Author: user

  • Gyanvapi Mosque: “জ্ঞানবাপী মসজিদ নয়, স্বয়ং ভগবান বিশ্বনাথ”, দাবি মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের

    Gyanvapi Mosque: “জ্ঞানবাপী মসজিদ নয়, স্বয়ং ভগবান বিশ্বনাথ”, দাবি মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “জ্ঞানবাপী, যাকে কিছু লোক মসজিদ (Gyanvapi Mosque) বলে দাবি করছে, তা আসলে নিজেই ভগবান বিশ্বনাথ।” শনিবার কথাগুলি বললেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এদিন তিনি দীন দয়াল উপাধ্যায় গোরখপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘নাথপন্থের অবদান ও একটি সামাঞ্জস্যপূর্ণ সমাজের সৃজন’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশ নেন। সেখানেই তিনি দাবি করেন, ‘জ্ঞানবাপী মসজিদ নয়, স্বয়ং বিশ্বনাথ’। প্রসঙ্গত, আদিত্যনাথ নিজেও নাথ সম্প্রদায়ের। গোরখনাথ মঠের প্রধান পুরোহিতও তিনিই।

    কী বললেন যোগী (Gyanvapi Mosque)

    তাঁর বক্তৃতায় উঠে এসেছে সাধু-সন্ন্যাসী ও ঋষিদের অবদানের কথা। প্রসঙ্গক্রমে এসেছেন আদি শঙ্করাচার্যও, যিনি দেশের চারটি জায়গায় চারটি মঠ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “যখন আদি শঙ্করাচার্য কাশীতে পৌঁছলেন, ভগবান বিশ্বনাথ তাঁকে পরীক্ষা করতে চাইলেন। শঙ্করাচার্য ব্রাহ্ম মুহূর্তে গঙ্গায় স্নান করতে গেলে ভগবান বিশ্বনাথ ছদ্মবেশ ধারণ করে অস্পৃশ্য হয়ে তাঁর সামনে উপস্থিত হলেন। শঙ্করাচার্য তাঁকে পথ ছাড়তে বললে ভগবান বিশ্বনাথ বললেন, যদি তুমি সত্যই অদ্বৈত জ্ঞান পূর্ণ হও, তাহলে কেবল শরীর দেখো না। যদি ব্রহ্মই চূড়ান্ত সত্য হয়, তাহলে আমার মধ্যেও সেই ব্রহ্মই আছে, যে ব্রহ্ম রয়েছে তোমার মধ্যেও।” আদিত্যনাথ বলেন, “যে জ্ঞানবাপীর (Gyanvapi Mosque) সাধনা আপনি করে চলেছেন, সেই জ্ঞানবাপী সরাসরি বিশ্বনাথই। যার উপাসনার জন্য তুমি এখানে এসেছ, আমি সে-ই।” তিনি বলেন, “দুর্ভাগ্যবশত, এই জ্ঞানবাপীকেই কিছু লোক মসজিদ বলে উল্লেখ করেন।”

    অস্পৃশ্যতা প্রতিবন্ধকতা

    আদিত্যনাথ বলেন, “আমাদের দেশের সাধু-সন্তরা বলেন, অস্পৃশ্যতা শুধু আধ্যাত্মিক চর্চার একটা বাধা নয়, বরং জাতীয় ঐক্য ও অখণ্ডতার প্রতিবন্ধকতা।” তিনি বলেন, “যদি অস্পৃশ্যতা দূরীকরণে আরও বেশি মনোযোগ দেওয়া হত, তাহলে হয়তো দেশ কখনওই দসত্বের শৃঙ্খলে বন্দি হত না।” তিনি বলেন, “সাধুদের ঐতিহ্য কখনওই সমাজের মধ্যে অস্পৃশ্যতাকে অগ্রাধিকার দেয়নি। এটি নাথপন্থের মূল ভাবনা। নাথপন্থীরা সব জাতি, সম্প্রদায়, ধর্ম এবং অঞ্চলকে সম্মান করে, সবাইকে একত্রিত করার চেষ্টা করে (Gyanvapi Mosque)।”

    আরও পড়ুন: পরিবারের নতুন সদস্য ‘দীপজ্যোতি’র সঙ্গে খুনসুটি মোদির, মজলেন নেটিজেনরা

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: সিজিও থেকে বের করতেই টালা থানার সেই ‘করিতকর্মা’ ওসিকে জুতো দেখিয়ে বিক্ষোভ

    RG Kar Case: সিজিও থেকে বের করতেই টালা থানার সেই ‘করিতকর্মা’ ওসিকে জুতো দেখিয়ে বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে হত্যা মামলায় শনিবার রাতে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার পুর্বতন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। সুপ্রিম কোর্টে এই টালা থানার ওসির (Tala police) প্রসঙ্গ উঠেছিল। রবিবার সিজিও থেকে তাঁকে বের করার সময় ক্ষুব্ধ জনতা স্লোগান দিয়ে জুতো দেখিয়েছে। তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগে উত্তেজিত জনতা ওসিকে দেখা মাত্রই নিজেদের রাগ প্রকাশ করে ক্ষোভে ফেটে পড়ে। সেই সঙ্গে স্লোগান ওঠে ‘তিলোত্তমার বিচার চাই’। নিরাপত্তা কর্মীরা তড়িঘড়ি গাড়িতে তোলে ওসিকে। উত্তেজিত জনতা গাড়ির পিছনে পিছনেও ছুটতে শুরু করে। উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত অভয়ার হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩। 

    ক্রাইম সিন সম্পূর্ণ পাল্টে দেওয়া হয়েছে (RG Kar Case)!

    নির্যাতিতা চিকিৎসক তরুণীর মামলা (RG Kar Case) সুপ্রিম কোর্টে উঠলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তাদের রিপোর্টে রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে। ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ডে টালা থানায় এফএইআরের সময়, ময়নাতদন্তের সময় এবং তথ্যপ্রমাণ লোপাটের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে বলে দাবি করা হয়। একই ভাবে ঘটনাস্থলের পরিবেশকে বিকৃত করা হয়েছে বলে আদালতে প্রশ্ন তুলেছে সিবিআই। তাদের অভিযোগ, ক্রাইম সিনকে সম্পূর্ণ পাল্টে দেওয়া হয়েছে। অপর দিকে গত টানা ৩৬ দিন ধরে জুনিয়র ডাক্তার থেকে শুরু করে বিভিন্ন সামজিক সংগঠন এবং রাজনৈতিক দলগুলি ধর্না, বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে। ন্যায়বিচার এবং দোষীদের শাস্তির দাবিতে অনড় আপামর জনসাধারণ। তাই টালা থানার ওসি (Tala police) গ্রেফতার হতেই তাঁকে বের করে নিয়ে যাওয়ার সময় ক্ষুব্ধ জনতা জুতো দেখিয়ে নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করে।

    আরও পড়ুনঃ “মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি থেকে কার্যত ঘাড়ধাক্কা দিয়ে ফেরানো হয়েছে”, অভিযোগ জুনিয়র ডাক্তারদের

