Author: শুভ্র চট্টোপাধ্যায়

  • 2 jawans missing: চিন সীমান্তের কাছে নিখোঁজ দুই ভারতীয় জওয়ান

    2 jawans missing: চিন সীমান্তের কাছে নিখোঁজ দুই ভারতীয় জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’সপ্তাহ পরও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না দুই ভারতীয় জওয়ানের (Indian Soldier)। চিন (Chin) সীমান্তের কাছে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন হরেন্দ্র নেগি ও প্রকাশ সিং রানা নামের দুই জওয়ান। উত্তরাখণ্ডের ৭ম গাড়োয়াল রাইফেলসের ওই দুই জওয়ান গত ২৮ মে থেকে নিখোঁজ। ভারতীয় সেনাবাহিনী সূত্রে খবর,কোনও স্পষ্ট প্রমাণ না মিললেও মনে করা হচ্ছে অরুণাচলের অঞ্জ জেলার কাজব উপত্যকায় নদীতে পড়ে যান ওই দু’জন। অনুমান, প্রকাশ কোনওভাবে পা পিছলে নদীতে পড়ে গিয়েছিল। হরেন্দ্র তাঁর বন্ধুকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে তিনও ভেসে যান। দুজনেই উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপ্রয়াগ জেলার উখিমঠের বাসিন্দা। 

    প্রকাশ সিং রানার স্ত্রী মমতা রানা জানান, সেনা কর্মকর্তারা ২৯ মে তাঁকে প্রথম ফোন করে জানায় যে তাঁর স্বামী ২৮ মে থেকে নিখোঁজ। দ্বিতীয় ফোনটি  আসে ১১ জুন। সেনার তরফে জানানো হয়, প্রকাশ ও তাঁর বন্ধু হরেন্দ্র দুজনেই নদীতে ডুবে গেছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবু আশায় বুক বেঁধে আছেন মমতা এবং তাঁর দুই সন্তান অনুজ (১০)এবং অনামিকা (৭)। প্রকাশের জন্য অপেক্ষা করেই চলেছেন তাঁরা।

    এদিকে হরেন্দ্র নেগির স্ত্রী পুনম নেগির বিশ্বাসই হচ্ছে না যে তাঁর স্বামী এবং সহকর্মী নদীর কাছে গিয়েছিলেন অথচ কেউ জানত না। হরেন্দ্রর বিয়ে হয়েছে সবে তিন বছর, এক বছরের একটি সন্তান আছে তাঁদের। 

    গত ১৪ দিন ধরে নিখোঁজ চিন-অরুণাচল প্রদেশ সীমান্তে মোতায়েন থাকা দুই জওয়ান। সেনা সূত্রে খবর, তাঁদের খোঁজ চলছে। আকাশপথে খোঁজ করা হচ্ছে। অনুসন্ধানকারী কুকুরকেও ব্যবহার করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী অজয় ভাট জানান, নিখোঁজ সেনাদের অনুসন্ধানে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। 

    প্রসঙ্গত,চলতি বছরের শুরুতেই অরুণাচল প্রদেশের এক কিশোর নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল।  এক সপ্তাহ পর জানা যায়, চিনের সেনারা তাকে বন্দি বানিয়ে রেখেছিল। পরে দুই দেশের সেনা ও কুটনৈতিক স্তরে আলোচনার মাধ্যমে ওই কিশোরকে ভারতে ফেরত আনা হয়। এই জওয়ানদের সঙ্গেও এরকম কিছু ঘটেছে কি না তা নিয়ে অনুসন্ধান চলছে।

  • Lok Sabha: সংসদ চত্বরে প্ল্যাকার্ড বহন ও বিক্ষোভ! বাদল অধিবেশনে সাসপেন্ড চার কংগ্রেস সাংসদ

    Lok Sabha: সংসদ চত্বরে প্ল্যাকার্ড বহন ও বিক্ষোভ! বাদল অধিবেশনে সাসপেন্ড চার কংগ্রেস সাংসদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদের বাদল অধিবেশনে  (Monsoon Session 2022) চার কংগ্রেস সাংসদ (4 Congress MP) মানিকম ঠাকুর, রাম্য হরিদাস, যোথিমনি এবং টিএন প্রথাপনকে সাসপেন্ড (Suspended From Lok Sabha) করা হয়েছে। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে বিরোধী দলের সদস্যদের প্রতিবাদের পরেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে ঘরের ভিতরে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন ওই চার সাংসদ। স্পিকার তাঁদের এই অসংসদীয় আচরণ থেকে সরে আসতে বলেন। কিন্তু তাঁরা তাও বিক্ষোভ চালিয়ে যায়। এরপরই স্পিকার তাঁদের সাসপেন্ড করার কথা জানান। সংসদের বাদল অধিবেশন চলবে ১২ আগস্ট পর্যন্ত। স্পিকারের এই সিদ্ধান্তের পর ওই চার সাংসদ সংসদের মাঠে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তির কাছে গিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। কংগ্রেসের তরফে বলা হয়েছে, স্পিকার তাদের সাংসদদের সাসপেন্ড করে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু কংগ্রেস ভয় পাবে না। তারা জনগনের প্রয়োজনীয়তাগুলো তুলে ধরবে।

    আরও পড়ুন: পরনে ইক্কত শাড়ি, সঙ্গে মুক্তোর দুল, সোনার চেন-বালা, আজ যেন ঘরোয়া নারী দ্রৌপদী মুর্মু

    ১৮ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে সংসদের বাদল অধিবেশন৷ আজ সোমবার ছিল তার ষষ্ঠ দিন৷ আজ উভয়কক্ষের কার্যক্রম সকাল ১১টার পরিবর্তে দুপুর ২টোয় শুরু হয়৷ আজ ভারতের ১৫তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন দ্রৌপদী মুর্মু। তাই পিছিয়ে দেওয়া হয় অধিবেশনের সময়ও৷ অধিবেশনের শুরুর দিন থেকেই লোকসভা এবং রাজ্যসভা উভয়ের কার্যকলাপই বিরোধী দলগুলির প্রতিবাদের কারণে ব্যাহত হয়েছে বলে অভিযোগ।

    আরও পড়ুন: আসতে চলেছে জয়েন্ট থিয়েটার কমান্ড! তিন বাহিনীর মধ্যে সংযোগ বাড়ানোই লক্ষ্য, জানালেন রাজনাথ

    মূল্যবৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্ব, অগ্নিপথের মতো একাধিক ইস্যুতে সরব হয়েছেন বিরোধীরা৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে বারবার মুলতুবি করতে হয় দুই কক্ষের অধিবেশন।সোমবার, বাদল অধিবেশনের ষষ্ঠ দিনে ওম প্রকাশ বিড়লা সংসদের অভ্যন্তরে বিক্ষোভকারী সদস্যদের সাবধান করেন৷ তবে সংসদ চত্বরে প্ল্যাকার্ড বহন করা এবং বিক্ষোভ করা নিষিদ্ধ করা হলেও বিক্ষোভে অটল ছিলেন বিরোধীদলের সদস্যেরা। তাই বাধ্য হয়ে এই সিদ্ধান্ত নেন স্পিকার। 

  • India-China: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে নতুন হাইওয়ে চিনের! জানুন কোথা দিয়ে যাবে সেই রাস্তা

    India-China: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে নতুন হাইওয়ে চিনের! জানুন কোথা দিয়ে যাবে সেই রাস্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (LAC) বরাবর একটি নতুন হাইওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনা করছে চিন (China)। ভারতের সঙ্গে কৌশলগত অবস্থানকে শক্তিশালী করার জন্য বেজিংয়ের এই প্রচেষ্টা বলে অনুমান কূটনৈতিক মহলের।

    তিব্বতের লুঞ্জে কাউন্টি থেকে জিনজিয়াং অঞ্চলের কাশগারের মাঝা পর্যন্ত এই নতুন রাস্তাটি ২০৩৫ সালের মধ্যে তৈরি করার কথা ভাবছে বেজিং। মোট ৪৬১,000 কিলোমিটার এই হাইওয়ের যে অংশটি লুঞ্জে কাউন্টির মধ্য দিয়ে যাবে সেটা অরুণাচল প্রদেশের ভিতরে। তবে চিনের দাবি ওই অঞ্চলটি দক্ষিণ তিব্বতের অংশ। চিনেরে এক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী ওই রাস্তাটি সিকিম সীমান্তবর্তী কাম্বা কাউন্টির  মধ্য দিয়ে যাবে। যা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার খুব কাছে। নেপাল সীমান্তের কাছে জি৯৫ সড়ক গির কাউন্টির মধ্য দিয়ে যাওয়ার কথা।

    আরও পড়ুন: শিলিগুড়ি করিডরের কাছে চিন! ডোকলাম সীমান্তে গ্রাম বানাচ্ছে বেজিং

    পরিকল্পিত রাস্তাটি তিব্বত, নেপাল এবং ভারতের মধ্যে বুরাং কাউন্টির খুব কাছ দিয়ে চলে যাবে। নতুন রাস্তার বিশদ বিবরণ এখনও অস্পষ্ট। তবে মনে করা হচ্ছে ওই রাস্তা তৈরি হলে তা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে ডেপসাং সমভূমি, গালওয়ান উপত্যকা এবং হট স্প্রিংসের কাছাকাছিও যেতে পারে।

