Author: user

  • BRICS Summit: “সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দ্বৈত মাপকাঠি থাকতে পারে না”, চিনকে খোঁচা মোদির

    BRICS Summit: “সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দ্বৈত মাপকাঠি থাকতে পারে না”, চিনকে খোঁচা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সার দিয়ে বসে রয়েছেন ৩৬ জন রাষ্ট্রনেতা। এঁদের মধ্যে যেমন রয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, তেমনি রয়েছেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংও। ব্রিকসের (BRICS Summit) এই হাটেই হাঁড়িটা ভাঙলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। নাম না করে নিশানা করলেন চিনকে। বললেন, “সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সদিচ্ছা নির্ধারণের কোনও দ্বৈত মাপকাঠি থাকতে পারে না। দ্বিচারিতা চলতে পারে না।”

    চিনকে খোঁচা! (BRICS Summit)

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, প্রধানমন্ত্রীর এই বাক্যবাণের নিশানায় যে চিন-ই, তা জলের মতো স্পষ্ট। কারণ, গত গত কয়েক বছরে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বেশ কয়েকজন পাক জঙ্গির বিরুদ্ধে ভারত প্রস্তাব আনলেও, ভেটো প্রয়োগ করে স্থায়ী সদস্য চিন। তাই পাশ হয়নি সেই প্রস্তাব। সেই ‘শোধ’ তুলতেই প্রধানমন্ত্রী এদিন বেছে নিলেন ব্রিকসের সম্মেলন মঞ্চ। যে মঞ্চে হাজির চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-ও।

    প্রধানমন্ত্রীর সাফ কথা

    ব্রিকসের ষোড়শ শীর্ষ সম্মেলন হচ্ছে রাশিয়ার কাজানে। সেই সম্মেলনে যোগ দিতেই মঙ্গলবার রাশিয়ায় পা রেখেছন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। বুধবার বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি সোচ্চার হন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সন্ত্রাসবাদ ও সন্ত্রাসে অর্থায়নের মোকাবিলায় আমাদের সংকল্প নিতে হবে। এক সঙ্গে ঐক্যের সঙ্গে কাজ করতে হবে।” এর পরেই তিনি বলেন, “এমন গুরুতর বিষয়ে দ্বিমুখী মানদণ্ডের কোনও জায়গা নেই।”

    আরও পড়ুন: ফের লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের আয়োজন, এবার শিলিগুড়িতে

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের দেশের যুবসমাজের মধ্যে চরমপন্থা প্রতিরোধের জন্য সক্রিয় পদক্ষেপ নিতে হবে। রাষ্ট্রসংঘে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের ব্যাপারে একটি পূর্ণাঙ্গ সম্মেলন নিয়ে যে বিষয়টি এখনও অমীমাংসিত, তা সমাধানের জন্য আমাদের এক সঙ্গে কাজ করতে হবে।” তিনি বলেন (BRICS Summit), “ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপের মাধ্যমে বিশ্বের কাছে আমাদের নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।” মুদ্রাস্ফীতি রোধ এবং খাদ্য, শক্তি, জল এবং স্বাস্থ্য নিরাপত্তার বিষয়েও বিশ্বের সব দেশকে উদ্যোগী হতে হবে বলেও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের মতো গ্লোবাল প্রতিষ্ঠানগুলির সংস্কার সাধন প্রয়োজন বলেও সাফ জানিয়ে দেন তিনি (BRICS Summit)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2024: ঘন জঙ্গলে মা কালীর আরাধনা শুরু করেছিলেন এক কাপালিক! সেই পুজো ৫০০ বছরে

    Kali Puja 2024: ঘন জঙ্গলে মা কালীর আরাধনা শুরু করেছিলেন এক কাপালিক! সেই পুজো ৫০০ বছরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরনো ঐতিহ্য ও রীতি-রেওয়াজ মেনে ৫০০ বছর ধরে পুজো হয়ে আসছে হাওড়ার (Howrah) উদয়নারায়ণপুরের কালীকাপুরের কালী বিগ্রহের। ফি বছর গ্রামের বাসিন্দারা পুজোকে (Kali Puja 2024) কেন্দ্র করে আনন্দে মেতে ওঠেন। আর এই পুজো শুরু হওয়ার সুন্দর ইতিহাস রয়েছে।

    কাপালিক শুরু করেছিলেন কালীপুজো (Kali Puja 2024)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই কালীপুজোকে (Kali Puja 2024) কেন্দ্র করেই এই গ্রামের নাম কালীকাপুর। সে প্রায় পাঁচ শতাব্দী আগের কথা। বর্তমানের জনবহুল গ্রাম সে সময় ছিল জনশূন্য। ঘন জঙ্গলে ঢাকা নির্জন স্থান। কানা দামোদর নদীর পাড়। জঙ্গলে বন্য পশুর দাপট ছিল। কেউ সাহস পেত না এখানে আসার। জনশ্রুতি থেকে জানা যায়, এই ঘন জঙ্গলেই বাস করতেন এক কাপালিক। তিনি জঙ্গলে একাকী থেকে মা কালীর আরাধনা করতেন। তখন বর্ধমান রাজার রাজত্বকাল। কথিত রয়েছে, রাজার আদেশ মতোই কাপালিকের অবর্তমানে মা কালীকে সেবা করার দ্বায়িত্ব পেয়েছিলেন বর্ধমানের ঘোষ পরিবার। জানা যায়, সে সময় বর্ধমান রাজসভার নবরত্নের একজন ছিলেন তিলকরাম ঘোষ। বর্ধমান থেকে রাজার আদেশ মতোই মা কালীর সেবার উদ্দেশ্যে সপরিবারে হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরে চলে এসেছিল ঘোষ পরিবার। তৎকালীন ঘোষ পরিবার ভাট উপাধি পেয়েছিল রাজার কাছে। ধীরে ধীরে বসতি বৃদ্ধি পেতে থাকে। মন্দির থেকে কিছুটা দূরে ভাট পরিবারের বসবাস শুরু করেছিল সেখানেই। সেই স্থান দেবীপুর গ্রাম নামে পরিচিত।

