Author: Susanta Das

  • Kali Puja 2025: ভূত চতুর্দশীতে খাওয়া ১৪ শাকে আটকে যায় বহু রোগ! কী কী জানেন?

    Kali Puja 2025: ভূত চতুর্দশীতে খাওয়া ১৪ শাকে আটকে যায় বহু রোগ! কী কী জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালী পুজোর (Kali Puja 2025) এক রাত আগে পালিত হয় ভূত চতুর্দশী (Bhoot Chaturdashi 2025) বা নরক চতুর্দশী। ভূত চতুর্দশী ঘিরে জড়িয়ে রয়েছে বেশ কয়েকটি নিয়মকানুন। বাংলার ঘরে ঘরে ভূত চতুর্দশীর দুপুরে চোদ্দ রকমের শাক খেতে হয় এবং সন্ধ্যাবেলা জ্বালানো হয় চোদ্দটি প্রদীপ। মনে করা হয়, ঘোর অমাবস্যার রাতে বিদেহী আত্মারা নেমে আসেন মর্ত্যলোকে। এর ঠিক পরের দিনই চন্দ্রের তিথি নিয়ম মেনে হয় দীপান্বিতা কালীপুজো।

    কেন চোদ্দ শাক খাওয়ার রীতি? (Kali Puja 2025)

    বাঙালীদের ঘরে ঘরে ভূত চতুর্দশীতে (Bhoot Chaturdashi 2025) দুটি নিয়ম মূলত পালন করা হয়। অনেকে মনে করেন, চোদ্দ ভুবনের অধীশ্বরী দেবীর উদ্দেশে চোদ্দ শাক খাওয়া এবং চোদ্দটি প্রদীপ জ্বালানো হয়। এর সঙ্গে যুগ যুগ ধরে জড়িয়ে রয়েছে অনেক আচার-বিচার। যেমন, ধরুন খাওয়া-দাওয়ার আচার। সরস্বতী পুজোর পরদিন গোটা সেদ্ধ খাওয়ার প্রথা রয়েছে অধিকাংশ বাড়িতে। আবার কিছু ব্রত রয়েছে যেগুলিতে গৃহস্থ কত্রীরা শুধুমাত্র ময়দার তৈরি খাবার খান। প্রতিটি খাওয়া-দাওয়া আচার, পরিবার এবং স্বজনদের মঙ্গল কামনার উদ্দেশ্যেই পালিত হয়। জানেন কি আশ্বিন মাসের কৃষ্ণ পক্ষের চতুর্দশী তিথিতে অর্থাৎ কালীপুজোর (Kali Puja 2025) আগের দিন অনেক বাড়িতেই চোদ্দ শাক (Bhoot Chaturdashi 14 Saag) খাওয়ার রীতি রয়েছে? এখন প্রশ্ন হল, চোদ্দ শাক খাওয়ার এই আচারের পিছনে কোন ধর্মীয় বিশ্বাস কাজ করছে?

    পূর্ব পুরুষদের আগমন ঘটে মর্ত্যলোকে!

    কথিত আছে, মৃত্যুর পরে মানুষ পঞ্চভূতে বিলীন হয়ে যায়। এরপর এই বিশেষ দিনেই নাকি পূর্ব পুরুষদের আগমন ঘটে মর্ত্যলোকে। হিন্দুশাস্ত্র মতে, আকাশ, জল, বায়ু, অগ্নি, মাটি-প্রকৃতির এই পাঁচ উপাদানের মধ্যেই ছড়িয়ে রয়েছেন আমাদের পিতৃপুরুষেরা। বিশ্বাস মতে, চোদ্দ শাক খাওয়ার রীতি পালনের মধ্যে দিয়েই তাঁদের ছুঁয়ে থাকা যায়। অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটাতে প্রকৃতি থেকে সংগ্রহ করা চোদ্দ রকম শাক জলে ধুয়ে, সেই জল বাড়ির চারিদিকে ছিটিয়ে দেওয়া হয়। পূর্বের সাত পুরুষকে উৎসর্গ করে পরবর্তী সাতপুরুষের জন্য খাওয়া হয় শাক। তাই মোট চোদ্দ রকমের শাক খাওয়ার রীতি প্রচলিত রয়েছে।

    কী কী শাক খাওয়া হয়?

    চোদ্দ রকমের শাকগুলি (14 Saag) হল— জয়ন্তী, শাঞ্চে, হিলঞ্চ, ওল, পুঁই, বেতো, সর্ষে, কালকাসুন্দে, নিম, পলতা, শুলকা, গুলঞ্চ, ভাঁটপাতা ও শুষণী। এই প্রচলিত রীতিগুলির পিছনে বিজ্ঞানসম্মত কারণ রয়েছে বলে অনেকের ধারণা (Kali Puja 2025)। এদেশের সমস্ত আচার এবং অনুষ্ঠান বিজ্ঞানসম্মত এবং প্রকৃতির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত হয়। শরৎকালের শেষ এবং হেমন্তকালের শুরুতে অনেক রকমের রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। ভেষজ গুণে সমৃদ্ধ শাক দেয় বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা।

    কোন কোন শাকে কী কী রোগ সারে?

    এবার এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, এই চোদ্দ রকমের শাকগুলির (14 Saag) কী কী গুণ রয়েছে। জয়ন্তী-উদরাময়, জ্বর, বহুমূত্র নিয়ন্ত্রণ করে। শাঞ্চে-রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। হিংচে- পিত্তনাশক। ওল-অর্শ, রক্ত আমাশা, বাত, চর্মরোগ কমায়। পুঁই-হজমে সহায়ক। বেতো-কৃমিনাশক। সর্ষে-যকৃৎ, চোখ যত্নে রাখে। কালকাসুন্দে-অর্শ, কাশি দূর করে। নিম-যে কোনও চর্মরোগ নাশ করে। পলতা-শ্বাসযন্ত্র ভালো রাখে। শুলকা-হৃদযন্ত্র ভালো রাখে। গুলঞ্চ-উচ্চ রক্তচাপ, যকৃৎ যত্নে রাখে। ভাঁটপাতা-ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক। শুষণী-স্মৃতিবর্ধক (Kali Puja 2025)।

  • Kali Puja 2025: ভূত চতুর্দশীর সন্ধ্যায় জ্বালানো হয় ১৪ প্রদীপ, কোথায় রাখতে হয়?

    Kali Puja 2025: ভূত চতুর্দশীর সন্ধ্যায় জ্বালানো হয় ১৪ প্রদীপ, কোথায় রাখতে হয়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালী পুজোর (Kali Puja 2025) এক রাত আগে পালিত হয় ভূত চতুর্দশী (Bhoot Chaturdashi 2025) বা নরক চতুর্দশী (Naraka Chaturdashi)। বাংলার ঘরে ঘরে ভূত চতুর্দশীর দিনে ১৪ শাক খাওয়ার ও ১৪ প্রদীপ জ্বালানোর রীতি রয়েছে।

    দুপুরে ১৪ শাক, সাঁঝে ১৪ বাতি

    ভূত চতুর্দশীর দিনে যে ১৪টি শাক (14 Saag) খাওয়া হয়, সেগুলি হল— জয়ন্তী, শাঞ্চে, হিলঞ্চ, ওল, পুঁই, বেতো, সর্ষে, কালকাসুন্দে, নিম, পলতা, শুলকা, গুলঞ্চ, ভাঁটপাতা ও শুষণী। এই শাক খেয়ে এবং সন্ধেবেলা ১৪ প্রদীপ (14 Diya) জ্বালিয়ে দুরাত্মা ও অন্ধকার দূর করার রীতি প্রচলিত আছে। শাস্ত্রমতে, মৃত্যুর পর মানুষের শরীর পঞ্চভূতে বিলীন হয়ে যায়। অর্থাৎ মাটি, জল, হাওয়া, অগ্নি ও আকাশ। তাই মাটি থেকে তুলে আনা শাক খেলে অতৃপ্ত আত্মারা শান্তি পায়। যে জল দিয়ে ১৪ শাক (Bhoot Chaturdashi 14 Saag) ধোয়া হয়, সেই জল আবার অনেকে বাড়িতেও ছেটান। মনে করা হয়, এর ফলে অশুভ শক্তি দূর হয় ও বাধা-বিঘ্ন কেটে যায়।

