Author: suman-das

  • Ramakrishna 270: “দেখলাম গৌরাঙ্গ! এমনি আকর্ষণ—সাতদিন সাতরাত লোকের ভিড়! কেবল কীর্তন আর নৃত্য”

    Ramakrishna 270: “দেখলাম গৌরাঙ্গ! এমনি আকর্ষণ—সাতদিন সাতরাত লোকের ভিড়! কেবল কীর্তন আর নৃত্য”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

    দ্বাদশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ১৯শে সেপ্টেম্বর

    শ্রীমুখ-কথিত চরিতামৃত — ঠাকুরের নানা সাধ

    পূর্বকথা—প্রথম কলিকাতায় নাথের বাগানে—গঙ্গাস্নান 

    ওদের বর্তমানের সাধন—মানুষ নিয়ে সাধন। মানুষকে মনে করে শ্রীকৃষ্ণ। ওরা বলে ‘রাগকৃষ্ণ’ (Ramakrishna)। গুরু জিজ্ঞাসা করে, ‘রাগকৃষ্ণ পেয়েছিস?’ সে বলে ‘হাঁ, পেয়েছি।

    “সেদিন সে মাগী এসেছিল। তার চাহুনির রকম দেখলাম, বড় ভাল নয়। তারি ভাবে বললাম (Kathamrita), ‘হরিপদকে নিয়ে যেমন কচ্চো কর—কিন্তু অন্যায় ভাব এনো না।’

    “ছোকরাদের সাধনার অবস্থা। এখন কেবল ত্যাগ। সন্ন্যাসী স্ত্রীলোকের চিত্রপট পর্যন্ত দেখবে না। আমি ওদের বলি, মেয়েমানুষ ভক্ত হলেও তাদের সঙ্গে বসে কথা কবে না; দাঁড়িয়ে একটু কথা কবে। সিদ্ধ হলেও এইরূপ করতে হয়—নিজের সাবধানের জন্য,—আর লোকশিক্ষার জন্য। আমিও মেয়েরা এলে একটু পরে বলি, তোমরা ঠাকুর দেখগে। তাতে যদি না উঠে, নিজে উঠে পড়ি। আমার দেখে আবার সবাই শিখবে।

    পূর্বকথা—ফুলুই শ্যামবাজার দর্শন ১৮৮০—অবতারের আকর্ষণ 

    “আচ্ছা, এই যে সব ছেলেরা আসছে, আর তোমরা সব আসছো, এর মানে কি? এর (অর্থাৎ আমার) ভিতরে অবশ্য কিছু আছে, তা না হলে টান হয় কেমন করে—কেন আকর্ষণ হয় (Kathamrita)?

    “ও-দেশে যখন হৃদের বাড়িতে (কামারপুকুরের নিকট, সিওড়ে) ছিলাম। তখন শ্যামবাজারে নিয়ে গেল। বুঝলাম গৌরাঙ্গভক্ত (Ramakrishna)। গাঁয়ে ঢোকবার আগে দেখিয়ে দিলে। দেখলাম গৌরাঙ্গ! এমনি আকর্ষণ—সাতদিন সাতরাত লোকের ভিড়! কেবল কীর্তন আর নৃত্য। পাঁচিলে লোক! গাছে লোক!

    “নটবর গোস্বামির বাড়িতে ছিলাম। সেখানে রাতদিন ভিড়। আমি আবার পালিয়ে গিয়ে এক তাঁতীর ঘরে সকালে গিয়ে বসতাম। সেখানে আবার দেখি(Kathamrita), খানিক পরে সব গিয়েছে। সব খোল-করতাল নিয়ে গেছে!—আবার ‘তাকুটী! তাকুটী!’ করছে। খাওয়া দাওয়া বেলা তিনটার সময় হতো!

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

  • Ramakrishna 269: “মন চল নিজ নিকেতনে’ আর ‘যাবে কি হে দিন আমার বিফলে চলিয়ে”

    Ramakrishna 269: “মন চল নিজ নিকেতনে’ আর ‘যাবে কি হে দিন আমার বিফলে চলিয়ে”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

    দ্বাদশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ১৯শে সেপ্টেম্বর

    শ্রীমুখ-কথিত চরিতামৃত — ঠাকুরের নানা সাধ

    পূর্বকথা—প্রথম কলিকাতায় নাথের বাগানে—গঙ্গাস্নান 

    পূর্বকথা—নরেন্দ্রের জন্য ক্রন্দন—নরেন্দ্রের প্রথম দর্শন ১৮৮১ 

    “ছোকরাদের ভালবাসি কেন?—ওদের ভিতর কামিনী-কাঞ্চন এখনও ঢুকে নাই। আমি ওদের নিত্যসিদ্ধ দেখি!

    “নরেন্দ্র (Ramakrishna) যখন প্রথম এলো—ময়লা একখানা চাদর গায়ে,—কিন্তু চোখ মুখ দেখে বোধ হল ভিতরে কিছু আছে। তখন বেশি গান জানতো না। দুই-একটা গাইলে,:

    ‘মন চল নিজ নিকেতনে’ আর ‘যাবে কি হে দিন আমার বিফলে চলিয়ে।’

    “যখন আসত,—একঘর লোক—তবু ওর দিক পানে চেয়েই কথা কইতাম। ও বলত, ‘এঁদের সঙ্গে কথা কন’,—তবে কইতাম।

    “যদু মল্লিকের বাগানে কাঁদতুম,—ওকে দেখবার জন্য পাগল হয়েছিলাম। এখানে ভোলানাথের হাত ধরে কান্না!—ভোলানাথ বললে, ‘একটা কায়েতের ছেলের জন্য মশায় আপনার এরূপ করা উচিত নয়।’ মোটা বামুন একদিন হাতজোড় করে বললে, ‘মশায়, ওর সামান্য পড়াশুনো, ওর জন্য আপনি এত অধীর কেন হন?’

