Author: user

  • Pranab Mukherjee: ‘‘বাবার প্রয়াণে শোক জ্ঞাপনের জন্য বসেনি ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক’’, কংগ্রেসকে তোপ প্রণব কন্যার

    Pranab Mukherjee: ‘‘বাবার প্রয়াণে শোক জ্ঞাপনের জন্য বসেনি ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক’’, কংগ্রেসকে তোপ প্রণব কন্যার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের (Manmohan Singh) প্রয়াণের পরপরই শুক্রবার বসে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক। এই আবহে এবার বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের (Pranab Mukherjee) কন্যা শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায়। নিজের সমাজমাধ্যমের পোস্টে তিনি দাবি করেন, তাঁর পিতা প্রণব মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণের পর শোক জ্ঞাপনের জন্য কোনও ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডাকা হয়নি।

    শর্মিষ্ঠার এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট

    শর্মিষ্ঠা নিজের পোস্টে লেখেন, ‘‘বাবা যখন মারা গেলেন, তখন শোক জ্ঞাপনের জন্যে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডাকার প্রয়োজনও মনে করেনি। আমাকে সেই সময় এক সিনিয়র কংগ্রেস নেতা বলেছিলেন, প্রেসিডেন্টদের জন্যে এমনটা করা হয় না। যদিও সেটা মিথ্যা। পরে আমি বাবার ডায়েরি থেকে জানতে পেরেছিলাম, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট কেআর নারায়ণের প্রয়াণে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেই সময় শোক বার্তা ড্রাফ্ট করেছিলেন বাবা নিজেই।’’

    প্রণব মুখোপাধ্যায়কে (Pranab Mukherjee) বঞ্চনা

    প্রসঙ্গত, শুক্রবার দিল্লিতে দলের সদর দফতরেই বসে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক। সেই বৈঠকে মল্লিকার্জুন খাড়গে ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, কেসি বেণুগোপালরা। সেই বৈঠকেই মনমোহনের শেষকৃত্য নিয়ে আলোচনা হয়। এই আবহে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণের পরে কেন এমন বৈঠক ডাকা হয়নি, সেই প্রশ্ন তুললেন প্রণব কন্যা (Pranab Mukherjee)। আগেও একাধিক মহলে গুঞ্জন শোনা গিয়েছে,  প্রণব মুখোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রীও হতে দেয়নি কংগ্রেস!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Osamu Suzuki: ৯৪ বছর বয়সে প্রয়াত সুজুকি মোটরের প্রতিষ্ঠাতা ওসামু সুজুকি

    Osamu Suzuki: ৯৪ বছর বয়সে প্রয়াত সুজুকি মোটরের প্রতিষ্ঠাতা ওসামু সুজুকি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত হলেন সুজুকি মোটর কর্পোরেশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ওসামু সুজুকি (Osamu Suzuki)। বয়স হয়েছিল ৯৪। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে ২৫ ডিসেম্বর তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। তাঁর মৃত্যুর কারণ লিম্ফোমা। প্রসঙ্গত, সুজুকি কর্পোরেশনকে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম ছোট গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থায় রূপান্তরিত করার কৃতিত্ব দেওয়া হয় তাঁকেই।

    কৃষক পরিবারে জন্ম (Osamu Suzuki)

    ১৯৩০ সালের ৩০ জানুয়ারি জাপানের গেরোয় জন্ম ওসামুর। সুজুকি (Osamu Suzuki) একটি কৃষক পরিবারে বেড়ে ওঠেন। তিনি তাঁর ভাইবোনদের মধ্যে চতুর্থ সন্তান ছিলেন। তিনি মিচিও সুজুকির নাতনি শোকো সুজুকিকে বিয়ে করেছিলেন, যার প্রতিষ্ঠাতা ভিজ্যুয়াল রিসাবট্রেডেসসর কোম্পানি। ১৯৫৮ সালে সুজুকি মোটর কর্পোরেশনে যোগ দেন তিনি। তখন তাঁর পদবি ছিল মাৎসুদা। কিন্তু তাঁর স্ত্রীর শোকো সুজুকির পরিবারের সংস্থায় যোগ দেওয়ার পরে সেই পদবি তিনি গ্রহণ করেন। এরপর মাত্র পাঁচ বছরেই দ্রুত উন্নতি করেন। ১৯৬৩ সালে পরিচালক পদে উন্নীত হন তিনি। পরবর্তী দেড় দশকে হয়ে ওঠেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। ততদিনে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে সুজুকি মোটরের নাম। ২০০০ সালে অবসর নেওয়ার আগে দুবার সংস্থার প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন ওসামু সুজুকি। তাঁর আমলেই জেনারেল মোটরস ও ভক্সওয়াগেনের মতো সংস্থার সঙ্গে জোট বেঁধে সাফল্যের নতুন মাত্রা অর্জন করে সুজুকি মোটর।

    আশির দশকে ভারতের সঙ্গে ব্যবসা

    সুজুকির (Osamu Suzuki) নেতৃত্ব শুরু হয় ১৯৭৮ সালে, যখন তিনি সুজুকি মোটর কর্পোরেশনের সভাপতি হন। তাঁর নির্দেশনায় কোম্পানিটি তার কার্যক্রম প্রসারিত করে নতুন বাজারে পৌঁছেছে। বিশেষ করে ভারত, উত্তর আমেরিকা এবং ইউরোপের বাজার দখল করে। ছোট গাড়ি উৎপাদনের দিকে মনোনিবেশ করেছিলেন তিনি। সাশ্রয়ী মূল্যের এবং জ্বালানী সাশ্রয়ী গাড়ি তৈরি করেছিলেন, যা উন্নয়নশীল দেশগুলির চাহিদা পূরণ করেছিল। সুজুকি সম্প্রসারণের একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত ১৯৮০ এর দশকের গোড়ার দিকে এসেছিল, যখন ভারত সরকার একটি দেশীয় গাড়ি শিল্প প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করার জন্য একজন অংশীদার খুঁজছিল। ১৯৮২ সালে সুজুকি একটি দীর্ঘ এবং সফল অংশীদারিত্বের সূচনা করেছিল। একটি ভারতীয় অটোমোবাইল প্রস্তুতকারক মারুতি শিল্পের ২৬ শতাংশ অংশীদারিত্ব অর্জন করে। ১৯৮৩ সালে চালু হওয়া Maruti 800, ভারতীয় মোটরগাড়ি বাজারে একটি গেম-চেঞ্জার হয়ে ওঠে। Maruti Suzuki এখন দেশের শীর্ষস্থানীয় গাড়ি নির্মাতাদের মধ্যে একটি।

