Category: পরম্পরা

Get updated History and Heritage and Culture and Religion related news from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Kali Puja 2024: ১৩ ফুটের মাতৃমূর্তি রূপসজ্জায় যেন জ্বলজ্বল করে! প্রথা মেনেই পূজিত হন আগমেশ্বরী মাতা

    Kali Puja 2024: ১৩ ফুটের মাতৃমূর্তি রূপসজ্জায় যেন জ্বলজ্বল করে! প্রথা মেনেই পূজিত হন আগমেশ্বরী মাতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ থেকে আনুমানিক তিনশো বছর আগে আগমেশ্বরী কালীপুজো (Kali Puja 2024) শান্তিপুরে শুরু করেছিলেন সার্বভৌম আগমবাগীশ। তিনি ছিলেন পণ্ডিত কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশের প্রপৌত্র। তিনি ছিলেন তন্ত্রসাধক। তাঁরা আগমশাস্ত্রজ্ঞ ছিলেন বা সেই শাস্ত্রে পাণ্ডিত্য লাভ করেছিলেন বলে তাঁদের আগমবাগীশ উপাধি দান করা হয়। সেই সময় শাক্ত ও বৈষ্ণবদের মধ্যে বিরোধ চলছিল বলেই শোনা যায়। তাই শান্তিপুরের অদ্বৈতাচার্য্যের পৌত্র মথুরেশ গোস্বামী শক্তি আর আর ভক্তির মিলনের আশায় তাঁর নিজ কন্যার সাথে বিবাহ দিয়েছিলেন সার্বভৌম আগমবাগীশের। এর ফল তো আশানুরূপ হয়নি, বরং জটিলতা আরও বৃদ্ধি পাওয়ায় মথুরেশ গোস্বামী তাঁর কন্যা সহ জামাতাকে নিয়ে চলে আসেন শান্তিপুরে। শান্তিপুরে এসে মথুরেশ গোস্বামী তাঁর বসতবাটী থেকে কিছুটা দূরে একটি পঞ্চমূণ্ডির আসন স্থাপন করে দেন তাঁর জামাতার তন্ত্রচর্চার জন্য। কারণ যেহেতু শান্তিপুরের গোস্বামীরা প্রত্যক্ষ ভাবে শক্তির উপাসনা করেন না তাই। সেখানেই সাধনা করে সিদ্ধিলাভ করেন সার্বভৌম আগমবাগীশ। মায়ের নির্দেশে তিনি গঙ্গা থেকে মাটি নিয়ে এসে মূর্তি নির্মাণ করে পুজো করেন। তার পরই মূর্তি বিসর্জন দিয়ে দেন। এই প্রাচীন প্রথা আজও হয়ে আসছে মা আগমেশ্বরীর (Agameshwari Mata) পুজোয়।

    নিরামিষ পদে মায়ের ভোগ রান্না (Kali Puja 2024)

    বর্তমানে এই পঞ্চমূণ্ডির আসন সংলগ্ন স্থানটি আগমেশ্বরীতলা নামেই পরিচিত। এইভাবে ঐতিহ্যের সাথে ও আধ্যাত্মিকতার এক উজ্জ্বলতম প্রকাশ দেখা যায় শান্তিপুরের আগমেশ্বরীর পুজোয়। এ তো গেল মাতা আগমেশ্বরীর ইতিহাসের কথা। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হয়। শান্তিপুরের বড় গোস্বামী বাড়ির বংশধরদের অবদান থাকলেও এখন আগমেশ্বরী মাতা পুজো সমিতি এই পুজো পরিচালনা করে। মায়ের ভোগের ক্ষেত্রে রয়েছে অনন্য নিয়ম। বৈষ্ণব মতে দক্ষিণা কালী রূপে পূজিত হোন দেবী আগমেশ্বরী (Kali Puja 2024)। তাই বড় গোস্বামী বাড়ির গৃহবধূরা নিরামিষ পদে মায়ের ভোগ রান্না করেন। ভক্তদের প্রসাদের জন্য কয়েক কুইন্টাল ভোগ রন্ধনের ব্যবস্থা করা হয়।

    বিসর্জনের সময় রয়েছে বিশেষ আকর্ষণ

    এছাড়াও দেবী এতটাই জাগ্রত যে ভক্তদের মনস্কামনা অবশ্যই পূরণ হয়। আর সেই কারণে ভক্তদের দেওয়া দানে মাতা আগমেশ্বরীর মাতৃমূর্তি সোনা এবং রুপোর অলঙ্কারে মুড়ে ফেলা হয়। প্রায় ১৩ ফুট উচ্চতার মাতৃমূর্তি যেন রূপসজ্জায় জ্বলজ্বল করে। শুধু নদীয়া নয়, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসংখ্য ভক্তবৃন্দ পুজোর দিন (Kali Puja 2024) সকাল থেকেই ছুটে আসেন শান্তিপুরে আগমেশ্বরী মাতার মন্দিরে। দেবীর বিসর্জনের সময় রয়েছে বিশেষ আকর্ষণ। মাতৃমূর্তির উচ্চতা বেশি হওয়ায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় বিসর্জনের পথে যাওয়া প্রত্যেকটি রাস্তার আলোর। আর মাত্র দু’দিনের অপেক্ষা, এরপরেই মাতা আগমেশ্বরীর আরাধোনায় ব্রতী হবেন অসংখ্য ভক্তবৃন্দ।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2024: দক্ষিণেশ্বরে মা ভবতারিণীর সামনে নরেন্দ্রনাথ চাইলেন বিবেক, বৈরাগ্য, জ্ঞান এবং ভক্তি!

