Author: শুভ্র চট্টোপাধ্যায়

  • Tomato Flu: এবার টমেটো ফ্লু, নয়া ভাইরাসে আক্রান্ত শিশুরা

    Tomato Flu: এবার টমেটো ফ্লু, নয়া ভাইরাসে আক্রান্ত শিশুরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা (Covid) এখনও বর্তমান। তার মধ্যেই আর এক অজানা ভাইরাসের হানা। এবার আক্রান্ত পাঁচ বছর বয়সের কম শিশুরা। ইতিমধ্যেই দ্রুত এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে কেরলে। খাদ্যে বিষক্রিয়ার পরে নতুন এই ভাইরাসের সংক্রমণে জর্জরিত কেরল। এখনও পর্যন্ত ৮২ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। সেই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা।

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন মূলত শিশুরাই আক্রান্ত হচ্ছে এই রোগে। তীব্র জ্বর এবং সারা গায়ে ছোট ছোট লাল ফোস্কার মতো ক্ষত এই রোগের প্রধান বৈশিষ্ট্য।  ক্ষুদ্রাকৃতি টমেটোর মতো এই ফোস্কার কারণেই রোগটির নাম ‘টমেটো ফ্লু’ (Tomato Flu)। এটি একটি বিরল ভাইরাল রোগ। কেরলের কোল্লাম জেলায় ইতিমধ্যেই ৮০টি শিশু এই জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে বলে খবর। আক্রান্ত শিশুদের প্রত্যেকেরই বয়স ৫ বছরের কম বলে জানিয়েছে কেরলের (Keral) স্বাস্থ্য দফতর। কোল্লাম ছাড়াও পার্শ্ববর্তী কয়েকটি জেলাতেও কিছু রোগীর সন্ধান মিলেছে। আরিয়ানকাভু, আঁচল এবং নেদুভাথুর থেকেও সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছে।

    এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যাতে ভাইরাস ছড়িয়ে না পড়ে তাই কেরল-তামিলনাড়ু (Tamilnadu) সীমানায় জারি করা হয়েছে সতর্কতা। প্রশাসনের তরফে কড়া নজরদারির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।  জ্বর বা অন্য অসুস্থতা নিয়ে যাতে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে কেউ যেতে না পারেন, সে বিষয়ে নজর দেওয়া হচ্ছে। জ্বরের উপসর্গের হদিশ মিললেই করা হচ্ছে পরীক্ষা।

     চিকুনগুনিয়ার উপসর্গের সঙ্গে কিছুটা মিল রয়েছে এই জ্বরের। তীব্র জ্বর,গা ব্যথা ও ক্লান্তির মতো উপসর্গ দেখা যাচ্ছে রোগীর শরীরে। কিছু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে বমি ও পেটের গোলযোগও। তবে এই সব লক্ষণ ছাড়াও রোগীর দেহে দেখা যাচ্ছে টমেটোর মতো ছোট ছোট ফোস্কা। হাতের বা পায়ের তালুতে এই লাল রঙের ফুসকুড়ি বেশি দেখা যাচ্ছে।
     
    রোগটির কারণ সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত নন বিশেষজ্ঞরা। তাই নির্দিষ্ট কোনও চিকিৎসা পদ্ধতির কথা এখনই নিশ্চিত ভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে প্রাথমিক ভাবে সংক্রমণ আটকাতে পরিচ্ছন্নতা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথাই বলছেন চিকিৎসকরা। পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করারও পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। সঙ্গে নিতে হবে যথেষ্ট বিশ্রাম। ফোস্কাগুলি চুলকালে বিপদ আরও বাড়তে পারে বলেও সতর্ক করেছেন চিকিৎসকরা। যাঁরা সংক্রমণে আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁদের অন্যদের থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আর ফোসকাগুলি যাতে গলে না যায়,সেদিকে খেয়াল রাখার কথাও বলছেন চিকিসকেরা।

    এখনও পর্যন্ত যা জানা গিয়েছে, তাতে ৫ বছরের বয়সের নীচের শিশুদের এই সংক্রমণটি হচ্ছে। তাই তাদের বেশি সাবধানে রাখার কথা বলা হচ্ছে। যদিও এটি একেবারে নতুন কোনও ভাইরাস নাকি চিকুনগুনিয়া বা ডেঙ্গির প্রভাবে এটি হচ্ছে— তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে চিকিৎসকদের মধ্যে। এখনও পর্যন্ত কেরলের বিভিন্ন অংশে এই ভাইরাস সংক্রমণের কথা জানা গেলেও অন্যত্র এটি ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা।  

  • 2002 Gujarat riots case: জাকিয়া জাফরির কষ্টকে ব্যবহার করেছেন তিস্তা শেতলবাদ! অভিমত সুপ্রিম কোর্টের

