Author: suman-das

  • Jadavpur University: মাওবাদী নেতা হিডমার স্মরণে শোকসভা! যাদবপুরে ফের ‘দেশ-বিরোধী’ কার্যকলাপ

    Jadavpur University: মাওবাদী নেতা হিডমার স্মরণে শোকসভা! যাদবপুরে ফের ‘দেশ-বিরোধী’ কার্যকলাপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) আরবান নকশালদের ফের দৌরাত্ম্য। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে নিহত হয় কুখ্যাত মাওবাদী নেতা হিডমা। তার মাথার দাম ছিল ৫০ লক্ষ টাকা। ২৬টির বেশি নাশকতামূলক হামলার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ভাবে যুক্ত ছিল এই দুষ্কৃতি। একজন দুষ্কৃতীর কার্যত শহিদ দিবস পালন করল যাদবপুরের মাওবাদী সংগঠন আরএসএফ। বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজ্য প্রশাসন জেনে শুনেও চুপ! কীভাবে দেওয়া হল স্মরণ সভার অনুমতি? এতো নিজের দেশেই যেন দেশবিরোধী কার্যকলাপ! এমনটাই মনে করছেন কিছু ছাত্রছাত্রী।

    বিপ্লবী ছাত্র ফ্রন্টের দেশ বিরোধী মনোভাব (Jadavpur University)

    গত ২৪ নভেম্বর, ২০২৫ তারিখে মাওবাদী সমর্থক বিপ্লবী ছাত্র ফ্রন্টের (RSF) ৬ষ্ঠ রাজ্য সম্মেলন ছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) বিবেকানন্দ সভাগৃহে। এই সম্মলেন ছিল সম্পূর্ণ ভারত বিরোধী মনোভাবাপন্ন। সম্মেলন স্থল হিসেবে কলকাতার নামাঙ্কন করা হয় কোটেশ্বর রাও নগর এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে নামাঙ্কিত করা হয় বাসবরাজু সভাগৃহ। আর স্বামী বিবেকানন্দ সভাগৃহের নামাঙ্কিত করা হয় হিডমা সভামঞ্চ। খুব স্পষ্ট এযেন ভারতের ভিতরে আরেক মাওবাদী রাজ্য। এখান থেকেই নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।

    শোক প্রকাশ

    উল্লেখ্য, গত ১৮ নভেম্বর অন্ধ্রপ্রদেশের আল্লুরি সীতারামরাজু জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইতে খতম হয়েছে সিপিআই মাওবাদী কমান্ডার মাদভি হিডমা। আবার ওই বছরের মে মাসে ছত্তিশগড়ের বাস্তার অঞ্চলে এক এনকাউন্টারে নিহত হয় সিপিআই মাওবাদী সংগঠনের সম্পাদক নাম্বালা কেশবরাও ওরফে বাসভরাজু। ২০১১ সালে মাওবাদী নেতা কোটেশ্বর রাও ওরফে কিষেণজি  জঙ্গলমহলের বুড়িশোল গ্রামে নিহত হয়েছে।  দেশের এক অংশে যখন সেনাবাহিনী নিজেদের জীবনকে বাজি রেখে দেশের শত্রু মাওবাদীদের দমন করছে, সেখানে অপর দিকে যাদবপুরের (Jadavpur University) মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকাশ্যে মাওবাদীদের সমর্থনে শোকসভা পালিত হচ্ছে।  তবে আরএসএফ (RSF) সংগঠনের পক্ষে সাধারণ সম্পাদক তথাগত রায় চৌধুরী দাবি করেছেন, “নামকরণ প্রতীকী ছিল। দেশবিরোধী কার্যকলাপকে প্রশ্রয় দেওয়া হয়নি।” তবে এদিনের সম্মেলনে কুখ্যাত মাওবাদীদের মৃত্যুতে ১ মিনিট করে বিশেষ শোক জ্ঞাপনও করা হয় বলে জানা গিয়েছে।

    এই মৃত মাওবাদীদের প্রতি শোকে জ্ঞাপনের অনুষ্ঠান এবং অনুমতি নিয়ে প্রশ্ন করলে উপাচার্য প্রফেসর চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য কোন ভাবেই মুখ খোলেননি। তবে সিপিএম পরিচালিত শিক্ষক সংগঠন জুটার শিক্ষক বলেন, “সব রকম নিয়ম মেনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এখন আলচানায় কি বিষয় উঠে আসবে তা জানার কথা নয়।” অপর দিকে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে প্রশ্ন করলে উত্তর দেন, এই স্মরণ সভা বিশ্ববিদ্যালয়ের আভ্যন্তরীণ বিষয়, আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি।

  • PM Narendra Modi: “নাটক অন্য জায়াগায় করুন”, শীতকালীন অধিবেশনের আগে বিরোধীদের তোপ মোদির

    PM Narendra Modi: “নাটক অন্য জায়াগায় করুন”, শীতকালীন অধিবেশনের আগে বিরোধীদের তোপ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার, ১ ডিসেম্বর সংসদে (Parliament) শীতকালীন অধিবেশন বসেছে। অধিবেশন শুরুর আগে সংসদে এবারের দৃষ্টিকোণ ঠিক করে দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। সংসদ ভবনের সামনে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেস সহ বিরোধীদের তোপ দেগে প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Narendra Modi) বলেন, “পরাজয়ের হতাশা থেকে উর্ধে উঠে সকলকে দেশের কাজের জন্য দায়িত্বশীলভাবে ভূমিকা পালন করতে হবে। দেশের অগ্রগতির জন্য কাজ করতে হবে। অযথা বিশৃঙ্খলা করে নিজেদের পরাজয়কে আরও একবার প্রমাণ করার চেষ্টা করবেন না। হারের হতাশাকে কোনও ভাবেই সংসদে টেনে আনবেন না। সরকারের নীতিকে বাস্তবায়নে সকলকে মনোযোগী হতে হবে।”

    দেশ দ্রুত অগ্রগতির পথে (PM Narendra Modi) 