    Kali Puja 2024: দক্ষিণেশ্বরে মা ভবতারিণীর সামনে নরেন্দ্রনাথ চাইলেন বিবেক, বৈরাগ্য, জ্ঞান এবং ভক্তি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছরের বিভিন্ন সময়ে অমাবস্যা তিথিতে কালীপুজো দেখা যায়। তবে কার্তিক মাসের দীপান্বিতা কালীপুজো (Kali Puja 2024) সবথেকে প্রসিদ্ধ। আয়োজন, জাঁকজমক, ধুমধাম সবদিক থেকেই বেশ জনপ্রিয় দ্বীপান্বিতা কালীপুজো। জাগ্রত কালীমন্দিরগুলিতে কার্তিকী অমাবস্যায় ভক্তদের ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা যায়। কালী আরাধনা বা সাধনা বললেই উঠে আসে দক্ষিণেশ্বরের ভবতারিণী মন্দিরের নাম। কামারপুকুরের গদাধর চট্টোপাধ্যায় এখানেই রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব হয়েছিলেন। কথিত আছে, হুগলি নদীর তীরে অবস্থিত এই দক্ষিণেশ্বরের মন্দিরকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠা করেন রানি রাসমণি (Rani Rasmani), সেটা ছিল ১৮৫৫ সালের ৩১ মে।

    দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দিরের অধিষ্ঠাত্রী দেবী ‘ভবতারিণী’ 

    এখানে কালী মন্দিরের অধিষ্ঠাত্রী দেবী ভবতারিণী নামে প্রসিদ্ধ। জনশ্রুতি রয়েছে, রানি রাসমণি (Rani Rasmani) মা কালীর স্বপ্নাদেশ পেয়েই এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন এবং প্রতিষ্ঠাকালে রানিকে সব থেকে বেশি সাহায্য করেছিলেন রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের দাদা রামকুমার চট্টোপাধ্যায়। পরবর্তীকালে রামকুমার চট্টোপাধ্যায় দক্ষিণেশ্বরের কালীমন্দিরের (Kali Puja 2024) প্রধান পুরোহিত হন। রামকুমারের হাত ধরেই কামারপুকুরের গদাধর চট্টোপাধ্যায়ের প্রবেশ ঘটে। দক্ষিণেশ্বরের মন্দিরের দায়িত্বভার গ্রহণ করার পরে রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের আকর্ষণে এক মহাতীর্থে পরিণত হয় ভবতারিণী মন্দির।

    তরুণ নরেনের রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের সঙ্গে সাক্ষাৎ

    এখানেই আগমন ঘটে নরেন্দ্রনাথ দত্তের, যিনি পরবর্তীকালে স্বামী বিবেকানন্দ হন। তরুণ নরেন্দ্রনাথ দত্ত সাংসারিক অনটনে ভুগছেন তখন। এমনই সময় রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব তাঁকে পাঠালেন ভবতারিণীর সামনে। অর্থ কষ্ট মেটানোর প্রার্থনা করতে বললেন রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব। ভবতারিণীর সামনে নরেন্দ্রনাথ দত্ত চাইলেন বিবেক, বৈরাগ্য, জ্ঞান এবং ভক্তি। দক্ষিণেশ্বরে কালীমন্দির (Kali Puja 2024) চত্বরে একাধিক দেবদেবীর মন্দিরও রয়েছে। দ্বাদশ শিবমন্দির নামে পরিচিত রয়েছে বারটি আটচালার মন্দির। মন্দিরের উত্তর দিকে রয়েছে রাধাকান্ত মন্দির, দক্ষিণে রয়েছে নাটমন্দির। উত্তর-পশ্চিম কোণে রয়েছে রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের বাসগৃহ। সারা বছর ধরেই ভক্তদের ভিড় লেগেই থাকে মন্দিরে। তবে কালীপুজো এবং কল্পতরু উৎসবে বিপুল জনসমাগম ঘটে এখানে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2024: বাঘের হাত থেকে বাঁচতে সুন্দরবনের গভীর জঙ্গলে শুরু হয়েছিল এই কালীপুজো

    Kali Puja 2024: বাঘের হাত থেকে বাঁচতে সুন্দরবনের গভীর জঙ্গলে শুরু হয়েছিল এই কালীপুজো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঘের হাত থেকে বাঁচতেই আনুমানিক ৩০০ থেকে ৪০০ বছর আগে শুরু হয়েছিল এই কালীপুজো (Kali Puja 2024)। এখনও রীতি মেনেই হয় এই পুজো। ভৌগোলিক পরিবর্তনের ফলে বঙ্গোপসাগরের মোহনায় গজিয়ে উঠেছিল একটি দ্বীপ, বর্তমানে যার নাম সাগরদ্বীপ। আনুমানিক ৪০০ থেকে ৫০০ বছর আগে এই দ্বীপ গড়ে উঠেছিল। তৎকালীন সময়ে এই দ্বীপ ঘন জঙ্গলে ঢাকা ছিল। রুটিরুজির টানে সুন্দরবনের উপকূল তীরবর্তী এলাকার মানুষজন এখানে এসে সুন্দরবন থেকে কাঠ সংগ্রহ করতেন। এছাড়াও এই দ্বীপের মধ্যে এসে মধু সংগ্রহ করতেন উপকূল তীরবর্তী এলাকার মানুষজন। সেই সময় এই দ্বীপ এত আধুনিক হয়নি। তৎকালীন সময়ে জঙ্গলের হিংস্র জীবজন্তুর হাত থেকে নিজেদের বাঁচাতে একটি বটবৃক্ষের তলায় পুজো-অর্চনা করে জঙ্গলে যেতেন এলাকাবাসী। জঙ্গলের এই নিয়ম দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে চলে আসছিল। তৎকালীন সময়ে হিংস্র জীবজন্তুর আক্রমণে মৃত্যু হত সুন্দরবনের উপকূল তীরবর্তী এলাকার মানুষজনের। এই বটবৃক্ষের তলায় পুজো-অর্চনা দেওয়ার পর থেকে হিংস্র জীবজন্তুদের আক্রমণের ফলে প্রাণ হারানোর সংখ্যা অনেকটাই কমে গিয়েছিল বলে মানুষের বিশ্বাস।

    ঘন জঙ্গল পরিষ্কার করে দেবীমূর্তির প্রতিষ্ঠা (Kali Puja 2024)

    এর পর বেশ কয়েকজন উপকূল তীরবর্তী এলাকার মানুষ জঙ্গল পরিষ্কার করে এই সাগরদ্বীপেই বসবাস শুরু করেন। এমনই এক অলৌকিক মন্দির রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার গঙ্গাসাগরের ধসপাড়া এলাকায়। এলাকায় এই মন্দির আদি কালীমন্দির নামে পরিচিত। তৎকালীন সময়ে সাগরদ্বীপের এক বাসিন্দা, অমূল্যকুমার পান্ডা স্বপ্নাদেশ পান কালীমাতার। এরপর তিনি ঘন জঙ্গল পরিষ্কার করে মন্দির তৈরি করে দেবীমূর্তির প্রতিষ্ঠা করেন। এর পর থেকে ওই মন্দিরে কালীপুজো (Kali Puja 2024) হয়ে আসছে আনুমানিক ৩০০ থেকে ৪০০ বছর ধরে। গঙ্গাসাগর এলাকায় এই মন্দির আদি কালীমন্দির নামে পরিচিত। এই জাগ্রত কালীমন্দিরে নিজেদের মনস্কামনা জানাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বহু মানুষ  ছুটে আসেন পুজো দিতে। প্রতি বছর কালীপুজোর দিন জাঁকজমকের সাথে গঙ্গাসাগরে আদি কালীমন্দিরে পূজিত হন মা কালী।

    মন্দিরের মা খুবই জাগ্রত (Kali Puja 2024)

    প্রতিদিনই এই মন্দিরে নিত্যপুজোর ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও প্রতি সপ্তাহে মঙ্গল ও শনিবার বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়। এই মন্দিরের প্রধান সেবায়েত প্রকাশ পন্ডা বলেন, “সাগরদ্বীপ যখন থেকে গড়ে উঠেছিল, তার পর থেকেই এই মন্দিরে কালীমায়ের পুজো (Kali Puja 2024) শুরু হয়েছিল। আমাদের পূর্বপুরুষ এই মন্দিরে মায়ের সেবা করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। বংশপরম্পরায় এখন আমি এই মন্দিরের প্রধান সেবায়েত। এই মন্দিরের মা খুবই জাগ্রত। মায়ের কাছে পুজো দিতে বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ ছুটে আসেন। মা করুণাময়ী সবার মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করেন। স্থানীয় এক বাসিন্দা মধুসূদন মণ্ডল বলেন, এই বটগাছের নীচেই মায়ের মূর্তি ছিল এবং মা একজনকে স্বপ্নাদেশ দেন যে এখানেই তাঁর মন্দির প্রতিষ্ঠা করে পুজো করার জন্য। তৎকালীন সময় এই এলাকা ঘন জঙ্গলে ঢাকা ছিল। আমরা প্রত্যেকদিন বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পেতাম (Sundarbans)। কিন্তু মায়ের আশীর্বাদে আমাদের কোনও প্রকার ক্ষতি হয়নি। এই মা খুবই জাগ্রত। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এই মায়ের কাছে পুজো দিতে আসেন। কালীপুজোর সময় বিশেষ পুজোর ব্যবস্থা করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2024: স্বপ্নের মধ্যেই বিজয়া দশমীতে আদ্যাদেবীকে বিসর্জন দিলেন অন্নদা ঠাকুর! তারপর?

    Kali Puja 2024: স্বপ্নের মধ্যেই বিজয়া দশমীতে আদ্যাদেবীকে বিসর্জন দিলেন অন্নদা ঠাকুর! তারপর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণেশ্বরের ভবতারিণী মন্দিরের কিছুটা দূরেই অবস্থান আদ্যাপীঠের (Kali Puja 2024)। এখানে দেবী কালী আদ্যাশক্তি মহামায়া রূপে বিরাজ করেন বলে ভক্তদের বিশ্বাস। কথিত আছে, এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের শিষ্য শ্রী অন্নদা ঠাকুর। আদ্যাপীঠ মঠের অবস্থান প্রায় ২৭ বিঘা জায়গা জুড়ে। এই পীঠের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে অজস্র অলৌকিক কাহিনিও। দেবী আদ্যার মূর্তি ছাড়াও দেখতে পাওয়া যায় এখানে রাধাকৃষ্ণ এবং শ্রীরামকৃষ্ণদেবের মূর্তিও। গবেষকরা বলেন, মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা অন্নদা ঠাকুরের বাড়ি ছিল অধুনা বাংলাদেশের চট্টগ্রামে। তাঁর পৈতৃক নাম অন্নদাচরণ ভট্টাচার্য। বাংলার ১৩২১ সালে অন্নদা ঠাকুর চট্টগ্রাম থেকে কলকাতায় কবিরাজি পড়তে আসেন। এই সময়ে কলকাতার বর্তমান আমহার্স্ট স্ট্রিটে এক বন্ধুর বাড়িতে থাকতেন অন্নদাচরণ। সেখান থেকেই কবিরাজি পাশ করেছিলেন বৃত্তি সমেত। তাঁর বন্ধুর বাবার সাহায্যে কবিরাজির চেম্বারও তৈরি করেছিলেন বলে জানা যায়।

    স্বপ্নাদেশে কী নির্দেশ পান অন্নদাশঙ্কর

    কথিত আছে, এই সময়ে অন্নদা ঠাকুরকে স্বপ্নাদেশ দেন আদ্যা মা (Adyapeath)। শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবও সেই স্বপ্নাদেশে এসেছিলেন। ওই স্বপ্নাদেশে, শ্রী রামকৃষ্ণ তাঁকে (অন্নদাচরণকে) ইডেন গার্ডেন্সে গিয়ে ঝিলের পাশে নারকেল এবং পাকুর গাছের কাছ থেকে কালী মূর্তি (Kali Puja 2024) নিয়ে আসতে বলেন। ঝিলের পাশ থেকে অন্নদাচরণ ১৮ ইঞ্চি আদ্যা মায়ের কোষ্ঠী পাথরের মূর্তি পান। ঘটনাক্রমে, সেদিন ছিল রামনবমী তিথি। রাতেই দেবী তাঁকে দেখা দিয়ে বলেন, ‘‘অন্নদা কাল বিজয়া দশমী, তুমি আমায় গঙ্গায় বিসর্জন দিও।’’ দেবীর এই কথা শুনে অন্নদা একপ্রকার আঁতকে ওঠেন। তিনি ভাবতে থাকেন, পুজোপাঠ করিনি তাই হয়তো দেবী রাগ করে চলে যাচ্ছেন। তখন দেবী বলেন, ‘‘সহজ সরল প্রাণের ভাষায় যে ভক্ত নিজের ভোগ্য বস্তু আমাকে নিবেদন করেন, সেটাই আমার পুজো। যদি কোনও ভক্ত আমার সামনে আদ্যাস্তোত্র পাঠ করে, তাহলে আমি বিশেষ আনন্দিত হই।’’ এরপরেই দেবী আদ্যাস্তোত্র পাঠ করেন, অন্নদা ঠাকুর তা লিখে রাখেন। স্বপ্নের মধ্যেই বিজয়া দশমীতে আদ্যাদেবীকে (Kali Puja 2024) বিসর্জন দেন অন্নদা। তবে স্বপ্নাদেশে পাওয়া সেই মাতৃমূর্তির ছবি নিজের মনে রেখে দিয়েছিলেন অন্নদা ঠাকুর। পরে তা থেকেই তৈরি হয় বর্তমান মূর্তিটি। বাংলার ১৩২৫ সালে শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব তাঁকে স্বপ্নেই সন্ন্যাসী দীক্ষা দেন বলে জানা যায়।

    আদ্যাপীঠের ভোগ

    আদ্যাপীঠে রাধাকৃষ্ণের জন্য সাড়ে ৩২ সের চালের রান্না হয়। দেবী আদ্যার (Adyapeath) জন্য সাড়ে ১২ সের চাল রান্না হয়। রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের জন্য রান্না হয় সাড়ে ১২ সের চাল। সেই ভোগ পঞ্চব্যঞ্জনে নিবেদন করা হয়। এর সঙ্গে থাকে পরমান্ন ভোগ। অন্নদা ঠাকুরের নির্দেশ অনুযায়ী, বড় মন্দিরে ভোগ যায় না। মন্দিরের পাশে ভোগালয়ে তা সাজিয়ে রাখা হয়। সেখানেই নিবেদন করা হয় ভোগ। তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন, শুধুমাত্র পরমান্ন ভোগই যাবে দেবীর কাছে। আজও সেই রীতি বজায় রয়েছে আদ্যাপীঠে (Kali Puja 2024)। রাতে পরমান্ন ভোগ দেওয়া হয় ঘি এবং উৎকৃষ্ট চাল সহযোগে। বাংলার ১৩৩৫ সালে অন্নদা ঠাকুর পুরীতে প্রয়াত হন বলে জানা যায়। তাঁর ভক্তরা আজও পালন করে চলেছেন অন্নদা ঠাকুরের দেওয়া শিক্ষা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2024: শুরু ডাকাতদের হাতে, পাঁচ বোনের কালীপুজোতে ভোগ দিলেই নাকি স্বপ্নপূরণ!

    Kali Puja 2024: শুরু ডাকাতদের হাতে, পাঁচ বোনের কালীপুজোতে ভোগ দিলেই নাকি স্বপ্নপূরণ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় কালীকথার (Kali Puja 2024) বিচিত্র কাহিনি শোনা যায় বিভিন্ন অঞ্চলে। হিন্দু শাস্ত্র, পুরাণ এবং তন্ত্র মতে, বঙ্গেই শক্তি সাধনার সব থেকে জনপ্রিয় পীঠস্থানগুলি পরিদর্শন করা যায়। এক এক জায়গায় শক্তিদেবী কালিকার নানা রূপ। বঙ্গে বৈষ্ণব মতের পাশাপাশি কালী মায়ের জনপ্রিয়তাও প্রবল। মালদায় (Malda) একটি কালীপুজো বেশ চমৎকার। বলা হয়, এই মা কালীর পুজোতে ভোগ দিলেই নাকি স্বপ্নপূরণ হয়। সেই সঙ্গে বেশ কিছু নিয়মও পালন করা হয়। মায়ের পুজোর পর তিন বোনের বিসর্জন হয় এবং বাকি দুই বোনের বিসর্জন দেওয়া হয় না। তাঁদের মন্দিরেই রেখে দেওয়া হয়। এই দুই বোনের মূর্তি পাথরের তৈরি।

    পাঁচ ডাকাতের পাঁচ কালীপুজো (Kali Puja 2024)

    আজ থেকে প্রায় ৩৫০ বছর আগেকার কথা। গৌড়বঙ্গ তথা মালদার বর্তমান ইংরেজবাজার শহরের পাঁচ জায়গায় তথা ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কালীতলা, ষষ্ঠীতলা লেন, ১৬ নম্বর আন্ধারুপাড়া, রাজমহল রোড এবং কুটিটোলা এলাকা একটা সময়ে ছিল গভীর অরণ্য। ডাকাত দলের বাস ছিল সেই জায়গাগুলিতে। শোনা যায় পাঁচ ডাকাত দল এই পাঁচটি জায়গায় পাঁচ কালীমূর্তি (Kali Puja 2024) প্রতিষ্ঠা করেন। তারপর থেকেই এই পাঁচ কালীকে পাঁচ বোন বলা হয়।

    আরও পড়ুনঃ মা তাঁর ভয়ঙ্কর রূপ দেখিয়েছিলেন সাধক বামাক্ষ্যাপাকে! জানুন তারাপীঠের মাহাত্ম্যকথা

    মহানন্দা নদীতে ভাসানো হয়

    কালীতলা (Kali Puja 2024) অঞ্চলে রয়েছেন পাঁচ বোন। তাঁরা হলেন, বড় বোন বুড়াকালী, ষষ্ঠীতলায় ডাকাতকালী, রাজমহল রোডে কাঁচাখাকি কালী, কুটিটোলায় (Malda) রয়েছেন মশানকালী। আর সেই সঙ্গে আন্ধারুপাড়ায় আছেন ছোটবোন তারা কালী। কথিত রয়েছে এই পাঁচ বোনকে যদি ভোগ নিবেদন করা হয়, তাহলে ভক্তের মনোবাঞ্ছা পূরণ করেন মা কালী। আলাদা আলাদা পুজো করা হলেও আজও প্রাচীন রীতি-প্রথা মেনে পুজো করা হয়। এই পুজোতে বিসর্জনও খুব সুন্দর হয়। পুজোর পর শোভাযাত্রা করে মহানন্দা নদীতে ভাসানো হয়। কিন্তু পাঁচ বোনের মধ্যে তিন জনের বিসর্জন হয় এবং বাকি দুই বোনকে ঘুরিয়ে ফের মন্দিরে আনা হয়।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 176: পাখি দাঁড়ে বসে তবে রাম রাম বলে, বনে উড়ে গেলে আবার ক্যাঁ ক্যাঁ করবে

    Ramakrishna 176: পাখি দাঁড়ে বসে তবে রাম রাম বলে, বনে উড়ে গেলে আবার ক্যাঁ ক্যাঁ করবে

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    ষোড়শ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ৮ই এপ্রিল