    2002 Gujarat riots case: জাকিয়া জাফরির কষ্টকে ব্যবহার করেছেন তিস্তা শেতলবাদ! অভিমত সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০০২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আমেদাবাদের গুলবার্গ সোসাইটি (Ahmedabad Gulbarg Society) হত্যাকাণ্ডে নিহত কংগ্রেস নেতা এহসান জাফরির স্ত্রী জাকিয়া জাফরির (Zakia Jafri) যন্ত্রণাকে কাজে লাগিয়েছেন তিস্তা শেতলবাদ। নিজেদের স্বার্থে জাকিয়ার বেদনাকে ব্যবহার করেছে তিস্তার এনজিও সংস্থা এমনটাই জানিয়েছে শীর্ষ আদালত (Supreme Court)।

    গুজরাটের হিংসায় বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনায় সরাসরি নাম জড়িয়েছিল গুজরাটের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। কিন্তু,তাঁকে ক্নিনচিট দিয়েছিল তদন্তকারী দল সিট। তারপর মামলা বন্ধের চূড়ান্ত রিপোর্ট গ্রহণ করেছিলেন ম্যাজিস্ট্রেট। বিচারপতি এএম খানউইলকর, বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি সিটি রবি কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ এদিন ২০২২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি নরেন্দ্র মোদিকে ক্লিনচিটের রায়কেই বহাল রাখল। জাকিয়ার দায়ের করা স্পেশাল লিভ পিটিশনের সপক্ষে এদিন সওয়াল করেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। তিনি জানান, সিটের তদন্তে খামতি ছিল। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এড়িয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু, মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতি  এএম খানউইলকর, বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি সিটি রবি কুমারেরর ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, এই মামলা ভিত্তিহীন। শোকাহত জাকিয়ার যন্ত্রণাকে কাজে লাগানো হয়েছে। কোথাও ওই হত্যাকাণ্ডের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছিল এমন কোনও প্রমাণ মেলেনি, বলে জানান বিচারপতিরা।

    আরও পড়ুন: ‘শিবের মতো বিষপান করেছেন মোদি’, গুজরাট হিংসা প্রসঙ্গে অমিত শাহ

    আদালতের রায়ে বলা হয়, জাকিয়া জাফরি অন্য কারোর নির্দেশে কাজ করেছেন। তিস্তা শেতলাবাদের এনজিও অনেক ভুক্তভোগীদের হলফনামায় স্বাক্ষর করিয়েছিল এবং তাঁদের অনেকেই জানতেনও না যে কিসে স্বাক্ষর করছেন তাঁরা।  এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এদিন বলেন, ‘বিজেপির রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী, রাজনৈতিকভাবে অনুপ্রাণিত সাংবাদিক এবং কিছু এনজিও গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে মিথ্যা প্রচার করে। তাদের একটি শক্তিশালী ইকোসিস্টেম ছিল। তাই সবাই সেই মিথ্যাকে সত্য বলে বিশ্বাস করতে শুরু করে।’ শাহ আরও বলেন, ‘আমি তাড়াহুড়ো করে রায়টি পড়েছি (২৪শে জুন)। কিন্তু তাতে স্পষ্টভাবে তিস্তা শেতলবাদের নাম উল্লেখ রয়েছে। তাঁর একটি এনজিও ছিল। সেটি সমস্ত থানায় বিজেপি কর্মীদের নাম জড়িয়ে আবেদন জমা দিয়েছিল৷ মিডিয়ার দ্বারা এত চাপ ছিল যে সব আবেদনগুলি সত্য বলে মেনে নেওয়া হয়েছিল৷ সেই সময়ে ইউপিএ সরকার এই এনজিওকে সাহায্য করেছিল।’অমিত শাহ দাবি করেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে যাঁরা মিথ্যা প্রচার চালিয়েছিল, তাঁদের উচিত প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চাওয়া।

     

  • Ajay Devgn & Kiccha Sudeep Twit case : “হিন্দি রাষ্ট্রভাষা নয়…”, সুদীপ-অজয় ভাষা-যুদ্ধে টুইট কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার

    Ajay Devgn & Kiccha Sudeep Twit case : “হিন্দি রাষ্ট্রভাষা নয়…”, সুদীপ-অজয় ভাষা-যুদ্ধে টুইট কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দিই কি রাষ্ট্রীয় ভাষা…এ নিয়ে টুইট বিতর্কে জড়িয়েছেন বলিউড ও দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির দুই তারকা অজয় দেবগন ও কিচ্চা সুদীপ। সেই বির্তকে এবার নিজের মতামত দিলেন কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। তিনি কন্নড় অভিনেতা সুদীপকে সমর্থন করে অজয় দেবগনের মতামতকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করলেন। সিদ্দারামাইয়ার টুইট, হিন্দি কখনওই ভারতের রাষ্ট্রীয় ভাষা ছিল না, নেই, হবেও না। তিনি লেখেন, একজন কন্নড় হিসেবে তিনি গর্বিত। ভারতের ভাষা-বৈচিত্র্যকে সম্মান জানানো উচিত প্রত্যেক ভারতবাসীর। সব ভাষারই নিজস্ব ঐতিহ্য রয়েছে।

