Author: শুভ্র চট্টোপাধ্যায়

  • Supreme Court: অভিন্ন দেওয়ানি বিধি  নিয়ে তিন সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রের অবস্থান জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট

    Supreme Court: অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে তিন সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রের অবস্থান জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিবাহবিচ্ছেদ, রক্ষণাবেক্ষণ ও খোরপোশ সংক্রান্ত বিভিন্ন আবেদনের ভিত্তিতে কেন্দ্রের অবস্থান জানতে চাইল দেশের শীর্ষ আদালত। সব ধর্মের ক্ষেত্রেই কেন্দ্রের অবস্থান স্পষ্ট করতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সোমবার প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিত ও রবীন্দ্র ভাটের বেঞ্চে বিয়ে, বিচ্ছেদ, উত্তরাধিকার সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে অভিন্ন আইন নিয়ে মামলার পিটিশন জমা পড়ে। এরপরই বেঞ্চ বলে যে এটা অভিন্ন দেওয়ানি বিধির অনেক দিক। এ নিয়ে ভাবনা চিন্তা করে তিন সপ্তাহের মধ্যে যেন কেন্দ্র হলফনামা দাখিল করে। 

    শীর্ষ আদালতে দাখিল করা পিটিশনগুলিতে দত্তক এবং অভিভাবকত্ব, অভিন্ন উত্তরাধিকার এবং বিবাহের অভিন্ন বয়স সম্পর্কেও জানতে চাওয়া হয়েছে। পিটিশনগুলির মধ্যে একটিতে লিঙ্গ ও ধর্ম নিরপেক্ষতার ভিত্তিতে দাম্পত্য জীবনের নানা সমস্যায় বিবাহ বিচ্ছেদের পর ভরনপোষণের  কী ব্যবস্থা হবে তা নিয়ে আবেদন করা হয়েছে। বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায় ও আরেক আবেদনকারী লুবনা কুরেশি বিভিন্ন ধর্মালম্বীদের জন্য যে বর্তমানে বিয়ে, ডিভোর্স, উত্তরাধিকারের ভিন্ন আইন রয়েছে সেটা নিয়ে আদালতের দৃষ্টিপাত করেন।

    আরও পড়ুন: স্বাক্ষরিত কুশিয়ারা জল বণ্টন চুক্তি, সাতটি মউ, বৈঠকে আশাবাদী মোদি-হাসিনা

    আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায় বলেন, তৃতীয় ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্কের জেরে হিন্দু, খ্রিস্টান ও পার্সিদের বিবাহবিচ্ছেদ হতে পারে, যদিও মুসলিমদের সেই নিয়ম নেই। আবার হিন্দু ও মুসলিমদের ক্ষেত্রে ডিভোর্সের কারণ হতে পারে বন্ধ্যত্ব কিন্তু ক্রিস্টান ও পার্সিদের ক্ষেত্রে সেই আইন খাটবে না। একই ভাবে দত্তক নেওয়ার ক্ষেত্রে হিন্দুদের নির্দিষ্ট আইন আছে কিন্তু অন্য ধর্মে তা নেই। সব ধর্মের মহিলাদেরও সমান অধিকার থাকা উচিত বলে আবেদন করেন উপাধ্যায়। তিনি পিটিশনে বলেন, স্বাধীনতার বহু বছর পর এবং সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, প্রজাতন্ত্র হিসেবে ভারতের উত্থানের পরও বিবাহ বিচ্ছেদ ও খোরপোশ সংক্রান্ত আইনগুলি খুব জটিল। এই আইনগুলি সংবিধানে উল্লেখিত সমতা, যৌক্তিকতা, এবং ধর্ম নিরপেক্ষতার পরিপন্থী। বৈষম্যমূলক রক্ষণাবেক্ষণ এবং খোরপোশ নারীদের কাছে পুরুষতান্ত্রিক ধারণাকে আরও বেশি শক্তিশালী করে। এরপরই আদালত বলে,অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কি আদৌ সম্ভব? তা নিয়ে বিশদে ব্যাখ্যা করে কেন্দ্র তার মতামত জানাক। তারপর শীর্ষ আদালত আইনের বিষয়টি দেখবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
  • Modi:  ‘আগামী ২৫ বছরে উন্নত দেশের রূপ নেবে  ভারত’! জানেন লাল কেল্লায় কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    Modi: ‘আগামী ২৫ বছরে উন্নত দেশের রূপ নেবে ভারত’! জানেন লাল কেল্লায় কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ২৫ বছরের মধ্যে ভারত (India) উন্নত দেশে পরিণত হবে। আজ থেকে ২৫ বছর পর ২০৪৭ সালে ভারত স্বাধীনতার ১০০ বছর উদযাপন করবে। সেই সময় এক বিরল ইতিহাসের সাক্ষী থাকব আমরা। ভারতের উন্নতি এবং মানুষের ভবিষ্যত গড়ে তুলতে এই ২৫ বছর একটানা কাজ করতে হবে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)।  তবেই আগামী  ২৫ বছর পর ভারত উন্নত দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। স্বাধীনতা দিবসে প্রায় ৮৩ মিনিট জাতির উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই দেশ কীভাবে দুর্নীতির সঙ্গে লড়াই করছে,  ‘পরিবারতন্ত্রের সঙ্গে লড়াই’ করে নিজস্বতা গড়ে তুলেছে, সে বিষয়ে বক্তব্য রাখেন মোদি। আগামী ২৫ বছর যাতে যুব সম্প্রদায় দেশের জন্য কাজ করেন, স্বাধীনতা দিবসের মঞ্চ থেকে সেই আবেদনও করেন প্রধানমন্ত্রী। 