    ‘একাহারি কালী মা’

    বর্তমানে যে স্থানে কালী মন্দির রয়েছে, তখন সেখানে ঘন জঙ্গল, পুজো (Kali Puja 2024) করার জন্য পুরোহিতের সঙ্গে লেঠেল নিয়ে আসা হত বন্য পশুদের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে। মন্দির সংলগ্ন ঘন জঙ্গল পরিষ্কার করে বর্তমানে ঘনবসতি গড়ে উঠেছে। মন্দিরের পুরনো রীতি অনুযায়ী প্রতিদিন একবার মাতৃ পুজো অনুষ্ঠিত হয় এখানে। জানা যায়, সে সময় ঘন জঙ্গল কোনওরকমে লেঠেল সঙ্গে নিয়ে দিনে একবার মা কালীর পুজো করা সম্ভব হত। একবার পুজো হওয়ার কারণেই “একাহারি ‘কালী মা”ও বলা হয়। কথিত রয়েছে, শুরুতে মূর্তি ছাড়াই ঘট প্রতিষ্ঠা করে মা কালী রূপে পুজো হত। সেই ঘট নাকি আজও মন্দিরে রয়েছে বলেই জানান পুরোহিত এবং স্থানীয় মানুষ।

    পরিবারের সদস্যরা কী বললেন?

    পরিবারের সদস্য অনির্বাণ ভাট বলেন, “এখানে ভাট পরিবারের প্রথম পুরুষ তিলকরাম ঘোষ (ভাট) রাজার আদেশমতো বর্ধমান থেকে এখানে মায়ের সেবা করতে এসেছিলেন। সে সময় থেকে কয়েক শতাব্দী পেরিয়ে গিয়েছে। তবে প্রায় সমস্ত নিয়ম রীতি রয়েছে অক্ষত। জানা যায়, মন্দিরে কষ্ঠি পাথরের মায়ের যে মূর্তি তা প্রায় দু’শো বছর প্রাচীন। গ্রামে অন্য কোনও মূর্তি পূজা নিষিদ্ধ ছিল। বৈশাখের ফলহারিণী, মকর সংক্রান্তি, নবমী এবং শ্যামাকালী পুজো-সহ মোট চারটি বিশেষ পুজো হয় প্রতি বছর।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Gita Path: ফের লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের আয়োজন, এবার শিলিগুড়িতে

    Gita Path: ফের লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের আয়োজন, এবার শিলিগুড়িতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের (Gita Path) আয়োজন। তবে এবার আর কলকাতা নয়। এবার লাখো কণ্ঠের গীতাপাঠের আয়োজন করা হয়েছে শিলিগুড়িতে। শিলিগুড়ির বিশ্ববাংলা শিল্পহাটের পাশে কাওয়াখালি ময়দানে লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ কর্মসূচির আয়োজন করছে সনাতন সংস্কৃতি সংসদ (Sanatan Sanskriti Sansad)। এবার অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেন উপরাষ্ট্রপতি তথা বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তাঁর সঙ্গে গীতাপাঠের এই আসরে যোগ দিতে পারেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাও।

    লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের আসর (Gita Path)

    গত বছরই ব্রিগেডে প্রথম বসেছিল লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের আসর। সেবার উপস্থিত থাকার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। সেই মতো প্রচারও করা হয়েছিল। একেবারে শেষ মুহূর্তে বিশেষ কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী। তবে নজরকাড়া ভিড় হয়েছিল ওই অনুষ্ঠানে। কলকাতার ওই আয়োজনে সাফল্যে উৎসাহী হয়ে এবার শিলিগুড়িতে একই অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে সনাতন সংস্কৃতি সংসদ।

    আমন্ত্রণ রাষ্ট্রপতি, মুখ্যমন্ত্রীকেও

    এবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজক সংঘের প্রধান তথা ভারত সেবাশ্রম সংঘের সন্ন্যাসী কার্তিক মহারাজ। তিনি বলেন, “ইতিমধ্যেই রাজ্যের সব হিন্দুত্ববাদী সংস্থা ও সংগঠনের সঙ্গে কথা হয়ে গিয়েছে। সব মঠ, মিশনেরও যোগদান থাকবে এই কর্মসূচিতে। খুব তাড়াতাড়ি গীতাপাঠের অভ্যাসও শুরু হবে।” তিনি জানান (Gita Path), ধনখড় ও হিমন্ত শিলিগুড়ির অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বলে কথা দিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: দ্রুত এগিয়ে আসছে ‘দানা’, কলকাতায় জারি কমলা সতর্কতা, চালু হেল্পলাইন