    সম্প্রতি একটি দক্ষিণী ছবি নিয়ে সুদীপ বলেন, “সবাই বলছে কন্নড় ইন্ডাস্ট্রিতে সর্বভারতীয় ছবি তৈরি হয়েছে। আমি একটু সংশোধন করতে চাই। হিন্দি আর রাষ্ট্রভাষা নেই। বলিউড আজকাল সর্বভারতীয় ছবি বানাচ্ছে। ওরা সাফল‍্য পাওয়ার জন‍্য তেলুগু, তামিলে ছবির ডাবিং করাচ্ছে। কিন্তু তাও লাভ হচ্ছে না।” এই শুরু। 

    [tw]


    [/tw]

    এমনিতে বলি-বিতর্ক থেকে সাধারণত দূরে থাকা অজয় দেবগন সুদীপের এ কথা মানতে পারেননি। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে হিন্দিতে অজয় সুদীপের কাছে প্রশ্ন রাখেন, যদি হিন্দি সত্যি রাষ্ট্রীয় ভাযা না হয় তবে সুদীপ কেন নিজের ছবি হিন্দিতে ডাবিং করে রিলিজ করেন।
    অজয় সুদীপকে ট্যাগ করে লেখেন, “কিচ্চা সুদীপ ভাই, যদি হিন্দি আমাদের রাষ্ট্রীয় ভাষা না হয়, তাহলে তুমি কেন তোমার মাতৃভাষায় তৈরি ছবি হিন্দিতে ডাবিং করে রিলিজ করো? হিন্দি আমার মাতৃভাষা, এবং আমাদের রাষ্ট্রীয় ভাষা এবং সেটা থাকবেই। জন গণ মণ।”

    অজয়ের (Ajay Devgn) টুইটে পালটা জবাব দেন সুদীপও, অভিনেতা জানান তিনি যে প্রেক্ষাপটে কথা বলেছেন সেটা আলাদা। অজয় দেবগন হয়তো তাঁকে ভুল বুঝছেন। কোনও রকম তর্ক বির্তক করার ইচ্ছে তাঁর নেই। সামনাসামনি অজয়ের সঙ্গে দেখা হলে তিনি পুরোটা বুঝিয়ে বলবেন। শেষে সুদীপ টুইট করে অজয়ের উদ্দেশে লেখেন, “আমি নিজের দেশের সব ভাষাকে সম্মান করি। আমি চাই এই বিতর্কটা এখানেই শেষ হোক, আমি যেমনটা বলেছি ওই প্রেক্ষাপটটা আলাদা ছিল। অনেক ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছা আপনাকে।” সুদীপের এই টুইটের আগেই দুতারকার অভিমত নিয়ে সরগরম নেটপাড়া। কেউ নিয়েছে অজয়ের পক্ষ কেউ আবার সমর্থন জানিয়েছেন সুদীপের মন্তব্যকে।

    সুদীপের শেষ টুইটের কিছু ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই অবশ্য অজয় (Ajay Devgn)নিজের মন্তব্য থেকে সরে এসে লেখেন, “ধন্যবাদ সুদীপ আমার এই ভুলবোঝাটা ঠিক করে দেওয়ার জন্য, আমি সবসময় মনে করি আমরা এক ইন্ডাস্ট্রি। আমারা সব ভাষাকেই সম্মান করি, পাশাপাশি আশা করি অন্যান্য ভাষার লোকেরা আমাদের সম্মান করবে।”

    কিন্তু বৃহস্পতিবার এই প্রেক্ষাপটে কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর টুইট আবার নতুন করে বিতর্ককে উস্কে দিল। বেশ কয়েকদিন আগেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ দেশের প্রধান ভাষা হিসেবে হিন্দির পক্ষে সাওয়াল তোলেন। সেই সময় বিরোধিতা করেন সঙ্গীত পরিচালক এ আর রহমান। 

  • Santhal Rebellion: আজ হুল দিবস! সাঁওতাল বিদ্রোহের সূচনা আজকের দিনেই, জানুন এর তাৎপর্য

    Santhal Rebellion: আজ হুল দিবস! সাঁওতাল বিদ্রোহের সূচনা আজকের দিনেই, জানুন এর তাৎপর্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইংরেজদের বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র সঙ্ঘবদ্ধ আন্দোলন হল সাঁওতাল বিদ্রোহ। সিপাহী বিদ্রোহের ঠিক দুবছর আগে এই আন্দোলন দানা বাঁধে। ব্রিটিশ সৈন্যবাহিনী, অসৎ ব্যবসায়ী, মুনাফাখোর মহাজনদের শোষণ, অত্যাচার ও নির্যাতনের হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করে একটি স্বাধীন সার্বভৌম সাঁওতাল রাজ্য গড়ে তোলাই ছিল সাঁওতাল বিদ্রোহের মূল উদ্দেশ্য । নিজেদের স্বাধিকার ছিনিয়ে নিতে ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দের ৩০ জুন সিধু ও কানুর নেতৃত্বে ভাগনাদিহির মাঠে সমবেত হন হাজার হাজার সাঁওতাল ভাই-বোনেরা। এরপর কলকাতা অভিমুখে গণযাত্রা শুরু করেন তাঁরা। ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসে রাজনৈতিক সংগ্রামের জন্য সেই প্রথম মিছিল বা গণযাত্রার সূচনা হয়। তাই এই দিনটিকে স্মরণ করে  প্রতিবছর ৩০ জুন পালিত হয় হুল দিবস। 

