Author: subhra-katwa

  • Saraswati Puja: ঠিক কবে সরস্বতী পুজো? জানুন বসন্ত পঞ্চমীর মাহাত্ম্য

    Saraswati Puja: ঠিক কবে সরস্বতী পুজো? জানুন বসন্ত পঞ্চমীর মাহাত্ম্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদ্যা, জ্ঞান এবং সঙ্গীতের দেবী হিসেবে আরাধিত হন মা সরস্বতী (Saraswati Puja)। দেবী শ্বেতপদ্মে অধিষ্ঠান করেন, তাঁর এক হাতে থাকে পুস্তক, অন্য হাতে দেখা যায় বীণা। হাতে বীণা থাকার কারণে দেবী সরস্বতীকে বীণাপাণিও বলা হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দেবী সরস্বতী হলেন বৈদিক দেবী। বৈদিক যুগে অবশ্য চারহাতের দেবীর উল্লেখ পাওয়া যায়। সেই চার হাতে পুস্তক, জপমালা, জলের পাত্র এবং বীণা ধারণ করে থাকে দেবী। শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুস্তক হল বিদ্যা, জপমালা হল জ্ঞান, জলের পাত্র হল সৃষ্টি এবং বীণা হল সঙ্গীতের প্রতীক। এক কথায় বলতে গেলে, দেবী সরস্বতীকে অপার্থিব সম্পদের দেবী মানা হয়। বসন্ত পঞ্চমীর পবিত্র তিথিতে অভ্র, আবির, আমের মুকুল, যবের শীষ এবং দোয়াত-কলম সহযোগে দেবী সরস্বতীর পুজো করা হয়।

    কবে সরস্বতী পুজো (Saraswati Puja)?

    মাঘ মাসের শুক্ল পঞ্চমী তিথিতে হয় দেবী সরস্বতীর (Saraswati Puja) আরাধনায় মেতে ওঠেন সকলে। ঠিক এই কারণেই সরস্বতী পুজোর পাশাপাশি এই দিনটি বসন্ত পঞ্চমী হিসেবেও পালিত হয় দেশজুড়ে। ভক্তদের বিশ্বাস, এই দিনেই আবির্ভূতা হয়েছিলেন জ্ঞান, বিদ্যা ও শিল্পকলার দেবী সরস্বতী। তবে চলতি বছরে কবে পালিত হবে সরস্বতী পুজো? তা নিয়ে কিছুটা সংশয় দেখা দিয়েছে অনেকের মনেই। দেখে নিন পঞ্জিকা অনুসারে কবে পড়েছে বসন্ত পঞ্চমী? দেবী সরস্বতীর আরাধনা করার সঠিক দিন কবে?

    বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা অনুসারে:

    পঞ্চমী তিথি আরম্ভ–

    বাংলা– ১৯ মাঘ, রবিবার।

    ইংরেজি– ২ ফেব্রুয়ারি, রবিবার।

    সময়– সকাল ৯টা ১৬ মিনিট।

    পঞ্চমী তিথি শেষ–

    বাংলা– ২০ মাঘ, সোমবার।

    ইংরেজি– ৩ ফেব্রুয়ারি, সোমবার।

    সময়– সকাল ৬টা ৫৩ মিনিট।

    গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা অনুসারে:

    পঞ্চমী তিথি আরম্ভ–

    বাংলা– ১৯ মাঘ, রবিবার।

    ইংরেজি– ২ ফেব্রুয়ারি, রবিবার।

    সময়– বেলা ১২টা ১২ মিনিট ৫৯ সেকেন্ড।

    পঞ্চমী তিথি শেষ–

    বাং– ২০ মাঘ, সোমবার।

    ইং– ৩ ফেব্রুয়ারি, সোমবার।

    সময়– সকাল ৯টা ৫৭ মিনিট ৩৮ সেকেন্ড।

    অন্যান্য পঞ্জিকা কী বলছে?

    অন্যদিকে, দৃকপঞ্জিকা অনুসারে ২ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকাল ৯টা ১৪ মিনিটে পঞ্চমী পড়ছে। ৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকাল ৬টা ৫২ মিনিট পর্যন্ত পঞ্চমী থাকবে। এর পরেই পড়ে যাচ্ছে মাঘ শুক্লা ষষ্ঠী। প্রসঙ্গত, উদয়া তিথি অনুসারে ৩ ফেব্রুয়ারি হল বসন্ত পঞ্চমী (Saraswati Puja)। কিন্তু সেদিন যেহেতু খুব সকালেই পঞ্চমী ছেড়ে যাচ্ছে, তাই ২ না ৩ ফেব্রুয়ারি, কবে সরস্বতী পুজো করবেন, তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন অনেকেই। বেণীমাধব শীলের গার্হস্থ্য পঞ্জিকা বলছে, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারি বেলা ১২টা ৩৪ মিনিটে পঞ্চমী পড়ছে। সোমবার ৯টা ৫৯ মিনিটে পঞ্চমী ছাড়ছে। তবে শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা, সকালে পঞ্চমী ছেড়ে গেলেও বসন্ত পঞ্চমী তিথি যেহেতু ৩ ফেব্রুয়ারি, তাই সেদিনই পুজো করতে বলছেন সবাই।

    বসন্ত পঞ্চমীর মাহাত্ম্য (Saraswati Puja)

    মা সরস্বতীর (Saraswati Puja) পাশাপাশি গণেশ, লক্ষ্মী, নবগ্রহ, বই, খাতা, পেন এবং বাদ্যযন্ত্রের পুজোও করা হয় এই বিশেষ দিনে। অনেক বাড়িতেই শিশুদের প্রথম হাতেখড়ির অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয় এই দিন। তাদের আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রথম বিদ্যাচর্চা শুরু হয় এই দিন থেকেই। মনে করা হয় বসন্ত পঞ্চমী থেকেই শীত ঋতুর অবসান ও বসন্তের আগমন বার্তা ঘোষিত হয়। দেবীকে হলুদ ফুল অর্পণ করা হয়। সুখ ও সমৃদ্ধির জন্য মা সরস্বতীকে হলুদ রঙের ফুল নিবেদন করা ভালো বলে মনে করা হয়। এছাড়া বসন্তের আগমনের বার্তা বয়ে আনে হলুদ রং। দেবীভাগবত পুরাণ থেকে জানা যায়, পরম কুস্মন্দের প্ৰথম অংশে দেবী সরস্বতীর জন্ম। বিষ্ণুর জিহ্বাগ্র থেকে তাঁর উৎপত্তি । সরস্বতী বাক, বুদ্ধি, বিদ্যা ও জ্ঞানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী।