    “ভবনাথ নরেন্দ্রের (Ramakrishna) জুড়ি—দুজনে যেন স্ত্রী-পুরুষ! তাই ভবনাথকে নরেন্দ্রের কাছে বাসা করতে বললুম। ওরা দুজনেই অরূপের ঘর।”

    সন্ন্যাসীর কঠিন নিয়ম, লোকশিক্ষার্থ ত্যাগ—ঘোষপাড়ার সাধনের কথা 

    “আমি ছোকরাদের মেয়েদের কাছে বেশি থাকতে বা আনাগোনা করতে বারণ করে দিই।

    “হরিপদ এক ঘোষপাড়ার মাগীর পাল্লায় পড়েছে। সে বাৎসল্যভাব করে। হরিপদ ছেলেমানুষ, কিছু বোঝে না। ওরা ছোকরা দেখলে ওইরকম করে। শুমলাম হরিপদ নাকি ওর কোলে শোয়। আর সে হাতে করে তাকে খাবার খাইয়ে দেয়। আমি ওকে বলে (Kathamrita) দিব—ও-সব ভাল নয়। ওই বাৎসল্যভাব থেকেই আবার তাচ্ছল্যভাব হয়।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

  • Ramakrishna 268: “এ বড় উত্তম স্থান, আপনি আসবেন,—ময়ূর-ময়ূরী সব নৃত্য করছে—আর নৃত্যগীত, সর্বদাই আনন্দ!”

    Ramakrishna 268: “এ বড় উত্তম স্থান, আপনি আসবেন,—ময়ূর-ময়ূরী সব নৃত্য করছে—আর নৃত্যগীত, সর্বদাই আনন্দ!”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

    দ্বাদশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ১৯শে সেপ্টেম্বর

    শ্রীমুখ-কথিত চরিতামৃত — ঠাকুরের নানা সাধ

    পূর্বকথা—প্রথম কলিকাতায় নাথের বাগানে—গঙ্গাস্নান 

    বলরামের সহিত রাখাল বৃন্দাবনে (Ramakrishna) আছেন। প্রথম প্রথম বৃন্দাবনের খুব সুখ্যাত করিয়া আর বর্ণনা করিয়া পত্রাদি লিখিতেন। মাস্টারকে পত্র লিখিয়াছিলেন, ‘এ বড় উত্তম স্থান, আপনি আসবেন,—ময়ূর-ময়ূরী সব নৃত্য করছে—আর নৃত্যগীত, সর্বদাই আনন্দ!’ তারপর রাখালের অসুখ হইয়াছে—বৃন্দাবনের জ্বর। ঠাকুর শুনিয়া বড়ই চিন্তিত আছেন। তাঁর জন্য চন্ডীর কাছে মানসিক করেছেন। ঠাকুর (Ramakrishna) রাখালের কথা কহিতেছেন—“এইখানে বসে পা টিপতে টিপতে রাখালের প্রথম ভাব হয়েছিল। একজন ভাগবতের পণ্ডিত এই ঘরে বসে ভাগবতের কথা বলছিল (Kathamrita)। সেই সকল কথা শুনতে শুনতে রাখাল মাঝে মাঝে শিউরে উঠতে লাগল; তারপর একেবারে স্থির!

    “দ্বিতীয় বার ভাব বলরামের বাটীতে—ভাবেতে শুয়ে পড়েছিল।

    “রাখালের সাকারের ঘর—নিরাকারের কথা শুনলে উঠে যাবে।

    “তার জন্য চন্ডীকে মানলুম। সে যে আমার উপর সব নির্ভর করেছিল—বাড়িঘর সব ছেড়ে! তার পরিবারের কাছে তাকে আমিই পাঠিয়ে দিতাম—একটু ভোগের বাকী ছিল।

    বৃন্দাবন থেকে এঁকে লিখেছে (Kathamrita), এ বেশ জায়গা—ময়ূর-ময়ূরী নৃত্য করছে—এখন ময়ূর-ময়ূরী বড়ই মুশকিলে ফেলেছে!

