Author: pranabjyoti

  • Waqf Amendment Act: ওয়াকফ আইনকে পূর্ণ সমর্থন, মুসলিম প্রতিনিধি দল ধন্যবাদ জানালেন মোদিকে

    Waqf Amendment Act: ওয়াকফ আইনকে পূর্ণ সমর্থন, মুসলিম প্রতিনিধি দল ধন্যবাদ জানালেন মোদিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংশোধনী ওয়াকফ আইনের (Waqf Amendment Act) প্রতিবাদে জ্বলছে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ, ভাঙড়। বেছে বেছে টার্গেট করা হয়েছে হিন্দুদের বাড়িঘর-দোকানদানি। ভাঙচুর করার পাশাপাশি লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে আগুন। এই আইন নিয়ে ১০০টিরও বেশি পিটিশন জমা পড়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এহেন আবহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন মুসলমানদের একটা বড় অংশ। সংশোধনী ওয়াকফ আইনের জন্য তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসাও করলেন। বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে দাউদি বোহরা সম্প্রদায়ের এক প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন লোককল্যাণ মার্গে যান। সেখানেই তাঁরা সংশোধিত ওয়াকফ আইনের জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানান।

    প্রধানমন্ত্রীর অকুণ্ঠ প্রশংসা (Waqf Amendment Act)

    এই প্রতিনিধি দলের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীকে জানান, তাঁদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল এই ওয়াকফ সংশোধনী। তাঁরা জানান, প্রধানমন্ত্রীর সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাসের দর্শনেও পূর্ণ আস্থা রয়েছে তাঁদের। পরে এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “দাউদি বোহরা সম্প্রদায়ের সদস্যদের সঙ্গে দারুণ বৈঠক হল। কথোপকথনের সময় আমরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছি।” বৈঠকের সময় প্রতিনিধি দলের এক সদস্য প্রধানমন্ত্রীকে জানান, তাঁরা ১৯২৩ সাল থেকে ওয়াকফ বিধি থেকে ছাড়ের দাবি জানিয়ে আসছেন। নয়া আইনের মাধ্যমে ‘সংখ্যালঘুদের মধ্যে সংখ্যালঘু’ যাঁরা, তাঁদের যত্ন নিতে উদ্যোগী হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর অকুণ্ঠ প্রশংসা করেন প্রতিনিধি দলের ওই সদস্য।

    কেনা সম্পত্তিকে ওয়াকফ বলে দাবি!

    প্রতিনিধি দলের আর এক সদস্য জানান, ২০১৫ সালে তাঁদের সম্প্রদায় মুম্বইয়ের ভিন্ডি বাজারে একটি প্রকল্পের জন্য একটি দামি সম্পত্তি কিনেছিল। ২০১৯ সালে নাসিকের এক ব্যক্তি সেটিকে ওয়াকফ সম্পত্তি বলে দাবি করেছিল। এই আবহে সংশোধিত ওয়াকফ আইনে তাঁরা খুব খুশি বলেই জানান প্রতিনিধি দলের সদস্যরা (Waqf Amendment Act)। দাউদি বোহরা মুসলমান সম্প্রদায়েরই অংশ। ভারতের পশ্চিম অংশেই মূলত এঁদের বাস। গোটা বিশ্বের ৪০টি দেশে ছড়িয়ে রয়েছেন এই সম্প্রদায়ের মুসলমান। এঁরা মেনে চলেন আল-দাই-আল-মুতলাক নামে এক ধর্মগুরুর আদর্শ। ওয়াকফ সংক্রান্ত আইনে বদল আনার কথা বারবার বলেছিলেন তাঁরা। শেষমেশ মোদি সরকার তা কার্যকর করায় খুশি তাঁরা। সেই কারণেই প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিতে এসেছিলেন (PM Modi) তাঁরা।

    ওয়াকফ পরিচালনায় স্বচ্ছতা আনাই লক্ষ্য

    ওয়াকফের অধীনে ভারতে মোট সম্পত্তি রয়েছে ৮.৭ লাখ। এর নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করে ওয়াকফ বোর্ড। এই পরিমাণ সম্পত্তির আনুমানিক মূল্য ১.২ লাখ কোটি টাকা। দেশে সব চেয়ে বেশি ওয়াকফ সম্পত্তি রয়েছে উত্তরপ্রদেশে। মোট ওয়াকফ সম্পত্তির ২৭ শতাংশই রয়েছে এই রাজ্যে। এই তালিকায় উত্তরপ্রদেশের পরেই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। এ রাজ্যে ওয়াকফ সম্পত্তি রয়েছে ৮০ হাজার ৫৪৮টি। বাংলায় ওয়াকফ সম্পত্তির ওপরে রয়েছে ১৫৮টি স্কুল, ৪টি মডেল ইংলিশ মিডিয়াম মাদ্রাসা, ১৯টি মুসলিম হস্টেল, ৯টি হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্র। বীরভূমে ওয়াকফের জমির ওপরে রয়েছে একটি শপিং কমপ্লেক্সও। তবে এত সম্পত্তি থাকা সত্ত্বেও ভারতে ওয়াকফে বার্ষিক আয় মাত্রই ১৬৩ কোটি টাকা (Waqf Amendment Act)। অভিযোগ, ওয়াকফ সম্পত্তি পরিচালনায় গাফিলতি রয়েছে। ওয়াকফ পরিচালনায় স্বচ্ছতা আনতেই সংশোধিত ওয়াকফ আইন আনা হয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রের (PM Modi)।

    সৈয়দনা সাহেবের ভূয়সী প্রশংসা প্রধানমন্ত্রীর

    এদিনের বৈঠকে সংশোধিত ওয়াকফ আইন গঠনে দাউদি বোহরা সম্প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। খসড়া প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের জন্য দাউদি বোহরা আধ্যাত্মিক নেতা সৈয়দনা মুফাদ্দাল সাইফুদ্দিনেরও প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “হয়ত আপনাদের মধ্যে খুব কম লোকই জানেন যে, যখন আমার মাথায় সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে কাজ করার ধারণা আসে, তখন আমি সর্বপ্রথম যাঁর সঙ্গে পরামর্শ করেছিলাম, তিনি হলেন সৈয়দনা সাহেব।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সৈয়দনা সাহেব তাঁর পূর্ণ সমর্থন দিয়েছেন এমনকি আইনের আইনি পর্যালোচনা ও খসড়া তৈরিতে সাহায্য করার জন্য বোহরা সম্প্রদায়ের সদস্যদেরও পাঠিয়েছেন। তিনি পরে আপনাকে আমার কাছে পাঠিয়েছেন। এরপর আমি তিন বছর ধরে তাঁকে বিরক্ত করেছিলাম, তাঁকে তাঁর নিজস্ব উপায়ে এটি দেখতে, আমাকে আইনি পরামর্শ দিতে, আমাকে একটি খসড়া দিতে বলেছিলাম। পরামর্শের সময় তিনি আমাকে কতটা সাহায্য করেছিলেন, তা আপনারা কল্পনাও করতে পারবেন না। তিনি আপনার সম্প্রদায় থেকে জ্ঞানী ব্যক্তিদের নিয়ে এসেছিলেন, এমনকি কমা এবং দাঁড়ি (PM Modi) পর্যন্ত – প্রতিটি পদক্ষেপে আমি ওঁর সাহায্য পেয়েছি (Waqf Amendment Act)।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “উনিশের লোকসভা নির্বাচনে জয়ের পর মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছ থেকে ১,৭০০ এরও বেশি অভিযোগ এসেছিল। এর মধ্যে বেশিরভাগই ছিল ন্যায়বিচার চাওয়া নারী ও কন্যার। তখনই আমি এই আইনের বাস্তবতাটা বুঝতে পেরেছিলাম (Waqf Amendment Act)।”

  • Murshidabad Incident: বেছে বেছে হামলা, হিংসার আগে হিন্দুদের বাড়িগুলিতে দেওয়া হয় কালো কালির চিহ্ন!