    পৌরাণিক আখ্যান

    পৌরাণিক আখ্যান অনুসারে, বসন্ত পঞ্চমীর দিনেই জ্ঞান ও বিদ্যার দেবী সরস্বতী আবির্ভূত হয়েছিলেন। বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের স্রষ্টা ছিলেন ব্রহ্মা। যখন তিনি পৃথিবী সৃষ্টি করেছিলেন, তখনই তিনি অনুভব করেছিলেন কোনও কিছু অনুপস্থিত রয়েছে। ধরাধামে শব্দ সঞ্চারের জন্য তিনি তাঁর কমণ্ডলু থেকে পৃথিবীতে জল ছিটিয়ে দেন। আর ঠিক সেই সময়তেই পৃথিবী কাঁপিয়ে আবির্ভূতা হয়েছিলেন দেবী সরস্বতী (Saraswati Puja 2025)। দেবীর হাতে ছিল বীণা, জপমালা ও বই। তখনই দেবীর জ্ঞান ও প্রজ্ঞায় সারাবিশ্ব জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হয়। তাই বসন্ত পঞ্চমীর দিন সরস্বতীর বিশেষ পুজো করা হয়। বসন্ত পঞ্চমী জীবনের নতুন শুরুর প্রতীক বলে মনে করা হয়। বসন্ত ঋতুতে ফসল পাকতে শুরু করে। হালকা শীতের মনোরম আবহাওয়ায় প্রকৃতি রঙে ভরে ওঠে, চারিদিক রঙিন ফুলে ঢেকে যায়। গাছে গাছে নতুন পাতা, রঙিন ফুল ও ফল ধারণ করে। এই দিনটিকে নতুন জিনিস শুরু করার জন্য শুভ বলে মনে করা হয়।

  • Mahakumbh 2025: মহাকুম্ভেও সাধু-সন্তরা পালন করলেন প্রজাতন্ত্র দিবস, উড়ল জাতীয় পতাকা

    Mahakumbh 2025: মহাকুম্ভেও সাধু-সন্তরা পালন করলেন প্রজাতন্ত্র দিবস, উড়ল জাতীয় পতাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবসের উদযাপন হল মহাকুম্ভে (Mahakumbh 2025)। রবিবার ২৬ জানুয়ারি যে ছবি ধরা পরল তাতে দেখা গেল সাধু সন্তরা দেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করছেন। মহকুম্ভের একাধিক জায়গাতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে দেখা যায় এদিন। সাধু-সন্তদের আখড়াগুলি দেশপ্রেমের অন্যতম কেন্দ্রে পরিণত হয়। এর পাশাপাশি, এদিন উপস্থিত সাধু-সন্তরা সমবেত কণ্ঠে গাইতে থাকেন জাতীয় সঙ্গীত। দেশের সাধু-সন্তদের এমনভাবে প্রজাতন্ত্র দিবস পালন করা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন সকলে। মহকুম্ভের যে সমস্ত স্থানে রয়েছে গৈরিক ধ্বজ, তার সঙ্গে ত্রিবর্ণ রঞ্জিত পতাকাও উড়তে দেখা যায় এদিন।

    প্রজাতন্ত্র দিবসের উদযাপন শুরু দণ্ডি স্বামীনগর থেকে (Mahakumbh 2025)

    প্রথম প্রজাতন্ত্র দিবসের উদযাপন শুরু হয় দণ্ডি স্বামীনগর থেকে। যেখানে হাজারেরও বেশি সন্তরা জড়ো হয়েছিলেন দেশের প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন করতে। প্রসঙ্গত, দণ্ডি স্বামীনগরের সভাপতি রয়েছেন জগৎগুরু স্বামী মহেশ্বরম। তিনি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। তাঁদের সংগঠনের নাম সর্বভারতীয় দণ্ডি স্বামী পরিষদ। প্রজাতন্ত্র দিবসের পতাকা উত্তোলনের পর স্বামী মহেশ্বরম অন্যান্য সন্ন্যাসীদের উদ্দেশ্যে দেশের প্রতি কী কী কর্তব্য তা বলেন। এর পাশাপাশি জাতীয় সংহতি, অখণ্ডতা এবং ঐক্যের জন্য আমাদের কী কী করতে হবে, সে কথাও তিনি বলেন। এর পাশাপাশি তিনি একটি পরিকল্পনারও কথা বলেন যে, দেশের প্রত্যেক গ্রামে একজন করে দণ্ডি স্বামী তিনি পাঠাতে চান। যেখানে তাঁরা দুর্বল হিন্দুদের উন্নয়নের জন্য কাজ করবেন। এর পাশাপাশি সনাতন ধর্মের (Mahakumbh 2025) প্রচারও করবেন তাঁরা।

    দিকে দিকে শোনা যায় জাতীয় সঙ্গীত (Republic Day)

    প্রজাতন্ত্র দিবসের মহাকুম্ভে (Mahakumbh 2025) দিকে দিকে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে থাকেন সাধুরা। একইসঙ্গে ধ্বনি শোনা যায় হর হর গঙ্গে, হর হর মহাদেব ধ্বনি। গঙ্গা-যমুনার তীর এই ধ্বনিতে মেতে ওঠে। অন্যদিকে শ্রী নিরঞ্জনি আখড়াতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদের সভাপতি মহন্ত রবীন্দ্র পুরী। সেখানেও অসংখ্য সন্ন্যাসী এবং ভক্ত হাজির ছিলেন। তাঁরা সমবেত কণ্ঠে গাইতে থাকেন জাতীয় সঙ্গীত। একই সঙ্গে নাগা সাধুদের মহিলা সংগঠন শ্রী পঞ্চদশ নাম সন্ন্যাসী আখড়াও প্রজাতন্ত্র দিবস পালন করে এদিন।

  • Daily Horoscope 27 January 2025: কোনও ভুল কাজ করার জন্য অনুতপ্ত হবেন এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 27 January 2025: কোনও ভুল কাজ করার জন্য অনুতপ্ত হবেন এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

     

    মেষ

    ১) ভালো কোনও সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায় ক্ষোভ বাড়তে পারে।

    ২) কারও কাছ থেকে বড় কোনও উপকার পেতে পারেন।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

     

    বৃষ

    ১) ধর্মীয় স্থানে দান করায় শান্তিলাভ।

    ২) কাজের জন্য বাড়ির কেউ বাইরে যাওয়ায় মনঃকষ্ট।

    ৩) সতর্ক থাকবেন সব বিষয়ে।

     

    মিথুন

    ১) সুবক্তা হিসেবে সুনাম পেতে পারেন।

    ২) শরীরে বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি হতে পারে।

    ৩) বাণীতে সংযম জরুরি।

     

    কর্কট

    ১) পড়াশোনার খুব ভালো সুযোগ আসতে পারে।

    ২) মা-বাবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় থাকবে।

    ৩) সবাইকে ভালোভাবে কথা বলুন।

     

    সিংহ

    ১) কোনও ভুল কাজ করার জন্য অনুতপ্ত হবেন।

    ২) সারা দিন ব্যবসা ভালো চললেও পরে জটিলতা দেখা দিতে পারে।

    ৩) প্রতিকূল কাটবে দিনটি।

     

    কন্যা

    ১) কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন নিয়ে সমস্যা হতে পারে।

    ২) নিজের চিকিৎসায় বহু অর্থ ব্যয় হতে পারে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

     

    তুলা

    ১) কর্মক্ষেত্রে বৈরী মনোভাব ত্যাগ করাই ভাল।

    ২) মামলায় জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) দিনটি মোটামুটি কাটবে।

     

    বৃশ্চিক

    ১) কাজের জায়গায় আঘাত লাগা থেকে সাবধান থাকুন।

    ২) সংসারে খুব সংযত থাকতে হবে।

    ৩) আশাপূরণ।

     

    ধনু

    ১) ব্যবসায় ভালো লাভ হতে পারে।

    ২) প্রতিভা প্রকাশের সুযোগ পাবেন।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

     

    মকর

    ১) উচ্চপদস্থ কোনও ব্যক্তির অনুগত থাকলে লাভবান হবেন।

    ২) প্রতিবেশীর ঝামেলায় বেশি কথা না বলাই শ্রেয়।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

