Author: pranabjyoti

  • Rajasthan Cough Syrup Case: রাজস্থানে কফ সিরাপ খেয়ে শিশুর মৃত্যু, সাসপেন্ড ড্রাগ কন্ট্রোলার

    Rajasthan Cough Syrup Case: রাজস্থানে কফ সিরাপ খেয়ে শিশুর মৃত্যু, সাসপেন্ড ড্রাগ কন্ট্রোলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটি বেসরকারি সংস্থার তৈরি কাশির সিরাপ খেয়ে একাধিক শিশুর মৃত্যু ও অসুস্থতার ঘটনা সামনে এল রাজস্থানে। এই ঘটনাগুলি রাজস্থান (Rajasthan Cough Syrup Case) সরকারকে তৎপর করে তুললেও, দৈনিক ভাস্করের এক এক্সক্লুসিভ প্রতিবেদনে চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে।

    ‘নকল ওষুধে’র সংজ্ঞা বদল (Rajasthan Cough Syrup Case)

    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বরখাস্ত হওয়া ড্রাগ কন্ট্রোলার (Drug Controller) রাজারাম শর্মা সরকারি নথিতে ‘নকল ওষুধ’-এর সংজ্ঞাই বদলে দিয়েছেন। রাজ্যের কিছু ফার্মা কোম্পানির সুবিধা করে দিতেই তিনি এটা করেছেন বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, রাজস্থান সরকার রাজারাম শর্মাকে বরখাস্ত করেছে এবং কেসন ফার্মার সরবরাহ করা ১৯টি ওষুধ বিলিবন্দেজ করা স্থগিত করে দিয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, রাজারাম শর্মার হস্তক্ষেপের কারণে ওষুধের উপাদানের মানদণ্ড কমিয়ে আনা হয়েছিল, যা ওষুধের গুণমানের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলেছে।

    নকল ওষুধের তথ্য

    জানা গিয়েছে, চলতি বছরের শুরুতে ওষুধ বিভাগ যে নকল ওষুধের তথ্য ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন (DGCA)-এর নির্দেশে লোকসভায় পাঠিয়েছিল এবং পরে নীতি আয়োগে পাঠিয়েছিল, তাতে বিভ্রান্তিকর তথ্য ও সংখ্যাগত গরমিল ছিল। রাজস্থান বিধানসভার জন্য তৈরি আর একটি প্রতিবেদনে আবারও একই ধরনের সংখ্যা ও তথ্যের গরমিল ধরা পড়ে। প্রসঙ্গত, রাজস্থানের (Rajasthan Cough Syrup Case) ফুড সেফটি অ্যান্ড ড্রাগ কন্ট্রোল কমিশনারেট ১৯ সেপ্টেম্বর একটি বৈঠক করেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ড্রাগ কন্ট্রোলার (প্রথম ও দ্বিতীয়), ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরির ডেপুটি ডিরেক্টর এবং বিভাগের একজন জুনিয়র লিগ্যাল অফিসার। সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই বৈঠকে প্রকাশ পেয়েছে যে ড্রাগ কন্ট্রোলার (দ্বিতীয়) রাজারাম শর্মা ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিকস অ্যাক্ট, ১৯৪০-এ নির্ধারিত মানদণ্ডের বিরোধিতা করে নিজের মতো করে নকল ওষুধের সংজ্ঞা যোগ করেছিলেন। ভাস্কর জানিয়েছে, তাদের কাছে ওই বৈঠকের মিনিট-টু-মিনিট বিবরণী রয়েছে।

    প্রসঙ্গত, এর আগে রাজস্থানে তিনটি শিশু কাশির সিরাপের বিষক্রিয়ায় মারা গিয়েছে (Drug Controller)। আরও দু’জনের অবস্থাও সংকটজনক। মধ্যপ্রদেশে মারা গিয়েছে ৯ জন শিশু। তাই গোটা দেশেই কাশির সিরাপের গুণগত মান নিয়ে উঠছে প্রশ্ন (Rajasthan Cough Syrup Case)।

  • Kashmir: চেনা ছন্দে ফিরল ভূস্বর্গ, দশেরায় মাতল শ্রীনগর

    Kashmir: চেনা ছন্দে ফিরল ভূস্বর্গ, দশেরায় মাতল শ্রীনগর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন দশকেরও বেশি সময় পরে ফের ঘটা করে দশেরা উৎসব পালিত হল জম্মু-কাশ্মীরের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী শ্রীনগরে (Kashmir)। আবারও প্রাণ ফিরে পেল ভূস্বর্গ। গত ২ অক্টোবর হাজার হাজার কাশ্মীরি হিন্দু এবং ভিন্ন ধর্মাবলম্বীরাও উৎসব (Grand Dussehra) পালন করতে জড়ো হয়েছিলেন শের-ই-কাশ্মীর ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা একটি অঞ্চলে এটি ছিল সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের এক ঐতিহাসিক পুনর্জাগরণ।

    গর্বের দশেরা (Kashmir)

    এদিনের উৎসবের মূল আকর্ষণ ছিল রাবণ, কুম্ভকর্ণ ও মেঘনাদের বিশাল মূর্তি পোড়ানো। স্টেডিয়ামের অনুশীলন মাঠে রাখা অতিকায় প্রতিমাগুলি আগুনের করাল গ্রাসে চলে গেলে ৫ হাজারেরও বেশি দর্শক করতালিতে ফেটে পড়েন। সঙ্গে ছিল ঐতিহ্যবাহী সংগীত, পটকা ফাটানো ও মিষ্টি বিতরণ। দশেরার এই উৎসব ছিল সামাজিক সম্প্রীতি ও সাংস্কৃতিক গর্বের এক বিরল মুহূর্ত। এবারের এই উৎসবে অংশ নিয়েছিলেন মুসলিম সম্প্রদায়ের সদস্যরাও। পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেত্রী ইলতিজা মুফতিও উৎসবে যোগ দিয়েছিলেন (Kashmir)।

