Bhojshala Hindu Temple: ভোজশালার সরস্বতী মন্দির ভেঙেও গড়ে উঠেছিল মসজিদ? 

আরও এক মন্দির গুঁড়িয়ে মসজিদ...
Bhojshala
Bhojshala

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার ভোজশালা (Bhojshala) স্মৃতিস্তম্ভ প্রাঙ্গনে মুসলমানদের নমাজ পড়া স্থগিত চেয়ে আবেদন গ্রহণ করল মধ্যপ্রদেশ (Madhya pradesh) হাইকোর্ট। মধ্যপ্রদেশের ধর জেলায় রয়েছে ওই স্মৃতিস্তম্ভ। সম্প্রতি আদালত মধ্যপ্রদেশ সরকার, কেন্দ্রীয় সরকার ও ভারতের পুরাতত্ত্ব সংরক্ষণ বিভাগকেও (Archeological survey of India) সমন পাঠিয়েছে। মামলাটি করেছিল হিন্দু ফ্রন্ট ফর জাস্টিস (Hindu front for justice)।

ভোজশালা কমপ্লেক্সে দেবী সরস্বতীর (saraswati) মন্দির ছিল বলে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের দাবি। তাই হিন্দু সংগঠনটি ওই কমপ্লেক্সে সরস্বতীর মূর্তি স্থাপনের পাশাপাশি কমপ্লেক্সের শিলালিপির রঙিন ছবি তৈরির অনুরোধ জানায়। স্মৃতিস্তম্ভে থাকা পুরাকীর্তি এবং ভাস্কর্যগুলির রেডিওকার্বন ডেটিং (Radio Carbon dating) করার অনুরোধও জানানো হয়েছিল।  

আরও পড়ুন : অযোধ্যা, মথুরা ও কাশী বিবাদের নিষ্পত্তি একসঙ্গে করা উচিত ছিল, মত উমা ভারতীর

দেশে শিক্ষা প্রসারে উদ্যোগী রাজা ভোজ জ্ঞান ও প্রজ্ঞার দেবী সরস্বতীর মন্দির নির্মাণ করেছিলেন। পারমার বংশের এই রাজা শিক্ষা প্রসারে একটি কলেজও প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই কলেজটি ভোজশালা নামে পরিচিত। দূরদুরান্ত থেকে ছাত্ররা পড়তে আসত ভোজশালায়। সঙ্গীত, সংস্কৃত, জ্যোতির্বিদ্যা, যোগব্যায়াম, আয়ুর্বেদ ও দর্শনের পাঠ নিতে আসতেন পড়ুয়ারা। হাজার হাজার পড়ুয়া ও বুদ্ধিজীবীদের থাকার ব্যবস্থাও ছিল ভোজশালায়। সরস্বতীর মন্দির গড়ে উঠেছিল ধর জেলায়, ভোজশালা কমপ্লেক্সে। এই ধর জেলাই এক সময় রাজা ভোজের রাজধানী ছিল।

হিন্দুত্ববাদীদের দাবি, বর্তমান কামাল মাওলানা মসজিদ, যেটি মন্দির ধ্বংস করার পর নির্মাণ করেছিলেন মুসলিমরা, তাতে ভোজশালার প্রাচীন নিদর্শন রয়েছে। মসজিদে ব্যবহৃত খোদাই করা স্তম্ভগুলি ভোজশালায় ব্যবহৃত হয়। মসজিদের দেওয়ালে খোদাই করা পাথরের স্ল্যাবগুলিতেও এখনও মূল্যবাহ কারুকার্য রয়েছে। শিলালিপিগুলিতে সংস্কৃত ব্যাকরণের জ্ঞানও উৎকীর্ণ রয়েছে। কিছু শিলালিপিতে রাজা ভোজের পরবর্তীকালের শাসকদের প্রশস্তি খোদাই করা রয়েছে। রাজা ভোজ প্রতিষ্ঠিত মন্দিরের সরস্বতীর মূর্তিটি বর্তমানে রয়েছে লন্ডনের মিউজিয়ামে।

আরও পড়ুন : ধাক্কা খেল মসজিদ কমিটি, জ্ঞানবাপী মামলায় বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

ইতিহাসবিদদের একাংশের দাবি, ১৩০৫, ১৪০১ ও ১৫১৪ সালে মুসলমান শাসকরা ভোজশালার মন্দির ও শিক্ষাকেন্দ্র ধ্বংস করে। ১৩০৫ সালে প্রথম ধ্বংসলীলা চালায় অত্যাচারী মুসলিম শাসক আলাউদ্দিন খিলজি। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে অস্বীকার করায় ভোজশালায় ১২০০ হিন্দু ছাত্র ও শিক্ষককে হত্যা করা হয়। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় মন্দির কমপ্লেক্স। পরবর্তীকালে হামলা হয়েছে আরও দুবার। তারও পরে নির্মাণ হয় কামাল মওলানা মাকবারা। এর ভিত্তিতেই ভোজশালাকে দরগাহ বলে দাবি করা হচ্ছে।

১৯৫২ সালে কেন্দ্রীয় সরকার ভোজশালা তুলে দেয় ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের হাতে। বর্তমানে কেবল বসন্ত পঞ্চমীতে সরস্বতী পুজোর দিন ভোজশালায় প্রবেশ ও পুজো করতে পারেন ধর্মপ্রাণ হিন্দুরা। ২০০৩ সালের এপ্রিল মাসে হিন্দুদের জন্য ভোজশালা খুলে দেওয়া হয়। তবে উপাসনার জন্য সম্পূর্ণ প্রাঙ্গণ পুনরুদ্ধারের জন্য পিটিশন দাখিল করা হয়।

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles