Author: user

  • Bangladesh Crisis 8: মৌলবাদীদের সুরে সুর মিলিয়ে ইউনূস প্রশাসন বন্ধ করে শতাব্দীপ্রাচীন কুণ্ডুবাড়ির মেলা!

    Bangladesh Crisis 8: মৌলবাদীদের সুরে সুর মিলিয়ে ইউনূস প্রশাসন বন্ধ করে শতাব্দীপ্রাচীন কুণ্ডুবাড়ির মেলা!

    হাসিনা সরকারকে উৎখাত করার পর থেকেই অশান্ত বাংলাদেশ। মন্দির ভাঙচুর, আগুন, মারধর, খুন-সবেতেই টার্গেট সংখ্যালঘু হিন্দু। শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ইউনূসের কঙ্কালসার চেহারাটা এখন গোটা বিশ্বের কাছে পরিষ্কার। ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের পর গোটা বিশ্ব জেনে গিয়েছে, কী ভয়াবহ এবং আতঙ্কের পরিবেশ সেখানে। শুধু কি সাধারণ নিরীহ হিন্দু বা হিন্দুদের মন্দির? না, বেছে বেছে কাঠগড়ায় তুলে চরম শাস্তি দেওয়া হয়েছে আওয়ামি লিগপন্থী জনপ্রতিনিধি, পুলিশ অফিসার থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পদস্থ কর্তাদেরও। কীভাবে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নিপীড়ন চলছে, কীভাবে একের পর এক সরকারি অফিসার বা জনপ্রতিনিধির ওপর শাস্তির খাঁড়া নেমে আসছে, তা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদন। আজ অষ্টম পর্ব।

     

    অশান্ত বাংলাদেশ: টার্গেট হিন্দু-৮

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের ৫ অগাস্ট পতন হয় হাসিনা সরকারের। অসাংবিধানিকভাবে জামাত-বিএনপির উগ্র মৌলবাদীরা (Bangladesh Crisis 8) দখল করে গণভবন। দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন মুজিবকন্যা শেখ হাসিনা। তার পর থেকেই বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর ব্যাপক হামলা শুরু হয়। মন্দির ভাঙচুর, বাড়িতে অগ্নিসংযোগ থেকে আরম্ভ করে হিন্দু জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিকদের খুনের ঘটনাও সামনে আসতে থাকে। মহিলাদের ওপর নির্যাতনও ঘটতে থাকে সমানে। বাংলাদেশের এমন বর্বরোচিত আচরণে স্তম্ভিত হয় সারা বিশ্ব। ব্রিটেন-আমেরিকার মতো দেশও সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার বন্ধের আর্জি জানায় ইউনূস সরকারের কাছে। এই সময়ে বাংলাদেশ প্রশাসনেরও ন্যক্কারজনক ভূমিকা সামনে আসে। আসল অপরাধীদের আড়াল করে অত্যাচারিত-নির্যাতিতদের ওপরেই পুনরায় হামলা চালাতে থাকে বাংলাদেশের প্রশাসন। শুধু তাই নয়, হিন্দুদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের রীতিতেও নানাভাবে বাধা দিতে শুরু করে ইউনুস প্রশাসন।

    বন্ধ করা হয় শতাব্দী প্রাচীন কুণ্ডুবাড়ির মেলা (Bangladesh Crisis 8) 

    বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের (Bangladesh Crisis 8) সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণের অসংখ্য ঘটনা সামনে এসেছে। ইউনূস সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিক বৈঠক করে ঘোষণা করেন যে হিন্দুরা তাঁদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সময় কোনওভাবেই গান চালাতে পারবেন না আজানের সময়। অর্থাৎ হিন্দুদের সাংস্কৃতিক আচার-অনুষ্ঠানেও বিধিনিষেধ জারি করতে দেখা যায় ইউনূস প্রশাসনকে। একইভাবে শতাব্দী প্রাচীন কুণ্ডুবাড়ির মেলা, যা বাংলাদেশের কালকিনি মাদারিপুরে অনুষ্ঠিত হত, সেটিও মৌলবাদীদের চাপে বন্ধ করে দেয় ইউনূস প্রশাসন। এই ঘটনায় ফের একবার সামনে আসে ইউনূস সরকারের হিন্দু বিরোধিতা। চলতি বছরের দুর্গাপুজোর সময় ফতোয়া জারি করতেও দেখা যায় বাংলাদেশের মৌলবাদী সংগঠনগুলিকে। এর মধ্যে সে দেশের কুখ্যাত মৌলবাদী সংগঠন হিসেবে পরিচিত, ‘ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র জনতা’ ১৬ দফার ফতোয়া জারি করে হিন্দুদের বিরুদ্ধে। তার মধ্যে অন্যতম ছিল দুর্গাপুজোর বিরোধিতা। কারণ হিসেবে তারা জানায় মূর্তি পুজো ইসলাম বিরোধী। শুধু তাই নয়, পুজো মণ্ডপে ভারত বিরোধী স্লোগান দিতে দেখা যায় ওই সংগঠনকে।

    বৌদ্ধদের ওপরেও চূড়ান্ত অত্যাচার

    শুধু তাই নয়, হিন্দুদের পাশাপাশি বাংলাদেশের বৌদ্ধদের ওপরেও চূড়ান্ত অত্যাচার শুরু হয়। বিশেষত চট্টগ্রামের পার্বত্য অঞ্চলের বৌদ্ধদের নানাভাবে হুমকি দিতে থাকে মৌলবাদী সংগঠনগুলি। এমন হুমকির মুখে পড়ে নিজেদের ধর্মীয় আচরণও বন্ধ করতে বাধ্য হয় বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরা।

    বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপরে নির্মম অত্যাচারের সঙ্গে গণহত্যাও ঘটতে থাকে। চলতি বছরে ৩০ সেপ্টেম্বর একটি উগ্র মৌলবাদীদের দল হত্যা করে পার্থ বিশ্বাস পিন্টু নামের এক হিন্দু যুবককে। এর পাশাপাশি খুন করা হয় খুলনার উৎসব মণ্ডলকে। সেই সময়ে হৃদয় রবিদাস নামের এক হিন্দুকে হত্যার ঘটনা সামনে আসে। এ ধরনের সাম্প্রদায়িক হামলাগুলির প্রতি ক্ষেত্রে একটা সাধারণ বিষয় দেখা যায় যে মসজিদ থেকে ঘোষণা করা হয়, তারপরেই জমায়েত শুরু করে মৌলবাদীরা।

