OMR Sheet: ওএমআর শিটে মোড়া কেক বিক্রি হচ্ছে বোলপুরে! কোন পরীক্ষার এগুলো?

OMR_SHEET

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ কি কাণ্ড! ওএমআর শিটে মোড়া কেক বিক্রি হচ্ছে বোলপুরে! নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড, রাঘব-বোয়ালদের ধরতে যখন তৎপর কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা এবং তদন্তকারী সংস্থা, ঠিক সে সময় দোকানে মিলল ওএমআর শিটে মোড়া কেক৷ যা নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য বোলপুরে৷ এতদিন ওএমআর শিট বিকৃত করার অভিযোগ উঠেছে, আর এবারে এই ওএমআর শিট চায়ের দোকানে কেকের মোড়কে পরিণত হয়েছে। কীভাবে এই সমস্ত ওএমআর শিট বাইরে এল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হন্যে হয়ে আসরে নেমেছে শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ।

ঠিক কী ঘটেছে?

সোমবারে বোলপুরে সামনে এল এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা। বীরভূম জেলার বোলপুরে অবস্থিত একটি চায়ের দোকানে দেখা মিলল ওএমআর কেকের। একটি বেকারি কেক সংস্থার তৈরি কেকের মোড়ক তৈরি হয়েছে সরকারি পরীক্ষার ওএমআর শিট (OMR Sheet) কেটে। সেই প্রস্তুতকারক কেক সংস্থার থেকে কেকগুলিকে পাঠানো হয়েছে এবং যথারীতি বিক্রিও করা হচ্ছে। কীভাবে এই সমস্ত ওএমআর শিট বাইরে এল তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে। যদিও চায়ের দোকানদার বা কোন ব্যক্তি এই বিষয়ে কোন কথা বলতে চাননি।

ব়্যাপ করা ওএমআর শিটগুলির কোনওটায় লেখা ২০১৪, কোনওটায় লাল-কালো কালিতে উত্তর টিক দেওয়া, কোনওটায় ওএমআর নম্বর লেখা আবার কোনওটায় পরীক্ষার্থীর স্বাক্ষর করা৷ তবে কত সালের কোন পরীক্ষার ওএমআর শিট এগুলি, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

এগুলো কোন পরীক্ষার ওএমআর শিট?

সূত্রের খবর, ওএমআর শিটগুলি (OMR Sheet) কোন পরীক্ষার তা এখনও জানা যায়নি। তা আদৌ রাজ্য সরকারের কোনও পরীক্ষার কিনা তার উত্তরও স্পষ্টভাবে মেলেনি। তবে সূত্রের দাবি, ওএমআর-এর একাংশ দেখে মনে হচ্ছে সেটি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নেওয়া কোনও পরীক্ষার।

বোলপুরে ওএমআর শিট দিয়ে কেকের মোড়ক তৈরির প্রসঙ্গে বোলপুরের মহকুমা শাসক অয়ন নাথ বলেন, “আমি বিষয়টা খবরে দেখলাম। কেকগুলি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কোনও একটি কাগজে মোড়া ছিল। আমি মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টা জানাব।”

বিজেপির কটাক্ষ

এই প্রসঙ্গে বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, “বেকার শিক্ষিত যুবকেরা যে চাকরি পায়নি সেই চাকরি বিক্রি হয়েছে এবং এই বিক্রি হওয়া চাকরি তৃণমূলের নেতারা নিজেদের আত্মীয়-স্বজনকে বিক্রি করেছে। সেই চাকরি বিক্রির রেজাল্ট আজ বোলপুর এর চায়ের দোকানে পাওয়া যাচ্ছে। আমরা হতবাক এবং বিস্মিত তবে আমাদের আইনের প্রতি ভরসা আছে আশা করছি আইন নির্দিষ্ট সময়ে ঠিক বিচার দেবে।”

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share