Author: subhra-katwa

  • Daily Horoscope 23 August 2025: কর্মক্ষেত্রে উন্নতির যোগ এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 23 August 2025: কর্মক্ষেত্রে উন্নতির যোগ এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

     

     

    মেষ

    ১) কর্মক্ষেত্রে উন্নতি শেষ মুহূর্তে গিয়ে আটকে যাওয়ায় মনঃকষ্ট।

    ২) সকাল থেকে স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদ হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) ব্যয় বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ২) পারিবারিক ভ্রমণে বাধা পড়তে পারে।

    ৩) সতর্ক থাকবেন সব বিষয়ে।

     

     

    মিথুন

    ১) কোনও নিকটাত্মীয়ের জন্য সংসারে বিবাদ।

    ২) ব্যবসায় বিবাদের যোগ থাকলেও লাভ বাড়তে পারে।

    ৩) বাণীতে সংযম জরুরি।

     

     

    কর্কট

    ১) দুর্বুদ্ধিকে প্রশ্রয় দেবেন না।

    ২) প্রিয়জনের কাছ থেকে আঘাত পেতে পারেন।

    ৩) সবাইকে ভালোভাবে কথা বলুন।

    সিংহ

    ১) ব্যবসার ক্ষেত্রে তর্ক-বিতর্ক ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

    ২) আর্থিক সুবিধা পেতে পারেন।

    ৩) প্রতিকূল কাটবে দিনটি।

    কন্যা

    ১) কর্মক্ষেত্রে উন্নতির যোগ।

    ২) সকালের দিকে কোনও দুশ্চিন্তা মাথা খারাপ করবে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    তুলা

    ১) বিষয়-সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে গুরুজনের সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে বাড়িতে বিবাদের সম্ভাবনা।

    ২) কোনও মহিলার জন্য বাড়িতে আনন্দ বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ৩) দিনটি মোটামুটি কাটবে।

    বৃশ্চিক

    ১) সকালের দিকে পেটের ব্যথায় কষ্ট পেতে পারেন।

    ২) কেনাকাটার জন্য খরচ বাড়তে পারে।

    ৩) আশাপূরণ।

    ধনু

    ১) কোনও কাজে সময় নষ্ট হতে পারে।

    ২) চাকরির শুভ যোগাযোগ লাভে আনন্দ।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    মকর

    ১) মা-বাবার সঙ্গে বিশেষ আলোচনা।

    ২) ব্যবসায় লাভের যোগ।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    কুম্ভ

    ১) ব্যবসার কাজে মাথাগরম করবেন না।

    ২) বুদ্ধির ভুলের জন্য ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) আশা পূরণ।

    মীন

    ১) মনের মতো স্থানে বেড়াতে যাওয়ায় আনন্দ লাভ।

    ২) মিথ্যা বদনাম থেকে সাবধান।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Ramakrishna 449: ঠাকুর গাড়ি করিয়া নিমগড়, স্বামীর গলিতে, দেবেন্দ্রর বাড়িতে যাইতেছেন

    Ramakrishna 449: ঠাকুর গাড়ি করিয়া নিমগড়, স্বামীর গলিতে, দেবেন্দ্রর বাড়িতে যাইতেছেন

    শ্রী রামকৃষ্ণ (পল্টুর প্রতি):— তুই তোর বাবাকে কী বললি?

    (মাস্টারের প্রতি)— ও নাকি ওর বাবাকে জবাব দিয়েছে এখানে আসবার কথায়।

    (পল্টুর প্রতি) — তুই কী বললি, পল্টু?

    পল্টু: — বলেছিলাম, “হ্যাঁ, আমি তার (ঠাকুরের) কাছে যাই। এতে কোনো অন্যায় দেখি না।”

    (ঠাকুর ও মাস্টার হেসে ওঠেন)

    পল্টু (দৃঢ়ভাবে):— যদি দরকার হয়, আরও বেশি করে বলব।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (মাস্টারের প্রতি): না কিগো, অত দূর?

    মাস্টার: আজ্ঞে, না — অত দূর ভালো নয়। (ঠাকুরের হাস্য)

    শ্রীরামকৃষ্ণ (বিনোদের প্রতি): তুই কেমন আছিস? সেখানে গেলি না?

    বিনোদ: আগে যাচ্ছিলাম, আবার ভয় — গেলাম না। একটু অসুখ করেছে, শরীর ভালো নয়।

    শ্রীরামকৃষ্ণ: জনা, সেইখানে বেশ হওয়া সেরে যাবি।

    ছোট নরেন আছেন। ঠাকুর মুখ ধুতে যেতে চান। ছোট নরেন গামছা নিয়ে ঠাকুরকে জল দিতে গেলেন। মাস্টারও সঙ্গে সঙ্গে আছেন।

    ছোট নরেন পশ্চিমের বারান্দার উত্তর কোণে ঠাকুরের পা ধুয়ে দিচ্ছেন। কাছে মাস্টার দাঁড়িয়ে আছেন।

    শ্রী রামকৃষ্ণ: তুমি কেমন করে ওই টুকুর ভিতর থাকো?
    উপরের ঘরে গরম হয় না?

    মাস্টার: আজ্ঞে হ্যাঁ, খুব গরম হয়।

    শ্রী রামকৃষ্ণ: তাতে পরিবারের মাথার অসুখ। ঠান্ডায় রাখবে?

    মাস্টার: আজ্ঞে হ্যাঁ, বলে দিয়েছি নিচের ঘরে শুতে।

    ঠাকুর বৈঠকখানার ঘরে আবার আসিয়া বসে আছেন ও মাস্টারকে বলিতেছেন— “তুমি এ রবিবারেও যাও নাই কেন?”

    মাস্টার:আগে বাড়িতে তো আর কেউ নাই। তাতে আবার ব্যারাম, কেউ দেখবার নেই।

    ঠাকুর গাড়ি করিয়া নিমগড়, স্বামীর গলিতে, দেবেন্দ্রর বাড়িতে যাইতেছেন।
    সঙ্গে ছোট নরেন, মাস্টার, আরও দুই-একজন ভক্ত।
    পূর্ণর কথা কইতেছেন, পূর্ণর জন্য ব্যাকুল হইয়া আছেন।

    শ্রী রামকৃষ্ণ: খুব আস্থা।
    তা না হলে ওর জন্য চাকরি জুটিয়ে দিতেন?
    ও তো এসব কথা জানে না।

  • Election Commission: মমতার তর্জন-গর্জন টিকল না কমিশনের সামনে, সাসপেন্ড করতেই হল চার আধিকারিককে

    Election Commission: মমতার তর্জন-গর্জন টিকল না কমিশনের সামনে, সাসপেন্ড করতেই হল চার আধিকারিককে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটার তালিকায় অবৈধভাবে নাম তোলার অভিযোগ ছিল রাজ্যের চার আধিকারিকের বিরুদ্ধে। এরপরে এই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নবান্নকে নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। কিন্তু সেই সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঝাড়গ্রামের সভা থেকে সপ্তম সুরে বলেছিলেন যে, কোনও আধিকারিকের বিরুদ্ধে তিনি কোনও ব্যবস্থা নেবেন না। এরপরই রাজ্যের মুখ্যসচিবকে তলব করে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। তারপরেই রাজ্যের ওই চার আধিকারিককে সাসপেন্ড করতে বাধ্য হল মমতা সরকার। যে তর্জন-গর্জন মুখ্যমন্ত্রী শুনিয়েছিলেন ঝাড়গ্রামে, তা আর ধোপে টিকল না নির্বাচন কমিশনের সামনে—সাসপেন্ড করতেই হল। তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তও করবেন মুখ্যসচিব।

    ৮ অগাস্ট চিঠি পাঠিয়েছিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)

    প্রসঙ্গত, রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে গত ৮ অগাস্ট চিঠি পাঠিয়েছিল নির্বাচন কমিশন এবং ওই চিঠিতে (Election Commission) উল্লেখ করা হয় যে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে চার সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতে হবে, বিভাগীয় তদন্ত শুরু করতে হবে এবং তাদেরকে সাসপেন্ড করতে হবে। এ জন্য ৭২ ঘণ্টা সময়ও বেঁধে দেওয়া হয়েছিল (West Bengal)। কিন্তু এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি কারোর পানিশমেন্ট হতে দেব না।’’

    ১৩ অগাস্ট মুখ্যসচিবকে দিল্লিতে ডেকে পাঠায় কমিশন

    পরবর্তীকালে ১৩ অগাস্ট মুখ্যসচিবকে (West Bengal) দিল্লিতে ডেকে পাঠায় কমিশন। তারপরেই বৃহস্পতিবার সামনে এল খবর এবং নবান্ন সূত্রে জানা গেল যে, ওই চার আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। অর্থাৎ, নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) সামনে মমতার অবৈধ ভোটারদের পক্ষের যে প্রতিবাদ, তা টিকল না। এখানেই উঠছে প্রশ্ন—সরকারি আধিকারিকদের নাম জড়িয়েছে যে তাঁরা অবৈধ ভোটারদের নাম তালিকায় তুলছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে সাংবিধানিক সংস্থা নির্বাচন কমিশন যখন পদক্ষেপ করতে বলছে, তখন কেন রাজ্য সরকার তার বিরোধিতা করছিল এতদিন? কমিশনের (Election Commission) বিরুদ্ধে গিয়ে কি অবৈধ ভোটারদের তালিকায় রেখে দিতে চাইছিল নবান্ন? এ প্রশ্নও উঠছে। তবে এসবের মাঝে ওই আধিকারিকদের সরাতেই হল।

  • PM Modi: তিন মেট্রো রুটের উদ্বোধন করতে আজ রাজ্যে মোদি, করবেন জনসভাও, রইল প্রধানমন্ত্রীর সম্পূর্ণ সফরসূচি

    PM Modi: তিন মেট্রো রুটের উদ্বোধন করতে আজ রাজ্যে মোদি, করবেন জনসভাও, রইল প্রধানমন্ত্রীর সম্পূর্ণ সফরসূচি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। এই আবহে শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গ সফরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তবে এই সফর পুরোপুরি রাজনৈতিক নয়। দমদমে একটি জনসভায় অংশগ্রহণ এবং একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন তিনি। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদি শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টা নাগাদ পাটনা থেকে কলকাতায় এসে পৌঁছবেন। সেখান থেকে সড়কপথে তিনি যশোর রোড মেট্রো স্টেশনের উদ্দেশে রওনা দেবেন। সেখানে তিনি মেট্রো রেল-সহ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।

    বক্তব্য রাখবেন ‘পরিবর্তন সংকল্প যাত্রা’তে

    উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) মেট্রো রেলে করে বিমানবন্দরে যাবেন এবং সেখান থেকে আবার যশোর রোড স্টেশনে ফিরে আসবেন। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাঁর দমদম (Dumdum) সেন্ট্রাল জেল ময়দানে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। ওই সরকারি অনুষ্ঠান শেষ হতেই তিনি বিজেপির ‘পরিবর্তন সংকল্প সভা’-য় বক্তব্য় রাখবেন।

    একনজরে মোদির সফর – ২২ অগাস্ট, শুক্রবার

    বাংলার মাটিতে পা রাখবেন 

    বিকেল ৪:০৫ — কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)

    ৪:১০ — সড়কপথে রওনা হবেন যশোর রোড মেট্রো স্টেশনের উদ্দেশে

    মেট্রো রুট উদ্বোধন

    ৪:১৫ — মেট্রোর নতুন তিনটি রুট উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নিজে উপস্থিত থেকে। এরপর মেট্রো চড়ে যশোর রোড মেট্রো স্টেশন থেকে বিমানবন্দর (জয় হিন্দ স্টেশন) পর্যন্ত যাবেন
    ৪:৩৫ — ওই ট্রেনে চেপেই যশোর রোড মেট্রো স্টেশনে ফিরে আসবেন