    কাশ্মীরি হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি

    অনুষ্ঠানের আয়োজক কাশ্মীরি হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি। তারা স্থানীয় প্রশাসন ও বাসিন্দাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। এদিন অনুষ্ঠানের শুরুতে ইন্দিরা নগরের একটি মন্দির থেকে ঐতিহ্যবাহী শোভাযাত্রা বের হয়, ঠিক ৩৩টি বছর আগেও যেমনটি হত।কাশ্মীরি হিন্দু রাহুল মাত্তু বলেন, “কাশ্মীরে দশেরা আমাদের সম্প্রদায়ের মানুষদের একত্রিত করে। এটি আমাদের ঐতিহ্যের সঙ্গে বন্ধনকে আরও দৃঢ় করে।” স্থানীয় বাসিন্দারাও একই কথা বলেন। তাঁরা উৎসবটির ভূমিকা তুলে ধরে বলেন, “এটি আমাদের যৌথ ঐতিহ্যকে দৃঢ় করে, আশার সঞ্চার করে।” ক্ষীরভবানীর এক বাসিন্দা বলেন, “দশেরা উদযাপন আমাদের শেকড় ও যৌথ ঐতিহ্যের কথা মনে করিয়ে দেয়। এটি আশা ও একতার এক বিশেষ মুহূর্ত।”

    উৎসবের সমাপ্তি হয় এক মনোমুগ্ধকর আতশবাজির প্রদর্শনীর মাধ্যমে। এটি শ্রীনগরের আকাশকে রঙিন করে (Grand Dussehra) তোলে। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা বজায় রাখতে আঁটোসাঁটো নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করেছিল প্রশাসন (Kashmir)।

  • India China Agreement: ২৬ অক্টোবর থেকে ফের শুরু হবে ভারত-চিন সরাসরি বিমান পরিষেবা

    India China Agreement: ২৬ অক্টোবর থেকে ফের শুরু হবে ভারত-চিন সরাসরি বিমান পরিষেবা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গলছে ভারত-চিন (India China Agreement) সম্পর্কের বরফ। তার জেরেই চলতি মাস থেকে সরাসরি বিমান পরিষেবা (Direct Flights) শুরু হবে দুই দেশের মধ্যে। সম্প্রতি এই ঘোষণা করেছে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক। ২০২০ সালে গলওয়ান সংঘর্ষের জেরে তলানিতে ঠেকেছিল ভারত-চিন সম্পর্ক। তার পর থেকে এতদিন ধরে বন্ধ রয়েছে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান পরিষেবা।

    মোদি- জিনপিং বৈঠক (India China Agreement)

    কিছু দিন আগেই চিনে আয়োজিত এসসিও শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে পার্শ্ববৈঠকে বসেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তার পরেই গলে দুই দেশের সম্পর্কের বরফ। ভারত-চিন অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের আলোচনার পরে সিদ্ধান্ত হয়, ২৬ অক্টোবর থেকে ফের শুরু হবে ভারত ও চিনের মধ্যে সরাসরি বিমান পরিষেবা। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চলতি বছরের শুরু থেকেই দুই দেশের বিমান চলাচল কর্তাদের মধ্যে প্রযুক্তিগত পর্যায়ের আলোচনা চলছিল। আলোচনায় মূলত সরাসরি সংযোগ পুনরুদ্ধার এবং একটি সংশোধিত বিমান পরিষেবা চুক্তি চূড়ান্ত করার ওপর জোর দেওয়া হয়। নয়া ব্যবস্থায় ভারত ও চিনের নির্ধারিত বিমান সংস্থাগুলিকে সম্মতি পাওয়া রুটে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হবে। শীতকালীন সময়সূচি থেকে এই ফ্লাইটগুলি চালু হবে, যদি সমস্ত বাণিজ্যিক ও কার্যকরী শর্ত পূরণ করা যায়, তবেই।

    পরিষেবা ফের চালু করার ঘোষণা

    দুই দেশের এই কূটনৈতিক পদক্ষেপের পর ইন্ডিগো তাদের চিন মূল ভূখণ্ডে পরিষেবা ফের চালু করার ঘোষণা করেছে। ২৬ অক্টোবর ২০২৫ থেকে কলকাতা ও গুয়াংঝুর মধ্যে দৈনিক নন-স্টপ ফ্লাইটও চালু হবে (India China Agreement)। নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন সাপেক্ষে ইন্ডিগো খুব শিগগিরই দিল্লি ও গুয়াংঝুর মধ্যেও সরাসরি ফ্লাইট চালু করবে। ইন্ডিগো জানিয়েছে, এই রুটে তারা তাদের এয়ারবাস এ৩২০এনইও বিমান চালাবে। এই ফ্লাইটগুলি ফের চালু হলে দুই দেশের মধ্যে সীমান্তপার বাণিজ্য, কৌশলগত ব্যবসায়িক অংশীদারিত্ব এবং পর্যটন খাতের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। দুই দেশের শীর্ষ আধিকারিকদের বক্তব্য, আকাশপথে যোগাযোগ ফের শুরু হলে দ্বিপাক্ষিক বিনিময় ধীরে ধীরে স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে (Direct Flights)।

    প্রসঙ্গত, এশিয়া মহাদেশের এই দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট পরিষেবা চার বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে। তার জেরে মার খাচ্ছে ব্যবসা, পর্যটন ও অ্যাকাডেমিক বিনিময় কার্যকলাপ (India China Agreement)।

  • UNSC: চলতি মাসেই ভারত সফরে আসছেন তালিবান নেতৃত্বাধীন আফগান সরকারের বিদেশমন্ত্রী

    UNSC: চলতি মাসেই ভারত সফরে আসছেন তালিবান নেতৃত্বাধীন আফগান সরকারের বিদেশমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের ৯ অক্টোবর সম্ভবত ভারত সফরে আসছেন তালিবান নেতৃত্বাধীন আফগানিস্তান (Afghanistan) সরকারের বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুতাক্কি। ২০২১ সালে আফগানিস্তানের রাশ যায় তালিবানদের হাতে। তার পর এই প্রথম হতে চলেছে নয়াদিল্লি ও কাবুলের মধ্যে প্রথম উচ্চপর্যায়ের ও মন্ত্রিস্তরের কূটনৈতিক সফর। আফগান বিদেশমন্ত্রীর এই সফরকে ভারত –আফগানিস্তান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের একটি বড় ধরনের পুনর্গঠন এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা কাঠামো ফের উন্নত করার ক্ষেত্রে একটি দ্রুত অগ্রগতি হিসেবেই বিবেচনা করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ (UNSC) আফগানিস্তানের বিদেশমন্ত্রীকে ৯ থেকে ১৬ অক্টোবরের মধ্যে নয়াদিল্লি সফরের ছাড়পত্র দিয়েছে। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আপনারা সবাই রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কমিটির দেওয়া সেই ছাড়পত্র দেখেছেন, যা আফগানিস্তানের বিদেশমন্ত্রীর ৯ থেকে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত নয়াদিল্লি সফরের অনুমতি দিয়েছে।”

