Author: user

  • India Kuwait: প্রধানমন্ত্রী মোদির ঐতিহাসিক সফর! ভারত কুয়েতের মধ্যে ৪টি মউ চুক্তি স্বাক্ষরিত

    India Kuwait: প্রধানমন্ত্রী মোদির ঐতিহাসিক সফর! ভারত কুয়েতের মধ্যে ৪টি মউ চুক্তি স্বাক্ষরিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) দুই দিনের কুয়েত সফরে (India Kuwait) একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই সময় ভারত এবং কুয়েতের মধ্যে প্রতিরক্ষা, ক্রীড়া এবং সাংস্কৃতিক সহযোগিতা সম্পর্কিত চারটি মউ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের সচিব অরুণকুমার চট্টোপাধ্যায় এ কথা জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, প্রধানমন্ত্রীর এই ঐতিহাসিক সফর দু’দেশের মধ্যে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।

    কী কী চুক্তি স্বাক্ষরিত

    কুয়েতে (India Kuwait) শীর্ষ ব্যবসায়িক অংশীদারদের তালিকায় ভারতের স্থান উপরের দিকে। এ ছাড়াও সে দেশের জনসংখ্যার একটা বড় অংশই প্রবাসী ভারতীয়। প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi) এই সফর প্রসঙ্গে অরুণকুমার বলেন, “রবিবার, কুয়েতের সঙ্গে চারটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সই হয়েছে। প্রথমটি হল প্রতিরক্ষা সহযোগিতার বিষয়ে মেমোরেনডাম অফ আন্ডারস্ট্যান্ডিং, দ্বিতীয়টি ২০২৫-২০২৯ সালের জন্য সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের প্রোগ্রাম, তৃতীয়টি হল ক্রীড়া ক্ষেত্রের জন্য ২০২৫-২০২৮ সালের জন্য এক্সিকিউটিভ প্রোগ্রাম এবং চতুর্থটি হল কুয়েতের আন্তর্জাতিক সৌর জোট (ISA) এর সদস্যপদ।” 

    প্রতিরক্ষা সহযোগিতা: প্রতিরক্ষা সহযোগিতার মেমোরেনডাম অফ আন্ডারস্ট্যান্ডিং দুটি দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতাকে প্রতিষ্ঠিত করবে। এতে প্রশিক্ষণ, পেশাদার এবং বিশেষজ্ঞদের বিনিময়, যৌথ মহড়া, প্রতিরক্ষা শিল্পে সহযোগিতা, প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহ এবং গবেষণা ও উন্নয়ন ক্ষেত্রে যৌথ কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

    সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান: ২০২৫-২০২৯ সালের জন্য সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান প্রোগ্রামটি শিল্প, সঙ্গীত, নৃত্য, সাহিত্য ও নাটক, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ, গবেষণা ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে উৎসব আয়োজনের ক্ষেত্রে বড় ধরনের সহযোগিতা বৃদ্ধি করবে।

    ক্রীড়া সহযোগিতা: ২০২৫-২০২৮ সালের জন্য ক্রীড়া ক্ষেত্রের এক্সিকিউটিভ প্রোগ্রামটি ভারত এবং কুয়েতের মধ্যে ক্রীড়া ক্ষেত্রে সহযোগিতা শক্তিশালী করবে। এটি ক্রীড়া নেতা, ক্রীড়া চিকিৎসা, ক্রীড়া ব্যবস্থাপনা, ক্রীড়া মিডিয়া, ক্রীড়া বিজ্ঞান ইত্যাদির ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং প্রোগ্রাম ও প্রকল্পে অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি করবে।

    কুয়েতের সদস্যপদ: কুয়েত আন্তর্জাতিক সৌর জোটের (ISA) সদস্যপদ লাভ করেছে। আইএসএ সদস্য দেশগুলোর জন্য সৌর শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করবে এবং তাদের কম কার্বন বৃদ্ধি কৌশলগুলো উন্নয়নে সহায়তা করবে।

    আরও পড়ুনঃ মহারাষ্ট্রে মন্ত্রীপরিষদের দফতর ঘোষাণায় শপথ নিলেন আরও ৩৯ জন মন্ত্রী, কে কোন দফতর পেলেন?

    কুয়েতের অর্থনীতিতে ভারতীয়দের অবদান

    কুয়েতের (India Kuwait) শ্রমশক্তির ৩০ শতাংশই ভারতের নাগরিক। ভারতে অপরিশোধিত তেল সরবরাহকারী দেশের তালিকায় কুয়েত ষষ্ঠ স্থানে। দুই দেশ এই কথা স্মরণ করে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে নতুন সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি করছে। দুই পক্ষই কুয়েতের অর্থনীতিতে ভারতীয়দের গুরুত্বপূর্ণ অবদানকে স্বীকার করেছে। রবিবারই কুয়েত সফর শেষে দেশে ফিরে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Delhi Assembly Election: সামনেই দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন, কেন মসনদ দখল করতে পারে বিজেপি?

    Delhi Assembly Election: সামনেই দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন, কেন মসনদ দখল করতে পারে বিজেপি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দরজায় কড়া নাড়ছে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল (Delhi Assembly Election) দিল্লির বিধানসভা নির্বাচন। এখানে মূল প্রতিপক্ষ বিজেপি ও আম আদমি পার্টি। দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় থাকলেও বর্তমানে দিল্লি প্রদেশে সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক হয়েছে কংগ্রেস। বিগত ২০১৩ সালের নির্বাচনে কংগ্রেসকে পরাস্ত করে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে উঠে আসে বিজেপি (BJP), কিন্তু আম আদমি পার্টি এবং কংগ্রেসের পরিকল্পনায় ক্ষমতা থেকে দূরে থাকতে হয় গেরুয়া শিবিরকে। পরবর্তীকালে ২০১৫ সালে ৬৭ আসন নিয়ে ক্ষমতা দখল করে আম আদমি পার্টি। ২০২০ সালেও প্রায় একই সংখ্যা দেখা যায় এবং তারা ৬২টি আসনে জয়লাভ করে।

    দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপির শক্তি বৃদ্ধি হতে দেখা যাচ্ছে

    অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণভাবে দেখা যাচ্ছে, দিল্লির (Delhi Assembly Election) লোকসভা নির্বাচনে আম আদমি পার্টির প্রতিবার ভরাডুবি হওয়া সত্ত্বেও বিধানসভা নির্বাচনে ভালোমতো জিতছে। অন্যদিকে বিজেপি লোকসভাতে জিতলেও দিল্লি প্রদেশের বিধানসভায় জিততে পারছে না। কিন্তু বর্তমান সময়ের দিকে তাকিয়ে দেখা যাচ্ছে, বিজেপির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে দিল্লি প্রদেশের ক্ষমতা দখল করার। তার কারণ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপির শক্তি বৃদ্ধি হতে দেখা যাচ্ছে।

    বিজেপির অসম ও হরিয়ানা জয়

    যদি আমরা অসমের দিকে তাকাই তাহলে দেখব, ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সেখানে বিজেপি (Delhi Assembly Election) জিতেছিল পাঁচটি আসনে। কিন্তু ২০১৬ সালের বিজেপি যেতে ৬০ আসনে অন্যদিকে হরিয়ানার ক্ষেত্রে যদি তাকাই তখন আমরা দেখব বিজেপি ৪৭ টি আসনে যেতে ২০১৪ সালে এবং সেখানে সরকার তৈরি করে বিধানসভার আসন রয়েছে হরিয়ানাতে ৯০টি। ২০১৪ আগের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় হরিয়ানাতে ২০০৯ সালে। সেবার বিজেপির চারটি আসনে সমর্থ হয়েছিল। ২০১৪ সালের ক্ষমতা মসনদে বসার আগে মসনদে বছর আগে পর্যন্ত বিজেপির সব থেকে বড় জয় ছিল ১৬টি আসন।

    বিজেপির ত্রিপুরা জয়

    অন্যদিকে উত্তর-পূর্ব ভারতের অপর আরেক রাজ্য ত্রিপুরার দিকেও যদি আমরা তাকাই তাহলে দেখব সেখানে বিধানসভায় আসন রয়েছে মোট ৬০ আসন। যার মধ্যে বিজেপি (Delhi Assembly Election) ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে পর্যন্ত কোনও আসনেই জেতেনি। ২০১৩ সাল পর্যন্ত বিজেপির ইতিহাসে একমাত্র কদমতলা-কুর্তি নামক আসনে নিজেদের জামানতকে তারা ধরে রাখতে পেরেছিল। এটাই ছিল বড় সাফল্য। কিন্তু ২০১৮ সালে ৬০ আসনের বিধানসভার মধ্যে ৩৬টি আসনের জয়লাভ করে বিজেপি এবং সেখানে সরকার তৈরি করে। ২০২৩ সালে পুনরায় ক্ষমতায় ফেরে বিজেপি। তাই এই সমস্ত রাজ্যগুলির মতো ফলাফল দিল্লিতেও হতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 23 december 2024: ব্যবসায় বিবাদের যোগ থাকলেও লাভ বাড়তে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 23 december 2024: ব্যবসায় বিবাদের যোগ থাকলেও লাভ বাড়তে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) ব্যবসার কাজে মাথা ঠান্ডা রাখুন।

    ২) বুদ্ধির ভুলের জন্য ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) পুরনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতে পারে।

    বৃষ

    ১) মনের মতো স্থানে বেড়াতে যাওয়ায় আনন্দ লাভ।

    ২) মিথ্যা বদনাম থেকে সাবধান।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    মিথুন

    ১) কর্মক্ষেত্রে উন্নতি শেষ মুহূর্তে গিয়ে আটকে যাওয়ায় মনঃকষ্ট।

    ২) সকাল থেকে স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদ হতে পারে।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    কর্কট

    ১) ব্যয় বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ২) পারিবারিক ভ্রমণে বাধা পড়তে পারে।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    সিংহ

    ১) কোনও নিকটাত্মীয়ের জন্য সংসারে বিবাদ।

    ২) ব্যবসায় বিবাদের যোগ থাকলেও লাভ বাড়তে পারে।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    কন্যা

    ১) দুর্বুদ্ধিকে প্রশ্রয় দেবেন না।

    ২) ব্যবসায় শত্রুর দ্বারা ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) দুশ্চিন্তা বাড়বে।

    তুলা

    ১) ব্যবসার ক্ষেত্রে তর্ক-বিতর্ক ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

    ২) আর্থিক সুবিধা পেতে পারেন।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    বৃশ্চিক

    ১) কর্মক্ষেত্রে উন্নতির যোগ বিদ্যমান।

    ২) সকালের দিকে কোনও দুশ্চিন্তা মাথা খারাপ করবে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    ধনু

    ১) বিষয়-সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে গুরুজনের সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে বাড়িতে বিবাদের সম্ভাবনা।

    ২) বাড়িতে আনন্দ বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    মকর

    ১) সকালের দিকে পেটের ব্যথায় কষ্ট পেতে পারেন।

    ২) কেনাকাটার জন্য খরচ বাড়তে পারে।

    ৩) আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ করুন।

    কুম্ভ

    ১) সম্মানহানির সম্ভাবনা রয়েছে।

    ২) কোনও কাজে সময় নষ্ট হতে পারে।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    মীন

    ১) মা-বাবার সঙ্গে বিশেষ আলোচনা।

    ২) ব্যবসায় লাভের যোগ।

    ৩) ভেবেচিন্তে কথা বলুন।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 228: “লজ্জা, ঘৃণা, ভয়, জাতি, কুল, শীল, শোক, জুগুপ্সা, ওই অষ্টপাশ-গুরু না খুলে দিলে হয় না”

    Ramakrishna 228: “লজ্জা, ঘৃণা, ভয়, জাতি, কুল, শীল, শোক, জুগুপ্সা, ওই অষ্টপাশ-গুরু না খুলে দিলে হয় না”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িমধ্যে

    দশম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১০ই জুন

    বেলঘরের ভক্তসঙ্গে

    “যতক্ষণ ‘আমি’ বোধ তিনি রেখেছেন ততক্ষণ সবই আছে। আর স্বপ্নবৎ বলবার জো নাই। নিচে আগুন জ্বালা আছে, তাই হাঁড়ির ভিতরে ডাল, ভাত, আলু, পটোল সব টগ্‌বগ্‌ করছে। লাফাচ্ছে, আর যেন বলছে (Kathamrita), ‘আমি আছি, আমি লাফাচ্ছি।’ শরীরটা যেন হাঁড়ি; মন বুদ্ধি—জল ইন্দ্রিয়ের বিষয়গুলি যেন—ডাল, ভাত, আলু পটোল। অহং যেন তাদের অভিমান, আমি টগ্‌বগ্‌ করছি! আর সচ্চিদানন্দ (Ramakrishna) অগ্নি।