    লালকেল্লা থেকে ভারতের ভবিষ্যতের উন্নয়নের জন্য এদিন ‘পঞ্চপ্রাণ’-এর বার্তা দিলেন মোদি। আগামী ২৫ বছরের পরিকল্পনায় কোন কোন ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিতে হবে, তা এদিন উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশকে উন্নয়নের পথে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনেক বৃহত্তর সংকল্প গ্রহণ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, সেই সব সংকল্পের মধ্যে থাকতে হবে পরিচ্ছন্নতা, টিকাকরণে অগ্রগতি, শৌচালয় নির্মাণ। এ ছাড়া ২ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: দেশকে লুট করলে খেসারত দিতে হবে! দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা মোদির

    প্রধানমন্ত্রীর দাবি, দেশকে অগ্রগতির পথে নিয়ে যেতে হলে দাসত্বের ধারনা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।  মোদি বলেন, ‘দেশের প্রতিটি ভাষার জন্য আমাদের গর্বিত হওয়া উচিত’। ডিজিটাল ভারত যে ভাবে প্রসারলাভ করছে, সে কথা উল্লেখ করে মোদি বলেন, ‘স্টার্ট আপগুলোই বলে দিচ্ছে দেশের উন্নয়ন কোন পথে এগোচ্ছে।’

     প্রধানমন্ত্রীর কথায়, প্রত্যেক নাগরিককে কর্রতব্য পরায়ণ হতে হবে। নাগরিকরা কর্তব্য পালন করলে দেশের প্রগতির পথ প্রশস্ত হবে। তবে শুধু সাধারণ নাগরিক নয়, তিনি উল্লেখ করেছেন, প্রধানমন্ত্রী বা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকেও কর্তব্যপরায়ণ হতে হবে।

    আন্তর্জাতিক স্তরে কোনও সমস্যার সমাধানের পথ খুঁজতে হলে দেশের ঐতিহ্যকে সবার আগে গুরুত্ব  দেওয়ার কথা বলেন নরেন্দ্র মোদি। তাঁর দাবি, শিকড়ের সঙ্গে সংযোগ থাকলেই আকাশে ওড়া সহজ হবে। পরিবেশ রক্ষার মন্ত্র দেশের ঐতিহ্যের মধ্যে লুকিয়ে আছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

    ভারতের বৈশিষ্ট্যই হল বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য। এদিন তা আবারও মনে করিয়ে দেন মোদি। মহিলাদের সম্মানের কথা উল্লেখ করে লিঙ্গ বৈষম্য থেকে দূরে সরে আসার বার্তা দিয়েছেন তিনি। আজও যে ভাবে সমাজে মহিলাদের বঞ্চনার শিকার হতে হয়, সে কথা উল্লেখ করে তিনি দেশবাসীকে বলেন, এর থেকে মুক্তি উপায় খুঁজে বের করতে হবে।

     

  • Visakhapatnam: বিভীষিকা বিশাখাপত্তনমে! কাপড়ের কারখানায় গ্যাস লিক করে অসুস্থ ৫০জন, ভর্তি হাসপাতালে

    Visakhapatnam: বিভীষিকা বিশাখাপত্তনমে! কাপড়ের কারখানায় গ্যাস লিক করে অসুস্থ ৫০জন, ভর্তি হাসপাতালে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড়সড় বিপত্তি বিশাখাপত্তনমে (Visakhapatnam)। গ্যাস লিক করে অসুস্থ হয়ে পড়লেন অন্তত ৫০ জন কর্মী। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) বিশাখাপত্তনমের কাছে, আনাকাপাল্লে জেলার ব্র্যান্ডিক্স নামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের একটি কাপড়ের কারখানায়। অসুস্থ কর্মচারীদের সকলেই মহিলা। তাঁদের মধ্যে অনেকে গর্ভবতীও। তাঁদের হাসপাতালে (Hospital) ভর্তি করা হয়েছে। সূত্রের খবর, গত দু’মাসে ওই শিল্পাঞ্চলে এটি দ্বিতীয় গ্যাস লিকের ঘটনা।