    হুল দিবস (Hool Divas) ওরফে সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে ইতিহাসে এক উল্লেখযোগ্য দিন।  ১৮৫৫ সালে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ ও বিহারের ভাগলপুর জেলায় সাঁওতাল বিদ্রোহ বা সান্তাল হুল-এর সূচনা হয়। এই আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন সিধু (সিধো) ও কানু (কানহু)। ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্যে একই পরিবারের ৬ ভাইবোন সিধু-কানু-বিরসা-চাঁদ-ভৈরব এবং দুই বোন ফুলমণি এবং ঝানু মুর্মুর সংগঠিত আন্দোলন পৃথিবীর ইতিহাসেই বিরল।

    আরও পড়ুন: বিচারপতির পাশাপাশি ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কারকও, জন্মবার্ষিকীতে আশুতোষ-স্মরণ

    ইংরেজ আমলে স্থানীয় মহাজন ও দাদন ব্যবসায়ীদের শোষণ ও নিপীড়ন এবং ব্রিটিশদের অত্যাচারের শিকার হয়ে তা থেকে মুক্তির লক্ষ্যেই এই আন্দোলনের সূচনা। স্থানীয় জমিদার, মহাজন ও ইংরেজ কর্মচারীদের অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন গড়ে তোলে সাঁওতালরা। কিন্তু বিশ্বাস ভঙ্গ করেন কয়েকজন। ব্যক্তিস্বার্থে ভেসে গিয়ে ইংরেজদের ফাঁদে পা দেন কয়েকজন সাঁওতাল। ব্যার্থ হয় বিপ্লব। ব্রিটিশের হাতে গ্রেফতার হন সিধু। পরে তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়। অন্যদিকে ১৮৫৬ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ভগনডিহির সন্নিকটে পাঁচকাঠিয়া বটবৃক্ষে ফাঁসির মঞ্চে তোলা হয় কানুকে। ফাঁসির মঞ্চ থেকে তিনি ঘোষণা করেছিলেন, “আমি আবার আসব, আবার সারা দেশে বিদ্রোহের আগুন জ্বালিয়ে তুলব।”

    ব্যর্থ হলেও পরোক্ষে সাঁওতাল বিদ্রোহই সিপাহী বিদ্রোহের ভিত গড়ে দেয়। নীপিড়িত মানুষ বুঝতে পারে লড়াই করে বড় শক্তিকেও নাড়িয়ে দেওয়া যায়। অধিকার চাইলে পাওয়া যায় না, ছিনিয়ে নিতে হয়। 

  • obese may raise cancer risk: ওবেসিটিতে ভুগছেন? মদ্যপান নৈব নৈব চ! হতে পারে ক্যানসারও

    obese may raise cancer risk: ওবেসিটিতে ভুগছেন? মদ্যপান নৈব নৈব চ! হতে পারে ক্যানসারও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শরীরে স্থূলতা বা ওবেসিটি থাকলে অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকুন। না হলে আক্রান্ত হতে পারেন মারণ রোগে। ওবেসিটি থাকলে প্রতিদিন অ্যালকহোল গ্রহণ করলে বাড়ে ক্যানসারের ঝুঁকি, এমনটাই মনে করছেন গবেষকেরা।

    সম্প্রতি এই বিষয় নিয়ে একটি পরীক্ষামূলক গবেষণা চালায় সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। ওই দলের গবেষক এলিফ ইনান জানান, অতিরিক্ত মেদযুক্ত ব্যক্তিরা অ্যালকোহল গ্রহণ করার সময় সতর্ক থাকুন। সারা বিশ্বে ৬৫০ মিলিয়ন মানুষ ওবেসিটিতে ভুগছেন। ওবেসিটি ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। তার মধ্যে অ্যালকোহল গ্রহণ আগুনে ঘৃতাহুতির কাজ করে।

    ইনান জানান ওই গবেষণায় ৩ লক্ষ ৯৯ হাজার ৫৭৫ জন ব্যাক্তি অংশ নেয়। যাঁরা প্রথমে ক্যানসার আক্রান্ত ছিলেন না। ১২বছর ধরে তাঁদের ওপর পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানো হয়। এরপর দেখা যায় এঁদের মধ্যে ১৭ হাজার ৬১৭ জন অ্যালকোহল সম্পর্কিত ক্যানসারের শিকার। আর ২০ হাজার ২১৪জনের ক্যানসার হয়েছে ওবেসিটির কারণে।

