Author: user

  • Piyush Goyal: “তামাক শিল্পে এফডিআই উদারীকরণ করবে না সরকার”, সাফ জানালেন গোয়েল

    Piyush Goyal: “তামাক শিল্পে এফডিআই উদারীকরণ করবে না সরকার”, সাফ জানালেন গোয়েল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “তামাক শিল্পে এফডিআই (FDI) উদারীকরণ করবে না কেন্দ্রীয় সরকার।” মঙ্গলবার একথা জানালেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল (Piyush Goyal)। নয়াদিল্লিতে শিল্পক্ষেত্রের অনুষ্ঠানের ফাঁকে একথা বলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তামাক শিল্পে সরকার এফডিআইয়ের বিভিন্ন বিধিগুলি আরও কঠোর করার কথা ভাবছে বলেও জানান তিনি।

    কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী? (Piyush Goyal)

    মন্ত্রী জানান, তামাক প্রোডাক্টের ফ্র্যাঞ্চাইজি, ট্রেডমার্ক এবং তামাকের কোনও ব্র্যান্ডিং এবং এই জাতীয় কোনও সাবস্টিটিউটের ক্ষেত্রে সরকার এফডিআই রেস্ট্রিকশনের কথা ভাবছে। প্রসঙ্গত, সরকারি নিয়মে ভারতে বর্তমানে তামাক জাতীয় প্রোডাক্ট উৎপাদনে এফডিআই অনুমোদন করা হয়নি। তামাক শিল্পে এফডিআই নীতি কঠোর করার প্রস্তাব বিবেচনাধীন বলেও জানান মন্ত্রী। তিনি জানান, বিষয়টি মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের জন্য চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রস্তাব প্রস্তুত করা হয়েছে। তামাক শিল্পকে পাপ বলেই বিবেচনা করা হয়।

    শিল্পমন্ত্রকের পার্লামেন্টারি কমিটির প্রস্তাব

    এই শিল্পের ক্ষেত্রেই থাকে হরেক কিসিমের চাপ। যখন তখনই বাড়িয়ে দেওয়া হয় মোটা অঙ্কের কর। ভারতে তামাক শিল্পেই (Piyush Goyal) জিএসটি দিতে হয় সব চেয়ে বেশি, ২৮ শতাংশ। ৬১ শতাংশ তামাক প্রোডাক্টের ওপর ট্যাক্স দিতে হয় দু’শো শতাংশ। ২০২০ সালে বাণিজ্য এবং শিল্পমন্ত্রকের পার্লামেন্টারি কমিটি এই শিল্পে এফডিআইয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল। তাদের যুক্তি ছিল, এতে করে তামাকজাত দ্রব্য বেশি করে রফতানি হবে। প্যানেল অবশ্য এ-ও বলেছিল, এই প্রস্তাব প্রযোজ্য হবে কেবলমাত্র তামাক ফার্মগুলির ক্ষেত্রে।

    আর পড়ুন: ব্রিকস পার্লামেন্টারি ফোরামে ভারতীয় সংসদীয় দলের নেতৃত্ব দেবেন স্পিকার

    সিগারেট রফতানিতে ভারত বিশ্বে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। ইউএন কমট্রেডের হিসেব বলছে, ভারত ২০২২ সালে সিগারেট রফতানি করেছিল ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি। আমদানি করেছিল ২৬ মিলিয়নের কাছাকাছি তামাকজাত দ্রব্য। আইবিইএফের হিসেবে, ভারতে তামাক ফার্মিং ক্ষেত্রে কাজ করেন ৩৬ মিলিয়ন মানুষ। এর মধ্যে রয়েছেন প্রসেসিং, ম্যানুফ্যাকচারিং এবং এক্সপোর্টের কাজে জড়িত মানুষজনও। প্রতিবার কেন্দ্রীয় বাজেটে মোটা অঙ্কের কর আরোপ করা হয় তামাক শিল্পে।

    উল্লেখ্য, সম্প্রতি ভারতে অননুমোদিত উৎপাদন ও চিবানো তামাকের ব্যবহার কমাতে সরকারকে সাহায্য করার অনুরোধ করেছিলেন ব্যবসায়ীরা। তাঁরা এ-ও (FDI) জানিয়েছিলেন, এতে বিপুল ক্ষতি হচ্ছে সরকারি কোষাগারের। দেশে বেআইনিভাবে উৎপাদিত সিগারেটের বিক্রি বেড়েছে বলেও জানিয়েছিলেন (Piyush Goyal) তাঁরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ranaghat: “তৃণমূলের দালালি করছে কেন্দ্রীয় বাহিনী”, বিস্ফোরক রানাঘাট দক্ষিণের বিজেপি প্রার্থী

    Ranaghat: “তৃণমূলের দালালি করছে কেন্দ্রীয় বাহিনী”, বিস্ফোরক রানাঘাট দক্ষিণের বিজেপি প্রার্থী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার রানাঘাট (Ranaghat) দক্ষিণ বিধানসভা উপ-নির্বাচন ছিল। মঙ্গলবার রাত থেকেই তৃণমূলের তাণ্ডবে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। বুধবার ভোটের দিনও তৃণমূলের বাইক বাহিনী সন্ত্রাস চালায়। বিজেপির বুথ অফিস ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এদিন ভোট পর্ব চলাকালীন একাধিক বুথে গিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন রানাঘাট দক্ষিণের বিজেপি প্রার্থী মনোজ বিশ্বাস। বাহিনীকে তুলোধনা করেন তিনি।