    “সেখানে বলরামের সঙ্গে আছে! বলরামের কি স্বভাব! আমার জন্য ওদেশে (উড়িষ্যায় কোঠারে) যায় না। ভাই মাসহারা বন্ধ করেছিল আর বলে পাঠিয়েছিল, ‘তুমি এখানে এসে থাকো, মিছামিছি কেন অত টাকা খরচ কর।’—তা সে শুনে নাই—আমাকে দেখবে বলে।

    “কি স্বভাব!—রাতদিন কেবল ঠাকুর (Ramakrishna) লয়ে;—মালীরা ফুলের মালাই গাঁথছে! টাকা বাঁচবে বলে বৃন্দাবনে চার মাস থাকবে। দুশ টাকা মাসহারা পায়।“

     আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

  • Ramakrishna 266: “মলয় পর্বতের হাওয়া লাগলে সব গাছ চন্দন হয়; কেবল শিমূল, অশ্বত্থ, বট আর কয়েকটা গাছ চন্দন হয় না”

    Ramakrishna 266: “মলয় পর্বতের হাওয়া লাগলে সব গাছ চন্দন হয়; কেবল শিমূল, অশ্বত্থ, বট আর কয়েকটা গাছ চন্দন হয় না”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

    একাদশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ১৯শে সেপ্টেম্বর

    দক্ষিণেশ্বরে মহেন্দ্র, রাখাল, রাধিকা গোস্বামী প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে

    মহেন্দ্রাদির প্রতি উপদেশ—কাপ্তেনের ভক্তি ও পিতামাতার সেবা 

    “হরিলীলা সব যোগমায়ার (Ramakrishna) সাহায্যে!

    “গোপীদের ভালবাসা—পরকীয়া রতি। কৃষ্ণের জন্য গোপীদের প্রেমোন্মাদ হয়েছিল। নিজের সোয়ামীর জন্য অত হয় না। যদি কেউ বলে, ওরে তোর সোয়ামী এসেছে! তা বলে, ‘এসেছে, তা আসুকগে,—ওই খাবে এখন! কিন্তু যদি পর পুরুষের কথা শুনে,— রসিক, সুন্দর, রসপণ্ডিত,— ছুটে দেখতে যাবে,— আর আড়াল থেকে উঁকি মেরে—দেখবে (Kathamrita)।

    “যদি খোঁচ ধর যে, তাঁকে দেখি নাই, তাঁর উপর কেমন করে গোপীদের মতো টান হবে? তা শুনলেও সে টান হয় —

    “না জেনে নাম শুনে কানে মন গিয়ে তায় লিপ্ত হলো।”

    একজন ভক্ত—আজ্ঞা, বস্ত্রহরণের মানে কি?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—অষ্টপাশ,—গোপীদের সব পাশই গিয়েছিল, কেবল লজ্জা বাকী ছিল। তাই তিনি ও পাশটাও ঘুচিয়ে দিলেন। ঈশ্বরলাভ হলে সব পাশ চলে যায়।

    যোগভ্রষ্টের ভোগান্তে ঈশ্বরলাভ

    (মহেন্দ্র মুখুজ্জে প্রভৃতি ভক্তদের প্রতি)—“ঈশ্বরের উপর টান সকলের হয় না, আধার বিশেষ হয়। সংস্কার থাকলে হয়। তা না হলে বাগবাজারে এত লোক ছিল কেবল তোমরাই এখানে এলে কেন? আদাড়েগুলোর হয় না।

    “মলয় পর্বতের হাওয়া লাগলে সব গাছ চন্দন হয়; কেবল শিমূল, অশ্বত্থ, বট আর কয়েকটা গাছ চন্দন হয় না।

    “তোমাদের টাকা-কড়ির অভাব নাই। যোগভ্রষ্ট হলে ভাগ্যবানের ঘরে জন্ম হয়,—তারপর আবার ঈশ্বরের (Kathamrita) জন্য সাধনা করে।”

    মহেন্দ্র মুখুজ্জে—কেন যোগভ্রষ্ট হয়?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—পূর্বজন্মে ঈশ্বরচিন্তা করতে করতে হয়তো হঠাৎ ভোগ করবার লালসা হয়েছে। এরূপ হলে যোগভ্রষ্ট হয়। আর পরজন্মে ওইরূপ জন্ম হয়।

    মহেন্দ্র — তারপর, উপায়?

    শ্রীরামকৃষ্ণ(Ramakrishna)—কামনা থাকতে—ভোগ লালসা থাকতে—মুক্তি নাই। তাই খাওয়া-পরা, রমণ-ফমন সব করে নেবে। (সহাস্যে) তুমি কি বল? স্বদারায় না পরদারায়? (মাস্টার, মুখুজ্জে, এঁরা হাসিতেছেন)

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

  • Indian jujube: সরস্বতী পুজোর পরেই শুরু হয়েছে কুল খাওয়া! জানেন শরীরে কী প্রভাব পড়ছে?

    Indian jujube: সরস্বতী পুজোর পরেই শুরু হয়েছে কুল খাওয়া! জানেন শরীরে কী প্রভাব পড়ছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বাঙালির বাণীবন্দনা পর্বের পরেই শুরু হয় কুল! সরস্বতী পুজোর (Saraswati Puja) পরেই বাজারে পাওয়া যায় অঢেল কুল। কেউ আচার বানিয়ে খেতে পছন্দ করেন, আবার কেউ ফল হিসেবে খান। কেউ কেউ আবার নুন মাখিয়ে বিকেলে কুলমাখা খান! বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই ফলের শরীরে গভীর প্রভাব রয়েছে! কেউ‌ কেউ কুল থেকে একাধিক উপকারিতা লাভ করতে পারেন, আবার কুল বিপদও ডেকে আনতে পারে। তাই কুল (Indian jujube) খাওয়ার আগে এই ফল সম্পর্কে জেনে নেওয়া জরুরি। আসুন জেনে নিই কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা।

    কুল থেকে কী উপকার পাওয়া যায় (Indian jujube)?

    ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল বাঁচাবে সর্দি-কাশির হাত থেকে! চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কুল ভিটামিন সি সমৃদ্ধ একটি ফল। এই সময়ে আবহাওয়ার রকমফের হয়। তাপমাত্রার পারদ ওঠানামা করে। আর তার ফলে অনেকেই সর্দি-কাশিতে ভোগেন। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এই ফল খেলে দেহে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়বে। সর্দি-কাশিতে ভোগান্তি কম হবে।

    কুল (Indian jujube) অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার!

    কুলের (Indian jujube) পুষ্টিগুণ প্রচুর। এমনটাই জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই এই ফল খেলে দেহে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সারের মতো জটিল রোগ থেকে সাধারণ জীবাণু বাহিত অসুখ, সবকিছুই মোকাবিলা করতে সাহায্য করে। তাই কুল খেলে শরীর সুস্থ থাকবে।

    ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ও ওজন কমাতে সাহায্য করে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ফল হিসেবে নিয়মিত কাঁচা কুল (Indian jujube) খেলে এর দুটো‌ বড় উপকার পাওয়া যেতে পারে। কুল রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত কুল খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্যও তাই এই ফল উপকারী। আবার ওজন কমাতেও এই ফল খুব সাহায্য করে। এই ফল প্রাকৃতিক ভাবে শরীরে ডিটক্স করে। তাই ওজনেও নিয়ন্ত্রণে থাকে। স্থুলতা রুখতে কুল খেলে বাড়তি উপকার পাওয়া যাবে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    চামড়ার জন্য খুবই উপকারী কুল!

    ত্বকের সমস্যা মোকাবিলায় কুল (Indian jujube) বাড়তি সাহায্য করে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, আবহাওয়ার রকমফেরে‌ বছরের এই সময়ে ত্বকের শুষ্কতা বেড়ে যায়। ফলে ত্বক রুক্ষ্ম হয়ে যায়। কুল এক্ষেত্রে খুবই উপকারী। ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এই ফল নিয়মিত খেলে চামড়া মসৃণ থাকে। রুক্ষ্মতা কমে।

    কাদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে কুল?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, কুল (Indian jujube) কীভাবে খাওয়া হচ্ছে, তার উপরেই এর বিপদ নির্ভর করছে‌। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই নুন মিশিয়ে কুল খান। নিয়মিত বাড়তি নুন খাওয়া শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকারক। এর ফলে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। আবার কিডনির উপরেও বাড়তি চাপ তৈরি করে। বিশেষত যারা কিডনির সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য এই নুন মেশানো কুল খুবই বিপজ্জনক। তাই কুল ফল হিসাবে শুধু খেলে এবং পরিমিত পরিমাণে খেলে এর উপকার পাওয়া যাবে।‌ না হলে এই ফল থেকেও নানান শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Ramakrishna 267: “ধনেখালির খইচুর, খানাকুল কৃষ্ণনগরের সরভাজা, তাও খেতে সাধ হয়েছিল”

    Ramakrishna 267: “ধনেখালির খইচুর, খানাকুল কৃষ্ণনগরের সরভাজা, তাও খেতে সাধ হয়েছিল”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

    দ্বাদশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ১৯শে সেপ্টেম্বর

    শ্রীমুখ-কথিত চরিতামৃত — ঠাকুরের নানা সাধ

    পূর্বকথা—প্রথম কলিকাতায় নাথের বাগানে—গঙ্গাস্নান 

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—ভোগ লালসা থাকা ভাল নয়। আমি তাই জন্য যা যা মনে উঠতো আমনি করে নিতাম।

    “বড়বাজারের রঙকরা সন্দেশ দেখে খেতে ইচ্ছা হল। এরা আনিয়া দিলে। খুব খেলুম,— তারপর অসুখ।

    “ছেলেবেলা গঙ্গা নাইবার সময় (Kathamrita), তখন নাথের বাগানে, একটি ছেলের কোমরে সোনার গোট দেখেছিলাম। এই অবস্থার পর সেই গোট পরতে সাধ হল। তা বেশিক্ষণ রাখবার জো নাই,— গোট পরে ভিতর দিয়ে সিড়সিড় করে উপরে বায়ু উঠতে লাগল — সোনা গায়ে ঠেকেছে কি না? একটু রেখেই খুলে ফেলতে হল। তা না হলে ছিঁড়ে ফেলতে হবে।

    “ধনেখালির খইচুর, খানাকুল কৃষ্ণনগরের সরভাজা, তাও খেতে সাধ হয়েছিল।” (সকলের হাস্য)

    পূর্বকথা—শম্ভুর ও রাজনারায়ণের চন্ডী শ্রবণ—ঠাকুরের সাধুসেবা

    “শম্ভুর চন্ডীর গান (Ramakrishna) শুনতে ইচ্ছা হয়েছিল! সে গান শোনার পর আবার রাজনারায়ণের চন্ডী শুনতে ইচ্ছা হয়েছিল। তাও শোনা হল।

    “অনেক সাধুরা সে সময়ে আসত। তা সাধ হল, তাদের সেবার জন্য আলাদা একটি ভাঁড়ার হয়। সেজোবাবু তাই করে দিলে। সেই ভাঁড়ার থেকে সাধুদের সিদে কাঠ, এ-সব দেওয়া হত।

