Author: শুভ্র চট্টোপাধ্যায়

  • Commonwealth Games: সোনাই লক্ষ্য মীরাবাঈয়ের! একঝলকে কমনওয়েলথে দ্বিতীয় দিনে ভারতের খেলা

    Commonwealth Games: সোনাই লক্ষ্য মীরাবাঈয়ের! একঝলকে কমনওয়েলথে দ্বিতীয় দিনে ভারতের খেলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কমনওয়েলথ গেমসে ভাল-মন্দ মিশিয়ে কাটল ভারতের প্রথম দিন। কমনওয়েলথ গেমসের ২২ গজে প্রথমবার নেমেই ইতিহাস গড়লেন ভারতীয় ক্রিকেটার হরমনপ্রীত কৌর। ভারতের প্রথম মহিলা ক্রিকেটার হিসেবে কমনওয়েলথের আসরে অর্ধশতরান করলেন তিনি। কিন্তু ব্যক্তিগত রেকর্ড তৈরি হলেও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে জয় অধরাই রয়ে গেল ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের। তবে ক্রিকেটে হারের দিনও বাজিমাত করলেন ভারতীয় মহিলা হকি খেলোয়াড়রা। হকিতে পুল এ ম্যাচে ৫-০ গোলে ঘানাকে উড়িয়ে দিল ভারতীয় মহিলা দল। এদিকে, সাঁতারের ১০০ মিটার ব্যাক স্ট্রোকের সেমিফাইনালে ভারতের শ্রীহরি নটরাজ। ভারতীয় মহিলা ও পুরুষ দলই টেবিল টেনিসের প্রথম রাউন্ড জিতে পরের রাউন্ডে পৌঁছে গিয়েছে। পাক প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়ে প্রথম বাউটে জয়ী ভারতের শিবা থাপা।

    আরও পড়ুন: ছবির মতো সেজেছে বার্মিংহাম! কমনওয়েলথ গেমসের সূচনা

    কমনওয়েলথ গেমসের (CWG 2022) দ্বিতীয় দিনেও ভারোত্তোলন থেকে শুরু করে অ্যাথলেটিক্স এবং টেবিল টেনিস, ভারতীয় খেলোয়াড়দের লড়তে দেখা যাবে। গেমসের দ্বিতীয় দিন বক্সিংয়ের দিক থেকে ভারতের জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। এদিন ভারতের ১২ জন বক্সার রিংয়ে নামবেন। রয়েছেন টোকিও অলিম্পিকের ব্রোঞ্জ পদক জয়ী লভলিনা বোরগোহাইন, বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন নিখাত জারিন এবং তারকা বক্সার অমিত পাঙ্ঘাল। শনিবার, প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় দিনে প্রথম পদকের আশায় থাকবে ভারত। ভারতের তিনজন ভারোত্তোলক (weightlifting) শনিবার অ্যাকশনে নামবেন। এবং দেশ তিনজনের কাছেই পদক আশা করছে। বিশেষ করে টোকিও অলিম্পিকের রুপো জয়ী মীরাবাঈ চানুর (Mirabai Chanu) দিকে থাকবে নজর। ৫৫ কেজি বিভাগে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন চানু। তারা ছাড়াও পুরুষদের ৫৫ কেজি বিভাগে পদকের জন্য লড়বেন সঙ্কেত মহাদেব এবং সি ঋষিকান্ত সিং। হকির লিগ রাউন্ডে, ভারতীয় মহিলা দল ওয়েলসের মুখোমুখি হবে। যেখানে দেশের মেয়েরা জয় পাওয়ার অন্যতম দাবিদার। স্কোয়াশে দেশের তারকা খেলোয়াড় জোৎস্না চিনাপ্পা এবং সৌরভ ঘোষাল সিঙ্গলসে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে নামবেন। দ্বিতীয় দিনে একনজরে ভারতের খেলা:

    ব্যাডমিন্টন

    মিক্সড টিম গ্রুপ প্লে স্টেজ- ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা (দুপুর ১.৩০)

                                             ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া (রাত ১১.৩০)

     

    সাঁতার

    পুরুষদের ২০০ মিটার ফ্রিস্টাইল- হিট থ্রি: কুশাগ্রা রাওয়াত- দুপুর ৩.০৬ 

    আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিক্স

    মহিলাদের দলগত ফাইনাল ও ব্যক্তিগত যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচ

    রুথুজা নটরাজ, প্রতিষ্ঠা সামান্থা ও প্রণতি নায়েক (রাত ৯)

    বক্সিং

    ৫৪-৫৭ কেজি ফেদারওয়েট- রাউন্ড অফ থার্টিটু: হুসসাম উদ্দিন মহম্মদ (বিকেল ৫)

    ৬৬ কেজি-৭০ কেজি (লাইট মিডলওয়েট), রাউন্ড অফ সিক্সটিন: লভলিনা বড়গোঁহাই- দুপুর ১২

    ৮৬-৯২ কেজি (হেভিওয়েট)- রাউন্ড অফ সিক্সটিন- সঞ্জীত (রাত ১টা)