    বাজারে আধিপত্য বিস্তারের কৌশল

    ওসামুর দর্শন ছিল সহজ: উন্নয়নশীল দেশগুলির লোকেদের যে ক্রয়ক্ষমতা এবং ব্যবহারিকতার প্রয়োজন তার ওপর ফোকাস করা। এই কৌশলটি সুজুকিকে বাজারে আধিপত্য বিস্তার করতে দেয় যা বড় গাড়ি নির্মাতারা প্রায়ই উপেক্ষা করে। ভারতীয় বাজার ছাড়াও, সুজুকির প্রচেষ্টা এশিয়ার অন্যান্য অংশে এবং তার বাইরেও কোম্পানির উপস্থিতি প্রতিষ্ঠা করতে সাহায্য করেছিল। ততক্ষণে সুজুকি তার ভূমিকা থেকে অবসর নিয়েছে।

    “কখনও থামবেন না, অন্যথায় আপনি হেরে যাবেন”

    জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে সুজুকি (Osamu Suzuki) টয়োটার সঙ্গে জোট গঠন করে। বিশ্বব্যাপী শিল্পে তার স্থানকে আরও শক্তিশালী করে। ওসামু সুজুকি নেতৃত্বের ক্ষেত্রে তার সিদ্ধান্তমূলক, হাতে-কলমে পদ্ধতির জন্য পরিচিত ছিলেন। তিনি বলতেন,”আমি একটি ছোট-ব্যবসায়িক বস,”  “কখনও থামবেন না, অন্যথায় আপনি হেরে যাবেন।” চ্যালেঞ্জিং সময়ে সুজুকি মোটরকে উন্নতি করতে সাহায্য করেছিল। সুজুকি আনুষ্ঠানিকভাবে ২০২১ সালে প্রতিদিনের কার্যক্রম থেকে অবসর নিয়েছিলেন। তবুও তিনি কোম্পানির কৌশলগত দিকনির্দেশনার একটি মূল ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তার উত্তরাধিকার সুজুকি মোটর কর্পোরেশনের একটি ছোট জাপানি কোম্পানি থেকে স্বয়ংচালিত শিল্পে, বিশেষ করে ছোট গাড়ির বাজারে বিশ্বব্যাপী নেতা হওয়ার মধ্যে নিহিত  রয়েছে। তাঁর নেতৃত্বে সুজুকি ২০২৪ সালের মার্চে শেষ হওয়া অর্থবছরে বিশ্বব্যাপী ৩.২ মিলিয়নেরও বেশি গাড়ি বিক্রি করেছে। এই বিক্রির অর্ধেকেরও বেশি ভারত থেকে এসেছে, যা কোম্পানির বৃহত্তম বাজার হিসেবে রয়ে গিয়েছে।

    ছোট গাড়ির ক্ষেত্রে বিপ্লব এনেছে সুজুকি

     সুজুকি (Osamu Suzuki) ছোট গাড়ির ক্ষেত্রে বিপ্লব এনেছে। বিশেষ করে যেসব দেশে ছোট গাড়ির চাহিদা বেশি। তার পুরো কর্মজীবনে ওসামু সুজুকির পরিবার কোম্পানির সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত ছিল। তাঁর পুত্র, তোশিহিরো সুজুকি ২০১৫ সালে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন। পরে সিইও হন। তোশিহিরো তাঁর পিতার উত্তরাধিকার অব্যাহত রেখেছেন। নিশ্চিত করেছেন যে সুজুকি মোটর বিশ্ব বাজার লম্বা রেসের ঘোড়া।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ayodhya Ram Temple: রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠার বর্ষপূর্তি, অয্যোধ্যা জুড়ে সাজ সাজ রব

    Ayodhya Ram Temple: রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠার বর্ষপূর্তি, অয্যোধ্যা জুড়ে সাজ সাজ রব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক বছর আগে অয্যোধ্যার রাম মন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল রামলালার মূর্তির। সামনেই তার বর্ষপূর্তি। সেই দিনটা ধুমধাম করে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্দির কতৃপক্ষ। সেজে উঠবে গোটা রামনগরী। শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্রের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই জানিয়েছেন, শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরে রামলালার মূর্তি অভিষেকের প্রথম বছর ভারতীয় সময় অনুসারে গণনা করে পালিত হবে।

    কীভাবে উদযাপন

    ২০২৫ সালের ১১ জানুয়ারি, অযোধ্যা একটি ঐতিহাসিক এবং মহিমান্বিত উৎসবের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠবে। ভারতবর্ষের নানা প্রান্ত থেকে ভক্তরা এসে শ্রী রাম জান্মভূমি মন্দিরে শ্রী রামলালার মূর্তির প্রাণ প্রতিষ্ঠা (সংকৃতিতে consecration) এর প্রথম বর্ষপূর্তি উদযাপন করবেন। চলতি বছর অর্থাৎ, ২০২৪ সালে পৌষ শুক্লা দ্বাদশী তিথিতে ২২ জানুয়ারি প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল রামলালার মূর্তিতে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে, পৌষ শুক্লা দ্বাদশী তিথি পড়েছে ১১ জানুয়ারি। এই দিনটিকেই ‘প্রতিষ্ঠা দ্বাদশী’ হিসাবে পালন করা হবে। সেই উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী বিশাল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। দিনটি পূর্ণ থাকবে নানা ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান, ভক্তিমূলক উক্তি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং আধ্যাত্মিক আলোচনায়।

    কী কী আয়োজন 

    মন্দির চত্বরের যজ্ঞ মন্ডপে হবে বিশাল মহাযজ্ঞ। যজ্ঞ চলাকালীন শুক্ল যজুর্বেদের মধ্যদানী শাখার ৪০টি অধ্যায় থেকে ১৯৭৫টি মন্ত্র পাঠ হবে। পুজিত হবেন অগ্নিদেব। জপ করা হবে ১১টি বৈদিক মন্ত্র। সকাল ৮টা থেকে ১১টা এবং দুপুর ২টো থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলবে হোমের এই কাজ। যজ্ঞ চলাকালীন সময় এই সব মন্ত্রের সঙ্গেই জপ করা হবে শ্রী রাম মন্ত্রও। ৬ লক্ষ মন্ত্র জপ করা হবে। এছাড়াও রাম রক্ষা স্তোত্র, হনুমান চালিসা, পুরুষ সুক্ত, শ্রী সুক্ত, আদিত্য হৃদ্য স্তোত্র, অথর্বশীর্ষ সহ ইত্যাদি পাঠ করা হবে। এই প্রাচীন সংস্কৃতির আচার-অনুষ্ঠান কেবল পরিবেশকে পবিত্র করবে না, বরং দিনের অন্যান্য অনুষ্ঠানের জন্য আধ্যাত্মিক মনোভাব সৃষ্টি করবে।