    যৌন নির্যাতন হিন্দু মহিলাদের ওপরে (Targeting Minority)

    শুধু তাই নয়, নির্মমভাবে অত্যাচার শুরু হয় হিন্দু মহিলা ও ছাত্রীদের ওপরেও। তাঁদেরকে নানাভাবে (Bangladesh Crisis 8) যৌন নির্যাতন চালানো হয়। শ্লীলতাহানির একাধিক অভিযোগ সামনে আসে। ধর্ষণের স্বীকারও হন হিন্দু রমণীরা। যশোরে এক হিন্দু যুবতীকে হত্যা করার অভিযোগ ওঠে মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে। এভাবেই নির্যাতিত হতে থাকেন বাংলাদেশের হিন্দু মহিলারা। একইসঙ্গে হিন্দু কিশোরী ও যুবতীদের অপহরণেরও অভিযোগ ওঠে মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে। বাংলাদেশের মৌলভীবাজারের রামকৃষ্ণ মিশন রোডের বাসিন্দা একজন হিন্দু ছাত্রী সুচি রানি নাথ হঠাৎই নিখোঁজ হয়ে যায়। সন্দেহ করা হয়, তাঁকে মৌলবাদীরা অপহরণ করেছে। বাংলাদেশের দৈনিক সংবাদপত্রগুলিতে খবরও লেখা হয় এবিষয়ে। বাংলাদেশের ফুলবাড়িতেও একই ধরনের ঘটনা ঘটে। এক হিন্দু ছাত্রীকে অপহরণ করার ঘটনা সামনে আসে সেখানে। অন্যদিকে, হিন্দু কলেজ ছাত্রী তমা চক্রবর্তীকে বাংলাদেশের জামালপুরে অপহরণ করে মৌলবাদীরা। রাজারহাট উপজেলায় আনসার বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে দুর্গাপুজোর সময় এক হিন্দু যুবতীকে অপহরণ করার।

    নারী নির্যাতনের আরও উদাহরণ (Targeting Minority)

    একইসঙ্গে বাংলাদেশে হিন্দু মহিলাদের ওপরে ধর্ষণের ঘটনাও ঘটতে থাকে। মৌলবাদীরা একের পর এক মহিলাদের ওপরে যৌন নির্যাতন চালাতে থাকে। বাংলাদেশের এক হিন্দু স্কুল ছাত্রীকে, এক মুসলিম শিক্ষক ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ওঠে। অন্যদিকে সে দেশে চাকমা সম্প্রদায়ের এক মহিলাকে রামগড় উপজেলার খাগড়াগাছিতে গত ২২ অগাস্ট ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। আট বছরের এক শিশুকন্যাকেও ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে সেদেশে। দক্ষিণ বাংলাদেশের নাটোরের এক হিন্দু মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে। একই ধরনের ঘটনা ঘটতে থাকে সারা বাংলাদেশ জুড়ে।

    লুট চালানো হয় হিন্দু বাড়িগুলিতে

    অন্যদিকে বাংলাদেশের নড়াইল জেলার লোহাগড় উপজেলাতে হিন্দু বাড়িগুলিতে লুট চালানো হয় এবং একইসঙ্গে মহিলাদের শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ সামনে আসে। একই ধরনের ঘটনা ঘটতে থাকে নোয়াখালিতেও। সেখানে হিন্দু বাসিন্দা সহদেব রায়ের বাড়িতে লুট চালানো হয় এবং তাঁর বাড়ির মহিলাদের শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনা ফের একবার উসকে দেয় ১৯৪৬ সালের নোয়াখালির সাম্প্রদায়িক হিংসার স্মৃতিকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 19 december 2024: কোনও দুঃস্থ ব্যক্তির পাশে দাঁড়াতে হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 19 december 2024: কোনও দুঃস্থ ব্যক্তির পাশে দাঁড়াতে হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) ছাত্রছাত্রীরা বহুমুখী প্রতিভা দেখানোর সুযোগ পাবেন।

    ২) নিঃসঙ্গতা আপনাকে তাড়িয়ে বেড়াবে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) প্রতিবেশীদের সঙ্গে খুব বুদ্ধি নিয়ে চলতে হবে।

    ২) ঋণের পরিমাণ বাড়তে পারে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    মিথুন

    ১) কোনও আধ্যাত্মিক কাজে যোগ দিতে হতে পারে।

    ২) কর্মক্ষেত্রে কেউ আপনাকে ঠকাতে পারে। 

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    কর্কট

    ১) অতিরিক্ত ক্রোধের ফলে হাতে আসা কাজ পণ্ড হতে পারে।

    ২) উচ্চশিক্ষার পরিকল্পনা সফল হবে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    সিংহ

    ১) প্রেমের বিষয়ে খুব ভেবেচিন্তে এগোনো উচিত।

    ২) শেয়ার বাজারে লাভ দেখা যাচ্ছে, তবে খুব চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন।

    ৩) ধৈর্য্য ধরুন।

    কন্যা

    ১) স্ত্রীর জন্য বিশেষ কাজের সুযোগ পাবেন।

    ২) কোনও দুঃস্থ ব্যক্তির পাশে দাঁড়াতে হতে পারে।

    ৩) সমাজের কাজে সাফল্য।

    তুলা

    ১) মাতৃস্থানীয়া কারও সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে।

    ২) সঙ্গীতচর্চায় নতুন রাস্তা খুলতে পারে।

    ৩) প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পাবেন।

    বৃশ্চিক

    ১) কোনও ভালো জিনিস নষ্ট হওয়ার যোগ।

    ২) বন্ধুদের দিক থেকে ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) চোখ কান খোলা রেখে বিশ্বাস করুন।