    “একবার মনে উঠল যে খুব ভাল জরির সাজ পরব। আর রূপার গুড়গুড়িতে তামাক খাব। সেজোবাবু নূতন সাজ, গুড়গুড়ি, সব পাঠিয়ে দিলে। সাজ পরা হল। গুড়গুড়ি নানারকম করে টানতে লাগলুম। একবার এপাশ থেকে, একবার ওপাশ থেকে,—উঁচু থেকে নিচু থেকে। তখন বললাম, মন এর নাম রূপার গুড়গুড়িতে তামাক খাওয়া! এই বলে গুড়গুড়ি ত্যাগ হয়ে গেল। সাজগুলো খানিক পরে খুলে ফেললাম,—পা দিয়ে মাড়াতে লাগলাম—আর তার উপর থু থু করতে লাগলাম—বললাম (Kathamrita), এর নাম সাজ! এই সাজে রজোগুণ হয়!”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

  • Ramakrishna 265: “ওদের কি ভক্তি!—আমি যেখানে খাব সেইখানেই আঁচাব, খড়কে কাঠিটি পর্যন্ত”

    Ramakrishna 265: “ওদের কি ভক্তি!—আমি যেখানে খাব সেইখানেই আঁচাব, খড়কে কাঠিটি পর্যন্ত”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

    একাদশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ১৯শে সেপ্টেম্বর

    দক্ষিণেশ্বরে মহেন্দ্র, রাখাল, রাধিকা গোস্বামী প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে

    মহেন্দ্রাদির প্রতি উপদেশ—কাপ্তেনের ভক্তি ও পিতামাতার সেবা 

    “কাপ্তেনের পরিবার—তার আবার আলাদা ঠাকুর (Ramakrishna), গোপাল। এবার তত কৃপণ দেখলাম না। সেও গীতা-টীতা জানে। ওদের কি ভক্তি!—আমি যেখানে খাব সেইখানেই আঁচাব। খড়কে কাঠিটি পর্যন্ত।

    “পাঁঠার চচ্চড়ি করে,— কাপ্তেন বলে পনর দিন থাকে,— কিন্তু কাপ্তেনের পরিবার বললে (Kathamrita)— ‘নাহি নাহি, সাত রোজ’। কিন্তু  বেশ লাগল। ব্যঞ্জন সব একটু একটু। আমি বেশ খাই বলে, আজকাল আমায় বেশি দেয়।

    “তারপর খাবার পর, হয় কাপ্তেন, নয় তার পরিবার বাতাস করবে।”

    Jung Bahadur-এর ছেলেদের কাপ্তেনের সঙ্গে আগমন ১৮৭৫-৭৬— নেপালী ব্রহ্মচারিণীর
    গীতগোবিন্দ গান—“আমি ঈশ্বরের দাসী”

    “ওদের কিন্তু ভারী ভক্তি,—সাধুদের বড় সম্মান। পশ্চিমে লোকেদের সাধুভক্তি বেশি। জাঙ্‌-বাহাদুরের ছেলেরা আর ভাইপো কর্ণেল এখানে এসেছিল। যখন এলো পেন্টুলুণ খুলে যেন কত ভয়ে।

    “কাপ্তেনের সঙ্গে একটি ওদের দেশের মেয়ে এসেছিল। ভারী ভক্ত,— বিবাহ হয় নাই। গীতগোবিন্দ গান কণ্ঠস্থ। তার গান শুনতে দ্বারিকবাবুরা এসে বসেছিল। আমি বললাম, এরা শুনতে চাচ্ছে, লোক ভাল। যখন গীতগোবিন্দ গান গাইলে তখন দ্বারিকবাবু রুমালে চক্ষের জল পুছতে লাগল। বিয়ে কর নাই কেন, জিজ্ঞাসা করাতে বলে, ‘ঈশ্বরের দাসী, আবার কার দাসী হব?’ আর সব্বাই তাকে দেবী বলে (Kathamrita) খুব মানে—যেমন পুঁথিতে (শাস্ত্রে) আছে।

    (মহেন্দ্রাদির প্রতি)—“আপনারা যে আসছো, তাতে কিছু কি উপকার হচ্ছে? শুনলে মনটা বড় ভাল থাকে। (মাস্টারের প্রতি) এখানে লোক আসে কেন? তেমন লেখাপড়া জানি না —”

    মাস্টার (Ramakrishna)—আজ্ঞা, কৃষ্ণ যখন নিজে সব রাখাল গরুটরু হলেন (ব্রহ্মা হরণ করবার পর) তখন রাখালদের মা’রা নূতন রাখালদের পেয়ে যশোদার বাড়িতে আর আসেন না। গাভীরাও হাম্বা রবে ওই নূতন বাছুরদের পিছে পিছে গিয়ে পড়তে লাগল।

    শ্রীরামকৃষ্ণ(Ramakrishna)—তাতে কি হলো?

    মাস্টার—ঈশ্বর নিজেই সব হয়েছেন কি না, তাই এত আকর্ষণ (Kathamrita)। ঈশ্বর বস্তু থাকলেই মন টানে।

    কৃষ্ণলীলার ব্যাখ্যা—গোপীপ্রেম—বস্ত্রহরণের মানে

    শ্রীরামকৃষ্ণ—এ যোগমায়ার আকর্ষণ—ভেলকি লাগিয়ে দেয়। রাধিকা সুবোল বেশে বাছুর কোলে—জটিলার ভয়ে যাচ্ছে; যখন যোগমায়ার শরণাগত হলো তখন জটিলা আবার আশীর্বাদ করে।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

  • Cancer: শিশুদের মধ্যে বাড়ছে ক্যান্সারের ঝুঁকি! ভারতে এর সংখ্যা বাড়ছে কেন?

