Calcutta High Court: ৩৯২৯টি শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বড় রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট

Calcutta High Court: নিয়োগ নিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকেই বহাল রাখল বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চ।
Calcutta_highcourt
Calcutta_highcourt

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) ফের ধাক্কা খেল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। বড় জয় পেল ২০১৪-এর টেট উত্তীর্ণরা। বকেয়া ৩ হাজার ৯২৯টি শূন্যপদেই নিয়োগ করতে হবে ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের। এই শূন্যপদে অন্য কোনও প্রার্থীর নিয়োগের অধিকার নেই। এমনটাই নির্দেশে জানাল কলকাতা হাইকোর্ট। আজ এই সংক্রান্ত মামলার রায় দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। অর্থাৎ নিয়োগ নিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকেই বহাল রাখল বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চ।

ডিভিশন বেঞ্চে কী বলা হল?

আজ কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জানানো হয়েছে, ২০১৪-এর টেট পরীক্ষায় যে ৩৯২৯টি শূন্যপদে নিয়োগ হয়নি, সেই শূন্যপদে ২০১৪-এর টেট উত্তীর্ণদেরই মেধাতালিকার ভিত্তিতে নিয়োগ করা হবে। এই শূন্যপদে অন্য কোনও টেট উত্তীর্ণদের অধিকার নেই। গত সেপ্টেম্বরে প্রাথমিকের ৩৯২৯টি শূন্যপদে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এরপর তাঁর রায় বহাল রেখেই আজকের ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে। আবার, সেসময় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ ২৫২ জনকে সরাসরি নিয়োগের নির্দেশও দিয়েছিল। কিন্তু আজ তা খারিজ করে ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে যে, একমাত্র যোগ্যতার ভিত্তিতেই নিয়োগ করতে হবে।

আরও পড়ুন: প্রাথমিকে ৩২৫ জনের নিয়োগ করতে টাকা নিয়েছিলেন মানিক! ইডির হাতে নতুন তথ্য

এরপরেই সিঙ্গল বেঞ্চের ওই নিয়োগ-নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে (Calcutta High Court) যায় পর্ষদ। দাবি করে তারা ২০২২ সালে প্রায় সাড়ে এগারো হাজার শূন্যপদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছে। সেই মামলায় আজ ডিভিশন বেঞ্চ সরাসরি জানিয়ে দিয়েছে যে, পর্ষদ যদি ওই ৩৯২৯টি শূন্যপদ ধরে ২০২২ সালে সাড়ে ১১ হাজার শূন্যপদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে থাকে, তাহলে প্রথমেই ওই ৩৯২৯টি পদ হিসেব থেকে বাদ দিতে হবে। কারণ ওই পদগুলিতে ২০১৪-র টেটের ভিত্তিতে নিয়োগ হবে। এ বাদে যে পদগুলি বাকি থাকবে তার নিয়োগে অংশ নিতে পারেন ২০১৭-র টেট উত্তীর্ণরা।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের টেট-র ভিত্তিতে ২০১৬ এবং ২০২০ সালে দু'বার নিয়োগ হয়। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সব পদ পূরণ করা হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। ২০২০ সালের নিয়োগে ১৬ হাজার ৫০০ পদে নিয়োগের কথা জানিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। কিন্তু পরে জানা যায়, সেই সময় সাড়ে ১২ হাজার পদে নিয়োগ হয়েছিল। অর্থাৎ ৩৯২৯টি পদ বাকি থেকে যায়। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Calcutta High Court) শূন্যপদে ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের নিয়োগের নির্দেশ দেন। প্রশ্ন ভুল থাকায় পরে মামলাকারীদেরও চাকরি দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরপরেই আজ সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকেই মান্যতা দিল ডিভিশন বেঞ্চ। শুধুমাত্র সরাসরি ২৫২ জন প্রার্থীর নিয়োগের নির্দেশকেই মানা হয়নি।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles