Author: user

  • Suvendu Adhikari: ব্যর্থ পুলিশ! রাজাবাজারকাণ্ডে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ব্যর্থ পুলিশ! রাজাবাজারকাণ্ডে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার রাতে রাজাবাজারে (Rajabazar) কালী প্রতিমা বিসর্জনের মিছিলে হামলা হয়েছে বলে দাবি করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। নিজের এক্স হ্যান্ডলে এনিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করেন তিনি (যদিও মাধ্যম ওই ভিডিও-এর সত্যতা যাচাই করেনি)। নিজের এক্স হ্যান্ডলের মাধ্যমে পুলিশকে কটাক্ষ করে বিরোধী দলনেতা লেখেন, ‘‘রাজাবাজার অঞ্চলে কালী প্রতিমার বিসর্জনের শোভাযাত্রায় হিন্দুদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে পুলিশ।’’ 

    কটাক্ষ কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে

    একই সঙ্গে ওই এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার দাবিও তোলেন তিনি (Suvendu Adhikari)। নন্দীগ্রামের বিধায়কের (Suvendu Adhikari) আরও অভিযোগ, ‘‘চরমে তুষ্টিকরণের রাজনীতি, রাজাবাজারে মা কালীর প্রতিমা নিরঞ্জনের মিছিলে হামলা হয়েছে।’’ নারকেলডাঙার পুলিশ কালী ভক্তদের রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।

    নিজের পোস্টে পুলিশ কমিশনারকে কটাক্ষ  শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আরও লেখেন, ‘‘আপনি যদি এখনও গভীর ঘুম থেকে না জেগে থাকেন, তবে সাধারণ নিরীহ নাগরিকদের জন্য অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ন করার অনুরোধ করুন। কারণ পশ্চিমবঙ্গে বারবার মৌলবাদীদের হামলার ঘটনা (Rajabazar) ঘটছে।’’

    মমতা সরকারকে তোপ অমিত মালব্যের

    একইভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে তোপ দেগেছেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। নিজের পোস্টের মাধ্যমে তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে পদত্যাগও করতে বলেন। অমিত মালব্য লেখেন, ‘‘কালী পুজোর সময়ও পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু মন্দির ও ভক্তদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটছে। কলকাতার রাজাবাজারে প্রতিমা বিসর্জনের সময় পাথর ছোড়া হয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হয় আপনি পদক্ষেপ করুন, নয়তো পদত্যাগ করুন। আপনার ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি এর জন্য দায়ী।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Bhai Phonta: আজ ভাইফোঁটা! এর নেপথ্যে রয়েছে একাধিক পৌরাণিক কাহিনী

    Bhai Phonta: আজ ভাইফোঁটা! এর নেপথ্যে রয়েছে একাধিক পৌরাণিক কাহিনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জলযোগে বিভিন্ন রকমের মিষ্টি জাতীয় খাবার, লুচি, ঘুগনি। দুপুরে মাংস অথবা মাছ-ভাত। ভাইফোঁটা মানেই যে কোনও বাঙালি বাড়ির পাতে এগুলি থাকবেই‌। সকাল থেকেই বাঙালি বাড়িতে ব্যস্ততা তুঙ্গে ওঠে‌‌। একদিকে জলযোগের আয়োজন তো অন্যদিকে সাজগোজ। ভাই-দাদারা পাঞ্জাবি পড়বে তো দিদি-বোনেরা শাড়ি। হিন্দু ধর্মের যে কোনও পুজো বা ব্রত সম্পন্ন হয় পরিবার, আত্মীয়স্বজনের মঙ্গল কামনার উদ্দেশে। ভাইফোঁটা (Bhai Phonta) হল ভাই ও বোনের মঙ্গল কামনার ব্রত। উভয়ের জীবনেই যেন সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি বিরাজ করে , সেই প্রার্থনাই ভাই-বোনেরা একে অপরের উদ্দেশে করে থাকেন এই বিশেষ তিথিতে। বাঙালির ঘরোয়া এই উৎসবে অন্যান্য পুজোর মতো রীতি, আচার বা মন্ত্রোচ্চারণ সেভাবে নেই বললেই চলে। ছড়ার মতো পাঠ করা হয় –
    ‘‘ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা, 
    যমের দুয়ারে পড়ল কাঁটা।
    যমুনা দেয় যমকে ফোঁটা, 
    আমি দিই আমার ভাইকে ফোঁটা।’’

    দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ভাইফোঁটার (Bhai Phonta) আলাদা আলাদা নাম

    ভাইফোঁটা (Bhai Phonta) যেন বাঙালির নিজস্ব উৎসব। সবকিছুতেই বাঙালি মোড়ক। তবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ভাইফোঁটার বিভিন্ন নাম রয়েছে। উত্তর ও পশ্চিম ভারতের এই উৎসব ভাইদুজ (Bhai Dooj) নামে পরিচিত। সেখানে ভাইফোঁটা পাঁচ-দিনব্যাপী দীপাবলি উৎসবের শেষদিন। আবার, মহারাষ্ট্র, গোয়া ও কর্নাটকে ভাইফোঁটাকে বলে ভাইবিজ। নেপালে ও পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং পার্বত্য অঞ্চলে এই উৎসব পরিচিত ভাইটিকা নামে পরিচিত। ভাঁইফোটা, ভাই ও বোনদের  উপহার পাওয়ার দিনও বটে। সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে আধুনিক প্রজন্মকে ভাঁইফোটার দিন ভাই ও বোনদের জন্য পছন্দ মতো ‘গিফট আইটেম’ কিনতে দেখা যায়। কোথাও কোথাও সামাজিক সদ্ভাবনার উদ্দেশে গণ ভাইফোঁটার আয়োজন করা হয়।

