Author: suman-das

  • Amit Shah: নাড্ডার নৈশভোজে ‘মিশন বেঙ্গল’ রণনীতি স্থির বিজেপির, অমিত শাহ দিলেন জয়ের টনিক

    Amit Shah: নাড্ডার নৈশভোজে ‘মিশন বেঙ্গল’ রণনীতি স্থির বিজেপির, অমিত শাহ দিলেন জয়ের টনিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহার জয়ের পর বাংলাকে টার্গেট করে দিল্লিতে রণনীতি স্থির করল বিজেপি। বৃহস্পতিবার বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাশ নাড্ডার বাড়িতে নৈশভোজনে বাংলা নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ ভাষণ দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। ‘মিশন বেঙ্গল’-এর উল্লেখ করে বলেন, “যেখানে শক্তি কম সেখানেই যেতে হবে।” আগামী ২৬ সালের নির্বাচনে (WB Election 2026) কীভাবে বঙ্গ জয় হবে সেই রণকৌশল ঠিক করল কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব। নেতাদের মধ্যে যেমন বিহার জয়ের উল্লাস ছিল, ঠিক তেমনি তৃণমূলকে সরিয়ে বিজেপির শাসন প্রতিষ্ঠার উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো।

    লোকের দুয়ারে পৌঁছে যেতে হবে (Amit Shah)

    প্রবীণ বিজেপি নেতা অমিত শাহ (Amit Shah) এদিন বলেন, “এখন বাংলাকে জয় করতে আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। যেখানে আমাদের শক্তি কম সেখানে আমাদের পৌঁছাতে হবে। আরও বেশি বেশি করে লোকের দুয়ারে পৌঁছে যেতে হবে। নেতাদের ভূমিকা কেবল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়াই নয়। যেখানে যেখানে আমাদের লোকজন কম সেখানে সেখানে আমাদের কাজ বৃদ্ধি করতে হবে। সাধারণ মানুষের মনে বিশ্বাস এবং আস্থা দিতে হবে। আমাদের উপস্থিতি যে সর্বত্র তা প্রমাণ করতে হবে। কোনও নেতা মনে করবেন না কেবলমাত্র নিজেদের গুণেই জয়ী হয়েছেন। আর যদি তা ভাবেন তাহলে তাকে আত্মতুষ্টি বলতে হবে। অহংকার যেন মনে তৈরি না হয়। বিহারের পর আমরা বাংলার দিকে এগিয়ে যেতে চাইছি। যেকোনও নেতাকেই যে কোনও কাজে যে কোনও এলাকায় কাজের জন্য পাঠানো যেতেই পারেই।”

    বাংলার ভিত্তি বিরাট শক্ত

    উল্লেখ্য, সম্প্রতি কয়েক দিন আগেই সংবাদ মাধ্যমকে বিশেষ বার্তা দিয়ে অমিতা শাহ (Amit Shah) বলেছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাই করুন না কেন আগামী বছর নির্বাচনে (WB Election 2026) বিজেপি জয়ী হবে। বিজেপি একসময় তিনটি আসনে ছিল এখন ৭৭ আসনে জয়ী হয়েছে। শতাব্দীর প্রাচীন দল প্রায় ৫০ বছর ধরে বাংলায় ছিল কংগ্রেস, এখন সেই দল শূন্যে পৌঁছে গিয়েছে। ৩৪ বছর কমিউনিস্ট সরকার শাসন করেছে তারাও আজ শূন্য। বাংলার পায়ের তলায় মাটি খুঁজে পেয়ে গিয়েছে বিজেপি। ভিত্তি স্থাপন হয়ে গিয়েছে আগেই। এবার ভিত্তির উপর নির্ভর করে বাড়ি গড়তে হবে। ২০২৬ সালের নির্বাচনে নিশ্চিত ভাবে বিজেপি জয়ী হবে। তৃণমূলের সমস্ত অপশাসন থেকে বাংলা দ্রুত মুক্ত হবে।”

  • CNAP system: আর স্প্যামকল নয়, ফোনে ভেসে উঠবে কলারের আধার যুক্ত নাম! কেন্দ্র আনল সিএনএপি

    CNAP system: আর স্প্যামকল নয়, ফোনে ভেসে উঠবে কলারের আধার যুক্ত নাম! কেন্দ্র আনল সিএনএপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  যদি আপনার ফোনে হঠাৎ করে কেউ ফোন করে, আর আপনি অপরিচিত নাম দেখাতে শুরু করেন, এমন নাম যা আপনি কখনও সেভ করেননি, তাহলে চিন্তা করবেন না। এটি কোনও ত্রুটি নয়। এটি ভারত সরকারের নতুন সিএনএপি (CNAP system) সিস্টেম, যা দেশের কিছু অংশে পরীক্ষা করা হচ্ছে। কোনও ভয় পাওয়ার কারণ নেই। অপরিচিত নাম বা নম্বর নিয়ে অহেতুক ভয় পাবেন না। ফোন (Calling Name Presentation) করলে আধার যুক্ত নাম প্রদর্শিত করবে।

    আধার নামটি প্রদর্শিত হবে (CNAP system)