    আরও পড়ুন: অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এন টি রামারাওয়ের কন্যা কে উমা মাহেশ্বরীর অস্বাভাবিক মৃত্যু

    আনাকাপাল্লের পুলিশ সুপার জানান, ব্র্যান্ডিক্স নামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে একটি কাপড়ের কারখানায় গ্যাস লিক হয়েছে। ওই শিল্পাঞ্চলে কাজ করেন কয়েক হাজার মহিলা। কারখানায় কাজ চলাকালীন আচমকাই কর্মীরা অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন। সকলেই বমি করতে থাকেন। তখন গ্যাস লিকের ব্যাপারটি নজরে আসে। স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অসুস্থ কর্মীদের প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়েছিল। কিন্তু তাতে কাজ না-হওয়ায় অন্তত ৫০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। দুর্ঘটনাটি ঘটার পরই দ্রুত সিল করে দেওয়া হয় গোটা এলাকা। বাইরের সবাইকে নির্দিষ্ট দূরত্বে আটকে দিয়ে শুরু হয় উদ্ধারকাজ। অন্ধ্রপ্রদেশ পলিউশন বোর্ডের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দুর্ঘটনার তদন্ত করে দেখবেন।

    আরও পড়ুন: সময়সীমা ৩১ অগাস্ট, জেনে নিন কীভাবে করবেন আয়কর রিটার্নের ই-ভেরিফিকেশন

    গত ৩ জুনেও ওই শিল্পাঞ্চলে একটি রাসায়নিক পরীক্ষাগারে গ্যাস লিকের ঘটনা ঘটেছিল। অন্তত ২০০ জন মহিলা কর্মী অসুস্থ হয়েছিলেন সেই ঘটনায়। ফরেন্সিক পরীক্ষার পর আধিকারিকেরা জানান, অ্যামোনিয়া গ্যাস লিক করে দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৮ মে বিশাখাপত্তনমে বন্ধ কারখানা থেকে স্টাইরিন গ্যাস লিক করে মৃত্যু হয়েছিল ৮ জনের, অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন হাজারেরও বেশি। এই বিপর্যয় মনে করিয়ে দিয়েছিল ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনার স্মৃতি। ১৯৮৪ সালের ৩ ডিসেম্বর মিথাইল আইসোসায়ানাইড গ্যাস লিক হয়ে মধ্যপ্রদেশের ভোপালে মৃত্যু হয় মোট ৩,৭৮৭ জনের। অসুস্থ হয়েছিলেন ৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ।

  • India-US Educational Partnership: শিক্ষাক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক বাড়াতে আমেরিকায় গেল ভারতীয় প্রতিনিধি দল

    India-US Educational Partnership: শিক্ষাক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক বাড়াতে আমেরিকায় গেল ভারতীয় প্রতিনিধি দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে উৎসাহী দু’দেশের সরকার। ব্যবসা-বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা থেকে শুরু করে শিক্ষাক্ষেত্র এই সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে আগ্রহী দু’দেশের কূটনৈতিক মহল। তাই শিক্ষাক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক বাড়াতে আমেরিকায় গেল ভারতীয় প্রতিনিধি দল। ওই দলের নেতৃত্বে রয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুরেশ প্রভু। হরিয়ানার ঋষিহুড বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর সুরেশ প্রভু জানান, আমেরিকা ও ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের  মধ্যে সেমেস্টার করে পাঠদান, ফ্যাকাল্টি পরিবর্তন, একসঙ্গে গবেষণা, যৌথ ডিগ্রি প্রদান প্রসঙ্গে কথাবার্তা হবে। খতিয়ে দেখা হবে আমেরিকার বিভিন্ন প্রান্তের শিক্ষা পদ্ধতি।
    আমেরিকার বোস্টন, নিউ ইয়র্ক, ওয়াশিংটন ডিসি, শিকাগো, লস অ্যাঞ্জলস, সান-ফ্রান্সিসকো-সহ বিভিন্ন প্রদেশে যাবে ওই প্রতিনিধি দল। সেখানে ভারতীয় পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলা হবে। আলোচনা হবে সেখানকার বাণিজ্যিক সংস্থা, শিক্ষাবিদ , গবেষকদের সঙ্গে। দেশের শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে তাঁদের স্বচ্ছ্ব ধারণাও দেবে ওই দল।

  • Aadhaar: সদ্যোজাতরাও পাবে আধার কার্ড! নয়া পরিকল্পনা ইউআইডিএআই-এর

    Aadhaar: সদ্যোজাতরাও পাবে আধার কার্ড! নয়া পরিকল্পনা ইউআইডিএআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ বার সদ্যোজাতরাও পাবে আধার নম্বর। বায়োমেট্রিক (biometric) তথ্য নিয়ে সাময়িকভাবে  ওই আধার নম্বর দেওয়া হবে। ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অব ইন্ডিয়া (UIDAI) এর এক কর্তা এই কথা জানান। তাঁর কথায়, জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তথ্যই লিঙ্ক করা হবে আধার কার্ডের সঙ্গে। আধার কার্ডের অপব্যবহার রুখতেই এই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে ইউআইডিএআই। এই বিষয়ে কাজ করার জন্য ইউআইডিএআই দুটি পাইলট প্রোগ্রাম (Pilot Programme) চালু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে যা নাগরিকদের জন্ম থেকে মৃত্যুর তথ্য ১২ সংখ্যার আধার নম্বরের (Aadhaar Number) সঙ্গে যোগ করবে।

    আধার কর্তৃপক্ষ নবজাতকদের জন্য সাময়িক আধার নম্বর জারি করার পরিকল্পনা করছে। ইউআইডিএআই-এর এক শীর্ষ কর্মকর্তার মতে,‘‘এক জন ব্যক্তির সমগ্র জীবনচক্রের তথ্য আধারের সঙ্গে যোগ করার পিছনে আসল উদ্দেশ্য হল, আধার কার্ডের অপব্যবহার রোধ করা। এই উদ্যোগ দেশবাসীর পক্ষে সুবিধার হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের বিশ্বাস যে, জন্ম-মৃত্যুর তথ্য একত্রিত করা হলে কল্যাণমূলক প্রকল্পগুলির অপব্যবহার রোধ করা সম্ভব হবে এবং কোনও পরিবার সরকারি প্রকল্পগুলির সুবিধা ভোগ করা থেকে বঞ্চিত হবে না।’’

    আরও পড়ুন: ডিজিটাল ভারতের নয়া যুগ, 5G-তে পা

    ২০১০ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর আমলে আধার কার্ডের সূচনা হয়। বিশ্বের বৃহত্তম বায়োমেট্রিক আইডেন্টিটি ডেটাবেস হিসেবে চিহ্নিত, এটি ভারতের প্রায় সমস্ত প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যাকে নথিভুক্ত করেছে। পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীকে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় আনতে মোদি সরকার ব্যাপকভাবে আধার ব্যবহার করেছে। কেন্দ্রের দাবি, গত আট বছরে আধার সিস্টেমগুলি দরিদ্র, কৃষক এবং অন্যান্যদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি অর্থ স্থানান্তর করতে সহায়তা করেছে।

    বর্তমানে পাঁচ বছর বয়সি শিশুরাই আধার কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারে। এখন খুব সহজেই আধার কার্ড আপডেট করার প্রক্রিয়াও চালু হয়েছে। অনলাইন ও অফলাইন— দু’ভাবেই আপনি আপনার আধার কার্ডের বিভিন্ন তথ্য বদল করতে পারেন।

  • Cattle smuggling case: কয়েক হাজার টাকা মাসমাইনেতে কীভাবে রাইস মিলের মালিক? অনুব্রত-কন্যা সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের

    Cattle smuggling case: কয়েক হাজার টাকা মাসমাইনেতে কীভাবে রাইস মিলের মালিক? অনুব্রত-কন্যা সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের সিবিআই (CBI) হানা অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandol) বাড়িতে। শুক্রবার দুপুরে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা বোলপুরের (Bolpur) নীচুপট্টি এলাকায় বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতির বাড়িতে হাজির হয়। কেষ্ট-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই আধিকারিকরা। সিবিআই সূত্রে খবর, এক ঘণ্টা ১০ মিনিট ধরে চলে জিজ্ঞাসাবাদ। সুকন্যা মণ্ডলের বয়ান রেকর্ড করতে এদিন সকালেই পৌঁছয় সিবিআই টিম। কয়েক হাজার টাকা মাসমাইনেতে কীভাবে রাইস মিলের মালিক? প্রশ্নের উত্তর পেতে সুকন্যার বয়ান রেকর্ডের উদ্যোগ সিবিআইয়ের। সিবিআই দলে রয়েছেন বেশ কয়েকজন মহিলা অফিসার।  তাঁদের নিয়েই চলে কথোপকথন।

    অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতেই বীরভূম তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) কার্যালয়। সেখানে বসেই যাবতীয় কাজকর্ম করতেন কেষ্ট। সেখানেই এদিন সিবিআই আধিকারিকরা চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছেন। অনুব্রত গ্রেফতারের পর থেকে বন্ধ ছিল এই ঘরটি। শুক্রবার তালা খুলে ঢুকতে হয় সিবিআই আধিকারিকদের। সকাল ১১টা নাগাদ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা অস্থায়ী ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে সোজা পৌঁছে যান অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে। সিবিআই আধিকারিকদের হাতে ছিল একটি খাম। যা দেখে অনুমান করা হয়, সুকন্যাকে নোটিস ধরিয়েই জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হয়েছে।

    আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযানে গিয়ে ‘মিথ্যা’ মামলায় গ্রেফতার, হাইকোর্টের দ্বারস্থ বঙ্গ বিজেপি

    উল্লেখ্য, গত ১৭ অগাস্ট সুকন্যাকে জেরা করতে চেয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। কিন্তু মানসিক অসুস্থতার অজুহাতে সেদিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে এড়িয়ে গিয়েছিলেন কেষ্ট-কন্যা। তাই এবার যাবতীয় আইনি প্রক্রিয়া সেরেই সিবিআই আধিকারিকরা সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

    অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতারের পর একাধিক বেনামি সম্পত্তির হদিস পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। সেই সূত্র ধরেই বিগত কয়েক দিন বীরভূমের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায় সিবিআই। গোয়েন্দাদের অনুমান, দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের একাধিক সম্পত্তি মেয়ে সুকন্যার নামে রয়েছে। তাই দুর্নীতির শিকড়ে পৌঁছতে চান তদন্তকারীরা। প্রসঙ্গত, গতকালই অসানসোল সংশোধনাগারে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। তার ঠিক পরেই সুকন্যাকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার জিজ্ঞাসাবাদ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। সিবিআই সূত্রের খবর, অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর দেহরক্ষী সায়গলকে জেরা করে যে সব তথ্য হাতে এসেছে, তার ভিত্তিতেই সুকন্যাকে জেরা করে সিবিআই।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Nupur Sharma: ক্ষমা চান নূপুর!  তীব্র ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের

    Nupur Sharma: ক্ষমা চান নূপুর! তীব্র ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  সাসপেন্ডেড বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মাকে (Nupur Sharma) গোটা দেশের কাছে ক্ষমা চাইতে বলল শীর্ষ আদালত  (Supreme Court)। দেশে এই মুহূর্তে যে অশান্তি চলছে, তার জন্য একা নূপুরকেই দায়ী করেছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। আদালতের তরফে বলা হয়েছে, দেশে যা ঘটছে, তার জন্য একক ভাবে নুপূর শর্মা দায়ী। একটি টেলিভিশন চ্যানেলে নুপূর শর্মা একটি বিতর্কে অংশগ্রহণ করার সময় এমন একটি মন্তব্য করেন, যার জন্য ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লাগার অভিযোগ ওঠে। ভারতীয় জনতা পার্টির এই নেত্রীকে দল থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আদালত শুক্রবার এই বিষয়ক একটি মামলায মত প্রকাশ করেছে যে, এটি শুধুমাত্র আলটপকা মন্তব্য, এমনটাই নয়, একটি মন্তব্যের জন্য গোটা দেশে আগুন লেগেছে, তিনি এই সব ঘটনার জন্য দায়ী।

    বিচারপতি সূর্যকান্ত শুক্রবার বলেন, ‘‘আমরা ওই বিতর্কসভাটি দেখেছি। যে ভাবে তিনি কথাগুলো বলেছেন, তা-ও দেখেছি। আপনি নিজে এক জন আইনজীবী হয়ে যা করেছেন, তা লজ্জার। আপনার উচিত সারা দেশের কাছে ক্ষমা চাওয়া।’’

    আরও পড়ুন: বিজেপি কেন একনাথ শিন্ডের হাতে মহারাষ্ট্রের রাশ ছাড়ল?