    সরকারি অনুষ্ঠান

    ৪:৪৫ – ৫:১৫ — দমদম সেন্ট্রাল জেল মাঠে প্রশাসনিক মঞ্চে। একাধিক সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন

    রাজনৈতিক ভাষণ

    ৫:২০ — উঠবেন বিজেপির রাজনৈতিক মঞ্চে (প্রশাসনিক মঞ্চের পাশেই)

    ৫:৩০ – ৬:১৫ — ‘পরিবর্তন সংকল্প যাত্রা’-য় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী

    সফর শেষ করে ফিরে যাওয়া

    ৬:১৫ — সড়কপথে কলকাতা বিমানবন্দরের (Dumdum) উদ্দেশে রওনা

    ৬:৩০ — দিল্লির উদ্দেশে বিমানে রওনা হওয়ার কথা

    যে তিনটি মেট্রো রুটের উদ্বোধন হচ্ছে:

    শিয়ালদা – এসপ্ল্যানেড

    বেলেঘাটা – হেমন্ত মুখোপাধ্যায় (রুবি)

    নোয়াপাড়া – জয় হিন্দ (বিমানবন্দর)

    অতিরিক্ত উদ্বোধন:

    হাওড়া মেট্রো স্টেশনের সাবওয়ে-এরও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

  • Daily Horoscope 22 August 2025: অযথা অর্থ ব্যয় হবে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 22 August 2025: অযথা অর্থ ব্যয় হবে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) শুধু শরীর সম্পর্কে আজ আপনাকে একটু সতর্ক থাকতে হবে।

    ২) রোজগার অনেকটাই বাড়বে, নিশ্চিত থাকুন।

    ৩) কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ অনুকূল থাকছে।
    বৃষ
    ১) অর্থলাভের পক্ষে দিনটি আপনার ভালোই কাটতে চলেছে।
    ২) অপ্রত্যাশিত অর্থলাভের যোগও দেখা যাচ্ছে আজকে।
    ৩) বন্ধুদের সঙ্গে দিনটি আনন্দে কাটাবেন।
    মিথুন
    ১) শারীরিক ও মানসিক উৎকণ্ঠা আজ আপনাকে পোহাতে হবে।
    ২) কর্মক্ষেত্রেও থাকবে ঝঞ্ঝাট ও উত্তেজনাপূর্ণ পরিবেশ।
    ৩) অর্থলাভের ক্ষেত্রে বাধার সম্মুখীন হবেন, অন্যদিকে ব্যয়ও বাড়বে।
    কর্কট
    ১) গৃহে বা বন্ধু স্থানীয় কোনও ব্যক্তির সঙ্গে মনোমালিন্যের সম্ভাবনা প্রবল রয়েছে।
    ২) নিজের কোনও গুণের জন্য সমাজের কাছে সমাদর পাবেন।
    ৩) মানসিক অশান্তি ও দুশ্চিন্তা বৃদ্ধি হবে আজ।
    সিংহ
    ১) উল্টোপাল্টা ঝামেলায় জড়িয়ে পড়বেন, এর ফলে মানসিক শান্তি নষ্ট হতে পারে।
    ২) শারীরিক দিক থেকেও দিনটি ভালো যাবে না, অস্বস্তি বোধ করবেন কোনও কারণে।
    ৩) সতর্ক থাকুন, কারও সাথে অযথা বাদানুবাদ সৃষ্টি হতে পারে।
    কন্যা
    ১) দিনটা খারাপ ভালো মিশিয়েই কাটবে।
    ২) শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে অস্বস্তি আজ আপনাকে বয়ে চলতে হবে।
    ৩) পূর্ব পরিচিত কোনও ব্যক্তির সঙ্গে দীর্ঘদিন পরে সাক্ষাৎলাভ হবে।
    তুলা
    ১) ছোটখাট ঘটনায় সাময়িক উদ্বেগ হবে, তবে তা ক্ষণস্থায়ী, বাকি দিনটা আনন্দেই কাটবে।
    ২) অপ্রত্যাশিতভাবে অর্থলাভের যোগ রয়েছে আজ।
    ৩) গৃহে অতিথির আগমন হবে, এর ফলে ব্যয় বৃদ্ধি হবে।
    বৃশ্চিক
    ১) আর্থিক দিক থেকে দিনটি শুভ।
    ২) সতর্ক থাকতে হবে, কর্মক্ষেত্রে হঠাৎ কোনও ঝামেলা ও নতুন সমস্যা দেখা দিতে পারে।
    ৩) শারীরিক সুখ নষ্ট হবে, কোনও রোগের কারণে।
    ধনু
    ১) কোনও শুভ প্রচেষ্টার পক্ষে দিনটি মোটেও ভালো নয়, তাই বিরত থাকুন।
    ২) আয় ও আর্থিক ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই আজকে।
    ৩) বাহ্যিক আনন্দ প্রকাশ পাবে, তবে পুরনো কোনও কারণে মনের দিক থেকে চাপা গুমোট ভাব থাকবে।
    মকর
    ১) কর্মক্ষেত্রে হঠাৎ কোনও ঝামেলা আজকে আপনাকে মোকাবিলা করতে হবে।
    ২) শরীর আপনাকে বিপাকে ফেলতে পারে। তবে আয়ের ক্ষেত্রে শুভ দিন।
    ৩) তুলনামূলকভাবে ব্যবসায়ীদের আয় বাড়বে।
    কুম্ভ
    ১) অযথা অর্থ ব্যয় হবে আজকে।
    ২) কোনও পূর্ব পরিকল্পনা করে থাকলে তা হঠাৎ বানচাল হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা।
    ৩) নিজ ভুলে অর্থহানির যোগ রয়েছে।
    মীন
    ১) পূর্বের কোনও ঘটনার জেরে ফের মানসিক আঘাত পেতে পারেন।
    ২) আইন সংক্রান্ত যে কোনও ঝামেলা এড়িয়ে চলুন।
    ৩) কর্মক্ষেত্র ও আর্থিক ব্যাপারে আজকের দিনটা ভালোই কাটবে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Ramakrishna 448: ছোট নরেন গামছা নিয়ে ঠাকুরকে জল দিতে গেলেন, মাস্টারও সঙ্গে সঙ্গে আছেন

