Author: Susanta Das

  • Kolkata Air Pollution: বায়ুদূষণে দিল্লিকে টেক্কা কলকাতার! ‘প্রশাসনের গাফিলতি’ বলছেন বিশেষজ্ঞরা

    Kolkata Air Pollution: বায়ুদূষণে দিল্লিকে টেক্কা কলকাতার! ‘প্রশাসনের গাফিলতি’ বলছেন বিশেষজ্ঞরা

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    কলকাতার বাতাস নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। কলকাতার বাতাসের ‘বিষ’ নিয়ে উদ্বিগ্ন চিকিৎসক থেকে পরিবেশ কর্মী, সব মহল! শীতের মরসুমে সেই উদ্বেগ আরও বাড়ল। কারণ, সম্প্রতি, কলকাতার বায়ুদূষণের মাত্রা ছাপিয়ে গেল দিল্লিকেও! বায়ুদূষণ নিয়ে কথা হলেই দিল্লির কথা প্রথমেই আলোচনায় আসে। কিন্তু সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, কলকাতা সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গিয়েছে। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন সংশ্লিষ্ট মহল। মানুষের স্বাস্থ্যে এর গভীর প্রভাব পড়বে বলেও আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।

    কী বলছে সাম্প্রতিক তথ্য?

    গত কয়েক দিন ধরেই রাত আটটা থেকে নটার মধ্যে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের আশপাশের এলাকায় AQI (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স) ছিল ৩৪২-র আশপাশে। যা স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই বেশি। ওই সময় দিল্লির একিউআই ছিল ২৯৯। কলকাতার ফুসফুস হিসেবে পরিচিত ময়দান এলাকায় বায়ুর এই গুণমান সূচক নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে।

    বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ অবশ্য জানাচ্ছেন, দিন কয়েকের সমস্যা নয়। দেশের অন্যতম দূষিত শহর হল কলকাতা। কলকাতায় বায়ুদূষণের মাত্রা বাড়ছে। যার ক্ষতিকারক প্রভাব পরিবেশ স্পষ্ট জানান দিচ্ছে। তবে কলকাতার পাশপাশি এ রাজ্যে হাওড়া, হুগলি, পশ্চিম বর্ধমানের একাধিক শহরেও বায়ুদূষণের মাত্রা ভয়ঙ্কর। এ নিয়ে প্রশাসন সতর্ক না হলে আগামি দিনে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    কেন কলকাতা ও আশপাশে বায়ুদূষণের মাত্রা বাড়ছে?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, জনসচেতনতা অভাব এবং প্রশাসনের সক্রিয়তার ঘাটতি কলকাতার দূষণের মাত্রা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিচ্ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, কলকাতা ও তার আশপাশের এলাকায় নানান নির্মাণ কাজ চলছে। মেট্রো রেল সম্প্রসারণ সহ একাধিক নির্মাণ কাজ চলাকালীন সেই জায়গা ঢেকে রাখাই নিয়ম। যাতে সেখানে ধুলোবালি সহজে বাতাসে মিশে না যায়। কিন্তু সেই ঢেকে রাখার ব্যবস্থা রাজ্য প্রশাসনের তরফে করা হয়নি। তাই যে কোনও নির্মীয়মান জায়গার ধুলিকণা সহজেই বাতাসে মিশে যাচ্ছে। এছাড়া শীতে শুষ্কতা বাড়ে। তাই এই সময়ে বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ বাড়তে পারে। তাই অতিরিক্ত গাড়ি যেসব এলাকায় চলে সেখানে বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই সেই সব এলাকায় দিনে একাধিকবার জল ছেটানোর বন্দোবস্ত করা প্রয়োজন। কিন্তু কলকাতা ও তার আশপাশের এলাকায় সে ব্যবস্থা নেই। তাই বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ বাড়ছে। এছাড়াও জনসচেতনতাকেও এজন্য দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, পরিবেশবান্ধব যানবাহন অধিকাংশ মানুষ ব্যবহার করেন না। তাই বায়ুদূষণ লাগামহীন।

    স্বাস্থ্য সঙ্কট কি দেখা দিতে পারে?

    বায়ুদূষণ স্বাস্থ্য সঙ্কট তৈরি করতে পারে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, প্রতি ঘনমিটারে বাতাসে ১৫ মাইক্রোগ্রামের বেশি দূষণের মাত্রা থাকলেই স্বাস্থ্য সঙ্কট তৈরি হতে পারে। কিন্তু কলকাতায় সেই মাত্রা কয়েকগুণ বেশি। তাই পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কলকাতা ও তার আশপাশ লাগামহীন বায়ুদূষণের জেরে শিশুদের ভোগান্তি বাড়ছে। শ্বাসকষ্ট, কাশির মতো নানান সমস্যা বেশি দেখা যাচ্ছে। এমনকি হাঁপানি আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে বাড়ছে। শিশুদের পাশপাশি বয়স্কদের জন্যেও এই পরিবেশ বিপজ্জনক। শিশু ও বয়স্কদের নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিসের মতো জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা গত কয়েক বছরে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। বায়ুদূষণকেই সেই জন্য দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    জনসচেতনতা এবং প্রশাসনের সক্রিয়তা হলে তবেই এই পরিস্থিতি মোকাবিলা সম্ভব বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

  • Nolen Gur Health Benefits: নতুন গুড় শুধু শুধুই স্বাদে-গন্ধে এগিয়ে? নাকি এতে রয়েছে স্বাস্থ্যের গুণাগুণও?

    Nolen Gur Health Benefits: নতুন গুড় শুধু শুধুই স্বাদে-গন্ধে এগিয়ে? নাকি এতে রয়েছে স্বাস্থ্যের গুণাগুণও?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    পায়েস হোক কিংবা পুলি-পিঠে, শীতের আমেজ জমিয়ে দেয় বাঙালির রান্নাঘরের এই মরশুমের বিশেষ রান্না! হিমেল হাওয়া আর কুয়াশা যেমন শীতের জানান দেয়, তেমনি বাঙালির রান্না ঘরে নতুন গুড়ের গন্ধ ম-ম করলেই শীতের উপস্থিতি টের পাওয়া যায়। পিঠে-পুলি-পায়েসের মতো নানান রকমের পদে গুড়ের ব্যবহার হয়। কিন্তু বাঙালির এই চিরকালীন প্রিয় নলেন গুড় (Date Palm Jaggery) কি শুধুই গন্ধে আর স্বাদে এগিয়ে থাকে! একেবারেই নয়! স্বাদের পাশপাশি স্বাস্থ্যের জন্যও নলেন গুড় (Nolen Gur Health Benefits) এগিয়ে থাকবে। এমনটাই জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শীতের গুড় শরীরের পক্ষে খুবই উপকারি।

    গুড় খেলে শরীরে কী প্রভাব পড়ে?

    রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে!

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, গুড়ে রয়েছে একাধিক খনিজ পদার্থ। গুড় আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মতো উপাদানে ভরপুর। তাই গুড় খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। তাই যেকোনও সংক্রামক রোগ রুখতে শরীর বাড়তি শক্তি পায়। ভোগান্তি কম হয়।

    আয়রনের ঘাটতি কমায়!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, পূর্ব‌ ভারতের মহিলাদের মধ্যে আয়রনের অভাব যথেষ্ট উদ্বেগজনক। বিশেষত বয়ঃসন্ধিকালে থাকা মেয়েদের শরীরে আয়রনের ঘাটতি উল্লেখযোগ্য ভাবে বাড়ছে। এর ফলে রক্তাল্পতার মতো সমস্যা দেখা দিচ্ছে। দীর্ঘমেয়াদি নানান অসুখের ঝুঁকিও বাড়ছে। গুড় খেলে শরীরে আয়রনের জোগান হয়। তাই রক্তাল্পতা রুখতেও সাহায্য করে।

    হাড়ের ক্ষয় রুখতে সাহায্য করে!

    তরুণ প্রজন্মের মধ্যে হাড়ের ক্ষয় রোগ বাড়ছে। বয়স তিরিশের চৌকাঠ পেরনোর আগেই আর্থ্রাইটিস সহ একাধিক রোগের প্রকোপ দেখা দিচ্ছে। হাড় দূর্বল হওয়ার জেরেই এই ধরনের নানান সমস্যা দেখা দিচ্ছে। গুড়ে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে। তাই গুড় খেলে হাড় মজবুত হয়।

    হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতে হজমের সমস্যা বাড়ে। নানান কারণে এর ফলে লিভারেও চাপ পড়ে। গুড় হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। তাঁরা জানাচ্ছেন, গুড়ে প্রাকৃতিক শর্করা থাকে। যা হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। লিভার সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে।

    মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, গুড়ে ভিটামিন বি ৬ উপাদান থাকে। এই উপাদান মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। আবার এই উপাদান মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতাও বাড়ায়। তাই গুড় খেলে মানসিক স্বাস্থ্যও ভালো থাকে।

    সর্দি-কাশি রুখতে বিশেষ সাহায্য করে!

    গুড় রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, গুড় খেলে সর্দি-কাশি কম হয়। গুড়ে‌ থাকা নানান খনিজ পদার্থ ফুসফুসের সংক্রমণ রুখতেও বিশেষ সাহায্য করে।

    গুড় কি চিনির বিকল্প হতে পারে?

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, চিনির বিকল্প হিসেবে গুড় ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে গুড় খাওয়ার ক্ষেত্রেও পরিমাণের দিকে নজরদারি প্রয়োজন। গুড়ে প্রাকৃতিক শর্করা থাকে। ফলে অতিরিক্ত পরিমাণে গুড় খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যাবে। এর ফলে ওজন বেড়ে যেতে পারে। আবার ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য নানান জটিলতা তৈরি হতে পারে। তবে রান্নায় চিনির পরিবর্তে গুড় ব্যবহার করা যেতে পারে। আবার সকালে আদার সঙ্গে অল্প পরিমাণ গুড় মিশিয়ে খেলে সর্দি-কাশি মোকাবিলা আরো সহজ হবে।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Delhi Red Fort Blast: দিল্লিতে বিস্ফোরণ ঘটানোর আগে কাশ্মীরের জঙ্গলে বোমার পরীক্ষা করেছিল উমর! দাবি এনআইএ-র

    Delhi Red Fort Blast: দিল্লিতে বিস্ফোরণ ঘটানোর আগে কাশ্মীরের জঙ্গলে বোমার পরীক্ষা করেছিল উমর! দাবি এনআইএ-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লালকেল্লার কাছে গাড়ি-বিস্ফোরণ ঘটানোর আগে কাশ্মীরের জঙ্গলে বোমার পরীক্ষা করেছিল দিল্লিকাণ্ডের আত্মঘাতী জঙ্গি উমর নবি! এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি এনআইএ-র। এই মামলায় ধৃতদের জেরা করে এমনটাই জানা গিয়েছে বলে জানিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। এরপরই ধৃতদের নিয়ে অনন্তনাগ জেলায় গিয়ে পরীক্ষার জায়গায় চিরুনি তল্লাশি করে বেশ কিছু সামগ্রী পেয়েছেন গোয়েন্দারা। এদিকে, দিল্লির লালকেল্লার ঘটনায় অষ্টম সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। জানা গিয়েছে, তার নাম বিলাল নাসের মাল্লা। ধৃত পেশায় একজন চিকিৎসক। থাকেন দিল্লিতে। আদতে, জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুল্লার বাসিন্দা। তদন্তকারীদের দাবি, বিলাল নাসের মাল্লা ডক্টর্স টেরর মডিউল বা হোয়াইট কলার টেরর মডিউল নেটওয়ার্কের অন্যতম সদস্য। আত্মঘাতী জঙ্গি উমরকে সে লুকোতে সাহায্য করেছিল।

    কে এই চিকিৎসক বিলাল নাসের মাল্লা?

    লালকেল্লা বিস্ফোরণকাণ্ডে মঙ্গলবার দিল্লি থেকে এনআইএ বিলাল নাসের মাল্লাকে গ্রেফতার করেছে। লালকেল্লা এলাকায় সন্ত্রাসী হামলার ষড়যন্ত্রে বিলালের জড়িত থাকার বিষয়টি এনআইএ নিশ্চিত করেছে। তদন্তকারীদের দাবি, লালকেল্লায় বিস্ফোরণ ঘটানো চিকিৎসক আত্মঘাতী চিকিৎসক-জঙ্গি উমরের সহযোগী ছিল চিকিৎসক মাল্লাও। এমনকী উমরকে আশ্রয় দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এনআইএ তদন্ত অনুসারে, বিলাল জেনেশুনে মৃত অভিযুক্ত উমর উন নবিকে লজিস্টিক (থাকা-খাওয়া) সহায়তা দিয়েছিল। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে সম্পর্কিত প্রমাণ নষ্ট করারও অভিযোগ রয়েছে। এনআইএ জনিয়েছে, প্রকৃত ষড়যন্ত্র ও আসামিদের পরিচয় গোপন করতে প্রমাণ নষ্ট করারও চেষ্টা করেছিল বিলাল।

    দিল্লি বিস্ফোরণের ঘটনায় ধৃত ৮

    গত ১০ নভেম্বর সেই বিস্ফোরণ ঘটেছিল। মৃত্যু হয়েছিল ১৫ জনের। কয়েকজন আহত হয়েছিলেন। মামলাটির তদন্ত করছে এনআইএ। ওই মামলায় যুক্ত সন্দেহে এর আগে আল ফালাহ্ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের দুই চিকিৎসক মুজাম্মিল শাকিল, শাহিন সঈদ ও আমির রশিদ আলিকে গ্রেফতার করে এনআইএ। গ্রেফতার করা হয় বিলালি মসজিদের ইমাম মহম্মদ আসিফ ও ইলেক্ট্রিশিয়ান নজর কামালকে। সবার আগে, ফরিদাবাদ টেরর মডিউল ফাঁস করার সময় গ্রেফতার করা হয়েছিল দুই চিকিৎসক আদিল রাথর এবং জসির বিলাল ওয়ানিকে। মোট সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। বিলাল নাসের মাল্লা হল অষ্টম গ্রেফতারি। এই নেটওয়ার্কের বাকি সদস্যদের খোঁজে উপত্যকা জুড়ে জোরদার তল্লাশি চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।

    অনন্তনাগের জঙ্গলে বোমা পরীক্ষা উমরের

    এদিকে, বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্তে, আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে পেয়েছে এনআইএ। গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, দিল্লিতে বিস্ফোরণের আগে জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগের জঙ্গলে বোমা পরীক্ষা করেছিল আত্মঘাতী চিকিৎসক-জঙ্গি উমর মহম্মদ ওরফে উমর-উন-নবি। পরীক্ষা সফল হওয়ার পর দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয় সেই বোমা। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর, মঙ্গলবার আদিল রাথর এবং জসির বিলাল ওয়ানিকে সঙ্গে নিয়ে আনন্তনাগের জঙ্গলে যায় জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ, সিআরপিএফ এবং এনআইএ-র তদন্তকারীরা। বোমার পরীক্ষা করার জায়গাটি চিহ্নিত করা হয়। তদন্তকারীরা বোমা পরীক্ষার সঙ্গে সম্পর্কিত বেশ কিছু উপাদান উদ্ধার করেছেন। তদন্তকারী ওই সূত্রের খবর, তল্লাশি অভিযানের সময় একটি ক্ষতিগ্রস্ত গ্যাস সিলিন্ডার উদ্ধার হয়েছে। তা থেকে তদন্তকারীদের অনুমান, বোমার পরীক্ষার জন্য এই গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করা হয়েছিল। অননন্তনাগের বিভিন্ন জঙ্গলেও তল্লাশি অভিযান চালানো হতে পারে বলে সূত্রের খবর।

  • Malaria in Winter: একমাসে আক্রান্ত ১৫০! শীতেও রাজ্যে দাপট ম্যালেরিয়ার, প্রশাসনের গাফিলতিই দায়ী, দাবি বিশেষজ্ঞদের

    Malaria in Winter: একমাসে আক্রান্ত ১৫০! শীতেও রাজ্যে দাপট ম্যালেরিয়ার, প্রশাসনের গাফিলতিই দায়ী, দাবি বিশেষজ্ঞদের

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দরজায় শীত কড়া নাড়লেও মশার দাপট চলছেই। তাই ডিসেম্বরেও রাজ্যবাসীর মশাবাহিত রোগ থেকে রেহাই নেই। এমনটাই খবর রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রশাসনের অন্দরে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাজ্যের একাধিক জেলায় বছরভর ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা ছিলো উদ্বেগজনক। শীতের মরশুমে মশা বাহিত রোগের ঝুঁকি কিছুটা কমবে বলেই আশা করেছিলেন চিকিৎসক মহল। কিন্তু ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেও রাজ্যের একাধিক জায়গায় ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই মনে করছেন চিকিৎসক মহল।

    কী বলছে স্বাস্থ্য ভবনের তথ্য?

    স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত রাজ্যে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা চার হাজার ছাড়িয়েছে। নভেম্বর থেকে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত রাজ্যে নতুন করে প্রায় দেড়শো জন ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়েছেন। স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা জানান, কলকাতা ও তার আশপাশের এলাকায় ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে‌। উত্তর চব্বিশ পরগনা, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, হাওড়া, হুগলি এবং নদিয়ার মতো একাধিক জেলায় ম্যালেরিয়ার দাপট রয়েছে। তবে কলকাতার শোভাবাজার, গিরিশ পার্ক, যাদবপুর, টালিগঞ্জের মতো এলাকায় নভেম্বর মাস জুড়ে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক ছিল। এই এলাকা থেকেই গত এক মাসে প্রায় ৬০ জন ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়েছেন।

    কেন ডিসেম্বরেও মশাবাহিত রোগের দাপট অব্যহত?

    সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মশাবাহিত রোগ মূলত বর্ষাকালেই হয়। সেই হিসাব মতো সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর এই দুই মাস মশাবাহিত রোগের দাপট রাজ্যে বেশি থাকে। বর্ষায় জমা জল মশার আতুর ঘর। তাই এই সময়ে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গির মতো রোগের সংক্রমণ বেশি হয়। কিন্তু চলতি বছরে শীতের মরসুমেও মশাবাহিত রোগের দাপট চলছে। বিশেষজ্ঞ মহল অপরিচ্ছন্ন পরিবেশকেই এর জন্য দায়ী করছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, রাজ্যের অধিকাংশ জায়গায় অপরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা হয় না। পার্ক, পুকুর সংলগ্ন এলাকা নিয়মিত পরিষ্কার হয় না। আগাছা পরিষ্কার হয় না। এর ফলে মশার বংশবিস্তার সহজ হচ্ছে। তাই শীত পড়লেও মশাবাহিত রোগ থেকে অব্যাহতি পাওয়া যাচ্ছে না।

    কীভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করবেন?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ম্যালেরিয়া রুখতে প্রশাসনের সক্রিয়তার পাশপাশি জনসচেতনতা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, এলাকার পরিচ্ছন্নতার পাশপাশি বাড়ি ও আশপাশের জায়গা পরিষ্কার রয়েছে কিনা সে সম্পর্কেও সতর্ক থাকতে হবে। ছাদে বা বাগানে জল জমতে দেওয়া যাবে না। অনেকেই ছাদে টবে গাছ রাখেন।‌ বাগান করেন। বিশেষত কলকাতা ও তার আশপাশের এলাকায় ছাদে বাগান‌ তৈরির রেওয়াজ বাড়ছে। কিন্তু সেই বাগানে জল জমছে কিনা সেদিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন। পাশপাশি প্রশাসনের সক্রিয়তা প্রয়োজন বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁদের পরামর্শ, এলাকায় পুকুর কিংবা পার্ক থাকলে প্রতি সপ্তাহে নিয়ম মাফিক, তার পরিচ্ছন্নতার দিকে নজরদারি জরুরি। আগাছা পরিষ্কার করা, পুকুরের জল যাতে পরিষ্কার থাকে, সেদিকে নজর রাখার দায়িত্ব প্রশাসনের। ম্যালেরিয়া রোগ সম্পর্কেও সচেতনতা প্রসার জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, সংক্রামক রোগ প্রতিরোধের প্রধান উপায় আক্রান্তকে দ্রুত চিহ্নিত করা। বারবার জ্বর আসা, মাথা ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ মতো শারীরিক পরীক্ষা করানো দরকার। যাতে রোগ চিহ্নিত সহজ হয়। পরিবারের কেউ ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হলে বাকিদের বাড়তি সতর্কতা নেওয়া দরকার। রোগীকে মশারি টাঙিয়ে রাখতে হবে। অন্যদের ও কোনো উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। যাতে রোগ সংক্রমণ বেশি না ছড়ায়।

  • West Bengal SIR: সহজেই ধরা পড়বে ভুয়ো ভোটার! নতুন সফটওয়্যার ব্যবহার করছে কমিশন, কী বিশেষত্ব?

    West Bengal SIR: সহজেই ধরা পড়বে ভুয়ো ভোটার! নতুন সফটওয়্যার ব্যবহার করছে কমিশন, কী বিশেষত্ব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভুয়ো ভোটারদের (Fake Voters) ধরতে নতুন পদক্ষেপ নির্বাচন কমিশনের (Election Commission)। ডুপ্লিকেট এন্ট্রি (Duplicate Entries) শনাক্ত করতে কমিশন ব্যবহার করছে একটি নতুন সফটওয়্যার, যার নাম ‘ডেমোগ্রাফিক সিমিলার এন্ট্রিজ’ (Demographic Similiar Entries)। জানা যাচ্ছে, প্রথমবার এই নতুন সফটওয়্যার ব্যবহার করছে কমিশন। নাম, ঠিকানা-সহ ব্যক্তিগত তথ্য মিলিয়ে দ্রুত সম্ভাব্য ডুপ্লিকেট ভোটারদের খুঁজে বের করে দেবে এই সফটওয়্যার। কমিশনের বিশ্বাস, ভুয়ো ভোটারদের খুব সহজেই চিহ্নিত করবে নয়া এই সফটওয়্যার।

    স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করবে নয়া সফটওয়্যার

    কমিশন সূত্রে খবর, ইআরও-দের সিস্টেমে ইতিমধ্যেই সফটওয়্যারটি যুক্ত করা হয়েছে। ইআরও-দের ড্যাশবোর্ডে ইতিমধ্যেই দেখা যাচ্ছে ডেমোগ্রাফিক সিমিলার এনট্রিজ। কয়েকদিনের মধ্যেই নয়া সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারবেন ডিইও। বাদ যাবে না রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (West Bengal CEO) দফতরও। কমিশনের দাবি, এ রাজ্যের ভোটার তালিকা (West Bengal SIR) স্বচ্ছ ও নির্ভুল রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে ডেমোগ্রাফিক সিমিলার এন্ট্রিজ। কারণ, একই ব্যক্তির নাম একাধিক জায়গায় রয়েছে কিনা বা তথ্যের ভুল ব্যবহার করা হয়েছে কিনা, তা ধরা পড়বে সহজেই। প্রশাসনের এক কর্তার মন্তব্য, “ডেমোগ্রাফিক সিমিলার এনট্রিজ চালু হয়ে যাওয়ায় ডুপ্লিকেট এন্ট্রি খুঁজে বের করা দ্রুত, নির্ভুল ও স্বয়ংক্রিয় হবে। এতে ভোটার লিস্ট আপডেট করার প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ হবে।’’

    ১৪ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ

    দেশের ভোটার তালিকাকে ত্রুটি মুক্ত করা হল স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন-এর (West Bengal SIR) মূল উদ্দেশ্য। আগামী বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি এসআইআর কাজের শেষে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে৷ নতুন তালিকাটি যাতে একশো শতাংশ স্বচ্ছ এবং ত্রুটিমুক্ত হয়, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর কমিশন। এসআইআর সংক্রান্ত কমিশনের সিদ্ধান্ত নিয়ে যেন কোনও প্রশ্ন না-ওঠে, সেদিকেও নজর রাখা হচ্ছে কমিশনের তরফে৷ কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজ্যে আনকালেক্টেবল ফর্মের সংখ্যা ৫৬ লক্ষ ৩৭ হাজার ৭৩১। এর মধ্যে মৃত ভোটারের সংখ্যা ২৩ লক্ষ ৯৮ হাজার ৩৪৫। এছাড়া স্থানান্তরিত ভোটার ১৯ লক্ষ ৬৪ হাজার ৬২৯, নিখোঁজ ভোটার ১০ লক্ষ ৯৪ হাজার ৭১০, ডুপ্লিকেট ভোটার ১ লক্ষ ৩২ হাজার ২১৫, এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে আনকালেক্টবল ফর্মের সংখ্যা ৪৭ হাজার ৮৩২। এদিকে শেষ পর্যায়ের রাজ্যে এসআইআর-এর (West Bengal SIR) সময়সীমা এক সপ্তাহ বাড়িয়েছে কমিশন। ফর্ম জমা নেওয়া হবে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ১৬ ডিসেম্বর প্রকাশিত হবে খসড়া তালিকা।

  • Vijay Diwas 2025: ৫৪তম বিজয় দিবস উদযাপন, বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় আসছেন ৮ মুক্তিযোদ্ধা সহ ২০ জন

    Vijay Diwas 2025: ৫৪তম বিজয় দিবস উদযাপন, বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় আসছেন ৮ মুক্তিযোদ্ধা সহ ২০ জন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। এক ঐতিহাসিক দিন। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের যুদ্ধজয় (1971 Indo-Pak War) ও স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র গঠনের (Birth of Bangladesh) দিন। যে কারণে, ভারত এই দিনটিকে ‘বিজয় দিবস’ (Vijay Diwas 2025) হিসেবে পালন করে এসেছে। সেনার ইস্টার্ন কমান্ডের (Army Eastern Command) কাছে এই দিন বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, তৎকালীন পূর্বাঞ্চলীয় সেনা কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার (Lieutenant General Jagjit Singh Arora) কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল প্রায় ৯৩ হাজার পূর্ব-পাক সেনা। যুদ্ধের ইতিহাসে যা অন্যতম বড় আত্মসমর্পণ ছিল। যার পরেই স্বাধীন বাংলাদেশ গঠিত হয়েছিল। প্রতি বছরের মতো এবারেও বিজয় দিবস ধুমধাম করেই পালন করতে চলেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। আর সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় আসছে ২০ জনের প্রতিনিধিদল (Bangladesh Delegation)।