    আফগানিস্তানের ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব (UNSC)

    রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বিশেষ ছাড় এবং তালিবান নেতাদের সফরে নিষেধাজ্ঞা সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করা, এই ঘটনাগুলি দ্রুত পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক ব্যবস্থায় আফগানিস্তানের ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্বকে স্পষ্টভাবে তুলে ধরে, বিশেষ করে ভারতের মতো প্রতিবেশী দেশগুলির জন্য। বাণিজ্য, যোগাযোগ ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা জোরদার করার ক্ষেত্রে আফগানিস্তান ভারতের কৌশলগত স্বার্থে নিঃসন্দেহে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

    ভারতের বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্য

    জয়সওয়াল বলেন, “আমরা আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। কিছুদিন আগে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও আফগান বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুতাক্কির মধ্যে যে টেলিফোনে কথোপকথন হয়েছিল, আপনারা সেটা জানেন।” এছাড়াও, আফগান পক্ষের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমাদের যৌথ সচিব পর্যায়েও আলোচনা হয়েছে। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি (Afghanistan) ভূমিকম্পের সময় আমরা কুনার প্রদেশে ত্রাণ সামগ্রী পাঠাতে পেরেছিলাম। পরবর্তীকালে চাবাহার হয়ে আরও ত্রাণসামগ্রী পাঠানো হয় (UNSC)।

    প্রসঙ্গত, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে বিদেশমন্ত্রী বিক্রম মিস্রি এবং অন্য শীর্ষ কর্তারা আফগানিস্তানের তাদের সমকক্ষদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা চালিয়ে আসছেন। তাঁরা দুবাইয়ের মতো নিরপেক্ষ স্থানে বৈঠক করেছেন। তবে আফগানিস্তানের প্রতিনিধিদের এই প্রথম ভারত সফর সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি নির্দেশ করছে বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের (UNSC)।

  • MEA On POJK Protests: ‘পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অশান্তি পাকিস্তানের দমনমূলক নীতির পরিণতি,’ প্রতিক্রিয়া ভারতের

    MEA On POJK Protests: ‘পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অশান্তি পাকিস্তানের দমনমূলক নীতির পরিণতি,’ প্রতিক্রিয়া ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে যে হিংসাত্মক বিক্ষোভ চলছে, তা পাকিস্তানের (Pakistan) দমন-পীড়ন নীতিরই পরিণতি। দাবি ভারতের (MEA On POJK Protests)। ওই অঞ্চলে পাকিস্তানের কার্যকলাপের কঠোর সমালোচনাও করেছে নয়াদিল্লি। পাক সরকারের ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য জবাবদিহির আহ্বানও জানিয়েছে ভারত সরকার।

    রণধীর জয়সওয়ালের বক্তব্য (MEA On POJK Protests)

    সাংবাদিক সম্মেলনে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আমরা পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্ষোভের খবর পেয়েছি, যেখানে পাকিস্তানি সেনা বাহিনী নিরীহ অসামরিক নাগরিকদের ওপর নৃশংস অত্যাচার করছে।” এর পরেই তিনি বলেন, “এই অশান্তি পাকিস্তানের দমনমূলক নীতির স্বাভাবিক পরিণতি।” তিনি বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, পাকিস্তানের দমনমূলক নীতি এবং এই অঞ্চলগুলির সম্পদের সুসংগঠিত লুটপাটের ফলেই এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এগুলি এখনও তারা জোরপূর্বক ও বেআইনিভাবে দখল করে রেখেছে। পাকিস্তানকে তার ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য জবাবদিহি করতে হবে।”

    পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে বিক্ষোভ

    জানা গিয়েছে, পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের একাধিক জেলায় যে বিক্ষোভ হয়েছে, সেখানে সাধারণ মানুষ অর্থনৈতিক সংকট, মৌলিক পরিষেবার অভাব এবং পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের শোষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, নিরাপত্তা বাহিনীর তরফে কঠোর (Pakistan) পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তার ফলেই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় বিভিন্ন গোষ্ঠীর তরফে পাক সরকারের ব্যাপক সমালোচনা করা হয়েছে (MEA On POJK Protests)। এহেন পরিস্থিতিতে ভারত ফের একবার জানিয়ে দিয়েছে, পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরসহ গোটা জম্মু-কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এদিকে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মুজাফ্‌ফরাবাদে হিংসাত্মক বিক্ষোভের কয়েক দিনের ঘটনায় নিহতদের শেষযাত্রায় শুক্রবার হাজার হাজার মানুষ যোগ দিয়েছিলেন। ভাইরাল হওয়া বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে, বিপুল সংখ্যক মানুষ জানাজা ও সমাধির শোভাযাত্রায় অংশ নিতে জড়ো হয়েছেন।

    অব্যাহত বিক্ষোভ

    শুক্রবার পঞ্চম দিনেও অব্যাহত ছিল পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের বিক্ষোভ। এলাকায় এই আন্দোলন ব্যাপক আকার ধারণ করে যখন পাক বাহিনীর গুলিতে তিন তরুণ নিহত হন। মুজাফ্‌ফরাবাদে তাঁদের শেষযাত্রায় হাজারো মানুষের অংশগ্রহণ জনরোষে আরও ইন্ধন জোগায়। জম্মু-কাশ্মীর যৌথ আওয়ামি অ্যাকশন কমিটির নেতৃত্বে এই বিক্ষোভ একটি ৩৮ দফা দাবিসনদকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে (Pakistan)। এর মধ্যে রয়েছে রাজনৈতিক সংস্কার, ভর্তুকিযুক্ত গমের আটা সরবরাহ, বিদ্যুতের শুল্ক হ্রাস, বিনামূল্যে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা দান এবং সরকারি কর্মকর্তাদের বিশেষ সুবিধা বাতিলের দাবিও (MEA On POJK Protests)।