    Ramakrishna 448: ছোট নরেন গামছা নিয়ে ঠাকুরকে জল দিতে গেলেন, মাস্টারও সঙ্গে সঙ্গে আছেন

    মাস্টার বলিতেছেন, এই ছেলেটি বেশ ঈশ্বরের কথায় খুব আনন্দ

    শ্রীরামকৃষ্ণ সহাস্যে- চোখ দুটি যেন হরিণের মতো

    ছেলেটি ঠাকুরের পায়ে হাত দিয়ে ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম করিল ও অতি ভক্তিভাবে ঠাকুরের পথ সেবা ঠাকুর ভক্তদের কথা কহিতেছেন

    শ্রীরামকৃষ্ণ- মাস্টার কি রাখালের বাড়িতে আছে। তারও শরীর ভালো নয়। ফোড়া হয়েছে একটি ছেলে বুঝি তার হবে শুনলাম

    পল্টু ও বিনোদ সম্মুখে বসে আছেন

    শ্রী রামকৃষ্ণ (পল্টুর প্রতি):— তুই তোর বাবাকে কী বললি?

    (মাস্টারের প্রতি)— ও নাকি ওর বাবাকে জবাব দিয়েছে এখানে আসবার কথায়।

    (পল্টুর প্রতি) — তুই কী বললি, পল্টু?

    পল্টু: — বলেছিলাম, “হ্যাঁ, আমি তার (ঠাকুরের) কাছে যাই। এতে কোনো অন্যায় দেখি না।”

    (ঠাকুর ও মাস্টার হেসে ওঠেন)

    পল্টু (দৃঢ়ভাবে):— যদি দরকার হয়, আরও বেশি করে বলব।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (মাস্টারের প্রতি):
    না কিগো, অত দূর?

    মাস্টার:
    আজ্ঞে, না — অত দূর ভালো নয়।
    (ঠাকুরের হাস্য)

    শ্রীরামকৃষ্ণ (বিনোদের প্রতি):
    তুই কেমন আছিস? সেখানে গেলি না?

    বিনোদ: আগে যাচ্ছিলাম, আবার ভয় — গেলাম না। একটু অসুখ করেছে, শরীর ভালো নয়।

    শ্রীরামকৃষ্ণ: জনা, সেইখানে বেশ হওয়া সেরে যাবি।

    ছোট নরেন আছেন। ঠাকুর মুখ ধুতে যেতে চান। ছোট নরেন গামছা নিয়ে ঠাকুরকে জল দিতে গেলেন। মাস্টারও সঙ্গে সঙ্গে আছেন।

    ছোট নরেন পশ্চিমের বারান্দার উত্তর কোণে ঠাকুরের পা ধুয়ে দিচ্ছেন। কাছে মাস্টার দাঁড়িয়ে আছেন।

  • Online Gaming Bill: লোকসভার পর রাজ্যসভাতেও পাশ অনলাইন গেমিং বিল

    Online Gaming Bill: লোকসভার পর রাজ্যসভাতেও পাশ অনলাইন গেমিং বিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভায় পাশ হওয়ার পর এবার রাজ্যসভাতেও পাশ হল ‘দ্য প্রোমোশন অ্যান্ড রেগুলেশন অব অনলাইন গেমিং বিল, ২০২৫’। বুধবার এই বিল লোকসভায় পাশ হয়। তার ঠিক পরদিন, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার, এটি রাজ্যসভায় পেশ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। বিলটি পেশ (Online Gaming Bill) হতেই বিরোধীরা হৈ হট্টগোল শুরু করে। তবে তাতে আটকানো যায়নি। অবশেষে ধ্বনি ভোটের মাধ্যমেই রাজ্যসভাতেও বিলটি পাশ হয়ে যায়।

    কী বললেন অশ্বিনী বৈষ্ণব

    বিল পাশের (Online Gaming) পর প্রতিক্রিয়ায় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন,
    “এই বিল সমাজে একটি ভারসাম্য তৈরি করবে। ইতিবাচক ও কল্যাণকর গেমিংকে উৎসাহ দেবে, আর যে গেমিং (Online Gaming Bill) যুব সমাজের জন্য ক্ষতিকর, তার থেকে রক্ষা করবে।” নতুন বিল অনুযায়ী, কোন ধরনের গেম উৎসাহিত করা হবে আর কোনটি নিষিদ্ধ— সে বিষয়ে সংসদে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন মন্ত্রী। তিনি জানান, অনলাইন গেমিংকে উৎসাহিত (Online Gaming Bill) করা হলেও, যেসব গেম অর্থের বিনিময়ে খেলা হয় বা জুয়ার সঙ্গে যুক্ত, সেগুলোকে নিষিদ্ধ করা হবে।

    অশ্বিনী বৈষ্ণব অনলাইন গেমিংকে তিন ভাগে ভাগ করেন

    ই-স্পোর্টস

    অনলাইন সোশ্যাল গেমস

    অনলাইন মানি গেমস

    মন্ত্রী জানান, ই-স্পোর্টসকে দেশের অন্যান্য খেলাধুলোর মতোই উৎসাহ দেওয়া হবে। অনলাইন সোশ্যাল গেমসকে (Online Gaming Bill) তরুণ প্রজন্মের সৃজনশীলতা ও প্রযুক্তিমনস্কতার অংশ হিসেবে গুরুত্ব দেওয়া হবে।

    তবে নিষিদ্ধ হচ্ছে কোন গেমগুলো?

    মন্ত্রী স্পষ্ট করে বলেন, ‘অনলাইন মানি গেমস’, অর্থাৎ যেসব গেমে আর্থিক বিনিয়োগ করতে হয় এবং যার মাধ্যমে মানুষ আসক্ত হয়ে পড়ে ও সর্বস্ব হারায়—এমন গেমগুলোই নিষিদ্ধ হবে। এই গেমগুলোর অ্যালগোরিদম এমনভাবে তৈরি, যা ব্যবহারকারীকে বারবার বিনিয়োগে বাধ্য করে, কিন্তু বিনিয়োগ করা অর্থ ফেরত পাওয়ার কোনো বাস্তব সম্ভাবনা থাকে না। এছাড়া এই প্ল্যাটফর্মগুলো থেকেই অর্থপাচার, আর্থিক প্রতারণা এবং এমনকি সন্ত্রাসে অর্থ জোগান দেওয়ার ঘটনাও ঘটছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

    গেমিং অ্যাপগুলোর মাধ্যমেই প্রতি মাসে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয় ভারতে

    কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শুধু ফ্যান্টাসি গেমিং অ্যাপগুলোর মাধ্যমেই প্রতি মাসে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয় ভারতে। ফলে এই খাতে গত কয়েক বছরে হঠাৎ করেই অনেক ছোট-বড় সংস্থা গজিয়ে উঠেছে। এখন থেকে এমন অ্যাপ পরিচালনাকারীদের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হওয়া হবে, জানিয়েছেন বৈষ্ণব। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর এই বিল আইনে পরিণত হলে, বিল ভঙ্গ করলে ১ কোটি টাকা জরিমানা ও সর্বোচ্চ তিন বছরের জেল হতে পারে। আর যারা সরাসরি জড়িত না থেকেও এই গেমিং অ্যাপের বিজ্ঞাপন করছেন, তাদের উপর ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা আরোপ করা হবে।

  • Indian Constitution: ৩০ দিন জেলে থাকলে যাবে মন্ত্রীত্ব, ১৩০তম সংবিধান সংশোধনকে কেন এত ভয় বিরোধীদের?

    Indian Constitution: ৩০ দিন জেলে থাকলে যাবে মন্ত্রীত্ব, ১৩০তম সংবিধান সংশোধনকে কেন এত ভয় বিরোধীদের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুরুতর ফৌজদারি অভিযোগে দায়ের মামলায় গ্রেফতার বা আটক হয়ে ৩০ দিন জেলবন্দি থাকলে চলে যাবে মন্ত্রিত্ব। প্রধানমন্ত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থেকে রাজ্যের মন্ত্রী কিংবা প্রতিমন্ত্রী রেয়াত করা হবে না কাউকেই। ৫ বছরের বেশি কারাবাসের সাজা হতে পারে এমন ফৌজদারি মামলায় ৩০ দিনের বেশি জেলবন্দি থাকলেই যাবে মন্ত্রিত্ব। বুধবার লোকসভায় ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিলটি (Indian Constitution) পেশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। আর ইতিমধ্যেই তা নিয়ে রে রে করে উঠেছে বিরোধীরা। আর সেই তাণ্ডবের পুরভাগে রয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। দুর্নীতির বিরুদ্ধে মোদি সরকারের এই বলিষ্ঠ পদক্ষেপে বিরোধীদের তাণ্ডবে প্রশ্ন উঠছে, যাঁদের চুরি, জোচ্চুরি, দুর্নীতি এবং অপরাধের মামলায় জেলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তারাই বিলের বিরোধিতায় সরব?

    অপরাধমুক্ত রাজনৈতিক পরিবেশ গড়ে তুলতেই ঐতিহাসিক পদক্ষেপ

    অপরাধমুক্ত রাজনৈতিক পরিবেশ গড়ে তুলতেই ঐতিহাসিক পদক্ষেপ করেছে মোদি সরকার। সংবিধান (Indian Constitution) সংশোধন করে অপরাধে অভিযুক্ত মন্ত্রীদের পদ থেকে সরানোর ব্যবস্থা করছে তারা। আর তাতেই সবচেয়ে বেশি জ্বালা ধরেছে সেই বিরোধীদের। যাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি অপরাধের অভিযোগ ভুরি ভুরি। ভেবে দেখুন যে কোনও সরকারি কর্মচারী যদি ২৪ ঘণ্টা জেলবন্দি থাকেন, তাহলে তাঁর পরিণতি ঠিক কী হতে পারে। আইন অনুসারে চাকরি হারাতে হয় সেই সরকারি কর্মীকে। তবে মন্ত্রীরা বাদ যাবেন কেন? নৈতিকতা কি শুধু সাধারণ নাগরিকদের জন্য প্রযোজ্য? ভোটে জিতলে কি নৈতিকতা পকেটে করে নিয়ে ঘোরা যায়? গ্রেফতারির ৩০ দিনের মধ্যে যদি কাউকে আদালত জামিন না দেয় তাহলে ধরে নেওয়া যেতেই পারে যে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের পক্ষে ধর্তব্যযোগ্য প্রমাণ রয়েছে।

