Author: pranabjyoti

  • New Income Tax Bill: নয়া আয়কর বিলে অনুমোদন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার, জানুন বিশদে

    New Income Tax Bill: নয়া আয়কর বিলে অনুমোদন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার, জানুন বিশদে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নয়া আয়কর বিলে অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা (Union Cabinet)। আয়কর আইন ১৯৬১-এর বদলে আনা হচ্ছে এই বিল (New Income Tax Bill)। ভারতের কর ব্যবস্থাকে সরলীকরণ ও আধুনিকীকরণ করাই এর লক্ষ্য। নয়া বিলটি আইনি ভাষাকেও সহজ করবে যাতে করদাতারা সহজে বুঝতে পারেন বিধানগুলি। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, নয়া আইনটি বর্তমানের চেয়ে ৫০ শতাংশ ছোট হবে। এর প্রধান লক্ষ্য হল মামলার সংখ্যা কমানো। বিলটিকে যাতে করদাতা-বান্ধব করে তোলা যায়, তাই বিলটিতে কিছু অপরাধের ক্ষেত্রে কর জরিমানার প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে।

    কী বললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী (New Income Tax Bill)

    ১ ফেব্রুয়ারি সংসদে বাজেট পেশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। বাজেট বক্তৃতায় তিনি এই বিলের কথা ঘোষণা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “১৯৬১ সালের আয়কর আইনের পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনা ৬ মাসের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে। সংশোধিত আয়কর আইনটি সরল, স্পষ্ট ও সহজে বোধগম্য হবে।” ২০২১-২৬ অর্থবর্ষ থেকে নয়া কর কাঠামো লাগু হবে। আয়করদাতারা এই সিস্টেমের আওতায় আসবেন ২০২৬-’২৭ অ্যাসেসমেন্ট ইয়ারে। এবারের বাজেটে বার্ষিক আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা এক লাফে পাঁচ লাখ টাকা বাড়িয়ে ১২ লাখ টাকা করার কথা ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। অর্থাৎ, কারও আয়কর এক লাখ টাকার মধ্যে হলে এক পয়সাও আয়কর দিতে হবে না। অর্থনীতিবিদদের মতে, এর ফলে সাধারণ মানুষের হাতে টাকার জোগান বাড়বে, ক্রয়ক্ষমতা বাড়বে। স্বাভাবিকভাবেই চাঙা হবে অর্থনীতি (New Income Tax Bill)।

    নয়া বিলের সুবিধা

    এক নজরে দেখে নেওয়া যাক নয়া বিলের সুবিধাগুলি –

    নতুন করের প্রয়োজন নেই: বিলটিতে কোনও নতুন কর প্রবর্তন করা হবে না। তবে চালু কর আইন সরলীকরণের ওপর জোর দেওয়া হবে।

    সরলীকৃত ভাষা: আইনি ভাষা আরও সহজলভ্য করা হবে। এতে করদাতারা জটিলতা ছাড়াই বিধানগুলি বুঝতে পারবেন।

    সংক্ষিপ্ত আইন: অপ্রয়োজনীয় বিধান বাদ দিয়ে এবং অস্পষ্টতা হ্রাস করে নতুন আইনটি বিদ্যমান আইনের চেয়ে ৫০ শতাংশ ছোট হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    কম শাস্তি: কর ব্যবস্থাকে আরও করদাতা-বান্ধব করে তুলতে কিছু অপরাধের জন্য কম শাস্তি প্রবর্তনের বিধান থাকতে পারে।

    মামলা-মোকদ্দমা হ্রাস: অপব্যবহার-বিরোধী বিধানের ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্তগুলি স্পষ্ট করে এবং পুরানো ধারাগুলি অপসারণ করে। নতুন বিলের লক্ষ্যই হল কর বিরোধ হ্রাস করা।

    নয়া আয়করের স্ল্যাব

    নয়া আয়কর স্ল্যাবটা একবার দেখে নেওয়া যাক।

    বার্ষিক ৪ লাখ পর্যন্ত কোনও কর দিতে হবে না।

    ৪ লাখ থেকে ৮ লাখ টাকা পর্যন্ত দিতে হবে ৫ শতাংশ। ৮ লাখ থেকে ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত দিতে হবে ১০ শতাংশ, ১২ লাখ থেকে ১৬ লাখ পর্যন্ত ১৫ শতাংশ, ১৬ লাখ থেকে ২০ লাখ পর্যন্ত ২০ শতাংশ, ২০ লাখ থেকে ২৪ লাখ পর্যন্ত ২৫ শতাংশ, ২৪ লাখের ওপর হলে ৩০ শতাংশ।

    প্রত্যাশিত সংস্কার

    নয়া কর বিলে প্রত্যাশিত যে সব সংস্কার করা হয়েছে, সেগুলি হল –

    একীভূত কর ব্যবস্থা: বর্তমানে, ব্যক্তি, এইচইউএফ, এওপি, বিওআই এবং কোম্পানিগুলির ক্ষেত্রে বিভিন্ন কর ব্যবস্থা প্রযোজ্য। নয়া বিলটি এগুলিকে একটি একক কর কাঠামোর মধ্যে প্রবাহিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এতে কমবে সম্মতির বোঝা। নিশ্চিত করবে কর নিশ্চিতকরণ।

    উইথহোল্ডিং ট্যাক্স রেশেনালাইজেশন: ব্যবসা ও ব্যক্তিদের জন্য সম্মতি সহজ করার জন্য একটি সরলীকৃত কর উইথহোল্ডিং কাঠামো চালু করা যেতে পারে (Union Cabinet)।

    ব্যবসা করা হবে সহজ: নতুন আইনে প্রকৃত লেনদেনের অপ্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই রোধ করতে অপব্যবহার বিরোধী বিধানের ব্যতিক্রম নির্দিষ্ট করা যেতে পারে (New Income Tax Bill)।

    অপ্রয়োজনীয় বিধান বাতিল: কর আইনকে আরও সুনির্দিষ্ট এবং বস্তুনিষ্ঠ করতে পুরানো এবং যেসব ধারা প্রয়োগ করা হয় না, সেগুলি অপসারণ করা হবে।

    প্রসঙ্গত, নয়া কর ব্যবস্থা ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষ থেকে কার্যকর হবে। এটি ২০২৬-২৭ মূল্যায়ন বছর থেকে করদাতাদের ওপর প্রভাব ফেলবে।

    এই আপডেটগুলির মাধ্যমে, সরকার আরও স্বচ্ছ এবং দক্ষ কর ব্যবস্থা তৈরি করার লক্ষ্য নিয়েছে। এতে একদিকে যেমন বিরোধ হ্রাস পাবে, তেমনি ব্যবসা এবং ব্যক্তি উভয়ের সম্মতির সহজতা উন্নত করবে (New Income Tax Bill)।

    প্রসঙ্গত, আয়কর আইনের বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করতে ২২টি বিশেষ সাব কমিটি গঠন করা হয়েছে। আয়কর আইন পর্যালোচনার জন্য বিভিন্ন পক্ষের কাছ থেকে আয়কর বিভাগ সাড়ে ৬ হাজারটি পরামর্শ পেয়েছে (Union Cabinet)।

  • Hamas: পাক জঙ্গিদের সঙ্গে হাত মেলাল হামাস, কাশ্মীরকে অশান্ত করার ছক?

    Hamas: পাক জঙ্গিদের সঙ্গে হাত মেলাল হামাস, কাশ্মীরকে অশান্ত করার ছক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার পাক জঙ্গিদের সঙ্গে হাত মেলাল প্যালেস্তাইনের জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস (Hamas)! বুধবার পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (POK) পালিত হয়েছে ‘কাশ্মীর সংহতি দিবস’। সেখানে আয়োজন করা হয়েছিল ভারত-বিরোধী এক জঙ্গি সম্মেলনেরও। অভিযোগ, দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন যোগ দিয়েছিল ওই সম্মেলনে। জানা গিয়েছে, সম্মেলনে জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ এবং লস্কর-ই-তইবার নেতাদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন হামাসের প্রবীণ নেতারাও।

    কাশ্মীর সংহতি দিবস (Hamas)

    এদিন রাওয়ালকোটের শহিদ সাবির স্টেডিয়ামে কাশ্মীর সংহতি ও হামাস অপারেশন আল আকসা বন্যা শীর্ষক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথিদের মধ্যে ছিলেন জইশের প্রধান মাসুদ আজহারের ভাই তালহা সইফ, জইশের কমান্ডার আসগর খান কাশ্মীরি ও মাসুদ ইলিয়াস। লস্করের শীর্ষ স্থানীয় নেতারাও ছিলেন। এই সম্মেলনেই যোগ দিয়েছিলেন ইরানে হামাসের প্রতিনিধি খালিদ আল কাদুমি।

    জইশ এবং লস্কর

    বৈঠকে খালিদ ছাড়াও হামাসের সঙ্গে যুক্ত বেশ কয়েকজন প্যালেস্তাইনি নেতাও উপস্থিত ছিলেন। এই জঙ্গি নেতারা আলাদা করে বৈঠক করেন জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলামের প্রধান মওলানা ফজলুর রহমানের সঙ্গেও। ভারতের (Hamas) মাটিতে বেশ কয়েকবার হামলা চালিয়েছে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন জইশ এবং লস্করের সদস্যরা। ভারত-বিরোধী এই সব জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে হামাস নেতাদের বৈঠকে ভারতের কপালে চিন্তার ভাঁজ। এই হামাসই অতীতে একাধিকবার কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছিল। সেই সময় জল্পনা ছড়িয়েছিল, দক্ষিণ এশিয়ার জঙ্গি সংগঠনগুলির সঙ্গে হামাসের যোগসূত্র থাকতে পারে। কাশ্মীর সংহতি দিবসের এই অনুষ্ঠানই ফের উস্কে দিল সেই জল্পনাই।

    কাশ্মীর সংহতি দিবস পালনের সূচনা

    ১৯৯১ সালে কাশ্মীর সংহতি দিবস পালনের সূচনা করেন পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। সেই থেকে ফি বছর ৫ ফেব্রুয়ারি দিনটি পালন করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। পাকিস্তানের (POK) সব সরকারি প্রতিষ্ঠানেও ছুটি থাকে এদিন। সাম্প্রতিক অতীতে দিনটিকে ভারত বিরোধী প্রচারের কাজে ব্যবহার করছেন পাকিস্তানের রাজনীতির কারবারিরা। প্রতিবারই আপত্তি জানিয়ে আসছে ভারত। ভারতের সেই আপত্তি অগ্রাহ্য করে এবারও কাশ্মীর সংহতি দিবস পালন করেছে পাকিস্তানের সরকার। ভারতের হাতে নিপীড়িত কাশ্মীরবাসীর পাশে থাকার বার্তাও দিয়েছেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি এবং প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ (Hamas)।

    ‘আল আকসা ফ্লাড’-এর ব্যানারে সম্মেলন

    গোয়েন্দা সূত্রে খবর, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে এবার যে সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল, তা করা হয়েছিল ‘আল আকসা ফ্লাড’-এর ব্যানারে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর এই নামেই ইজরায়েলে অপারেশন চালিয়েছিল হামাস। প্যালেস্তাইনের এই জঙ্গি গোষ্ঠীর হাতে সেদিন প্রাণ হারিয়েছিলেন ৭০০ জন নিরীহ মানুষ। আল আকসা হল জেরুজালেমের এক মসজিদ। এই মসজিদের ওপর নিজেদের কর্তৃত্ব দাবি করেছে একই সঙ্গে মুসলিম ও ইহুদি দু’পক্ষই। হামাসের সঙ্গে ইজরায়েলের যে লড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলেছিল তার অন্যতম নেপথ্য কারণ এটিও। ইজরায়েল ইহুদি রাষ্ট্র। আর হামাস মুসলিম। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে আল আকসা ফ্লাডের ব্যানারে সম্মেলন হওয়ায় সিঁদুরে মেঘ দেখছে ভারত। কারণ এই নামকে হাতিয়ার করেই মুসলিম ভাবাবেগকে উস্কে দিতে চাইছে জঙ্গি সংগঠনগুলি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেটাকে কাজে লাগিয়েই পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঘাঁটি গাড়ছে বিভিন্ন দেশের জঙ্গি সংগঠনগুলি (Hamas)।

    পাক চেষ্টা ব্যর্থ

    গোয়েন্দা সূত্রে খবর, পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরেই চাইছে জম্মু-কাশ্মীরের ইস্যুকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলে ধরতে। যদিও সেই মঞ্চে মিথ্যাচার চালিয়েও বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি ইসলামাবাদ। এবার হামাস কমান্ডারকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে নিয়ে এসে পাক (POK) প্রশাসন বিশ্বের দরবারে এই বার্তাই পৌঁছে দিতে চাইছে, প্যালেস্তাইন এবং কাশ্মীরের সমস্যা একই। মধ্য প্রাচ্যে গাজার মতোই কাশ্মীরে চলছে মুসলমানদের ওপর অত্যাচার। কাশ্মীর ইস্যুতে বিশ্বের মুসলমান দেশগুলিকে পাশে পেতে বহু কাঠখড় পুড়িয়েছে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। তবে বেশিরভাগ মুসলিম দেশই রয়েছে ভারতের সঙ্গে। সৌদি আরব, ইউএই, কাতার এবং কুয়েত তো রাষ্ট্রসংঘে কাশ্মীর ইস্যুতে বরাবর ভারতের পাশেই দাঁড়িয়েছে। পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছে তুরস্ক ও মালয়েশিয়া।

    তিনটি জঙ্গি সংগঠনের মাথারা

    বুধবার পাক অধিকৃত কাশ্মীরে যে সম্মেলন হয়েছে, সেখানে জড়ো হয়েছিলেন তিনটি জঙ্গি সংগঠনের মাথারা। গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, এই তিন জঙ্গি সংগঠনকে একত্রিত করে জম্মু-কাশ্মীরে বড়সড় নাশকতার ছক কষছে পাক সেনাবাহিনী এবং পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। মোদি জমানায় শান্ত হয়েছে ভূস্বর্গ কাশ্মীর। সেই কাশ্মীরেই জেহাদের স্বপ্ন ফেরি করে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি ফের রক্তাক্ত করে তুলতে চাইছে কাশ্মীরকে। সেই কারণেই সীমান্তের ওপারের জঙ্গি ঘাঁটিগুলির ওপর কড়া নজর রাখছে ভারত। সীমান্তে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা।

    ঘটনাচক্রে, এদিন যখন সম্মেলন চলছিল পাক অধিকৃত কাশ্মীরে, ঠিক তখনই মুজফফরাবাদে একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী। ভাষণ শেষে তিনি স্লোগান দেন, ‘কাশ্মীর বনেগা পাকিস্তান’। আরও একধাপ এগিয়ে পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনির আহমেদ দাবি করেন, একদিন গোটা কাশ্মীর হবে পাকিস্তানের অংশ (POK)। পাক সেনা কাশ্মীরের স্বাধীনতা লড়াইয়ের সঙ্গেই আছে বলেও জানান তিনি (Hamas)।

  • Bengal Global Business Summit: ‘প্রতারণা, প্রহসন এবং প্রদর্শনীর মেলা’, বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটকে তোপ সুকান্তর