    আদালতের মন্তব্য, উনি যে ভাবে গোটা দেশে আবেগকে উস্কে দিয়েছেন, তাতে উনিই একক ভাবে যা ঘটছে তার জন্য দায়ী। ক্ষমা চাওয়া ও মন্তব্য ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে আদালত জানিয়েছে, এখন অনেকটা দেরি হয়ে গিয়েছে, আর মন্তব্য ফিরিয়ে নিয়ে লাভ নেই। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, কিন্তু ওঁকে এখনও পর্যন্ত ছুঁয়েও দেখেনি দিল্লি পুলিশ। আদালতের আরও মন্তব্য শর্মা এই অনৈতিক মন্তব্য করেছেন, কারণ ক্ষমতার দম্ভ তাঁর মাথায় প্রবেশ করেছে।

    সুপ্রিম কোর্ট দিল্লি পুলিশকেও ভর্ৎসনা করেছে। নূপুরের আর্জি খারিজ হয়ে গিয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়ার সমস্ত এফআইআর দিল্লিতে স্থানান্তর করার আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন নূপুর। তাঁর আইনজীবী বলেন, নূপুরকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তা শুনে বিচারপতি বলেন, ‘‘তিনি হুমকির মুখে পড়ছেন, না কি তিনিই নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠেছেন! তিনি দেশে অশান্তির বাতাবরণ তৈরি করেছেন। আজ গোটা দেশে যা চলছে, তার পিছনে দায়ী এই মহিলা।’’

  • Udaipur killing:  বিচার নয়, ফাঁসি চাই! উদয়পুর-হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্তদের হয়ে দাঁড়াতে রাজি নয় আইনজীবীরা

    Udaipur killing: বিচার নয়, ফাঁসি চাই! উদয়পুর-হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্তদের হয়ে দাঁড়াতে রাজি নয় আইনজীবীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উদয়পুর হত্যাকাণ্ডে (Udaipur Murder) অভিযুক্তদের হয়ে দাঁড়াতে রাজি নয় কোনও আইনজীবী। দ্রুত তাদের ফাঁসির দাবি তোলেন আইনজীবীরা। বৃহস্পতিবার অভিযুক্তদের আদালতে তোলা হয়। অভিযুক্তদের আদালতে তোলা হলে তাদের ১৩ জুলাই পর্যন্ত জেল হেফাজতে (14 days of judicial custody) রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালতে নিয়ে আসার সময় তাদের মুখ কাপড়ে ঢেকে রাখা হয়েছিল। কিন্তু গাড়িটি আদালত চত্বরে প্রবেশ করার পরই সেখানে দাঁড়িয়ে স্লোগান দিতে দেখা যায় বহু আইনজীবীকে। তাঁরা অভিযুক্তদের ফাঁসি চেয়ে স্লোগান দিচ্ছিলেন। উদয়পুর বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট গিরিজা শঙ্কর মেহতা (Girija Shankar Mehta) জানান, “এটা কোনও সাধারণ ঘটনা নয়। এটা সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ। অভিযুক্তরা সমাজে সন্ত্রাস ও আতঙ্ক ছড়াতে চেয়েছে। এমনকি আমাদের প্রধানমন্ত্রীকেও হুমকি দিয়েছে। যা মানা যায় না।” এদিনই অভিযুক্তদের কড়া নিরাপত্তার মধ্যে আজমের জেলে স্থানান্তরিত করা হয়।

    রাজস্থানে (Rajashtan) উদয়পুরে ঘটে যাওয়া নৃশংস হত্যাকাণ্ডের  ঘটনায় স্তম্ভিত দেশ। কেবল দেশ নয়, আন্তর্জাতিক মঞ্চেও ছড়িয়ে পড়েছে ঘটনার রেশ। এবার এই ঘটনায় মুখ খুলছে রাষ্ট্রসংঘ। সব ধর্মের প্রতি পূর্ণ সম্মান রেখে বিভিন্ন সম্প্রদায় যেন সম্প্রীতি ও শান্তির সঙ্গে বসবাস করতে পারে তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানালেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস। তাঁর হয়ে তাঁর মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক একথা জানিয়েছেন। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, ”আমরা অত্যন্ত আশাবাদী। সারা পৃথিবী জুড়ে সব ধর্মের প্রতি পূর্ণ সম্মান বজায় রাখতে হবে। তাহলেই বিভিন্ন সম্প্রদায় সম্প্রীতি ও শান্তির সঙ্গে বসবাস করতে পারবে।”

    আরও পড়ুন: উদয়পুর কাণ্ডের জেরে বদলি ৩২ আইপিএস, ড্যামেজ কন্ট্রোল?