    ভারতে আসছে বাংলাদেশি প্রতিনিধিদল

    প্রথমাফিক এবছরও ভারতীয় সেনা বিজয় দিবস (Vijay Diwas 2025) পালন করতে চলেছে। রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ভারতীয় সেনার পূর্বাঞ্চলীয় সদর বিজয় দুর্গে (Vijay Durg) এই কথা ঘোষণা করেন মেজর জেনারেল বাঙ্গুরু রঘু (MGGS Major General Vanguru Raghu)। তিনি জানান, এই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসছে এক প্রতিনিধিদল। এদিনই বিজয় দিবস উদযাপনের আনুষ্ঠানিক সূচনা করা হয় কলকাতায়। এই আবহে বিজয় দুর্গে (পূর্বতন ফোর্ট উইলিয়াম) বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজন করে ভারতীয় সেনার তরফে জানানো হয়েছে, মোট ২০ জনের প্রতিনিধিদল (Bangladesh Delegation) আসছেন কলকাতায়। সেনার তরফে আরও জানানো হয়, প্রতিবারের মতো এবারও বিজয় দিবস উপলক্ষে ভারতের তরফ থেকে ফোর্ট উইলিয়ামে আসার জন্য বাংলাদেশ সেনাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সেই আমন্ত্রণে সাড়া দেয় সেই দেশের সেনা। ওই প্রতিনিধিদলে থাকবেন বাংলাদেশ সেনার দুই উচ্চপদস্থ আধিকারিক, ৮ মুক্তিযোদ্ধা (Muktijoddhas) এবং তাঁদের পরিবার। বাংলাদেশি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে থাকবেন এক ব্রিগেডিয়ার পদমর্যাদার সামরিক অফিসার।

    বিজয় দিবসে থাকবে বাংলাদেশি প্রতিনিধিদল

    সেনার তরফে ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, ১৪ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে ২০ জন বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল (Bangladesh Delegation) এসে পৌঁছচ্ছেন কলকাতায়। ১৫ ডিসেম্বর তাঁরা বারাকপুরের মঙ্গল পান্ডে মিলিটারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সেনাদের ‘মিলিটারি টাট্টু’ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। ওইদিন রাজভবনে গিয়ে রাজ‌্যপালের সঙ্গে দেখা করতে পারেন তাঁরা। ১৬ ডিসেম্বর সকাল ও সন্ধ‌্যায় বিজয় দিবস উপলক্ষে‌ বিজয় স্মারকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন-সহ একাধিক অনুষ্ঠানেও উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা। পাশাপাশি, ১৬ তারিখের অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকেও।

    সেনার বিজয় বাইক র‌্যালির সমাপ্তি

    এদিকে, বিজয় দিবসকে (Vijay Diwas 2025) সামনে রেখেই গত ১ ডিসেম্বর গুয়াহাটি থেকে শুরু হয়েছিল বিজয় বাইক র‌্যালি (Vijay Bike Rally)। ডিমাপুর, তেজপুর, শিলং, গুয়াহাটি, বিনাগুড়ি, সুকনা, হিলি, শিলিগুড়ি, মালদা, পানাগড় হয়ে এদিন শেষ হয় কলকাতার বিজয় দুর্গে। শেষ পর্বে বাইক চালিয়ে অংশ নেন ইস্টার্ন কমান্ডের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং-ইন-চিফ তথা সেনার পূর্বাঞ্চলীয় সেনা প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল রামচন্দ্র তেওয়ারি (GOC-in-C Lieutenant General RC Tiwari)। মোট ১৩৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ ছিল এই র‌্যালি। র‍্যালির সময় রাইডাররা আগরতলার অ্যালবার্ট এক্কা ওয়ার মেমোরিয়াল, করিমগঞ্জ মনোলিথস, কিলাপাড়া ওয়ার মেমোরিয়াল, বগরা ওয়ার মেমোরিয়াল, হিলি ওয়ার মেমোরিয়াল সহ বিভিন্ন যুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

  • Liver Problems: শীতের মরসুমে বাড়ছে যকৃতের সমস্যা! কীভাবে এই সময়ে লিভার সুস্থ রাখবেন?

    Liver Problems: শীতের মরসুমে বাড়ছে যকৃতের সমস্যা! কীভাবে এই সময়ে লিভার সুস্থ রাখবেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সকালের কুয়াশা আর সন্ধ্যা হতেই ঠান্ডা হাওয়া জানান দিচ্ছে শীত এসেছে! তাপমাত্রার পারদ কমছে। কিন্তু শীত মানে শুধুই আবহাওয়ার পরিবর্তন নয়। শীত নিয়ে আসে নানান উৎসব আর উদযাপন। বাঙালির শীতকালে থাকে একাধিক পারিবারিক উৎসব, বন্ধুদের সঙ্গে পিকনিক আর বছর শেষের নানান উদযাপন। তাই ডিসেম্বর মাসজুড়ে চলে দেদার খানাপিনা। শীতের মরসুমে এই উৎসব উদযাপনের জেরেই লিভারের নানান ভোগান্তি বাড়ে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্রতি বছর বছরের শেষের সময়ে অনেকেই লিভারের সমস্যায় ভোগেন। এর ফলে নানান জটিলতা তৈরি হয়।

    কেন বছর শেষে লিভারের সমস্যা বাড়ে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে লিভারের নানান সমস্যা বাড়ছে। বিশেষত নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের মতো রোগের প্রকোপ বাড়ছে। এমনকি স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যেও এই ধরনের রোগ দেখা দিচ্ছে। এই রোগের প্রকোপ বাড়ার জন্য বিশেষজ্ঞ মহল মূলত জীবন যাপনের ধরনকেই দায়ী করছেন। শীতে এই ধরনের লিভারের অসুখ আরও বেড়ে যায় বলেই তাঁরা জানাচ্ছেন।

    শীতে ঘাম কম হয়। ফলে ক্যালোরি ক্ষয় আরও কমে যায়। অনেকেই আবার শীতে নিয়মিত শারীরিক কসরত করেন না। তার উপরে শীত পড়লেই অনেকেই ‘ওভার ইটিং’ বা অতিরিক্ত খাওয়া দাওয়া শুরু করেন। লিভার রোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেকেই শীত পড়তেই নানান রকমের মাংস, মাছ জাতীয় প্রাণীজ প্রোটিন নিয়মিত অতিরিক্ত পরিমাণে খেতে শুরু করেন। তার সঙ্গে ভারসাম্য রেখে সবুজ সব্জি কিংবা দানাশস্য খান না। অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার লিভারের জন্য ক্ষতিকারক। একদিকে শারীরিক পরিশ্রম কম করা, আরেকদিকে অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় প্রাণীজ প্রোটিন খাওয়া, এই দুই কারণেই লিভারের সমস্যা বাড়ে। তাছাড়া, চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশের কাছে উৎসব উদযাপন মানেই মদ্যপান। এই অভ্যাস লিভারের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। মদ্যপানের জেরেও লিভারের সমস্যা দেখা দেয়। অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের জেরেই হজমের সমস্যা দেখা যায়। বমি, পেট ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। যা দীর্ঘমেয়াদি জটিল রোগের লক্ষণ হতে পারে।

    শীতের কোন খাবার লিভার সুস্থ রাখতে সাহায্য করে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতের একাধিক খাবার লিভার সুস্থ রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। শিশু থেকে বয়স্ক, সকলের এই মরশুমি সব্জি এবং ফল নিয়মিত খাওয়া প্রয়োজন। তাহলেই লিভারের নানান অসুখের ঝুঁকি কমবে।

    শীতকালে বাজারে দেদার পালং শাক পাওয়া যায়। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, পালং শাকে থাকে ক্লোরোফিল। এই উপাদান লিভার সুস্থ রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। কারণ ক্লোরোফিল সহজেই লিভারের টক্সিন দূর করে।

    এই মরশুমে আরেকটি শাক, লিভারের জন্য বিশেষ উপকারি। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, মেথি শাক লিভার সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। নানান রকমের মশলাদার খাবার লিভারের উপরে চাপ তৈরি করে। সপ্তাহে অন্তত দুদিন মেথি শাক খেলে লিভারের ডিটক্সিফিকেশনে বিশেষ সাহায্য হয়।

    ব্রকোলি এবং ফুলকপির মতো সব্জি লিভারের জন্য বিশেষ উপকারি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের সব্জি এনজাইম সক্রিয় করে লিভারকে সুস্থ রাখে। বিটরুট লিভারের কার্যক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ সাহায্য করে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    সব্জির পাশপাশি নানান ধরনের বেরি জাতীয় ফল এই সময়ে বাজারে সহজেই পাওয়া যায়। এই ধরনের ফলগুলো লিভার সুস্থ রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, লিভার সুস্থ রাখতে নানান রকমের সব্জি, ফল খাওয়ার পাশপাশি অতিরিক্ত তেল মশলা জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না। প্রাণীজ প্রোটিন বিশেষত চর্বি জাতীয় মাংস খাওয়ার ক্ষেত্রে পরিমাণের দিকে বাড়তি নজরদারি প্রয়োজন। পাশপাশি শরীরের ওজন সম্পর্কেও সচেতন হতে হবে। ফ্যাটি লিভারের অন্যতম কারণ শরীরে অতিরিক্ত ক্যালোরি। তাই ওজন যাতে অতিরিক্ত না হয়, তাই নিয়মিত শারীরিক কসরত করা জরুরি। তাহলে লিভার সুস্থ থাকবে। কার্যক্ষমতা বাড়বে। ভোগান্তি কমবে।‌

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Geetapath: লক্ষ লক্ষ কণ্ঠে গীতার বাণীতে মুখরিত ব্রিগেড, অনুষ্ঠানের ধারা বিবরণী

    Geetapath: লক্ষ লক্ষ কণ্ঠে গীতার বাণীতে মুখরিত ব্রিগেড, অনুষ্ঠানের ধারা বিবরণী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাখ লাখ কণ্ঠে গীত হচ্ছে গীতা (Geetapath)। ব্রিগেডজুড়ে (Brigade) ভাবগম্ভীর পরিবেশ। ধূপের গন্ধে ম ম করছে গোটা চত্বর। সাধু-সন্তদের পাশাপাশি গীতা পাঠ করছে আমজনতাও। এই জনতার ভিড়ে যেমন ছিলেন হিন্দুরা, তেমনি সংখ্যায় কম হলেও, ছিলেন ভিন ধর্মের কিছু মানুষও। সবার সঙ্গেই গলা মেলালেন তাঁরাও। বস্তুত, রবিবার ভোর থেকেই জনতা ছিল ব্রিগেডমুখী। হাওড়া এবং শিয়ালদহ থেকে দলে দলে লোক যোগ দিতে যান গীতা পাঠের আসরে। ঘোড়ার গাড়িতে করে মঞ্চে এসেছেন বেশ কয়েকজন সাধু-সন্তও। ঘড়ির কাঁটায় যখন ঠিক ন’টা বাজে, তখনই এক সঙ্গে বেজে উঠল কয়েক হাজার শাঁখ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে ভিড়ও।

    সনাতন সংস্কৃতি পর্ষদ (Geetapath)

    ব্রিগেডে এদিন পাঁচ লাখ কণ্ঠে গীতা পাঠের আয়োজন করেছে সনাতন সংস্কৃতি পর্ষদ। এদিন প্রথমে হয়েছে সমবেত কণ্ঠে বেদপাঠ। পরে হয় গীতা আরতি। এই আরতির সময় ঢাক, খোল এবং করতাল নিয়ে ভাবাবিষ্ট হয়ে নৃত্য করতে দেখা যায় জনতার একাংশকে। এই সময় উলুধ্বনিও দিতে থাকেন মহিলারা। অনুষ্ঠানে সভাপতি পদে বরণ করে নেওয়া হয় জ্ঞানানন্দজি মহারাজকে। ব্রিগেডের এই ভিড় সামাল দিতে বিভিন্ন রুটে ২০টি স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করেছিল রেল। শিয়ালদহের পাশাপাশি হাওড়া শাখায়ও চলছে বিশেষ ট্রেন। ট্রেন এসেছে কৃষ্ণনগর, শান্তিপুর, বনগাঁ, হাসনাবাদ, লক্ষ্মীকান্তপুর, ডায়মন্ড হারবার এবং ক্যানিং থেকেও। ট্রেনগুলিতে কার্যত তিল ধারণের জায়গা ছিল না। প্রবীণ ব্যক্তিদের অনেকের মতে, দীর্ঘদিন পরে এমন জনসমাবেশ দেখল ব্রিগেড। এদিনের ভিড় ছাপিয়ে গিয়েছে অতীতের সব রেকর্ড।

    আয়োজনের পুরোধা

    এদিন এই আয়োজনের পুরোধা ছিলেন স্বামী প্রদীপ্তানন্দ মহারাজ, যাঁকে কার্তিক মহারাজ বলেই চেনেন সবাই। তাঁর সঙ্গে মঞ্চে ছিলেন নির্গুনানন্দ ব্রহ্মচারী, বন্ধুগৌরব দাস মহারাজেরাও (Geetapath)। বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা সাধু-সন্তরা ছিলেন মূল মঞ্চে। বাকি দুটি মঞ্চে ছিলেন এরাজ্যের সাধু-সন্ত এবং বিশিষ্টজনেরা। গীতা পাঠের (Brigade) অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসা মানুষের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয় গোটা এলাকা। মাঠজুড়ে নির্মাণ করা হয়েছে ২৫টি গেট। সব মিলিয়ে মঞ্চ বাঁধা হয়েছে তিনটি। মূল মঞ্চের পাশেই রয়েছে আরও দুটি মঞ্চ। মঞ্চের নীচে সোফায় বসার ব্যবস্থা ছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যদের। ভিআইপিদের বসার জন্যও ছিল লাল রংয়ের চেয়ার। ব্রিগেডের শেষ প্রান্তের মানুষজনও যাতে অনুষ্ঠান চাক্ষুষ করতে পারেন, সেজন্য টাঙানো হয়েছিল বেশ কয়েকটি জায়ান্ট স্ক্রিন। ভিড়ের কারণে সেই স্ক্রিনেই মূল অনুষ্ঠান দেখতে বাধ্য হয়েছেন বহু মানুষ (Geetapath)।

    গীতা আরতি

    এদিন গীতা পাঠ করতে ব্রিগেডে আসা মানুষকে সাহায্য করতে দুটি শিবির করা হয়েছিল হাওড়া স্টেশনের বাইরে। এই শিবির তৈরি করেছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারী পরিষদের তরফে। ভিড়ে চোটে যাঁরা বুঝতে পারছেন না, ঠিক কোন দিকে যাবেন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে, তাঁরা নানা প্রশ্ন নিয়ে চলে গিয়েছেন ক্যাম্পে। তারপর কেউ ফেরি চড়ে, কেউবা বাসে চড়ে রওনা দেন গন্তব্যের দিকে। পায়ে হেঁটেও অনেকেই দেখা গেল ব্রিগেডের দিকে যেতে। এদিনের অনুষ্ঠানে অবশ্য গোটা গীতা পাঠ করা হয়নি। পাঠ করা হয়েছে কেবল প্রথম, নবম এবং অষ্টাদশ অধ্যায়। এর আগে মঞ্চে প্রতিষ্ঠা করা হয় গীতাকে। পরে হয় আরতি। তারও পরে শুরু হয় গীতা পাঠ। সব শেষে হয়েছে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের প্রবচন (Geetapath)। এদিনের এই (Brigade) অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যেমন মানুষ এসেছেন তামাম ভারত থেকে, তেমনি লোকজন এসেছেন নেপাল এবং বাংলাদেশ থেকেও।

    এত বড় সমবেত কণ্ঠে গীতা পাঠ

    উদ্যোক্তাদের তরফে জানানো হয়েছে, এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। তবে অসমর্থিত একটি সূত্রের খবর, অনুষ্ঠানে হাজির হননি মমতা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্কে যাতে টোল না লাগে, তা-ই এদিনের অনুষ্ঠান সযত্নে এড়িয়ে গিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। সনাতন সংস্কৃতি পরিষদের দাবি, কলকাতা বা কেবল বাংলা নয়, ভারতের ইতিহাসেও এত বড় সমবেত কণ্ঠে গীতা পাঠ এই প্রথমবার (Geetapath)। গত বছরই প্রথমবারের জন্য লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠের আয়োজন করা হয়েছিল এই ব্রিগেডেই। তবে সেবার মাঠ ভরেনি বলেই দাবি করেছিল রাজ্যের শাসক দল। এবার লক্ষ কণ্ঠ নয়, গীতা পাঠ করেছেন পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ। এই প্রথম ব্রিগেড (Brigade) প্রত্যক্ষ করল ভারতে রয়েছে বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের ছবি।

  • Winter Weather Update: মরসুমের শীতলতম দিন! কলকাতার তাপমাত্রা এক রাতেই নামল আড়াই ডিগ্রি, আরও পড়বে পারদ?

    Winter Weather Update: মরসুমের শীতলতম দিন! কলকাতার তাপমাত্রা এক রাতেই নামল আড়াই ডিগ্রি, আরও পড়বে পারদ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিসেম্বরের শুরুতেই জাঁকিয়ে শীত বঙ্গে। প্রথমবার ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামল কলকাতার পারদ। আজ, শনিবার মরসুমের শীতলতম দিন৷ কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে পারদ নামল ১৪ ডিগ্রির ঘরে৷ আলিপুর আবহাওয়া দফতরের হিসেব অনুযায়ী সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷ যা স্বাভাবিকের থেকে ২.১ ডিগ্রি কম। শুক্রবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে, এক রাতেই তাপমাত্রা কমল আড়াই ডিগ্রি! আলিপুরের পূর্বাভাস, এখন সবে শুরু! আরও নামবে পারদ।

    কী বলছে আবহাওয়া দফতর?

    আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরের উপর এই মুহূর্তে আর তেমন কোনও নিম্নচাপ অঞ্চল নেই। আবহাওয়া অফিস বলছে, আগামী সাত দিন শুষ্কই থাকবে আবহাওয়া৷ বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। ফলে উত্তুরে হাওয়ার পথেও কেউ বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে না। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আগামী কয়েক দিনে শীত আরও বাড়বে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আগামী দু’দিনে দক্ষিণবঙ্গে আরও অন্তত দু’ডিগ্রি কমতে পারে রাতের তাপমাত্রা। সেই সঙ্গে কনকনে শীতের অনুভূতি বজায় থাকবে জেলায় জেলায়।

    দক্ষিণবঙ্গের পূর্বাভাস

    দক্ষিণবঙ্গ জুড়েই শীতের আমেজ। দক্ষিণবঙ্গে পুরুলিয়ায় জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়েছে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০-১১ ডিগ্রিতে পৌঁছেছে। সপ্তাহান্তে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা অনেকটা কমছে। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, বীরভূমের মতো জেলাগুলিতে একধাক্কায় তাপমাত্রা পতন হয়েছে। শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গে শীতলতম স্থান ছিল শ্রীনিকেতন৷ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনি ও রবিবার রাতের দিকে তাপমাত্রা আরও ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে বলে মনে করছে আবহাওয়া দফতর। দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই কুয়াশা থাকবে ভোরের দিকে।

    উত্তরবঙ্গের পূর্বাভাস

    অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গে প্রধানত শুষ্ক আবহাওয়াই থাকছে। পাহাড়েও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। সপ্তাহান্তে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে তাপমাত্রা অনেকটাই নেমে যাবে। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার সহ উত্তরের প্রায় সব জেলাতেই কুয়াশার দাপট থাকবে। ফলে দৃশ্যমানতার অভাব থাকবে। কুয়াশার প্রভাবে সতর্কতা জারি রয়েছে উত্তরে। শুক্রবার উত্তরবঙ্গের সমতল অঞ্চলে শীতলতম স্থান ছিল আলিপুরদুয়ার৷ তাপমাত্রা ছিল ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মালদায় তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রির আশেপাশে। ওপরের পাঁচটি জেলার মধ্যে দার্জিলিংয়ে পারদ নেমেছে ৪.৫ পাঁচ ডিগ্রিতে৷ আগামী সাত দিনে উত্তরবঙ্গে তাপমাত্রার বিশেষ পরিবর্তন নেই৷

  • Orange Eating Benefits: শীতে প্রতিদিন শিশুদের ব্রেকফাস্টে থাকুক একটা কমলালেবু, কতখানি উপকারি এই ফল?

    Orange Eating Benefits: শীতে প্রতিদিন শিশুদের ব্রেকফাস্টে থাকুক একটা কমলালেবু, কতখানি উপকারি এই ফল?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    তাপমাত্রার পারদ নামতেই বাজারে হাজির কমলালেবু! বাঙালির শীতকালের সঙ্গে কমলালেবুর সম্পর্ক চিরকালীন। সকালের প্রাতঃরাশের থালায় হোক, কিংবা স্কুলের টিফিন বাক্সে, কমলালেবুর উপস্থিতি জানান দেয় শীতের দাপট! তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্বাদে ও গন্ধে শুধু নয়, কমলালেবু স্বাস্থ্য গুনেও ভরপুর! তবে কিছুক্ষেত্রে সতর্কতা জরুরি। তবেই কমলালেবু খাওয়ার উপকার পাওয়া যাবে।

    নিয়মিত বাচ্চাকে কমলালেবু দিলে কী হয়?

    রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত কমলালেবু খেলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। এই ফল ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। তাই নিয়মিত এই ফল খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। শিশুরা শীতের সময়ে অনেকেই নানান সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়। বিশেষত ঋতু পরিবর্তনের সময় ভাইরাস ঘটিত জ্বর-কাশি-সর্দিতে শিশুদের ভোগান্তি বাড়ে। তাই নিয়মিত কমলালেবু খেলে এই ধরনের সংক্রামক রোগের ঝুঁকি কমবে। ভোগান্তিও কম হবে।

    হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে!

    শীত মানেই নানান উৎসবের মরশুম। পিকনিক হোক কিংবা পারিবারিক উৎসব, নানান অনুষ্ঠান চলে। তাই খানাপিনাও দেদার চলে। বিশেষত প্রাণীজ প্রোটিনের নানান পদ খাওয়া বেশি হয়। এই সময়ে অনেকেই হজমের সমস্যায় ভোগে। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতের মরশুমে শিশুদের বমি কিংবা পেটের সমস্যার মতো নানান ভোগান্তি বাড়ে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, হজমের অসুবিধার জন্য এই ধরনের সমস্যা হয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত কমলালেবু খেলে শিশুদের হজম শক্তি বাড়ে। তাঁদের পরামর্শ, জলখাবারের পরে কিংবা স্কুলের টিফিন শেষে নিয়মিত কমলালেবু খেলে হজম শক্তি বাড়বে।

    ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে!

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ক্লান্তি দূর করতে কমলালেবু বিশেষ সাহায্য করে। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুরা দিনভর নানান কাজ করে। ছোটাছুটিও প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুরা বেশি করে। তাই তাদের বাড়তি এনার্জি প্রয়োজন। শরীরের ক্লান্তি দূর করতে এবং এনার্জির চাহিদা পূরণ করতে কমলালেবু খুব উপকারি। কমলালেবুতে একাধিক ভিটামিন রয়েছে। তাই নিয়মিত কমলালেবু খেলে শরীরে এনার্জির ঘাটতি হয় না।

    ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে!

    ভারতীয় শিশুরা স্থুলতার সমস্যায় ভুগছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুদের দীর্ঘ সুস্থ জীবন যাপনের জন্য ওজন নিয়ন্ত্রণ জরুরি। অতিরিক্ত ওজন পরবর্তীতে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, কিডনির সমস্যা সহ একাধিক সমস্যা তৈরি করতে পারে। কমলালেবু ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কমলালেবু ফাইবার সমৃদ্ধ ফল। তাই নিয়মিত এই ফল খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। অতিরিক্ত খাওয়া বা ‘ওভার ইটিং’-র প্রবণতা কমবে।

    হাড়ের রোগের ঝুঁকি কমবে!

    বয়ঃসন্ধিকালে থাকা সময় থেকেই বাড়ছে হাড়ের সমস্যা। বহু স্কুল পড়ুয়া ভিটামিন ডি-র অভাবে ভুগছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভারতীয়দের মধ্যে হাড় ক্ষয়ের রোগ বাড়ছে। যা দীর্ঘদিনের ভোগান্তির কারণ হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, স্কুলের টিফিনে শীতকাল জুড়ে থাকুক কমলালেবু। তাঁরা জানাচ্ছেন, কমলালেবুতে নানান রকম ভিটামিন থাকার পাশপাশি থাকে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়ামের মতো নানান গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থ। এই উপাদান হাড় মজবুত করতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই কমলালেবু নিয়মিত খেলে হাড়ের মজবুত হবে।

    বড়দের জন্যও সমান ভাবেই উপকারি

    শিশুদের পাশপাশি বড়দের জন্যও কমলালেবু সমান ভাবেই উপকারি। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, কমলালেবু ত্বকের সমস্যা মেটাতে বিশেষ সাহায্য করে। তাঁরা জানাচ্ছেন, শীতে অনেকেই ত্বকের সমস্যায় জেরবার হন। ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া, চুলকানির মতো নানান উপসর্গ দেখা দেয়। কমলালেবুতে থাকা ভিটামিন ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে ত্বকের শুষ্ক ভাব কমাতে সাহায্য করে। ত্বকের প্রাকৃতিক ময়েশ্চার ধরে রাখতেও সাহায্য করে। পাশপাশি কমলালেবু হার্টের রোগের ঝুঁকিও কমায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, কম বয়সীদের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ছে। বিশেষত শীতকালে হৃদরোগের সমস্যা বাড়ে। তাই এই সময়ে আরও বেশি স্বাস্থ্য সচেতনতা থাকা প্রয়োজন। তাঁদের পরামর্শ নিয়মিত কমলালেবু খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। কমলালেবুতে থাকা পটাশিয়াম সহ একাধিক খনিজ সম্পদ রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে। হৃদপিণ্ডের কার্যক্ষমতা বাড়ায়।

    তবে, খেয়াল রাখতে হবে…

    তবে কমলালেবুর উপকার পাওয়ার জন্য এই ফল খাওয়ার সময় সম্পর্কে সচেতন থাকা জরুরি। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, কমলালেবু খালি পেটে খেলে অম্বল হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। ভারি খাবার খাওয়ার পরে তবেই কমলালেবু খাওয়ার উপকারিতা পাওয়া যাবে। তবে দিনে দুটোর বেশি কমলালেবু খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। এতে অন্যান্য সমস্যা দেখা যেতে পারে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুদের দিনে একাধিক কমলালেবু না দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন‌।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

LinkedIn
Share