    যমুনা ও যমের পৌরাণিক আখ্যান

    ভাইফোঁটার (Bhai Phonta) নেপথ্যে  রয়েছে বেশ কয়েকটি পৌরাণিক কাহিনী। কথিত আছে, সূর্যদেব ও তার পত্নী সংজ্ঞার, যমুনা নামে কন্যা এবং যম নামে পুত্র ছিল। পুত্র কন্যা সন্তানের জন্মের পরে সূর্যদেবের উত্তাপ স্ত্রী সংজ্ঞা সহ্য করতে পারতেন না। তিনি তখন নিজের প্রতিলিপি ছায়াকে স্বর্গলোকে রেখে মর্তে নেমে আসেন। সংজ্ঞার প্রতিরূপ হওয়ার কারণে, দেবতারা ছায়াকে চিনতে পারে না। স্বর্গে বিমাতা ছায়া যমুনা ও যমের প্রতি দুর্ব্যবহার করতে শুরু করেন। কিন্তু ছায়ার মোহে অন্ধ সূর্যদেব কোনও প্রতিবাদ না করায় অত্যাচারের মাত্রা দিনের পর দিন বাড়তেই থাকে। এভাবেই একদিন বিমাতা কর্তৃক স্বর্গরাজ্য থেকে বিতাড়িত হন যমুনা।  যমুনার বিয়ে হয় এক উচ্চ বংশ জাত পরিবারে। বিয়ের পর দীর্ঘকাল যমুনাকে দেখতে না পেয়ে মনে আকুলতা তৈরী হয় যমের। এরপরই মন শান্ত করতে দিদির বাড়ি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় যম। কালী পুজোর দুদিন পরে যমুনার বাড়ি পৌঁছায় যম। ভাইয়ের আগমনে, নানা রকমের খাবারের আয়োজন করেন দিদি যমুনা। দিদির আন্তরিকতায় ও ব্যবহারে মুগ্ধ হয়ে দিদিকে উপহার স্বরূপ বরদান প্রার্থনা করতে বলেন যম। সেই সময় যমুনা ভাইয়ের কাছে প্রার্থনা করেন যে, ‘ভ্রাতৃদ্বিতীয়ার দিন প্রত্যেক ভাই যেন তার বোনের কথা স্মরণ করে এবং প্রত্যেক বোন যেন তার ভাইয়ের মঙ্গল ময় দীর্ঘ জীবন কামনা করে।’ তখন থেকেই নাকি ভাইফোঁটার প্রচলন।

    অন্যান্য পৌরাণিক গল্প

    অন্য একটি পৌরাণিক কাহিনী হল ,  নরকাসুর বধের পূর্বে শ্রী কৃষ্ণ , সুভদ্রার কাছে আসেন। সুভদ্রা তখন শ্রী কৃষ্ণের মঙ্গল ও বিজয় কামনা করে , কপালে ফোঁটা (Bhai Phonta) দিয়ে মিষ্টি খেতে দেন শ্রী কৃষ্ণকে। এরপরই নরকাসুরকে বধ করেন শ্রী কৃষ্ণ।  আবার আরও একটি কাহিনী হলো, বালির হাতে পাতালে বন্দি হন ভগবান বিষ্ণু। তখন মাতা লক্ষ্মী বালিকে ভাই হিসেবে স্বীকার করে তাঁর কপালে তিলক এঁকে দেন। বালি উপহার স্বরূপ মাতা লক্ষ্মীকে কিছু দিতে চাইলে , দেবী লক্ষ্মী ভগবান বিষ্ণুকে চেয়ে নেন। তখন থেকেই নাকি ভাঁইফোটা প্রচলিত। অন্য একটি কাহিনী অনুযায়ী, জৈন ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা মহাবীরের নির্বাণকালে তাঁর ভাই রাজা নন্দীবর্ধন খুব কষ্ট পেয়েছিলেন। সেই সময় বোন সুদর্শনা রাজা নন্দীবর্ধনকে সান্ত্বনা দেন এবং এই পরিস্থিতি থেকে তাঁকে উদ্ধার করেন। অনেকের ধারনা, সেইসময় থেকেই ভাইফোঁটা অথবা ভাইদুজের (Bhai Dooj)।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 03 November 2024: অর্থক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 03 November 2024: অর্থক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) সকালের দিকে দাম্পত্য কলহের কারণে মানসিক চাপ বাড়তে পারে।

    ২) কোনও আধ্যাত্মিক কাজে যোগ দিতে হতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃষ

    ১) বিদেশযাত্রার জন্য আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ২) অতিরিক্ত ক্রোধের জন্য হাতে আসা কাজ নষ্ট হতে পারে।

    ৩) বন্ধুদের সাহায্য পাবেন।

    মিথুন

    ১) অভিনেতাদের জন্য ভালো সুযোগ আসতে পারে।

    ২) প্রেমের বিষয়ে খুব ভেবেচিন্তে পা বাড়ানো উচিত।

    ৩) সখপূরণ হবে।

    কর্কট

    ১) কোনও ভয় আপনাকে চিন্তায় ফেলতে পারে।

    ২) স্ত্রীর সুবাদে কোনও বিশেষ কাজের সুযোগ পাবেন।

    ৩) বিবাদে জড়াবেন না।

    সিংহ

    ১) বেকারদের নতুন কিছু করার চেষ্টা বাড়তে পারে।

    ২) মাতৃস্থানীয়া কারও সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে।

    ৩) গুরুজনদের পরামর্শ মেনে চলুন।

    কন্যা

    ১) মানসিক কষ্ট বাড়তে পারে।

    ২) কোনও ভালো জিনিস নষ্ট হওয়ার যোগ।

    ৩) ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    তুলা

    ১) অপরকে সুখী করতে গেলে স্বার্থত্যাগ করতে হবে।

    ২) অভিজ্ঞ ব্যক্তির পরামর্শে আইনি সুরক্ষা পেতে পারেন।

    ৩) পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান।

    বৃশ্চিক

    ১) কোনও নামী ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয়ে লাভবান হতে পারেন।

    ২) ধর্ম বিষয়ক আলোচনায় আপনার সুনাম বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    ধনু

    ১) সম্মান নিয়ে চিন্তা বাড়তে পারে।

    ২) কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন নিয়ে ঝামেলা বাধতে পারে। 

    ৩) ধৈর্য ধরুন।

    মকর

    ১) সঞ্চয়ের ইচ্ছা খুব বাড়তে পারে।

    ২) সকলের সঙ্গে কথা খুব বুঝে বলবেন।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    কুম্ভ

    ১) ব্যবসায় তেমন লাভ হবে না।

    ২) অর্থক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মীন

    ১) চাকরির ক্ষেত্রে দিনটি খুব ভালো।

    ২) সন্তানদের বিষয়ে উদ্বেগ থাকবে।

    ৩) ভালোই কাটবে দিনটি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Canada Relation: শাহকে নিয়ে মন্তব্য, কানাডা দূতাবাসের কূটনীতিককে তলব ভারতের

    India Canada Relation: শাহকে নিয়ে মন্তব্য, কানাডা দূতাবাসের কূটনীতিককে তলব ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অমিত শাহকে (Amit Shah) নিয়ে কানাডার মন্ত্রীর মন্তব্যের জেরে নয়াদিল্লির কানাডা দূতাবাসের এক কূটনীতিককে তলব করল ভারতের বিদেশমন্ত্রক (India Canada Relation)। কানাডিয়ান মন্ত্রীর দাবি ‘অযৌক্তিক ও ভিত্তিহীন’ বলেও উড়িয়ে দিয়েছে নয়াদিল্লি। কানাডায় খালিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ওপর আক্রমণের নেপথ্যে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন কানাডার উপবিদেশমন্ত্রী ডেভিড মরিসন।

    মুখের মতো জবাব রণধীর জয়সওয়ালের (India Canada Relation)

    এক মার্কিন দৈনিকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে ওই মন্তব্য করেন তিনি। তার পরেই পদক্ষেপ করল সাউথব্লক। শনিবার ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “কানাডার উচ্চপদস্থ কর্তারা ভারতকে অসম্মান ও অন্য দেশকে প্রভাবিত করতে কৌশল হিসেবে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের কাছে ভিত্তিহীন ইঙ্গিত করছেন। এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন কর্মকাণ্ড দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে।”

    অযৌক্তিক ও ভিত্তিহীন অভিযোগ

    মার্কিন দৈনিকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার আগে মঙ্গলবার কানাডিয়ান পার্লামেন্ট কমিটির সামনে মরিসন শাহকে নিয়ে একবার অভিযোগ করেছিলেন। সে প্রসঙ্গে এদিন জয়সওয়াল বলেন, “কানাডার উপবিদেশমন্ত্রী ডেভিড মরিসন কমিটির সামনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছেন, তা অযৌক্তিক এবং ভিত্তিহীন। ভারত সরকার এর তীব্র প্রতিবাদ করছে। শুক্রবার ভারতে অবস্থিত (India Canada Relation) কানাডা দূতাবাসের এক প্রতিনিধিকে তলব করা হয়েছে।”

    ১৩ অক্টোবর কানাডা সরকারের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়, হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে যাঁদের স্বার্থ জড়িত, সেই তালিকায় কানাডায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার সঞ্জয়কুমার বর্মা রয়েছেন। এর পরেই সঞ্জয়-সহ কয়েকজন কূটনীতিককে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। এর পাশাপাশি বিদেশমন্ত্রক অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে বহিষ্কার করে কয়েকজন কানাডিয়ান কূটনীতিককে।

    আরও পড়ুন: গেরুয়া নিশান ওড়ানোয় দেশদ্রোহিতার অভিযোগ বাংলাদেশের ১৮ হিন্দুর বিরুদ্ধে

    গত বছর কানাডার একটি গুরুদ্বারের সামনে খালিস্তানপন্থী জঙ্গি নিজ্জরকে গুলি করে খুন করে আততায়ীরা। ওই ঘটনায় ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো স্বয়ং। সম্প্রতি তিনি জানান, এই অভিযোগের বিষয়ে তাঁর কাছে কোনও প্রমাণ ছিল না। সেই ঘটনার রেশ মিলিয়ে যাওয়ার আগেই মার্কিন দৈনিকে শাহের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন ট্রুডোরই সতীর্থ। নরেন্দ্র মোদি সরকারের অভিযোগ, কানাডার সাধারণ নির্বাচনে খালিস্তানপন্থী গোষ্ঠীগুলির সমর্থন পাওয়ার জন্য (Amit Shah) ট্রুডো সরকার খুঁচিয়ে তুলছে নিজ্জর হত্যাকাণ্ড বিতর্ক (India Canada Relation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Adani: দেনা শোধ করেনি বাংলাদেশ, বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেক করল আদানি গোষ্ঠী

    Adani: দেনা শোধ করেনি বাংলাদেশ, বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেক করল আদানি গোষ্ঠী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই বাড়ছিল দেনার পরিমাণ। বারবার চেয়েও মেলেনি পাওনা। অগত্যা একপ্রকার বাধ্য হয়েই বাংলাদেশে (Bangladesh) বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দিল আদানি (Adani) গোষ্ঠী।

    পাওনা মেলেনি (Adani)

    পাওয়ার পারচেজ এগ্রিমেন্ট অনুযায়ী, অক্টোবরের ৩১ তারিখের মধ্যে বকেয়া টাকা দিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। সে বিষয়ে পড়শি দেশটির কর্তাদের আগাম সতর্কও করেছিল গৌতম আদানির গোষ্ঠী। তার পরেও পাওনা না মেলায় কমিয়ে দেওয়া হল বিদ্যুৎ সরবরাহ। তার জেরে পড়শি দেশটিতে ব্যাপক বিদ্যুৎ সঙ্কট হচ্ছে বলে খবর। প্রসঙ্গত, ঝাড়খণ্ডের আদানি পাওয়ার লিমিটেড থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে আদানি গোষ্ঠী।

    পড়শি দেশে বিদ্যুৎ সঙ্কট

    বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, বৃহস্পতি থেকে শুক্রবার মাত্র একদিনেই সে দেশে বিদ্যুতের ঘাটতি তৈরি হয়েছে ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট। ১ হাজার ৪৯৬ মেগাওয়াটের প্ল্যান্টের একটি সিঙ্গল ইউনিট থেকে মাত্র ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ তৈরি হচ্ছে। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে আদানি পাওয়ার ঝাড়খণ্ডের পাওনার পরিমাণ প্রায় ৮৪৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। একাধিকবার চেয়েও সেই টাকার একটা অংশও না পাওয়ায় বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আদানি (Adani) গোষ্ঠী।

    আরও পড়ুন: দ্বিতীয়বার রেকর্ড গড়ল জিএসটি সংগ্রহের পরিমাণ, কত হল জানেন?