     

    কুম্ভ

    ১) প্রতিযোগিতামূলক কাজে সাফল্যের যোগ।

    ২) কুসঙ্গে পড়ে নিজের ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) আশা পূরণ।

     

    মীন

    ১) কোনও যন্ত্র খারাপ হওয়ায় প্রচুর খরচ হতে পারে।

    ২) কর্মে অন্যের সাহায্যের প্রয়োজন হতে পারে।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Padma Shri 2025: গোয়ার ১০০ বছরের স্বাধীনতা সংগ্রামী, বাংলার অরিজিৎ সিং পাচ্ছেন পদ্মশ্রী

    Padma Shri 2025: গোয়ার ১০০ বছরের স্বাধীনতা সংগ্রামী, বাংলার অরিজিৎ সিং পাচ্ছেন পদ্মশ্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোয়ার ১০০ বছরের স্বাধীনতা সংগ্রামী (Republic Day) লিবিয়া লোবো সরদেশাই। গোয়ার স্বাধীনতা আন্দোলনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল তাঁর। তিনি একটি রেডিও স্টেশন তৈরি করেছিলেন। নাম ছিল স্বাধীনতার বাণী। পর্তুগিজ শাসনের অবসানের জন্য তিনি গোয়ার জনগণকে একত্রিত করেছিলেন। তাঁর এই অবদানের জন্যই চলতি বছরে তাঁকে দেওয়া হচ্ছে পদ্মশ্রী (Padma Shri 2025) পুরস্কার। দেশের অন্যতম অসামরিক এই সম্মানের তালিকায় জায়গা পেয়েছেন, চিকিৎসক, কৃষক, যোগ প্রশিক্ষক, ক্রীড়াবিদ-সহ একাধিক ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা ব্যক্তিত্বরা।

    বাংলা থেকে কারা (Padma Shri 2025)

    পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় গায়ক অরিজিৎ সিং, ধর্মগুরু স্বামী প্রদীপ্তানন্দ (কার্তিক মহারাজ) পাচ্ছেন পদ্মশ্রী পুরস্কার। ৫৭ বছরে ঢাকি গোকুলচন্দ্র দাসও পাচ্ছেন পদ্ম পুরস্কার। বাংলা থেকে পদ্মশ্রী পেলেন অভিনেত্রী মমতাশঙ্কর, ঢাকি গোকুলচন্দ্র দাস, শিক্ষাবিদ নগেন্দ্রনাথ রায়, শিল্পপতি পবন গোয়েঙ্কা, শিল্পপতি সজ্জন ভজাঙ্কার, শিল্পী তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদার এবং সমাজসেবী বিনায়ক লোহানি।

    প্যারা অলিম্পিকে সোনাজয়ী পাচ্ছেন পদ্মশ্রী (Padma Shri 2025)

    দিল্লির স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা.নীরজা ভাটলাও পাচ্ছেন পদ্মশ্রী। হরিয়ানার ‘কাঠিয়ালের একলব্য’ নামে পরিচিত দিব্যাঙ্গ তীরন্দাজ হরবিন্দর সিং। ২০২৪ প্যারা অলিম্পিকে দেশকে সোনা এনে দিয়েছেন তিনি। তিনি পাচ্ছেন পদ্মশ্রী। তালিকায় নাম রয়েছে ভোজপুরের সমাজকর্মী ভীম সিং ভাবেশের। সমাজের অন্যতম প্রান্তিক গোষ্ঠী মুসাহার সম্প্রদায়ের উন্নতির জন্য নিরলসভাবে কাজ করে গিয়েছেন তিনি। দক্ষিণ ভারতীয় ধ্রুপদী সঙ্গীতে ব্যবহৃত থাভিল নামে এক বাদ্যযন্ত্র বিশেষজ্ঞ পি দাতচানামূর্তিও এবার পদ্মশ্রী সম্মান পাচ্ছেন।

    নাগাল্যান্ডের নকলাকের চাষি এল হ্যাঙ্গথিং পাচ্ছেন পদ্মশ্রী

    পদ্মশ্রী (Padma Shri 2025) সম্মানে ভূষিত হচ্ছেন নাগাল্যান্ডের নকলাকের চাষি এল হ্যাঙ্গথিং। ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ভারতে বিদেশি ফলের চাষ করছেন তিনি। এবারের পদ্মশ্রী তালিকায় নাম রয়েছে কুয়েতের বাসিন্দা যোগ প্রশিক্ষক শাইখা এ জে আল সাবা-র। কুয়েতের প্রথম লাইসেন্স প্রাপ্ত যোগ প্রশিক্ষক তিনি। হিমাচল প্রদেশের হরিমন শর্মা, অরুণাচলের জুমদে ইয়মগাম গামলিন, অসমের জয়নাচরণ পাথারি, উত্তরাখণ্ডের হিউজ গ্যান্টজার, গুজরাটের সুরেশ সোনিও এবার পদ্মশ্রী পুরস্কার পেলেন।

  • Flag Hoisting and Unfurling: ১৫ অগাস্ট পতাকা ‘উত্তোলন’ এবং ২৬ জানুয়ারি ‘উন্মোচন’, জানুন পার্থক্য

    Flag Hoisting and Unfurling: ১৫ অগাস্ট পতাকা ‘উত্তোলন’ এবং ২৬ জানুয়ারি ‘উন্মোচন’, জানুন পার্থক্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৬ জানুয়ারি এবং ১৫ অগাস্ট। এই দু’টি দিনই ভারতের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ (Flag Hoisting and Unfurling)। ২৬ জানুয়ারি পালিত হয় প্রজাতন্ত্র দিবস এবং ১৫ অগাস্ট পালিত হয় স্বাধীনতা দিবস। এই দুই দিনেই জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মানজ্ঞাপন করা হয়। জাতীয় পতাকা ভারতবর্ষের (India) অস্মিতার প্রতীক। গর্বের প্রতীক। জাতীয়তাবোধের প্রতীক। ভারতের সার্বভৌমত্বের প্রতীক। এক কথায় ভারত রাষ্ট্রকে বিশ্বের সামনে প্রতিনিধিত্ব করে জাতীয় পতাকা। জাতীয় পতাকার সঙ্গে ভারতবাসীর এক আবেগ মিশে আছে। যে কোনও জায়গায় জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হতে দেখলেই আমাদের মধ্যে এক অন্য অনুভূতি জেগে ওঠে। ভারতীয় হিসেবে গর্বিত ভাব স্পন্দিত হয়। জাতীয় পতাকা নিয়ে উৎসবে দেশবাসী মেতে ওঠে দুটি দিনে ১৫ অগাস্ট এবং ২৬ জানুয়ারি। একথা সকলেরই জানা। ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট দেশ স্বাধীন (Flag Hoisting and Unfurling) হয়েছিল। আত্মপ্রকাশ করেছিল এক সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে। অন্যদিকে, ২৬ জানুয়ারি ১৯৫০ সালে কার্যকর হয় ভারতবর্ষের সংবিধান। সেদিনটি পালন করা হয় প্রজাতন্ত্র দিবস হিসেবে। এই দুইদিনে জাতীয় পতাকা নিয়ে উৎসব দেখা যায়।

    ‘উত্তোলন’ এবং ‘উন্মোচন’ (Flag Hoisting and Unfurling)

