Author: pranabjyoti

  • Waqf Act: “ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে কচুকাটা করা হয়েছিল,” মুর্শিদাবাদের হাড়হিম করা ঘটনা

    Waqf Act: “ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে কচুকাটা করা হয়েছিল,” মুর্শিদাবাদের হাড়হিম করা ঘটনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে কচুকাটা করা হয়েছিল।” মুর্শিদাবাদের ঘটনার নৃশংসতা বোঝাতে (Waqf Act) গিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের (NCW Member) সদস্য অর্চনা মজুমদার। শনিবার তিনি হিংসা কবলিত এলাকার মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে কথা বলেন সাংবাদিকদের সঙ্গে। সেখানে মুর্শিদাবাদের হিংস্রতাকে ভয়াবহ ও অগ্রহণযোগ্য বলে অভিহিত করেন তিনি। এই ঘটনার দায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ওপর বর্তায় বলেও মন্তব্য করেন অর্চনা।

    মুর্শিদাবাদের হিংস্রতা (Waqf Act)

    তিনি বলেন, “কোনও মহিলা স্বামী হারিয়েছেন, কেউ হারিয়েছেন পুত্রকে।” এর পরেই তিনি বলেন, “লোকগুলোকে বাড়ি থেকে টেনে-হিঁচড়ে বের করে এনে হত্যা করা হয়েছে। এটা ভয়াবহ। পশ্চিমবঙ্গে এর আগে এমন ঘটনা ঘটেছে কিনা, আমি জানি না। আমরা এই প্রথম এ সব দেখলাম। এটা মেনে নেওয়া যায় না। এই ঘটনার দায় নিতে হবে রাজ্য সরকারকেই।”

    জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি দল

    শনিবার সকালে জাতীয় মহিলা কমিশনের এক প্রতিনিধি দল যার নেতৃত্বে ছিলেন কমিশনের চেয়ারপার্সন বিজয়া রহাতকর, হিংসা কবলিত মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, কেন্দ্রের কাছে এ ব্যাপারে রিপোর্ট দেওয়া হবে। তিনি বলেন, “কমিশন জনগণের দাবিগুলি সরকারের কাছে পেশ করবে। এই মানুষগুলো যে কষ্ট ভোগ করে চলেছেন, তা অমানবিক। আমরা সরকারের কাছে তাদের দাবিগুলো তুলে ধরব।”

    প্রসঙ্গত, তিনদিনের বাংলা সফরে এসেছে জাতীয় মহিলা কমিশনের দল (Waqf Act)। দলের সদস্যরা ঘুরে দেখেছেন পশ্চিমবঙ্গের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা, মালদা এবং মুর্শিদাবাদ। জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বলেন, “সাম্প্রদায়িক অশান্তিতে আতঙ্কিত নারীদের মনোবল বাড়ানোই আমার এই সফরের উদ্দেশ্য।”

    গত ১১ এপ্রিল সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভের জেরে অশান্ত হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদের একাংশ। সূতি, সামশেরগঞ্জে হিংসা ধারণ করে ভয়াবহ আকার। ওই ঘটনায় দুই হিন্দু প্রতিমা শিল্পীকে ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে নৃশংসভাবে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। উন্মত্ত মৌলবাদীদের হিংসায় জখমও হন বেশ কয়েকজন হিন্দু। বেছে বেছে ভাঙচুর করা হয় হিন্দুদের ঘরবাড়ি (NCW Member)। প্রাণভয়ে রাতের অন্ধকারে নদী পার হয়ে মালদায় আশ্রয় নেন আতঙ্কিত হিন্দু জনতা (Waqf Act)।

  • Mithun Chakraborty: পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি জানালেন বিজেপির তারকা নেতা মিঠুন

    Mithun Chakraborty: পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি জানালেন বিজেপির তারকা নেতা মিঠুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি জানালেন বিজেপির তারকা নেতা মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। অসমের শিলচরে সাংবাদিক (West Bengal) বৈঠকে এমনই দাবি করলেন বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। সংশোধিত ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে হিংসার ঘটনায় বিধ্বস্ত মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন এলাকা। সেই প্রসঙ্গেই এমন মন্তব্য করেন মিঠুন।

    ওয়াকফ বিলের সঙ্গে এদের কী লেনাদেনা? (Mithun Chakraborty)

    বিজেপির এই তারকা নেতা বলেন, “খুবই দুঃখের ব্যাপার। এখনও বুঝতে পারছি না, কেন বাঙালি পরিবারগুলির ওপর অত্যাচার করা হল। ওয়াকফ বিলের সঙ্গে এদের কী লেনাদেনা?” মিঠুন বলেন, “তাঁরা (হামলার শিকার যাঁরা) এখন রাস্তায়। ত্রাণশিবিরে খিচুড়ি খাচ্ছেন। এটা খুবই দুঃখের। ওঁদের বাড়িঘর হয়তো ছোট কুঠি, কিন্তু সেটাই ওঁদের কাছে মহল। এখন সেখান থেকে তাঁরা ত্রাণশিবিরে গিয়ে খিচুড়ি খাচ্ছেন। খুব খারাপ অবস্থা। এরকমটাই যদি চলতে থাকে, তাহলে আমি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির আবেদন জানাব।” বিজেপির এই নেতা বলেন, “আর এটা যদি নাও হয়, তাহলে অন্তত নির্বাচনটা যেন সেনার নিরাপত্তায় হয়। তাহলে অন্তত সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হবে। আমরা মারামারি চাই না। আমাদের ভোট করতেই দেওয়া হয়নি।”

    আপনার পুলিশ কী করছিল?