    ১৮ তম লোকসভার ষষ্ঠ অধিবেশন এবং ২৬৯ তম রাজ্যসভার অধিবেশন শুরুর আগে সংসদের বাইরে সাংবাদিকদের একটি বার্তায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) বলেন, “সংসদে শীতকালীন অধিবেশন শুরু হলে তা যেন কোনও ভাবেই নাটকে পরিণত না হয়। নাটক করার অন্য অনেক জায়গা রয়েছে, সেখানে করুন। সংসদে এই রকম আচরণ চলবে না। সংসদের কাজকর্ম অবশ্যই যেন গঠনমূলক ফলাফল কেন্দ্রিক ও বিতর্কমূলক হয়। সংসদের অধিবেশন কেবলমাত্র কোনও আচার অনুষ্ঠান নয়। আলাপ, আলোচনা এবং দেশকে দ্রুত অগ্রগতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সকলকে একযোগে প্রচেষ্টা চালাতে হবে। আর তা সম্ভব হলেই আমাদের শক্তি আরও বৃদ্ধি হবে। সাংসদদের আচরণ এমন হতে হবে যাতে দেশের জন্য কী করতে চান তা যেন স্পষ্ট হয়। গোটা বিশ্ব আমাদের দেশের গণতন্ত্র এবং অর্থনীতির প্রভাবকে খুব কাছ থেকে দেখছে। বিহারের সদ্য সমাপ্ত নির্বাচন এবং ফলাফল আমাদের দেশের শক্তিশালী গণতন্ত্রকেই প্রতিফলিত করেছে। মা ও বোনদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ নতুন আশার সঞ্চার করেছে।”

    নতুন সাংসদদের অনুপ্রেরণা

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিরোধীদের হারকে সমালোচনা করে বলেন, “পরাজয়ের পর থেকেই অত্যন্ত দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন। এখনও কৃতকর্মের ফলে পরাজয়কে হজম করতে পারছেন না। তাই পরাজয়কে হাতিয়ার করে অধিবেশন (Parliament) পর্বে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে। একই ভাবে নির্বাচনের বিজয়কেও অহংকার ভাবে দেখা উচিত নয়। ফলে সকল হতাশা থেকে বেড়িয়ে এসে কাজ করার জন্য সাংসদদের আহ্বান জানাই। যারা অল্প বয়সী সাংসদ তাদের বলার সুযোগ দিতে হবে। নতুন সাংসদদের বলাবার জন্য অনুপ্রেরণা দিতে হবে। সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ার জন্য গোটা দেশের বহু ফাঁকা জায়গা রয়েছে, সেখানে গিয়েও দিতে পারেন। কিন্তু সংসদ একটি বিশেষ কাজের ক্ষেত্র এটা ড্রামা করার জায়গা নয়, এখানে শুধু ডেলিভারি করতে হবে। আমি গতকাল এক নেতার ভাষণ শুনলাম, তিনি নির্বাচনী পরাজয়ে ব্যাপক ভাবে হতাশাগ্রস্থ। নির্বাচনে জয় পরাজয় আছে, তবে দেশের কাজের জন্য সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। তাই শীতকালের অধিবেশনকে যেন হারের শোক বা জয়ের উল্লাসে পরিণত না হয়, সেটাও ভালো করে ভাবতে হবে। সকল সাংসদকে দেশের জন্য কি করতে পারি আর কি করতে পেরেছি সেই কথাই যেন বলতে শোনা যায়।”

    সংসদে ঠান্ডা মাথায় কাজ

    সংসদের শীতকালীন এই অধিবেশনে (Parliament) কেন্দ্রীয় সরকার মোট ১৪টি নতুন বিল পেশ করতে পারে বলে সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে অধিবেশনের শুরুতেই এসআইআর ইস্যুতে সংসদ অচল করতে পারেন বিরোধীরা। রবিবার অনুষ্ঠিত সর্বদলীয় বৈঠকে বিরোধী দলগুলি এসআইআর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার দাবি তুলেছে। তবে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, সংসদের কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চালানোর জন্য সকল বিরোধী দলগুলির সঙ্গে আলাপ আলোচনা চলবে। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলেন, “শীতকালীন অধিবেশন মানে ঠান্ডা মাথায় কাজ করা।” আবার কংগ্রেস, তৃণমূল, সমাজবাদী পার্টি-সহ বেশ কয়েকটি দল দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ড ও এসআইআর ইস্যুতে জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। পাশাপাশি বায়ুদূষণ, বৈদেশিক নীতি, কৃষকের সমস্যা, বেকারত্ব ও মূল্যবৃদ্ধির মতো বিষয়েও বিস্তৃত আলোচনার দাবি জানানো হয়েছে।

    সম্প্রতি বিহার বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস-আরজেডি মহাজোটের ভরাডুবি হয়েছে। একক ভাবে এনডিএ জোটের নেতৃত্ব দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসেছেন নীতিশ কুমার। এই নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছে একক ভাবে সবচেয়ে বেশি আসন। ফলে ভোটের হারার চরম হতাশা লোকসভা এবং রাজ্যসভার অধিবেশনে দেখা যায় কিনা তাই এখন দেখার।

  • Ramakrishna 521: “তুমি সর্বঘটে অর্ঘপুটে, সাকার আকার নিরাকারা, তোমারেই করিয়াছি জীবনের ধ্রুবতারা”

    Ramakrishna 521: “তুমি সর্বঘটে অর্ঘপুটে, সাকার আকার নিরাকারা, তোমারেই করিয়াছি জীবনের ধ্রুবতারা”

    ৪৯ শ্রীশ্রীরথযাত্রা বলরাম-মন্দিরে

    ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৫, ১৪ই জুলাই

    নরেন্দ্রের গান—ঠাকুরের ভাবাবেশে নৃত্য

    রথাগ্রে কীর্তন ও নৃত্যের পর ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) ঘরে আসিয়া বসিয়াছেন। মণি প্রভৃতি ভক্তেরা তাঁহার পদসেবা করিতেছেন।

    নরেন্দ্র ভাবে পূর্ণ হইয়া তানপুরা লইয়া আবার গান গাহিতেছেন:

    (১)     এসো মা এসো মা, ও হৃদয়-রমা, পরাণ-পুতলী গো,
    হৃদয়-আসনে, হও মা আসীন, নিরখি তোমারে গো।

    (২)     মা ত্বং হি তারা, তুমি ত্রিগুণধরা পরাৎপরা।
    আমি জানি গো ও দীন-দয়াময়ী, তুমি দুর্গমেতে দুখহারা ॥
    তুমি সন্ধ্যা তুমি গায়ত্রী, তুমি জগদ্ধাত্রী গো মা।
    তুমি অকূলের ত্রাণকর্ত্রী, সদাশিবের মনোরমা ॥
    তুমি জলে, তুমি স্থলে, তুমি আদ্যমূলে গো মা।
    তুমি সর্বঘটে অর্ঘপুটে, সাকার আকার নিরাকারা ॥

    (৩)     তোমারেই করিয়াছি জীবনের ধ্রুবতারা।
    এ-সমুদ্রে আর কভু হব নাকো পথহারা ॥

    একজন ভক্ত নরেন্দ্রকে বলিতেছেন, তুমি ওই গানটা গাইবে?—

    অন্তরে জাগিছো গো মা অন্তরযামিনী!

    শ্রীরামকৃষ্ণ — দূর! এখন ও-সব গান কি! এখন আনন্দের গান — ‘শ্যামা সুধা-তরঙ্গিণী।’

    নরেন্দ্র গাইতেছেন:

    কখন কি রঙ্গে থাক মা, শ্যামা, সুধা-তরঙ্গিনী!
    তুমি রঙ্গে ভঙ্গে অপাঙ্গে অনঙ্গে ভঙ্গ দাও জননী ॥

    ভাবোন্মত্ত হইয়া নরেন্দ্র বারবার গাইতে লাগিলেন (Kathamrita):

    কভু কমলে কমলে থাকো মা পূর্ণব্রহ্মসনাতনী।

    ঠাকুর প্রেমোন্মত্ত হইয়া নৃত্য করিতেছেন, — ও গাইতেছেন, ওমা পূর্ণব্রহ্মসনাতনী! অনেকক্ষণ নৃত্যের পর ঠাকুর আবার আসন গ্রহণ করিলেন। নরেন্দ্র ভাবাবিষ্ট হইয়া সাশ্রুনয়নে গান গাহিতেছেন দেখিয়া ঠাকুর অত্যন্ত আনন্দিত হইলেন।

    রাত্রি প্রায় নয়টা হইবে, এখনও ভক্তসঙ্গে ঠাকুর বসিয়া আছেন।

    আবার বৈষ্ণবচরণের গান শুনিতেছেন।

    (১)     শ্রীগৌরাঙ্গ সুন্দর নটবর তপত কাঞ্চন কায়।

    (২)     চিনিব কেমনে হে তোমায় (হরি)।
    ওহে বঙ্কুরায়, ভুলে আছ মথুরায় ॥
    হাতিচড়া জোড়াপরা, ভুলেছ কি ধেনুচরা
    ব্রজের মাখন চুরি করা, মনে কিছু হয়।

    রাত্রি দশটা-এগারটা। ভক্তেরা প্রণাম করিয়া বিদায় লইতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—আচ্ছা, আর সব্বাই বাড়ি যাও—(নরেন্দ্র ও ছোট নরেনকে দেখাইয়া) এরা দুইজন থাকলেই হল! (গিরিশের প্রতি) তুমি কি বাড়ি গিয়ে খাবে? থাকো তো খানিক থাক। তামাক্‌! — ওহ বলরামের চাকরও তেমনি। ডেকে দেখ না—দেবে না। (সকলের হাস্য) কিন্তু তুমি তামাক খেয়ে যেও।

    শ্রীযুক্ত গিরিশের সঙ্গে একটি চশমাপরা বন্ধু আসিয়াছেন। তিনি সমস্ত দেখিয়া শুনিয়া চলিয়া গেলেন। ঠাকুর গিরিশকে বলিতেছেন, — “তোমাকে আর হরে প্যালাকে বলি, জোর করে কারুকে নিয়ে এসো না,—সময় না হলে হয় না।”

    একটি ভক্ত প্রণাম করিলেন। সঙ্গে একটি ছেলে। ঠাকুর সস্নেহে কহিতেছেন (Kathamrita)— “তবে তুমি এসো—আবার উটি সঙ্গে।” নরেন্দ্র, ছোট নরেন, আর দু-একটি ভক্ত, আর একটু থাকিয়া বাটী ফিরিলেন।

  • SIR: দ্রুত সমস্যার সমাধান করে এসআইআর সম্পাদনে সুব্রত গুপ্তকে নিয়োগ কমিশনের

    SIR: দ্রুত সমস্যার সমাধান করে এসআইআর সম্পাদনে সুব্রত গুপ্তকে নিয়োগ কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসআইআরের (SIR) বিরোধিতায় তৃণমূলের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংঘাত চরমে। এই অবস্থায় কমিশন নিবিড় ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজে পশ্চিমবঙ্গের জন্য বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করল। যাঁকে এই পদে বসানো হয়েছে, তিনি অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার সুব্রত গুপ্ত। ক্রমাগত মৃত্যু এবং কাজে বাধার মতো ইস্যুকে পর্যবেক্ষণ করতে শনিবার গুপ্তকে নিয়োগ করা হয়েছে। অন্য দিকে রবিবার নির্বাচন কমিশন (Election Commission) ঘোষণা করেছে ১২টি রাজ্যে এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোটার তালিকায় নিবিড় সংশোধনের কাজের সময়সীমা এক সপ্তাহ বাড়িয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি করা হয়েছে।

    পর্যবেক্ষক নিয়োগে কাজ দ্রুত এগোবে (SIR)

    বারবার নির্বাচন কমিশনকে (Election Commission) এসআইআর (SIR) ইস্যুতে আক্রমণ করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সমর্থক বিএলওরা মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে অবস্থান বিক্ষোভও করেছেন। এরপর কমিশন তৃণমূলের সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে সাফ জানিয়ে দিয়েছে, তৃণমূলের করা অভিযোগগুলি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এসআইআর একটি নির্দিষ্ট ক্রম এবং নিয়ম মেনে সংবিধানিকভাবেই করা হচ্ছে। ভোটার তালিকা সংশোধন, আপডেট এবং ত্রুটি মুক্ত করার জন্য এটা একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। একইভাবে বিএলওদের যারা হুমকি দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলিকে আবেদন করে বলা হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি যেন অপপ্রচার ও ভয়ের পরিবেশ তৈরি না করে। এসআইআর প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে করতে সুব্রত গুপ্ত এবং ১২ জন আইএএস পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে।

    খসড়ার সময়সীমা বৃদ্ধি

    রবিবার নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) তরফে বলা হয়, ভোটারদের খসড়া তালিকা প্রকাশের জন্য নির্বাচন কর্মীদের আরও এক সপ্তাহ সময় বাড়়ানো হয়েছে। জমা নেওয়া এবং খতিয়ে দেখার সময়সীমা ১১ ডিসেম্বর শেষ হবে। তবে এই সময়সীমা আগে ৪ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছিল। এবার তা বাড়ানো হল। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, আগামী ৯ ডিসেম্বর খসড়া তালিকা প্রকাশিত হওয়ার কথা ছিল, এবার সেই খসড়া ভোটার তালিকা ১৬ ডিসেম্বর প্রকাশিত হবে। ১৪ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হবে। বাংলায় তিন পর্যায়ে এসআইআর কাজের প্রথম পর্যায় শেষ হতে চলেছে। নির্বাচন কমিশন ২৯ নভেম্বর সন্ধ্যা পর্যন্ত বর্তমান ভোটার তালিকায় মৃত ভোটারদের সংখ্যা ১৮.৭০ লাখ বলে জানিয়েছে। খসড়া তালিকা থেকে বাদ পড়তে পারে এমন ভোটারের সংখ্যা ৩৫ লাখ হতে পারে বলে। তবে ৩৫ লাখের এই সংখ্যার মধ্যে ১৮.৭০ লাখ ভোটার রয়েছেন যাঁরা মারা গিয়েছেন। এদিকে, বাকিদের একই নাম একাধিক তালিকায় থাকা, ঠিকানা পরিবর্তন এবং জাল ভোটার হিসেবে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