    ধনু

    ১) অভিজ্ঞ ব্যক্তির পরামর্শে আইনি সুরক্ষা পেতে পারেন।

    ২) প্রতিযোগিতামূলক কাজে জয়ের আশা রাখতে পারেন।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    মকর

    ১) ধর্ম বিষয়ক আলোচনায় সুনাম বৃদ্ধি পাবে।

    ২) মাত্রাছাড়া আবেগ আপনার ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

    ৩) ধর্মস্থানে যেতে পারেন।

    কুম্ভ

    ১) কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন নিয়ে সমস্যা হতে পারে।

    ২) শরীরের সমস্যায় বহু অর্থ ব্যয় হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মীন

    ১) সকলের সঙ্গে কথা খুব বুঝে বলবেন।

    ২) সন্তানদের নিয়ে সংসারে কলহ সৃষ্টি হতে পারে।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 225: “দুধে মাখন আছে বললেই হয় না, দুধকে দই পেতে, মন্থন করে মাখন তুলতে হয়”

    Ramakrishna 225: “দুধে মাখন আছে বললেই হয় না, দুধকে দই পেতে, মন্থন করে মাখন তুলতে হয়”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িমধ্যে

    নবম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১০ই জুন

    শ্রীরামকৃষ্ণ মণিরামপুর ভক্তসঙ্গে

    ঠাকুর (Ramakrishna) আহারান্তে ছোট খাটটিতে একটু বসিয়াছেন, এখনও বিশ্রাম করিতে অবসর পান নাই। ভক্তদের সমাগম হইতে লাগিল। প্রথমে মণিরামপুর হইতে একদল ভক্ত আসিয়া উপস্থিত হইলেন। একজন পি. ডব্লিউ. ডি. তে কাজ করিতেন, এখন পেনশন পান। একটি ভক্ত তাঁহাদিগকে লইয়া আসিয়াছেন। ক্রমে বেলঘরে হইতে একদল ভক্ত আসিলেন। শ্রীযুক্ত মণি মল্লিক প্রভৃতি ভক্তেরাও ক্রমে আসিলেন (Kathamrita)।

    মণিরামপুরের ভক্তগণ বলিতেছেন (Kathamrita), আপনার বিশ্রামের ব্যাঘাত হল।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) বলিতেছেন, “না, না, ও-সব রজোগুণের কথা—উনি এখন ঘুমুবেন!”

    চাণক মণিরামপুর—এই কথা শুনিয়া ঠাকুরের বাল্যসখা শ্রীরামের উদ্দীপন হইয়াছে। ঠাকুর বলিতেছেন, “শ্রীরামের দোকান তোমাদের ওখানে। ও-দেশে শ্রীরাম আমার সঙ্গে পাঠশালায় পড়ত। সেদিন এখানে এসেছিল।”

    মণিরামপুরের ভক্তেরা বলিতেছেন, কি উপায়ে ভগবানকে পাওয়া যায়, একটু আমাদের দয়া করে বলুন।

    মণিরামপুরের ভক্তকে শিক্ষা—সাধন-ভজন কর ও ব্যাকুল হও 

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—একটু সাধন-ভজন করতে হয়।

    “দুধে মাখন আছে বললেই হয় না, দুধকে দই পেতে, মন্থন করে মাখন তুলতে হয়। তবে মাঝে মাঝে একটু নির্জন চাই। দিন কতক নির্জনে থেকে ভক্তিলাভ করে, তারপর যেখানে থাক। জুতো পায় দিয়ে কাঁটাবনেও অনায়াসে যাওয়া যায়।

    “প্রধান কথা বিশ্বাস। ‘যেমন ভাব তেমনি লাভ, মূল সে প্রত্যয়।’ বিশ্বাস হয়ে গেলে আর ভয় নাই।”

    মণিরামপুর ভক্ত—আজ্ঞা, গুরু কি প্রয়োজন?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—অনেকের প্রয়োজন আছে। তবে গুরুবাক্যে বিশ্বাস করতে হয়। গুরুকে ইশ্বরজ্ঞান করলে তবে হয়। তাই বৈষ্ণবেরা বলে (Kathamrita), গুরু-কৃষ্ণ-বৈষ্ণব।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 224: “গোপীদের কি ভালবাসা, কি প্রেম, শ্রীমতী স্বহস্তে শ্রীকৃষ্ণের চিত্র এঁকেছেন”

    Ramakrishna 224: “গোপীদের কি ভালবাসা, কি প্রেম, শ্রীমতী স্বহস্তে শ্রীকৃষ্ণের চিত্র এঁকেছেন”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িমধ্যে

    অষ্টম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১০ই জুন

     দক্ষিণেশ্বরে মণিরামপুর ও বেলঘরের ভক্তসঙ্গে

     শ্রীরামকৃষ্ণ-কথিত নিজ চরিত 

    রামনামে শ্রীরামকৃষ্ণ বিহ্বল—গোপীপ্রেম 

    শেষ গানটি শুনিতে শুনিতে ঠাকুর অশ্রু বিসর্জন করিতেছেন, আর বলিতেছেন (Kathamrita), “আমি ঝাউতলায় বাহ্যে করতে গিয়ে শুনেছিলাম, নৌকার মাঝি নৌকাতে ওই গান গাচ্ছে; ঝাউতলায় যতক্ষণ বসেছিলাম খালি কেঁদেছি; আমাকে ধরে ধরে ঘরে নিয়ে এল।”

    (৩)।       শুনেছি রাম তারক ব্রহ্ম, মানুষ নয় রাম জটাধারী ৷
    পিতে কি নাশিতে বংশ, সীতে তার করেছ চুরি ॥

    অক্রূর শ্রীকৃষ্ণকে (Ramakrishna) রথে বসাইয়া মথুরায় লইয়া যাইতেছেন দেখিয়া গোপীরা রথচক্র আঁকড়াইয়া ধরিয়াছেন ও কেহ রথচক্রের সামনে শুইয়া পড়িয়াছেন। তাঁরা অক্রূরকে দোষ দিতেছেন। শ্রীকৃষ্ণ যে নিজের ইচ্ছায় যাইতেছেন তাহা জানেন না।

    (৪)।       ধোরো না ধোরা না রথচক্র, রথ কি চক্রে চলে,
    যে চক্রের চক্রী হরি, যাঁর চক্রে জগৎ চলে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (ভক্তদের প্রতি)—গোপীদের কি ভালবাসা, কি প্রেম। শ্রীমতী স্বহস্তে শ্রীকৃষ্ণের চিত্র এঁকেছেন, কিন্তু পা আঁকেন নাই; পাছে তিনি মথুরায় চলে যান।

    “আমি এ-সব গান ছেলেবেলায় খুব গাইতাম (Kathamrita)। এক-এক যাত্রার সমস্ত পালা গেয়ে দিতে পারতাম। কেউ কেউ বলত, আমি কালীয়দমন-যাত্রার দলে ছিলাম।”

    একজন ভক্ত নূতন উড়ানি গায়ে দিয়া আসিয়াছেন। রাখালের বালক স্বভাব, কাঁচি এনে তাঁর চাদরের ছিলা কাটিতে আসিয়াছেন। ঠাকুর বলিলেন, “কেন কাটছিস? থাক না, শালের মতো বেশ দেখাচ্ছে। হাঁগা, এর কত দাম?” তখন বিলাতী চাদরের দাম কম ছিল। ভক্তটি বলিলেন, এক টাকা ছয় আনা জোড়া। ঠাকুর বলিলেন, “বল কি গো। জোড়া! এক টাকা ছয় আনা জোড়া!”

    কিয়ৎক্ষণ পরে ঠাকুর ভক্তকে বলিতেছেন, “যাও, গঙ্গা নাওগে; এঁকে তেল দে রে।”

    স্নানান্তে তিনি ফিরিয়া আসিলে, ঠাকুর তাক হইতে একটি আম্র লইয়া তাঁহাকে দিলেন। বলিতেছেন (Kathamrita), এই আমটি একে দিই; তিনটা পাশ করা। আচ্ছা, তোমার ভাই এখন কেমন?

    ভক্ত—হাঁ, তাঁর ঔষধ ঠিক পড়েছে, এখন খাটলে হয়।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—তার একটি কর্মের যোগাড় করে দিতে পার? বেশ তো তুমি মুরুব্বি হবে।

    ভক্ত—ভাল হলে সব সুবিধা হয়ে যাবে।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ravichandran Ashwin: এক যুগের অবসান, সজল চোখে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন অশ্বিন

    Ravichandran Ashwin: এক যুগের অবসান, সজল চোখে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন অশ্বিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারতীয় দলের ক্রিকেটার হিসেবে এটাই আমার শেষ দিন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের (Cricket) সব ফরম্যাটেই।” বুধবার সজল চোখে কথাগুলো বললেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন (Ravichandran Ashwin)। তিনি বলেন, “যদিও আমি মনে করি, আমার মধ্যে এখনও কিছুটা ক্রিকেট বাকি রয়েছে। সেটা ক্লাব স্তরের ক্রিকেটেই প্রকাশ করব। দেশের হয়ে এটাই শেষ।”

    আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় (Ravichandran Ashwin)

    অস্ট্রেলিয়ার চলছে টেস্ট সিরিজ। তা শেষ হওয়ার আগেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন তিনি। অবসর নেওয়ার সময় সাজঘরে বিরাট কোহলির পাশে বসে কেঁদে ফেলেছিলেন তিনি। তার পরেই ঘোষণা করলেন বিদায়ের কথা। ব্রিসবেনে খেলা শেষে অধিনায়ক রোহিত শর্মার সঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকে যান অশ্বিন। বলেন, “আমার এখানে আসার কথা ছিল না। কিন্তু একটা কথা সবাইকে জানানোর জন্য এসেছি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এটাই আমার শেষ দিন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিচ্ছি।”

    জড়িয়ে ধরলেন কোহলিকে

    এদিন ব্রিসবেনে ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু হওয়ার পরেই বৃষ্টি নামে। তাই বন্ধ হয়ে যায় খেলা। সাজঘরে ফিরে যায় দুই টিমের খেলোয়াড়রাই। সেখানেই দেখা যায় কোহলির পাশে বসে রয়েছেন অশ্বিন। তাঁর চোখে জল। অশ্বিনকে জড়িয়ে ধরেন কোহলি। কোহলি উঠে যাওয়ার পরেই কোচ গৌতম গম্ভীরের সঙ্গেও কথা বলতে দেখা যায় অশ্বিনকে। ভারতের হয়ে অশ্বিন (Ravichandran Ashwin) খেলেছেন ১০৫টি টেস্ট ম্যাচ। উইকেট নিয়েছেন ৫৩৭টি। এক ইনিংসে পাঁচ বা তার বেশি উইকেট নিয়েছেন ৩৭ বার। করেছেন ৩ হাজার ৪৭৪ রান। অশ্বিনের ঝুলিতে রয়েছে ৬টি শতরান এবং ১৪টি অর্ধশতরান। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপেও সর্বাধিক উইকেট রয়েছে তাঁর দখলে।

    আরও পড়ুন: মণিপুরে বিদ্রোহীদের ডেরায় মিলল স্টারলিঙ্ক ডিশ-রাউটার! কী বললেন ইলন মাস্ক?

    এদিন সতীর্থদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানাতে ভোলেননি অশ্বিন। বলেন, সবার আগে আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই ভারতীয় বোর্ডকে। অনেক সতীর্থ সম্পর্কেই বলতে ইচ্ছে করছে। তবে কয়েকটা নাম না বললেই নয়। রোহিত, বিরাট, পূজারা আমার এই সফরে অনবদ্য কিছু ক্যাচ নিয়েছে। ওদের জন্যও অনেক উইকেট পেয়েছি। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড ও অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট (Cricket) বোর্ডকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন অশ্বিন (Ravichandran Ashwin)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 18 december 2024: চাকরির ক্ষেত্রে দিনটি খুব ভালো এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 18 december 2024: চাকরির ক্ষেত্রে দিনটি খুব ভালো এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) ব্যবসায় তেমন লাভ হবে না।

    ২) অর্থক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) চাকরির ক্ষেত্রে দিনটি খুব ভালো।