    সিএনএপি (CNAP system)-এর অর্থ হল কলিং নেম প্রেজেন্টেশন এবং এটি ট্রু কলার (Truecaller) এর মতো ব্যবস্থা, তবে সরকার স্বীকৃত এবং সরকারের দ্বারা তৈরি। গ্রাহককে এই নিয়ে কোনও অসুবিধায় পড়তে হবে না। এই সিস্টেমের অর্থ হল ক্রাউডসোর্সড ডেটা। তার মানে হল ব্যবহারকারীর অনুমানের উপর নির্ভর না করেই কল করা ব্যক্তির আসল আধার-লিঙ্কযুক্ত নাম দেখা যাবে মোবাইল স্ক্রিনে। কেউ যখন আপনাকে ফোন করে তখন সিস্টেমটিতে কী হয় তা আসুন জেনে নিই। প্রথমে আপনার ফোনে (Calling Name Presentation) সেই মোবাইল নম্বরের সঙ্গে যুক্ত আধার নামটি প্রদর্শিত হবে। কিছুক্ষণ পরে, এটি আপনার ফোনের কন্টাক্ট লিস্টে সেভ করা নামটি দেখাবে। এর অর্থ হল প্রথমে যাচাইকৃত সরকারি পরিচয়পত্রটি দেখাবে এবং এরপর ব্যক্তিগত মোবাইলে সেভ করা তথ্যকে দ্বিতীয় স্থানে প্রদর্শন করবে।

    শনাক্তকরণকে আরও নির্ভুল

    এখন প্রশ্ন হল সরকার কেন এমন পদ্ধতির ব্যবহার শুরু করছে? কেন্দ্রীয় সরকার গত মাসে সিএনএপি (CNAP) পোর্টাল অনুমোদন করেছে। এতে টেলিকম অপারেটররা কলার শনাক্তকরণকে আরও নির্ভুল এবং বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে এটিকে কার্যকর করেছে। এর লক্ষ্য হল জটিলতা হ্রাস করা, জালিয়াতি প্রতিরোধ করা এবং অপরিচিত নম্বর থেকে কলের (Calling Name Presentation) উত্তর দেওয়ার সময় মানুষকে আরও আত্মবিশ্বাসী করা। উল্লেখ্য আগে, যদি আপনার স্ক্রিনে কোনও অসংরক্ষিত নম্বর দেখা যেত, তাহলে ট্রুকলার (Truecaller)-এর মতো অ্যাপ ব্যবহার না করলে, সেই নম্বরটিকে জানার কোনও স্পষ্ট উপায় ছিল না। নির্দিষ্ট কলের তথ্যটি প্রায়শই অন্যান্য ব্যবহারকারীদের উপর নির্ভর করতে হতো। তবে সবসময় নির্ভরযোগ্যও ছিল না। সিএনএপি (CNAP system) প্রত্যেক কল করা ব্যক্তির নাম এখন সরাসরি তাদের সিম নিবন্ধনের সঙ্গে যুক্ত করে দিয়েছে। ভারতে এখন কলার আইডি কীভাবে কাজ করে তার মধ্যে এটি একটি লক্ষণীয় পরিবর্তন। তবে গোপনীয়তা, নির্ভুলতা এবং লোকেরা তাদের প্রদর্শিত নাম আপডেট বা পরিবর্তন করতে পারবে কিনা সে সম্পর্কে পরিষেবাটি সম্প্রসারণের বিষয়টিও আলোচনা সাপেক্ষ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

    আপাতত সিএনএপি (CNAP system) গ্রাহকদের কল ধরার সময় আরও স্বচ্ছ এবং বিশ্বাস যোগ্যতাকে নিশ্চিত করছে। অপরিচিত নম্বর থেকে কল ধরার সময় সেটিকে আরও কার্যকর করা হচ্ছে। টেলিকম অপারেটররা সারা দেশে সিস্টেমটিকে সক্রিয় করার সঙ্গে মোবাইলে ব্যক্তিগত যোগাযোগের নামগুলিকে প্রদর্শিত হওয়ার আগে স্ক্রিনে যাচাইকরেই দেখাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

  • Ramakrishna 519: “চীনের পুতুল দোকানে চিঠি হাতে করে যায় শুনেছ! ঈশ্বরই কর্তা! আপনাকে অকর্তা জেনে কর্তার ন্যায় কাজ করো”

    Ramakrishna 519: “চীনের পুতুল দোকানে চিঠি হাতে করে যায় শুনেছ! ঈশ্বরই কর্তা! আপনাকে অকর্তা জেনে কর্তার ন্যায় কাজ করো”

    ৪৯ শ্রীশ্রীরথযাত্রা বলরাম-মন্দিরে

    পঞ্চম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৫, ১৪ই জুলাই
    বলরামের রথযাত্রা—নরেন্দ্রাদি ভক্তসঙ্গে সংকীর্তনানন্দে

    বেলা ১টা হইয়াছে। ঠাকুর আহারান্তে আবার বৈঠকখানা গরে আসিয়া ভক্তসঙ্গে বসিয়া আছেন। একটি ভক্ত পূর্ণকে ডাকিয়া আনিয়াছেন। ঠাকুর মহানন্দে মাস্টারকে বলিতেছেন, “এই গো! পূর্ণ এসেছে।” নরেন্দ্র (Ramakrishna), ছোট নরেন, নারাণ, হরিপদ ও অন্যান্য ভক্তেরা কাছে বসিয়া আছেন ও ঠাকুরের সহিত কথা (Kathamrita) কহিতেছেন।

    স্বাধীন ইচ্ছা (ফ্রি উইল) ও ছোট নরেন—নরেন্দ্রের গান

    ছোট নরেন—আচ্ছা, আমাদের স্বাধীন ইচ্ছা (ফ্রি উইল) আছে কি না?

    শ্রীরামকৃষ্ণ — আমি কে খোঁজ দেখি। আমি খুঁজতে খুঁজতে তিনি বেরিয়ে পড়েন! ‘আমি যন্ত্র তুমি যন্ত্রী’। চীনের পুতুল দোকানে চিঠি হাতে করে যায় শুনেছ! ঈশ্বরই কর্তা! আপনাকে অকর্তা জেনে কর্তার ন্যায় কাজ করো।

    “যতক্ষণ উপাধি, ততক্ষণ অজ্ঞান; আমি পণ্ডিত, আমি জ্ঞানী, আমি ধনী, আমি মানী; আমি কর্তা বাবা গুরু — এ-সব অজ্ঞান থেকে হয়। ‘আমি যন্ত্র, তুমি যন্ত্রী’—এই জ্ঞান। অন্য সব উপাধি চলে গেল। কাঠ পোড়া শেষ হলে আর শব্দ থাকে না—উত্তাপও থাকে না। সব ঠাণ্ডা! — শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ!