    “তাই ভক্তিশাস্ত্রে, এই সংসারকেই ‘মজার কুটি’ বলেছে। রামপ্রসাদের গানে আছে ‘এই সংসার ধোঁকার টাটি’। তারই একজন জবাব দিয়েছিল, ‘এই সংসার মজার কুটি’। ‘কালীর ভক্ত জীবন্মুক্ত নিত্যানন্দময়।’ ভক্ত দেখে, যিনিই ঈশ্বর তিনিই মায়া হয়েছেন। তিনিই জীবজগৎ হয়েছেন। ইশ্বর-মায়া-জীব-জগৎ এক দেখে। কোন কোন ভক্ত সমস্ত রামময় দেখে। রামই সব রয়েছেন। কেউ রাধাকৃষ্ণময় (Ramakrishna) দেখে। কৃষ্ণই এই চতুর্বিংশতি তত্ত্ব (Kathamrita) হয়ে রয়েছেন। সবুজ চশমা পরলে যেমন সব সবুজ দেখে।

    “তবে ভক্তিমতে শক্তিবিশেষ। রামই (Ramakrishna) সব হয়ে রয়েছেন, কিন্তু কোনখানে বেশি শক্তি, আর কোনখানে কম শক্তি। অবতারেতে তিনি একরকম প্রকাশ, আবার জীবেতে একরকম। অবতারেরও (Kathamrita) দেহবুদ্ধি আছে। শরীরধারণে মায়া। সীতার জন্য রাম কেঁদেছিলেন। তবে অবতার ইচ্ছা করে নিজের চোখে কাপড় বাঁধে। যেমন ছেলেরা কানামাছি খেলে। কিন্তু মা ডাকলেই খেলা থামায়। জীবের আলাদা কথা। যে-কাপড়ে চোখ বাঁধা সেই কাপড়ের পিঠে আটটা ইস্কুরূপ দিয়ে বাঁধা। অষ্টপাশ। লজ্জা, ঘৃণা, ভয়, জাতি, কুল, শীল, শোক, জুগুপ্সা (নিন্দা)—ওই অষ্টপাশ। গুরু না খুলে দিলে হয় না।”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Wayanad: “রাহুল-প্রিয়াঙ্কার ভোটের জয়ের পিছনে ছিল সাম্প্রদায়িক মুসলিম জোট”, বিস্ফোরক বাম নেতা বিজয়রাঘবন

    Wayanad: “রাহুল-প্রিয়াঙ্কার ভোটের জয়ের পিছনে ছিল সাম্প্রদায়িক মুসলিম জোট”, বিস্ফোরক বাম নেতা বিজয়রাঘবন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়ানাড় (Wayanad) লোকসভার উপনির্বাচনে রাহুল এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর ভোটের জয়ের পিছনে ছিল সাম্প্রদায়িক মুসলিম জোট (Communal Muslim Alliance), ঠিক এই ভাবেই বিস্ফোরক হয়েছেন সিপিআই(এম) নেতা বিজয়রাঘবন। কংগ্রেস যে মুসলিম ভোটকে রাজনীতির ভোট ব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করে, সেই কথা আরও একবার প্রকাশ্যে এসেছে। অবশ্য লোকসভায় একাধিকবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তোপ দেগেছিলেন এই বলে যে কংগ্রেস কেরলে মুসলিম লীগের সঙ্গে জোটের শরীক হয়ে থাকে। এবার বাম নেতার মন্তব্যে আরও একবার ‘তোষণনীতি’ প্রকাশ্যে এসেছে।

    খারাপ চরমপন্থী মুসলিম জোটের সমর্থন পেয়ছেন (Wayanad)!

    ২১ ডিসেম্বর কেরলের (Wayanad) সুলতান বাথেরিতে বাম দলের জেলা সম্মেলন ছিল। সেখানে মার্কসবাদী নেতা এ বিজয়রাঘবন কংগ্রেসের মুসলিম সাম্প্রদায়িকতার (Communal Muslim Alliance) প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, “দুই ব্যক্তি (রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী) ওয়ানাড় (Wayanad) থেকে সংসদে গিয়েছেন। কার সমর্থনে? সাম্প্রদায়িক মুসলিম জোটের শক্ত সমর্থন নিয়ে। মুসলমানদের সমর্থন ছাড়া কী রাহুল গান্ধীর পক্ষে দিল্লি পৌঁছানো সম্ভব ছিল? তিনি বিরোধী দলীয় নেতা। প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর মিছিলের সামনে ও পিছনের সারিতে কারা ছিলেন? সংখ্যালঘুদের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ চরমপন্থী উপাদান সেখানে ছিল। মুসলিমরা কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে ছিলেন। সাম্প্রদায়িক মুসলিম জোটের সমর্থন ছাড়া কি রাহুল গান্ধীর পক্ষে দিল্লি পৌঁছানো সম্ভব ছিল?”

    আরও পড়ুনঃ ‘ওয়ান নেশন ওয়ান সাবস্ক্রিপশন’ স্কিমে ভারতীয় গবেষকদের হবে বিশেষ সুবিধা

    বিজয়রাঘবন নিজের দলের ব্যর্থতার কথা বলে আরও বলেন, “কেরলে বিরোধী ইন্ডিজোট সম্পর্কে কেন্দ্রীয় কমিটি সঠিক অবস্থান নেয়নি। কংগ্রেসের প্রধান শত্রু বামেরা। রাজ্য ধ্বংস হয়ে গেলেও কংগ্রেসের কিছুই যায় আসে না। মুসলিম সংগঠনের (Communal Muslim Alliance) সরাসরি সমর্থন পেয়েছে কংগ্রেস। অপর দিকে সিপিআই (এম) হিন্দু ভোটব্যাঙ্ক হারিয়েছে।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য পালাক্কাদ, চেলাক্কাদ বিধানসভা এবং ওয়ানাড়ে (Wayanad) সিপিআই(এম) হিন্দু ভোটারদের ভোট জয়ের চেষ্টা চালিয়েছিল। কংগ্রেসকেও এই নির্বাচনে বাম দলের বিরুদ্ধে আক্রমণ করতে দেখা গিয়েছিল।

    বাম এবং কংগ্রেস দুই পক্ষই মুসলিম চায়

    অপরদিকে ওয়ানাড় (Wayanad) উপনির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন একটি বক্তব্যে বলেছিলেন, “আইইউএমএল-এর রাজ্য সভাপতি সাদিক আলী শিহাব থাঙ্গালকে ‘জামায়াত-ই-ইসলামির কর্মী’। তাঁরা ইসলামী শাসনের (Communal Muslim Alliance) পক্ষে দাঁড়িয়েছেন।” উল্লেখ্য এই দল ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের অংশ। এটি আবার জাতীয় পর্যায়ে ইন্ডি জোটেরও শরীক। নির্বাচনের এক মাস আগে বিজয়ন এই দলকে নিজেদের সঙ্গে যুক্ত করার চেষ্টা করেছিলেন। ফলে রাজনৈতিক ওয়াকিবহাল মহলের মতে বাম এবং কংগ্রেস দুই পক্ষই মুসলিম ভোটের জন্য মরিয়া।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • 2025: ২০২৫ সালের ১২ মাসে ৯টি লম্বা সপ্তাহান্তে ছুটি, নতুন বছরের কেমন হবে ক্যালেন্ডার

