Suvendu Adhikari: “কোন মতলব নিয়ে এই মামলা?” নিয়োগ দুর্নীতিতে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মামলা খারিজ হাইকোর্টের

suvendu_

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০০৯ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রাথমিকে বেআইনি নিয়োগের অভিযোগে এবারে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নাম টানা হল। তৃণমূল বিধায়ক শিউলি সাহার একটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ টেনে মামলা করা হয়। তবে এই মামলাকে ভিত্তিহীন বলে সরাসরি খারিজ করে দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একাধিক অভিযোগ উঠে এসেছে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে। বর্তমানে জেলে রয়েছেন একাধিক মন্ত্রী-নেতা। তবে শুধুমাত্র নিয়োগ দুর্নীতি মামলা নয়, আরও এমন মামলায় যেমন- গরু পাচার মামলা, কয়লা পাচার ইত্যাদিতে নাম উঠে এসেছে শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীদের। আর এসব নিয়ে বারবার সরব হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কিন্তু দুর্নীতিতে তাঁর নামই টেনে আনা হল। তবে বিচারপতির মামলা খারিজে স্বস্তি পেলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কী মামলা আনা হয়েছিল?

অভিযোগ ওঠে, ২০০৯ সাল অর্থাৎ বাম আমলে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের যে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল, তার পরীক্ষা হয় ২০১২ সালে, তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর। সেই সময় নিয়োগ বোর্ডে শুভেন্দু অধিকারী ছিলেন বলে সম্প্রতি দাবি করেছেন কেশপুরের তৃণমূল বিধায়ক শিউলি সাহা। তিনি দাবি করেন, সেই সময় কীভাবে চাকরি হয়েছে, তা তিনি খুব ভাল করেই জানেন। শিউলির সেই মন্তব্যকে হাতিয়ার করেই একটি মামলা হয় হাইকোর্টে। শুক্রবার ছিল সেই মামলার শুনানি। আর এদিন সেই মামলায় কোনও প্রমাণ না থাকায় সরাসরি খারিজ করে দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন: এবার ডায়মন্ড হারবারে শুভেন্দুকে সভা করার অনুমতি দিল হাইকোর্ট

বিচারপতি কী বললেন?

এই মামলার শুনানিতে প্রথমেই বিচারপতির প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় মামলাকারীর আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়কে। তিনি প্রশ্ন করেন, “তৃতীয় ব্যক্তির করা দাবির ভিত্তিতে এই মামলার ভিত্তি কী? কেউ যদি বঞ্চিত হয়েছেন বলে মনে করেন, তবে তিনি আদালতে এলেন না কেন? ভিডিও দেখে হঠাৎ মনে হয়েছে বিচার চাই? কোন মতলব নিয়ে এই মামলা?”

এরপরেই মামলাকারীর আইনজীবী বলেন, “পূর্ব মেদিনীপুরের পরিস্থিতি মামলা করার মত ছিল না। তাই মামলা করতে দেরি হয়েছে।”

এই যুক্তি না শুনে বিচারপতি ফের প্রশ্ন করেন, “প্রার্থীরা ২০০৯ সাল থেকে বঞ্চিত। এতদিনে শিউলি সাহার ভিডিও পাওয়া গেল বলে অভিযোগ করতে এলেন কেন?” ১৩ বছর পর কেন মামলা দায়ের হল? এত দিন কেন হাইকোর্টে আসেননি চাকরিপ্রার্থীরা?

তাই বিচারপতির দাবি, যেখানে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের কোনও অভিযোগ নেই, সেখানে ১৩ বছর পরে একটা ভিডিও নিয়ে এসে এভাবে অভিযোগ করা যায় না। ফলে এতে কোনও প্রমাণ না থাকায় ভিত্তিহীন বলেই মামলা খারিজ করেন তিনি।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share