    মুর্শিদাবাদে অশান্তির ঘটনায় বিএসএফের দিকে আঙুল তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ প্রসঙ্গে মিঠুন বলেন, “আপনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) বিএসএফকে দোষ দিচ্ছেন। মেনে নিলাম যে বিএসএফ ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু তারপর যে জমিটা রয়েছে, সেখানে তো পুলিশ রয়েছে। তাহলে আপনার পুলিশ কী করছিল? পুলিশ তো দেখেছে, তাহলে তখন তারা কী করেছে?”

    তৃণমূলে যোগ দেওয়া যে ভুল হয়েছিল, এদিন তাও স্বীকার করেন মিঠুন (Mithun Chakraborty)। বলেন, “ওটা আমার ভুল হয়েছিল। সেই সময় তৃণমূল কংগ্রেস অন্যরকম দল ছিল। তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্য এক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন। তিনি একজন ফাইটার ছিলেন। মানুষের ভালো করার ইচ্ছা ছিল তাঁর মধ্যে। গরিবদের পাশে দাঁড়ানোর ভাবনা (West Bengal) ছিল। আর আজকের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধুই ক্ষমতালোভী। যে কোনওভাবে ক্ষমতা চাই তাঁর (Mithun Chakraborty)।”

  • Kailash Mansarovar Yatra: গলেছে ভারত-চিন সম্পর্কের বরফ, ৫ বছর পর ফের শুরু হচ্ছে কৈলাশ-মানস যাত্রা

    Kailash Mansarovar Yatra: গলেছে ভারত-চিন সম্পর্কের বরফ, ৫ বছর পর ফের শুরু হচ্ছে কৈলাশ-মানস যাত্রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফি বছর হাজার হাজার ভক্তকে আকর্ষণ করে কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রা (Kailash Mansarovar Yatra)। গত পাঁচ বছর বন্ধ ছিল এই যাত্রা। এবার ফের চালু হতে চলেছে। শীঘ্রই জারি হবে নাম নথিভুক্তকরণের বিজ্ঞপ্তি (New Route)। এটি ভারত-চিন সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির ইঙ্গিত। কোভিড-১৯ অতিমারি এবং দুই দেশের মধ্যে সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধির কারণে ২০২০ সাল থেকে বন্ধ ছিল এই তীর্থ যাত্রা। এবারই ফের শুরু হচ্ছে যাত্রা। হিন্দু, বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মাবলম্বীদের কাছে সমানভাবে পবিত্র কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা। এই যাত্রাকে ঐতিহ্যগতভাবে আধ্যাত্মিক মুক্তি ও শুদ্ধির পথ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা হিমালয়ের দুর্বোধ্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে আন্তঃসাংস্কৃতিক সম্প্রীতির প্রতীকও।

    কৈলাশ মানস সরোবর যাত্রা (Kailash Mansarovar Yatra)

    ভারত ও চিনের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমিত হওয়ার ফলশ্রুতিতেই কৈলাশ মানস সরোবর যাত্রা ফের শুরু করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। গালওয়ান উপত্যকায় সহিংস সংঘর্ষের পর দুই দেশের সম্পর্ক প্রবল উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। ভারত ও চিনের মধ্যে কূটনৈতিক আলোচনার প্রেক্ষিতে পূর্ব লাদাখের ডেমচোক ও ডেপসাংয়ের মতো সংবেদনশীল অঞ্চলগুলিতে উল্লেখযোগ্যভাবে সৈন্য প্রত্যাহার করা হয়েছে। তার জেরে যাত্রা ফের চালুর অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। বিদেশমন্ত্রকের তরফে শীঘ্রই ফের যাত্রা শুরু সংক্রান্ত একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল প্রস্তুতির কথা স্বীকার করে বলেন, “আমরা শীঘ্রই এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করব। যাত্রা অচিরেই শুরু হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে (New Route)।”

    নয়া পথের সন্ধান

    কৈলাশ মানস সরোবর যাত্রা ফের শুরু করতে ভারত ও চিনের কর্তাদের মধ্যে আলোচনার পর নয়া পথের সন্ধান মিলেছে। সূত্রের খবর, লিপুলেখ পাসের ঐতিহ্যবাহী পথের পাশাপাশি ডেমচোক দিয়েও যাত্রাপথ বিবেচনা করা হতে পারে। তবে এটি চূড়ান্ত হবে আরও কিছু সমীক্ষার পর। দুই দেশের মধ্যে চলা আলোচনার প্রেক্ষাপটে যাত্রার নিরাপত্তা ও সুগমতা বাড়াতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটি  একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের (Kailash Mansarovar Yatra)।যদিও নতুন রুটগুলির নির্দিষ্ট বিবরণ এখনও প্রকাশ করা হয়নি। তবে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র পুণ্যার্থীদের এই বলে আশ্বস্ত করেছেন যে ২০২৫ সালে এই যাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। শীঘ্রই এ ব্যাপারে আরও তথ্য শেয়ার করা হবে। তিনি বলেন, “আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি, এবং শীঘ্রই জনসাধারণের জন্য আরও তথ্য প্রকাশ করা হবে।”