    দক্ষিণেশ্বরে শ্রীরামকৃষ্ণ ও ব্রাহ্মগণ—প্রেমতত্ত্ব

    নাম-মাহাত্ম্য—উপায়—মায়ের নাম 

    আন্তরিক ভক্তি (Ramakrishna) ও দেখানো ভক্তি—ঈশ্বর মন দেখেন 

    কেন ঈশ্বরদর্শন হয় না? অহংবুদ্ধির জন্য 

    যতক্ষণ অহংকার ততক্ষণ অজ্ঞান। অহংকার থাকতে মুক্তি নাই।

    গরুগুলো হাম্‌মা হাম্‌মা করে, আর ছাগলগুলো ম্যা ম্যা করে। তাই ওদের কত যন্ত্রণা। কসায়ে কাটে; জুতো, ঢোলের চামড়া তৈয়ার করে। যন্ত্রণার শেষ নাই। হিন্দিতে ‘হাম্‌’ মানে আমি, আর ‘ম্যায়’ মানেও আমি। ‘আমি’ ‘আমি’ করে বলে কত কর্মভোগ। শেষে নাড়ীভুঁড়ি থেকে ধুনুরীর তাঁত তৈয়ার করে। তখন ধুনুরীর হাতে ‘তুঁহু তুঁহু’ বলে, অর্থাৎ ‘তুমি তুমি’। তুমি তুমি বলার পর তবে নিস্তার! আর ভুগতে হয় না।

    হে ঈশ্বর (Ramakrishna), তুমি কর্তা আর আমি অকর্তা, এরই নাম জ্ঞান।

    নিচু হলে তবে উঁচু হওয়া যায়। চাতক পাখির বাসা নিচে, কিন্তু ওঠে খুব উঁচুতে। উঁচু জমিতে চাষ হয় না। খাল জমি চাই, তবে জল জমে! তবে চাষ হয়!

    গৃহস্থলোকের সাধুসঙ্গ প্রয়োজন—যথার্থ দরিদ্র কে? 

    একটু কষ্ট করে সৎসঙ্গ করতে হয়। বাড়িতে কেবল বিষয়ের কথা। রোগ লেগেই আছে। পাখি দাঁড়ে বসে তবে রাম রাম বলে। বনে উড়ে গেলে আবার ক্যাঁ ক্যাঁ করবে।

    টাকা থাকলেই বড় মানুষ হয় না। বড় মানুষের বাড়ির একটি লক্ষণ যে, সব ঘরে আলো থাকে। গরিবেরা তেল খরচ করতে পারে না, তাই তত আলো বন্দোবস্ত করে না। এই দেহমন্দির অন্ধকারে রাখতে নাই, জ্ঞানদীপ জ্বেলে দিতে হয়।

    জ্ঞানদীপ জ্বেলে ঘরে ব্রহ্মময়ীর (Kathamrita) মুখ দেখ না।

    প্রার্থনাতত্ত্ব—চৈতন্যের লক্ষণ 

    সকলেরই জ্ঞান হতে পারে। জীবাত্মা আর পরমাত্মা। প্রার্থনা কর—সেই পরমাত্মার সঙ্গে সব জীবেরই যোগ হতে পারে। গ্যাসের নল সব বাড়িতেই খাটানো আছে। গ্যাস কোম্পানির কাছে গ্যাস পাওয়া যায়। আরজি কর, করলেই গ্যাস বন্দোবস্ত করে দেবে—ঘরেতে আলো জ্বলবে। শিয়ালদহে আপিস আছে। (সকলের হাস্য)

    কারুর চৈতন্য (Ramakrishna) হয়েছে। তার কিন্তু লক্ষণ আছে। ঈশ্বরীয় কথা (Kathamrita) বই আর কিছু শুনতে ভাল লাগে না। আর ঈশ্বরীয় কথা বই আর কিছু বলতে ভাল লাগে না। যেমন সাত সমুদ্র, গঙ্গা, যমুনা, নদী—সব তাতে জল রয়েছে, কিন্তু চাতক বৃষ্টির জল চাচ্ছে। তৃষ্ণাতে ছাতি ফেটে যাচ্ছে, তবু অন্য জল খাবে না।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “সচ্চিদানন্দলাভ হলে সমাধি হয়, তখন কর্মত্যাগ হয়ে যায়”

    আরও পড়ুনঃ “তিনি দাঁড়াইলে ঠাকুর বলিলেন, বলরাম! তুমি? এত রাত্রে?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2024: মা তাঁর ভয়ঙ্কর রূপ দেখিয়েছিলেন সাধক বামাক্ষ্যাপাকে! জানুন তারাপীঠের মাহাত্ম্যকথা

    Kali Puja 2024: মা তাঁর ভয়ঙ্কর রূপ দেখিয়েছিলেন সাধক বামাক্ষ্যাপাকে! জানুন তারাপীঠের মাহাত্ম্যকথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শক্তিপীঠ, সিদ্ধপীঠ তারাপীঠ (Tarapith)। কালীপুজোয় (Kali Puja 2024) জমজমাট থাকে বীরভূমের তারাপীঠ। অনেকে ভাবেন এটি সতীপীঠ কিন্তু তারাপীঠ সতীপীঠ নয়। কথিত আছে, একবার দেবীর মাতৃরূপ দর্শন চান বশিষ্ঠ মুনি৷ দেবীও নিরাশ করেননি৷ এখানেই তাঁকে মাতৃরূপে দর্শন দেন দেবী। এখানেই তপস্যা করে সিদ্ধিলাভ করেন তারামায়ের ভক্ত বামাক্ষ্যাপা। ফলে এটি সিদ্ধপীঠ হিসেবেও পরিচিত। তাই অমাবস্যায় রীতি মেনে পুজো হয় এখানেও।

    কালীপুজোয় কেমন হয় তারামায়ের ভোগ (Kali Puja 2024)?

    সকালে স্নানের পর (Tarapith) দেবীর শিলাব্রহ্মময়ী মূর্তিকে রাজবেশে সাজিয়ে তোলা হয়। পরানো হয় চুনরি। এরপর পঞ্চ উপাচারে মঙ্গলারতি এবং নিত্যপুজো সম্পন্ন হয়। কালীপুজোর (Kali Puja 2024) দিন খুব সকালে ডাবের জল দিয়ে শুরু হয় মায়ের ভোগ। সকালের ভোগে থাকে পাঁচ রকম বা ন’রকমের ভাজা, সাদা অন্ন, পায়েস ও মিষ্টি। এখানে মাকে পঞ্চব্যঞ্জন সহযোগে ভোগ নিবেদন করা হয়৷ আমিষ ভোগের মূল উপাদান হল শোল মাছ। ভোগের পাতে এই মাছ না থাকলে ভোগ গ্রহণ করেন না মা তারা। কালীপুজোর দিন ভোগ হিসেবে থাকে পোলাও, খিচুড়ি, সাদা ভাত, পাঁচরকম ভাজা, পাঁচ মিশালি তরকারি, মাছ, চাটনি, পায়েস এবং মিষ্টি। এখানকার অন্নভোগের বিশেষত্বই হল পোড়া শোলমাছ মাখা।

    সন্তানকে না খাইয়ে ভোগ গ্রহণ করেন না তারা মা

    দীপান্বিতা (Kali Puja 2024) অমাবস্যা উপলক্ষ্যে নিয়ম-নিষ্ঠা মেনে হয় বিশেষ সন্ধ্যারতি। এরপর নিবেদন করা হয় লুচি, পায়েস, সুজি দিয়ে শীতল ভোগ। তারামায়ের যেভাবে ভোগ পুজো হয়, সেই একই ভাবে পুজো করা হয় শ্মশান কালীকে। শ্মশানেই রয়েছে মায়ের আসল শিলা পাদুকা। তার পাশে বামদেবের সমাধি। তারাপীঠের নিয়ম অনুযায়ী, সন্তানকে খাইয়ে তবেই তারা মা ভোগ গ্রহণ করেন। তাই বামদেবের ভোগ আগে দেওয়া হয়। ভোগের তালিকায় রয়েছে প্রেত ভোগও। ডাকিনী-যোগিনীদের উদ্দেশে দেওয়া এই ভোগ শ্মশানেই দেওয়া হয়। রাতে এক বারই এই ভোগের আয়োজন থাকে। বামদেবের খুব প্রিয় কুকুর ছিল শিবা। তার জন্যও থাকে বিশেষ ভোগের আয়োজন।

    তারা মা ভয়ঙ্কর রূপ দেখান সাধক বামাক্ষ্যাপাকে

    বামাক্ষ্যাপা শৈশবেই গৃহত্যাগ করে কৈলাশপতি বাবা নামে এক সন্ন্যাসীর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেছিলেন। কৈলাশপতি বাবা তারাপীঠে থাকতেন। বামাক্ষ্যাপা তারাপীঠের (Kali Puja 2024) দ্বারকা নদের তীরে যোগ ও তন্ত্রসাধনা করেন। নিকটবর্তী মল্লরাজাদের মন্দিরময় গ্রাম মালুটি যা ঝাড়খণ্ডে অবস্থিত, সেখানে যোগ সাধনা করতে যান। একই ভাবে দ্বারকার তীরে মৌলাক্ষী দেবীর মন্দিরে সাধনাকালে প্রায় ১৮ মাস অবস্থান করেন। এরপর নিজে ধর্মীয় গুরু হয়ে ওঠেন। ভক্তরাও বিশ্বাস করেন তিনি অলৌকিক শক্তির অধিকারী। তবে বাঁধাধরা নিয়ম কানুন মানতেন না তিনি। দেবতার নৈবেদ্য থেকে প্রসাদ খেয়ে নিতেন পুজোর আগেই। কথিত আছে নাটোরের মহারানিকে স্বপ্নে দেবী তারা মা আদেশ দিয়েছিলেন। তাতে বলা হয়, বামাকে যেন আগে প্রসাদ খাওয়ানো হয়। এরপর থেকে বামাক্ষ্যাপাকে পুজোর আগেই মন্দিরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। আরও কথিত হয়, দেবী তারা মা তাঁর ভয়ঙ্কর রূপ দেখান সাধক বামাক্ষ্যাপাকে এবং সেই সময় তাঁকে কোলে তুলে নেন মা। এই তারাপীঠ শ্মশান এবং দুমকা জেলার মালুটি গ্রামে সাধাক বামাক্ষ্যাপার স্মৃতিমন্দির স্থাপন করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dhanteras 2024: কাল ধনতেরাস, শুভ সময়ে ঘরে আনুন সোনা-রূপো, কিনুন ঝাঁটা! তবে ভুলেও কিনবেন না…

    Dhanteras 2024: কাল ধনতেরাস, শুভ সময়ে ঘরে আনুন সোনা-রূপো, কিনুন ঝাঁটা! তবে ভুলেও কিনবেন না…

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোর পরই এবার কালীপুজোর প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন বাঙালিরা। তবে, কালীপুজোর আগে রয়েছে ধনতেরাস (Dhanteras 2024)। আগে বেশিরভাগ সময়ে অবাঙালি হিন্দুদের মধ্যে এই পুজোর চল ছিল। এখন বাঙালিরাও ধনতেরাস পালন করেন। এই ধনতেরাসে শুভ মুহূর্তে সোনা সহ নানান সামগ্রী কিনে ধনলক্ষ্মীর কৃপা লাভের আশায় থাকেন ভক্তরা। 

    ধনতেরাসের দিন জিনিস কেনার আগে ভাবুন

    ধনতেরাসের (Dhanteras 2024) দিন ভগবান ধন্বন্তরীর পুজো করা হয়। কথিত রয়েছে এই দিনে সমুদ্র মন্থন করে শ্রী ধন্বন্তরী অমৃত কলস নিয়ে আবির্ভূত হন। এই দিনে সোনা, রুপো সহ নানান ধাতু কেনা শুভ। এছাড়াও এমন বহু সামগ্রী রয়েছে, যা ধনতেরাসের দিন কেনা শুভ হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, এমন কিছু জিনিস রয়েছে যেগুলি এই দিন একেবারেই কেনা উচিত নয়। এর ফলে সৌভাগ্যের বদলে দুর্ভাগ্য নেমে আসতে পারে। জেনে নেব এই দিন কী কেনা উচিত এবং কী কেনা উচিত নয়।