    রাগ-সঙ্গীতের আসর

    মন্দিরের দক্ষিণ দিকে প্রার্থনা কক্ষে প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত চলবে রাগ সেবা। বসবে রাগ সঙ্গীতের আসর। এছাড়া প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মন্দিরের কলিতে রামলালার সামনে অভিনন্দন গীতি পরিবেশন করা হবে। দ্বিতীয় তলে যাত্রী সুবিধা কেন্দ্রে তিন দিনব্যাপী সংগীত মানস আবৃত্তির আয়োজন করা হবে। শ্রী রামচারিতমানসের সঙ্গীততালপূর্বক পাঠও সংগীতের সাথে শোনা যাবে, যা ভক্তদের শ্রী রামের জীবন এবং মহিমার এক নতুন আঙ্গিকে পরিচয় করিয়ে দেবে।

    আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক শক্তিই ধর্ম এবং সামাজিক উন্নতির ভিত্তি, দাবি বিশ্ব হিন্দু অর্থনৈতিক মঞ্চের

    অঙ্গদ টিলার বিশেষ অনুষ্ঠান

    অঙ্গদ টিলার ময়দানে দুপুর ২টো থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত রামকথা এবং বিকাল সাড়ে ৩টে থেকে ৫টা পর্যন্ত চলবে মানস বক্তৃতা। প্রতিদিন বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত থাকছে অন্যান্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন। ১১ জানুয়ারী সকাল থেকে শুরু হবে ভগবান রামের প্রসাদ বিতরণ। অঙ্গদ টিলার সকল অনুষ্ঠানে সকল সম্প্রদায়ের মানুষকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্রের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই। তিনি জানিয়েছেন, নিরাপত্তা সংক্রান্ত কোনও বাধা থাকবে না। ভক্তরা কোনও বাধা ছাড়াই প্রসাদ খেতে পারবেন, অঙ্গদ টিলার অনুষ্ঠান দেখতে পারবেন।

    রামমন্দির প্রাঙ্গণের ভিতরে নতুন মন্দির 

    চলতি বছরের জানুয়ারিতেই ঘটা করে অযোধ্যার রামমন্দিরে রামলালার ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ করা হয়। তারপরই ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হয় মন্দিরের ফটক। উপছে পড়ে ভিড়। রামলালার মন্দিরের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এবার রামমন্দির প্রাঙ্গণের ভিতরে ৬টি মন্দির নির্মাণের ছবি প্রকাশ করেছে শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। মূল মন্দির চত্বরে এই ৬টি মন্দির হল, সূর্য মন্দির, গণেশ মন্দির, শিব মন্দির, দুর্গা মন্দির, অন্নপূর্ণা মন্দির ও হনুমান মন্দির। শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট রামমন্দিরের উদ্বোধনের সময়ই জানিয়েছিল যে, অযোধ্যায় আরও ১৩টি মন্দির নির্মাণ করা হবে। যে ১৩টি নতুন মন্দিরের মধ্যে ৬টি রামমন্দির প্রাঙ্গণের ভিতরে এবং ৭টি মন্দির চত্বরের বাইরে তৈরি করা হবে। রামমন্দিরের কাজ শেষ হওয়ার পর মন্দির প্রাঙ্গনের ভিতরে এই ৬টি মন্দিরের নির্মাণের কাজ শুরু হয়। মন্দির প্রাঙ্গণের বাইরে বিরাট এলাকা জুড়ে বাল্মীকি, বশিষ্ঠ, বিশ্বামিত্র, শবরী দেবী এবং জটায়ুর মন্দির নির্মাণের কাজ চলছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে বাড়ছে ভারত-বিদ্বেষ, তা সত্ত্বেও বাংলাদেশে চাল পাঠাচ্ছে ভারত

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে বাড়ছে ভারত-বিদ্বেষ, তা সত্ত্বেও বাংলাদেশে চাল পাঠাচ্ছে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-বিরোধী (India) স্লোগানে মুখর হাসিনা-উত্তর বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis)। দেশের হাল ধরেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। এই সরকারই ভারত থেকে আমদানি করা চালের প্রথম চালান নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। হাসিনা-উত্তর বাংলাদেশ ক্রমেই ঝুঁকছে পাকিস্তানের দিকে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছিল। স্বাধীন হতে সাহায্য করেছিল বাংলাদেশকে। 

    পাকিস্তানের দিকে ঝুঁকছে বাংলাদেশ! (Bangladesh Crisis)

    বাংলাদেশ যে ক্রমেই পাকিস্তানের দিকে ঝুঁকছে, তার অন্যতম বড় প্রমাণ বাংলাদেশ সম্প্রতি করাচি বন্দর থেকে আসা দুটি জাহাজকে স্বাগত জানিয়েছে। চলতি বছরের ১৩ নভেম্বর একটি কন্টেনারবাহী জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছায়। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রথমবার এমন ঘটনা ঘটল। এই পরিবর্তনের মাঝেও, ভারত বাংলাদেশকে সাহায্য করে চলেছে। জানা গিয়েছে, ‘এমভি তানাইস ড্রিম’ নামের একটি জাহাজ ২৬ ডিসেম্বর চৌদ্দগ্রাম বন্দরে ভিড়তে চলেছে। জাহাজটি ২৪,৬৯০ মেট্রিক টন আতপ চাল নিয়ে যাচ্ছে। উন্মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আওতায় এই চাল আমদানি করা হয়েছে। এই চালানটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ঘাটতি পূরণের জন্য পাঠানো হচ্ছে। কেবল এই সাহায্যই নয়, বৈরিতা সত্ত্বেও আরও বেশ কিছু ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্কটকালে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত (Bangladesh Crisis)। প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা অর্থনৈতিক সঙ্কট অথবা রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত। তার পরেও বাংলাদেশে চলছে সংখ্যালঘু নির্যাতন।

    হিন্দুর ঘরে আগুন

    বিশেষত হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হচ্ছে ব্যাপক অত্যাচার। কখনও কোনও হিন্দুর ঘরে লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে আগুন, কখনও বা হিন্দু বাড়ির মেয়ে-বউদের তুলে নিয়ে চলে যাচ্ছে মুসলমানরা। ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন বহু হিন্দু তরুণী। ভাঙচুর করা হচ্ছে হিন্দুদের মন্দির। লুটতরাজ চালানো হচ্ছে হিন্দুদের দোকানদানিতে। সে দেশের মুসলমানদের অত্যাচারে পূর্ব পুরুষদের (India) ভিটেমাটি ছেড়ে চলে যেতে হচ্ছে অন্যত্র। সেই ভিটে দখল করে নিচ্ছে অত্যাচারীরা। অভিযোগ, এই সব ঘটনার পেছনেও রয়েছে জমি হাঙরদের হাত (Bangladesh Crisis)। চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের অন্তর্বর্তীকালীন বাজেটে ভারত বাংলাদেশকে ১৩০ কোটি টাকা অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করে।

    ৫০ হাজার টন চাল 

    এই আর্থিক সহায়তা বিভিন্ন উন্নয়নমূলক উদ্যোগকে সমর্থন করার জন্য বরাদ্দ করা হয়। যার জেরে বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা থাকে অব্যাহত। ২৩ ডিসেম্বর ইউনূস অভ্যন্তরীণ সঙ্কট মোকাবিলায় জরুরি সাহায্যের জন্য ভারতের কাছে আবেদন জানান। সঙ্গে সঙ্গে ভারত ৫০ হাজার টন চাল পাঠিয়ে দেয়। যার জেরে কঠিন সময়ে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয় বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis)। ২০২২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ভারত বাংলাদেশকে ৯.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি স্বল্পসুদী ঋণ অনুমোদন করে। ২০২২ সালের মার্চ মাসে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত চলাকালীন ভারত অপারেশন গঙ্গার মাধ্যমে আঞ্চলিক সংহতির প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করে। ৯ মার্চ, ২০২২ তারিখে ভারত সরকার যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে আটকে পড়া নজন বাংলাদেশি নাগরিককে সফলভাবে উদ্ধার করে।

    মুক্তিযুদ্ধ

    করোনা অতিমারীর সময় ভারত বাংলাদেশকে বিপুল পরিমাণ সাহায্য করে। ২ সেপ্টেম্বর, ২০২১ তারিখে আইএনএস সাবিত্রী চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়ে গুরুত্বপূর্ণ মেডিকেল অক্সিজেন প্ল্যান্ট সরবরাহ করে। মহামারির সংকটময় পর্যায়ে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য পরিষেবা পরিকাঠামোকে শক্তিশালী করে। ২০২১ সালের ২৭ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকীতে ভারত বাংলাদেশে পাঠায় ১.২ মিলিয়ন অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন ডোজ। ওই দিনই ভারত বাংলাদেশকে ১০৯টি জীবনদায়ী অ্যাম্বুলেন্স উপহার দেয়। কেবল এখনই নয়, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময়, ভারত মুক্তি বাহিনীকে সিদ্ধান্তমূলক সামরিক সহায়তা প্রদান করে, যা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। ভারতের এই হস্তক্ষেপের ফলে ৯৩ হাজারেরও বেশি পাকিস্তানি সেনা আত্মসমর্পণ করে (Bangladesh Crisis)। ২০০৭ সালের ১৯ নভেম্বর বিধ্বংসী ঘূর্ণঝড়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে বাংলাদেশ। সেই সময়ও ভারত ১ মিলিয়ন ডলারের ত্রাণ প্যাকেজ দেয়। এর মধ্যে ছিল খাবার, ওষুধ, তাঁবু এবং কম্বল-সহ জরুরি জিনিসপত্র।

    আরও পড়ুন: ঠিকাদারের আত্মহত্যা, কাঠগড়ায় কর্নাটকের মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ, কী বলছেন মন্ত্রী?

    এহেন সাহায্যের পরেও ভারত-বিরোধী মনোভাব পোষণ করে চলেছে বাংলাদেশের মৌলবাদীরা। চলছে নিরন্তর হিন্দু নির্যাতন (India)। ২০২৪ সালের ২১শে ডিসেম্বর নাটোর সদর উপজেলার (Bangladesh Crisis) কাশাডাঁপুর শ্মশানঘাটের পাশে ৫৫ বছর বয়সী এক মন্দিরের পুরোহিত তরু কুমার দাসের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পুরোহিতকে হত্যা করার আগে হামলাকারীরা মন্দিরের দানবাক্সগুলি লুট করে। তারই আগের দিন ময়মনসিংহ ও সিলেট জেলায় তিনটি হিন্দু মন্দিরকে টার্গেট করে দুষ্কৃতীরা। ভাঙচুর করে চারটি মূর্তি। ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ সালে কুষ্টিয়া জেলায় একটি হিন্দু পরিবার প্রাণের ভয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে বাধ্য হয়। ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪-এ সুনামগঞ্জে জনৈক আকাশ দাসের ওপর হামলা করে দুষ্কৃতীরা। ২০২৪ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ইস্কনের দুটি মন্দিরে আগুন লাগিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা (Bangladesh Crisis)। হিন্দুদের ওপর এত অত্যাচার সত্ত্বেও পড়শির প্রতি দায়িত্ব পালনে অটল নরেন্দ্র মোদির ভারত (India)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Mohan Bhagwat: ‘ব্রিটিশরা সত্যকে ঢেকে ইতিহাসকে বিকৃত করেছিল, ’ নাগপুরে বললেন মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: ‘ব্রিটিশরা সত্যকে ঢেকে ইতিহাসকে বিকৃত করেছিল, ’ নাগপুরে বললেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) প্রধান (RSS Chief) মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) বৃহস্পতিবার বলেছেন যে ব্রিটিশরা সত্যকে আড়াল করার চেষ্টা করেছিল। মানুষের মন মিথ্যা দিয়ে পূর্ণ করেছিল। তিনি আরও বলেন, ব্রিটিশরা তাদের ক্ষমতা এবং আমাদের অজ্ঞতার কারণে মিথ্যা প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছিল।

    ব্রিটিশরা সত্যকে ঢেকে দিয়েছিল! (Mohan Bhagwat)