    সংবিধান নির্মাতাদের কল্পনারও বাইরে ছিল, চুরির দায়ে মন্ত্রীরা জেলে যেতে পারেন

    এদেশের সংবিধান তৈরির (Indian Constitution) জন্য গঠিত হয়েছিল গণপরিষদ, যার সভাপতি ছিলেন ডক্টর রাজেন্দ্র প্রসাদ। খসড়া কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন বাবাসাহেব বি আর আম্বেদকর। ১৯৪৬ সালের ৯ ডিসেম্বর গণপরিষদের প্রথম অধিবেশন বসে, যার সভাপতিত্ব করেন সচ্চিদানন্দ সিনহা। এইভাবে ধাপে ধাপে চলতে থাকে সংবিধানের কাজ। ২ বছর ১১ মাস ১৮ দিন পরে সংবিধান রচনা শেষ হয়। ১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর গণপরিষদের সংবিধান গৃহীত হয়। দেশে সংবিধান লাগু হয় ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি। এই এত দীর্ঘ সময় ধরে সংবিধান নির্মাতারা বসে বসে সংবিধানকে নির্মিত করেন। কিন্তু তখনও সংবিধান নির্মাতারা এটা বুঝতে পারেননি যে অত্যাচারী ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার জন্য জেলে যেতে হত নেতাদের স্বাধীনতার আগে, আর স্বাধীনতার পরে দুর্নীতি-অপরাধের দায়ে নেতারা জেলে যাবেন, মন্ত্রীরা জেলে যাবেন, তার পরেও তারা নিজেদের পদ ছাড়বেন না।

    অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক

    খুব সাম্প্রতিক উদাহরণ দেওয়া যায়— দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতারির পরেও ইস্তফা দেননি রাজধানীর তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। জেলে বসে দিনের পর দিন রাজ্য শাসন করেছেন তিনি। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গে প্রায় একই ঘটনা ঘটেছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ক্ষেত্রে। রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতারির পরেও বনমন্ত্রীর পদে বহাল ছিলেন তিনি। গ্রেফতারির প্রায় সাড়ে তিন মাস পর মন্ত্রিসভা থেকে তাঁকে সরান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানেই উঠছে নৈতিকতার প্রশ্ন। দুর্নীতির অভিযোগে জেলবন্দি দশাতেও কি রাজ্য শাসন করা যায়? চালানো যায় মন্ত্রক বা দফতর? তাছাড়া এই ধরণের নজিরে জনমানসে ধারণা তৈরি হতে পারে যে একবার ভোটে জিতলে জেলে গেলেও ক্ষমতার সুখ যাবে না। এই জায়গাটাতেই আঘাত হেনেছে মোদী সরকার। যে গুরুতর অপরাধ করে কোনও মন্ত্রী জেলে গেলে ৩০ দিনের মধ্যে আদালত তাঁকে জামিন না দিলে চলে যাবে তাঁর মন্ত্রী পদ। হতে পারে তিনি প্রধানমন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রী। নতুন এই বিল অনুযায়ী, কোনও রাজ্যের রাজ্যপাল বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে লেফটেন্যান্ট গভর্নর নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীকে পদ থেকে সরাতে পারবেন। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীকে সরানোর ক্ষমতা থাকছে রাষ্ট্রপতির হাতে। রাজ্যের মন্ত্রীদের সরাবেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে তাঁদের বিধায়ক ও সাংসদ পদ বহাল থাকবে।

    কেন বিলের বিরোধিতায় বিরোধীরা (130th Constitution Amendment Bill)

    এই বিলের যাঁরা বিরোধিতা করছে, তাঁরা কি বলতে চাইছে যে তাঁরা অপরাধ করবেন, তারপরেও তাঁরা মন্ত্রী থেকে যাবেন? তাঁরা দুর্নীতি করবেন, তারপরেও তাঁরা মন্ত্রী থেকে যাবেন? তাঁদের এই ভয় যে, অপরাধ এবং দুর্নীতির দায়ে তাদের জেল হতে পারে, এটা তাঁরা জানেন। কিন্তু কোনওভাবে তাঁরা মন্ত্রিত্ব ছাড়বেন না (Indian Constitution)। ঠিক যেমনটা অরবিন্দ কেজরিওয়াল করেছিলেন। বুধবার, সংসদে যখন বিরোধীদের হট্টগোল চরমে তাখন তাঁদের চুপ করিয়ে দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের একটি বক্তব্য। শাহ বলেন, “আমরা এতটাই নির্লজ্জ হতে পারি না যে গুরুতর অপরাধের অভিযোগ থাকার পরেও সাংবিধানিক পদ (130th Constitution Amendment Bill)
    দখল করে থাকব।”

    গর্জে উঠলেন অমিত শাহ

    এ নিয়ে আবার কংগ্রেস সাংসদ কে. সি. বেনুগোপালকে অমিত শাহের ইতিহাস টানতে দেখা যায়। অমিত শাহও গুজরাতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন জেলে গিয়েছিলেন বলে দাবি করেন তিনি। কে. সি. বেনুগোপাল বলেন, “এই বিল সংবিধানের মৌলিক নীতিগুলিকে ধ্বংস করছে। আমি কি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে একটা প্রশ্ন করতে পারি? গুজরাটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তিনি কি তখন নৈতিকতার মান রক্ষা করেছিলেন?” এরই পাল্টা হিসেবে গর্জে ওঠেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই। আমার বিরুদ্ধে ভুয়ো অভিযোগ আনা হয়েছিল। তবুও আমি নৈতিকতা ও আদর্শ মেনে চলেছি। আমি শুধু পদত্যাগই করিনি, বরং আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আদালতে সম্পূর্ণভাবে খারিজ না হওয়া পর্যন্ত কোনও সাংবিধানিক পদ গ্রহণ করিনি। আর তাঁরা আমাদের নৈতিকতা শেখাতে চাইছেন? আমি পদত্যাগ করেছিলাম। আমি চাই নৈতিকতা দৃঢ় হোক। আমরা এতটা নির্লজ্জ হতে পারি না যে অভিযোগ থাকলেও সাংবিধানিক পদ আঁকড়ে থাকব। আমাকে গ্রেফতার করার আগেই আমি পদত্যাগ করেছিলাম।” প্রসঙ্গত, ওই মামলায় ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে অমিত শাহকে বেকসুর খালাস ঘোষণা করা হয়। কিন্তু অমিত শাহ যে নজির দেখিয়েছেন, সেই নজির কি ভারতবর্ষের অন্যান্য দলের নেতা-মন্ত্রীরা দেখানোর সাহস, হিম্মত রাখেন? সেই নজির কি দেখাতে পেরেছেন রাজ্যের রেশন কেলেঙ্কারিতে জেলে যাওয়া নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কিংবা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল? এনারা পারেননি। বিজেপির রাজনীতিতে সর্বোপরি থেকেছে মূল্যবোধ। একাত্মমানববাদেই যার উল্লেখ রয়েছে। সেই নীতিরই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে মোদি সরকারের নয়া সংবিধান সংশোধনীতে। এতেই আপত্তি বিরোধীদের।

