Author: শুভ্র চট্টোপাধ্যায়

  • Mamata Banerjee: বদলাচ্ছে স্টার থিয়েটার, নয়া নাম বিনোদিনী, ঘোষণা মমতার

    Mamata Banerjee: বদলাচ্ছে স্টার থিয়েটার, নয়া নাম বিনোদিনী, ঘোষণা মমতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্টার থিয়েটারের নাম বদলে হল বিনোদিনী। সোমবার সন্দেশখালির সভা থেকে নয়া নাম ঘোষণা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি বলেন, “২০২৫ থেকেই স্টার থিয়েটারের (Star Theater) নাম বদলে যাচ্ছে। বিনোদিনীর নামে নামকরণ করা হবে এই প্রেক্ষাগৃহের।” এই ঘোষণায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে বিনোদন জগতে। তবে কেন এই নাম?

    ১২৩ কোটি টাকা খরচ করে ৬৬টি প্রকল্পের উদ্বোধন (Mamata Banerjee)

    সোমবার দুপুর ১টার কিছু পরে সন্দেশখালি পৌঁছন মমতা (Star Theater)। রাজ্য সরকারের একাধিক প্রকল্পের সুবিধা জনসাধারণের কাছে পৌঁছে দিতেই সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সভামঞ্চ থেকে একাধিক সরকারি প্রকল্পের সুবিধা এলাকার বাসিন্দাদের কাছে তুলে দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আজ এখান থেকে দ্বীপপুঞ্জের সাধারণ মানুষের জন্য ১২৩ কোটি টাকা খরচ করে ৬৬টি প্রকল্পের উদ্বোধন হয়েছে। সেই সঙ্গে আরও একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস করা হয়েছে। বর্ধমানের শক্তিগড়ের ল্যাংচা হাবের ধাচে সন্দেশখালিতে সন্দেশের হাব তৈরি করা হবে। একইভাবে নাম করণের যথার্থ ইতিহাসকে তুলে ধরতে হবে।”

    স্টার থিয়েটার তো আর বিনোদিনীর টাকায় গড়া নয়

    উল্লেখ্য, বিনোদিনী আর স্টার থিয়েটার (Star Theater) নাম দুটি সমার্থক। দুটি নামই অত্যন্ত প্রসিদ্ধ। নাট্য জগতে এই নামগুলি এক সময় আলোড়ন ফেলেছিল। প্রশ্ন হল, কেন নাম বদলাতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী? বর্তমানে যেটি স্টার থিয়েটার, সেটি বিনোদিনীর টাকায় গড়া নয়। বিনোদিনীর স্টার থিয়েটার ছিল বিডন স্ট্রিটে। ১৯২৮ সালে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ তৈরি হওয়ার সময় সেটি অবলুপ্ত হয়। কিন্তু বিনোদিনী আর স্টারের নাম-মাহাত্ম্য এমনই যে, পরবর্তী কালে হাতিবাগানে স্টার থিয়েটারের সঙ্গেও মানুষের মনে ভেসে ওঠে বিনোদিনীর স্মৃতি। ফলে মমতার (Mamata Banerjee) ঘোষণায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    আরও পড়ুনঃ মমতার পরের দিনই সন্দেশখালিতে শুভেন্দুর জনসংযোগ যাত্রা

    কবে প্রতিষ্ঠিত হয় স্টার থিয়েটার?

    ১৮৮৩ সালে স্থাপিত স্টার থিয়েটারের (Star Theater) নেপথ্যে অন্যতম কারিগর ছিলেন বিনোদিনী। কথিত আছে, নটী বিনোদিনীর সময়কালেও তাঁর নামে স্টার থিয়েটারের নামকরণ করার প্রস্তাব আসে। প্রস্তাব দেন গিরিশচন্দ্র ঘোষ এবং গুরমুখ রায়। কিন্তু শোনা যায়, বিনোদিনী নাকি নিজে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ছিলেন। মমতার এই ঘোষণাকে কী ভাবে দেখছেন স্টার থিয়েটার কর্তৃপক্ষ? প্রেক্ষাগৃহের তরফে জয়দীপ মুখোপাধ্যায় জানান, এখনও পর্যন্ত খবরটা আমরা শুনিনি। তবে দিদি যদি কোনও সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন, তা হলে সেটা নিশ্চয়ই সব দিক বিচার করেই নেওয়া হবে। স্টারের পক্ষ থেকে আমরা অত্যন্ত খুশি।’’ তবে  ২০২৫ সালেই মুক্তি পাচ্ছে বিনোদিনী দাসীর জীবনকাহিনী অবলম্বনে বাংলা সিনেমা ‘বিনোদিনী: নটীর উপাখ্যান’। তাতে অভিনয় করছেন দেব ঘনিষ্ঠ অভিনেত্রী রুক্মিণী। তাই নয়া নামকরণের উদ্যোগে রাজনৈতিক স্বার্থ দেখছেন অনেকেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dharmendra Pradhan: মন্ত্রীর হাতে প্রকাশ পেল ‘কুদোপালি মহাকাব্য: ১৮৫৭ সালের অবহেলিত কাহিনি’

    Dharmendra Pradhan: মন্ত্রীর হাতে প্রকাশ পেল ‘কুদোপালি মহাকাব্য: ১৮৫৭ সালের অবহেলিত কাহিনি’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের স্বাধীনতা অসীম ত্যাগের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে। এটা অনেকেরই অজানা। বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই জানেন না এই বীরদের সংগ্রামের কাহিনি। একটি (Dharmendra Pradhan) গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু ইতিহাসে উপেক্ষিত সংগ্রাম ঘটে ছিল ওড়িশার সম্বলপুরে। ১৮৫৭ সালের ৩০ ডিসেম্বর, কুদোপালি ঘাটে (Saga Kudopali), ৫৩ জন বিপ্লবী সাহসিকতার সঙ্গে ব্রিটিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।