    তৃণমূলের দালালি করছে কেন্দ্রীয় বাহিনী (Ranaghat)

    এদিন সকাল থেকেই বিক্ষিপ্ত ভাবে বিভিন্ন বুথ থেকে অশান্তির খবর এসেছে। একটি বুথে (Ranaghat) ঢুকতে গিয়ে বাধা পান বিজেপি প্রার্থী। অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনীর যে জওয়ান ওই কেন্দ্রে (By-Election) নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন, তিনি বিজেপি প্রার্থীর কাছে পরিচয়পত্র দেখতে চেয়েছিলেন। তাকে কেন্দ্র করেই বচসা শুরু হয়। তিনি বলেন, বুথ থেকে বেরিয়ে বিজেপি বলেন, “প্রার্থী হিসেবে আমি সকাল থেকে বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছি। আমাকে বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। প্রতিবাদ জানালে উনি উচ্চতর আধিকারিককে ফোন করি। তার পর আর বাধা দেননি। আসলে প্রশাসন, তৃণমূল, অপরাধীরা সকলে মিলে একজোট হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী কোথাও সক্রিয় নয়, আবার কোথাও অতি সক্রিয়। এই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর স্বাধীনতা নেই। তারা বাংলার পুলিশ দ্বারা পরিচালিত এবং প্রভাবিত। সব কিছু দেখে মনে হচ্ছে, তৃণমূলের দালালি করছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।”

    আরও পড়ুন: উপ-নির্বাচনেও চলল গুলি, বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    তৃণমূল প্রার্থী কী বললেন?

    বিজেপি প্রার্থীর মন্তব্যকে কটাক্ষ করে তৃণমূল প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারী বলেন, “বেশিরভাগ জায়গাতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়েছে। কোথাও কোথাও ভোটারদের প্রভাবিতও করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। যেখানে তারা নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করেছে, সেখানেই বিজেপির আপত্তি। কেন্দ্রীয় বাহিনী যদি নিরপেক্ষ কাজ করে, তবে কি সেটা দালালি?” প্রসঙ্গত, বুধবার রাজ্যের চার কেন্দ্রে উপনির্বাচন (By-Election) ছিল। রানাঘাট ছাড়াও ভোট হয়েছে কলকাতার মানিকতলা, উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ এবং উত্তর ২৪ পরগনা বাগদায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Om Birla: ব্রিকস পার্লামেন্টারি ফোরামে ভারতীয় সংসদীয় দলের নেতৃত্ব দেবেন স্পিকার

    Om Birla: ব্রিকস পার্লামেন্টারি ফোরামে ভারতীয় সংসদীয় দলের নেতৃত্ব দেবেন স্পিকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিকস পার্লামেন্টারি ফোরামে (BRICS Forum) ভারতীয় সংসদীয় দলের নেতৃত্ব দেবেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা (Om Birla)। ১১-১২ জুলাই রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে অনুষ্ঠিত হবে ১০তম ব্রিকস পার্লামেন্টারি ফোরাম। এই ফোরামেই যোগ দেবে ভারতীয় সংসদীয় দল, যার নেতৃত্ব দেবেন লোকসভার স্পিকার।

    প্রতিনিধি দলে কারা থাকবেন? (Om Birla)

    ভারতীয় সংসদীয় এই প্রতিনিধি দলে থাকবেন রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ, রাজ্যসভার সেক্রেটারি জেনারেল পিসি মোদি, রাজ্যসভার সাংসদ শম্ভুশরণ প্যাটেল, লোকসভার মহাসচিব উৎপল কুমার সিং, লোকসভা সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব অঞ্জনি কুমার-সহ আরও কয়েকজন। ব্রিকস পার্লামেন্টারি ফোরামে ফি বছর একটি করে বিষয়ের ওপর আলোচনা করা হয়। এবারের থিম হল, ‘রোল অফ পার্লামেন্টস ইন স্ট্রেনদেনিং মাল্টিল্যাটারালিজম ফর জাস্ট গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সিকিউরিটি’। ব্রিকসের সদস্য দেশগুলি হল ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইরান, মিশর, ইথিওপিয়া এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।

    কী বললেন লোকসভার স্পিকার?

    এক্স হ্যান্ডেলে লোকসভার স্পিকার লিখেছেন, “সেন্ট পিটার্সবার্গে অনুষ্ঠিত দশম ব্রিকস পার্লামেন্টারি ফোরামে আইপিডির নেতৃত্ব দিচ্ছি। ব্রিকস এবং আমন্ত্রিত দেশগুলির সঙ্গে ইন্টার পার্লামেন্টারি সহযোগিতা মজবুত করতে মুখিয়ে রয়েছি। এই সফরে ভাইব্র্যান্ট ইন্ডিয়ান প্রবাসীদের সঙ্গে কখন সাক্ষাৎ করতে পারব, সেদিকেও তাকিয়ে রয়েছি।” এই ফোরামে (Om Birla) গিয়ে লোকসভার স্পিকার বিভিন্ন দেশের স্পিকারদের সঙ্গে যোগ দেবে পার্শ্ববৈঠকে। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ভারতের অবস্থানও স্পষ্ট করবেন তিনি। মস্কোয় ভারতীয় বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন তিনি।

    আর পড়ুন: “এটা যুদ্ধের সময় নয়, সমর্থনযোগ্য নয় সন্ত্রাসবাদও”, অস্ট্রিয়ায় বললেন মোদি

    এই ফোরামে মূলত দু’টি বিষয়ে তাঁর বক্তব্য পেশ করবেন লোকসভার স্পিকার। একটি হল, ‘ব্রিকস পার্লামেন্টারি ডাইমেনশন – পসিবিলিটিজ অফ স্ট্রেনদেনিং ইন্টার পার্লামেন্টারি কো-অপারেশন’ এবং ‘রোল অফ পার্লামেন্টস ইন ওভারকামিং থ্রেটস রিলেটেড টু ফ্র্যাগমেন্টেশন অফ দ্য মিউচুয়াল ট্রেডিং সিস্টেম অ্যান্ড দ্য কনসিকোয়েন্সেস অফ গ্লোবাল ক্রাইসিস’। ব্রিকস সম্মেলনের শেষে পাশ হবে জয়েন্ট স্টেটমেন্ট।

    প্রসঙ্গত, এবারের ব্রিকস সম্মেলনে (BRICS Forum) আমন্ত্রিত দেশ হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আজারবাইজান, আর্মেনিয়া, বেলারুশ, কিরগিজ রিপাবলিক, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান এবং তুর্কিমেনিস্তানের প্রতিনিধিরাও (Om Birla)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Sukanta Majumdar: “উপ-নির্বাচনেও ভোট লুট করেছে তৃণমূল”, তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “উপ-নির্বাচনেও ভোট লুট করেছে তৃণমূল”, তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের উপ-নির্বাচন নিয়ে মুখ খুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। ভোট নিয়ে তৃণমূলকে তুলোধনা করলেন তিনি। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের পশ্চিমবঙ্গকে নিয়ে আলাদা করে ভাবা উচিত বলে জানান তিনি। বুধবার বালুরঘাট থেকে দিল্লি যাওয়ার পথে বাগডোগরা বিমানবন্দরে উপ-নির্বাচনসহ একাধিক ইস্যুতে তৃণমূলকে এক হাত নিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।

    উপ-নির্বাচনেও ভোট লুট করেছে তৃণমূল (Sukanta Majumdar)

    এদিন রাজ্যের উপ-নির্বাচনের গতিবিধি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, দলদাস পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূল (Trinamool Congress) রাস্তায় গুন্ডা দাঁড় করিয়ে ভোট লুট করছে। বিরোধীদের মারধর, ভাঙচুর চলছে।  এটা ভোট নয়। ভোটের নামে প্রহসন। যদি  মানুষকে অবাধে ভোট দিতে দেওয়া হয় তাহলে এই উপ-নির্বাচনেও তৃণমূলের ভরাডুবি হবে। ৭০ শতাংশের ওপর ভোট পড়লেই বিজেপির সাফল্য নিশ্চিত। কিন্তু, যেভাবে ভোট লুট ও  মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ চলছে তাতে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন বিশেষভাবে ভাবা দরকার। পশ্চিমবঙ্গকে নিয়ে আলাদা করে ভাবতে হবে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনকে। দেশের অন্যান্য জায়গার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গকে মেলালে চলবে না।

    আরও পড়ুন: উপ-নির্বাচনেও চলল গুলি, বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে সরব সুকান্ত

    সব্জি সহ নিত্য প্রয়োজরীয়  জিনিসের দাম চড়চড়িয়ে বাড়ছে। সব জিনিসের  আকাশছোঁয়া দাম। বাজারে আগুন।  মধ্যবিত্তের নাভিশ্বাস উঠেছে।  এই মূল্য বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে রাজ্য সরকারের টাস্কফোর্স গঠন নিয়ে এদিন কটাক্ষ করেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, যা কিছু হচ্ছে প্রকাশ্যে, সকলের সামনে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি জানতেন না। টাস্কফোর্স গঠন কেন করা হবে। তাহলে মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর সরকার সারাবছর কী করেন?

     বিশ্ববিদ্যালয়গুলির অচলাবস্থা নিয়ে মুখ খুললেন সুকান্ত

    উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলির অচলাবস্থা নিয়ে এদিন রাজ্যের তৃণমূল সরকারের সমালোচনা করেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলি দুর্নীতিতে বেহাল হয়ে পড়েছে। রাজ্যপাল ও রাজ্য শিক্ষামন্ত্রী, এই দুইয়ের লড়াইয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তৃণমূল সরকার সবসময়ই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে একটা জটিলতা তৈরি করার চেষ্টা করে চলেছে। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের এই যুদ্ধের মনোভাবের কারণেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে আজ শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হতে বসেছে। রাজ্যপাল সাংবিধানিক বলে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য। তাই তাকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিবে। তাতে রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়। কিন্তু, সেটাই করছে রাজ্যের তৃণমূল (Trinamool Congress) সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kamarhati: কিশোরের সঙ্গে নৃশংস অত্যাচার! জয়ন্তর আরও কুকীর্তি ফাঁস, মদন ঘনিষ্ঠ যোগও স্পষ্ট

    Kamarhati: কিশোরের সঙ্গে নৃশংস অত্যাচার! জয়ন্তর আরও কুকীর্তি ফাঁস, মদন ঘনিষ্ঠ যোগও স্পষ্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কামারহাটির (Kamarhati) তৃণমূল ঘনিষ্ঠ স্বঘোষিত ‘ডন’ জয়ন্ত সিং এখন জেলে রয়েছেন। তাঁর একের পর এক কুকীর্তির ভিডিও প্রকাশ্যে আসছে। যা দেখে আঁতকে উঠছেন সাধারণ মানুষ। জয়ন্ত ও তাঁর বাহিনীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আর্জি জানাচ্ছেন সকলে। কামারহাটি, আড়িয়াদহ জুড়ে শাসক দলের ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদে দাপিয়ে বেড়াতেন জয়ন্ত। সেই জয়ন্ত রাজ খতম করারও আর্জি জানাচ্ছেন সকলে।