  • Bangladesh: অসুস্থ খালেদার প্রতি সংবেদনশীল নন ইউনূস! তারেকের দেশে ফেরা অনিশ্চিত

    Bangladesh: অসুস্থ খালেদার প্রতি সংবেদনশীল নন ইউনূস! তারেকের দেশে ফেরা অনিশ্চিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মা খালেদা জিয়া (Begum Khleda Zia) অসুস্থ, কিন্তু ছেলে তারেক রহমান দেশে ফিরতে পারছেন না। অসুস্থ মায়ের প্রতি সংবেদনশীল নন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভরপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন জিয়াউর রহমানের ছেলে তারেক রহমান। তিনি গত ১৭ বছর ধরে লন্ডনে নির্বাসিত জীবন কাটাচ্ছেন। এদিকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরস্থিতি ভীষণ ভাবে অস্থির। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হাসিনাকে বিতারিত করার পর দেশের মূলধারার রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হতে চান খলেদা পুত্র। সম্প্রতি বিবিসি বাংলাকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তারেক জানিয়েছেন, দ্রুত বাংলাদেশে (Bangladesh) ফিরবেন। কিন্তু দেশের আভ্যন্তরীণ জটিল সমীকরণের জন্য কতটা সম্ভব, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

    ইচ্ছে নিজের উপর নির্ভর করবে না (Bangladesh)

    প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার শরীরিক অবস্থা এখন ভীষণ সঙ্কটজনক। আর তাই মাকে দেখার জন্য বাংলাদেশে (Bangladesh) ফেরার কথা জানিয়েছিলেন তারেক। কিন্তু তিনি এটাও জানান, “আমার ফেরার ইচ্ছে নিজের উপর নির্ভর করবে না। সকল শিশুর মতো আমি আমার সঙ্কটের সময় মাকে কাছে পেয়ে মায়ের স্পর্শ পেতে চাই। কিন্তু বাকি সকলের মতো নিজের সিদ্ধান্ত নিজের উপর নির্ভর করবে না। সিদ্ধান্ত এবং ইচ্ছে আলাদা বিষয়। অপর দিকের নিয়ন্ত্রণ এবং পরিস্থিতিও নির্ভর করছে।” তারেক রহমানের একটি ফেসবুক পোস্টেও এই আক্ষেপের কথা শোনা গিয়েছে। যে দেশে হাসিনার আমলে প্রধান বিরোধী দল ছিল বিএনপি, আজ সেই দলের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর ছেলে নিরাপত্তার কারণে দেশে ফিরতে পারছেন না। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে গণতন্ত্র ঠিক কোন স্তরে পৌঁছে গিয়েছে তা খুব অনুমেয়।

    নিরাপত্তার অভিযোগ!

    বিএনপির পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে বলা হয়েছে, “দেশের সরকার নিরাপত্তার অভিযোগ তুলে দেশে আসার ক্ষেত্রে কৃত্রিম বাধা সৃষ্টি করছে। তারেক রহমান দেশে ফিরলে বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজনীতির বিরাট পরিবর্তন হবে।” অপর দিকে প্রেস সচিব সফিকুল আলমকে জিজ্ঞাসা করলে উত্তর দেন, “তারেক রহমানের বিষয়ে সরকার কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করেনি।”

    খালেদা (Begum Khleda Zia) গত ২৩ নভেম্বর ফুসফুসে সংক্রমণ নিয়ে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। মেডিক্যাল বোর্ডের দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে করোনারি কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসাধীণ রয়েছেন। ৮০ বছর বয়সী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে অত্যন্ত সংকটপূর্ণ অবস্থায় রয়েছেন। যদিও তাঁর শারীরিক অবস্থার কথা ভেবে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল খালেদাকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন। তবে কেন ছেলে তারেক রহমানকে দেশের মাটিতে আসতে দেওয়া হচ্ছে না তা নিয়ে কোন মন্তব্য করেননি।

  • National Herald Case: ন্যাশনাল হেরাল্ডে গান্ধি পরিবার সহ ছয় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আরও এক নতুন এফআইআর

    National Herald Case: ন্যাশনাল হেরাল্ডে গান্ধি পরিবার সহ ছয় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আরও এক নতুন এফআইআর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যাশনাল হেরাল্ড মানি লন্ডারিং (National Herald Case) মামলায় কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা রাহুল গান্ধি এবং সোনিয়া গান্ধির (Rahul Gandhi-Sonia Gandhi) বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের আরও একবার অভিযোগ আনা হয়েছে। দিল্লি পুলিশের আর্থিক অপরাধ দুর্নীতি শাখা গান্ধি পরিবার সহ ছয়জনের বিরুদ্ধে নতুন করে এফআইআর দায়ের করেছে। এফআইআরে স্যাম পিত্রোদা, সুমন দুবে, সুনীল ভান্ডারি এবং একজন অজ্ঞাত ব্যক্তির পাশাপাশি তিনটি কোম্পানি-অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড (এজেএল), ইয়ং ইন্ডিয়ান এবং ডোটেক্স মার্চেন্ডাইজ প্রাইভেট লিমিটেডের নামও রয়েছে। ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্রের মূল কোম্পানি অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড (এজেএল)-এর সঙ্গে প্রতারণা এবং অপরাধমূলক একটি ষড়যন্ত্রের অভিযোগ রয়েছে।

    ২০০৮ সাল থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ন্যাশনাল হেরাল্ডে আর্থিক দুর্নীতির পুরো তালিকা তুলে ধরা হয়েছে। এই নিয়ে বিজেপির মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা বলেন, “কংগ্রেসের এই পরিবার (গান্ধি পরিবার) সবথেকে দুর্নীতিগ্রস্ত। এরা দুর্নীতি করে, আর যখনই তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়, তখন ভিকটিম কার্ড খেলে।” তবে শতবর্ষের পুরাতন রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে এই ভাবে আর্থিক তছরূপের ঘটনা সত্যই অসম্মান জনক।