    ইতিহাসের অজ্ঞাত অধ্যায় (Dharmendra Pradhan)

    ইতিহাসের এই অজ্ঞাত অধ্যায়টি বইয়ের মাধ্যমে প্রকাশ করল ন্যাশনাল বুক ট্রাস্ট, সংক্ষেপে এনবিটি। নাম, ‘কুদোপালি মহাকাব্য: ১৮৫৭ সালের অবহেলিত কাহিনি’। বইটির ইংরেজি সংস্করণের আবরণ উন্মোচন করেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। তিনি বলেন, “১৮৫৭ সালের কুদোপালি ঘটনা জলিয়ানওয়ালা বাগ হত্যাকাণ্ডের মতোই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।” সে দিন শহিদ হওয়া ৫৩ জন মুক্তিযোদ্ধার সাহসী প্রতিরোধের পাশাপাশি চারজন বিপ্লবীর মৃত্যুদণ্ডের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। বইটির আবরণ উন্মোচনের আগে শ্রদ্ধা জানানো হয় হুতাত্মাদের, বিশেষ করে বিশিষ্ট বীর চবিলা সাইকে। বইটি এই অজ্ঞাত বীরদের এবং তাঁদের চূড়ান্ত ত্যাগকে শ্রদ্ধা জানায়। মন্ত্রী বলেন, “সম্বলপুরের খিন্ডা, কুলাবিরা, ঘেন্স এবং লক্ষণপুর এলাকার বিভিন্ন পরিবারের এই মহৎ সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। তবে এই ইতিহাস অনেকের কাছে এতদিন অজানা ছিল।”

    কী বললেন মন্ত্রী?

    গত বছরের (Dharmendra Pradhan) ৩০ ডিসেম্বর, বীর চবিলা সাই স্মৃতি কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত স্মরণ সভায় মন্ত্রী এই ইতিহাসের একটি পূর্ণাঙ্গ নথিভুক্তকরণের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেছিলেন। তিনি ভারতীয় ঐতিহাসিক গবেষণা পরিষদ (ICHR) এবং এনবিটিকে এই গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়টি গবেষণা করে একটি বই আকারে সংকলন করার দায়িত্ব দেন। সেই বইটিরই ইংরেজি সংস্করণের আবরণ উন্মোচন করেন মন্ত্রী।

    আরও পড়ুন: অসমে কয়েক দশকের গড়ে ধস, কংগ্রেসকে ধরাশায়ী বিজেপির তরুণ তুর্কি দীপলুর

    প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বাধীনতা সংগ্রামের অবহেলিত নায়কদের স্বীকৃতির পক্ষে নিয়মিতভাবে সওয়াল করে আসছেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই উদ্যোগ তাঁর সেই দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। এই বইটি এই ভুলে যাওয়া নায়কদের জাতীয় আলোচনায় আনার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বইটির ভারতের দশটি প্রধান ভাষায় (Saga Kudopali) অনুবাদ ও প্রকাশের দায়িত্ব দিয়েছেন এনবিটিকে (Dharmendra Pradhan)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • India vs Australia: নীতীশের শতরানে ম্যাচে ফিরল ভারত! এবার বুমরা-সিরাজদের লড়াই

    India vs Australia: নীতীশের শতরানে ম্যাচে ফিরল ভারত! এবার বুমরা-সিরাজদের লড়াই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেলবোর্নে ভারত-অস্ট্রেলিয়া (India vs Australia) বক্সিং ডে টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা শেষ। ভারত এখনও পিছিয়ে ১১৬ রানে। হাতে রয়েছে আর এক উইকেট। খেলার বাকি আর দু’‌দিন। ম্যাচে ফলাফলের সম্ভাবনা এখনও রয়েছে। তবে বৃষ্টি শনিবার মেলবোর্নে খেলায় দু’‌বার ব্যাঘাত ঘটিয়েছে। চায়ের বিরতির আগে একবার বৃষ্টি হয়। যার জেরে বেশ কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ ছিল। আবার তার পর খেলা শুরু হওয়ার ঘণ্টা দেড়েক পর ফের বৃষ্টি ও মন্দ আলোর জন্য খেলা বন্ধ হয়। তৃতীয় দিন আর খেলা হয়নি। মেলবোর্নে শনিবার নীতীশ রেড্ডি ও ওয়াশিংটন সুন্দরের লড়াই ভারতকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনে। ম্যাচ ড্রয়ের সম্ভাবনা অনেকটাই জাগিয়ে তুলেছে নীতীশের লড়াকু শতরান।  অস্ট্রেলিয়ার ৪৭৪ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় দিনের শেষে ভারত তাদের প্রথম ইনিংসে তোলে ৯ উইকেটে ৩৫৮ রান। 

    নীতীশের রেকর্ড

    বক্সিং ডে টেস্টে শতরান হাঁকানোর সঙ্গে সঙ্গেই বিরাট কোহলির সঙ্গে একই তালিকায় নাম লেখালেন নীতীশ রেড্ডি (Nitish Reddy)। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শনিবার দুরন্ত অপরাজিত শতরান হাঁকান অন্ধ্রপ্রদেশের তরুণ অলরাউন্ডার। ২১ বছর ২১৪ দিন বয়সে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্টে সেঞ্চুরি করলেন নীতীশ। কেরিয়ারের চতুর্থ টেস্টে খেলতে নেমেই সেঞ্চুরি। বক্সিং ডে টেস্টে খেলতে নেমে শুধুমাত্র মেলবোর্নেই শতরান হাঁকানো পঞ্চম ভারতীয় ব্যাটার হয়ে গেলেন তরুণ অলরাউন্ডার। এর আগে বীরেন্দ্র সেওয়াগ, বিরাট কোহলি, চেতেশ্বর পূজারা ও অজিঙ্কা রাহানে বক্সিং ডে টেস্টে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন।