    Cancer: শিশুদের মধ্যে বাড়ছে ক্যান্সারের ঝুঁকি! ভারতে এর সংখ্যা বাড়ছে কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ জীবন যাপনে বদল হয়েছে অনেকখানি। আধুনিক জীবনে ব্যস্ততা বাড়ছে। বদলে যাচ্ছে খাদ্যাভ্যাসের ধরন। তার সঙ্গে বদল হচ্ছে ঘুমের সময়ের। পাশাপাশি পরিবেশ, আবহাওয়ার অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে। আর এই সবকিছুর শরীরে গভীর প্রভাব পড়ছে। বিশেষত শিশুদের (Children) শরীরে এর প্রভাব মারাত্মক। গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের রিপোর্ট জানাচ্ছে শিশুদের মধ্যে ক্যান্সারের (Cancer) প্রকোপ বাড়ছে। যা যথেষ্ট দুশ্চিন্তার বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কী বলছে রিপোর্ট?

    ন্যাশনাল ক্যান্সার (Cancer) রেজিস্ট্রি প্রোগ্রামের সাম্প্রতিক রিপোর্ট জানাচ্ছে, ১৫ বছরের কম বয়সিদের মধ্যে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ছে। আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের মোট ক্যান্সার আক্রান্তের মধ্যে ০ থেকে ১৪ বছর বয়সিদের সংখ্যা ৪ শতাংশ। যা বছর দশেক আগেও অনেকটাই কম ছিল। উল্লেখযোগ্যভাবে শিশু (Children) ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, কন্যাসন্তানের তুলনায় পুত্রসন্তানের মধ্যে ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি। সদ্যোজাত থেকে ১৪ বছর বয়সি এক মিলিয়ন ছেলের মধ্যে ২০৩ জন ক্যান্সার আক্রান্ত হয়েছে। সেই তুলনায় মেয়েদের সংখ্যা ১২৫ জন।

    কেন শিশু শরীরে ক্যান্সার বাড়ছে?

    ক্যান্সার (Cancer) বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, জিনগত মিউটেশনের জন্যই শরীরে ক্যান্সার হয়। হঠাৎ করেই শরীরের কোষে, জিনে এক ধরনের পরিবর্তন শুরু হয়। যার ফলেই ক্যান্সারের মতো জটিল রোগ তৈরি হয়। এর নির্দিষ্ট কারণ বলা কঠিন। তবে‌ বেশ কিছু কারণের জেরেই এই জিনগত পরিবর্তন। যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় ‘জেনেটিক মিউটেশন’ বলা হয়।

    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, খাদ্যাভ্যাস ক্যান্সারের (Cancer) ঝুঁকি অনেকটাই বাড়িয়ে দিচ্ছে। বিশেষত শিশুদের (Children) প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় একাধিক প্রক্রিয়াজাত খাবার থাকছে। যার প্রভাব শরীরে মারাত্মকভাবে পড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, নানান রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে প্রক্রিয়াজাত মাংস নিয়মিত খেলে কিডনির, লিভার এবং পাকস্থলীতে মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। দেহের ওজনও মারাত্মক বাড়তে থাকে।‌ স্থুলতা ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।

    নিয়মিত শারীরিক কসরত এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম দরকার

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত ফল, সবজি, ডাল, রুটি খাওয়ার অভ্যাস শিশুদের (Children) মধ্যে কমছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের খাবারে প্রচুর পুষ্টিগুণ থাকে। কিন্তু অধিকাংশ শিশু এখন সবজি খায় না। নিয়মিত রুটি, ফলও খায় না। তার ফলে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের অভাব দেখা দেয়। তাই ক্যান্সারের মতো রোগের ঝুঁকও বাড়ে।

    শরীর সুস্থ রাখতে প্রয়োজন নিয়মিত পর্যাপ্ত বিশ্রাম। অনেক সময়েই শিশুদের পর্যাপ্ত বিশ্রাম হয় না। নিয়মিত শরীরিক কসরত এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম হলে তবেই শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। নানান রোগের ঝুঁকি কমে। তাই ক্যান্সারের (Cancer) মতো‌ জটিল রোগের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্যকর রুটিন থাকা জরুরি বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ

    ক্যান্সার (Cancer) বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, শিশুদের প্রথম থেকেই স্বাস্থ্যকর অভ্যাস তৈরি করতে হবে। সেদিকে অভিভাবকদের নজর দেওয়া দরকার। সময় মতো স্বাস্থ্যকর খাবার‌ খাওয়া, পর্যাপ্ত ঘুম এবং নিয়মিত রুটিন মাফিক শারীরিক কসরত, এগুলো যাতে হয় সেদিকে নজরদারি করলে রোগের ঝুঁকি কমবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Ramakrishna 264: “আগে হঠযোগ করেছিল—তাই আমার সমাধি কি ভাবাবস্থা হলে মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়”

