Author: subhra-katwa

  • Ramakrishna 364: ঘটি রোজ মাজতে হয়, তা না হলে কলঙ্ক পড়বে, সাধুসঙ্গ সর্বদাই দরকার

    Ramakrishna 364: ঘটি রোজ মাজতে হয়, তা না হলে কলঙ্ক পড়বে, সাধুসঙ্গ সর্বদাই দরকার

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্ত সঙ্গে সুরেন্দ্রর প্রতি উপদেশ- গৃহস্থ ও দানধর্ম-মনোযোগ ও কর্মযোগ

    ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণ আবার ছোট খাটটিতে আসিয়া বসে আছেন। ভক্তেরা এখনও মেঝেতে বসিয়া আছেন। সুরেন্দ্র তাঁহার কাছে বসে আছেন। ঠাকুর তাঁহার দিকে সস্নেহের দৃষ্টিপাত করিতেছেন। কথাচ্ছলে তাঁহাকে নানা উপদেশ দিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (সুরেন্দ্রের প্রতি)- মাঝে মাঝে এসো। ন্যাংটা বলত, ঘটি রোজ মাজতে হয়, তা না হলে কলঙ্ক পড়বে। সাধুসঙ্গ সর্বদাই দরকার।

    সন্ন্যাসীর পক্ষে কামিনী কাঞ্চন ত্যাগ। তোমাদের পক্ষে তা নয়। তোমরা মাঝে মাঝে নির্জনে যাবে। আর তাঁকে ব্যাকুল হয়ে ডাকবে। তোমরা মনে মনে ত্যাগ করবে। বীরভক্ত না হলে দু দিক রাখতে পারেনা। জনক রাজা সাধন ভজনের পর সিদ্ধ হয়ে সংসারে ছিল। সে দুখানা তলোয়ার ঘোরাত জ্ঞান আর কর্ম।

    এই বলিয়া ঠাকুর গান গাহিতেছেন-

    এই সংসার মজার কুটি।
    আমি খাই দাই আর মজা লুটি।।
    জনক রাজা মহাতেযা, তার কিসে ছিল ত্রুটি।
    সে যে এদিক ওদিক দুদিক রেখে খেয়েছিল দুধের বাটি।।

    তোমাদের পক্ষে চৈতন্যদেব যা বলেছিলেন, জীবে দয়া, ভক্তসেবা আর নাম সংকীর্তন। তোমায় বলছি কেন? তোমার হাউসের কাজ আর অনেক কাজ করতে হয়, তাই বলছি। তুমি অফিসে মিথ্যা কথা কও। তবে তোমার জিনিস খাই কেন? তোমার যে দান ধ্যান আছে। তোমার যা আয় হয়, তার চেয়ে বেশি দান করো। বার হাত কাঁকুড়ের তের হাত বিচি।

    কৃপণের জিনিস খাই না। তাদের ধন এই কয় রকমই উড়ে যায়। প্রথম মামলা মোকদ্দমায়, দ্বিতীয় চোর ডাকাতে, তৃতীয় ডাক্তার খরচে, চতুর্থ আবার বদ ছেলেরা- সেইসব টাকা উড়িয়ে দেয়।

  • Ramakrishna 363: নরেন্দ্রর প্রতি ঠাকুরের শিক্ষা, ‘‘জ্ঞান-অজ্ঞানের পার হও’’

    Ramakrishna 363: নরেন্দ্রর প্রতি ঠাকুরের শিক্ষা, ‘‘জ্ঞান-অজ্ঞানের পার হও’’

    নরেন্দ্রকে শিক্ষা (জ্ঞান অজ্ঞানের পার হও)

    নরেন্দ্র কাছে বসিয়া আছেন (Ramakrishna)। তার বাড়িতে কষ্ট। সেই জন্য তিনি সর্বদা চিন্তিত হইয়া থাকেন। তাহার সাধারণ ব্রাহ্ম সমাজে যাতায়াত ছিল। বেদন্তাদি গ্রন্থ পড়িবার খুব ইচ্ছা। এক্ষুনি বয়স ২৩ বছর হইবে। ঠাকুর নরেন্দ্রকে একদৃষ্টে দেখিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্যে নরেন্দ্রের প্রতি)- তুই তো ‘খ’ (আকাশবৎ)। তবে যদি এ ট্যাক্সোবাড়ির ভাবনা না থাকত। (সকলের হাস্য)

    কৃষ্ণকিশোর বলত, আমি ‘খ’। একদিন তার বাড়িতে গিয়ে দেখি (Kathamrita) সে চিন্তিত হয়ে বসে আছে। বেশি কথা কচ্ছে না। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, কী হয়েছে গো! এমন করে বসে রয়েছ। কেন সে বলল ট্যাক্সওয়ালা এসেছিল। সে বলে গেছে টাকা যদি না দাও, তাহলে ঘটি বাটি সব নিলাম করে নিয়ে যাব। তাই আমার ভাবনা হয়েছে। আমি হাসতে হাসতে বললাম, সে কী গো! তুমি তো ‘খ’ (আকাশবৎ) যাক শালারা ঘটিবাটি নিয়ে যাক। তোমার কী।

    তাই তোকে বলছি তুই ‘খ’, এত ভাবছিস কেন (Ramakrishna)? কী জানিস শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে (Kathamrita) বলছেন, অষ্ট সিদ্ধির একটি থাকলে কিছু শক্তি হতে পারে। কিন্তু আমায় পাবে না। সিদ্ধাই এর দ্বারা শক্তি বল টাকা এসব হতে পারে কিন্তু ঈশ্বরকে লাভ হয় না।

    আরেকটি কথা জ্ঞান-জ্ঞানের পার হও। অনেকে বলে অমুক বড় জ্ঞানী। বস্তুত তা নয় বশিষ্ট এত বড় জ্ঞানী। পুত্র শোকে অস্থির হয়েছিল। তখন লক্ষণ বললেন, রাম একি আশ্চর্য। তিনিও তো এত শোকার্ত। রাম বললেন, ভাই যার জ্ঞান আছে, তার অজ্ঞান আছে। যার আলোবোধ আছে তার অন্ধকার বোধ আছে। যার ভালো বোধ আছে তার মন্দ বোধও আছে। যার সুখ বোধ আছে তার দুঃখবোধও আছে (Ramakrishna)। ভাই তুমি দুইয়ের পারে যাও। সুখ দুঃখের পারে যাও। তাই তোকে বলছি জ্ঞান-অজ্ঞানের পার হও।