    গত বছর ২৪ ডিসেম্বর ব্রিগেডে হয়েছিল গীতাপাঠের আয়োজন। সেবার বিভিন্ন মঠ-মিশনের সন্ন্যাসীদের সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির নেতানেত্রীরাও। আয়োজকদের দাবি ছিল, লক্ষাধিক মানুষের সমাবেশ এবং এতজনের এক সঙ্গে গীতাপাঠে বিশ্বরেকর্ড তৈরি হয়েছে। জানা গিয়েছে, গতবারের মতো এবারও মূল অনুষ্ঠানের আগে সমবেত কণ্ঠে গাওয়া হবে ‘হে পার্থসারথি’ নজরুলগীতিটি। পাঠ হবে প্রথম, দ্বিতীয়, দ্বাদশ, পঞ্চদশ এবং অষ্টাদশ অধ্যায়। ২০২৫ সালের গোড়ার দিকে ফের কলকাতায় হবে (Sanatan Sanskriti Sansad) লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ। তার আগে হবে বর্ধমানেও (Gita Path)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Dana: দ্রুত এগিয়ে আসছে ‘দানা’, কলকাতায় জারি কমলা সতর্কতা, চালু হেল্পলাইন

    Cyclone Dana: দ্রুত এগিয়ে আসছে ‘দানা’, কলকাতায় জারি কমলা সতর্কতা, চালু হেল্পলাইন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার সকালে বঙ্গোপসাগরে জন্ম নিয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। বৃহস্পতিবার ভোরেই তা উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে (Cyclone Dana) পরিণত হবে। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরী এবং সাগরদ্বীপের মাঝামাঝি ওড়িশার ভিতরকণিকা এবং ধামারা দিয়ে স্থলভাগে ঢুকবে ‘দানা’। সব মিলিয়ে দুই রাজ্যের প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রস্তুতি রয়েছে তুঙ্গে।

     কেমন প্রভাব পড়বে কলকাতায়? (Cyclone Dana)

    মৌসম ভবন জানিয়েছে, উপকূলে আছড়ে পড়ার সময় ঝড়ের গতিবেগ (Cyclone Dana) পৌঁছবে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটারে। আর এর প্রভাবেই আগামী দু’দিন বৃষ্টিতে ভিজবে কলকাতা-সহ দুই ২৪ পরগনাও। বুধবার হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে শহরে। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার কলকাতায় (Kolkata) জারি হয়েছে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির (৭-২০ সেন্টিমিটার) কমলা সতর্কতা। শনিবারও শহরের কোনও কোনও অংশে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে শহরে। সর্বোচ্চ বেগ পৌঁছতে পারে ৮০ কিলোমিটারেও। ঝড়ের প্রভাবে শহরের ব্যস্ত রাস্তায় ভেঙে পড়তে পারে গাছ। অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকায় জল জমার সম্ভাবনা রয়েছে। যার জেরে ব্যাহত হতে পারে যান চলাচল। বন্দর এলাকাতেও জারি হয়েছে সতর্কতা। ঝড়ের কারণে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই শহরে বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা।

    আরও পড়ুন: বিজেপির দাবিকেই মান্যতা, রাজ্যের ছয় জেলায় আবাস প্রকল্পের বাড়ি তৈরির কাজ বন্ধ

    খোলা হল হেল্পলাইন

    বুধবার সকাল থেকেই কলকাতা পুলিশের তরফে মাইকের মাধ্যমে প্রচার শুরু হয়েছে। দুর্যোগের (Cyclone Dana) সময় শহরবাসীকে অযথা বাইরে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে। মোবাইল-সহ অন্যান্য বৈদ্যুতিন সামগ্রী চার্জ দিয়ে রাখা এবং দরকারি কাগজপত্র সুরক্ষিত রাখার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে তৈরি রয়েছে কন্ট্রোল রুমও। বুধবার রাত সাড়ে ১২টা থেকেই চালু হয়ে যাচ্ছে চারটি হেল্পলাইন নম্বর। ৯৪৩২৬১০৪৫৫, ৯৪৩২৬১০৪৪৫, ৯৪৩২৬১০৪৩০ এবং ৬২৯২২৬৩৪৪০-এই চারটি নম্বরের মাধ্যমে সরাসরি লালবাজারের ‘ইউনিফায়েড কম্যান্ড সেন্টার’-এ যোগাযোগ করা যাবে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, এই মুহূর্তে ওড়িশার পারাদ্বীপ উপকূল থেকে প্রায় ৫২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে, পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ থেকে ৬০০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে ৬১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে রয়েছে ‘দানা’। বৃহস্পতিবার ভোরেই তা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। তারপরই স্থলভাগে আছড়ে পড়বে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BSNL: ‘কানেক্টিং ইন্ডিয়া’ থেকে বিএসএনএল এখন ‘কানেক্টিং ভারত’, সঙ্গে নয়া ৭ প্ল্যানও