    Murshidabad Incident: বেছে বেছে হামলা, হিংসার আগে হিন্দুদের বাড়িগুলিতে দেওয়া হয় কালো কালির চিহ্ন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংশোধিত ওয়াকফ আইন ছুতো মাত্র। মুর্শিদাবাদে (Murshidabad Incident) হিন্দুদের বাড়িতে যে হামলা হবে, তা পূর্বপরিকল্পিত (Hindu) বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, হিংসার আবহে যাতে হিন্দু-মুসলমানের বাড়ি গুলিয়ে না যায়, তাই বেছে বেছে হিন্দুদের বাড়িগুলিতে কালো কালি দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার এই তথ্য ফাঁস করেছে এনএমএফ নিউজ নামে এক সংবাদমাধ্যম।

    হিন্দুদের বাড়িতে কালির দাগ (Murshidabad Incident)

    গ্রাউন্ড জিরোতে গিয়ে সংস্থার সাংবাদিককে বলতে শোনা যায়, ওরা (মুসলমানরা) এই চিহ্নগুলো দিয়ে রেখেছে, যাতে দাঙ্গাবাজরা জানতে পারে কোন বাড়িতে বোমা নিয়ে হামলা করতে হবে, কোন বাড়িতেই বা লাগিয়ে দিতে হবে আগুন। তিনি বলেন, ‘‘দাঙ্গা শুরুর আগে হিন্দুদের বাড়িগুলি এভাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। এই এলাকার প্রতিটি হিন্দু বাড়িতে কালো কালি দিয়ে চিহ্ন দেওয়া হয়েছিল। দাঙ্গার সময় শুধুমাত্র সেই সব বাড়িকেই আক্রমণ করা হয়েছিল। বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছিল এবং বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।’’ স্থানীয় হিন্দুদের সঙ্গে কথা বলে ওই সাংবাদিক জানতে পারেন, উন্মত্ত মুসলমান জনতা হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় ঢুকে আগে থেকে চিহ্ন দিয়ে রাখা বাড়িগুলিতে হামলা চালায়।

    তাণ্ডব, ভাঙচুর, লুটপাট

    প্রসঙ্গত, শুক্রবার জুম্মার নমাজ আদায় শেষে শুরু হয় মুসলমানদের তাণ্ডব। মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন অংশে বেছে বেছে নিশানা করা হয় হিন্দুদের বসত ভিটে, দোকানদানি। বাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি চালানো হয় অগ্নিসংযোগ এবং লুটপাটও। প্রথমে অত্যাচার শুরু হয় সূতি ও সামশেরগঞ্জে। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে জেলার বিস্তীর্ণ অংশে। জানা গিয়েছে, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের ছদ্মবেশে উন্মত্ত মুসলমান জনতা এক হিন্দু দম্পতির মিষ্টির দোকান ধ্বংস করে তাদের সমস্ত জিনিসপত্র লুট করে নেয়। দোকানের মালিক কাঁদতে কাঁদতে শুধু বললেন, “এখানে আমার একটি মিষ্টির দোকান ছিল।” আর কথা বলতে পারলেন না ওই নির্যাতিত। কেবল ইঙ্গিত করলেন ধ্বংসপ্রাপ্ত তাঁর সাধের ‘শুভ স্মৃতি হোটেল’-এর দিকে। দোকান মালিকের স্ত্রী বলেন, “ওরা দোকানের ভিতরে রাখা নগদ টাকা-সহ আমাদের সব কিছু কেড়ে নিয়েছে (Hindu)। কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। এখন আমরা কী খাব?” মুসলিমরা ‘শ্রী হরি হিন্দু হোটেল অ্যান্ড লজ’ নামের আরও একটি প্রতিষ্ঠানও ভাঙচুর করেছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই এই ক্ষয়ক্ষতির ছবি শেয়ার করেছে (Murshidabad Incident)।

    ভাঙা হয়েছে মূর্তি

    মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন এলাকায় হিন্দু মন্দিরেও হামলা হয়েছে। হয়েছে মূর্তি ভাঙাও। সংবাদ মাধ্যমের শেয়ার করা একটি ভিডিওতে স্থানীয় সাংসদ তৃণমূল কংগ্রেসের খলিলুর রহমান প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন, জঙ্গিপুরে একটি মন্দির ভাঙচুর করা হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ, সংখ্যালঘু-অধ্যুষিত জেলায় হিন্দু পরিবারগুলির একাধিক বাড়িকে টার্গেট করা হয় এবং দোকানে হামলা চালানো হয়। বিক্ষোভকারীরা হিংসার মধ্যে পড়ে যাওয়া একটি অ্যাম্বুলেন্সকেও রেহাই দেয়নি। তাতে আগুন লাগিয়ে দেয়। অ্যাম্বুলেন্সটিতে আগুন লাগানোর আগে চালককে নিষ্ঠুরভাবে মারধর করা হয়। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “মুসলিমরা একটি অ্যাম্বুলেন্সে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং চালককে আক্রমণ করে।”

    আক্রমণকারীরা স্থানীয় মুসলিম!

    ওই প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘‘আমরা ভয়ে ঘরের ভিতরে বসেছিলাম। আমি আমার বাবা-মা, স্ত্রী ও শিশুদের বাড়িতে লুকিয়ে রেখেছিলাম।’’ তিনি বলেন, “আক্রমণকারীরা স্থানীয় মুসলিম, বাইরের কেউ নয়।” সম্প্রতি অনলাইনে প্রকাশিত একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, এক আক্রমণকারী একটি হিন্দু (Hindu) পরিবারের গাড়ি ভাঙচুর করছে। মুসলমানদের এই হিংসার শিকার হয়েছিলেন আরও এক হিন্দু। তিনি বলেন, “ওরা আমার বাইক ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। আমাদের জিনিসপত্র লুট করে নিয়েছে এবং দোকানে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে।” তিনি আরও বলেন, ‘‘ওই রাতে আমি ঘুমোতে পারিনি। ভয়ে সবাই জেগে ছিলাম। হিংসা চলাকালীন এখানে কোনও পুলিশ আসেনি। প্রাণ বাঁচাতে কয়েকজন পুলিশ কর্মীকেও দৌড়তে দেখেছি (Murshidabad Incident)।”

    ‘‘মেয়েটার কিছু হয়ে গেলে কী করতাম?’’

    হিন্দু ব্যবসায়ী অমর ভগতের স্ত্রী মঞ্জু ভগত সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বলেন, ‘‘ওরা (মুসলিম জনতা) সামনের গেট দিয়ে আমাদের বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করেছিল। ব্যর্থ হয়ে পিছনের গেট দিয়ে ঢোকার চেষ্টা করে। ওরা আমাদের বাইক ভেভেছে, বাড়ি ভাঙচুর করেছে, চেয়ার, গদি, টিভি থেকে শুরু করে দামি দামি গৃহস্থালির জিনিসপত্র সব লুটে নিয়ে গিয়েছে (Hindu)।’’ তিনি আরও বলেন, “আমরা ছাদে লুকিয়ে ছিলাম। মনে মনে শুধুই ভগবানকে ডেকে গিয়েছি। লোকগুলো যাতে দ্রুত আমাদের বাড়ি ছেড়ে চলে যায়, তাই। ওই সময় আমার মেয়েটার কিছু হয়ে গেলে আমি কী করতাম?” শুক্রবার শুরু হওয়া হিংসার এই ঘটনা ঘটতে থাকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত। ওই রাতেই ভিটে ছেড়ে মালদায় গিয়ে আশ্রয় নেন হাজার হাজার হিন্দু (Murshidabad Incident)।

  • Amit Shah: “ব্রহ্মাকুমারীরা প্রতিটি মানুষের আধ্যাত্মিক সাধনার প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করার কাজ করছেন,” বললেন শাহ

    Amit Shah: “ব্রহ্মাকুমারীরা প্রতিটি মানুষের আধ্যাত্মিক সাধনার প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করার কাজ করছেন,” বললেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ব্রহ্মাকুমারীরা (Brahma Kumari Sansthan) যোগ ও ধ্যানের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে প্রতিটি মানুষের শান্তি ও আধ্যাত্মিক সাধনার প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করার কাজ করছেন।” বৃহস্পতিবার রাজস্থানে কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তিনি বলেন, “এখানে প্রতিটি মানুষের অন্তর্নিহিত ভালো গুণকে জাগ্রত করার চেষ্টা করা হয় এবং তারা দীর্ঘদিন ধরে এই কাজ করে চলেছেন।” শাহ জানান, এখানে এসেই একজন অবিশ্বাস্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ অনুভব করতে পারেন, যা এই স্থানের আধ্যাত্মিক শক্তির ফল।

    আলোর পথে (Amit Shah)

    তিনি বলেন, “যখন কেউ তাঁর জীবনে একজন গুরু খুঁজে পান, তখন তিনি ধার্মিকতার পথে চলতে সক্ষম হন। এর অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে। কিছু মানুষ এমন কাজ করেন যা প্রতিটি মানুষের আত্মাকে আলোর প্রদীপে রূপান্তরিত করে এবং তাঁদের আলোর পথে এগিয়ে নিয়ে যান।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “ব্রহ্মাকুমারী প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে লেখরাজ কৃপালনীজি প্রতিটি মানুষের আত্মাকে একটি প্রদীপে পরিণত করে আলোর পথে এগিয়ে চলার এক মহান আহ্বান জানিয়েছিলেন, যা আজ সমাজে গভীর প্রভাব ফেলেছে।”

    ব্রহ্মাকুমারীদের ত্যাগ-তপস্যা

    তিনি বলেন, “ব্রহ্মাকুমারীরা তাঁদের ত্যাগ, তপস্যা ও মেধার মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে সরলতা, সংযম ও সহযোগিতার (Brahma Kumari Sansthan) এক অনন্য পরিবেশ গড়ে তুলেছেন (Amit Shah)।”
    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আজ এখানে এক সঙ্গে দুটি কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে – প্রথমত, ব্রহ্মাকুমারী সংস্থানের ২০২৫-২৬ সালের থিম “ধ্যান: বিশ্ব ঐক্য ও বিশ্ববিশ্বাসের জন্য” চালু করা, এবং দ্বিতীয়ত, নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মীদের আত্ম-শক্তিবৃদ্ধির লক্ষ্যে অভ্যন্তরীণ জাগরণ বিষয়ক জাতীয় সংলাপের সূচনা।” তিনি বলেন, “স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর ভারত দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে। কয়েক বছরের মধ্যেই আমরা তৃতীয় স্থান অধিকার করব।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ২০৪৭ সালে স্বাধীনতার শতবর্ষে আমরা বিশ্বের প্রতিটি ক্ষেত্রে নেতৃত্বদানকারী শক্তি হিসেবে গড়ে ওঠার লক্ষ্য রাখছি। বিশ্ব ভ্রাতৃত্ববোধের দিকে পরিচালিত করতে সক্ষম, প্রতিটি মানুষের আত্মাকে ঐশ্বরিক সত্তার সঙ্গে যুক্ত করতে এবং প্রতিটি জীবনকে সদগতির পথে নিয়ে যেতে সক্ষম আমাদের (Brahma Kumari Sansthan) ঐতিহ্যকে এগিয়ে নেওয়াই ভারতের লক্ষ্য হওয়া উচিত এবং এই দিকে ব্রহ্মাকুমারীসের মতো সংগঠনগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে (Amit Shah)।”

  • Sukanta Majumder: রাজ্যের পুলিশমন্ত্রীর পুলিশ কি ওয়েব সিরিজ বানাচ্ছিল? প্রশ্ন সুকান্তর

    Sukanta Majumder: রাজ্যের পুলিশমন্ত্রীর পুলিশ কি ওয়েব সিরিজ বানাচ্ছিল? প্রশ্ন সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে মুর্শিদাবাদে (Murshidabad Incident) যে হিংসা ও অশান্তির ছবি দেখা গিয়েছে, তার কোনওটাই স্বতঃস্ফূর্ত জনরোষের কারণে নয়। বরং সেখানকার সূতি, ধুলিয়ান ও সামশেরগঞ্জের বিভিন্ন অংশকে উপদ্রুত বানানোর ব্লু-প্রিন্ট তিন মাস আগেই তৈরি হয়েছিল। তদন্ত করে এমনই জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। তারা কেবল একটা সুযোগের অপেক্ষায় ছিল। ওয়াকফ আইন পাশ হয়ে যেতেই তাকেই ইস্যু করা হয়। তাই যদি হয়, তাহলে সব জানার পরেও কেন আগে থেকে কোনও পদক্ষেপ করলেন না পুলিশমন্ত্রীর গোয়েন্দারা? প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)।

    রাজ্যপালের সঙ্গে মুর্শিদাবাদের ঘরছাড়াদের সাক্ষাৎ (Sukanta Majumder)

    বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজ্যপালের সঙ্গে মুর্শিদাবাদের ঘরছাড়াদের সাক্ষাৎ করিয়ে দেন সুকান্ত। তার পরেই মুখোমুখি হন সাংবাদিকদের। সেখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ-প্রশাসনকে কাঠগড়ায় তোলেন তিনি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “পুলিশের গোয়েন্দাবিভাগ বলে তো একটা বিভাগ ছিল। তারা কী করছিল? সবাই তো শুনলাম ওরা জানত, বলছে তিন মাস ধরে মুর্শিদাবাদে অশান্তির ছক কষা হয়েছে। তুরস্ক থেকে নাকি টাকা এসেছে। তা যদি এতদিন ধরে ছক কষা হয়েই থাকে, তাহলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে থাকা গোয়েন্দা বিভাগ কী করছিল? ওয়েব সিরিজ বানাচ্ছিল? নাকি বসে বসে ফ্যাক্ট চেক করছিল? ওদের তো এখন কাজই হল ফ্যাক্ট চেক করা।” ঘরছাড়াদের পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি মনে করিয়ে দেন, “এঁরা মুখ্যমন্ত্রীর ওপর ভরসা রেখেছিলেন। কিন্তু তারপর কী হল? পুলিশের সামনেই ঘর লুট হল, নির্যাতনের শিকার হলেন। এর দায় কার (Murshidabad Incident)?”

    গোয়েন্দাদের হাতে বিস্ফোরক তথ্য

    দু’দিন আগেই জানা গিয়েছিল, মুর্শিদাবাদের ওই তিন অংশে যে কায়দায় হিংসাত্মক ঘটনাগুলি ঘটানো হয়েছে, তাতে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বিশৃঙ্খলার ছাপ স্পষ্ট। শুক্রবার অশান্তি শুরুর দিনও সীমান্তের ওপার থেকে জঙ্গিপুর মহকুমায় ফোন এসেছিল ৩০টিরও বেশি। গোয়েন্দাদের দাবি, আন্দোলনকে ঢাল করে কীভাবে হিংসাশ্রয়ী হতে হবে, তার নির্দেশ দেওয়া আরও ৭০টি ঘরোয়া মোবাইল কলকে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা হয়েছে। তদন্তকারীরা এমন ৫০ জনের হদিশ পেয়েছেন (Sukanta Majumder), যাঁরা এই হামলার পরিকল্পনায় যুক্ত ছিল। জানা গিয়েছে, রেললাইনের পাথর মজুত করা, দোকানপাট লুট, বাছাই করে কিছু বাড়িতে হামলা, সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস, অগ্নিসংযোগ, সড়ক ও রেল যোগাযোগ থমকে দেওয়া – সবই পূর্ব পরিকল্পিত।

    মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনে সাড়া দিলেন না রাজ্যপাল

    এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনে সাড়া দিলেন না রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তিনি জানিয়ে দেন, আজ, বৃহস্পতিবারই মুর্শিদাবাদের পথে রওনা দিচ্ছেন তিনি। এদিন রাজভবনে ঘরছাড়াদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার কথা ঘোষণা করেন রাজ্যপাল। তিনি জানান, মুর্শিদাবাদের যেসব জায়গায় অশান্তি হয়েছে, শুক্রবার সেই সব জায়গা ঘুরে দেখবেন তিনি। তিনি বলেন, “সত্যিই যদি শান্তি ফেরে তার চেয়ে ভালো খবর আর কিছুই হতে পারে না।” তবে কী পরিস্থিতি সেখানকার, গ্রাউন্ড জিরো ঘুরে চাক্ষুষ করতে চান তিনি। সেই মতো রিপোর্টও তৈরি করবেন বলে জানান রাজ্যপাল।

    মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধ

    প্রসঙ্গত, রাজ্যপাল মুর্শিদাবাদ যাচ্ছেন শোনার পরেই মুখ্যমন্ত্রী কার্যত তাঁকে অনুরোধ করেন, তিনি যেন এখনই সেখানে না যান। মমতা বলেন, “আমি আবেদন করব কিছুদিন অপেক্ষা করুন। মহিলা কমিশনও যেতে চেয়েছিল। কিন্তু তাদেরও কয়েকদিন অপেক্ষা করতে বলেছি।” তিনি বলেন, “বাইরে থেকে কেউ কেউ এসে অত্যাচারটা করেছে। তারা ভয় দেখাচ্ছে। হোম মিনিস্টারকে ত্রিপুরায়, মণিপুরে যেতে বলুন।” মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এলাকায় যে শান্তির বাতাবরণ ফিরে এসেছে, প্রশাসন যে কনফিডেন্সটা বিল্ড আপ করেছে, আমরা কেউ যেন গিয়ে সেটা নষ্ট না করি (Sukanta Majumder)।”

    সুকান্তর নিশানায় মমতা

    মমতার এহেন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “উনি যাচ্ছেন না কেন, উনি তো ইমামদের নিয়ে মিটিং করছেন। আর ওখানে গেলেই অসুবিধা হবে রাজ্যপালকে কেন বারণ করছেন? তিনি কী লুকোতে চাইছেন? পুরো সত্যটা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।” সুকান্ত বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী নিজে যেহেতু যেতে পারেননি, তাই তিনি সেখানে যেতে বারণ করছেন। এদের সবার বাড়িঘর, দোকান, মন্দির তৈরি করে দিতে হবে, চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে, সব থেকে বড় কথা বিএসএফ ক্যাম্প তৈরি করতে হবে (Murshidabad Incident)।”

    সুকান্ত বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মিথ্যেবাদী। আপনি যে কোনও মানুষকে জিজ্ঞাসা করুন। পুলিশকে বলছে হাতে চুড়ি পরে থাকুন। আর বিএসএফকে বলছে ভগবান। ওখানকার মানুষই এসব কথা বলছেন।” সুকান্ত বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছেন (Sukanta Majumder)।”

  • Two Nation Theory: দ্বিজাতি তত্ত্বের আড়ালে ঐক্যবদ্ধ মুসলিম ব্লক গঠনের চেষ্টা পাক সেনা প্রধানের! তুলোধনা ভারতের

    Two Nation Theory: দ্বিজাতি তত্ত্বের আড়ালে ঐক্যবদ্ধ মুসলিম ব্লক গঠনের চেষ্টা পাক সেনা প্রধানের! তুলোধনা ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আসিম মুনির দ্বি-জাতি তত্ত্বের (Two Nation Theory) প্রচার করছেন। পাকিস্তানিরা হিন্দুদের থেকে “ভিন্ন”– এমন মন্তব্যও করছেন। তাঁর এহেন বক্তব্য প্রমাণ করে যে তিনি একটি গভীরভাবে হতাশ এবং একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রের জেনারেল হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সংবাদ মাধ্যমে এমনই প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ভারত সরকারের এক শীর্ষ কর্তা। তিনি জানিয়েছেন, মুনিরের সাম্প্রতিক হিন্দুবিরোধী বক্তব্যকে অভ্যন্তরীণ রাজনীতি, আঞ্চলিক উত্তেজনা এবং ভারতের ওয়াকফ আইন সংশোধনের সময়ের প্রেক্ষাপটে দেখা উচিত। তিনি ভারতের বিরুদ্ধে একটি ঐক্যবদ্ধ মুসলিম ব্লক গঠন করতে চাইছেন, যেখানে মৌলবাদী, চরমপন্থী ও জঙ্গিদের আক্রমণ চালানোর আহ্বান জানানো হচ্ছে।

    পাক সেনা প্রধানের লক্ষ্য (Two Nation Theory)

    ওই কর্তা বলেছেন, ‘‘মুনিরের বক্তব্যের লক্ষ্যই হল লস্কর ও জইশের মতো পাকিস্তানের দেশি জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে ভারত ও হিন্দু শক্তির বিরুদ্ধে সক্রিয় করতে উদ্বুদ্ধ করা। তাঁর মতে, মুনিরের কাহিনিটি হিন্দু-মুসলিম সভ্যতাগত পার্থক্যকে তুলে ধরার ওপর নির্ভরশীল এবং এই বিভাজনে পাকিস্তানকে নেতৃত্বের অবস্থানে স্থাপন করা হয়েছে। ভারতকে মুসলিমদের নিপীড়ক হিসেবে তুলে করে তিনি ভারতের বৈশ্বিক অবস্থানকে দুর্বল করতে চাইছেন। এই কৌশলটি ভারতকে একটি গুরুত্বপূর্ণ হুমকি হিসেবে উপস্থাপন করে বালুচিস্তানের বিদ্রোহের মতো অভ্যন্তরীণ সংকট থেকে মনোযোগ সরানোর কাজেও ব্যবহৃত হচ্ছে।’’

    কাশ্মীর দখলকে অবৈধ!

    কেন্দ্রের ওই কর্তার মতে, ‘ভারত কাশ্মীর দখল করেছে’ দাবি করে মুনির পাকিস্তানের সামরিক অবস্থানকে বিশ্বব্যাপী মুসলিম সংহতির সঙ্গে একাত্ম করেছেন, যা গাজায় প্যালেস্তাইনিদের প্রতি তাঁর সমর্থনেরই প্রতিফলন। ওই কর্তার মতে, ‘‘এটি এমন সময়ে এসেছে যখন পাকিস্তানের শাসনব্যবস্থার ব্যর্থতা ক্রমেই প্রকাশ্যে আসছে। মুনির নিজেকে বিশ্বব্যাপী মুসলিম স্বার্থের রক্ষক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছেন (India)।’’

    ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ণ করা

    ভারত সরকারের ওই কর্তা আরও জানান, ভারতের সংশোধিত ওয়াকফ আইন এবং বর্তমানে ঘটে চলা বিক্ষোভের সময় কৌশলগতভাবে মুনির এই বক্তব্য রাখছেন, যাতে সাম্প্রদায়িক বিভাজনের (Two Nation Theory) ন্যারেটিভগুলিকে শক্তিশালী করে ভারতকে মুসলিমবিরোধী হিসেবে দেগে দেওয়া যায়। তিনি বলেন, ‘‘ওয়াকফ ইস্যুর টানাপোড়েনকে কাজে লাগিয়ে মুনিরের লক্ষ্য, ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ণ করা, এবং এর পাশাপাশি ভারত ও বাংলাদেশে ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলিকে উৎসাহিত করা। অভ্যন্তরীণভাবে, তিনি (মুনির) এমন এক পরিস্থিতিতে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করতে চাইছেন যেখানে নির্বাচিত সরকারের মেয়াদের সঙ্গেই সেনাপ্রধানের দায়িত্বকাল শেষ হয়। তাঁর এই বক্তব্য উগ্রবাদী ভোটার ও ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলোর কাছে সামরিক বাহিনীর ভূমিকাও শক্তিশালী করছে। মুনিরের বক্তব্য বৃহত্তর ভূ-রাজনৈতিক কৌশলের অংশ, যেখানে বাংলাদেশের সঙ্গে চাল আমদানি ফের শুরু ও উচ্চপর্যায়ের সফর বজায় রেখে সম্পর্ক জোরদারের চেষ্টা চলছে নিরন্তর।’’