  • Daily Horoscope 27 May 2025: গৃহনির্মাণের জন্য অর্থব্যয় হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 27 May 2025: গৃহনির্মাণের জন্য অর্থব্যয় হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) অভিনেতারা খুব ভালো সুযোগ পেতে পারেন।

    ২) পড়াশোনার জন্য বিদেশযাত্রা হতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃষ

    ১) চাকরির স্থানে সুনাম বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ২) ভালো যুক্তির জন্য তর্কে জিততে পারেন।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মিথুন

    ১) বাইরে থেকে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারেন।

    ২) স্ত্রীর কাছে কথা রাখার চেষ্টা করুন।

    ৩) বিবাদে জড়াবেন না।

    কর্কট

    ১) ভ্রমণে গিয়ে শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কা।

    ২) প্রেমের প্রতি ঘৃণাবোধ।

    ৩) চিকিৎসকের কাছে যেতে হতে পারে।

    সিংহ

    ১) সংসারের দায়িত্ব বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।

    ২) বাড়িতে মনোমালিন্য হতে পারে।

    ৩) ধৈর্য ধরুন।

    কন্যা

    ১) পিতার সঙ্গে মতান্তর হতে পারে।

    ২) দরকারি কাজ দ্রুত মেটান।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    তুলা

    ১) সাবধান থাকতে হবে, শরীরে অস্ত্রোপচারের সম্ভাবনা রয়েছে।

    ২) গৃহনির্মাণের জন্য অর্থব্যয় হতে পারে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    বৃশ্চিক

    ১) অভিভাবকদের পরামর্শ আপনার জন্য কার্যকর হবে।

    ২) অন্য কেউ পরামর্শ দিলে তা না নেওয়াই শ্রেয়।

    ৩) ধর্মস্থানে যেতে পারেন।

    ধনু

    ১) উচ্চশিক্ষার যে কোনও কাজ সফল হবে।

    ২) কোনও বন্ধুর কারণে কর্মে জটিলতা কেটে যেতে পারে।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে মনের কথা খুলে বলুন।

    মকর

    ১) প্রতিবেশীদের হিংসার কারণে কাজে বাধা পড়তে পারে।

    ২) সন্তানের জন্য সম্মানহানির সম্ভাবনা।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    কুম্ভ

    ১) কর্মস্থানে মনোমালিন্য সৃষ্টি হতে পারে।

    ২) পারিবারিক শান্তি বজায় থাকবে।

    ৩) গুরুজনদের পরামর্শ মেনে চলুন।

    মীন

    ১) শত্রুর সঙ্গে আপস করতে হতে পারে।

    ২) শারীরিক দুর্বলতা দেখা দিতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Daily Horoscope 26 May 2025: সম্পত্তি নিয়ে সমস্যা মিটে যেতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 26 May 2025: সম্পত্তি নিয়ে সমস্যা মিটে যেতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) বিদ্যার্থীদের জন্য নতুন কোনও পথ খুলতে পারে।

    ২) বাত-জাতীয় রোগে কষ্ট পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    বৃষ

    ১) বাড়িতে সবাই খুব সতর্ক থাকুন, চুরির ভয় রয়েছে।

    ২) আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।

    ৩) সতর্ক থাকতে হবে।

    মিথুন

    ১) জমি বা সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় করার শুভ দিন।

    ২) শেয়ারে বাড়তি লগ্নি চিন্তাবৃদ্ধি ঘটাতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    কর্কট

    ১) বন্ধুদের বিরোধিতা থেকে সাবধান থাকুন।

    ২) সঞ্চয়ের ব্যাপারে বিশেষ নজর দিন।

    ৩) বাণীতে সতর্ক থাকুন।

    সিংহ

    ১) পেটের সমস্যা বাড়তে পারে।

    ২) ব্যবসায় আমূল পরিবর্তন লক্ষ করতে পারবেন।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটা।

    কন্যা

    ১) ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ না করাই শ্রেয়।

    ২) মাথাগরম করার ফলে হাতে আসা কাজ ভেস্তে যাবে।

    ৩) ভেবেচিন্তে কথা বলুন।

    তুলা

    ১) ভাই-বোনের কাছ থেকে ভালো সাহায্য পেতে পারেন।

    ২) দাম্পত্য সম্পর্কে উন্নতির যোগ।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে বেশি সময় কাটান।

    বৃশ্চিক

    ১) কোনও নিয়ম লঙ্ঘন করার জন্য বিপদে পড়তে হতে পারে।

    ২) উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে শুভ যোগ।

    ৩) সতর্কভাবে চলাফেরা করুন।

    ধনু

    ১) কোনও ভুল কাজের জন্য অনুতাপ হতে পারে।

    ২) অতিরিক্ত দৌড়ঝাঁপ করার ফলে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মকর

    ১) কারও কুপ্রভাবে সংসারে অশান্তি হতে পারে।

    ২) সামাজিক সুনাম বা প্রতিপত্তি বিস্তারের যোগ।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    কুম্ভ

    ১) সাংসারিক কারণে মানসিক যন্ত্রণা বাড়তে পারে।

    ২) আজ আপনাকে অবাক করে দেওয়া কোনও সুখবর আসতে পারে।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    মীন

    ১) ব্যয় বাড়তে পারে।

    ২) সম্পত্তি নিয়ে সমস্যা মিটে যেতে পারে।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Falharini Kali Puja: মেলে দুঃখ-দুর্দশা থেকে মুক্তি! জানুন ফলহারিণী কালীপুজোর মাহাত্ম্য

    Falharini Kali Puja: মেলে দুঃখ-দুর্দশা থেকে মুক্তি! জানুন ফলহারিণী কালীপুজোর মাহাত্ম্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ সোমবার ফলহারিণী কালীপুজো। বাংলায় কালীপুজোর চল সারা বছর ধরেই দেখা যায়। দুর্গাপুজোর পরে যে কালীপুজো হয় তা জনপ্রিয় দীপান্বিতা কালী পুজো নামে পরিচিত। এছাড়াও রয়েছে রক্ষাকালী পুজো। স্থানীয়ভাবেও বাংলার নানা প্রান্তে কালীপুজো হয়। কোনও কোনও গৃহস্থের বাড়িতেও কালী পুজো বছরের বিশেষ সময়ে দেখা যায়। জৈষ্ঠ্য মাসের অমাবস্যা তিথিতে যে কালীপুজো হয় তা ফলহারিণী কালীপুজো (Falharini Kali Puja) নামে প্রসিদ্ধ।

    কখন লাগছে তিথি?

    গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা অনুসারে এবছর ফলহারিণী অমাবস্যা শুরু হচ্ছে সোমবার সকাল ১১টা বেজে ৭মিনিট ১৯ সেকেন্ডে। চলবে মঙ্গলবার ২৭ তারিখ সকাল ৮টা ৪৪মিনিট ৫৯ সেকেন্ড পর্যন্ত। অন্যদিকে, বিশুদ্ধ পঞ্জিকা মতে, অমাবস্যা শুরু হবে ২৬ মে সোমবার দুপুর ১২টা ১৩ মিনিটে। ছেড়ে যাবে পরের দিন ২৭ তারিখ সকাল ৮টা ৩২ মিনিটে।

    ফলের মালা পরানোর রীতি দেখা যায়

    ভক্তদের বিশ্বাস, মা কালী জীবের কর্মফল অনুসারে তাদের আশীর্বাদ প্রদান করেন। তিনি প্রসন্না হলে জীবের দুঃখ দুর্দশা থেকে মুক্তি মেলে। পাশাপাশি জীবন সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধিতে ভরে ওঠে। ফলহারিণী অমাবস্যায় দেবীকে বিভিন্ন মরশুমি ফল দিয়ে পুজো দিলে দেবী সন্তুষ্ট হন বলে বিশ্বাস। আম, জাম, কলা, লিচু-সহ বিভিন্ন ফলের মালা তৈরি করে দেবীকে পরানোর রীতি দেখা যায়।

    এই দিনেই সারদা দেবীকে পুজো করেছিলেন ঠাকুর রামকৃষ্ণ

    জানা যায়, রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব ফলহারিণী কালীপুজোর দিনে সারদা দেবীকে পুজো করেছিলেন জগত কল্যাণের জন্য। ১২৮০ বঙ্গাব্দের জৈষ্ঠ্য মাসের অমাবস্যা তিথিতে ঠাকুর দক্ষিণেশ্বরে ষোড়শী রূপে পূজা করেছিলেন সারদা মা’কে। পরবর্তীতে এই সময়ের কালী পুজো হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে ফলহারিণী কালী (Falharini Kali Puja) পুজো নামেই প্রসিদ্ধি পায়।

    কেন এই পুজো ফলহারিণী কালীপুজো (Falharini Kali Puja) নামে পরিচিত?

    শাস্ত্র বিশেষজ্ঞদের মতে, জৈষ্ঠ্য মাসে আম, জাম, লিচু, কাঁঠাল সমেত নানারকম মরসুমী ফল পাওয়া যায়। ভক্তরা তাদের ইষ্ট দেবীকে এই ফল নিবেদন করে থাকেন। দেবী ভক্তদের কর্মফল হরণ করে তাদেরকে মোক্ষফল প্রদান করেন। ভক্তদের বিশ্বাস, ফলহারিণী কালীপুজো করলে বিদ্যা, কর্ম এবং অর্থ ভাগ্যের উন্নতি ঘটে প্রেম প্রণয়ের বাধা দূর হয়, দাম্পত্য সংসারী জীবনেও সুখ শান্তি বিরাজ করে। এককথায় এই বিশেষ পুজোয় ভক্তরা আধ্যাত্মিক, নৈতিক, মানসিক শক্তি পেয়ে থাকেন বলে তাদের বিশ্বাস।

  • Ramakrishna 362: নরেন্দ্র গান গাহিতেছেন, ঠাকুর ছোটখাটটিতে বসিয়া শুনিতেছেন

    Ramakrishna 362: নরেন্দ্র গান গাহিতেছেন, ঠাকুর ছোটখাটটিতে বসিয়া শুনিতেছেন

    এইবার গিরিশ ঘরে আসিয়াছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (গিরিশের প্রতি)- হ্যাঁগা, আমার কথা সব তোমরা কী করছিলে? আমি খাই দাই থাকি।

    গিরিশ- আপনার কথা আর কী বলব! আপনি কি সাধু? (Kathamrita)

    শ্রীরামকৃষ্ণ- সাধু সাধু নয়, আমার সত্যিই তো সাধু বোধ নাই (Ramakrishna)।

    গিরিশ- ফচকিমিতেও আপনাকে পারলুম না।

    শ্রীরামকৃষ্ণ- আমি লাল পেড়ে কাপড় পরে জয় গোপাল সেনের বাগানে গিয়েছিলাম। কেশব সেন সেখানে ছিল। কেশব লাল পেড়ে কাপড় দেখে বলল, আজ বড় যে রং। লাল পাড়ের বাহার। আমি বললুম, কেশবের মন ভোলাতে হবে তাই বাহার দিয়ে এসেছি।

    এইবার আবার নরেন্দ্রের গান হইবে। শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) মাস্টারকে তানপুরাটি পাড়িয়া দিতে বলিলেন। নরেন্দ্র তানপুরাটি অনেকক্ষণ ধরিয়া বাধিতেছেন ঠাকুর ও সকলে অধৈর্য হইয়াছেন।

    বিনোদ বলিতেছেন, বাঁধা আজ হবে গান আর একদিন হবে। (সকলের হাস্য)

    শ্রীরামকৃষ্ণ হাসিতেছেন আর বলিতেছেন, এমনি ইচ্ছে হচ্ছে যে তানপুরাটা ভেঙে ফেলি। কী টিং টং আবার তানা নানা নেড়ে নুম হবে।

    ভাবনাথ- যাত্রার গোড়ায় অমনি বিরক্তি হয়।

    নরেন্দ্র- (বাঁধিতে বাধিতে) সে না বুঝলেই হয়।

    শ্রীরামকৃষ্ণ- ওই আমাদের সব উড়িয়ে দিলে (Ramakrishna)।

    (নরেন্দ্রর গান ও শ্রীরামকৃষ্ণের ভাবাবেশ- অন্তর্মুখ ও বহির্মুখ-স্থির জল ও তরঙ্গ)

    নরেন্দ্র গান গাহিতেছেন। ঠাকুর ছোটখাটটিতে বসিয়া শুনিতেছেন। নিত্য গোপাল প্রভৃতি ভক্তেরা মেঝেতে বসিয়া শুনিতেছেন।

    ১. অন্তরে জাগিছো ওমা অন্তর যামিনী
    কোলে করে আছো মোরে দিবস যামিনী

    ২. গাওরে আনন্দময়ীর গান
    ওরে আমার একতন্ত্রী প্রাণের আরাম

    ৩.নিবিড় আঁধারে মা তোর চমকে ও রূপরাশি
    তাই যোগী ধ্যান ধরে হয়ে গিরিগুহা বাসি

    ঠাকুর ভাবাবিষ্ট হইয়া নিচে নামিয়ে আসিয়াছেন ও নরেন্দ্রর কাছে বসে আছেন ভাবাবিষ্ট হইয়া কথা কহিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ- গান গাইব থু থু! (নিত্য গোপালের প্রতি) তুই কি বলিস উদ্দীপনের জন্য শুনতে হয়? তারপর কী হল আর কী গেল

    আনন্দ রসে মগ্ন হওয়া নিয়ে কথা (Ramakrishna)।

    গান গাইব আচ্ছা গাইলেও হয়। জল স্থির থাকলেও জল আর হেলে দুললেও জল।

  • Ahilya Bai: রানি অহল্যা বাঈয়ের শাসন ব্যবস্থা, আজও যে কোনও সরকারের কাছে মডেল

    Ahilya Bai: রানি অহল্যা বাঈয়ের শাসন ব্যবস্থা, আজও যে কোনও সরকারের কাছে মডেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেবী অহল্যা বাঈ (Ahilya Bai) হোলকারের ৩০০তম জন্ম বার্ষিকী চলছে। এই আবহে সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের সরকারের উদ্যোগে একটি অনুষ্ঠান করা হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল অহল্যা বাঈয়ের রাজত্বকালের সুশাসন সম্পর্কে জনগণকে জানানো। দেবী অহল্যা বাঈ-এর রাজত্বকালে রাজস্ব আদায় থেকে পঞ্চায়েতের ক্ষমতায়ন ইত্যাদি সবই দেখা যে। বর্তমানে যে কোনও সরকারের নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে এমন মডেল অনুসরণযোগ্য। কেমন ছিল অহল্যা বাঈ-এর আমলে তাঁর রাজ্য পরিচালনার নীতি। এ নিয়েই আমাদের প্রতিবেদনে (Good Governance)।

    রাজ্যগুলিতে দূত নিয়োগ

    এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত করা হয়, তেমনই রানি অহল্যা বাঈ ভারতীয় রাজ্যগুলিতে তাঁর দূত নিয়োগ করতেন। তাঁর আমলে দূত হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছিল, ভগবন্ত রাও জগতাপ (উদয়পুর), মার্তন্দ্রাও আন্নাজি (জয়পুর), মাধব রাও লক্ষ্মণ (হায়দরাবাদ দক্ষিণ), খান্ডু জগদেব রাও (অযোধ্যা), শ্যামজি মোরেশ্বর (শিন্দে কোর্ট), অয়াজি জাখদেব (পুনে কোর্ট), বিঙ্কোজি কৃষ্ণা রাও (ভোলা), বিঙ্কোজি কৃষ্ণা রাও (বুধোয়া)। জিভাজি গিরমাজি (ভোপাল নবাব), বাপুজি আনন্দরাও (কোটা), বাহাদুর সিং (দিল্লি), বেঙ্কোজি শিবাজি (ডুঙ্গারপুর), বিনায়ক সদাশিব (প্রতাপগড়), কেশো ভিকাজি দাতার (পেশওয়া), জাস্কর মেহতা এবং দত্তরাম (মারওয়ার), বলওয়ান্তপুর গোবিন্দপুর (রামপুর) ইত্যাদি।

    যুদ্ধের প্রশিক্ষণ দিতে আমেরিকান কর্নেল নিয়োগ করেছিলেন অহল্যা বাঈ

    হোলকার রাজ্যের গ্রামগুলিতে যুদ্ধের প্রশিক্ষণ দেওয়া হত। তরবারি চালনা, বর্শা নিক্ষেপ এবং অন্যান্য যুদ্ধ কৌশল শেখানো হত। প্রতিবেশী রাজ্যগুলির আক্রমণ রুখতে অহল্যা বাঈ (Ahilya Bai) হোলকার তাঁর সেনাকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এর জন্য, তিনি আমেরিকান কর্নেল জেপি বাইডকে নিয়োগ করেন। কর্নেলকে প্রতি মাসে ২ হাজার টাকা বেতন দিতেন তিনি।

    কর বৃদ্ধি না করেই রাজস্ব সংগ্রহ ৭৫ লক্ষ থেকে ১.২৫ কোটি করতে পেরেছিলেন তিনি

    জানা যায়,হোলকার (Ahilya Bai) রাজ্য উত্তরে রামপুরা, দক্ষিণে রাজপুতানা এবং নিমার অঞ্চলের দক্ষিণ মালভূমি পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। এই সমস্ত অঞ্চল থেকে রাজস্ব সংগ্রহ করা হত। রাজ্যের বার্ষিক আয় ছিল ৭৫ লক্ষ টাকা। ঐতিহাসিকরা বলেন, মন্ত্রিসভা রাজ্যের ব্যয় পরিচালনার জন্য কর বৃদ্ধি করতে চাইলেও তা নাকচ করে দেন রানি। কর বৃদ্ধি না করেই রাজস্ব সংগ্রহ ১.২৫ কোটি টাকা করতে পেরেছিলেন তিনি।

    জন উন্নয়নমূলক কাজ

    পঞ্চায়েতের ক্ষমতা: সুশাসন আনতে রাজ্যের পঞ্চায়েতগুলিকে বিচার করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল।

    কর্মকর্তাদের জবাবদিহি করা: পঞ্চায়েতগুলি যাতে স্বৈরাচারী না হয়, সেকারণে কর্মকর্তাদের জবাবদিহি করতে হত রাজ্যের কাছে।

    গণশুনানি: অহল্যাবাঈ সাধারণ মানুষের সমস্যা সমাধানের জন্য প্রতিদিন গণ শুনানির ব্যবস্থা করতেন ।

    ব্যক্তিগতভাবেও শুনতেন মামলা: তাঁর রাজ্যের আদালতের সিদ্ধান্তের প্রতি কারও আপত্তি থাকলে, অহল্যাবাঈ ব্যক্তিগতভাবে তাঁদের সমস্যার কথা শুনতেন।

