Author: user

  • Amit Shah: বেঁধে দিলেন ডেডলাইন, দেশ থেকে নকশালদের উৎখাতের ডাক দিলেন অমিত শাহ

    Amit Shah: বেঁধে দিলেন ডেডলাইন, দেশ থেকে নকশালদের উৎখাতের ডাক দিলেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশ থেকে নকশালদের উৎখাতের ডাক দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এমনকী তিনি ডেডলাইনও বেঁধে দিলেন। নকশালদের দমন করার বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের অবস্থানও তিনি স্পষ্ট করে দেন। রবিবার একদল প্রাক্তন নকশালদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। এই প্রাক্তন নকশালরা প্রত্যেকেই আত্মসমর্পণ করেছেন। বর্তমানে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে যৌথভাবে নকশাল বিরোধী অভিযানে যুক্ত রয়েছেন। তাদের সামনেই নকশালদের নির্মূল করার কথা বললেন তিনি।

    কী বললেন অমিত শাহ?(Amit Shah)

    বস্তার অলিম্পিক-২০২৪-এর অনুষ্ঠানে জনসাধারণের উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ২০২৬ সালের ৩১ মার্চের আগে দেশ নকশালমুক্ত (Naxal) হবে। ইতিমধ্যেই ছত্তিশগড়ে বিজেপি সরকারের প্রথম বছরে নিরাপত্তা বাহিনী ২৮৭ জন নকশালকে হত্যা করেছে। ১,০০০ জনকে গ্রেফতার করেছে এবং ৮৩৭ জন আত্মসমর্পণ করেছে।” অমিত শাহ দাবি করেন, নকশালবাদের বিরুদ্ধে মোদি সরকারের কঠোর নীতির ফলে গত চার দশকে প্রথমবার নাগরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর প্রাণহানির সংখ্যা একশোর নীচে নেমে এসেছে। একইসঙ্গে ছত্তিশগড় পুলিশকে প্রশংসা করে শাহ বলেন, “নকশালমুক্ত এবং মাদকমুক্ত ভারতের স্বপ্ন সফল করার ক্ষেত্রে তাঁদের প্রচেষ্টা স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।” আহ্বান জানান, তারা যেন হিংসার পথ ছেড়ে মূল স্রোতে যোগ দেয় এবং উন্নয়নে অবদান রাখে।

    অন্যদিকে, ছত্তিশগড়ের জগদলপুরে প্রায় ৩০ জন প্রাক্তন নকশাল, যাঁরা ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলেঙ্গানা থেকে এসেছেন, অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করেন। শাহ বলেন, “আমি আজ সবচেয়ে বেশি খুশি। আপনাদের আত্মসমর্পণ আমাদের প্রচেষ্টার সার্থকতা প্রমাণ করে।” তিনি আরও জানান, আত্মসমর্পণের পর তাঁদের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবে সরকার। তিনি বাকি নকশালদের উদ্দেশে বলেন, “আমি সমস্ত নকশালকে আত্মসমর্পণ করার, অস্ত্র ত্যাগ করার এবং দেশের কল্যাণে কাজ করার জন্য মূল স্রোতের অংশ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। আমি গর্ব করে বলতে পারি যে ছত্তিশগড়ের আত্মসমর্পণ নীতি দেশের মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয়।”

    আরও পড়ুন: ভারত-বাংলাদেশ একসঙ্গে বিজয় দিস পালন! বীর যোদ্ধাদের স্মরণ প্রধানমন্ত্রীর, সেনার সঙ্গে সাক্ষাৎ রাষ্ট্রপতির

     কী বললেন প্রাক্তন নকশালরা?

    ৩৫ বছর বয়সী জয়মতী বানজাম। একসময় তাঁর মাথার দাম ছিল ৫ লক্ষ টাকা। আত্মসমর্পণের পর তিনি জেলা রিজার্ভ গার্ড (DRG)-এ যোগ দিয়েছেন। একইভাবে, ধনঞ্জয়, যিনি নকশাল কমান্ডারদের জেলা কমিটির সদস্য ছিলেন, এখন একটি বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থায় কাজ করছেন এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গেও সহযোগিতা করছেন। ধনঞ্জয়ের অভিযোগ, নকশাল নেতারা নিজেদের স্বার্থে সাধারণ মানুষকে হত্যা করে এবং অর্থলিপ্সায় লিপ্ত থাকে। আরেক প্রাক্তন নকশাল ভীমাসোডি নিজের দেশবাসীকে হত্যা করার অর্থ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। রুশি নামে একজন প্রাক্তন যোদ্ধা জানান, এলাকায় উন্নয়নমূলক কাজের ফলে ধীরে ধীরে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Yogi Adityanath: “৪৫ দিনব্যাপী মহাকুম্ভে ১০০ কোটি ভক্তের জন্য ব্যবস্থা করা হচ্ছে”, জানালেন যোগী আদিত্যনাথ

