Calcutta High Court: পার্শ্ব শিক্ষকদের প্রাথমিকে নিয়োগ নয়, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

Calcutta_highcourt-1-750x430

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপাতত প্যারা টিচার বা পার্শ্ব শিক্ষকদের প্রাথমিক স্কুলে নিয়োগ করা যাবে না। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। এর ফলে চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কোনও প্যারা টিচার প্রাথমিকে স্থায়ী শিক্ষকের চাকরিতে নিযুক্ত হতে পারবেন না। তবে সাধারণভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলবে বলে জানিয়েছে আদালত।

পার্শ্ব শিক্ষকদের প্রাইমারীতে নিয়োগে ‘না’ আদালতের

সম্প্রতি, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। তাতে জানানো হয়, বর্তমানে প্রাথমিক স্কুলে কর্মরত অস্থায়ী শিক্ষকদের মধ্যে থেকে ১০ শতাংশকে যোগ্যতার বিচার করে স্থায়ী শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ করা হবে। আর এই বিজ্ঞপ্তিকেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন উচ্চ প্রাথমিক স্কুলে কর্মরত বেশ কয়েক জন অস্থায়ী শিক্ষক। তাঁরা দাবি করেন, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তাঁদেরও সুযোগ দিতে হবে।

আরও পড়ুন: ভারতের বিচারব্যবস্থা এত ঠুনকো নয়! বিস্ফোরক বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

এর পর গত ২১ নভেম্বর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে আপার প্রাইমারির পার্শ্ব শিক্ষকদের ১০ শতাংশকে সুযোগ দিতে হবে। তিনি বলেছিলেন, “প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ আইনে এমন কোনও নির্দেশিকা নেই যেখানে, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে আপার প্রাইমারির পার্শ্বশিক্ষককে নিয়োগ করা যায় না।” তাই তিনি এক্ষেত্রে উচ্চ প্রাথমিকের পার্শ্ব শিক্ষকদের অংশগ্রহণের অনুমতি দিয়েছেন।

কিন্তু সেই রায়কেও চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ৫০ জন প্রাথমিক পার্শ্ব শিক্ষক প্রথমে শীতকালীন অবকাশকালীন ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়। সেই মামলা শুনানিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পার্শ্ব শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে না পর্ষদ। আদালতের পূর্ণাঙ্গ রায়ের উপরেই সিদ্ধান্ত নির্ভর করবে। আর এই মামলার শুনানিতেই গতকাল বিচারপতি তালুকদারের বেঞ্চের নির্দেশ দেয়, মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনও ভাবেই পার্শ্ব শিক্ষকদের প্রাথমিকে নিয়োগ করা যাবে না। মামলকারী এই ৫০ জন প্রাথমিক পার্শ্ব শিক্ষকদের দাবি, উচ্চ প্রাথমিকের পার্শ্ব শিক্ষকরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিলে প্রাথমিকের পার্শ্ব শিক্ষকরা সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন। 

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share