    দেশজুড়ে মন্দির নির্মাণ ও সংস্কার

    মথুরায় বিহারি মন্দির: অহল্যা বাঈ ভগবান কৃষ্ণের জন্মস্থান মথুরা-বৃন্দাবনে বিহারি মন্দির, চিরহরন ঘাট এবং কালিয়াদেহ ঘাট নির্মাণ করেন। হরিদ্বারে, তিনি এক কোটি টাকা ব্যয়ে হোলকার ওয়াড়া এবং ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে কুশঘাট নির্মাণ করেন।

    কাশীতে রাম মন্দির: কাশীতে, তিনি ভগবান রাম, মা সীতা, লক্ষ্মণ, ভরত, শত্রুঘ্ন এবং হনুমানের মূর্তি স্থাপন করেছিলেন।

    কাশীতে মন্দির নির্মাণ: মণিকর্ণিকা ঘাট, রামেশ্বর পঞ্চকোশী ধর্মশালা, ভগবান শিব মন্দির, দশাশ্বমেধ ঘাট, কপিল ধারা ধর্মশালা, নাগওয়া গার্ডেন, মণি কর্ণেশ্বর মন্দির, অহিলেশ্বর মন্দির এবং ঋষি অগস্ত্য কুন্ড নির্মাণ করেন।

    বিশ্বনাথ-সোমনাথ মন্দির: গুজরাটের সোমনাথ এবং বারাণসীর বিশ্বনাথ মন্দিরে আফগানিস্তান থেকে আনা চন্দন কাঠের দরজা স্থাপন করেন তিনি।

    পণ্ঢরপুরের বিঠ্ঠল মন্দির: ভগবান বিঠ্ঠলের হীরকখচিত মুকুট অহল্যা বাঈ করে দেন।

    অযোধ্যার রাম মন্দির: সরযূ নদীর দক্ষিণে শ্রী রাম মন্দির নির্মাণ করেছিলেন। স্বর্গ দ্বার, সূর্য ঘাট, নাগেশ্বর মন্দির এবং ধর্মশালাও তিনি নির্মাণ করেছিলেন রামনগরীতে। অহল্যা ঘাটও নির্মাণ করেছিলেন তিনি।

    জ্যোতির্লিঙ্গ সংস্কার: উজ্জয়িনীর ভগবান মহাকালেশ্বর মন্দির সংস্কার করেছিলেন তিনি (Ahilya Bai)।

  • Indian Economy: জাপানকে টপকে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হল ভারত

    Indian Economy: জাপানকে টপকে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের অর্থনৈতিক মানচিত্রে (Indian Economy) আরও পোক্ত হল ভারতের অবস্থান। জাপানকে টপকে ভারত এখন বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। ভারতের মোট জিডিপি চার লক্ষ কোটি ডলার ছুঁয়ে ফেলেছে। মোদি জমানায় ভারতের এমন সাফল্যের কথা ঘোষণা করেছে নীতি আয়োগের সিইও বি ভি আর সুব্রহ্মণ্যম। নীতি আয়োগের দশম গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠকের পরেই সাংবাদিক বৈঠকে সুব্রহ্মণ্যম আইএমএফের তথ্য় উল্লেখ করে বলেন,‘‘ভারত এখন চার ট্রিলিয়ন (চার লক্ষ কোটি) মার্কিন ডলারের অর্থনীতির দেশ। আজ ভারত জাপানের চেয়েও এগিয়ে।’’

    আড়াই-তিন বছরের মধ্যে আমরা বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হব

    এই ঘোষণার পরেই ভারতীয় অর্থনীতি (Indian Economy) নিয়ে বড় ভবিষ্যদ্বাণীও করেছেন সুব্রহ্মণ্যম। তিনি বলেন, ‘‘অর্থনীতির বিচারে এখন ভারতের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে কেবলমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চিন এবং জার্মানি। আমরা যদি পরিকল্পনা এবং চিন্তাভাবনা মেনে চলি, তাহলে আড়াই-তিন বছরের মধ্যে আমরা বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হব।’’ সম্প্রতিই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অ্যাপেলকে ভারতে আইফোন তৈরি না করে তা আমেরিকাতেই তৈরি করতে বলেছেন। শর্ত না মানলে অতিরিক্ত শুল্ক চাপানোরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। এনিয়ে নীতি আয়োগের সিইও বিভিআর সুব্রহ্মণ্যম বলেন, ‘‘ট্যারিফ কী হবে, তা অনিশ্চিত। বর্তমান পরিস্থিতি বিচার করলে আমাদের এখানে আইফোন তৈরি করা সস্তা হবে।’’

    মোদি সরকারের লক্ষ্য ২০২৭ সালের মধ্যে ভারতকে পাঁচ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতিতে তুলে ধরা

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মোদি জমানায় দেশজুড়ে চালু হওয়া বিভিন্ন আর্থিক সংস্কার, মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্প ভারতীয় অর্থনীতিকে (Indian Economy) এগিয়ে যেতে সহায়তা করেছে। এছাড়া আন্তর্জাতিক অর্থনীতির বর্তমান পরিস্থিতিও ভারতের পক্ষেই গিয়েছে। এসব কারণের জন্যই ভারতীয় অর্থনীতিতে সাফল্য এসেছে। প্রসঙ্গত, প্রাথমিকভাবে মোদি সরকারের লক্ষ্য হল ২০২৭ সালের মধ্যে ভারতকে পাঁচ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি হিসাবে তুলে ধরা। ইতিমধ্যে ব্যাঙ্কিং বিনিয়োগ সংস্থা জেফ্রিসের অর্থনীতি মূল্যায়নের রিপোর্ট সামনে এসেছে। সেখানে তারা বলছে, ২০২৭ সালের মধ্যে পাঁচ ট্রিলিয়ন অর্থাৎ পাঁচ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হবে ভারত (India)।

  • RSS: হিন্দু সমাজকে সংগঠিত করা থেকে জাতীয় সুরক্ষা! সাক্ষাৎকারে মোহন ভাগবত

    RSS: হিন্দু সমাজকে সংগঠিত করা থেকে জাতীয় সুরক্ষা! সাক্ষাৎকারে মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) যাত্রা শুরু হয় ১৯২৫ সাল থেকে। এই সংগঠন চলতি বছরের বিজয়া দশমীতে শততম বর্ষে পা দিচ্ছে। গত মার্চ মাসেই অনুষ্ঠিত হয় আরএসএসের অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভা। সেই সভাতেই আরএসএসের নানা দিক সাক্ষাৎকারে তুলে ধরেন সর সঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত। প্রতিবেদনে সেই সাক্ষাৎকারটি তুলে ধরা হল।

    একজন স্বয়ংসেবক এবং সর সঙ্ঘ চালক হিসেবে আরএসএসের শততম বর্ষপূর্তিকে কী চোখে দেখেন?

