Author: pranabjyoti

  • UN: চলতি বছরে ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ছাপিয়ে যাবে আমেরিকা, চিন, ইউরোপকেও! বলছে রাষ্ট্রসংঘ

    UN: চলতি বছরে ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ছাপিয়ে যাবে আমেরিকা, চিন, ইউরোপকেও! বলছে রাষ্ট্রসংঘ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি জমানায় অশ্বমেধের ঘোড়ার মতো ছুটে চলেছে ভারতীয় অর্থনীতির (India) চাকা! বিশ্ব অর্থনীতির নড়বড়ে অবস্থা। অথচ ভারতের অর্থনীতি সম্পর্কে আশার বাণী শুনিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ (UN)। জানিয়ে দিয়েছে, ভারত চলতি বছরেও বিশ্বের দ্রুততম বৃদ্ধির প্রধান অর্থনীতি হিসেবে নিজের জায়গা ধরে রাখতে সক্ষম হবে। রাষ্ট্রসংঘের আশা, চলতি অর্থবর্ষে ভারতের বৃদ্ধির হার হবে ৬.৩ শতাংশ।

    কী বলছে রাষ্ট্রসংঘ? (UN)

    রাষ্ট্রসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়ক বিভাগের গ্লোবাল ইকোনমিক মনিটরিং শাখা, অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ এবং নীতি বিভাগের সিনিয়র অর্থনৈতিক বিষয়ক কর্তা ইঙ্গো পিটারলে সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “ভারত দ্রুত বর্ধনশীল বৃহৎ অর্থনীতির একটি। এটি শক্তিশালী বেসরকারি খরচ ও সরকারি বিনিয়োগের দ্বারা পরিচালিত।” যদিও ২০২৫ সালে প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৬.৩ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্ব অর্থনীতি একটি অনিশ্চিত সন্ধিক্ষণে রয়েছে, যার লক্ষণ ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য উত্তেজনা এবং ক্রমবর্ধমান নীতিগত অনিশ্চয়তা। সাম্প্রতিক শুল্ক বৃদ্ধি – কার্যকর মার্কিন শুল্ক হারকে তীব্রভাবে বাড়িয়েছে – উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি, বিশ্বব্যাপী সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যাহত এবং আর্থিক অস্থিরতা বৃদ্ধির হুমকি দিচ্ছে।

    বৃদ্ধির অনুমান

    চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে বৃদ্ধির অনুমান ৬.৬ শতাংশ থেকে সামান্য সংশোধিত হলেও, ভারত এখনও অন্যান্য বৃহৎ অর্থনীতির তুলনায় এগিয়ে রয়েছে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ। পরের বছর ভারতের অর্থনীতি ৬.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। যদিও এটি আগের প্রত্যাশার চেয়ে সামান্য কম। প্রসঙ্গত, ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য উত্তেজনা এবং নীতিগত অনিশ্চয়তার দিকে ইঙ্গিত করে রাষ্ট্রসংঘ (UN) বলেছে, বিশ্ব অর্থনীতি একটি অনিশ্চিত মুহূর্তে রয়েছে। অনেক দেশ এখন আগের অনুমানের চেয়ে ধীর গতিতে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    বিশ্বের অন্যান্য বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের সঙ্গে তুলনা করলে ভারতের পরিসংখ্যান চিত্তাকর্ষক বলেই মনে হচ্ছে। যেখানে আমেরিকার প্রবৃদ্ধি ১.৬ শতাংশ, চিনের প্রবৃদ্ধি ৪.৬ শতাংশ, জাপানের প্রবৃদ্ধি ০.৭ শতাংশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন মাত্র ১ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে, সেখানে ভারত এদের চেয়ে (India) এগিয়ে রয়েছে ঢের বেশি। জার্মানির প্রবৃদ্ধি -০.১ শতাংশ দেখা যেতে পারে বলেও অনুমান রাষ্ট্রসংঘের (UN)।

  • Operation Sindoor: অপারেশন সিঁদুরে ভারত ঘোল খাইয়ে ছেড়েছিল পাকিস্তানকে, কীভাবে জানেন?

    Operation Sindoor: অপারেশন সিঁদুরে ভারত ঘোল খাইয়ে ছেড়েছিল পাকিস্তানকে, কীভাবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরে (Operation Sindoor) পাকিস্তান যে নাস্তানাবুদ হয়েছিল, সংবাদ মাধ্যমের দৌলতে তা জানে তামাম বিশ্ব। তবে সেই অপারেশন নিখুঁত করতে গিয়ে ভারত ঘোল খাইয়ে ছেড়েছিল পাকিস্তানকে (Pakistan)। ভারতের পাঠানো পাইলটবিহীন ছদ্ম বিমানের মোকাবিলা করতে যখন ব্যস্ত পাক সেনা, সেই সময়ই নির্ভুল লক্ষ্যে আঘাত হানে ভারত। ৯ মে রাতে ও ১০ মে ভোরে একের পর এক পাক বিমানঘাঁটিতে হামলা চালায় ভারত। যার জেরে দেশে যুদ্ধবিমান মজুত থাকলেও, সেগুলি ওড়ানোর ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছিল ইসলামাবাদ। কারণ, রানওয়েতে বিশাল গর্ত। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, তার পরেই একপ্রকার বাধ্য হয়েই পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেয় ভারতকে। বিশ্বকে শান্তির ললিত বাণী শোনায় যে ভারত, সেই ভারতই সাড়া দেয় পাকিস্তানের প্রস্তাবে। তারই ফসল এই সংঘর্ষ বিরতি। বিভিন্ন সূত্র মারফত এমন খবর পেয়েছে সংবাদ মাধ্যম। ঠিক কী ঘটেছিল সেই রাতে, কীভাবেই বা সাজানো হয়েছিল পাক বধের ঘুঁটি, কীভাবে পাকিস্তানকে কার্যত লেজেগোবরে করে ছেড়েছিল নরেন্দ্র মোদির ভারত?

    ডামি যুদ্ধবিমান (Operation Sindoor)

    প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে খবর, পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে বিভ্রান্ত করতে ডামি যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছিল ভারতীয় সেনা। পাইলটবিহীন এই যুদ্ধবিমানগুলি যে আদতে খেলনা বিমানের মতো, তা বুঝতে পারেনি পাক সেনা (Operation Sindoor)। ভারতীয় যুদ্ধ বিমানকে আঘাত করতে সক্রিয় হয় তারা। তখনই ভারতীয় সেনা জেনে যায় পাকিস্তানের লুকিয়ে রাখা রেডারের অবস্থান। এর পরেই পরবর্তী পদক্ষেপ করে ভারত। তার জেরই সফল হয় অপারেশন সিঁদুর। ‘লক্ষ্য’ ও ‘বানশি’ নামে পরিচিত এই ডামি ইউএভিগুলি রাফাল, সুখোই-৩০, মিগ-২৯ এবং জাগুয়ারের মতো ভারতীয় বায়ুসেনার যুদ্ধবিমানগুলিকে অনুকরণ করতে পারে।

    পাকিস্তানি বায়ুসেনাকে খোঁড়া করে দেওয়া

    ভারত প্রথম থেকেই ঠিক করেছিল পাকিস্তানের বিমানঘাঁটিগুলিতে হামলা চালানো হবে আকাশ পথে (Pakistan)। উদ্দেশ্য, পাকিস্তানি বায়ুসেনাকে খোঁড়া করে দেওয়া। ভারতের হামলার মোকাবিলা করতে পাকিস্তান তাদের মেড ইন চায়না, এইচকিউ-৯ এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেমের লঞ্চার ও রাডারগুলি দেশের বিভিন্ন স্থানে মোতায়েন করে। কয়েকটির অবস্থান ভারত আগে থেকেই জেনে গিয়েছিল। কিন্তু নতুন কয়েকটি জায়গায়ও মোতায়েন করা হয়েছিল লঞ্চার ও রাডারগুলি। ভারত ডামি যুদ্ধ বিমান পাঠাতেই সক্রিয় হয়ে ওঠে পাকিস্তানের রাডার এবং লঞ্চার। সক্রিয় হয় এয়ার ডিফেন্স নেটওয়ার্কও। এইচকিউ-৯-ও সক্রিয় হয় (Operation Sindoor)।

    বেআব্রু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা

    ব্যস, খেল খতম! পাকিস্তানের কোথায় কোথায় রাডার এবং লঞ্চার রাখা হয়েছে, তা জেনে যায় ভারত। তারপর করা হয় পদক্ষেপ। এর পরেই পাকিস্তানের এয়ার ডিফেন্স রাডার, কমান্ড এবং কন্ট্রোল সিস্টেমগুলিকে লক্ষ্য করে ইজরায়েলে তৈরি হারোপ-সহ একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে শুরু করে ভারতীয় বাহিনী (Pakistan)। দূরপাল্লার একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে পাকিস্তানের বিমানঘাঁটিগুলিতে হামলা চালিয়েছিল ভারতীয় বায়ুসেনা। এর মধ্যেই ছিল ব্রহ্মোস এবং স্ক্যাল্প ক্ষেপণাস্ত্রও। এই হামলায় প্রায় ১৫টি ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র এবং স্ক্যাল্প, রাম্পেজ এবং ক্রিস্টাল মেজ ক্ষেপণাস্ত্রও নিক্ষেপ করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, এই প্রথম ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র কোনও সংঘাতে ব্যবহার করা হল। সমর বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের পাঠানো ডামি যুদ্ধবিমানের টোপ গেলাই কাল হয়েছিল পাকিস্তানের। ভারতের পাতা ফাঁদে পা দিতেই এ দেশের সেনার কাছে ধরা পড়ে যায় তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সঠিক অবস্থান। তার পরেই নির্ভুল লক্ষ্যে আঘাত করে ভারতীয় সেনা (Operation Sindoor)।

    পাক সেনাকে ঘোল খাইয়ে ছাড়ল ভারত

    পাক সেনাকে ঘোল খাইয়ে ছাড়ার পাশাপাশি পাকিস্তানের ছোড়া ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র নষ্ট করে দেয় ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ‘আকাশতির’। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই প্রাচীরই রুখে দিয়েছিল পাকিস্তানের হামলা। গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা বেছে বেছে হত্যা করে ২৭জন হিন্দু পর্যটককে। ঘটনার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয় নিষিদ্ধ সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন। পরে অবশ্য তারা অস্বীকার করে হামলার দায় (Pakistan)।

    এর পরেই পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করতে কোমর বাঁধে ভারতীয় সেনা। এই লক্ষ্যে ৭ মে অপারেশন সিঁদুর শুরু করে ভারত। ৯-১০ মে রাতে ভারতের হানায় পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি বায়ুসেনাঘাঁটিও আক্রান্ত হয়। বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, পাকিস্তানের ১২টি গুরুত্বপূর্ণ বায়ুসেনাঘাঁটির মধ্যে ১১টি আক্রান্ত হয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, “ওই অভিযানে (Pakistan) ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল সেনা। তাতে রাতের অন্ধকারে দিন দেখেছে পাকিস্তান (Operation Sindoor)।”

  • Operation Sindoor: “পাকিস্তানের যে কোনও জায়গায় আক্রমণ করতে পারে ভারত”, দাবি প্রাক্তন মার্কিন সেনাকর্তার

    Operation Sindoor: “পাকিস্তানের যে কোনও জায়গায় আক্রমণ করতে পারে ভারত”, দাবি প্রাক্তন মার্কিন সেনাকর্তার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারত আক্রমণাত্মক ও প্রতিরক্ষামূলক উভয় ক্ষেত্রেই শ্রেষ্ঠত্ব দেখিয়েছে। এর মাধ্যমে এই বার্তা দেওয়া হয়েছে যে, পাকিস্তানের যে কোনও জায়গায়, যে কোনও সময় আক্রমণ করতে পারে ভারত।” অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) প্রেক্ষিতে কথাগুলি বললেন মার্কিন সেনার প্রাক্তন রণকৌশলবিদ (US Army Warfare Expert)।

    অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor)

    পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করতে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। পড়শি দেশের বেশ কয়েকটি জঙ্গিঘাঁটিকে দুরমুশ করে দিয়েছে ভারত। নয়াদিল্লির এই অপারেশন উচ্চ প্রশংসিত হয়েছে তামাম বিশ্বে। এই অভিযানের মাধ্যমে ভারত কেবল পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটিই ধ্বংস করেনি, পাকিস্তানি বায়ুসেনার প্রায় এক ডজন বিমানঘাঁটিও ধ্বংস করেছে। তার পরেই অপারেশন সিঁদুরের প্রশংসায় পঞ্চমুখ যুদ্ধবিশারদরা।

    মার্কিন সমর বিশেষজ্ঞের বক্তব্য

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মার্কিন সমর বিশেষজ্ঞ অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল জন স্পেন্সার বলেন, “যে চিনা বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করে পাকিস্তান, তা ভারতের ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দাঁড়াতেই পারবে না।” স্পেন্সার বলেন, “পাকিস্তানের গভীরে আক্রমণের বিরুদ্ধে ভারত সফলভাবে আত্মরক্ষা করতে সক্ষম হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে পাকিস্তানি ড্রোন আক্রমণ এবং উচ্চ গতির ক্ষেপণাস্ত্র।”

    স্পেন্সার বর্তমানে মডার্ন ওয়ারফেয়ার ইনস্টিটিউটের আরবান ওয়ারফেয়ার স্টাডিজের চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, “পাকিস্তানের ব্যবহৃত চিনা বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করার জন্য ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের ক্ষমতা ভারতের উন্নত সামরিক সক্ষমতার (Operation Sindoor) প্রমাণ। চিনা বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং ক্ষেপণাস্ত্রগুলি ভারতের তুলনায় দুর্বল। ভারতের ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র চিনা ও পাকিস্তানি উভয় বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করতে সক্ষম হয়েছিল।” এর পরেই তিনি বলেন, “ভারতের বার্তা স্পষ্ট ছিল। এটি যে কোনও সময় পাকিস্তানের যে কোনও জায়গায় আঘাত হানতে পারে।”

    প্রসঙ্গত, ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর সব চেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র। এটি ভূপৃষ্ঠের যে কোনও জায়গা থেকে এবং সমুদ্রের সাবমেরিন থেকে, আকাশে যুদ্ধবিমান থেকে এবং স্থলে লঞ্চার থেকে নিক্ষেপ করা যেতে পারে (US Army Warfare Expert)। এটিই বিশ্বের একমাত্র ক্ষেপণাস্ত্র যা চারটি উৎক্ষেপণ প্ল্যাটফর্ম থেকে নিক্ষেপ করার ক্ষমতা রাখে (Operation Sindoor)।

  • NDA: অসমের পঞ্চায়েত নির্বাচনে খড়কুটোর মতো ভেসে গেলেন বিরোধীরা

    NDA: অসমের পঞ্চায়েত নির্বাচনে খড়কুটোর মতো ভেসে গেলেন বিরোধীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসমের পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Polls) খড়কুটোর মতো ভেসে গেলেন বিরোধীরা। বিপুল জয় পেল বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ (NDA)। বছর ঘুরলেই অসম বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে রাজ্যের শাসক দল যে বাড়তি অক্সিজেন পেল, তা বলাই বাহুল্য।

    জেলা পরিষদে বিপুল জয় (NDA)

    অসমে জেলা পরিষদের আসন রয়েছে ৩৭৬টি। তার মধ্যে ৩০০টিতেই জয়ী হয়েছেন এনডিএ প্রার্থীরা। শতাংশের বিচারে এনডিএ পেয়েছে ৭৬ শতাংশেরও বেশি ভোট। পঞ্চায়েতেও জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রেখেছে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার দল এবং তাদের সহযোগীরা। রাজ্যে পঞ্চায়েতের আসন সংখ্যা ২ হাজার ১৯২টি। তার মধ্যে এনডিএ পেয়েছে ১ হাজার ৪৩৬টি আসন। শতাংশের বিচারে ভোটের হার ৬৬।

    কী বললেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যাপক জয় পাওয়ায় উচ্ছ্বসিত অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনি বলেন, “এই ফল বিজেপি ও আমাদের এনডিএ অংশীদারদের ওপর জনগণের আস্থার প্রতিফলন ঘটায়। তারা আমাদের ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য আরও কঠোর পরিশ্রম করতে প্রাণিত করেছে। ওই নির্বাচনে আমরা কমপক্ষে ৯৫টি আসন জিততে পারি।” অসম বিধানসভার আসন সংখ্যা ১২৬। গত বিধানসভা নির্বাচনে এনডিএ জিতেছিল ৭৫টি আসনে। উপনির্বাচনের পর এনডিএর আসন বেড়ে হয়েছে ৮৪টি।

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিপুল জয়ের পর হিমন্ত বলেন, “অসম বিধানসভায় এনডিএর আসন সংখ্যা ছুঁতে পারে ১০৪-এর কোঠা।” বিপুল ভোটে জয়ের জন্য মুখ্যমন্ত্রী ধন্যবাদ জানান বিজেপি নেতা জেপি নাড্ডা, অমিত শাহ এবং বিএল সন্তোষকেও।

    অসমের বিজেপির সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ শইকিয়া বলেন, “গ্রামীণ উন্নয়নের প্রতি এনডিএ (NDA) সরকারের প্রতিশ্রুতি আমাদের জেলা পরিষদ এবং আঞ্চলিক পরিষদের ৮০ শতাংশেরও বেশি আসন নিশ্চিত করতে সাহায্য করেছে।” তিনি বলেন, “ঐতিহাসিক এবং নির্ণায়ক এই জয় দেখায় যে মানুষ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার নেতৃত্বে অগ্রগতি ত্বরান্বিত করতে ভোট দিয়েছেন।”

    প্রসঙ্গত, অসমে মোট গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য রয়েছেন ২১ হাজার ৯২০ জন। তার মধ্যে (Panchayat Polls) মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আসন ১০ হাজার ৮৮৩টি (NDA)।

  • Bangladeshi Islamist: “আত্মঘাতী জঙ্গি পাঠিয়ে তালিবানের ধাঁচে কলকাতা দখল করব”, হুমকি বাংলাদেশি মৌলবীর

    Bangladeshi Islamist: “আত্মঘাতী জঙ্গি পাঠিয়ে তালিবানের ধাঁচে কলকাতা দখল করব”, হুমকি বাংলাদেশি মৌলবীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কলকাতায় আত্মঘাতী জঙ্গি (Suicide Bombers) পাঠাব। তালিবানের ধাঁচে কলকাতা দখল করব।” এমনই হুমকি দিতে শোনা গেল বাংলাদেশি এক মৌলবীকে (Bangladeshi Islamist)। তার ওই হুমকি-বার্তার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। বক্তব্যের মধ্যেই সে হিন্দুদের বিরুদ্ধে বিষোদ্গারও করছিল। ভিডিওটি শেয়ার করা হয়েছে ‘ভয়েস অফ বাংলাদেশি হিন্দুস’-এর এক্স হ্যান্ডেল থেকে।

    কলকাতা দখল করো (Bangladeshi Islamist)

    সেখানে ওই বাংলাদেশি মুসলিমকে বলতে শোনা যায়, “যদি বাংলাদেশি সেনাবাহিনী আমাকে এখনই বলে, কলকাতা দখল করো, তাহলে আমি একটি পরিকল্পনা করব। ৭০টি যুদ্ধ বিমান ব্যবহারের কথা না হয় বাদই দিলাম, আমি কলকাতা দখল করতে সাতটি বিমানও ব্যবহার করব না। আমার ৭০টি বিমানের কী দরকার? আমি জানি সেখানে কারা থাকে, যারা মূর্তি পুজো করে, তারা।” বাংলাদেশি ওই মুসলমানকে বলতে শোনা যায়, “আমি জানি, তাদের (হিন্দুদের) প্রিয় খাবার হল মলমূত্র, গোবর এবং কচ্ছপের মতো নোংরা জিনিস। আমি জানি, তারা কতটা কম বোঝে। আমি এও জানি, তারা শারীরিকভাবে কতটা দুর্বল। আমি জানি, তাদের ধর্মের প্রতি তাদের কতটা বিশ্বাস। আমি এই সবই জানি। যদিও আপনি এই জিনিসগুলি না জানেন, তাহলে আপনি একজন মুসলিম সেনাপতি হতে পারবেন না, বুঝেছেন?” ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় তাকে বলতে শোনা যায়, “আমি জানি, এই হিন্দুরা রক্ত দেখলে কতটা ভয় পায়। মূর্তিপূজারিরা রক্ত দেখলে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।”

    আত্মঘাতী বোমারুদের ব্যবহার করব

    গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পাক (Bangladeshi Islamist) মদতপুষ্ট জঙ্গিরা বেছে বেছে হত্যা করে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে। তার পক্ষকাল পরে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অপারেশন সিঁদুর চালিয়ে বেশ (Suicide Bombers) কয়েকটি জঙ্গিঘাঁটি দুরমুশ করে দেয় ভারতীয় সেনা। এর পরেই সংঘাত শুরু হয় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। এই আবহেই ভাইরাল হল এক বাংলাদেশি মুসলমানের কলকাতা ওড়ানোর ছকের হুমকি। ভিডিওয় তাকে বলতে শোনা যায়, “যদি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাকে অনুমতি দেয়, তাহলে আমি যা করব, তা হল – আমি সব চেয়ে বেশি আত্মঘাতী জঙ্গিদের কলকাতায় পাঠাব। আমি কী ব্যবহার করব? আত্মঘাতী জঙ্গিদের ব্যবহার করব।” সে বলছে, “ইসলামিক আয়াত, তাদের নিয়ম হল আগে মর, তারপর মার। জেন জেড বলছে, এটা তো আগে কখনও শুনিনি, প্রথমবার শুনছি। কিন্তু স্যার, আমি মারা যাওয়ার পর কীভাবে হিন্দুদের হত্যা করতে পারি?”

    প্রথমে মর, তারপর কাফেরদের হত্যা কর

    ইসলামিক আয়াতের প্রসঙ্গ টেনে তাকে বলতে শোনা যায়, “আমি আক্রমণ করব। তারপর তারা আমাকে আঘাত করবে। আরবি দেশগুলিতে আমি আর একটি আয়াত শিখেছি, ইসলামি আয়াত, প্রথমে মর, তারপর কাফেরদের হত্যা কর। দুটি সুপারপাওয়ার – আমেরিকা ও রাশিয়াকে পরাজিত করতে তালিবানরা এই কৌশল প্রয়োগ করেছিল।” তাকে আরও বলতে শোনা যায়, “আল্লাহু আকবর বলো। তারা এমন বাইক ব্যবহার করেছিল যার শরীরে বোমা বাঁধা ছিল। তারা সেনা ক্যাম্পের দিকে রওনা হয়েছিল। তাদের (Bangladeshi Islamist) গুলি করা হয়েছিল। একটি গুলিতে আপনি সঙ্গে সঙ্গে মারা যাবেন না। তারা তাদের বোমা ভর্তি বাইকটা ক্যাম্পের দেয়ালে সজোরে ধাক্কা দেয়।” সে বলে, “বাইকটি (Suicide Bombers) ক্যাম্পের দেয়ালে ধাক্কা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই একটি বিশাল বিস্ফোরণ ঘটে। ওই বিস্ফোরণে ৩০০ জন আমেরিকান নাগরিক মারা গিয়েছিল। ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল ক্যাম্পটিও। প্রথমে কে মারা গিয়েছিল? মুসলিম বাইকার। পরে সে কাকে হত্যা করে? কাফেরদের।”

    বাংলাদেশের ভারত দখলের স্বপ্ন

    ভিডিওয় মৌলানা আবদুল কুদ্দুস নামের ওই মৌলবীকে বলতে শোনা যায়, “বাইক নিয়ে বোমা হামলা ঘটাব! বাইক আরোহীর গায়ে বাঁধা থাকবে বোমা। যত পারব, তত আত্মঘাতী বাহিনী পাঠাব।” প্রসঙ্গত, এই মাসের শুরুতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ভারতের উত্তর-পূর্বের ৭ রাজ্য দখলের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বিজিবির প্রাক্তন ডিজি আলম ফজলুর রহমান। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশের ইন্ডিপেনডেন্ট এনকোয়ারি কমিশনের চেয়ারপার্সন (Bangladeshi Islamist)। ওই পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, “ভারত পাকিস্তান আক্রমণ করলে বাংলাদেশের উচিত হবে উত্তর-পূর্ব ভারতের সাত রাজ্য দখল করে নেওয়া। এ ব্যাপারে চিনের সঙ্গে যৌথ সামরিক ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা শুরু করা প্রয়োজন বলে মনে করি।” তিনি এও লেখেন, “পাকিস্তানকে সামরিকভাবে রক্ষা করা এখন আমাদের অস্তিত্বের জন্য অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। এটা একটা স্ট্র্যাটেজিক বিষয়। পারস্পরিক নির্ভরতার বিষয়। যদি ভারত পাকিস্তানকে আক্রমণ করে তবে চিনের সঙ্গে মিলে ভারতের উত্তর-পূর্বের সাত রাজ্যকে (Suicide Bombers) দখলে নেওয়া এটা ভারতের পাকিস্তান আক্রমণের রিজিওনাল ও আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া (Bangladeshi Islamist)।”

  • India: আমেরিকা থেকে আমদানি হওয়া পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা ভারতের

    India: আমেরিকা থেকে আমদানি হওয়া পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি হওয়া পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করার পরিকল্পনা রয়েছে ভারতের (India)। আনুষ্ঠানিকভাবে একথা নয়াদিল্লি জানিয়ে দিয়েছে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা বা ডাব্লুটিওকে (WTO)। আমেরিকা ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়াম এবং সংশ্লিষ্ট পণ্যের ওপর সুরক্ষা শুল্ক সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার জেরেই ভারতের এই সিদ্ধান্ত বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। ডব্লুটিও-র কাউন্সিলর ফর ট্রেড ইন গুডসকে পাঠানো একটি নোটিশে ভারত জানিয়ে দিয়েছে, তারা এগ্রিমেন্ট অন সেফগার্ডসের আর্টিকেল ৮.২ অনুযায়ী কিছু ছাড় এবং অন্যান্য বাধ্যবাধকতা স্থগিত রাখবে এবং প্রস্তাবিত পদক্ষেপ আর্টিকেল ১২.৫ এর অধীনে গ্রহণ করা হবে। যদি আলোচনার উদ্যোগ না নেওয়া হয় বা সমাধানে পৌঁছনো না যায়, তাহলে এই পাল্টা শুল্ক ৩০ দিনের মধ্যে কার্যকর হতে পারে।

    ক্ষতির সম্মুখীন (India)

    হিসেব বলছে, মার্কিন সুরক্ষা শুল্কের ফলে ভারতকে প্রায় ১.৯১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। ভারত জানিয়েছে, “এই সুরক্ষা শুল্কের কারণে মার্কিন মুলুকে ভারতে উৎপাদিত ৭.৬ বিলিয়ন ডলার মূল্যের সংশ্লিষ্ট পণ্যের আমদানি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যার ওপর শুল্ক আদায় হবে ১.৯১ বিলিয়ন ডলার। অতএব, ভারতের প্রস্তাবিত ছাড় স্থগিত করার পদক্ষেপে আমেরিকা থেকে আসা পণ্যের ওপর সমপরিমাণ শুল্ক আদায়ে পরিণত হবে।”

    বিতর্কিত শুল্ক আরোপ

    প্রসঙ্গত, আমেরিকা প্রথম ২০১৮ সালের ৮ মার্চ প্রেসিডেন্সিয়াল ঘোষণার মাধ্যমে বিতর্কিত শুল্ক আরোপ করে। সেই হার ছিল ইস্পাতের ওপর ২৫ শতাংশ এবং অ্যালুমিনিয়ামের ওপর ১০ শতাংশ। এই শুল্কগুলি জানুয়ারি ২০২০ সালে এবং ২০২৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ফের একটি প্রোক্লেমেশনের মাধ্যমে পুনরায় বর্ধিত করা হয়, যা কার্যকর হয়েছে ২০২৫ সালের ১২ মার্চ থেকে।

    ভারতের যুক্তি, যদিও ওয়াশিংটন এই পদক্ষেপগুলিকে ডাব্লুটিওর নিয়ম অনুযায়ী আনুষ্ঠানিকভাবে সেফগার্ড হিসেবে ঘোষণা করেনি, তবুও এগুলি সেভাবেই কাজ করছে। এই কাজ ১৯৯৪ সালের সাধারণ শুল্ক ও বাণিজ্য চুক্তি এবং সেফগার্ড সংক্রান্ত চুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। ভারত এও জানিয়ে দিয়েছে, যেহেতু এগ্রিমেন্ট অন সেফগার্ডসের (India) অনুচ্ছেদ ১২.৩ অনুসারে কোনও আলোচনাই হয়নি, তাই ভারত মার্কিন পণ্যের ওপর সমপর্যায়ের শুল্ক আরোপের কথা ভাবছে। ভারতীয় এই শুল্ক (WTO) ব্যবস্থা কার্যকর হতে পারে জুনের শুরুতেই (India)।

  • India Bangladesh Relation: ‘গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা খর্ব’, বাংলাদেশে আওয়ামি লিগ নিষিদ্ধ হওয়ায় কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতের

    India Bangladesh Relation: ‘গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা খর্ব’, বাংলাদেশে আওয়ামি লিগ নিষিদ্ধ হওয়ায় কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউনূস সরকারের আমলে একাধিক কাজকর্ম নিয়ে এর আগেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। এবার শেখ হাসিনার আওয়ামি লিগকে (Awami League) নিষিদ্ধ ঘোষণা করা নিয়ে গর্জে উঠল নয়াদিল্লি (India Bangladesh Relation)। বিদেশমন্ত্রকের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এভাবে আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা উদ্বেগজনক। ভারতের স্পষ্ট বার্তা – সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া ছাড়া রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা গণতন্ত্র-বিরোধী।

    ভারতের প্রতিক্রিয়া (India Bangladesh Relation)

    মঙ্গলবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আওয়ামি লিগকে প্রক্রিয়া ছাড়াই নিষিদ্ধ করার ঘটনা গভীরভাবে উদ্বেগজনক। আমরা রাজনৈতিক স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক পরিসর সংকুচিত হওয়া নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই চিন্তিত।” তিনি বলেন, “বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচনের পক্ষে ভারত। গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা খর্ব নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। আশা করি, বাংলাদেশে দ্রুত অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন করা হবে। গণতন্ত্র ফিরবে।” বাংলাদেশ সরকারের আইনি উপদেষ্টা আসিফ নজরুল আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা নিয়ে বলেন, “বাংলাদেশের নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও হাসিনা উচ্ছেদ আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তার স্বার্থেই আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।”

    বাংলাদেশের বিবৃতি

    ভারতের ওই প্রতিক্রিয়ার পর বাংলাদেশের তরফে মহম্মদ ইউনূসের একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে, “আমরা দেখেছি, কীভাবে আমাদের গণতান্ত্রিক পরিবেশ নষ্ট করেছে আওয়ামি লিগ, রাজনৈতিক পরিসর কম করে দিয়েছে, গত ১৫ বছরের শাসনকালে আমাদের সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তার কারণেই এই দলটিকে নিষিদ্ধ করা প্রয়োজন ছিল।” অন্তর্বর্তী সরকারের (India Bangladesh Relation) তরফে আরও বলা হয়, “আমরা দেখেছি, কীভাবে ভোটের নামে প্রহসন করা হয়েছে এতদিন। আমরা দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে চাই। নির্বাচন একেবারেই আমাদের নিজস্ব বিষয়। আমাদের নির্বাচন, সার্বভৌমত্বকে সবাই সম্মান করি, এবং এটাই আমাদের কাম্য।”

    ছেঁদো যুক্তি!

    পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গিঘাঁটিতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় ভারত। তার জেরে শুরু হয় ভারত-পাক সংঘাত। এই আবহে গত শনিবার মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হচ্ছে আওয়ামি লিগের কার্যকলাপ।’ ইউনূস সরকারের বিবৃতি অনুযায়ী, বাংলাদেশের নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই (Awami League) আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাক্ষীদের সুরক্ষার স্বার্থেই আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে (India Bangladesh Relation)।

    শাহবাগ ব্লকেড

    জুলাই আন্দোলনের জেরে গত বছরের ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা। আশ্রয় নেন ভারতে। তার পর থেকেই সে দেশে আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ করার দাবি উঠতে শুরু করে। আওয়ামি লিগের ছাত্র শাখা বাংলাদেশ ছাত্র লিগকে কয়েক মাস আগেই নিষিদ্ধ সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছিল ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। সম্প্রতি বাংলাদেশের নয়া রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি-সহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতা-কর্মীরা আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার দাবিতে টানা তিন দিন ধরে কর্মসূচি শুরু করেছিল। গত শুক্রবার থেকে শাহবাগ ব্লকেড নামে একটি কর্মসূচিও শুরু করেছে তারা (India Bangladesh Relation)। সেই আবহেই শনিবার উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠক ডাকে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। প্রায় পৌনে তিন ঘণ্টার ওই বৈঠক শেষে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বাকিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা-সহ অন্যান্য যা যা বিষয়ে বিচার চলছে, তা শেষ না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে নিষিদ্ধ থাকবে আওয়ামি লিগের সব রকমের কার্যক্রম। এদিনের ওই বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইনের সংশোধনীও অনুমোদিত হয়েছে। সংশোধনী অনুসারে ট্রাইব্যুনাল কোনও রাজনৈতিক দল, তার শাখা সংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীকেও এবার থেকে শাস্তি দিতে পারবে (Awami League)।

    একাধিকবার শিরোনামে এসেছে বাংলাদেশ

    সম্প্রতি ওয়াকফ অশান্তি ও কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার আগে সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামে ছিল বাংলাদেশ। কারণ সেই সময় বাংলাদেশে মৌলবাদীদের দাপট চরমে ওঠে। যখন যা ইচ্ছে, তাই করে তারা। হিন্দুদের ওপর আক্রমণও করতে শুরু করে। ভাঙতে থাকে মাজারও (India Bangladesh Relation)। বাংলাদেশের মহিলা ফুটবল টিমের খেলা বন্ধ করে দেয়। এই মৌলবাদীরা ক্রেন-বুলডোজার দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত বাড়িও ভাঙে। তাতে আগুন লাগিয়ে দেয়। দেদার লুটপাট করতে শুরু করে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাড়িতেও তাণ্ডব চালায়। বাংলাদেশজুড়ে আওয়ামি লিগ নেতাদের বাড়িতেও হামলা চালানো হয়। সব দেখে শুনেও মুখে কুলুপ এঁটে বসেছিলেন শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ইউনূস! যারা তাণ্ডব চালাচ্ছে, তাদের গ্রেফতার না করে, যাদের ওপর হামলা হচ্ছে (Awami League), তাদের ধরতে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরু করে ইউনূস সরকার। সেই ইউনূস সরকারই এবার নিষিদ্ধ ঘোষণা করে দিল আওয়ামি লিগকে।

    ক্ষমতার চিটে গুড়ে পা আটকে গিয়েছে খোদ ইউনূসেরও (India Bangladesh Relation)!

  • ISI Operative: আইএসআইয়ের হয়ে চরবৃত্তি! পাক হাইকমিশনের কর্তাকে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দিল্লির

    ISI Operative: আইএসআইয়ের হয়ে চরবৃত্তি! পাক হাইকমিশনের কর্তাকে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দিল্লির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে চড়েছে ভারত-পাক উত্তজনার পারদ। ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যার বদলা নিতে পাকিস্তানে (Pakistan) ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় (ISI Operative) ভারত। সেই অপারেশনে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে দুরমুশ করে দেওয়া হয় বেশ কিছু জঙ্গি ঘাঁটি। পরে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে দুই দেশ। তবে তার পরেও যে উত্তেজনার পারা এতটুকুও নামেনি, তার প্রমাণ মিলল মঙ্গলবার। এদিন পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের চরবৃত্তির অভিযোগে দিল্লির পাক হাইকমিশনের এক আধিকারিককে অবাঞ্ছিত (পার্সোনা নন গ্রাটা) ঘোষণা করে বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। তাঁকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

    পাক কূটনীতিককে বহিষ্কার (ISI Operative)

    ভারতের বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, পাক হাইকমিশনের ওই কর্তা ভারতে তাঁর সরকারি মর্যাদার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় এমন কার্যকলাপে লিপ্ত ছিলেন। দিল্লির পাক শীর্ষ কূটনীতিককে তলব করে এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য এবং নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। তবে ঠিক কোন অভিযোগে ওই পাক কূটনীতিককে বহিষ্কার করা হয়েছে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানায়নি বিদেশমন্ত্রক।

    পাকিস্তানি কর্মীকে অবাঞ্ছিত

    সূত্রের খবর, সম্প্রতি পাঞ্জাব পুলিশ দিল্লির পাক দূতাবাসের এক আধিকারিককে জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত স্পর্শকাতর তথ্য পাচারের অভিযোগে এক মহিলা-সহ দুজনকে গ্রেফতার করেছিল। সেই মামলার তদন্তের সূত্র ধরেই পাক হাইকমিশনের ওই কর্তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাঞ্জাব পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল গৌরব যাদব জানান, সরকারি পদমর্যাদার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়, এমন কার্যকলাপে যুক্ত থাকার জন্য নয়াদিল্লিতে পাকিস্তানের হাইকমিশনে কর্মরত এক পাকিস্তানি কর্মীকে অবাঞ্ছিত বলে ঘোষণা করা হয়েছে। ওই কর্মীকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে (ISI Operative)।

    সম্প্রতি পাঞ্জাব পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করে, যাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় সেনার গোপন তথ্য পাকিস্তানি হ্যান্ডলারের কাছে পাচার করার অভিযোগ উঠেছে। ওই হ্যান্ডলার দিল্লিতে পাকিস্তান হাইকমিশনে কর্মরত ছিলেন বলে খবর। তাদের জেরা করেই ফাঁস হয় পাকিস্তানি হাইকমিশনের ওই কর্মীর নাম – এহসান উর রহিম ওরফে দানিশ। তদন্তে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের অনলাইন মাধ্যমে টাকা দিয়ে ভারতীয় সেনার স্পর্শকাতর তথ্য সংগ্রহ করানো হত। ধৃতদের কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোনও উদ্ধার হয়েছে। গোয়েন্দা দফতরের (Pakistan) মতে, এই ঘটনা পাক চরচক্র ভাঙার ক্ষেত্রে বড় সাফল্য (ISI Operative)।

  • India: পাকিস্তানের পাশে থাকার মাশুল! তুরস্ক-আজারবাইজান বয়কটের ডাক ভারতীয় পর্যটকদের

    India: পাকিস্তানের পাশে থাকার মাশুল! তুরস্ক-আজারবাইজান বয়কটের ডাক ভারতীয় পর্যটকদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেইমানির জবাব পাচ্ছে তুরস্ক! পহেলগাঁওকাণ্ডের জেরে ভারত (India) যখন পাকিস্তানে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায়, তখন পাকিস্তানের পাশে (Pakistan Support) দাঁড়িয়েছিল ইসলামিক রাষ্ট্র তুরস্ক। অথচ, বছর দুয়েক আগের ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পে যখন তছনছ হয়ে গিয়েছিল তুরস্কের বিস্তীর্ণ অংশ, তখন সবার প্রথমে ত্রাণ নিয়ে সে দেশে হাজির হয়েছিল নরেন্দ্র মোদির ভারত। সেই কারণে অন্তত ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা উচিত ছিল তুরস্কের। তা না করে তারা সমর্থন করল ইসলামাবাদকে। পাকিস্তানকে সমর্থন করেছে আর একটি ইসলামিক দেশ আজারবাইজান।

    ‘অপারেশন সিঁদুর’ (India)

    তার পরেই এই দুই দেশের ওপর খেপে গিয়েছেন ভারতীয় পর্যটকরা। পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার জেরে পাকিস্তানে থাকা জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় ভারত। সেই সময়ই ওই দুই ইসলামিক রাষ্ট্র পাশে দাঁড়ায় পাকিস্তানের। তার জেরে ওই দুই দেশ ভ্রমণে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পর্যটকদের একটা বড় অংশ। শুধু তা-ই নয়, অন্যান্য পর্যটকরাও যাতে ওই দুই দেশ বয়কট করেন, সেই ডাকও দেওয়া হয়েছে। এই দুই দেশের বদলে পর্যটকরা বেছে নিয়েছে ভারতের মিত্র দেশ গ্রিস এবং আর্মেনিয়াকে।

    পর্যটকদের বয়কট আন্দোলন

    পর্যটকদের বয়কট আন্দোলন ব্যাপক সমর্থন কুড়িয়েছে দেশবাসীর। তার পরেই ভারতের (India) বেশ কয়েকটি বড় ট্রাভেল এজেন্সিও তাঁদের সঙ্গে সুর মেলায়। ট্রাভোমিন্ট, ইজিমাইট্রিপ এবং কক্স অ্যান্ড কিংসের মতো কোম্পানিগুলি তুরস্ক ও আজারবাইজান ভ্রমণের সব প্যাকেজ স্থগিত করার কথা জানিয়ে দেয়। পর্যটক ও ট্রাভেল এজেন্সির এই সিদ্ধান্তগুলি একটি প্রবণতা নির্দেশ করে। সেটি হল, আন্তর্জাতিক ভ্রমণের ক্ষেত্রে পর্যটকদের আচরণ গঠনে ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপট দিন দিন আরও প্রভাব ফেলছে।

    তুরস্ক এবং আজারবাইজান বাদ

    পর্যটকদের সফরের তালিকা থেকে তুরস্ক এবং আজারবাইজান বাদ যাওয়ায় সেই লিস্টে ঢুকে পড়েছে আর্মেনিয়া এবং গ্রিস। এই দুই দেশই কূটনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ, বলা ভালো, ভারতের প্রতি সহানুভূতিশীল। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, তার জেরেই এবার এই দুই দেশে কার্যত ঢল নামবে ভারতীয় পর্যটকদের। এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি বিরূপ মন্তব্য করায় মলদ্বীপ বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন ভারতীয় পর্যটকরা। তার জেরে বিপাকে পড়েছিল দ্বীপরাষ্ট্র মলদ্বীপ। শেষমেশ ভুল কবুল করে ভারতে (India) এসে পর্যটকদের সে দেশে যেতে উৎসাহিত করেছিলেন মলদ্বীপের মন্ত্রী। তুরস্ক এবং আজারবাইনের ক্ষেত্রে একই ঘটনা ঘটবে (Pakistan Support) কিনা, তা বলবে সময়। তবে একটা বিষয় পরিষ্কার, জাতীয়তাবাদী বোধ জাগ্রত হওয়ায় পর্যটকরাও এখন ভারতের মিত্র দেশগুলিতে ভ্রমণ করতে আগ্রহী হচ্ছেন।

    ভিড় বাড়ছে আর্মেনিয়ায়    

    দক্ষিণ ককেশাস অঞ্চলে আর্মেনিয়া এখন ভারতের অন্যতম ঘনিষ্ঠ অংশীদার হয়ে উঠেছে। ২০২০ সাল থেকে দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। আর্মেনিয়া ভারতের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক সরঞ্জাম কিনেছে এবং যৌথ সামরিক উদ্যোগেও অংশ নিয়েছে। এই কৌশলগত বন্ধুত্ব এখন নাগরিক পর্যায়েও প্রতিফলিত হচ্ছে, বিশেষত পর্যটনে। ভারতীয় পর্যটকরা, আর্মেনিয়ার ভারতের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব ও আঞ্চলিক অংশীদারিত্ব দ্বারা প্রভাবিত হয়ে, দেশটির প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছেন। ইউরোপ ও এশিয়ার মাঝে অবস্থিত এই দেশটির ভৌগোলিক আকর্ষণ যেমন আছে, তেমনি এর ভূরাজনৈতিক নির্ভরযোগ্যতাও ভারতীয় পর্যটকদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। দেশটির সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, ঐতিহাসিক গির্জা ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য — সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ — ভারতীয় পর্যটকদের এমন একটি গন্তব্যে আকৃষ্ট করছে, যা তাঁদের সাংস্কৃতিক কৌতূহল ও জাতীয় অনুভূতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ (India)।

    গ্রিসেও ভারতীয় পর্যটকদের ঢল

    আর্মেনিয়ার পাশাপাশি ভারতীয় পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়ছে গ্রিসের প্রতিও। সংস্কৃতি ও কূটনৈতিক আদান-প্রদানের দীর্ঘ ঐতিহ্যের ধারা রয়েছে ভারত ও গ্রিসের মধ্যে। দুই দেশের সম্পর্ক বিস্তৃত প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য এবং জ্বালানি সহযোগিতা-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে। সাম্প্রতিক বাণিজ্য চুক্তি ও কূটনৈতিক কার্যকলাপ এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করেছে, যা আরও বেশি ভারতীয় পর্যটকদের ভূমধ্যসাগরীয় এই দেশটি ঘুরে দেখতে উৎসাহ দিচ্ছে। প্রাচীন অ্যাথেন্সের ধ্বংসাবশেষ থেকে শুরু করে সান্তোরিনির বিখ্যাত নীল গম্বুজযুক্ত ছাদ পর্যন্ত, গ্রিস এক অনন্য ঐতিহাসিক ঐতিহ্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মিশ্রণ উপস্থাপন করে পর্যটকদের কাছে। দেশটির গভীর ঐতিহাসিক শেকড়, রঙিন উপকূলীয় শহর এবং আতিথেয়তাপূর্ণ মানুষ — এইসব উপাদান ভারতীয় মূল্যবোধ ও নান্দনিকতার (Pakistan Support) সঙ্গে গভীরভাবে মিলে যায়। তার জেরেই ভারতীয় পর্যটকদের কাছে দিন দিন বাড়ছে গ্রিসের জনপ্রিয়তা (India)।

  • India Pakistan Conflict: “ঘরে ঢুকে মারব, বাঁচার কোনও সুযোগই দেব না,” জঙ্গিদের হুঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর

    India Pakistan Conflict: “ঘরে ঢুকে মারব, বাঁচার কোনও সুযোগই দেব না,” জঙ্গিদের হুঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ঘরে ঢুকে মারব। বাঁচার কোনও সুযোগই দেব না।” মঙ্গলবার আদমপুর বায়ুসেনা ঘাঁটিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই ভাষায়ই পাক মদতপুষ্ট (India Pakistan Conflict) জঙ্গিদের উদ্দেশে হুঙ্কার ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সোমবার রাতে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছিলেন তিনি। তখনও সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, জঙ্গি হামলা হলে কোনও ছাড় নেই। যে সরকার জঙ্গিদের মদত দেবে, তাদেরও একই চোখে দেখবে ভারত। এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যে পাকিস্তানি সেনার ভরসায় এই জঙ্গিরা বসেছিল, ভারতের সেনা-বায়ুসেনা-নৌসেনা পাকিস্তানি সেনাকে ছারখার করে দিয়েছে। আপনারা পাকিস্তানি সেনাকে বুঝিয়ে দিয়েছেন, পাকিস্তানে এমন কোনও ঠিকানা নেই, যেখানে জঙ্গিরা স্বস্তিতে থাকতে পারবে।” এর পরেই তিনি বলেন, “ঘরে ঢুকে মারব। বাঁচার কোনও সুযোগই দেব না। আমাদের ড্রোন, মিসাইলের কথা ভেবেই কয়েকদিন ঘুম হয়নি পাকিস্তানের।”

    নিরাপত্তাবাহিনীর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা (India Pakistan Conflict)

    পাকিস্তানকে উপযুক্ত জবাব দেওয়ায় ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনীর উচ্ছ্বসিত প্রশংসাও করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আজ আমাদের নতুন ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সক্ষমতা রয়েছে, যার মোকাবিলা করতে পারবে না পাকিস্তান। গত দশকে বিশ্বের সেরা প্রযুক্তি পৌঁছেছে ভারতীয় বায়ুসেনা ও আমাদের অন্যান্য বাহিনীতে। কিন্তু আমরা সকলেই জানি যে, নয়া প্রযুক্তির সঙ্গে সঙ্গে বড় চ্যালেঞ্জও আসে। একটি জটিল ও উন্নত সিস্টেমের ভারসাম্য বজায় রাখা, দক্ষতার সঙ্গে তা পরিচালনা করার জন্য বিশেষ দক্ষতার প্রয়োজন। আপনারা প্রযুক্তিকে কৌশলের সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন। আপনারা প্রমাণ করে দিয়েছেন যে এই খেলায় আপনারাই সেরা।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আপনারা সব ভারতীয়ের ছাতি ফুলিয়ে দিয়েছেন। মাথা উঁচু করে দিয়েছেন। সম্মান বাড়িয়ে দিয়েছেন। তাই বীরদের প্রণাম করতে এসেছি। আপনারা দেশকে গর্বিত করেছেন। আজ থেকে বহু বছর পরেও যখন এই পরাক্রম নিয়ে আলোচনা হবে, তখন মনে থাকবে আপনাদের কাজের কথা। আপনারা এখন দেশবাসীর প্রেরণা। সেনা, বায়ুসেনা, নৌসেনা এবং বিএসএফকে আমি স্যালুট জানাই (India Pakistan Conflict)।”

    ‘অপারেশন সিঁদুর’

    পহেলগাঁওকাণ্ডের পক্ষকাল পরে পাকিস্তানে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় ভারত। তার পর এদিনই তিনি গেলেন পাঞ্জাবের আদমপুরের বায়ুসেনাঘাঁটিতে। সেখানে বায়ুসেনার জওয়ানদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথাও বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মান-মর্যাদা রক্ষায় আপনারা প্রাণ বলিদান দেন। দেশের জন্য যাঁরা বাচতে চান, কিছু করতে চান, আমি তাঁদের কথাই বলছি।” তিনি বলেন, “ভারতের সৈনিক যখন ভারত মাতা কি জয় বলেন, তখন আমাদের শত্রুদের কলিজা কেঁপে যায়। আমাদের ড্রোন আর মিসাইল যখন শত্রুর ঠিকানায় পৌঁছে যায়, তখন বলা হয় ভারত মাতা কি জয়। আমাদের সেনা পরমাণু বোমার ব্ল্যাকমেল অগ্রাহ্য করে বলে ভারত মাতা কি জয় (PM Modi)।”

    ইতিহাস রচনা করেছেন

    ‘অপারেশন সিঁদুর’ সম্পর্কে এদিন আদমপুরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আপনাদের কারণেই ‘অপারেশন সিঁদুরে’র বীরগাথা সবাই শুনতে পাচ্ছে (India Pakistan Conflict)। সব ভারতীয়র প্রার্থনা আপনাদের সঙ্গে রয়েছে। আপনারা ইতিহাস রচনা করেছেন। এটা কোনও সামান্য একটা অপারেশন নয়। এটা ভারতের নীতি, নির্ণয় করেছে।” তিনি বলেন, “ভারত বুদ্ধের মাটি, আবার গুরু গোবিন্দ সিংয়ের মাটিও। ওরা আমাদের বোন-কন্যার সিঁদুর ছিনিয়ে নিয়েছিল। তাই ওদের শিক্ষা দিতে ওদের ঘরে ঢুকে ওদের নিকেশ করেছি।”

    সব ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আপনারা ওদের সামনে থেকে আক্রমণ করে মেরেছেন। জঙ্গিদের ঠিকানা গুঁড়িয়ে দিয়েছেন। ভারতের দিকে তাকালে তার কঠোর সাজা হবে। একটাই মন্ত্র হবে বিনাশ ও মহাবিনাশ। ভারতের সেনা, বায়ুসেনা ও নৌসেনা পাকিস্তানের সেনাকেও ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছে (India Pakistan Conflict)। আপনারা ওদের সেনাদের এও বুঝিয়ে দিয়েছেন যে পাকিস্তানের এমন কোনও জায়গা নেই, যেখানে বসে সন্ত্রাসবাদীরা নিশ্চিন্তে নিঃশ্বাস নেবে।” তিনি বলেন, “অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে দেশের একতার সূত্র রচিত হয়েছে। আর আপনারা দেশের সীমা রক্ষা করেছেন। সম্মান আরও উঁচু করেছেন। আমাদের বায়ুসেনা যেভাবে ২০-২৫ মিনিটের মধ্যে সীমা পেরিয়ে পিন পয়েন্ট টার্গেট করে ওদের গভীরে গিয়ে ক্ষতি করেছেন, সেটা একমাত্র পেশাদাররাই করতে পারেন। ওরা বুঝতেই পারেনি যে ওদের বুকের ওপর কী হয়েছে। সব ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আপনারা যা করেছেন, তা অভূতপূর্ব, অকল্পনীয় এবং ভাবনার অতীত। ‘অপারেশন সিঁদুর’ একটা পরিষ্কার লক্ষ্মণ রেখা টেনে দিয়েছে (PM Modi)।”

    প্রসঙ্গত, আদমপুর ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম বায়ুসেনা ঘাঁটি। এখানে রাফাল এবং মিগ-২০ যুদ্ধবিমান রয়েছে। ১৯৬৯ এবং ১৯৭১ সালের যুদ্ধে এই সেনাঘাঁটির ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ (India Pakistan Conflict)।

LinkedIn
Share