    যাত্রা বন্ধ ছিল পাঁচ বছর

    সাধারণত জুন থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে অনুষ্ঠিত কৈলাশ মানস সরোবর যাত্রা। লক্ষাধিক ভক্তের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় তীর্থযাত্রাগুলির মধ্যে একটি এই কৈলাশ মানস সরোবর যাত্রা। তবে, কোভিড-১৯ অতিমারি ও পরবর্তী কালে ভারত ও চিনের মধ্যে সীমান্তে উত্তেজনার কারণে এই যাত্রা ব্যাহত হয়েছে। উভয় দেশই এই উত্তেজনা কমানোর লক্ষ্যে কাজ করেছে। তারই প্রেক্ষিতে যাত্রা ফের শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে (Kailash Mansarovar Yatra)। ভারত ও চিন দুই দেশের সম্পর্কের এই অগ্রগতি দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭৫তম বার্ষিকীর সঙ্গেও মিলে যাচ্ছে। চলতি বছরের মার্চ মাসে উভয় দেশের শীর্ষ কর্তারা বেইজিংয়ে বৈঠক করে বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে অগ্রগতি মূল্যায়ন করেন, যার মধ্যে কৈলাশ মানস সরোবর যাত্রা পুনরায় শুরু করাও অন্তর্ভুক্ত ছিল (New Route)।

    গালওয়ান উপত্যকায় সংঘাত

    প্রসঙ্গত, গালওয়ান উপত্যকায় সংঘাতের পর কূটনৈতিক আলোচনার পাশাপাশি গত বছর নভেম্বর মাসে রিও ডি জেনিরোতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের সময়ও কৈলাশ মানস সরোবর যাত্রা নিয়ে আলোচনা হয় ভারত ও চিনের মধ্যে। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই যাত্রার ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলেন। তার পরেই তীর্থযাত্রা ফের শুরু করতে কূটনৈতিক আলাপ-আলোচনা আরও শক্তিশালী হয়। ২০২৫ সালের শুরুতেই ভারত ও চিনের বিদেশমন্ত্রকের কর্তারা কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা পুনরায় চালুর বিষয়ে চূড়ান্ত বিস্তারিত আলোচনা করেন। জানুয়ারি ২০২৫-এর আলোচনায় যাত্রা পুনরায় শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যা এই পবিত্র যাত্রায় অংশ নিতে আগ্রহী ভক্তদের জন্য একটি ইতিবাচক ফল নিয়ে আসে (Kailash Mansarovar Yatra)।

    কোন পথে যাত্রা

    এর আগে মূলত সিকিমের নাথু লা এবং উত্তরাখণ্ডের লিপুলেখ পাসের মাধ্যমে ভারত থেকে তিব্বতে প্রবেশ করতেন ভারতীয়রা। তারপর কড়া নিরাপত্তার বলয়ে তাঁদের কৈলাস-মানস পর্যন্ত নিয়ে যেত চিন প্রশাসন। উত্তরাখণ্ডের পথে এই যাত্রার তিনটি ভাগ রয়েছে। প্রথম ভাগে যেতে হয় পিথোরাগড় থেকে তাওয়াঘাট। দ্বিতীয় পর্যায়ে যাত্রা শুরু হয় তাওয়াঘাট থেকে। পৌঁছতে হয় ঘটিয়াবগড় (New Route)। এই ঘটিয়াবগড় থেকে চিন সীমান্ত লাগোয়া লিপুলেখ পাস পর্যন্ত রাস্তার দূরত্ব ৮০ কিলোমিটার। বর্তমানে এই রাস্তাটা গাড়িতেই পৌঁছে যাওয়া যায় (Kailash Mansarovar Yatra)।

  • PM Modi: আমন্ত্রণ স্বয়ং যুবরাজের,  ফের একবার সৌদি সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    PM Modi: আমন্ত্রণ স্বয়ং যুবরাজের,  ফের একবার সৌদি সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার সৌদি আরবে (Saudi Arabia) যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সৌদির প্রধানমন্ত্রী তথা সে দেশের যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সলমনের আমন্ত্রণে দু’দিনের সফরে সেখানে যাচ্ছেন তিনি। গত ১০ বছরে এই নিয়ে তৃতীয়বার সৌদিতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর ২০১৬ সালে মোদি প্রথম গিয়েছিলেন সৌদি আরবে। তারপর গিয়েছিলেন উনিশে। ফের যাচ্ছেন এবার। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতে এসেছিলেন সৌদির যুবরাজ। ওই সময়ই ভারত ও সৌদি আরবের স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ কাউন্সিলের প্রথম বৈঠক হয়েছিল। ওই বৈঠকের প্রায় দেড় বছর পরে প্রধানমন্ত্রী মোদির সৌদিযাত্রা এই সফরের গুরুত্বকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

    হজযাত্রা সংক্রান্ত জটিলতা কেটেছে (PM Modi)

    দিন কয়েক আগেই মক্কায় ভারতীয়দের হজযাত্রা সংক্রান্ত বিষয়ে জটিলতা কেটেছে। হজযাত্রীদের ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে সম্প্রতি বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে সৌদি প্রশাসন। যদিও গত সপ্তাহেই তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আরও ১০ হাজার ভারতীয় হজযাত্রায় যেতে পারবেন। গত মঙ্গলবার কেন্দ্রের সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রক জানিয়েছে, তারা বিষয়টি নিয়ে সৌদি আরবের সঙ্গে কথা বলেছে। এর পরেই হজ পোর্টাল খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি সরকার। এই আবহেই ভারতের বিদেশমন্ত্রক জানিয়ে দিল সৌদির যুবরাজের আমন্ত্রণে ২২-২৩ এপ্রিল সৌদি সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী।

    ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন ক্রাউন প্রিন্স স্বয়ং

    ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে জেড্ডা শহরে আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যর্থনা জানাবেন ক্রাউন প্রিন্স স্বয়ং। এই সফরে মোদি ও সালমান যৌথভাবে দ্বিতীয় কৌশলগত অংশীদারিত্ব পরিষদের বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন। ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি জানিয়েছেন, সৌদি আরব ভারতের এক কৌশলগত অংশীদারিত্ব। এই সফরের মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে। প্রসঙ্গত, ভারত ও সৌদির মধ্যে রাজনীতি, প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, জ্বালানি, প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও প্রবাসী ভারতীয়দের মাধ্যমে শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। মোদি ও সালমানের ব্যক্তিগত সম্পর্কও এই বন্ধনকে আরও গভীর করেছে (PM Modi)।

    ভারতে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল মুকুন্দ নারাভানে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে সৌদি সফরে গিয়েছিলেন। সেবার দ্বিপাক্ষিক নৌ-মহড়া আল মোহেদ আল হিন্দি অনুষ্ঠিত হয়। সৌদি নৌবাহিনীর প্রধান ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে প্রথমবার ভারতে আসেন। গত বছর প্রথমবার ভারত-সৌদি যৌথ (Saudi Arabia) স্থলবাহিনীর মহড়া এক্স-সাদা তানসিক-১ অনুষ্ঠিত হয় রাজস্থানে (PM Modi)।

  • Waqf Amendment Act 2025: সংশোধিত ওয়াকফ আইন লাগু হলে ২৫৬টি ঐতিহাসিক কাঠামোর মালিকানা বদল হতে পারে

    Waqf Amendment Act 2025: সংশোধিত ওয়াকফ আইন লাগু হলে ২৫৬টি ঐতিহাসিক কাঠামোর মালিকানা বদল হতে পারে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংশোধিত ওয়াকফ আইন কার্যকর (Waqf Amendment Act 2025) হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ২৫৬টি ঐতিহাসিক কাঠামোর মালিকানায় বদল ঘটতে পারে। এই সম্পত্তিগুলির অনেকগুলিই ইতিমধ্যেই ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের (এএসআইয়ের) (ASI) সুরক্ষায় রয়েছে। শীঘ্রই এগুলিকে আনুষ্ঠানিকভাবে এএসআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হতে পারে। আর যদি তা হয়, তাহলে বাতিল হয়ে যাবে ওয়াকফ বোর্ডগুলির দীর্ঘদিনের অবৈধ দাবি।

    মূল বিতর্কের কেন্দ্রে (Waqf Amendment Act 2025)

    মূল বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছে “ব্যবহারের মাধ্যমে ওয়াকফ” বিভাগে অন্তর্ভুক্ত সম্পত্তিগুলি, যেগুলি ঐতিহাসিকভাবে ধর্মীয় কাজে ব্যবহৃত হলেও ওয়াকফ সম্পত্তির প্রমাণপত্র নেই। সংশোধিত আইন অনুযায়ী, ওয়াকফ বোর্ডগুলিকে ছ’মাসের মধ্যে একটি কেন্দ্রীয় অনলাইন পোর্টালে বৈধ মালিকানার নথি আপলোড করতে হবে। সর্বোচ্চ আরও ছ’মাসের সময় বাড়তি দেওয়া হতে পারে। নির্দেশিকা মেনে না চললে আপনাআপনিভাবেই দাবি বাতিল হয়ে যাবে এবং ঐতিহ্য সুরক্ষা আইনের অধীনে তালিকাভুক্ত স্মৃতিসৌধগুলির ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ এএসআইয়ের হাতে ফিরে যাবে। বিতর্কিত কাঠামোগুলির মধ্যে রয়েছে দিল্লির পুরানো কেল্লা, অগ্রসেন কি বাওলি, হুমায়ূনের সমাধি এবং মোতি মসজিদ, রাজস্থানের আমের জামা মসজিদ, মহারাষ্ট্রের আওরঙ্গজেবের সমাধি, এবং প্রতাপগড় দুর্গও।

    প্রধান বিচারপতির মন্তব্য

    দিল্লির অগ্রসেন কি বাওলি এএসআইয়ের তালিকাভুক্ত একটি সুরক্ষিত স্থান। এর পশ্চিম পাশে একটি ছোট মসজিদ রয়েছে। এই মসজিদকে ভিত্তি করে ওয়াকফ বোর্ড সুরক্ষিত স্থানেরও মালিকানার দাবি করেছে। বিষয়টি সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়ালে আইনি জটিলতার সৃষ্টি হয়। কোর্ট আইনটি স্থগিত না করলেও কেন্দ্রকে সাত দিনের মধ্যে জবাব দাখিলের পরামর্শ দিয়েছে (Waqf Amendment Act 2025)। ভারতের প্রধান বিচারপতি (সিজেআই) মন্তব্য করেছেন যে, আরও নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সংশোধিত আইনের অধীনে নতুন কোনও নিয়োগ করা যাবে না। তবে আদালত স্পষ্ট করেছে যে বিদ্যমান ওয়াকফ রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হবে না এবং একতরফা পদক্ষেপ রোধ করতে বর্তমান অবস্থা বজায় রাখার আহ্বানও জানানো হয়েছে। আদালত আরও অনুরোধ করেছে যে আবেদনকারীরা যেন শুনানিকে সহজলভ্য করতে তাদের যুক্তির পরিধি পাঁচটি মূল ইস্যুতেই সীমাবদ্ধ রাখে।

    প্রসঙ্গত, ওয়াকফ বোর্ড এবং এএসআইয়ের মধ্যের এই দ্বন্দ্ব নতুন নয়। তাজমহলের মতো স্মারকগুলিকে ওয়াকফ সম্পত্তি হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করার প্রচেষ্টা নথিভিত্তিক প্রমাণের অভাবে ব্যর্থ হয়েছে (ASI)। ২০০৫ সালে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড তাজমহলকে ওয়াকফ সম্পত্তি ঘোষণা করেছিল। ২০১০ সালে সুপ্রিম কোর্ট এই দাবি খারিজ করে দেয়। প্রশ্ন তোলে, এর বিশ্বাসযোগ্যতা ও আইনি বৈধতা নিয়েও (Waqf Amendment Act 2025)।