    এর আগে বকেয়া চেয়ে বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডকে চিঠি দিয়েছিল আদানি গোষ্ঠী। সেই চিঠিতে বিদ্যুৎ সচিবকে বকেয়া মিটিয়ে দিতে বলা হয়েছিল। গত ২৭ অক্টোবর শেষ চিঠি দিয়েছিল আদানি গোষ্ঠী। সেখানেই বলা হয়েছিল, ৩০ অক্টোবরের মধ্যে বকেয়া টাকা মিটিয়ে দিতে। তার পরেও আদানির পাওনা নিয়ে উচ্চবাচ্য করেনি মহম্মদ ইউনূসের বাংলাদেশ। তার পরেই সরবরাহ অর্ধেক করার চিন্তাভাবনা করে গৌতম আদানির সংস্থা।

    সূত্রের খবর, ১৬০০ মেগাওয়াটের বদলে বৃহস্পতিবার থেকে আদানি গোষ্ঠী বাংলাদেশে বিদ্যুৎ দিচ্ছে ৭০০ মেগাওয়াট। তার জেরেই পড়শি দেশে ব্যাপক বিদ্যুৎ সঙ্কট দেখা দিয়েছে। আদানি গোষ্ঠী সাফ জানিয়ে দিয়েছে, বকেয়া (Bangladesh) না মেটালে সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে (Adani)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 182: “ঈশ্বরের সহিত কথা—শ্রীরামকৃষ্ণের দর্শন—কৃষ্ণ সর্বময়..হে দীনবন্ধু প্রাণবল্লভ! গোবিন্দ!”

    Ramakrishna 182: “ঈশ্বরের সহিত কথা—শ্রীরামকৃষ্ণের দর্শন—কৃষ্ণ সর্বময়..হে দীনবন্ধু প্রাণবল্লভ! গোবিন্দ!”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    অষ্টাদশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ৮ই এপ্রিল

    শ্রীরামকৃষ্ণের ঈশ্বরাবেশ, তাঁহার মুখে ঈশ্বরের বাণী

    শ্রীযুক্ত অধর সেনের দ্বিতীয় দর্শন—গৃহস্থের প্রতি উপদেশ

    পুত্রশোক—“জীব সাজ সমরে” 

    ঠাকুর অধরের কুশল পরিচয় লইলেন। অধর তাঁহার বন্ধুর পুত্রশোকের কথা নিবেদন করিলেন। ঠাকুর (Ramakrishna) অপনার মনে গান গাহিতেছেন:

    জীব সাজ সমরে, রণবেশে কাল প্রবেশ তোর ঘরে।
    ভক্তিরথে চড়ি, লয়ে জ্ঞানতূণ, রসনাধনুকে দিয়ে প্রেমগুণ,
    ব্রহ্মময়ীর নাম ব্রহ্ম-অস্ত্র তাহে সন্ধান করে ॥
    আর এক যুক্তি রণে, চাই না রথরথী, শত্রুনাশে জীব হবে সুসঙ্গতি,
    রণভূমি যদি করে দাশরথি ভাগীরথীর তীরে ॥

    “কি করবে? এই কালের জন্য প্রস্তুত হও। কাল ঘরে প্রবেশ করেছে, তাঁর নামরূপ অস্ত্র লয়ে যুদ্ধ করতে হবে, তিনিই কর্তা। আমি বলি (Kathamrita), যেমন করাও, তেমনি করি; যেমন বলাও তেমনি বলি; আমি যন্ত্র, তুমি যন্ত্রী; আমি ঘর, তুমি ঘরণী; আমি গাড়ি, তুমি ইঞ্জিনিয়ার।

    “তাঁকে আম্‌মোক্তারি দাও! ভাল লোকের উপর ভার দিলে অমঙ্গল হয় না। তিনি যা হয় করুন।

    “তা শোক হবে না গা? আত্মজ! রাবণ বধ হল; লক্ষণ দৌড়িয়ে গিয়ে দেখলেন (Kathamrita)। দেখেন যে, হাড়ের ভিতর এমন জায়গা নাই — যেখানে ছিদ্র নাই। তখন বললেন, রাম! তোমার বাণের কি মহিমা! রাবণের শরীরে এমন স্থান নাই, যেখানে ছিদ্র না হয়েছে! তখন রাম বললেন, ভাই হাড়ের ভিতর যে-সব ছিদ্র দেখছ, ও বাণের জন্য নয়। শোকে তার হাড় জরজর হয়েছে। ওই ছিদ্রগুলি সেই শোকের চিহ্ন। হাড় বিদীর্ণ করেছে।

    “তবে এ-সব অনিত্য। গৃহ, পরিবার, সন্তান দুদিনের জন্য। তালগাছই সত্য। দু-একটা তাল খসে পড়েছে। তার আর দুঃখ কি?

    “ঈশ্বর (Ramakrishna) তিনটি কাজ করেছেন — সৃষ্টি, স্থিতি, প্রলয়। মৃত্যু আছেই। প্রলয়ের সময় সব ধ্বংস হয়ে যাবে, কিছুই থাকবে না। মা কেবল সৃষ্টির বীজগুলি কুড়িয়ে রেখে দেবেন। আবার নূতন সৃষ্টির সময় সেই বীজগুলি বার করবেন। গিন্নীদের যেমন ন্যাতা-কাঁতার হাঁড়ি থাকে। (সকলের হাস্য) তাতে শশাবিচি, সমুদ্রের ফেনা নীলবড়ি ছোট ছোট পুটলিতে বাঁধা থাকে।”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • GST: দ্বিতীয়বার রেকর্ড গড়ল জিএসটি সংগ্রহের পরিমাণ, কত হল জানেন?

    GST: দ্বিতীয়বার রেকর্ড গড়ল জিএসটি সংগ্রহের পরিমাণ, কত হল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার রেকর্ড গড়ল জিএসটি (GST) সংগ্রহ। চলতি বছরের অক্টোবরে ভারতে (India) এই প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১.৮৭ লাখ কোটি টাকা। গত বছর অক্টোবরে এর পরিমাণ ছিল ১.৭২ লাখ কোটি টাকা। শতাংশের বিচারে এবার জিএসটি সংগ্রহের পরিমাণ বেড়েছে ৮.৯।

    জিএসটি সংগ্রহের পরিমাণ (GST)

    শুক্রবার অর্থমন্ত্রকের তরফে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এর ঠিক এক মাস আগে, সেপ্টেম্বরে জিএসটি সংগ্রহের পরিমাণ ছিল ১.৭৩ কোটি টাকা। ২০২৪ সালের অক্টোবর পর্যন্ত মোট জিএসটি সংগ্রহ ৯.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১২.৭৪ লক্ষ কোটি টাকা হয়েছে। ২০২৩ সালে এই সময় এর পরিমাণ ছিল ১১.৬৪ লাখ কোটি টাকা। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অক্টোবর মাসে কেন্দ্রীয় জিএসটি, রাজ্য জিএসটি, ইন্টিগ্রেটেড জিএসটি এবং সেস সংগ্রহের ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি রেকর্ড করা হয়েছে।

    ব্রেক ডাউনের মধ্যে কী কী রয়েছে

    ব্রেক ডাউনের মধ্যে রয়েছে কেন্দ্রীয় জিএসটি (GST) ৩৩,৮২১ কোটি টাকা, রাজ্য জিএসটি ৪১,৮৬৪ কোটি টাকা, ইন্টিগ্রেটেড জিএসটি ৯৯,১১১  কোটি টাকা এবং সেস ১২,৫৫০ কোটি টাকা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই অক্টোবর দ্বিতীয় সেরা জিএসটি সংগ্রহের মাস হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। কারণ সর্বোচ্চ সংগ্রহ ছিল এপ্রিল মাসে, আদায় হয়েছিল ২.১০ লাখ কোটি টাকারও বেশি।

    আরও পড়ুন: সৌদিকে টপকে ইউরোপের শীর্ষ পরিশোধিত জ্বালানি সরবরাহকারী দেশ এখন ভারত

    রিভিউয়ের মাসে, দেশীয় লেনদেন থেকে জিএসটি ১০.৬ শতাংশ বেড়ে পৌঁছেছে ১.৪২ লাখ কোটি টাকায়। আমদানি কর থেকে রাজস্ব প্রায় ৪ শতাংশ বেড়ে পৌঁছেছে ৪৫,০৯৬ কোটি টাকায়। গোটা মাসে ফেরত দেওয়া হয়েছে ১৯,৩০৬ কোটি টাকা। গত বছরের এই সময়ের তুলনায় ১৮.২ শতাংশ বেশি।

    জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় জিএসটি ৩৩,৮২১ কোটি টাকা, রাজ্য জিএসটি ৪১,৮৬৪ কোটি টাকা, ইন্টিগ্রেটেড জিএসটি ৯৯,১১১ কোটি টাকা এবং সেস ১২,৫৫০ কোটি টাকা হয়েছে। অক্টোবর ২০২৪-এ জিএসটি সংগ্রহ ছিল (India) দ্বিতীয় সর্বোত্তম মানের। সর্বোচ্চ সংগ্রহ এপ্রিল ২০২৪-এ ছিল ২.১০ লাখ কোটি টাকার বেশি (GST)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: গেরুয়া নিশান ওড়ানোয় দেশদ্রোহিতার অভিযোগ বাংলাদেশের ১৮ হিন্দুর বিরুদ্ধে

    Bangladesh Crisis: গেরুয়া নিশান ওড়ানোয় দেশদ্রোহিতার অভিযোগ বাংলাদেশের ১৮ হিন্দুর বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপরাধ বলতে হিন্দুত্বের নিশান উড়িয়েছিলেন। গেরুয়া এই পতাকা ওড়ালে যে ‘সোনার বাংলা’য় (!) দেশদ্রোহিতার অভিযোগে (Sedition Case) অভিযুক্ত হতে হবে, তা কল্পনাও করতে পারেননি বাংলাদেশের কয়েকজন হিন্দু। মুসলমান অধ্যুষিত দেশে হিন্দুত্বের ধ্বজা ওড়ানোয় ১৮ জনের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা ঠুকে দেওয়া হয়েছে (Bangladesh Crisis)।

    হিন্দুদের টার্গেট করা হচ্ছে (Bangladesh Crisis)

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, মহম্মদ ইউনূস জমানায় বেছে বেছে হিন্দুদের টার্গেট করা হচ্ছে। এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট তথা প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী রিপাবলিকান পার্টির ডোনাল্ড ট্রাম্পও। বাংলাদেশের ওই ঘটনায় ইতিমধ্যেই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বাংলাদেশের বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠন চট্টগ্রামে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার জন্য আইন ও ট্রাইব্যুনালের দাবি জানিয়ে বিশাল সমাবেশ করেছে। তার পরে পরেই দায়ের হয়েছে দেশদ্রোহিতার মামলা। এই দাবিটি ছাড়াও আরও সাত দফা দাবি ছিল হিন্দুদের।

    ‘সনাতন জাগরণ মঞ্চে’র ব্যানারে সমাবেশ

    সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল ‘সনাতন জাগরণ মঞ্চে’র ব্যানারে। প্রথমে সমাবেশে বাধা দেয় পুলিশ। পরে অবশ্য সফলভাবেই শেষ হয় সমাবেশ। এর পরেই ১৮ জনের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা ঠুকে দেওয়া হয়। যদিও সনাতন জাগরণ মঞ্চের দাবি, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বুধবার মামলা রুজু হওয়ার পর মঞ্চের পক্ষ থেকে চেরাগি পাহাড় মোড়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়। সেই সঙ্গে শুক্রবার, ১ নভেম্বর দেশের ৬৪টি জেলায় বিক্ষোভ সমাবেশের ডাকও দেওয়া হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: “ছেলে কাঁদে কতক্ষণ? যতক্ষণ না স্তন পান করতে পায়, তারপরই কান্না বন্ধ হয়ে যায়”