    প্রসঙ্গত গত মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ উদয়পুরের ধানমণ্ডি এলাকার এক দরজির দোকানে ঢোকে অভিযুক্ত দুই যুবক মহম্মদ রিয়াজ আখতার ও মহম্মদ গাউস। তারা শুরুতে নিহত দরজির কাছে জামার মাপ দেয়। এরপরই ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওই ব্যক্তির মাথায় ও গলায় আঘাত করে। গোটা ঘটনার ভিডিও রেকর্ডও করে হত্যাকারীরা। এরপর তা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়। এনিয়ে অশান্তি না ছড়ালেও চাপা উত্তেজনা রয়েছে। হিন্দু সংগঠনগুলি হত্যার প্রতিবাদে মিছিল করছে। উদয়পুরে মিছিল বার করে ‘সর্ব হিন্দু সমাজ’। সেখান পাথরবৃষ্টির অভিযোগ ওঠে। যদিও পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দেয়। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি এখনও থমথমে।

    এদিকে কানহাইয়া লালের মৃত্যুর পরে তাঁর পরিবারকে সাহায্য করার জন্য একটি তহবিল গঠন করেছিলেন বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র। বিজেপি নেতা জানিয়েছেন, ওই তহবিলে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১২ হাজারের বেশি মানুষ অর্থ সাহায্য করেছেন। এখনও অবধি মোট অর্থের পরিমাণ ১ কোটি ৩৫ লক্ষ। সময় মতো ওই টাকা কানহাইয়া লালের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।

  • Maharashtra Crisis: সুপ্রিম কোর্টে শিন্ডে-গোষ্ঠী! বিধায়ক পদ খারিজের বিরুদ্ধে আদালতে একনাথরা

    Maharashtra Crisis: সুপ্রিম কোর্টে শিন্ডে-গোষ্ঠী! বিধায়ক পদ খারিজের বিরুদ্ধে আদালতে একনাথরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিবসেনার (Shiv Sena) অন্দরে বিদ্রোহের আঁচ পৌঁছল দেশের শীর্ষ আদালত পর্যন্ত। বিদ্রোহী নেতা একনাথ শিন্ডে-সহ ১৬ জনের বিধায়ক পদ বাতিল করেছে উদ্ধব গোষ্ঠী। বিধায়ক পদ খারিজের নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হন শিন্ডে (Eknath Shinde)। একনাথ শিবিরের তরফে দুজন প্রতিনিধি সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন। আজই সেই মামলার শুনানি হবে। 

    সূত্রের খবর, মূলত তিনটি পয়েন্ট এই আবেদনে তুলে ধরা হয়েছে – প্রথমত বিধানসভার দলনেতা হিসাবে অজয় চৌধুরীকে মনোনীত করার বিষয়টিকে চ্য়ালেঞ্জ জানিয়েছে একনাথ শিন্ডের শিবির। দ্বিতীয়ত একনাথ শিবিরের পক্ষ থেকে আদালতে আবেদন জানানো হয়েছে তাদেরকে বরখাস্ত করার পদক্ষেপ যেন ডেপুটি স্পিকার না নেন। পাশাপাশি একনাথ শিবিরে থাকা বিধায়কদের বরখাস্ত করার ব্যাপারে যে নোটিশ জারি করা হয়েছে সেটিকেও চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে শিন্ডেরা। একনাথদের হয়ে আদালতে লড়ছেন আইনজীবী হরিশ সালভে। মহারাষ্ট্র সরকারের হয়ে লড়ার কথা আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙভির। বিচারপতি সূর্যকান্ত ও জে বি পাটিয়ালার ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে উদ্ধব সরকার, পিটিশনে দাবি করেছেন বিদ্রোহীরা। শিন্ডে দাবি করেছেন, তাঁকে সমর্থন করছেন ৫০ জন বিধায়ক। যাঁর মধ্যে ৪০ জন শিবসেনার। তিনি নিজের প্রাণ সংশয়ের কথাও আদালতে জানান। এই আবহে বিদ্রোহী ১৬ জনকে ওয়াই প্লাস নিরাপত্তা দিয়েছে কেন্দ্র সরকার।

    আরও পড়ুন: বালাসাহেব কার? গৃহযুদ্ধ শিবসেনায়

    সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে কী হয়, তার উপর নির্ভর করছে মহারাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ। সোমবার সকালে বিদ্রোহীদের সঙ্গে বৈঠক করেন শিন্ডে। বিদ্রোহী সেনা বিধায়ক একনাথ মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা (এমএনএস) প্রধান রাজ ঠাকরের সঙ্গেও কথা বলেছেন। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করার জন্য দুপুর দুটোর সময় শিন্ডে তাঁর সমর্থক বিধায়কদের সঙ্গে গুয়াহাটির হোটেলে আরও একটি বৈঠক ডেকেছেন। আলোচনা চালাচ্ছে উদ্ধব-বাহিনীও।  সূত্রের খবর, বিদ্রোহীদের সঙ্গে মেসেজে যোগাযোগ রাখছেন উদ্ধবও।