    জাতির জন্মকাহিনি

    প্রসঙ্গত, বুধবার ইসলামাবাদে (Two Nation Theory) পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতদের সম্মেলনে ভাষণ দিতে গিয়ে মুনির বলেন, “প্রতিটি পাকিস্তানি নাগরিকের উচিত তাদের সন্তানদের কাছে জাতির জন্মকাহিনি বর্ণনা করা। তিনি বলেন, “আপনাদের সন্তানদের কাছে পাকিস্তানের গল্প বলতে হবে, যাতে তারা ভুলে না যায় কীভাবে আমাদের পূর্বপুরুষরা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে নিজেদের হিন্দুদের থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন মনে করতেন।” তিনি বলেন, “আমাদের দেশের রাষ্ট্রদূতদের ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে তাঁরা একটি উন্নততর ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ধারক। আপনাদের অবশ্যই আপনার সন্তানদের কাছে পাকিস্তানের গল্প বলা উচিত। আমাদের পূর্বপুরুষরা ভাবতেন যে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা হিন্দুদের থেকে আলাদা। আমাদের ধর্ম, আমাদের রীতিনীতি, ঐতিহ্য, চিন্তাভাবনা এবং উচ্চাকাঙ্খা পৃথক। এটাই ছিল দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তি (India)।”

    “পাকিস্তানের নিয়তি”

    বালুচিস্তানে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করে সেনাপ্রধান এ অঞ্চলকে “পাকিস্তানের নিয়তি” বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, “জঙ্গিদের আগামী দশ প্রজন্মও বালুচিস্তান ও পাকিস্তানের ক্ষতি করতে পারবে না।” তিনি বলেন, “কাশ্মীর হল ইসলামাবাদের গলার শিরা। তাই পাকিস্তানিরা কখনওই তাকে ভুলতে পারবে না।” বালুচ বিদ্রোহীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “বালুচিস্তান পাকিস্তানের গর্ব! তোমরা এত সহজেই এটা কেড়ে নেবে?” তিনি বলেন, “আপনাদের কি মনে হয় জঙ্গিরা পাকিস্তানের ভাগ্য নির্ধারণ করবে? ভারতের সেনার সংখ্যা ১৩ লাখের (India) বেশি। তবুও আমরা তাদের পরোয়া করি না। জঙ্গিরা তো কোন ছার (Two Nation Theory)!”

  • Train Sabotage: চালকের তৎপরতায় ভেস্তে গেল ট্রেন অন্তর্ঘাতের চেষ্টা, প্রাণে বাঁচলেন গরিব রথের যাত্রীরা

    Train Sabotage: চালকের তৎপরতায় ভেস্তে গেল ট্রেন অন্তর্ঘাতের চেষ্টা, প্রাণে বাঁচলেন গরিব রথের যাত্রীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন বন্ধ থাকার পর রেলে ফের অন্তর্ঘাতের (Train Sabotage) চেষ্টা! চালকের তৎপরতায় প্রাণে বাঁচলেন যাত্রীরা। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) দিলওয়ার নগর ও রহিমাবাদ স্টেশনের মাঝের ঘটনা। দুষ্কৃতীরা রেললাইনের ওপর কাঠের ব্লক ফেলে রেখেছিল। তাতে একটা গামছা জড়ানো। গামছায় লেখা ছিল ‘রাম’ নাম। গভীর রাতে ওই লাইনে আসছিল গরিব রথ। ট্রেন ধাক্কা খায় কাঠের ব্লকে। তবে ট্রেনটির গতি কম থাকায় এড়ানো গিয়েছে দুর্ঘটনা। চালক সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাটি জানান সংশ্লিষ্ট রেল কর্তৃপক্ষকে। কর্তৃপক্ষ লখনউ থেকে আসা ০৫৫৭৭ সহরসা আনন্দ বিহার গরিব রথ নামের ওই ট্রেনটিকে থামিয়ে দেন মাহিলাবাদ স্টেশনে। ঘটনাস্থলে গিয়ে কাঠের ব্লক সরিয়ে দেয় পুলিশ। উদ্ধার করা হয় রাম নাম লেখা গামছা। সন্দেহজনক এই সব জিনিসপত্র পাওয়া গিয়েছে ১১০৯/১১ নম্বর পোলের কাছে। অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে আরপিএফ এবং উত্তরপ্রদেশ পুলিশের একটি দল। রেললাইনে পাওয়া জিনিসপত্রের ফরেনসিক পরীক্ষাও করবে পুলিশ।

    লাইনে কাঠের ব্লক (Train Sabotage)

    দুষ্কৃতীদের শনাক্ত করতে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ সম্ভাব্য সব দিক খতিয়ে দেখছে। জানা গিয়েছে, গরিব রথকে লাইনচ্যুত করতে দুর্বৃত্তরা দিলাওয়ার নগর ও রহিমাবাদের মধ্যে প্রায় আড়াই ফুট লম্বা ও ছয় ইঞ্চিরও পুরু একটি কাঠের ব্লক আড়াআড়িভাবে রেখেছিল রেলওয়ে ট্র্যাকের ওপর। অন্তর্ঘাতের দিক থেকে নজর ঘোরাতে লাইনের ওপর ফেলে রাখা হয়েছিল কিছু সবুজ গাছের ডালপালাও। তদন্তকারী এক পদস্থ পুলিশ কর্তা বলেন, “যে সময়ে (রাত ২.৪৩ মিনিট), যে অবস্থানে এবং যে পদ্ধতিতে বাধাটি স্থাপন করা হয়েছিল, তাতে ব্যাপক প্রাণহানির উদ্দেশে একটি সুপরিকল্পিত পরিকল্পনা ছিল বলে ইঙ্গিত মিলেছে।” তিনি বলেন, “আমরা পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছি এবং ঘটনাটিকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে অন্তর্ঘাতের চেষ্টা হিসেবে বিবেচনা করছি।”

    অন্তর্ঘাতের চেষ্টা হয়েছে আগেও

    এর আগে গত বছর একাধিকবার ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটিয়ে নাশকতার ছক কষা হয়েছিল। সময়মতো রেলকর্মী ও স্থানীয়দের তৎপরতায় সেগুলি ভেস্তে যায়।  উত্তরপ্রদেশেরই কানপুরে বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পায় কালিন্দী এক্সপ্রেস। সেবার কানপুরের শিবরাজপুরের কাছে রেললাইনের ওপর রাখা ছিল রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার (Train Sabotage)। সিলিন্ডার উদ্ধারের পাশাপাশি আরপিএফ ওই জায়গা থেকে সন্দেহজনক কয়েকটি জিনিসও উদ্ধার করে। সিলিন্ডারটি যেখানে (Uttar Pradesh) রাখা ছিল, সেখানে একটি হলুদ রংয়ের পদার্থও উদ্ধার করে পুলিশ (Train Sabotage)। কখনও রায়বরেলীতে রেললাইনের ওপর সিমেন্টের ব্লক ফেলে রাখা হয়। আবার কোথাও রেললাইনে ডাঁই করা মাটি, তো কোথাও আবার মোটরসাইকেলের স্ক্র্যাপ ফেলে রাখা হয়। কোথাও ফিশপ্লেট খুলে রাখা হয়। ফের একবার, রেলে নাশকতা তৈরির ছক বানচাল করা হল।

  • JD Vance: ‘শুল্কযুদ্ধে’র আবহে ভারতে আসছেন সস্ত্রীক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট, বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে হবে কথা?