    আবেগতাড়িত নীতীশের বাবা বাবা 

    ছেলের সেঞ্চুরি হাঁকানোর মুহূর্তে গ্যালারিতে ছিলেন নীতীশের (Nitish Reddy) বাবা মুতিয়ালা রেড্ডি।  নীতীশের বাবা মুতিয়ালা রেড্ডি বলেন, ”আমাদের পরিবারের জন্য ভীষণ স্পেশাল একট দিন। সারাজীবন এই দিনটা আমরা মনে রাখব। ১৪-১৫ বছর বয়স থেকে ও রান করে এসেছে। এবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও বড় রান পেল। দুর্দান্ত অনুভূতি। আমি প্রথমেই ধন্যবাদ জানাতে চাই মহম্মদ সিরাজকে। ও যখন ৯৯ রানে ব্যাটিং করছে, তখন সিরাজ স্ট্রাইকিং এন্ডে ছিল। ও সুন্দরভাবে ওভারটা কাটিয়ে দিয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ ওকে।”

    আপাতত প্রথম ইনিংসে ভারত এখনও ১১৬ রানে পিছিয়ে। ফলো অন বাঁচালেও ম্য়াচ বাঁচানোর সম্ভাবনা কিন্তু এখনও ক্ষীণ বলা যায়। কারণ প্রথম ইনিংসে হাতে আর মাত্র ১ উইকেট। এই পরিস্থিতিতে চতুর্থ দিনের সকালে আর কত রান যোগ করতে পারেন নীতীশ বোর্ডে তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংসে বুমরা, সিরাজ, আকাশ দীপরা কত দ্রুত উইকেট তুলতে পারেন, তারই অপেক্ষায় ভারতীয় সমর্থকেরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: ধর্ষণ-খুনের সময় ধস্তাধস্তির কোনও চিহ্ন নেই সেমিনার হলে, বিস্ফোরক তথ্য কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক সায়েন্সের রিপোর্টে

    RG Kar: ধর্ষণ-খুনের সময় ধস্তাধস্তির কোনও চিহ্ন নেই সেমিনার হলে, বিস্ফোরক তথ্য কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক সায়েন্সের রিপোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেমিনার রুমেই (RG Kar Rape and Murder) কি খুন হয়েছিলেন আরজি করের (RG Kar) চিকিৎসক পড়ুয়া? নাকি অন্য কোথাও খুন করে ওখানে ফেলে রাখা হয়েছিল? ফের নতুন করে এই প্রশ্ন উঠছে। সামনে এসেছে কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক সায়েন্সের রিপোর্ট। ১২ পাতার এই রিপোর্টে বলা হচ্ছে সকলের নজর এড়িয়ে সেমিনার রুমে প্রবেশ করা ও অপরাধ করে বেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ। এখানে ২৪ ঘণ্টা হাসপাতাল চালু থাকে। সেক্ষেত্রে সেই সেমিনার হলে কেউ ঢুকবে আর কেউ জানতে পারবেন না এটা কীভাবে সম্ভব? রিপোর্টে আরও বিস্ফোরক তথ্য উঠে এসেছে। যে ম্যাট্রেসে পাওয়া গিয়েছিল তরুণী চিকিৎসকের দেহ সেখানে ধর্ষণ খুনের সময় ধস্তাধস্তির কোনও চিহ্ন মেলেনি। এ নিয়েই সংশয় প্রকাশ করা হয়েছে সিএফএসএল রিপোর্টে। সেমিনার রুমে প্রতিরোধের বা ধস্তাধস্তির কোনও চিহ্ন নেই। এখানেই উঠছে প্রশ্ন সত্যি কি সেমিনার রুমে খুন, ধর্ষণ হয়েছিল নাকি অন্য কোথাও? তবে কি অন্য কোথাও ধর্ষণ খুন করে সেমিনার রুমে নিয়ে আসা হয়েছিল দেহ?

    কী বললেন অনিকেত মাহাতো? (RG Kar)

    এই ঘটনায় জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাতো সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘৪ ও ৫ নম্বর পয়েন্ট দেখে আমাদের যা মনে হচ্ছে ওই জায়গায় ম্যাট্রেসে কোনও ধস্তিধস্তির চিহ্ন নেই। আমরা এটা আগে বলেছি। এখন সিএফএসএল রিপোর্টও সেটা বলছে। সেমিনার রুমেও ধস্তাধস্তির (RG Kar) কোনও চিহ্ন নেই। সেই সঙ্গেই ওই সেমিনার রুমে কেউ ঢুকবেন অথচ কেউ দেখতে পাবেন না এই সম্ভাবনা ক্ষীণ। এটাও উল্লেখ করা হয়েছে সিএফএসএল রিপোর্টে।’’

    তথ্য প্রমাণ লোপাটের আশঙ্কা 

    চিকিৎসকদের একাংশের দাবি, ম্যাট্রেস পরিপাটি করে বিছানো ছিল। জলের বোতল, ল্যাপটপ এগুলির কি পজিশন বদলানো হয়েছিল? সঞ্জয় রায় ঢুকল আর কেউ তা জানতে পারল না এটা কীভাবে সম্ভব? আদৌ সঞ্জয় রায় কি একলা নাকি, আরও কেউ। ওখানেই কি খুন হয়েছে নাকি অন্য কোথাও? তবে কি তথ্য প্রমাণ লোপাট (RG Kar) হয়েছে? প্রসঙ্গত, গত ৯ অগাস্ট ইমার্জেন্সি বিল্ডিংয়ের চারতলায় সেমিনার রুম থেকে উদ্ধার হয়েছিল তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Shyam Benegal: এক যুগের অবসান! প্রয়াত পরিচালক শ্যাম বেনেগাল