  • UN Security Council: ভেটো ক্ষমতা সহ রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্য করা হোক ভারতকে, চাইছে কুয়েত-ফ্রান্স

    UN Security Council: ভেটো ক্ষমতা সহ রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্য করা হোক ভারতকে, চাইছে কুয়েত-ফ্রান্স

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতকে (India) ‘বিশ্ব মঞ্চে প্রধান খেলোয়াড়’ বলে অভিহিত করলেন রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত কুয়েতের স্থায়ী প্রতিনিধি এবং আন্তঃসরকার আলোচনার (আইজিএন) সহ-সভাপতি তারেক আলবানাই। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (UN Security Council) ভারতের স্থায়ী সদস্যপদ লাভের প্রতি সমর্থনও করেছেন তিনি। কাউন্সিলের সম্প্রসারণ হলে ভারতও একটি প্রতিযোগী হবে বলেও জানান তিনি।

    ভারতের পক্ষে সওয়াল কুয়েতের (UN Security Council)

    আলবানাইয়ের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কার নিশ্চিত করতে কী কী প্রয়োজন? তখনই তিনি বলেন, “গত বছর আমি আনন্দিত ছিলাম, কারণ আমি আমার বিশিষ্ট সহ-সভাপতি অ্যাক্সেল মার্চিকের সঙ্গে ভারত সফর করে সর্বোচ্চ পর্যায়ে আলোচনা করেছি। এই সংস্কার করা পরিষদের লক্ষ্য অবশ্যই প্রতিনিধিত্বমূলক হতে হবে এবং স্পষ্টতই, ভারত আজ বিশ্ব মঞ্চে একটি প্রধান খেলোয়াড়। কিন্তু এটি ১৯৩টি দেশের সদস্য, তাই না?” তিনি বলেন, “তাই নিশ্চিতভাবেই যদি কাউন্সিলের সম্প্রসারণ ২১ থেকে ২৭ সদস্যের মধ্যে যে কোনও স্থানে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তাহলে অবশ্যই ভারত এতে একটি প্রতিদ্বন্দ্বী হবে এবং বৃহত্তর সদস্যপদ সিদ্ধান্তের অধীন হবে।”

    ভারতকে সমর্থন ফ্রান্সেরও

    কুয়েতের পাশাপাশি ভারতকে সমর্থন করেছে ফ্রান্সও। গত ১ এপ্রিল ভারতে অবস্থিত ফরাসি দূতাবাস বলেছিল, ফ্রান্স রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের মাসিক সভাপতিত্ব গ্রহণ করার সঙ্গে সঙ্গে ভারতকে স্থায়ী আসন দেওয়ার লক্ষ্যে রাষ্ট্রসংঘে নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেবে (UN Security Council)। এক্স হ্যান্ডেলে দূতাবাসের তরফে একটি পোস্টে জানানো হয়েছে, ফ্রান্সের নিরাপত্তা পরিষদের মাসিক সভাপতিত্বের অধীনে এটি বিশ্বশান্তি, নিরাপত্তা এবং মানবিক প্রভাবের ক্ষেত্রগুলিতে আলোচনা পরিচালনা করবে। দূতাবাসের তরফে এও বলা হয়েছে, ফ্রান্স রাষ্ট্রসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার কথা আবারও বলবে, যা ভারতকে স্থায়ী আসন দেবে। এক্সের ওপর একটি পোস্টে ভারতে অবস্থিত ফরাসি দূতাবাস জানিয়েছে, “আজ ফ্রান্স রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের মাসিক সভাপতিত্ব গ্রহণ করছে। এটি মানবিক প্রভাবের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে বিশ্বব্যাপী শান্তি ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা পরিচালনা করবে। আজকে বিশ্বকে প্রতিফলিত করার জন্য ফ্রান্স রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার কথা পুনর্ব্যক্ত করে যাতে ভারতকে ভেটো ক্ষমতা সহ স্থায়ী আসন দেওয়া হয়।

    প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যের সংখ্যা ৫। এই দেশগুলি হল আমেরিকা, চিন, ফ্রান্স, ব্রিটেন এবং রাশিয়া। চিনের ভেটো প্রয়োগের জেরে বারবার (India) আটকে যাচ্ছে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি হওয়া (UN Security Council)।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে হিন্দু নেতাকে অপহরণ করে পিটিয়ে খুন, মুখে কুলুপ ইউনূসের, তুলোধনা ভারতের

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে হিন্দু নেতাকে অপহরণ করে পিটিয়ে খুন, মুখে কুলুপ ইউনূসের, তুলোধনা ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) অব্যাহত হিন্দু নিধন যজ্ঞ (Hindu Leader Killed)! ইসলামি মৌলবাদীদের অত্যাচার ক্রমেই ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। এমতাবস্থায় পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে হিংসা নিয়ে ভারতকে ‘জ্ঞান’ও দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব। সঙ্গে সঙ্গেই ভারত তার যোগ্য জবাব দিয়ে দেয়। এমতাবস্থায় বাংলাদেশে যে সংখ্যালঘুরা নিরাপদ নন, তা ফের প্রকাশ্যে এল। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের উত্তর দিনাজপুরে হিন্দু সম্প্রদায়ের এক বিশিষ্ট নেতাকে তাঁর বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে দুষ্কৃতীরা।