    দেশদ্রোহিতার অভিযোগ

    দেশদ্রোহিতার অভিযোগে অভিযু্ক্ত পুণ্ডরীক ধামের সভাপতি চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের একটি অংশ আট দফা দাবি তুলে ধরে এটিকে আওয়ামি লীগ ও ভারত সরকারের সমর্থনপুষ্ট হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছে (Bangladesh Crisis)।” তিনি বলেন, “এই প্রতিবাদগুলি রাজনৈতিক নয়, বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধেও নয়।” কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী জানান, প্রশাসনের ওপর সংখ্যালঘু অধিকার সংরক্ষণের কাজে চাপ সৃষ্টি করতেই এই প্রতিবাদ আন্দোলন। বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক মনোভাব চিরকালই প্রবল। ১৯৫১ সালে, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে হিন্দু জনসংখ্যা ছিল ২২ শতাংশ। এখন সেটাই নেমে এসেছে ৮ শতাংশের নীচে। হিন্দু আমেরিকান ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৬৪ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে ধর্মীয় নির্যাতনের কারণে ১ কোটি ১০ লাখের বেশি হিন্দু বাংলাদেশ (Sedition Case) ছেড়ে চলে গিয়েছে।

    যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে

    যে ১৮ জনের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ তোলা হয়েছে, চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় সেই মামলা দায়ের করেন জনৈক ফিরোজ খান। বাংলাদেশের ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধি অনুযায়ী, রাষ্ট্রদ্রোহের জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, মাথায় গেরুয়া ফেট্টি বাঁধা একদল লোক চট্টগ্রামের নিউ মার্কেট এলাকায় জিরো পেয়েন্টে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার পাশে একটি গেরুয়া পতাকা উত্তোলন করছে। তার জেরেই দায়ের হয়েছে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা। কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী বলেন, “ওই গেরুয়া পতাকা তোলার সঙ্গে সনাতনী সংগঠনগুলির কোনও সম্পর্ক ছিল না। ঘটনাটি লালদিঘির প্রতিবাদস্থল থেকে ২ কিমি দূরে ঘটেছিল।” তিনি বলেন, “আমি কোনওভাবেই ওই মামলার সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। ঘটনাটার সময় আমি স্থানীয় বিএনপি অফিসে ছিলাম।”

    মামলা প্রত্যাহারের দাবি

    চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক ধাম বাংলাদেশে হিন্দুদের দুটি পবিত্র তীর্থস্থানের একটি। কৃষ্ণ দাস সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্রও। তিনি বলেন, “রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা ৩১ অক্টোবর রাতে দায়ের করেন বিএনপি-র এক স্থানীয় নেতা। বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব এ বিষয়ে অবগত ছিলেন না। আমি শুনেছি যে আমায় গ্রেফতার করা হবে। তবে সারা বাংলাদেশে প্রতিবাদ আন্দোলন চলায় রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হচ্ছে। তাই গ্রেফতারিটা বিলম্বিত হতে পারে (Bangladesh Crisis)।”

    ত্রুটিপূর্ণ মামলা

    বাংলাদেশের এই হিন্দু নেতার মতে, মামলাটি অনেক দিক থেকেই ত্রুটিপূর্ণ। তিনি বলেন, “প্রথমত, যে পতাকাটিকে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা বলা হচ্ছে, তাতে চার কোণায় চারটি চাঁদ ও তারা আঁকা রয়েছে। এটি একটি ইসলামপন্থী পতাকা। দ্বিতীয়ত, যেটিকে জাতীয় পতাকা বলা হচ্ছে, তা পতাকা উত্তোলন সংক্রান্ত নিয়ম লঙ্ঘন করেই ওড়ানো হয়েছিল। তৃতীয়ত, গেরুয়া পতাকাগুলি আলাদা খুঁটিতে উত্তোলন করা হয়েছিল।” বাংলাদেশের হিন্দু সংগঠনগুলির অভিযোগ, সমাবেশে ব্যাপক ভিড় দেখেই প্রশাসনের একাংশ ও উগ্র ইসলামপন্থী দলগুলি অপপ্রচার শুরু করে। কৃষ্ণ দাস বলেন, “বাংলাদেশে হিন্দু সংগঠনগুলি তাদের কার্যক্রম শুরু করেছিল বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে।”

    প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে সরব হয়েছেন ট্রাম্পও। ট্যুইট-বার্তায় তিনি লেখেন, “বাংলাদেশে হিন্দু, খ্রিস্টান এবং অন্যান্য (Sedition Case) সংখ্যালঘুদের ওপর গণহিংসা ও লুটপাটের ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। পুরো দেশটি এক ধরনের বিশৃঙ্খলার মধ্যে রয়েছে (Bangladesh Crisis)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

      

  • Govardhan Puja: আজ দেশজুড়ে ভক্তরা মেতে উঠেছেন গোবর্ধন পুজোয়, জানুন এর মাহাত্ম্য

    Govardhan Puja: আজ দেশজুড়ে ভক্তরা মেতে উঠেছেন গোবর্ধন পুজোয়, জানুন এর মাহাত্ম্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীপাবলি ও কালীপুজোর পর্ব মিটে যেতেই হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা মেতে উঠেছেন গোবর্ধন পুজোয় (Govardhan Puja)। আজ শনিবার ২ নভেম্বর সারা দেশ জুড়ে মহাসমারোহে পালিত হচ্ছে গোবর্ধন পুজো। এই উৎসবে সাধারণত কৃষ্ণভক্তরা অংশগ্রহণ করেন এবং এই দিনে তাঁরা ভগবানের উদ্দেশে বিশেষ প্রার্থনাও করেন। গোবর্ধন পুজোর দিনে অনেকে বাড়িতে গোবর থেকে গোবর্ধন (Govardhan Puja) পাহাড়ের মূর্তিও তৈরি করেন এবং ভগবান কৃষ্ণের জন্য বিশেষ পুজো করা হয়। এই দিনেই নতুন ফসল থেকে অন্নকূটও দেওয়া হয়। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই পুজোয় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ (Lord Krishna) প্রসন্ন হন এবং তাঁর আশীর্বাদে ঘরে কখনও খাবারের অভাব হয় না।