    ২) সন্তানদের বিষয়ে উদ্বেগ থাকবে।

    ৩) গুরুজনদের পরামর্শ মেনে চলুন।

    মিথুন

    ১) সকালের দিকে দাম্পত্য কলহের কারণে মানসিক চাপ বাড়তে পারে।

    ২) কোনও আধ্যাত্মিক কাজে যোগ দিতে হতে পারে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    কর্কট

    ১) বিদেশযাত্রার বিষয়ে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ২) অতিরিক্ত ক্রোধের জন্য হাতে আসা কাজ নষ্ট হতে পারে।

    ৩) ভবিষ্যত পরিকল্পনা করুন।

    সিংহ

    ১) অভিনেতাদের জন্য ভালো সুযোগ আসতে পারে।

    ২) প্রেমের ব্যাপারে খুব ভেবেচিন্তে পা বাড়ানো উচিত।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    কন্যা

    ১) সারা দিন কোনও ভয় আপনাকে চিন্তায় ফেলতে পারে।

    ২) স্ত্রীর সুবাদে কোনও বিশেষ কাজের সুযোগ পাবেন।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    তুলা

    ১) বেকারদের নতুন কিছু করার চেষ্টা বাড়তে পারে।

    ২) মাতৃস্থানীয়া কারও সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃশ্চিক

    ১) মানসিক কষ্ট বাড়তে পারে।

    ২) কোনও ভালো জিনিস নষ্ট হওয়ার যোগ।

    ৩) বন্ধুদের থেকে সাহায্য পাবেন।

    ধনু

    ১) অপরকে সুখী করতে গেলে স্বার্থত্যাগ করতে হবে।

    ২) অভিজ্ঞ ব্যক্তির পরামর্শে আইনি সুরক্ষা পেতে পারেন।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মকর

    ১) কোনও নামী ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয়ে লাভবান হতে পারেন।

    ২) ধর্ম বিষয়ক আলোচনায় সুনাম বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) ব্যবসায় বিপুল লাভ।

    কুম্ভ

    ১) সম্মান নিয়ে চিন্তা বাড়তে পারে।

    ২) কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন নিয়ে ঝামেলা বাধতে পারে।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    মীন

    ১) সঞ্চয়ের ইচ্ছা খুব বাড়তে পারে।

    ২) সকলের সঙ্গে কথা খুব বুঝে বলবেন।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Yogi Adityanath: “আমরা ইজরায়েলে ছেলে পাঠাচ্ছি আর কংগ্রেস ব্যাগ নিয়ে ঘুরছে”, তোপ যোগীর

    Yogi Adityanath: “আমরা ইজরায়েলে ছেলে পাঠাচ্ছি আর কংগ্রেস ব্যাগ নিয়ে ঘুরছে”, তোপ যোগীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমরা ইজরায়েলে ছেলে পাঠাচ্ছি আর কংগ্রেস ব্যাগ নিয়ে ঘুরছে।” ঠিক এই ভাষায়ই কংগ্রেস নেত্রী তথা ওয়েনাড়ের সাংসদ প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকে (Priyanka Gandhi) ধুয়ে দিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। দিন কয়েক আগেই প্যালেস্তাইনের গাজায় গণহত্যা নিয়ে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন প্রিয়ঙ্কা। সেই সময় তাঁকে নিশানা করেছিল বিজেপিও। সোমবার কাঁধে প্যালেস্তাইন লেখা ব্যাগ ঝুলিয়ে সংসদে যান প্রিয়ঙ্কা। তারই প্রেক্ষিতে সোনিয়া-তনয়াকে ধুয়ে দিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী।

    কী বললেন যোগী?

    এদিন বিধানসভায় দাঁড়িয়ে আদিত্যনাথ বলেন, “আমরা সাড়ে পাঁচ হাজারের ওপর যুবককে ইজরায়েলে পাঠিয়েছি। অথচ একজন কংগ্রেস নেত্রী প্যালেস্তাইন লেখা ব্যাগ নিয়ে পার্লামেন্টে ঘুরছেন। উত্তরপ্রদেশ থেকে ছেলেরা গিয়ে সেখানে নির্মাণকর্মী হিসেবে কাজ করছেন। তাঁরা মাসে অন্তত দেড় লাখ টাকা বেতন পান। শুধু তাই নয়, বিনামূল্যে তাঁদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। ইজরায়েল সরকার তাঁদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করেছে।” এর আগে এই ব্যাগ নিয়ে প্রিয়ঙ্কাকে বিঁধেছিলেন সাংসদ বিজেপির গুলাম আলি খাতনা। তিনি বলেছিলেন, “খবরে আসার জন্য অনেকে এমন কাজ করেন। সাধারণ মানুষ প্রত্যাখ্যান করলে মানুষ এরকমই পথ অনুসরণ করে থাকেন।”

    আরও পড়ুন: বিতর্কিত হিজাব আইন প্রয়োগ এখনই নয়, জানাল ইরান সরকার

    ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ

    ইজরায়েলে বিভিন্ন নির্মাণ সংস্থায় কাজ করতেন প্যালেস্তাইনের কয়েক হাজার নির্মাণ শ্রমিক। ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরুর পর বদলে গিয়েছে পুরো পরিস্থিতি (Yogi Adityanath)। গাজায় হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তাদের মধ্যে অধিকাংশকেই কাজ থেকে ছাঁটাই করে ফেলেছে ইজরায়েল। সেই ‘শূন্যস্থান’ই পূরণ করছে ভারত। গত বছরের নভেম্বরে এক লাখ ভারতীয় শ্রমিক নিয়োগের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিল ইজরায়েল। এ বছরের এপ্রিল ও মে মাসে ইহুদি দেশটিতে কাজ করতে গিয়েছেন ছ’ হাজারের ওপর ভারতীয়। এখনও বহু যুবক কাজ করতে এদেশ থেকে ইজরায়েলে যাচ্ছেন। এঁদের একটা বড় অংশই উত্তরপ্রদেশের। এদিন প্রিয়ঙ্কাকে নিশানা করতে গিয়ে সেই প্রসঙ্গই টেনে আনলেন (Priyanka Gandhi) যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Hijab Laws: বিতর্কিত হিজাব আইন প্রয়োগ এখনই নয়, জানাল ইরান সরকার