    Bengal Global Business Summit: ‘প্রতারণা, প্রহসন এবং প্রদর্শনীর মেলা’, বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটকে তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট (Bengal Global Business Summit) রাজ্যের জনগণের প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর প্রতারণা, প্রহসন এবং প্রদর্শনীর মেলা। বুধবার এই ভাষায়ই আক্রমণ শানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তাঁর কথায়, রাজ্যের অবনতিশীল, অর্থনৈতিক ও ব্যবসায়িক পরিবেশ ঢেকে রাখতেই উদ্যোগ নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।

    সুকান্তর তোপ (Bengal Global Business Summit)

    এক্স হ্যান্ডেলে সুকান্ত লিখেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ জনগণকে প্রতারণার পুরানো কৌশল এবং ঐতিহ্য বজায় রেখে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার একটি প্রহসনের আয়োজন করেছেন – বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট – যার উদ্দেশ্য শুধুমাত্র বাংলার জনগণকে বিভ্রান্ত করা।’ তিনি লিখেছেন, ‘২০১৫ সালে শুরু হওয়ার পর থেকে তথাকথিত এই সম্মেলন শুধুমাত্র একটি জাঁকজমকপূর্ণ প্রদর্শনী মেলা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার মাধ্যমে তৃণমূলের রাজত্বে বাংলার অবনতিশীল, অর্থনৈতিক ও ব্যবসায়িক পরিবেশকে ঢেকে রাখার পূর্ণ অপচেষ্টা চরিতার্থ করা হয়েছে।’

    কী বললেন সুকান্ত

    বিজেপির রাজ্য সভাপতির দাবি, ২০১৫ সালে প্রথম বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট অনুষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে রাজ্যে শিল্প ধ্বংসের পথে এগিয়েছে। লক্ষাধিক শ্রমিক কর্মহীন হয়েছে। পরিসংখ্যান দিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী লিখেছেন, ‘২০১৬ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ২১ হাজার ৫২১টি শিল্প ইউনিট বন্ধ হয়েছে, যা পশ্চিমবঙ্গ পরিবেশ দফতরের রিপোর্ট থেকে স্পষ্ট। এই বিশাল সংখ্যক কারখানা বন্ধ হওয়ার ফলে লক্ষ লক্ষ শ্রমিক কর্মহীন হয়েছে।’ তিনি লিখেছেন, ‘একাধিক নামজাদা কোম্পানি বাংলা থেকে শিল্প গুটিয়ে নিয়ে চলে গিয়েছে। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ব্রিটানিয়ার মতো বড় প্রতিষ্ঠান-সহ ২ হাজার ২২৭টি নিবন্ধিত সংস্থা, যা উৎপাদন অর্থনীতি, কমিশন এজেন্সি ও বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত ছিল, তারা বাংলা ছেড়ে চলে গিয়েছে। অর্থনৈতিক অবদান হ্রাস পেয়েছে।’ স্ট্যাটিস্টিক্স ও প্রোগ্রাম ইমপ্লিমেন্টেশন মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৬০-৬১ অর্থবর্ষে পশ্চিমবঙ্গ ভারতের জিডিপিতে ১০.৫ শতাংশ অবদান রেখেছিল এবং তৃতীয় স্থানে ছিল। কিন্তু ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে এই হার নেমে এসেছে মাত্র ৫.৬ শতাংশে (Sukanta Majumdar)।

    পশ্চিমবঙ্গের পতন!

    বালুরঘাটের সাংসদের দাবি, বিনিয়োগকারীদের নজরে ক্রমাগত পতন হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের (Bengal Global Business Summit)। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৯৭০ এর দশকে মুম্বইয়ের পরেই পশ্চিমবঙ্গ কোম্পানির সদর দফতরের জন্য কোম্পানিগুলির জন্য দ্বিতীয় পছন্দের জায়গা ছিল। কিন্তু ২০২১ সালের মধ্যে বাংলার অবস্থান নেমে আসে অষ্টম স্থানে, যেখানে মুম্বই তার শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে। সুকান্ত লিখেছেন, ‘বিনিয়োগকারীদের ওপর অত্যাচার হয়েছে রাজ্যে। কারণ হল শাসক দলের দুষ্কৃতীদের দ্বারা লাগাতার জুলুমবাজি ও হেনস্থার মুখে পড়েছেন বিনিয়োগকারীরা। এর ফলে বিনিয়োগকারীদের আস্থা তলানিতে এসে ঠেকেছে। এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ হল, আইএফবি এগ্রোর নূরপুর কারখানায় সশস্ত্র হামলা ও তারপর কোম্পানিকে জোর করে ৪০ কোটি নির্বাচনী বন্ড প্রদানের জন্য বাধ্য করা – যা স্পষ্টভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনে দুষ্কৃতীরাজের সব চেয়ে বড় উদাহরণ।’ বঙ্গ বিজেপির এই নেতার দাবি, এই তথ্যগুলিই প্রমাণ করে যে বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট আসলে জনগণের করের টাকায় পরিচালিত একটি প্রতারণার উৎসব মাত্র। এটি মূলত একটি ধোঁয়াশা সৃষ্টি করার কৌশল, যার মাধ্যমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিথ্যাচারের সরকার জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনের আড়ালে বাংলার মানুষকে প্রতিনিয়ত প্রতারিত করে চলেছে।

    আক্রমণ শানালেন শুভেন্দুও

    বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটকে নিশানা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি বলেন, “একটা কোম্পানিকে কিছু টাকা পাইয়ে দেওয়ার জন্য প্রতি বছর একটা বাৎসরিক উৎসব হয়। এখনও পর্যন্ত যে কটা বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন হয়েছে, তাতে ১৪ থেকে ১৫ লাখ কোটি টাকার চুক্তি হয়েছে। কিন্তু ১৪-১৫ টাকাও বিনিয়োগ হয়েছে দেখতে পাচ্ছেন কোথাও। উল্টো দিকে ২০২১ সালের পরে ডাবরের কারখানা পালিয়েছে। কেশরাম রেয়ন বন্ধ হয়েছে। নৈহাটি, ভদ্রেশ্বর জুটমিল, ডানকুনির বিস্কুট তৈরির কারখানা সব বন্ধ হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একজন ঘনিষ্ঠ লোক রয়েছে। তাকে এই সম্মেলন আয়োজনের দায়িত্ব দিয়ে দেওয়া হয়। টেন্ডার ছাড়াই বরাদ্দ হয় ৫০ কোটি টাকা। এই টাকা ঝাড়ার জন্য এটা করা হয়েছে।”

    তৃণমূল জমানায় রাজ্যের শিল্পের অবস্থা ক্রমশ খারাপ (Bengal Global Business Summit) হয়েছে বলেও অভিযোগ রাজ্যের বিরোধী দলনেতার। বিশেষজ্ঞদের মতে, এজন্য দায়ী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জমি নীতি। তৃণমূল সরকারের সেজ (SEZ) বিরোধী ও জমি অধিগ্রহণ বিরোধী নীতির ফলে বড় শিল্পপতিরা পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিমুখ হচ্ছেন। সেই (Sukanta Majumdar) কারণেই দিন দিন ভিন রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের যুবকরা (Bengal Global Business Summit)।

    রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “২০১৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত সারা দেশে বিদেশি বিনিয়োগ হয়েছে ১৯ লাখ কোটি টাকারও বেশি। সেখানে পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগ ১২ হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি। অর্থাৎ সারা দেশে বিনিয়োগের শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ।”

  • Bangladesh Crisis: মধ্যরাতে তাণ্ডব বাংলাদেশে, মুজিবের বাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টা!

    Bangladesh Crisis: মধ্যরাতে তাণ্ডব বাংলাদেশে, মুজিবের বাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্তির বাংলাদেশে ইতিহাস হয়ে গেল ‘ইতিহাস’! এবং সেটাও হল এমন সময় যখন বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) তদারকি সরকারের মাথায় যিনি রয়েছেন, সেই মহম্মদ ইউনূস নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন শান্তির জন্য! ফেরা যাক খবরে। বুধবার রাতে ঢাকায় শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত ৩২ নম্বর ধানমন্ডির বাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় (Sheikh Hasina)। প্রথমে মুজিবের বাড়িতে তাণ্ডব চালায় উন্মত্ত জনতা। ভাঙচুর করার পাশাপাশি লাগিয়ে দেওয়া হয় আগুন। গভীর রাতে বুলডোজার নিয়ে এসে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হয় ‘ইতিহাস’।

    বাংলাদেশে তাণ্ডব (Bangladesh Crisis)

    এদিন বাংলাদেশবাসীর উদ্দেশে ভার্চুয়ালি ভাষণ দেন সে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর ভাষণ শুরুর আগেই তাণ্ডব চালানো হয় হাসিনার বাবার বাড়িতে। এই ধানমন্ডিতেই বাড়ি রয়েছে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও। বাড়ির নাম সুধা সদন। আওয়ামি লিগ সুপ্রিমোর সেই বাড়িতেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এদিন রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ ভোলা সদরের গাজিপুর সড়কে প্রিয় কুটির নামে একটি বাড়িতেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এটি আওয়ামি লিগ নেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ তোফায়েল আহমেদের বাড়ি। রাত ১টা নাগাদ কুমিল্লার মুন্সেফবাড়ি এলাকায় প্রাক্তন সাংসদ বাহাউদ্দিন বাহারের বাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়। লাগিয়ে দেওয়া হয় আগুনও।

    অগ্নিসংযোগ শেখ হাসিনার বাড়িতেও

    হাসিনা-বিরোধী জনতার রোষের আগুনের হাত থেকে রেহাই পায়নি খুলনায় শেখ বাড়িও (Bangladesh Crisis)। এই বাড়িটি হাসিনার কাকার। এদিন রাত ৯টা নাগাদ তাণ্ডব শুরু হয় এই বাড়িতে। প্রথমে বাড়িটি ভাঙচুর করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। পরে সিটি কর্পোরেশনের দুটি বুলডোজার নিয়ে বাড়িটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। কুষ্টিয়ায়ও বুলডোজার চলেছে প্রাক্তন সাংসদ মাহবুব উল আম হানিফের বাড়িতে। জাহাঙ্গিরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও মুজিব ও হাসিনার ম্যুরালও ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।

    ফ্যাসিবাদের তীর্থভূমি!

    বাংলাদেশের ‘ইতিহাস’ যে এদিন ধুলোয় মিশিয়ে যাবে, তার ইঙ্গিত মিলেছিল আগেই। এদিন বিকেল থেকেই ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িটি (এটাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বাড়ি) গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে পোস্ট ছড়িয়ে পড়ে সোস্যাল মিডিয়ায়। সন্ধ্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহও সোস্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন। তিনি লেখেন, ‘আজ রাতে বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের তীর্থভূমি মুক্ত হবে।’ হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল (Sheikh Hasina) সংবাদ মাধ্যমকেও। বলা হয়েছিল, কোনও সংবাদমাধ্যম হাসিনার ভাষণ প্রচার করলে, সেই গণমাধ্যম হাসিনাকে সহযোগিতা করছে বলে ধরে নেওয়া হবে।

    ধুলোয় মিশল ইতিহাস

    ধানমন্ডির এই বাড়িটিই পাঁচ দশক আগে বাংলাদেশে রক্তাক্ত পালাবদলের সাক্ষী। সেই সময় গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিল শেখ মুজিবুর রহমানের দেহ। হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসার পর তাঁর পৈত্রিক বাড়িটিকে পরিণত করেছিলেন সংগ্রহশালায়। ইতিহাসের সেই সাক্ষীই এখন মিশে গেল ধুলোয়। গত ৫ অগাস্ট আন্দোলনের জেরে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন হাসিনা। সেই সময়ও ভাঙচুর চালানো হয় মুজিবের ধানমন্ডির বাড়িতে। তার পর থেকে বাড়িটি ছিল পরিত্যক্ত অবস্থায়ই। এবার আগুন লাগিয়ে ভস্মীভূত করা হল সেই বাড়ি।

    কী বললেন হাসিনা

    পৈত্রিক ভবনের এই দুর্দশার প্রসঙ্গ এদিন উঠে এসেছে হাসিনার ভার্চুয়াল ভাষণেও। তিনি বলেন, “ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি থেকে জাতির পিতা (শেখ মুজিব) স্বাধীনতার (Bangladesh Crisis) কথা ঘোষণা করেছিলেন। ওই ঘটনার পর পাকিস্তানি হানাদাররা তাঁকে গ্রেফতার করে নিয়ে গিয়েছিল। তখনও এই বাড়িটিতে তারা লুটপাট করেছিল। কিন্তু আগুন দিয়ে পোড়ায়নি, ভাঙেনি।” স্মৃতির সরণী বেয়ে হাঁটতে গিয়ে হাসিনা বলেন, “শেখ মুজিব কখনও দেশের রাষ্ট্রপতি ভবন কিংবা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে থাকেননি। তিনি ছিলেন এই ছোট্ট বাড়িটিতেই। আমার মা অনেক কষ্ট করে এই বাড়িটির প্রতিটি ইট নিজের হাতে গেঁথেছিলেন।” আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো বলেন, “এই বাড়িতে অনেক রাষ্ট্রপ্রধান, সরকার প্রধান, বিশ্বের বড় বড় নেতারা এসেছেন। আজ এই বাড়িটি ভেঙে ফেলা হচ্ছে। কেন? বাড়িটির কী অপরাধ? এই বাড়িটিকে কেন এত ভয় পাচ্ছেন (Sheikh Hasina)?”

    পাকিস্তানিদের পদলেহন করাটাই পছন্দ!

    এদিন বাংলাদেশের ছাত্রসমাজের উদ্দেশে হাসিনার ৫২ মিনিটের অডিও বার্তায় বাংলাদেশবাসীর বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ করেন হাসিনা। তিনি বলেন, “আমরা দুই বোন যে স্মৃতিটুকু নিয়ে বেঁচেছিলাম, আজ সেই স্মৃতিটুকুও ভেঙে ফেলা হচ্ছে। এর আগে আগুন দিয়ে পুড়িয়েছে। আজ ভেঙে ফেলা হল।” গলা ধরে এল বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর। হাসিনা বলেন, “লাখো শহিদের রক্তের বিনিময়ে আমরা যে সংবিধান, স্বাধীনতা, পতাকা পেয়েছি – তা কয়েকজন বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতে পারবে না। এ শক্তি তাঁদের এখনও হয়নি। এটি তাঁদের দুর্বলতার প্রকাশ। তাঁরা দালান ভাঙতে পারে, কিন্তু ইতিহাসকে ধ্বংস করতে পারেন না। ইতিহাস যে প্রতিশোধ নেয়। এ কথা তাঁদের মনে রাখতে হবে। যাঁরা এ সব করছেন, তাঁরা হীনন্মন্যতার পরিচয় দিচ্ছেন। তাঁদের হয়তো বাংলাদেশের স্বাধীনতা পছন্দ নয়। পাকিস্তানিদের অধীনে থাকা ও পদলেহন করাটাই হয়তো তাঁদের পছন্দ।”