    (নরেন্দ্রকে)—“একটু গা না।”

    নরেন্দ্র—ঘরে যাই—অনেক কাজ আছে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ(Ramakrishna)—তা বাছা, আমাদের কথা শুনবে কেন? ‘যার আছে কানে সোনা, তার কথা আনা আনা। যার আছে পোঁদে ট্যানা তার কথা কেউ শোনে না!’ (সকলের হাস্য)

    তুমি গুহদের বাগান যেতে পারো। প্রায় শুনি, আজ কোথায়, না গুহদের বাগানে! — এ কথা বলতুম না, তুই কেঁড়েলি করলি—”

    নরেন্দ্র কিয়ৎক্ষণ চুপ করিয়া আছেন। বলছেন, “যন্ত্র নাই শুধু গান—”

    শ্রীরামকৃষ্ণ—আমাদের বাছা যেমন অবস্থা—এইতে পার তো গাও। তাতে বলরামের বন্দোবস্ত!

    “বলরাম বলে (Kathamrita), ‘আপনি নৌকা করে আসবেন, একান্ত না হয় গাড়ি করে আসবেন’,-(সকলের হাস্য) খ্যাঁট দিয়েছে। আজ তাই বৈকালে নাচিয়ে নেবে (হাস্য)। একান থেকে একদিন গাড়ি করে দিছলো—বারো আনা ভাড়া;—আমি বললাম, বার আনায় দক্ষিণেশ্বরে যাবে? তা বলে, ‘ও অমন হয়।’ গাড়ি রাস্তায় যেতে যেতে একধার ভেঙে পড়ে গেল — (সকলের উচ্চ হাস্য)। আবার ঘোড়া মাঝে মাঝে একেবারে থেমে যায়। কোন মতে চলে না; গাড়োয়ান এক-একবার খুব মারে, আর এক-একবার দৌড়ায়! (উচ্চ হাস্য) তারপর রাম খোল বাজাবে—আর আমরা নাচব—রামের তালবোধ নাই। (সকলের হাস্য) বলরামের ভাব, আপনারা গাও, নাচো, আনন্দ করো। (সকলের হাস্য)

  • SLST Tainted Candidates: হাইকোর্টের গুঁতোয় নিয়োগ দুর্নীতি কেসে দাগিদের নামের তালিকা প্রকাশ এসএসসির

    SLST Tainted Candidates: হাইকোর্টের গুঁতোয় নিয়োগ দুর্নীতি কেসে দাগিদের নামের তালিকা প্রকাশ এসএসসির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের গুঁতোয় শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দাগিদের নামের তালিকা (SLST Untainted Candidates) প্রকাশ করেছে এসএসসি। নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির সহকারী শিক্ষকদের তালিকায় মোট ১৮০৬ জনের নাম আছে বলে জানা গিয়েছে। এই লিস্ট ২০১৬ সালের নিয়োগ তালিকা বলে জানা গিয়েছে। একই ভাবে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে এবার এসএসসি (SSC) যে নতুন করে পরীক্ষা নিয়েছে তাতে যতজন পরীক্ষা দিয়েছেন, তাঁদের সকলের ওএমআর শিট প্রকাশ করতে হবে।

    নাম, রোল নম্বর, বিষয়, পিতার নাম, জন্মতারিখ লিস্টে (SLST Untainted Candidates)

    দাগিদের প্রকাশিত তালিকায় প্রার্থীদের নামের সঙ্গে রোল নম্বর, বিষয়, অভিভাবকের নাম, জন্মতারিখও উল্লেখ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, আগে যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল সেখানে শুধু দাগিদের অযোগ্য বলে (SLST Untainted Candidates) নাম ও রোলনম্বর দেওয়া হয়েছিল। এবার বৃহস্পতিবার যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে তাতে আদালতের নির্দেশ মতো নাম, রোল নম্বর, বিষয়, পিতার নাম, জন্মতারিখ উল্লেখ করা হয়েছে। তবে ২০১৬ সাল থেকে কে কে কোন কোন স্কুলে পড়িয়েছেন, সেই বিষয়েও কোনও উল্লেখ করা হয়নি। অযোগ্যরা কোন কোন স্কুলের শিক্ষক ছিলেন, তালিকায় তা কেন নেই, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ওয়াকিবহাল মহল। একই ভাবে বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে এসএসসিকে নিজেদের ওয়েবসাইটে যারা যারা পরীক্ষায় বসেছে তাদের নামের ওএমআরসিট প্রকাশ করতে হবে। বিচারপতি বিশেষ ডেডলাইন দিয়ে দ্রুত কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছেন।

    পুরাতন এবং ফ্রেশার্সদের একই সঙ্গে পরীক্ষা কেন?