    Hijab Laws: বিতর্কিত হিজাব আইন প্রয়োগ এখনই নয়, জানাল ইরান সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘরে-বাইরে সমালোচনার মুখে পড়ে পিছু হঠল ইরান (Iran) সরকার । নয়া হিজাব আইন (Hijab Laws) চালু করার উদ্যোগ নিয়েছিল ইরান সরকার। তবে ব্যাপক সমালোচনার জেরে বলবৎ করার আগেই তা প্রত্যাহার করে নিল সরকার। প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেকশিয়ান জানান, প্রস্তাবিত আইনটি অস্পষ্ট এবং এর সংস্কার প্রয়োজন। গত শুক্রবার আইনটি কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। তার আগেই প্রত্যাহার করে নেওয়া হল সেটি।

    প্রস্তাবিত আইনের বক্তব্য (Hijab Laws)

    প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, মহিলাদের কঠোরভাবে হিজাব বিধি মেনে চলতে হবে। পরতে হবে ঢিলেঢালা পোশাক। ঢেকে রাখতে হবে মাথার চুল, কাঁধ এবং পা। নিয়ম ভাঙলে ভারতীয় মুদ্রায় জরিমানা দিতে হবে প্রায় সাড়ে ১৩ লাখ টাকা। কোনও মহিলাকে অশোভন কোনও পোশাকে দেখেও যিনি প্রশাসনকে জানাবেন না, নয়া বিধানে সাজার ব্যবস্থা রয়েছে তাঁরও। অল্প নিয়ম ভাঙলেও, জরিমানা নেওয়া হত। সর্বোচ্চ সাজা ছিল ১৫ বছরের কারাদণ্ড। এই হিজাব ফতোয়া নিয়েই বিতর্কের ঝড় ওঠে ঘরে-বাইরে। ইরানের একাধিক নারী সংগঠনের পাশাপাশি মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এই আইনের বিরুদ্ধে সরব হয়। তার পরেই পিছু হটে প্রশাসন।

    পশ্চাদপসারণের কারণ

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, ইরান প্রশাসনের এই পশ্চাদপসারণের নেপথ্যে রয়েছেন সংস্কারমুখী প্রেসিডেন্ট চিকিৎসক-রাজনীতিক পেজেকশিয়ান। চলতি বছরের (Hijab Laws) গোড়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয় ইরানে। সেই সময় প্রচারে বেরিয়ে তিনি জানিয়েছিলেন, তিনি হিজাব নিয়ে কঠোর বিধিনিষেধের বিপক্ষে। সেই কারণেই এই পিছু হটা বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। অন্য একটি অংশের মতে, তিনশোরও বেশি ইরানি কর্মী, লেখক এবং সাংবাদিক একটি বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন, তাতে আইনটিকে অবৈধ ও প্রয়োগ অযোগ্য হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। তাঁরা প্রেসিডেন্টকে তাঁর নির্বাচনী প্রচারে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষার আহ্বানও জানিয়েছিলেন। সেই কারণেও প্রেসিডেন্ট পিছু হঠতে পারেন বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    আরও পড়ুন: লোকসভায় পেশ হল ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ বিল, কবে থেকে ভোট একযোগে?

    ইরানে হিজাব নিয়ে বিতর্ক নতুন নয়। ২০২২ সালে ইরানি তরুণী মাহসা আমিনি প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন হিজাব না পরে। সেই ‘অপরাধে’ তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল ইরানের নীতি পুলিশ। চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু হয়েছিল তাঁর। তা নিয়েও কম বিতর্ক হয়নি ইরানে। সম্প্রতি এই পোশাক ফতোয়ার প্রতিবাদে রাজধানী তেহরানে ইসলামিক আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া আহু দারইয়াই প্রকাশ্যে অন্তর্বাস পরে হেঁটেছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে নিয়ে গিয়েছিল (Iran) ইরানের পুলিশ (Hijab Laws)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • Ramakrishna 223: “ও-দেশে ছেলেবেলায় আমায় পুরুষ মেয়ে সকলে ভালবাসত, আমার গান শুনত”

    Ramakrishna 223: “ও-দেশে ছেলেবেলায় আমায় পুরুষ মেয়ে সকলে ভালবাসত, আমার গান শুনত”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িমধ্যে

    অষ্টম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১০ই জুন

     দক্ষিণেশ্বরে মণিরামপুর ও বেলঘরের ভক্তসঙ্গে

     শ্রীরামকৃষ্ণ-কথিত নিজ চরিত 

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে নিজের ঘরে কখনও দাঁড়াইয়া, কখনও বসিয়া ভক্তসঙ্গে কথা কহিতেছেন। আজ রবিবার, ১০ই জুন, ১৮৮৩ খ্রীষ্টাব্দ, জ্যৈষ্ঠ, শুক্লা পঞ্চমী, বেলা ১০টা হইবে। রাখাল, মাস্টার, লাটু, কিশোরী, রামলাল, হাজরা প্রভৃতি অনেকেই আছেন।

    ঠাকুর (Ramakrishna) নিজের চরিত্র, পূর্বকাহিনী বর্ণনা করিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (ভক্তদের প্রতি)—ও-দেশে ছেলেবেলায় আমায় পুরুষ মেয়ে সকলে ভালবাসত। আমার গান শুনত। আবার লোকদের নকল করতে পারতুম, সেই সব দেখত ও শুনত। তাদের বাড়ির বউরা আমার জন্য খাবার জিনিস রেখে দিত। কিন্তু কেউ অবিশ্বাস করত না। সকলে দেখত যেন বাড়ির ছেলে।

    “কিন্তু সুখের পায়রা ছিলুম। বেশ ভাল সংসার দেখলে আনাগোনা করতুম (Kathamrita)। যে-বাড়িতে দুঃখ বিপদ দেখতুম সেখান থেকে পালাতুম।

    “ছোকরাদের ভিতর দু-একজন ভাল লোক দেখলে খুব ভাব করতুম। কারুর সঙ্গে সেঙাত পাতাতুম। কিন্তু এখন তারা ঘোর বিষয়ী। এখন তারা কেউ কেউ এখানে আসে, এসে বলে, ও মা! পাঠশালেও যেমন দেখেছি এখানেও ঠিক তাই দেখছি।

    “পাঠশালে শুভঙ্করী আঁক ধাঁধা লাগত! কিন্তু চিত্র বেশ আঁকতে পারতুম; আর ছোট ছোট ঠাকুর বেশ গড়তে পারতুম।”

    Fond of charitable houses; and of Ramayana and Mahabharata

    “সদাব্রত, অতিথিশালা—যেখানে দেখতুম সেখানে যেতুম, গিয়ে অনেকক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখতুম।

    “কোনখানে রামায়ণ কি ভাগবত পাঠ হচ্ছে, তা বসে বসে শুনতুম, তবে যদি ঢঙ করে পড়ত, তাহলে তার নকল করতুম, আর অন্য লোকেদের শুনাতুম।

    “মেয়েদের ঢঙ বেশ বুঝতে পারতুম। তাদের কথা, সুর নকল করতুম। কড়েঁরাড়ী বাপকে উত্তর দিচ্ছে ‘যা-ই’। বারান্দায় মাগীরা ডাকছে, ‘ও তপ্‌সে-মাছোলা!’ নষ্ট মেয়ে বুঝতে পারতুম। বিধবা সোজা সিঁথে কেটেছে, আর খুব অনুরাগের সহিত গায়ে তেল মাখছে! লজ্জা কম, বসবার রকমই আলাদা।

    “থাক বিষয়ীদের কথা।”

    রামলালকে গান গাহিতে বলিতেছেন। শ্রীযুক্ত রামলাল গান গাহিতেছেন:

    (১)।       কে রণে নাচিছে বামা নীরদবরণী,
    শোণিত সায়রে যেন ভাসিছে নবনলিনী।

    এইবার রামলাল রাবণবধের পর মন্দোদরীর বিলাপ গান গাহিতেছেন (Kathamrita):

             (২)।        কি করলে হে কান্ত! অবলারি প্রাণ কান্ত,
    হয় না শান্ত এ প্রাণান্ত বিনে।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis 7: দুর্গাপুজোর অষ্টমীতে অঞ্জলির সময় তাঁতিবাজারে পেট্রোল বোমা মেরেছিল জেহাদিরা!

    Bangladesh Crisis 7: দুর্গাপুজোর অষ্টমীতে অঞ্জলির সময় তাঁতিবাজারে পেট্রোল বোমা মেরেছিল জেহাদিরা!

    হাসিনা সরকারকে উৎখাত করার পর থেকেই অশান্ত বাংলাদেশ। মন্দির ভাঙচুর, আগুন, মারধর, খুন-সবেতেই টার্গেট সংখ্যালঘু হিন্দু। শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ইউনূসের কঙ্কালসার চেহারাটা এখন গোটা বিশ্বের কাছে পরিষ্কার। ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের পর গোটা বিশ্ব জেনে গিয়েছে, কী ভয়াবহ এবং আতঙ্কের পরিবেশ সেখানে। শুধু কি সাধারণ নিরীহ হিন্দু বা হিন্দুদের মন্দির? না, বেছে বেছে কাঠগড়ায় তুলে চরম শাস্তি দেওয়া হয়েছে আওয়ামি লিগপন্থী জনপ্রতিনিধি, পুলিশ অফিসার থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পদস্থ কর্তাদেরও। কীভাবে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নিপীড়ন চলছে, কীভাবে একের পর এক সরকারি অফিসার বা জনপ্রতিনিধির ওপর শাস্তির খাঁড়া নেমে আসছে, তা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদন। আজ সপ্তম পর্ব।

    অশান্ত বাংলাদেশ: টার্গেট হিন্দু-৭

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালটা বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) হিন্দুদের জন্য ছিল অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের সময়। ১৯৪৭ সালের পর থেকে পূর্ব পাকিস্তান-পশ্চিম পাকিস্তান দুই ইসলাম প্রধান দেশই হিন্দু স্বার্থকে (Targeting Minority) সুরক্ষিত রাখেনি। শত্রু সম্পত্তি আইন থেকে শুরু করে গায়ের জোরে হিন্দু নিধন যজ্ঞ চালানো হয়েছে। ধর্মের নামে দেশ ভাগের চূড়ান্ত মাশুল দিতে হয়েছিল একমাত্র পূর্ববঙ্গের হিন্দু বাঙালিদের। ওদেশে সরকার ব্যবস্থায় যেই থাকুক না কেন, স্বাধীন জয় বাংলায় হিন্দুদের ভোট কোনও সময়েই ভোটব্যাঙ্কের রাজনৈতিক চাবিকাঠিতে রূপান্তরিত হয়নি। উল্টো দিকে স্বাধীন ভারতে মুসলমানরা বিশেষ ‘তোষণ নীতি’ নিয়ে বহাল তবিয়তে রয়েছেন। সংখ্যালঘু শব্দটা উভয় দেশের জন্য আলাদা আলদা মানে। গত ৫ অগাস্ট হাসিনাকে বিতাড়িত করার পর থেকেই হিন্দু মন্দির, মূর্তি, বাড়ি-ঘর ধ্বংস-সহ এককথায় সনাতনীদের জনজীবন নরকে পরিণত করা হয়েছে। সব ক্ষেত্রেই অভিযোগের তির কট্টর মুসলমানদের দিকে।

    ৫ থেকে ২০ অগাস্টে মোট ৬৯টি মন্দির ভাঙা হয়

    হিন্দু বাঙালির (Targeting Minority) বড় পুজো হল দুর্গাপুজো। অপর দিকে ইসলামে মূর্তি পুজো হারাম। বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) তাই এক মৌলানা প্রকাশ্যে বলেছিলেন, “মূর্তি আমি গড়তে আসি নাই, মূর্তি ভাঙতে এসেছি, আমি না পারলে আমার ছেলে ভাঙবে, ছেলে না পারলে তার ছেলে ভাঙবে, ইনশাল্লাহ এক দিন ভাঙবই।” এই অভিপ্রায়কে বাস্তবায়ন করছে মহম্মদ ইউনূস প্রশাসন, এমনটাই বলছেন ভুক্তভোগীরা। চট্টগ্রামে দুর্গাপুজার মন্দিরে জামাত শিবিরের নেতারা জোর করে ঢুকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের গান করেন। স্পষ্ট উদ্দেশ্য, আগামী দিনে পুজো তথা মূর্তি পুজো বন্ধ করে সবাইকে মসজিদে নামাজই পড়তে হবে। ‘ঢাকা ট্রাইবুন’-এর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট জানিয়েছে গত ৫ অগাস্ট থেকে ২০ অগাস্টের মধ্যে ৪৩টি মন্দির ভাঙা হয়েছে। আবার বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ জানিয়েছে, এই সময়ের মধ্যে মোট ৬৯টি মন্দির ভাঙা হয়েছে। একই ভাবে সংবাদ মাধ্যম ‘প্রথম আলো’ এই সময়ে ২২টি মন্দির ভাঙার কথা জানিয়েছে।

    হিন্দুরা রাত জেগে মন্দির পাহারা দিয়েছিল

    দুর্গাপুজোর আগে থেকেই পুজো করতে গেলে ৫-৬ লাখ করে পুজো কমিটিগুলিকে চাঁদা দেওয়ার ফতোয়া জারি করে জামাত এবং বিএনপির নেতার। একই ভাবে ঢাকার (Bangladesh Crisis) উত্তরাতে দুর্গাপুজো করতে দেওয়া হবে না বলে বিশাল মিছিল বের করেছিল স্থানীয় মৌলবিরা। মিছিলে স্পষ্ট বলা হয়, পুজো করলে উদ্যোক্তাদের বাড়িতে হামলা করা হবে। পুজোর আগেই চট্টগ্রাম, রংপুর, নেত্রকোনা, বরিশাল, কুমিল্লা, ঢাকা, খুলনা, বগুড়ায় প্রচুর নির্মীয়মান দুর্গামূর্তি এবং মন্দির ভেঙে দেওয়া হয়। এলাকায় এলাকায় হিন্দুরা (Targeting Minority) রাত জেগে জেহাদিদের কবল থেকে মন্দির রক্ষা করতে পাহারায় নামতে বাধ্য হন। সামাজিক মাধ্যমে এই ছবি প্রচুর দেখা গিয়েছিল। মন্দির ভাঙার অপরাধে কুঁড়িগ্রামের রাজারহাট এলাকায় আনসার বাহিনীর এক সদস্য মহম্মদ নিজামুদ্দিন নামক এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার পর্যন্ত করা হয়। কিন্তু তারপর তদন্তের গতিপ্রকৃতি আর প্রকাশ্যে আসেনি।

    আরও পড়ুনঃ ভেঙে ফেলা হয়েছে মেরির মূর্তি! হিন্দুদের মতো বৌদ্ধ-খ্রিস্টানদের ওপরও অবর্ণনীয় অত্যাচার বাংলাদেশে

    তাঁতিবাজারে পুজোয় পেট্রোল বোমা মারা হয়

    দুর্গাপুজোর মহাঅষ্টমীর দিনে ঢাকার তাঁতিবাজার (Bangladesh Crisis) এলাকার এক দুর্গাপুজোর প্যান্ডেলে অঞ্জলি দেওয়ার সময় পেট্রোল বোমার বিস্ফোরণ ঘটনায় জেহাদিরা। পুজোকে আরও কোণঠাসা করতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের এক উপদেষ্টা স্পষ্টভাবে ফতোয়া দেন, “মন্দিরে ঢাক, ঢোল, কাঁসর বাজানো যাবে না, এমনকী বিসর্জনে বাদ্যযন্ত্র বাজানো যাবে না।” কিশোরগঞ্জের গোপীনাথ জিউর আখড়ায় দুর্গাপুজোতে হামলা করেছিল দুষ্কৃতীরা। নেত্রকোনা, কেন্দুয়া, ফেনির পার্বতীপুর, দিনাজপুর এলাকায় দুর্গামূর্তি, কালীমূর্তি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। পটুয়াখালীর কুয়াকাটা, পীরগঞ্জ উপজেলা, শরীয়তপুর সদর সহ একাধিক জায়গায় ব্যাপক ভাবে হিন্দু (Targeting Minority) আস্থার ধর্মকেন্দ্রগুলিকে সম্পূর্ণভাবে নস্যাৎ করে কট্টর মৌলবাদীরা। এই অত্যাচার থেকে বাদ যায়নি রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম এবং ইসকনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলিও।

    মা যশোরেশ্বরী মন্দিরে গয়না লুট

    সাতক্ষীরা (Bangladesh Crisis) কালীমন্দিরে দুষ্কৃতীরা চালায় ব্যাপক লুটপাট। শ্রী শ্রী যশোরেশ্বরী মন্দিরের মায়ের জন্য একটি সোনার গয়না দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। সেই গয়নাকে চুরি করানো হয়। এখনও ইউনূস প্রশাসন তা উদ্ধার করতে ব্যর্থ। একই ভাবে লাগাতার আক্রমণ করা হয় বগুড়ার অন্যতম শক্তিপীঠ ভবানীপুর মন্দির, বরিশালের শ্যামপুর দেউরি বাড়ি সর্বজনীন দুর্গাপূজা মন্দির, রাজবাড়ির সজানকাণ্ডা জেলার মন্দিরে। পাবনায় মূর্তি ভাঙা হয়, পালপাড়া শক্তিপীঠ, বাঘেরহাটের মোল্লারকুল পাশ্চিমপাড়া দুর্গাপূজা মন্দিরের প্রতিমা ভাঙা হয়। টাঙ্গাইল, ফরিদপুর এলাকায় বেশ কয়েকটি মূর্তি ভাঙা হয়। সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে জানা গিয়েছিল, এই সময় ফরিদপুর থেকে বাপি হাসান নামে এক ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরিতাপের কথা সেনাশাসন, অন্তর্বর্তী সরকার এবং মহম্মদ ইউনূস হিন্দু সুরক্ষা নিয়ে মুখে কুলুপ। 

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share