    আদালত চত্বরে কড়া নিরাপত্তা

    ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে চিকিৎসক হত্যা মামলায় (RG Kar Case) শিয়ালদা আদালতে হাজির করার আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বি আর সিং হাসপাতলে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তাঁকে সেখান থেকে সোজা আদালতে তোলা হবে। উল্লেখ্য, প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে আগে আদালতে তোলার সময় উত্তেজিত জনতা চড় মেরেছিল। সেই সঙ্গে আদালত চত্বরে ব্যাপক বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। তাই এবার কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যাতে না ঘটে, পুলিশ সেই দিকে কড়া নজর রেখেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: লাগাতার আক্রমণ ও নির্যাতন বন্ধে ফের পথে বাংলাদেশের হিন্দুরা, অবরোধে অচল ঢাকা

    Bangladesh Crisis: লাগাতার আক্রমণ ও নির্যাতন বন্ধে ফের পথে বাংলাদেশের হিন্দুরা, অবরোধে অচল ঢাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক মাস হয়ে গেল বাংলাদেশের ক্ষমতায় এসেছে অন্তর্বর্তী সরকার। তার (Hindus) পরেও বন্ধ হয়নি হিন্দুদের ওপর অত্যাচার। লাগাতার আক্রমণের প্রতিবাদে পথে নামলেন বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা (Bangladesh Crisis)। ন্যায় বিচার ও নির্যাতন বন্ধের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন তাঁরা।

    আট দফা দাবি (Bangladesh Crisis)

    আন্দোলন হয় সনাতনী অধিকার আন্দোলনের ব্যানারে। এই ছাতার তলায় জড়ো হয় হিন্দুদের বিভিন্ন সংগঠন। এদিনের আন্দোলনে ছিল বাংলাদেশ হিন্দু জাগরণ মঞ্চও। আট দফা দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে তারা। বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ শুরু হয় অবরোধ। যার জেরে ব্যাপক যানজট হয় শহরে। শুক্রবারই আট দফা দাবিতে চট্টগ্রাম শহরের জামাল খান মোড় এলাকায় সমাবেশ করে সম্মিলিত সনাতনী সমাজ, বাংলাদেশও। যে আট দফা দাবিতে এদিন আন্দোলন হয়েছে, সেগুলি হল, সরকার পতনের পর সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনার দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা, সাম্প্রদায়িক হিংসায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ এবং পুনর্বাসন দেওয়া, সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করা, সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করা, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে হিন্দু ফাউন্ডেশনে রূপান্তর করা, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে ফাউন্ডেশনে রূপান্তরিত করা, দেবোত্তর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার করা এবং তাদের সুরক্ষার জন্য আইন প্রণয়ন করা, সঠিকভাবে অর্পিত সম্পত্তি আইন কার্যকর করা এবং দুর্গাপুজোয় পাঁচ দিনের ছুটি ঘোষণা করা।

    কী বলছেন আন্দোলনকারীরা

    আন্দোলনকারীদের মধ্যে ছিলেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীও। তিনি (Bangladesh Crisis) বলেন, “ছাত্র নেতৃত্বাধীন গণ অভ্যুত্থানের পর আমরা ভেবেছিলাম, আমরা একটা বৈষম্যহীন সামাজিক ব্যবস্থা পাব। তবে ৫ অগাস্ট থেকে দেশের ৪৯টি জেলায় হিন্দু জনগণের বাড়িঘর, তাদের মন্দির ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর আক্রমণ চালানো হয়েছে।” তিনি বলেন, “প্রথম আলোর (বাংলাদেশের জনপ্রিয় দৈনিক) প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৫ থেকে ২০ অগাস্টের মধ্যে হিন্দুদের ওপর আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে মোট ১ হাজার ৬৮টি।” তিনি বলেন, “অস্থায়ী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা একজন নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী। আমরা আশা করি, তিনি দেশের সকল মানুষের, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য শান্তি প্রতিষ্ঠায় পদক্ষেপ করবেন।”

    আরও পড়ুন: ‘‘ওঁরা ঘৃণার দোকানে ভালোবাসার বোর্ড ঝুলিয়েছেন’’, ভূ-স্বর্গে বিরোধীদের আক্রমণ মোদির

    বিশিষ্ট কবি ফারহাদ মাজহার বলেন, “দেশের বিভিন্ন মন্দির ভাঙচুর একটি পরিকল্পিত কর্মকাণ্ড।” তিনি বলেন, “এটা অপরাধমূলক কাজ। একাজ প্রতিরোধে নয়া সরকার কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। দ্বিতীয়ত, মন্দিরগুলিতে আক্রমণ পূর্ব পরিকল্পিত ছিল। জনসাধারণের ঘোষণার পরেই এসব আক্রমণ চালানো হয়েছে।”
    অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, “আমি মোদি (নরেন্দ্র মোদি)-কেও বলেছি, এসব বাড়িয়ে দেখানো হচ্ছে। শেখ হাসিনা ও আওয়ামি লিগ যে অরাজকতা করেছিল, তার পর দেশ একটি অস্থিরতার মধ্যে পড়েছিল। সেই সময় যারা (Hindus) তাদের পাশে ছিল, তারাই আক্রমণের শিকার হয়েছে (Bangladesh Crisis)।”

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Bangladesh: হিন্দুদের নির্বিচারে পেটাচ্ছে, পেটের চিন্তায় ভারতের কাছে আলু-পেঁয়াজও চাইছে বাংলাদেশ!

    Bangladesh: হিন্দুদের নির্বিচারে পেটাচ্ছে, পেটের চিন্তায় ভারতের কাছে আলু-পেঁয়াজও চাইছে বাংলাদেশ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফি বছর ভারতে ইলিশ রফতানি করত হাসিনা সরকার (Bangladesh)। তবে চিত্রটা বদলে যায় গত অগাস্ট মাসে তাঁর ইস্তফা দেওয়ার পরেই। ভারত-বিরোধী শক্তি জামাত-বিএনপির সহায়তায় গণভবন দখল করা হয়। গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। এর পরেই সে দেশে শুরু হয় হিন্দুনিধন যজ্ঞ। সমাজ মাধ্যমের পাতায় জামাত-বিএনপি নেতারা একের পর এক ভারত বিরোধী-হিন্দু বিরোধী উস্কানিমূলক পোস্ট করতে থাকেন। এই আবহে ইউনূস সরকার হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়ে দেয়, উৎসবের মরশুমে ভারতে ইলিশ পাঠাতে পারবে না তারা। তার পরেই অবশ্য নির্লজ্জের মতো হাত পেতে ২ লাখেরও বেশি মুরগির ডিম আমদানি করে বাংলাদেশ। এবার জামাত-বিএনপি’র কাছে প্রাণভোমরা থাকা ইউনূস সরকারের আর্জি, যেন কোনওভাবেই আলু এবং পেঁয়াজের রফতানি ভারত বন্ধ না করে। এর পাশাপাশি ইলিশ রফতানি করার ইস্যুটি ভারতের সঙ্গে তাদের কূটনৈতিক-অর্থনৈতিক সম্পর্কে প্রভাব (Bangladesh) ফেলবে না বলেও জানিয়েছে তারা।

    পেটের চিন্তা বড় চিন্তা (Bangladesh)

    ইউনূস সরকার ক্ষমতায় আসার পরে সে দেশে অত্যাধিক মূল্যবৃদ্ধি দেখা গিয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামে। মুরগির ডিমের দাম পৌঁছায় ১৫-১৬ টাকায়। ভারতের কাছ থেকে তা আমদানি করার পরে দাম কমে আসে ৭ থেকে ৮ টাকায়। বর্তমানে প্রতি কেজি আলুর দাম কমবেশি ৭০ টাকা। সে দেশে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে আবার ১৪০ টাকা দরে। হাসিনা সরকারের আমলে আলুর দাম ছিল ৪০-৪৫ টাকার মধ্যে। পেটের চিন্তা, বড় চিন্তা-আপাতত তাই ভারত-বিরোধী ডায়লগ দেওয়া বন্ধ করে সামান্য আলু-পেঁয়াজে সন্তুষ্ট হতে চাইছে তারা। ইলিশ (Hilisha) দেব না হুঁশিয়ারি দেওয়ার পরে ড্যামেজ কন্ট্রোলেও নামতে দেখা গিয়েছে সে দেশের মৎস্য উপদেষ্টা ফরিদা আখতারকে। এক সংবাদমাধ্যমের সামনে তাঁর বিবৃতি, ‘‘শুধু ভারত নয়, কোনও দেশেই ইলিশ পাঠাচ্ছি না আমরা। এবার ১২ অক্টোবর থেকে ইলিশ (Hilisha) ধরাও নিষিদ্ধ করা হচ্ছে।’’

    ১০ জন ব্যবসায়ীকে আলু আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে

    জানা গিয়েছে, পেটের তাগিদে ভারত থেকে দ্রুত আলু আমদানি করতে চায় বাংলাদেশ (Bangladesh)। এ কারণে মোট দশজনকে ‘ইমপোর্ট পারমিট’ (আইপি) দিয়েছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সরকার। গত শুক্রবারই এই তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশের হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কর্মকর্তা ইউসুফ আলি। তিনি জানান, বাংলাদেশের বাজারে আলুর দাম স্বাভাবিক রাখতে বন্দরের ১০ জন ব্যবসায়ীকে আলু আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তাঁর নিজের ভাষায়, ‘‘সরকারের উচিত নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ব্যাপারে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা। ভারত থেকে আলু আমদানি হলে দেশের বাজারে দাম অনেকটাই কমে আসবে, এ নিয়ে আশাবাদী বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: “মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি থেকে কার্যত ঘাড়ধাক্কা দিয়ে ফেরানো হয়েছে”, অভিযোগ জুনিয়র ডাক্তারদের

    RG Kar: “মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি থেকে কার্যত ঘাড়ধাক্কা দিয়ে ফেরানো হয়েছে”, অভিযোগ জুনিয়র ডাক্তারদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে দাঁড়িয়ে বললেন, ‘‘হয় আপনারা বেরিয়ে যান, নয়ত বাস ডেকে বের করে দেওয়া হবে’’, একথা বলতে গিয়ে একপ্রকার গলা ভিজে আসে জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিস হালদারের। শেষ মুহূর্তে জুনিয়র চিকিৎসকরা নিজেদের বেশ কিছু শর্ত ত্যাগ করেন। তাঁরা রাজি হন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে (RG Kar)। তবে বেঁকে বসে প্রশাসন। স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জুনিয়র চিকিৎসকদের কড়া ভাষায় জানিয়ে দেন, অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। কোনও কোনও মহলের মতে, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে এমন অপমানের ঘটনা প্রমাণ করে, দুপুরে মাননীয়ার ধর্নাস্থলে যাওয়া নেহাত ছলনা ছাড়া কিছু নয়। মমতার বাড়ি থেকে কার্যত ঘাড়ধাক্কা দিয়ে ফেরানো হয়েছে তাঁদের, এমন অভিযোগ ডাক্তারদের। বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পরে এতটুকু দমে যাননি জুনিয়র ডাক্তাররা। ধর্নামঞ্চে ফিরে এসে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা। মমতা সরকার কতটা আন্তরিক আরজি কর (RG Kar) কাণ্ডের বিচার দিতে, সে প্রশ্নও তেলেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, রাজ্য সরকার বলছে তারা দুঘণ্টা অপেক্ষা করেছে, আর তাঁরা ৩৫ দিন অপেক্ষা করছেন। বৃষ্টিতে ভিজছেন।

    কী বলছেন ডাক্তার নেতা দেবাশিস? (Junior Doctor)

    শনিবারই জুনিয়র ডাক্তার (Junior Doctor) দেবাশিস হালদার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে ইমেল করেছিলাম। সেখানে বলেছিলাম, বৈঠকে যেন স্বচ্ছতা থাকে। আমরা এলাম। আসার পর বললাম লাইভ স্ট্রিমিং যেন করা যায়। কিন্তু ওঁরা বললেন, সম্ভব নয়। আমরা বললাম, অন্তত দু’পক্ষকে স্বচ্ছভাবে ভিডিয়ো করতে দেওয়া হোক। তাতেও বললেন, নাহ দুপক্ষকে ভিডিও করতে দেওয়া যাবে না। আমরা চাই ভিডিয়ো-র কপি। ওঁরা বললেন সুপ্রিম কোর্ট অনুমতি দিলে তবে কপি দেওয়া হবে। আমরা এও বললাম যে, ভিডিওটা তো প্রমাণ হিসেবে আমাদের লাগবে (RG Kar)। আমরা তারপর আবার আলোচনা করলাম। মুখ্যমন্ত্রী বেরিয়ে এসে বললেন, তোমরা চা খেয়ে যাও। তবে ভিডিও কিন্তু দেওয়া যাবে না। এটা বিচারাধীন বিষয়, ভিডিও পরে দেব। এই ঘটনার পর আবার আমরা আলোচনা করলাম। আমরা তাতেই রাজি হলাম। বললাম এইটুকুতেই রাজি। আমাদের ভিডিও দরকার নেই। আমরা বিশ্বাস রাখলাম।’’

    ঘাড়ধাক্কা দেওয়া হল আমাদের

    দেবাশিস আরও বলেন, ‘‘এরপর আমরা যখন রাজি হলাম যে ওই মিনিটসটুকু দেওয়া হোক, তখন হঠাৎ করে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভটাচার্য বললেন, অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে, আর সম্ভব নয়। আমরা দু-তিন ঘণ্টা ওয়েট করেছি। আমরা আর আলোচনায় বসতে রাজি নই। কিন্তু আমাদের বলা হল, হয় আপনারা বেরিয়ে যান। নয়ত বাস ডেকে বের করে দেওয়া হবে। তারপর নিজেরা গাড়়ি করে বেরিয়ে গেলেন। ওরা বলছে দুঘণ্টা অপেক্ষা করেছি। আর আমরা ৩৫ দিন অপেক্ষা করছি। স্বাস্থ্য ভবনের সামনে বৃষ্টিতে ভিজছি। আমরা আমাদের সমস্ত রকম শর্ত ছেড়ে দিলাম। তখন ঘাড়ধাক্কা দেওয়া হল। আমরা প্রথম থেকে স্বচ্ছতার (RG Kar) দাবি রেখেছিলাম।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: খুন-ধর্ষণ মামলাতেও সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার সন্দীপ ঘোষ, ধৃত টালা থানার তৎকালীন ওসি’ও

    RG Kar: খুন-ধর্ষণ মামলাতেও সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার সন্দীপ ঘোষ, ধৃত টালা থানার তৎকালীন ওসি’ও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar) মেডিক্যাল কলেজের একাধিক আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে আগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। এবার ধর্ষণ ও খুনের মামলাতেও শনিবার তাঁকে গ্রেফতার করা হল। একই সঙ্গে প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ এবং চিকিৎসক পড়ুয়ার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দেরিতে এফআইআর রুজু করার অভিযোগ উঠেছে টালা থানার সেই সময়ের ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে। তাঁকেও গ্রেফতার করা হয় শনিবার। সিবিআই (CBI) সূত্রে জানা গিয়েছে, টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে আজ রবিবার সকালে আদালতে হাজির করা হবে। তদন্তকারীদের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে ফের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে। তাই তাঁকেও রবিবার আদালতে হাজির করানো হবে।

    খুন-ধর্ষণ মামলায় মোট গ্রেফতার ৩ (RG Kar)

    প্রসঙ্গত, আরজি করকাণ্ডে কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেফতার ছিল একজন সিভিক ভলান্টিয়ার। শনিবার আরজি করের খুন-ধর্ষণের মামলায় গ্রেফতার করা হল আরও দুজনকে। অর্থাৎ মোট গ্রেফতারির সংখ্যা দাঁড়াল তিন। এই তিনজনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হবে কি না, সেটাই এখন দেখার। শনিবার প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারির খবর জুনিয়র ডাক্তারদের কাছে পৌঁছতেও তাঁরা উল্লাসে ফেটে পড়েন। সল্টলেকে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে বিচারের দাবিতে ধর্নায় বসেছেন তাঁরা। সেখানে নানা রকম স্লোগানও উঠতে দেখা যায়। আরজি করকাণ্ডের ৩৬ দিনের মাথায় প্রাক্তন অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করার ঘটনায় জুনিয়র ডাক্তারদের একজন বলেন, ‘‘বিচারের দিকে এক পা এগনো গেল। তবে ঘটনার পর ৩৫ দিন কেন সময় লাগল, সেটাও আমাদের প্রশ্ন।’’

    আর্থিক দুর্নীতি মামলায় জেলে রয়েছেন সন্দীপ

    প্রসঙ্গত, আরজি কর (RG Kar) কাণ্ডে আর্থিক দুর্নীতির মামলায় সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। তাঁর জমানাতে মর্গে মৃতদেহ লোপাট থেকে সেখানে পর্নোগ্রাফি চালানোর মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। শুধুমাত্র মৃতদেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিক্রি করেই ২০০ কোটি টাকার কেলেঙ্কারি হয়েছে আরজি করে, এমনই দাবি সিবিআইয়ের। অন্যদিকে, ইডিও তেড়েফুঁড়ে নেমেছে এই মামলায়। তারা সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ ওষুধ ব্যবসায়ীদের অফিসে-বাড়িতে হানা দিয়েছে। আর্থিক দুর্নীতির মামলায় সন্দীপ ঘোষের ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজত হয়েছে, বর্তমানে তিনি রয়েছেন প্রেসিডেন্সির সংশোধনাগারে।

    প্রশ্ন ওঠে টালা থানার সেই সময়ের ওসির বিরুদ্ধে

    গত ৯ আগস্ট আরজি কর (RG Kar) মেডিক্যাল কলেজের চারতলার সেমিনার হল থেকে ডাক্তারি পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার হয়। প্রথমে তা আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু পরে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এই আবহে চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর তৎকালীন অধ্যক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। অন্যদিকে, টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ অসুস্থ বলে নিজেকে দাবি করে গোটা কলকাতার একাধিক হাসপাতালে ঘুরতে থাকেন। কোনও রোগ তাঁর খুঁজে পাওয়া যায় না। শেষমেশ ৫ সেপ্টেম্বর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। শনিবার দুপুরে সিবিআইয়ের তলব পেয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে যান অভিজিৎ। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাঁর বক্তব্যে বেশ কিছু অসঙ্গতি ধরা পড়ে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। তার পরেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। টালা থানার এই প্রাক্তন ওসির বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ রয়েছে। ঘটনার পর অভিযোগ দায়ের থেকে ময়নাতদন্ত, একাধিক ক্ষেত্রে অভিযোগ রয়েছে এই পুলিশকর্তার বিরুদ্ধে। এবার তাঁকে গ্রেফতার করল সিবিআই (CBI)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Gopinath Temple: ফি বছর ভক্তের শ্রাদ্ধের কাজ করতে মর্ত্যে নেমে আসেন ভগবান!

    Gopinath Temple: ফি বছর ভক্তের শ্রাদ্ধের কাজ করতে মর্ত্যে নেমে আসেন ভগবান!

    হরিহর ঘোষাল

    ফি বছর ভগবান স্বয়ং ভক্তের শ্রাদ্ধ করতে মর্ত্যে নেমে আসেন! গল্প বলে মনে হলেও এটাই সত্যি। পূর্ব বর্ধমানের অগ্রদ্বীপের (Agradwip) বৈষ্ণব ধর্মাবলম্বী মানুষদের এটাই বিশ্বাস। আর সেই বিশ্বাস থেকেই প্রায় ৫০০ বছর ধরে প্রতি বছরই নির্দিষ্ট তিথি মেনে অগ্রদ্বীপের গোপীনাথ মন্দিরে (Gopinath Temple) দিনটি পালন করা হয়। আর পবিত্র সেই দিন ভগবান দর্শনে লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিড় করেন অগ্রদ্বীপে।

    শ্রীচৈতন্যের আদেশে তৈরি গোপীনাথ মন্দির (Gopinath Mandir)

    পূর্ব বর্ধমানের অগ্রদ্বীপ গৌড়ীয় বৈষ্ণবদের একটি তীর্থস্থান। অগ্রদ্বীপে ষোষঠাকুর নামে শ্রীচৈতন্যের একজন কায়স্থ শিষ্য বাস করতেন। কথিত আছে, সন্ন্যাস গ্রহণের পাঁচ বছর পর বৃন্দাবন যাচ্ছিলেন শ্রীচৈতন্য। পথে হরিতকি সঞ্চয় করে রাখার জন্য সঙ্গী গোবিন্দকে ত্যাগ করলেন মহাপ্রভু (বৈষ্ণবদের কিছু সঞ্চয় করতে নেই বলে)। ফলে, গোবিন্দ ঘোষ বৃন্দাবনে যেতে না পেরে অগ্রদ্বীপে থেকে যান। এই গোবিন্দ ঘোষই ঘোষঠাকুর নামে পরিচিত লাভ করেন। গঙ্গাস্নানের সময় গোবিন্দ ঘোষ একখণ্ড কালো পাথর পেয়েছিলেন। চৈতন্যদেব বৃন্দাবন থেকে ফিরে এলে তাঁরই আদেশে ওই কালো পাথর থেকে গোপীনাথের (Gopinath Temple) মূর্তি তৈরি করা হয়েছিল এবং গোপীনাথকে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। আরও আশ্চর্য ব্যাপার হল, গোপীনাথ নাকি ঘোষঠাকুরকে পিতৃবৎ ভক্তি-শ্রদ্ধা করতেন। অনেকে মনে করেন, গঙ্গায় ভেসে আসা একটি পাথর দিয়ে গোপীনাথের বিগ্রহ তৈরি করেন এক ভাস্কর। অগ্রদ্বীপের গোপীনাথ মন্দিরে (Gopinath Temple) সেই বিগ্রহ স্থাপন করেন স্বয়ং মহাপ্রভু শ্রী চৈতন্যদেব। এরপর তাঁর পার্ষদ গোবিন্দ ঘোষকে সেই গোপীনাথের ভজন-পূজনের দায়িত্ব দেন তিনি।

    ভক্তের শ্রাদ্ধের কাজ ভগবান কীভাবে করেন?

    ভক্তের শ্রাদ্ধের কাজ ভগবান কীভাবে করেন? এই প্রশ্ন সকলের মনেই জাগে। সেই প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে পিছিয়ে যেতে হবে ৫০০ বছরেরও বেশি সময় আগে। অগ্রদ্বীপ তখন গণ্ডগ্রাম। পাশ দিয়ে বয়ে চলা ভাগীরথী বর্তমানের তুলনায় দ্বিগুণ স্রোতস্বিনী। অনেকে মনে করেন, ১৫৮৮ সালে চৈত্রের কৃষ্ণপক্ষের একাদশী তিথিতে মারা গিয়েছিলেন শ্রীচৈতন্যের একনিষ্ঠ ভক্ত এবং তাঁর অষ্ট পার্ষদের অন্যতম গোবিন্দ ঘোষ। তিনি ছিলেন গোপীনাথের (Gopinath Temple) সেবক। সেই তিথিকে স্মরণে রাখতে ফি-বছরই এই তিথিতে অনুষ্ঠিত হয় গোবিন্দ ঘোষের পারলৌকিক বা চিড়ে মহোৎসব। স্বয়ং গোপীনাথ এক মাস ধরে হবিষ্যান্ন গ্রহণ করেন এবং শ্রাদ্ধকালীন কাছা ধারণ করেন। গোবিন্দ ঘোষের পারলৌকিক ক্রিয়ায় পিণ্ডদানের জন্যই এই আয়োজন। কেন এমন প্রথা? জনশ্রুতি আছে, শিশুপুত্রের মৃত্যুর পরে শোকে পাগলের মতো অবস্থা হয়েছিল গোবিন্দ ঘোষের। সেই সময় গোপীনাথ তাঁকে স্বপ্নে দেখা দেন। তিনিই পুত্র হিসেবে গোবিন্দ ঘোষের শ্রাদ্ধ করবেন বলে তাঁকে আশ্বাস দেন। সেই কথা মেনে গোবিন্দ ঘোষের মৃত্যুর পরে তাঁর শ্রাদ্ধ করেন গোপীনাথ। অনেকে বলেন, একমাত্র এখানেই ভক্তের শ্রাদ্ধ করেন ভগবান। সেই প্রথা এখনও চলছে।

    গোপীনাথ কী করে মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের জমিদারিভুক্ত হল?

    গোপীনাথ (Gopinath Temple) কী করে মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সম্পত্তি হল, সে এক ইতিহাস। আগে অগ্রদ্বীপ পাটুলির জমিদারদের সম্পত্তি ছিল। একবার অগ্রদ্বীপের বিশাল বারুণী মেলায় কিছু লোকের প্রাণহানি হয়। মুর্শিদাবাদের নবাব এই ঘটনায় ক্রুদ্ধ হয়ে সেখানকার জমিদারকে শাস্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। নবাব ডেকে পাঠালেন অগ্রদ্বীপ এলাকার আশপাশের সব জমিদারদের। দরবারে সব জমিদারদের মোক্তাররা হাজির হলেন। তাঁরা বললেন, “অগ্রদ্বীপ আমাদের প্রভুর নহে”। কৃষ্ণনগরের মোক্তার সুযোগ বুঝে বললেন, “ধর্মাবতার, ওই সম্পত্তি আমার প্রভুর। মেলায় যে প্রকার লোক সমাগম হয়, তাহাতে আরও অনিষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু আমার প্রভুর বিশেষ সতর্কতার জন্য তা হয়নি।” নবাব এই কথা শুনে দোষ ক্ষমা করলেন। তখন থেকে অগ্রদ্বীপ নদীয়ারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের সম্পত্তি হল। অন্য কথাও শোনা যায়, নবাব দরবারে কৃষ্ণচন্দ্রের পিতা নদীয়ারাজ রঘুরামের সুযোগ্য প্রতিনিধি ভবিষ্যতে মেলার সুব্যবস্থা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অগ্রদ্বীপকে আপন জমিদারিভুক্ত করেন। রাজা রঘুরাম লাভ করলেন গোপীনাথকে।

    গোপীনাথ মন্দির নির্মাণ করেন কৃষ্ণচন্দ্র

    অগ্রদ্বীপের গোপীনাথ মন্দির (Gopinath Temple) নির্মাণ করেন কৃষ্ণচন্দ্র। ভূমিকম্পের পর থেকে এই মন্দিরের অবস্থা ভগ্নপ্রায়। মূল মন্দিরের দুই পাশে যে ভোগমন্দির ও নাটমন্দির ছিল, তা ধ্বংসপ্রায়। গোপীনাথ মন্দির হল দালান মন্দির। ভাস্কর্য ও স্থাপত্যের দিক থেকে এই মন্দির তেমন কিছু উল্লেখযোগ্য নয়। দীনবন্ধু মিত্র লিখেছেন: “সুগঠিত সুশোভিত মন্দির সুন্দর।” গোপীনাথ মন্দির সম্ভবত পলাশি যুদ্ধের পূর্বেই কৃষ্ণচন্দ্র নির্মাণ করেছিলেন। তিনি গোপীনাথের পুজোর জন্য কিছু দেবোত্তর জমি দান করেছিলেন। অগ্রদ্বীপের জমিদার মল্লিকরাও গোপীনাথের নামে দেবোত্তর জমি দান করেছিলেন। এখন যে জমির ওপরে গোপীনাথের মন্দির রয়েছে, সেখানে ছিল একটি আধুনিক কাপড়ের কল। ১৮২৮ সালে বিধ্বংসী বন্যায় ও ভাগীরথী বারবার বাঁক পরিবর্তনের ফলে কৃষ্ণচন্দ্র রায় নির্মিত অগ্রদ্বীপের গোপীনাথ মন্দিরটি গঙ্গাগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এখনকার মন্দিরটি থেকে প্রায় এক মাইল উত্তর-পশ্চিমে ছিল কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের তৈরি মন্দিরটি। ‘সম্বাদ ভাস্কর’ পত্রিকা থেকে জানা যায়, বর্তমান মন্দিরটি নির্মিত হয়েছিল যশোরের বগচরের বাসিন্দা গোপীনাথ পোদ্দারের অর্থানুকূল্যে। তিনি ১৮২৩ সালে প্রায় পাঁচ হাজার টাকা দান করেছিলেন।

    গোপীনাথকে নিয়ে কৃষ্ণচন্দ্র-নবকৃষ্ণের বিরোধ

    জানা যায়, অগ্রদ্বীপের গোপীনাথ বিগ্রহ নিয়ে মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সঙ্গে শোভাবাজারের মহারাজা নবকৃষ্ণ দেবের মাতৃশ্রাদ্ধের সময় এক ঐতিহাসিক বিরোধ হয়েছিল। মাতৃশ্রাদ্ধের সময় নবকৃষ্ণের ইচ্ছা হয়, বাংলাদেশের লোকপ্রিয় বিগ্রহগুলি কয়েকদিনের জন্যে কলকাতায় শোভাবাজার রাজবাড়িতে তাঁর মায়ের শ্রাদ্ধবাসরে নিয়ে এসে প্রতিষ্ঠা করে পূজার্চনা করবেন তিনি। এই ইচ্ছা কার্যকর করতে তিনি লক্ষাধিক টাকা ব্যয় করেন। শ্রাদ্ধ শেষ হবার পর অন্যান্য বিগ্রহ ফিরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু অগ্রদ্বীপের গোপীনাথকে দেওয়া হয়নি। কারণ, নবকৃষ্ণ স্বপ্ন দেখেছিলেন, গোপীনাথ (Gopinath Temple) তাঁর কাছে থাকতে চান। কৃষ্ণচন্দ্র তখন জমিদারির ব্যাপারে হেস্টিংসের নতুন বন্দোবস্তের জন্য নানা দিক থেকে বিপন্ন ও বিপর্যস্ত। মধ্যে মধ্যে নবকৃষ্ণের কাছে টাকার জন্যে তাঁকে হাত পাততে হত, নানা বিষয়ে উপদেশ-পরামর্শও নিতে হত। তিন লক্ষ টাকা নবকৃষ্ণের কাছ থেকে তিনি ঋণ করেছিলেন। গোপীনাথ বিগ্রহের বিনিময়ে এই ঋণ নবকৃষ্ণ মকুব করতেও রাজি ছিলেন। কিন্তু, ঋণ তো দূরের কথা, প্রাণের চেয়েও অধিকতর মূল্য হল আভিজাত্য-সামাজিক মর্যাদা। বিগ্রহ নিয়ে কলকাতা ও কৃষ্ণনগরের দুই মহারাজার মধ্যে মর্যাদার লড়াই বাধল। কৃষ্ণচন্দ্র প্রাচীন রাজবংশের বংশধর, নবকৃষ্ণ এক পুরুষের অর্বাচীন মহারাজা। বিগ্রহ নিয়ে অবশেষে মামলা হল আদালতে। কয়েক হাজার টাকা জলের মতো খরচ হয়ে গেল। শেষ পর্যন্ত বিরোধের মীমাংসা করলেন ওয়ারেন হেস্টিংস। জয় হল কৃষ্ণচন্দ্রের। কিন্তু, নবকৃষ্ণের নয়া আভিজাত্যের গর্বোদ্ধত মাথা সহজে হেঁট হবার নয়। আরও কয়েক হাজার টাকা খরচ করে তিনি গোপীনাথের অবিকল একটি মূর্তি ওস্তাদ শিল্পীদের দিয়ে তৈরি করালেন। কিন্তু কৃষ্ণচন্দ্র যাঁদের মূর্তিটি আনতে পাঠিয়েছিলেন, তাঁরা সঠিক মূর্তিটি নিয়েই ফিরে আসেন। কৃষ্ণচন্দ্রের দূতরা “আনন্দ সাগরে মগ্ন হয়ে হরিহরি ধ্বনি দিয়ে স্বস্থানে প্রস্থান করলেন। রাজা নবকৃষ্ণ যে সকল বহুমূল্য আভরণ ঠাকুরকে দিয়েছিলেন তা এখনও ঠাকুরের অঙ্গে আছে। “

    বারুণীর স্নান উৎসব

    আগে অগ্রদ্বীপের খ্যাতি ছিল ছিল বারুণীর স্নান উৎসবের জন্যই। এই বারুণী স্নান উৎসব হয়, চৈত্রের কৃষ্ণা ত্রয়োদশীতে। জনশ্রুতি আছে, এই উৎসবের সূচনা হয়েছিল শ্রীচৈতন্যের আবির্ভাবের অনেক আগেই। বহু দিন থেকেই বাংলা, বিহার, বাংলাদেশ এবং ওড়িশার নানা প্রান্ত থেকে মানুষ অগ্রদ্বীপে বারুণীর স্নান উৎসবে শামিল হতে আসতেন। রেভারেন্ড ফাদার জেমস লঙের ‘দ্য ব্যাঙ্কস অব ভাগীরথী’ থেকে জানা যায়, ১৮২৩ সালে অগ্রদ্বীপের এই গোপীনাথ (Gopinath Temple)-বারুণী মেলার আগত ভক্তের সংখ্যা ছিল এক লক্ষের বেশি। বিক্রি হয়েছিল আনুমানিক বারো লক্ষ টাকারও বেশি। সেই সময়, গঙ্গাসাগর মেলার থেকেও অগ্রদ্বীপের বারুণীর স্নানের খ্যাতি ছিল বেশি। এই স্নানে কেউ কেউ গঙ্গাবক্ষে সন্তান বিসর্জন দিতেন। জেমস লঙ লিখেছেন, ১৮১৩ সালে চৈত্রে অগ্রদ্বীপে ও কাটোয়ায় দু’টি নারকীয় ঘটনা ঘটেছিল। যশোর ও ঢাকা থেকে এসে দু’জন তাঁদের সন্তান গঙ্গাবক্ষে বিসর্জন দিয়েছিলেন।

    বারোদোলে গোপীনাথ

    কৃষ্ণচন্দ্র কৃষ্ণনগর রাজবাড়িতে যে বারদোল মেলা প্রবর্তন করেন, সেই মেলায় এই গোপীনাথ বিগ্রহকে (Gopinath Temple) নিয়ে যাওয়া হত। দীনবন্ধু মিত্র লিখেছেন, “দ্বাদশ গোপাল মধ্যে গোপীনাথে গণে, বারদোলে দোলে তাই রাজার সদনে।” সম্প্রতি, অগ্রদ্বীপের গোপীনাথ মন্দিরের প্রণামী ও মেলা বাবদ যে মোটা টাকা রাজপরিবারের হাতে চলে যায়, তা নিয়ে অগ্রদ্বীপবাসী বনাম রাজপরিবারের বিরোধ শুরু হয়েছে। অগ্রদ্বীপবাসীরা গোপীনাথকে আর কৃষ্ণনগরে পাঠাবেন না বলে স্থির করেছেন। ফি বছর গোপীনাথ মন্দিরে মেলায় লক্ষ লক্ষ ভক্ত সমাগম হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Metal Object On Railway: এবার সেবকে রেললাইন থেকে উদ্ধার ধাতব পাত, ধৃত ১

    Metal Object On Railway: এবার সেবকে রেললাইন থেকে উদ্ধার ধাতব পাত, ধৃত ১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের কানপুরের পর এবার পশ্চিমবঙ্গের সেবক (Metal Object On Railway)। চালকের তৎপরতায় এবার রক্ষা পেল ডাউন কামাখ্যা আনন্দবিহার টার্মিনাল স্পেশাল এক্সপ্রেস। কানপুরে যেমন রেল লাইনে রাখা হয়েছিল আস্ত একটি গ্যাস সিলিন্ডার। সেবকে রেল লাইনের ওপর পড়ে ছিল আস্ত একটি নির্মাণ সামগ্রী। চালকের নজরে পড়তেই ব্রেক কষেন তিনি। ট্রেন থেমে যায়। রক্ষা পান ওই ট্রেনের যাত্রীরা। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে আসেন রেলকর্মী এবং আধিকারিকরা। তার পরেই লাইন থেকে সরানো হয় ওই নির্মাণ সামগ্রী। তদন্ত শুরু করেছে রেল পুলিশ।

    সেবকে লাইনে নির্মাণ সামগ্রী (Metal Object On Railway)

    রেল সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সেবকের ৩২/৪ সিগন্যাল পোস্টের কাছে রেলের লাইনে কে বা কারা ফেলে রাখে নির্মাণ সামগ্রী। বিকেল ৩টে ৩১ মিনিট নাগাদ ওই লাইনে চলে আসে ডাউন আনন্দ বিহার এক্সপ্রেস। ট্রেনটি শিলিগুড়ির দিকে যাচ্ছিল। রুংটুং এলাকায় লাইনে নির্মাণ সামগ্রী পড় থাকতে দেখে ট্রেন থামিয়ে দেন চালক। ওই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে রেলপুলিশ। অভিযুক্তকে নিয়ে বেশ কয়েক জায়গায় অভিযানও চালায় রেলপুলিশ। ঘটনায় আরও তিন-চারজন জড়িত রয়েছে বলে খবর। তাদের খোঁজে শুরু হয়েছে জোরদার তল্লাশি।

    কী বলছে রেল

    উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জল কিশোর শর্মা বলেন, “একটি দুষ্কৃতীর দল একাজ করেছে। ওই এলাকায় রেলের খুঁটি বসানোর কাজ চলছিল। সেই কাজেই ব্যবহার করা সামগ্রী চুরি করতে চেয়েছিল অভিযুক্তরা। তারাই লোহার ড্রামগুলি লাইনে রেখেছিল, যাতে ট্রেন গেলে সেগুলি ছোট ছোট টুকরো হয়ে যায়। এতে চুরি করতে সুবিধা হবে।” ইতিমধ্যেই আমরা একজনকে গ্রেফতার করেছি। এই ঘটনার সঙ্গে আরও অনেকে যুক্ত। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

    কানপুরে লাইনে মিলল আর কী কী

    বাংলায় (Metal Object On Railway) যদি লাইনে নির্মাণ সামগ্রী রাখা চোরেদের কাজ হয়, কানপুরের ঘটনার নেপথ্যে জঙ্গিরা রয়েছে বলেই ধারণা সংশ্লিষ্ট মহলের। কানপুরে অবশ্য রেললাইনে নির্মাণ সামগ্রী রাখা হয়নি, রাখা হয়েছিল আস্ত গ্যাস সিলিন্ডার। রবিবার কানপুরের শিবরাজপুরের কাছে রেললাইনের ওপর থেকে উদ্ধার হয় রান্নার গ্যাসের ওই সিলিন্ডার (Metal Object On Railway)। অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছিল কালিন্দি এক্সপ্রেস। সিলিন্ডারটি উদ্ধার করার পাশাপাশি আরও কিছু সন্দেহজনক জিনিসও উদ্ধার করেছিলেন তদন্তকারীরা। রেল লাইনে যে জায়গা থেকে সিলিন্ডারটি উদ্ধার হয়েছে, সেখান থেকে বোতল ভর্তি একটি হলুদ রংয়ের পদার্থও পাওয়া গিয়েছে। লাইনের ওপর থেকে উদ্ধার হয়েছে একাধিক পেট্রল ভরা বোতল ও দেশলাই। ট্র্যাকে ভারী কিছু লোহার জিনিস ঘষার চিহ্নও দেখা গিয়েছে। তদন্তকারীরা একটি ব্যাগও উদ্ধার করেছিলেন (Metal Object On Railway)।

    গ্রেফতার শাহরুখ

    এই ঘটনার ঠিক পরের দিনই রাজস্থানের আজমের মালবাহী করিডরের রেললাইন থেকে উদ্ধার হয় প্রায় ৭০ কেজি ওজনের দুটি ব্লক। কানপুরের ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের অ্যান্টি-টেররিজম স্কোয়াড। ধৃতের নাম শাহরুখ খান। ওই ঘটনায় ইতিমধ্যেই জেরা করা হয়েছে সন্দেহভাজন ছজনকে। তাদের ছেড়ে দেওয়া হলেও, গ্রেফতার করা হয় শাহরুখকে। উত্তরপ্রদেশের ঘটনার নেপথ্যে জঙ্গি যোগ রয়েছে বলে খবর। এ সংক্রান্ত তথ্যপ্রমাণও জোগাড় করেছিলেন তদন্তকারীরা। জঙ্গিরা প্রয়াগরাজ-ভিওয়ানি কালিন্দি এক্সপ্রেস উল্টে দেওয়ার ছক কষেছিল বলে খবর। তদন্তকারীদের অনুমান, যে এই ষড়যন্ত্রের চাঁই, সে স্ব-উগ্রপন্থী। সে আইসিসের খোরাসান মডিউলের সঙ্গে জড়িত বলে অনুমান তদন্তকারীদের।

    ঘটনাপ্রবাহ

    কেবল এই তিনটি ঘটনাই (Metal Object On Railway) নয়, এমন ঘটনা আগও ঘটেছে। মোদি সরকারকে জনমানসে হেয় করতে রেললাইনের ওপর ফেলে রাখা হয়েছিল আস্ত গাছের গুঁড়ি। গত জুনে ঘটনাটি ঘটে ওড়িশার ভদ্রকে। ওই বছরেরই অক্টোবরে ছত্তিশগড় ও রাজস্থানের মধ্যে সংযোগকারী রেললাইনে ফেলে রাখা হয়েছিল পাথর। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে তামিলনাড়ুতে বন্দে ভারত লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। পশ্চিমবঙ্গের মালদায় সিগন্যাল টেম্পারিং করা হয়।

    পশ্চিমবঙ্গেরই বীরভূমে ভাঙচুর করা হয় লোকাল ট্রেনে। উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে আবার রেললাইনের ওপর ফেলে রাখা হয় গ্যাস সিলিন্ডার, হাতুড়ি। এরই কিছুদিন পরেই ফের এই এলাকায় রেললাইনে ফেলে রাখা হয় গ্যাস সিলিন্ডার এবং সাইকেল। রেললাইনের ওপর আস্ত বাইক রেখে চলে গিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। এবারও অকুস্থল সেই প্রয়াগরাজ। তেলঙ্গনায় আবার রেললাইনের ওপর ফেলে রাখা হয়েছিল লোহার ইয়া বড় রড। বারংবার একই ঘটনা ঘটায়। এসব ক্ষেত্রেই জঙ্গিদের হাত রয়েছে বলে অনুমান তদন্তকারীদের একাংশের। তবে আসল সত্য জানতে শাহরুখকে জেরা করা চলছে। এখন দেখার কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বের হয় কিনা (Metal Object On Railway)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • Ramakrishna 133: “দেশলাইয়ের কাঠি যদি ভিজে থাকে হাজার ঘষো, কোনরকমেই জ্বলবে না”

    Ramakrishna 133: “দেশলাইয়ের কাঠি যদি ভিজে থাকে হাজার ঘষো, কোনরকমেই জ্বলবে না”

    শ্রীযুক্ত বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ও অন্যান্য ভক্তের প্রতি ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের উপদেশ

    সপ্তম পরিচ্ছেদ

    ক্লেশোঽধিকতরস্তেষামব্যক্তাসক্তচেতসাম্‌ ৷
    অব্যক্তা হি গর্তিদুঃখং দেহবদ্ভিরবাপ্যতে ॥
         (গীতা — ১২।৫)

    যাঁর কাঁচা ভক্তি, সে ঈশ্বরের (Ramakrishna) কথা, উপদেশ, ধারণা করতে পারে না। পাকা ভক্তি হলে ধারণা করতে পারে। ফটোগ্রাফের কাচে যদি কালি (Silver Nitrate) মাখানো থাকে, তাহলে যা ছবি পড়ে তা রয়ে যায়। কিন্তু শুধু কাচের উপর হাজার ছবি পড়ুক একটাও থাকেনা—একটু সরে গেলেই, যেমন কাচ তেমনি কাচ। ঈশ্বরের উপর ভালবাসা না থাকলে উপদেশ ধারণা হয় না।

    বিজয়—মহাশয়, ঈশ্বরকে লাভ করতে গেলে, তাঁকে দর্শন করতে গেলে ভক্তি হলেই হয়?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—হাঁ, ভক্তি দ্বারাই তাঁকে দর্শন হয়, কিন্তু পাকা ভক্তি, প্রেমাভক্তি, রাগভক্তি চাই। সেই ভক্তি এলেই তাঁর উপর ভালবাসা আসে। যেমন ছেলের মার উপর ভালবাসা, মার ছেলের উপর ভালবাসা, স্ত্রীর স্বামীর উপর ভালবাসা।

    এ-ভালবাসা, এ-রাগভক্তি এলে স্ত্রী-পুত্র, আত্মীয়-কুটুম্বের উপর সে মায়ার টান থাকে না। দয়া থাকে। সংসার বিদেশ বোধ হয়, একটি কর্মভূমি মাত্র বোধ হয়। যেমন পাড়াগাঁয়ে বাড়ি কিন্তু কলকাতা কর্মভূমি; কলকাতায় বাসা করে থাকতে হয়, কর্ম করবার জন্য। ঈশ্বরে ভালবাসা এলে সংসারাসক্তি—বিষয়বুদ্ধি—একেবারে যাবে।

    বিষয়বুদ্ধির (Kathamrita) লেশমাত্র থাকলে তাঁকে দর্শন হয় না। দেশলাইয়ের কাঠি যদি ভিজে থাকে হাজার ঘষো, কোনরকমেই জ্বলবে না—কেবল একরাশ কাঠি লোকসান হয়। বিষয়াসক্ত মন ভিজে দেশলাই।

    শ্রীমতী (রাধিকা) যখন বললেন, আমি কৃষ্ণময় দেখছি, সখীরা বললে, কই আমরা তো তাঁকে দেখতে পাচ্ছি না। তুমি কি প্রলাপ বোকচো? শ্রীমতী বললেন, সখি! অনুরাগ-অঞ্জন চক্ষে মাখো, তাঁকে দেখতে পাবে। (বিজয়ের প্রতি) তোমাদের ব্রাহ্মসমাজেরই গানে আছে:

    প্রভু বিনে অনুরাগ, করে যজ্ঞযাগ, তোমারে কি যায় জানা।

    এই অনুরাগ, এই প্রেম, এই পাকা ভক্তি, এই ভালবাসা যদি একবার হয়, তাহলে সাকার-নিরাকার দুই সাক্ষাৎকার হয়।

    ঈশ্বরদর্শন—তাঁর কৃপা না হলে হয় না 

    বিজয়—ঈশ্বরদর্শন কেমন করে হয়?

    শ্রীরামকৃষ্ণ—চিত্তশুদ্ধি না হলে হয় না। কামিনী-কাঞ্চনে মন মলিন হয়ে আছে, মনে ময়লা পড়ে আছে। ছুঁচ কাদা দিয়ে ঢাকা থাকলে আর চুম্বক টানে না। মাটি কাদা ধুয়ে ফেললে তখন চুম্বক টানে। মনের ময়লা তেমনি চোখের জলে ধুয়ে ফেলা যায়। হে ঈশ্বর, আর অমন কাজ করব না বলে যদি কেউ অনুতাপে (Kathamrita) কাঁদে, তাহলে ময়লাটা ধুয়ে যায়। তখন ঈশ্বররূপ চুম্বক পাথর মনরূপ ছুঁচকে টেনে লন। তখন সমাধি হয়, ঈশ্বরদর্শন হয়।

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dehradun: দু’দিন পরে প্রাণ পেল দেরাদুনের ক্লক টাওয়ার! ফের কীভাবে চলল জানেন?

    Dehradun: দু’দিন পরে প্রাণ পেল দেরাদুনের ক্লক টাওয়ার! ফের কীভাবে চলল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেরাদুনের (Dehradun) আইকনিক ক্লক টাওয়ার ২ দিন প্রাণহীন থাকার পর আবার টিকটিক শব্দে চলতে শুরু করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, টাওয়ারে বসানো ঘড়ির ছয়টি সুইচের মধ্যে তিনটির তার কেটে ফেলেছিল কেউ বা কারা। তাই ঘড়িটি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ঘটনায় রাজ্যে ব্যাপক শোরগোল পড়ে। অবশেষে ঘড়ি বন্ধের কারণ জানাল পুলিশ। 

    পুলিশের বক্তব্য (Dehradun)

    কোতোয়ালি থানার (Dehradun) এসএইচও চন্দ্রভান সিং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পরে সাংবাদিকদের বলেন, “ক্লক টাওয়ারে স্থাপিত ঘড়ির ছয়টি সুইচের মধ্যে তিনটির তার কেটে ফেলা হয়েছিল। পরে তারগুলিকে আবার সংযুক্ত করা হয়েছে এবং বর্তমানে সেটি আবার কাজ করছে। ঘড়ি এখন স্থির নয়, টিকটিক শব্দে প্রবহমান।” তবে এই ক্লক টাওয়ারে চুরি হয়নি বলেই দাবি তাঁর। তিনি বলেন, “কাটা তার ছাড়া ব্যাটারি, ইনভার্টার ও অ্যামপ্লিফায়ারসহ সব কিছুই অক্ষত ছিল। কেউ চাবি দিয়ে এর একটি গেটের তালা খুলে টাওয়ারে প্রবেশ করেছিল। এরপর ভিতরের যন্ত্রাংশের তারগুলিকে কেটে দেওয়া হয়। এটি এমন একজনের কাজ বলে মনে হচ্ছে যার কাছে হয়তো টাওয়ারের চাবি ছিল। আমরা ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছি।” স্থানীয় সার্কেল অফিসার নীরজ সেমওয়াল বলেন, “ক্লক টাওয়ার পরিদর্শনের সময় জোরপূর্বক প্রবেশের কোনও চিহ্ন বা ছাপ পাওয়া যায়নি। সেখানে কাটা তারগুলোর অংশ বিশেষ পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। কোনও কিছুই ভেঙে করা হয়নি। ভিতরের যন্ত্রগুলি অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে।”

    আরও পড়ুনঃ বর্ধমান মেডিক্যালে অভীক গ্যাং-এর ‘দাদাগিরি’! হুমকি-ফোন জুনিয়র ডাক্তারদেরকে

    শহরের কেন্দ্রস্থলে ল্যান্ডমার্ক ঘড়ি

    ঘটনার কথা জানাজানি হতেই দেরাদুন (Dehradun) মিউনিসিপ্যাল ​​কর্পোরেশনের তরফে এফআইআর দায়ের করা হয়। পুলিশ তদন্তে নেমেছে। ক্লক টাওয়ার বা এই ঘন্টা ঘরটি শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত এবং এর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ল্যান্ডমার্ক হিসেবে কাজ করে। গত সোমবার এলাকার মানুষ, এই ঘড়ির কাঁটা নড়ছে না দেখে প্রথমে ডিএমসিতে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। পরে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে অপরাধীকে ধরতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share