    পিটিআই পার্টির নেত্রীর দাবি

    এই আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে মুজাফফরাবাদ। সেই আন্দোলন ইতিমধ্যেই পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের একাধিক জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। দোকানপাট, বাজার ও পরিবহণ পরিষেবা বন্ধ থাকায় জীবনযাত্রা অচল হয়ে পড়েছে। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির নেত্রী সৈয়দা জাহরা শুক্রবার এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্টে বলেন, “কাশ্মীরের সুনামি আজ মুজাফফরাবাদকে আঘাত করবে।” তিনি একটি ভিডিও-ও শেয়ার করেন। তাতে বলা হয়েছিল যে পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের জনগণের ওপর চালানো ব্যাপক হিংসার একটি রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। তবুও জনগণ পিছিয়ে যায়নি। আরও উল্লেখ করা হয়েছিল যে শুক্রবারের নামাজের পর জনগণকে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়বে। ওই ভিডিও ক্লিপে এও উল্লেখ করা হয়েছে, পাক সরকারের বিরুদ্ধে পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের জনগণের মধ্যে সরকারের প্রতি ঘৃণা ক্রমেই বাড়ছে (MEA On POJK Protests)।

    উচ্চপর্যায়ের বৈঠক

    হিংসায় লাগাম টানতে পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের একটি অসামরিক জোটের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের সরকারি প্রতিনিধিদলের বৈঠক হয়। পাকিস্তানি সেনা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন নিহত হন। গুরুতর জখম হন বহু মানুষ। এর পর বৃহস্পতিবার ফের এই আলোচনা শুরু হয় বলে পাক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর (Pakistan)। ওই সূত্রেই জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ আট সদস্যের একটি কমিটি পাঠিয়েছেন। কমিটিতে রয়েছেন ফেডারেল মন্ত্রীরা আহসান ইকবাল, আমির মুকাম, সর্দার মুহাম্মদ ইউসূফ, রানা সানাউল্লাহ এবং তারিক ফজল চৌধুরি, পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতা রাজা পারভেজ আশরাফ ও কামার জামান কাইরা এবং প্রাক্তন পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের প্রেসিডেন্ট সর্দার মাসুদ খান। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী আনোয়ারুল হকও (MEA On POJK Protests)।

    অন্যদিকে, শোকসভায় সমবেত জনতার উদ্দেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জেকেজেএএসি-এর নেতা মির আন্দোলনের সাম্প্রতিক অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন। তিনি অঙ্গীকার করেন, প্রধান দাবিগুলি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলতে থাকবে। তিনি বলেন, “এসব বিষয়ে আলোচনায় বসার আগে ধিরকোট-সহ অন্যান্য এলাকায় নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীদের হত্যায় দায়ীদের অবিলম্বে গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে (MEA On POJK Protests)।”

  • Karnataka: নেতৃত্বের প্রশ্নে ফের অশান্তি শুরু কর্নাটক কংগ্রেসে

    Karnataka: নেতৃত্বের প্রশ্নে ফের অশান্তি শুরু কর্নাটক কংগ্রেসে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেতৃত্বের প্রশ্নে ফের অশান্তি শুরু হয়েছে কর্নাটক (Karnataka) কংগ্রেসে। মাত্র চার মাসের মধ্যে মাণ্ড্য জেলার এক প্রাক্তন সাংসদ ও তিনজন বর্তমান বিধায়ক-সহ দলের চার নেতাকে প্রকাশ্যে উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমারকে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সমর্থন করার জন্য নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

    নোটিশে অভিযোগ (Karnataka)

    দলের শৃঙ্খলা কমিটির পাঠানো ওই নোটিশে অভিযোগ করা হয়েছে যে, তাঁরা দলকে বিব্রত করেছেন এবং কংগ্রেসের হাইকমান্ডের নির্দেশের বিরুদ্ধে গিয়েছেন। প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাস থেকে প্রতি মাসেই অন্তত একজন বা দু’জন কংগ্রেস সাংসদ প্রকাশ্যে বলেছেন যে, সিদ্দারামাইয়ার বদলে শিবকুমারকে মুখ্যমন্ত্রী করা হোক, অথবা বছরের শেষের আগে তাঁকে সেই পদে উন্নীত করা হবে। এতে দলীয় ঐক্যে ফাটল চওড়া হয়েছে। যদিও সিদ্দারামাইয়া ও শিবকুমার নিজেরাই বারবার কোনও ক্ষমতা ভাগাভাগির চুক্তি থাকার কথা অস্বীকার করেছেন।

    শাস্তিমূলক ব্যবস্থার মুখে

    জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় যাঁরা শাস্তিমূলক ব্যবস্থার মুখে পড়েছেন, তাঁরা হলেন কুনিগালের বিধায়ক এইচডি রঙ্গনাথ এবং মাণ্ড্যর প্রাক্তন সাংসদ এলআর শিবরাম গৌড়া। এর আগেও মাত্র কয়েক মাস আগে চন্নাগিরির বিধায়ক শিবগঙ্গা ভি বাসবরাজ এবং রামনগরার বিধায়ক ইকবাল হুসেনকে একই ধরনের মন্তব্য করার জন্য নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। ১ জুলাই শিবকুমারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও রামনগরার কংগ্রেস বিধায়ক ইকবাল হুসেন প্রকাশ্যে বলেছিলেন, সিদ্দারামাইয়া ইতিমধ্যেই পাঁচ বছর এবং আরও আড়াই বছর – মোট সাড়ে সাত বছর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে যথেষ্ট সুযোগ পেয়েছেন। তিনি বলেন, “ডিকে শিবকুমার দলের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছেন এবং দলকে ১৪০টি আসন এনে দিয়েছেন। ২০২৮ সালে কংগ্রেসকে ফের ক্ষমতায় আনার জন্য তাঁকে একটা সুযোগ দেওয়া প্রয়োজন।” তিনি কবুল করেন, দলের হাইকমান্ড প্রকাশ্যে নেতৃত্ব পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা না করার নির্দেশ দিলেও তিনি এই মতামত কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রণদীপ সিং সুরজেওয়ালাকে জানিয়েছেন (Karnataka)।