    Shyam Benegal: এক যুগের অবসান! প্রয়াত পরিচালক শ্যাম বেনেগাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র বারো বছর বয়সে বাবার দেওয়া ক্যামেরার মাধ্যমে প্রথম ছবি তৈরি করেছিলেন তিনি। সেই পথচলা থামল ৯০ বছরে। প্রয়াত জাতীয় পুরস্কার-প্রাপ্ত পরিচালক শ্যাম বেনেগাল (Shyam Benegal)। ২৩ ডিসেম্বর, সোমবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। সমান্তরাল ধারার সিনেমার ক্ষেত্রে তাঁর অবদান ভোলার নয়। তাঁর ছবিতে ফুটে উঠত সমাজের জটিলতা, বাস্তবতা, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের ছবি। 

    সব ছবিই সেরার সেরা

    ১৯৩৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর হায়দরাবাদে জন্ম শ্যাম বেনেগালের (Shyam Benegal)। কোঙ্কনি পরিবারে জন্ম তাঁর। মাত্র বারো বছর বয়সে বাবার দেওয়া ক্যামেরার মাধ্যমে প্রথম ছবি তৈরি করেছিলেন তিনি। তাঁর বাবা ছিলেন পেশায় চিত্রগ্রাহক। সেখান থেকেই অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন তিনি। হায়দরাবাদের ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর সম্পূর্ণ করেছিলেন তিনি। হায়দরাবাদ ফিল্ম সোসাইটি থেকেই ছবি নির্মাণের সফর শুরু হয়েছিল পরিচালকের। ১৯৭০ থেকে ১৯৮০ দশকে ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতকে তিনি উপহার দিয়েছেন একের পর এক সিনেমা। ‘মন্থন’, ‘অঙ্কুর’, ‘ভূমিকা’, ‘জুনুন’, ‘মান্ডি’, ‘নিশান্ত’ ভারতীয় সিনেমার মাইলফলক। শুধু তাই নয়, ২০০১ সালে মুক্তি প্রাপ্ত জুবেদা ছবিটি বক্স অফিসের সঙ্গে সঙ্গে সমালোচকদের মন জয় করেছিল। এই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন করিনা কাপুর, মনোজ বাজপেয়ী এবং রেখা।

    একাধিক সম্মান

    ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে একাধিক সম্মানে ভূষিত হয়েছেন তিনি। ১৯৭৬ সালে পদ্মশ্রী ও ১৯৯১ সালে পদ্মভূষণ পেয়েছিলেন শ্যাম বেনেগাল (Shyam Benegal)। দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারও পান তিনি। বহু দিন ধরেই বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। এ ছাড়া কিডনি সংক্রান্ত সমস্যাও ছিল তাঁর। শারীরিক অসুস্থতায় জর্জরিত, তবুও কাজের মধ্যেই ছিলেন শ্যাম বেনেগাল। সপ্তাহে তিন দিন ডায়ালিসিস-এর জন্য হাসপাতালে যেতে হত তাঁকে। কিন্তু ছবির কাজ থামেনি তাতেও। ২০২৩-এ মুক্তি পায় তাঁর শেষ ছবি ‘মুজিব: দ্য মেকিং অফ এ নেশন’।  যেখানে ভারত এবং বাংলাদেশের একাধিক অভিনেতারা অভিনয় করেছিলেন। 

    আরও পড়ুন: দক্ষতার ভিত্তিতে কর্মচারীদের বেতন! পে কমিশন নিয়ে কী ভাবছে সরকার?

    অনবদ্য সৃষ্টি

    বিস্তৃত ভারতীয় ছবির ইতিহাসে তাঁর সৃষ্টি বারবার চমকে দিয়েছে দর্শকদের। সেই শ্যাম বেনেগালের (Shyam Benegal) ছবি ‘মন্থন’ নতুন করে মুক্তি পেয়েছিল কয়েকদিন আগেই। রিস্টোর্ড ভার্সন হিসেবে প্রথম দেখানো হয় কান চলচ্চিত্র উৎসবে। পরে কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবেও স্ক্রিনিং হয়। ‘মন্থন’ ছবি তৈরি হয়েছিল ভারতের মিল্ক ম্যান ভার্গিস কুরিয়ানকে নিয়ে। অবাক করা তথ্য এই যে, এই ছবির জন্য ৫ লক্ষ গোয়ালা প্রত্যেকে দিয়েছিলেন ২ টাকা করে। সেই টাকায় তৈরি হয়েছিল ছবি। যা ইতিহাস। ‘জুনুন’, ‘আরোহন’, ‘নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু: দ্য ফরগটেন হিরো’, ‘ওয়েল ডান আব্বা’, ‘মাম্মো’র মতো ছবি নির্মাণ করেছিলেন শ্যাম বেনেগাল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Manipur: মণিপুরের মেইতি রাজা পামহেইবা গ্রহণ করেছিলেন হিন্দু ধর্ম, দীক্ষা নেন বৈষ্ণব ধর্মগুরুর কাছে

    Manipur: মণিপুরের মেইতি রাজা পামহেইবা গ্রহণ করেছিলেন হিন্দু ধর্ম, দীক্ষা নেন বৈষ্ণব ধর্মগুরুর কাছে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে খবরের শিরোনামে রয়েছে মণিপুর (Manipur)। সে রাজ্যে কুকি-মেইতেই বিবাদকে কেন্দ্র করে হিংসা ছড়িয়েছে গোটা রাজ্যে। তবে ইতিহাস বলছে মণিপুর অতীতে একটি মেইতেই রাজ্য ছিল। উত্তর-পূর্ব ভারতের সবুজ উপত্যকায় মোড়া, পার্বত্য এই রাজ্যে কান পাতলে আজও শোনা যায় পামহেইবা নামের একজন রাজার কথা। তাঁকে ডাকা হত গরিব নেওয়াজ নামে। মণিপুরজুড়ে (Manipur) একটি ব্যাপক আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থা তিনি গড়ে তুলতে পেরেছিলেন। ভারতীয় ইতিহাসে এই মেইতেই রাজার উল্লেখযোগ্য নাম রয়েছে।