    ইয়ং ইন্ডিয়ানকে ১ কোটি টাকা প্রদান (National Herald Case)

    কলকাতা-ভিত্তিক শেল কোম্পানি, ডোটেক্স মার্চেন্ডাইজ, ইয়ং ইন্ডিয়ানকে ১ কোটি টাকা দিয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। এই  ইয়ং ইন্ডিয়ান কোম্পানিতে দুজন কংগ্রেস নেতার ৭৬ শতাংশ শেয়ার ছিল। অভিযোগ করা হয়েছে, ইয়ং ইন্ডিয়ান কংগ্রেস দলকে ৫০ লক্ষ টাকা প্রদান করে এজেএলের দখল নেয়। এজেএলের সম্পত্তির মূল্য প্রায় ২০০০ কোটি টাকা, এই টাকায় বিরাট হেরফের হয়েছে। গত ৩ অক্টোবর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) এই সংক্রান্ত মামলায় একটি অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর করেছে। সেই সঙ্গে দিল্লি পুলিশও ইডিকে তদন্ত করতে সহযোগিতা করছে। আর্থিক দুর্নীতি (National Herald Case) প্রতিরোধ আইনের (PMLA) ধারা ৬৬ (২) এর অধীনে ইডি তদন্ত করছে বলে জানা গিয়েছে।

    মামলা করেছিল বিজেপি

    দিল্লির আদালত ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলার রায় ঘোষণা ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করার একদিন পরই এই এফআইআর তথ্য প্রকাশিত করা হয়েছে। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলাটি ২০১২ সালে শুরু হয়, আর তখন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী স্থানীয় আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। কংগ্রেস নেতাদের বিরুদ্ধে অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে প্রতারণা এবং বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ এনেছিলেন তিনি। উল্লেখ্য ১৯৩৮ সালে জওহরলাল নেহেরু এবং অন্যান্য স্বাধীনতা সংগ্রামীদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত সংবাদপত্র ন্যাশনাল হেরাল্ড শুরু হয়েছিল। আর এই বিষয়ে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় (National Herald Case) এখন অভিযুক্ত খোদ গান্ধি পরিবারই।

    কংগ্রেসই দুর্নীতির মূলে

    কংগ্রেস জানিয়েছে, আর্থিক সংকটের (National Herald Case) কারণে ২০০৮ সালে ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকাটি ছাপা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সেই সময় অবশ্য মূল কোম্পানির ৯০ কোটি টাকার ঋণ অপরিশোধিত ছিল। সংকট কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করার জন্য, কংগ্রেস দল ১০ বছর ধরে প্রায় ১০০টি কিস্তিতে ৯০ কোটি টাকার ঋণ দেয়। কিন্তু কংগ্রেসের মতে, ন্যাশনাল হেরাল্ড বা এজেএল কেউই ঋণ পরিশোধ করতে পারেনি, তাই এটিকে ইক্যুইটি শেয়ারে রূপান্তরিত করা হয়েছিল। যেহেতু একটি দল ইক্যুইটি শেয়ারের মালিক হতে পারে না, তাই সেগুলি ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি অলাভজনক কোম্পানি ইয়ং ইন্ডিয়ানকে বরাদ্দ করা হয়েছিল।

    রাহুল-সোনিয়া কি জেলে যাবেন?

    গান্ধি পরিবারের এই কোম্পানিতে (National Herald Case) ৩৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে এবং বাকি শেয়ারগুলি মতিলাল ভোরা, অস্কার ফার্নান্দেজ, স্যাম পিত্রোদা এবং সুমন দুবের হাতে রয়েছে। আর এভাবেই ইয়ং ইন্ডিয়ান এজিএল (AJL)-এর সংখ্যাগরিষ্ঠ শেয়ারহোল্ডার হয়ে ওঠে, যার পরিচালক ছিলেন স্বয়ং রাহুল-সোনিয়া। আর্থিক দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যে রাহুল গান্ধি এবং সোনিয়া গান্ধি (Rahul Gandhi-Sonia Gandhi) জামিনে মুক্ত রয়েছেন। তবে মামলায় দুর্নীতি প্রমাণিত হলে জেলে যাওয়াটা খুব নিশ্চিত হবে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহালের একাংশ।

  • ABVP: সদস্য সংখ্যা ৭৭ লক্ষ! নতুন রেকর্ড গড়ল বিশ্বের বৃহত্তম ছাত্র সংগঠন এবিভিপি

    ABVP: সদস্য সংখ্যা ৭৭ লক্ষ! নতুন রেকর্ড গড়ল বিশ্বের বৃহত্তম ছাত্র সংগঠন এবিভিপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (ABVP) ৭১ তম রাষ্ট্রীয় অধিবেশন শুরু হয়েছে দেবভূমি উত্তরাখণ্ডের দেরাদুন (Dehradun) শহরের ঐতিহাসিক প্যারেড গ্রাউন্ড ময়দানে। শুক্রবার অধিবেশনের বিশেষ পর্বে রাষ্ট্রীয় সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার বীরেন্দ্র সোলাঙ্কি বছরের প্রতিবেদন পেশ করেন। এই প্রতিবেদনে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের সদস্য সংখ্যা প্রায় ৭৭ লক্ষে পৌঁছে গিয়েছে বলে ঘোষণা করেছেন তিনি। এই বিরাট অঙ্কের সদস্য সংখ্যা নিজেই নিজের রেকর্ডকে ভেঙেছে বলে মনে করছেন এবিভিপি সমর্থকরা।

    পুনঃনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক বীরেন্দ্র (ABVP)

    ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (ABVP) মোট সদস্য সংখ্যা হয়েছে ৭৬৯৮৪৪৮ জন। বিশ্বের বৃহত্তম ছাত্র সংগঠন হিসেবে এবার এবিভিপি আরও একবার মাইল ফলক স্বীকৃতি অর্জন করেছে। বিশ্বের সর্ব বৃহৎ ছাত্র সংগঠনের স্বীকৃতি আগেই পেয়েছিল। এবার সেই ধারাকে অব্যাহত রাখতে নিজেই নিজের কাছে আরেক রেকর্ড গড়ল এই ছাত্র সংগঠন। এবিভিপির রাষ্ট্রীয় অধিবেশন ২৭ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে, চলবে আগামী ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত। ২৮ নভেম্বর আরও একবার রাষ্ট্রীয় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পুনঃনির্বাচিত হয়েছেন ডাক্তার বীরেন্দ্র সোলাঙ্কি। সেই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় সভাপতি হিসবে নবনির্বাচিত হয়েছেন প্রফেসর রঘু রাজ কিশোর তেওয়ারি। তবে গত বছর এবিভিপির সদস্য গ্রহণের সংখ্যা ছিল প্রায় ৫৯.৩৬ লক্ষ। এই বছর অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে।