    JD Vance: ‘শুল্কযুদ্ধে’র আবহে ভারতে আসছেন সস্ত্রীক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট, বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে হবে কথা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত সফরে আসছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স (JD Vance) ও তাঁর ভারতীয় বংশোদ্ভূত স্ত্রী ঊষা ভান্স। আগামী সপ্তাহের শুরুর দিকেই ভারতে আসতে পারেন তাঁরা। ভান্সের এই ভারত সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। ভান্স কবে ভারতে আসছেন, তা জানা যায়নি। ইটালি সফরেও যাবেন তাঁরা। ইটালি সফর শেষে তাঁরা ভারতে আসতে পারেন বলে সূত্রের খবর।

    ‘শুল্কযুদ্ধে’র আবহে ভারত সফরে ভান্স (JD Vance)

    ফেব্রুয়ারি মাসে আমেরিকা সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ১৩ ফেব্রুয়ারি একটি যৌথ বিবৃতিতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে বেশ কিছু পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছিল। অনুমান, ভান্সের ভারত সফরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে সেগুলি আরও জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। প্রসঙ্গত, ভান্স এমন একটা সময়ে ভারতে আসছেন, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতি ঘিরে গোটা বিশ্বে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। ট্রাম্প যেসব দেশের ওপর পারস্পরিক শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সেই তালিকায় রয়েছে ভারতও। তবে চিন ছাড়া আপাতত ৯০ দিন বাকি দেশগুলির ওপর শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখেছেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

    প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা

    আসন্ন ভারত সফরে তিন সন্তান ইউয়ান, বিবেক ও মিরাবেলকেও সঙ্গে আনতে পারেন ভান্স। ভারত সফরে এসে নয়াদিল্লির পাশাপাশি জয়পুর ও আগরায়ও যাওয়ার কথা রয়েছে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের। পিটিআই সূত্রে খবর, আগামী ২১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারেন ভান্স (JD Vance)। বৈঠকে ভারত-আমেরিকা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পাশাপাশি দুদেশের বাণিজ্য ও পারস্পরিক শুল্কের হার নিয়েও আলোচনা হতে পারে। আমেরিকার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েক দফায় আলোচনা হয়েছে ভারতের। আমেরিকার বাণিজ্য প্রতিনিধিদল ইতিমধ্যেই ভারত থেকে ঘুরে গিয়েছে। ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলও সেরে এসেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর। সম্প্রতি ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে কথা হয়েছে মার্কিন বিদেশসচিব মার্কো রুবিওর। দু’দেশই চাইছে বাণিজ্যচুক্তি দ্রুত বাস্তবায়িত হোক। তবে জয়শঙ্কর সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, আমেরিকার সঙ্গে নয়া বাণিজ্যচুক্তির ক্ষেত্রে ইন্ডিয়া ফার্স্ট এবং বিকশিত ভারতের নীতি নিয়ে এগোবে নয়াদিল্লি।

    উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারিতে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে একটি বাণিজ্যচুক্তি হয়েছে, যাতে ২০৩০ সালের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ৫০০ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে পৌঁছবে বলে অনুমান (JD Vance)।

  • Waqf Amendment Act 2025: ‘হিংসার ঘটনা উদ্বেগজনক’, ওয়াকফ আইন শুনানি প্রসঙ্গে পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির

    Waqf Amendment Act 2025: ‘হিংসার ঘটনা উদ্বেগজনক’, ওয়াকফ আইন শুনানি প্রসঙ্গে পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংশোধিত ওয়াকফ আইন (Waqf Amendment Act 2025) নিয়ে অশান্তির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করলেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। বুধবার তাঁর বেঞ্চেই হয়েছে এই আইন সংক্রান্ত মামলার শুনানি। সেই সময়ই ওয়াকফ আইন সংশোধনকে কেন্দ্র করে প্রতিবাদী বিক্ষোভে অশান্তির প্রসঙ্গ ওঠে। দেশের নানা প্রান্তেই এই আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হয়েছে, একাধিক রাজ্যে অশান্তিও হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে অশান্তি হয়েছে মুর্শিদাবাদে। এদিন শুনানি চলাকালীন সে বিষয়ে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবীরা। তখনই উদ্বেগ প্রকাশ করেন শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি। এই ধরনের ঘটনাগুলিকে তিনি উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করেন।

    প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ (Waqf Amendment Act 2025)

    ওয়াকফ আইকে ঘিরে অশান্তির প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। এই ধরনের হিংসা বা অশান্তির ঘটনা বাঞ্ছনীয় নয়। এমন ঘটনা উদ্বেগজনক।” পরবর্তী শুনানিতে অশান্তির প্রসঙ্গ শুনবেন বলেও জানান প্রধান বিচারপতি। প্রসঙ্গত, ওয়াকফ আইন সংক্রান্ত এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বৃহস্পতিবারই। সংশোধিত ওয়াকফ আইন কার্যকর করার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ করে বেশ কয়েকটি পিটিশন জমা পড়েছে সুপ্রিম কোর্টে। বুধবার সব মামলাকে এক সঙ্গে জুড়ে শুরু হয় শুনানি। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চে চলছে এই মামলার শুনানি। প্রধান বিচারপতি ছাড়াও বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি সঞ্জয় কুমার ও বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথন। এদিন এ সংক্রান্ত শুনানির পর নয়া আইন নিয়ে অন্তর্বর্তী কোনও স্থগিতাদেশ জারি করেনি সুপ্রিম কোর্ট।

    আদালতের অন্তর্বর্তী প্রস্তাব

    তবে এদিন, (Waqf Amendment Act 2025) আদালত তিনটি অন্তর্বর্তী প্রস্তাব রাখে। এগুলি হল, আদালতে যদি কোনও সম্পত্তি ওয়াকফ বলে চিহ্নিত হয়ে থাকে, সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে শুনানি চলাকালীন কোনও মতেই সেটিতে রদবদল ঘটানো যাবে না। কোনও সম্পত্তি ওয়াকফ না কি সরকারি সম্পত্তি, জেলাশাসকের নির্দেশে তদন্ত চলাকালীন সেই সম্পত্তিকে ওয়াকফ বলে গণ্য করা হবে না বলেও উল্লেখ করা হয়েছে আইনে। কিন্তু এখনই সেই নির্দেশ কার্যকর হবে না বলে জানিয়েছে আদালত। ওয়াকফ বোর্ড ও কেন্দ্রীয় ওয়াকফ কমিটির সব সদস্যকে মুসলিম হতে হবে। একমাত্র ব্যতিক্রম সরকারি আধিকারিক কিংবা কোনও পক্ষের প্রতিনিধি হওয়ার দরুণ যাঁরা আপনাআপনিই (Supreme Court) বোর্ডের সদস্যপদ পান, তাঁদের ক্ষেত্রে ধর্ম পরিচয় বাধ্যতামূলক নয় (Waqf Amendment Act 2025)।

  • Murshidabad Unrest: মুর্শিদাবাদকাণ্ডের নেপথ্যে বাংলাদেশিদের হাত! চাঞ্চল্যকর তথ্য কেন্দ্রের রিপোর্টে

    Murshidabad Unrest: মুর্শিদাবাদকাণ্ডের নেপথ্যে বাংলাদেশিদের হাত! চাঞ্চল্যকর তথ্য কেন্দ্রের রিপোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে অশান্তির আগুনে জ্বলছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad Unrest) বিস্তীর্ণ অংশ। এই হিংসার নেপথ্যে রয়েছে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা। বিস্ফোরক এই তথ্য উঠে এল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রাথমিক তদন্তে। সূত্রের খবর, ওই রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, হিংসা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি বাংলার পুলিশ। যদিও সরকারিভাবে এই রিপোর্ট নিয়ে কেন্দ্রের তরফে কিছু বলা হয়নি।

    উসকানিমূলক বক্তব্য (Murshidabad Unrest)

    এর আগে ৯ এপ্রিল সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গিয়েছিল, মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ আইন বিরোধী সমাবেশে বেশ কিছু উসকানিমূলক বক্তব্য রাখা হয়। তার কিছু ভিডিও এসে পৌঁছায় ওই সংবাদ মাধ্যমের কাছে। জঙ্গিপুরের পিডব্লুডি মাঠে এই সমাবেশ হয়েছিল। আয়োজক ছিল ইমাম মোয়াজ্জিন অ্যাসোসিয়েশন। তাকে সমর্থন করেছিল অ্যাসোসিয়েশন ফর প্রোটেকশন অফ ডেমোক্রেটিক রাইটস এবং সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্ট অফ ইন্ডিয়া-সহ বেশ কয়েকটি সংগঠন।

    এসডিপিআইয়ের জড়িত থাকার ইঙ্গিত

    সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের তদন্তকারীরা বেশ কিছু তথ্য হাতে পেয়েছেন। তাতে মুর্শিদাবাদের হিংসায় এসডিপিআইয়ের জড়িত থাকার ইঙ্গিত মিলেছে। পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, এসডিপিআইয়ের সদস্যরা গত বেশ কয়েকদিন ধরে ওয়াকফের নামে এলাকার মুসলিম যুবকদের উসকানি দিচ্ছিল। এসডিপিআইয়ের সদস্যরা প্রত্যন্ত এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে যুবক ও কিশোরদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে বলছিলেন। মুসলিম সম্প্রদায়ের যুবক ও কিশোরদের বলা হয় যে, সরকার ওয়াকফের নামে মুসলমানদের কাছ থেকে সব কিছু কেড়ে নেবে। ফলে এর বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করতে হবে। শনিবার মুর্শিদাবাদের এক হাসপাতালে মৃত্যু হয় ইজাজ আহমেদের। বিক্ষোভ চলাকালীন গুলিবিদ্ধ হন তিনি। তাঁর পরিবারেরও দাবি, মুর্শিদাবাদে উসকানিমূলক প্রচার চালাচ্ছে এসডিপিআই।

    পিএফআইয়ের প্রভাব!

