Author: user

  • Maha Kumbh 2025: মহাকুম্ভে ৪০ কোটি ভক্ত-সমাগমের সম্ভাবনা, কর্মসংস্থান হতে পারে ১.২৫ লক্ষ মহিলার

    Maha Kumbh 2025: মহাকুম্ভে ৪০ কোটি ভক্ত-সমাগমের সম্ভাবনা, কর্মসংস্থান হতে পারে ১.২৫ লক্ষ মহিলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের সর্ববৃহৎ হিন্দু ধর্মের মহামিলন দেখা যাবে উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভ মেলায় (Maha Kumbh 2025)। এই মেলাকে ঘিরে উত্তরপ্রদেশের রাজ্য প্রশাসন এবং মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ভীষণভাবে তৎপর। গত ২ বছর ধরে এই মেলার প্রস্তুতি চলছে। ত্রিবেণী সঙ্গমে সুবিশাল নগর বসানো হবে। দেশ-বিদেশ থেকে আনুমানিক ৪০ কোটি ভক্তদের সমাগম হবে মেলায়। একই ভাবে মেলার আয়োজন এবং প্রাচুর্যকে ঘিরে অভ্যন্তরীণ কর্মসংস্থানের বিরাট সুযোগ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মোট ৭ রাজ্য থেকে ১ লক্ষ ২৫ হাজার মহিলা কাজের (Employment) সুযোগ পাবেন।

    ১৪ হাজার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কাজ (Maha Kumbh 2025)

    ১২ বছর অন্তর বসে পূর্ণ কুম্ভমেলা। ১২টি পূর্ণকুম্ভ হলে একটি মহাকুম্ভ হয়। অর্থাৎ, প্রতি ১৪৪ বছরে একবার মহাকুম্ভের আয়োজন হয়। এই মহাযোগে ত্রিবেণীর ঘাটে স্নান করলে মেলে পুণ্য। আবার শাস্ত্র মতে, মানব জীবনের মুক্তির বাসনাও পূর্ণ হয় এই মহাকুম্ভে। জানা গিয়েছে, মেলার আয়োজনে পাতার প্লেট, কুলহার, পাটের ব্যাগ, কাপড়ের ব্যাগ, মাটির কাপ তৈরির বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিহার, মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, ছত্তিশগড়, উত্তরাখণ্ড এবং উত্তরপ্রদেশ সহ মোট ২৮টি জেলার মহিলাদের। উৎপাদিত পণ্য এই রাজ্যগুলির মোট ৮৬টি জেলার গ্রুপ দ্বারা প্রস্তুত করার কাজ করানো হয়েছে। মোট ১৪ হাজার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কাজে ১ লক্ষ ২৫ হাজার মহিলা প্রস্তুতির কাজে (Employment) নিযুক্ত হয়েছেন। এই বিরাট পরিমাণ কাজের ব্যবস্থা সত্যিই অভাবনীয় বলে অনেকে মনে করছেন।

    ৬০ কোটির বেশি প্লেট ও বাটি প্রস্তুত হবে

    জানা গিয়েছে, এই মহাকুম্ভ মেলায় (Maha Kumbh 2025) ৪০ কোটি সনাতনী দেশি-বিদেশি ভক্তদের সমাগম হবে। তাই ৬০ কোটির বেশি প্লেট এবং বাটি প্রস্তুত করার কাজ চলছে। জোর কদমে কাজ করছে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে মেলা কমিটিও। কাজ তদারকি করার জন্য দুই আইএএস অফিসার এবং ছয় পিসিএস অফিসারকে মোতায়েন করা হয়েছে। এই মহাকুম্ভের স্পেশাল এক্সিকিউটিভ অফিসার আকাঙ্ক্ষা রানা এবং সিডিও গৌরব কুমারকে নোডাল অফিসার করা হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ ‘মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড’ বেসরকারি সংস্থা, সরানো হোক ‘বোর্ড’ শব্দ, দাবি বিজেপি নেতার

    ২৫০টি দোকান খোলা হবে মেলায়

    তবে এবার মহাকুম্ভ মেলার (Maha Kumbh 2025) আখড়া, ভান্ডার এবং খাবারের এলাকায় কোনও রকম প্লাস্টিক জাতীয় জিনিসের ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়েছে। এই সমস্ত জায়গায় ন্যায্য মূল্যে পাতার প্লেট এবং কুলহার (মাটির ভাঁড়) সরবরাহ করা হবে। এ জন্য প্রত্যকে ক্ষেত্রে ১০টি করে দোকান খোলা হবে। মোট ২৫টি এলাকায় ২৫০টি দোকান খোলা হবে। সেই সঙ্গে স্পেশাল দোকানের সংখ্যা হবে ৫০টি। মেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রত্যেক জায়গায় গাড়িতে করে এই উপকরণগুলি পাঠানো হবে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 13 November 2024: ব্যবসায় কর্মচারীদের নিয়ে বিবাদ বাধতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 13 November 2024: ব্যবসায় কর্মচারীদের নিয়ে বিবাদ বাধতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) বন্ধুদের সঙ্গে বিবাদ অনেক দূর গড়াতে পারে।

    ২) প্রবাসী কারও আসার খবরে আনন্দ লাভ।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    বৃষ

    ১) মেরুদণ্ডের রোগের জন্য কষ্ট বাড়তে পারে।

    ২) বাড়িতে হঠাৎ করে প্রচুর অতিথির আগমনে আনন্দ লাভ।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    মিথুন

    ১) ধর্ম বিষয়ক আলোচনা থেকে মানসিক পরিবর্তন হতে পারে।

    ২) অযথা ব্যয়বৃদ্ধি নিয়ে দুশ্চিন্তা।

    ৩) বেশিরকাজ কাজেই সাফল্য মিলবে।

    কর্কট

    ১) নতুন সম্পর্ক গড়ার আগে ভালো করে চিন্তা করুন।

    ২) সারা দিন বহু দিক থেকে আয়ের সুযোগ আসতে পারে। 

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    সিংহ

    ১) কর্মস্থানে একটু সাবধানে কাজ করুন, আঘাত লাগতে পারে।

    ২) আধ্যাত্মিক কাজে কিছু দান করতে হতে পারে।

    ৩) বন্ধুদের সাহায্য পাবেন।

    কন্যা

    ১) অপরের কথায় চললে অশান্তি বাধতে পারে।

    ২) পুরনো কোনও আশা পূরণের চেষ্টা।

    ৩) বিবাদে জড়াবেন না।

    তুলা

    ১) চিকিৎসার খরচ বাড়তে পারে।

    ২) বন্ধুদের কথায় চললে আপনার খুব ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃশ্চিক

    ১) ব্যবসায় কর্মচারীদের নিয়ে বিবাদ বাধতে পারে।

    ২) কোনও উচ্চপদস্থ ব্যক্তির সঙ্গে দেখা হওয়ায় উপকার পাবেন।

    ৩) ধর্মস্থানে ভ্রমণ।

    ধনু

    ১) চাকরিজীবীদের জন্য খুব খরচের সময়।

    ২) কাউকে বেশি আপন ভাবলে কষ্ট পেতে হবে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    মকর

    ১) সকালের দিকে অতিরিক্ত রাগের কারণে কারও সঙ্গে হাতাহাতি ও রক্তপাতের সম্ভাবনা।

    ২) ব্যবসায় সুখবর প্রাপ্তিতে আনন্দ লাভ।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    কুম্ভ

    ১) কর্মক্ষেত্রে সুখবর আসার পথে বাধা পড়তে পারে।

    ২) শত্রুর চক্রান্তে একটু বিভ্রান্ত হবেন।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    মীন

    ১) বাড়িতে কোনও দামি জিনিস নষ্ট হওয়ায় মনঃকষ্ট।

    ২) অসৎ সঙ্গ ত্যাগ না করলে সম্মানহানির যোগ।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ISRO: টার্গেট ২০৪০, শুধুমাত্র চন্দ্রাভিযানের জন্য পৃথক চন্দ্র মহাকাশ স্টেশন গড়বে ইসরো

    ISRO: টার্গেট ২০৪০, শুধুমাত্র চন্দ্রাভিযানের জন্য পৃথক চন্দ্র মহাকাশ স্টেশন গড়বে ইসরো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০৪০ সালের মধ্যে চন্দ্র অভিযানের জন্য একটি চন্দ্র মহাকাশ স্টেশন (Lunar Space Station) স্থাপন করবে ইসরো। ভারতের জন্য এটি একটি সাহসী পদক্ষেপ হতে চলেছে, যা মহাকাশ গবেষণায় ভারতের সংকল্পকে আরও দৃঢ় করবে বলে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে।

    ক্রুড চন্দ্র মিশন রোডম্যাপ ভারতে

    ইসরো (ISRO) সূত্রে খবর, ভবিষ্যতের এই চন্দ্র মহাকাশ স্টেশনটি ভারতের মানব চন্দ্র মিশন (Manned Lunar Mission) রোডম্যাপের তৃতীয় পর্যায় হিসেবে স্থির করা হয়েছে। এই পদক্ষেপকে ভারতের মতো দেশের জন্য মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। চন্দ্রযান-৩ মিশনের সাফল্যের পরই ভবিষ্যতের চন্দ্রাভিযানের জন্য পৃথক নিবেদিত চন্দ্র মহাকাশ স্টেশন (Lunar Space Station) তৈরির উদ্যোগ পরিকল্পনার মধ্যে আসে। প্রসঙ্গত, বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে চাঁদের বুকে সফট ল্যান্ডিং করার কৃতিত্ব অর্জন করেছে ভারত। শুধু তাই নয়, বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে সাফল্যের সঙ্গে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করার অনন্য নজির স্থাপন করেছে ভারত।

    চন্দ্র অন্বেষণ কর্মসূচিতে তিন-পর্যায়

    সম্প্রতি, ভারতের ভবিষ্যতের চন্দ্র অন্বেষণ কর্মসূচির তিন-পর্যায়ের রূপরেখা নির্ধারণ করেছে ইসরো (ISRO)। রোডম্যাপের ধাপগুলি হল—

    ১) প্রথম ধাপে আসন্ন চন্দ্রযান-৪ মিশনে চাঁদ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পৃথিবীতে ফেরা সহ প্রযুক্তি উন্নয়ন এবং রোবোটিক মিশনের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হয়েছে।

    ২)দ্বিতীয় ধাপের লক্ষ্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্দেশ অনুসারে ২০৪০ সালের মধ্যে চাঁদে মানব অবতরণ অর্জন করতে হবে।

    ৩) তৃতীয় পর্যায়ে চন্দ্র মহাকাশ স্টেশন (Lunar Space Station) স্থাপনে সমাপ্ত করা। এতে ভারতকে মহাকাশ অনুসন্ধানের শীর্ষ স্থানে অবস্থান করবে।

    আরও পড়ুনঃ নিমেষে ধ্বংস হবে হাজার কিমি দূরের যুদ্ধজাহাজ, ডিআরডিও-র নয়া মিসাইলের পরীক্ষা শীঘ্রই

    স্টেশনে চাঁদের ভূতত্ত্ব অধ্যয়ন হবে (Lunar Space Station)

    ইসরোর (ISRO) চন্দ্র মহাকাশ স্টেশনের  ফলে বৈজ্ঞানিক গবেষণা, সম্পদের ব্যবহার এবং ভবিষ্যতে গভীর মহাকাশ অভিযানের জন্য একটি সোপান হিসেবে কাজ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই চন্দ্র স্টেশনটি (Lunar Space Station) চাঁদের ভূতত্ত্ব অধ্যয়ন, নতুন প্রযুক্তি পরীক্ষা এবং পৃথিবীর কক্ষপথে গবেষণার নানা প্রস্তুতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। পৃথিবীর কক্ষপথে ভারতের প্রথম মহাকাশ স্টেশন ২০৩৫ সালের মধ্যে স্থাপনের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এই পৃথিবীর-কক্ষপথে স্টেশনটি প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি এবং সিস্টেমগুলির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ টেস্টবেড হিসাবে কাজ করবে।

    নেক্সট জেনারেশন লঞ্চ ভেহিকেল-এর লক্ষ্য

    ইসরোর (ISRO) এই পরিকল্পনা চাঁদ নিয়ে গবেষণার নানা দিককে উন্মোচন করবে। গোটা বিশ্ব এই মিশনের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি দেশ এবং বেসরকারি সংস্থাগুলিও চাঁদের অভিযানের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছে। ইসরো নেক্সট জেনারেশন লঞ্চ ভেহিকল (এনজিএলভি) এবং উন্নত জীবন ব্যবস্থা সহ মূল প্রযুক্তিগুলিকে বিকাশ ঘটানোর লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে। এই গবেষণাগুলি শুধুমাত্র চাঁদের জন্যই নয়, ভারতের বৃহত্তর মহাকাশ অনুসন্ধানের (Lunar Space Station) ক্ষেত্রেও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ED: অনুপ্রবেশের কালো টাকা হাওয়ালার মাধ্যমে লেনদেন! বাংলা-ঝাড়খণ্ডে ইডির হানা

    ED: অনুপ্রবেশের কালো টাকা হাওয়ালার মাধ্যমে লেনদেন! বাংলা-ঝাড়খণ্ডে ইডির হানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা লেনদেনের অভিযোগে মঙ্গলবার রাজ্যের একাধিক জায়গায় তল্লাশি শুরু করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) (ED)। অনুপ্রবেশের সঙ্গে যুক্ত আর্থিক তছরুপের তদন্তে পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ডের একাধিক জায়গায় মঙ্গলবার তল্লাশি চালাচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট। রিপোর্ট অনুযায়ী, ঝাড়খণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রাম, বনগাঁ, বারাকপুর-সহ আরও একাধিক জেলায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে ইডি। বুধবার, ১৩ নভেম্বর ঝাড়খণ্ডে প্রথম দফায় নির্বাচন হবে। এদিকে পশ্চিমবঙ্গেও উপনির্বাচন হওয়ার কথা সেদিনই। এই আবহে ভোটের একদিন আগে এই তল্লাশি অভিযান বেশ উল্লেখযোগ্য বলে মনে করা হচ্ছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (ED)

    ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা এক মহিলার বাড়িতে সকাল থেকে হানা দেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা (ED)। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে বেশ কয়েক জন মহিলাকে কাজের টোপ দিয়ে এ দেশে নিয়ে এসেছিলেন ওই মহিলা। চোরাপথেই তাঁদের আনা হয়েছিল ভারতে। কাজের প্রলোভন দিয়ে এ দেশে আনলেও শেষে তাঁদের বিভিন্ন অসাধু কাজে যুক্ত করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। পরে ওই চক্রের থেকে কয়েক জন পালিয়ে গিয়ে ঝাড়খণ্ডের একটি থানায় অভিযোগ জানান। মামলা দায়ের হয় পড়শি রাজ্যে। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করে ইডি। সূত্রের খবর, এই রাজ্যে কলকাতা লাগোয়া আটটি জায়গা-সহ রাজ্যের ১২টি জায়গায় তল্লাশি চলছে। ঝাড়খণ্ডে দায়ের হওয়া অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইডি তদন্তে উঠে আসে বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশের সঙ্গে মোটা অঙ্কের টাকার লেনদেনের বিষয়টি। পরে, সেই কালো টাকা হাওয়ালার মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরিয়ে সাদা করার চেষ্টা হয়েছে বলে সন্দেহ তদন্তকারীদের।

    আরও পড়ুন: ‘বাঞ্ছারামের বাগান’ শূন্য! প্রয়াত বর্ষীয়ান অভিনেতা তথা নাট্যকার মনোজ মিত্র

    অনুপ্রবেশ-হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা লেনদেন!

    অনুপ্রবেশ ঘিরে কালো টাকার লেনদেনের তদন্তে একটি ক্যাব ব্যবসার তথ্যও ইডির (ED) হাতে উঠে এসেছে বলে সূত্রের খবর। যদিও এই অনুপ্রবেশ ও হাওয়ালার (Hawala) মাধ্যমে টাকা লেনদেনের সঙ্গে ক্যাব ব্যবসার কী ধরনের যোগ রয়েছে, তা এখনই স্পষ্ট নয়। অভিযোগ ওঠে, বাংলাদেশ থেকে মহিলাদের পাচার করে ঝাড়খণ্ডে নিয়ে আসা হচ্ছিল। জানা যায়, এক মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতেই এই মামলা রুজু করা হয়েছিল। সেই অভিযোগকারী নিজে বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পার করে বেআইনিভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিলেন। পরে, তাঁর বয়ানের ভিত্তিতে স্থানীয় এক রিসর্টে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছিল। পরে, সেই অভিযোগকারী অনুপ্রেশকারী ৫-৬ জন মহিলাদের নামও বলে দেন তদন্তকারীদের। তাঁদের কাছ থেকে আবার একটি ভুয়ো আধার কার্ডও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল।  

    অনুপ্রবেশ নিয়ে সরব মোদি-শাহ

    এর আগে ঝড়খণ্ডে এক নির্বাচনী প্রচারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অভিযোগ করেছিলেন, রাজ্য জুড়ে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বসবাসের জায়গা করে দিচ্ছে সরকারপক্ষ। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘‘তোষণার রাজনীতিকে চরমে নিয়ে গিয়েছে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, কংগ্রেস এবং আরজেডি। এই তিনটি দলই অনুপ্রবেশকারীদের সমর্থন করে। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভোট পাওয়ার জন্যে এদের গোটা রাজ্যে বসবাসের জন্যে জায়গা করে দিচ্ছে এই তিনটি দল। পরিস্থিতি এখানে এমন হয়ে গিয়েছে যে সরস্বতী বন্দনার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। এখান থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে বিপদ কতটা বড়। যখন অনুপ্রবেশের মামলা আদালতে যায়, কিন্তু প্রশাসন সেটা অস্বীকার করে, তখন বুঝতে হবে সরকারতন্ত্রেই অনুপ্রবেশ হয়ে গিয়েছে।’’ একই ইস্যুতে সরব হয়েছিলেন অমিত শাহ-ও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cancer: সিগারেট কিংবা মদ্যপানই যেন ‘স্মার্টনেস’-এর পরিচয়! বয়ঃসন্ধিকালে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ক্যান্সার

    Cancer: সিগারেট কিংবা মদ্যপানই যেন ‘স্মার্টনেস’-এর পরিচয়! বয়ঃসন্ধিকালে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ক্যান্সার

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার অনেক আগেই হাতে এখন স্মার্টফোন! বন্ধুমহলে দেশ-বিদেশের ট্রেন্ডি ফ্যাশন থেকে জীবন যাপনের ধরন, সবটাই এখন হাতের মুঠোয়। বছর বছর বদলে যাচ্ছে ‘স্মার্ট’ দেখানোর সংজ্ঞা। কিন্তু এই সবকিছুর মধ্যেও থেকে যাচ্ছে ধূমপানের মতো অভ্যাস! বিশেষ করে কম বয়সি ছেলেমেয়েদের মধ্যে বাড়ছে এই অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস। আর তার জেরেই বিপদ বাড়ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দেশ জুড়ে মুখ ও গলার ক্যান্সারে (Cancer) আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষত কম বয়সিদের মধ্যেও এই সমস্যা বিশেষভাবে বাড়ছে। তাই উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল।

    কতখানি বিপদ বাড়াচ্ছে মুখ ও গলার ক্যান্সার? (Cancer)

    সাম্প্রতিক প্রকাশিত এক রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশ জুড়ে ক্যান্সারের প্রকোপ বাড়ছে। বিশেষত মুখ ও গলার ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। এ রাজ্যে মোট ক্যান্সার আক্রান্তের এক তৃতীয়াংশ মুখ ও গলার ক্যান্সারে আক্রান্ত। প্রতি বছর দেশে প্রতি দশজনের মধ্যে ২ জন মুখ ও গলার ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। আর সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, খুব কম বয়সিদের মধ্যেও এই সমস্যা বাড়ছে। বয়স কুড়ির কোঠায় যাওয়ার পরেই অনেকেই এই ধরনের সমস্যায় (Cancer) আক্রান্ত হচ্ছেন। এর ফলে তাঁর স্বাভাবিক জীবন যাপন সম্পূর্ণ ব্যাহত হচ্ছে। যা যথেষ্ট উদ্বেগের বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কেন কম বয়সিদের মধ্যে এই ক্যান্সারের প্রকোপ বাড়ছে?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, কম বয়সিদের মধ্যে ধূমপানের প্রবণতা বেড়েছে। আর তামাকজাত পণ্যের অভ্যাস বাড়াচ্ছে‌ ক্যান্সারের দাপট। তাঁরা জানাচ্ছেন, সিগারেট কিংবা মদ্যপান করাকে বারো-তেরো বছরের অধিকাংশ ছেলেমেয়ে বন্ধুমহলে নিজেদের ‘স্মার্টনেস’ (Smartness) প্রকাশের মাধ্যম ভাবছে, আর তাতেই বাড়ছে বিপদ! স্মার্টনেস প্রকাশের মাধ্যম যে শরীরে ভয়ানক প্রভাব ফেলছে, তা অনেক সময়েই তারা টের পাচ্ছে না। অজান্তেই নেশার কবলে পড়ছে। পরবর্তীতে অনেক সময়েই অভ্যাস ছাড়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে। আর তার জেরেই বাড়ছে ক্যান্সারের মতো রোগের দাপট। তামাকের জেরে মুখ ও গলার ক্যান্সারের (Cancer) ঝুঁকি যেমন বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে ফুসফুসের ক্যান্সারের দাপট। ধূমপানের পাশপাশি একাধিক পান মশলাতেও তামাক ব্যবহার করা হয়। কম বয়সিদের মধ্যে এই জাতীয় পণ্যের ব্যবহারও বাড়ছে। তাই বাড়ছে মুখ ও‌ গলার ক্যান্সারের ঝুঁকি।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল? (Cancer)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সচেতনতা জরুরি। ক্যান্সার রোগ নির্ণয়ে যেমন সচেতনতা জরুরি, তেমনি ক্যান্সারের প্রকোপ রুখতেও প্রয়োজন সচেতনতা।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, স্কুল স্তর থেকে এই নিয়ে কর্মশালা প্রয়োজন। বিশেষত বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েদের আরও বেশি করে কাউন্সেলিং দরকার। ধূমপান যে স্মার্টনেস প্রকাশের মাধ্যম নয়, সে সম্পর্কে‌ তাদের বোঝানো‌ জরুরি। পাশপাশি প্রয়োজন নজরদারি। কম বয়সি পড়ুয়ারা কী ধরনের জিনিস কিনছে, সে নিয়ে পরিবারের সতর্কতা প্রয়োজন। পাশপাশি স্থানীয় প্রশাসনের সক্রিয়তা দরকার বলেও‌ মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, স্কুল চত্বরের আশপাশে যাতে সিগারেট এবং অন্যান্য তামাকজাত দ্রব্যের দোকান না থাকে, বিজ্ঞাপন না থাকে, সে নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সক্রিয়তা দরকার। তবেই এই রোগের দাপট আটকানো সহজ হবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 12 November 2024: প্রিয়জনের কাছ থেকে আঘাত পেতে পারেন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 12 November 2024: প্রিয়জনের কাছ থেকে আঘাত পেতে পারেন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মতান্তর সৃষ্টি হতে পারে।

    ২) কাজের জায়গায় কথার উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পারলে ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    বৃষ

    ১) দূরে ভ্রমণের জন্য বাড়িতে আলোচনা হতে পারে। 

    ২) একাধিক পথে আয় বাড়তে পারে।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    মিথুন

    ১) আগুন থেকে বিপদের আশঙ্কা।

    ২) সংসারের জন্য অনেক করেও বদনাম হবে।

    ৩) প্রতিকূল কাটবে দিনটি।

    কর্কট

    ১) ব্যবসায় বাড়তি লাভ হতে পারে।

    ২) প্রিয়জনের কাছ থেকে আঘাত পেতে পারেন।

    ৩) নিজেকে সময় দিন।

    সিংহ

    ১) ব্যবসায় দায়িত্ব বাড়তে পারে।

    ২) নেশার প্রতি আসক্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    কন্যা

    ১) বন্ধুদের দিক থেকে খারাপ কিছু ঘটতে পারে।

    ২) প্রেমে বিবাদ বাধতে পারে।

    ৩) ধৈর্য ধরুন।

    তুলা

    ১) ব্যবসায় চাপ বাড়লেও আয় বৃদ্ধি পাবে।

    ২) বুদ্ধির দোষে কোনও কাজ পণ্ড হতে পারে।

    ৩) আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ করবেন।

    বৃশ্চিক

    ১) কর্মক্ষেত্রে সুনাম বাড়তে পারে।

    ২) ব্যবসায় নিজের বুদ্ধিতেই আয় বাড়বে।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    ধনু

    ১) চাকরির স্থানে উন্নতির সুযোগ পেতে পারেন।

    ২) ব্যবসায় মহাজনের সঙ্গে তর্ক বাধতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    মকর

    ১) দাম্পত্য সম্পর্কে উন্নতির সময়।

    ২) ব্যবসায় বিবাদ থেকে সাবধান থাকা দরকার।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    কুম্ভ

    ১) বন্ধুদের সঙ্গে বিবাদের যোগ রয়েছে।

    ২) কর্মস্থানে সম্মানহানির সম্ভাবনা।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মীন

    ১) খেলাধুলায় নাম করার ভালো সুযোগ হাতছাড়া হতে পারে।

    ২) পেটের ব্যথায় কষ্ট পেতে পারেন।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: ফের অশান্ত মণিপুর, সিআরপিএফ শিবিরে হামলা, গুলিতে হত ১১ কুকি জঙ্গি

    Manipur Violence: ফের অশান্ত মণিপুর, সিআরপিএফ শিবিরে হামলা, গুলিতে হত ১১ কুকি জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে সিআরপিএফের শিবিরে হামলা কুকি জঙ্গিদের। এলোপাথাড়ি গুলি (Gunfight) চালায় জঙ্গিরা (Manipur Violence)। প্রতিরোধ গড়ে তোলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। নিহত হন ১১ জন। সিআরপিএফের দাবি, নিহত ১১ জনই জঙ্গি। জঙ্গিদের ছোড়া গুলিতে গুরুতর জখম হয়েছেন বাহিনীর এক জওয়ান।

    সংঘর্ষ শুরু গত বছর

    গত বছরের শুরুর দিক থেকেই সংঘর্ষ শুরু হয়েছে মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে। তার জেরে অশান্তির আগুন জ্বলছে চিত্রাঙ্গদার দেশে। দিন দুই আগে বছর একত্রিশের এক আদিবাসী মহিলাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে ঝিরিবাম জেলায়। ওই মহিলা তিন সন্তানের জননী। অভিযোগ, সশস্ত্র হামলাকারীরা প্রথমে গ্রামে ঢুকে লুটপাট চালায়। নির্বিচারে গুলিও করতে শুরু করে। আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয় বেশ কয়েকটি বাড়ি। সব মিলিয়ে এদিন পোড়ানো হয়েছে ১৭টি বাড়ি।

    সিআরপিএফ শিবিরে গুলি

    সেই ঘটনার রেশ পুরোপুরি মিলিয়ে যাওয়ার আগেই ফের অশান্তির আগুন জ্বলল উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে। স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার দুপুরে আচমকাই জঙ্গিরা হামলা চালায় সিআরপিএফের ক্যাম্পে। তার আগে তারা হামলা চালায় বড়বেকরা মহকুমা সদর থানায়। এরপর তারা লুটপাট চালায় এলাকার কয়েকটি বাড়িতে (Manipur Violence)। দোকানও লুটপাট করে জঙ্গিরা। পরে তারা হামলা চালায় সিআরপিএফের ওপর। এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে দুষ্কৃতীরা। শুরু হয় দুপক্ষের গুলির লড়াই। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতরা প্রত্যেকেই কুকি জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্য। জঙ্গিদের খোঁজে এলাকায় তল্লাশি শুরু করেছে বাহিনী।

    আরও পড়ুন: “সারা বিশ্ব ভারতবর্ষের দিকে তাকিয়ে আছে”, বললেন মোহন ভাগবত

    শনিবার রাতে জিরিবামের জাইরাওন নামে এক গ্রামে মেইতেই সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাম্বাই টেঙ্গল এবং ইনএনএলএফের যৌথ বাহিনীর হামলায় এক কুকি মহিলা নিহত হয়েছিলেন। রবিবার কুকি-জো জনজাতিদের যৌথ মঞ্চ আইটিএলএফের মদতপুষ্ট জঙ্গিরা এক মেইতেই মহিলাকে খুন করে।

    এদিকে, পূর্ব ইম্ফল জেলার থামনাপোকপি, ইয়াইঙ্গাংপোকপি, সাবুংখোক এবং সানসাবি-সহ বিভিন্ন এলাকায় মেশিনগান রকেটচালিত গ্রেনেড নিয়ে হামলা চলে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশের (Gunfight) ওপর। এদিনও রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে সংঘর্ষের খবর এসেছে দফায় দফায় (Manipur Violence)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ। 

     

  • Jagadhatri Puja 2024: জগদ্ধাত্রী পুজোয় কৃষ্ণনগরে ঘট বিসর্জনের শোভাযাত্রা, রাজবাড়িতে হল সিঁদুর খেলা

    Jagadhatri Puja 2024: জগদ্ধাত্রী পুজোয় কৃষ্ণনগরে ঘট বিসর্জনের শোভাযাত্রা, রাজবাড়িতে হল সিঁদুর খেলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার একদিকে যখন কৃষ্ণনগর রাজবাড়িতে সিঁদুর খেলাকে কেন্দ্র করে মহিলারা উন্মাদনায় মেতে ওঠেন, ঠিক সেই সময় শহর জুড়ে বিভিন্ন বারোয়ারির ঘট বিসর্জন ঘিরেও উচ্ছ্বাস দেখা গেল শহরে। বিভিন্ন রাস্তায় তিল ধারণের জায়গা ছিল না। জগদ্ধাত্রী পুজোকে (Jagadhatri Puja 2024) কেন্দ্র করে এ যেন এক অন্য কৃষ্ণনগর!

    ঘট বিসর্জনে শোভাযাত্রা (Jagadhatri Puja 2024)

    পুজো এবং প্যান্ডেলের পাশাপাশি কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর মূল আকর্ষণ বিসর্জন। বিসর্জন ঘিরে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। রবিবার কৃষ্ণনগরের প্রতিটি জগদ্ধাত্রী মাতা (Jagadhatri Puja 2024) একদিন পূজিতা হন। সোমবার সকাল থেকেই একাধিক বারোয়ারি ঘট বিসর্জনের জন্য শোভাযাত্রা নিয়ে রাজপথে রওনা দেয়। তবে অন্যান্য বারোয়ারি ঘট বিসর্জন করলেও কৃষ্ণনগর রাজবাড়ি তা করে না। সেই কারণেই রাজবাড়িতে দেখা গেল রানিমার উপস্থিতিতে সিঁদুর খেলা। তা চলল দফায় দফায়। অন্যদিকে, কৃষ্ণনগর শহরের প্রাণকেন্দ্র পোস্ট অফিস মোড়ে সকাল থেকে রাস্তার পাশে মানুষের উপস্থিতি। তাদের মধ্যে মূল আকর্ষণ চাষাপাড়া বারোয়ারির বুড়িমাকে ঘিরে। সকাল থেকে ঘট বিসর্জনের পর রাতে জগদ্ধাত্রী মাতাকে নিয়ে বের হয় তারা। মূলত সাং যাত্রার মাধ্যমে চলে রাতের শোভাযাত্রা। এখানে প্রতিমা কোনও গাড়িতে করে যায় না। মূলত মানুষের কাঁধে করে বিসর্জনের পথে রওনা দেয় কৃষ্ণনগরের প্রতিটি বারোয়ারির জগদ্ধাত্রী মাতা। বিভিন্ন বারোয়ারি নিত্যনতুন আকর্ষণ তুলে ধরেছে। পুরুলিয়ার ছৌ নাচ থেকে শুরু করে বাংলার যে সমস্ত সংস্কৃতি এবং শিল্প রয়েছে সেগুলো তুলে ধরা হয় এই শোভাযাত্রার মধ্যে দিয়ে।

    কদমতলা ঘাটে নিরঞ্জন

    কৃষ্ণনগরের (Krishnanagar) বিভিন্ন রাজপথ অতিক্রান্ত করে কদমতলা ঘাটে বিসর্জন হয় জগদ্ধাত্রী মাতার। অন্যদিকে, এই শোভাযাত্রা (Jagadhatri Puja 2024) ঘিরে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে কারণে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে কৃষ্ণনগর জেলা পুলিশ-প্রশাসন। বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে মোড়ে সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Baranti: ছোট ছোট পাহাড়, ঝর্না, শাল-পলাশ-শিমুল-মহুয়া গাছের অরণ্য, ‘বড়ন্তি’ যেন ছবি!

    Baranti: ছোট ছোট পাহাড়, ঝর্না, শাল-পলাশ-শিমুল-মহুয়া গাছের অরণ্য, ‘বড়ন্তি’ যেন ছবি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেড়াতে যাওয়া মানেই কি অনেক দূরে, নিজের রাজ্য ছেড়ে অন্য রাজ্যে পাড়ি দেওয়া? আমাদের নিজের রাজ্য, অর্থাৎ এই পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এমন বহু স্থান, নৈসর্গিক সৌন্দর্যের নিরিখে যে স্থানগুলি অনায়াসে মুগ্ধ করতে পারে প্রকৃতিপ্রেমিক পর্যটকদের। এমনই একটি অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত স্থান হল পুরুলিয়া জেলার ‘বড়ন্তি’ (Baranti)। এমনিতেই ছোট ছোট পাহাড়, ঝর্ণা, শাল, পলাশ, শিমুল, মহুয়া গাছের অরণ্য দিয়ে সাজানো এই পুরুলিয়া। আর এই পুরুলিয়ার প্রধান আকর্ষণ যদি হয় অযোধ্যা পাহাড়, দ্বিতীয় আকর্ষণ অবশ্যই হতে পারে এই বড়ন্তি।

    অরণ্যের ছায়ায় ঢাকা এই বড়ন্তি (Baranti)

    আদ্যন্ত আদিবাসী অধ্যুষিত ছোট্ট একটি পাহাড়ি গ্রাম বড়ন্তি। প্রকৃতি যেন নিজের হাতে সাজিয়েছেন বড়ন্তিকে। ছোট ছোট পাহাড়, সুবিশাল জলাশয়, অগভীর অরণ্য, সেই অরন্যের বুক চিরে চলে গিয়েছে লাল মাটির রাস্তা। দুপাশে ছোট ছোট আদিবাসী মানুষজনের মাটির কুটির। সেই সব আদিবাসী কুটিরের মাটির প্রাচীরের গায় রং-বেরঙের অসাধারণ আলপনার শিল্প। পূর্ণিমার রাতে যখন এই সব আদিবাসী গ্রাম থেকে ভেসে আসে বাঁশের বাঁশিতে ঝুমুর গানের সুর “কালো জলে কুচলা তলে ডুবলো সনাতন/আজ সারানা কাল সারানা পাই যে দরশন”-তখন মন উদাস হয়ে যায় বৈকি। শাল, পলাশ, মহুয়া গাছের অরণ্যর ছায়ায় ঢাকা এই বড়ন্তি (Baranti)। তার মাঝেই মুরাডি পাহাড়ের (Small hills) গা ঘেঁষে চলে গিয়েছে বড়ন্তি নদী। এই নদীর বুকেই বাঁধ দিয়ে তৈরি হয়েছে বড়ন্তি রামচন্দ্র জলসেচ প্রকল্প। চারদিকে ছোটখাট পাহাড়, বিশাল জলাধারে শীতকালে বসে হরেক রঙের হরেক কিসিমের পাখির মেলা। দেখা মেলে অসংখ্য বিভিন্ন প্রজাতির পরিযায়ী পাখির। ইচ্ছে হলে বড়ন্তি থেকে ঘুরে আসা যায় মুরাডির ছিন্নমস্তা মন্দির বা প্রায় আধ ঘণ্টার দূরের জয়চণ্ডী পাহাড়, প্রায় সমদূরত্বে অবস্থিত বিহারীনাথ পাহাড়, গড় পঞ্চকোট থেকেও।

    যাতায়াত, থাকা-খাওয়া (Baranti)

    বড়ন্তি যাওয়ার জন্য প্রথমে আসতে হবে আসানসোল। হাওড়া থেকে প্রচুর ট্রেন আসছে আসানসোল। এখান থেকে লোকাল বা প্যাসেঞ্জার ট্রেনে সামান্য দূরত্বে অবস্থিত মুরাডি। মুরাডি থেকে অটো বা গাড়িতে মাত্র ৫ কিমি দূরে বড়ন্তি। এখানে রয়েছে রিসর্ট সলিটারি ভেল। এখানে বাচ্চাদের খেলার ব্যবস্থা, সুইমিং পুল, রেস্তোরাঁ, মিনি জু সহ সব রকমের সুব্যবস্থা আছে। ফোন ৯৪৩৪৩২২৫৩২, ৭৫৮৪০২৪৬৬৮। এছাড়াও আছে বড়ন্তি ভিলেজ রিসর্ট, বড়ন্তি (Baranti) ইকো ট্যুরিজম রিসর্ট প্রভৃতি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 190: “খোসাটি আছে বলে তবে আমটি বাড়ে ও পাকে…মায়ারূপ ছালটি থাকলে তবেই ক্রমে ব্রহ্মজ্ঞান হয়”

    Ramakrishna 190: “খোসাটি আছে বলে তবে আমটি বাড়ে ও পাকে…মায়ারূপ ছালটি থাকলে তবেই ক্রমে ব্রহ্মজ্ঞান হয়”

    ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ

    চতুর্থ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২২শে এপ্রিল

    শ্রীরামকৃষ্ণ সিঁথির ব্রাহ্মসমাজে ব্রাহ্মভক্তসঙ্গে

    ব্রাহ্মভক্ত ও ভোগান্ত—বিদ্যারূপিণী স্ত্রীর লক্ষণ—বৈরাগ্য কখন হয় 

    ব্রাহ্মভক্ত—ভোগান্ত কিরূপ?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—কামিনী-কাঞ্চন ভোগ। যে ঘরে আচার তেঁতুল আর জলের জালা, সে ঘরে বিকারের রোগী থাকলে মুশকিল! টাকা-কড়ি, মান-সম্ভ্রম, দেহসুখ এই সব ভোগ একবার না হয়ে গেলে—ভোগান্ত না হলে—সকলের ইশ্বরের জন্য ব্যাকুলতা আসে (Kathamrita) না।

    ব্রাহ্মভক্ত—স্ত্রীজাতি খারাপ, না আমরা খারাপ?

    শ্রীরামকৃষ্ণ(Ramakrishna)—বিদ্যারূপিণী স্ত্রীও আছে, আবার অবিদ্যারূপিণী স্ত্রীও আছে। বিদ্যারূপিণী স্ত্রী ভগবানের দিকে লয়ে যায়, আর অবিদ্যারূপিণী ঈশ্বরকে ভুলিয়ে দেয়, সংসারে ডুবিয়ে দেয়।

    তাঁর মহামায়াতে এই জগৎসংসার (Kathamrita)। এই মায়ার ভিতর বিদ্যা-মায়া অবিদ্যা-মায়া দুই-ই আছে। বিদ্যা-মায়া আশ্রয় করলে সাধুসঙ্গ, জ্ঞান, ভক্তি, প্রেম, বৈরাগ্য—এই সব হয়। অবিদ্যা-মায়া—পঞ্চভূত আর ইন্দ্রিয়ের বিষয়—রূপ, রস, গন্ধ, স্পর্শ, শব্দ; যত ইন্দ্রিয়ের ভোগের জিনিস; এরা ঈশ্বরকে ভুলিয়ে দেয়।”

    ব্রাহ্মভক্ত—অবিদ্যাতে যদি অজ্ঞান করে, তবে তিনি অবিদ্যা করেছেন কেন?

    শ্রীরামকৃষ্ণ(Ramakrishna)—তাঁর লীলা, অন্ধকার না থাকলে আলোর মহিমা বোঝা ঝায় না। দুঃখ না থাকলে সুখ বোঝা যায় না। ‘মন্দ’ জ্ঞান থাকলে তবে ‘ভাল’ জ্ঞান (Kathamrita) হয়।

    “আবার আছে খোসাটি আছে বলে তবে আমটি বাড়ে ও পাকে। আমটি তয়ের হয়ে গেলে তবে খোসা ফেলে দিতে হয়! মায়ারূপ ছালটি থাকলে তবেই ক্রমে ব্রহ্মজ্ঞান হয়। বিদ্যা-মায়া, অবিদ্যা-মায়া আমের খোসার ন্যায়; দুই-ই দরকার।”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share