    প্রধান অতিথি প্রাক্তন ইসরো কর্তা

    শুক্রবার দেরাদুনে (Dehradun) ৭১তম অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (ABVP) রাষ্ট্রীয় সম্মেলনে বক্তৃতা দিয়েছেন ইসরোর প্রাক্তন চেয়ারম্যান বিজ্ঞানী এস সোমনাথ। তিনি বলেন, “বিশ্বাস এবং তথ্য একে অপরের পরিপূরক। সংস্কৃতি এবং উদ্ভাবন একসঙ্গে কাজ করে। আমাদের ঋষিরা চেতনা, গণিত, জ্যোতির্বিদ্যা, ধাতুবিদ্যা, স্থাপত্য এবং চিকিৎসাবিদ্যা অন্বেষণ করেছিলেন। আমাদের আধ্যাত্মিক গ্রন্থগুলিতে আধুনিক বিজ্ঞানের অন্তর্দৃষ্টি এবং গোপন রহস্য রয়েছে। সমস্ত জ্ঞান আমাদের মধ্যে রয়েছে। আমাদের ঐতিহ্যে জ্ঞান, পবিত্রতা এবং তপস্যা আধ্যাত্মিক ধ্যান এর মাধ্যমে অর্জন করতে হয়েছে। বিজ্ঞান এমন একটি হাতিয়ার যার রূপান্তরের ক্ষমতা রয়েছে। আর সংস্কার হল এমন একটি উদ্দেশ্য যা বছরের পর বছর এবং প্রজন্মের কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়। একই ভাবে সেবা হল আমাদের মাতৃভূমির প্রতি আমাদের প্রত্যেকের কর্তব্য।”

  • Ramakrishna 520: “রথের রজ্জু ধরিয়া একটু টানিলেন—তৎপরে রথাগ্রে ভক্তসঙ্গে নৃত্য ও কীর্তন করিতেছেন”

    Ramakrishna 520: “রথের রজ্জু ধরিয়া একটু টানিলেন—তৎপরে রথাগ্রে ভক্তসঙ্গে নৃত্য ও কীর্তন করিতেছেন”

    ৪৯ শ্রীশ্রীরথযাত্রা বলরাম-মন্দিরে

    পঞ্চম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৫, ১৪ই জুলাই
    বলরামের রথযাত্রা—নরেন্দ্রাদি ভক্তসঙ্গে সংকীর্তনানন্দে

     

    ভক্তেরা বাটী হইতে আহারাদি করিয়া ক্রমে ক্রমে আসিতেছেন।

    মহেন্দ্র মুখুজ্জেকে দূর হইতে প্রণাম করিতে দেখিয়া ঠাকুর তাঁহাকে প্রণাম করিতেছেন — আবার সেলাম করিতেছেন। কাছের রকটি ছোকরা ভক্তকে বলিতেছেন, ওকে বল্‌না ‘সেলাম করলে’,—ও বড় অলকট্‌ অলকট্‌ করে। (সকলের হাস্য) গৃহস্থ ভক্তেরা অনেকে নিজেদের বাটীর পরিবারদের আনিয়াছেন;—তাঁহারা শ্রীশ্রীঠাকুরকে দর্শন করিবেন ও রথের সম্মুখে কীর্তনানন্দ দেখিবেন (Kathamrita)। রাম, গিরিশ প্রভৃতি ভক্তেরা ক্রমে ক্রমে আসিয়াছেন। ছোকরা ভক্তেরা অনেকে আসিয়াছেন।

    এইবার নরেন্দ্র গান (Ramakrishna) গাইতেছেন:

    (১)     কত দিনে হবে সে প্রেম সঞ্চার।
    হয়ে পূর্ণকাম বলব হরিনাম,
    নয়নে বহিবে প্রেম-অশ্রুধার ॥

    (২)     নিবিড় আঁধারে মা তোর চমকে ও রূপরাশি।
    তাই যোগী ধ্যান ধরে হয়ে গিরিগুহাবাসী ॥

    বলরাম আজ কীর্তনের বন্দোবস্ত করিয়াছেন,—বৈষ্ণবচরণ ও বেনোয়ারীর কীর্তন। এইবার বৈষ্ণবচরণ গাহিতেছেন—শ্রীদুর্গানাম জপ সদা রসনা আমার। দুর্গমে শ্রীদুর্গা বিনে (Kathamrita) কে করে নিস্তার।

    গান একটু শুনিতে শুনিতে ঠাকুর সমাধিস্থ! দাঁড়াইয়া সমাধিস্থ!—ছোট নরেন ধরিয়া আছেন। সহাস্যবদন। ক্রমে সব স্থির! একঘর ভক্তেরা অবাক্‌ হইয়া দেখিতেছেন। মেয়ে ভক্তেরা চিকের মধ্য হইতে দেখিতেছেন। সাক্ষাৎ নারায়ণ বুঝি দেহধারণ করিয়া ভক্তের জন্য আসিয়াছেন। কি করে ঈশ্বরকে ভালবাসতে হয়, তাই বুঝি শিখাতে এসেছেন!

    নাম করিতে করিতে অনেকক্ষণ পরে সমাধিভঙ্গ হইল। ঠাকুর আসন গ্রহণ করিলে বৈষ্ণবচরণ আবার গান ধরিলেন:

    (১)     হরি হরি বল রে বীণে!