    পামহেইবা ১৭০৯ সালে রাজা হন (Manipur) 

    মণিপুরের ইতিহাস থেকে জানা যায়, পামহেইবা ১৭০৯ সালে রাজা হন। সে সময়ে মণিপুরের (Manipur) নাম ছিল কাংলেইপাক। এই নামটি অবশ্য মেইতেই সম্প্রদায়ের দেওয়া। সে রাজ্যের জনগণের স্থানীয় সংস্কৃতি এবং বিশ্বাসের সঙ্গে যুক্ত ছিল এই নাম। পামহেইবারের পিতার নাম ছিল চারাইরংবার। জানা যায়, চারাইরংবার ভারতের অন্যান্য অংশে হিন্দু রাজ্যগুলির সঙ্গে কূটনৈতিক সংযোগ গড়ে তুলেছিলেন এবং তিনিও হিন্দুরীতিতে বিশ্বাস রাখতেন। তাঁর সেই নীতিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যান পামহেইবার।

    ১৭১৭ সালে নেন দীক্ষা

    জানা গিয়েছে, পামহেইবার নিজে হিন্দু (Hinduism) ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। যার একটা ব্যাপক প্রভাব পড়েছিল মেইতেই সমাজের মধ্যে। ১৭১৭ সালে রাজা পামহেইবার বঙ্গদেশের সিলেটের একজন বৈষ্ণব ধর্ম প্রচারক শান্তি দাসের মাধ্যমে হিন্দু ধর্মের সংস্পর্শে আসেন। পামহেইবার অচিরেই চৈতন্য মহাপ্রভুর অনুসারী হয়ে ওঠেন এবং গুরু শান্তি দাসের নির্দেশনায় গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্ম গ্রহণ করেন। প্রসঙ্গত, হিন্দুধর্ম গ্রহণ করার সঙ্গে সঙ্গে মেইতেই জনগণও ব্যাপকভাবে হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করতে শুরু করেন। এর ফলে সেখানকার আচার-অনুষ্ঠান রীতিনীতি সবকিছুতেই ব্যাপক হিন্দু ছোঁয়া দেখা যায়। ঐতিহাসিকরা বলেন যে রাজার সংস্কৃত বা হিন্দু নাম ছিল গোপাল সিং। তিনি অসংখ্য মন্দির তৈরি করে দিয়েছিলেন বলে জানা যায়। তাঁর শাসনকালে মণিপুরে (Manipur) শিব, দুর্গারও পুজোর প্রচলন শুরু হয়। এর পাশাপাশি ভগবান বিষ্ণু, গণেশ এবং অন্যান্য হিন্দু দেবতাও ছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Vijay Diwas: ভারত-বাংলাদেশ একসঙ্গে বিজয় দিবস পালন! বীর যোদ্ধাদের স্মরণ প্রধানমন্ত্রীর, সেনার সঙ্গে সাক্ষাৎ রাষ্ট্রপতির

    Vijay Diwas: ভারত-বাংলাদেশ একসঙ্গে বিজয় দিবস পালন! বীর যোদ্ধাদের স্মরণ প্রধানমন্ত্রীর, সেনার সঙ্গে সাক্ষাৎ রাষ্ট্রপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিনটা ছিল ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। বাংলাদেশের (India-Bangladesh) স্থানীয় সময় অনুযায়ী ঘড়ির কাঁটায় তখন ৪ টে ৩১ মিনিট, ভারতে ৪টে। ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের কাছে আত্মসমর্পণ করছেন পাকিস্তানের ৯৩,০০০ ফৌজি। ভারতের দাপটে ১৩ দিনের মধ্যেই অস্ত্র নামিয়ে রাখতে বাধ্য হয়েছে পাক বাহিনী। ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ বাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার পাশে বসে আত্মসমর্পণের দলিলে সাক্ষর করছেন পাকিস্তানি সেনার ইস্টার্ন কমান্ডের লেফটেন্যান্ট জেনারেল এএকে নিয়াজি। ভারতের সাহায্যেই স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল বাংলাদেশ। ১৯৭১’য়ের সেই যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে লড়াই করেছিল ভারতীয় সেনা। সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তের আজ ৫৩ বছর (Vijay Diwas) পূর্ণ হল। চলতি সময়ে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের রসায়ন কিছুটা অন্যরকম। তবুও এই দিনটিকে একই সঙ্গে স্মরণ করবে ঢাকা ও দিল্লি। 

    একই সঙ্গে বিজয় দিবস উদযাপন 

    রবিবার, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক থেকেও জানানো হয়, বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা বিজয় দিবস উপলক্ষে (Vijay Diwas) এবারও হাজির থাকবেন। রবিবার জানানো হয়েছে, সে দেশের প্রতিনিধিরা কলকাতায় চলে এসেছেন। সেনার পক্ষ থেকে তাঁদের অভিনন্দন জানানো হয়েছে। আবার ঢাকায় গিয়েছেন ভারতীয় সেনার আটজন প্রাক্তন আধিকারিক। ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, তাঁরা কলকাতা এবং ঢাকায় বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন। বিজয় দিবসকে স্মরণ করে সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বীর সৈন্যদের সাহস ও আত্মত্যাগকে সম্মান জানিয়েছেন। 

    বিজয় দিবস স্মরণে রাষ্ট্রপতি-প্রতিরক্ষামন্ত্রী

    বিজয় দিবসের (Vijay Diwas) আগের সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু আর্মি হাউসে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এই অনুষ্ঠানে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদি, উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহানও উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এবং উপরাষ্ট্রপতি বীর সেনানী, কূটনৈতিক প্রতিনিধিত্ব, আশা স্কুলের শিশুদের এবং বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন। সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৯৭১ সালের যুদ্ধে ভারতীয় সেনার ৩,৯০০ জন জওয়ান শহিদ হন এবং ৯,৮৫১ জন আহত হন। ভারতীয় সেনাবাহিনী আরও জানিয়েছে যে এই অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ও উপরাষ্ট্রপতি বিভিন্ন যুদ্ধ বীর, কূটনৈতিক প্রতিনিধি, ক্রীড়াবিদ এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ustad Zakir Hussain: ঝাঁকড়া চুল, পাঞ্জাবি-পাজামা, থামল তবলার জাদুস্পর্শ, ৭৩ বছর বয়সে প্রয়াত জাকির হুসেন

    Ustad Zakir Hussain: ঝাঁকড়া চুল, পাঞ্জাবি-পাজামা, থামল তবলার জাদুস্পর্শ, ৭৩ বছর বয়সে প্রয়াত জাকির হুসেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নয়ের দশকে আমজনতার কাছে তবলার স্বাতন্ত্র পরিচিতি ঘটিয়েছিলেন তিনি। শুধু গানের সঙ্গতকারী যন্ত্র হিসেবে নয়, রাতারাতি ভূভারতে তবলাকে গ্ল্যামারাস করে তুলেছিলেন পণ্ডিত জাকির হুসেন (Ustad Zakir Hussain)। রবিবার সান ফ্রান্সিসকোর হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন কিংবদন্তি তবলাবাদক। তবলায় জাদুস্পর্শ থেমে গেল। দীর্ঘ দিন ধরেই রক্তচাপজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন জাকির। হৃদ্‌যন্ত্রে সমস্যা দেখা দেওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। শেষ রক্ষা হল না। ৭৩ বছর বয়সেই থামল তবলার জাদুকরের পথচলা।

    ছোট থেকেই প্রতিভার বিকাশ

    তবলাবাদক, সুরকার, সঙ্গীতজ্ঞ জাকির আল্লা রাখা কুরেশির জন্ম ১৯৫১ সালের ৯ মার্চ মুম্বইয়ে। কিংবদন্তি তবলাবাদক আল্লা রাখার জেষ্ঠ সন্তান তিনি। মাত্র তিন বছর বয়স থেকেই তবলায় তালিম নেওয়া শুরু। প্রথমবার সাত বছর বয়সে মঞ্চে একক অনুষ্ঠান করেন। ২২ বছর বয়সে ১৯৭৩ সালে বিটলস খ্যাত জর্জ হ্যারিসনের মিউজিক অ্যালবাম ‘লিভিং ইন দ্য মেটেরিয়াল ওয়ার্লড-এ সঙ্গত করেন। শুধু হ্যারিসনই নয়, সঙ্গীত জীবনের শুরুতেই ভ্যান মরিসনের মতো শিল্পীর সঙ্গেও কাজ করেছেন জাকির (Ustad Zakir Hussain)। তবলায় সঙ্গত করেছেন পন্ডিত রবিশঙ্কর, উস্তাদ আমজাদ আলি খানদের মতো দিকপালেদের।

    নানা সম্মান

    ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতকে বিশ্বদরবারে পৌঁছে দিয়েছিলেন জাকির। ভারত সরকারের পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ, পদ্মবিভূষণ সম্মানে ভূষিত হয়েছেন তিনি। ২০২৪ সালে জাকিরের হাত ধরেই ভারতে আসে গ্র্যামি পুরস্কার। ‘বেস্ট গ্লোবাল মিউজিক অ্যালবাম’ হিসাবে পুরস্কৃত হয় ভারতীয় ব্যান্ড ‘শক্তি’র গানের অ্যালবাম ‘দিস মোমেন্ট’। বর্তমানে ‘শক্তি’ ব্যান্ডের প্রধান কণ্ঠশিল্পী শঙ্কর মহাদেবন। তবলাবাদক হিসাবে রয়েছেন জাকির। বেহালায় গণেশ রাজাগোপালন এবং অন্য তালবাদ্যে ভি সেলভাগণেশ। গিটারে জন ম্যাকলকলিন। ২০২৩ সালের ৩০ জুন ‘দিস মোমেন্ট’ অ্যালবামটি মুক্তি পায়। মোট আটটি ট্র্যাক রয়েছে এই অ্যালবামে।

    আরও পড়ুন: “বৈচিত্র্যের ভারতে বিভেদের বিষ ছড়াচ্ছে কেউ কেউ”, সংসদে তোপ প্রধানমন্ত্রীর

    ‘বাহ উস্তাদ!’

    ঝাঁকড়া চুল। পাঞ্জাবি-পাজামা। জাকির হুসেনের তালে নেচে উঠত আসমুদ্র হিমাচল। বলে উঠত ‘বাহ উস্তাদ!’ শিল্পীর তালের জাদুতে মুগ্ধ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাকা ওবামার মতো ব্যক্তিত্বও। ২০১৬ সালে খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণে ‘অল স্টার জ্যাজ গ্লোবাল কনসার্টে’ অংশ নেন তিনি। ব্যক্তিগত জীবনে নৃত্যশিল্পী অ্যান্টনিয়া মিনেকোলার সঙ্গে পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হন। অন্তোনিয়া তাঁর ম্যানেজারও ছিলেন। দুই সন্তানের পিতা জাকির। রবিবার গভীর রাতে শিল্পীর পরিবারের তরফে জানানো হয়, শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন উস্তাদ। শোকের ছায়া ভারতীয় সঙ্গীত জগতে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: সংখ্যালঘুদের কারও পদোন্নতি আটকে, কাউকে কমিশনে না রেখে সমানে চলেছে দমন-পীড়ন!

    Bangladesh Crisis: সংখ্যালঘুদের কারও পদোন্নতি আটকে, কাউকে কমিশনে না রেখে সমানে চলেছে দমন-পীড়ন!