    2025: ২০২৫ সালের ১২ মাসে ৯টি লম্বা সপ্তাহান্তে ছুটি, নতুন বছরের কেমন হবে ক্যালেন্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যায় বছরের থেকে যেন আসছে নতুন বছরটা আরও ভালো কাটে সেই কামনা করেন সকলেই। আসছে বছর, নতুন বছর যেন আনন্দ এবং খুশিতে কাটে, এই ভাবনা নিয়ে করা হয় উচ্ছ্বাসের বর্ষবরণ। আর মাত্র হাতে কয়েকটা দিন, এরপর আসবে ২০২৫ (2025) সালের ইংরেজি বর্ষ। ১২ মাসের মধ্যে বর্ষার মরসুম বাদ দিলে কীভাবে কখন ঘুরতে যাবেন একবার জেনে নেওয়া প্রয়োজন। ওই বছরে ছুটি (Weekend Holiday) কেমন থাকবে এবং আনন্দ কীভাবে করবেন একবার ক্যালেন্ডার দেখে নিতে পারেন।

    সপ্তাহান্তে থাকছে তিন দিনের ছুটি (2025)

    ২০২৫ সালের নতুন বছরে বর্ষার মাস জুন-জুলাইকে বাদ দিলে বাকি ১০ মাসের মধ্যে ৯ মাসেই থাকছে সপ্তাহান্তে তিন দিনের ছুটি। এই সময়ের মধ্যে ঘুরতে যেতে পারেন যে কোনও জায়গায়। একই ভাবে থাকবে বোনাস ৫ দিনের দুর্গাপুজোর ছুটি (Weekend Holiday)। ষষ্ঠী পড়েছে রবিবার। কাজের ব্যস্ততা এবং অবসরের সুযোগ পেতে নতুন বছরের ক্যালেন্ডারদের দিকে আসুন একবার নজর দিই।

    জানুয়ারি

    জানুয়ারিতে চার দিনের ছুটি নিতে পারেন। ১৪ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তি। কিন্তু একদিন আগেই ১১ এবং ১২ তারিখ হল শনিবার, রবিবার। আপনার জন্য ১৩ তারিখ ছুটি নিলে একটা ভালো ছুটি (Weekend Holiday) কাটাতে পারবেন।

    ফেব্রুয়ারি

    এই মাসে মোট ৫ দিন ছুটি পেতে পারেন। ২২-২৩ ফেব্রুয়ারি তারিখ হল শনি, রবি এবং ২৬ তারিখ শিবরাত্রি। মাঝে ২৪-২৫ ফেব্রুয়ারি ছুটি নিলেই লম্বা ছুটি হয়ে যাবে।

    মার্চ

    মার্চ মাসে ৩ দিনের ছুটি। দোল ১৪ মার্চ শুক্রবার। ফলে তারপর শনি, রবি ১৫, ১৬ ছুটি। বসন্ত উৎসব ভালোই কাটবে।

    এপ্রিল

    ১৮ এপ্রিল শুক্রবার গুড ফ্রাইডে। এরপর শনি-রবি ছুটি।

    মে

    ১ মে, বৃহস্পতিবার শ্রমিক দিবস। এরপর শুক্রবার ছুটি নিলে পরপর চারদিন ছুটি হয়ে যাবে।

    অগাস্ট

    এই মাসে ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতা দিবস। ক্যালেন্ডারে শুক্রবার, শনি-রবি মিলিয়ে দেখলে তিন দিনের ছুটি (Weekend Holiday) মিলে যাবে।

    সেপ্টেম্বর-অক্টোবর

    পুজোর ছুটি ৪ দিন সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী এবং দশমী থাকে। এবার ২৮সেপ্টেম্বর ষষ্ঠী পড়ছে রবিবার। ১ অক্টোবর নবমী, ২ অক্টোবর দশমী। এরপর ৩ অক্টোবর শুক্রবার ছুটি নিতে পারলে শনি-রবি ছুটি পাওয়া যাবে। তারপর আবার সোমবার ৬ অক্টোবর লক্ষ্মী পুজো। সব মিলিয়ে পুজোতে হবে ৯ দিন ছুটি।

    আরও পড়ুনঃ‘জ্যোতিপ্রিয় রেশন কেলেঙ্কারির রিং মাস্টার, দুর্নীতির গঙ্গাসাগার’, আদালতে দাবি ইডির

    নভেম্বর

    গুরুনানকের জন্মজয়ন্তী ৫ নভেম্বর, বুধবার। সোম ও মঙ্গলবার ছুটি নিলে ৪ দিনের ছুটি পাওয়া যাবে।

    ডিসেম্বর

    ২৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার। চার দিনের ছুটি (Weekend Holiday) পাওয়া যেতে পারে। কারণ ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন পড়েছে বৃহস্পতি বার। মাঝে ২৬ ডিসেম্বর ছুটি পেলে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত বছরের শেষ ছুটি পাওয়া যাবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis 11: চিন্ময়প্রভুর গ্রেফতারিতে উত্তাল হয় বাংলাদেশ, সংঘর্ষ চট্টগ্রাম আদালতে, মৃত আইনজীবী

    Bangladesh Crisis 11: চিন্ময়প্রভুর গ্রেফতারিতে উত্তাল হয় বাংলাদেশ, সংঘর্ষ চট্টগ্রাম আদালতে, মৃত আইনজীবী

    হাসিনা সরকারকে উৎখাত করার পর থেকেই অশান্ত বাংলাদেশ। মন্দির ভাঙচুর, আগুন, মারধর, খুন-সবেতেই টার্গেট সংখ্যালঘু হিন্দু। শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ইউনূসের কঙ্কালসার চেহারাটা এখন গোটা বিশ্বের কাছে পরিষ্কার। ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের পর গোটা বিশ্ব জেনে গিয়েছে, কী ভয়াবহ এবং আতঙ্কের পরিবেশ সেখানে। শুধু কি সাধারণ নিরীহ হিন্দু বা হিন্দুদের মন্দির? না, বেছে বেছে কাঠগড়ায় তুলে চরম শাস্তি দেওয়া হয়েছে আওয়ামি লিগপন্থী জনপ্রতিনিধি, পুলিশ অফিসার থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পদস্থ কর্তাদেরও। কীভাবে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নিপীড়ন চলছে, কীভাবে একের পর এক সরকারি অফিসার বা জনপ্রতিনিধির ওপর শাস্তির খাঁড়া নেমে আসছে, তা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদন। আজ একাদশ পর্ব।