    Yogi Adityanath: “৪৫ দিনব্যাপী মহাকুম্ভে ১০০ কোটি ভক্তের জন্য ব্যবস্থা করা হচ্ছে”, জানালেন যোগী আদিত্যনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এই মন্দির রাতারাতি উদ্ভব হয়নি। এই মন্দির আমাদের চিরন্তন ঐতিহ্য ও ইতিহাসের সত্যের প্রতীক।” সম্ভালের (Sambhal Temple) মন্দির প্রসঙ্গে কথাগুলি বললেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। গোষ্ঠী সংঘর্ষের পর ১৯৭৮ সাল থেকে বন্ধ ছিল সম্ভালের একটি মন্দির। রবিবার খোলে সেই মন্দিরের দ্বার। প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ নিয়ে একটি ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে ৪৬ বছর আগের স্মৃতিচারণ করেন। সেই হিংসায় বর্বরতার শিকার হয়েছিলেন বহু মানুষ।

    আদিত্যনাথের প্রশ্ন? (Yogi Adityanath)

    আদিত্যনাথের প্রশ্ন, “যে গণহত্যা ঘটেছিল, সেই ঘটনায় দোষীদের কেন আজও বিচারের আওতায় আনা যায়নি?” তিনি বলেন, “ওরা সত্য দমন করতে চায়। কলঙ্কিত করতে চায় কুম্ভের মতো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলিকে।” আদিত্যনাথ বলেন, “সত্যের কণ্ঠস্বর প্রায়ই হুমকির সম্মুখীন হয় এবং স্তব্ধ করার চেষ্টা করা হয়। সরকারের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি স্থানীয় প্রশাসনের অ্যান্টি-এনক্রোচমেন্ট অভিযানের পর কয়েক দশক পর ফের খোলা হয়েছে মন্দির।” তিনি মন্দিরটির ঐতিহাসিক গুরুত্বের ওপর জোর দেন। এখানে প্রাচীন বজরংবলীর মূর্তি ও একটি জ্যোতির্লিঙ্গ রয়েছে।

    চিরন্তন ঐতিহ্য

    তিনি বলেন, “এই মন্দির এক রাতের মধ্যে প্রকাশিত হয়নি। এটি আমাদের চিরন্তন ঐতিহ্য এবং আমাদের ইতিহাসের সত্যকে প্রতিনিধিত্ব করে।” মুখ্যমন্ত্রী জানান, ৪০ কোটি ভক্ত আসবে আশা করা হলেও, ৪৫ দিনব্যাপী মহাকুম্ভে ১০০ কোটি লোকের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, ২৯ জানুয়ারি মৌনী অমাবস্যার মূল মুহূর্তে আনুমানিক ৬ কোটি ভক্ত পবিত্র স্নান করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। সেদিন অবশ্য ১০ কোটি ভক্তের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ২০১৯ সালের কুম্ভের প্রসঙ্গ টেনে তিনি (Yogi Adityanath) বলেন, “যাঁরা ২০১৯ সালের কুম্ভ দেখেছেন, তাঁরা নিশ্চয়ই দেখেছেন কীভাবে অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তার জেরেই এই অনুষ্ঠান পরিচ্ছন্ন, নিরাপদ এবং সুসংগঠিত হয়েছিল। আগে এই অনুষ্ঠান ময়লা, বিশৃঙ্খলা, হুড়োহুড়ি এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভরা ছিল। বর্তমানে তা পরিণত হয়েছে এক মহিমান্বিত এবং ঐশ্বরিক অনুষ্ঠানে।”

    আরও পড়ুন: “রামমন্দিরের শ্রমিকরা সম্মান পেয়েছেন, তাজমহলের সময় আঙুল কাটা হয়েছিল”, বললেন যোগী আদিত্যনাথ

    কংগ্রেস ও বিরোধীদের সমালোচনা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ওরা ভারতের ঐতিহ্যের একচেটিয়া মালিকানা দাবি করে। কিছু মানুষ ভারতের প্রতিনিধিত্ব করার স্বঘোষিত চুক্তি নিয়ে ঘুরে বেড়ায় এবং ‘ডিসকভারি অব ইন্ডিয়া’ বইটিকে এমনভাবে দেখায় যেন এটি এই (Sambhal Temple) দেশের সবচেয়ে প্রাচীন গ্রন্থ।” তিনি বলেন, “২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর শ্রী রাম জন্মভূমি নিয়ে ঐতিহাসিক সুপ্রিম কোর্টের রায় বহু দশকের পুরনো বিতর্কের সমাধান করেছিল। তবুও, কিছু মানুষ এখনও যাঁরা ওই রায় দিয়েছিলেন, তাঁদের হুমকি দিয়ে চলেছেন (Yogi Adityanath)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Omar Abdullah: “হারলেই যত দোষ ইভিএমের!” কংগ্রেসকে তীব্র কটাক্ষ ‘ইন্ডি’ জোটের সঙ্গী ওমর আবদুল্লার

    Omar Abdullah: “হারলেই যত দোষ ইভিএমের!” কংগ্রেসকে তীব্র কটাক্ষ ‘ইন্ডি’ জোটের সঙ্গী ওমর আবদুল্লার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হারলেই যত দোষ ইভিএমের (EVM)! কংগ্রেসের তীব্র সমালোচনা করলেন ইন্ডি জোটের সঙ্গী ওমর আবদুল্লা (Omar Abdullah)। সম্প্রতি মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানা নির্বাচনে বিরাট বিপর্যয়ের শিকার হয়েছে কংগ্রেস। নির্বাচনে পরাজয়ের কারণ স্বরূপ ইভিএম কারচুপির কথা বারবার অভিযোগ আকারে বলা হয়। কংগ্রেসের দাবি, আগের মতো ব্যালট পেপারে ভোট হোক। কংগ্রেস নেতাদের এই দাবিকে অনৈতিক দাবি বলে স্বীকার করেছেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা তথা জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা।

    হারলেই যত দোষ ইভিএমের (Omar Abdullah)

    দেশে লাগাতার বিজেপির জয়কে বারবার কটাক্ষ করেছে কংগ্রেস। মানুষের জনসমর্থন নিয়ে একাধিক রাজ্যে সরকার গড়েছে বিজেপি। অন্যদিকে কংগ্রেসে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বকে অস্বীকার করেছে জনতা। মূলত মুসলিম তোষণ এবং ভারতের সুরক্ষানীতি নিয়ে অপপ্রচারের ফলে কংগ্রেসের উপর থেকে মানুষের আস্থা দিন দিন কমতে শুরু করেছে। কংগ্রেসের এই ভোট পরাজয়কে ইভিএম (EVM) কারচুপির অভিযোগ তুলে নিজেদের ব্যার্থতাকে ঢাকার চেষ্টা করেছে। এবার এই দলের জোটসঙ্গী ওমর আবদুল্লা (Omar Abdullah) কংগ্রেসকে আক্রমণ করে বলেন, “নির্বাচনে জিতলে দলের জয়, আর হারলেই যত দোষ ইভিএমের।

    আশানুরূপ ফল না হওয়ায় নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন!

    সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওমর আবদুল্লা (Omar Abdullah) আরও বলেন, “একই ইভিএমে (EVM) যখন আপনি লোকসভা নির্বাচনে একশোর বেশি আসন পান, তখন বলেন এটা দলের জয়। আর কয়েকমাস পর যখন আপনার দল আশানুরূপ ফল করতে পারে না, তখন এটা বলতে পারেন না যে এই ইভিএমে ভোট চাই না। ভোট পদ্ধতিতে আস্থা না থাকলে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা উচিত নয় রাজনৈতিক দলগুলির।” তাঁর মন্তব্যকে স্পষ্ট করে আরও বলেন, “আমার এই মন্তব্যের সঙ্গে বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই। যা ঠিক তাই বলেছি। আমাদের দেশে নতুন সংসদ ভবনও দরকার ছিল। সেন্ট্রাল ভিস্তার প্রয়োজন একান্ত অপরিহার্য ছিল। সংসদের নতুন ভবন তৈরির সিদ্ধান্ত একান্ত আবশ্যক ছিল।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Uttar Pradesh: ভগবান শিব-হনুমানজির দর্শন! সম্ভালে ৪৮ বছরের পুরানো মন্দিরে অবৈধ দখল সরিয়ে ফের আরতি

    Uttar Pradesh: ভগবান শিব-হনুমানজির দর্শন! সম্ভালে ৪৮ বছরের পুরানো মন্দিরে অবৈধ দখল সরিয়ে ফের আরতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) সম্ভালে (Sambhal) সম্প্রতি পুনরায় ভগবান শিব এবং হনুমান মন্দিরে আরতি অনুষ্ঠিত হল। এলাকায় বিদ্যুৎ চুরি রুখতে শনিবার জেলা প্রশাসনের একটি দল এলাকা পরিদর্শন করছিল। তখনই তাঁরা মন্দিরটি দেখতে পান। এর আগে সার্কেল অফিসার (CO) অনুজকুমার চৌধুরী জানান, এলাকায় অবৈধ দখল সংক্রান্ত অভিযোগের পরিদর্শনের সময় মন্দিরটি আবিষ্কৃত হয়। তারপর রবিবার উত্তরপ্রদেশ পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতিতে শিব এবং হনুমান মন্দিরে আরতি ও পূজো করা হয়। ১৯৭৮ সালের পর মন্দিরটি পুনরায় খোলা হয়েছে, বলে দাবি করেছেন নাগর হিন্দু সভার প্যাট্রন বিষ্ণু শরণ রস্তোগী।

    মন্দিরে ফের পূজার্চনা

    পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই মন্দির চত্বর পরিষ্কার করা হয়েছে এবং বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাছাড়া, নিরাপত্তার জন্য সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। এ বিষয়ে এক ভক্ত রাজীবকুমার গুপ্তা বলেন, “আমি মন্দিরটি দেখতে এসেছি এবং পুজো করেছি। এটি প্রায় ৪০০ বছর পুরনো। এটি একটি শিব এবং হনুমান মন্দির।” আচার্য ব্রহ্ম শুক্লা, এই পূজা অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন। তিনি বলেন, “আমরা সকালে মন্দির পরিষ্কার করে আরতি করেছি। এখানে একটি ব্রাহ্মণকে নিয়োগ করা উচিত, যাতে তিনি এখানে থাকতে পারেন। যতদিন না কোনো তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ করা হয়, আমরা এই মন্দিরের দায়িত্ব নেব।”