    জয়ন্তর আরও কুকীর্তি ফাঁস! (Kamarhati)

    জয়ন্ত বাহিনীর আরও দুটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এক কিশোরকে নগ্ন করে তার যৌনাঙ্গ সাঁড়াশি দিয়ে চেপে ধরে টানা হচ্ছে। যিনি এটি করছেন, তিনি জয়ন্তেরই ঘনিষ্ঠ বৃত্তের এক জন। নাম লাল্টু। আর একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের অন্ধকারে বাইক নিয়ে জয়ন্তর বাহিনী একটি বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে এলোপাথাড়ি ইট ছুঁড়ছেন। সঙ্গে একটি যুবতী রয়েছেন। তিনি জয়ন্তর গার্লফ্রেন্ড হিসেবে পরিচিত। সেই যুবতীর সামনে জয়ন্তর বাহিনীর ছেলেরা  একটি বাড়িতে ঢিল ছুঁড়ছেন। জানা গিয়েছে, দাবি মতো তোলার টাকা না পাওয়ার কারণে এই হামলা। এছাড়া তালতলা স্পোটিং ক্লাবের ভিতরে নৃশংস অত্যাচারের ঘটনা তো রয়েছে। সবমিলিয়ে জয়ন্ত বাহিনীর সকলকে গ্রেফতার করার আর্জি জানাচ্ছেন কামারহাটির মানুষ।

    আরও পড়ুন: উপ-নির্বাচনেও চলল গুলি, বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    সামান্য দুধ বিক্রেতা থেকে মাফিয়া!

    জয়ন্ত এক দিনে ‘জায়ান্ট’ হননি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জয়ন্তের বাবা অনেক বছর আগে কামারহাটিতে (Kamarhati) আসেন। থাকতে শুরু করেন আড়িয়াদহে। তাঁদের খাটাল ছিল। মূল ব্যবসা ছিল গরুর দুধের। গোড়ায় কিছু দিন দুধের ব্যবসাও করেছেন জয়ন্ত। তার পর ক্রমে পথ বদলাতে শুরু করেন তিনি। বিভিন্ন ক্লাবের মাথা হয়ে ওঠেন জয়ন্ত। যে সব ক্লাব সংগঠনে নিজের বাহিনী তৈরি করেন, তার মূল মাথা ছিল আড়িয়াদহের তালতলা ক্লাব। অভিযোগ, তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের ঘনিষ্ঠ জয়ন্ত। মদনের (Trinamool Congress) বল-ভরসাতেই তাঁর এত  হয়ে রমরমা। মদন অবশ্য বলেছেন, তাঁর সঙ্গে ছবি রয়েছে মানেই ঘনিষ্ঠতা ছিল তা প্রমাণিত হয় না। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমদিকে তিনি দুধের ব্যবসা করতেন। পরে, শুরু করেন ইট, বালি, সিমেন্ট, চুন, সুরকির সিন্ডিকেট। পুকুর বুজিয়ে বহুতল তৈরি করে কোটি কোটি টাকা হাতে আসে তাঁর। জয়ন্তের এক ভাই কলকাতা ফুটবলের নামী খেলোয়াড়। তিনি ইস্টবেঙ্গল এবং মহামেডান স্পোর্টিংয়েও খেলেছেন। জানা গিয়েছে, বারাকপুর থেকে ডানলপ পর্যন্ত বিটি রোডের ধারের সমস্ত পানশালায় অবাধ যাতায়াত ছিল জয়ন্তের।  বাহিনী নিয়ে সেখানে চলত ফুর্তির ফোয়ারা। তবে টাকাপয়সা চাইলেই শুরু হত বচসা। বেরিয়ে পড়ত নাইন এমএম, একনলা। বিভিন্ন পানশালায় একাধিক গন্ডগোলের ঘটনাতেও জয়ন্তের নাম জড়ায় বলে দাবি অনেকের।

    মদনের বউমার সঙ্গে কেক কাটতে দেখা গিয়েছে জয়ন্তকে

    জয়ন্ত সিংয়ের ক্লাবের ফেসবুক পেজে বেশ কয়েকটি ভিডিও দেখা গিয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ২০২৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মদন মিত্রের (Trinamool Congress) ছেলে শুভরূপ মিত্র স্টেজে জয়ন্ত সিংয়ের গলায় মালা পরিয়ে দিচ্ছেন। তাঁর গলায় হাত দিয়ে ছবিও তুলছেন। শুধু তাই নয়, মদন মিত্রের ছেলে শুভদীপ মিত্র বললেন, “এই তালতলা স্পোর্টিং ক্লাবকে (Kamarhati) যে ভীষণ ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, সে হল এই জয়ন্ত সিং।” প্রকাশ্যে আরও একটি ভিডিওতে মদন মিত্রের ছেলে শুভদীপ মিত্রের একেবারে পারিবারিক অনুষ্ঠানেও উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছে জয়ন্ত সিংকে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, জয়ন্ত সিং কেক কাটচ্ছেন, পাশে মদন মিত্রের পত্রবধূ মেঘনা মিত্র। তিনি কেক কেটে তাঁকে নিজের হাতে খাওয়ালেন। পিছনেই দাঁড়িয়ে ছিলেন মদনের ছেলে। তাঁকেও পরে কেক খাওয়ালেন জয়ন্ত।

    পুলিশ কমিশনারেটের কর্তা কী বললেন?

    বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া বলেন, এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৮ জনকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে  মামলা করা হয়েছে। যে কটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, সেগুলির সত্যতা যাচাই করা হয়েছে। পাশাপাশি দুষ্কৃতীদের সনাক্ত করে মামলা রুজু করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আগেই ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। মঙ্গলবার আরও তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Darjeeling: আপনি কি দার্জিলিং-কালিম্পং বেড়াতে যেতে চাইছেন? বিপদ এড়াতে এই তথ্য জেনে নিন

    Darjeeling: আপনি কি দার্জিলিং-কালিম্পং বেড়াতে যেতে চাইছেন? বিপদ এড়াতে এই তথ্য জেনে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপনি কি দার্জিলিং (Darjeeling) বা কালিম্পং বেড়াতে যেতে চাইছেন? এই বর্ষায় প্রতিকূল আবহাওয়াকে উপেক্ষা করে কীভাবে পাহাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কাছাকাছি পৌঁছে যাবেন, তা জেনে নেওয়া প্রয়োজন। কোন কোন পথ নিরাপদ এবং কোন কোন পথ বিপজ্জনক, তা আগে জানা দরকার। বুধবারই প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, সেতি ঝোরা থেকে চিত্রে যাওয়ার জাতীয় সড়ক ১০ বন্ধ রাখা হয়েছে। আবার রবি ঝোরা থেকে তিস্তা বাজার যাওয়ার রাস্তায় চলছে মেরামতির কাজ। একাধিক জায়গায় নেমেছে ধস। তাই পর্যটকদের বেড়াতে যাওয়ার আগে একবার পর্যটন কেন্দ্র এবং যাওয়ার পথ সম্পর্কে তথ্য নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

    স্বাভাবিক চলাচলের উপর নিয়ন্ত্রণ (Darjeeling)

    বর্ষার শুরু থেকেই রাজ্যের উত্তরবঙ্গের (Darjeeling) জেলাগুলি ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণে নাজেহাল। উত্তরবঙ্গে পাহাড়, ডুয়ার্স, তরাই অঞ্চল এবং সমভূমির অধিকাংশ এলাকা বর্ষা কবলিত। ইতিমধ্যে তিস্তায় সর্তকতা জারি হয়েছে। একাধিক জায়গায় ধসের কারণে স্বাভাবিক চলাচলের উপর নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। দুর্যোগের কারণে বহু রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাই কোন কোন রাস্তার কেমন পরিস্থিতি, তা পর্যটকদের জানা একান্ত প্রয়োজন। জেলা প্রশাসন থেকে এই বিষয়ে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থীর দাদার ‘দাদাগিরি!’, শোরগোল

    জাতীয় সড়ক ৭১৭ নম্বর ধস!

    প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দার্জিলিং জেলার (Darjeeling) পানবু রোড হয়ে কালিম্পং থেকে শিলিগুড়ি যাওয়ার রাস্তা খোলা থাকবে। একই ভাবে খোলা রয়েছে মনসং হয়ে রংপো থেকে লাভা যাওয়ার রাস্তা। তবে জাতীয় সড়ক ৭১৭ নম্বর ধস এবং বৃষ্টির জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে শুধু যে রাস্তায় ধস বা জল জমে রয়েছে তাই নয়, অতি ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বাতাসে জলীয় বাষ্পের জন্য দৃশ্যমানতাও কমে গিয়েছে। টেলি কমিউনিকেশনেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি এবং বিপর্যয় ঘটেছে। কাঁচা বাড়ি এবং নদীর উপর কাঁচা বাঁধে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জমির ফসলের উপর বন্যার জলের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi In Austria: “এটা যুদ্ধের সময় নয়, সমর্থনযোগ্য নয় সন্ত্রাসবাদও”, অস্ট্রিয়ায় বললেন মোদি

    PM Modi In Austria: “এটা যুদ্ধের সময় নয়, সমর্থনযোগ্য নয় সন্ত্রাসবাদও”, অস্ট্রিয়ায় বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া সফর সেরে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi In Austria)। প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ভিয়েনায় পা রেখেছিলেন ১৯৮৩ সালে। আর ২০২৪ সালে সেখানে (Terrorism War) পদার্পণ করলেন নরেন্দ্র মোদি।

    ‘বন্দে মাতরম’-এ স্বাগত মোদিকে (PM Modi In Austria)

    বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর কার্ল নেহামার। ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে হাজির ছিলেন অস্ট্রিয়ার বিদেশমন্ত্রী আলেকজান্ডার শ্যালেনবার্গ-ও। উপস্থিত ছিলেন অস্ট্রিয়ান শিল্পীরাও। তাঁদের কণ্ঠে ‘বন্দে মাতরম’ গান শুনে মুগ্ধ মোদি। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “অস্ট্রিয়া তার প্রাণবন্ত সঙ্গীত ও সংস্কৃতির জন্য পরিচিত। বন্দে মাতরম-এর আশ্চর্যজনক পরিবেশনে আমি তার আভাস পেয়েছি।”

    কী বললেন অষ্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর?

    বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “ভারত-অস্ট্রিয়া বন্ধুত্বের গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানান অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর কার্ল নেহামার। দুই নেতার মধ্যে এটাই প্রথম বৈঠক। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিপুল উন্নতির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।” এদিকে, এক্স হ্যান্ডেলে তাঁর সঙ্গে মোদির একটি ছবি পোস্ট করেছেন অষ্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর। লিখেছেন, “ভিয়েনায় স্বাগত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অস্ট্রিয়ায় আপনাকে স্বাগত জানাতে পারাটা আনন্দ ও সম্মানের। অস্ট্রিয়া ও ভারত বন্ধু এবং অংশীদার। আপনার সঙ্গে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক আলোচনার অপেক্ষায় রয়েছি।”

    এই এক্স হ্যান্ডেলেই অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। লিখেছেন, “আগামিকাল আমাদের বৈঠকের জন্য অপেক্ষা করছি। আমরা এক সঙ্গে বিশ্বের ভালোর জন্য কাজ করব।” অন্য একটি পোস্টে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi In Austria) লিখেছেন, “ভিয়েনায় আপনার সঙ্গে দেখা করতে পেরে ভালো লাগছে কার্ল নেহামার। ভারত-অস্ট্রিয়ার বন্ধুত্ব দৃঢ় ও ভবিষ্যতে আরও মজবুত হবে।”

    আর পড়ুন: নারী থেকে পুরুষ হয়ে ইতিহাস গড়লেন আইআরএস আধিকারিক

    বুধবার অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলারের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠক শেষে যৌথ বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ, চ্যান্সেলর নেহামার এবং আমি ফলপ্রসূ আলোচনা করেছি। আমাদের পারস্পরিক সহযোগিতা মজবুত করতে নয়া সম্ভাবনার ক্ষেত্রগুলিকে চিহ্নিত করেছি। আমাদের সম্পর্ককে একটা স্ট্র্যটেজিক ডিরেকশন দেওয়ার সিদ্ধান্তও আমরা নিয়েছি। আগামী দশকে সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে আমরা ব্লুপ্রিন্টও ছকেছি।” তিনি বলেন, “চ্যান্সেলর নেহামার এবং আমি বিশ্বের বিভিন্ন এলাকায় যে দ্বন্দ্ব চলছে, তা নিয়েও কথা বলেছি। এটা ইউক্রেনের দ্বন্দ্বই হোক কিংবা (Terrorism War) পশ্চিম এশিয়ার পরিস্থিতি। আমি আগেও বলেছি, এটা যুদ্ধের সময় নয় (PM Modi In Austria)।” তিনি বলেন, “ভারত এবং অস্ট্রিয়া দুই দেশই সন্ত্রাসবাদের কড়া সমালোচনা করেছে। সন্ত্রাসবাদ কোনওভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Puppet Dance: শৈশবের স্মৃতি ফেরাবে হুগলির রথের মেলার পুতুল নাচ

    Puppet Dance: শৈশবের স্মৃতি ফেরাবে হুগলির রথের মেলার পুতুল নাচ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটা সময় বাংলার বিভিন্ন মেলায় পুতুল নাচ (Puppet Dance) দেখা যেত। কিন্তু এখন সেই সব দিন আর নেই। বর্তমান প্রজন্মের খুব কম মানুষ পুতুল নাচ দেখেছেন। এখন সময় বদলেছে। ফেসবুক আর ইউটিউবের জামানায় পুতুল নাচ বিনোদনের প্রাগৈতিহাসিক বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ একটা সময় ছিল যখন রথের মেলা হোক বা কোন পুজো পার্বণ বহু গ্রামে পুতুল নাচের আসর বসত। এখনও কিছু কিছু গ্রামে পুতুল নাচের আসর বসে। যেমন হুগলির (Hooghly) পান্ডুয়ার বৈঁচি গ্রাম। এই গ্রামের রথের মেলায় দেখা মিলল পুতুল নাচের। কয়েকশো বছর আগে কালিপদ দাঁ বৈঁচি গ্রামে রথযাত্রার সূচনা করেছিলেন। সেই সময় পিতলের নয় চূড়ার রথ ছিল। একসময় তা চুরি হয়ে যায়। বর্তমানে লোহার রথ রয়েছে। তবে ওই রথের জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রাথের দেখা মেলে না। এই রথে আসীন থাকেন দাঁ বাড়ির আরাধ্যদেবী ‘রাজ রাজেশ্বরী’। গ্রামের ওই মেলাও দাঁ বাড়ির রথের মেলা নামেই পরিচিত।  

    পুতুল নাচের কদর (Puppet Dance)

    এবছর এই মেলায় নদিয়ার হাঁসখালির বগুলা থেকে এসেছে একটি পুতুল নাচের দল। ইতিমধ্যেই পুতুল নাচের (Puppet Dance) আসর শুরু হয়েছে।  রীতিমত প্যান্ডেল করে দেখানো হচ্ছে সেই পুতুল নাচ। আর তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করছেন গ্রামের প্রবীণ থেকে নবীন সকলেই। কারণ তাঁরা জানেন আধুনিকতার যুগে হয়ত আর কয়েক বছর পর এই পুতুল নাচে নাও দেখতে পেতে পারেন। অনেকে আবার অতীতের স্মৃতিচারণ করার জন্য দেখতে আসছেন পুতুল নাচ।

    ছোট বেলার স্মৃতি (Hooghly)

    গ্রামের বাসিন্দা প্রীতম মুখোপাধ্যায় বলেন, “বহু বছর পর পুতুল নাচ দেখলাম। বেশ ভালো লাগলো। এখন আর গ্রামাঞ্চলেও এইসব দৃশ্য দেখা যায় না। মনে হচ্ছিল সেই ছোটবেলায় ফিরে গিয়েছি। মায়ের হাত ধরে ছোটবেলায় পুতুল নাচ (Puppet Dance) দেখতে আসতাম।”

    পুতুল নাচের গল্প

    পুতুল নাচে সাধারণত পৌরাণিক ও প্রচলিত কাহিনীগুলি দেখানো হয়। তবে কিছু কিছু পুতুল নাচের দলের কাছে নিজেদের তৈরি করা গল্পও থাকে। পুতুল নাচের দলের সদস্য বিকাশ সরকার বলেন, “আগের মতো এখন আর পুতুল নাচের (Puppet Dance) ডাক পাওয়া যায় না। সময় বদলে গেছে। ঘরের টিভি আর মোবাইলে মানুষ ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। তবে আমরা এখনও পুতুল নাচের দল টিকিয়ে রেখেছি। যাতে পরের প্রজন্মের কাছে এই শিল্পকলা টিকিয়ে রাখা যায়। বাইরে রাজ্যে পুতুল নাচের ডাক এখনও আসে। সরকারি সাহায্য বলতে শুধু শিল্পী ভাতা পাওয়া যায়। তবে এখন এই শিল্প টিকিয়ে রাখা বড় চ্যালেঞ্জ।”

    আরও পড়ুন: দূরদর্শনে শুরু হল ৫২ পর্বের অ্যানিমেটেড রাম-কাহিনি, কখন দেখতে পাবেন?

    বাংলার বাইরে রাজস্থানে পুতুল নাচের চল এখনও বর্তমান। সেখানে আবার বিভিন্ন রাজকাহিনী তুলে ধরা হয়। পুতুল নাচে রাজা-রানীর প্রেমের গল্প, বিভিন্ন রাজ্যের যুদ্ধের কাহিনী, এমনকি সেখানকার স্থানীয় বিখ্যাত মানুষের কাহিনীও তুলে ধরা হয় পুতুল নাচের মাধ্যমে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kalyan Chaubey: ইটের বদলে পাটকেল! কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে এবার একের পর এক তথ্য ‘ফাঁস’ করলেন কল্যাণ

    Kalyan Chaubey: ইটের বদলে পাটকেল! কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে এবার একের পর এক তথ্য ‘ফাঁস’ করলেন কল্যাণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানিকতলা উপনির্বাচনের মধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ ও বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবের (Kalyan Chaubey) মধ্যে দ্বৈরথ অব্যাহত রইল। মানিকতলা উপনির্বাচনের আগে কল্যাণ চৌবের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ। এবার কুণালের সেই মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিলেন বিজেপি প্রার্থী। উপনির্বাচনের দিনই সাংবাদিক বৈঠক করে কুনালের বিরুদ্ধে একের পর এক তথ্য ‘ফাঁস’ করলেন কল্যাণ চৌবে।

    কুণাল ঘোষের অভিযোগ (Kunal Ghosh) 

    মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে কুণাল ঘোষ বলেন, ”রবিবার আমাকে ভোটে অন্তর্ঘাতের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বিনিময়ে খেলার জগতে রাজ্য বা জাতীয় স্তরে বড় পদের প্রস্তাবও দিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ।” তবে কুনাল এই অফার প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, ”এই বিজেপি প্রার্থীকে (Kalyan Chaubey) একটা ভোটও দেওয়া উচিত নয়।” এরপর নিজের দাবির সপক্ষে একটি অডিয়ো ক্লিপ সংবাদমাধ্যমের সামনে আনেন তৃণমূল নেতা। 

    যদিও এ প্রসঙ্গে বিজেপি প্রার্থী বলেন, ”আমি কখনো কোথাও বলিনি ফুটবল ফেডারেশনের কোন পদে রাখব। সেটা অপপ্রচার করছেন। এটা ওনার ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। কথোপকথনকে রেকর্ড করে বাইরে ছাড়া শুধুমাত্র ওনার বিশ্বাসযোগ্যতা শেষ করল না, মানুষ এরপর থেকে কারোর সাথে কথা বলতে চাইলে দশবার ভাববে। আমি ওনাকে ফোন করেছি, কারণ উনি আমাকে বলেছিলেন রাত এগারোটায় ফোন করতে এবং সেই কথা রেকর্ড করে প্রকাশ্যে এনেছেন।” 

    বিজেপি প্রার্থীর পাল্টা জবাব (Kalyan Chaubey) 

    কুণাল ঘোষের এই মন্তব্যের পর নির্বাচনের দিনই সাংবাদিক বৈঠক করে একের পর এক তথ্য ‘ফাঁস’ করলেন কল্যাণ। তাঁর বক্তব্য, ”‌আমি সকলের কাছে ভোট প্রার্থনা করছি। সেই হিসাবে তাঁর সঙ্গেও কথা বলেছি। কিন্তু আমি কোনও প্রতিশ্রুতি দিয়েছি এটা সম্পূর্ণ মিথ্যে কথা। পুরো অডিয়ো ক্লিপিং শোনালে সেটা বোঝা যাবে।”‌ আর এরপরেই বিজেপি প্রার্থী একেবারে বেনজির আক্রমণ শানালেন কুণাল ঘোষের উদ্দেশ্যে। পরিষ্কার বলেই দিলেন, “এই মানুষটা কয়েকদিন আগে তাপস রায়কে জেতানোর জন্য নিজের দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। আমার কাছে হোয়াটস অ্যাপ চ্যাটের স্ক্রিনশট রয়েছে। ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের সব লোকেরা তাপস রায়ের হয়ে কাজ করছে। বিজেপির হয়ে কাজ করছে। তবে আমি ব্যক্তিগত কথোপকথন বাইরে আনব না।”   

    আরও পড়ুন: নারী থেকে পুরুষ হয়ে ইতিহাস গড়লেন আইআরএস আধিকারিক

    উল্লেখ্য, ভোটের আগের দিনই কল্যাণ চৌবে (Kalyan Chaubey) অভিযোগ করে বলেছিলেন কুণাল ঘোষ নাকি বিজেপিতে যোগ দিতে চেয়েছিলেন। এর জন্য একাধিকবার তাঁর বাড়িও গিয়েছেন তিনি। বিজেপি প্রার্থী বলেন, “উনি আমার বাড়িতে একটা মেরুন স্যান্ট্রো করে অংখ্যবার গিয়েছেন। আমায় বলেছিলেন বিজেপিতে যোগ দেবেন।” এ নিয়ে কুণাল (Kunal Ghosh) জানিয়েছিলেন, “বিজেপি-তে যাওয়ার ইচ্ছা হলে পচা কল্যাণকে আমার লাগবে না।” যদিও বুধবার ‘পচা কল্যাণ’ শব্দটি নিয়ে প্রতিবাদ করেন মানিকতলার বিজেপি প্রার্থী বলেন, “এই শব্দটাকে আমি নিন্দা করছি। উনি নিম্নরুচির পরিচয় দিয়েছেন।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Raigunj By Election: উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থীর দাদার ‘দাদাগিরি!’, শোরগোল

    Raigunj By Election: উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থীর দাদার ‘দাদাগিরি!’, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থীর দাদার দাদাগিরি! তাঁর মাতব্বরি কার্যত প্রশ্নের মুখে। প্রিসাইডিং অফিসারকে নিজেই অকপটে স্বীকার করেছেন, সকাল সাড়ে আটটার মধ্যেই তিন থেকে চারবার ভোটারদের নিয়ে সারাসরি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ঢুকে পড়েছিলেন তিনি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়ে কার্যত নীরব কৃষ্ণ কল্যাণীর দাদা পাপ্পু কল্যাণী। এই ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল ফেলেছে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে (Raigunj By Election)।

    ১৪১-১৪২ নম্বর বুথে তৃণমূলের জমায়েত (Raigunj By Election)!

    উপনির্বাচনকে ঘিরে রায়গঞ্জের করোনেশন হাই স্কুলের বাইরে তৃণমূলের বিরাট জমায়েত দেখা গিয়েছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে জামায়েত সরিয়ে দেয়। আবার ১৪১ এবং ১৪২ নম্বর বুথের বাইরে ফের জমায়েত করে তৃণমূলের কর্মীরা। তাঁরা রীতিমতো স্থানীয় ভোটারদের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন। ঠিক এই পরিস্থিতির মধ্যে একটি বুথে তৃণমূল প্রার্থীর দাদার দৌরাত্ম্য চোখে পড়েছে। ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে ঢুকে রীতিমতো মাতব্বরি শুরু করে দেন কৃষ্ণ কল্যাণীর দাদা পাপ্পু কল্যাণী। পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতেই নিজের শক্তি প্রদর্শনের চেষ্টা করেন।  

    তৃণমূলের দায়িত্বে ছিলেন পাপ্পু

    ভোট গ্রহণের সময় পাপ্পু কল্যাণীর দাদাকে সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনেই দেখা যায়, ভোটারদের নিয়ে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের বুথে (Raigunj By Election) ঢুকেছেন। উল্লেখ্য মাত্র একববার দুবার নয় বেশ কয়েকবার ভোটারদের ভোট দেওয়ান পাপ্পু। ভোট কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিসাইডিং অফিসার স্বীকার করেছেন তিন-চারবার ভোটারদেরকে ভোট দেওয়ান। তৃণমূল প্রার্থীর অবশ্য বক্তব্য, “তৃণমূলের হয়ে বুথের দায়িত্বে ছিলেন পাপ্পু, তাই সক্রিয় ছিলেন।”

    আরও পড়ুনঃ ‘বাদামবীজ পাচার!’ বাঁকুড়ার পঞ্চায়েত অফিসে বিরাট দুর্নীতি, ভিডিও প্রকাশ শুভেন্দুর

    লোকসাভায় রায়গঞ্জে এগিয়ে ছিল বিজপি

    রায়গঞ্জ বিধানসভার আসনে উপনির্বাচনে ত্রিমুখী লড়াইতে রয়েছেন, বিজেপি প্রার্থী মানসকুমার ঘোষ, কংগ্রেস প্রার্থী মোহিত সেন গুপ্ত এবং তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী হয়ে ভোটে লড়ে জয়ী হয়েছিলেন কৃষ্ণ কল্যাণী। কিন্তু পরবর্তী কালে বিজেপি থেকে তৃণমূল যোগদান করেন তিনি। এরপর ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে লড়াই করেন। কিন্তু বিজেপি প্রার্থী কার্তিক চন্দ্র পালের কাছে ৬৮ হাজার ভোটে পারাজিত হন তিনি। লোকসভা ভোটে রায়গঞ্জ বিধানসভাতেও (Raigunj By Election) বাজিমাত করেছে বিজেপি এবং ধরাশায়ী হয়েছিল তৃণমূল। এইবার উপনির্বাচনে কী হয় তাই এখন দেখার।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share