    BSNL: ‘কানেক্টিং ইন্ডিয়া’ থেকে বিএসএনএল এখন ‘কানেক্টিং ভারত’, সঙ্গে নয়া ৭ প্ল্যানও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রূপ বদল বিএসএনএলের (BSNL)! ‘কানেক্টিং ইন্ডিয়া’ থেকে এবার ‘কানেক্টিং ভারত’ (Connecting Bharat)। ট্যাগ লাইন বদলের পাশাপাশি পরিবর্তন হয়েছে লোগোরও। ইতিমধ্যেই ৪জি পরিষেবা চালু করে সরকারি এই টেলিকম সংস্থা। এবার দেশবাসীকে ৫জি পরিষেবা দেওয়ার কাজ শুরু করেছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ইতিমধ্যেই চালু করে দিয়েছেন নয়া লোগো। নতুন এই লোগোয় জাতীয় পতাকার তিনটি রং প্রতিফলিত হয়েছে। গেরুয়া, সাদা এবং সবুজ। ‘কানেটিং ইন্ডিয়া’র বদলে ট্যাগ লাইন হয়েছে ‘কানেক্টিং ভারত’। বেসরকারি সংস্থাগুলির সঙ্গে তাল মেলাতে ৭টি নতুন প্ল্যান লঞ্চও করতে চলেছে বিএসএনএল।

    নয়া প্ল্যান (BSNL)

    স্প্যাম কল: নাগরিকদের উন্নতমানের মোবাইল পরিষবা প্রদানের জন্য বিএসএনএল স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্প্যাম কলগুলিকে ব্লক করতে একটি প্রযুক্তি চালু করেছে। গ্রাহকরা এর সাহায্যে সহজেই অপ্রয়োজনীয় কল এড়াতে পারবেন।

    ফাইবার ভিত্তিক টিভি পরিষেবা: ফাইবার ব্রডব্যান্ডের গ্রাহকরা ৫০০টিরও বেশি টিভি চ্যানেলে লাইভ দেখতে পারেন। এর মধ্যে সুপার অফার হল বিএসএনএল ফাইবার ব্রডব্যান্ড ডেটার খরচ ধরা হবে না।

    নিখরচায় ওয়াই-ফাই রোমিং পরিষেবা: বিএসএনএল ফাইবার ব্রডব্যান্ড গ্রাহকরা দেশের যেখানেই যান না কেন, তাঁরা সর্বত্র বিনামূল্যে বিএসএনএল হটস্পট পাবেন। তাই সব সময় মোবাইল ডেটা খরচ না করলেও চলবে।

    ডিরেক্ট টু ডিভাইস

    ডিরেক্ট টু ডিভাইস: দেশের মধ্যে প্রথম ডিরেক্ট টু ডিভাইস সংযোগও (BSNL) চালু করেছে বিএসএনএল। স্যাটেলাইট ও মোবাইল নেটওয়ার্কের মধ্যে যোগাযোগ তৈরি করবে এটি। যেসব এলাকায় আন্তঃসংযোগ পরিষেবা নেই, সেখানেও তা চালু হবে। ফলে গ্রাহকরা পাবেন জরুরি কল, ডিজিটাল পরিষেবা।

    স্বয়ংক্রিয় কিয়স্ক: স্বয়ংক্রিয় কিয়স্ক স্থাপন করার পরিকল্পনাও করা হয়েছে বিএসএনএলের তরফে। দেশবাসী যাতে নিজের পছন্দ মতো বিএসএনএল সিম কার্ড কিনতে পারেন এবং সেটা রিচার্জ করতে পারেন, তার জন্যই এই ব্যবস্থা।

    ৫জি নেটওয়ার্ক:  বিএসএনএলও ৫জি নেটওয়ার্ক চালু করতে চলেছে। সি-ডিএসি নামে একটি কেন্দ্রীয় সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই পরিষেবা চালু করতে চলেছে। মাটির নীচেও যাতে নেটওয়ার্ক থাকে, তাই।

    আরও পড়ুন: দেশের ৯৫ শতাংশ জমি ডিজিটাইজড হয়ে গিয়েছে, জানালেন শিবরাজ সিং চৌহান

    পছন্দ মতো মোবাইল নম্বর: গ্রাহকরা তাঁদের পছন্দ মতো মোবাইল নম্বরও পেতে পারবেন। ৯৪৪৪১৩৩২৩৩ এর মতো বিশেষ নম্বরও কিনতে পারবেন। ইতিমধ্যেই এই পরিষেবা চালু (Connecting Bharat) হয়ে গিয়েছে চেন্নাই, উত্তরপ্রদেশ এবং হরিয়ানায় (BSNL)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Assembly Election 2024: মহারাষ্ট্র বিধানসভা ভোটে আসনরফা চূড়ান্ত, কোন আসনে লড়বেন শিন্ডে, অজিত?

    Assembly Election 2024: মহারাষ্ট্র বিধানসভা ভোটে আসনরফা চূড়ান্ত, কোন আসনে লড়বেন শিন্ডে, অজিত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দরজায় কড়া নাড়ছে বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Election 2024)। তার আগে রয়েছে দেওয়ালি। তাই উৎসব শুরুর আগেই বিজেপির সঙ্গে আসনরফা প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছে শিন্ডের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা ও এনসিপি (অজিত)। এই আবহে বুধবার মহারাষ্ট্রে বিধানসভা ভোটে (Maharashtra) প্রথম দফায় ৪৫ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করল মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা। উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ারের এনসিপি (অজিত) ৩৮টি বিধানসভা আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে।

    কোথায় লড়বে কে

    তালিকা প্রকাশের পর দেখা যাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী শিন্ডে ঠাণে জেলার কাপরি–পাচপাখিড়ি আসনে লড়বেন। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৯ পর্যন্ত টানা তিনটি বিধানসভা ভোটে অবিভক্ত শিবসেনার প্রার্থী হিসেবে ওই আসনে জিতেছেন তিনি। শিন্ডে শিবিরের মুখপাত্র সদা সরভঙ্কর তাঁর পুরনো আসন মুম্বইয়ের ফাহিম থেকে লড়বেন। সেখানে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী শিবসেনার প্রয়াত প্রতিষ্ঠাতা বালাসাহেব ঠাকরের ভাইপো রাজ ঠাকরের পুত্র অমিত। এছাড়া মনীষা রবীন্দ্র ওয়েকার লড়বেন যোগেশ্বরী–পূর্ব থেকে। সুহাস দ্বারকানাথ কান্দে (নন্দগাঁও), প্রদীপ শিবনারায়ণ জয়সওয়াল (ছত্রপতি সম্ভাজিনগর–মধ্য) থেকে লড়বেন। অন্যদিকে, এনসিপি প্রধান তথা উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত লড়বেন তাঁর পুরনো আসন বারামতী থেকে। নাসিকের ইয়েলার বিদায়ী বিধায়ক, শিন্ডে মন্ত্রিসভার সদস্য ছগন ভুজবল এ বারও সেখান থেকেই প্রার্থী।

    আরও পড়ুন: “তৃণমূল সাংসদ কল্যাণের আচরণ গণতন্ত্রের লজ্জা!” তোপ বিজেপি নেতা রাজীব চন্দ্রশেখরের

    পুরোদমে প্রচার শুরু

    মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচনের (Maharashtra Assembly Election 2024) আর প্রায় এক মাস বাকি। পুরোদমে প্রচারে নেমেছে রাজনৈতিক দলগুলি। ইতিমধ্যেই প্রথম দফায় ৯৯ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বিজেপি। আগামী ২০ নভেম্বরে এক দফায় মহারাষ্ট্রে ২৮৮টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট হবে। গণনা ২৩ নভেম্বর। সেখানে শাসকজোটের বৃহত্তম দল বিজেপি লড়ছে ১৫৫টি আসনে। শিন্ডে সেনা ৭৮ এবং এনসিপি (অজিত) ৫৫টিতে লড়ছে। মূল লড়াই বিজেপি-শিবসেনা (একনাথ শিন্ডে)-এনসিপি (অজিত)-এর জোট ‘মহাজুটি’ এবং কংগ্রেস-শিবসেনা (ইউবিটি)-এনসিপি (শরদ)-এর ‘মহাবিকাশ আঘাড়ী’র মধ্যে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Dana: ফণী থেকে আমপান, গত ২৫ বছরে ধ্বংসলীলা চালিয়েছে ওড়িশায়, বাদ যায়নি বাংলাও

    Cyclone Dana: ফণী থেকে আমপান, গত ২৫ বছরে ধ্বংসলীলা চালিয়েছে ওড়িশায়, বাদ যায়নি বাংলাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফণী থেকে বুলবুল সহ আমপানের মতো প্রায় ২৫ বছরে ডজনখানেক ঘূর্ণিঝড় দেখেছে ওড়িশা (Odisha)। এই রাজ্য বঙ্গোপসাগর এবং ভারত মহাসাগরের উপকূলে অবস্থিত। তাই নিম্নচাপ, ঝড়, তুফান প্রতি বছর একটা বিশেষ উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই রাজ্য বাংলার প্রতিবেশী। ওড়িশার প্রভাব বাংলায় তাই ব্যাপক ভাবে পড়ে। প্রত্যেক বছরে ব্যাপক ভাবে ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয় এই দুই রাজ্য। বাংলাও আয়লা, আমপান ঝড়ে প্রভাবিত হয়েছিল। এবার আসছে দানা (Cyclone Dana)। কতটা পরিমাণে ক্ষয়ক্ষতি করবে তা আছড়ে পড়ার পরই নির্ণয় করা যাবে।

    সুপার সাইক্লোন ছিল ভয়ঙ্কর (Cyclone Dana)

    ওড়িশা আর ঘূর্ণিঝড় (Cyclone Dana) যেন সমর্থক হয়ে গিয়েছে। উপকূলে ব্যাপক পরিমাণে সম্পত্তি এবং প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই আগে ভাগেই উপকূলের গ্রাম থেকে মানুষকে দ্রুত সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এই রাজ্যে আগে যেসব ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়েছিল তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ১৯৯৯ সালে ‘সুপার সাইক্লোন’। টানা ৩৬ ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চলেছিল। ঝড়ের গতিবেগ ছিল ২৬৭ কিমি প্রতি ঘণ্টা। ওই সময় সবথেকে বেশি ক্ষতিহয়েছিল জগতসিংহপুর। সমুদ্রের কাছে অদূরে পদমপুরে গ্রামগুলি তছনছ হয়ে গিয়েছিল। বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল। সমুদ্রে ভেসে গিয়েছিল বহু গ্রাম। মৃত্যু হয়েছিল মোট ৮১১৯ জনের। এবার ওই ঝড়ের আতঙ্ক যেন ফের একবার ফিরে এসেছে। দানার আতঙ্কে মানুষের ঘুম উড়ে গিয়েছে।

    গোপালপুরে এই ঝড়ের গতি ছিল ২৪০ কিমি

    এই ১৯৯৯ সালের ঝড়ের (Cyclone Dana) পর ওড়িশা (Odisha) রাজ্যের এখনও পর্যন্ত মোট ১২টি ঝড় দেখা গিয়েছে। ২০১৩ সালে ১২ অক্টোবর ‘ফাইলিন’ আঘাত হেনেছিল ওড়িশায়। ঝড়ে বাড়িঘর, চাষের জমি, দোকান, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। বিশেষ করে গঞ্জাম, পুরী, খুর্দা জেলায় ব্যাপক ধবংসলীলা চলে। গোপালপুরে এই ঝড়ের গতি ছিল ২৪০ কিমি। ২০১৪ সালে ওড়িশায় আছড়ে পড়েছিল হুদহুদ। ১২ অক্টোবর বিশাখাপত্তনমে আছড়ে পড়েছিল। গজপতি, মালকানগিরি, নবরং, করাপুট জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। ঝড়ের গতিবেগ ছিল ১৮৫ কিমি প্রতি ঘণ্টা। ২০১৮ সালে ২১ সেপ্টেম্বর আছড়ে পড়েছিল ‘দায়ে’। ওড়িশার গোপালপুরে ব্যাপক ভাবে ঝড় হয়েছিল। ঝড়ের গতি ছিল ৭০ কিমি প্রতি ঘণ্টা। ২০১৮ সালের অক্টোবরের ঝড়ের নাম ছিল ‘তিতলি’। অন্ধ্রপ্রদেশের তিতিলিতে আছড়ে পড়েছিল ঝড়। গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১১০ কিমি। ২০১৯ সালে ৩ মে ওড়িশার পুরীতে ঝড় হয়েছে ফণী। ২০৫ কিমি প্রতি ঘণ্টায় আছড়ে পড়েছিল। এর প্রভাব হয়েছিল মারাত্মক। ২০১৯ সালে ৯ নভেম্বর পশ্চিমবঙ্গের ২৪ পরগনায় বুলবুল তাণ্ডব করেছিল। একই ভাবে ঝড়ে বালেশ্বর, জগৎসিংহপুর, কেন্দ্রপাড়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ঝড়ের গতি ছিল ১৩০ কিমি প্রতি ঘণ্টা। ২০২০ সালে দীঘা ও হাতিয়ার মধ্যে আছড়ে পড়েছিল আপমান। গতি ছিল ১৫০ কিমি প্রতি ঘণ্টা। বিস্তীর্ণ এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি করেছিল।

    আরও পড়ুনঃ জন্ম নিয়েছে ঘূর্ণিঝড়, বন্ধ হল পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের দরজা, তৈরি ২৮৮টি উদ্ধারকারী দল

    দানাও ভয়ঙ্করী হবে

    ২০২১ সালের ২৬ মে ওড়িশার (Odisha) ভিতরকণিকা জাতীয় উদ্যানে আছড়ে পড়েছিল ‘ইয়াস’ (Cyclone Dana) । অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলাম জেলায় ২০২১ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর আছড়ে পড়েছিল। বাতাসের গতিছিল ১০০ কিমি। ২০২২ সালের ১১ মে যে ঝড়ের প্রভাব ফেলেছিল তা হল ‘অশনি’। এবার দানা ওড়িশার পুরী এবং সাগরদ্বীপের মাঝামাঝিতে আছড়ে পড়ার কথা। ঝড়ের গতিবেগ হওয়ার কথা ১২০ কিমি প্রতি ঘণ্টা।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “বিজেপি সরকার ওয়াকফ বোর্ডের মধ্যে অন্যায় দূর করার চেষ্টা করছে”, বললেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: “বিজেপি সরকার ওয়াকফ বোর্ডের মধ্যে অন্যায় দূর করার চেষ্টা করছে”, বললেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ বৈঠকে বোতল ভেঙে বরখাস্ত হন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনার পর পরই ওয়াকফ বোর্ড নিয়ে মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এই বোর্ড নিয়ে বিজেপি সরকারের অবস্থানও তিনি স্পষ্ট করেছেন।

    কী বললেন সুকান্ত? (Sukanta Majumdar)

    শিলিগুড়িতে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “বিজেপি সরকার ওয়াকফ বোর্ডের মধ্যে অন্যায় দূর করার চেষ্টা করছে। যেমন, তারা ১৫০০ বছরের পুরানো মন্দিরকে ওয়াকফ সম্পত্তি হিসেবে দাবি করছে। ইসলামের বয়স ১৪০০ বছর। আর ভারতে তার বয়স আরও অনেক কম। কিন্তু, ১৫০০ বছরের পুরানো মন্দির ওয়াকফ সম্পত্তি বলে দাবি করা হচ্ছে। এটা কি একটা ভোট ব্যাঙ্ক ছাড়া আর কিছুই নয়”? প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদকে ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল ২০২৪-এ জেপিসির এক অধিবেশনের জন্য বরখাস্ত করা হয়। সূত্রের মতে, ৯ জন সাংসদ সাসপেনশনের পক্ষে রায় দেন। আর ৭ জন বিপক্ষে রায় দেন। এরপরই ৩৪৭ বিধির অধীনে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে একদিনের জন্য বরখাস্ত করা হয়েছে। পরবর্তী বৈঠকে যোগ দিতে পারবেন না তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ।

    আরও পড়ুন: বিজেপির দাবিকেই মান্যতা, রাজ্যের ছয় জেলায় আবাস প্রকল্পের বাড়ি তৈরির কাজ বন্ধ

    ঠিক কী হয়েছিল?

    মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত ওয়াকফ (Waqf Board) বিল সংক্রান্ত যৌথ সংসদীয় কমিটির বৈঠকে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সহ অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। সূত্রের খবর, তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্য রাখছিলেন। পর পর তিনবার তিনি তাঁর বক্তব্য রেখেছেন। তারপরও আরও একবার বক্তব্য রাখার চেষ্টা করেন।  কিন্তু বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আপত্তি করেন, যার ফলে তাদের মধ্যে উত্তপ্ত কথাবার্তা হয়। এরপরই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় একটি কাচের জলের বোতল তুলে নিয়ে টেবিলের ওপর আঘাত করেন এবং নিজেকে আহত করেন। এরপর ভাঙা বোতলটি চেয়ারম্যানের দিকে ছুড়ে দেন তিনি। ঘটনার জেরে বৈঠক মুলতবি করা হয়। ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল ২০২৪, রেকর্ডের ডিজিটাইজেশন, কঠোর অডিট, বর্ধিত স্বচ্ছতা এবং অবৈধভাবে দখলকৃত ওয়াকফ সম্পত্তি পুনরুদ্ধার করার জন্য আইনি প্রক্রিয়া সহ উল্লেখযোগ্য সংস্কার আনার লক্ষ্যেই এই বৈঠক করা হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rajeev Chandrasekhar: “তৃণমূল সাংসদ কল্যাণের আচরণ গণতন্ত্রের লজ্জা!” তোপ বিজেপি নেতা রাজীব চন্দ্রশেখরের

    Rajeev Chandrasekhar: “তৃণমূল সাংসদ কল্যাণের আচরণ গণতন্ত্রের লজ্জা!” তোপ বিজেপি নেতা রাজীব চন্দ্রশেখরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল কংগ্রেস রাজনীতির এক নতুন ধারার জন্ম দিয়েছে, যা হল হিংসার রাজনীতি। এমনই অভিমত ব্যক্ত করলেন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতা রাজীব চন্দ্রশেখর (Rajeev Chandrasekhar)। তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে রাজীব বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস সংবিধান এবং গণতন্ত্রের কথা বললেও বাস্তবে এর বিপরীত কাজ করছে। তাদের রাজনীতি এখন নতুন স্তরে পৌঁছেছে, যা সহিংসতার প্রতীক হয়ে উঠেছে।”

    রাজীবের অভিমত

    রাজীব বলেন, “যাঁরা গণতন্ত্র বা সংবিধানের কথা বলছেন, তাঁরাই প্রতিদিন এর অসম্মান করছেন। সংসদে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণের আচরণ গণতন্ত্রের লজ্জা। গণতন্ত্রকে এইভাবে নিচে নামাচ্ছে তৃণমূল, এর থেকে নিকৃষ্ট উদাহরণ আমরা দেখিনি।” রাজীব চন্দ্রশেখর আরও জানান, “তৃণমূল কংগ্রেস সংসদের জন্য একটি বাজে নিদর্শন তৈরি করেছে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।” প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার, তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ ক্যাল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল ২০২৪-এর যৌথ সংসদীয় কমিটির সভা থেকে এক দিনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়। জানা গিয়েছে, তিনি আলোচনার সময় অতিরিক্ত কথা বলতে চান, কিন্তু বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর বিরুদ্ধে আপত্তি জানান, যা একটি তীব্র বিতর্কের রূপ নেয়। এই সময় কল্যাণ জলের একটি কাচের বোতল তুলে নিয়ে টেবিলের উপর মারেন এবং আহত হন। পরে তিনি ভাঙা বোতল চেয়ারম্যানের দিকে ছুড়ে দেন, যার ফলে সভা মুলতুবি করতে হয়।

    আরও পড়ুন: বন্ধুত্বের উষ্ণতা, অনুবাদক ছাড়াই প্রধানমন্ত্রী মোদির কথা বোঝেন পুতিন!

    ওয়াকফ বোর্ডের সমালোচনা

    ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল ২০২৪-এর উদ্দেশ্য হ রেকর্ডের ডিজিটাইজেশন, কঠোর অডিট, স্বচ্ছতা বৃদ্ধি এবং অবৈধভাবে দখলকৃত ওয়াকফ সম্পত্তি পুনরুদ্ধারের জন্য আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া। ওয়াকফ সংশোধনী বিল নিয়ে আয়োজিত যৌথ সংসদীয় কমিটির বৈঠক বয়কট করার জন্য আগেই বিরোধী দলগুলির তীব্র সমালোচনা করেছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা রাজীব চন্দ্রশেখর (Rajeev Chandrasekhar)। কর্ণাটকে সংঘটিত গুরুতর ওয়াকফ জমি কেলেঙ্কারির প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি এই সমালোচনা করেন। কিছু রাজনীতিবিদ কীভাবে ওয়াকফ জমি কেলেঙ্কারিতে লাভবান হয়েছেন, তাও বলেন রাজীব। দরিদ্র মুসলমানদের জন্যই ওয়াকফ বোর্ডের কাজ করা উচিত। কিন্তু, ওয়াকফ বোর্ড তা করছে না বলেও অভিযোগ রাজীবের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Dana: জন্ম নিয়েছে ঘূর্ণিঝড়, বন্ধ হল পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের দরজা, তৈরি ২৮৮টি উদ্ধারকারী দল