    Ramakrishna 264: “আগে হঠযোগ করেছিল—তাই আমার সমাধি কি ভাবাবস্থা হলে মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

    একাদশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ১৯শে সেপ্টেম্বর

    দক্ষিণেশ্বরে মহেন্দ্র, রাখাল, রাধিকা গোস্বামী প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে

    মহেন্দ্রাদির প্রতি উপদেশ—কাপ্তেনের ভক্তি ও পিতামাতার সেবা 

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) দক্ষিণেশ্বর-কালীমন্দিরে সেই পূর্বপরিচিত ঘরে ভক্তসঙ্গে বসিয়া আছেন। শরৎকাল। শুক্রবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ১৮৮৪; ৪ঠা আশ্বিন, ১২৯১; বেলা দুইটা। আজ ভাদ্র অমাবস্যা। মহালয়া। শ্রীযুক্ত মহেন্দ্র মুখোপাধ্যায় ও তাঁহার ভ্রাতা শ্রীযুক্ত প্রিয় মুখোপাধ্যায়, মাস্টার, বাবুরাম, হরিশ, কিশোরী, লাটু, মেঝেতে কেহ বসিয়া কেহ দাঁড়াইয়া আছেন,—কেহ বা ঘরে যাতায়াত করিতেছেন। শ্রীযুক্ত হাজরা বারান্দায় বসিয়া আছেন। রাখাল বলরামের সহিত বৃন্দাবনে আছেন (Kathamrita)।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna মহেন্দ্রাদি ভক্তদের প্রতি)—কলিকাতায় কাপ্তেনের বাড়িতে গিছলাম। ফিরে আসতে অনেক রাত হয়েছিল।

    “কাপ্তেনের কি স্বভাব! কি ভক্তি! ছোট কাপড়খানি পরে আরতি করে। একবার তিন বাতিওয়ালা প্রদীপে আরতি করে,—তারপর আবার এক বাতিওলা প্রদীপে। আবার কর্পূরের আরতি।

    “সে সময়ে কথা হয় না। আমায় ইশারা করে আসনে বসতে বললে (Kathamrita)।

    “পূজা করবার সময় চোখের ভাব—ঠিক যেন বোলতা কামড়েছে!

    “এদিকে গান গাইতে পারে না। কিন্তু সুন্দর স্তব পাঠ করে।

    “তার মার কাছে নিচে বসে। মা—আসনের উপর বসবে।

    “বাপ ইংরাজের হাওয়ালদার। যুদ্ধক্ষেত্রে একহাতে বন্দুক আর-এক হাতে শিবপূজা করে। খানসামা শিব গড়ে গড়ে দিচ্ছে। শিবপূজা না করে জল খাবে না। ছয় হাজার টাকা মাহিনা বছরে।

    “মাকে কাশীতে মাঝে মাঝে পাঠায়। সেখানে বার-তেরো জন মার সেবায় থাকে। অনেক খরচা। বেদান্ত, গীতা, ভাগবত—কাপ্তেনের কণ্ঠস্থ (Ramakrishna)!

    “সে বলে, কলিকাতার বাবুরা ম্লেচ্ছাচার (Kathamrita)।

    “আগে হঠযোগ করেছিল—তাই আমার সমাধি কি ভাবাবস্থা হলে মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

  • Ramakrishna 263: “ঠাকুর প্রকৃতিস্থ হইয়াছেন, নারায়ণ! নারায়ণ!—এই নাম উচ্চারণ করিয়া তাহাদের সম্ভাষণ করিলেন”

    Ramakrishna 263: “ঠাকুর প্রকৃতিস্থ হইয়াছেন, নারায়ণ! নারায়ণ!—এই নাম উচ্চারণ করিয়া তাহাদের সম্ভাষণ করিলেন”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

    দশম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ১৪ই সেপ্টেম্বর

    শ্রীযুক্ত রাখালের জন্য চিন্তা—যদু মল্লিক—ভোলানাথের এজাহার

    গান সমাপ্ত হইলে মুখুজ্জেরা গাত্রোত্থান করিলেন। ঠাকুরও সঙ্গে সঙ্গে উঠিলেন। কিন্তু ভাবাবিষ্ট। ঘরের বারান্দায় আসিয়া একেবারে সমাধিস্থ হইয়া দণ্ডায়মান। বারান্দায় অনেকগুলি আলো জ্বলিতেছে। বাগানের দ্বারবান ভক্ত লোক। ঠাকুরকে মাঝে মাঝে নিমন্ত্রণ করিয়া সেবা করান। ঠাকুর সমাধিস্থ হইয়া দাঁড়াইয়া আছেন। দ্বারবানটি আসিয়া ঠাকুরকে পাখার হাওয়া করিতেছেন; বড় হাত পাখা।

    বাগানের সরকার শ্রীযুক্ত রতন আসিয়া প্রণাম করিলেন।

    ঠাকুর (Ramakrishna) প্রকৃতিস্থ হইয়াছেন। নারায়ণ! নারায়ণ! — এই নাম উচ্চারণ করিয়া তাহাদের সম্ভাষণ করিলেন।

    ঠাকুর ভক্তদের সঙ্গে ঠাকুরবাড়ির সদর ফটকের কাছে আসিয়াছেন। ইতিমধ্যে মুখুজ্জেরা ফটকের কাছে অপেক্ষা করিতেছেন।