    ১৪ ভুবনের জন্য ১৪ প্রদীপ! (Kali Puja 2025)

    দুপুরে ১৪ শাক খাওয়ার পর সন্ধেবেলা জ্বালানো হয় ১৪ প্রদীপ । পুরাণে ১৪টি ভুবনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে যার সাতটি স্বর্গ ও সাতটি পাতাল। ভূঃ, ভুবঃ, স্বঃ, জনঃ, মহঃ, তপঃ ও সত্য হল স্বর্গ। অন্যদিকে মাটির নীচে রয়েছে অতল, বিতল, সুতল, তলাতল, মহাতল, রসাতল এবং পাতাল এই ১৪ লোকের বাসিন্দাদের সম্মান জানাতে এদিন ১৪ প্রদীপ জ্বালানো হয়। প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে, ভূত চতুর্দশীর দিনে কিছু সময়ের জন্য স্বর্গ ও নরকের দরজা খুলে যায়, তখন আত্মারা মর্ত্যে নেমে আসে। ভূত-প্রেত নিয়ে এদিন রাজা বলিও মর্ত্যে আসেন বলে মনে করা হয়। এই দিনে অশুভ শক্তির প্রকোপ বৃদ্ধি পায় বলে একটা বিশ্বাস প্রচলিত আছে। এই অশুভ শক্তিকে নিজের বাড়ি থেকে দূরে রাখতেই ১৪ প্রদীপ জ্বালানো হয়ে থাকে।

    ১৪ পুরুষের উদ্দেশ্যে…

    আবার অন্য বিশ্বাস অনুযায়ী, ১৪ পুরুষের (Kali Puja 2025) উদ্দেশ্যে এই ১৪ প্রদীপ জ্বালানো হয়। এই ১৪ পুরুষ হলেন, পিতা, পিতামহ, প্রপিতামহ, মাতা, পিতামহী, প্রপিতামহী, মাতামহ, প্রমাতামহ, বৃদ্ধপ্রমাতামহ, মাতামহী, প্রমাতামহী ও বৃদ্ধপ্রমাতামহী। এ ছাড়াও শ্বশুর-শাশুড়ি। অশুভ আত্মাদের হাত থেকে বাঁচতে ভূত চতুর্দশীর দিনে যে মন্ত্র জপ করা হয়, তা হল ‘শীতলঞ্চ সমাযুক্ত সকণ্টক দলান্বিত। হরপাপ সপামার্গে ভ্রাম্যমাণঃ পুনঃ পুনঃ’। এই মন্ত্র পাঠের ফলে অশুভ আত্মার ভয় কেটে যায়।

    হিন্দুমতে মনে করা হয়, ভূত চতুর্দশীর (Bhoot Chaturdashi 2025) রাতে শিবভক্ত রাজা বলি ও তাঁর অনুচরেরা মর্ত্যে পুজো নিতে আসেন। চতুর্দশী তিথির ভরা অমাবস্যার অন্ধকারে রাজা বলির অনুচরেরা যাতে পথ ভুলে বাড়িতে ঢুকে না-পড়েন, তাই এই প্রদীপ জ্বালানোর রীতি প্রচলিত আছে। আবার অন্য একটি প্রথা অনুযায়ী, পিতৃপক্ষের সময় পিতৃপুরুষদের মর্ত্যে আগমন হয়। এই চতুর্দশী তিথিতেই তাঁরা ফিরে যান। সে সময় অন্ধকারে পথ দেখানোর জন্য ১৪ প্রদীপ (Bhoot Chaturdashi 14 Diya) জ্বালানো হয়।

    কোথায় কোথায় জ্বালবেন ১৪ প্রদীপ?

    এই সময়ে বাড়ির ঠাকুরঘরে প্রদীপ দেওয়াটা সর্বাধিক প্রয়োজন। বাড়িতে তুলসীমঞ্চ থাকলে, সেখানেও একটি প্রদীপ দিতে হবে। বাড়ির সদর দরজায় দুপাশে দুটি প্রদীপ দিতে হবে। তাতে একটি করে লবঙ্গ রাখতে পারেন। বাড়ির যেখানে জলের ব্যবস্থা রয়েছে বা কলতলায় একটি প্রদীপ দিতে হবে। বাড়ির দক্ষিণ দিকে একটি প্রদীপ জ্বালাতে হবে (Kali Puja 2025)। বাড়িতে মাটির উনুন থাকলে, সেই উনুনে একটি প্রদীপ দিন। প্রতিটি প্রদীপই ১৪ পুরুষের প্রতীক।

  • Kali Puja 2025: ভূত চতুর্দশীতে সত্যিই কি মর্ত্যলোকে নেমে আসেন বিদেহী আত্মারা!

    Kali Puja 2025: ভূত চতুর্দশীতে সত্যিই কি মর্ত্যলোকে নেমে আসেন বিদেহী আত্মারা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে পালিত হয় ভূত চতুর্দশী (Bhoot Chaturdashi 2025)। এই তিথিকে আবার অনেকে নরক চতুর্দশী (Naraka Chaturdashi) বলেও জানেন। কালী পুজোর (Kali Puja 2025) একদিন আগে ও ধনতেরসের একদিন পর ভূত চতুর্দশী পালিত হয়। এই তিথিটি ছোট দীপাবলি (Deepawali 2025), রূপ চতুর্দশী বা নরকা পুজো নামেও পরিচিত। এদিন মৃত্যুর দেবতা যম ও কৃষ্ণের পুজো করা হয়। অকাল মৃত্যু থেকে বাঁচতে নরক চতুর্দশীতে পুজো করা হয়। অনেকে এই দিনটিকে পশ্চিমী হ্যালোউইনের ভারতীয় সংস্করণ (Indian Halloween) হিসেবেও দেখেন। পুরাণ মতে, ভূত চতুর্দশীর রাতে শিবভক্ত বলি মর্ত্যে আসেন পুজো নিতে, সঙ্গে আসেন তাঁর অনুচর ভূতেরা। চতুর্দশী তিথির ভরা অমাবস্যায় (Kali Puja 2025) চারিদিক ঘুটঘুটে অন্ধকার থাকে। সেই ঘন অন্ধকারে যাতে বলি রাজার অনুচরেরা বাড়িতে ঢুকে না পড়েন, তার ব্যবস্থাই করা হত প্রাচীন কালে। ভূত চতুর্দশীর সঙ্গে জড়িত পৌরাণিক বিশ্বাস অনুযায়ী, ঘোর অমাবস্যার রাতে বিদেহী আত্মারা নেমে আসেন মর্ত্যলোকে। এর ঠিক পরের দিনই চন্দ্রের তিথির নিয়ম মেনে হয় দীপান্বিতা কালীপুজো।

    কৃষ্ণ-সত্যভামার হাতে নরকাসুর-বধ কাহিনী

    ভূত চতুর্দশী বা নরক চতুর্দশীতে মুক্তিলাভের আশায় পুজো (Kali Puja 2025) করা হয়। এদিন সূর্যোদয়ের আগে উঠে স্নান করার প্রথা রয়েছে। মনে করা হয় এর প্রভাবে যমলোকের দর্শন করতে হয় না। বিষ্ণু পুরাণ ও শ্রীমদ্ভাগবত পুরাণ অনুযায়ী, নরকাসুর নামক এক অসুর নিজের শক্তির দ্বারা দেবতা ও মনুষ্যদের অতিষ্ঠ করে তুলেছিল। ১৬ হাজার স্ত্রী এবং সাধুকে বন্দি বানিয়ে রেখেছিল নরকাসুর (Narakasura)। এরপর মুনি-ঋষিরা কৃষ্ণের দ্বারস্থ হন। নরকাসুরের হাত থেকে রক্ষা করার দায়িত্ব নেন কৃষ্ণ। কিন্তু শুধু স্ত্রীর হাতে মৃত্যুর অভিশাপ পেয়েছিল নরকাসুর। এই কারণে কৃষ্ণ নিজের স্ত্রী সত্যভামাকে সারথী করেন এবং তাঁর সাহায্যে নরকাসুরকে বধ করেন। যেদিন নরকাসুর বধ হয়েছিল, সেই দিনটি ছিল কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথি (Kali Puja 2025)। তাই তিথিকে নরক চতুর্দশী বলা হয়।

    এদিন বেরিয়ে আসে অশরীরী প্রেতাত্মারা!