    গোবর্ধন পুজোর (Govardhan Puja) পৌরাণিক আখ্যান

    মনে করা হয়, বিশেষ এই তিথিতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পুজো করলে তাঁর আশীর্বাদপ্রাপ্ত হন ভক্তরা। মথুরা-বৃন্দাবন সহ উত্তর ভারতে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় গোবর্ধন পুজো। কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের প্রতিপদ তিথিতেই এই পুজো অনুষ্ঠিত হয়। হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী, দীপাবলির ঠিক পরের দিনে গিরি গোবর্ধনকে তাঁর আঙুলের ডগায় তুলেছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এবং সেই গোবর্ধন পাহাড়ের নিচেই আশ্রয় নিয়েছিলেন বৃন্দাবনের সকল মানুষ। পৌরাণিক আখ্যান অনুযায়ী, তারপর থেকেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে গোবর্ধন পুজো। পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী, দেবরাজ ইন্দ্রের পুজো করতেন বৃন্দাবনবাসী। ভালো বর্ষা ও উৎকৃষ্ট মানের ফসলের আশাতেই চলত এই পুজো। বৃন্দাবনবাসীরা ছিলেন অত্যন্ত গরিব, তাই দেবরাজ ইন্দ্রের পুজোর জন্য তাঁকে বিপুল পরিমাণ ভোগ নিবেদন করতে হত, যা শ্রীকৃষ্ণের পছন্দ হয়নি। শ্রীকৃষ্ণ মনে করতেন, সেই ভোগ ইন্দ্রকে না দিয়ে বৃন্দাবনের গরিবদের খাওয়ানো উচিত। এর পরবর্তীকালে শ্রীকৃষ্ণের কথা মেনে নেন বৃন্দাবনবাসী এবং ইন্দ্রের পুজো না করার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। তখনই দেবরাজ ইন্দ্র প্রচন্ড ক্ হন বৃন্দাবনবাসীর ওপর। এরপরেই বৃন্দাবনের সাধারণ মানুষের ওপর রেগে গিয়ে প্রবল বৃষ্টি নামান দেবরাজ ইন্দ্র। বৃষ্টিতে বৃন্দাবন তখন ভেসে যাচ্ছে, তখন একথা জানতে পেরে বৃন্দাবনবাসীকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। নিজের আঙুলের ডগায় গোবর্ধন পাহাড়কে অনায়াসে তুলে ফেলেন তিনি। বৃষ্টির হাত থেকে বৃন্দাবনবাসী বাঁচতে গোবর্ধন পাহাড়ের নিচে আশ্রয় নেয়। এরপরে নিজের ভুল বুঝতে পেরে প্রবল বৃষ্টি বন্ধ করেন দেবরাজ ইন্দ্র।

    পালিত হয় অন্নকূট উৎসবও

    দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই দিনটিতে অন্নকূট উৎসবও পালন করতে দেখা যায় অনেককে। এই দিনে, প্রত্যেকে তাঁদের বাড়ি থেকে চাল, ডাল, শাকসবজি এবং অন্যান্য খাবারের মতো বিভিন্ন ধরনের খাবার সংগ্রহ করে এবং এক জায়গায় রাখেন ও ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে (Lord Krishna) অর্পণ করে। এর সঙ্গে, ভগবানকে ৫৬ ভোগের একটি বিশেষ নৈবেদ্যও দেওয়া হয়। ৫৬ ভোগ মানে দিনের ৮ ঘণ্টা অনুসারে প্রতি ঘন্টায় ৭ প্রকারের খাবার ভগবানকে নিবেদন করা হয়। এই নৈবেদ্য ভগবান কৃষ্ণের (Govardhan Puja) প্রতি ভালোবাসা এবং উৎসর্গের প্রতীক। কলকাতার বহু মন্দির ও পরিবারেও অন্নকূট উৎসব পালিত হয়ে থাকে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় উৎসব হয় বাগবাজারের মদনমোহন মন্দিরে। সেখানে ১১৫ রকমের রান্না করা, ১২০ রকমের মিষ্টির ভোগ অর্পণ করা হয়ে থাকে। মোচা, থোড়, কুমড়ো এসব তো থাকেই, এর পাশাপাশি ফুচকা, আইসক্রিমও অর্পণ করেন অনেকে। আসলে, গোবর্ধন পুজোর দিনে যে অন্নকূট উৎসব হয় তা হল সম্পদ এবং প্রাচুর্যের প্রতীক। মনে করা হয়, এই দিন অন্নকূট উৎসব পালন করলে কোনও অভাব থাকে না।

    জ্যোতিষশাস্ত্রেও উল্লেখযোগ্য দিন

    গোবর্ধন পুজোর (Govardhan Puja) এই বিশেষ দিনটি জ্যোতিষ শাস্ত্রেও অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য বলে মনে করা হয়। এই বিশেষ দিনে কিছু কাজ করা হলে সৌভাগ্য আসতে পারে বলেই ধারণা অনেকের। জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে, গোবর্ধন পুজোর দিন, গরুকে স্নান করিয়ে দেওয়ার পরে তিলক লাগিয়ে, ৭ বার প্রদক্ষিণ করলে অর্থভাগ্য ফিরে যায়।

    গোবর্ধন পুজোর তাৎপর্য

    গোবর্ধন পুজোতে ভারতীয় সভ্যতা ও পরম্পরার প্রতিফলনও দেখা যায়।

    প্রকৃতিকে শ্রদ্ধা: গোবর্ধন পুজোর দিনটি আমাদের প্রকৃতিমাতাকে শ্রদ্ধা করতে শেখায়। প্রকৃতির ভরপুর সংস্থানকেও পুজো করতে শেখায়। তার কারণ, পাহাড়, নদী, অরণ্য অথবা মাঠ এগুলি থেকে আমাদের প্রতিদিনকার খাদ্য, পানীয় ও এবং বাসস্থানের বন্দোবস্ত হয়। তাই বর্তমান যুগে গোবর্ধন পুজোর মাধ্যমে প্রকৃতিদেবীকে রক্ষা করারও একটি বার্তা দেওয়া হয়।

    ভগবানে বিশ্বাস:  গোবর্ধন পুজো, আমাদেরকে শেখায় যে সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের ওপর বিশ্বাস রাখা ঠিক কতটা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, বৃন্দাবনের সাধারণ মানুষ ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ওপরে ভরপুর ভরসা করেছিল, ইন্দ্রদেবের ক্রোধ থেকে বাঁচতে। পরে ভগবানের আশীর্বাদেই বৃন্দাবনে নাগরিকরা সুরক্ষিত হন।