    সম্ভল উপ-জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বন্দনা মিশ্রা মন্দিরটি পুনঃস্থাপনের পরিকল্পনা ঘোষণা করেন, যা ৪২ বছর পর পুনরায় খোলা হয়েছে। তিনি বলেন, “মন্দির চত্বর পরিষ্কার করা হয়েছে, এবং বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। অতি-অভিযানের মধ্যে শুধু সেই সব স্থাপনা মুছে ফেলা হয়েছে যা জনগণের জমির উপর নির্মিত হয়েছিল। আমরা মন্দিরটির আসল কাঠামো পুনরুদ্ধার করব।” তিনি আরও বলেন, “আমরা আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার (ASI) কাছে চিঠি পাঠিয়েছি… পুলিশ মন্দিরের কাছাকাছি মোতায়েন থাকবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • AAP: দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে সব আসনে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করল আপ, কোন আসনে কেজরিওয়াল?

    AAP: দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে সব আসনে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করল আপ, কোন আসনে কেজরিওয়াল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনের (Delhi Assembly Election 2025) আগে চতুর্থ তথা শেষ দফার প্রার্থী তালিকাও প্রকাশ করে দিল আম আদমি পার্টি (আপ)। রবিবার আপের (AAP) তরফে ৩৮ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে দিল্লির ৭০টি আসনের মধ্যে ৬২টি আসনে জয়ী হয়েছিল আপ। বিজেপি পেয়েছিল আটটি আসন। ১৯৯৮-২০১৩ দিল্লিতে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস শেষ দু’টি বিধানসভা ভোটে একটিও আসন জিততে পারেনি।

    কোন আসনে লড়ছেন কেজরিওয়াল? (AAP)

    জানা গিয়েছে, তালিকায় দলের (AAP) প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আতিশী মার্লেনা ছাড়াও দলের শীর্ষস্থানীয় নেতা সৌরভ ভরদ্বাজ, গোপাল রাই, সত্যেন্দ্র জৈন, দুর্গেশ পাঠকের নাম রয়েছে। এ বারেও নয়াদিল্লি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছেন কেজরিওয়াল। আতিশী লড়বেন কালকাজি কেন্দ্র থেকে। সৌরভ ভরদ্বাজ গ্রেটার কৈলাস, গোপাল রাই বাবরপুর থেকে লড়বেন। এখনও ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা না-হলেও আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে দিল্লির ৭০টি কেন্দ্রে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা।

    আরও পড়ুন: ভারত-বাংলাদেশ একসঙ্গে বিজয় দিস পালন! বীর যোদ্ধাদের স্মরণ প্রধানমন্ত্রীর, সেনার সঙ্গে সাক্ষাৎ রাষ্ট্রপতির

    প্রার্থী তালিকায় ঠাঁই পাননি কতজন?

    আপের (AAP) প্রার্থী তালিকায় ঠাঁই হয়নি ২০ জন বিধায়কের। তিন বিধায়কের নিকটাত্মীয়েরা অবশ্য টিকিট পেয়েছেন। প্রার্থী তালিকায় গুরুত্ব পেয়েছে বিজেপি, কংগ্রেস ছেড়ে আপে যোগদান করা এবং দলের সাংগঠনিক কাজে যুক্ত কর্মীরা। লোকসভা নির্বাচনে দিল্লির সাতটি কেন্দ্রেই কংগ্রেস এবং আপের মধ্যে জোট হয়েছিল। বিধানসভা নির্বাচনের আগে অবশ্য কেজরিওয়াল স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, তাঁর দল একাই লড়বে। শুক্রবারই প্রথম দফায় ২১ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে কংগ্রেস। নয়াদিল্লি আসনে কংগ্রেস প্রার্থী করেছে দিল্লির প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের পুত্র তথা প্রাক্তন সাংসদ সন্দীপকে। এক সময় নয়াদিল্লি কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন শীলা। ২০১৩ সালে এই আসনেই কেজরিওয়ালের কাছে পরাজিত হন তিনি। আপের কাছে হেরে ১৫ বছর পর ক্ষমতা হারায় কংগ্রেসও। এবার কেজরিওয়ালের মুখোমুখি হবেন সন্দীপ।

    কী বললেন কেজরিওয়াল?

    অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, “আমার দল (AAP) পূর্ণ আত্মবিশ্বাস এবং সবরকম প্রস্তুতি নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। বিজেপি অনুপস্থিত। তাদের মুখ্যমন্ত্রীর মুখ নেই, দল নেই, পরিকল্পনা নেই এবং দিল্লির জন্য কোনও দৃষ্টিভঙ্গি নেই। একটাই স্লোগান, একটাই পলিসি, আর একটাই মিশন ‘কেজরিওয়ালকে সরান’।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 16 december 2024: সংসারে ব্যয় বাড়তে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 16 december 2024: সংসারে ব্যয় বাড়তে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) প্রিয়জনের কুকর্মের জন্য বাড়িতে বিবাদ।

    ২) ব্যবসায় ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃষ

    ১) সংসারে ব্যয় বাড়তে পারে।

    ২) গরিব মানুষকে সাহায্য করতে পেরে আনন্দ লাভ।

    ৩) সতর্ক থাকবেন সব বিষয়ে।

    মিথুন

    ১) প্রিয়জনের কাছ থেকে ভালোবাসা পাবেন।

    ২) গাড়িচালকদের জন্য দিনটি শুভ।

    ৩) বাণীতে সংযম জরুরি।

    কর্কট

    ১) প্রেমের বিবাদ মিটে যেতে পারে।

    ২) কোমরের নীচে যন্ত্রণা নিয়ে চিন্তা।

    ৩) সবাইকে ভালোভাবে কথা বলুন।

    সিংহ

    ১) খুব কাছের কোনও মানুষের জন্য পারিবারিক অশান্তি হতে পারে।

    ২) দামি কিছু প্রাপ্তি হতে পারে।

    ৩) প্রতিকূল কাটবে দিনটি।

    কন্যা

    ১) সন্তানদের নিয়ে সংসারে কলহ হতে পারে।

    ২) আইনি সমস্যা থেকে মুক্তিলাভ।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    তুলা

    ১) ধর্মালোচনায় আপনার সুনাম বৃদ্ধি পাবে।

    ২) প্রেমে মাত্রাছাড়া আবেগ ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

    ৩) দিনটি মোটামুটি কাটবে।

    বৃশ্চিক

    ১) উপার্জন নিয়ে মনে প্রচুর ক্ষোভ থাকবে।

    ২) ভ্রাতৃস্থানীয় কারও সঙ্গে বিবাদ হতে পারে।

    ৩) আশাপূরণ।

    ধনু

    ১) কর্মক্ষেত্রে মিশ্রফল।

    ২) নিজের ভাগের সম্পত্তি থেকে কিছু অংশ ছাড়তে হতে পারে।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    মকর

    ১) কর্মচারীদের জন্য ব্যবসায় বিবাদ হতে পারে।

    ২) ভ্রমণের পক্ষে  দিনটি শুভ নয়।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    কুম্ভ

    ১) প্রেমের ক্ষেত্রে সাফল্য লাভ।

    ২) কুটিরশিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের অগ্রগতি হতে পারে।

    ৩) আশা পূরণ।

    মীন

    ১) কোনও উচ্চপদস্থ ব্যক্তির সঙ্গে বিবাদ।

    ২) স্বামীর সঙ্গে তর্ক না করাই ভালো হবে।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bhagavad Gita: শিলিগুড়িতে লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠের আসর যেন জনসমুদ্র! হিন্দুত্ববোধে জাগরিত বাংলা

    Bhagavad Gita: শিলিগুড়িতে লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠের আসর যেন জনসমুদ্র! হিন্দুত্ববোধে জাগরিত বাংলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউনূস সরকারের আমলে অশান্ত বাংলাদেশ। দিনের পর দিন হিন্দুদের ওপর লাগামছাড়া অত্যাচার চলছে। জোর করে হিন্দুদের ইসলামে ধর্মান্তরিত করা চলছে। এই আবহের মাঝে রবিবার শিলিগুড়িতে বসল গীতা (Bhagavad Gita) পাঠের আসর। এক বছর আগে ব্রিগেডে লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের পর কওয়াখালি ময়দানে লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের আয়োজন করল সনাতন সংস্কৃতি সংসদ।

    কারা অংশ নিলেন গীতা পাঠে? (Bhagavad Gita)

    রবিবার বেলা বারোটায় কাওয়াখালির কুরুক্ষেত্র ময়দানে শুরু হয় লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ। সনাতনী সংস্কৃতি সংসদের আয়োজনে এই গীতা পাঠে (Bhagavad Gita) লক্ষ নয়, তারও বেশি কণ্ঠ সামিল হয়। কাওয়াখালির মাঠ থেকে এশিয়ান হাইওয়েতে মানুষের ঢল নামে সকাল থেকে। বেলা আড়াইটা পর্যন্ত চলে এই গীতা পাঠ। হাজির হয়ে গীতা পাঠ করেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার, সাংসদ ডাঃ জয়ন্ত রায়, রাজু বিস্তা সহ একাধিক বিজেপি বিধায়ক। ছিলেন বহু সাধারণ ও অরাজনৈতিক মানুষ। এই জনসমুদ্রে আট থেকে আশি সব বয়সের মানুষ ছিলেন। উত্তরবঙ্গ বিজেপির গড়। সম্প্রতি সেখানে তৃণমূল দাগ কাটতে শুরু করলেও এখনও শক্তি বেশি বিজেপির। সেই কারণেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন শিলিগুড়িকে (Siliguri)  বেছে নেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: “বৈচিত্র্যের ভারতে বিভেদের বিষ ছড়াচ্ছে কেউ কেউ”, সংসদে তোপ প্রধানমন্ত্রীর

    কী বললেন সুকান্ত?

    সুকান্ত মজুমদার এদিন বলেন, “গীতার বাণী (Bhagavad Gita) একমাত্র সারা পৃথিবীতে শান্তির বার্তা আনতে পারে। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, পথ ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে, লক্ষ্য সবার এক। সেই লক্ষ্যে সবার চলা উচিত। বিশ্বে শান্তি আসা উচিত। এটা ভাবা উচিত নয়, আমরা এখন ৩৩ শতাংশ রয়েছি, ৬৩ শতাংশ করে সব দখল নেব। হিন্দুদের মন্দির পোড়াব। মূর্তি ভাঙব। এটা ঠিক নয়।” এরপর তিনি আরও বলেন, “একদিকে ফিরহাদ হাকিম হুংকার দিচ্ছেন, তারা ৩৩ শতাংশ হয়ে গিয়েছেন। এরপর সংখ্যাগুরু হবেন। আর মুখে বলেননি, যে তারপর তারা ছালে-চামড়া ছাড়াবেন। অন্যদিকে হুমায়ুন কবীর হুংকার দিচ্ছেন তিনি বাবরি মসজিদ তৈরি করবেন। ওই মুর্শিদাবাদে আমরা তার দ্বিগুণ আকৃতির রাম মন্দির তৈরি করব। হিন্দু সমাজকে গীতার বাণীকে সঙ্গে নিয়ে এগোতে হবে। ভয় ত্যাগ করে যুদ্ধ জয়ের জন্য লড়াই করতে হবে। কুরুক্ষেত্র যেভাবে পান্ডবরা লড়াই করেছিল, সেভাবে হিন্দুদের লড়াই করতে হবে। কেননা এই মুহূর্তে বাংলাদেশ তো বটেই বাংলারও পরিস্থিতি উদ্বেগজনক।”

    সনাতনি ধর্মের আবহে উৎসবের আমেজ

    লক্ষাধিক কণ্ঠে  গীতা (Bhagavad Gita) শ্লোক, শঙ্খ ও উলুধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে চারদিক। তৈরি হয় এক পবিত্র আবেগঘন সনাতনী হিন্দু সংস্কৃতির বাতাবরণ। এদিন সকাল থেকে পাহাড়-সমতল, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলে দলে মানুষ ভিড় করেন এই কাওয়াখালির মাঠে। চড়া রোদকে উপেক্ষা করে মানুষের শৃঙ্খলাবদ্ধ উপস্থিতি হিন্দুত্ববোধে জাগরিত হয়। চারদিক উৎসবময় হয়ে ওঠে।

    শিলিগুড়িতে কেন এই গীতা পাঠ

    কাওয়াখালির ময়দান ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে। বাংলাদেশে হিন্দু ও হিন্দুত্বের ওপর আক্রমণ চলছে। কাওয়াখালি থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে ফুলবাড়ি-বাংলাবান্ধা সীমান্ত। এদিনের গীতা পাঠ (Bhagavad Gita) সীমান্ত পেরিয়ে ওপারেও ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশকে বার্তা দিতে ও ওপার বাংলার হিন্দুদের মনোবল বাড়াতে এই গীতা পাঠ। উদ্যোক্তাদের তরফে স্বামী নির্গুনানন্দ বলেন, “এদিন সীমান্তের কাছে লক্ষাধিক মানুষ হিন্দু ঐক্য ও শক্তির দৃষ্টান্ত রাখল। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাধুরা আজ জমায়েত হলেন। এরপরেও বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার বন্ধ না হলে কোটি কোটি সাধু সীমান্তে জমায়েত করব।”

    বনগাঁয় কেন গীতা পাঠ?

    শিলিগুড়ির পাশাপাশি বনগাঁয় গীতা পাঠের আয়োজন করা হয়। মূলত, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে অবগত সকলেই। সেখানকার সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর নির্বিচারে অত্যাচারের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসছে। আর বনগাঁ হল বাংলাদেশের পার্শ্বস্ত একটি শহর। সেখানে এই গীতাপাঠ (Bhagavad Gita) ওপারের সংখ্যালঘু হিন্দুদের মনে যে মনোবল বাড়াবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 22০: “সচ্চিদানন্দ-সাগরে আত্মারূপ মীন ক্রীড়া করছে! তেমনি খুব বড় মাঠে দাঁড়ালে ঈশ্বরীয় ভাব হয়”

    Ramakrishna 22০: “সচ্চিদানন্দ-সাগরে আত্মারূপ মীন ক্রীড়া করছে! তেমনি খুব বড় মাঠে দাঁড়ালে ঈশ্বরীয় ভাব হয়”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িমধ্যে

    ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ৫ই জুন

    হাজরার সঙ্গে কথা — গুরুশিষ্য-সংবাদ

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—দেখ, আমায় বেলঘরে মতি শীলের ঝিলে গাড়ি করে নিয়ে যাবে? সেখানে মুড়ি ফেলে দাও, মাছ সব এসে মুড়ি খাবে। আহা! মাছগুলি ক্রীড়া করে বেড়াচ্ছে, দেখলে খুব আনন্দ হয়। তোমার উদ্দীপন হবে, যেন সচ্চিদানন্দ-সাগরে আত্মারূপ মীন ক্রীড়া করছে! তেমনি খুব বড় মাঠে দাঁড়ালে ঈশ্বরীয় ভাব হয়। যেন হাঁড়ির মাছ পুকুরে এসেছে।

    “তাঁকে দর্শন করতে হলে সাধনের দরকার। আমাকে কঠোর সাধন করতে হয়েছে। বেলতলায় কতরকম সাধন করেছি। গাছতলায় পড়ে থাকতুম, মা দেখা দাও বলে, চক্ষের জলে গা ভেসে যেত!”

    মণি—আপনি কত সাধন করেছেন, আর লোকের কি একক্ষণে হয়ে যাবে? বাড়ির চারিদেকে আঙুল ঘুরিয়ে দিলেই কি দেয়াল হয়?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্যে)—অমৃত বলে, একজন আগুন করলে দশজন পোয়ায়! আর-একটি কথা, নিত্যে পৌঁছে লীলায় থাকা ভাল।

    মণি—আপনি বলেছেন, লীলা বিলাসের জন্য।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—না। লীলাও সত্য। আর দেখ, যখন আসবে, তখন হাতে করে একটু কিছু আনবে। নিজে বলতে নাই, অভিমান হয়। অধর সেনকেও বলি, এক পয়সার কিছু নিয়ে এস। ভবনাথকে বলি, এক পয়সার পান আনিস। ভবনাথের কেমন ভক্তি দেখেছ? নরেন্দ্র, ভবনাথ—যেমন নরনারী। ভবনাথ নরেন্দ্রের অনুগত। নরেন্দ্রকে গাড়ি করে এনো। কিছু খাবার আনবে। এতে খুব ভাল হয়।

    জ্ঞানপথ ও নাস্তিকতা— Philosphy and Scepticism

    “জ্ঞান ও ভক্তি দুই-ই পথ। ভক্তিপথে একটু আচার বেশি করতে হয়। জ্ঞানপথে যদি অনাচার কেউ করে, সে নষ্ট হয়ে যায়। বেশি আগুন জ্বাললে কলাগাছটাও ভিতরে ফেলে দিলে পুড়ে যায় (Kathamrita)।

    “জ্ঞানীর পথ বিচারপথ। বিচার করতে করতে নাস্তিকভাব হয়তো কখন কখন এসে পড়ে। ভক্তের আন্তরিক তাঁকে জানবার ইচ্ছা থাকলে, নাস্তিকভাব এলেও সে ঈশ্বরচিন্তা ছেড়ে দেয় না। যার বাপ পিতামহ চাষাগিরি করে এসেছে, হাজাশুখা বৎসরে ফসল না হলেও সে চাষ করে!”

    ঠাকুর (Kathamrita) তাকিয়ার উপর মস্তক রাখিয়া শুইয়া শুইয়া কথা কহিতেছেন। মাঝে মণিকে বলিতেছেন, “আমার পাটা একটু কামড়াচ্চে, একটু হাত বুলিয়ে দাও তো গা।”

    তিনি সেই অহেতুক কৃপাসিন্ধু গুরুদেবের শ্রীপাদপদ্ম সেবা করিতে করিতে শ্রীমুখ হইতে বেদধ্বনি শুনিতেছিলেন।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh:  এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মৌলবাদীদের হামলার অভিযোগ, ভাঙা হয়েছে মুজিবুরের ছবিও!  

    Bangladesh: এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মৌলবাদীদের হামলার অভিযোগ, ভাঙা হয়েছে মুজিবুরের ছবিও!  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ৫ অগাস্ট থেকে উত্তাল বাংলাদেশ (Bangladesh)। বিএনপি, জামাত এবং ছাত্র শিবিরের তাণ্ডবে সংখ্যালঘু হিন্দুদের জনজীবন বিপন্নের মুখে। বারবার দেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে। এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছে প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে। ভাঙা হয়েছে আসবাবপত্র এবং শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিও। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে ক্যাম্পাসে।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কি মাদ্রাসায় পরিণত করার ছক (Bangladesh)?

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সম্পাদক জিনাত হুদা বলেন, “শনিবার রাত ১০টার দিকে শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ে সরকার পক্ষের ২০-৩০ জনের একটি দল জোর করে ঢুকে ভাঙচুর চালায়। শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের জন্য রাখা ফুল ছিঁড়ে নষ্ট করা হয়। ভাঙা হয় জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি।” তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে এই হামলার পিছনে নাম জড়িয়েছে কট্টর মৌলবাদীদের। জানা গিয়েছে এই কট্টর মুসলিম দুষ্কৃতীদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। ফলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কি খুব দ্রুত মাদ্রাসায় পরিণয় হবে? এখন এই প্রশ্ন ওই দেশের প্রগতিশীল মানুষের মুখে উঠছে।

    আরও পড়ুনঃ রাশিয়ার পর সিরিয়ার বিদ্রোহীদের সঙ্গে যোগাযোগ করল আমেরিকাও, স্বীকার বিদেশমন্ত্রীর