    ভারত্তোলক

    ৫৫ কেজি বিভাগে ওয়েটলিফটিংয়ে নামবেন সাইকম মীরাবাঈ চানু

    স্কোয়াশ

    পুরুষদের সিঙ্গলসে রাউন্ড অফ থার্টি টু: রমিত ট্যান্ডন- বিকেল ৫, সৌরভ ঘোষাল- সন্ধে ৬.১৫

    মহিলাদের সিঙ্গলসে রাউন্ড অফ থার্টি টু: সুনয়া সারা কুরুভিল্লা- বিকেল ৫.৪৫, জোৎস্না চিনাপ্পা- বিকেল ৫.৪৫

    টেবিল টেনিস

    মহিলাদের গ্রুপে- ভারত বনাম গায়ানা -দুপুর ২টো

    পুরুষদের গ্রুপে- ভারত বনাম নদার্ন আয়ারল্যান্ড- বিকেল ৪.৩০

  • Attack on Hindu in Bangladesh: হিন্দুদের উপর নির্যাতন বাংলাদেশে! ফেসবুক পোস্ট ঘিরে বিতর্ক

    Attack on Hindu in Bangladesh: হিন্দুদের উপর নির্যাতন বাংলাদেশে! ফেসবুক পোস্ট ঘিরে বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফেসবুকে পোস্ট (facebook post) ঘিরে ‘ধর্ম অবমাননা’র অভিযোগ তুলে সংখ্যালঘু হিন্দুদের (Hindu) উপর হামলা চালানোর ঘটনা ঘটল বাংলাদেশে (Bangladesh)। গত শুক্রবার নড়াইল (Narail) জেলায় কয়েকটি বাড়ি, দোকান ও মন্দিরে হামলার পর অগ্নিসংযোগ করা হয়। সূত্রের খবর, নড়াইলের লোহাগড়া (Sahapara area of Lohagara) উপজেলায় ফেসবুক (Facebook) পোস্টকে কেন্দ্র করে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ ওঠে। সেদিন নমাজের পর ওই পোস্ট দেওয়া যুবকের খোঁজ করতে থাকে হিংসা সৃষ্টিকারীরা। আর তারপরই সেখানকার হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েকটি বাড়ি, দোকান ও মন্দিরে হামলা চলে। ঘটনার পর ওই এলাকার বাজারের সব দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই হামলাকে সংঘবদ্ধ ও পরিকল্পিত অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করে একযোগে প্রতিবাদে নেমেছেন বাংলাদেশে বসবাসকারী হিন্দুরা। 

    আরও পড়ুন: মোদিকে পাশে বসিয়ে মনোনয়নপত্র জমা জগদীপ ধনখড়ের

    স্থানীয়রা জানান, আকাশ সাহা নামে এক কলেজছাত্রের ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে দীঘলিয়া গ্রামে শুক্রবার নমাজের পর থেকে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তার গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করে বিক্ষুব্ধ লোকজন। পরে সন্ধ্যায় উত্তেজিত জনতা দীঘলিয়া বাজারে সংখ্যালঘু হিন্দুদের বাড়ি ও দোকানে ভাঙচুর চালায়। উত্তেজিত জনতা রাতে স্থানীয় একটি পুজোমণ্ডপেও আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। আকাশ সাহা পলাতক থাকায় তার বাবা অশোক সাহাকে পুলিশ হেফাজতে নিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। 

    আরও পড়ুন: শুরু সংসদের বাদল অধিবেশন, শান্তিপূর্ণ আলোচনার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

    বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা-নির্যাতন (Attack) নতুন নয়। এই ধরনের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন। হিন্দু নিপীড়নের ঘটনায় এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের (Bangladesh) মানবাধিকার কমিশন বলেছে, “বাংলাদেশের মতো একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশে সাম্প্রদায়িক হিংসা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।” শুধু তাই নয়, এই ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে দ্রুত তদন্ত চালিয়ে দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে কমিশন। এই ঘটনার নিন্দা করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক মাশরাফি মোর্তাজা (Mashrafe Bin Mortoza)। তিনি বলেন, “যে নড়াইলকে আমি চিনতাম, এটা সেই নড়াইল নয়। এখানে আমি বড় হয়নি। আমার নড়াইল হারিয়ে গেছে।” ঘটনার নিন্দা করেছে বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায়।

  • Jaishankar meet Wang Yi : তাসখন্দে মুখোমুখি জয়শঙ্কর-ওয়াং ই!  চলতি মাসের শেষে ফের বৈঠক চিন ও ভারতের