    বাসবরাজের ভবিষ্যদ্বাণী

    বাসবরাজ এবারই প্রথম বিধায়ক হয়েছেন। অগাস্ট মাসে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে ডিসেম্বরের মধ্যে ক্ষমতা হস্তান্তর হতে যাচ্ছে এবং শিবকুমার মুখ্যমন্ত্রী হবেন। তাঁর এই মন্তব্য শিবকুমার সঙ্গে সঙ্গেই খারিজ করে দেন। যাঁরা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে এই ধরনের মন্তব্য করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জানা গিয়েছে, রঙ্গনাথ শিবকুমারকে তাঁর রাজনৈতিক গুরু বলে উল্লেখ করেন এবং ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের জয়ের কৃতিত্ব দেন তাঁকেই। তিনি শিবকুমারকে উদীয়মান তারকা এবং সারা ভারতের নেতা বলেও অভিহিত করেন। তিনি বলেন, একদিন তিনি মুখ্যমন্ত্রী হবেন। তিনি এই পদে বসার যোগ্য।

    কোন্দল ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা

    সিদ্দারামাইয়া ও শিবকুমার দুজনেই এই অভ্যন্তরীণ কোন্দল ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। সংবাদমাধ্যমে কথা বলতে গিয়ে শিবকুমার বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর পদ ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনার কোনও প্রয়োজন নেই। মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এবং আমি একসঙ্গে কাজ করছি। আমরা হাইকমান্ডের নির্দেশ মেনে চলছি।” তিনি আরও জানান, তিনি কর্নাটক প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির কার্যনির্বাহী সভাপতি জিসি চন্দ্রশেখরকে এই বিষয়ে মন্তব্য করা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, “বিজেপি যা বলছে, তার প্রতি আমাদের কোনও প্রতিক্রিয়া জানানোর প্রয়োজন নেই (Karnataka)।” মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াও বারবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে তিনি তাঁর পাঁচ বছরের মেয়াদ সম্পূর্ণ করবেন। মাঝপথে পদত্যাগের কোনও প্রশ্নই নেই। দশেরা উদ্‌যাপনের সময়ও তিনি ফের বলেছিলেন, “কংগ্রেস সরকার ব্যক্তিগত অনুমানের ভিত্তিতে নয়, বরং দলের হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরিচালিত হবে।”

    দলীয় দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

    এই প্রথম নয় যে কর্নাটক কংগ্রেসের দলীয় দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এসেছে। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, জাতিগত সমীক্ষা রিপোর্টকে ঘিরে দলটির মধ্যে বড় ধরনের বিভাজন তৈরি হয়েছিল। ওই সমীক্ষায় কর্নাটকের জাতি অনুযায়ী প্রকৃত জনসংখ্যার তথ্য প্রকাশ পায়, যা লিঙ্গায়ত, ভোক্কালিগা এবং কিছু মুসলিম গোষ্ঠীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। তারা আশঙ্কা করেছিল, এই তথ্য রাজ্যের সংরক্ষণ রাজনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে (Karnataka)।

    সিদ্দারামাইয়া ও শিবকুমারের ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজন কংগ্রেস নেতা প্রকাশ্যে এই সমীক্ষার ফল এবং এর রাজনৈতিক প্রভাব নিয়ে তর্কেও জড়িয়ে পড়েছিলেন। এই ঘটনাটি দেখিয়ে দিয়েছিল যে জাতি, সম্প্রদায় ও নেতৃত্বের আকাঙ্ক্ষার ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রে কংগ্রেস কতটা বিভক্ত। এখন মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে সর্বশেষ অভ্যন্তরীণ বিবাদের প্রেক্ষিতে দলটি আবারও ঐক্য ও শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে, যখন দলটি সরকারে একটি স্থিতিশীল ভাবমূর্তি তুলে ধরার চেষ্টা করছে, সেই সময় (Karnataka)।

  • Ladakh: বিশ্বের সর্বোচ্চ মোটরচালিত সড়ক নির্মাণে নিজেরই গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড ভেঙে ইতিহাস তৈরি করল বিআরও

    Ladakh: বিশ্বের সর্বোচ্চ মোটরচালিত সড়ক নির্মাণে নিজেরই গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড ভেঙে ইতিহাস তৈরি করল বিআরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশনের (বিআরও) ‘প্রজেক্ট হিমাংক’ আবারও ইতিহাস সৃষ্টি করল। বিশ্বের সর্বোচ্চ মোটরচালিত সড়ক নির্মাণে নিজেরই গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড (Guinness World Record) ভেঙে তৈরি করেছে এই ইতিহাস (Ladakh)। সংস্থার বিবৃতি অনুযায়ী, লেহ জেলার লিকারু-মিগ লা-ফুকচে সড়কপথে ১৯ হাজার ৪০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত মিগ লা পাসে সফলভাবে পৌঁছেছে বিআরওর দল, যা এর আগে উমলিং লা-এ থাকা ১৯ হাজার ০২৪ ফুটের রেকর্ড ছাড়িয়ে গিয়েছে।

    মিগ লা পাসে উড়ল তিরঙ্গা (Ladakh)

    উল্লেখ্য, স্থানীয় লাদাখি ভাষায় ‘লা’ শব্দের অর্থ ‘পাহাড়ি গিরিপথ’। লাদাখের প্রেক্ষাপটে “লা” শব্দটি তিব্বতি ভাষা থেকে এসেছে, যা স্থানীয় লাদাখিদের মধ্যে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। “লাদাখ” নামটিও এসেছে এই “লা” (গিরিপথ) এবং “দাখ” (দেশ বা ভূমি)-এর সংমিশ্রণ থেকে, যার অর্থ দাঁড়ায় “উচ্চ গিরিপথের দেশ”। এই ঐতিহাসিক সাফল্যের খবর এল বুধবার, যখন প্রজেক্ট হিমাংকের চিফ ইঞ্জিনিয়ার ব্রিগেডিয়ার বিশাল শ্রীবাস্তবের নেতৃত্বাধীন বিআরও দল মিগ লা পাসে পৌঁছে জাতীয় পতাকা এবং বিআরওর পতাকা উত্তোলন করেন।

    কৌশলগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ

    লিকারু থেকে মিগ লা পাস হয়ে ফুকচে গ্রাম পর্যন্ত এই সংযোগ কৌশলগত ও পরিকাঠামোগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি হানলে সেক্টর থেকে ইন্দো-চিন সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত ফুকচে সীমান্ত গ্রাম পর্যন্ত তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ সড়কপথ হিসেবে কাজ করবে (Ladakh)। উল্লেখ্য, হানলে এমন একটি জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক গবেষণাগার যেখানে নানান বৈজ্ঞানিক গবেষণা পরিচালিত হয়। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন কিছুদিন আগে এটি পরিদর্শন করেছিলেন।