    গতকাল বুধবার এবং বৃহস্পতিবার সুপ্রিমকোর্ট-হাইকোর্ট এসএসসিকে (SSC) মন্তব্য করে জানিয়েছে, নিয়োগের পরীক্ষা নিয়ে এবং পরীক্ষার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। চাকরি প্রার্থীদের মনে সংশয় এই নিয়োগে কি স্বচ্ছতা রয়েছে? ২০১৬ সালের প্যানেল বাতিলের সময় সাফ বলা হয়েছে দাগিরা যেন কোনও ভাবেই পরীক্ষায় বসতে না পারেন। অথচ পরীক্ষার এসময় এটাও বলা হয়েছিল অযোগ্য নয় এমন প্রার্থীদের পরীক্ষা নিতে হবে। তবে পুরাতন এবং ফ্রেসার্সদের একই সঙ্গে নেওয়া হবে কিনা সেই বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। সবটাই একটা গোলমালের বিষয়। তবে চাকরি প্রার্থীদের অধিকাংশের স্পষ্ট মত তৃণমূল সরকার চাকরি দিতে চায় না।

  • US Shooting: হোয়াইট হাউসের কাছেই এলোপাতাড়ি গুলি! অভিযুক্ত আফগান নাগরিক, না ছাড়ার হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

    US Shooting: হোয়াইট হাউসের কাছেই এলোপাতাড়ি গুলি! অভিযুক্ত আফগান নাগরিক, না ছাড়ার হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হোয়াইট হাউসের অদূরেই চলল এলোপাতাড়ি গুলি (US Shooting)! রীতিমতো গুরুতর জখম হয়েছেন ন্যাশনাল গার্ডের ২ জওয়ান। দারুণ সঙ্কটজনক অবস্থায় রয়েছেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, ভারতীয় সময় অনুযায়ী বৃহস্পতিবার ভোরে ওয়াশিংটনে ঘটনা ঘটেছে। এই হামলার প্রতিবাদে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald John Trump)। তিনি রীতিমতো গর্জে উঠেছেন। অপরাধীদের কোনও ভাবেই ছাড়া হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছেন। তবে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, এই হামলা সম্পূর্ণ ভাবে জঙ্গি হামলা। এই মামলার বিচার ফেডেরাল স্তরেই হবে বলে জানিয়েছেন।

    অত্যন্ত পরিকল্পিত হামলা (US Shooting)

    হামলার পর এক সন্দেভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ (US Shooting) হওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওয়াশিংটনের মেয়র মুরিয়েল বাউসার জানিয়েছেন, “এই হামলা অত্যন্ত পরিকল্পিত হামলা। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।” একই ভাবে এফবিআইয়ের ডিরেক্টর কাশ পটেল বলেছেন, আহত দুই ন্যাশনাল গার্ড সদস্যকে হাসপাতাল ভর্তি করানো হয়েছে। আহত দুই ব্যক্তি ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া স্টেট ন্যাশনাল গার্ডের সদস্য। ওয়েস্ট ভার্জিনিইয়ার গভর্নর প্যাট্রিক মরিস জানিয়েছেন, গুরুতর অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাঁরা।

    হামলাকারীর নাম রহমানুল্লা

    প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ভোরে ন্যাশনাল গার্ড সদস্যদের দিকে এগিয়ে এসে আচমকা বন্দুক বার করে গুলি (US Shooting) চালাতে শুরু করে এক যুবক। আবার সংবাদসংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের একটি প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, যুবককে লক্ষ্য করে পাল্টা গুলি চালানো হয়। প্রাথমিক সূত্রে জানা গিয়েছে, হামলাকারী ২৯ বছর বয়সি এক আফগান যুবক নাগরিক। নাম রহমানুল্লা লাকানওয়াল। শরণার্থী হিসবে থাকছিলেন অ্যামেরিকায়। ২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালিবান অভ্যুত্থানের সময় অপারেশন অল ইজ ওয়েলকামের অধীনে সে দেশ থেকে আমেরিকায় চলে এসেছিল। ওয়াশিংটনের বেলিংহামে থাকত। তবে হামলার কারণ কী ছিল তা অবশ্য জানা যায়নি।

    মহিলারক্ষীর বুকে গুলি লাগে

    প্রথমে হামলাকারী নর্থ-ওয়েস্ট ডিসির ফ্যারাগুট ওয়েস্ট মেট্রো স্টেশনের কাছে বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষায় ছিল। এরপর দুপুর ২টো ১৫ মিনিটে নাগাদ হামলাকারী গুলি চালিয়েছিল। একজন মহিলারক্ষীর বুকে গুলি লাগে। পরের গুলি মাথকে লক্ষ্য করে চালায়। সেই সময় তৃতীয় আরেকজন রক্ষী ছুটে এসে অভিযুক্তকে কাবু করে। পরপর গুলি চালিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে দেয়। এরপর অভিযুক্তকে গুলি করলে আহত অবস্থায় সে মাটিতে পড়ে যায়। তারপর কার্যত নগ্ন অবস্থায় অ্যাম্বুল্যান্সে তোলা হয়। তবে গুলির আঘাতে অভিযুক্ত বেঁচে আছে না মারা গিয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। কিন্তু আহত দুই রক্ষীর অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক বলে জানা গিয়েছে।

    ২০২১ সালে এসেছিল রহমানুল্লা

    ২০২১ সালে আফগানিস্তান থেকে আমেরিকায় এসেছিল রহমানুল্লা। ওই বছরই আবার ১৫ অগাস্ট আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের দখল নিয়েছিল তালিবানরা। নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার কথা ভেবে আফগান নাগরিকদের আমেরিকায় নিয়ে আসতে ‘অপারেশন অল ইজ ওয়েলকাম’ করেছিল জো বাইডেনের সরকার। ওই অভিযানেই বিমানে চাপিয়ে আফগানিস্তান থেকে প্রায় ২০ হাজার আফগান নাগরিককে মার্কিন কূটনীতিকদের আমেরিকায় ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। সেই সময়ই রহমানুল্লা আমেরিকায় এসেছিল। তার পর থেকে তিনি ওয়াশিংটনের বেলিংহামেই থাকত বলে জানা গিয়েছে।