    বাংলাদেশকে ক্ষতবিক্ষত করে দিচ্ছে

    মুজিব কন্যা বলেন, “বাংলাদেশকে নিয়ে ধ্বংসের খেলা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ সারা বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল ছিল, উন্নয়নের বিস্ময় ছিল। সেই বাংলাদেশকে চরমভাবে ধ্বংস করে জঙ্গি, সন্ত্রাসীদের দেশ হিসেবে পরিণত করা হয়েছে। এটিই হল সব চেয়ে দুর্ভাগ্যের বিষয়।” বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়ার চক্রান্ত করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাঁর। হাসিনা বলেন, “কেউ রেহাই পাচ্ছেন না। এদের ধ্বংসের খেলা, রক্তের খেলা বাংলাদেশকে ক্ষতবিক্ষত করে দিচ্ছে।” তাঁর ধারণা, বাংলাদেশের কোটা সংস্কার আন্দোলনও আসলে একটি ষড়যন্ত্র।

    ইউনূসকে নিশানা হাসিনার

    এদিন ইউনূসকেও নিশানা করেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “১৯৯০ সালে গ্রামীণ ব্যাঙ্কের ম্যানেজারের পদে ৬ হাজার টাকা বেতনের চাকরি পেয়েছিলেন। আমি ১৯৯৬ সালে সরকারে আসার পরে এই গ্রামীণ ব্যাঙ্ককে ৪০০ কোটি টাকা দিয়ে দাঁড় করিয়ে দিই। গ্রামীণ ফোনের ব্যবসাও ইউনূসকে দিয়েছিলাম। আমার কাছে বারবার ধর্না দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, সেখান থেকে লাভের অংশ গ্রামীণ ব্যাঙ্কে যাবে। কিন্তু তা যায়নি। তিনি আর্থিক দুর্নীতি করেছেন। তাঁর ক্ষমতার লোভ আজ বাংলাদেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে এসেছে (Bangladesh Crisis)।” তিনি বলেন, “কয়েকজন বুলডোজার দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ভেঙে ফেলবে, এই শক্তি তাদের হয়নি। তারা একটা দালান ভেঙে ফেলতে পারবে, কিন্তু ইতিহাস মুছতে পারবে না।” এদিন রাজশাহী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, শিলেট, বরিশাল এবং রংপুরেও হামলা চালায় উন্মত্ত জনতা। হামলা চালানো হয়েছে আওয়ামি লিগের নেতা-কর্মীদের বাড়িতেও।

    মধ্যরাতে মুজিবের স্মৃতিবিজড়িত যে বাড়িতে ভাঙচুর চালানো শুরু হয়েছিল, তা চলেছে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্তও। এদিন সকাল ৯টা নাগাদ বাড়িটির সিংহভাগ অংশই ভেঙে ফেলা হয়েছে। বাড়িটির সামনে জড়ো হওয়া লোকজনের বক্তব্য, স্বৈরাচারের কোনও চিহ্ন তাঁরা রাখতে চান না। ভবনের বড় অংশ ভাঙার পর উল্লাসও করতে দেখা গিয়েছে তাদের।

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, বাংলাদেশ থেকে আওয়ামি লিগকে মুছে ফেলতে চায় ইউনূস প্রশাসন। তার জেরে ‘ইতিহাস’ ভাঙচুর শুরু (Sheikh Hasina) হলেও, গদি বাঁচাতে হাত গুটিয়ে বসে থাকেন অন্তর্বর্তী সরকারের নোবেল জয়ী প্রধান (Bangladesh Crisis)!

  • Afghanistan: মেয়েদের পড়াশোনার পক্ষে সওয়াল, আফগানিস্তান ছাড়তে বাধ্য হলেন মন্ত্রী!

    Afghanistan: মেয়েদের পড়াশোনার পক্ষে সওয়াল, আফগানিস্তান ছাড়তে বাধ্য হলেন মন্ত্রী!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অপরাধ’ বলতে তিনি মেয়েদের পড়াশোনার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। তার জেরে তালিবান (Taliban) সরকারের মন্ত্রী মহম্মদ স্তানিকজাইকে বাধ্য করা হল আফগানিস্তান (Afghanistan) ছাড়তে। তালিবানরা যখন আফগানিস্তান দখল করে, তখন এই স্তানিকজাই হয়ে উঠেছিলেন তাদের মুখ। এখন দেশছাড়া হওয়ার পর তিনি দুবাইতে রয়েছেন বলে খবর।

     কী বললেন তালিবান সরকারের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী? (Afghanistan)

    ঘটনার সূত্রপাত গত ২০ জানুয়ারি। ওই দিন আফগানিস্তান-পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী খোস্ত প্রদেশে ‘গ্র্যাজুয়েশন’ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন তালিবান সরকারের ওই মন্ত্রী। সেই সময় তিনি মেয়েদের পড়াশোনার ওপর তালিবানি নিষেধাজ্ঞার কড়া সমালোচনা করেছিলেন। তালিবান সরকারের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী স্তানিকজাই বলেছিলেন, “মেয়েদের শিক্ষার ওপরে নিষেধাজ্ঞা জারির ক্ষেত্রে কোনও অজুহাত দেওয়া যায় না। বর্তমানেও না এবং ভবিষ্যতেও না। আমরা দু’কোটি মানুষের প্রতি অন্যায় করছি। হজরত মহম্মদের সময়ও ছেলে-মেয়ে সবার জন্য খোলা ছিল জ্ঞানের দরজা। এমন কিছু অসাধারণ মহিলা ছিলেন, যাদের অবদান আমি বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করলে তা যথেষ্ট সময় নেবে।”

    মহিলাদের জন্য শিক্ষা বন্ধ করেছিল তালিবান সরকার 

    ২০২২ সালের ডিসেম্বরে তালিবান সরকার মহিলাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকে নিষিদ্ধ করেছিল। আফগানিস্তানে তালিবান রাজত্বে মহিলা শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশাধিকার স্থগিত রয়েছে। আফগানিস্তানের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জিয়াউল্লাহ হাশিমি কর্তৃক জারি করা একটি চিঠিতে সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মহিলা শিক্ষার্থীদের প্রবেশাধিকার স্থগিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল (Afghanistan)।

    ওই দিনই বক্তৃতার সময় স্তানিকজাই তালিবানের সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদারও সমালোচনা করেছিলেন বলে অভিযোগ। শিক্ষানীতি পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়ে এই তালিবান নেতা সরাসরি আখুন্দজাদার কাছে আবেদন জানিয়ে বলেছিলেন, “আমরা নেতৃত্বকে আবার শিক্ষার দরজা খোলার আহ্বান জানাচ্ছি।” এরপরেই তাঁকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেওয়া হয় বলে অসমর্থিত একটি সূত্রের খবর। এর পরেই আফগানিস্তান ছাড়েন তিনি। যদিও স্তানিকজাইয়ের দাবি, শারীরিক সমস্যার কারণেই দেশ ছেড়েছেন তিনি।

    জানা গিয়েছে, ভারতের দেরাদূনের ইন্ডিয়ান মিলিটারি অ্যাকাডেমির ১৯৮২ ব্যাচ ছিলেন স্তানিকজাই (Taliban)। ব্যাচমেটদের কাছে ‘শেরু’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন স্তানিকজাই (Afghanistan)।

  • US Military Aircraft: ১০৪ অবৈধ অভিবাসী নিয়ে অমৃতসরে এল মার্কিন সামরিক বিমান, এরপর কী?

    US Military Aircraft: ১০৪ অবৈধ অভিবাসী নিয়ে অমৃতসরে এল মার্কিন সামরিক বিমান, এরপর কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০৪ জন অবৈধ অভিবাসী নিয়ে অমৃতসরের (Amritsar) শ্রী গুরু রামদাসজি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করল একটি মার্কিন সামরিক বিমান (US Military Aircraft)।

    অবতরণ করল মার্কিন সামরিক বিমান (US Military Aircraft)

    বুধবার ১.৫৫ মিনিটে বিমানটি অবতরণ করেছে। এদিন যাদের ভারতে ফেরত পাঠানো হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ৩০ জন পাঞ্জাবের, ৩৩ জন হরিয়ানার ও গুজরাটের। মহারাষ্ট্র ও উত্তরপ্রদেশে তিনজন করেও রয়েছেন। রয়েছেন চণ্ডীগড়ের দুজনও। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও যাচাই-বাছাইয়ের পর প্রশাসন তাদের পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় নিজেদের বাড়িতে ফেরানোর ব্যবস্থা করেছে। এদিন যাঁদের ভারতে ফেরত পাঠানো হয়েছে, তাঁদের পরিবারের কেউই তাঁদের নিতে বিমানবন্দরে আসেননি।

    ট্রাম্প প্রশাসনের উদ্যোগ

    প্রসঙ্গত, মার্কিন সামরিক বিমান সি-১৭-তে করে ট্রাম্প প্রশাসন ভারতে ফেরত পাঠাল প্রথম দফার অবৈধ অভিবাসীদের। ২০ জানুয়ারি ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেন ট্রাম্প। তার পরেই দেশটির আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলি অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা শুরু করে। অনেক পাঞ্জাবি, যারা লাখ লাখ টাকা খরচ করে “ডাঙ্কি রুট” বা অন্যান্য অবৈধ উপায়ে আমেরিকায় প্রবেশ করেছিলেন, মূলত তাঁদেরই তাড়াচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন।

    অপরাধের রেকর্ড থাকলে পাঠানো হচ্ছে ডিটেনশন সেন্টারে

    জানা গিয়েছে, পাঞ্জাব পুলিশ ও ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো যৌথভাবে পরীক্ষা চালাচ্ছে। যাঁদের বিরুদ্ধে কোনও অপরাধমূলক অতীত বা রেকর্ড নেই, তাঁদেরকে সঙ্গে সঙ্গেই চলে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে (US Military Aircraft)। তবে, যাঁদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক রেকর্ড রয়েছে, পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য তাঁদের নিয়ে যাওয়া হবে ডিটেনশন সেন্টারে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই সংশ্লিষ্ট রাজ্যের যাচাই প্রক্রিয়া চলছে। আমেরিকা থেকে যাঁদের ফেরত পাঠানো হয়েছে, তাঁদের অফিসিয়াল নিশ্চিতকরণের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে। প্রসঙ্গত, এর আগে বিভিন্ন প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, মার্কিন সামরিক বিমানে করে ভারতে পাঠানো হচ্ছে ২০৫ জন অবৈধ অভিবাসী। আমেরিকা থেকে ভারতে এই প্রথম পাঠানো হল অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীদের ব্যাচ।

    প্রেসিডেন্ট পদে বসার পর থেকেই মার্কিন মুলুকে বসবাসকারী অবৈধ অভিবাসীদের স্বদেশে ফেরত পাঠাতে উদ্যোগী হয়েছেন ট্রাম্প। এই অভিবাসীদের চিহ্নিত করে ধরপাকড়ও শুরু করেছে মার্কিন প্রশাসন। ইতিমধ্যেই আমেরিকায় (Amritsar) বসবাসকারী বেশ কয়েকটি দেশের অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠাতে শুরু করেছে আমেরিকা। তার মধ্যে রয়েছে ভারতও (US Military Aircraft)।

  • Gyan Bharatam Mission: পান্ডুলিপি সংরক্ষণে ‘জ্ঞান ভারতম মিশন’ চালুর কথা কেন্দ্রীয় বাজেটে, কেন তাৎপর্যপূর্ণ

    Gyan Bharatam Mission: পান্ডুলিপি সংরক্ষণে ‘জ্ঞান ভারতম মিশন’ চালুর কথা কেন্দ্রীয় বাজেটে, কেন তাৎপর্যপূর্ণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় বাজেটে ঘোষণা করা হয়েছে ‘জ্ঞান ভারতম মিশন’ চালুর কথা। ২০২৫-’২৬ অর্থবর্ষে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এই মিশন চালুর কথা ঘোষণা করেন (Indias Ancient Knowledge)। এই মিশনে এক কোটি পান্ডুলিপি সংরক্ষণ ও নথিভুক্ত করা হবে (Gyan Bharatam Mission)। এই উদ্যোগটি ভারতের বিশাল বৌদ্ধিক ঐতিহ্যকে রক্ষা ও সমৃদ্ধ করার উদ্দেশ্যে গৃহীত হয়েছে। এটি প্রাচীন জ্ঞানকে আধুনিক শিক্ষা ও প্রযুক্তির সঙ্গে সংযুক্ত করার মোদি সরকারের বৃহত্তর দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

     কী বললেন সীতারামন? (Gyan Bharatam Mission)

    শনিবার বাজেট বক্তৃতায় সীতারামন বলেন, “আমাদের পান্ডুলিপি ঐতিহ্যের সমীক্ষা, নথিভুক্তকরণ এবং সংরক্ষণের জন্য জ্ঞান ভারতম মিশন চালু করা হবে। এটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, জাদুঘর, গ্রন্থাগার এবং ব্যক্তিগত সংগ্রাহকদের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে এক কোটি পান্ডুলিপি অন্তর্ভুক্ত করবে।”  সীতারামন এও ঘোষণা করেন, ভারতীয় জ্ঞানতন্ত্রের জন্য একটি জাতীয় ডিজিটাল ভান্ডার স্থাপন করা হবে, যা জ্ঞান বিনিময়ের সুযোগ করে দেবে। নয়া এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত বলেন, “২০২৫ সালের বাজেট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও সভ্যতাগত উত্তরাধিকারের সংরক্ষণ ও প্রচারের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।”

    শেখাওয়াতের বক্তব্য

    তিনি (Gyan Bharatam Mission) বলেন, “একটি নতুন কেন্দ্রীয় খাত প্রকল্প, ‘জাতীয় পান্ডুলিপি মিশন’ বা ‘জ্ঞান ভারতম মিশন’, আমাদের পান্ডুলিপি ঐতিহ্যের সমীক্ষা, দলিলীকরণ ও সংরক্ষণের জন্য চালু করা হয়েছে। এর মধ্যে ১ কোটিরও বেশি পান্ডুলিপি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ভারতীয় জ্ঞান ব্যবস্থার একটি জাতীয় ডিজিটাল সংগ্রহশালা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এটি প্রমাণ করে যে আমাদের সরকার আমাদের ‘বিরাসত’ রক্ষার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যাতে আমরা ‘বিকশিত ভারত’-এর পথে এগিয়ে যেতে পারি।”

    প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশাসন ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থাকে পুনর্গঠনের জন্য বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে। এই প্রচেষ্টাগুলির মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল ২০২০ সালে চালু হওয়া ‘জাতীয় শিক্ষা নীতি’, এটি ভারতীয় সংস্কৃতির মূল্যবোধ ও জ্ঞানকে শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে সমন্বিত করার লক্ষ্য নিয়েছে (Indias Ancient Knowledge)। এই নীতির সমর্থনে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে ‘ভারতীয় জ্ঞান পরম্পরা বিভাগ’ প্রতিষ্ঠা করে (Gyan Bharatam Mission)।

  • Mahakumbh 2025: “সনাতন ধর্ম নিরাপদে থাকলে ভারতও নিরাপদে থাকবে”, বললেন যোগী

    Mahakumbh 2025: “সনাতন ধর্ম নিরাপদে থাকলে ভারতও নিরাপদে থাকবে”, বললেন যোগী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যদি সনাতন ধর্ম নিরাপদে থাকে, তবে ভারতও নিরাপদে থাকবে।” মঙ্গলবার কথাগুলি বললেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। এর আগে সনাতন ধর্মকে বটবৃক্ষের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন তিনি (Mahakumbh 2025)। বলেছিলেন, “সারা বিশ্বে অসংখ্য সম্প্রদায় থাকতে পারে, তাঁদের উপাসনাবিধিও আলাদা আলাদা হতে পারে। কিন্তু ধর্ম একটাই। সেটা হল সনাতন ধর্ম। ভারতে নিষ্ঠা ও আস্থার দিক দিয়ে সকলেই সনাতন ধর্মের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে।”

    সুরক্ষিত ভারত (Mahakumbh 2025)

    তিনি এও বলেছিলেন, “মনে রাখবেন, ভারত যদি সুরক্ষিত থাকে, তাহলে আমরা সকলে সুরক্ষিত থাকব। দেশের ওপর কোনও সংকট এলে, তা সনাতন ধর্মের ওপর পড়বে। তা যদি হয়, তবে কোনও সম্প্রদায় নিজেদের সুরক্ষিত ভাববেন না। বিপদ সবার ওপর আসবে। ফলে সকলে একজোট হয়ে থাকুন।” এদিন সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী মহাকুম্ভের সেক্টর ৬-এ জগৎগুরু রামানন্দাচার্য স্বামী রাম ভদ্রাচার্যের শিবির পরিদর্শন করেন। সেখানেই ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “কিছু লোক সনাতন ধর্মের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তবে কোনো মারীচ বা সুবাহু সনাতন ধর্মের এক বিন্দুও ক্ষতি করতে পারবে না।” তিনি বলেন, “সনাতন ধর্ম লাখ লাখ সাধুদের দ্বারা সুরক্ষিত এবং একে শত্রুদের দ্বারা কখনওই টলানো সম্ভব নয়।”

    অখণ্ড ভারত সংকল্প মহাযজ্ঞ

    এদিন মুখ্যমন্ত্রী ১৫১ কুণ্ডি অখণ্ড ভারত সংকল্প মহাযজ্ঞে অংশ নেন। তিনি জানান, ইতিমধ্যেই প্রায় ৩৮ কোটি ভক্ত ত্রিবেণী সঙ্গমে পবিত্র স্নান (Mahakumbh 2025) করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “মহাকুম্ভ সারা বিশ্বের ভক্তদের জন্য এক ডিভাইন অভিজ্ঞতা এনে দিয়েছে। তাদের সামনে সনাতন ধর্মের আধ্যাত্মিক মহিমার এক ঝলক তুলে ধরেছে।” যোগী বলেন, “এরা সেই একই মানুষ, যারা রাম জন্মভূমির বিরোধিতা করেছিল এবং কুম্ভ মেলার তাৎপর্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। তারা কোভিড-১৯ অতিমারির সময় পরীক্ষার, চিকিৎসার এবং টিকাকরণেরও বিরোধিতা করেছিল।”

    এর পরেই তিনি বলেন, “যদি সনাতন ধর্ম নিরাপদ থাকে, তবে ভারত নিরাপদ থাকবে। যদি ভারত নিরাপদ থাকে, তবে মানবতাও নিরাপদ থাকবে।” মুখ্যমন্ত্রী (Yogi Adityanath) বলেন, “এই অনুষ্ঠান (মহাকুম্ভ স্নান) মহাশিবরাত্রি পর্যন্ত, অর্থাৎ ২৬শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। ইতিমধ্যেই তিনটি অমৃতস্নান হয়েছে। সকল আখড়া ও ধর্মীয় নেতারা ত্রিবেণী সঙ্গমে পবিত্র স্নান (Mahakumbh 2025) করেছেন।”

  • Dattatreya Hosabale: “ঔপনিবেশিক কাঠামোর কারণে ভারতের প্রাচীন শিক্ষাব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে”, বললেন হোসাবলে

    Dattatreya Hosabale: “ঔপনিবেশিক কাঠামোর কারণে ভারতের প্রাচীন শিক্ষাব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে”, বললেন হোসাবলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “লর্ড মেকলের চাপিয়ে দেওয়া ঔপনিবেশিক কাঠামোর কারণে ভারতের প্রাচীন শিক্ষাব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।” কথাগুলি বললেন আরএসএস (RSS) সরকারের সাধারণ সম্পাদক দত্তাত্রেয় হোসাবলে (Dattatreya Hosabale)। ভারতের বৈদিক শিক্ষা ব্যবস্থা, ঐতিহ্য ও মূল্যবোধের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার ওপরও জোর দেন তিনি। তাঁর মতে, এটি দেশের জ্ঞান-প্রবাহের অংশ।

    কী বললেন দত্তাত্রেয় (Dattatreya Hosabale)

    বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ রাজীব মালহোত্র ও সহ-লেখক বিজয়া বিশ্বনাথন রচিত “হু ইজ রেইজিং ইয়োর চিলড্রেন” গ্রন্থের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন দত্তাত্রেয়। অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছিল বিবেকানন্দ ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনে। তিনি ভারতের দেশীয় শিক্ষা ব্যবস্থাকে পুনরুদ্ধারের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। এর পরেই তিনি বলেন, লর্ড মেকলের চাপিয়ে দেওয়া ঔপনিবেশিক কাঠামোর কারণে ভারতের প্রাচীন শিক্ষাব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

    “ধর্মযোদ্ধা”

    সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে হোসাবলে (Dattatreya Hosabale) বলেন, “বিগত কয়েক দশকে ভারতের জ্ঞান-ঐতিহ্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কিছু নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তি যাঁরা আদতে “ধর্মযোদ্ধা”, বৈদিক শিক্ষা ব্যবস্থার পুনর্জাগরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।” বইটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “এটি ঐতিহ্যগত জ্ঞান ও ঐতিহাসিক প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে লেখা একটি সুচিন্তিত গবেষণা।” এই বাইটি ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থায় ইতিবাচক অবদান রাখবে এবং নতুন শিক্ষানীতির লক্ষ্যগুলির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

    হোসাবলে ভারতের শিক্ষাব্যবস্থা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে দুর্বল করতে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার বিষয়ে সতর্ক করেন। তবে, তিনি উল্লেখ করেন যে, রাজীব মালহোত্রা ও বিজয়া বিশ্বনাথনের মতো চিন্তাবিদরা সক্রিয়ভাবে এই প্রভাবগুলোর মোকাবিলা করছেন এবং সত্য উন্মোচন করছেন। তিনি বলেন, “বৈদিক শিক্ষার সমৃদ্ধ জ্ঞান ভারতের সমাজ ও পারিবারিক কাঠামোকে শক্তিশালী করে দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে।”

    অনুষ্ঠান চলাকালীন লেখকরা উপস্থিত দর্শকদের সঙ্গে একটি প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন এবং ভারতের দেশীয় জ্ঞান ব্যবস্থা সংরক্ষণ ও প্রচারের জন্য (RSS) তাঁদের গবেষণা ও প্রচেষ্টাকে অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দেন (Dattatreya Hosabale)।

  • Criminal Organisation: ট্রাম্প জমানায় অতীত ইউএসএআইডি, স্বস্তির শ্বাস ফেলছে ভারত

    Criminal Organisation: ট্রাম্প জমানায় অতীত ইউএসএআইডি, স্বস্তির শ্বাস ফেলছে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউএসএআইডি একটি অপরাধমূলক সংস্থা (Criminal Organisation)। এই সংস্থারই শেষ সময় ঘনিয়ে এসেছে। এই বার্তা দিয়েছিলেন ধনকুবের ইলন মাস্ক স্বয়ং। তিনি এখন ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনে ডিওজিই-র নেতৃত্ব দিচ্ছেন। গত ২০ জানুয়ারি ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন ট্রাম্প।

    ট্রাম্পের পদক্ষেপ (Criminal Organisation)

    প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ট্রাম্প বিতর্কিত ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ইউএসএআইডি) বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছেন। এই প্রক্রিয়ায় বেশ কয়েকজন কর্তাকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। বরখাস্ত করা হয়েছে কন্ট্রাক্টরদের। ট্রাম্প প্রশাসন যখন বৈদেশিক সহায়তার ওপর স্থগিতাদেশ জারি করে, তখন স্বাধীন এই সংস্থার ওয়েবসাইটও অফলাইনে চলে যায়। রিপাবলিকান পার্টির নেতা ট্রাম্প ইউএসএআইডির সবচেয়ে বড় সমালোচক। তিনি বলেন, “এটি কিছু উগ্র পাগলদের দ্বারা পরিচালিত হয়েছে। আমরা তাদের বের করে দিচ্ছি (USAID)।”

    হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদন

    ২০১৭ সালে হেরিটেজ ফাউন্ডেশন দ্বারা প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, বারাক ওবামা (প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট) প্রশাসনের সময় ইউএসএআইডি বামপন্থী বিলিয়নিয়ার জর্জ সরোসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছিল। তাদের মূল উদ্দেশ্যই ছিল একাধিক দেশে তাদের চরমপন্থী অ্যাজেন্ডা প্রচার করা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, “গত আট বছরে সরোস, তাঁর প্রতিষ্ঠিত ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশন এবং তাদের বহু ছোট সহযোগী সংগঠন ইউএসএআইডির মাধ্যমে মার্কিন করদাতাদের অর্থ পেয়েছে এবং ইউএসএআইডি ওপেন সোসাইটিস ফাউন্ডেশনকে তার সহায়তা কার্যক্রমের প্রধান রূপায়ণকারী করেছে।”

    ভারত-বিরোধী প্রচারে অর্থায়ন

    অবশ্য এটি কোনও গোপন বিষয় নয়। সরোস বহু ভারতবিরোধী প্রচারে অর্থায়ন করেছেন। তিনি দেশে একটি “কালার রিভোলিউশন” (বর্ণ বিপ্লব) সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। সরোস আদানি গ্রুপের উত্থান নিয়েও অসন্তুষ্ট ছিলেন। তিনি গৌতম আদানির বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন। তিনি বলেছিলেন, মোদি এবং আদানি ঘনিষ্ঠ মিত্র। তাদের ভাগ্য পরস্পরের সঙ্গে জড়িত। তিনি আরও বলেছিলেন, আদানি স্টক মার্কেটে তহবিল সংগ্রহের চেষ্টা করেছিলেন, যদিও ব্যর্থ হন। তিনি আদানিকে শেয়ার মূল্য কারসাজির অভিযোগেও অভিযুক্ত করেছিলেন, যার জেরে আদানি গ্রুপের শেয়ারের দর ধসে পড়ে (Criminal Organisation)।

    মোদিকে কটাক্ষ সরোসের

    সরোস ইউএসএআইডির সঙ্গে কাজ করেছিলেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে পুঁজিপতিদের ঘনিষ্ঠ বলে উল্লেখ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “মোদি এই বিষয়ে নীরব। কিন্তু তাঁকে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।” তাঁর আরও অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী মোদি একটি হিন্দু জাতীয়তাবাদী রাষ্ট্র তৈরি করছেন। তাঁর অ্যাজেন্ডাকে এগিয়ে নিতে ভারতে তাঁর অনেক অনুগামী রয়েছেন। উদাহরণস্বরূপ, তাঁর অর্থায়নে থাকা শীর্ষ ব্যক্তিদের মধ্যে একজন হলেন অমৃতা সিং। অমৃতা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত মনমোহন সিংয়ের কন্যা (USAID)।

    প্রতিরক্ষা চুক্তি ব্যাহত

    ২০১৮ সালে সরোস একটি এনজিওকে অর্থায়ন করেছিলেন। তার জেরে ফ্রান্সের সঙ্গে ভারতের প্রতিরক্ষা চুক্তি একসময়ে বিঘ্নিত করার চেষ্টা হয়েছিল। ভারতে রাফাল যুদ্ধবিমানগুলির সরবরাহ বন্ধ করার চেষ্টা করা হয়। এই রাফাল যুদ্ধবিমান ভারতীয় বিমান বাহিনীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরোসের ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশন সোসিও-লিগ্যাল ইনফর্মেশন সেন্টারকে অর্থায়ন করেছে। এই সংস্থা দেশদ্রোহিতা আইন বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছে। ইউএসএআইডির ওয়েবসাইটে সংরক্ষিত তথ্য অনুযায়ী, ১৯৫১ সাল থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে উন্নয়ন ও মানবিক সহায়তা দিয়ে আসছে। এই বছরই প্রেসিডেন্ট হ্যারি ট্রুম্যান “ভারত জরুরি খাদ্য সহায়তা আইন” স্বাক্ষর করেছিলেন (Criminal Organisation)। ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ইউএসএআইডির কর্মসূচি দশকের পর দশক ধরে ধাপে ধাপে বিকশিত হয়েছে—জরুরি খাদ্য সরবরাহ থেকে শুরু করে পরিকাঠামো উন্নয়ন, ভারতের প্রধান প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি, অর্থনীতির উন্মুক্তকরণে সহায়তা এবং আরও অনেক কিছু।”

    রাসায়নিক সার কারখানা

    ইউএসএআইডি ভারতে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও টেকনোলজি কলেজ প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করেছিল এক সময়ে। তবে এই সহায়তা সবসময়ই এসেছে কিছু শর্তসাপেক্ষে। ১৯৬৫ সালে, ইউএসএআইডি চেন্নাই শহরে একটি রাসায়নিক সার কারখানা নির্মাণের জন্য ভারতকে ৬৭ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছিল। শর্ত ছিল, ভারত সরকারের পরিবর্তে একটি মার্কিন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সার বিতরণের দায়িত্ব নেবে। ওই অঞ্চলে নতুন কোনও সার কারখানা নির্মাণও করা যাবে না (USAID)।

    বিপাকে পাকিস্তান, বাংলাদেশ

    ২০০৪ সালে ভারত সরকার শর্তযুক্ত বিদেশি সাহায্য গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নেয়। তাই এই ধরনের সহায়তার পরিমাণ হ্রাস পেতে থাকে।  ২০০১ সালে ভারতে ইউএসএআইডির (Criminal Organisation) সাহায্যের পরিমাণ ছিল ২০৮ মিলিয়ন ডলার । ২০২৩ সালে তার পরিমাণ কমে দাঁড়ায় ১৫৩ মিলিয়ন ডলার। ২০২৪ সালে তা আরও কমে দাঁড়ায় ১৪১ মিলিয়ন ডলারে।

    তবে, ইউএসএআইডির সহায়তা স্থগিতের সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েছে ভারতের দুই পড়শি – পাকিস্তান ও বাংলাদেশ (বিশেষ করে বর্তমান প্রশাসন)। তবে ভারত এনিয়ে আদৌ চিন্তিত নয়। অদূর ভবিষ্যতে এ ধরনের সহায়তা বন্ধ হলেও ভারতের কোনও বড় সমস্যা হবে না। যদিও এটি কিছু প্রকল্পে অর্থায়ন করে, তবে ভারতের সামগ্রিক সামাজিক (USAID) কল্যাণ ব্যয়ের তুলনায় তা অতি নগণ্য (Criminal Organisation)।

    প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে শেখ হাসিনার অপসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল ইউএসএআইডি। এমনটাই মনে করছে তথ্যাভিজ্ঞ মহল। তাঁর অপসারণের কয়েক মাস আগে, তিনি মার্কিন ষড়যন্ত্রের হস্তক্ষেপ সম্পর্কে সরব হয়েছিলেন। ২০১৯ সাল থেকে মার্কিন প্রশাসন এবং এর সংস্থাগুলো শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিল।

LinkedIn
Share