    গবেষকরা মনে করেন, শুধুমাত্র মদ্যপান (Alcohol) করলে ক্যানসারের ঝুঁকি  তুলনায় কম থাকে। কিন্তু যাঁরা মদ্যপানের সঙ্গেই ধূমপানও করে থাকেন। তাঁদের ক্যানসারের ঝুঁকি বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। শরীরে মেদ থাকলেও অতিরিক্ত মদ্যপান ক্যানসারের প্রকোপ বাড়ায়। ক্যানসার নামের সঙ্গেই জড়িয়ে থাকে আতঙ্ক। বিভিন্ন বয়সে, বিভিন্ন কারণে এই রোগের কোপে পড়তে পারেন যে কোনও ব্যক্তি। আমার-আপনার পরিচিতদের মধ্যে অনেকেই এই রোগে আক্রান্ত। অনেকেই কিন্তু চিকিৎসার মাধ্য়মে সুস্থ জীবনে ফিরেও এসেছেন। সুস্থ হওয়ার হারটাও কম নয়। কিন্তু তার জন্য প্রয়োজন সচেতনতা (Awareness) এবং সময়ে চিকিৎসা শুরু করা। ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়তে সচেতনতাই মূল অস্ত্র বলে জানিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। 

     

  • DRDO SWiFT: চালকবিহীন যুদ্ধবিমানের সফল পরীক্ষা ডিআরডিও’র! উচ্ছ্বসিত প্রতিরক্ষামন্ত্রী

    DRDO SWiFT: চালকবিহীন যুদ্ধবিমানের সফল পরীক্ষা ডিআরডিও’র! উচ্ছ্বসিত প্রতিরক্ষামন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামরিক ক্ষেত্রে আবারও সাফল্য ভারতের। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হওয়া সামরিক বিমান এবার আকাশপথে শত্রুপক্ষের উপরে আঘাত হানতে সক্ষম হবে কোনওরকম চালক ছাড়াই! শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছে ভারত। সাম্প্রতিককালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধেও ব্যবহার হয়েছে এই ধরনের যুদ্ধবিমান। ভারতে তৈরি হওয়া স্বয়ংক্রিয় এই সামরিক বিমান সফলভাবে পরীক্ষা করা হল শুক্রবার। এই পরীক্ষামূলক স্টেলথ কমব্যাট ড্রোনের নাম দেওয়া হয়েছে স্টেলথ উইং ফ্লাইং টেস্টবেড (Stealth Wing Flying Testbed) বা সংক্ষেপে সুইফ্ট (SWiFT)। 

    কর্নাটকের চিত্রদুর্গায় এই বিমান পরীক্ষা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (DRDO)। নিজেদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতেই এমন বিমান বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। স্বয়ংক্রিয় এই যুদ্ধবিমানের সফল পরীক্ষার পরে অভিনন্দন জানিয়ে ট্যুইট করেছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং।

    [tw]


    [/tw][tw]


    [/tw]

    এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও DRDO তাদের ট্যুইটারে প্রকাশ করেছে। ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের পক্ষ থেকে ট্যুইটবার্তায় জানানো হয়েছে, “আমরা একটি যুদ্ধবিমান (Indigenous Aircraft) তৈরি করার চেষ্টায় ছিলাম। এমতাবস্থায়, ভারতেই তৈরি যুদ্ধবিমানটি সফলভাবে পরীক্ষা করা হল। নিঃসন্দেহে এটি একটি বড় সাফল্য।  এই বিমানে কোনও পাইলটের প্রয়োজন নেই। পরীক্ষার সময় টেক অফ করার পরে নির্দিষ্ট জায়গা পর্যন্ত উড়ে গিয়েছে বিমানটি। তারপরে সেটি নিখুঁতভাবে মাটিতে নেমে আসে।” এই বিমানটি তৈরি করেছে ডিআরডিও-র অধীনে থাকা এরোনটিক্যাল ডেভেলপমেন্ট এসট্যাবলিশমেন্ট। একটি ছোট ফ্যানের মাপের ইঞ্জিন ব্যবহার করেই উড়তে পারে এই যুদ্ধবিমান। একে আরও কার্যকরী করে তোলার চেষ্টা করা হবে। এই পরীক্ষামূলক ছোট যানের উপর আরও গবেষণা চালানো হবে। সেই গবেষণা সফল হলে একটি বড় মডেল তৈরি করা হবে। সূত্রের খবর, সেই বড় যানের নাম দেওয়া হবে, ‘ঘাতক’। পরবর্তীকালে সেটি বায়ুসেনায় ব্যবহার করা হবে। সম্প্রতি, বায়ুসেনার তরফ থেকে জানা গিয়েছিল, এবার ভারতেই চালকবিহীন যুদ্ধবিমান তৈরি করা হবে। এই বিমান তৈরি করে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে এক ধাপ এগিয়েছে ভারত, এমনটাই দাবি করেছে ডিআরডিও। এই পরীক্ষাকে  ‘মাইলস্টোন’ আখ্যা দিয়েছে তারা।

    [tw]


    [/tw][tw]


    [/tw]

    এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। টুইট করে তিনি লিখেছেন, “ডিআরডিওকে অনেক অভিনন্দন। এই যুদ্ধবিমান চালানোর পরীক্ষা আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তোলার পথে অন্যতম সফল প্রয়াস। ভবিষ্যতেও এমন ভাবেই ভারতীয় প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে স্বদেশি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।”