    বিদ্রোহী-বিধায়কেরা নিজেদের দায়িত্ব পালন করেননি বলে শিবসেনার তরফে এদিন মুম্বই হাইকোর্টে অভিযোগ দায়ের করা হয়। বলা হয়, জনগনের স্বার্থে কর্তব্য পালনে ব্যর্থ শিন্ডে গোষ্ঠী। দলের মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত আজ বলেন, ‘যারা ৪০ বছর একটি পার্টিতে থাকে এবং তারপর পালিয়ে যায়, তাদের আত্মা মারা গিয়েছে। তাদের মধ্যে কিছুই অবশিষ্ট নেই। এই লাইনগুলি ডাঃ রাম মনোহর লোহিয়া বলেছেন। আমি বলিনি। কারো অনুভূতিতে আঘাত করতে চাই না, আমি শুধু সত্য বলেছি।’ প্রসঙ্গত, একদিন আগেই সঞ্জয় গুয়াহাটিতে বিদ্রোহী দলের বিধায়কদের ‘জীবন্ত মৃতদেহ’ বলে অভিহিত করেছিলেন।

  • SpiceJet Boeing-737: ফের বিপত্তি স্পাইসজেটের বিমানে, যান্ত্রিক ত্রুটির কবলে চেন্নাই-অন্ডাল উড়ান

    SpiceJet Boeing-737: ফের বিপত্তি স্পাইসজেটের বিমানে, যান্ত্রিক ত্রুটির কবলে চেন্নাই-অন্ডাল উড়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  ফের যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ল অন্ডালগামী একটি বিমান। মঙ্গলবার চেন্নাই থেকে অন্ডাল আসছিল স্পাইসজেটের SG-331 উড়ানটি। আকাশে বিমানের যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ে। তাই অন্ডাল না নিয়ে এসে বিমানটিকে ফের চেন্নাইতেই ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। স্পাইসজেটের SG-331 উড়ানটি গতকাল সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিট নাগাদ উড়েছিল। বিমানটি উচ্চতায় ওঠার সময় দুই নম্বর ইঞ্জিনের জ্বালানির ফিল্টার বাইপাস লাইট জ্বলে ওঠে। এরপরই পাইলট মাঝ আকাশে ইঞ্জিনটিকে বন্ধ করে দেন। এরপর ৭টা ৪৫ মিনিট নাগাদ বিমানটি চেন্নাই বিমানবন্দরেই অবতরণ করে। মুম্বই-অন্ডাল উড়ানের পর চেন্নাই-অন্ডাল উড়ানে এই বিপত্তির জেরে প্রশ্নের মুখে স্পাইসজেট। পরপর দু’বার এই ধরনের ঘটনার জেরে ডিজিসিএ-র তরফে  স্পাইসজেটের  বোয়িং B737-8 ম্যাক্স বিমানটিকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে ।

    গত রবিবার ঝড়ের কবলে পড়ে স্পাইসজেটের মুম্বই-দুর্গাপুর (Mumbai-Durgapur flight SG-945) দৈনিক বিমানটি। দুর্গাপুরের অণ্ডাল (Andal airport) বিমানবন্দরের রানওয়েতে সঠিক ভাবে অবতরণ করার আগে এই দুর্যোগের মধ্যে পড়ে সেটি। ঝড় ও বৃষ্টির জন্য প্রবল ঝাঁকুনি লাগে বিমানে। আহত হন ১৭ জন যাত্রী। ডিজিসিএ-র (DGCA) তরফে জানানো হয়েছিল, আহতদের মধ্যে ১৪ জন যাত্রী এবং তিন জন বিমানকর্মী। স্পাইসজেটের মুখপাত্র বলেছেন, ‘‘অবতরণের পরই ওঁদের চিকিৎসা করানো হয়। আপাতত সকলেই সুস্থ। কয়েক জনের চোট একটু গুরুতর ছিল।’’ ওই
    বিমানের দুই পাইলট-সহ অন্য কর্মীদের আপাতত বসিয়ে (Grounded) দেওয়া হয়েছে। রেডারে বজ্রগর্ভ মেঘ দেখা সত্বেও বিমানচালক কেন পথ পরিবর্তন করেননি, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্নের মুখে পড়েছে স্পাইসজেট বিমান সংস্থা। প্রাথমিক তদন্তে দেখা গিয়েছে ওই ঘটনার সময় কিছুক্ষণ বিমানটি অটোপাইলট (Autopilot) মোডে ছিল। বিমানটিকে উড়তে অনুমতি দেওয়ার কারণে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে আরও দুই ব্যক্তিকে। পাশাপাশি, বি৭৩৭-৮০০ (Boeing 737-800)  বিমানটির উড়ানেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন’ (DGCA) ।

LinkedIn
Share