  • MEA: দিল্লি-কলকাতায় চলছে আওয়ামি লিগের অফিস! দাবি ইউনূস সরকারের, ‘‘ভুল জায়গা’’ কড়া জবাব ভারতের

    MEA: দিল্লি-কলকাতায় চলছে আওয়ামি লিগের অফিস! দাবি ইউনূস সরকারের, ‘‘ভুল জায়গা’’ কড়া জবাব ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালের জামাত এবং বিএনপি’র প্রত্যক্ষ মদতে দখল হয় বাংলাদেশের গণভবন। দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এরপর বাংলাদেশে তৈরি হয় অন্তর্বর্তী সরকার। তারপর নিষিদ্ধ করা হয় শেখ হাসিনার আওয়ামি লিগকে (Awami League)। এই আবহে অন্তর্বর্তী সরকারের অদ্ভুত দাবি যে ভারতের মাটিতে নাকি কার্যকলাপ চালাচ্ছে আওয়ামি লিগ। শুধু তাই নয়, তারা নাকি দিল্লি এবং কলকাতায় অফিস খুলে বাংলাদেশ বিরোধী কার্যকলাপ সমানভাবে চালিয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে এই বিবৃতি জারি করেছে বুধবার অন্তর্বর্তী ইউনূস সরকার। যার পাল্টা হিসাবে বিবৃতি দিয়েছে নয়া দিল্লিও। বিদেশমন্ত্রকের (MEA) তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে ঢাকার এই বিবৃতি তারা ভুল জায়গায় পাঠিয়েছে।

    কী বললেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র?

    বাংলাদেশের তোলা দাবিকে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে ভারত।  বিদেশ মন্ত্রকের (MEA) মুখপাত্র রনধীর জয়সওয়াল বিবৃতিটি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন। তাতে বলা হয়েছে, ‘‘ভারতে আওয়ামি লিগের সদস্যদের দ্বারা সংঘটিত কোনও বাংলাদেশ-বিরোধী কার্যকলাপ সম্পর্কে ভারত সরকার অবহিত নয়। ভারতের আইনের সঙ্গে সঙ্গতিবিহীন কিছুও করা হচ্ছে না। ভারতের মাটি থেকে অন্য কোনও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক কার্যকলাপ ভারত সরকার অনুমোদন করে না। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার যে বিবৃতি দিয়েছে, তা ভুল জায়গায় পাঠানো হয়েছে।’’ বাংলাদেশে স্বচ্ছ নির্বাচনের আশা ব্যক্ত করে বিবৃতিতে (MEA) এর পর বলা হয়েছে, ‘‘বাংলাদেশে যত দ্রুত সম্ভব স্বাধীন, স্বচ্ছ নির্বাচন আয়োজনের আশা পুনর্ব্যক্ত করছে ভারত সরকার। আশা করছি, দেশটিতে জনগণের রায় প্রতিষ্ঠিত হবে।’’

    অন্তর্বর্তী সরকার তাদের ভারত বিরোধী কার্যকলাপ জারি রেখেছে

    প্রসঙ্গত ক্ষমতায় আসার পর থেকেই অন্তর্বর্তী সরকার (MEA) তাদের ভারত বিরোধী কার্যকলাপ জারি রেখেছে। কখনও তা বিবৃতির মাধ্যমে দিচ্ছে, কখনও বা চিন-পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ হয়ে তারা কূটনৈতিকভাবে তা দিচ্ছে। আবার বাংলাদেশের মাটিকে ব্যবহার করে মৌলবাদীরা ভারত বিরোধী কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলিতে জঙ্গি কার্যকলাপ আগের চেয়ে আরও বেশি বেড়েছে — এমনটাই গোয়েন্দা তথ্য বলছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরের সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর হামলা অনেক পরিমাণে বেড়েছে এবং ইউনূস জমানাতে বাংলাদেশের মাটিতে যে ভারত বিরোধী কার্যকলাপ চলছে — নয়াদিল্লি কোনওভাবেই বরদাস্ত করবে না। এনিয়ে নয়াদিল্লিতে একাধিকবার কড়া বিবৃতিও দিয়েছে। এই আবহে ভারতের বিরুদ্ধে এক অদ্ভুত অভিযোগ তুলেছে অন্তর্বর্তী সরকার, এবং সেখানে তারা ভারতের মাটিকে ব্যবহার করে আওয়ামি লিগ (Awami League) কাজ চালাচ্ছে।

    জাতির উদ্দেশে ভাষণ ইউনূসের

    প্রসঙ্গত, গত পাঁচ অগাস্ট জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে শোনা যায় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসকে এবং তিনি তখন জানান যে আগামী বছর রমজান মাস শুরুর আগেই, ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি জাতীয় সংসদে নির্বাচন করতে চান।অর্থাৎ তিনি বলতে চান যে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশে ভোট হবে। একাধিক রাজনৈতিক দল, যার মধ্যে রয়েছে বিএনপিও রয়েছে। ভোট দেরিতে হওয়া নিয়ে তারা প্রশ্ন তুলেছে। এই আবহে গত ১১ অগাস্ট আওয়ামি লিগের যে সামাজ মাধ্যমের পেজে একটি লম্বা পোস্ট করা হয়েছে এবং সেখানে শেখ হাসিনা দেশের পরিস্থিতি বদলের জন্য ২১ দফা পরিকল্পনার কথা বলেছেন। তাঁর বক্তব্যে মহম্মদ ইউনূসকে ফ্যাসিস্ট এবং অন্তর্বর্তী সরকারকে জনশত্রু বলা হয়েছে।