    হাসিনা সরকারকে উৎখাত করার পর থেকেই অশান্ত বাংলাদেশ। মন্দির ভাঙচুর, আগুন, মারধর, খুন-সবেতেই টার্গেট সংখ্যালঘু হিন্দু। শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ইউনূসের কঙ্কালসার চেহারাটা এখন গোটা বিশ্বের কাছে পরিষ্কার। ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের পর গোটা বিশ্ব জেনে গিয়েছে, কী ভয়াবহ এবং আতঙ্কের পরিবেশ সেখানে। শুধু কি সাধারণ নিরীহ হিন্দু বা হিন্দুদের মন্দির? না, বেছে বেছে কাঠগড়ায় তুলে চরম শাস্তি দেওয়া হয়েছে আওয়ামি লিগপন্থী জনপ্রতিনিধি, পুলিশ অফিসার থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পদস্থ কর্তাদেরও। কীভাবে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নিপীড়ন চলছে, কীভাবে একের পর এক সরকারি অফিসার বা জনপ্রতিনিধির ওপর শাস্তির খাঁড়া নেমে আসছে, তা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদন। আজ তৃতীয় পর্ব।

     

    অশান্ত বাংলাদেশ: টার্গেট হিন্দু-৩

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার (Minorities Targeted) চলছে নির্মমভাবে। বার বার নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন হিন্দু-সংখ্যালঘুরা। পুলিশ থেকে রাজনৈতিক নেতা, এমনকী বাদ যাননি প্রশাসনের মাথায় থাকা সংখ্যালঘু আধিকারিকরাও। প্রশাসনে সংখ্যালঘু কর্মকর্তাদের ওপর মারাত্মক এবং বিরূপ প্রভাব ফেলে সরকারের হঠাৎ পরিবর্তন। শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পরপরই পরিকল্পনা মন্ত্রকের সিনিয়র সচিব সত‍্যজিত কর্মকারসহ ১০ জন সিনিয়র সচিবের চুক্তি বাতিল করা হয়। এর পাশাপাশি, ডাক বিভাগের মহাপরিচালক শুদ্ধাংশুশেখর ভদ্রকে ১৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন গ্রেফতার করে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নাকি সরকারি প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অভিযোগ, কারণ একটা কিছু দেখালেই হল। লক্ষ্য, বিরোধী কণ্ঠস্বরকে নানা পদ্ধতি অবলম্বন করে দমিয়ে রাখা। কারও পদোন্নতি আটকে, কাউকে কমিটি বা কমিশনে না রেখে দমিয়ে রাখার কৌশল (Minorities Targeted)। এমনই অভিযোগ উঠেছে বারবার।

    মামলায় জর্জরিত সচিবরা

    দমন-পীড়ন চালানোর রাস্তা এখানেই শেষ নয়। সম্প্রতি হাসিনা সরকারের আমলের (Bangladesh Crisis) ৫৩ জন সচিবের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে অনেকেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্য। একই সময়ে, প্রশাসনে পদোন্নতি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সংখ্যালঘুদের অবহেলা আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। প্রশাসনের অনেকেই যুগ্ম সচিব ও অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি লাভ করলেও, সংখ্যালঘু কর্মকর্তাদের উপস্থিতি ছিল একেবারেই নগণ্য। মাত্র দুইজন সংখ্যালঘু কর্মকর্তা-মুকেশচন্দ্র বিশ্বাস এবং দীপঙ্কর মণ্ডল অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি পান। তদুপরি, পাঁচজন সংখ্যালঘু কর্মকর্তাকে যুগ্ম সচিব হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হয়, যার মধ্যে আছেন অতিন কুণ্ডু (অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ), অভিজিৎ রায় (বাস্তবায়ন ও পাবলিক ওয়ার্কস বিভাগ), কঙ্কন চাকমা (বাংলাদেশ পারমাণবিক শক্তি কমিশন), সুবর্ণ চাকমা (পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ) এবং কালাচাঁদ সিনহা (মংলা পোর্ট অথরিটি)।

    বৈষম্যের শিকার বিচারকরাও

    সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের (Minorities Targeted) কূটনৈতিক কর্মকর্তাদেরও বৈষম্যের শিকার হতে হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল কলকাতায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের প্রথম সচিবের সাময়িক বরখাস্ত হওয়া। আন্তর্জাতিক বিচারব্যবস্থা, পুলিশ-প্রশাসন এবং দুর্নীতি দমন কমিশনে প্রভাবশালী পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে, অন্তর্বর্তী সরকার ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে। ৮১ জন নিম্ন আদালতের বিচারককে বদলি করা হয়েছে। ৬৬ জন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও ১৬১ জন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলকে নিয়োগ দেওয়া হলেও, এসব পদে সংখ্যালঘু সদস্যদের উপস্থিতি ছিল নেহাতই কম। দুজন সংখ্যালঘু সদস্য প্রাকাশআনন্দ বিশ্বাস (মানিকগঞ্জ) ও সুজিতকুমার চট্টোপাধ্যায় (মাদারীপুর) ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ পান।

    কোনও কমিশনেই সংখ্যালঘু নেই

    বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) নির্বাচনী ব্যবস্থা, পুলিশ-প্রশাসন, বিচারব্যবস্থা, দুর্নীতি দমন কমিশন ও সরকারি প্রশাসন সংস্কারের উদ্যোগ হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকার বেশ কিছু কমিশন গঠন করেছে, কিন্তু এই কমিশনগুলোর মধ্যে কোনও সংখ্যালঘু সদস্যের স্থান হয়নি। এর ফলে, দেশের প্রশাসনিক কাঠামো ও শাসন ব্যবস্থায় সংখ্যালঘুদের বঞ্চনা আরও তীব্র হয়েছে এবং তাদের প্রতিনিধিত্ব ও প্রভাব সীমিত হয়ে পড়েছে।

    আরও পড়ুন: নিশানায় হিন্দু পুলিশ অফিসাররাও, সংখ্যালঘু পুলিশকর্তাদের বিরুদ্ধে একাধিক খুনের মামলা!