     

    অশান্ত বাংলাদেশ: টার্গেট হিন্দু-১১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস গ্রেফতার হতেই বাংলাদেশ জুড়ে (Bangladesh Crisis 11) ছড়িয়ে পড়ে আন্দোলন। হিন্দু সমাজের সদস্যরা দলে দলে রাস্তায় নামতে থাকেন এবং চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবি তোলেন। শুধু বাংলাদেশেই নয়, ভারত সহ বিশ্বের একাধিক রাষ্ট্রে ইসকন সন্ন্যাসীর মুক্তির দাবিতে রাস্তায় নামেন সনাতনীরা। বাংলাদেশের মধ্যে বিক্ষোভ দেখা যায় চট্টগ্রামে। এর পাশাপাশি, ঢাকা, গোপালগঞ্জ, বরিশাল, সিলেট, টাঙ্গাইল, নারায়ণগঞ্জ, ফেনী- এসমস্ত জায়গাতেও হিন্দু সমাজের মানুষেরা রাস্তায় নামেন এবং ইসকন সন্ন্যাসীর মুক্তির দাবি তোলেন। অনেক জায়গায় হিন্দু সমাজের বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের পুলিশের সঙ্গে হিন্দু সমাজের ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। গ্রেফতারির পরে চিন্ময়প্রভুকে কারাগারে ওষুধ দিতে দেওয়া হয়নি পুলিশের তরফে, এমনটাই অভিযোগ সেসময় সামনে আসে বাংলাদেশের একাধিক হিন্দু সংগঠনের তরফে। ধৃত হিন্দু নেতাকে মানসিক এবং শারীরিক ভাবে হেনস্থা করার অভিযোগও ওঠে।

    নিন্দা জানায় ইসকন (Bangladesh Crisis 11)

    চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করার (Bangladesh Crisis 11) পরেই বাংলাদেশের ইসকনের তরফ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিন্দা জানানো হয় এবং এ ধরনের হিন্দু বিরোধী (Targeting Minority) কার্যকলাপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হয়। ওই বিবৃতিতে ইসকন জানায়, তারা একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। তাই সেই ধর্মীয় সংগঠনের একজন সন্ন্যাসীর মৌলিক অধিকার রয়েছে শান্তি ও সম্প্রীতিতে বাঁচার অধিকার।

    চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে খুন আইনজীবী

    ২০২৪ সালের ২৫ নভেম্বর ঢাকা বিমানবন্দরে গ্রেফতার করা হয় চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে, তারপর থেকে (Targeting Minority) এখনও পর্যন্ত (প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত) জেলেই রয়েছেন চিন্ময়কৃষ্ণ দাস। ২৬ নভেম্বর তাঁকে বাংলাদেশের চট্টগ্রামের আদালতে তোলা হয়। সেদিন তাঁর মামলার শুনানিকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সংঘর্ষ বাধে কোর্ট চত্বরে। এই সংঘর্ষের সময় একদল আইনজীবীর সঙ্গে হিন্দু সমাজের সংঘর্ষ শুরু হলে, তার মাঝে পড়ে মৃত্যু হয় সাইফুল ইসলাম নামের এক আইনজীবীর। আইনজীবীর মৃত্যুর খবর সামনে আসতেই নানা রকমের মতামত উঠে আসে। একটি সূত্র দাবি করে, ইসকন সমর্থকদের (Bangladesh Crisis 11) বাঁচাতে গিয়েই মরতে হয় সাইফুলকে। এখনও পর্যন্ত সাইফুলের মৃত্যু তদন্ত সাপেক্ষ।

    কী বলেছিল ইউনূস ঘনিষ্ঠ মিডিয়া? 

    তবে বাংলাদেশের ইউনূস সরকারের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত একাধিক মিডিয়া খবর করেছে যে সাইফুল ইসলাম হল একজন পাবলিক প্রসিকিউটার এবং সে চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে ডিফেন্ড করতে সেখানে যায়নি। যদিও বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের একজন প্রতিনিধি সুমন রায় দাবি করেছেন যে সাইফুলকে হিন্দু ভেবেই হত্যা করা হয়েছে। চট্টগ্রামের সেদিনকার ভয়াবহ পরিস্থিতিতে অজস্র হিন্দু জখম হন।  বাংলাদেশের স্থানীয় সংবাদ পত্রিকা দৈনিক ইত্তেফাকের রিপোর্ট অনুযায়ী (Bangladesh Crisis 11), চট্টগ্রাম আদালতে সেদিন শ্রীবাস দাস ছোটন, সুজিত ঘোষ, উৎপল- এই নামের হিন্দুরা গুরুতর ভাবে জখম হন। প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-৬ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন ২৬ নভেম্বর। বাংলাদেশের হিন্দু সন্ন্যাসীকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। হিন্দু সন্ন্যাসীর হয়ে সওয়াল করেন ৫১ জন আইনজীবী।

    ইউনূস সরকারের টার্গেট চিন্ময়প্রভু

    সাইফুলের মৃত্যু হতেই ইউনুস সরকার তড়িঘড়ি বিবৃতি জারি করে। তারা জানায়, যারাই এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তাদেরকে চরমতম শাস্তি দেওয়া হবে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী দাবি করেন, সাইফুলের খুনিদের খুনের ঘটনায় অনেকেই যুক্ত হয়ে আছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার দফতরের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম দাবি করেন,যাঁরা এই খুনের ঘটনায় যুক্ত বা জড়িত আছেন, তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর পাশাপাশি চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে তিনি বলেন যে ওই হিন্দু সন্ন্যাসী বাংলাদেশ সম্প্রীতির পরিবেশকে নষ্ট করতে চাইছেন এবং উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখছেন তিনি।

    চট্টগ্রামে নামানো হয় সেনা, হয়রানির শিকার হিন্দুরা

    এরপরেই বাংলাদেশের চট্টগ্রামের সেনা নামানো হয়। এই সেনা নামার পরেই চট্টগ্রামের একাধিক অঞ্চলে তারা তল্লাশি অভিযান চালাতে থাকে। তল্লাশির নামে হিন্দুদের ওপর আবারও অত্যাচার নেমে আসে এবং চট্টগ্রাম থেকে ৩০ হিন্দুকে গ্রেফতার করে বাংলাদেশের সেনা। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় আইনজীবী খুনের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • One Nation One Subscription: ‘ওয়ান নেশন ওয়ান সাবস্ক্রিপশন’ স্কিমে ভারতীয় গবেষকদের হবে বিশেষ সুবিধা

    One Nation One Subscription: ‘ওয়ান নেশন ওয়ান সাবস্ক্রিপশন’ স্কিমে ভারতীয় গবেষকদের হবে বিশেষ সুবিধা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাচীন ভারতীয় সভ্যতা ছিল জ্ঞানচর্চা এবং গবেষণার (Indian Research) বিশেষ কেন্দ্রস্থল। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, চিকিৎসা, দর্শন, ধাতুবিদ্যা এবং মানবিক বিষয়ে যুগান্তকারী অবদান রেখেছিলেন প্রাচীন ভারতীয় মুনি ঋষিরা। কিন্তু বহির্দেশীয় মুসলমান এবং ব্রিটিশরা আক্রমণ করে এবং নিজেদের শাসন কায়েম করে প্রাচীন সৃষ্টি-সংস্কৃতিকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। তারা শুধু ভারতীয় সম্পত্তি লুট করেনি, সেই সঙ্গে বিদ্যাচর্চা ও গবেষণার পরম্পরার উপর ব্যাপক আঘাত করেছিল। এবার সেই গবেষণার ব্যবস্থাকে সমৃদ্ধ করতে কেন্দ্র আনছে ‘ওয়ান নেশন ওয়ান সাবস্ক্রিপশন’ স্কিম (One Nation One Subscription)।

    জার্নালগুলিকে আরও সহজভাবে পৌঁছে দেওয়া হবে (One Nation One Subscription)

    সম্প্রতি ন্যাশনাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনিক্যাল ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এনএসটি) সহ বিভিন্ন প্রতিবেদনে গবেষণার পরিকাঠামোর উপর জোর দেওয়া হয়েছে। ২০২২ সালের আর্থিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে গবেষণার (Indian Research) কাজে যে ব্যয় ধার্য করা হয়, তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। এবার থেকে তাই ‘ওয়ান নেশন ওয়ান সাবস্ক্রিপশন’ ((One Nation One Subscription)) স্কিমের মতো সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এটি একটি এমন ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে অ্যাকাডেমিক জার্নালগুলিকে আরও সহজভাবে পাঠকের কাছে পৌঁছে দেওয়া যাবে। এর ফলে দেশের সমস্ত গবেষকদের একটি বিশেষ ছাতার নিচে আনা যাবে। সেইসঙ্গে গবেষণা কাজেও আমূল পরিবর্তন এবং উন্নতি ঘটবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    কেন্দ্রীয় সরকার ৬০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে

    ‘ওয়ান নেশন ওয়ান সাবস্ক্রিপশন’ (One Nation One Subscription) ব্যবস্থায় সমস্ত গ্রন্থাগারগুলিকে একই পোর্টালে একত্রিত করা হবে। এই বিরাট ব্যবস্থাটি ছাত্র-ছাত্রী, গবেষক, অধ্যাপক সকলেই ব্যবহার করতে পারবেন। কেন্দ্রীয় ভাবে ২৩৬০৬টি প্রতিষ্ঠান থেকে ৬৩৮০টি ই-জার্নাল উপলব্ধ করা হবে। স্বতন্ত্র ভাবে ব্যবহারকারীদের সংখ্যা ৫০.৬ লক্ষ থেকে ১ কোটি ৭৮ লক্ষের মাত্রা স্থির করা হয়েছে। আগামী তিন বছরে কেন্দ্রীয় সরকার ৬০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের কথা জানিয়েছে। এখানে বিষয় হিসেবে সমাজবিজ্ঞান, আইন, মানবিক বিষয় সহ নানাণ বিষয় যেমন প্রযুক্তি, প্রকৌশল, গণিত, মেডিসিন (Indian Research) ইত্যাদি বিষয়গুলিও থাকবে।

    আরও পড়ুনঃ মহারাষ্ট্রে মন্ত্রীপরিষদের দফতর ঘোষাণায় শপথ নিলেন আরও ৩৯ জন মন্ত্রী, কে কোন দফতর পেলেন?

    ভারত বিশ্বগুরু হবে

    ‘ওয়ান নেশন ওয়ান সাবস্ক্রিপশন’-এর (One Nation One Subscription) মাধ্যমে প্রাচীন যুগের নানা বিষয়কে গবেষণার বিষয় হিসেবে তুলে ধরা হবে। একাডেমিক ন্যাশনাল রিসার্চ ফাউন্ডেশনকে এর মধ্যে রেখে বহু বিষয়ক শিক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। সারা দেশে জ্ঞানের ভাণ্ডার (Indian Research) খুলতে এই ব্যবস্থা বিশেষ ভাবে কার্যকর হবে। ভারতকে বিশ্বগুরু করার বৃহৎ সঙ্কল্প এই ব্যবস্থার মাধ্যমে অনেকটাই স্বার্থক হবে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।

    এই ব্যবস্থা একটি বড় পদক্ষেপ। কেননা সমস্ত বিষয়ে গবেষণা সংক্রান্ত জার্নাল এক সঙ্গে পাওয়া যাবে। একসঙ্গে এক জায়গায় সকল তথ্য পাওয়া যাবার জন্য খরচের বোঝা অনেক কমে যাবে গবেষকদের। ধীরে ধীরে ভারত কীভাবে বিশ্বজুড়ে গবেষণার প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হবে, তারও ভাবনা এই স্কিমে রয়েছে। তাই এই ব্যবস্থার ব্যবহার এবং কার্যকারিতা ভীষণভাবে প্রয়োজন।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Swami Shraddhananda: ২৩ ডিসেম্বর ১৯২৬, মৌলবাদীর হাতে খুন হন আর্য সমাজের সন্ন্যাসী শ্রদ্ধানন্দ, জানুন তাঁর জীবনী

    Swami Shraddhananda: ২৩ ডিসেম্বর ১৯২৬, মৌলবাদীর হাতে খুন হন আর্য সমাজের সন্ন্যাসী শ্রদ্ধানন্দ, জানুন তাঁর জীবনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৩ ডিসেম্বর স্বামী শ্রদ্ধানন্দ সরস্বতীর আত্ম বলিদান দিবস। স্বামী শ্রদ্ধানন্দ সরস্বতী (Swami Shraddhananda) ছিলেন একজন ভারতীয় শিক্ষাবিদ, স্বাধীনতা সংগ্রামী ও আর্য সমাজের সন্ন্যাসী। আর্য সমাজের (Arya Samaj) প্রতিষ্ঠাতা স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতীর বাণীকে তিনি প্রচার করেছিলেন। ১৯২৬ সালের ২৩ ডিসেম্বর অসুস্থ শ্রদ্ধানন্দকে গুলি করে হত্যা করে আব্দুর রশিদ নামের এক আততায়ী। শুদ্ধি আন্দোলনের মাধ্যমে তিনি অ-হিন্দুদেরকে পুনরায় হিন্দু ধর্মে ফিরে আনতেন। স্বামী শ্রদ্ধানন্দের হত্যার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন বাবাসাহেব আম্বেদকর। তাঁর নিজের লেখা, ‘পাকিস্তান অর দ্য পার্টিশন অফ ইন্ডিয়া-১৯৪৬’, এই বইতে আম্বেদকর বলেন, ‘‘ধর্মান্ধ মুসলমান স্বামী শ্রদ্ধানন্দকে হত্যা করেছে, শুদ্ধি আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে বেশ কিছু প্রশ্ন তুলেছিলেন বলেই তাঁকে হত্যা করা হল।’’

