ে উঠতে চলেছে (Hambantota)।

    ভারতের কৌশলগত পদক্ষেপ

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অধিগ্রহণ ভারত সরকারের বৃহত্তর ইন্দো-প্যাসিফিক মহাসাগরীয় উদ্যোগের একটি কৌশলগত পদক্ষেপ, যার লক্ষ্য হল আঞ্চলিক অংশীদারিত্ব ও পরিকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে চিনা প্রভাবের পাল্টা ভারসাম্য গড়ে তোলা (India Secures Colombo Dockyard)। এটি এই অঞ্চলে ভারতের অন্যান্য বিনিয়োগের পরিপূরক, বিশেষ করে কলম্বো বন্দরের একটি টার্মিনালে আদানি পোর্টসের অংশীদারিত্ব, যা ভারত মহাসাগরে ভারতের উপস্থিতিকে শক্তিশালী করে তুলছে।

    ভারত মহাসাগরে ভারতের কর্তৃত্ব

    কৌশলগতভাবে কলম্বো ডকইয়ার্ডের অবস্থান ভারতীয় নৌবাহিনীর রসদ ও সরবরাহ চেইনের জন্য অত্যন্ত মূল্যবান। এটি জাহাজ এবং নৌবহর সহায়ক জাহাজের মতো উন্নত নৌযান নির্মাণে সক্ষম হওয়ায়, ভারতের সামুদ্রিক ক্ষমতা সমগ্র ভারত মহাসাগরে আরও প্রসারিত হচ্ছে। যখন কলম্বো ডকইয়ার্ড একটি ভারত-নিয়ন্ত্রিত সংস্থা হিসেবে শ্রীলঙ্কার স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হবে, তখন নয়াদিল্লি কেবলমাত্র একটি গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক সম্পদই সুরক্ষিত করবে না, ভারত মহাসাগর অঞ্চলে চিনের আধিপত্যকেও চ্যালেঞ্জ করবে (India Secures Colombo Dockyard)।

    হাম্বানটোটা বন্দর

    প্রসঙ্গত, হাম্বানটোটা (Hambantota) আন্তর্জাতিক সমুদ্রবন্দর। কলম্বোর পরে এটিই ভারত মহাসাগর দিয়ে ঘেরা দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় বৃহত্তম বন্দর। বন্দরটি চালু হয়েছিল ২০১০ সালে। এই বন্দরের আন্তর্জাতিক গুরুত্ব নিয়ে তখন জোর চর্চা শুরু হয়েছিল। কারণ বন্দরটি ৯৯ বছরের জন্য লিজ নিয়েছে চিন। মলাক্কা প্রণালী ও সুয়েজ খাল সংযোগকারী সমুদ্রপথের ওপর অবস্থিত শ্রীলঙ্কা। ফি বছর এই সাগরপথ ব্যবহার করে প্রায় ৩৬ হাজার জাহাজ এবং সাড়ে চার হাজার তেলের ট্যাঙ্কার। তাই এশিয়া এবং ইউরোপের বাণিজ্যের ক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কার গুরুত্ব অপরিসীম।

    তবে হাম্বানটোটা বন্দরটি লাভজনক না হওয়ায় শ্রীলঙ্কার রনিল বিক্রমসিংহের সরকার দেশের অর্থনৈতিক ভান্ডারে বৈদেশিক মুদ্রা বৃদ্ধি করার তাগিদে এই বন্দরটি বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্ত নেয়। চিনের একটি সংস্থাকে ১১২ কোটি মার্কিন ডলারের বিনিময়ে ৯৯ বছরের জন্য লিজ দেওয়া হয় (Hambantota)। কলম্বো ডক ইয়ার্ডের রাশ হাতে নিয়ে এবার চিনের ঘাড়েই নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করল নরেন্দ্র মোদির ভারত (India Secures Colombo Dockyard)।

LinkedIn
Share