    ট্রাম্পের কড়া বার্তা

    সামাজিক মাধ্যমে ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald John Trump)। তিনি বলেন, “যে পশু ন্যাশনাল গার্ড কর্মীদের গুলি (US Shooting) করেছে, তাকে চরম মূল্য দিতে হবে। ঈশ্বর ন্যাশনাল গার্ড-সহ আমাদের সব সামরিক ও আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার কর্মীর মঙ্গল করুন। তাঁরা সত্যিই মহান মানুষ। আমি, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে আপনাদের পাশে আছি।”

    প্রশাসনের তরফে গোটা এলাকায় হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। ৫০০ ন্যাশনাল গার্ডকে মোতায়েন করা হয়েছে। ট্রাম্প নিজে ওয়াশিংটনে নেই। থ্যাঙ্কস গিভিং উদযাপনে গিয়েছেন ফ্লোরিডায়। প্রেসিডেন্টকে ঘটনার কথা বিশদে জানানো হয়েছে। গোটা পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছে হোয়াইট হাউস। উল্লেখ্য বিশ্বের শক্তিশালী দেশ হিসেবে আমেরিকায় এই হামলার ঘটনা নতুন নয়। আগেও বেশ কয়েকবার বন্দুকবাজ হামলার ঘটনায় গোটা বিশ্বে তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল। এতো শক্তিধর রাষ্ট্রও যে জঙ্গি হামলা থেকে মুক্ত নয় সে কথা আরও একবার প্রমাণিত হয়।

  • Suvendu Adhikari: “আপনাকে বাটি নিয়ে কালীঘাটের সামনে বসাব”, মমতার ‘ভারত হেলিয়ে দেব’ মন্তব্যের পাল্টা শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “আপনাকে বাটি নিয়ে কালীঘাটের সামনে বসাব”, মমতার ‘ভারত হেলিয়ে দেব’ মন্তব্যের পাল্টা শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আপনাকে বাটি নিয়ে কালীঘাটের সামনে বসাব।” রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঠিক এই ভাবেই আক্রমণ করলেন বিরোধীদল নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। হলদিয়ায় বিজেপির পরিবর্তন যাত্রায় অংশগ্রহণ করে মমতার “ভারত হেলিয়ে দেব” মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন শুভেন্দু। রাজ্যের নানা ক্ষেত্রে দুর্নীতি এবং অগণতান্ত্রিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে তৃণমূলকে নিশানা করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে মমতাকে সরিয়ে বিজেপির সরকার গড়ার ডাকও দেন।

    মৃত মানুষের চোখও তুলে বিক্রি (Suvendu Adhikari)

    বনগাঁতে এসআইআর (SIR) বিরোধিতার কথা বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “আমাকে আঘাত করলে আমি সারা ভারত হেলিয়ে দেব। এটা মাথায় রেখো।” এরপর শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেন, “আপনি ভারত হেলাবেন বলেছেন, আপনাকে পশ্চিমবঙ্গের লোক এপ্রিল মাসে এমন হেলাবে, এমন হেলাবে যে আপনার ভাইপো যাবে জেলে। আর আপনাকে বাটি নিয়ে কালীঘাটের সামনে বসাব। আমাদের নাম মেদিনীপুর। আপনি কাল বারাসাতে কী দেখলেন? তৃণমূল মৃত মানুষের চোখও তুলে বিক্রি করে দেয়। ভাবতে পারেন, কোন রাজ্যে বসবাস করছেন আপনারা? আমরা পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল নেতাকে ব্যালট খেতে দেখেছি। এই সর্বভুক তৃণমূল সব খেয়ে হজম করে দিচ্ছে। তাই, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে এই চোরদের আমাদের হারাতে হবে। আমাদের সংকল্প, প্রতি হাতে কাজ। প্রতি পেটে ভাত, প্রতি মাথায় ছাদ। আমাদের সংকল্প, সোনার বাংলা। আমাদের সংকল্প কী ? টাটাকে ফেরাব বাংলায়। আমাদের সংকল্প কী? শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি আবার নতুন করে সেজে উঠুক। আমাদের সংকল্প, নারীর সুরক্ষা। আমাদের সংকল্প, কন্যা সুরক্ষা।”

    অবৈধ ভোটারদের দ্রুত তালিকা থেকে বাদ যাবে

    উল্লেখ্য, এসআইআর প্রসঙ্গে রাজ্যরাজনীতি উত্তাল! তৃণমূল কংগ্রেস প্রথম থেকেই নিবিড় তালিকা সংশোধনের বিষয়ে অপপ্রচার করছে বলে বিজেপির অভিযোগ। মতুয়া ভোটকে নিজের ঘরে টানতে মমতাবালা ঠাকুর অনশনে বসেছিলেন। একটাই দাবি ছিল তাঁর এসআইআর (SIR) হলে মতুয়াদের নাম বাদ দেবে নির্বাচন কমিশন। অথচ জাতীয় নির্বাচন কমিশন বার বার বলছে একজন বৈধ ভোটারের নাম বাদ যাবেনা। একই ভাবে কমিশন এটাও জানিয়েছে অবৈধ ভোটারদের নাম ভোটার তালিকায় থাকবে না। আর তাই অবৈধ ভোটারদের দ্রুত তালিকা থেকে বাদ দিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের যাতে ভারতের বাইরে পাঠানো হয় সেই কথা বলেই চরম হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

  • Shree Hanuman Chalisa: গুলশান কুমারের হনুমান চালিশা প্রথম ভারতীয় ভিডিও যা ইউটিউবে পার করল ৫০০ কোটি ভিউ!