    পুলিশের মতে, এক সময় পশ্চিমবাংলায় সিমির ঘাঁটি ছিল এই মুর্শিদাবাদই। সিমির যোগ ছিল জঙ্গি সংগঠন ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের সঙ্গে। সিমির লোকজন অবশ্য পরে কট্টরপন্থী সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ায় যোগ দেয়। তার পর বদলে যায় মুর্শিদাবাদের ছবি। বস্তুত, পিএফআইয়ের ঘাঁটিতে পরণিত হয় মুর্শিদাবাদ। ২০২২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ইউএপিএর অধীনে পাঁচ বছরের জন্য পিএফআইকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। সূত্রের খবর, এই সিমি ও পিএফআইয়ের এই লোকজনও এসডিপিআইয়ের সঙ্গে জড়িত। মুর্শিদাবাদে এসডিপিআই বেশ শক্তিশালী। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, স্থানীয় নেতাদের কাছ থেকে দুস্কৃতীরা প্রাথমিকভাবে সহায়তা পেয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তারা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এদিকে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (MHA) পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ (Murshidabad Unrest) ও অন্যান্য সংবেদনশীল জেলার কার্যকলাপের ওপর কড়া নজর রাখছে।

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিবের বক্তব্য

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব গোবিন্দ মোহন ১২ এপ্রিল রাজ্যের মুখ্যসচিব ও পুলিশের ডিজির সঙ্গে কথা বলেন। সেই সময় সম্ভাব্য সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়। তিনি রাজ্য প্রশাসনকে অন্যান্য সংবেদনশীল জেলাগুলোয়ও কঠোর নজরদারি বজায় রাখার এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শও দেন। তার পর থেকে তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য সচিব ও পুলিশের ডিজির সঙ্গে নিরবচ্ছিন্নভাবে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। এছাড়াও, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক মুর্শিদাবাদে বিএসএফের প্রায় ন’কোম্পানি, অর্থাৎ কমপক্ষে ৯০০ জন সদস্য মোতায়েন করেছে। এই ন’টি কোম্পানির মধ্যে ৩০০ বিএসএফ সদস্য স্থানীয়ভাবে উপস্থিত ছিলেন। রাজ্য সরকারের অনুরোধে পরে অতিরিক্ত কোম্পানিগুলিও পাঠানো হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের ডিজিপি আগেই জানিয়েছিলেন, মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ, তবে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে। ডিজিপি আরও উল্লেখ করেন, স্থানীয়ভাবে মোতায়েন থাকা বিএসএফের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে এবং এ পর্যন্ত ১৫০ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    উত্তেজনা অব্যাহত

    প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে মুর্শিদাবাদের মুসলিম-অধ্যুষিত এলাকায় ওয়াকফ (সংশোধনী) আইন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভের সময় হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। এই বিক্ষোভের জেরে মালদা, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও হুগলি জেলায় অগ্নিসংযোগ, পাথর ছোড়া এবং সড়ক অবরোধের মতো ঘটনাও ঘটে। আধিকারিকদের বক্তব্য, হিংসাকবলিত এলাকাগুলিতে উত্তেজনা অব্যাহত থাকলেও, নতুন করে কোনও ঘটনা ঘটেনি। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত মুর্শিদাবাদ জেলায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা (Murshidabad Unrest)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক মুর্শিদাবাদের তিনটি সীমান্তবর্তী এলাকায় সাম্প্রতিক হিংসা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং সতর্কতামূলকভাবে অতিরিক্ত আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করেছে। প্রাথমিক রিপোর্টে ইঙ্গিত মিলেছে, স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের সহায়তায় বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের জড়িত থাকার বিষয়টি, পরে যাদের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারায় ঘাসফুল নেতৃত্ব।

    এদিকে, কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারের কাছ থেকে জীবন ও সম্পত্তি রক্ষায় ব্যর্থতা, রেলওয়ে সম্পত্তিতে হামলা এবং হিংসার প্রাথমিক পর্যায়ে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা চেয়েছে (Murshidabad Unrest)।

  • Anti Waqf Protests: ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতেই কি বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে জ্বালানো হয়েছে অশান্তির আগুন?

    Anti Waqf Protests: ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতেই কি বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে জ্বালানো হয়েছে অশান্তির আগুন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে (Anti Waqf Protests) কার্যত জ্বলছে বাংলার (West Bengal) একটা অংশ। বিশেষ করে মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে হিন্দুদের ওপর বেনজির আক্রমণ চালানো হচ্ছে। অভিযোগ, এতে ইন্ধন জুগিয়েছে রাজ্যের এক মন্ত্রীর বক্তব্য এবং খোদ তৃণমূল সুপ্রিমোর প্রচ্ছন্ন প্রশ্রয়! তার জেরেই অশান্ত হয়ে উঠেছে মুসলিম অধ্যুষিত ওই এলাকাগুলি। অথচ, মুসলিম অধ্যুষিত কেরল, তেলঙ্গানা কিংবা বিহারের বিভিন্ন অংশে কিন্তু এভাবে প্রতিবাদের নামে আগুন জ্বালানো হয়নি। বিক্ষিপ্তভাবে কয়েকটি মিটিং-মিছিল হয়েছে, কিন্তু এভাবে বাংলাদেশি কায়দায় হিন্দুদের খুন করা হয়নি, ঘরছাড়াও করা হয়নি। রাজনৈতিক মহলের মতে, এভাবে হিংসার আগুন ছড়িয়ে দিয়ে জনতা-জনার্দনের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। নিয়োগ কেলেঙ্কারির কারণে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি খুইয়েছেন এ রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার মানুষ। ওই একই কারণে চাকরি খোয়াতে পারেন আরও প্রায় ৬০ হাজার জন। আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে যখন বিরোধীরা হাতে অস্ত্র পেয়ে গেলেন, চাকরিহারারা যখন পথে নামলেন তখনই ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে রাজ্যের একাংশে জ্বালিয়ে দেওয়া হল অশান্তির আগুন! ব্যস, জনতার দৃষ্টি গেল ঘুরে! ওয়াকিবহাল মহলের মতে, আগামী নির্বাচন পর্যন্ত এটা চলতেই থাকবে। কারণ ক্ষমতার চিটে গুড়ে যে পা আটকে গিয়েছে শাসকের!