    অহঙ্কার না করা: গোবর্ধন পুজো আমাদের অহঙ্কার না করতে শেখায়। নিজের ক্ষমতার দম্ভে বৃন্দাবনবাসীর ওপরে প্রয়োগ করেছিলেন দেবরাজ ইন্দ্র এবং এর মাধ্যমেই তিনি বৃন্দাবনবাসীর ওপর বদলা নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ইন্দ্রের সেই দর্পকে চূর্ণ করেন। আমাদের সর্বদাই মনে রাখতে হবে, অহঙ্কার এবং দম্ভ বিনাশের কারণ হয়।

    গোবর্ধন পাহাড়ের চারিপাশে ভক্তদেরকে হাঁটতে দেখা যায়

    গোবর্ধন পুজো সারা দেশজুড়ে বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালন করা হয়। মথুরা এবং বৃন্দাবনে সবচেয়ে জনপ্রিয় হল এই উৎসব। এই দিন কৃষ্ণভক্তরা বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানের পালন করে থাকেন। গোবর্ধন পাহাড়ের চারিপাশে ভক্তদেরকে হাঁটতে দেখা যায়। সেখানেই তাঁরা প্রার্থনা জানান ও মন্ত্র পাঠ করেন ও ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে স্মরণ করেন। এর মাধ্যমে প্রতিফলিত হয় প্রকৃতি এবং আধ্যাত্মিকতার প্রতি তাদের সমর্পণভাব।

    এই দিন গো মাতারও পুজো করেন অনেকে

    হিন্দু ধর্মে গরুর এক আলাদা মর্যাদা রয়েছে। গোবর্ধন পুজো হল সেই দিন, যেদিন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা গরুকে পুজো করে। বিভিন্ন গ্রাম এবং গ্রামীণ অঞ্চলগুলিতে এদিন গরুকে স্নান করানো হয়। ফুল দিয়ে পুজো করা হয়। গরুকে বিশেষ খাবার খেতে দেওয়া হয়। এই আচার অনুষ্ঠানই প্রতিফলিত করে যে ভারতীয় সভ্যতা,সংস্কৃতি ও কৃষিক্ষেত্রে গরু ঠিক কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

    মহারাষ্ট্রে বর্ষগণনা শুরু হয়

    অন্যদিকে মহারাষ্ট্রে গোবর্ধন পুজো বালি প্রতিপদ নামে পরিচিত। এই দিনে সেখানে নতুন বছরেরও সূচনা হয় বলে মনে করা হয়। মারাঠীরা তাঁদের স্ত্রীদের বিশেষ উপহার প্রদান করেন এই বিশেষ দিনে। দম্পতিরা নিজেদের সমৃদ্ধি ও সুখী জীবনের জন্য ভগবানের কাছে প্রার্থনা করেন।

    গুজরাতের গোবর্ধন পুজো

    গুজরাতে গোবর্ধন পুজোর বিশেষ স্থান রয়েছে। এই দিনেই ভগবান শ্রীকৃষ্ণের উদ্দেশ্যে বিশেষ ভোগ অর্পণ করেন গুজরাতিরা এবং নানারকমের আধ্যাত্মিক ও ভক্তিগীতিতে ভরে ওঠে কৃষ্ণ মন্দিরগুলি। বিশেষ কিছু অঞ্চলে মাটির তৈরি গোবর্ধন পাহাড়ের প্রতিকৃতি তৈরি করা হয় এবং তা পুজো করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 02 November 2024: সম্পত্তি নিয়ে সমস্যা মিটে যাবে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 02 November 2024: সম্পত্তি নিয়ে সমস্যা মিটে যাবে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) সম্মানহানির সম্ভাবনা রয়েছে।

    ২) কোনও কাজে সময় নষ্ট হতে পারে।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    বৃষ

    ১) জমি বা সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় করার শুভ দিন।

    ২) শেয়ারে বাড়তি লগ্নি চিন্তাবৃদ্ধি ঘটাতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    মিথুন

    ১) সঞ্চয়ের ব্যাপারে বিশেষ নজর দেওয়া উচিত।

    ২) শরীরে বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি হতে পারে।

    ৩) বেশিরকাজ কাজেই সাফল্য মিলবে।

    কর্কট

    ১) সন্তানের ব্যবহারে আমূল পরিবর্তন লক্ষ করতে পারবেন।

    ২) শরীরে কোথাও আঘাত লাগার আশঙ্কা রয়েছে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    সিংহ

    ১) ব্যবসা বা অন্য কোনও কাজে বাড়তি বিনিয়োগ না করাই শ্রেয়।

    ২) মাথাগরম করার ফলে হাতে আসা কাজ ভেস্তে যাবে।

    ৩) বন্ধুদের সাহায্য পাবেন।

    কন্যা

    ১) ব্যবসা গতানুগতিক ভাবেই চলবে।

    ২) ভাই-বোনের কাছ থেকে ভাল সাহায্য পেতে পারেন।

    ৩) বিবাদে জড়াবেন না।

    তুলা

    ১) উচ্চশিক্ষার্থীদের সামনে ভালো যোগ রয়েছে।

    ২) পারিবারিক ভ্রমণে আনন্দ লাভ।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃশ্চিক

    ১) অতিরিক্ত দৌড়ঝাঁপ করার ফলে শারীরিক অসুস্থতা দেখা দিতে পারে।

    ২) কোনও অসৎ লোকের জন্য আপনার বদনাম হতে পারে।

    ৩) ধর্মস্থানে ভ্রমণ।

    ধনু

    ১) কারও কুপ্রভাবে সংসারে অশান্তি হতে পারে।

    ২) সামাজিক সুনাম বৃদ্ধি বা প্রতিপত্তি বিস্তারের যোগ।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    মকর

    ১) অবাক করে দেওয়া কোনও সুখবর পেতে পারেন।

    ২) কাউকে টাকা ধার দিলে বিপদ ঘটতে পারে।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    কুম্ভ

    ১) ব্যয় বাড়তে পারে।

    ২) সম্পত্তি নিয়ে সমস্যা মিটে যাওয়ায় আনন্দ লাভ।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    মীন

    ১) আপনার রূঢ় আচরণে বাড়িতে বিবাদ বাধতে পারে।

    ২) ব্যবসায় বিশেষ লাভের শুভ যোগ দেখা যাচ্ছে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share