Author: user

  • Vishwakarma Puja: বারাসতে আলো বন্ধ করে মণ্ডপে তাণ্ডব, বিশ্বকর্মার মূর্তি ভেঙে জঙ্গলে ফেলল দুষ্কৃতীরা!

    Vishwakarma Puja: বারাসতে আলো বন্ধ করে মণ্ডপে তাণ্ডব, বিশ্বকর্মার মূর্তি ভেঙে জঙ্গলে ফেলল দুষ্কৃতীরা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে হিন্দুদের প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা প্রায়ই ঘটে। এবার কলকাতা থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে বিশ্বকর্মার (Vishwakarma Puja) মূর্তি ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বারাসতের (Barasat) ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের সুভাষপল্লি এলাকায়। এই ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারা থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Vishwakarma Puja)

    বারাসতের সুভাষপল্লি এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দারা বিশ্বকর্মা পুজোর (Vishwakarma Puja) আয়োজন করেছিলেন। রাস্তার ধারে মণ্ডপ তৈরি করে সেখানে বিশ্বকর্মার মূর্তি রাখা হয়। রাত দেড়টা পর্যন্ত মণ্ডপ সাজানোর কাজ করেছেন পাড়ার ছেলেরা। মণ্ডপে আলো জ্বেলে সকলেই বাড়ি ফিরে যান। সকালে এসে দেখেন, মণ্ডপ থেকে প্রতিমা উধাও। মণ্ডপে ভাঙচুর করা হয়েছে। বিশ্বকর্মার মূর্তি ভাঙচুর করে পাশের জঙ্গলে ফেলে দেওয়া হয়েছে। মূর্তিতে থাকা সোলার সাজ সবই ড্রেনে ফেলে দেওয়া হয়েছে। সকালে নজর পড়তেই স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। যদিও খবর পেয়ে পুলিশ এসে ফের পুজো যাতে হয়, তার ব্যবস্থা করে। তবে, কী করে এই ধরনের ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশ্ন তুলেছেন।

    আরও পড়ুন: জ্বলবে না উনুন! আজ পালিত হচ্ছে অরন্ধন উৎসব, জানুন রান্না পুজোর তাৎপর্য

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, বহু বছর ধরে এখানে পুজো হয়ে আসছে। এই ধরনের ঘটনা আগে ঘটেনি। এক মহিলা বলেন, মণ্ডপে আলো জ্বলছিল। সেই আলো নিভিয়ে এই কাজ করা হয়েছে। আর বিশ্বকর্মা মূর্তি (Vishwakarma Puja) ভাঙচুর করে জঙ্গলে ফেলে দেওয়া হয়েছে, এটা কোনও একজনের পক্ষে সম্ভব নয়। এর পিছনে আরও অনেকে জড়িত। আমরা অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি। কারণ, এই ধরনের ঘটনা ক্ষমার অযোগ্য।

    পুলিশ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে, সরব বিজেপি নেতৃত্ব

    এ বিষয়ে এদিন বিজেপির রাজ্য কমিটির মুখপাত্র তথা শিক্ষা সেলের কো-কনভেনর দীপঙ্কর সরকার বলেন, এরকম ঘটনা আমরা আগে কোনদিনও বারাসতে (Vishwakarma Puja) দেখিনি। মূলত আমরা শুনে আসছি বাংলাদেশে এরকম হিন্দুদের ওপরে অত্যাচার চলছে, তাদের মন্দির-মূর্তি সব ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু, বারাসতে এ ঘটনা নিন্দনীয়। সবথেকে দুঃখের বিষয় ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে সমস্ত ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করার কথা না বলে আগে পুজো করার কথা বলছে। আমরা অবিলম্বে চাই, যারা দোষী তাদেরকে পুলিশ গ্রেফতার করুক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Protest: নির্যাতিতার বিচার চেয়ে বারাসত থেকে আরজি কর ১৮ কিমি রাস্তা জুড়ে মানববন্ধন

    RG Kar Protest: নির্যাতিতার বিচার চেয়ে বারাসত থেকে আরজি কর ১৮ কিমি রাস্তা জুড়ে মানববন্ধন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর ইস্যুতে (RG Kar Protest) রাজ্যজুড়ে আন্দোলন চলছে। রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন স্কুলের প্রাক্তনীরা পথে নেমে আন্দোলন করছেন। ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান তুলে প্রতিদিনই রাস্তায় নামছেন সাধারণ মানুষ থেকে তারকারাও। গত ১৪ অগাস্ট গোটা রাজ্য জুড়ে ‘রাত দখল’ কর্মসূচি পালন করেন মহিলারা। যতদিন এগিয়েছে, প্রতিবাদের আওয়াজ আরও জোরালো হয়েছে। এই আবহের মধ্যে সোম-সন্ধ্যায় বারাসত (Barasat) সাক্ষী থাকল আরও এক অভিনব প্রতিবাদের।

    বারাসত থেকে আরজি কর ১৮ কিমি রাস্তা জুড়ে মানববন্ধন (RG Kar Protest)

    আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Protest) মহিলা চিকিৎসকের সঙ্গে যে নারকীয় ঘটনা ঘটেছে, তার দ্রুত বিচার সম্পন্ন হয়ে দোষীরা শাস্তি পাক, সেই আওয়াজ উঠল এদিনের মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে। জানা গিয়েছে, বারাসত হাসপাতাল থেকে বারাসত ডাকবাংলো মোড়, দমদম, নাগের বাজার হয়ে আরজি কর পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটার মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। আন্দোলন কর্মসূচিতে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ আওয়াজ তুলে প্রতিবাদ জানান প্রতিবাদীরা। নিত্যযাত্রীরা অনেকেই এই কর্মসূচিতে যোগদান করে প্রতিবাদীদের স্লোগানের সঙ্গে গলা মেলান। রাস্তার একপাশে হাতে হাত রেখে প্রতিবাদ করেন তাঁরা। তাঁদের এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে যান চলাচলের কোনওরকম ব্যাঘাত ঘটানো হয়নি। আরজি করকাণ্ডে দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে সুশৃঙ্খলভাবে মানববন্ধন কর্মসূচিতে সামিল হন কয়েক হাজার মানুষ।

    আরও পড়ুন: জ্বলবে না উনুন! আজ পালিত হচ্ছে অরন্ধন উৎসব, জানুন রান্না পুজোর তাৎপর্য

    আন্দোলনকারীদের কী বক্তব্য?

    আন্দোলনকারী (RG Kar Protest) সঙ্গীতা দত্ত বলেন, ‘‘আমরা নির্যাতিতার বিচার চেয়ে এদিন পথে নেমেছি। আমরা ছোটবেলায় ‘হীরক রাজার দেশে’ সিনেমা দেখেছিলাম। আমরা সেই রকমই হীরক রানির দেশে আছি। তাই, এদিন আমাদের কর্মসূচির একাধিক রাস্তার মোড়ে ‘হীরক রাজার দেশে’ সিনেমা আমরা চালিয়ে এই সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছি।’’ নাগরিকদের এই মানববন্ধন কর্মসূচি আরজি কর নিয়ে লাগাতার প্রতিবাদে নতুন মাত্রা যোগ করল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: বন্দুকের গর্জনেই শুরু হত পুজো, হত পাঁঠা বলি, হোমের আগুন নেভানো হত বিসর্জনে!

    Durga Puja 2024: বন্দুকের গর্জনেই শুরু হত পুজো, হত পাঁঠা বলি, হোমের আগুন নেভানো হত বিসর্জনে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বলা হয়, পায়রা নাকি শান্তির প্রতীক। আর দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাদ্দনের মণ্ডল বাড়ির ইতিহাসের এখনও সাক্ষ্য বহন করে চলেছে এই পায়রা। তখন অবিভক্ত বাংলা, ১৮র দশকে বেশ কিছু জমিদার দক্ষিণে রাজ্যপাট গড়ে তুলেছিলেন প্রচুর পরিমাণে। নদীপথেই মূলত চলত তাঁদের ব্যবসা-বাণিজ্য। আর সেই সময় গোলকচন্দ্র মণ্ডল সাবান, ধান, চালের ব্যবসা করে প্রচুর ভু-সম্পত্তি ক্রয় করেছিলেন। তাঁর জীবদ্দশাতেই গ্রামের মানুষের মঙ্গল কামনার্থে ১৮৫৭ সালে শুরু হয় দুর্গাপুজো। এই বছর তাদের পুজো (Durga Puja 2024) ১৫৯তম বর্ষে পদার্পণ করল।

    খাওয়াদাওয়া থেকে শুরু করে নাচগান (Durga Puja 2024)

    বাদ্দনের মণ্ডল পরিবারের পুজো আজও রীতিনীতি মেনে চললেও বেশ কিছু নিয়মের রদবদল হয়েছে সময়ের সঙ্গে। তখন এই পুজোর ৫টা দিন দূর দূরান্তের বহু প্রজাই আসতেন এই জমিদার বাড়িতে। তবে সবার প্রবেশের অগ্রাধিকার ছিল না এই মণ্ডল বাড়িতে। সিংহ দুয়ারের সামনে থাকত বন্দুকধারী দুই দারোয়ান। বাড়ির মহিলারাও সেই সময় আসতে পারতেন না। বিশাল বড় দুর্গা দালানেই পুজোর পাঁচটা দিন খাওয়াদাওয়া থেকে শুরু করে নাচগান সমস্ত কিছুর ব্যবস্থা থাকত। বস্তা বস্তা চিড়ে-গুড় আসত প্রজাদের খাওয়ানোর জন্য। তবে সময়ের সঙ্গে অনেক কিছুরই পরিবর্তন হয়েছে। জমিদার নেই, জমিদারের জমিদারিও এখন আর নেই। কিন্তু এখনও রীতি মেনে চলে আসছে মণ্ডল বাড়ির (South 24 Parganas) দুর্গাপুজো। তবে পুজোর নিয়ম কানুনেও এসেছে বেশ কিছু পরিবর্তন।

    সমস্ত কাজই এখন সামলান বাড়ির মহিলারা

    আগে মায়ের সামনে বলি হত। কিন্তু সেই প্রথা আস্তে আস্তে এখন বিলুপ্ত হয়েছে। আগে সন্ধি পুজোর (Durga Puja 2024) সময় বন্দুকের গর্জন শোনা যেত মণ্ডল পরিবারে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সেই প্রথাও এখন বিলুপ্ত। তবে বেশ কিছু নিয়মের পরিবর্তন হলেও রীতি মেনে এখনও চলে আসছে মণ্ডল বাড়ির পুজো। আগে পুজোয় মহিলাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকলেও এখন সমস্ত কাজই এখন সামলান বাড়ির মহিলারা। নিয়ম রয়েছে ষষ্ঠীর দিন মায়ের পুজোর সময় যে হোমযজ্ঞের আগুন জালানো হয়, তা গিয়ে নেভে সেই দশমীতে। মায়ের বোধন থেকে শুরু করে কলা বউ স্নান, সন্ধি পুজো, নৈবেদ্য তৈরি-সমস্ত কিছুই এখন বাড়ির মহিলারাই সামলান। পরিবারের সদস্যরা দেশ-বিদেশে যেখানেই থাকুক না কেন, পুজোর পুজোর পাঁচটা দিন এক সাথে আনন্দে মেতে ওঠেন। দূর দূরান্তের বহু মানুষই আসেন এই বাড়ির (South 24 Parganas) পুজো দেখতে। তবে জমিদারের জমিদারিত্ব না থাকলেও তার ইতিহাস এখনও বহন করে চলেছে পায়রা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 136: “ব্যবসা করতে গেলে সত্যকথার আঁট থাকে না, ব্যবসায় তেজী মন্দি আছে”

    Ramakrishna 136: “ব্যবসা করতে গেলে সত্যকথার আঁট থাকে না, ব্যবসায় তেজী মন্দি আছে”

    শ্রীযুক্ত বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ও অন্যান্য ভক্তের প্রতি ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের উপদেশ

    নবম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮২, ১৪ই ডিসেম্বর

    দক্ষিণেশ্বরে মারোয়াড়ী ভক্তগণসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)

    তোমরা তো ব্যবসা কর, ক্রমে ক্রমে উন্নতি করতে হয় জানো (Kathamrita)। কেউ আগে রেড়ির কল করে, আবার বেশি টাকা হলে কাপড়ের দোকান করে। তেমনি ঈশ্বরের পথে এগিয়ে যেতে হয়। হল, মাঝে মাঝে দিন কতক নির্জনে থেকে বেশি করে তাঁকে ডাকলে।