    রেহেই পাননি সাংবাদিকরাও 

    অন্তর্বর্তী সরকার (Bangladesh Crisis) সংখ্যালঘু সাংবাদিকদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনে হিংসায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৫৩ জনের মধ্যে ২৮ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে তারা তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্তদের মধ্যে বেশ কয়েকজন সাংবাদিক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের (Minorities Targeted)। এদের মধ্যে শ্যামল দত্ত, নবনিতা চৌধুরী, সুবাস সিনহা, মনস ঘোষ, প্রণব সাহা, মুননি সাহা, স্বদেশ সিনহা, শ্যামল সরকার, অজয় দাস এবং আশীষ সৈকত উল্লেখযোগ্য। এর মধ্যেই তারাকান্দা প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি এবং দৈনিক স্বজনের সাংবাদিক স্বপন কুমার ভদ্রকে তাঁর বাড়ির সামনে হামলা করে হত্যাও করা হয়। ঘটনাটি ঘটে শম্ভুগঞ্জের টানপাড়া এলাকায়। ( …ক্রমশ)

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India vs Australia: আতঙ্কের অ্যাডিলেড! স্টার্কের গোলাপি বিস্ফোরণে  ১৮০ রানে অলআউট ভারত

    India vs Australia: আতঙ্কের অ্যাডিলেড! স্টার্কের গোলাপি বিস্ফোরণে  ১৮০ রানে অলআউট ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চার বছর আগের ঘটনা, ঠিক এই মাঠেই ভারতকে ৩৬ রানে অলআউট হতে হয়েছিল। যা আজও টিম ইন্ডিয়ার টেস্টের সর্বনিম্ন স্কোর। আতঙ্কের অ্যাডিলেডে ভারতের ফের ব্যাটিং ভরাডুবি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বীতিয় টেস্টে (India vs Australia) মাত্র ১৮০ রানে শেষ হয়ে গেল রোহিত শর্মাদের (Rohit Sharma) প্রথম ইনিংস। অজি সুপারস্টার মিচেল স্টার্ক (Mitchell Starc) একাই তুলে নিলেন ৬ উইকেট। স্টার্কের (Mitchell Starc) আগুনে বোলিং এর পর মার্নাস লাবুশেন ও ন্যাথান ম্যাকস্যুইনির পরিপক্ক ব্যাটিংয়ে অ্যাডিলেডে দ্বিতীয় টেস্টের (IND vs AUS 2nd Test) প্রথম দিন শেষে অ্যাডভান্টেজ অস্ট্রেলিয়া। প্রথম দিনের খেলা শেষে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর এক উইকেটের বিনিময়ে ৮৬। ভারতের থেকে মাত্র ৯৪ রানে পিছিয়ে কামিন্সরা। হাতে রয়েছে নয় উইকেট।

    ব্যাটিংয়ে ভরাডুবি ভারতের

    এদিন শুধু টস ছিল ভারতের পক্ষে। বাকি পুরোটাই বিপক্ষে। টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন রোহিত। দিনের প্রথম বলেই স্টার্কের কাছে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন যশস্বী। প্রথম টেস্টের সেঞ্চুরিকারী যশস্বী কোনও রান না করেই সাজঘরে ফেরেন। রাহুলের হাত শক্ত করতে এসেছিলেন শুভমন গিল। তাঁরা ভালোই সেট হয়ে গিয়েছিলেন। রাহুল ৬৪ বলে ৩৭ রান করে আউট হয়ে যান। যদিও তিনি দু’বার জীবনদান পেয়েছেন এদিন। নাহলে অনেক আগেই আউট হতেন। শুভমনকে রেখে রাহুল ফিরতেই মাঠে নামেন বিরাট কোহলি। পারথে সেঞ্চুরি করেছিলেন বটে, তবে এদিন চারে নেমে ৮ বলে মাত্র ৭ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। সেট হওয়া শুভমনকেও ফিরতে হয় ৩১ রানে। ব্যর্থ হন রোহিত ও পন্থও। ভারতের চূড়ান্ত ব্যাটিং ভরাডুবিতে একমাত্র উজ্জ্বল নীতীশ কুমার রেড্ডি। সাতে নেমে ৫৪ বলে তিনি ৪২ রান না করলে, ভারত আরও অনেক কম রানেই গুটিয়ে যেত। আটে নেমে অশ্বিনও ২২ বলে ২২ রান জুড়েছেন স্কোরবোর্ডে। এরপর হর্ষিত রানা, জসপ্রীত বুমরা কোনও রান না করেই ফিরেছেন। মহম্মদ সিরাজ অপরাজিত থাকেন ৪ রানে। 

    ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া, দ্বিতীয় টেস্টের একাদশ

    ভারত: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), জসপ্রীত বুমরা (সহ-অধিনায়ক), যশস্বী জয়সওয়াল, শুভমন গিল, বিরাট কোহলি, কেএল রাহুল, ঋষভ পন্থ, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, মহম্মদ সিরাজ, হর্ষিত রানা, নীতীশ কুমার রেড্ডি

    অস্ট্রেলিয়া: প্যাট কামিন্স (অধিনায়ক), স্কট বোল্যান্ড, অ্যালেক্স কেরি (উইকেটরক্ষক), ট্র্যাভিস হেড, উসমান খোয়াজা, মারনাস লাবুসেন, নাথান লিয়ন, মিচেল মার্শ, নাথান ম্যাকসুইনি, স্টিভ স্মিথ, মিচেল স্টার্ক

     

LinkedIn
Share