    হিংসায় মদত শাসকের! (Anti Waqf Protests)

    ফেরা যাক খবরে। জানা গিয়েছে, (সু)পরিকল্পিত এই হিংসায় মদত জুগিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশ। রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী দিন কয়েক আগে বলেছিলেন, “জেলাগুলি ফিক্স করার পর মুসলিমরা কলকাতার প্রধান সড়কগুলি অবরোধ করে অনির্দিষ্টকালের জন্য ঘেরাও করবে।” জমিয়ত উলেমা-ই হিন্দের রাজ্য সভাপতি সিদ্দিকুল্লার এই বক্তব্যের পরেই হিন্দুদের ওপর হিংসার ঘটনা শুরু হয় বলে অভিযোগ। অন্যান্য কয়েকজন মুসলিম ধর্মীয় নেতাও উস্কানিমূলক বক্তব্য পেশ করেন, যা মুসলিমদের হিন্দুদের ওপর নৃশংস হামলা চালাতে উদ্বুদ্ধ করে। অভিযোগ, তার পরেই জ্বালিয়ে দেওয়া হয় হিন্দুদের বাড়িঘর, মন্দির-বিগ্রহ। হিংসা কবলিত এলাকাগুলির স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, হিন্দু মহিলাদের ওপর যৌন হয়রানির ঘটনাও ঘটেছে। প্রাণ ভয়ে রাতের অন্ধকারে জেলা ছেড়ে ভিন জেলায় আশ্রয় নিয়েছেন হিন্দুরা। আক্ষরিক অর্থেই, নিজভূমে পরবাসী হয়েছেন তাঁরা।

    ইসলামিস্টদের তাণ্ডব

    মুর্শিদাবাদের শামসেরগঞ্জের জাফরাবাদে শুক্রবার সন্ধে (West Bengal) থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত তাণ্ডব চালায় ইসলামিস্টরা। কুপিয়ে খুন করা হয় (Anti Waqf Protests) প্রতিমাশিল্পী হরগোবিন্দ দাস ও তাঁর পুত্র চন্দনকে। মুর্শিদাবাদেরই ধুলিয়ানেও ছড়িয়ে পড়ে হিংসার আগুন। শতাধিক হিন্দু বাড়ি ও দোকান আক্রমণ ও ধ্বংস করা হয়। শতাধিক হিন্দু পরিবার নৌকায় করে গঙ্গা পার হয়ে পড়শি জেলা মালদায় আশ্রয় নেয়। রাজ্যের অন্যান্য অংশেও হিন্দুদের ওপর হামলার খবর পাওয়া যাচ্ছে। পূর্বপরিকল্পিত ও সমন্বিতভাবে, ইসলামিস্ট জনতা অন্যান্য কিছু জেলার মুসলিম-অধ্যুষিত অঞ্চলেও হিন্দুদের লক্ষ্য করে আক্রমণ চালিয়েছে বলে খবর। পুলিশ প্রথমে দর্শকের ভূমিকা পালন করেছিল। তারপর বোধহয় ওপরতলার নির্দেশে নড়েচড়ে বসে। এর পর ইসলামিস্টরা রেয়াত করেনি পুলিশকেও। পুলিশ কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়, তাঁদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। প্রাণ বাঁচাতে কয়েকজন পুলিশকর্মীকে মসজিদেও আশ্রয় নিতে হয়েছে বলে খবর।

    কাঠগড়ায় তোষণের রাজনীতি

    যে পুলিশ সুপরিকল্পিত হিংসা হচ্ছে দেখেও, ঢাল-তরোয়াল নিয়ে বসেছিল, সেই পুলিশই চাকরিহারাদের মিছিলে লাঠি চালিয়েছিল। সদ্য চাকরি খোয়ানো এক শিক্ষককে লাথিও মারতে দেখা গিয়েছে এক পুলিশ কর্মীকে (West Bengal)। এর পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ধেয়ে আসে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তুষ্টিকরণের রাজনীতির বিরুদ্ধে একের পর এক ট্যুইট-বাণ। নেটিজেনদের সিংহভাগের বক্তব্যের নির্যাস, এই সব ঘটনার জন্য দায়ী মমতার তোষণমূলক রাজনীতি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তো বলেই দিয়েছেন, “এই শক্তি প্রদর্শন তাদের ধর্মীয় পরিচয়ের জোরদারকরণ এবং মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতাবাদের ঘোষণা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুসলিম তোষণের ফলে মুসলিমরা আইনের কব্জা থেকে রেহাই পেয়েছে বলে মনে করছে (Anti Waqf Protests), আর হিন্দুরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।”

    কী বলছেন দিলীপ ঘোষ

    বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ আবার বলেন, “মুসলিম গোষ্ঠীর হিংসা, হিন্দু ও পুলিশের ওপর তাদের হামলা, এবং মুসলিমদের দ্বারা উস্কানি মূলক স্লোগান—এই সবকিছু পশ্চিমবঙ্গকে বাংলাদেশের থেকে আলাদা করা কঠিন করে তুলেছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মুসলিম আইনভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় তারা উৎসাহিত হয়েছে, যার ফলস্বরূপ হিন্দুরা বাংলায় নিরাপদ নয়। এটি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী জেলাগুলি থেকে হিন্দুদের তাড়ানোর পরিকল্পনারই অংশ।” তিনি আরও বলেন, “গত সপ্তাহান্তে মুসলিমদের দ্বারা হিন্দুদের ওপর হামলা হিন্দুদের জন্য একটি সতর্কবার্তা। যদি বাংলার হিন্দুরা ঐক্যবদ্ধ না হয়, তবে যে কোনও দিন বাংলা বাংলাদেশের অংশ হয়ে যাবে। সেই দিন আর খুব বেশি দূরে নেই। তখন হিন্দুদের আর বাংলায় কোনও জায়গাই থাকবে না (Anti Waqf Protests)।”

    রাহুল সিনহার বক্তব্য

    বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, “এই ধরনের ঘটনা এই প্রথম নয়। মুসলিমরা দায়মুক্তি নিয়ে হিন্দুদের আক্রমণ ও হত্যা করছে। তারা পুলিশকে আক্রমণ করছে, থানা ও যানবাহনে আগুন দিচ্ছে, সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করছে এবং আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুসলিম ভোটারদের হারাতে চান না বলে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এর ফলে মুসলিম সমাজের অপরাধী ও মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলি সাহস পেয়েছে (West Bengal)।”

    দিলীপের কটাক্ষ

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি “শান্তি বজায় রাখার” নরম আবেদনকে কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষ বলেন, “রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় হিন্দু ও পুলিশের ওপর হামলা, সম্পত্তি ধ্বংস এবং দাঙ্গা চালানো মুসলিমদের বিরুদ্ধে কঠোর ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নিলে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে এবং বাংলা হিন্দুদের জন্য মরণফাঁদে পরিণত হবে।” তিনি বলেন, “কিন্তু এটাও ঠিক, এবারও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কঠোর ব্যবস্থা নেবেন না। কারণ তিনি জানেন, তা করলে তাঁর সরকার পড়ে যাবে। তিনি তো প্রকাশ্যেই স্বীকার করেছেন যে মুসলিম সমর্থনের জোরেই তিনি ক্ষমতায় আছেন। তিনি মুসলিমদের কাছে ঋণী (Anti Waqf Protests)।”

    সেলিমের ধরি মাছ না ছুঁই পানি!

    কংগ্রেস হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনায় কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। সিপিআই(এম)-এর রাজ্য সম্পাদক মহাম্মদ সেলিম বিতর্কের মুখে পড়েছেন এই অভিযোগে যে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি উভয়েই দাঙ্গার জন্য দায়ী। তাঁর দাবি, বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতারের, যাঁকে তিনি “দাঙ্গার মস্তিষ্ক” বলে উল্লেখ করেছেন। শুভেন্দুকে গ্রেফতারের দাবি জানালেও, সেলিম সাহেব সিদ্দিকুল্লার মন্তব্য নিয়ে অদ্ভুতভাবে নীরব! হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনায় সরব হয়েছেন কংগ্রেসের অধীর রঞ্জন চৌধুরী। হিংসার জন্য তিনি দায়ী করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে, সুপ্রিম কোর্টের ২৬,০০০ সরকারি স্কুল কর্মী বরখাস্তের আদেশ সৃষ্ট সঙ্কট থেকে মনোযোগ সরাতে হামলা উস্কে দেওয়ার জন্য। তবে তিনি একবারও হিন্দুদের আক্রমণকারী মুসলিমদের নাম নেননি।

    শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য

    এহেন আবহে হিন্দুদের আশ্বস্ত করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “আমরা হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ করতে এবং হিন্দুদের রাজনৈতিকভাবে সংহত করতে আমাদের প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করব। বাংলার হিন্দুদের এটা বোঝাতে হবে যে সম্প্রদায়টি একটি গুরুতর অস্তিত্ব সংকটের মুখোমুখি হয়েছে, এবং হিন্দুরা ঐক্যবদ্ধ না হলে বাংলা আর একটি বাংলাদেশে পরিণত হবে। বাঙালি হিন্দুরা পড়ে থাকবে (West Bengal) কোনও স্বদেশ ছাড়াই! তাই হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভোট বিভাজন রুখতে হবে (Anti Waqf Protests)।”

LinkedIn
Share