    তবে কি জানো? সময় নাহলে কিছু হয় না। কারু কারু ভোগকর্ম অনেক বাকি থাকে। তাই জন্য দেরিতে হয়। ফোঁড়া কাঁচা অবস্থায় অস্ত্র করলে হিতে বিপরীত হয়। পেকে মুখ হলে তবে ডাক্তার অস্ত্র করে। ছেলে বলেছিল, মা, এখন আমি ঘুমুই আমার বাহ্যে পেলে তখন তুমি তুল। মা বললে, বাবা, বাহ্যেতেই তোমায় তুলবে, আমায় তুলতে হবে না। (সকলের হাস্য)

    মারোয়াড়ী ভক্ত ও ব্যবসায়ে মিথ্যাকথা—রামনাম কীর্তন 

    মারোয়াড়ী ভক্তেরা মাঝে মাঝে ঠাকুরের সেবার জন্য মিষ্টান্নাদি দ্রব্য আনেন, ফলাদি থাল মিছরি ইত্যাদি। থাল মিছরিতে গোলাপ জলের গন্ধ। ঠাকুর কিন্তু সেই সব জিনিস প্রায় সেবা করেন না। বলেন, ওদের আনেক মিথ্যাকথা কয়ে টাকা রোজগার করতে হয়। তাই উপস্থিত মারোয়াড়ীদের কথাচ্ছলে উপদেশ (Kathamrita) দিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ(Ramakrishna)—দেখ, ব্যবসা করতে গেলে সত্যকথার আঁট থাকে না। ব্যবসায় তেজী মন্দি আছে। নানকের গল্পে আছে যে তিনি বললেন, অসাধুর দ্রব্য ভোজন করতে গিয়ে দেখলুম যে, সে-সব রক্ত মাখা হয়ে গেছে। সাধুদের শুদ্ধ জিনিস দিতে হয়। মিথ্যা উপায়ে রোজগার করা জিনিস দিতে নাই। সত্যপথে ঈশ্বরকে পাওয়া যায়।

    সর্বদা তাঁর নাম করতে হয়। কাজের সময় মনটা তাঁর কাছে ফেলে রাখতে হয়। যেমন আমার পিঠে ফোঁড়া হয়েছে, সব কাজ করছি, কিন্তু মন ফোঁড়ার দিকে রয়েছে। রামনাম (Ramakrishna) করা বেশ। যে রাম দশরথের ছেলে; আবার জগৎ সৃষ্টি করেছেন; আর সর্বভূতে আছেন। আর অতি নিকটে আছেন। অন্তরে বাহিরে।

    “ওহি রাম দশরথকী বেটা,
    ওহি রাম ঘট ঘটমে লেটা,
       ওহি রাম জগৎ পশেরা,
    ওহি রাম সব সে নিয়ারা।”

     সত্যেন লভ্যস্তপসা হ্যেষ আত্মা, সম্যগ্‌জ্ঞানেন ব্রহ্মর্য্যেণ নিত্যম্‌।    (মুণ্ডকোপনিষদ্‌— ৩/১/৫)

      সত্যমেব জয়তে নানৃতম্‌।                                                            (মুণ্ডকোপনিষদ্‌ — ৩/১/৬)

     

    আরও পড়ুনঃ “ফোঁড়া কাঁচা অবস্থায় অস্ত্র করলে হিতে বিপরীত হয়, পেকে মুখ হলে তবে…।”

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: “ইতি তোমার মা”! দুর্গাপুজোর মণ্ডপসজ্জায় শিশুর জীবনচক্র ও মায়ের জীবনী

    Durga Puja 2024: “ইতি তোমার মা”! দুর্গাপুজোর মণ্ডপসজ্জায় শিশুর জীবনচক্র ও মায়ের জীবনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ইতি তোমার মা”। দুর্গাপুজোয় শিহরণ জাগানো এই থিম নিয়ে জোরকদমে প্রস্তুতি চলছে দুর্গাপুর সি-জোন বুদ্ধবিহার সর্বজনীন দুর্গোৎসব সম্মিলনীর। মাতৃরূপে দুর্গাপ্রতিমা সহ মাতৃগর্ভে থাকা শিশুর জীবনচক্র ও প্রকৃত মায়ের জীবনী মাটির মডেল দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে মণ্ডপসজ্জায় (Durga Puja 2024)। থিমে প্রায় ১০০টি মাটির মডেল ব্যবহার করে মায়ের গর্ভে থাকা সন্তানের জীবন থেকে মায়ের জীবনের ইতিকথার বাস্তব চিত্র তুলে ধরছেন পুজোর উদ্যোক্তারা। বর্তমান যুগে মাতৃকুলের শেষ বেলা কেনই বা কাটবে বৃদ্ধাশ্রমে? নবপ্রজন্মের কাছে সেই প্রশ্ন রেখে মণ্ডপসজ্জায় গড়ে তোলা হচ্ছে বৃদ্ধাশ্রম। পুজো উদ্যোক্তাদের দাবি, নবপ্রজন্ম যাতে মাকে অবহেলা না করে, তার জন্যই পুজোর থিমে মায়ের জীবনচক্র তুলে ধরা হচ্ছে। এবারও তাঁদের আকর্ষণীয় থিম দর্শনার্থীদের হৃদয় স্পর্শ করবে বলে দাবি।

    শিক্ষামূলক সামাজিক বার্তা (Durga Puja 2024)

    পুজো উদ্যোক্তাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার চলতি বছরে তাঁদের পুজো ৩৪ তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। প্রতি বছরই তাঁদের থিম দর্শনার্থীদের নজর কেড়েছে। দুর্গাপুরের বিগ বাজেটের পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম এই পুজো কমিটি একাধিকবার পুরস্কার পেয়েছে। সুষ্ঠু ও সুন্দর সমাজ গড়ার লক্ষ্যে নানান সামাজিক বার্তা পুজোর মণ্ডপসজ্জায় ফুটিয়ে তোলেন প্রতিবারই। গত বছর তাঁদের থিম ছিল “ছৌরূপিণী জগৎ জননী। শিক্ষামূলক সামাজিক বার্তা দিতে থিমের নাট্যচিত্র তৈরির পরিকল্পনাকারী মূলত কমিটির সম্পাদক সহ উদ্যোক্তারা।