    Shree Hanuman Chalisa: গুলশান কুমারের হনুমান চালিশা প্রথম ভারতীয় ভিডিও যা ইউটিউবে পার করল ৫০০ কোটি ভিউ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রী হনুমান চালিশার (Shree Hanuman Chalisa) ভিডিও নির্মাতারা নতুন দর্শক সংখ্যার তথ্য প্রকাশ করেছে। ১৪ বছরের পুরনো ভক্তিমূলক এই ভিডিওটি ইউটিউবে ৫০০ কোটি ভিউ অতিক্রম করেছে। ভারতীয় ভক্তিমূলক গানের এই ভিউ এখন বিরাট মাইলফলক। যেখানে অন্যান্য শীর্ষ ভারতীয় ভিডিওগুলি ২০০ কোটিরও কম ভিউ (Indian videos) রয়েছে, সেখানে শ্রী হনুমান চালিশা দেশের সর্বোচ্চ ভিউর ভিডিও হিসাবে সামাজিক মাধ্যমে অবস্থান করছে।

    ভিডিও নির্মাণ হয়েছিল ২০১৪ সালে (Shree Hanuman Chalisa)

    টি-সিরিজের প্রখ্যাত গীতিকার প্রয়াত গুলশান কুমার অভিনীত “শ্রী হনুমান চালিসা”-র (Shree Hanuman Chalisa) ভিডিওটি (Indian videos) ২০১১ সালের ১০ মে প্রকাশিত হয়েছিল। গত ১৪ বছরে এটি ধীরে ধীরে ৫,০০৬,৭১৩,৯৫৬ বার দেখা হয়েছে। হরিহরণের কণ্ঠ এবং ললিত সেনের সুরে, এটি এখন বিশ্বব্যাপী ইউটিউবের সর্বাধিক দেখা ভিডিওগুলির মধ্যে একটি। হনুমান ভক্তদেরও মধ্যে বিরাট উচ্ছ্বাসে প্রতিছবি ধরা পড়েছে।

    টি-সিরিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ভূষণ কুমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, “হনুমান চালিশা লক্ষ লক্ষ মানুষের হৃদয়ে একটি বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে। আমার বাবা শ্রী গুলশান কুমারজি আধ্যাত্মিক সঙ্গীতকে প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছেন। আজ এই মাইলফলক ভিডিও তাঁর দৃষ্টিভঙ্গিরই প্রতিফলন। ৫০০ কোটি ভিউ অতিক্রম করা এবং ইউটিউবের সর্বকালের সেরা ১০টি সর্বাধিক দেখা ভিডিও হওয়া কেবল একটি ডিজিটাল প্রাপ্তি নয়; ভারতের মতো দেশের জন্য মানুষের যথেষ্ট ভক্তিরও প্রতিফলন।”

    আর কোন কোন ভিডিও এগিয়ে?

    ‘শ্রী হনুমান চালিশা’-এর (Shree Hanuman Chalisa) সংখ্যার কাছাকাছি কোনও ভারতীয় ভিডিও নেই। এরপরে পরেই সর্বোচ্চ ভিউ হওয়া ভিডিও গুলির মধ্যে হল পাঞ্জাবি ট্র্যাক লেহেঙ্গা, যা ১৮০ কোটি ভিউ পেয়েছে। হরিয়ানভি গান ৫২ গজ কা দমন এবং তামিল গান ‘রাউডি বেবি’, যা ১৭০ কোটি ভিউ পেয়েছে। শীর্ষস্থানীয় অন্যান্য জনপ্রিয় ভারতীয় ভিডিওগুলির মধ্যে রয়েছে ‘জারুরি থা’, ‘ভাস্তে’, ‘লৌং লাচি’, ‘লুট গে’, ‘দিলবার’ এবং ‘বাম বাম বোলে’।

    বিশ্বব্যাপী, ‘বেবি শার্ক ড্যান্স’-এর ভিউ ১ হাজার ৬৩৮ কোটি, ‘ডেসপাসিটো’-এর ভিউ ৮৮৫ কোটি, ‘হুইলস অন দ্য বাস’-এর ভিউ ৮১৬ কোটি, ‘বাথ সং’-এর ভিউ ৭২৮ কোটি এবং ‘জনি জনি ইয়েস পাপা’-এর ভিউ ৭১২ কোটি। এগুলি ভিডিও-এর তালিকার শীর্ষে রয়েছে। তবে ‘শ্রী হনুমান চালিশা’ এখনও পর্যন্ত ইউটিউবে সর্বাধিক দেখা ভারতীয় ভিডিও।

  • Ramakrishna 518: “যাদের হরি বলতে নয়ন ঝরে, তারা তারা দুভাই এসেছে রে! বিফলে দিন যায় রে বীণে, শ্রীহরির সাধন বিনে”

    Ramakrishna 518: “যাদের হরি বলতে নয়ন ঝরে, তারা তারা দুভাই এসেছে রে! বিফলে দিন যায় রে বীণে, শ্রীহরির সাধন বিনে”

    ৪৯ শ্রীশ্রীরথযাত্রা বলরাম-মন্দিরে

    পঞ্চম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৫, ১৪ই জুলাই
    বলরামের রথযাত্রা—নরেন্দ্রাদি ভক্তসঙ্গে সংকীর্তনানন্দে

    মহেন্দ্র মুখুজ্জেকে দূর হইতে প্রণাম করিতে দেখিয়া ঠাকুর (Ramakrishna) তাঁহাকে প্রণাম করিতেছেন—আবার সেলাম করিতেছেন। কাছের রকটি ছোকরা ভক্তকে বলিতেছেন, ওকে বল্‌না ‘সেলাম করলে’,—ও বড় অলকট্‌ অলকট্‌ করে। (সকলের হাস্য) গৃহস্থ ভক্তেরা অনেকে নিজেদের বাটীর পরিবারদের আনিয়াছেন;—তাঁহারা শ্রীশ্রীঠাকুরকে দর্শন করিবেন ও রথের সম্মুখে কীর্তনানন্দ দেখিবেন (Kathamrita)। রাম, গিরিশ প্রভৃতি ভক্তেরা ক্রমে ক্রমে আসিয়াছেন। ছোকরা ভক্তেরা অনেকে আসিয়াছেন।