    ধনতেরাসে কী কী কেনা শুভ

    ধার্মিক মান্যতা অনুসারে ধনতেরাসে (Dhanteras 2024) ঝাড়ু কেনা খুবই শুভ। এই ঝাড়ুকে লক্ষ্মীদেবীর প্রতীক বলে মনে করা হয়। এই দিনে ঝাড়ু কিনলে আর্থিক কষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এই সময় জমি, বাড়ি কেনা যায় ও সোনা, রুপোও কেনা যায়। এছাড়াও গাড়িও কেনা যায়। কথিত রয়েছে, এই দিন যদি সোনা কেনা যায় তা হলে ধনসম্পত্তি তিন গুণ বৃদ্ধি পায়। রুপোর কয়েন বা রুপোর অন্যান্য জিনিস কেনাও এই দিন শুভ বলে মানা হয়। বিশেষ করে রুপোর গয়না যদি বাড়ির মহিলাদের উপহার দিতে পারেন তা হলে খুবই ভালো হয়। এই দিন বাড়িতে অবশ্যই নুন কিনবেন এবং সেই নুন দিয়েই বাড়ির সমস্ত রান্না করবেন। ধনতেরসের দিন গুড়ের বাতাসা, গাঁট হলুদ, কড়ি, গোমতীচক্র, জায়ফল, হরিতকি, সুপুরি, ধান এই কয়েকটা জিনিস কেনা অত্যন্ত শুভ। এই দিন বাড়িতে গণেশ-লক্ষ্মীর মূর্তি কেনা অত্যন্ত শুভ।

    আরও পড়ুন: আকাশ প্রদীপ জ্বালালে সন্তুষ্ট হন ভগবান বিষ্ণু, পূরণ করেন ভক্তের মনস্কামনা

    ধনতেরাসের দিন কী কী কিনবেন না

    ধনতেরাসের (Dhanteras 2024) দিন লোহা এবং কাচের তৈরি কোনও জিনিস কিনবেন না। এই দিন বাড়িতে কোনও পাত্র কিনে খালি অবস্থায় আনবেন না, তাতে কিছু জিনিস ভরে তবেই বাড়িতে আনবেন। এই দিন নকল সোনার জিনিস অর্থাৎ নকল গয়না কিনবেন না। এই দিন অ্যালুমিনিয়ামের কোনও জিনিস বাড়িতে কিনে আনবেন না। এতে মা লক্ষ্মী অসন্তুষ্ট হন।  ধনতেরাসের দিন কোনও ধারালো জিনিস কেনা উচিত নয়। অর্থাৎ ছুরি, কাঁচি, ব্লেড জাতীয় কোনও ধারালো জিনিস না কেনাই ভালো। তা দুর্ভাগ্য বয়ে আনতে পারে। ধনতেরাসের দিন ধাতুর জিনিস কেনার চল রয়েছে। কিন্তু তাই বলে এই দিনে কোনও রকম প্লাস্টিকের জিনিস কিনবেন না। ধনতেরাসের পুজো করতে গেলে ঘি, তেল লাগবেই। কিন্তু তা আগে থেকে কিনে রাখুন। এই দিনে তেল, ঘি কিনবেন না। পোশাক কিনলেও মনে রাখবেন তার রং যেন কালো না হয়। এদিন কোনও ব্যক্তিকে টাকা ধার দেবেন না কারুর থেকে ধার নেবেন না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dhanteras 2024: ধনতেরাসে বিধি মেনে পুজোয় অকাল মৃত্যুর হাত থেকে মুক্তি, লাভ হয় অপার ঐশ্বর্য

    Dhanteras 2024: ধনতেরাসে বিধি মেনে পুজোয় অকাল মৃত্যুর হাত থেকে মুক্তি, লাভ হয় অপার ঐশ্বর্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কার্তিক কৃষ্ণপক্ষের ত্রয়োদশী তিথিতে ধনতেরাস (Dhanteras 2024) পালিত হয়। এদিন নতুন বাসন, অলঙ্কার, ইত্যাদি কেনা শুভ মনে করা হয়। ‘ধন’ শব্দের মানে সম্পত্তি। ত্রয়োদশী শব্দের অর্থ হিন্দু ক্যালেন্ডারের ১৩ তম দিন। দীপাবলির সময় লক্ষ্মীপুজোর দুই দিন আগে ধনতেরাস হয়। বলা হয়, ধনতেরাসের দিন দেবী লক্ষ্মী তাঁর ভক্তদের গৃহে যান ও তাঁদের ইচ্ছাপূরণ করেন। ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের কাছে এই দিনটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাঁরা এদিন দামি ধাতু কেনেন। সম্পদের দেবতা কুবেরও এ দিন পূজিত হন।

    কেন পালিত হয় ধনতেরাস

    পুরাণ অনুযায়ী, সমুদ্র মন্থনের সময় এই তিথিতেই হাতে অমৃত কলস নিয়ে ধন্বন্তরী প্রকট হন। কথিত আছে, ইন্দ্রের অভদ্র আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে মহর্ষি দুর্বাসা তিন লোককে শ্রীহীন হওয়ার অভিশাপ দেন। এর ফলে পৃথিবী থেকে নিজের লোকে গমন করেন অষ্টলক্ষ্মী। জগৎ সংসারে শ্রী প্রতিষ্ঠার জন্য সমুদ্র মন্থনের পরামর্শ দেন শিব। সমুদ্র মন্থনের ফলে ১৪টি প্রমুখ রত্নের উৎপত্তি হয়। চতুর্দশ রত্ন হিসেবে স্বয়ং অমৃত কলশ নিয়ে ধন্বন্তরী প্রকট হন। এর ঠিক দুদিন পর প্রকট হন লক্ষ্মী। তাই ধনতেরাসের (Dhanteras 2024) দুদিন পর দীপাবলীতে লক্ষ্মী পুজো করা হয়।

    ধন্বন্তরীর উপাসনা 

    বিষ্ণু ধন্বন্তরীকে দেবতাদের বৈদ্য ও বনস্পতি এবং ঔষধির অধিপতি নিযুক্ত করেন। তাঁর আশীর্বাদেই সমস্ত বৃক্ষ ও বনস্পতির মধ্যে রোগনাশক শক্তির সঞ্চার হয়।  জনকল্যানের জন্য ধন্বন্তরীই অমৃতময় ঔষধির খোঁজ করেন। মহর্ষি বিশ্বামিত্রের পুত্র সুশ্রুত তাঁর শিষ্য ছিলেন। সুশ্রুতই আয়ুর্বেদের মহানতম গ্রন্থ সুশ্রুত সংহিতার রচনা করেন। এদিন স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য ধন্বন্তরীর উপাসনা করা হয়। পৌরাণিক ধারণা অনুযায়ী, ধনতেরাসের দিনে বিধি মেনে পুজো করলে ও দীপ দান করলে অকাল মৃত্যুর হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