    অপহরণ করে খুন (Bangladesh Crisis)

    মৃতের নাম ভবেশচন্দ্র রায়। বছর আঠান্নর ওই ব্যক্তি ঢাকা থেকে ৩৩০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে দিনাজপুরের বাসুদেবপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। ১৭ এপ্রিল রাত ১০টার দিকে দেহ উদ্ধার হয় তাঁর। পুলিশ ও মৃতের পরিবারকে উদ্ধৃত করে বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম ‘দ্য ডেইলি স্টার’ জানিয়েছে, ১৭ এপ্রিল বিকেলে ভবেশকে বাড়ি থেকে অপহরণ করে দুষ্কৃতীরা। তাঁর স্ত্রী সান্ত্বনা জানান, ১৭ এপ্রিল বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ একটি ফোন আসে। দুষ্কৃতীরা নিশ্চিত হয় তিনি বাড়িতে আছেন কিনা। ফোন আসার আধঘণ্টা পরে দুটি বাইকে করে চারজন লোক এসে ভবেশকে তাঁর বাড়ি থেকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। ভবেশকে নিয়ে যাওয়া হয় নরবাড়ি গ্রামে। সেখানে উন্মত্ত মৌলবাদী জনতা তাঁকে নির্মমভাবে মারধর করে। পরে দুষ্কৃতীরা তাঁকে ভ্যানে করে নিয়ে এসে বাড়ির উঠোনে ফেলে যায়। পরিবারের লোকজন ভবেশকে নিয়ে যান দিনাজপুর হাসপাতালে। সেখানে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

    হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রভাবশালী নেতা

    ভবেশ বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) পুজো উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রভাবশালী নেতাও। বিরল থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি আবদুস সবুর সংবাদ (Hindu Leader Killed) মাধ্যমে বলেন, “শীঘ্রই এ বিষয়ে মামলা দায়ের করা হবে। দেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।” ওই থানারই এক পুলিশ আধিকারিক জানান, অভিযুক্তদের শনাক্ত করা ও গ্রেফতার করার প্রস্তুতি চলছে।

    চরমে হিন্দু নির্যাতন

    গত বছরের ৫ অগাস্ট পতন ঘটে আওয়ামি লিগের সরকারের। প্রবল আন্দোলনের জেরে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা। বস্তুত, তার পর থেকেই ভারতের পড়শি এই দেশটিতে সংখ্যালঘু নির্যাতন চরমে ওঠে। বেছে বেছে হিন্দুদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি ভাঙচুর করা হয় মন্দির, বিগ্রহ। লুট করা হয় হিন্দুদের দোকানদানি (Bangladesh Crisis), নৃশংসভাবে করা হয় খুন। গত মাসেই ঢাকার একটি মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, বাংলাদেশজুড়ে হিন্দুদের বাড়ি, দোকানপাট ও মন্দির ভাঙচুরের ১৪৭টি ঘটনা ঘটেছে। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে ৩৬টি বাড়িতে।

    তীব্র নিন্দা ভারতের

    বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের ওপর অত্যাচার নিয়ে বহুবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। সম্প্রতি বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সংসদে জানিয়েছিলেন, ২০২৪ সালের অগাস্ট মাস থেকে এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর ২ হাজার ৪০০টিরও বেশি হিংসার ঘটনা ঘটেছে (Hindu Leader Killed)। চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ৭২টি হিংসার ঘটনা ঘটেছে (Bangladesh Crisis)। হিন্দু নেতাকে অপহরণ ও হত্যার প্রেক্ষিতে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে ভারত। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘‘বাংলাদেশের হিন্দু সংখ্যালঘু নেতা শ্রী ভবেশ চন্দ্র রায়ের অপহরণ ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডে আমরা মর্মাহত। এই হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে হিন্দু সংখ্যালঘুদের উপর পদ্ধতিগত নির্যাতনের একটি নমুনা অনুসরণ করে। এই ধরনের আগের ঘটনাগুলির অপরাধীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।’’ তিনি যোগ করেন, ‘‘আমরা এই ঘটনার নিন্দা জানাচ্ছি এবং আবারও সেদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি যে, তারা যেন অজুহাত না দেখিয়ে বা ভেদাভেদ না করে হিন্দু সহ সকল সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার দায়িত্ব পালন করে।’’

    মুর্শিদাবাদে তাণ্ডব   

    প্রসঙ্গত, সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে কার্যত তাণ্ডব চালায় মুসলিম সম্প্রদায়ের একাংশ। অন্তত এমনই অভিযোগ স্থানীয়দের। তাণ্ডবের জেরে মৃত্যু হয় তিনজনের। জখম হন শতাধিক মানুষ। রাতের অন্ধকারে নদী পেরিয়ে হিন্দুরা পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় নেন পড়শি জেলা মালদায়। ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে মহম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছিলেন, “মুর্শিদাবাদে যে হিংসার ঘটনা ঘটেছে, সেটার সঙ্গে বাংলাদেশকে যুক্ত করার যে কোনও প্রচেষ্টার তীব্র নিন্দা করছি। আমরা মুসলমানদের ওপরে হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। যে ঘটনার জেরে প্রাণহানি ও সম্পত্তিহানি হচ্ছে। আমরা ভারত সরকার ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে সংখ্যালঘু মুসলমানদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য আর্জি জানাচ্ছি (Bangladesh Crisis)।”

    বাংলাদেশকে মুখের মতো জবাব ভারতের

    ভারত ইতিমধ্যেই শফিকুলের এহেন বিভ্রান্তিকর ও ভিত্তিহীন মন্তব্যকে (Hindu Leader Killed) প্রত্যাখ্যান করেছে। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে বাংলাদেশকে মুখের মতো জবাব দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “পশ্চিমবঙ্গের ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য আমরা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। এটি বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নৃশংসতা সম্পর্কে ভারতের উদ্বেগের সঙ্গে তুলনা করার একটি প্রচ্ছন্ন ও ভুল প্রচেষ্টা। এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত অপরাধীরা বাংলাদেশে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বাংলাদেশের উচিত অপ্রয়োজনীয় মন্তব্য ও নৈতিকতা প্রদর্শনের (Hindu Leader Killed) পরিবর্তে সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায় মনোযোগী হওয়া (Bangladesh Crisis)। ভারতের আশঙ্কা যে ঠিক, তার প্রমাণ মিলল একদিন পরই। ওপার বাংলা থেকে এল হিন্দু-নিধনের খবর।

  • Amit Shah: ছত্তিশগড়ে ফের আত্মসমর্পণ ২২ নকশালের, কী বললেন শাহ?

    Amit Shah: ছত্তিশগড়ে ফের আত্মসমর্পণ ২২ নকশালের, কী বললেন শাহ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাজ হয়েছে ‘শাহি দাওয়াই’য়ে! ফের আত্মসমর্পণ করলেন ২২ জন নকশাল। শুক্রবার ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) সুকমায় আত্মসমর্পণ করেন তাঁরা। দৃশ্যতই খুশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। ফের একবার নকশালদের অস্ত্র ত্যাগ করার আহ্বান জানান তিনি। বলেন, ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে নকশালবাদের অবসান ঘটানোর জন্য মোদি সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

    কী বললেন শাহ (Amit Shah)

    এক্স হ্যান্ডেলে শাহ লেখেন, “ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলায় বিভিন্ন অভিযানে কোবরা কমান্ডো ও রাজ্য পুলিশ আধুনিক অস্ত্র ও বিস্ফোরক সামগ্রী-সহ ২২ জন নকশালকে গ্রেফতার করেছে। সুকমার বাদেসেট্টি পঞ্চায়েতে ১১ জন নকশাল আত্মসমর্পণ করেছে, যার ফলে এই পঞ্চায়েত সম্পূর্ণ নকশালমুক্ত হয়েছে।” তিনি বলেন, “আমি নকশালদের প্রতি আবেদন জানাই, তাঁরা যত শীঘ্র সম্ভব অস্ত্র সমর্পণ করুন এবং মোদি সরকারের আত্মসমর্পণ নীতি গ্রহণ করে মূলধারায় ফিরে আসুন। ২০২৬ সালের ৩১ মার্চের আগেই আমরা দেশকে নকশালবাদের অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।”

    ২২ জন নকশালের আত্মসমর্পণ

    এদিকে, ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেব সাই বলেন, আত্মসমর্পণকারী নকশালদের পুনর্বাসনের জন্য নিয়ম অনুযায়ী সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হবে। সুকমা জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে ৪০ লক্ষ টাকার পুরস্কারপ্রাপ্ত ১১ জন-সহ মোট ২২ জন নকশাল আত্মসমর্পণ করেছে। তিনি জানান, এটি আনন্দের বিষয় যে মাওবাদীরা এখন মূলস্রোতের সমাজে ফিরে আসার চেষ্টা করছে। আত্মসমর্পণকারী নকশালদের পুনর্বাসনে নিয়ম অনুসারে সবরকম সাহায্য করা হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহজির সংকল্প অনুযায়ী, ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে দেশ ও রাজ্য থেকে লাল সন্ত্রাসের সম্পূর্ণ উচ্ছেদ নিশ্চিত (Amit Shah)।

    ছত্তিশগড় বিজেপির প্রধান কিরণ সিং দেব বলেন, রাজ্যের বস্তার জেলা শান্তির দিকে এগিয়ে চলেছে। তিনি বলেন, “বস্তার জেলা ধীরে ধীরে শান্তির পথে এগোচ্ছে। পূর্বে দুর্গম ছিল এমন অনেক সরকারি কল্যাণমূলক প্রকল্প ও উন্নয়নমূলক উদ্যোগ এখন জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে পৌঁছতে পারছে। সকলের উচিত মূলস্রোতের সঙ্গে যুক্ত হওয়া।”

    এর আগে আজ, সুকমায় পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেন্ট (এসপি) কিরণ গঙ্গারাম চবানের উপস্থিতিতে ৯ জন মহিলা-সহ (Chhattisgarh) মোট ২২ জন নকশাল আত্মসমর্পণ করেন (Amit Shah)।

  • Bengal Violence: ‘অযৌক্তিক মন্তব্য না করে নিজেদের সংখ্যালঘুদের রক্ষা করুক বাংলাদেশ’, সাফ জানাল ভারত

    Bengal Violence: ‘অযৌক্তিক মন্তব্য না করে নিজেদের সংখ্যালঘুদের রক্ষা করুক বাংলাদেশ’, সাফ জানাল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে হিংসার আগুনে পুড়েছে মুর্শিদাবাদের (Bengal Violence) বহু হিন্দুর ঘর। ওই হিংসায় মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল পুলিশের গাড়ি। হিংসা কবলিত এলাকায় মোতায়েন করা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। এহেন আবহে বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ভারতকে বার্তা দিয়ে বলেন, “মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ অশান্তির জেরে ক্ষতিগ্রস্ত সংখ্যালঘু মুসলমান সম্প্রদায়কে রক্ষা করুন, যেখানে তিনজন নিহত ও শত শত জখম হয়েছেন।”