    মণ্ডপের ভিতরে বৃদ্ধাশ্রম

    পুজো কমিটির সম্পাদক সৌগত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই বছর থিমের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজাই রেখেই মাতৃরূপা প্রতিমা (Durga Puja 2024) হচ্ছে। কৃষ্ণনগরের রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত মৃৎশিল্পী আমাদের প্রতিমা তৈরি করছেন। এছাড়াও গর্ভস্থ সন্তান ও বৃদ্ধ মায়ের প্রায় ১০০টি মাটির মডেল তৈরি হচ্ছে নদিয়া জেলার পাটুলিতে। মণ্ডপসজ্জায় ব্যবহৃত হচ্ছে প্লাইউড, প্যারিস, লোহার রড, রাবার পাইপ সহ নানান উপকরণ। পুরনো দিনের বাড়ির আদলে মণ্ডপ হচ্ছে। মণ্ডপের ভিতরে বৃদ্ধাশ্রম থাকবে। আধুনিক  আলোকসজ্জায় সজ্জিত হবে মণ্ডপ। প্রায় ২০ লক্ষ টাকা এবারের বাজেট রয়েছে।

    বিশাল পরিবার (Durga Puja 2024)

    পুজো কমিটির সদস্য হেমন্ত ঘোষ বলেন, তৃতীয়াতে আমাদের পুজোর শুভ উদ্বোধন হবে। ওই দিন থেকে একাদশী পর্যন্ত প্রতিদিনই মণ্ডপ চত্বরে আমাদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। অপর এক সদস্যা ধৃতি বন্দ্যোপাধ্যায় (জালান) বলেন, এই পুজোতে এলাকার প্রায় ৫০ জন মহিলা সামিল হন। তাঁরা পুজোর সমস্ত রকম আয়োজন করেন। পুজোর শেষে এলাকার প্রায় এক হাজার জনকে নিয়ে খাওয়াদাওয়ার একটি অনুষ্ঠান করা হয়। ওই দিন এলাকার (Durgapur) প্রতিটি মানুষ একসঙ্গে মিলিত হয়ে একটি বিশাল পরিবারের আকার নেয়। এই বছর আমাদের পুজোর থিম সমাজে শিক্ষামূলক একটি বার্তা পৌঁছাবে বলে আমরা আশাবাদী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Panchmukhi Hanuman: আসবে সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধি! বাড়ির এই দিকে রাখুন পঞ্চমুখী হনুমানজির ছবি

    Panchmukhi Hanuman: আসবে সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধি! বাড়ির এই দিকে রাখুন পঞ্চমুখী হনুমানজির ছবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পবনপুত্র ও রামভক্ত বজরঙ্গবলির আরাধনা করার বিশেষ দিন হল মঙ্গলবার। প্রতিদিনকার জীবন সংগ্রামে আমরা সবাই যোদ্ধা। মাঝে মাঝে জীবনে এমন সঙ্কট আসে, যেখান থেকে বের হওয়া খুব কঠিন বলে মনে হয় আমাদের। এই পরিস্থিতিতে সঙ্কট দূর করতে সাহায্য করেন রামভক্ত হনুমানজি। তাই মঙ্গলবারে হনুমানজির (Hanuman) আরাধনার পরামর্শ দিয়ে থাকেন অনেকে। হনুমানজিকে জাগ্রত দেবতা মনে করা হয়। বজরঙ্গবলিকে খুব অল্পতেই প্রসন্নও করা যায়। বজরঙ্গবলির সাধনা জীবনের সঙ্কট দূর করে, আসে সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধি। ভক্তদের বিশ্বাস, বজরঙ্গবলির সাধনা করলে বল, বুদ্ধি ও বিদ্যা লাভ করা যায়। যে বাড়িতে বজরঙ্গবলির ছবি থাকে এবং নিয়মিত তাঁর পুজো করা হয়, সেখানে শনিদোষ, পিতৃদোষ ও ভূত-পিশাচের ভয় ও দোষ থাকে না। বাড়িতে সর্বদাই শান্তি বিরাজ করে। বজরঙ্গবলির অনেক ধরনের ছবিই আমরা দেখি। বাড়িতে কোথায় এবং ক,ভাবে কোন ধরনের বজরঙ্গবলির (Hanuman) ছবি লাগানো উচিত, তারও কিছু নিয়ম রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল পঞ্চমুখী হনুমানজির ছবি বা মূর্তি। শাস্ত্রবিদরা বলছেন, বাড়িতে পঞ্চমুখী হনুমানের ছবি রাখলে সবদিক থেকে সুফল মেলে। 

    নেতিবাচক শক্তিকে পরাভূত করে

    বাস্তু শাস্ত্র অনুযায়ী, পঞ্চমুখী হনুমানের ছবি যে বাড়িতে থাকে, সেখানে উন্নতির পথে সমস্ত বাধা দূর হয় এবং ধন-সম্পত্তি বৃদ্ধি হয়, বাস্তুদোষ কেটে যায়। এর ফলে পরিবার শত্রু বাধা, অসুস্থতা ও বিবাদ থেকে মুক্তি পায়। জ্যোতিষীরা তাই পরামর্শ দিচ্ছেন, বাড়িতে পঞ্চমুখী হনুমানের ছবি লাগানো উচিত। মনে করা হয়, হনুমানজি এই পৃথিবীতেই থাকেন। তাই তাঁকে ডাকলে সহজেই আবির্ভূত হন তিনি। ভক্তদের সমস্ত কষ্ট দূর করেন তিনি। এই কারণেই তাঁকে সঙ্কটমোচনও বলা হয়। হনুমানের আরাধনা করলে সব কষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়া যায় জীবনে। পঞ্চমুখী হনুমানজির ছবি বা মূর্তি সব দিক থেকে আসা নেতিবাচক শক্তিকে পরাভূত করে ভক্তের সঙ্কটমোচন করেন বলেই বিশ্বাস। ভক্তদের বিশ্বাস, ঘরে হনুমানজির পঞ্চমুখী ছবি রাখলে পরিবারের সকলের সমস্যা দূর হয়। বজরঙ্গবলিকে স্মরণ করলেই সকল প্রকার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। শাস্ত্র বিশারদদের মতে, গৃহস্থের কল্যাণের জন্য ঘরে রাখা দরকার হনুমানের পঞ্চমুখী ছবি। 

    হনুমানজির পঞ্চমুখী (Panchmukhi Hanuman) ছবির গুরুত্ব

    বাড়িতে হনুমানজির পঞ্চমুখী ছবি রাখলে ঘরের সমস্ত সমস্যা দূর হয় এবং নেতিবাচক শক্তি চলে যায়। এর পাশাপাশি বাড়ির চতুর্দিকে তৈরি হয় ইতিবাচক শক্তির বলয়। শাস্ত্র বিশেষজ্ঞদের মতে, পঞ্চমুখী হনুমানের পাঁচটি মুখের আলাদা তাৎপর্য রয়েছে। পঞ্চমুখী হনুমানজির প্রতিকৃতিতে সকল মুখ ভিন্ন ভিন্ন দিকে রয়েছে। পূর্ব দিকে ভগবান হনুমানের বানরের মুখ রয়েছে যা শত্রুদের উপর বিজয় প্রদান করে। পশ্চিম দিকে ঈশ্বরের গরুড় মুখ, যা জীবনের বাধা এবং ঝামেলা দূর করে। উত্তর দিকে রয়েছে ভগবান হনুমানের বরাহা মুখ, যা খ্যাতি এবং শক্তির কারণ হিসেবে বিবেচিত হয়। হনুমানজির সিংহ মুখ দক্ষিণ দিকে, যা জীবন থেকে ভয় একেবারে চিরতরে দূর করে। আকাশের দিকে ভগবানের একটি ঘোড়া মুখ রয়েছে যা ব্যক্তির ইচ্ছা পূরণ করে বলেই বিশ্বাস ভক্তদের।

    পঞ্চমুখী হনুমানের (Panchmukhi Hanuman) ছবি বসানোর সঠিক দিক

    বাস্তুবিদরা বলছেন, পঞ্চমুখী হনুমানজির (Panchmukhi Hanuman) ছবি বাড়িতে বসানোর সময় সঠিক দিকটি মাথায় রাখা খুবই জরুরি। এক্ষেত্রে, শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বাড়ির মূল প্রবেশদ্বারে পঞ্চমুখী হনুমানজির ছবি রাখা সবচেয়ে শুভ। এই স্থানে ছবি রাখলে যে কোনও  ধরনের অশুভ শক্তি ঘরে প্রবেশ করতে পারে না। নেতিবাচক শক্তি ধ্বংস হয়ে যায়। কারণ বাস্তু অনুসারে, বেশিরভাগ নেতিবাচক শক্তি দক্ষিণ দিক থেকে আসে। এই দিকে পঞ্চমুখী হনুমানের ছবি রাখলে ঘরে সুখ-সমৃদ্ধি আসে। এর পাশাপাশি বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে পঞ্চমুখী হনুমানজির ছবি রাখলে সব ধরনের বাস্তু দোষ দূর হয় বলে জানাচ্ছেন শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা।

    ভগবান হনুমান কেন পঞ্চমুখী অবতার নিলেন? জানুন পৌরাণিক কাহিনী

    পৌরাণিক আখ্যান অনুযায়ী, যখন ভগবান রাম ও রাবণের মধ্যে যুদ্ধ চলছিল, তখন রাবণ নিজের পরাজয় সামনে দেখে, ভাই অহিরাবণের কাছে সাহায্য চান। রাবণের ভ্রাতা অহিরাবণ ছিলেন মা ভবানীর একজন একনিষ্ঠ ভক্ত ও তন্ত্রবিদ্যায় অত্যন্ত পারদর্শী। অহিরাবণ মায়া করে রামের বাহিনীকে ঘুম পাড়িয়ে দেন এবং রাম-লক্ষ্মণকে অপহরণ করে পাতালে নিয়ে চলে যান। অহিরাবণ ছিলেন দেবী ভবানীর পরম ভক্ত, তাই তিনি মা ভবানীর নামে পাঁচটি দিকে পাঁচটি প্রদীপ জ্বালিয়েছিলেন। অহিরাবণকে বধ করা খুব সহজ ছিল না। তাঁকে তখনই বধ করা সম্ভব হত, যদি কেউ এই পাঁচ প্রদীপ এক সঙ্গে নিভিয়ে দিতে পারতেন। রাম-লক্ষ্মণকে উদ্ধারের জন্য তাই অহিরাবণকে পরাজিত করতে হনুমানজি পঞ্চমুখীরূপ (Panchmukhi Hanuman) ধারণ করেছিলেন বলে জানা যায়। হনুমানজি পাঁচটি মুখের সাহায্যে  একসঙ্গে পাঁচ দিকের প্রদীপ নিভিয়ে দেন এবং অহিরাবণকে হত্যা করে রাম-লক্ষ্মণকে উদ্ধার করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি নয়, গাফিলতিতে মৃত্যু, সরকারি ক্ষতিপূরণ ফেরাল পরিবার

    Balurghat: জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি নয়, গাফিলতিতে মৃত্যু, সরকারি ক্ষতিপূরণ ফেরাল পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির ফলে রাজ্যে ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করে তাদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই সরকারের প্রকাশিত তালিকাকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন চিকিৎসকরা। আর সেই তালিকায় থাকা প্রথম নামের পরিবারই প্রশ্নের মুখে ফেলে দিল সরকারকে। শিবম শর্মা নামে বালুরঘাটের (Balurghat) বাসিন্দা ওই শিশুর পরিবার জানিয়েছে, জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের সঙ্গে তাঁদের বাড়ির ছেলের মৃত্যুর কোনও সম্পর্ক নেই। এক চিকিৎসকের গাফিলতির কারণেই তাঁদের বাড়ির ছেলের মৃত্যু হয়েছে। এমনই দাবি করল বালুরঘাটে পথদুর্ঘটনায় মৃত শিশুর পরিবার। এই বিষয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে সরকারের দু’লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ নিতেও অস্বীকার করেছেন পরিবারের সদস্যরা।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Balurghat)

    গত ৯ অগস্ট আরজি কর-কাণ্ডে বিচার চেয়ে কর্মবিরতি শুরু করেছিলেন জুনিয়র ডাক্তারেরা (Junior Doctor)। আর তার তিন দিন পরে ১২ অগাস্ট পথদুর্ঘটনায় জখম হয়ে পরে বালুরঘাট (Balurghat) হাসপাতালে মারা যায় তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়া শিবম শর্মা। পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালে ভর্তি করানোর কয়েক ঘণ্টা পরেও সেখানে কোনও চিকিৎসক আসেননি। কার্যত বিনা চিকিৎসায় ওই শিশুর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে শিবমের আত্মীয়স্বজন অভিযুক্ত চিকিৎসকের শাস্তির দাবিতে হাসপাতালে ভাঙচুর করেন। তাঁরা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন হাসপাতালের সুপার এবং জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে। সেই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কমিটিও তৈরি করে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। কিন্তু ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা জানানো হয়নি বলে দাবি পরিবারের। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়।

    আরও পড়ুন: আরজি করকাণ্ডে টালা থানার প্রাক্তন ওসির স্ত্রী, আরও ৪ পুলিশ অফিসারকে তলব

    পরিবারের লোকজনের কী বক্তব্য?

    মৃতের পরিবারের লোকজনের (Balurghat) বক্তব্য, জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের জেরে তাঁদের পরিবারের সদস্যদের মৃত্যু হয়েছে বলে যা প্রচার করা হচ্ছে, তা মিথ্যা। তাই তাঁরা টাকা চান না, বিচার চান। চিকিৎসকের শাস্তিও দাবি করেন তাঁরা। মৃত শিশুর পিসতুতো দাদা পবিত্র সূত্রধর বলেন, “ঘটনার দিন আমার ভাইকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর কয়েক ঘণ্টা পরে চিকিৎসক আসেন। চিকিৎসায় দেরির কারণেই আমার ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে।” নিহত শিশুর দিদি রিঙ্কি শর্মা বলেন, “বালুরঘাটে কোনও মেডিক্যাল কলেজই নেই, জুনিয়র ডাক্তার থাকবে কী করে? জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের সঙ্গে আমার ভাইয়ের মৃত্যুর কোনও সম্পর্ক নেই। আমরা দোষী চিকিৎসকের শাস্তি চাই। কিন্তু পুলিশ অভিযোগ নিচ্ছে না।”

    সরব সুকান্ত

    বালুরঘাটের (Balurghat) শিশুর নাম ক্ষতিপূরণ প্রাপকদের তালিকায় দেখে প্রশ্ন তুলেছিলেন স্থানীয় সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তাঁর প্রশ্ন, আমার জেলায় কোনও মেডিক্যাল কলেজ নেই, তাহলে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির জন্য সেখানে কারও মৃত্যু হতে পারে কী করে? সুকান্তর সাংবাদিক বৈঠকের পরেই মুখ খোলে শিবম শর্মার পরিবার। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Junior Doctor: আরজি কর-কাণ্ডে ওসি’র গ্রেফতারিতে স্পষ্ট পুলিশের ভূমিকা, দিল্লিতেও আওয়াজ তুললেন ডাক্তাররা

    Junior Doctor: আরজি কর-কাণ্ডে ওসি’র গ্রেফতারিতে স্পষ্ট পুলিশের ভূমিকা, দিল্লিতেও আওয়াজ তুললেন ডাক্তাররা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctor) পাশে দাঁড়ালেন দিল্লির জুনিয়র ডাক্তাররা। সোমবার দিল্লির প্রেস ক্লাবে দিল্লির জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন ‘রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন’ (আরডিএ) পশ্চিমবঙ্গে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট’-এর সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করল। বিপ্রেশ চক্রবর্তী-সহ অন্যান্য চিকিৎসকরা এদিন তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তোলেন। জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি, প্রাথমিক অবস্থা থেকেই শুরু হয়েছিল তথ্যপ্রমাণ লোপাটের কাজ। তদন্তের স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। এদিন পাঁচ দফা দাবি আবারও পেশ করেন জুনিয়র ডাক্তাররা।

    পাঁচ দফা দাবি (Junior Doctor)

    দিল্লির সাংবাদিক সম্মেলনে জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctor) বলেন, আরজি করের (RG Kar) ঘটনার পরে পুলিশের ভূমিকা কী ছিল, ওসির গ্রেফতারির ঘটনাতেই তা স্পষ্ট। কেন আত্মহত্যা করেছেন বলে পরিবারকে জানানো হল? কেন ক্রাইম সিন প্রোটেক্ট করা হল না? কেন চালান ছাড়াই পিএম হল? দেহ দাহ করার এত তাড়া কেন ছিল? কেন পুরো সিসিটিভি ফুটেজ হস্তান্তর করা হল না? এরপরই তাঁরা পাঁচ দফা দাবি জানান। তাঁরা বলেন, নির্যাতিতার বিচার চাই। তাঁদের দাবি, স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তা, স্বাস্থ্য অধিকর্তার অপসারণ। কারণ এঁরাই স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়ার অন্যতম কারণ। আরও দাবি, কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে সরানো হোক। ডিসি নর্থ এবং ডিসি সেন্ট্রালের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থাগ্রহণ করতে হবে বলে তাঁরা দাবি তুলেছেন। এছাড়া হাসপাতালে মহিলা এবং পুরুষ চিকিৎসকদের আলাদা টয়লেট, প্রতি ডিউটি রুমে প্যানিক বাটন, যথাযথ নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ, সিসিটিভি নতুন করে মোতায়েন, রেফারেল পদ্ধতিকে স্ট্রিমলাইন করা, বেডের লাইভ আপডেট করা এসবও রয়েছে। তাঁদের আরও পরামর্শ, সাইকোলজিস্ট নিয়োগ করতে হবে রোগীর পরিজনদের কাউন্সেলিংয়ের জন্য। সর্বোপরি থ্রেট কালচার বন্ধ করার দাবি তো আছেই।

    আরও পড়ুন: আরজি করকাণ্ডে টালা থানার প্রাক্তন ওসির স্ত্রী, আরও ৪ পুলিশ অফিসারকে তলব

    আন্দোলনকারীদের পাশে সিনিয়র ডাক্তাররা

    প্রসঙ্গত, সোমবার দিল্লিতে সিনিয়র ডাক্তারদের ৪টি সংগঠন সাংবাদিক সম্মেলনে ৭ দফা দাবি জানায়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, জুনিয়র ডাক্তার (Junior Doctor) ও আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ না করা। রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল ভেঙে দেওয়া। সুবর্ণ গোস্বামী, কৌশিক চাকি, অদীশ বসু, সিদ্ধার্থ দাগা, রাজীব পান্ডে, তুহিন দত্তের মতো চিকিৎসকরা জানিয়েছেন এইসব দাবি। সোমবার তাঁরা বলেন, “আগামীকাল শুনানি। আমরা তাকিয়ে রয়েছি। গণতান্ত্রিক উপায়ে, অহিংস আন্দোলন চালিয়ে যেতে চাই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Vishwakarma Puja: পেটকাটি, চাঁদিয়াল, মোমবাতি, বগ্গা! বিশ্বকর্মা পুজো মানেই আকাশে ঘুড়ির মেলা 

    Vishwakarma Puja: পেটকাটি, চাঁদিয়াল, মোমবাতি, বগ্গা! বিশ্বকর্মা পুজো মানেই আকাশে ঘুড়ির মেলা 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  পেটকাটি, চাঁদিয়াল, মোমবাতি, বগ্গা! বিশ্বকর্মা পুজো (Vishwakarma Puja) মানেই আকাশে ঘুড়ির ঝাঁক (Kite Flying)। প্রতি বছর বিশ্বকর্মা পুজো সাধারণত একটি নির্দিষ্ট তারিখে পালিত হয়। ১৭ই সেপ্টেম্বর সারা দেশে ধুমধাম করে রাজা কারিগর বিশ্বকর্মার আরাধনা করা হয়। আর বিশ্বকর্মা পুজো মানেই বাংলার আকাশে নানারকম ঘুড়ির মেলা। সকাল থেকেই কত রকমের ঘুড়ির শোভা চোখে পড়ে। বেলা বাড়লে পাড়ায় পাড়ায়, এ ছাদ থেকে ও ছাদে চলে ঘুড়ির লড়াই। ভো-কাট্টা…সুরে ফেটে পড়ে আকাশ।

    কবে থেকে ঘুড়ি ওড়ানোর চল

    বিশ্বকর্মা পুজোর (Vishwakarma Puja) দিন বাংলায় ঘুড়ি ওড়ানো (Kite Flying) শুরু হয়েছে ১৮৫০ সাল থেকে। কলকাতা ও গ্রাম বাংলার কতিপয় বিরাট ধনী জমিদাররা ঘুড়িতে টাকা বেঁধে ওড়ানো শুরু করেন। তাঁদের বিশ্বকর্মা পুজোর উৎসব ও পারিবারিক শুভ কামনার উদ্দেশ্যে। যদিও অন্যান্য রাজ্যে ঘুড়ি ওড়ানোর পৃথক দিন আছে। গুজরাটের উত্তরায়ণ উৎসব, তামিলনাড়ুতে পঙ্গাল আর ভারতের অনেক রাজ্যেই মকর বা পৌষ সংক্রান্তির দিন ঘুড়ি ওড়ানোর প্রতিযোগিতা পর্যন্ত হয়। 

    বিশ্বকর্মা পুজোয় ঘুড়ি ওড়ানোর পৌরাণিক ব্যাখ্যা

    বিশ্বকর্মা পুজো (Vishwakarma Puja) এবং ঘুড়ি ওড়ানোর পিছনে পৌরাণিক ব্যাখ্যা রয়েছে। পুরাণ মতে বিশ্বকর্মা দেবলোকের কারিগর। সোজা কথায় যাকে বলা যায় দেবতাদের ইঞ্জিনিয়ার অথবা প্রকৌশলী। ব্রহ্মার আদেশে বিশ্বকর্মাদেব এই ধরাধামকে নিজে হাতে তৈরি করেন। ঋক বেদ অনুসারে বিশ্বকর্মা স্থাপত্য এবং যন্ত্রবিদ্যার জনক। কৃষ্ণের বাসস্থান, গোটা দ্বারকা নগরী নির্মাণ করেছিলেন বিশ্বকর্মা দেবতা। যে জন্য শ্রমিক থেকে ইঞ্জিনিয়র সমাজের কাছে বিশ্বকর্মা পুজোর দিনটার গুরুত্ব চিরকাল অপরিসীম। সব দেবতাদের জন্য উড়ন্ত রথ বানিয়ে ছিলেন বিশ্বকর্মা। সেটা স্মরণ করতেই বিশ্বকর্মা পুজোর দিন কলকাতা তথা গোটা রাজ্যের আকাশে ঘুড়ি ওড়ানো হয়। 

    আরও পড়ুন: আরজি কর-কাণ্ডে এবার ‘আকাশ দখল’, বিশ্বকর্মা পুজোয় কালো ঘুড়ি উড়িয়ে প্রতিবাদ

    বিশ্বকর্মার আরাধনা

    হিন্দু পুরাণ, বেদ, রামায়ণ ও মহাভারতে বিশ্বকর্মার মাহাত্ম্যও বর্ণনা রয়েছে। হিন্দু ধর্মে বিশ্বকর্মাকে (Vishwakarma Puja) সমস্ত নির্মাণ শিল্পের দেবতা হিসেবে বলা হয়। হিন্দু ধর্ম মতে, বৃহস্পতির ভগিনী যোগ সিদ্ধা হলেন বিশ্বকর্মার মাতা ও অষ্টম বসু প্রভাস হলেন তাঁর পিতা। কথিত আছে, বিশ্বকর্মা হলেন স্বর্গলোকের সর্বশ্রেষ্ঠ স্থপতি ও ভাস্কর। কারিগরি ও নির্মাণ শিল্পের পুরোধা বলা যেতে পারে। ব্রহ্মার নাভিমূল থেকে জন্ম নিয়েছিলেন বিশ্বকর্মা। দেবকূলের এই গুরুত্বপূর্ণ দেবতার চারটি হাত, এক হাতে দাঁড়িপাল্লা, অন্যহাতে থাকে হাতুড়ি। ধর্ম মতে, দাড়িপাল্লা হল জ্ঞান ও কর্মের প্রতীক, অন্যদিকে, হাতুড়ি হল শিল্পনির্মাণের প্রতীক। বিশ্বকর্মার বাহন হল হাতি। বৃহদ্দেবতা গ্রন্থ অনুসারে বিশ্বকর্মা হলেন, ‘বর্ষাকালীন সূর্য’। গ্রীষ্মকাল শেষ হয়েছে। মাটি শুষ্ক, রুক্ষ হয়েছে। বর্ষার জল ব্যতিরেকে শস্য উৎপাদন সম্ভব নয়। যিনি বিশ্বের কর্ম বা কৃষিকর্ম সৃষ্টি করেন, সূচনা করেন, তিনিই বিশ্বকর্মা। তাই ভাদ্র সংক্রান্তিতে তাঁর আরাধনা করে দেবী দুর্গার মর্ত্যে আগমনের পথ তৈরি করে বাঙালি। উৎসবের আগাম আনন্দ উদযাপনে আকাশে ওড়ে ঘুড়ি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্মদিন, প্রতি বছর কীভাবে পালিত হয় দিনটি?

    Narendra Modi: মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্মদিন, প্রতি বছর কীভাবে পালিত হয় দিনটি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) জন্মদিন। তাঁর কাছে অবশ্য দিনটি অন্য যে কোনও কাজের দিনের মতোই। এই দিনটি ‘সেবা পর্ব’ রূপে পালন করা হয়ে থাকে। বিজেপি প্রতি বছর তাঁর জন্মদিন (Birthday) থেকে এক পক্ষকালব্যাপী নাগরিক কল্যাণ এবং মানবজাতির সেবা প্রতিশ্রুতি প্রদর্শনের জন্য কাজ করে থাকে। উল্লেখ্য, তিথি অনুযায়ী এবছর তাঁর জন্মদিনে বিশ্বকর্মা পুজোও পড়েছে। মঙ্গলবার থাকতে পারে দেশবাসীর জন্য বিরাট চমক।

    রক্তদান শিবির ও স্বচ্ছতা অভিযানের ডাক বিজেপির (Narendra Modi)

    নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদি (Narendra Modi) ১৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৫০ সালে গুজরাটের মেহসানা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি টানা তিনবারের জন্য, ২০০১ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ওই রাজ্যে। একই ভাবে ২০১৪ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন। প্রতি বছরের মতো এই বছরও বিজেপি সাংগঠনিক ভাবে তাঁর জন্মদিন মঙ্গলবার হওয়ায় ‘সেবা পাখওয়ারা’ বা ‘সেবা পর্ব’ চালু করতে চলেছে। সারা দেশ জুড়ে রক্তদান শিবির ও স্বচ্ছতা অভিযানের আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছে বিজেপি। দলীয় কর্মী এবং স্বেচ্ছাসেবকরা দেশের নানা হাসপাতাল, স্কুল এবং অন্যান্য জায়গায় পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালাবেন। উল্লেখ্য, মোদি সরকারের ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’ প্রকল্পটি একটি ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রাম হিসেবে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান জার্নাল ‘নেচার’-এ বিশেষ মর্যাদা পেয়েছে। সেখানে দাবি করা হয়েছে, ৬০ হাজার থেকে ৭০ হাজারেরও এরও বেশি শিশুমৃত্যু প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে মোদির প্রকল্প।

    সুরাটে ব্যবসায়ীদের ভর্তুকি ও ছাড় ঘোষণা

    রাজস্থানের জনপ্রিয় আজমের শরিফ দরগায় প্রধানমন্ত্রী মোদির (Narendra Modi) জন্মদিন (Birthday) উদযাপন করতে ৪০০০ কেজির নিরামিষ ভোজনের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানা গিয়েছে। একই ভাবে গুজরাটের সুরাটে, অনেক ব্যবসায়ী ১৭ সেপ্টেম্বর অফারগুলিতে ১০ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় ঘোষণা করেছেন৷ এই ভর্তুকি এবং ছাড়গুলি একাধিক হোটেল, বাজার, পরিবহণ পরিষেবা-সহ বিভিন্ন বিভাগে প্রযোজ্য হবে বলে জানা গিয়েছে।

    ৭৩ কেজি লাড্ডু কেক কেটেছিলেন ২০২৩ সালে

    গত বছর ২০২৩ সালে, প্রধানমন্ত্রী মোদি (Narendra Modi) দেশের কৃষক, শ্রমিক এবং কারিগরদের জন্য একটি লাভজনক স্কিমের ঘোষণা করেছিলেন। বিশ্বকর্মা যোজনায় ঐতিহ্য এবং পরম্পরা বাহিত কারিগরদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্বনির্ভর করার প্রকল্প চালু করা করেছিলেন। একই সঙ্গে গত বছর ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন অ্যান্ড এক্সপো সেন্টার (আইআইসিসি) এবং দিল্লি বিমানবন্দর এক্সপ্রেস লাইনের সম্প্রসারণ করেছিলেন। তাঁর বয়সের প্রতীক হিসেবে একটি প্রচলিত কেকের পরিবর্তে ৭৩ কেজি লাড্ডু কেক কেটেছিলেন মোদি। সেই সঙ্গে আনন্দ উদযাপনের অংশ হিসেবে হনুমান মন্দিরে ‘অখণ্ড রামায়ণ পাঠ’-এরও আয়োজন করা হয়েছিল।

    নামিবিয়া থেকে ছাড়া হয়েছিল চিতা

    উল্লেখ্য ২০২২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর, মোদিজির (Narendra Modi) জন্মদিনে নামিবিয়া থেকে গোয়ালিয়রে আটটি বড় চিতা আনা হয়েছিল। চিতাগুলিকে মধ্যপ্রদেশের কুনো ন্যাশনাল পার্কে (কেএনপি) ছাড়া হয়েছিল। পেশাদার ক্যামেরা দিয়ে তাদের ছবিও তুলেছিলেন তিনি। আবার ওই বছরেই জন্মদিনকে উদযাপনের একটি বিশেষ মুহূর্তকে চিহ্নিত করতে দেশটি একদিনে ২.২৬ কোটি কোভিড টিকা প্রদান করা হয়েছিল। করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে ভারতের যুদ্ধকে ত্বরান্বিত করতে একটি বিশেষ অভিযান ছিল।

    আরও পড়ুনঃ তৃণমূল সাংসদ সাকেত গোখেলের মিথ্যার ফানুস চুপসে দিল রেলমন্ত্রক

    ‘নমামি নর্মদা’ পালন করেছিলেন ২০১৯ সালে

    যেহেতু দেশটি ২০২০ সালে মহামারীর কবলে ছিল, তাই প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) জন্মদিন উদযাপন করা হয়নি। তবে ‘সেবা সপ্তাহ’-এর অংশ হিসেবে ক্যাম্প ও হেল্প ডেস্কের আয়োজন করা হয়েছিল। বিভিন্ন স্থানে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করার সময় দরিদ্রদের রেশন বিতরণও করা হয়েছিল। আবার ২০১৯ সালে গুজরাটের কেভাদিয়ায় ‘নমামি নর্মদা’ উৎসবে অংশ নিয়েছিলেন মোদি। এটি ১৩৮.৮৮ মিটারের পূর্ণ জলাধারকে ভরাট প্রকল্পকে চিহ্নিত করার জন্য জন্মদিন উদযাপন করা হয়েছিল। তিনি একই সঙ্গে স্ট্যাচু অফ ইউনিটির কাছে বিশাল জনসমাবেশে ভাষণও দিয়েছিলেন। তাই এবারও হয়তো থাকবে কোনও বিরাট চমক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share