    কিন্তু এই দু’টি দিনেই জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান দেখানোর পদ্ধতির পার্থক্য আছে। ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতা দিবসের দিন পতাকা নীচে থেকে ওপর পর্যন্ত তোলা হয়। একে বলা হয় উত্তোলন আর ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন পতাকা ওপরেই বাঁধা থাকে ভাঁজ করা অবস্থায়, সেখান থেকে পতাকাকে মুক্ত করা হয়। একে বলে উন্মোচন। ইংরেজি অনুযায়ী প্রথমটিকে বলা হয় ‘Hoist’, আর দ্বিতীয় পদ্ধতিটিকে ‘Unfurl’। বাংলা করে হবে ‘উত্তোলন’ এবং ‘উন্মোচন’।

    ‘উত্তোলন’ এবং ‘উন্মোচন’-এর ব্যাখা (Flag Hoisting and Unfurling)

    ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট ভারত স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছিল। জানা যায়, এই কারণে স্বাধীনতা দিবসে নীচে থেকে পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরবর্তীকালে ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি ছিল প্রজাতন্ত্র দিবস। তত দিন ভারত স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েই গিয়েছিল। তাই জাতীয় পতাকা প্রজাতন্ত্র দিবসে ওপরেই বাঁধা থাকে। জানা যায়, ২৬ জানুয়ারি পতাকার উন্মোচন করা হয় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ভারতের ডানা মেলার প্রতীক হিসেবে। ১৫ অগাস্ট ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ঐতিহাসিক লালকেল্লায়। ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতা দিবসের উৎসব ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামকে মর্যাদা দিতে এবং ঔপনিবেশিক শাসনের হাত থেকে ভারতের মুক্তিলাভের দিনকে স্মরণ করতেই পালন করা হয় (Flag Hoisting and Unfurling)। এই সময়ে পতাকা, দণ্ডের নিচ থেকে ওপর পর্যন্ত টেনে তোলা হয়।

    ১৫ অগাস্ট

    প্রসঙ্গত, স্বাধীনতা দিবসে পতাকা উত্তোলনের পদ্ধতি ১৯৪৭ সাল থেকেই দেখা যায়, কারণ ওই বছরেই ভারত সার্বভৌমত্ব লাভ করেছিল এবং ভারত একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। স্বাধীনতা দিবসের পতাকা উত্তোলনের সঙ্গে সঙ্গে বেজে ওঠে জাতীয় সঙ্গীত জনগণ মন অধিনায়ক জয় হে। এই সময়ে জাতীয় পতাকার মধ্যে থাকা পুষ্প ঝরতে থাকে। পতাকা সংযুক্ত করা থাকে একটি দড়ির সঙ্গে। পরবর্তীকালে ওই দড়ি টেনে পতাকাকে নিচে থেকে ওপরে তোলা হয়। পতাকা উত্তোলন হল দেশের মর্যাদার প্রতীক। পরবর্তীকালে পতাকা যখন ওপরে যায়, তখন সেটিকে উন্মোচিত করা হয় এবং তার মধ্যে থাকা পুষ্প ঝরে পড়ে।

    ২৬ জানুয়ারি

    অন্যদিকে, প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন পতাকা (Flag Hoisting and Unfurling) কিন্তু নিচ থেকে ওপর পর্যন্ত টেনে তোলা হয় না। পতাকা ওপরেই বাঁধা থাকে। সেই পতাকাকেই উন্মোচিত করা হয়। পতাকার মধ্যে থাকা পুষ্প ঝরে পড়ে। তার কারণ হল, ভারতবর্ষ প্রজাতন্ত্র দিবসের আগেই স্বাধীনতা পেয়েছে। ২৬ জানুয়ারি ভারত আত্মপ্রকাশ করে প্রজাতন্ত্র রাষ্ট্র হিসেবে। তাই সেই প্রতীক হিসেবেই পতাকা হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৯৫০ সালে ২৬ জানুয়ারি ভারতীয় সংবিধানকে গ্রহণ করা হয়েছিল। এই দিনে ভারতবর্ষ একটি প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই দিনেই ভারতের রাষ্ট্রপতি কর্তব্যপথে পতাকাকে উন্মোচিত করেন।

    ১৫ অগাস্ট ও ২৬ জানুয়ারির পার্থক্য

    এক কথায় বলতে গেলে, ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের দিনেই তৈরি হয়েছিল দেশের গণতান্ত্রিক পরিকাঠামো এবং সংবিধান। তাই পতাকা উন্মোচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে ভারতের যে আত্মপ্রকাশ, সেটাকেই প্রচার করা হয়। রাষ্ট্রপতি জাতীয় পতাকাকে উন্মোচিত করেন। এর মাধ্যমেই ডানা মেলে ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, ভারতের অগ্রগতি, ভারতের গণতন্ত্র এবং দেশের সেনাবাহিনী সাফল্য।

    ২৬ জানুয়ারি পতাকা একেবারে ওপরেই বাঁধা থাকে। এই পতাকাকে পরবর্তীকালে উন্মোচিত করেন। রাষ্ট্রপতি যখনই দড়িতে টান দেন পতাকা উন্মোচিত হয়। তার মধ্যে থাকা পুষ্প ঝরে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় সংগীত বেজে ওঠে। এর পরেই সম্পন্ন হয় প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান।

    পার্থক্যগুলি যদি আমরা এবার ভালোমতো দেখি তাহলে দেখব-

    স্বাধীনতা দিবসে পতাকা উত্তোলন করা হয় ১৫ অগাস্ট

    প্রজাতন্ত্র দিবসে পতাকা উন্মোচন করা হয় ২৬ জানুয়ারি

    নিচে থেকে ওপর পর্যন্ত পতাকা টেনে তোলা হয় ১৫ অগাস্ট। অন্যদিকে, ২৬ জানুয়ারি পতাকাকে উন্মোচন করা হয়।

    স্বাধীনতা দিবসে পতাকা উত্তোলন করা হয় ঔপনিবেশিক শাসনের হাত থেকে ভারত রাষ্ট্রের মুক্তির প্রতীক হিসেবে। ২৬ জানুয়ারি পতাকা উন্মোচন করা হয় সংবিধান গ্রহণের দিবস হিসেবে।

    ১৫ অগাস্টের উৎসব পালন করা হয় দিল্লির লালকেল্লায়। ২৬ জানুয়ার জানুয়ারি উৎসব পালন করা হয়, দিল্লির কর্তব্যপথে।

    ১৫ অগাস্ট পতাকা উত্তোলন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ২৬ জানুয়ারি পতাকা উন্মোচন করেন ভারতের রাষ্ট্রপতি।

    প্রসঙ্গত, পতাকা উত্তোলন এবং উন্মোচন। এই পার্থক্য পরিলক্ষিত হয় ভারতের স্বাধীনতা দিবস এবং প্রজাতন্ত্র দিবসে। কিন্তু দুটি উৎসবই সাক্ষী থাকে ভারতের জাতীয় অগ্রগতি এবং সার্বভৌমত্বের। আলাদাভাবেই দুই দিবসকে পালন করা হয়। স্বাধীনতা দিবসে জোর দেওয়া হয় ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনকে। প্রজাতন্ত্র দিবসে জোর দেওয়া হয় ভারতের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ওপর।

    অঙ্গরাজ্যগুলি ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতেও অনুষ্ঠিত হয় এই দুটি দিন