    Jaishankar meet Wang Yi : তাসখন্দে মুখোমুখি জয়শঙ্কর-ওয়াং ই! চলতি মাসের শেষে ফের বৈঠক চিন ও ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্ত বিবাদ মেটাতে চিনের বিদেশমন্ত্রী (Chinese State Councillor and Foreign Minister)  ওয়াং ই (Wang Yi) এর মুখোমুখি বসবেন  বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর (External Affiars Minister S Jaishankar)? সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (Shanghai Cooperation Organisation) বা SCO-র বৈঠকে তাঁদের একসঙ্গে কথা বলতে দেখা যাবে  কি না তা নিয়েই এখন গুঞ্জন চলছে কূটনৈতিক মহলে। চলতি মাসের শেষেই উজবেকিস্তানের (Uzbekistan) রাজধানী তাসখন্দে (Tashkent) হবে SCO-র বৈঠক। কেন্দ্রীয় আধিকারিক সূত্রে খবর, সেখানে আলাদা করে ওয়াং ই এবং জশঙ্করের পার্শ্ববৈঠক হতে পারে। চলতি মাসের ২৭-২৮ তারিখ নাগাদ এই বৈঠক হওয়ার কথা।

    আরও পড়ুন: মোদি-দলাই শুভেচ্ছা বিনিময়, ক্ষুব্ধ চিন, জবাব দিল ভারত

    এর আগে বালিতে জি-২০ গোষ্ঠীর রাষ্ট্রগুলির বিদেশমন্ত্রীদের সম্মেলন চলাকালীন এক পার্শ্ববৈঠকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় বকেয়া বিষয়গুলি মেটাতে সওয়াল করে ভারত। এবারও দু-দেশের বিদেশমন্ত্রীর বৈঠকে উঠে আসতে পারে পূর্ব লাদাখ থেকে অবিলম্বে সেনা সরানোর দাবি। এ বিষয়ে বারবার চিনকে সতর্ক করেছে ভারত। এ-ও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত হওয়া উচিত ‘পারস্পরিক শ্রদ্ধা’, ‘পারস্পরিক সংবেদনশীলতা’ এবং ‘পারস্পরিক স্বার্থ’। আবারও সেই দাবিই রাখা হবে। ভারত মনে করে, সীমান্তে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে দু’দেশেরই উচিত, সম্পূর্ণ সেনা সরিয়ে ফেলার ক্ষেত্রে উদ্যম ধরে রাখা। দ্বিপাক্ষিক প্রোটোকল এবং সীমান্ত চুক্তিগুলি মান্য করার উপরে বরাবরই জোর দিয়েছেন জয়শঙ্কর। 

    আরও পড়ুন: “শান্তি ভিক্ষা চাইবে না ভারত”, চিন-পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি ডোভালের

    চলতি বছরের ১৫-১৬ সেপ্টেম্বর, উজবেকিস্তানের (Uzbekistan) সমরখন্দে (Samarkhand) পরবর্তী বৈঠকে যোগ দেবেন SCO ভুক্ত দেশের রাষ্ট্রনায়করা। সূত্রের খবর, সেখানেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সঙ্গে মুখোমুখি হবেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Chinese President Xi Jinping)। ২০২০ সালে ভারত-চিন সীমান্ত-সমস্যার পর এই প্রথম দুই রাষ্ট্রনায়কের সাক্ষাত হবে। তারই পথ প্রশস্ত করবে দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীর বৈঠক এমনই অনুমান বিশেষজ্ঞদের।

  • Kashmir killing: এখনও হয়নি বিয়ের অ্যালবাম! ছবিটাই সঙ্গী ছিল নিহত ব্যাঙ্ককর্মীর স্ত্রীর

    Kashmir killing: এখনও হয়নি বিয়ের অ্যালবাম! ছবিটাই সঙ্গী ছিল নিহত ব্যাঙ্ককর্মীর স্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখনও আসেনি বিয়ের অ্যালবাম। সবে তৈরি হয়েছে। তারই মধ্যে সন্ত্রাসবাদীদের গুলিতে মৃত্যু হল স্বামী। এখন শুধু স্বামীর ছবিটাই সঙ্গী কাশ্মীরে নিহত ব্যাঙ্ক ম্যানেজার বিজয় কুমারের সদ্যবিধবা স্ত্রীর।

    সবে তিন মাস হল বিয়ে হয়েছিল। তার মধ্যেই সব শেষ। গত ফেব্রুয়ারি মাসে বিয়ে করেন ২৯ বছরের বিজয়। রাজস্থানের হনুমানগড়ের বাসিন্দা বিজয় কুমার মাত্র এক সপ্তাহ আগেই Elaqahi Dehati Bank-এর ম্যানেজার হিসাবে কুলগাম শাখায় যোগ দিয়েছিলেন। তিনি এর আগে কেন্দ্রীয় সরকার, জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন এবং স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার সহ-মালিকানাধীন ব্যাঙ্কের কোকারনাগ শাখায় কর্মরত ছিলেন। উপত্যকায় প্রতিদিন অশান্তি বাড়ছে। আতঙ্কের পরিবেশ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য অন্যত্র চাকরির চেষ্টাও করছিলেন। আগামী মাসের ১০-১৫ তারিখ নাগাদ রাজস্থানের বাড়িতে ফিরে আসার কথা ছিল। কিন্তু ভাগ্যের লিখন তখনও জানা ছিল না।

    আরও পড়ুন: ফের জঙ্গি-নিশানায় হিন্দু পণ্ডিত, কাশ্মীরে ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে হত্যা

    বিজয়ের আকস্মিক মৃত্যুতে শোকাহত তাঁর পরিবার। বাবা ওম প্রকাশ বেনিওয়াল স্কুলশিক্ষক। তিনি জানান, রাজস্থান বা তার আশেপাশে অন্য জেলায় ব্যাঙ্কে চাকরির খোঁজ করছিল বিজয়। তিনি বলেন, “বিজয় চলে আসতে চাইছিল। আমরাও ফিরে আসতে বলছিলাম। সম্প্রতি এখানকার একটি স্কুলে চাকরি নিশ্চিত হয়েছিল। জুলাইয়ের ১০-১৫ তারিখ ফেরার কথা বলেছিল। তা-আর হল না।” শুক্রবার বিজয়ের দেহ আসে তাঁর গ্রামের বাড়িতে। বিজয়ের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলট। 

    সাম্প্রতিককালে, বারবার জঙ্গিদের হাতে নিহত হতে হয়েছে কাশ্মীরে বসবাসকারী হিন্দুদের (Hindus Targeted in Kashmir)। তাই বাইরে থেকে সেখানে গিয়ে কাজ করা সম্ভব নয়। সরকার ওখানকার পরিবেশ ঠিক করুক দাবি বিজয়ের বাবা বেনিওয়ালের। তিনি বলেন, “সকালে খেতে বসেছিলাম। তখনই খবরটা আসে। টিভি খবরে প্রথম ঘটনার কথা শুনি। বিশ্বাস করতে পারিনি। থানায় গিয়ে এ বিষয়ে নিশ্চিত হই। এই তো বিয়ে হল ছেলেটার। এখনও অ্যালবামই আসেনি।” গলা ধরে আসে সদ্য সন্তানহারা বাবার।

  • Coal Scam: কয়লা পাচার কাণ্ডে ফের তলব মলয় ঘটককে! ইডির সমন বাঘমুণ্ডির তৃণমূল বিধায়ককেও

    Coal Scam: কয়লা পাচার কাণ্ডে ফের তলব মলয় ঘটককে! ইডির সমন বাঘমুণ্ডির তৃণমূল বিধায়ককেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা পাচার কাণ্ডে (Coal scam case) ফের রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে (Moloy Ghatak) তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। এই নিয়ে চতুর্থবার তাঁকে তলব করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। একই সঙ্গে তলব করা হয়েছে পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডির তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) বিধায়ক সুশান্ত মাহাতোকেও (Sushanta Mahato)। তাঁদেরকে শুক্রবার সকাল ১১টায় দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।

    ইডি সূত্রে খবর, কয়লা পাচার কাণ্ডে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য সামনে রেখেই তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক এবং মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। একাধিক সাক্ষীর বয়ানে মলয় ঘটকের নাম উঠে এসেছে। মলয় ঘটককে আগেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তিনবার। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই তথ্য মিলছে না। তিনি কিছু গোপন করছেন বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। তাই আবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে।

    আরও পড়ুন: চেকপোস্টে আটকে কয়লা, “ভাইপো ভ্যাটে”র অপেক্ষায়? প্রশ্ন শুভেন্দুর

    কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রে খবর, কয়লা পাচার কাণ্ডের আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত নথি যাচাই করতে গিয়ে সুশান্ত মাহাতোরও নাম মিলেছে। এমনকী অনুপ মাজি তথা লালার দফতরে হানা দিয়ে যে নথি মেলে সেখানে পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডির বিধায়কের নাম রয়েছে। এই কারণে তাঁকেও তলব করা হয়। প্রয়োজনে সুশান্ত মাহাতো এবং মলয় ঘটককে মুখোমুখি বসিয়েও জেরা করা হতে পারে। সুশান্ত মাহাতো পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডির বিধায়ক। আর লালার বাড়ি এবং কর্মস্থল ওই এলাকায়। সেখানে একাধিক খনি রয়েছে। সুতরাং একটা যোগ থাকতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। তাই জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে চান তাঁরা। 

    গতবছর ১৬ সেপ্টম্বর পুরুলিয়ায় এক সাংগঠনিক সভায় গিয়েও সুশান্তর কয়লা কাণ্ডে জড়িত থাকা নিয়ে সরব হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এমনকী গত ১১ জুন  পুরুলিয়ার বলরামপুরে জনসভা করতে গিয়েও বিরোধী দলনেতা বলেছিলেন, কয়লা পাচারকাণ্ডে সুশান্তর যোগ আছে। বিরোধী দলনেতার অভিযোগ সত্যি কিনা, তা ইডির জেরার পরেই বোঝা যাবে। তবে, যা রটে,তার কিছুটা তো বটে, অভিমত রাজনৈতিক মহলে।

  • Defence ministry: গত আর্থিক বর্ষে ১৩ হাজার কোটি টাকা রেকর্ড রফতানি ভারতের

    Defence ministry: গত আর্থিক বর্ষে ১৩ হাজার কোটি টাকা রেকর্ড রফতানি ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) স্বপ্নের আত্মনির্ভর ভারতের দিকে আরও এক ধাপ এগোল দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রক (Defence Ministry )। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফাতানিতে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করল ভারত (India)। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, গত আর্থিক বর্ষে ১৩ হাজার কোটি টাকা রফতানি করেছে ভারত। প্রধানমন্ত্রীর আত্মনির্ভর ভারতের দিকে লক্ষ্য রেখে কেন্দ্রের তরফে একাধিক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। গত ২০২১-২২ আর্থিক বর্ষে ১৩ হাজার কোটি টাকা প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি করা হয়েছে বলে মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। মোট রফতানি অর্থের বেসরকারি খাত থেকে এসেছে ৭০ শতাংশ এবং ৩০ শতাংশ এসেছে সরকারি খাত থেকে।

    প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে খবর, আগের আর্থিক বছরগুলির তুলনায় ২০২১-২২ অর্থবর্ষে রফতানি বহু গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা রেকর্ড। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফিলিপাইন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, পশ্চিম এশিয়া এবং আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি করা হয়। প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানির বৃদ্ধির কথা জানান প্রতিরক্ষামন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব সঞ্জয় জাজু (Sanjay Jaju)।

    আরও পড়ুন: পূর্ব লাদাখে নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে চিনের যুদ্ধবিমান

    প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে আরও খবর, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে রফতানি পরিমাণ বেড়েছে তার আগের বছরগুলির তুলনায় প্রায় পাঁচ গুণ। ২০২০-২১ আর্থিক বর্ষে রফতানির পরিমাণ ভারতীয় টাকায় ছিল প্রায় ৮ হাজার ৪৩৪ কোটি টাকা। ২০১৯-২০ সালে ৯ হাজার ১১৫ কোটি এবং ২০১৫-১৬ সালে এই পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৫৯ কোটি। করোনা অতিমারির জন্যই ২০২০-২১ অর্থ বর্ষে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি কিছুটা কম হয়েছিল বলে মন্ত্রক জানিয়েছে।

    আরও পড়ুন: মোদি-আবে রসায়নই কি চিন্তা বাড়িয়েছিল চিনের? ইন্দো-জাপান মধুর সম্পর্কের স্থপতি শিনজো

    প্রসঙ্গত, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর,  যুদ্ধজাহাজের উদ্বোধন করতে কলকাতায় আসছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। ১৫ জুলাই গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্সে একটি যুদ্ধজাহাজের উদ্বোধন করবেন তিনি। গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্স যে তিনটি ফ্রিগেজ জাহাজ নির্মাণের বরাত পেয়েছে তার মধ্যে দ্বিতীয় জাহাজ এটি। 

  • coal scam: কয়লা-পাচার কাণ্ডে আজ সিবিআই আদালতে সাত ইসিএল কর্তা

    coal scam: কয়লা-পাচার কাণ্ডে আজ সিবিআই আদালতে সাত ইসিএল কর্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা দুর্নীতিতে (Coal Scam) সিবিআই-এর (CBI) জালে সাতজন ইসিএল (ECL) কর্তা। সংস্থার বর্তমান জেনারেল ম্যানেজার এসসি মিত্র-সহ মোট সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বর্তমান জিএম এসসি মিত্র ছাড়াও, ধৃতরা হলেন প্রাক্তন জেনারেল ম্য়ানেজার অভিজিৎ মল্লিক, সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, তন্ময় দাস। এছাড়া গ্রেফতার হয়েছেন ইসিএল-এর ম্যানেজার মুকেশ কুমার। দু’জন নিরাপত্তাকর্মীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার সকালে নিজাম প্যালেসে ডেকে ওই সাতজনকে অনেক ক্ষণ ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। তাদের বিরুদ্ধে প্রমাণ নিয়েই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। সারাদিন ধরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের খবর, ধৃতদের উত্তরে অসঙ্গতি মেলে। এরপরই সংস্থার বর্তমান ও প্রাক্তন-সহ ৪ জেনারেল ম্য়ানেজার এবং আরও তিন জনকে গ্রেফতার করে অ্য়ান্টি কোরাপশন ব্রাঞ্চ।

    আরও পড়ুন: রুজিরা নারুলাকে চেনেন না রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়, কয়লাপাচার তদন্তে গোলকধাঁধায় সিবিআই-ইডি

    সিবিআই সূত্রে খবর, কয়লা মাফিয়াদের সঙ্গে আঁতাতের অভিযোগ রয়েছে এই সাতজনের বিরুদ্ধেই। আর সেই সংক্রান্ত বেশ প্রমাণও ইতিমধ্যেই তদন্তকারী অফিসারেরা পেয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার ধৃত সাতজনকেই আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে তোলা হবে বলে জানা যাচ্ছে। গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে কয়লা এবং গরু পাচার-কান্ডের তদন্ত শুরু করে সিবিআই। দুই মামলাতে আর্থিক লেনদেন নিয়ে তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটও (ED)। ইতিমধ্যেই কয়লা -পাচার কাণ্ডে মোট ২৩ কোটি ৪০ লক্ষ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি।

    আরও পড়ুন: কোলে ২ বছরের ছেলে, ইডি-র তলবে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির রুজিরা

    তদন্তে একাধিক প্রভাবশালীকে ইতিমধ্যে জেরা করেছে সিবিআই। এমনকি খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamta Banerjee) ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) পর্যন্ত দফায় দফায় জেরা করা হয়েছে। সিবিআই সূত্রে জানানো হয়েছে, ইসিএলের এই সাতজনই দীর্ঘদিন ধরে সিবিআই র‍্যাডারে ছিলেন। এমনকি তাঁদের বাড়িতে এবং অফিসেও একাধিকবার তল্লাশি চালানো হয়েছে। বেশ কিছু নথিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কয়লা পাচার-কাণ্ডে ইস্টার্ন কোল্ডফিল্ড লিমিটেডের সাত কর্মীর গ্রেফতারির ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

     

  • Madhya Pradesh: ১১টির মধ্যে সাতটি পুরনিগম বিজেপির! মধ্যপ্রদেশে প্রথম জয় আপের

    Madhya Pradesh: ১১টির মধ্যে সাতটি পুরনিগম বিজেপির! মধ্যপ্রদেশে প্রথম জয় আপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh) পুর নির্বাচনে (mayoral seats) সাড়া ফেলল রাজ্যের শাসক দল বিজেপি (BJP)। ১১টির মধ্যে সাতটি পুরনিগম দখল করেছে তারা। কংগ্রেস (Congress) জিতেছে তিনটিতে। চমকে দিয়েছে আম আদমি পার্টি (AAP)। প্রথমবার মধ্যপ্রদেশের পুর নির্বাচনে অংশ নিয়ে সিংগ্রাউলির (sungrauli) মেয়র পদে জয়ী হয়েছেন আপ নেত্রী  রানি আগরওয়াল। বিজেপি জিতেছে উজ্জ্বয়িনী, বুরহানপুর, সাতনা, খাণ্ডওয়া, সাগর, ইন্দোর এবং ভোপালে। ফলপ্রকাশের পরে ভোটারদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান।

    আরও পড়ুন: শুরু সংসদের বাদল অধিবেশন, শান্তিপূর্ণ আলোচনার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

    উল্লেখ্য, ৬ জুলাই মধ্যপ্রদেশের ১১ টি পুরনিগমে নির্বাচন হয়। রবিবার ভোটগণনা হয়। কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার গড় হিসেবে পরিচিত গোয়ালিয়রে অবশ্য মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন কংগ্রেসের শোভা শিকারওয়ার। জবলপুর এবং ছিন্দওয়াড়াতেও মেয়র পদ দখল করেছে কংগ্রেস। এই তিন পুরনিগমে জয়ের পরে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা বলেন, ‘‘মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসের সব নেতা-কর্মীকে অভিনন্দন। নানা দিক থেকে আক্রমণ উপেক্ষা করে ৫৭ বছর পরে গোয়ালিয়র পুরসভা এবং ২৩ বছর পরে জবলপুর পুরসভায় কংগ্রেসকে জয় এনে দিয়েছেন তাঁরা।’’ এই প্রথম মধ্যপ্রদেশের কোনও পুরনিগমের ক্ষমতা দখল করল অরবিন্দ কেজরীওয়ালের দল। মধ্যপ্রদেশে দলের সাফল্যে দিল্লিতে উৎসবে মাতেন আপ সমর্থকেরা।

    আরও পড়ুন: উৎসবের মেজাজে চলছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, দেখুন ভোট দিলেন কারা

    মধ্যপ্রদেশে পুরনির্বাচনে এই জয়কে জনগনের জয় বলে উল্লেখ করেছে বিজেপি। দলের প্রতি ভরসা রাখার জন্য রাজ্যের মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ট্যুইটবার্তায় মোদি জানান, “মানুষ রাজ্যে শিবরাজ সিং চৌহানের সরকারের প্রতি যে ভরসা রাখে এই জয় তার প্রমাণ।” বিজয়ী প্রার্থী ও দলের কর্মীদের অভিনন্দন জানান তিনি। আগামী বছর মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। গত পুর নির্বাচনে রাজ্যের সবকটি পুরনিগমই বিজেপির দখলে ছিল। এবার চারটি হাতছাড়া হওয়াতে একটু চিন্তায় পদ্ম শিবির। তাই আরও সচেতন হয়ে বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এখন কাজ করতে চায় রাজ্য বিজেপি।

  • Modi: ফের পরিবারতন্ত্রের প্রতি কটাক্ষ মোদির

    Modi: ফের পরিবারতন্ত্রের প্রতি কটাক্ষ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের নানা প্রান্তে বিভিন্ন মঞ্চ থেকে বারবার পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সম্প্রতি জয়পুরে অনুষ্ঠিত বিজেপির জাতীয় বৈঠকেও কংগ্রেসের ‘পরিবারবাদী’ রাজনীতির সমালোচনা করেন মোদি। এবার হায়দরাবাদে (Hyderabad) এক জনসভায় তেলঙ্গানায় ক্ষমতাসীন দল টিআরএসের বিরুদ্ধে পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ তুললেন তিনি। এদিন পরোক্ষে তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওকে (KCR) কটাক্ষ করলেন প্রধানমন্ত্রী।  বৃহস্পতিবার হায়দরাবাদে (Hyderabad) গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর সঙ্গে দেখা না করে এদিনই বেঙ্গালুরুতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়ার কাছে  গিয়েছেন কেসিআর। 

    এদিন মোদি বলেন, তেলঙ্গানা রাজ্য গঠনের জন্য শুধু একটি পরিবারই লড়াই করেনি। এই রাজ্য থেকে কেবল একটি পরিবারের লোকই সবরকম সুবিধা নেবে, এমনটাও ঠিক নয়। পরে তিনি বলেন, আমাদের দেশের বহু দলে পরিবারতন্ত্র কায়েম হয়ে বসেছে। সেজন্যই যুবকরা সুযোগ পাচ্ছে না। মোদির কথায়, “পরিবারবাদী দলের নেতারা কেবল নিজেদের উন্নয়নের কথা চিন্তা করেন। তাঁরা গরিব লোকজনের কথা ভাবেন না। তাঁরা চেষ্টা করেন যাতে একটি দলই ক্ষমতায় থাকতে পারে এবং যত বেশি সম্ভব সম্পদ লুঠ করতে পারে।”

    দলীয় কর্মীদের সভায় মোদি বলেন, “পরিবারভিত্তিক রাজনীতি কেবল একটি সমস্যা নয়, তা গণতন্ত্রের পক্ষে সবচেয়ে বড় বিপদ। যে দলগুলি একটি পরিবারের কথায় চলে, তারা কতদূর দুর্নীতিগ্রস্ত হতে পারে, দেশের মানুষ তা দেখেছে।” কেসিআরের সরকারের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “সারা দেশ দেখছে, কীভাবে তেলঙ্গানার মানুষ সমস্যায় পড়েছেন।” পরে মোদি বলেন, তেলঙ্গানায় বিজেপি কর্মীরা আক্রমণের লক্ষ্য হয়ে উঠছেন।
    মোদির কথায়, “পরিবারতান্ত্রিক দলগুলি তোষণের রাজনীতি করে। তাদের মূল লক্ষ্য থাকে নিজেদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ভর্তি করা।” 

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিজেপি তেলঙ্গানায় টেকনোলজিক্যাল হাব গড়ে তুলতে চায়। তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর ‘কুসংস্কার’ নিয়েও কটাক্ষ করেন মোদি। তিনি বলেন, কুসংস্কারাচ্ছন্ন ব্যক্তিরা রাজ্যের উন্নয়ন করতে পারেন না। তাঁর কথায়, “আমি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বিশ্বাস করি। আমি যোগী আদিত্যনাথকে অভিনন্দন জানাই। তিনি সাধু। কিন্তু কুসংস্কারে বিশ্বাসী নন। কুসংস্কারাচ্ছন্ন ব্যক্তিদের হাত থেকে তেলঙ্গানাকে রক্ষা করতে হবে।”

  • SC on Prostitution: যৌনকর্মীদের সমমর্যাদা, সমান আইনি অধিকার প্রাপ্য, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    SC on Prostitution: যৌনকর্মীদের সমমর্যাদা, সমান আইনি অধিকার প্রাপ্য, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে পতিতাবৃত্তিকে (Prostitution) পেশা হিসেবে চিহ্নিত করা বা যৌনকর্মীদের  (sex workers) আইনি সুরক্ষা প্রদান  করার লক্ষ্যে বড় পদক্ষেপ নিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme court)। সবকটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের পুলিশকে শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিয়েছে, সাবালক ও স্বেচ্ছায় আসা যৌনকর্মীদের বিরুদ্ধে অযথা হেনস্থা ও ফৌজদারি পদক্ষেপ গ্রহণ যেন না করা হয়। সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে, পেশা যাই হোক, যৌনকর্মীদের সমমর্যাদা ও সমান অধিকার প্রাপ্য। ঐতিহাসিক পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের। 

    শীর্ষ আদালতে একটি আবেদনের শুনানি  চলছিল যেখানে বলা হয়েছিল, কোভিড-১৯ (covid-19) অতিমারীর কারণে যৌনকর্মীদের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। সেই মামলার শুনানিতে যৌনকর্মীদের পুনর্বাসনের জন্য গঠিত একটি প্যানেলের সুপারিশের ভিত্তিতে শীর্ষ আদালতের এই পর্যবেক্ষণ। 

    বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাওয়ের (L Nageswara Rao) নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ এই সংক্রান্ত ছ’টি নির্দেশিকা জারি করেছে। এই নির্দেশিকা অনুযায়ী, যৌনকর্মীরা আইনের সমান সুরক্ষা পাওয়ার অধিকারী। ফৌজদারি আইন অবশ্যই বয়স এবং সম্মতির ভিত্তিতে সকল ক্ষেত্রে সমানভাবে প্রযোজ্য হবে। যখন এটা স্পষ্ট যে যৌনকর্মী একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি এবং সম্মতিতে যৌনকর্মে অংশ নিচ্ছেন, পুলিশকে অবশ্যই হস্তক্ষেপ করা বা কোনও ফৌজদারি পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এটা বলার দরকার নেই যে, পেশা যাই হোক না কেন, সংবিধানের ২১ নম্বর অনুচ্ছেদে (Article 21) এদেশের প্রতিটি ব্যক্তির একটি মর্যাদাপূর্ণ জীবনের অধিকার রয়েছে।

    আরও পড়ুন: ক্ষমতার অপব্যবহার! দিল্লি থেকে আই এএস অফিসারকে বদলি লাদাখে, স্ত্রীকে পাঠানো হল অরুণাচল

    আদালতের স্পষ্ট নির্দেশ, অনৈতিক ট্র্যাফিক (প্রতিরোধ) আইন, ১৯৫৬-এর অধীনে কর্তব্যরত কর্তৃপক্ষেকে মনে রাখাতে হবে যে, সাংবিধানিক সুরক্ষা এই দেশের সমস্ত ব্যক্তিকে দেওয়া হয়েছে। আদালতের মতে, কোনও যৌনকর্মী যদি যৌন নিপীড়নের শিকার হন, তাঁকে আইন অনুযায়ী দ্রুত শারীরিক পরীক্ষা করে তদন্ত শুরু করতে হবে। যৌনকর্মীদের চিকিৎসা সহায়তা সহ সবধরনের পরিষেবা প্রদান করতে হবে, যা একজন যৌন নিপীড়িতাকে আইন অনুযায়ী দেওয়া প্রয়োজন। 

    আদালত আরও নির্দেশ দিয়েছে যে কোনও পতিতালয়ে অভিযানের সময় যৌনকর্মীদের “গ্রেফতার করা বা শাস্তি দেওয়া বা হয়রানির শিকার হওয়া” উচিত নয় কারণ “স্বেচ্ছায় যৌনকর্ম বেআইনি নয় এবং শুধুমাত্র পতিতালয় চালানো বেআইনি।” আদালতের মতে, “এটা লক্ষ্য করা গেছে যে যৌনকর্মীদের প্রতি পুলিশের মনোভাব প্রায়শই নৃশংস এবং সহিংস। যেন তাঁরা এমন একটি শ্রেণিভুক্ত, যাঁদের অধিকার স্বীকৃত নয়।

    শীর্ষ আদালতের অভিমত, মা যৌনপেশায় আছেন, শুধু সেই যুক্তিতে সন্তানকে তাঁর মায়ের কাছ থেকে সরিয়েও নেওয়া যাবে না। পাশাপাশি কোনও যৌনকর্মী যদি তাঁর বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের অভিযোগ নিয়ে পুলিশের কাছে যান, তা হলে সেটিও সমান মনোযোগের সঙ্গে দেখতে হবে পুলিশকর্মীদের।  পুলিশ এবং অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলিকে যৌনকর্মীদের অধিকারের প্রতি সংবেদনশীল হওয়া উচিত। সমস্ত মৌলিক মানবাধিকার এবং সংবিধান স্বীকৃত সমস্ত নাগরিকের জন্য রক্ষিত অন্যান্য অধিকার যৌনকর্মীদেরও প্রাপ্য।

    পুলিশের উচিত, সকল যৌনকর্মীদের সাথে মর্যাদাপূর্ণ আচরণ করা এবং তাঁদের মৌখিক এবং শারীরিকভাবে হেনস্থা না করা। যৌনকর্মীদের ওপর কখনই হিংসা বা তাঁদের কোনও যৌন  কার্যকলাপে বাধ্য করা উচিত নয় বলে জাবনিয়েছে বেঞ্চ। 

    সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশেও কিছু নির্দেশিকা বজায় রাখতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। বেঞ্চের নির্দেশ, কোনও ঘটনা ঘটলে যৌনকর্মীদের পরিচয় যেন প্রকাশ্যে না আসে, সে ব্যাপারে গণমাধ্যম, সংবাদপত্রকে সতর্ক থাকতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট এই সুপারিশগুলোর ব্যাপারে কেন্দ্রের মতামতও জানতে চেয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি ২৭ জুলাই। সে দিন এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রের অভিমত শুনবে শীর্ষ আদালত।

     

     

LinkedIn
Share