    শ্রদ্ধানন্দের হত্যা সম্পর্কে কী লিখেছিলেন রমেশচন্দ্র মজুমদার

    প্রসঙ্গত, পরাধীন ভারতের প্রথম হিন্দু আন্দোলনের সূচনা হয় আর্য সমাজের হাত ধরেই। রমেশচন্দ্র মজুমদার তাঁর লেখা, ‘দ্য হিস্ট্রি অ্যান্ড দ্য কালচার অফ ইন্ডিয়ান পিপল’ গ্রন্থের ৪৩৫ নম্বর পাতায় লিখছেন, ‘‘তাবলীগী জামাত প্রথম ঠান্ডা মাথায় খুন করেছিল স্বামী শ্রদ্ধানন্দকে (Swami Shraddhananda) কারণ তিনি শুদ্ধি আন্দোলনের সঙ্গে ঘনিষ্ট ভাবে জড়িত ছিলেন।’’ প্রসঙ্গত, বাবাসাহেব আম্বেদকর ১৯২২ সালেই বলেছিলেন যে স্বামী শ্রদ্ধানন্দ হলেন অস্পৃশ্যদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সত্যিকারের মহান মানব।

    স্বামী শ্রদ্ধানন্দ সরস্বতীর আসল নাম ছিল মুন্সিরাম বীজ

    স্বামী শ্রদ্ধানন্দ সরস্বতীর (Swami Shraddhananda) আসল নাম ছিল মুন্সিরাম বীজ। ১৮৫৬ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি তিনি জন্মগ্রহণ করেন পাঞ্জাব প্রদেশের জলন্ধর জেলার তালোয়ান নামক একটি গ্রামে। জানা যায় জাতিতে তিনি ছিলেন একজন ক্ষত্রিয়। তাঁর জন্মতিথি ছিল ফাল্গুনের কৃষ্ণ ত্রয়োদশী। তাঁর পিতার নাম ছিল শ্রী নানকচাঁদ বীজ এবং তিনি ছিলেন তৎকালীন ইউনাইটেড প্রদেশ বা বর্তমানে উত্তরপ্রদেশের একজন পুলিশ অফিসার। জানা যায়, একবার স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী বৈদিক ধর্মের প্রচারের জন্য উত্তরপ্রদেশের বরেলিতে পৌঁছান, সেখানেই পুলিশ অফিসার নানকচাঁদ তাঁর পুত্র মুন্সিরাম বীজকে নিয়ে দয়ানন্দ সরস্বতীর বক্তব্য শুনতে আসেন। কিশোর মুন্সিরাম দয়ানন্দ সরস্বতীর যুক্তিবাদী বক্তব্যে আকৃষ্ট হন এবং আর্য সমাজের সদস্য হন।

    গান্ধীজীর উদ্দেশে টাকা পাঠিয়েছিলেন

    জানা যায়, যে সময়ে মহাত্মা গান্ধী দক্ষিণ আফ্রিকাতে আন্দোলন করছিলেন, সে সময় ভারত থেকে গুরুকুল শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে দেড় হাজার টাকা সংগ্রহ করে গান্ধীজীর কাছে প্রেরণ করেছিলেন মুন্সিরাম বীজ। জানা যায়, পরবর্তীকালে মহাত্মা গান্ধী আফ্রিকা থেকে ভারতে ফিরে এসে এই অবদানকে স্বীকার করেছিলেন। স্বামী শ্রদ্ধানন্দ (Swami Shraddhananda) সাংবাদিক হিসেবেও অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দিয়েছিলেন। উর্দু এবং হিন্দি ভাষায় বিভিন্ন ধর্মীয় সামাজিক বিষয়ে তিনি লেখালেখি করতেন। পরবর্তীকালে দয়ানন্দ সরস্বতীকে অনুসরণ করে তিনি দেবনাগরি লিপিতে রচিত হিন্দি ভাষাকে অগ্রাধিকার দেন। জানা যায়, স্বামী শ্রদ্ধানন্দ হিন্দিতে অর্জুন এবং উর্দু ভাষায় তেজ নামে একটি প্রবন্ধ প্রকাশ করেছিলেন। জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকাণ্ডের পরে ১৯১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে কংগ্রেসের ৩৬তম অধিবেশন বসে অমৃতসরে। সেখানে স্বাগত কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন স্বামী শ্রদ্ধানন্দ এবং তিনি হিন্দিতে নিজের বক্তব্য রাখেন। একইসঙ্গে হিন্দিকে জাতীয় ভাষা ঘোষণা করারও দাবি তোলেন তিনি।

    স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণ

    স্বাধীনতার আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ নিয়েছিলেন তিনি। এর পাশাপাশি দরিদ্র ও নিপীড়িতদের মুক্তির জন্য আওয়াজও তুলতেন তিনি। নারী শিক্ষারও প্রচার করেছিলেন স্বামী শ্রদ্ধানন্দ (Swami Shraddhananda)। ১৯১৯ সালে দিল্লির জামে মসজিদ এলাকায় আয়োজিত একটি বিশাল সমাবেশে স্বামী শ্রদ্ধানন্দ ভারতবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে তাঁর এক বছর চার মাসের কারাগারও হয়েছিল।

    শুদ্ধি আন্দোলন

    স্বামী শ্রদ্ধানন্দ লক্ষ্য করেন যে কংগ্রেসের প্রায় প্রত্যেক নেতাই মুসলিম তুষ্টিকরণ করছেন। তখনই তিনি অনুভব করেছিলেন যে এমন নীতি ভারতবর্ষের পক্ষে একদমই বিপজ্জনক। এই সময় তিনি এগিয়ে নিয়ে যান দয়ানন্দ সরস্বতীর শুদ্ধি আন্দোলনকে। কারণ তৎকালীন ভারতবর্ষে কংগ্রেস যখন একদিকে মুসলিম তোষণের নির্লজ্জ নীতিতে বিশ্বাস রাখছিল, তখনই মৌলবাদী মুসলমান ও খ্রিস্টানরা হিন্দুদেরকে ধর্মান্তরিত করতে ব্যস্ত ছিল। এই সময়ে স্বামী শ্রদ্ধানন্দ আর্য সমাজের শুদ্ধি আন্দোলনকে ব্যাপক আকারে গড়ে তোলেন এবং বহু ধর্মান্তরিত মানুষকে বৈদিক ধর্মে দীক্ষিত করতে থাকেন। হিন্দুদের পুনরায় সনাতন ধর্মে ফিরিয়ে আনার নামই ছিল শুদ্ধি আন্দোলন।

    শোক প্রস্তাবে গান্ধীর সাম্প্রদায়িক তোষণ

    ১৯২৬ সালে ২৩ ডিসেম্বর তাঁর নিজের বাসভবনে আব্দুর রশিদ নামের একজন মৌলবাদী প্রবেশ করে এবং স্বামী শ্রদ্ধানন্দকে গুলি করে হত্যা করে। পরবর্তীকালে আব্দুর রশিদের ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল। ২৩ ডিসেম্বর শ্রদ্ধানন্দকে হত্যা করার পরে ১৯২৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর কংগ্রেসের অধিবেশনে একটি শোক প্রস্তাবা আনা হয় যা অত্যন্ত হতাশাজনক ছিল। ওই শোক প্রস্তাবে মহাত্মা গান্ধী বক্তৃতায় বলেন,‘‘আমি আব্দুর রশিদকে ভাই বলে সম্বোধন করেছি। আমি তাঁকে দোষী বলে মনে করি না। দোষীরা আসল তারা, যারা একে অপরের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ায়। আমি শ্রদ্ধানন্দজির মৃত্যুতে শোক করতে পারি না। একজনের অপরাধের কারণে পুরো সম্প্রদায়কে আমি অপরাধী বলতে পারি না।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Phula Soren: শৈশবে মাকে হারিয়েছেন জন্মান্ধ ফুলা সোরেন, এখন ক্রিকেটের অধিনায়িকা, জানুন সাফল্যের কথা

    Phula Soren: শৈশবে মাকে হারিয়েছেন জন্মান্ধ ফুলা সোরেন, এখন ক্রিকেটের অধিনায়িকা, জানুন সাফল্যের কথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জন্মান্ধ তরুণী, ছোট্ট বেলা থেকেই মাকে হারিয়েছেন। সকল প্রতিবন্ধকতাকে (Blind Cricketer) উপেক্ষা করে ক্রিকেট খেলাই ফুলা সরেনকে জীবনের সাফল্যের দিকে নিয়ে গিয়েছে। শারীরিক বাধা মনের জোরকে কোনও দিন থামিয়ে রাখতে পারেনি। আজ তিনি ভারতের অন্ধ ক্রিকেট দলের সহ-অধিনায়িকা। একজন নারী হয়ে কীভাবে জীবনকে সাফল্যের দিকে নিয়ে গিয়েছেন, আসুন জেনে নিই সেই ফুলা সোরেনের (Phula Soren) গল্প কথা।

    খুব অল্প বয়সেই নিজের মাকে হারিয়েছিলেন (Phula Soren)!

    ফুলা সোরেনের (Phula Soren) দৃষ্টিশক্তি ছোট বেলা থেকেই হারিয়ে গিয়েছিল। তাঁর বয়স তখন মাত্র ১৭। ওড়িশার সালাবানি শান্ত গ্রামে একটি অল্পবয়সী মেয়ে ধূলাময় মাঠে দাঁড়িয়ে প্রথমবারের জন্য ক্রিকেট ব্যাট (Blind Cricketer) ধরেছিলেন। বলের ভিতরের শব্দে তাঁর গতিবিধি পরিচালিত হচ্ছিল। নিজের ইন্দ্রিয় দিয়ে সেই সজাগ দৃষ্টিকে নিরীক্ষণ করে খেলাকে করায়ত্ত করেছিলেন তিনি। তাঁর শৈশব জীবন কেটেছিল আরও কষ্টে, খুব অল্প বয়সেই নিজের মাকে হারিয়েছিলেন। কিন্তু তবুই ক্রিকেটের আনন্দ এবং সাফল্য তাঁকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। একটি খেলা যে তাঁকে এত বড় সাফল্যের দিকে নিয়ে যাবে তা কল্পনাতীত ছিল। জীবনের চেহারা একে বারে বদলে দিয়েছে।

     
     
     
     
     
    View this post on Instagram
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     

    A post shared by The Better India (@thebetterindia)

    মাঠে ঘন্টার পর ঘন্টা অনুশীলন করতেন

    ক্রিকেট খেলা দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের (Blind Cricketer) জন্য এক প্রকার চ্যালেঞ্জ স্বরূপ হয়ে থাকে। এই খেলাকে নিজের উচ্চাকাঙ্ক্ষা হিসেবে গ্রহণ করেন ফুলা (Phula Soren)। এই ক্রিকেট খেলা ব্যাটের সুইং, বলের শব্দ, স্পর্শ ইত্যাদি নানা মাত্রার উপর নির্ভর করে খেলা হয়ে থাকে। তবে দৃষ্টিহীনরা এই খেলাকে বেশ কয়েকটি ধাপে ধাপে শিক্ষণ করে থাকেন। মাঠে ঘন্টার পর ঘন্টা অনুশীলন করে পারদর্শী হয়ে উঠেছিলেন ফুলা। এরপর সর্ব ভারতীয় অন্ধ মহিলা টিমে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছিলেন।

    আরও পড়ুন: ‘‘ভাষা নিয়ে আরও সংযত হোন’’, মানচিত্র বিতর্কে বাংলাদেশকে সতর্ক করল দিল্লি

    দেশের জন্য স্বর্ণপদক নিয়ে এসে ছিলেন

    ফুলা (Blind Cricketer) গৌরবের সঙ্গে দলের সহ-অধিনায়িকার দায়িত্ব পালন করছেন। ২০২৩ সালে, তিনি বার্মিংহামে আইবিএসএ ওয়ার্ল্ড গেমসে ঐতিহাসিক স্বর্ণপদক নিয়ে এসেছিলেন। যেখানে তাঁরা ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে পরাজিত করেছিলেন। এটি ছিল অত্যন্ত গর্বের একটি মুহূর্ত, কারণ ভারত এই ইভেন্টে প্রথমবারের মতো মহিলাদের অন্ধ ক্রিকেটে সোনা জিতেছিল৷ ফুলার অবদান ছিল মুখ্য, তাঁর দক্ষতা এবং নেতৃত্ব ছিল অসামান্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share