    বিআরও বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতগিরিপথগুলির মধ্যে বেশ কয়েকটিকে সংযুক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বিশ্বের ১৪টি সর্বোচ্চ মোটরচালিত গিরিপথের মধ্যে ১১টিই তাদের দ্বারা নির্মিত হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

    কৌশলগত গুরুত্বের বাইরে মিগ লা গিরিপথ লাদাখের পর্যটনে বড় ধরনের উন্নতি সাধন করবে বলেই আশা কর্তৃপক্ষের। বিআরও জানিয়েছে, সিন্ধু উপত্যকার মনোমুগ্ধকর দৃশ্যপট ও পাস পর্যন্ত রোমাঞ্চকর যাত্রা ভ্রমণপিপাসুদের জন্য অনন্য এক অভিজ্ঞতার প্রতিশ্রুতি দেয়। যদিও এই পথ ভ্রমণকারীদের জন্য ভয়াবহ (Guinness World Record) চ্যালেঞ্জও সৃষ্টি করে। এটি একইসঙ্গে অতুলনীয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও দুঃসাহসিক অভিযানের অভিজ্ঞতা দেয় (Ladakh)।

  • Pakistan Police: পাক অধিকৃত কাশ্মীরে হিংসার প্রতিবাদ করায় ইসলামাবাদে সাংবাদিকদের ওপর হামলা পুলিশের, নিন্দার ঝড়

    Pakistan Police: পাক অধিকৃত কাশ্মীরে হিংসার প্রতিবাদ করায় ইসলামাবাদে সাংবাদিকদের ওপর হামলা পুলিশের, নিন্দার ঝড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় প্রেস ক্লাবে হানা দিয়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালাল ইসলামাবাদ পুলিশ (Pakistan Police)। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে হিংসার জেরে বন্ধ ইন্টারনেট। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগেও তপ্ত পাকিস্তান। এহেন আবহে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দার ঝড় বিশ্বজুড়ে।

    সাংবাদিকদের ওপর পুলিশের হামলা (Pakistan Police)

    পাক সংবাদমাধ্যমের খবর, রাজধানী ইসলামাবাদের কেন্দ্রে অবস্থিত এই প্রেস ক্লাবে কাশ্মীরি সাংবাদিকদের গ্রেফতারের উদ্দেশ্যে পুলিশ অভিযান চালায়। ওই সাংবাদিকরা আজাদ জম্মু ও কাশ্মীর জয়েন্ট আওয়ামি অ্যাকশন কমিটির (JAAC) ডাকা প্রতিবাদ কর্মসূচি কভার করছিলেন। এই জেএএসি-ই শাহবাজ শরিফ সরকারের বিরুদ্ধে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে প্রতিবাদের ডাক দিয়েছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, লাঠি হাতে পুলিশ কর্মীরা প্রেস ক্লাবের ক্যাফেটেরিয়ার ভেতরে প্রবেশ করছে এবং সেখানে বসা লোকজনের ওপর হামলা চালাচ্ছে। আরও কিছু ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, কয়েকজন পুলিশকর্মী কিছু প্রতিবাদকারীকে বাইরে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে।

    কী বলছেন সাংবাদিকরা

    আর একটি ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা গিয়েছে, এক সাংবাদিক এক হাতে তাঁর ক্যামেরা ধরে রয়েছেন। আর অন্য হাতে একজন পুলিশ কর্মকর্তার আঁকড়ে ধরা কলার থেকে নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করে চলেছেন (Pakistan Police)। এশিয়া ওয়ান টিভি চ্যানেলে কর্মরত সাংবাদিক আনাস মালিক সংবাদপত্রকে জানান, পুলিশ ক্লাবে এসেছিল কাশ্মীর থেকে আসা সেই সাংবাদিকদের গ্রেফতার করতে, যারা জেএএসির প্রতিবাদের ডাক কভার করছিলেন। তিনি বলেন, “পুলিশ কর্মীরা গুণ্ডাদের মতো আচরণ করছিল।”

    আর এক সাংবাদিক হামিদ মির জানান, পুলিশ জেএএসি সদস্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছিল এবং ক্যাফেটেরিয়ায় উপস্থিত সাংবাদিকদের টার্গেটে পরিণত করেছিল। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার এই অভিযান চালানো হয় যখন পাক অধিকৃত থেকে আসা লোকজন প্রেস ক্লাবের বাইরে ওই নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। সাংবাদিকদের ওপর বলপ্রয়োগের নিন্দা করে ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়েছে পাকিস্তান হিউম্যান রাইটস কমিশন (এইচআরসিপি)।

    পুলিশি অভিযানের ঘটনায় পাকিস্তান জুড়ে তীব্র নিন্দা শুরু হওয়ার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নকভি ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেন। সরকারের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে নকভি জানান, তিনি এই দুঃখজনক ঘটনার বিষয়ে অবগত হয়েছেন এবং ইসলামাবাদের ইনসপেক্টর জেনারেল অফ পুলিশের কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন (Pakistan Police)।

  • TMC: ক্রমেই কমছে লগ্নি, খাদের কিনারে চলে যাচ্ছে বাংলার অর্থনীতি

    TMC: ক্রমেই কমছে লগ্নি, খাদের কিনারে চলে যাচ্ছে বাংলার অর্থনীতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফি বছর রাজ্যে ঘটা করে হচ্ছে শিল্প সম্মেলন। বিরোধীদের মতে, আদতে যা হচ্ছে, তা হল শিল্পপতিদের (Industrial Incentives) নিয়ে সরকারি অর্থে ‘মোচ্ছব’। কারণ নিয়ম করে শিল্প সম্মেলন হলেও, এ রাজ্যে উল্লেখযোগ্য শিল্প একটাও হয়নি বলে (TMC) অভিযোগ বিরোধীদের। এর কারণ হল গত তিন দশকে প্রদত্ত সব ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইনসেনটিভ বাতিল করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। বিতর্কিত আইনটি হল “ওয়েস্ট বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইনসেনটিভ স্কিমস অ্যান্ড অবলিগেশনস ইন দ্য নেচার অফ গ্র্যান্টস অ্যান্ড ইনসেনটিভস বিল, ২০২৫”।

    ব্যাপক সমালোচনা (TMC)

    চলতি বছরের ২ এপ্রিল এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিও জারি হয়। এর ফলে ১৯৯৩ সাল থেকে প্রতিশ্রুত সমস্ত সুবিধাই কার্যত প্রত্যাহার করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এহেন সিদ্ধান্ত জন্ম দিয়েছে ব্যাপক সমালোচনার। কারণ এটি বিনিয়োগকারীদের আস্থা নষ্ট করছে, রাজ্যের অর্থনীতিকে বিপদের মুখে ফেলছে এবং সর্বোপরি, মূলধনের প্রতি বৈরী মনোভাব তৈরির ইঙ্গিত দিচ্ছে। কর্পোরেট জায়ান্ট ডালমিয়া ও বিড়লা গ্রুপের অনুমান, তাদের সম্মিলিত ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৪৩০ কোটি টাকা। অন্য অসংখ্য প্রতিষ্ঠান এখনও পর্যন্ত আর্থিক ক্ষতির হিসেব করে উঠতে পারেনি। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি বড় সংস্থা কলকাতা হাইকোর্টে এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করেছে। তারা একে অসাংবিধানিক ও স্বেচ্ছাচারী আখ্যা দিয়েছে।

    শিল্প-বিরোধী টানাপোড়েনের শেকড়

    পশ্চিমবঙ্গের শিল্প-বিরোধী টানাপোড়েনের শেকড় বহু পুরনো। ৩৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে কমিউনিস্ট পার্টির শাসনকালে শিল্পপতিদের সন্দেহের চোখে দেখা হত। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু একবার পুঁজিপতিদের শ্রেণিশত্রু বলে উল্লেখ করেছিলেন। সেই মনোভাব প্রতিফলিত হত তাদের নীতিনির্ধারণে, যা প্রায়ই বেসরকারি উদ্যোগকে লগ্নি করতে নিরুৎসাহিত করত (TMC)। ধর্মঘট, শ্রমিক সংগঠনের হিংসা এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনার জেরে সিংহানিয়া ও বিড়লা পরিবারের মতো বড় ব্যবসায়ীরা অন্য রাজ্যে স্থানান্তরিত করতে বাধ্য হন তাঁদের ব্যবসা। বস্তুত, তার ফলেই পশ্চিমবঙ্গে শিল্পের অবনতি (Industrial Incentives) ঘটে।

    তৃণমূলের আমলেও রাজ্যে হা-শিল্প দশা

    ২০১১ সালে বামেদের হটিয়ে রাজ্যের ক্ষমতায় আসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস। তার পরেও ঘোচেনি রাজ্যের হা-শিল্প দশা। অথচ তৃণমূলের উত্থানই ঘটেছিল শিল্প প্রকল্পগুলির বিরুদ্ধে আন্দোলনের মাধ্যমে, বিশেষ করে সিঙ্গুরে টাটা মোটরসের বিরুদ্ধে, যার ফলে কোম্পানিটি রাজ্যের বাইরে স্থানান্তরিত করে করে নেয় তাদের কারখানা। বাংলা থেকে পাততাড়ি গুটিয়ে তারা চলে যায় গুজরাটের সানন্দে। কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১১ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৬ হাজার ৬০০-এর বেশি কোম্পানি, যার মধ্যে ১১০টি তালিকাভুক্ত সংস্থা রয়েছে, তাদের ব্যবসা গুটিয়েছে এ রাজ্য থেকে। তৃণমূল সরকারের শাসনকালে বাংলায় মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো পড়েছে আইনশৃঙ্খলার সমস্যা, অনুপ্রবেশ এবং ক্রমবর্ধমান সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা। এসবের কারণে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভীষণভাবে (TMC)। অর্থনৈতিক তত্ত্ব ইনসেনটিভকে প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করার হাতিয়ার হিসেবে গুরুত্ব দেয়, বিশেষত সেই সব খাতে যেখানে বাজারের ব্যর্থতা রয়েছে। নেতিবাচক প্রভাব যেমন শ্রমিক অসন্তোষ, প্রতিকূল সামাজিক অবস্থা এবং দুর্বল আইনশৃঙ্খলা বিনিয়োগ আকর্ষণে সরকারি সাহায্যের প্রয়োজনীয়তা দাবি করে। কেইনসীয় অর্থনীতি অর্থনৈতিক মন্দার সময় সক্রিয় সরকারি হস্তক্ষেপকে সমর্থন করে এবং পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ায় রাজস্ব ইনসেনটিভের গুরুত্বকে তুলে ধরে।

    পশ্চিমবঙ্গের অর্থনৈতিক হাল

    পশ্চিমবঙ্গের অর্থনৈতিক সূচকগুলি একটি অনিশ্চিত আর্থিক পরিস্থিতি প্রকাশ করছে। জানা গিয়েছে, আর্থিক ঘাটতি রাজ্যের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের (GSDP) ৩৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ১৯৬০ সালে ভারতের জিডিপিতে পশ্চিমবঙ্গের অবদান ছিল ১০ শতাংশেরও বেশি। আজ তা কমে হয়েছে ৫ শতাংশ। মাথাপিছু আয় জাতীয় গড়ের মাত্র ৮৩.৭ শতাংশ, যা প্রতিবেশী রাজ্যগুলির তুলনায় ঢের পিছিয়ে। দারিদ্র্যের হার এখনও উচ্চ, এবং আইন-শৃঙ্খলার চ্যালেঞ্জগুলি ক্রমশ বেড়েই চলেছে (TMC)। নয়া ওই আইনের জেরে আরও অনেক শিল্পপতি রাজ্য ছেড়ে চলে যেতে পারেন। যার ফলে বেকারত্ব বাড়বে এবং জনকল্যাণমূলক ব্যবস্থার ওপর বাড়তি চাপ পড়বে। সাধারণ মানুষ, যাঁদের জীবিকা ও কর্মসংস্থান শিল্পোন্নয়নের ওপর নির্ভরশীল, তাঁরা নীতিগত ব্যর্থতার প্রধান শিকার হয়ে উঠবেন (Industrial Incentives)।

    কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাতমূলক আচরণ

    পশ্চিমবঙ্গ বারবার কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাতমূলক আচরণ করেছে। মমতার সরকার সরে এসেছে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প থেকে। সিবিআইয়ের নজরদারি সীমিত করা এবং প্রশাসনিক নিয়োগ নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে নানা সময় রাজ্য সরকারের বিরোধে জড়ানোও এর উদাহরণ। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলির অবস্থা বেহাল। এ রাজ্যে প্রতি এক লাখ মানুষের জন্য মাত্র ৯৭.৬৬ জন পুলিশ কর্মী রয়েছেন। এটি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে নিরাপত্তা ও বিনিয়োগ উভয় ক্ষেত্রেই। সাম্প্রদায়িক হিংসা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা বিনিয়োগকারীদের আস্থায় আরও চিড় ধরিয়েছে। তার জেরে বাংলায় এমন এক পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে, যেখানে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে প্রতি পদে (TMC)।

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, দ্রুত পরিবর্তনশীল ভারতীয় অর্থনীতির প্রেক্ষাপটে, পশ্চিমবঙ্গ ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে। যার জেরে রাজ্যটি চলে যাচ্ছে অর্থনৈতিক খাদের কিনারায়। রাজ্যবাসীকে যুঝতে হচ্ছে নীতি-অব্যবস্থাপনা, অবিশ্বাস ও শিল্পপতিদের পাততাড়ি গুটিয়ে রাজ্য ছেড়ে পালানোর পরিণতির সঙ্গে।

  • Sonam Wangchuk: লেহ্-তে হিংসায় উসকানি দিয়েছিলেন সমাজকর্মী সোনম ওয়াংচুক, বলল কেন্দ্র

    Sonam Wangchuk: লেহ্-তে হিংসায় উসকানি দিয়েছিলেন সমাজকর্মী সোনম ওয়াংচুক, বলল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘বুধবার লেহ্-তে যে হিংসাত্মক (Leh Violence) ঘটনা ঘটেছিল, তা উসকে দিয়েছিলেন সমাজকর্মী সোনম ওয়াংচুক (Sonam Wangchuk)।’ এ কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এদিন হিংসায় আগুন লাগানো হয়েছে বিজেপির পার্টি অফিসে। পোড়ানো হয়েছে সিআরপিএফের গাড়ি। ভাঙচুর করা হয়েছে সরকারি সম্পত্তি। বুধবার সন্ধ্যার পরে জারি করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রক জানিয়েছে, ওয়াংচুক হিংসা উসকে দেন। যদিও তাঁর দাবিগুলি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন কমিটির সঙ্গে যে আলোচনা চলছে, তার অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বিবৃতি (Sonam Wangchuk)

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “যেসব দাবির ভিত্তিতে ওয়াংচুক অনশন করেছিলেন, সেগুলি ইতিমধ্যেই এইচপিসি আলোচনার অংশ। বহু নেতা তাঁকে অনশন ভাঙার আহ্বান জানালেও তিনি অনশন চালিয়ে যান এবং আরব বসন্তধর্মী আন্দোলনের উল্লেখ ও নেপালে জেন জি প্রতিবাদের উদাহরণ টেনে জনগণকে বিভ্রান্ত করেন।” বিবৃতিতে এও বলা হয়েছে, “২৪ সেপ্টেম্বর সকাল প্রায় সাড়ে ১১টা নাগাদ তাঁর উসকানিমূলক বক্তব্যে প্ররোচিত হয়ে একদল লোক অনশন মঞ্চ থেকে বেরিয়ে এসে একটি রাজনৈতিক দলের কার্যালয় এবং লেহ্-এর সিইসি-র সরকারি কার্যালয়ে হামলা চালায়। তারা এই অফিসগুলিতে আগুন ধরিয়ে দেয়, নিরাপত্তা কর্মীদের আক্রমণ করে এবং পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগায়। উন্মত্ত জনতা পুলিশের ওপর হামলা চালায়, যাতে ৩০ জনেরও বেশি পুলিশ এবং সিআরপিএফ কর্মী জখম হন। জনতা সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করতে থাকে এবং পুলিশকে আক্রমণ করতে থাকে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশকে গুলি চালাতে হয়, যাতে দুর্ভাগ্যবশত হতাহতের ঘটনা ঘটে।”

    উসকানিমূলক বক্তব্য

    মন্ত্রক জানিয়েছে, বিকেল ৪টের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। বিবৃতিতে ফের উল্লেখ করা হয়, “এটি পরিষ্কার যে, শ্রী সোনম ওয়াংচুক তাঁর উসকানিমূলক বক্তব্যের মাধ্যমে জনতাকে হিংসায় প্ররোচিত করেছিলেন (Sonam Wangchuk)।” বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই হিংসার ঘটনার মধ্যেই সোনাম ওয়াংচুক অনশন ভঙ্গ করেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার কোনও চেষ্টা না করেই অ্যাম্বুলেন্সে করে নিজের গ্রামে ফিরে যান তিনি (Leh Violence)। মন্ত্রক আরও জানিয়েছে, “এটি সুপরিচিত যে ভারতের সরকার একই বিষয়ে লেহ্ এপেক্স বডি এবং কারগিল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্সের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে আলোচনা চালিয়ে আসছে। এ সংক্রান্ত একাধিক বৈঠক হয়েছে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন কমিটির আনুষ্ঠানিক চ্যানেল এবং উপকমিটির মাধ্যমে, এছাড়াও নেতাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠকও হয়েছে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অসাধারণ ফল পাওয়া গিয়েছে। লাদাখের তফশিলি উপজাতিদের জন্য সংরক্ষণ ৪৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৮৪ শতাংশ করা হয়েছে। কাউন্সিলগুলিতে মহিলাদের জন্য এক-তৃতীয়াংশ আসন সংরক্ষণ করা হয়েছে। ভুটি ও পুরগি ভাষাকে সরকারি ভাষা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। একই প্রক্রিয়ায় ১৮০০ পদে নিয়োগের কার্যক্রমও শুরু হয়েছে (Sonam Wangchuk)।”

    বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “তবে কিছু রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ব্যক্তি এইচপিসির অধীনে হওয়া অগ্রগতিতে সন্তুষ্ট নয় এবং তারা আলোচনার প্রক্রিয়া ব্যাহত করার চেষ্টা করছে।” মন্ত্রক জানিয়েছে, উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন কমিটির পরবর্তী বৈঠক ৬ অক্টোবর নির্ধারিত হয়েছে। ২৫ ও ২৬ সেপ্টেম্বর লাদাখের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পরিকল্পনা করা হয়েছে (Leh Violence)।

LinkedIn
Share