    Cyclone Dana: জন্ম নিয়েছে ঘূর্ণিঝড়, বন্ধ হল পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের দরজা, তৈরি ২৮৮টি উদ্ধারকারী দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় (Cyclone Dana) দানা। ইতিমধ্যেই সাগরে জন্ম নিয়ে নিয়েছে ঘূর্ণিঝড়। আগামিকাল, বৃহস্পতিবার রাতেই বাংলা-ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে ‘দানা’। ইতিমধ্যেই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা সরকার।

    পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের দরজা বন্ধ (Cyclone Dana)

    ‘দানা’ স্থলভাগে আছড়ে পড়ার আগেই বড় সিদ্ধান্ত নিল পুরীর জগন্নাথ মন্দির প্রশাসন কর্তৃপক্ষ। ঘূর্ণিঝড় দানার (Cyclone Dana) প্রভাবে যাতে মন্দিরে কোনও বিপত্তি না ঘটে, তার জন্য আপাতত মন্দিরে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হল। পুরীর (Puri) জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, পুণ্যার্থীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই পুরী মন্দিরের দরজা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় দানার শঙ্কায় আপাতত ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত মন্দিরে ভক্তদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে, পুজো বন্ধ হবে না। মন্দিরের ভিতরে প্রতিদিনের মতোই সমস্ত আচার মেনে জগন্নাথ দেবের পুজো হবে। মৌসম ভবনের পূর্বাভাস, ঝড়ের গতিবেগ পৌঁছতে পারে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটারে। বাংলা ছাড়াও ওড়িশা এবং তামিলনাড়ুর জন্য সতর্কতা জারি হয়েছে। পর্যটকশূন্য করে দেওয়া হয়েছে পুরী। রাজ্য জুড়ে মোতায়েন হয়েছে প্রশিক্ষিত উদ্ধারকারী দল।

    আরও পড়ুন: বিজেপির দাবিকেই মান্যতা, রাজ্যের ছয় জেলায় আবাস প্রকল্পের বাড়ি তৈরির কাজ বন্ধ

    ঝড়ের প্রভাব পড়বে ওড়িশার কোন কোন জেলায়?

    মৌসম ভবন জানাচ্ছে, ওড়িশার জগৎসিংহপুর, কেন্দাপাড়া, ভদ্রক এবং বালেশ্বরে হাওয়ার সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার (Cyclone Dana) ছাড়িয়ে যেতে পারে। অপেক্ষাকৃত কম প্রভাব পড়বে ময়ূরভঞ্জ, পুরী, ভুবনেশ্বর, কটক, সম্বলপুরে। ‘দানা’ বাঁধার আগে থেকেই এর প্রভাবে শুরু হতে পারে বৃষ্টি। বুধবার সন্ধ্যা থেকেই ভিজতে পারে উপকূলীয় ওড়িশার বালেশ্বর, ভদ্রক, কেন্দাপাড়া, পুরী এবং জজপুর। বৃহস্পতিবার কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। জগৎসিংহপুর, কেন্দাপাড়া, ময়ূরভঞ্জ,কটক, ভদ্রক এবং বালাসোরে জারি হয়েছে অতি ভারী বৃষ্টির লাল সতর্কতা। পরিস্থিতি সামাল দিতে এই ছয় জেলায় ছয় অভিজ্ঞ আইএএস অফিসারকে মোতায়েন করা হয়েছে। বিভিন্ন জেলায় মোতায়েন হয়েছে ২৮৮টি উদ্ধারকারী দল। জেলায় আগামী তিন দিনের জন্য স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে বাতিল হয়েছে ২০০-রও বেশি ট্রেন। রাজ্যের ৮০০টি দুর্যোগ আশ্রয় শিবিরের পাশাপাশি ৫০০টি অতিরিক্ত শিবির তৈরি করা হয়েছে। উপকূলীয় এলাকা থেকে মানুষকে সেখানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

    ওড়িশার রাজস্ব ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী কী বললেন?

    ঘূর্ণিঝড়টি (Cyclone Dana) সাগরদ্বীপ ও পুরীর মধ্যবর্তী কোথাও আছড়ে পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, বৃহস্পতিবার সকালে ওড়িশা ও বাংলার উপকূলের কাছাকাছি এসে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে ‘দানা’। ওড়িশার রাজস্ব ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী সুরেশ পুজারি জানিয়েছেন, ৮০০টি সাইক্লোন সেন্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া স্কুল-কলেজ সহ আরও ৫০০টি অস্থায়ী ত্রাণকেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। ওড়িশায় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ২০টি টিম ও পশ্চিমবঙ্গে ১৪টি টিমকে স্ট্যান্ড বাই রাখা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share