    পৌরাণিক আখ্যান

    কথিত আছে, রাজা হিমার ১৬ বছরের ছেলের এক অভিশাপ ছিল। তার কুষ্টিতে লেখা ছিল, বিয়ের চার দিনের মাথায় সাপের কামড়ে তার মৃত্যু হবে। তার স্ত্রীও জানত সেই কথা। তাই সেই অভিশপ্ত দিনে সে তার স্বামীকে সে দিন ঘুমোতে দেয়নি। শোয়ার ঘরের বাইরে সে সমস্ত গয়না ও সোনা-রূপার মুদ্রা জড়ো করে রাখে। সেই সঙ্গে সারা ঘরে বাতি জ্বালিয়ে দেয়। স্বামীকে জাগিয়ে রাখতে সে সারারাত তাকে গল্প শোনায়, গান শোনায়। পরের দিন যখন মৃত্যুর দেবতা যম তাদের ঘরের দরজায় আসে, আলো আর গয়নার জৌলুসে তাঁর চোখ ধাঁধিয়ে যায়। রাজপুত্রের শোয়ার ঘর পর্যন্ত তিনি পৌঁছন ঠিকই। কিন্তু সোনার উপর বসে গল্প আর গান শুনেই তাঁর সময় কেটে যায়। সকালে কাজ অসম্পূর্ণ রেখেই চলে যান তিনি। রাজপুত্রের প্রাণ বেঁচে যায়। পরদিন সেই আনন্দে ধনতেরাস (Dhanteras 2024) পালন শুরু হয়।

    আরও পড়ুন: আকাশ প্রদীপ জ্বালালে সন্তুষ্ট হন ভগবান বিষ্ণু, পূরণ করেন ভক্তের মনস্কামনা

    এই বছর ধনতেরাসের যোগ

    চলতি বছর,২৯ অক্টোবর মঙ্গলবার পড়ছে ধনতেরাস (Dhanteras 2024) । ২৯ অক্টোবর, সকাল ১০.৩১ মিনিটে ধনতেরাস শুরু হবে। ৩০ অক্টোবর ধনতেরাসের তিথি শেষ হবে দুপুর ১ টা ১৫ মিনিটে। উদয়া তিথি অনুসারে ২৯ অক্টোবর ধনতেরাস পালিত হবে। ভারতে ধনতেরাস উত্সব উদযাপিত হয় সোনা, রুপো বা বাসন কিনে। একে সৌভাগ্যের লক্ষণ বলা হয়। নতুন জামাকাপড়ও এ সময় কেনে মানুষ। এরপর করা হয় লক্ষ্মী পুজো। চারিদিকে প্রদীপ জ্বালিয়ে দেবীর আরাধনা করা হয়। এদিন ধন- সমৃদ্ধির জন্য কুবেরেরও পুজো করা হয়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 175: “মনের গুণে হনুমান সমুদ্র পার হয়ে গেল, আমি রামের দাস, রামনাম করেছি, আমি কি না পারি!”

    Ramakrishna 175: “মনের গুণে হনুমান সমুদ্র পার হয়ে গেল, আমি রামের দাস, রামনাম করেছি, আমি কি না পারি!”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    ষোড়শ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ৮ই এপ্রিল
    দক্ষিণেশ্বরে শ্রীরামকৃষ্ণ ও ব্রাহ্মগণ—প্রেমতত্ত্ব

    নাম-মাহাত্ম্য—উপায়—মায়ের নাম 

    আন্তরিক ভক্তি ও দেখানো ভক্তি—ঈশ্বর মন দেখেন 

    যেমন ভাব তেমনি লাভ। দুজন বন্ধু পথে যাচ্ছে। এক যায়গায় ভাগবত পাঠ হচ্ছিল। একজন বন্ধু বললে, ‘এস ভাই, একটু ভাগবত শুনি।’ আর-একজন একটু উঁকি মেরে দেখল। তারপর সে সেখান থেকে চলে গিয়ে বেশ্যালয়ে গেল। সেখানে খানিকক্ষণ পরে তার মনে বড় বিরক্তি এল। সে আপনা-আপনি বলতে লাগল, ‘ধিক্‌ আমাকে! বন্ধু আমার হরি কথা শুনছে, আর আমি কোথায় পড়ে আছি!’ এদিকে যে ভাগবত (Ramakrishna) শুনছে, তারও ধিক্কার হয়েছে। সে ভাবছে, ‘আমি কি বোকা! কি ব্যাড় ব্যাড় করে বকছে, আর আমি এখানে বসে আছি! বন্ধু আমার কেমন আমোদ-আহ্লাদ করছে।’ এরা যখন মরে গেল, যে ভাগবত শুনেছিল, তাকে যমদূত নিয়ে গেল; যে বেশ্যালয়ে গিছিল, তাকে বিষ্ণুদূত বৈকুণ্ঠে নিয়ে গেল।

    ভগবান (Kathamrita) মন দেখেন। কে কি কাজে আছে, কে কোথায় পড়ে আছে তা দেখেন না। ভাবগ্রাহী জনার্দন।

    কর্তাভজারা মন্ত্র দিবার সময় বলে এখন ‘মন তোর’। অর্থাৎ এখন সব তোর মনের উপর নির্ভর করছে।

    তারা বলে, যার ঠিক মন, তার ঠিক করণ, তার ঠিক লাভ।

    মনের গুণে হনুমান সমুদ্র পার হয়ে গেল। আমি রামের দাস, আমি রামনাম (Ramakrishna) করেছি, আমি কি না পারি!’ এই বিশ্বাস

    কেন ঈশ্বরদর্শন হয় না? অহংবুদ্ধির জন্য 

    যতক্ষণ অহংকার ততক্ষণ অজ্ঞান। অহংকার থাকতে মুক্তি নাই।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “সচ্চিদানন্দলাভ হলে সমাধি হয়, তখন কর্মত্যাগ হয়ে যায়”

    আরও পড়ুনঃ “তিনি দাঁড়াইলে ঠাকুর বলিলেন, বলরাম! তুমি? এত রাত্রে?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share