    আরও পড়ুন: পৃথিবী থেকে নয় মহাকাশ থেকে কেমন লাগে সূর্যগ্রহণ? ছবি প্রকাশ করল নাসা

  • Maharashtra Killing: এবার অমরাবতী! নূপুর শর্মাকে সমর্থন করাতেই কি খুন? তদন্তে পুলিশ

    Maharashtra Killing: এবার অমরাবতী! নূপুর শর্মাকে সমর্থন করাতেই কি খুন? তদন্তে পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজস্থানের উদয়পুরে (Udaipur Killing) ধর্মীয় উন্মাদনার শিকার এক দর্জি। সাসপেন্ডেড বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) মন্তব্যকে সমর্থন করায় উদয়পুরের কানহাইয়া লাল নামে দর্জিকে নৃশংস খুনের ঘটনায় গোটা দেশ স্তম্ভিত। তদন্তে নেমেছে জাতীয় তদন্তকারী দল (NIA)। এর মধ্যেই সামনে এল আরও একটি খুনের অভিযোগ। উদয়পুরে দর্জি কানহাইয়ালাল খুনের ঠিক সপ্তাহ খানেক আগেই ২১জুন মহারাষ্ট্রের (Maharashtra Killing) এবার অমরাবতী (Amravati )! নূপুর শর্মাকে সমর্থন করাতেই কি খুন? তদন্তে পুলিশ অমরাবতীতে  ৫৪ বছর বয়সী পেশায় কেমিস্ট (Chemist) উমেশ প্রহ্লাদরাও কোলহেকে (Umesh Prahladrao Kolhe) ছুরি মেরে হত্যা করা হয়েছে। বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার পয়গম্বর মন্তব্যকে সমর্থন করে উনিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন। 

    তদন্তকারী আধিকারিকদের ধারণা নূপুর শর্মার পয়গম্বর মন্তব্যকে সমর্থন করে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্যই  উমেশকে হত্যা করা হয়েছে। মৃত উমেশের ছেলে সংকেতের অভিযোগের ভিত্তিতে অমরাবতীর সিটি কোতোয়ালি থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই হত্যায় জড়িত সন্দেহে মুদ্দসির আহমেদ এবং তার সহযোগী শাহরুখ পাঠানকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের জেরা করে এই ঘটনায় আরও চারজনের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। যার মধ্যে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। ধৃতরা হলেন, আব্দুল তৌফিক (২৪), শোয়েব খান (২২) এবং আতিব রশিদ (২২)।

    আরও পড়ুন: বাইকের নম্বর হবে ২৬/১১! বেশি টাকা দেয় উদয়পুরের হত্যাকারীরা

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২১ জুন উমেশ রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার সময় তাঁকে খুন করা হয়। উমেশের ছেলে সংকেতের অভিযোগ, “আমরা প্রভাত চক থেকে যাচ্ছিলাম।  আমি আর বাবা দুটো আলাদা স্কুটারে ছিলাম। আমরা রাস্তায় একটা হাই স্কুলের গেটের সামনে পৌঁছতেই, বাবার স্কুটারের সামনে হঠাৎ করে মোটরসাইকেলে চড়ে দুজন ব্যক্তি এসে হাজির হয়। তারা বাবার বাইকটা জোর করে থামায়। বাবা বাইক থামালেই একজন বাবার ঘাড়ের বাঁ’দিকে  ছুরি দিয়ে আঘাত করে। সঙ্গে সঙ্গে বাবা রাস্তায় পড়ে যান। আমি স্কুটার থামিয়ে সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে থাকি। সেই সুযোগে আততায়ীরা মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায়”।

     উমেশকে দ্রুত কাছের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়নি। অমরাবতী সিটি পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় মোট ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে কেউ একজন তাদের ১০ হাজার টাকা এবং মটর বাইক দিয়ে সাহায্য করেছিল,তাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে”। তিনি আরও বলেন,“তদন্তের সময় আমরা জানতে পেরেছি যে কোলহে হোয়াটসঅ্যাপে নূপুর শর্মাকে সমর্থন করে একটি পোস্ট করেছিলেন। যে ছুরি দিয়ে উমেশকে হত্যা করা হয়েছে সেটিও উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে উদ্ধার করা হয়েছে একটি মোবাইল ফোন, খুনের কাজে ব্যবহৃত মোটরবাইক ও জামাকাপড়”। পুলিশের তরফে জানানো হয়, তদন্ত চলছে। তবে এখনই খুনের কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।

  • Neeraj Chopra: আসন্ন কমনওয়েলথ গেমস নিয়ে আত্মবিশ্বাসী, বুদাপেস্টে সেনা জয়ের শপথ নীরজের

    Neeraj Chopra: আসন্ন কমনওয়েলথ গেমস নিয়ে আত্মবিশ্বাসী, বুদাপেস্টে সেনা জয়ের শপথ নীরজের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ ১৯ বছর পর বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে (World Athletics Championships 2022) ভারতকে পদক এনে দিতে পেরে খুশি টোকিও অলিম্পিক্সে সোনাজয়ী (Tokyo Olympics) নীরজ চোপড়া (Neeraj Chopra)। একটুর জন্য হাতছাড়া হয়ে যায় সোনা। রুপো পেয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় নীরজকে। তবে কোনও পদকই তাঁকে তৃপ্ত করে না বরং জেতার নেশা আরও বাড়িয়ে দেয় বলে জানালেন ২৪ বছরের নীরজ। এবার রুপো পেলেও সামনেরবার বুদাপেস্টে বসবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের আসর। সেখানে আরও ভাল খেলে সোনাজয়ই পাখির চোখ নীরজের। 

    আগামী মাসেই নীরজ নামবেন কমনওয়েলথ গেমসে। তবে রয়েছে চোট-শঙ্কাও। নীরজ বলেন, “এদিন চতুর্থ থ্রো আরও দূরত্বে যেতে পারতো। কিন্তু জ্যাভলিন ছুড়তেই উরুর কাছে, কুঁচকিতে যন্ত্রণা অনুভব করি। সে কারণে পরের দুটি থ্রোয়ে নিজের সেরাটা দিতে পারিনি।” উরুতে ব্য়ান্ডেজ বেঁধে রেখেছেন শক্ত করে। ঠিক কী হয়েছে সে সম্পর্কে নিশ্চিত হতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। তবে, নীরজের আশা, এই চোট তাঁর কমনওয়েলথ গেমসে নামার পথে বাধা তৈরি করবে না।

    আরও পড়ুন: ফের গড়লেন ইতিহাস, বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে রুপো জয় নীরজের, উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী

    এদিনের খেলা প্রসঙ্গে নীরজ বলেন, “পরিস্থিতি খুব চ্যালেঞ্জিং ছিল। সামনের দিক থেকে হাওয়া আসছিল। একে কঠিন প্রতিযোগীরা রয়েছেন, সেই সঙ্গে আবহাওয়ার এই অবস্থা পরিস্থিতি আরও কঠিন করে দেয়। তবে আমি মনে মনে নিশ্চিত ছিলাম, ভালো থ্রো আসছেই। আমি প্রথম তিনটি ক্ষেত্রেও চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু বড় থ্রো আসেনি। ফলে চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতেও যেভাবে কামব্যাক করেছি তাতে ভালো লাগছে।” ১৯ বছর পর বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে ভারতকে পদক এনে দিতে পেরে খুশি নীরজ। এর আগে ২০০৩ সালের প্যারিস চ্যাম্পিয়নশিপে লং-জাম্পে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন অঞ্জু ববি জর্জ (Anju Bobby George)। 

    নীরজ জানান, অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন হিসেবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে কোনও চাপ অনুভব করেননি। সেরাটা দেওয়াই তাঁর লক্ষ্য ছিল। নিজের সেরা সাফল্যকে ছাপিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়েই তিনি ট্র্যাকে নামেন।  প্রতিবার কোনও অ্যাথলিটই সোনা জিততে পারেন না। কিন্তু নিজের সেরাটা উজাড় করে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হয়, বলে জানান নীরজ। 

     

  • Modi: মোদির নিশানায় পরিবারতন্ত্র, অযথা বিতর্ক তৈরি বিরোধীদের কাজ

    Modi: মোদির নিশানায় পরিবারতন্ত্র, অযথা বিতর্ক তৈরি বিরোধীদের কাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখে আনেননি সনিয়া অথবা রাহুল গান্ধীর নাম। মমতা কিংবা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করেননি এক বারও। অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের নাম না করে ফের একবার পরিবারতন্ত্রের বিরোধিতা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার জপুরে  বিজেপির দলীয় সম্মেলনে মোদি বলেন, “যে দলগুলির ভিত্তি পরিবারতন্ত্রের উপর দাঁড়িয়ে তারা দেশের মানুষের জন্য ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। তাদের দিনের শুরু থেকে শেষ পরিবারের জন্যই তোলা থাকে। পরিবারের স্বার্থেই কাজ করেন তাঁরা। দেশের স্বার্থ তাঁদের কাছে গৌন।” দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে গেলে গণতন্ত্রই শেষ কথা বলে জানান তিনি।

    বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ শাসনের আট বছর পূর্ণ হওয়াকে কেন্দ্র করে দু’দিনের এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ২০১৪ সালের পরবর্তী সময়কালকে দেশের উন্নয়ন, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং সামাজিক সুরক্ষার জন্য উত্সর্গ করেন মোদি। তিনি বলেন, “২০১৪-এর পরে দেশে সরকারি কাজের ক্ষেত্রে জনগণের হারানো বিশ্বাস ফিরে এসেছে। এই আট বছর সরকার সেবা, সুশাসন এবং গরিবের কল্যাণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল। এনডিএ আমলের এই আট বছর প্রান্তিক কৃষক থেকে শুরু করে শ্রমিক এবং মধ্যবিত্তের প্রত্যাশা পূরণের সময় ছিল।” 