    বাংলাদেশের মন্তব্য প্রত্যাখ্যান (Bengal Violence)

    বাংলাদেশের মন্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানান, বাংলাদেশ যেন অযৌক্তিক মন্তব্য করার পরিবর্তে তার নিজস্ব সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষার দিকে মনোনিবেশ করে। এও বলা হয়, “পশ্চিমবঙ্গের ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশি পক্ষের মন্তব্য আমরা প্রত্যাখ্যান করছি। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের বিষয়ে ভারতের উদ্বেগের সঙ্গে তুলনা করার জন্য এটি একটি খারাপ প্রচেষ্টা। সেখানে এই ধরনের অপরাধের অপরাধীরা এখনও মুক্তভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে।” তিনি বলেন, “অনর্থক মন্তব্য করা ও বাস্তবতার সঙ্গে মেলে না এমন অবস্থান প্রকাশ না করে বাংলাদেশের উচিত নিজেদের সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায় মনোযোগ দেওয়া।” তিনি বলেন, “ভারতের উদ্বেগের সঙ্গে সামঞ্জস্য খোঁজার এটা একটা অসৎ ও প্রচ্ছন্ন চেষ্টা।”

    হিন্দু নির্যাতন

    প্রবল আন্দোলনের জেরে গত বছরের ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা। তার পর থেকে সে দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের মাত্রা বাড়তে থাকে। বস্তুত, পড়শি দেশের শুরু হয় হিন্দুমেধ যজ্ঞ। যে যজ্ঞে বলি হন শয়ে শয়ে হিন্দু। ভাঙচুর করা হয় হিন্দু মন্দির, বিগ্রহ। গ্রেফতার করা হয় একের পর এক হিন্দু নেতাদের (Bengal Violence)। মিথ্যে অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকেও।

    প্রসঙ্গত, গত মাসেই বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সংসদে জানিয়েছিলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হওয়ার পর থেকে ২০২৪ সালে বাংলাদেশে (Bangladesh) ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর ২,৪০০টি অত্যাচারের ঘঠনা ঘটেছে এবং ২০২৫ সালে এখন পর্যন্ত এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭২টিতে (Bengal Violence)।

  • PM Modi: শুল্কযুদ্ধের আবহেই ফোনে কথা মোদি-মাস্কের, কী আলোচনা হল দু’জনের?

    PM Modi: শুল্কযুদ্ধের আবহেই ফোনে কথা মোদি-মাস্কের, কী আলোচনা হল দু’জনের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুল্কযুদ্ধের আবহেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সঙ্গে দীর্ঘ সময় ফোনে কথা হল টেসলা ও স্পেসএক্সের কর্তা ইলন মাস্কের (Elon Musk)। প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন ক্ষেত্রে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে দু’জনের মধ্যে। মাস্কের সঙ্গে ফোনালাপের বিষয়টি নিজেই সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী। চলতি বছরের শুরুতেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় ওয়াশিংটনে মাস্কের সঙ্গে বৈঠক হয়েছিল মোদির। এবার হল টেলিফোনিক কনভার্সেশন।

    কী বললেন মোদি? (PM Modi)

    মাস্কের সঙ্গে কথা বলার বিষয়টি জানিয়ে মোদি লেখেন, “বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। চলতি বছরের শুরুতে ওয়াশিংটন ডিসিতে আমাদের মধ্যে যে আলোচনা হয়েছিল, সেই বিষয়গুলিও উঠে এসেছে। আমরা প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছি। এই সব ক্ষেত্রে আমেরিকার সঙ্গে আমাদের অংশীদারিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

    টেলিফোনে কথাবার্তা

    মাস্কের সংস্থা ভারতে বৈদ্যুতিন গাড়ি শিল্পে নিয়োগ শুরু করেছে। যদিও তারা আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও ভারতে প্রবেশ করেনি। অতীতে বৈদ্যুতিন গাড়ি শিল্প নিয়ে ভারত সরকার ও মাস্কের মধ্যে চাপানউতোর ছিল। মাস্কের প্রধান উদ্বেগের বিষয় ছিল, ভারতে বৈদ্যুতিন গাড়িতে উচ্চ আমদানি শুল্ক! তবে গত বছরের মার্চে বৈদ্যুতিন গাড়িতে শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। তার পরেই ওয়াশিংটনে হয় মোদি-মাস্ক মুখোমুখি বৈঠক (PM Modi)। এবার হল টেলিফোনে কথাবার্তা।

    মার্কিন রাজনীতিতে মাস্কের প্রভাব কারও অজানা নয়। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকারেও তাঁর গুরুত্ব অপরিসীম। দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেওয়ার পর মাস্ককে গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়েছেন ট্রাম্প। ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সির মাথায় বসানো হয় তাঁকে। মার্কিন প্রশাসনের সমস্ত খরচের হিসেব রাখে এই দফতর।

    প্রসঙ্গত, ওয়াশিংটনের ব্লেয়ার হাউসে মুখোমুখি বৈঠক হয়েছিল ইলন মাস্কের। সেই সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন সঙ্গিনী শিভন জিলিস ও মাস্কের তিন শিশু সন্তান। মাস্কের সংস্থা স্পেসএক্স মহাকাশযানের একটি অংশও প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দিয়েছিলেন মাস্ক। প্রধানমন্ত্রীও মাস্কের (Elon Musk) তিন সন্তানের জন্য বই নিয়ে গিয়েছিলেন। সেই তালিকায় ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা বইও (PM Modi)।

LinkedIn
Share