    (২)     বিফলে দিন যায় রে বীণে, শ্রীহরির সাধন বিনে।

    এইবার আর এক কীর্তনীয়া, বেনোয়ারী, রূপ গাহিতেছেন। কিন্তু সদাই গান গাহিতে ‘আহা! আহা!’ বলিয়া ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম করেন। তাহাতে শ্রোতারা কেহ হাসে, কেহ বিরক্ত হয়।

    অপরাহ্ন হইয়াছে। ইতিমধ্যে বারান্দায় শ্রীশ্রীজগন্নাথের সেই ছোট রথখানি ধ্বজা পতাকা দিয়া সুসজ্জিত করিয়া আনা হইয়াছে। শ্রীশ্রীজগন্নাথ, সুভদ্রা ও বলরাম চন্দনচর্চিত ও বসন-ভূষণ ও পুষ্পমালা দ্বারা সুশোভিত হইয়াছেন। ঠাকুর বেনোয়ারীর কীর্তন ফেলিয়া বারান্দায় রথাগ্রে গমন করিলেন,—ভক্তেরাও সঙ্গে সঙ্গে চলিলেন। রথের রজ্জু ধরিয়া একটু টানিলেন—তৎপরে রথাগ্রে ভক্তসঙ্গে নৃত্য ও কীর্তন করিতেছেন। অন্যান্য গানের সঙ্গে ঠাকুর পদ ধরিলেন:

    যাদের হরি বলতে নয়ন ঝরে, তারা তারা দুভাই এসেছে রে!
    যারা মার খেয়ে প্রেম যাচে, তারা তারা দুভাই এসেছে রে!
    আবার — নদে টলমল টলমল করে, গৌরপ্রেমে হিল্লোলে রে।

    ছোট বারান্দাতে রথের সঙ্গে সঙ্গে কীর্তন ও নৃত্য হইতেছে। উচ্চ সংকীর্তন ও খোলের শব্দ শুনিয়া বাহিরের লোক অনেকে বারান্দা মধ্যে আসিয়া পড়িয়াছে। ঠাকুর হরিপ্রেমে মাতোয়ারা (Ramakrishna) । ভক্তেরাও সঙ্গে সঙ্গে প্রেমোন্মত্ত হইয়া নাচিতেছেন।

  • Delhi Blast: ফল বিক্রির নামে বাড়ি ভাড়া নিয়েছিল মুজাম্মিল, ৫ শহরে তল্লাশি, কাশ্মীরে গ্রেফতার ১

    Delhi Blast: ফল বিক্রির নামে বাড়ি ভাড়া নিয়েছিল মুজাম্মিল, ৫ শহরে তল্লাশি, কাশ্মীরে গ্রেফতার ১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে (Delhi Blast Investigation) পাঁচ শহর জুড়ে তাল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। বিস্ফোরণ মামলায় অভিযুক্ত চিকিৎসকদের মদত দিয়েচ্ছিল কারা কারা? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে আরও সক্রিয় হয়ে ময়দানে নেমেছে তদন্তকারী আধিকারিকরা (NIA)। ইতিমধ্যে সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের ব্যবহৃত ফোন, ডিজিটাল ডিভাইস কোথায় কোথায় সক্রিয় এবং কাদের থেকে সহযোগিতা নেওয়া হয়েছে, তার সবটাই খোঁজ করছে তদন্তকারী অফিসাররা।

    মাসে ৮০০০ টাকার ঘর ভাড়া (Delhi Blast Investigation)

    বৃহস্পতিবার কাশ্মীরে অভিযান চালিয়ে ১৯ বছরের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। এই যুবকের বাড়ি ভাতিইন্ডিতে। একাধিক পাকিস্তানের হ্যান্ডলের সঙ্গে যোগ পাওয়া গিয়েছে। অনলাইনে জঙ্গি কার্যকলাপের নানা পাঠ দেওয়া হতো বলে খোঁজ মিলেছে। সেই সঙ্গে ফোনের সূত্র ধরে একাধিক পাকযোগের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে।

    ফরিদাবাদে বিস্ফোরক (Delhi Blast Investigation) উদ্ধারকাণ্ডে ধৃত মুজ্জামিল সম্পর্কে আরও চাঞ্চাল্যকর তথ্য পাওয়া গিয়েছে। মুজ্জামিলের সঙ্গে চক্রের সঙ্গে যুক্ত ডাক্তার শাহিন সইদের বিয়ায়ের তথ্য সামনে উঠে এসেছে। ফরিদাবাদে তাদের আরও দুটি গোপন ডেরা ছিল। খোরি জামালপুর গ্রামের জুম্মা খানের থেকে একটি বাড়ি মুজাম্মিল ভাড়া নিয়েছিল। সেখানে ফলের ব্যবসা করবে বলেই এই বাড়ি ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। অপর দিকে স্থানীয় সহযোগিতায় জায়গা নিয়ে একটি বাড়িও নির্মাণ হয়েছিল। তবে জমির মালিক ছিলেন এক কৃষক। এই বাড়িটি আল ফালাহ্ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে গ্রামের প্রাক্তন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান জুম্মা খানের বাড়িটিকেই মুজাম্মিল ভাড়া নিয়েছিল। এই বাড়িটিতে তিনটি বেড রুম ও একটি রান্নাঘর ছিল। কাঁচামালের কারখানার উপরে  তৈরি ঘরে থাকত মুজাম্মিল। এপ্রিল থেকে জুলাই মাসের মধ্যে প্রতি মাসে মোট ৮ হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে থাকত এই অভিযুক্ত। সদ্য এনআইএ জুম্মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই সমস্ত তথ্য উদ্ধার করেছে। জেরায় জুম্মা আরও বলে, একটা সময়ের পর গরমের জন্য কাশ্মীরি ফলের ব্যবসা চালানো কষ্টকর হচ্ছে। তবে মুজাম্মিলকে আগে থেকে জুম্মাকে জানতো না বলে জানিয়েছে।

    ডক্টর টেরর মডেলের সন্ধান

    সূত্রে জানা গিয়েছে, দিল্লি বিস্ফোরণ (Delhi Blast Investigation) মামলায় প্রত্যক্ষ মদতকারীদের খোঁজ করতে উত্তরপ্রদেশ, হারিয়ানা, জম্মু-কাশ্মীরের পাঁচটি বড় বড় শহরে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে। তার মধ্যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA) লখনউ, কানপুর, সাহরানপুর, ফরিদাবাদ, জম্মু-কাশ্মীরে রয়েছে। তবে এই পাঁচ জায়গাকেই জঙ্গি মডিউলের আঁতুড়ঘর বলে সন্দেহ করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ফরিদাবাদের আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার পুনর্নির্মাণের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল অভিযুক্ত চিকিৎসক শাহিন সইদকে। এরপর তাকে লখনউ এবং কানপুরে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। এই ডক্টর টেরর মডেলে যারা অংশ নিয়েছিল বা সহযোগিতা করেছিল, তাদের সকলকেই খোঁজ করে তদন্তের আওতায় নিয়ে আসার কাজ করছে এনআইএ।