    নাগপুরে সোমালওয়ার এডুকেশন সোসাইটির ৭০ তম প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) একুশ শতকে শিক্ষকদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেছেন আরএসএস প্রধান। তিনি বলেন, “ব্রিটিশরা সত্যকে ঢেকে ইতিহাসকে বিকৃত করেছিল। আমাদের দেশের মানুষের মনকে অনেক মিথ্যা দিয়ে পূর্ণ করেছিল। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় মিথ্যা ছিল যে ভারতের বেশিরভাগ লোক বাইরে থেকে এসেছিল। ভারতকে আর্যরা আক্রমণ করেছিল, তারা দ্রাবিড়দের সঙ্গে লড়াই করেছিল ইত্যাদি। তারা প্রচার করেছিল যে নিজের দ্বারা শাসন করা ভারতীয়দের রক্তের মধ্যে নেই এবং এখানকার লোকেরা ধর্মশালায় থাকা লোকদের মতো জীবনযাপন করে।” তিনি আরও বলেন, “ব্রিটিশ শাসকদের উদ্দেশ্য ছিল ভারতীয়দের তাদের ইতিহাস, পূর্বপুরুষ এবং গর্বিত ঐতিহ্য ভুলিয়ে দেওয়া। এই উদ্দেশ্য কার্যকরী করতে ব্রিটিশরা তথ্যের আড়ালে আমাদের মাথায় বেশ কিছু অসত্য বসিয়েছে।”

    আরও পড়ুন: ‘‘ডিএমকে পরাস্ত না হওয়া পর্যন্ত জুতো পরব না’’, সংকল্প তামিলনাড়ুর বিজেপি প্রধান আন্নামালাইয়ের

    ধর্মের নামে পৃথিবীতে নিপীড়ন-নৃশংসতা চলছে

    এর আগে সোমবার মহানুভব আশ্রমের শতকপূর্তি সমারোহে ভাষণ দিয়ে, আরএসএস প্রধান ভাগবত (Mohan Bhagwat) বিভিন্ন সম্প্রদায়কে একসঙ্গে কাজ করার এবং তাদের ধর্ম তাদের অনুসারীদের কাছে ব্যাখ্যা করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। কারণ ধর্ম সম্পর্কে ভুল বোঝাবুঝি বিশ্বকে নৃশংসতার দিকে পরিচালিত করে। তিনি বলেছিলেন যে ধর্মের ভুল বোঝাবুঝির কারণে পৃথিবীতে নৃশংসতার ঘটনা ঘটে। ধর্মকে সঠিকভাবে পরিচালনা করে এমন সমাজের প্রয়োজন। ধর্ম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি সঠিকভাবে শেখানো উচিত। ধর্মকে বুঝতে হবে, সঠিকভাবে না বুঝলে ধর্মের অর্ধেক জ্ঞান ‘অধর্ম’ হয়ে যাবে। তিনি আরও বলেছিলেন যে ধর্মের অনুপযুক্ত এবং অসম্পূর্ণ জ্ঞানই ‘অধর্ম’-এর দিকে নিয়ে যায়। ধর্মের নামে পৃথিবীতে যত নিপীড়ন ও নৃশংসতা চলছে তা ধর্ম সম্পর্কে ভুল বোঝাবুঝির কারণে ঘটেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Abdul Rehman Makki: পাকিস্তানে প্রয়াত ২৬/১১ হামলার অন্যতম চক্রী জঙ্গি আবদুল মাক্কি

    Abdul Rehman Makki: পাকিস্তানে প্রয়াত ২৬/১১ হামলার অন্যতম চক্রী জঙ্গি আবদুল মাক্কি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুম্বই জঙ্গি হামলার ষড়যন্ত্রকারী এবং লস্কর-ই-তইবা (LeT)-এর ডেপুটি প্রধান হাফিজ আবদুল রহমান মাক্কি প্রয়াত (Abdul Rehman Makki)। শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, পাকিস্তানে (Pakistan) হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয় তাঁর। গত কয়েকদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন মাক্কি। লাহোরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।

    মাক্কি গ্রেফতার (Abdul Rehman Makki)

    ২০১৯ সালের মে মাসে মাক্কিকে গ্রেফতার করে পাকিস্তান সরকার। লাহোরে গৃহবন্দি করে রাখা হয় তাঁকে। ২০২০ সালে একটি পাকিস্তানি আদালত সন্ত্রাসে অর্থায়নের সঙ্গে সম্পর্কিত মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে তাকে। দেওয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে, মাক্কিকে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ বিশ্বব্যাপী জঙ্গি ঘোষণা করে। মাক্কি ২৬/১১ মুম্বই জঙ্গি হামলার জন্য অর্থায়নে জড়িত ছিলেন। ওই ঘটনায় ১৬৬ জন নিহত হয়েছিলেন। পাল্টা সন্ত্রাস-বিরোধী অভিযানে মোট নজন জঙ্গি নিহত হয়। জীবিত অবস্থায় ধরা পড়ে আমির আজমল কাসভ নামে এক জঙ্গি।

    রেড ফোর্ট হামলায় জড়িত

    মুম্বই জঙ্গি হামলা ছাড়াও মাক্কি ভারতে রেড ফোর্ট হামলায় জড়িত ছিল। সে ছিল ওয়ান্টেড জঙ্গি। ২২ ডিসেম্বর, ২০০০-এ ছজন সন্ত্রাসী রেড ফোর্টে আক্রমণ চালিয়েছিল। ২০১৮ সালে, মাক্কির সন্ত্রাসী সংগঠন লস্কর-ই-তইবা প্রবীণ সাংবাদিক ও রাইজিং কাশ্মীর সংবাদপত্রের সম্পাদক-প্রধান সুজাত বুখারি ও তার দুই নিরাপত্তারক্ষীকে হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল (Abdul Rehman Makki)।

    আরও পড়ুন: হত্যা করা হয়েছে সাংবাদিক সেজে থাকা ইসলামিক জেহাদি জঙ্গিদের, দাবি ইজরায়েলের

    মুম্বইয়ে ২৬/১১ হামলার ষড়যন্ত্রী সাজিদ মিরের মৃত্যু হয়েছিল আগেই। বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয়েছে হাফিজ আবদুল সালাম ভুট্টভিরও। লস্কর-ই-তইবার প্রথম সারির নেতা ভুট্টভি। মুম্বইয়ে ওই হামলার অন্যতম চক্রী তিনি। পাকিস্তানেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের তরফে লস্কর প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সইদের ঘনিষ্ঠ ওই নেতার মৃত্যু সংগঠনের কাছে বড় ধাক্কা। প্রসঙ্গত, গত এক বছরে পাকিস্তানে মোট ১২ জন ভারত বিরোধী চক্রী হয় খুন হয়েছেন, নয়তো রহস্যজনকভাবে মারা গিয়েছেন। হৃদযন্ত্র বিকল হওয়ায় ভট্টভির মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে নিরাপত্তা পরিষদ।

    এর আগে মুম্বই হামলার আর এক ষড়যন্ত্রকারী সাজিদ মির পাকিস্তানের ডেরা গাজি খানের সেন্ট্রাল জেলে মারা যান। তদন্তে জানা যায়, কেউ বা কারা (Pakistan) তাঁকে বিষ দিয়েছিলেন (Abdul Rehman Makki)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 28 December 2024: বিলাসিতার কারণে খরচ বাড়তে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 28 December 2024: বিলাসিতার কারণে খরচ বাড়তে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) অতিরিক্ত কাজের চাপে ক্লান্তিবোধ।

    ২) সন্তানের জন্য সম্মান নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা।

    ৩) পুরনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতে পারে।

    বৃষ

    ১) ধর্ম সংক্রান্ত ব্যাপারে তর্কে জড়াতে পারেন।

    ২) মা-বাবার সঙ্গে সামান্য কারণে বিবাদ হতে পারে।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    মিথুন

    ১) কর্মস্থানে বন্ধুদের বিরোধিতা আপনাকে চিন্তায় ফেলবে।

    ২) বুদ্ধির ভুলের জন্য মানসিক চাপ বৃদ্ধি।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    কর্কট

    ১) ব্যবসায় মুনাফা বৃদ্ধি পাবে।

    ২) ঋণমুক্তির সুযোগ পাবেন।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    সিংহ

    ১) প্রেমে নৈরাশ্য থেকে মানসিক চাপ বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ২) প্রতিবেশীর অশান্তির দায় আপনার কাঁধে চাপতে পারে।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    কন্যা

    ১) সকালের দিকে বন্ধুদের দ্বারা বিব্রত হতে পারেন।

    ২) শরীরে ব্যথাবেদনা বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) দুশ্চিন্তা বাড়বে।

    তুলা

    ১) ভ্রমণে গিয়ে শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কা।

    ২) প্রেমের প্রতি ঘৃণাবোধ হতে পারে।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    বৃশ্চিক

    ১) প্রেমের ব্যাপারে অতিরিক্ত আবেগ থেকে সংযত থাকুন।

    ২) শরীরে ক্ষয় বৃদ্ধি।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    ধনু

    ১) বাড়তি কিছু খরচ হতে পারে।

    ২) বৈরী মনোভাবের জন্য ব্যবসায় শত্রু বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    মকর

    ১) আপনার বিষয়ে সমালোচনা বৃদ্ধি পাবে।

    ২) সকালের দিকে একই খরচ বার বার হবে।

    ৩) আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ করুন।

    কুম্ভ

    ১) রক্তহীনতা বাড়তে পারে।

    ২) কোনও মহিলার জন্য স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদ।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    মীন

    ১) বিলাসিতার কারণে খরচ বাড়তে পারে।

    ২) বাড়িতে বিবাদের জন্য মনঃকষ্ট।

    ৩) ভেবেচিন্তে কথা বলুন।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • WHO Chief Tedros: ইয়েমেনের সানা এয়ারপোর্টে ইজরায়েলি হামলা, আকাশপথে বোমাবাজি, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন হু প্রধান টেড্রস

    WHO Chief Tedros: ইয়েমেনের সানা এয়ারপোর্টে ইজরায়েলি হামলা, আকাশপথে বোমাবাজি, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন হু প্রধান টেড্রস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-এর ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রস (WHO Chief Tedros) আধানম ঘেবরেসাস। বৃহস্পতিবার ইয়েমেনের (Yemen) সানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইজরায়েলেরের পক্ষ থেকে আকাশপথে ব্যাপক বোমাবাজি চালোনো হয়। তাতে এখনও পর্যন্ত অন্তত দু’জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। সেই বোমাবাজি থেকেই অল্পের জন্য রক্ষা পান হু প্রধান।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (WHO Chief Tedros)

    আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম মারফত যে খবর সামনে এসেছে, তা হল ওই বিমানবন্দর থেকেই বৃহস্পতিবার বিমান ধরার কথা ছিল ঘেবরেসাসের (WHO Chief Tedros)। তাঁর সঙ্গে হু-এর আরও কয়েকজন আধিকারিক ছিলেন। সেইসঙ্গে, রাষ্ট্রসঙ্ঘের একাধিক প্রতিনিধিও সেখানে একই কারণে উপস্থিত হয়েছিলেন। এমন একটা সময়ে আচমকা বিমানবন্দর লক্ষ করে বোমাবাজি শুরু হয়। এই হামলার ফলে ঘেবরেসাসদের বিমানের একজন কর্মীও জখম হন বলে জানা গিয়েছে।

    এক্স হ্যান্ডেলে কী লিখলেন হু প্রধান? (WHO Chief Tedros)

    এই ঘটনা নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেছেন হু প্রধান। তিনি (WHO Chief Tedros) লিখেছেন,”‘রাষ্ট্রসঙ্ঘের আটক কর্মীদের মুক্ত করতে এবং সামগ্রিকভাবে ইয়েমেনের স্বাস্থ্য পরিষেবা ও মানবতা সংক্রান্ত বিষয়গুলি খতিয়ে আমরা যে মিশনে বেরিয়েছিলাম, আজ তা শেষ হল। আমরা আটক ব্যক্তিদের ছাড়াতে কাজ করে যাব। আমরা তাঁদের অবিলম্বে মুক্ত করার দাবি জানাচ্ছি।” এরপরই বৃহস্পতিবারের বোমাবাজির ঘটনা উল্লেখ করেছেন হু প্রধান। তিনি লিখেছেন, “প্রায় দু’ঘণ্টা আগে আমরা যখন সানা বিমানবন্দর থেকে বিমানে ওঠার তোড়জোড় করছিলাম, তখন আকাশপথে বোমাবাজি করা হয়। তাতে আমাদের বিমানের একজন কর্মী আহত হন। রিপোর্ট অনুসারে, বিমানবন্দরে অন্তত দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এই হামলায় এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল টাওয়ার, ডিপার্চার লাউঞ্জ, যেখান থেকে সামান্য দূরত্বেই আমরা অপেক্ষা করছিলাম এবং রানওয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমাদের এই ক্ষতির জন্য অপেক্ষা করতে হবে। এগুলো সারানো দরকার। তবেই আমরা এখান থেকে যেতে পারব। আমার রাষ্ট্রসঙ্ঘের এবং হু-এর সহকর্মীরা এবং আমি সুরক্ষিত রয়েছি। এই হামলার ফলে যাঁরা প্রাণ হারালেন, তাঁদের প্রিয়জনদের প্রতি আমি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।”

    রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব কড়া ভাষায় নিন্দা জানিয়েছেন

    রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস কড়া ভাষায় এই হামলার নিন্দা করেছেন। তাঁর দাবি, প্রত্যককেই (WHO Chief Tedros) কঠোরভাবে আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলতে হবে। যা নাগরিক এবং মানবিক বিভিন্ন পরিষেবায় নিযুক্ত কর্মীদের কখনও নিশানা করার অনুমতি দেয় না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India’s Telecom Sector: ৬জি পরিষেবা এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপর জোর দিচ্ছে ভারতের টেলিকম দুনিয়া

    India’s Telecom Sector: ৬জি পরিষেবা এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপর জোর দিচ্ছে ভারতের টেলিকম দুনিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রযুক্তির দ্রুত পরিবর্তনশীল দুনিয়ায় টেলিযোগাযোগের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী মোদির অন্যতম উদ্যোগ ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’ কর্মসূচি, যা দেশের প্রযুক্তিগত অগ্রগতিকে উৎসাহিত করেছে। এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হল দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলিতে ইন্টারনেট এবং টেলিযোগাযোগ সুবিধা পৌঁছে দেওয়া, যাতে ডিজিটাল পরিষেবার মাধ্যমে জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা যায়। প্রধানমন্ত্রীর এই ভাবনার সঙ্গে তাল মিলিয়েই এগিয়ে চলেছে ভারতের টেলিকম দুনিয়া। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং ৬জি উদ্ভাবনে আগ্রহী হয়ে উঠেছে টেলিকম সংস্থাগুলি।

    দ্রুত হারে টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কের প্রসার

    সেলুলার অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া (সিওএআই) জানিয়েছে, ভারত বিশ্বে দ্রুততম হারে টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক প্রসার করছে। ৫জি প্রযুক্তির সাফল্য এবং ভবিষ্যতের জন্য ৬জি প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে দেশ। ভারতের টেলিযোগাযোগ শিল্প আন্তর্জাতিক স্তরে নিজেদের স্থান করে নিচ্ছে। ভারতে টেলিযোগাযোগ খাতে বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। দেশে স্টার্টআপ সংস্কৃতি বিকাশ পাচ্ছে, যা প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং উন্নতমানের টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানে সহায়ক। ভারতের টেলিযোগাযোগ শিল্প আন্তর্জাতিক স্তরে নতুন উচ্চতায় পৌঁছানোর জন্য প্রস্তুত। 

    ৬জি উদ্ভাবনে গুরুত্ব

    ভারতের টেলিকম খাত এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং ৬জি উদ্ভাবনে মনোযোগী হয়ে উঠেছে, যেখানে সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ১.২ বিলিয়ন। এই খাতটি অসাধারণ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে, এবং ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে প্রতিটি ব্যবহারকারীর গড় মাসিক ডেটা ব্যবহারের পরিমাণ ২১.৩০ জিবি ছাড়িয়ে গিয়েছে। ৫জি বিসিটি সাইটের সংখ্যা ৪৬০,৫৯২টি ছাড়িয়ে গিয়েছে, যার ফলে ৫জি ব্যবহারকারীদের সংখ্যা ১২৫ মিলিয়ন অতিক্রম করেছে, যা ২০২৬ সালের মধ্যে ৩৫০ মিলিয়নে পৌঁছতে পারে।

    আরও পড়ুন: আয়করে ছাড় বাড়তে চলেছে! নতুন বছরের বাজেট নিয়ে কী ভাবছে কেন্দ্র?

    ফিক্সড ওয়্যারলেস অ্যাক্সেস (এফডাব্লিউএ), যা ৫জি ব্যবহারের অন্যতম প্রধান ক্ষেত্র, তা দ্রুত জনপ্রিয়তা পেয়েছে এবং এক বছরের মধ্যে প্রায় ৩ মিলিয়ন সংযোগ পৌঁছেছে। ভারতীয় টেলিকম খাত দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে ৪ মিলিয়নেরও বেশি মানুষের কর্মসংস্থান প্রদান করছে, এবং এখন এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং ৬জি উদ্ভাবনে মনোনিবেশ করেছে। ভারতের ৫৫ শতাংশ টেলিকম, মিডিয়া এবং টেকনোলজি (টিএমটি) কোম্পানি ইতোমধ্যে এআই পুরোপুরি অন্তর্ভুক্ত করেছে, এবং আরও ৩৭ শতাংশ কোম্পানি এটি সম্প্রসারণের পর্যায়ে রয়েছে, বলে জানিয়েছে কেপিএমজি ইন্ডিয়া।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis 1: অগাস্টেই শুরু হয় জঙ্গলের রাজত্ব, বাংলাদেশজুড়ে চলতে থাকে গণপিটুনিতে হত্যা NO 1 Do not publish

    Bangladesh Crisis 1: অগাস্টেই শুরু হয় জঙ্গলের রাজত্ব, বাংলাদেশজুড়ে চলতে থাকে গণপিটুনিতে হত্যা NO 1 Do not publish

    হাসিনা সরকারকে উৎখাত করার পর থেকেই অশান্ত বাংলাদেশ। মন্দির ভাঙচুর, আগুন, মারধর, খুন-সবেতেই টার্গেট সংখ্যালঘু হিন্দু। শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ইউনূসের কঙ্কালসার চেহারাটা এখন গোটা বিশ্বের কাছে পরিষ্কার। ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের পর গোটা বিশ্ব জেনে গিয়েছে, কী ভয়াবহ এবং আতঙ্কের পরিবেশ সেখানে। শুধু কি সাধারণ নিরীহ হিন্দু বা হিন্দুদের মন্দির? না, বেছে বেছে কাঠগড়ায় তুলে চরম শাস্তি দেওয়া হয়েছে আওয়ামি লিগপন্থী জনপ্রতিনিধি, পুলিশ অফিসার থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পদস্থ কর্তাদেরও। কীভাবে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নিপীড়ন চলছে, কীভাবে একের পর এক সরকারি অফিসার বা জনপ্রতিনিধির ওপর শাস্তির খাঁড়া নেমে আসছে, তা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদন। আজ প্রথম পর্ব।

     

    অশান্ত বাংলাদেশ: টার্গেট হিন্দু-১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের ৫ অগাস্ট বিএনপি ও জামাতের ষড়যন্ত্রে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা (Bangladesh Crisis 1)। দখল হয় গণভবন। এরপর থেকেই বাংলাদেশে নেমে আসে অরাজকতা। সে দেশে ইউনূস সরকারের আমলে কার্যত জঙ্গলের রাজত্বে পরিণত হয় বাংলাদেশ। বেড়ে যায় গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনা। হাসিনা সরকারের পতনের ঠিক পরেই দুইজন ছাত্রনেতাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা সামনে আসে। যাঁদের মধ্যে একজন হলেন তোফাজ্জল হোসেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের কাঠালতোড়ি ইউনিয়নের পাথরঘাটার উপজেলার বরগুনার বাসিন্দা। তোফাজ্জলকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের মধ্যে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। অন্য আরেকজন হলেন শামিম আহমেদ। যাঁর অপর নাম হচ্ছে শামিম মোল্লা। তাঁকেও পিটিয়ে হত্যা করা হয় বাংলাদেশের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। জানা গিয়েছে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলিগের নেতা ছিলেন শামিম। বিএনপি-জামাতের কাছে শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হতেই এমন আক্রমণ নেমে আসে।

    কী বলছে সেদেশের সংবাদমাধ্যমগুলির রিপোর্ট?

    বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমগুলিও সরব হয় গণপিটুনির ঘটনায়। একাধিক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট সামনে আসে। বাংলাদেশের (Targeting Minority) জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোর রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসেই ৩৬টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটে। যার মধ্যে ২৮ জনের মৃত্যু হয়। অন্যদিকে, বাংলাদেশের অপর এক সংবাদমাধ্যম ডেইলি স্টার তাদের রিপোর্টে জানাচ্ছে যে হাসিনা সরকারের পতনের পর ৫৩টি ঘটনা ঘটেছে গণপিটুনির, যার মধ্যে ৪৪টিতেই মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে অপর এক সংবাদমাধ্যম বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের রিপোর্ট অনুযায়ী, অগাস্টের ৫ তারিখ থেকে সেপ্টেম্বরের ২৩ তারিখ পর্যন্ত ৪৪টি গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ২১টি সংঘটিত হয়েছে অগাস্ট মাসে। বাংলাদেশের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন জানিয়েছে সেপ্টেম্বর মাসেই গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনার সংখ্যা ২০। অক্টোবর মাসে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬।

    জেলায়-জেলায় পরিসংখ্যান (Bangladesh Crisis 1)

    বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদসংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজধানী ঢাকাতে হাসিনা সরকারের পতনের ৩৮ দিনের মাথায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে গণপিটুনিতে।

    দিনাজপুর জেলায় তিনজনকে হত্যা করা হয়েছে অগাস্ট মাসের ১১ তারিখ। অন্যদিকে সেপ্টেম্বর মাসের ১৫ তারিখেও ওই জেলায় তিনজন গণপিটুনিতে মারা যান।

    বাংলাদেশের বগুড়া জেলায় ৩১ অগাস্ট একজনকে ও ১৮ সেপ্টেম্বর অন্য একজনের মৃত্যু হয় গণপিটুনিতে।

    রাজশাহী জেলাতে প্রাক্তন ছাত্রলিগের নেতাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় ৭ সেপ্টেম্বর।

    চট্টগ্রামে একজন স্থানীয় বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় ১ সেপ্টেম্বর।

    বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলাতে একজন বয়স্ক মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় সেপ্টেম্বর মাসে।

    বাংলাদেশের খুলনাতে ৪০ বছর বয়স্ক একজন মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় ৪ সেপ্টেম্বর।

    বাংলাদেশের ঝালকাঠিতে একজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় ১৬ সেপ্টেম্বর।

    বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলাতে একজন মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় ১২ সেপ্টেম্বর।

    বাংলাদেশের গাজীপুর ও বরিশালে দুজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা সামনে আসে। একজনকে হত্যা করার অগাস্টে, অপরজনকে সেপ্টেম্বরে।

    বাংলাদেশের নাটোরে ৩৬ বছর বয়সি একজন পুরুষকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় ২ অগাস্ট।

    বাংলাদেশের টাঙ্গাইল ও খাগড়াছাড়িতেও গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনা সামনে আসে। একজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় ৫ সেপ্টেম্বর অন্যদিকে অপরজনকে খাগড়াছাড়িতে হত্যা করা হয় ১৮ সেপ্টেম্বর।

    গণপিটুনির কারণ কী কী? (Bangladesh Crisis 1)

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন এই ধরনের গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনার একাধিক কারণ রয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কারণগুলি নিচে আলোচনা করা হল-

    রাজনৈতিক কারণ

    প্রসঙ্গত, ৫ অগাস্ট বিএনপি-জামাতের ষড়যন্ত্রে হাসিনা সরকারের পতন হওয়ার পরেই আওয়ামি লিগের সঙ্গে কর্মী-সমর্থকদের ওপর ব্যাপক সন্ত্রাস নেমে আসে। বিরোধী রাজনৈতিক কর্মীদেরকে টার্গেট করতে থাকে বাংলাদেশের মৌলবাদী তথা বিএনপি-জামাতের নেতৃত্ব।

    আইন-শৃঙ্খলার অবনতি

    জামাত-বিএনপি নেতৃত্বে বাংলাদেশের মসনদ দখল হওয়া মাত্রই সে দেশে জঙ্গলের রাজত্ব শুরু হয়। আইনশৃঙ্খলার ব্যাপক অবনতি নজরে আসতে থাকে। সে দেশে প্রশাসন বলে আর কিছুই বাকি ছিল না, যখন হাসিনা সরকারকে পদচ্যুত করা হয়। এই অবস্থায় সুযোগ নিতে শুরু করে বিভিন্ন মৌলবাদী সংগঠন ও বিএনপি জামাতের মতো রাজনৈতিক দলগুলি।

    গুজব (Bangladesh Crisis 1)

    গুজব একটা বড়সড় কারণ গণপিটুনিতে হত্যার। হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই সমাজমাধ্যমে ব্যাপক গুজব ছড়ানো হয় এবং এতেই বাড়তে থাকে বাংলাদেশে হিংসা এবং গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনা।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share