    প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের মে মাস, অর্থাৎ গালওয়ান সংঘর্ষের (Galwan clash) সময় থেকেই হট স্প্রিংয়ের পেট্রোল পয়েন্ট ১৫ থেকে এক কিলোমিটারের মধ্যে দুই দেশের প্রায় শ’খানেক সেনা মোতায়েন রয়েছে। এর আগে একাধিক আলোচনার মাধ্যমে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় একাধিক ফ্ল্যাশপয়েন্টগুলি থেকে সেনা প্রত্যাহার করেছে দুই দেশ। সমঝোতা মোতাবেক অস্থায়ী পরিকাঠামো সরিয়েছে দুই সেনাই। কিন্তু হট স্প্রিং, গোগরা ও ডেপসাং সমতলে সমস্যা এখনও মেটেনি। ডেপসাং এলাকায় ২০১৩ সাল থেকেই আগ্রাসী চিন। সেখানে ভারতকে টহলদারি করতে দিচ্ছে না লালফৌজ। ডেমচকে ঘাঁটি গেড়েছে তারা। তবে ডেপসাং ইস্যু নিয়ে সমঝোতা বেশ কঠিন কাজ বলেই মনে করে ওয়াকিবহাল মহল। তাই আপাতত গোগরা-হট স্প্রিং এলাকা থেকে চিনা সেনা প্রত্যাহারের দাবিতেই জোর দিয়েছে ভারত। এই অবস্থায় নতুন রাস্তা আবার সীমান্ত-সমস্যা দূরীকরণে বেজিংয়ের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন তুলল। 

  • Agnipath Scheme: অগ্নিবীরদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত নয়! রয়েছে নানা সুযোগ

    Agnipath Scheme: অগ্নিবীরদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত নয়! রয়েছে নানা সুযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অগ্নিবীরেরা কর্মরত অবস্থায় দক্ষতা সংক্রান্ত যে প্রশিক্ষণ পাবেন, সেই বিষয়গুলিকে আগামী দিনে তিন বছরের স্নাতক স্তরে প্রবর্তন করা হবে। এ নিয়ে একটি বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে শিক্ষা মন্ত্রক। ইন্দিরা গান্ধী ন্যাশনাল ওপেন ইউনিভার্সিটি (IGNOU) এর মাধ্যমে এই ডিগ্রি দেওয়া হবে। ইগনু এ নিয়ে নানা পরিকল্পনাও শুরু করেছে। শীঘ্রই চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে বলেও শিক্ষামন্ত্রক সূত্রে খবর। অগ্নিবীররা কর্মরত অবস্থায় তাঁদের কাজের দক্ষতার উপর ভিত্তি করে এই কোর্সের ৫০ শতাংশ নম্বর পাবেন। বাকি ৫০ শতাংশ নম্বর দেওয়া হবে  বিষয়ভিত্তিকভাবে। ভাষা, অর্থনীতি, ইতিহাস, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, গণিত, সমাজবিজ্ঞান  প্রভৃতি বিষয় থাকবে। ইউজিসি (UGCএবং জাতীয় শিক্ষানীতি অনুসারে স্নাতকস্তরে এই নয়া কোর্স শুরু করা হবে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনীর তিনটি বিভাগের সঙ্গেই আলোচনা করা হবে।

    আরও পড়ুন: ভবিষ্যতে ভারতীয় সেনার অর্ধেক হবে অগ্নিবীর! দাবি সেনা উপপ্রধানের

    অগ্নিপথ প্রকল্পে চার বছরের জন্য সেনায় নিয়োগের পরবর্তী সময়ে অগ্নিবীররা কী করবেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে নানা মহলে। কিন্তু সরকারের তরফে এ বিষয়ে আশ্বাস দিয়ে বলা হয়েছে, অগ্নিবীরদের ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধ পরিকর। অবসর নেওয়া অগ্নিবীরদের সমস্ত আধাসামরিক বাহিনী ও আসাম রাইফেলসে যোগদানের প্রশ্নে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অগ্নিপথ প্রকল্পে সুযোগ পাওয়া অগ্নিবীরদের পুলিশ ও সহযোগী বাহিনীতে নিয়োগে অগ্রাধিকার (priority) দেওয়া হবে বলে টুইট করেছেন উত্তর প্রদেশের (uttar pradesh) মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও (Yogi Adityanath)। টুইটে যোগী আদিত্যনাথ বলেছেন,অগ্নিপথ প্রকল্প যুবকদের দেশ ও সমাজের সেবার জন্য তৈরি করে দেবে। তাদের জন্য গর্বিত ভবিষ্যতের সুযোগ দেবে বলেও মন্তব্য করেছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী।