    অধর ঠাকুরকে খুঁজিতেছিলেন।

    মুখুজ্জে (সহাস্যে)—মহেন্দ্রবাবু পালিয়ে এসেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্যে, মুখুজ্জের প্রতি)—এর সঙ্গে তোমরা সর্বদা দেখা করো, আর কথাবার্তা কয়ো।

    প্রিয় মুখুজ্জে (সহাস্যে)—ইনি এখন আমাদের মাস্টারি করবেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—গাঁজাখোরের স্বভাব গাঁজাখোর দেখলে আনন্দ করে। আমির এলে কথা কয় না। কিন্তু যদি একজন লক্ষ্মীছাড়া গাঁজাখোর আসে, তবে হয়তো কোলাকুলি করবে। (সকলের হাস্য)

    ঠাকুর উদ্যান-পথ দিয়া পশ্চিমাস্য হইয়া নিজের ঘরের অভিমুখে আসিতেছেন। পথে বলিতেছেন—“যদু খুব হিঁদু। ভাগবত থেকে অনেক কথা বলে।”

    মণি কালীমন্দিরে আসিয়া প্রণামাদি করিয়া চরণামৃতপান করিতেছেন। ঠাকুর আসিয়া উপস্থিত-মাকে দর্শন করিবেন।

    রাত প্রায় নয়টা হইল। মুখুজ্জেরা প্রণাম করিয়া বিদায় গ্রহণ করিলেন। অধর ও মাস্টার মেঝেতে বসিয়া আছেন। ঠাকুর অধরের সহিত শ্রীযুক্ত রাখালের কথা কহিতেছেন।

    রাখাল বৃন্দাবনে আছেন—বলরামের সঙ্গে। পত্রে সংবাদ আসিয়াছিল তাঁহার অসুখ হইয়াছে। দুই-তিনদিন হইল ঠাকুর রাখালের অসুখ শুনিয়া এত চিন্তিত হইয়াছিলেন যে, মধ্যাহ্নের সেবায় সময় ‘কি হবে!’ বলিয়া (Kathamrita) হাজরার কাছে বালকের ন্যায় কেঁদেছিলেন। অধর রাখালকে রেজিস্টারি করিয়া চিঠি লিখিয়াছিলেন, কিন্তু এ পর্যন্ত চিঠির প্রাপ্তিস্বীকার পান নাই।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—নারাণ চিঠি পেলে আর তুমি চিঠির জবাব পেলে না?

    অধর—আজ্ঞা, এখনও পাই নাই।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—আর মাস্টারকে লিখেছে।

    ঠাকুরের চৈতন্যলীলা দেখিতে যাইবার কথা হইতেছে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (হাসিতে হাসিতে, ভক্তদের প্রতি)—যদু বলছিল, এক টাকার জায়গা হতে বেশ দেখা যায়—সস্তা।

    “একবার আমাদের পেনেটী নিয়ে যাবার কথা হয়েছিল—যদু আমাদের চলতি নৌকায় চড়তে বলেছিল (Kathamrita)। (সকলের হাস্য)

    “আগে ঈশ্বরের কথা একটু একটু শুনত। একটি ভক্ত ওর কাছে যাতায়াত করত—এখন আর তাকে দেখতে পাই না। কতকগুলি মোসাহেব ওর কাছে সর্বদা থাকে—তারাই আরও গোল করেছে।

    “ভারী হিসাবী—জেতে মাত্রই বলে কত ভাড়া—আমি বলি তোমার আর শুনে কাজ নেই। তুমি আড়াই টাকা দিয়ো—তাইতে চুপ করে থাকে আড়াই টাকাই দেয়।” (সকলের হাস্য)

    ঠাকুরবাড়ির দক্ষিণপ্রান্তে পাইখানা প্রস্তুত হইয়াছে। তাই লইয়া যদু মল্লিকের সহিত বিবাদ চলিতেছে। পাইখানার পাশে যদুর বাগান।

    বাগানের মুহুরী শ্রীযুক্ত ভোলানাথ বিচারপতির কাছে এজাহার দিয়াছেন। এজাহার দেওয়ার পর হইতে তাঁহার বড় ভয় হইয়াছে। তিনি ঠাকুরকে জানাইয়াছিলেন। ঠাকুর বলিয়াছেন—অধর ডেপুটি ম্যাহিস্ট্রেট, সে আসিলে তাঁকে জিজ্ঞাসা করো। শ্রীযুক্ত রাম চক্রবর্তী ভোলানাথকে সঙ্গে করিয়া ঠাকুরের কাছে আনিয়াছেন ও সমস্ত বলিতেছেন (Kathamrita)—‘এর এজাহার দিয়ে ভয় হয়েছে’ ইত্যাদি।

    ঠাকুর চিন্তিতপ্রায় হইয়া উঠিয়া বসিলেন ও অধরকে সব কথা বলিতে বলিলেন। অধর সমস্ত শুনিয়া বলিতেছেন—ও কিছুই না, একটু কষ্ট হবে। ঠাকুরের যেন গুরুতর চিন্তা দূর হইল।

    রাত হইয়াছে। অধর বিদায় গ্রহণ করিবেন, প্রণাম করিলেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (মাস্টারের প্রতি)—নারাণকে এনো।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

LinkedIn
Share