    আবার এই তিথিটিকে ভূত চতুর্দশী (Bhoot Chaturdashi 2025) বলার পিছনের আরেক ব্যখ্যা হল, মনে করা হয়, এই তিথিতে সন্ধ্যা নামলেই অশরীরী প্রেতাত্মারা বেরিয়ে আসে। তাদের হাত থেকে মুক্তি পেতে এই তিথিতে গৃহস্থ বাড়িতে ১৪টি প্রদীপ জ্বালানো হয়। আবার আর একটি প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, এই তিথিতে চোদ্দ পুরুষের আত্মার আসা-যাওয়া থাকে। মনে করা হয় তাঁদের যাতায়াতের পথ আলোকিত রাখার জন্যই প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করার প্রথা রয়েছে।

    হ্যালোউইন শব্দের অর্থ কী?

    আমাদের দেশে যেমন কালীপুজোর (Kali Puja 2025) আগের রাতে পালিত হয় ভূত চতুর্দশী, পশ্চিমী দুনিয়ায় তেমনই সবাই মেতে ওঠেন হ্যালোউইন ঘিরে। প্রতি বছর ৩১ অক্টোবর মৃত আত্মাদের স্মরণ করতে হ্যালোউইন পালিত হয়। আমাদের দেশেও গত কয়েক বছর ধরে বেশ জনপ্রিয় হয়েছে হ্যালোউইন। স্কটিশ শব্দ ‘অল হ্যালোজ ইভ’ থেকে হ্যালোইন বা হ্যালোউইন শব্দটি এসেছে। এই শব্দের উৎপত্তি মোটামুটি ১৭৪৫ সালে। হ্যালোউইন শব্দের অর্থ পবিত্র সন্ধ্যা। হ্যালোউইনের কথা বলতেই আমাদের চোখে ভেসে ওঠে কুমড়ো এবং ভুতুড়ে সাজগোজ। হ্যালোউইনে কুমড়ো কেটে সেখানে নাক, চোখ, মুখ বানিয়ে ভৌতিক চেহারা তৈরি করার প্রথা প্রচলিত রয়েছে। তার পরে এর ভিতরে মোমবাতি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। অন্ধকার রাতে কুমড়োর ভেতরে মোমবাতি জ্বলায় তা আরও ভৌতিক দেখতে লাগে। ভৌতিক কস্টিউম পরে অনেকেই এদিন অন্যকে ভয় দেখিয়ে মজা করে।

  • Dhanteras 2025: ধনতেরাসের পিছনে রয়েছে নানান কাহিনী! জানেন কি সেই পৌরাণিক গল্পগুলি?

    Dhanteras 2025: ধনতেরাসের পিছনে রয়েছে নানান কাহিনী! জানেন কি সেই পৌরাণিক গল্পগুলি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। বিশেষত এই সময়টা অর্থাৎ শরৎকাল এবং হেমন্তকাল যেন পুজোর ঋতু। মহালয়া থেকে শুরু, দুর্গাপুজো, লক্ষ্মী পুজো, কালীপুজো। পরপরই চলতে থাকে। কিন্তু কালীপুজোর ঠিক দু’দিন আগে পালন করা হয় আরও একটি উত্‍সব, যার নাম ধনতেরাস। ধন শব্দের অর্থ সম্পদ, এবং তেরাস শব্দের অর্থ ত্রয়োদশী। হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের ত্রয়োদশী তিথিতে এই উত্‍সব পালিত হয়। আলোর ঝরনায় যখন মেতে ওঠে সম্পূর্ণ বিশ্ব, তখন আত্মীয় স্বজন, পরিবারের মঙ্গল কামনায় এবং ধন-সম্পদের আশায় বহু মানুষ দেবতা কুবেরের আরাধনা করেন। কুবের হল ধন দেবতা‌। বিশ্বাস মতে, এই দিন কোন না কোন মূল্যবান ধাতু, বাসনপত্র অথবা নতুন পোশাক কিনলে মা লক্ষ্মী সন্তুষ্ট হন। আশীর্বাদ করেন তাঁর ভক্তদের।

    স্বামীকে সারারাত জাগিয়ে রাখলেন নববধূ…

    ধনতেরাসকে ঘিরে রয়েছে অজস্র পৌরাণিক কাহিনী। তারই মধ্যে একটি জনপ্রিয় কাহিনী হল, প্রাচীনকালে হিম নামে এক রাজা ছিলেন। তাঁর পুত্রের একটি অভিশাপ ছিল যে বিয়ের চার দিনের মাথায় তাঁর সর্প দংশনে মৃত্যু হবে। এই দিনের কথা সকলেই জানতেন। তাই স্বামীকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানোর জন্য নববধূ সারারাত স্বামীকে ঘুমাতে দেননি, নানা কৌশলে জাগিয়ে রেখেছিলেন তাঁর স্বামীকে। তাঁদের শয্যা কক্ষের বাইরে প্রচুর ধন-সম্পদ, সোনা রুপোর গয়না, বাসনপত্র সাজিয়ে রেখেছিল নববধূ। ঘরের সর্বত্র প্রদীপ জ্বালিয়ে রেখেছিলেন। এতো ভালো, উজ্জ্বল, আলোকময় পরিবেশের জন্য সারারাত সেই ঘরে কোনও সাপ প্রবেশ করতে পারেনি। স্বামীকে জাগিয়ে রাখার জন্য সারারাত নববধূ গল্প এবং গান করে কাটিয়ে ছিলেন।

    পরদিন মৃত্যুর দেবতা যমরাজ সেখানে আসেন। ঘরের দরজায় গয়নার জৌলুস এবং প্রদীপের আলোতে চোখ ধাঁধিয়ে যায় তাঁর। তিনি রাজপুত্রের কাছে পৌঁছাতে পারলেন না। রাজপুত্রের ঘরের বাইরে সারারাত ওই গয়নার ওপর শুয়ে শুয়ে রানীর গান এবং গল্প শুনে বিভোর হয়ে পরের দিন তিনি ফিরে যান‌। এই ঘটনার পর থেকে প্রতিবছর রাজ পরিবারে সোনার এবং রুপোর তিথি ধনতেরাস উত্‍সব পালন করা শুরু হয়ে যায়। কুবেরের সঙ্গে এই দিন লক্ষ্মী দেবীর আরাধনা করা হয়, একথা পূর্বেই বলা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের জন্য এই দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। এই দিন ধনদেবী লক্ষ্মীরও আরাধনা করা হয়‌। অর্থাৎ একই মাসে দুবার লক্ষ্মী পুজোর রীতি হিন্দু ধর্মে দেখা যায়‌। ধনতেরাস বা ধন ত্রয়োদশীর দিন লক্ষ্মী পুজোর কারণ কী? পুরাণে বলা হয়েছে যে, একসময় দুর্বাসা মুনির অভিশাপে সৌভাগ্যের দেবী লক্ষ্মী স্বর্গ থেকে চলে যান এবং মহাসাগরে বসবাস শুরু করেন। লক্ষ্মী চলে যাওয়াতে স্বর্গলোক শ্রীহীন হয়ে পড়ে। এরপর দেবতারা অসুরের সঙ্গে ব্যাপক যুদ্ধ করে সমুদ্র মন্থনে ফিরিয়ে এনেছিলেন লক্ষ্মীকে। এই দিনটি ছিল ধনতেরাসের দিন মানে কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের ত্রয়োদশী তিথি। তাই তখন থেকেই দেবী লক্ষ্মীর উদ্দেশ্যে সূচনা করা হয়েছিল দীপাবলি উত্‍সব এবং তার আগে ধনদেবীর আরাধনা করা হয়।