    হিন্দুদের ওপর লাগাতার হিংসা অব্যাহত

    উল্লেখ্য, হাসিনাকে বিতাড়িত করার পর থেকেই বাংলাদেশের (Bangladesh) মৌলবাদীরা দেশের নাম, মানচিত্র, জাতীয় সঙ্গীত এবং ধর্মীয় পরিচয়কে নস্যাৎ করতে ব্যাপক ভাবে দাপাদাপি করছে। দেশের জেলগুলি থেকে বন্দি এবং দুষ্কৃতীদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। লাগাতার হিন্দু নির্যাতনের বিরুদ্ধে রংপুর, চট্টগ্রামে ধর্মসভা করেছিলেন ধর্মগুরু চিন্ময়কৃষ্ণ দাস। এরপর ইউনূস প্রশাসন মিথ্যা মামলা দিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করেছে। এরপর থেকেই নেত্রকোনা, রাজশাহী, বরিশাল এবং ঢাকার একাধিক জায়গায় হিন্দু মন্দির, বাড়িঘর, সম্পত্তিলুট, ধর্ষণ, খুনের মতো একাধিক অত্যাচারের ঘটনা হিন্দু জনজীবনকে আরও বিপন্ন করে দিয়েছে। হিন্দু নারীদের বাড়ির বাইরে থেকে বের হওয়া, বাজার, স্কুল, কলেজে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মৌলবাদীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Syria: রাশিয়ার পর সিরিয়ার বিদ্রোহীদের সঙ্গে যোগাযোগ করল আমেরিকাও, স্বীকার বিদেশমন্ত্রীর

    Syria: রাশিয়ার পর সিরিয়ার বিদ্রোহীদের সঙ্গে যোগাযোগ করল আমেরিকাও, স্বীকার বিদেশমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথমবার সিরিয়ার (Syria) বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের কথা স্বীকার করল আমেরিকা (America)! রাশিয়ার পর এবার আমেরিকাও সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদ সরকারের পতন ঘটানো সশস্ত্র বিদ্রোহী বাহিনী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস)-এর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে! শনিবার এ কথা জানিয়েছেন আমেরিকার বিদেশমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।

    আমেরিকার বিদেশমন্ত্রী কী বললেন? (Syria)

    শনিবার জর্ডনের আকাবায় তুরস্ক, মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সিরিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে বৈঠকের পর এ কথা স্বীকার করে নেন ব্লিঙ্কেন। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান, বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে সিরিয়ার এইচটিএস এবং অন্যান্য গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে আমেরিকা। সিরিয়া (Syria) প্রশ্নে ব্লিঙ্কেন আরও বলেন, “দামাস্কাসের এ মুহূর্তে এমন একটি সরকারের প্রয়োজন, যারা সংখ্যালঘুদের অধিকারকে সুনিশ্চিত করবে এবং কোনও রকম সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীকে মদত দেবে না। এ বিষয়ে আমরা সবাই একমত হয়েছি।”

    আরও পড়ুন: “বৈচিত্র্যের ভারতে বিভেদের বিষ ছড়াচ্ছে কেউ কেউ”, সংসদে তোপ প্রধানমন্ত্রীর

    রাষ্ট্রপুঞ্জের বিশেষ দূত কী বললেন?

    রাষ্ট্রপুঞ্জের বিশেষ দূত গেইর পেডারসেনও বৈঠকে অংশ নেওয়া দেশগুলিকে মানবিক ভাবে সিরিয়ার (Syria) পাশে থাকার অনুরোধ জানান। সিরিয়ায় রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলি যাতে ভেঙে না পড়ে, তা-ও নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তবে জর্ডনের ওই বৈঠকে সিরিয়ার কোনও প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না। ছিল না ইরান কিংবা রাশিয়াও, যারা অতীতে বিভিন্ন সময়ে সিরিয়ার আসাদ সরকারকে আর্থিক ও সামরিক সহায়তা দিয়েছিল। প্রসঙ্গত, গত ৮ ডিসেম্বর প্রেসিডেন্ট আসাদ সরকারকে উৎখাত করে সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাস দখল করেছিল বিদ্রোহী গোষ্ঠী এইচটিএস এবং তাদের সহযোগী ‘জইশ আল-ইজ্জা’র যৌথবাহিনী। দামাস্কাস ছেড়ে সপরিবার রাশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন আসাদ। তদারকি সরকারের ভারপ্রাপ্ত প্রধান হিসেবে দায়িত্বগ্রহণ করেছেন মহম্মদ আল-বশির।

    এর পরে আমেরিকা, রাশিয়া-সহ বেশ কয়েকটি দেশ জানিয়েছে, তারা সিরিয়ার নতুন সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। সেই আবহেই একে একে প্রকাশ্যে আসছে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সিরিয়ার বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর যোগাযোগের কথা। প্রকাশ্যে আসছে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সিরিয়ার বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর যোগাযোগের কথা। শুক্রবারই জানা গিয়েছে, এইচটিএস নেতা আবু মহম্মদ আল- জুলানির সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে গৃহযুদ্ধ পর্বে ধারাবাহিক ভাবে আসাদের সেনাকে ‘মদত’ দিয়ে আসা রাশিয়াও!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share