    প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থাগুলির সর্বোচ্চ সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়ে বলা হয়েছে, অগ্নিবীর সেনাদের অবসর-পরবর্তী চাকরির বন্দোবস্ত করার বিষয়টি নিয়ে তারা সরকারের সহযোগী হতে আগ্রহী। তাদের প্রস্তাব, কর্পোরেট নিরাপত্তার একটি ছোট কোর্সের কথা ভাবা যেতে পারে, যার মাধ্যমে পরবর্তী সময়ে অগ্নিবীরদের উপযুক্ত চাকরি দেওয়া সম্ভব হবে।

  • Maharashtra: ফের মুম্বইয়ে জঙ্গি-নাশকতার ছক! মিলল অস্ত্রবোঝাই নৌকা, কী বলছেন রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী

    Maharashtra: ফের মুম্বইয়ে জঙ্গি-নাশকতার ছক! মিলল অস্ত্রবোঝাই নৌকা, কী বলছেন রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্র জুড়ে এখন উৎসবের মেজাজ। শুক্রবার দহি-হান্ডি (Dahi Handi) উৎসব উপলক্ষে বিভিন্ন এলাকায় বহু মানুষ সমবেত হয়েছেন। মাসের শেষেই গণেশ চতুর্থী (Ganeshotsav )। কিন্তু উৎসবের মরশুমেই বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রের রায়গড় উপকূল থেকে অস্ত্রবোঝাই একটি নৌকো বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। এই নৌকার সন্ধান পাওয়ার পরেই চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে রাজ্যজুড়ে। এদিন সকাল থেকেই উপকূলে নজরদারি চালান হয়। নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা শহর।

    আরও পড়ুন: ভারত, চিন, রাশিয়া সামরিক মহড়া! কী ভাবছে আন্তর্জাতিক মহল 

    যদিও এই ঘটনায় জঙ্গি নাশকতার কথা এখনই মানতে নারাজ মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ। তিনি জানিয়েছেন, ‘জেলেরা একটি ১৬ মিটারের পরিত্যক্ত নৌকো খুঁজে পেয়েছেন। স্থানীয় পুলিশ সেই নৌকোর তল্লাশি চালিয়েছে। সেখান থেকে তিনটি AK-47 রাইফেল ও কার্তুজ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেই নৌকোটি একজন অস্ট্রেলিয়ার মহিলার। মাস্কাট থেকে ইউরোপে যাচ্ছিল। তবে মাঝ সমুদ্রেই কিছু গোলযোগ হয় এবং স্রোতের কারণে উপকূলের দিকে চলে এসেছে।’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘কেন্দ্রীয় সংস্থাকে খবর দেওয়া হয়েছে এবং এটিএস-ও কাজ করছে এর উপর। প্রয়োজন হলে অতিরিক্ত বাহিনীও মোতায়েন করা হবে।’ তিনি স্পষ্টতই জানিয়েছেন, ‘এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনও সন্ত্রাসবাদী যোগ পাওয়া যায়নি। তবে তদন্ত চলছে। এখনও পর্যন্ত কোনও দিকই উড়িয়ে দেওয়া যায় না। আমি কেবলমাত্র প্রাথমিক তথ্য় জানাচ্ছি যাতে মানুষের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি না হয়।

    আরও পড়ুন: দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে সিবিআই হানা! স্বাগত ট্যুইট মণীশ, কেজরির

    বৃহস্পতিবার  হরিহরেশ্বর ঘাটের কাছে নৌকোটিকে সমুদ্রের ঢেউয়ে ভেসে আসতে দেখা যায়। সেই নৌকো থেকে উদ্ধার হয়েছে তিনটি AK-47, কার্তুজ ও বিস্ফোরক পদার্থ। এই নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মুম্বই জুড়ে। ২৬/১১-র মতো পুনরায় কোনও নাশকতার পরিকল্পনা কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ ২৬/১১-র মুম্বই হামলার সময়ও এইভাবেই মুম্বইয়ে অস্ত্র এসে পৌঁছেছিল। তাই বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করছে প্রশাসন। মুম্বই উপকূলে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। নিরাপত্তা ব্য়বস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে সেই অঞ্চলে। আপাতত সদা সজাগ রয়েছে প্রশাসন। এই ঘটনার তদন্তও জারি রয়েছে।

  • Russian-Ukrainian Love Marriage: অভিবাদন প্রিয়তমা! যুদ্ধ ভুলে ভারতে হিন্দু রীতিতে বিয়ে ইউক্রেনীয়-রুশ যুগলের

    Russian-Ukrainian Love Marriage: অভিবাদন প্রিয়তমা! যুদ্ধ ভুলে ভারতে হিন্দু রীতিতে বিয়ে ইউক্রেনীয়-রুশ যুগলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুই দেশের যুদ্ধে শরিক হতে রাজি নন তাঁরা। তাঁদের বিশ্বাস ভালবাসায়। তাঁদের বিশ্বাস, “গণরোষের বদলে, গণচুম্বনের ভয়ে হন্তারকের হাত থেকে পড়ে যাবে ছুরি”। আর সেই বিশ্বাসকে আঁকড়ে ধরেই বাঁচার সিদ্ধান্ত নিলেন তাঁরা। তাঁদের ভালবাসাকে পরিণতি দিতে আবদ্ধ হলেন বিবাহবন্ধনে। হিন্দু রীতি (Hindu ceremony) মেনে বিবাহ সারলেন হিমালয়ের কোলে।

    পাত্রের নাম সের্গেই নভিকভ (Sergei Novikov), আদতে রাশিয়ান (Russian man) হলেও বর্তমানে থাকেন ইজরায়েলে। আর পাত্রী ইউক্রেনের (Ukrainian ) ইলোনা ব্রাকোমা (Elona Bramoka)। বেশ কয়েক বছর ধরেই তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামিরক অভিযান’ শুরু করে রাশিয়া। কিন্তু দু’দেশের যুদ্ধও চিড় ধরাতে পারেনি তাঁদের সম্পর্কে। সম্প্রতি তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন, শান্তি-মৈত্রী-ভালবাসা যেখানে শেষ কথা সেই ভারতেই আবদ্ধ হবেন পরিণয়-বন্ধনে। পরিকল্পনা মতো এদেশে আসেন তাঁরা।

    সম্প্রতি তাঁদের বিয়ের আসর বসে হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh) ধর্মশালায়। স্থানীয় রীতিনীতি মেনেই বিয়ে সারলেন দু’জনে। ধর্মশালার এক আশ্রমের পুরোহিতই এক করেন চার হাত। সঙ্গে হিন্দু মন্ত্র-সিঁদুর-দান। বর-কনে দু’জনেরই পরনে ছিল ভারতীয় পোশাক। বিনোদ শর্মা নামক এক ব্যক্তি এগিয়ে আসেন কন্যাদান করতে। স্থানীয় বাসিন্দারাই দুই দলে ভাগাভাগি করে পাত্রপক্ষ ও কন্যাপক্ষ হয়েছিলেন বিয়েতে।

    আরও পড়ুন: দীর্ঘ ২০ বছর সম্পর্কের পরিণতি! বিয়ে করলেন জেনিফার লোপেজ ও বেন অ্যাফ্লেক

    এখনও ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চলে চলছে গোলাবর্ষণ, রকেট-মিসাইল হামলা। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গোটা ইউক্রেন। যুদ্ধ শুরুর পর দেশ ছেড়ে পালিয়েছে ইউক্রেনের লাখ লাখ বাসিন্দা। জীবন বাঁচাতে তারা প্রতিবেশী বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছে। এখনও অনিশ্চয়তায় দিন কাটছে সেখানকার বাসিন্দাদের। ইউক্রেনবাসীর আপাতত রাগের কারণ রাশিয়া। তবে সেখানকার মানুষদের উপর নয়। রাগ পুতিনের নীতির উপর। এই পরিস্থিতিতে মেলবন্ধনের বার্তা দিলেন দুই দেশের যুগল।

    একেই বলে ভালোবাসা। যা মানে না কাঁটাতারের বেড়া, মানে না যুদ্ধ, মানে না বন্দুকের নল। সব বাধা পেড়িয়ে ভালোবাসা খুঁজে নেয় নিজের আশ্রয়। সে পৃথিবীর যে প্রান্তেই হোক না কেন।

     

  • Light Combat Helicopters: ছাড়পত্র মিলেছে ১৫টির, সেনা চায় ৯৫টি! জানুন এই লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টারের বৈশিষ্ট্য

    Light Combat Helicopters: ছাড়পত্র মিলেছে ১৫টির, সেনা চায় ৯৫টি! জানুন এই লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টারের বৈশিষ্ট্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিরাপত্তা বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটি ১৫টি লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার (Light Combat Helicopter) কেনার ব্যাপারে সবুজ সংকেত দিয়েছে। এর মধ্যে ১০টি বায়ুসেনার (Indian Air Force) জন্য। ৫টি সেনার (Army) হাতে থাকবে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (HAL) থেকে কেনা হবে এগুলি। এজন্য খরচ হবে ৩,৮৮৭ কোটি টাকা। তবে সেনা সূত্রে খবর, পাঁচটি নয় সেনার প্রয়োজন ৯৫টি লাইট কমব্যাট কপ্টার।

    প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টারের একটি স্কোয়াড্রন তৈরি করতে চাইছে সেনা। সেখানে সাতটি ইউনিট থাকবে। এক একটি ইউনিটে ১০টি করে কপ্টার থাকবে। এগুলি ইস্টার্ন কম্যান্ডে ব্যবহার করার কথাও ভাবা হচ্ছে। মূলত পাহাড়ি এলাকায় ও উচ্চ অক্ষাংশে যাতায়াত করার জন্য় লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয়। প্রায় ১৫ হাজার ফুট উচ্চতায় এটি সমরসামগ্রী পৌঁছে দিতে পারে। শত্রুর ঘাঁটি উড়িয়ে দিতে, এয়ারক্রাফটকে নিশানা করতে, পাহাড়ে থাকা শত্রু বাঙ্কারকে উড়িয়ে দিতে, জঙ্গল এলাকায়, শহর এলাকায় সেনাদের সহায়তা করতে এই লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টারের জুড়ি মেলা ভার।

    আরও পড়ুন: আতঙ্কিত চিন! এবার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান

    প্রসঙ্গত, ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধের সময় এই লাইট কমব্যাট কপ্টারের প্রয়োজন অনুভব করেছিল ভারতীয় সেনা। এমন কপ্টার, যা অনেকটা উঁচুতে উড়ে লড়াই চালাতে পারবে। অনুপ্রবেশকারী পাকিস্তানের সেনারা কার্গিলের বিভিন্ন শিখর দখল করে রেখেছিল। কিন্তু, রাশিয়া থেকে আমদানি করা কপ্টারগুলো অত উঁচুতে উড়তে পারছিল না। ফলে সমস্যায় পড়তে হয় ভারতীয় সেনাবাহিনীকে। সেই সময় ভারতীয় বিমান বাহিনী এমআই-১৭ কপ্টার ব্যবহার করতে বাধ্য হয়েছিল। শত্রুপক্ষের আক্রমণের মুখে তাতে বেশ ক্ষতিও হয়েছিল বাহিনীর। এরপরই ২০০৬ সালে হিন্দুস্তান অ্যারোনেটিকস লিমিটেড বা হ্যাল হালকা যুদ্ধকপ্টার তৈরির কথা ঘোষণা করে। এমন কপ্টার যা রুক্ষ, শুষ্ক মরুভূমিতেও ব্যবহার করা যাবে। আবার লাদাখ এবং সিয়াচেন হিমবাহের মতো উঁচু শৈলশিখরেও তা ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা হবে না।

  • MiG-21: আর নয় মিগ-২১! এই যুদ্ধবিমানকে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রকের

    MiG-21: আর নয় মিগ-২১! এই যুদ্ধবিমানকে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাড়মের-কাণ্ডের জেরে মিগ-২১ (single-engine MiG-21) পুরোপুরি বাতিল করতে চলেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকরাশিয়ার (Russia) সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে তৈরি মিগ-২১ বাইসন যুদ্ধবিমানের চারটি স্কোয়াড্রন এখন রয়েছে ভারতের কাছে। ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force) একটি স্কোয়াড্রনে কম-বেশি ১৬টি বিমান থাকে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর তার মধ্যে একটি, শ্রীনগরের ৫১ নম্বর স্কোয়াড্রনের (Srinagar 51 squadron) বিমানগুলিকে অবসরে পাঠানো হবে। ২০২৫ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে অবসরে পাঠানো হবে অন্য স্কোয়াড্রনের মিগ যুদ্ধবিমান এবং প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত বিমানগুলিকে।

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, এই অবসরের সঙ্গে গত ২৮ জুলাই বাড়মেরে মিগ দুর্ঘটনার কোনও যোগসূত্র নেই। নতুন ফাইটার জেট আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তার জেরেই এবার মিগ ২১কে বিদায় নিতে হবে। এটাই ভারতের দীর্ঘদিনের ফাইটার প্লেন। এর বয়স হয়ে গিয়েছে। তাই স্বাভাবিক নিয়মেই এগুলিকে এবার বিদায় নিতে হবে।

    আরও পড়ুন: নৌসেনার হাতে এল দেশে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্ত, অন্তর্ভুক্তি কবে? 

    ১৯৬৩ সালে এয়ার ফোর্স প্রথম সিঙ্গল ইঞ্জিন মিগ ২১ যুদ্ধ বিমান হাতে পেয়েছিল। গত ছয় দশক জুড়ে এই বিমান ব্যবহার করছে ভারতীয় সেনা। প্রসঙ্গত, গত তিন দশকে ২০০ বারেরও বেশি দুর্ঘটনায় পড়েছে ভারতীয় বায়ুসেনার মিগ-২১। দুর্ঘটনাপ্রবণ বলে ভারতীয় বায়ু সেনা মহলে ‘উড়ন্ত কফিন’ নামে পরিচিত এই যুদ্ধবিমান। কয়েক বছর আগেই মিগ২১-কে অবসরে পাঠিয়ে পরিবর্ত হিসেবে বায়ুসেনাকে তেজস যুদ্ধবিমান দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়।

    আরও পড়ুন: ফের দুর্ঘটনার কবলে মিগ ২১, মৃত দুই পাইলট

    ২০১৯ সালের একটি আলোচনাসভায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংকে উদ্দেশ্য করে তৎকালীন বায়ুসেনা প্রধান বিএস ধানোয়া মিগ-২১-এর অবসর নিয়ে সরব হয়েছিলেন। এবার বায়ুসেনার দাবি মেনে মিগ-২১কে বিদায় জানাতে চলেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। তবে, প্রাক্তন অ্য়াসিস্ট্যান্ট চিফ অফ এয়ার স্টাফ এয়ার ভাইস মার্শাল অবসরপ্রাপ্ত সুনীল নানোদকার জানিয়েছেন, আকাশপথে পাহারার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক ফাইটার প্লেনও প্রয়োজন। তাই দ্রুত বিকল্প যুদ্ধবিমান প্রস্তুত করতে হবে।

  • BJP worker Killed: বিজেপি যুবনেতা খুনের ঘটনায় তদন্তে এনআইএ! জানুন কেন

    BJP worker Killed: বিজেপি যুবনেতা খুনের ঘটনায় তদন্তে এনআইএ! জানুন কেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি (BJP) যুব মোর্চার (Yuva Morcha) নেতা-খুনের ঘটনার তদন্ত কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কর্ণাটক (Karnataka) সরকার। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই জানান, এই ঘটনায় দোষীদের ধরতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-কে (National Investigating Agency) দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, “এই ঘটনায় দুটো রাজ্যের যোগ রয়েছে। কেরল এবং কর্ণাটক দুই রাজ্যের অন্তর্বর্তী ইস্যু এটি। তাই এই ঘটনার সত্য উদঘাটনে কেন্দ্রের উপরই ভরসা রাখছে রাজ্য। 

    আরও পড়ুন: বিজেপি যুবনেতা খুনের ঘটনায় বাতিল সরকারি অনুষ্ঠান! শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার আর্জি মুখ্যমন্ত্রীর

    সম্প্রতি কর্ণাটকের মেঙ্গালুরুতে মুখোশ পরা দুষ্কৃতীরা কুপিয়ে খুন (Man Stabbed to Death) বিজেপি যুব নেতা প্রবীণ নেত্তারুকে ( Praveen Nettaru)। মঙ্গলবার রাতে কর্ণাটকের দক্ষিণ জেলার বেল্লোরে মোটরবাইক সওয়ার কয়েক জন দুষ্কৃতী প্রবীণ নেত্তারু নামে ২৩ বছরের বিজেপি যুব মোর্চার ওই নেতার উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। 

    আরও পড়ুন: কর্নাটকে কুপিয়ে খুন বিজেপি যুব মোর্চার নেতা

    দুষ্কৃতীদের ধারালো অস্ত্রের এলোপাথাড়ি কোপে গুরুতর জখম ২৩ বছরের ওই যুবনেতাকে হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়। স্থানীয়দের দাবি, এক মুসলিম যুবকের মৃত্যুর বদলা নিতেই এই হত্যাকাণ্ড। খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তে নেমে  জাকির ও শাফিক নামে দু’জন স্থানীয় বাসিন্দাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে,উপযুক্ত প্রমাণের সাপেক্ষে তাদের গ্রেফতার করা হয়। আইন-শৃঙ্খলা এডিজিপি অলোক কুমার জানিয়েছেন, গ্রেফতার হওয়া  ব্যক্তিদের পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়ার সঙ্গে যোগ রয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘আমরা এই সংযোগ ও তাঁদের উদ্দেশ্য তদন্ত করে দেখছি।’ পুলিশ সূত্রের খবর, দুষ্কৃতীদের মোটরবাইকে কেরলের নম্বর প্লেট ছিল। সেই রাজ্যেও একটি অনুসন্ধানকারী দল পাঠানো হয়েছে। ধৃতদের জেরা করে আরও খবর জানার চেষ্টা চলছে।

  • UPSC  2021 Results: নারীশক্তির জয়! ইউপিএসসি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় প্রথম তিনে তিন কন্যা

    UPSC 2021 Results: নারীশক্তির জয়! ইউপিএসসি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় প্রথম তিনে তিন কন্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সর্বভারতীয় সিভিল সার্ভিসের চূড়ান্ত ফল (UPSC Civil Services 2021 Final Result) প্রকাশিত হয়েছে সোমবার। সর্বভারতীয় স্তরের প্রতিযোগিতামূলক এই পরীক্ষায় পাশ করেছেন ৬৮৫ জন। সাফল্যের নিরিখে এবার পুরুষদের টেক্কা দিয়েছেন মেয়েরা। মেধাতালিকার শীর্ষ তিন স্থান দখল করেছেন তিন কন্যা।

    প্রথম স্থানে রয়েছেন দিল্লির শ্রুতি শর্মা। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন কলকাতার অঙ্কিতা আগরওয়াল। তৃতীয় স্থান পেয়েছেন চণ্ডিগড়ের গামিনী সিংলা। পুরুষদের মধ্যে প্রথম, মেধা তালিকায় চতুর্থ হয়েছেন ঐশ্বর্য বর্মা।

    উত্তরপ্রদেশের বিজনোর শহরের বাসিন্দা শ্রুতি স্কুলের গণ্ডি টপকে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ সেন্ট স্টিফেন্স কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন। তার পর যোগ দেন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে। ইতিহাসের ছাত্রী শ্রুতি পড়াশোনার পাশাপাশি সিভিল সার্ভিসের (UPSC Civil Services 2021) প্রস্তুতির জন্য জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া রেসিডেন্সিয়াল কোচিং সেন্টারে ভর্তি হয়েছিলেন। তার পরই মিলল সাফল্য। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এবার জামিয়া মিলিয়ার এই কোচিং সেন্টার থেকে ২৩ জন পরীক্ষার্থী দেশের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।

    তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে কলকাতার মেয়ে অঙ্কিতা। স্কুলজীবন কেটেছে এই শহরেই। তার পর কলেজের পাঠ নিতে দিল্লি যাত্রা। সেখানেই কর্পোরেটে চাকরি, ইউপিএসইসি পরীক্ষা দিয়ে রাজস্ব সার্ভিসে যোগ, তার পর ফের পরীক্ষা দিয়ে অবশেষে স্বপ্নপূরণ— আইএএস। 

    এ বারের পরীক্ষায় মোট ৬৮৫ জন প্রার্থীকে নিয়োগ করার কথা জানিয়েছে ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন (Union Public Service Commission)। মোট ৭৪৯টি শূন্যপদের ঘোষণা করেছিল ইউপিএসসি। এর মধ্যে ১৮০ জন হবেন আইএএস, ৩৭ জন হবেই আইএফএস, ২০০ জন হবেন আইপিএস, ২৪২ জন হবেন সেন্ট্রাল সার্ভিস গ্রুপ এ ও ৯০ জন হবেন গ্রুপ বি।

    আরও পড়ুন: ইউপিএসসি মেধাতালিকায় দ্বিতীয় বাংলার মেয়ে, সাফল্য কলকাতারও

    প্রকাশিত ফল অনুযায়ী, মেধা তালিকার প্রথম ২৫ জনের মধ্যে ১৫ জন ছেলে, ১০ জন মেয়ে। ছবছর পর আবার শীর্ষে মেয়েরা। ২০১৫ সালে প্রথম চার জন ছিলেন মহিলা। সাফল্যের শীর্ষে থাকা মেয়েরা জানান, নারী স্বাধীনতা, নারীর ক্ষমতায়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এই বিষয়গুলি নিয়ে কাজ করতে চান তাঁরা।

    [tw]


    [/tw]

    ইউপিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। ট্যুইট বার্তায় তিনি লেখেনই, “সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের শুভেচ্ছা। আমরা যখন দেশজুড়ে আজাদি কা অমৃত মহোৎসব পালন করছি, সেই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এই নবপ্রজন্ম আমলা হিসেবে দেশের সেবায় নিজেদের নিয়োগ করছেন। ভবিষ্যতের জন্য তাঁদের অনেক শুভেচ্ছা।”

LinkedIn
Share