    আরও পড়ুন: ভাষার মধ্যে বৈচিত্র্য দেশের গর্ব, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    দলের কর্মীদের উদ্দেশে মোদি জানান, এটা থেমে থাকার সময় নয়।  তিনি বলেন, “বিজেপির জন্যও আগামী ২৫ বছরের লক্ষ্য ঠিক করার এবং অবিরাম কাজ করে চলার সময় এটা। সারা বিশ্ব এখন বিরাট প্রত্যাশা নিয়ে ভারতের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে।” দলের কর্মীদের সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই কাজ করে যেতে হবে। বিরোধীরা অনেক ছোট ছোট ঘটনাকে বড় করে দেখিয়ে বিতর্ক তৈরির চেষ্টা করবে, কিন্তু তাকে আমল দিলে চলবে না বলে জানান মোদি। তাঁর তোপ, ” বিরোধীদের লক্ষ্যই হল ছোট ঘটনা নিয়ে বিতর্ক তৈরি করে দেশের অগ্রগতিকে ব্যাহত করা।”

    এদিন ফের পরিবারতন্ত্রকে নিশানা করে মোদি বলেন, “বংশ পরম্পরার রাজনীতি দেশের স্বার্থ সবার উপরে রাখার বদলে ‘আমি এবং আমার’ ভাবনাকে পোক্ত করে। রাজনৈতিক দুর্নীতির এটি বড় কারণ। পরিবারতন্ত্রের রাজনীতি দেশের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। তা সমূলে উপড়ে ফেলা প্রয়োজন। পারিবারিক রাজনীতির পরম্পরা রক্ষা শুধু গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করে না, দুর্বলও করে দেয়।’’ বিজেপি শুরু থেকেই পরিবারতন্ত্রের বিরোধী বলে জানান মোদি। 

  • Shinzo Abe:  জীবন-মৃত্যুর লড়াই শেষ!  নিহত জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে

    Shinzo Abe: জীবন-মৃত্যুর লড়াই শেষ! নিহত জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে জীবনযুদ্ধে শেষমেষ হার মানলেন জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৭। জাপানের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ দিন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব সামলেছেন শিনজো। ২০১২ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত জাপানের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। এর আগে ২০০৬-২০০৭ সাল একবছর জাপানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। শুক্রবার সকালে গুলিবিদ্ধ হন জাপানের (Japan) শিনজো (Shinzo Abe) আবে। পশ্চিম জাপানের নারা শহরে একটি অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময় আচমকাই তাঁর উপরে গুলি চালায় আততায়ী। মঞ্চের উপরেই লুটিয়ে পড়তে দেখা যায় আবেকে। তাঁর বুকে গুলি লাগে। 

    [tw]


    [/tw]

    সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর,ঘটনাস্থলে উপস্থিত জাপানের এক সাংবাদিক বন্দুকের গুলির আওয়াজ শুনতে পান এবং অ্যাবেকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখেন। গুলি চালানোর সঙ্গে বুকে হাত দিয়ে মঞ্চেই লুটিয়ে পড়তে দেখা যায় জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে। সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যিনি গুলি চালিয়েছেন, তাঁর নাম টেটসুয়া ইয়ামাগামি। ওই ব্যক্তি নারা শহরেরই বাসিন্দা। বয়স ৪১ বছরের কাছাকাছি। উদ্ধার করা হয়েছে বন্দুক। জানা গিয়েছে, জাপানের স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১১টা (ভারতীয় সময়ে সকাল ৮টা ২৯ মিনিটে) নাগাদ প্রচার কর্মসূচি চলাকালীন শিনজোকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে।

    এএনআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর শরীরে প্রাণের কোনও স্পন্দন দেখা যায়নি। তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে গুলি চালানোর পরই আততায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উল্লেখ্য, ২০২০ সাল পর্যন্ত জাপানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শিনজো আবে। ওই বছরের আগস্টে শারীরিক অসুস্থতার জেরে ইস্তফা দেন তিনি। সেই সময় জাপানের জাতীয় সংবাদ সংস্থা এনএইচকে (NHK)-এর তরফে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী আবের শারীরিক অবস্থা ভাল নয়। যতদিন যাচ্ছে ততই খারাপ হচ্ছে। এর ফলে দেশকে নেতৃত্ব দিতে সমস্যা হচ্ছে তাঁর। এরপরই সাংবাদিক সম্মেলনে সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেন আবে। 

    আরও পড়ুন: চিন থেকে আর ঋণ নিতে পারবে না পাকিস্তান! নিষেধাজ্ঞা আইএমএফের

    জাপানের ইন্দো-প্যাসিফিক নীতির প্রণেতা শিনজো আবে। তাঁর উদ্যোগেই জাপান ও ভারত কাছাকাছি আসে। শিনজোর নীতিই জাপান ও ভারতের কৌশলগত ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করেছে। জাপানের উপর চিনের প্রভাব কমিয়ে পরোক্ষভাবে ভারতকে উপকৃত করেছিলেন শিনজো। তিনি কোয়াড-এর স্থপতিও ছিলেন। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চিনের আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ করেছিল শিনজোর নীতি।

     

LinkedIn
Share