  • Russia: শুল্ক যুদ্ধে আমেরিকাকে কড়া জবাব! রাশিয়ার সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্যের পথে ভারত

    Russia: শুল্ক যুদ্ধে আমেরিকাকে কড়া জবাব! রাশিয়ার সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্যের পথে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্রাম্পের শুল্ক হুঁশিয়ারির পরে ভারত–রাশিয়া বাণিজ্য যেন আরও বাড়ছে (Russia)। কিন্তু এক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, মূলত আমদানি হচ্ছে — অর্থাৎ ভারত কিনছে (Free Trade), অথচ ভারত থেকে সে অর্থে রফতানি হচ্ছে না। ফলে বাণিজ্য অনুপাতে একটি ভারসাম্যহীনতা রয়েছে, যা নিয়ে কথা বলাই যায়। এই ভারসাম্যহীনতা নিরসনের জন্য মস্কোতে ‘মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি’র ওপর জোর দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি রাশিয়ান সংস্থাগুলির কাছে আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে তারা ভারত থেকে পণ্য ও পরিষেবা কেনে।

    কী বললেন জয়শঙ্কর?

    রাশিয়ার (Russia) প্রথম উপ-প্রধানমন্ত্রী ডেনিস মান্টুরভ-এর সঙ্গে মস্কোতে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করেন জয়শঙ্কর। সেখানেই তিনি বলেন, দুই দেশকেই বাণিজ্যে আরও বৈচিত্র্য আনতে হবে এবং নিজেদের উদ্যোগগুলি সম্প্রসারিত করতে হবে। স্পষ্ট ভাষায় জয়শঙ্কর বলেন, “শুল্ক এবং অন্য বাধার অপরাসণে সরবরাহ সহজ করতে হবে। আন্তর্জাতিক উত্তর-দক্ষিণ পরিবহণ করিডর, উত্তর সমুদ্রপথ এবং চেন্নাই-ভ্লাদিভোস্তক করিডরের মাধ্যমে যোগাযোগ বাড়াতে হবে। পাশাপাশি উভয় সংস্থাগুলির আর্থিক বিনিময় মসৃণ করতে হবে।” নিজের বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, “আমাদের আরও বেশি করে নিজেদের মধ্যে ব্যবসা বাড়াতে হবে।”

    মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (Free Trade) শর্তাবলী চূড়ান্ত করেছে রাশিয়া

    প্রসঙ্গত, বিদেশমন্ত্রী এ দিনই নিশ্চিত করেছেন যে, মস্কোতে তাঁর এই বৈঠকের সময় রাশিয়ার (Russia) কর্তৃপক্ষ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির শর্তাবলী চূড়ান্ত করেছে। এটিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবেই দেখা হচ্ছে। রাশিয়ার সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি হলে, আমেরিকাকে কূটনৈতিকভাবে আরও জোরালো জবাব দেওয়া যাবে এবং ভারতের বহু পণ্য ও পরিষেবা রাশিয়াতে রফতানি করা সম্ভব হবে। এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য যে, বিগত চার বছরে ভারত–রাশিয়া বাণিজ্য পাঁচ গুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। এই বাণিজ্যিক সম্পর্কই চক্ষুশূল হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। বিশেষজ্ঞদের মতে, সেই কারণেই তিনি ভারতের উপর শুল্ক বাড়িয়েছেন।

    বাণিজ্য ৭০০ শতাংশ বেড়েছে (Russia)

    ২০২১ সালে বাণিজ্য ছিল ১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০২৪ অর্থবর্ষে ভারত–রাশিয়া বাণিজ্য দাঁড়িয়েছে ৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। রাশিয়া থেকে ভারত মূলত হাইড্রোকার্বন আমদানি করে। নয়া দিল্লিতে রাশিয়ান দূতাবাস জানিয়েছে, বিগত পাঁচ বছরে রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য ৭০০ শতাংশ বেড়েছে। কিন্তু এর মধ্যেই একটি বড় ভারসাম্যহীনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যা জয়শঙ্কর উল্লেখ করেছেন — রাশিয়া থেকে কেবল আমদানি হচ্ছে, কিন্তু রফতানি বাড়ছে না। তাই জয়শঙ্কর বলেন, ভারতীয় পণ্য ও পরিষেবার রফতানির জন্য মস্কোকে তাদের বাজার আরও বিস্তৃত করতে হবে। পরবর্তীকালে ভারত–রাশিয়া ব্যবসায়িক ফোরাম-এ তিনি বলেন, “ভারতীয় অংশীদারদের সঙ্গে আপনারা বিনিয়োগ করুন এবং নতুনভাবে কাজ শুরু করুন। কারণ, এভাবেই একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক সম্পর্ক গড়ে উঠবে।”

    শুল্ক চাপানো অনৈতিক, বললেন রাশিয়ার ডেপুটি চিফ অফ মিশন রোমান বাবুশকিন

    অন্যদিকে, ভারতের উপর যে ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, তাকে ‘অযৌক্তিক’ এবং ‘একতরফা’ বলে উল্লেখ করেন রাশিয়ার ডেপুটি চিফ অফ মিশন রোমান বাবুশকিন (Russia)। তিনি বলেন, “আমেরিকার বাজারে ঢুকতে সমস্যা হলে, রাশিয়া ভারতকে রফতাবিতে স্বাগত জানাচ্ছে। যারা নিষেধাজ্ঞা চাপাচ্ছে, তাদেরই ক্ষতি হচ্ছে। ভারতের জন্য পরিস্থিতি কঠিন। কিন্তু দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উপর আস্থা আছে আমাদের। জ্বালানি ক্ষেত্রে ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে সহযোগিতা বজায় থাকবে বলে আত্মবিশ্বাসী আমরা।”

LinkedIn
Share