    ডিজিটাল ডিভাইসকে উদ্ধারের খোঁজ

    আপাতত প্রাথমিক ভাবে ডিজিটাল ডিভাইসকে উদ্ধার এবং সূত্র খোঁজের ব্যাপক তল্লাশি চালচ্ছে তদন্তকারী অফিসাররা (NIA)। আগে যে সাতজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের ডিজিটাল ডিভাইস গুলিকে কোথায় কোথায় রেখে ব্যবহার করা হয়েছিল, সেই প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। চিকিৎসকদের নেটওয়ার্ককে ভালো করে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যারা উচ্চ শিক্ষিত তাদের মধ্যে নিজেদের পেশার আড়ালে অবৈধ ষড়যন্ত্রের কাজ করছেন কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই রকম বেশ কিছু উচ্চ শিক্ষিত ডাক্তার এবং গবেষকদের উপর কঠোর নজর রাখা হয়েছে। ধৃতদের ব্যক্তিগত যোগাযোগ এবং নেট ওয়ার্ক সম্পর্কে সমস্ত তথ্য খুঁজে বের করা হচ্ছে। উত্তর প্রদেশ এবং ফরিদাবাদের বেশ কিছু এলাকায় অভিযান চালানো হচ্ছে।

    চলছে জিজ্ঞাসাবাদ

    তদন্তকারীদের (NIA) সূত্রের খবরে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের (Delhi Blast Investigation) বেশকিছু নেটওয়ার্ক আরও অনেকগুলি শহরে এখনও সক্রিয় রয়েছে। সাহারনপুরে যে গাড়ি ব্যবহার করা হয়েছে সেই একই গাড়িকে ব্যবহার করা হয়েছে বিস্ফোরণে। একই ভাবে কানপুরে গোপন আস্তানার খবর পাওয়া গিয়েছে। ফলে বিস্ফোরণের সঙ্গে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে যুক্ত এমন তালিকায় যাদের অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে তাদের সকলকেই আলাদা আলাদা ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

  • Aadhaar: চলছে সুরক্ষা অভিযান, ২ কোটির বেশি মৃত গ্রাহকের আধার নম্বর নিষ্ক্রিয় করল ইউআইডিএআই

    Aadhaar: চলছে সুরক্ষা অভিযান, ২ কোটির বেশি মৃত গ্রাহকের আধার নম্বর নিষ্ক্রিয় করল ইউআইডিএআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২ কোটির বেশি মৃত গ্রাহকের আধার নম্বর নিষ্ক্রিয় করেছে আধার সংস্থা। আধার (Aadhaar) কর্তৃপক্ষ ইউআইডিএআই-এর (UIDAI) তরফে এমনটাই পরিসংখ্যান পেশ করে জানিয়েছে। বিহারের পর বাংলায় ভোটার তালিকায় নিবিড় সংশোধন চলাকালীন ২ কোটির বেশি আধার নম্বর নিষ্ক্রিয় করেছে। তবে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, দেশ জুড়ে স্বচ্ছতা এবং সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে বিশেষ অভিযান চালানো হয়েছে। আধারের তথ্যকে নিরাপদ রাখতেই এই পদক্ষেপ।

    গ্রাহকের মৃত্যু হলে আধার নিষ্ক্রিয় করা জরুরি (Aadhaar)

    কেন্দ্রীয় বৈদ্যুতিন ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক জানিয়েছে, রেজিস্ট্রার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া, রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলির কাছ থেকে মৃত মানুষ সম্পর্কে তথ্য পেয়েছে ইউআইডিএআই। যদি কোনও গ্রাহকের মৃত্যু হয়, তাহলে সেই নম্বর অপর কোনও ব্যক্তিকে আধার (Aadhaar) নম্বর দেওয়া হয় না। গ্রাহকের মৃত্যু হলে আধার নিষ্ক্রিয় করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। ফলে যে কোনও রকমের জালিয়াতি বন্ধ করা যাবে। একজনের ব্যক্তিগত তথ্য অপর আরেকজন ব্যবহার করতে পারবে না। তাই পরিবারের কেউ মারা গেলে আধার নম্বর বাতিল করা উচিত। ইউআইডিএআই নাগরিকদের তাই এই ক্ষেত্রে আধার নিষ্ক্রিয় করার বার্তা দিয়েছে। মাই আধার পোর্টালে (UIDAI)  গিয়ে এই কাজ খুব সহজেই করা যাবে। মৃত গ্রাহকের ডেথ সার্টিফিকেট বা মৃত্যু শংসাপত্র জমা দিতে হবে।

    জালিয়াতি রুখতে পদক্ষেপ

    মৃত গ্রাহকের (Aadhaar) আধার নম্বর বাতিল করতে চলতি বছরের শুরুতেই ইউআইডিএআই মাই আধার পোর্টালে ডেথ অফ এ ফ্যামেলি মেম্বার পরিষেবা শুরু করেছে। দেশের ২৫ টি রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে এই পরিষেবা রয়েছে। প্রশাসনের দেওয়া মৃত্যুর শংসাপত্র দিলে তবেই আবেদন করা যাবে আধার নিষ্ক্রিয় করার কাজ। আধারে মোট ১২টি সংখ্যার বিশেষ ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (UIDAI) থাকে। প্রত্যেকের আধার নম্বর আলাদা আলাদা হয়। সেই সঙ্গে গ্রাহকের নাম, ঠিকানা, ছবিও থাকে আধারে। ডিজিটাল যুগের কাজের সুবিধায় আধার নম্বর সব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। আবার অপর দিকে প্রচুর পরিমাণে জালিয়াতির খবরও পাওয়া যাচ্ছে। অন্যের তথ্য হাতিয়ে প্রতারণার অনেক অভিযোগের খবরও উঠে আসছে।

    মৃত সদস্যের আধার কীভাবে নিষ্ক্রিয় করবেন

    • প্রথমে মৃত ব্যক্তির ডেথ সার্টিফিকেট সংগ্রহ করুন।
    • এর পর myAadhaar Portal-এ যেতে হবে।
    • আধার নম্বর দিয়ে প্রথমে মোবাইলে OTP নিতে হবে। এর পর, সেই OTP দিয়ে লগ ইন করুন।
    • Report Death of a Family Member অপশনটি বেছে নিন।
    • সেখানে মৃত ব্যক্তির তথ্য ভরুন। আধার নম্বর, ডেথ রেজিস্ট্রেশন নম্বর, এলাকার তথ্য লিখতে হবে।
    • ডেথ সার্টিফিকেটটি আপলোড করতে হবে এর পর।
    • সব শূন্যস্থান পূরণ করে, তথ্য একবার যাচাই করে নিয়ে রিকোয়েস্ট সাবমিট করে দিন।
    • UIDAI সেই অনুরোধ খতিয়ে দেখবে, খতিয়ে দেখবে যাবতীয় তথ্য। সেই মতো মৃত ব্যক্তির আধার নম্বর নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হবে।
LinkedIn
Share