    প্রসঙ্গত, নয়া দিল্লিতে কেন্দ্রীয়ভাবে অনুষ্ঠান হয়। একইসঙ্গে ভারতবর্ষের অঙ্গরাজ্যগুলি ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতেও এই কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে প্রজাতন্ত্র দিবসে পতাকা উন্মোচন করা হয়। স্বাধীনতা দিবসে পতাকা উত্তোলন করা হয়। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এই কাজ করেন রাজ্যপাল। অন্যদিকে, রাজ্যের ক্ষেত্রে এই কাজ করেন সংশ্লিষ্ট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।

    গতবছর কেন্দ্রের নির্দেশিকা

    এর বাইরে দেশের নাগরিকরাও এই দুই দিনেই জাতীয় পতাকা নিয়ে উৎসবে মেতে ওঠেন। গত বছরে কেন্দ্রের তরফে এক নির্দেশিকা সামনে আসে প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে। সেখানে বলা হয়, প্রজাতন্ত্র দিবসে জাতীয়, সাংস্কৃতিক, খেলার বিভিন্ন ইভেন্টে কেউ যাতে কাগজের তৈরি পতাকাগুলি যত্রতত্র ফেলে না দেয় সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে সরকারকে। জাতীয় পতাকাকে কী ভাবে সম্মানের সঙ্গে রাখতে হবে, তার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মন্ত্রকের তরফে। নির্দেশ বলা হয়েছে, ইভেন্ট মেটার পর জাতীয় পতাকাকে যাতে সম্মানের সঙ্গে সরিয়ে ফেলা হয় সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়াও জনগণের মধ্যে এনিয়ে সচেতনতার প্রচার চালাতে হবে। প্রয়োজনে বৈদ্যুতিন ও মুদ্রণ মাধ্যমেও এনিয়ে জনগণকে সচেতন করতে হবে।

  • Ram Mandir: কর্নাটকে তৈরি হচ্ছে রাম মন্দির, এই জমিরই কৃষ্ণ শিলায় আকৃতি পান রামলালা

    Ram Mandir: কর্নাটকে তৈরি হচ্ছে রাম মন্দির, এই জমিরই কৃষ্ণ শিলায় আকৃতি পান রামলালা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অযোধ্যায় (Ayodhya) সেদিনকার অনুষ্ঠান কার্যত পরিণত হয়েছিল আন্তর্জাতিক ইভেন্টে। রামলালার মূর্তি তৈরি করেন অরুণ যোগীরাজ। বালক রামের মূর্তি প্রশংসা কুড়ায় সর্বত্র। বিশেষত রামলালা চোখ দুটি যেন আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। প্রসঙ্গত, অযোধ্যার রাম মন্দিরের (Ram Mandir) রামলালার মূর্তি যে শিলায় নির্মিত হয় তা সংগ্রহ করা হয়েছিল কর্নাটকের মহীশূরের আরোহার্লি নামক একটি জায়গা থেকে। এখানকারই কৃষ্ণশিলা ব্যবহার করা হয়েছিল রামলালার মূর্তিকে আকার দিতে। এখন অজস্র ভক্ত এই রামলালার মূর্তির সামনেই নিজেদের মনের কথা জানান। যে স্থান থেকে ওই কৃষ্ণ শিলা মিলেছিল, সেই জমির মালিক ৮০ বছর বয়সি বৃদ্ধ এইচ রামদাস। ওই জমিতে তিনি একটি ছাউনি বানিয়েছেন এবং সেখানেই তিনি রেখেছেন অযোধ্যার রামলালার মূর্তির প্রতিকৃতি। প্রতিদিন নিয়ম করে, আচার মেনে, পুজো পাঠ সম্পন্ন হচ্ছে সেখানে। রামলালার ওই প্রতিকৃতি রাখা রয়েছে যে স্থানে, তা ইতিমধ্যেই ভক্তদের একটি অন্যতম পবিত্র তীর্থস্থানেও পরিণত হয়েছে।

     

    ধুমধাম করে পালন করা হয় প্রাণ প্রতিষ্ঠার বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান

    গত ২২ জানুয়ারি রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠার বর্ষপূর্তি সারাদেশে ধুমধাম করে পালন করা হয়। ওই দিনে মহীশুরের আরোহার্লিতে চারশোর বেশি ভক্ত জমায়েত করেন বলে জানা যায়। রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠার প্রথম বছরেই ধুমধাম করে সেখানে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেই সময়ে ওই তীর্থক্ষেত্রে হাজির হয়ে যান স্থানীয় বিধায়ক জিটি দেবগৌড়া। তিনি পুজোতেও অংশগ্রহণ করেন (Ram Mandir)। একইসঙ্গে ওই দিন রামলালার প্রতিকৃতিকে পুজো করেন সেখানকারই এক গণেশ মন্দিরের পুরোহিত।

     

    সহযোগিতা করেন স্থানীয় বিধায়ক (Ram Mandir)

    প্রসঙ্গত, গত বছরের ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের নির্মাণের জন্য এখানে জমি দেখা হয়েছিল বলে জানা যায়। তখন থেকেই শুরু হয় উদ্যোগ নেওয়ার পালা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পরবর্তীকালে নির্মাণ কাজ শুরু হতে কিছুটা সময় যায়। স্থানীয়দের অত্যাধিক উৎসাহে জমির মালিক রামদাস পরিকল্পনা করেন যে সেখানে একটি ছোট মন্দির গড়ে তোলা হবে এবং এর পরেই তিনি যোগাযোগ করেছিলেন স্থানীয় বিধায়ক জিটি দেবেগৌড়ার সঙ্গে। স্থানীয় বিধায়ক তাঁকে আশ্বস্ত করেন যে সম্পূর্ণভাবে সহযোগিতা করা হবে এবং সম্পূর্ণভাবে আর্থিক ফান্ডিংও করা হবে। একইসঙ্গে একটি ট্রাস্ট গঠন করে মন্দিরকে পরিচালনা করার কথা তখনই বলেন বিধায়ক।

     

    সংবাদমাধ্যমে কী বললেন রামদাস

    সংবাদমাধ্যমকে রামদাস আরও বলেন, ‘‘আমাদের জমিতে এমন পাথর (কৃষ্ণ শিলা) সরানোর জন্য আমরা মাইনিং এজেন্সির কাছে আবেদন করেছিলাম। কারণ পাথর সরালে তবেই আমাদের জমি চাষযোগ্য হয়ে উঠতে পারত। কিন্তু পরবর্তীকালে অযোধ্যার রাম মন্দিরে বালক রামের মন্দির নির্মাণের জন্য আমাদের এখান থেকেই কৃষ্ণ শিলাকে নেওয়া হয়। একই সঙ্গে চারটি আলাদা পাথর নেওয়া হয়, যেগুলি দিয়ে মাতা সীতা, লক্ষণ, ভরতের মূর্তি তৈরি করা হয়। আমরা এই মূর্তিগুলি তৈরি করে দেওয়ার জন্য কোনও রকমের মূল্য নিইনি।’’

     

    অযোধ্যার মন্দির নির্মাণের (Ram Mandir) পরেই আরোহার্লিতে ভিড় জমান ভক্তরা

    অযোধ্যার রাম মন্দির (Ram Mandir) প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকেই কর্নাটকের ওই স্থানে (আরোহার্লি) তীর্থযাত্রীরা ভিড় জমাতে থাকেন। এরপরেই তাঁর জমির অনেকটা অংশ মন্দির নির্মাণের জন্য দান করে দেন রামদাস। এ বিষয়ে তিনি কথা বলেছিলেন তাঁর চার সন্তানের সঙ্গে। তাঁরাও রাম মন্দিরের নির্মাণের জন্য জমি দান করার পক্ষেই কথা বলেন। রামদাস সংবাদমাধ্যমকে আরও বলেন, ‘‘প্রথমে আমরা পরিকল্পনা করেছিলাম যে একটি ছোট মন্দির অথবা মণ্ডপের মতো কিছু তৈরি করব। কিন্তু পরবর্তীকালে আমাদের স্থানীয় বিধায়ক জিটি দেবেগৌড়া আমাদেরকে আশ্বস্ত করেন যে প্রয়োজনীয় সমস্ত ফান্ডিং করা হবে। যার ফলে আমরা একটি বড় মন্দির নির্মাণের জন্য উদ্যোগ নেওয়া শুরু করি। এরপরেই একটি ট্রাস্টকে রেজিস্ট্রেশন করাই এবং তারপরে জমি দান করি আমরা।’’

     

    অরুণ যোগীরাজের কাছে কী আবেদন জানালেন উদ্যোক্তারা

    প্রসঙ্গত তাঁদের আরও একটি দাবি রয়েছে যে মন্দির নির্মাণের পরে অযোধ্যার রাম মন্দিরের রামলালার মূর্তি যিনি বানিয়েছিলেন সেই অরুণ যোগীরাজকে তাঁরা আবেদন জানাবেন, এখানেও একটি রামমূর্তি বানানোর জন্য। তাঁরা আশাবাদী এতে অরুণ যোগীরাজ রাজিও হবেন। এ বিষয়ে স্থানীয় বিধায়ক জিটি দেবেগৌড়া সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে এখানে আবিষ্কার হওয়া কৃষ্ণ শিলা দিয়েই তৈরি হয় অযোধ্যার রামের মূর্তি। আমরা তাই এখানে মন্দির তৈরির জন্য যাবতীয় সহযোগিতা করব। অন্যদিকে অরুণ যোগীরাজও এ বিষয়ে সহযোগিতা করার কথা জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 26 January 2025: স্বাস্থ্যগত কারণে কাজে বাধা পড়বে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 26 January 2025: স্বাস্থ্যগত কারণে কাজে বাধা পড়বে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) নতুন কাজের প্রস্তাব আসতে পারে।

    ২) তাড়াহুড়ো করবেন না কোনও কাজে।

    ৩) ধৈর্য্য ধরুন।

    বৃষ

    ১) কাউকে কটূ কথা বলবেন না।

    ২) বিনিয়োগের জন্য শুভ দিন।

    ৩) শরীরের দিকে নজর দিন।

    মিথুন

    ১) স্বাস্থ্যগত কারণে কাজে বাধা পড়বে।

    ২) নিজের যত্ন নেওয়া আবশ্যক।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    কর্কট

    ১) পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মনোমালিন্য এড়িয়ে চলুন।

    ২) নেতিবাচক চিন্তা রাখবেন না।

    ৩) বিরোধীদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।

    সিংহ

    ১) কোনও দরকারি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

    ২) বিনিয়োগ করা আপনার পক্ষে ভালো হবে।

    ৩) শুভ কাজে অংশ নিতে পারেন।

    কন্যা

    ১)  ভালো ডায়েট চার্ট ফলো করুন।

    ২) পরিবারের লোকেদের কথা শুনে চলুন।

    ৩)  সহকর্মীর কাছে আপনার অনুভূতি প্রকাশ করতে পারেন।

    তুলা

    ১)  শেয়ার বাজারের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের লাভের সম্ভাবনা রয়েছে।

    ২) মায়ের চোখ সংক্রান্ত কিছু সমস্যা হতে পারে।

    ৩) শ্বশুরবাড়ির কাছ থেকে আর্থিক সুবিধে পেতে পারেন।

    বৃশ্চিক

    ১) সামাজিক ক্ষেত্রে পরিবেশ অনুকূল থাকবে।

    ২) রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা নতুন পদ পেতে পারেন।

    ৩) জীবনের চাহিদার প্রতি পূর্ণ মনোযোগ দিতে হবে।

    ধনু

    ১) আগামীকাল আধ্যাত্মিক কাজে যুক্ত হতে পারেন।

    ২) ধর্মীয় স্থানে যেতে পারেন।

    ৩) মানসিক শান্তি পাবেন।

    মকর

    ১) দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

    ২) মায়ের সঙ্গে মনোমালিন্য।

    ৩) পুরনো বন্ধু অনেকদিন পর দেখা করতে আসতে পারেন।

    কুম্ভ

    ১) আজকের দিনটি ক্ষতিকর হতে পারে।

    ২)  স্বেচ্ছাচারী আচরণের জন্য ক্ষতির আশঙ্কা আছে।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে কেউ আপনার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করতে পারে।

    মীন

    ১) আনন্দদায়ক পরিবেশ থাকবে বাড়িতে।

    ২) সারপ্রাইজ পার্টির আয়োজন করতে পারেন।

    ৩) স্ত্রীর কাছ থেকে সব বিষয়ে সমর্থন পাবেন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BSF: নদিয়া সীমান্তে হদিশ মিলল পর পর ৪টি বাঙ্কারের, অনুপ্রবেশ, নাশকতার আশঙ্কা বিএসএফের

    BSF: নদিয়া সীমান্তে হদিশ মিলল পর পর ৪টি বাঙ্কারের, অনুপ্রবেশ, নাশকতার আশঙ্কা বিএসএফের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে বড়সড় সাফল্য বিএসএফের। খোঁজ মিলল ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে আরও একটি বাঙ্কারের! আবারও চর্চায় নদিয়ার কৃষ্ণনগরের সেক্টরের টুঙ্গি সীমান্ত এলাকা! এই নিয়ে সীমান্তে দেড় কিলোমিটারের মধ্যে ৪টি বাঙ্কারের খোঁজ মিলল। ওপর থেকে দেখলে মনে হবে টিনের ছাউনির সাদামাটা একটা ঘর, কিন্তু ওই ঘরে মাটির নিচেই খোঁজ মিলছে এই রহস্যজনক বাঙ্কারগুলির। শুক্রবার খোঁজ মিলেছিল ৩টি বাঙ্কারের। শনিবার খোঁজ মিলল আরও একটির। বাঙ্কার নিয়েই এখন বেশ চিন্তায় বিএসএফ (BSF)। অনুপ্রবেশ, নাশকতার আশঙ্কায় চাপানউতোর তৈরি হয়েছে গোটা এলাকায়। আর কত বাঙ্কার রয়েছে তার খোঁজে সীমান্তে চলছে জোর তল্লাশি।

    বাঙ্কার তোলার কাজ চলছে (BSF)

    ইতিমধ্যেই বাঙ্কারগুলি মাটি থেকে তোলার কাজ শুরু করেছে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী। বাঙ্কার (BSF) তৈরি করেই কী তাহলে ভারতে অনুপ্রবেশের ছক কষছিল বাংলাদেশিরা? এখন সেই প্রশ্নই জোরাল হয়েছে। এদিন যে বাঙ্কারটির খোঁজ মিলেছে তার উপরে অর্থাৎ মাটির ওপরের অংশে আবার কংক্রিটের একটা গেটও করা হয়েছে। অর্থাৎ ওই এলাকায় বেশ কিছুদিন ধরেই তৈরি করা হয়েছিল বাঙ্কারগুলি। কিন্তু, কীভাবে তা প্রশাসনের নজর এড়িয়ে গেল? যদি বাংলাদেশিদের কাজ হয়ে থাকে তাহলে তারা তা করল কীভাবে তা নিয়েও তৈরি হয়েছে জল্পনা। যদি এপারের দালালদের কাজ হয় তাহলেও তাঁরা কী করে করল তা নিয়ে চলছে জল্পনা।

    বাঙ্কারের ভিতর ছিল লক্ষ লক্ষ টাকার নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ

    নদিয়ায় ভারত – বাংলাদেশ সীমান্ত (BSF) থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে ভারত ভূখণ্ডে পাওয়া গেল বাঙ্কার। যে জায়গায় বাঙ্কার পাওয়া গিয়েছে সেখান থেকে কার্যত ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে কৃষ্ণগঞ্জ থানা এলাকার মাজদিয়ার সুধীর রঞ্জন মহাবিদ্যালয়। কলেজের অদূরেই কীভাবে এত বড় কাজ হয়ে গেল? এই প্রশ্নেই এখন সবথেকে বেশি চিন্তা বেড়েছে স্থানীয় প্রশাসনের। যদিও যে জমির ওপরে এটির খোঁজ মিলেছে সেই জমির মালিকের বিষয়ে কোনও খোঁজই দিতে পারছেন এলাকার লোকজন। স্থানীয় এক বাসিন্দা বললেন প্রশাসন দেখছে। ওরাই ব্যবস্থা নেবে। শুক্রবার বিএসএফ এই বাঙ্কার থেকে উদ্ধার করেছে কাশির ওষুধের অসংখ্য বোতল। জানা গিয়েছে, মাজদিয়া কলেজের কাছে চাষের ক্ষেতের পাশে একটি ঘর বানিয়েছিল স্থানীয় কয়েকজন। ওই ঘর থেকে চাষের কাজ দেখভাল করা হয় দাবি ছিল তাদের। সেই ঘরেরই পাশে মাটি চাপা দেওয়া অবস্থায় ছিল বাঙ্কারের মুখটি যা দৈর্ঘ্য ও প্রস্থে প্রায় ৩ ফুট। শুক্রবার তল্লাশি চালিয়ে বাঙ্কারের মুখ খুঁজে বার করে বিএসএফ। বাঙ্কারের ঢাকনা খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ তাদের। দেখা যায় বাঙ্কারের মধ্যে মধ্যে রয়েছে পেটি পেটি কাশির ওষুধ। এর পর বিএসএফ জওয়ানরা নেমে কাশির ওষুধগুলি উদ্ধার করেন। তল্লাশি চালান গোটা বাঙ্কারটিতে। বাঙ্কারের ভিতর ছিল লক্ষ লক্ষ টাকার নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ। সেগুলি উদ্ধার করে নিয়ে যান বিএসএফের জওয়ানরা।

    বাঙ্কার নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ!

    এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বিএসএফ (BSF) ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এই বাঙ্কার কি শুধু পাচারের কাজেই ব্যবহার হত, না কি বাঙ্কার ব্যবহার করে ভারতে নাশকতা চালানোর পরিকল্পনা ছিল বাংলাদেশি জঙ্গিদের, তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে মাটির নীচে বাঙ্কারের খোঁজ মেলায় যদিও আশ্চর্য নন স্থানীয়রা। তাদের দাবি, মাজদিয়াসহ কৃষ্ণগঞ্জ থানা এলাকার বিস্তীর্ণ সীমান্ত দীর্ঘদিন ধরে পাচারকারীদের স্বর্গরাজ্য। পুলিশের সঙ্গে আঁতাত করে এই কারবার চালায় পাচারকারীরা। মুনাফার বখরা যায় সব মহলে। কৃষ্ণগঞ্জের বহু ব্যক্তির বিনিয়োগ রয়েছে এই কারবারে। তাই অবাক হওয়ার কিছু নেই।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    বিএসএফ (BSF) জওয়ানদের দাবি, এই কাফ সিরাপগুলি বাংলাদেশে পাচার করার উদ্দেশ্যে জোগাড় করেছিল। কিন্তু, প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে ও বর্তমান বাংলাদেশ পরিস্থিতিতে সীমান্তে নজরদারি বেড়েছে। এর ফলে এগুলি পাচার করতে না পেরে মাটির তলায় বাঙ্কারে ভরে মাটিতে পুঁতে রেখেছিল বলে প্রাথমিক অনুমান তদন্তকারীদের। বিএসএফের পাশাপাশি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশ। তবে এ বিষয়ে বিএসএফ ও পুলিশের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। কিন্তু, বিএসএফের তরফে আরও বাঙ্কারের খোঁজে শনিবারও নদিয়ার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান জারি রয়েছে। এই বাঙ্কারের মধ্যে দিয়ে মাটির তলায় কোনও সুরঙ্গ-পথ লুকনো রয়েছে কিনা, তা-ও দেখছেন তদন্তকারীরা। গতকালের এই বাঙ্কারগুলি উদ্ধারকে ঘিরে এলাকায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। আতঙ্কিত এলাকাবাসীরা। তবে ঘটনায় কাউকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, “গ্রাম থেকে বাঙ্কার উদ্ধারে আমরা খুব আতঙ্কিত রয়েছি। সীমান্তের গায়ে আমাদের বাড়ি। তবে বিএসএফকে সাধুবাদ জানাবো তারা বাঙ্কার ও নিষিদ্ধ কাফ সিরাপগুলিকে সফলভাবে উদ্ধার করেছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Vastu Shastra: বাস্তুমতে বাড়ির কোনদিকে করা উচিত শৌচাগার?

    Vastu Shastra: বাস্তুমতে বাড়ির কোনদিকে করা উচিত শৌচাগার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাড়ি তৈরির সময় বাস্তু মেনেই অনেকে তৈরি করেন রান্নাঘর, ঠাকুরঘর, পড়াশোনার কক্ষ বা শয়নকক্ষ ইত্যাদি। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বাস্তুর নিয়ম অনুযায়ী সঠিক স্থানে শৌচালয় (Toilet) তৈরি করাও জরুরি। শৌচালয়ের কোমোড কোন দিকে রাখবেন! সেটাও তৈরি করা উচিত বাস্তুর নিয়ম মেনে। বাস্তুশাস্ত্রবিদরা (Vastu Shastra) জানাচ্ছেন, ভুল দিকে নির্মিত শৌচালয় আর্থিক লোকসান, স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। কী ভাবে ও কোন দিকে শৌচালয় তৈরি করবেন, সেনিয়েই আজকে আমাদের প্রতিবেদনে আলোচনা করব।

    উত্তর-পশ্চিম দিকে করা উচিত শৌচালয় (Vastu Shastra)

    বাস্তু অনুযায়ী, বাড়ির উত্তর-পশ্চিম বা উত্তর দিকে ডাস্টবিন রাখা উচিত। তাই এই দিকেই শৌচালয় তৈরি করতে বলছেন বাস্তুবিদরা। এর ফলে পরিবারে নেতিবাচক শক্তি ধ্বংস হবে এবং শুভ শক্তি বিস্তার লাভ করবে।

    কোন দিকে শৌচালয় বানাবেন না?