    ধন্বন্তরি ও সমুদ্র মন্থন

    আবার অন্য একটি মতে, ধনতেরাসের এই দিনটি আবার ধন্বন্তরি ত্রয়োদশী নামেও পরিচিত। ধন্বন্তরি হিন্দু ধর্মের একজন দেবতা এবং আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক। পুরাণ অনুযায়ী, সমুদ্র মন্থনের সময় এই তিথিতেই হাতে অমৃত কলস নিয়ে ধন্বন্তরী প্রকট হন। কথিত আছে, ইন্দ্রের অভদ্র আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে মহর্ষি দুর্বাসা তিন লোককে শ্রীহীন হওয়ার অভিশাপ দেন। এর ফলে পৃথিবী থেকে নিজের লোকে গমন করেন অষ্টলক্ষ্মী। জগৎ সংসারে শ্রী প্রতিষ্ঠার জন্য সমুদ্র মন্থনের পরামর্শ দেন শিব। সমুদ্র মন্থনের ফলে ১৪টি প্রমুখ রত্নের উৎপত্তি হয়। চতুর্দশ রত্ন হিসেবে স্বয়ং অমৃত কলশ নিয়ে ধন্বন্তরী প্রকট হন। এর ঠিক দুদিন পর প্রকট হন লক্ষ্মী। তাই ধনতেরাসের (Dhanteras 2024) দুদিন পর দীপাবলীতে লক্ষ্মী পুজো করা হয়।

    ধন্বন্তরীর উপাসনা

    বিষ্ণু ধন্বন্তরীকে দেবতাদের বৈদ্য ও বনস্পতি এবং ঔষধির অধিপতি নিযুক্ত করেন। তাঁর আশীর্বাদেই সমস্ত বৃক্ষ ও বনস্পতির মধ্যে রোগনাশক শক্তির সঞ্চার হয়। জনকল্যানের জন্য ধন্বন্তরীই অমৃতময় ঔষধির খোঁজ করেন। মহর্ষি বিশ্বামিত্রের পুত্র সুশ্রুত তাঁর শিষ্য ছিলেন। সুশ্রুতই আয়ুর্বেদের মহানতম গ্রন্থ সুশ্রুত সংহিতার রচনা করেন। এদিন স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য ধন্বন্তরীর উপাসনা করা হয়। পৌরাণিক ধারণা অনুযায়ী, ধনতেরাসের দিনে বিধি মেনে পুজো করলে ও দীপ দান করলে অকাল মৃত্যুর হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

    লক্ষ্মীর অভিশাপ…

    অন্য একটি পৌরাণিক কাহিনী হল, একসময় বিষ্ণু মর্ত্যলোকে বিচরণ করতে এলে লক্ষ্মী ও তাঁর সঙ্গে আসতে চান। তখন বিষ্ণু বলেন, তাঁর কথা মেনে চললে মা লক্ষ্মী তাঁর সঙ্গে যেতে পারেন। তাঁর কথা মান্য করে মা লক্ষ্মী বিষ্ণুর সঙ্গে পৃথিবীতে আসেন। একটি জায়গায় এসে বিষ্ণু মা লক্ষীকে অপেক্ষা করতে বলেন। তিনি বলেন যে, তিনি দক্ষিণ দিকে যাচ্ছেন এবং তাঁর না আসা পর্যন্ত লক্ষ্মী যেন সেখান থেকে কোথাও না যায়। লক্ষ্মীর মনে দক্ষিণ দিকে বিষ্ণুর যাওয়ার কারণ জানার কৌতুহল জেগে ওঠে। এরপর তিনি বিষ্ণুর পিছু নেন। কিছু দূর এগোনোর পর সর্ষের ক্ষেতে ফুল ফুটে থাকতে দেখে সেই ফুল দিয়ে লক্ষ্মী নিজেকে সাজানোর জন্য সেই দিকে অগ্রসর হন। কিছুদূর যাওয়ার পর আখের ক্ষেত থেকে আখ তুলে তার রস পান করেন। সেই সময় বিষ্ণু সেখানে আসেন এবং লক্ষ্মীকে দেখে ভীষণ রেগে যান। এরপর বিষ্ণু মা লক্ষ্মীকে অভিশাপ দেন। বলেন যে, বারণ সত্ত্বেও লক্ষ্মী তাঁর পিছু নেন ও দরিদ্র কৃষকের ক্ষেত থেকে চুরির অপবাদ করে বসেন। লক্ষ্মীকে ১২ বছর পর্যন্ত কৃষকের সেবা করতে বলে ক্ষীর সাগরের উদ্দেশ্যে প্রস্থান করেন বিষ্ণু।

    সেই কৃষকের বাড়িতে কৃষকের স্ত্রীকে স্নান করে লক্ষ্মীপুজো ও তারপর রান্না করার কথা বলেন। পুজোর পর কৃষকের স্ত্রীর সমস্ত মনস্কামনা পূর্ণ হয়ে যায়। ফলে দ্বিতীয় দিন থেকেই কৃষকের ঘর অন্ন, বস্ত্র, রত্নতে ভরে যায়। এভাবে বারো বছর পর্যন্ত খুব আনন্দে কাটে কৃষকের। ১২ বছর পর বিষ্ণু লক্ষীকে নিতে এলে কৃষকের স্ত্রী তাঁকে যেতে দেন না। তখন বিষ্ণু জানান, লক্ষ্মীকে কেউ যেতে দিতে চায় না। লক্ষ্মী চঞ্চলা, কোথাও টিকতে পারেন না। তখন লক্ষ্মী কৃষককে জানান তাঁর কথা মত চললে পরিবারে কখনও অর্থাভাব থাকবে না। ধনতেরাসের দিনে ঘরবাড়ি পরিষ্কার করার কথা বলেন লক্ষ্মী, এরপর রাতে ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালিয়ে রেখে সন্ধ্যাকালে পুজো করতে বলেন, একটি রুপোর ঘটে তাঁর জন্য টাকা ভরে রাখার কথাও বলেন তিনি।

  • Dhanteras 2025: দুর্ভাগ্য এড়াতে ধনতেরাসে কী কিনবেন? জেনে নিন সৌভাগ্য ফেরানোর উপায়

    Dhanteras 2025: দুর্ভাগ্য এড়াতে ধনতেরাসে কী কিনবেন? জেনে নিন সৌভাগ্য ফেরানোর উপায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোর পর এবার কালীপুজোর (Kali Puja 2025) প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন বাঙালিরা। তবে, কালীপুজোর আগে রয়েছে ধনতেরাস (Dhanteras 2025)। আগে সাধারণত, অবাঙালি হিন্দুদের মধ্যে দীপাবলির (Diwali 2025) আগে এই পুজোর চল ছিল। এখন বাঙালিরাও ধনতেরাস পালন করেন। ধনতেরাসের অর্থ ধন ত্রয়োদশী। কার্তিক মাসের কৃষ্ণ ত্রয়োদশীর দিন ধনতেরাস পালিত হয়। এই ধনতেরাসে শুভ মুহূর্তে সোনা সহ নানান সামগ্রী কিনে ধনলক্ষ্মীর কৃপা লাভের আশায় থাকেন ভক্তরা (Dhanteras Good Luck Purchases)।

    ধনতেরাসের দিন জিনিস কেনার আগে ভাবুন

    ধনতেরাসের (Dhanteras 2025) দিন ভগবান ধন্বন্তরীর পুজো করা হয়। কথিত রয়েছে এই দিনে সমুদ্র মন্থন করে শ্রী ধন্বন্তরী অমৃত কলস নিয়ে আবির্ভূত হন। এই দিনে সোনা, রুপো সহ নানান ধাতু কেনা শুভ। এছাড়াও এমন বহু সামগ্রী রয়েছে, যা ধনতেরাসের দিন কেনা শুভ হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, এমন কিছু জিনিস রয়েছে যেগুলি এই দিন একেবারেই কেনা উচিত নয়। এর ফলে সৌভাগ্যের বদলে দুর্ভাগ্য নেমে আসতে পারে। জেনে নেব এই দিন কী কেনা উচিত এবং কী কেনা উচিত নয়।

    ধনতেরাসে কী কী কেনা শুভ?

    ধার্মিক মান্যতা অনুসারে ধনতেরাসে (Dhanteras 2025) ঝাড়ু কেনা খুবই শুভ। এই ঝাড়ুকে লক্ষ্মীদেবীর প্রতীক বলে মনে করা হয়। এই দিনে ঝাড়ু কিনলে আর্থিক কষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এই সময় জমি, বাড়ি কেনা যায় ও সোনা, রুপোও কেনা যায়। এছাড়াও গাড়িও কেনা যায়। কথিত রয়েছে, এই দিন যদি সোনা কেনা যায় তা হলে ধনসম্পত্তি তিন গুণ বৃদ্ধি পায়। রুপোর কয়েন বা রুপোর অন্যান্য জিনিস কেনাও এই দিন শুভ বলে মানা হয়। বিশেষ করে রুপোর গয়না যদি বাড়ির মহিলাদের উপহার দিতে পারেন তা হলে খুবই ভালো হয়। এই দিন বাড়িতে অবশ্যই নুন কিনবেন এবং সেই নুন দিয়েই বাড়ির সমস্ত রান্না করবেন। ধনতেরাসের দিন গুড়ের বাতাসা, গাঁট হলুদ, কড়ি, গোমতীচক্র, জায়ফল, হরিতকি, সুপুরি, ধান এই কয়েকটা জিনিস কেনা অত্যন্ত শুভ। এই দিন বাড়িতে গণেশ-লক্ষ্মীর মূর্তি কেনা অত্যন্ত শুভ।

    কাঁসা বা পিতলের বাসনপত্র কিনুন, তবে…

    যাঁদের ইচ্ছে থাকলেও, সোনা কেনার সামর্থ্য নেই, তাঁরা ধনতেরাসের (Dhanteras 2025) দিনে কাঁসা কিংবা পিতলের বাসনপত্রও কেনেন। তবে মনে রাখবেন, কিনে খালি বাসন নিয়ে ঘরে ঢুকবেন না। কলসি কিংবা বালতি কিনলে তাতে জল কিংবা চাল ভরে ঘরে ঢুকবেন। এই জল গঙ্গার হলে ভাল হয়। নিতান্তই তা করতে না পারলে অন্তত জলাশয়ের জল ভরে নিন। সেই জলও না মিললে চাল ভরে নিন। আতপ চাল হলেই ভাল হয়। না হলে সিদ্ধ চালই সই। কলসি কিংবা বালতি না কিনে যদি বাসনকোসন কেনেন, তাহলে তাতেও চাল ভরে নিন। মধু কিংবা দুধ ভরেও বাড়ি ফিরতে পারেন। এসবের চেয়ে ভাল হয় যদি সাত ধরনের অন্ন ভরে ঘরে ফিরতে পারেন। বিশ্বাসীদের মতে— কৃষ্ণতিল, যব, মাসকলাই, ধান, ছোলা, সাদা সর্ষে এবং মুগের ডাল ভরে তবেই ঘরে ঢুকুন। এই সাতটি অন্নই সৌভাগ্যের প্রতীক।

    ধনতেরাসের দিন কী কী কিনবেন না

    ধনতেরাসের (Dhanteras 2025) দিন লোহা এবং কাচের তৈরি কোনও জিনিস কিনবেন না। এই দিন বাড়িতে কোনও পাত্র কিনে খালি অবস্থায় আনবেন না, তাতে কিছু জিনিস ভরে তবেই বাড়িতে আনবেন। এই দিন নকল সোনার জিনিস অর্থাৎ নকল গয়না কিনবেন না। এই দিন অ্যালুমিনিয়ামের কোনও জিনিস বাড়িতে কিনে আনবেন না। এতে মা লক্ষ্মী অসন্তুষ্ট হন। ধনতেরাসের দিন কোনও ধারালো জিনিস কেনা উচিত নয়। অর্থাৎ ছুরি, কাঁচি, ব্লেড জাতীয় কোনও ধারালো জিনিস না কেনাই ভালো। তা দুর্ভাগ্য বয়ে আনতে পারে। ধনতেরাসের দিন ধাতুর জিনিস কেনার চল রয়েছে। মিশ্র কোনও ধাতুর জিনিসপত্র না কেনাই ভাল। লোহার জিনিস কিনবেনই না। কিনবেন না স্টিলের বাসনকোসনও। চলবে না প্লাস্টিকও। আসলে এগুলির কোনওটাই অর্থকরী নয়। তাই বোধহয় এগুলি কিনতে বারণ করা হয়েছে। তার চেয়ে শুদ্ধ ধাতুর জিনিস কিনুন। মনে রাখবেন, ধর্মের মোড়কে সঞ্চয়ের এহেন দিশা বোধ হয় অন্য কোনও ধর্মেই নেই! ধনতেরাসের (Dhanteras 2025) পুজো করতে গেলে ঘি, তেল লাগবেই। কিন্তু তা আগে থেকে কিনে রাখুন। এই দিনে তেল, ঘি কিনবেন না। পোশাক কিনলেও মনে রাখবেন তার রং যেন কালো না হয়। এদিন কোনও ব্যক্তিকে টাকা ধার দেবেন না কারোর থেকে ধার নেবেন না।

  • Dhanteras 2025: ধনতেরাসে জ্বালাতে হয় যম প্রদীপ! কী এর তাৎপর্য? কোথায় রাখতে হয়? জানুন নিয়ম

    Dhanteras 2025: ধনতেরাসে জ্বালাতে হয় যম প্রদীপ! কী এর তাৎপর্য? কোথায় রাখতে হয়? জানুন নিয়ম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু ধর্মে, ধনতেরাস (Dhanteras 2025) থেকে দীপাবলি উৎসব শুরু হয়। ধনতেরাসে, সন্ধ্যায় দেবী লক্ষ্মীর সঙ্গে ভগবান কুবেরের পুজো করা হয়। এই সময়ে মৃত্যুর দেবতা যমরাজেরও পুজো করা হয় এবং সন্ধ্যায় দক্ষিণ দিকে যম প্রদীপও (Yama Pradip) জ্বালানো হয়। এটি যম দীপদান (Yama Deepdaan) নামেও পরিচিত। যম প্রদীপের পৌরাণিক গুরুত্ব এবং শুভ সময় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নিন।

    যম প্রদীপ জ্বালানো হয় কেন?

    ধনতেরাসের (Dhanteras 2025) সন্ধ্যায়, দেবী লক্ষ্মী এবং ভগবান কুবেরের পুজোর পাশাপাশি, যমরাজকে খুশি করার জন্যও পুজো করা হয়। বাড়ির দক্ষিণ দিকে চারমুখী প্রদীপ জ্বালানো হয়। এই চারমুখী প্রদীপকে যম প্রদীপ বলা হয়। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, বাড়ির দক্ষিণ দিকের অধিপতি হলেন যমরাজ। পৌরাণিক বিশ্বাস আছে যে, ধনতেরাসে দক্ষিণ দিকে যমের প্রদীপ জ্বাললে যমরাজ (Yama Pradip) প্রসন্ন হন। ঘরে সুখ, শান্তি ও স্বাস্থ্য থাকে। ভাইফোঁটা পর্যন্ত যমরাজের নামে প্রদীপ জ্বালানো ঐতিহ্যবাহী। এটি যাতে নিভে না যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখা হয়। টানা পাঁচ দিন ধরে এটি জ্বালাতে হবে। প্রদীপ জ্বালানোর সময়, দীর্ঘায়ু এবং সুস্বাস্থ্যের জন্য যমরাজের কাছে প্রার্থনা করা উচিত। এই প্রদীপ জ্বালালে নরকের দরজা বন্ধ হয়ে যায়, মৃত্যুর পরে নরকে যাওয়া থেকে বিরত থাকে। তদুপরি, যমদীপ নেতিবাচক শক্তি দূর করে।

    যম প্রদীপ কোথায় বসাতে হয়?

    এবছর ধনতেরাস (Dhanteras 2025) পড়েছে শনিবার, ১৮ অক্টোবর। ধনতেরাসে ১৩টি প্রদীপ জ্বালানো (Yama Pradip) শুভ বলে মনে করা হয়। ধনতেরাসের সন্ধ্যায়, আটার চারমুখী প্রদীপ তৈরি করে তাতে সরিষার তেল দিন। প্রথমে ঘরের বাইরে আবর্জনার কাছে একটি প্রদীপ জ্বালানো উচিত। এই প্রদীপটি দক্ষিণ দিকে মুখ করে রাখা উচিত। বিশ্বাস করা হয় যে এই প্রদীপটি যমরাজের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হয়। বলা হয় যে এই প্রদীপ জ্বালালে অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি এড়ানো যায়। এরপর, অবশিষ্ট প্রদীপগুলি (Yama Deepam) ঘরের প্রধান প্রবেশপথে, তুলসী গাছের কাছে, বাড়ির ছাদে, পিপল গাছের নীচে, কাছের মন্দিরে জ্বালাতে হবে। বাথরুম এবং জানলার কাছে এক বা দুটি প্রদীপ রাখাও শুভ। এ ছাড়া বাড়ির মূল প্রবেশদ্বারে গরুর ঘির প্রদীপ  জ্বালালে দেবী লক্ষ্মী খুশি হন এবং প্রচুর ধন-সম্পদ দান করেন (Dhanteras 2025)।

  • Dhanteras 2025: ধন ত্রয়োদশী তিথি কটায় শুরু, পুজো ও কেনাকাটার শুভ সময় কখন?

    Dhanteras 2025: ধন ত্রয়োদশী তিথি কটায় শুরু, পুজো ও কেনাকাটার শুভ সময় কখন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। বিশেষত এই সময়টা অর্থাৎ শরৎকাল এবং হেমন্তকাল যেন পুজোর ঋতু। মহালয়া থেকে শুরু, দুর্গা পুজো, লক্ষ্মী পুজো, কালী পুজো। পরপরই চলতে থাকে। কিন্তু কালীপুজোর ঠিক দু’দিন আগে পালন করা হয় আরও একটি উত্‍সব, যার নাম ধনতেরাস (Dhanteras 2025)। ধন শব্দের অর্থ সম্পদ, এবং তেরাস শব্দের অর্থ ত্রয়োদশী। হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের ত্রয়োদশী তিথিতে এই উত্‍সব পালিত হয়। আলোর ঝরনায় যখন মেতে ওঠে সম্পূর্ণ বিশ্ব, তখন আত্মীয় স্বজন, পরিবারের মঙ্গল কামনায় এবং ধন-সম্পদের আশায় বহু মানুষ দেবতা কুবেরের আরাধনা করেন। কুবের হল ধন দেবতা‌। বিশ্বাস মতে, এই দিন কোন না কোন মূল্যবান ধাতু, বাসনপত্র অথবা নতুন পোশাক কিনলে মা লক্ষ্মী সন্তুষ্ট হন। আশীর্বাদ করেন তাঁর ভক্তদের।

    কখন শুরু ও শেষ ত্রয়োদশী তিথি (Dhanteras Tithi)

    ২০২৫ সালে ত্রয়োদশী তিথি দুই দিন ধরে থাকবে, যার কারণে ধনতেরাস উদযাপনের তারিখ নিয়ে সামান্য বিভ্রান্তি তৈরি হয়। তবে প্রচলিত নিয়ম এবং পঞ্জিকা অনুসারে প্রদোষ কাল-এ (সূর্যাস্তের পরের সময়) ত্রয়োদশী তিথি থাকলেই সেই দিন ধনতেরাস (Dhanteras 2025) পালিত হয়। সেই হিসেবে, ১৮ অক্টোবর, শনিবার ধনতেরাস পালিত হবে।

    ত্রয়োদশী তিথি শুরু: ১৮ অক্টোবর, ২০২৫, শনিবার, দুপুর ১২টা ১৮ মিনিট থেকে।
    ত্রয়োদশী তিথি শেষ: ১৯ অক্টোবর, ২০২৫, রবিবার, দুপুর ১টা ৫১ মিনিট পর্যন্ত।

    পুজোর শুভ মুহূর্ত (প্রদোষ কাল)

    ধনতেরাসের পুজো (Dhanteras Puja Timings) প্রদোষ কাল-এ করাই সবচেয়ে শুভ ও ফলদায়ক বলে মনে করা হয়। এই সময়টি প্রদোষ এবং বৃষভ (স্থির) লগ্ন দ্বারা নির্ধারিত হয়।

    প্রদোষ কাল: ১৮ অক্টোবর, ২০২৫, সন্ধ্যা ৫টা ৪৮ মিনিট থেকে রাত ৮টা ২০ মিনিট পর্যন্ত।
    বৃষভ কাল: ১৮ অক্টোবর, ২০২৫, সন্ধ্যা ৭টা ১৬ মিনিট থেকে রাত ৯টা ১১ মিনিট পর্যন্ত।

    ধনতেরাস পুজো মুহূর্ত: ১৮ অক্টোবর, ২০২৫, সন্ধ্যা ৭টা ১৬ মিনিট থেকে রাত ৮টা ২০ মিনিট পর্যন্ত।
    সময়কাল: ১ ঘণ্টা ৪ মিনিট।

    কেনাকাটার শুভক্ষণ

    ধনতেরাসে (Dhanteras 2025) সোনা, রুপো, নতুন বাসনপত্র, বা অন্যান্য মূল্যবান ধাতু কেনা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়, যা ঘরে সারা বছর ধরে সমৃদ্ধি নিয়ে আসে।

    ১৮ অক্টোবর, শনিবার আপনি পুরো দিন জুড়েই কেনাকাটা করতে পারেন, তবে বৃষভ কাল এবং লাভ যোগে কেনাকাটা সবচেয়ে শুভ।

    দিনের শুভ সময়: সকাল ১১টা ৪৫ মিনিট গতে ২টো ৪৭ মিনিট পর্যন্ত।
    সন্ধ্যা ও রাতের শুভ সময়: সন্ধ্যা ৭টা ১৬ মিনিট থেকে রাত ৯টা ১১ মিনিট পর্যন্ত।

  • Sugar Intake: চিনি বাড়াচ্ছে বিপদ! কোন বিকল্প খাবারের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    Sugar Intake: চিনি বাড়াচ্ছে বিপদ! কোন বিকল্প খাবারের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    স্থূলতা থেকে হৃদরোগ— শরীরের একাধিক রোগের কারণ খাবারের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, দেশের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে যে স্বাস্থ্য সমস্যাগুলো বেশি দেখা যাচ্ছে, সেগুলো বেশিরভাগ জীবনযাপন আর খাদ্যাভাসের কারণেই জটিল আকার নিচ্ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ প্রয়োজনের অতিরিক্ত চিনি নিয়মিত খাচ্ছেন। আর তার জেরেই বিপদ বাড়ছে। মাত্র কয়েক দিন পরেই দেশজুড়ে দীপাবলির উৎসবে মাতবেন আট থেকে আশি, সব বয়সের মানুষ! উৎসবের উদযাপনে চলবে মিষ্টি মুখ। কিন্তু সতকর্তা না থাকলে বড় সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই উৎসবের আমেজ ও যাতে সচেতনতা থাকে, মিষ্টিমুখে চিনির পরিবর্তে অন্য বিকল্প মিষ্টি খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    কেন বিপদ বাড়াচ্ছে চিনি?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, চিনিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে শর্করা। তাই অতিরিক্ত চিনি খেলে শরীরে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ে। কারণ এই অতিরিক্ত শর্করা ইনসুলিন হরমোনের ভারসাম্যে তারতম্য ঘটায়। তাই ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে‌। সারা বিশ্বের ডায়াবেটিস আক্রান্তের সবচেয়ে বেশি বোঝা ভারতে। কম বয়সিদের মধ্যে প্রবলভাবে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। তাই অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার অভ্যাস বিপজ্জনক। কম বয়স থেকেই ডায়াবেটিসের মতো রোগে আক্রান্ত হলে কিডনি সহ একাধিক কার্যকারিতা কমে।

    কী কী বিপদ ডেকে আনছে চিনি?

    স্থূলতার সমস্যা বৃদ্ধি

    চিনিতে থাকে অতিরিক্ত ক্যালোরি। তাই চিনি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে স্থূলতার সমস্যা দেখা দেয়। ওবেসিটি বা বাড়তি ওজনের মতো রোগ শরীরের একাধিক স্বাস্থ্য সঙ্কট তৈরি করে। হৃদরোগ, বন্ধ্যাত্বের মতো একাধিক রোগের কারণ ওবেসিটি। আর এই বাড়তি ওজনের সমস্যার পিছনে অনেক সময়েই অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার অভ্যাস দেখা যায়।

    হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে

    চিনি রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইডের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইডের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়ে। তাছাড়া এই উপাদান রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। তাই অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার অভ্যাস স্ট্রোকের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়।

    লিভারের জন্যও ক্ষতিকারক

    চিনি লিভারের জন্যও ক্ষতিকারক। চিনি খেলে ফ্যাটি লিভারের মতো রোগের ঝুঁকিও বাড়ে। শরীরের পাশপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ও চিনি ক্ষতিকারক। চিনি খেলে শরীরের নানান হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। অতিরিক্ত চিনি খেলে মানসিক উদ্বেগ বাড়ে। অনিদ্রার মতো সমস্যা দেখা যায়।

    চিনির বিকল্প কোন খাবারের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    উৎসবের মরসুম হাজির। দীপাবলি হোক কিংবা ভাইফোঁটা, উৎসবের উদযাপনে মিষ্টিমুখের রেওয়াজ রয়েছে। রসগোল্লা থেকে পায়েস, বাঙালির নানান ধরনের মিষ্টিতেই চিনি থাকে।‌ আর এই সময়ে অতিরিক্ত চিনি খাওয়া হয়। যা শরীরের ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে।

    গুড় প্রাকৃতিক উপাদান

    তাই পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, চিনি খাওয়ার পরিবর্তে গুড় খাওয়া যেতে পারে। নাড়ু, পায়েসের মতো নানান মিষ্টি তৈরির সময় উপকরণ হিসাবে চিনির পরিবর্তে গুড়ের ব্যবহার করা যেতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, গুড় প্রাকৃতিক উপাদান। এতে রয়েছে আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়ামের মতো নানান খনিজ পদার্থ। যা শরীরের জন্য উপকারি। তাই গুড় উপকারি।

    মিষ্টি ফলও উপকারী

    তাছাড়া, তরমুজ, পাকা পেঁপে, আমের মতো ফলের তৈরি মিষ্টি খাওয়া যেতে পারে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ফলের তৈরি খাবারে শরীরে মারাত্মক ক্ষতি করে না। চিনির মতো অপকারিতা নেই। তাই ফলের তৈরি মিষ্টি বাড়তি ঝুঁকি কমাবে।

    চিনির বদলে মধু

    মিষ্টির উপকরণ হিসাবে চিনির পরিবর্তে মধু ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, গুড়ের মতো মধু হলো প্রাকৃতিক উপাদান। তাই মধুতেও রয়েছে নানান খনিজ পদার্থ। তাছাড়া মধুতে প্রোটিন, ভিটামিন রয়েছে। এই আবহাওয়ায় অনেকেই সর্দিকাশিতে ভোগেন। মধু নানান ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস ঘটিত রোগের মোকাবিলায় সাহায্য করে। তবে গুড় হোক কিংবা মধু পরিমাণের দিকে নজর জরুরি। অতিরিক্ত কোনও কিছুই শরীরের জন্য উপকারি হয় না। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Malaria in Kolkata: সেপ্টেম্বরে আক্রান্ত হাজারের বেশি! কলকাতা পুর-এলাকায় অব্যাহত ম্যালেরিয়ার দাপট

    Malaria in Kolkata: সেপ্টেম্বরে আক্রান্ত হাজারের বেশি! কলকাতা পুর-এলাকায় অব্যাহত ম্যালেরিয়ার দাপট

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    উৎসবের মরশুমে ফের বিপদ বাড়ছে। আগাম সতর্কতা জারির পরেও পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। সচেতন না হলে অবস্থা আরও জটিল হতে পারে এমনটাই আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। দুর্গাপুজো শেষ! কিন্তু আর মাত্র কয়েক দিন পরেই দীপাবলির উৎসবে মেতে উঠবেন বঙ্গবাসী। কিন্তু তার মধ্যেই ম্যালেরিয়ার দাপট নিয়ে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য প্রশাসন। স্বাস্থ্য ভবনের সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, গত দেড় মাসে মারাত্মক হারে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। উৎসবের আমেজের তাল কাটতে পারে মশাবাহিত এই রোগ। এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করছেন চিকিৎসক মহল।

    কী বলছে তথ্য?

    স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, সেপ্টেম্বর মাসে শুধুমাত্র কলকাতা কর্পোরেশন এলাকাতেই নতুন ভাবে ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজারের বেশি মানুষ। তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অগাস্ট মাস পর্যন্ত কলকাতায় ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১১৫৬ জন। কিন্তু অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহের পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০৮০ জন। অর্থাৎ সেপ্টেম্বর মাসে মারাত্মক হারে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা জানান, বিগত বছরে কেন্দ্রের তরফে কলকাতার ৬৯টি ওয়ার্ডকে ম্যালেরিয়া প্রবণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। সেই সমস্ত এলাকায় বাড়তি নজরদারির পরামর্শ ও দেওয়া হয়েছিল। চলতি বছরে কলকাতার ১১টি ওয়ার্ডকে বিশেষ স্পর্শকাতর এলাকা হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। উত্তরে শোভাবাজার, গিরিশ পার্ক থেকে দক্ষিণ কলকাতার যাদবপুর, টালিগঞ্জের বিস্তৃর্ণ এলাকায় বাড়তি নজরদারি প্রয়োজন। তবে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতার পাশপাশি হুগলি, হাওড়া, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনাতেও গত এক মাসে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে। তাই ম্যালেরিয়ার দাপট নিয়ে উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল।

    উৎসবের মরশুমে কেন ম্যালেরিয়ার দাপট বাড়ছে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ম্যালেরিয়ার মতো মশাবাহিত রোগের দাপ‌ট বৃদ্ধির পিছনে সবচেয়ে বড় কারণ হলো আবহাওয়া। তাঁরা জানাচ্ছেন, অগাস্ট এবং সেপ্টেম্বর এই দুই মাসে রাজ্যে প্রবল বৃষ্টি হয়। রাজ্যের অধিকাংশ জায়গা থাকে জলমগ্ন। আর এই আর্দ্র আবহাওয়া এবং জলমগ্ন পরিবেশ মশার বংশবিস্তারের আদর্শ। তাই বছরের এই সময়ে মশাবাহিত রোগের দাপট বাড়ে। তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মশাবাহিত রোগ এই রাজ্যে নতুন স্বাস্থ্য সঙ্কট নয়। তাই বছরের এই সময়ে ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ার দাপট রুখতে আগাম পরিকল্পনা জরুরি। স্বাস্থ্য প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২২ সাল থেকেই কেন্দ্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছিল, আগামী কয়েক বছরে দেশজুড়ে ম্যালেরিয়ার দাপট বাড়তে পারে। ট্রপিক্যাল আবহাওয়ার পরিবর্তনের জেরেই এই সমস্যা হবে। তাই আগাম নানান পরিকল্পনা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। সেই মতো বিভিন্ন স্তরে একাধিক বৈঠক হয়। কিন্তু বাস্তবিক পরিস্থিতি আশানুরূপ হয়নি এমনটাই মনে করছেন স্বাস্থ্য কর্তাদের একাংশ।

    পুজো কমিটি ও প্রশাসনের সমন্বয়ের অভাব এবং সর্বপরি সচেতনতার অভাবকেই ম্যালেরিয়ার দাপট বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, একাধিক জায়গায় দুর্গাপুজোর প্যান্ডেল তৈরির জন্য জমা জল‌ পরিষ্কার হয়নি। এমনকি আশপাশের আবর্জনা ও সময় মতো পরিষ্কার করা হয়নি। পাশপাশি দুর্গাপুজোর উৎসব শেষের পরেও কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় বর্জ্য পদার্থ পড়ে রয়েছে। এর ফলে মশার দাপট বাড়ছে। তাই ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। যদিও কলকাতার অধিকাংশ পুজো কমিটি এবং পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, শহর পরিষ্কারের কাজ তৎপরতার সঙ্গে হয়েছে। ম্যালেরিয়া রুখতে সাধারণ মানুষকেও সতর্ক হতে হবে। তাই ওয়ার্ড ভিত্তিক সচেতনতা কর্মসূচি চলছে।

    সুস্থ থাকতে কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    ম্যালেরিয়ার বিপদ এড়াতে মশারি টাঙিয়ে ঘুমোনোর পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, মশা কামড়ানোর ঝুঁকি কমাতে মশারি টাঙানোর রেওয়াজ ফিরিয়ে আনা জরুরি। এছাড়া আশপাশের এলাকা পরিষ্কার দিকে নজরদারি প্রয়োজন। জমা জল মশার বংশবিস্তারে সাহায্য করে। তাই বাড়িতে কিংবা আশপাশের এলাকায় জমা জল যাতে না থাকে, সে ব্যাপারে প্রশাসনের পাশপাশি সাধারণ মানুষকেও সতর্ক হতে হবে। জ্বরে তিন দিনের বেশি সময় ভুগলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো রক্তপরীক্ষা জরুরি। তাতে রোগ সহজে ধরা পড়বে। সময় মতো‌ ম্যালেরিয়ার চিকিৎসা শুরু হলে বড় বিপদ এড়ানো সহজ হবে।

  • Indian Army: কাশ্মীরে অনুপ্রবেশ রুখল সেনা, কুপওয়ারায় বাহিনীর গুলিতে খতম ২ জঙ্গি

    Indian Army: কাশ্মীরে অনুপ্রবেশ রুখল সেনা, কুপওয়ারায় বাহিনীর গুলিতে খতম ২ জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজৌরি, অনন্তনাগের পরে এ বার কুপওয়ারা। কাশ্মীরে জঙ্গি দমন অভিযানে ফের সাফল্য ভারতীয় সেনার। অনুপ্রবেশের চেষ্টা রুখে দিয়ে ২ জঙ্গিকে নিকেশ করল নিরাপত্তা বাহিনী। সেনার তরফে জানানো হয়েছে, সোমবার রাতে কুপওয়ারা জেলার মাছিল সেক্টরে নিয়ন্ত্রণরেখায় অস্বাভাবিক গতিবিধি নজরে আসে প্রহরারত জওয়ানদের। তার পরেই সেখানে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। সে সময় বিপদ বুঝে গুলি চালাতে শুরু করে পাক জঙ্গিরা। পাল্টা জবাব দেয় ভারতীয় সেনাও। শুরু হয় দু’তরফের গুলির লড়াই। এখনও পর্যন্ত দুই জঙ্গিকে নিকেশ করা সম্ভব হয়েছে। যদিও এখনও তাদের পরিচয় জানানো হয়নি। তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। এলাকায় আরও জঙ্গি লুকিয়ে আছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে বলে সেনাবাহিনীর অভিযান এখনও অব্যাহত রয়েছে। মাছিল সেক্টরের বিরাট এলাকা ঘিরে ফেলে চলছে তল্লাশি।

    অন্যদিকে, দুদনিয়াল সেক্টরে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে। যার ফলে জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ করার চেষ্টার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেনাকে বিভ্রান্ত করার জন্য একাধিক জায়গায় বিস্ফোরণ ঘটানো হচ্ছে বলে মনে করছেন সেনার পদস্থ আধিকারিকরা। তবে এখনও ওই এলাকায় জঙ্গির খোঁজ মেলেনি। তল্লাশি চালাচ্ছে সেনা এবং অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনী।

    শীতের আগে সেনা তৎপরতা তুঙ্গে

    গত কয়েকদিন ধরে এমনিতেই সীমান্ত এলাকায় তৎপরতা বাড়িয়েছে সেনা। কারণ শীত পড়ার আগেই বিপুল পরিমাণে জঙ্গিকে ভারতে পাঠানোর চেষ্টা করা হয়। শীত পড়ে গেলে সীমান্ত পেরিয়ে কাশ্মীরে ঢোকা কঠিন। তাই শীত পড়ার আগে পাকিস্তানি লঞ্চপ্যাড থেকে জঙ্গিরা ভারতে ঢোকে, এমনটাই মত বিএসএফ কর্তার। সেকরণেই বিএসএফ এবং সেনাকে বাড়তি সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    এর আগে, লক্ষ্মীপুজোর দিন দক্ষিণ অনন্তনাগে অপারেশন চলার সময়ে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় নিখোঁজ হয়ে যান দুই প্যারা কম্যান্ডো (স্পেশাল ফোর্স) সুজয় ঘোষ ও পলাশ ঘোষ। শুক্রবার বরফ ঢাকা পাহাড় থেকে তাঁদের নিথর দেহ উদ্ধার হয়। অনন্তনাগের আলান গাডোলে এলাকার কোকেরনাগ সাব ডিভিশনের জঙ্গলে জঙ্গিরা লুকিয়ে রয়েছে বলে খবর আসে। সঙ্গে সঙ্গে অভিযান শুরু করে সেনা। অভিযান চলাকালীন আচমকাই স্পেশাল প্যারা ইউনিটের দুই জওয়ানের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

    গত কয়েকদিনে আরও জঙ্গি নিকেশ

    সম্প্রতি, একটি যৌথ অভিযানের সময় সেনাবাহিনী এবং পুলিশ ওয়ারসান এলাকার ব্রিজথর জঙ্গলে একটি জঙ্গি ঘাঁটি আবিষ্কার করে। অভিযানের সময়, নিরাপত্তা বাহিনী দুটি একে-সিরিজ রাইফেল, চারটি রকেট লঞ্চার, বিপুল পরিমাণে গোলাবারুদ এবং অন্যান্য যুদ্ধ সামগ্রী উদ্ধার করে।

    আবার, কুলগাম জেলার গুদ্দার জঙ্গলে সেনাবাহিনী এবং জঙ্গিদের মধ্যে এর আগেও একটি সংঘর্ষ হয়েছিল। সেই অভিযানে দুই জঙ্গি নিহত হয়েছিল। দুই সেনা জওয়ানেরও মৃত্যু হয়েছিল। নিহত জঙ্গিদের মধ্যে একজন শোপিয়ানের বাসিন্দাস নাম আমির আহমেদ দার। এই ব্যক্তি লস্কর-ই-তৈবার সঙ্গে যুক্ত ছিল এবং ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে সক্রিয় ছিল। পহেলগাম হামলার পর মুক্তিপ্রাপ্ত ১৪ জন ওয়ান্টেড জঙ্গির তালিকায় তার নাম ছিল।

LinkedIn
Share