    এইবার নরেন্দ্র গান গাইতেছেন:

    (১)     কত দিনে হবে সে প্রেম সঞ্চার।
    হয়ে পূর্ণকাম বলব হরিনাম,
    নয়নে বহিবে প্রেম-অশ্রুধার ॥

    (২)     নিবিড় আঁধারে মা তোর চমকে ও রূপরাশি।
    তাই যোগী ধ্যান ধরে হয়ে গিরিগুহাবাসী ॥

    বলরাম আজ কীর্তনের বন্দোবস্ত করিয়াছেন,—বৈষ্ণবচরণ ও বেনোয়ারীর কীর্তন। এইবার বৈষ্ণবচরণ গাহিতেছেন—শ্রীদুর্গানাম জপ সদা রসনা আমার। দুর্গমে শ্রীদুর্গা বিনে কে করে নিস্তার।

    গান একটু শুনিতে শুনিতে ঠাকুর সমাধিস্থ! দাঁড়াইয়া সমাধিস্থ!—ছোট নরেন ধরিয়া আছেন। সহাস্যবদন। ক্রমে সব স্থির! একঘর ভক্তেরা অবাক্‌ হইয়া দেখিতেছেন। মেয়ে ভক্তেরা চিকের মধ্য হইতে দেখিতেছেন। সাক্ষাৎ নারায়ণ বুঝি দেহধারণ করিয়া ভক্তের জন্য আসিয়াছেন। কি করে ঈশ্বরকে ভালবাসতে হয়, তাই বুঝি শিখাতে এসেছেন!

    নাম করিতে করিতে অনেকক্ষণ পরে সমাধিভঙ্গ হইল। ঠাকুর আসন গ্রহণ করিলে বৈষ্ণবচরণ আবার গান ধরিলেন:

    (১)     হরি হরি বল রে বীণে!

    (২)     বিফলে দিন যায় রে বীণে, শ্রীহরির সাধন বিনে।

    এইবার আর এক কীর্তনীয়া, বেনোয়ারী, রূপ গাহিতেছেন (Ramakrishna)। কিন্তু সদাই গান গাহিতে ‘আহা! আহা!’ বলিয়া ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম করেন। তাহাতে শ্রোতারা কেহ হাসে, কেহ বিরক্ত হয়।

    অপরাহ্ন হইয়াছে। ইতিমধ্যে বারান্দায় শ্রীশ্রীজগন্নাথের সেই ছোট রথখানি ধ্বজা পতাকা দিয়া সুসজ্জিত করিয়া আনা হইয়াছে। শ্রীশ্রীজগন্নাথ, সুভদ্রা ও বলরাম চন্দনচর্চিত ও বসন-ভূষণ ও পুষ্পমালা দ্বারা সুশোভিত হইয়াছেন। ঠাকুর বেনোয়ারীর কীর্তন ফেলিয়া বারান্দায় রথাগ্রে গমন করিলেন,—ভক্তেরাও সঙ্গে সঙ্গে চলিলেন। রথের রজ্জু ধরিয়া একটু টানিলেন—তৎপরে রথাগ্রে ভক্তসঙ্গে নৃত্য ও কীর্তন করিতেছেন। অন্যান্য গানের সঙ্গে ঠাকুর পদ ধরিলেন(Kathamrita):

    যাদের হরি বলতে নয়ন ঝরে, তারা তারা দুভাই এসেছে রে!
    যারা মার খেয়ে প্রেম যাচে, তারা তারা দুভাই এসেছে রে!
    আবার — নদে টলমল টলমল করে, গৌরপ্রেমে হিল্লোলে রে।

    ছোট বারান্দাতে রথের সঙ্গে সঙ্গে কীর্তন ও নৃত্য হইতেছে। উচ্চ সংকীর্তন ও খোলের শব্দ শুনিয়া বাহিরের লোক অনেকে বারান্দা মধ্যে আসিয়া পড়িয়াছে। ঠাকুর হরিপ্রেমে মাতোয়ারা। ভক্তেরাও সঙ্গে সঙ্গে প্রেমোন্মত্ত হইয়া নাচিতেছেন।

  • Election Commission: রাজ্যে আসছেন নির্বাচন কমিশনের ৩ কর্তা, থাকবেন এসআইআর-এর কাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত

    Election Commission: রাজ্যে আসছেন নির্বাচন কমিশনের ৩ কর্তা, থাকবেন এসআইআর-এর কাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে এসআইআর (SIR) কাজ চলছে। আগামী ডিসেম্বর মাসে এনুমারেশন ফর্ম জমা দেওয়ার শেষ দিন। তার আগেই রাজ্যের সিইও দফতরে তিন অফিসারকে পাঠাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। তবে নিবিড় সংশোধনী তালিকার কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁদেরকে এই রাজ্যেই থাকতে হবে। তাঁরা সকলেই সিইও দফতরে নিযুক্ত থাকবেন এবং সমস্ত কাজ খতিয়ে দেখবেন। তবে এই তিন অফিসার দিল্লিত নির্বাচন সদনে কাজ করতেন বলে জানা গিয়েছে। কমিশন যে এই রাজ্যে এসআইআর-এর কাজে বিন্দুমাত্র গাফিলিতিকে বরদাস্ত করছে না সেই কথা আরও একবার প্রমাণিত হলো।

    রাজ্যে এসআর নিয়ে খুশি নয় তৃণমূল (SIR)

    জাতীয় নির্বাচন (Election Commission) দফতরের পক্ষে বলা হয়েছে, প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি বিসি পাত্র, সেক্রেটারি সৌমজিৎ ঘোষ এবং আন্ডার সেক্রেটারি ভৈরব আগরওয়ালকে পশ্চিমবঙ্গের সিইও অফিসে পাঠানো হয়েছে। তাঁরা সকলে রাজ্যের সিইও-র অধীনে কাজ করবেন। এসআইআরের কাজ সম্পূর্ণ ভাবে শেষ না হওয়া পর্যন্ত এখানেই কাজ দেখভাল করবেন। এদিকে রাজ্যে এসআর নিয়ে খুশি নয় তৃণমূল। তৃণমূল সমর্থিত বিএলও-দের একাংশ অতিরিক্ত কাজের চাপের অভিযোগ তুলে সিইও-র অফিসে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখায়। রীতিমতো অফিসের ভিতরে কয়েকজন ঢুকে অবস্থানও করে। আর তাতেই কমিশন অত্যন্ত চিন্তা ও উদ্বেগ প্রকাশ করছে দফতরের কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে। গোটা ঘটনায় কলকাতা পুলিশের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।

    অ্যাকশেন টেকেন রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ

    সিইও অফিসের দফতরে নিরাপত্তা নিয়ে রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। তাতে স্পষ্ট বলা হয়েছে দুদিনের মধ্যে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অবিলম্বে অ্যাকশেন টেকেন রিপোর্ট জমা দিতে হবে। গত ২৪ নভেম্বর হাতে রিপোর্ট পেয়েই কমিশনের এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে। কলকাতা পুলিশেকে চিঠি পাঠিয়ে কমিশন জানিয়েছে, সিইও দফতরে যে পর্যায়ে নিরাপত্তা থাকা উচিত তা খুবই কম। ফলে সিইও, অতিরিক্ত সিইও, জয়েন্ট এবং ডেপুটি সিইও সহ সকল আধিকারিকদের নিরাপত্তা অত্যন্ত সংকটের মুখে। পরিস্থিতিকে মোটেই হালকা ভাবে নেওয়ার পক্ষপাতী নয় কমিশন। নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সংশোধন জরুরি এবং দফতরের ভিতরে-বাইরে যাতায়াতকারী সব কর্মীর সুরক্ষাকে আগে প্রধান্য দিতে হবে। অবিলম্বে বাড়তি ব্যবস্থা নিতে হবে। কলকাতা পুলিশকে চিঠি লিখে কমিশনের স্পষ্ট নির্দেশ।

  • Weather Update: বঙ্গোপসাগরে জোড়া নিম্নচাপ! কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে বাড়বে তাপমাত্রা?

    Weather Update: বঙ্গোপসাগরে জোড়া নিম্নচাপ! কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে বাড়বে তাপমাত্রা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বঙ্গোপসাগরে ফের জোড়া নিম্নচাপের (Weather Update) সম্ভাবনা। ভারতীয় মৌসম ভবন জানিয়েছে, মলাক্কা প্রণালীতে ঘূর্ণিঝড় ‘সেনিয়ার’ জন্ম নিয়েছে। এবার ইন্দোনেশিয়ায় আছড়ে পড়বে এই ঘূর্ণিঝড়। তবে ঘূর্ণিঝড় সেনিয়ারের প্রভাব ভারতের মূলভূখণ্ডে পড়বে না। কিন্তু শ্রীলঙ্কা উপকূলে আরও একটি নিম্নচাপের জন্ম হয়েছে। ক্রমে ক্রমেই শক্তি বেড়ে উঠেছে। আবহাওয়া দফতরের কোনও খারাপ ইঙ্গিত না থাকলেও বঙ্গবাসীর জন্য খুব একটা ভয়ের কিছু নেই। এই মাসের শেষেই তাপমাত্রা বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।

    রাতে এবং ভোর বেলায় বেশ শীত (Weather Update)

    হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, আন্দামান এবং নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে প্রবল বৃষ্টির (West Bengal Weather Report) সম্ভাবনা রয়েছে। পর্যটক এবং মৎস্যজীবীদের জন্য ইতিমধ্যেই সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। তবে বাংলায় খুব একটা প্রভাব পরবে না বলে জানা গিয়েছে। দক্ষিণবঙ্গে বেশ কিছু জেলায় তাপমাত্রা সামান্য কমলেও আবহাওয়ার খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। কলকাতায় এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। দিনের বেলায় সামান্য শীত অনুভূত হলেও রাতে এবং ভোর বেলায় বেশ শীত অনুভূত হবে। একই ভাবে আগামী ৩-৪ দিন রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জায়গায় সকালের দিকে হালকা কুয়াশা দেখা যাবে। হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ার আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। আগামী ২ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের কোনও জেলায় বৃষ্টি হবে না।

    সকালে কুয়াশার ইঙ্গিত

    অপরদিকে উত্তরবঙ্গে আপাতভাবে বৃষ্টির (West Bengal Weather Report) কোনও সম্ভাবনা নেই। দার্জিলিংয়ে আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। সেখানে শুষ্ক আবহাওয়া বজায় থাকবে। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারে সকালের দিকে কুয়াশা থাকবে। উত্তরবঙ্গের সর্বত্র যেমন— বিশেষ করে উত্তর দিনাজপুর, মালদা, দক্ষিণ দিনাজপুরে আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। এখন শীতের আমেজ, সব জেলাতেই শুষ্ক আবহাওয়া এবং তাপমাত্রা স্বাভাবিকের কাছে।

LinkedIn
Share