    এ প্রশ্নের জবাবে মোহন ভাগবত বলেন, ‘‘ডাক্তার কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার এই মিশনকে শুরু করেছিলেন। এ নিয়ে তিনি দেশের সামনে কী কী চ্যালেঞ্জ রয়েছে সেগুলোকে বিশ্লেষণ করেন এবং তার যথাযথ সমস্যার সমাধানের জন্য কোন কোন পদক্ষেপ করতে হবে সেটাও তিনি বাতলে দেন। ১৯৫০ সাল থেকেই সংঘের কার্যকর্তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়তে থাকে। দেশজুড়ে সংঘের কাজ বাড়তে থাকে। স্বয়ং সেবকরা (RSS) সমাজে কাজে অংশগ্রহণ করতে থাকেন। দশকের পর দশক ধরে স্বয়ং সেবকরা জাতীয় জাগরণে এই কাজকেই করে চলেছেন।’’

    শততম বর্ষে সবচেয়ে বড় মাইলস্টোন কী সংঘের কাছে?

    এ নিয়ে মোহন ভাগবত বলেন,‘‘আমাদের কাছে আলাদা করে কিছু নেই। ১৯৫০ সালের পর থেকেই দেখা যায় যে আরএসএস-এর (RSS) কাজ দ্রুতভাবে বাড়তে থাকে এবং হিন্দু সমাজ সংঘটিত হতে থাকে। এর পরবর্তীকালে সংঘ শক্তি আরও বহু গুণে বেড়ে যায় ১৯৭৫ সালে জাতীয় জরুরি অবস্থার সময়। এই সময়ে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ গণতন্ত্র ফেরাতে গঠনমূলক আন্দোলন করে পরবর্তীকালে একাত্মতা রথযাত্রা, কাশ্মীর সংক্রান্ত আন্দোলন, রাম জন্মভূমি মুক্তি আন্দোলন, বিবেকানন্দ সার্ধশতী- এ সমস্ত কিছুই আরএসএস করেছে এবং এর সঙ্গে সেবা কাজও চালিয়েছে।’’

    ১৯৪৮ সাল এবং ১৯৭৫ সালের সংকট নিয়ে কী বলবেন?

    প্রসঙ্গত ১৯৪৮ এবং ১৯৭৫ সালে আরএসএসকে নিষিদ্ধ করা হয়। এ নিয়ে মোহন ভাগবত বলেন, ‘‘এই দুই সময়েই এটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হয়। এটা জানা সত্ত্বেও যে আরএসএস কোনও ক্ষতিকারক সংগঠন নয়। ১৯৪৮ সালে যখন প্রথমবার নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় তখন সংঘ প্রথমবারের জন্য বুঝতে পারে তার শক্তি। এরপরে স্বয়ংসেবকরা পরিকল্পনা করেন সমাজকে পরিবর্তন করার লক্ষ্যই তাঁরা কাজ করবেন। ১৯৭৫ সালের জাতীয় জরুরি অবস্থার সময় গণতন্ত্র ফেরানোর আন্দোলন শুরু করেছিল সংঘ এবং আমরা প্রত্যেকেই অংশগ্রহণ করেছিলাম তাতে। জাতীয় জরুরি অবস্থা যখন শেষ হয়, তখন দেখা যায় সংঘ একটা শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত হয়েছে।’’

    দেশজুড়ে ভাষা-ভৌগোলিক বৈচিত্রে আরএসএস কীভাবে স্বয়ংসেবকদের প্রশিক্ষণ দেয়?

    এনিয়ে মোহন ভাগবত বলেন, ‘‘প্রথম দিন থেকে আরএসএস স্থির করেছে যে তারা সমগ্র সমাজকে সংগঠিত করবে।’’ এনিয়ে একটি গল্পও বলেন সংঘ প্রধান। তিনি বলেন, ‘‘একবার এক নতুন কার্যকর্তা সংগঠনে আসেন। তিনি সমাজতন্ত্রের আদর্শ বিশ্বাস করেন। খুব ধূমপান করতেন। প্রথমবার তাঁকে অভ্যাস বর্গে হাজির করানো হয়। যেখানে এসে এই ধরনের ধূমপান করার সুবিধা পাননি তিনি। তখন তিনি সারাটা দিন অস্থির হয়ে ওঠেন। রাতে সংগঠন সম্পাদক তাঁকে নিয়ে হাঁটতে বের হন। তাঁকে বলা হয় যে একটা সিগারেটের দোকানে যাও। কিন্তু কখনও যেন এটা ক্যাম্পের ভিতরে না হয়। পরবর্তীকালে ওই ব্যক্তি ভালো কার্যকর্তায় পরিণত হন এবং ধূমপানও ছেড়ে দেন।’’ সংঘ প্রধানের মতে, এভাবেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় সংঘে।

    আরএসএস চলছে ডাক্তারজী, গুরুজীর দেখানো পথেই! যদি পরিবর্তনের প্রয়োজন হয় তাহলে কীভাবে সেটা হবে?

    এনিয়ে মোহন ভাগবত বলেন, ‘‘ডাক্তার হেডগোয়ার এবং গুরুজীর যে চিন্তা ভাবনা, তা সনাতন ধর্মেরই প্রথা। হিন্দু সংস্কৃতির বাইরে নয় বা আলাদাও নয়। আরএসএসের পদ্ধতি হল এভাবেই কাজ করা। প্রথম দিন থেকে থেকে আমরা নীতি এবং আদর্শের ওপর ভিত্তি করেই দাঁড়িয়ে আছি। আমরা প্রেরণা এবং নির্দেশ পাই মহান মানুষদের কাছ থেকেই। কিন্তু দেশ কাল পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করেই আমাদেরকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়।’’

    বর্তমান দিনে সমাজ এবং প্রতিদিনকার জীবনযাত্রা বদলে যাচ্ছে নিত্য শাখা কী প্রাসঙ্গিক?

    এনিয়ে মোহন ভাগবত বলেন, ‘‘শাখাতেই আমরা পরম বৈভাবশালী ভারত রাষ্ট্র নির্মাণের কথা বলি। এটাই হল সংঘের শাখা। এখানেই স্বয়ংসেবকরা একত্রিত হন এবং দেশ ভক্তির একটা বাতাবরণ তৈরি হয়। একজন সাধারণ মানুষ প্রথমবারের জন্য সংঘের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারে নিত্য শাখার মাধ্যমে। ব্যক্তির সঙ্গে সামুহিকতার একটা বন্ধন তৈরি হয় এভাবে। শাখার সময়ের পরিবর্তন হতে পারে কিন্তু শাখার কোনও বিকল্প নেই।’’

    বনবাসী বা জনজাতিদের মধ্যে সংঘের কাজ কীভাবে বাড়ছে?

    বনবাসীদের মধ্যে কাজ কীভাবে বাড়ছে, এই প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের সর সংঘচালক বলেন, ‘‘আমরা তাঁদের মধ্যে থেকে সমাজকে নেতৃত্ব দিতে পারেন এমন ব্যক্তিদেরকে তুলে আনার চেষ্টা করছি। যাঁরা তাঁদের নিজেদের সমাজের জনগণের জন্য কাজ করবেন। তাঁদেরকে দেখবে এবং সমগ্র জাতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠবে। প্রতিটি জনজাতি অঞ্চলেই বাড়ছে সংঘের কাজ।’’

    হিন্দু নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে প্রতিবেশী দেশগুলিতে, সংঘের প্রতিনিধি সভায় এনিয়ে আলোচনা হয়েছে, আপনার কী মতামত?

    এই প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রধান বলেন, ‘‘ভারতের হিন্দু সমাজ যদি সংঘটিত হয় এবং শক্তিশালী হয় তাহলে স্বাভাবিকভাবেই সারা পৃথিবীর হিন্দুরা সেখান থেকে শক্তি পাবেন। এই কাজই চলছে। কিন্তু তা এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। কিন্তু নিশ্চিতভাবে একদিন হবে। বাংলাদেশে যে অস্থিরতা শুরু হয়েছে, সেখানে স্থানীয় হিন্দুরা বলছেন যে আমরা আর এখান থেকে পালাব না। আমরা এখানে থাকব। আমাদের অধিকারের জন্য সংঘর্ষ করব। হিন্দু সমাজের আভ্যন্তরীণ শক্তি বাড়ছে, একথা বলাই যায়। যেখানেই হিন্দুরা আক্রান্ত হোক বিশ্বজুড়ে, আমরা আমাদের সম্ভাব্য সমস্ত রকমের কাজই করব আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে।’’

    জাতীয় সুরক্ষার বিষয়ে সংঘের মতামত কী?

    এনিয়ে আরএসএস প্রধান বলেন, ‘‘জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে আমাদের কারও উপর নির্ভরশীল হওয়া উচিত নয়, আমাদেরকে নিজেদের আত্মরক্ষা নিজেদেরই করতে হবে। একজন সত্যিকারের ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি কখনও নিরাপদ হয় না যদি তিনি শক্তিশালী না হন। শুভ শক্তিকে রক্ষার জন্য ধর্মকে শক্তির সঙ্গে একত্রিত হতেই হবে।’’

    ভারতের ধর্মীয় ভাষাগত এবং সাংস্কৃতিক বিবিধতা সংঘ কীভাবে দেখে?

    আরএসএস প্রধান বলেন, ‘‘বিভিন্ন ভাষাভাষীর মানুষজন একসঙ্গে এসে সংঘের কাজ দেখেন। আরএসএসের যে গানগুলি রয়েছে সেগুলো শুধুমাত্র হিন্দিতেই নেই, সেগুলো বিভিন্ন ভাষাতেই রয়েছে। বিভিন্ন ভাষাতেই সংঘ শিক্ষা বর্গে গাওয়া হয় এবং প্রত্যেকটি গানের মধ্যেই রয়েছে জাতীয়তাবাদ, দেশপ্রেম, জাতীয় ঐক্য এবং সংহতি রক্ষার উদ্দেশ্যে।’’

    আরএসএস সমর্থতার কথা বলে কিছু মানুষ একতার কথা বলে সমান অধিকারের কথা বলে এই দুটোর মধ্যে পার্থক্য কী?

    এনিয়ে আরএসএস প্রধান বলেন, ‘‘সমান অধিকার বা ইকুইটি হল রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক। আর সমরসতা মানে সামাজিক ঐক্যের কথা বলি। এভাবেই আমরা স্বাধীনতা এবং সমান অধিকারকে প্রচার করি। আমাদের যে সংবিধান তা জাতিভেদ ও অস্পৃশ্যতাপর বিরুদ্ধে কথা বলছে। মানসিকভাবেই আমাদের বৈষম্য দূর করতে হবে।’’

    আরএসএস-এ বর্তমানে নারী শক্তির অংশগ্রহণ বাড়ছে এনিয়ে আপনার মতামত কী?

    এ নিয়ে আরএসএস প্রধান বলেন,‘‘১৯৩৩ সাল নাগাদ গড়ে তোলা হয় রাষ্ট্র সেবিকা সমিতি, যা ধারাবাহিকভাবে কাজ করে চলেছে। আরএসএসের শাখা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে তা পুরুষ মানুষের জন্যই। কিন্তু মহিলারা তা পর্যবেক্ষণ করছেন এবং দেখতেও পারেন। এ কথা সত্য যে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ শুধুমাত্র পুরস্কার কার্যকর্তার ওপর নির্ভরশীল নয়। আমাদের মাতৃশক্তিও সমানভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভাতে তাঁরা যোগদান করছেন।’’

    শতবর্ষে আরএসএসের প্রস্তাব পাশ হয়েছে পঞ্চ পরিবর্তন, এ নিয়ে পরিকল্পনা কী?

    মোহন ভাগবত বলেন,‘‘সামাজিক সমরসতা হল আমাদের প্রথম কাজ। এরপর আসে কুটুম্ব প্রবোধন, তার মানে ভারতবর্ষের সনাতন পরিবারের ঐতিহ্য এবং প্রথাকে মান্যতা দেওয়া। এরপর পরিবেশের সংরক্ষণ। এর সঙ্গে আসে স্ব অর্থাৎ আত্মনির্ভরতা। শেষে আসে একদম নাগরিক কর্তব্য অর্থাৎ আমরা যেন প্রত্যেকে আইন, সংবিধান এবং সামাজিক রীতি নিয়ম মেনে চলি।’’

    আগামী ২৫ বছর সংঘের কার্যক্রম কী?

    মোহন ভাগবত বলেন,‘‘ আগামী ২৫ বছর সমগ্র হিন্দু সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য আমরা কাজ করব এবং ভারতকে একটা নতুন জায়গাতে নিয়ে যাব। এভাবেই সমগ্র বিশ্বের একটা পরিবর্তন হবে।’’

    সংঘ ১০০ বছরে পা দিচ্ছে, ২০৪৭ সালের দেশের স্বাধীনতা ১০০ বছর হবে, ভারত কীভাবে বিশ্বগুরু হবে?

    এনিয়ে আরএসএস প্রধান বলেন, ‘‘এই সময় আমাদের সমাজে তিনটে ব্যধির বিরুদ্ধে লড়তে হবে। একটা হচ্ছে স্বার্থপরতা, দ্বিতীয় হচ্ছে জাতিভেদ প্রথা আর একটা হচ্ছে আত্ম বিস্মৃতি। আমরা যদি সংগঠিত থাকি।’’

    হিন্দু সমাজের শুভচিন্তকদের জন্য আপনার বার্তা কী?

    আরএসএস প্রধান বলেন (Mohan Bhagwat), ‘‘হিন্দু সমাজকে জাগ্রত হতে হবে। তাদের আভ্যন্তরীণ যে সমস্ত বিভেদ এবং বিবাদ আছে, তার সমস্ত কিছুকে মিটিয়ে দিতে হবে। তাদেরকে নিঃস্বার্থ হতে হবে। ব্যক্তিগতভাবে পারিবারিকভাবে সামাজিকভাবে এবং পেশাগতভাবে ধার্মিক হতে হবে। হিন্দুত্বের আদর্শের উপর গড়ে তুলতে হবে জীবন।’’

  • Rash Behari Bose: বৈষ্ণব বেশে আত্মগোপন করেন নবদ্বীপে! জন্মদিনে জানুন রাসবিহারী বোসের রোমাঞ্চকর কর্মকাণ্ড

    Rash Behari Bose: বৈষ্ণব বেশে আত্মগোপন করেন নবদ্বীপে! জন্মদিনে জানুন রাসবিহারী বোসের রোমাঞ্চকর কর্মকাণ্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৫ মে ভারতের সশস্ত্র সংগ্রামের অন্যতম পুরোধা মহাবিপ্লবী রাসবিহারী বসুর জন্মদিন (Rash Behari Bose)। মহান এই বিপ্লবীর কর্মকাণ্ড এককথায় রোমাঞ্চকর। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পথের দাবীর সব্যসাচী চরিত্র যেন রাসবিহারী বসু নিজেই। লর্ড হার্ডিঞ্জের ওপর বোম নিক্ষেপ হোক অথবা দেশে সোনা অভ্যুত্থানের প্রচেষ্টা। সবেতেই নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। এরপর ব্রিটিশ পুলিশের চোখে ধূলো দিয়ে জাপানে চলে যান ১৯১৫ সালের ১২ মে। এক্ষেত্রে তিনি নিজের পরিচয় দেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আত্মীয় হিসেবে। নাম নেন পি এন টেগোর। জানা যায়, খিদিরপুর ডক থেকে ‘সানুকি মারু’ নামক জাহাজে চড়ে তিনি জাপানের উদ্দেশে রওনা হন।

    রাসবিহারী বসু এনিয়ে কী লিখেছিলেন?

    গবেষকদের মতে, ১৯১৪ সালেই তাঁর বিদেশ যাওয়ার সমস্ত রকমের ব্যবস্থা হয়ে গিয়েছিল (Indian Freedom Fighter)। তখন ব্রিটিশ সরকার তাঁকে গ্রেফতার করতে উঠেপড়ে লেগেছিল বলে জানা যায়। একাধিক বড় বড় রেলস্টেশনে তাঁর ছবি টাঙানো হয়েছিল। রাসবিহারীকে (Rash Behari Bose) ধরিয়ে দিলে মোটা টাকার পুরস্কার ঘোষণা হয়েছিল। তখন পুরস্কারের অঙ্কটা নেহাত কম ছিল না। এই সময়ই ঠিক হয় তিনি নবদ্বীপে থাকবেন। নিরাপদে আত্মগোপন করবেন। এনিয়ে রাসবিহারী (Rash Behari Bose) লিখেছেন, “নবদ্বীপ একটি তীর্থস্থান। অথচ সাধারণতঃ সেখানে তত বেশী লোক যাওয়া আসা করে না। কিছু দিন সেখানে থাকাই ঠিক হইল। তাছাড়া সেই সময় আমাদেরই একজন লোক সেখানে ছিল, তাহার মতে নবদ্বীপ খুব নিরাপদ স্থান। এই সমস্ত ঠিক করিয়া…‌‌ তখন একজন ভট্টাচার্য্য ব্রাহ্মণের মতন ছিলাম। পৈতে তো ছিলই, তার উপর একটি টিকিও ছিল… পশুপতি যেমন নির্ভীক তেমনি বুদ্ধিমান। তাহাকে সঙ্গে করিয়া বরাবর ট্রেনে নবদ্বীপ গিয়া হাজির। ঠাকুর (ত্রৈলোক্য মহারাজ) সেখানে ছিল। সেখানে কিছুক্ষণ বিশ্রাম করিয়া একটি বাড়ি ভাড়া করিবার জন্য খুঁজিতে বাহির হইলাম। নবদ্বীপের একপ্রান্তে এক বৈরাগীর এক বাড়ী ছিল। ২টি ঘর। সেটি ভাড়া করিলাম। সেখানে প্রায় একমাসের ওপর ছিলাম।”

    বাড়িটির বর্তমান অবস্থান

    জানা যায়, ওই বাড়িটি নবদ্বীপের ব্রজানন্দ গোস্বামী রোডে অবস্থিত। এমনটাই দাবি করে শ্রীমদনমোহন মন্দির কর্তৃপক্ষ। মন্দিরে ঢুকেই ডান হাতের প্রথম ঘরটিতেই থাকতেন রাসবিহারী (Rash Behari Bose), এমনটাই বলছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। এমনকি বিপ্লবী যে টেবিল-চেয়ার ব্যবহার করতেন, যে টেমির আলোয় লিখতেন, সে সবও তাঁরা সংরক্ষিত হয়ে রয়েছে। তদানীন্তন মন্দির-প্রধান প্রভুপাদ প্রাণগোপাল গোস্বামীই তাঁকে আশ্রয় দিয়েছিলেন বলে জানা যায়।

LinkedIn
Share