    বাস্তুবিদরা (Vastu Shastra) জানাচ্ছেন, পূর্ব অথবা উত্তর পূর্ব দিকে ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক কাজ করা হয়ে থাকে। তাই বাড়ির এই অংশে কখনও শৌচালয় তৈরি করতে নেই। মনে করা হয়, এর ফলে পারিবারিক সুখ-সমৃদ্ধিতে ব্যাপক প্রতিকূল প্রভাব পড়ে। পরিবারের সদস্যদেরও সুখ-সৌভাগ্য প্রভাবিত হয়।

    কোথায় রাখবেন কোমোড?

    শৌচালয়ের (Toilet) মধ্যে কোমোড কোথায় রাখবেন? এনিয়ে বাস্তুশাস্ত্রবিদরা জানাচ্ছেন, কোমোড সব সময় এমন দিকে রাখা উচিত, যাতে তা ব্যবহারের সময় ব্যক্তির মুখ বাড়ির উত্তর বা দক্ষিণ দিকে থাকে। এর ফলে পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।

    বাড়ির মাঝখানে শৌচালয়ে বানাবেন না

    বাড়ির কেন্দ্র স্থানে অধিক শক্তি বিদ্যমান থাকে বলে মনে করা হয় বাস্তুশাস্ত্রে। একে ব্রহ্মস্থানও বলা হয়। বাস্তুশাস্ত্রবিদরা তাই বাড়ির মধ্য অংশে শৌচালয় বানাতে নিষেধ করছেন। এর ফলে পরিবার ও পরিবারের সদস্যদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে বলে মনে করা হয়। শুধু বাড়িই নয়, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানেও এমন করতে নেই।

    বাথরুমের দরজা কী দিয়ে তৈরি করবেন?

    বাস্তুবিদরা জানাচ্ছেন, শৌচালয়ের দরজা কোনও ধাতু দিয়ে তৈরি হলে, সেখান থেকে নেতিবাচক শক্তি বৈঠকখানায় এসে পৌঁছয়, যা ইতিবাচক শক্তির ওপর প্রভাব বিস্তার করে। তাই নিজের বাথরুমে কাঠের দরজা লাগাতেই পরামর্শ দিচ্ছেন বাস্তুবিদরা। এর ফলে শৌচালয় থেকে নির্গত নেতিবাচক শক্তির প্রভাব অনেকখানি কম করা যাবে। পূর্ব দিক ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জন্য শুভ মনে করা হয়। তাই বাথরুমের মুখোমুখি ঠাকুরঘর বানাতে নিষেধ করছেন বাস্তুবিদরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maharashtra: উদ্ধব বা রাজ নয়! বালাসাহেবের রাজনৈতিক ‘উত্তরাধিকার’ রইল শিন্ডের হাতে

    Maharashtra: উদ্ধব বা রাজ নয়! বালাসাহেবের রাজনৈতিক ‘উত্তরাধিকার’ রইল শিন্ডের হাতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত বালাসাহেব ঠাকরের ‘উত্তরাধিকার’ রইল না ঠাকরে পরিবারের হাতে। ২০২৪ সালের বিধানসভা ভোটের ফলাফল স্পষ্ট করে দিল গুরু বালাসাহের ‘রাজনৈতিক উত্তরসূরি’ এখন একনাথ শিন্ডে। মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) মুখ্যমন্ত্রিত্ব, অবিভক্ত শিবসেনার নির্বাচনী প্রতীক ‘তির-ধনুক’ থেকে নাম সবটাই ঠাকরে পরিবারের হাত থেকে নিয়ে নিয়েছিলেন একনাথ শিন্ডে। এবার মারাঠি ভোটব্যাঙ্কও গেল শিন্ডের কাছেই। ২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্র বিধানসভায় বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ-র সহযোগী হিসাবে ৮১টি আসনে লড়ে ৫৬টিতে জিততে চলছে শিন্ডেসেনা। তাদের ঝুলিতে গিয়েছে প্রায় ১৩ শতাংশ ভোট। অন্য দিকে, কংগ্রেসের সহযোগী উদ্ধবসেনা ২০-র বেশি আসনে জিততে পারেনি। অন্যদিকে রাজ ঠাকরের দল একটিও আসন পায়নি। বালাসাহেবের ব্যাটন তাই এখন শিন্ডের হাতে বলাই যায়।

    পরাস্ত উদ্ধব ঘনিষ্ঠরা

    উদ্ধব-পুত্র আদিত্য জিতেছেন মুম্বইয়ের ওরলিতে এবং তাঁর তুতো তাই বরুণ সরদেশাই বান্দ্রা পূর্ব আসনে জিতেছেন। তবে বাদবাকি সব হেভিওয়েটই ধরাশায়ী হয়েছেন মারাঠাভূমে (Maharashtra)। রাজন বিচারে, সুনীল প্রভুর মতো ঠাকরে পরিবারের বিশ্বস্ত সহযোগীরা হেরেছেন। শিন্ডে নিজে ঠাণে জেলায় তাঁর আসন কোপরি-পাচপাখাড়িতে হারিয়েছেন নিজের রাজনৈতিক গুরু প্রয়াত আনন্দ দিঘের ভাইপো কেদারকে। দীপক কেশরকর (সাওয়ন্তওয়াড়ি), উদয় সাওয়ন্ত (রত্নগিরি), সঞ্জয় রাঠৌরের (দিগরস) মতো একনাথ শিন্ডের ঘনিষ্ঠেরাও জিতেছেন। কংগ্রেস ছেড়ে আসা সঞ্জয় নিরুপম জিতেছেন দিন্দোসি কেন্দ্র থেকে।

    শিন্ডের উত্থানকাহিনি (Maharashtra)

    মহারাষ্ট্রে ২০১৯ সালে শেষ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ও অবিভক্ত শিবসেনা জোট করেই লড়েছিল। শিবসেনা-বিজেপি জোট ভাঙে ভোটের পরে। বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে ভিন্ন মতাদর্শের শরদ পাওয়ারের এনসিপি এবং কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলান উদ্ধব। এরপর এনসিপি বিধায়ক এবং শরদ পাওয়ারের ভাইপো অজিত পওয়ারের সমর্থনে মুখ্যমন্ত্রী হন বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়ণবীস। তবে সরকার পড়ে যায় দুদিন পরেই। এর পরে শিবসেনা, এনসিপি এবং কংগ্রেসের জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হন উদ্ধব ঠাকরে। শিন্ডে হন (Eknath Shinde) নগরোন্নয়ন ও পূর্ত দফতরের মন্ত্রী।

    শিন্ডে কীভাবে হলেন মুখ্যমন্ত্রী?

    ২০২২ সালের ২০ জুন একদল শিবসেনা বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে নিখোঁজ হন শিন্ডে। গুজরাত-অসম-গোয়ায় তিনি বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের নিয়ে ঘুরতে থাকেন। বোঝা যায়, শিবসেনার (Maharashtra) অধিকাংশ বিধায়কই শিন্ডের সঙ্গে রয়েছেন। এরপরে নিরুপায় উদ্ধব ঠাকরে ইস্তফা দেন। ৩০ জুন বিজেপিকে সঙ্গে নিয়ে নতুন সরকার গড়েন শিন্ডে। উপমুখ্যমন্ত্রী হন বিজেপির ফডণবীস। এর পরে ২০২৩ সালের জুলাই মাসে এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের ভাইপো অজিতও কাকার দলের অধিকাংশ বিধায়ককে নিয়ে এনডিএ-তে শামিল হন। পান উপমুখ্যমন্ত্রী পদ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share