Category: পরম্পরা

Get updated History and Heritage and Culture and Religion related news from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Lata Mangeshkar: তাঁর আওয়াজই তাঁর পরিচয়! জন্মদিনে স্মরণ ‘নাইটিঙ্গল অফ ইন্ডিয়া’ লতাজিকে

    Lata Mangeshkar: তাঁর আওয়াজই তাঁর পরিচয়! জন্মদিনে স্মরণ ‘নাইটিঙ্গল অফ ইন্ডিয়া’ লতাজিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর সুরে আজও ডুব দিলে মনের অলি-গলি খুশিতে ভরে ওঠে। তাঁর সুর যেন একমুঠো খুশির উপহার। তাঁর আওয়াজ বেদনার আশ্রয়। আজ ২৮ সেপ্টেম্বর। আজ দেশের অন্যতম সঙ্গীত শিল্পী লতা মঙ্গেশকরের জন্মদিন। ভারতীয় সঙ্গীতে জনপ্রিয়তার নিরিখে সর্বশ্রেষ্ঠ শিল্পী তিনি। বেঁচে থাকলে সুর সম্রাজ্ঞীর আজ ৯৫ বছর (জন্ম ১৯২৯) পুর্ণ হত। সঙ্গীত দুনিয়ায় এক বিস্ময়ের নাম লতা মঙ্গেশকর। সারা বিশ্বের ৩৬টি ভাষায় ৩০ হাজারের বেশি গান রেকর্ড করেছিলেন ‘নাইটিঙ্গল অফ ইন্ডিয়া’।

    বাবাই প্রথম গুরু

    মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে ১৯২৯ সালে জন্ম নেন লতা। বাবা পণ্ডিত দীননাথ মঙ্গেশকর মরাঠি বংশপরম্পরায় গোয়ার মঙ্গেশি গ্রামের পূজারি ব্রাহ্মণ, শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের শিক্ষক এবং নাট্যব্যক্তিত্ব। মা শিবন্তী। জন্মের পরে স্বামী-স্ত্রী মেয়ের নাম রেখেছিলেন হেমা। পরে নাম বদলে রাখা হয় লতা। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে বড় লতাই। সুর চেনার প্রাথমিক পর্বের পাঠ সঙ্গীতজ্ঞ বাবার কাছেই। পাঁচ বছর বয়সে দীননাথের নাটকে অভিনয় করেছিলেন। কিংবদন্তী এই গায়িকা সুরের জগতে পা রেখেছিলেন পাঁচের দশকের গোড়ার দিকে৷ সঙ্গীত জগতের অবিসংবাদী সম্রাজ্ঞী হওয়ার আগে শিশু অভিনেতা হিসেবেই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ শুরু করেছিলেন এই প্রবাদ প্রতিম শিল্পী । ১৯৪২ সালে একটি মারাঠি ছবির সৌজন্যে প্রথম গান রেকর্ড করেন তিনি।

    প্লে-ব্যাকের দুনিয়ায় দীর্ঘ যাত্রাপথ

    মাত্র ১৯ বছর বয়সে খ্যাতির মুখোমুখি হয়েছিলেন লতা মঞ্জেশকর। ১৯৪৮ সালের বম্বে টকিজের প্রযোজনায় তৈরি ‘মহল’-এর ‘আয়েগা আনেওয়ালা’ গানটিই তাঁকে প্রথম জনপ্রিয়তা এনে দেয়। তারপর একে একে ‘বরসাত’, ‘বড়ি বহন’, ‘আন্দাজ’, ‘আনারকলি’, ‘আলবেলা’ ছবিতে প্লেব্যাক করে খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছেছেন লতা। সেই স্থানেই বিরাজ করছেন তিনি। পঞ্চাশের দশকে অনিল বিশ্বাস, শঙ্কর-জয়কিষণ, শচীন দেব বর্মণ, নৌশাদ আলি, সি রামচন্দ্র, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, মদনমোহন, কল্যাণজি-আনন্দজি, সলিল চৌধুরীর মতো সঙ্গীত পরিচালকের সঙ্গে যুগান্তকারী কাজ। ছয়ের দশকেও জয়যাত্রা অব্যাহত। ১৯৬০ সালে মুঘল-এ-আজম সিনেমায় মধুবালার ঠোঁটে লতার ‘প্যায়ার কিয়া তো ডরনা ক্যায়া’ নয়া ইতিহাস তৈরি করল।

    সাতের দশকে যে সব গানকে লতাকণ্ঠ স্মরণীয় করে গিয়েছে, তার অধিকাংশই লক্ষ্মীকান্ত-পেয়ারেলাল এবং রাহুল দেব বর্মণের সঙ্গে। রাহুল দেব বর্মণের সুর করা প্রথম ও শেষ, দু’টি ছবির গানেই রয়েছে লতার কণ্ঠ। নয়ের দশকেও লতা পূর্ণপ্রভায় উপস্থিত। কাজ করেছেন আনন্দ-মিলিন্দ, যতীন-ললিত, অনু মালিক, উত্তম সিং থেকে এ আর রহমানের মতো সুরকারের সঙ্গে। 

    বাংলার সঙ্গে আত্মিক যোগ

    বাংলা গানের ইতিহাসেও লতা মঙ্গেশকর এক চিরকালীন অধ্যায়। বাংলার প্রতি তাঁর টান একটু বেশিই ছিল। বার বার বলেছেন সে-কথা। লিখেও গিয়েছেন। মনে করতেন, মরাঠি আর বাংলার মধ্যে সাংস্কৃতিক এবং ভাষাগত মিল রয়েছে। বাংলার সঙ্গে একাত্ম বোধ করেছেন নানা ভাবে। তাঁর বাবার ঘরে স্বামী বিবেকানন্দের ছবি ছিল। শ্রীরামকৃষ্ণের ভাবাদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন লতা। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তাঁর প্রিয়তম লেখক। রবীন্দ্রনাথের গান তাঁর পাথেয়। সুস্পষ্ট ও ঝরঝরে বাংলা উচ্চারণেই তিনি বলতেন— ‘বাংলা ভাষা খুব প্রিয়, কিন্তু শিখেও আমি বলতে পারি না!’ আমবাঙালি লতা মঙ্গেশকরের পরিজন হয়ে উঠেছে তাঁর বাংলা গানের মায়ায়। বাংলা গানের প্রচুর রেকর্ড করেছেন লতা। বাংলার বহু সুরকারের সুরে গেয়েছেন। পাশাপাশি গেয়েছেন বাংলা চলচ্চিত্রের জন্যও। গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের কথায় আর হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের সুরে ‘প্রেম এক বারই এসেছিল নীরবে’, সলিল চৌধুরীর কথা-সুরে ‘না যেও না’র মতো অবিস্মরণীয় সব বাংলা গান রেখে গিয়েছেন লতা। সতীনাথ মুখোপাধ্যায়ের সুরে তাঁর গাওয়া ‘আকাশপ্রদীপ জ্বলে’ বাঙালির স্মৃতির গভীরে জেগে থাকা আকাশপ্রদীপই।

    জীবনে নানা সম্মান

    জীবনে বহু সম্মানে ভূষিত হয়েছেন লতা মঙ্গেশকর। পেয়েছেন ‘ভারতরত্ন’, দাদাসাহেব ফালকে সম্মান, ফ্রান্সের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান লেজিয়ঁ দ’নর পুরস্কার। এ ছাড়া রয়েছে শ্রেষ্ঠ গায়িকা হিসাবে তিন বার জাতীয় পুরস্কার। ১৯৯৯ সালে লতা রাজ্যসভার সদস্য মনোনীত হন। তিনিই প্রথম ভারতীয় শিল্পী, যিনি রয়্যাল অ্যালবার্ট হলে কনসার্ট করেছিলেন। দীর্ঘ সময় ধরে গিনেস বুক অফ রেকর্ডসে লতা ছিলেন সর্বোচ্চ স্থানে।

    সত্তর বছর ধরে ভারতীয় সিনেমার অভিনেতা, নির্মাতা, সুরকার, এমনকি দর্শকও বদলেছে। থেকে গিয়েছে একমেবাদ্বিতীয়ম সেই কণ্ঠ। প্রতি প্রজন্মের নায়িকার থিম সং তাঁরই। নার্গিস থেকে ঐশ্বর্য, ‘পেয়ার হুয়া তো’ থেকে ‘হামকো হামিসে চুরালো’-র সুরে ভেসে গিয়েছে ভারত। মধুবালার ‘পেয়ার কিয়া তো ডরনা কেয়া’ থেকে কাজলের লিপে ‘তুঝে দেখা তো ইয়ে জানা সনম’, বৈজয়ন্তীমালার ‘হোঁটো মে অ্যায়সি বাত’ থেকে মাধুরীর ‘দিদি তেরা দেবর দিবানা’ পাগল হয়ছে আসমুদ্র হিমাচল। স্বাধীনতা দিবসে ঘুম ভাঙে লতার ‘অ্যায় মেরে বতন কে’ -এর সুরে। আবার তাঁর ‘দো ঘুঁট মুঝেভি’-তেই বুঁদ হয় ৩১ ডিসেম্বর বর্ষবরণের রাত। আসলে তাঁর আওয়াজই তাঁর পরিচয়, “চেহরা ইয়ে বদল যায়েগা। মেরি আওয়াজ হি পহেচান হ্যায়।”

  • Ramakrishna 148: “সাধুর ষোল আনা ত্যাগ দেখলে অন্য লোকে ত্যাগ করতে শিখবে..সন্ন্যাসী জগদ্‌গুরু”

    Ramakrishna 148: “সাধুর ষোল আনা ত্যাগ দেখলে অন্য লোকে ত্যাগ করতে শিখবে..সন্ন্যাসী জগদ্‌গুরু”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২৫শে ফেব্রুয়ারি

    শ্রীরামকৃষ্ণের সর্বধর্ম-সমন্বয় 

    রামাদি (Ramakrishna) ভক্তদের প্রতি—যদি বল কোন্‌ মূর্তির চিন্তা করব; যে-মূর্তি ভাল লাগে তারই ধ্যান করবে। কিন্তু জানবে যে, সবই এক।

    কারু উপর বিদ্বেষ করতে নাই। শিব, কালী, হরি—সবই একেরই ভিন্ন ভিন্ন রূপ। যে এক করেছে সেই ধন্য।

    বহিঃ শৈব, হৃদে কালী, মুখে হরিবোল (Kathamrita)।

    একটু কাম-ক্রোধাদি না থাকলে শরীর থাকে না। তাই তোমরা কেবল কমাবার চেষ্টা করবে।

    ঠাকুর কেদারকে দেখিয়া বলিতেছেন—

    ইনি বেশ। নিত্যও মানেন, লীলাও মানেন। একদিকে ব্রহ্ম, আবার দেবলীলা-মানুষলীলা পর্যন্ত।”

    কেদার বলেন যে, ঠাকুর মানুষদেহ লইয়া অবতীর্ণ হইয়াছেন।

    সন্ন্যাসী ও কামিনী—ভক্তা স্ত্রীলোক 

    নিত্যগোপালকে দেখিয়া ঠাকুর ভক্তদের বলিতেছেন —এর বেশ অবস্থা!

    (নিত্যগোপালের প্রতি)—তুই সেখানে বেশি যাসনি।—কখনও একবার গেলি। ভক্ত হলেই বা—মেয়েমানুষ কিনা। তাই সাবধান।

    সন্ন্যাসীর বড় কঠিন নিয়ম। স্ত্রীলোকের চিত্রপট পর্যন্ত দেখবে না। এটি সংসারী লোকেদের পক্ষে নয়।

    স্ত্রীলোক যদি খুব ভক্তও হয়—তবুও মেশামেশি করা উচিত নয়। জিতেন্দ্রিয় হলেও-লোকশিক্ষার জন্য ত্যাগীর এ-সব করতে হয়।

    সাধুর ষোল আনা ত্যাগ দেখলে অন্য লোকে ত্যাগ করতে শিখবে। তা না হলে তারাও পড়ে যাবে। সন্ন্যাসী জগদ্‌গুরু (Ramakrishna) ।

    এইবার ঠাকুর (Ramakrishna) ও ভক্তেরা উঠিয়া বেড়াইতেছেন। মাস্টার প্রহ্লাদের ছবির সম্মুখে দাঁড়াইয়া ছবি দেখিতেছেন। প্রহ্লাদের অহেতুকী ভক্তি—ঠাকুর বলিয়াছেন (Kathamrita)।

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “হাততালি দিলে যেমন বৃক্ষের উপরের পাখি সব পালায়, সব পাপ তাঁর নামগুণকীর্তনে চলে যায়”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 147: “গোপ-গোপী বিনে অন্যে নাহি জানে, ভক্তির কারণে নন্দের ভবনে”

    Ramakrishna 147: “গোপ-গোপী বিনে অন্যে নাহি জানে, ভক্তির কারণে নন্দের ভবনে”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২৫শে ফেব্রুয়ারি

    অহেতুকী ভক্তি—মূলকথা—রাগানুগাভক্তি 

    কেউ মনে করে আমি একটু সাধন-ভজন করেছি, আমি জিতেছি। কিন্তু হার-জিত তাঁর হাতে। এখানে একজন মাগী (বেশ্যা) মরবার সময় সজ্ঞানে গঙ্গালাভ করলে।

    চৌধুরী—তাঁকে কিরূপে দর্শন (Kathamrita) করা যায়?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—এ-চক্ষে দেখা যায় না। তিনি দিব্যচক্ষু দেন, তবে দেখা যায়। অর্জুনকে বিশ্বরূপ-দর্শনের সময় ঠাকুর দিব্যচক্ষু দিছলেন।

    তোমার ফিলজফিতে (Philosophy) কেবল হিসাব কিতাব করে! কেবল বিচার করে! ওতে তাঁকে পাওয়া যায় না।

    যদি রাগভক্তি হয়—অনুরাগের সহিত ভক্তি—তাহলে তিনি স্থির থাকতে পারেন না।

    ভক্তি তাঁর কিরূপ প্রিয়—খোল দিয়ে জাব যেমন গরুর প্রিয়—গবগব করে খায়।

    রাগভক্তি—শুদ্ধাভক্তি—অহেতুকী ভক্তি। যেমন প্রহ্লাদের।

    তুমি বড়লোকের কাছে কিছু চাও না—কিন্তু রোজ আস—তাকে দেখতে ভালবাস। জিজ্ঞাসা করলে বল,  ‘আজ্ঞা, দরকার কিছু নাই—আপনাকে দেখতে এসেছি।’ এর নাম অহেতুকী ভক্তি। তুমি ঈশ্বরের (Kathamrita) কাছে কিছু চাও না—কেবল ভালবাস।”

    এই বলিয়া ঠাকুর (Ramakrishna) গান গাহিতেছেন:

    আমি মুক্তি দিতে কাতর নই
    শুদ্ধাভক্তি দিতে কাতর হই।
    আমার ভক্তি যেবা পায়, তারে কেবা পায়,
    সে যে সেবা পায়, হয়ে ত্রিলোকজয়ী ॥
    শুন চন্দ্রাবলী ভক্তির কথা কই।
    ভক্তির কারণে পাতাল ভবনে,
    বলির দ্বারে আমি দ্বারী হয়ে রই ॥
    শুদ্ধাভক্তি এক আছে বৃন্দাবনে,
    গোপ-গোপী বিনে অন্যে নাহি জানে।
    ভক্তির কারণে নন্দের ভবনে,
    পিতাজ্ঞানে নন্দের বাধা মাথায় বই ॥

    মূলকথা ঈশ্বরে রাগানুগা ভক্তি। আর বিবেক বৈরাগ্য।

    চৌধুরী—মহাশয়, গুরু না হলে কি হবে না?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—সচ্চিদানন্দই গুরু।

    শবসাধন করে ইষ্টদর্শনের সময় গুরু সামনে এসে পড়েন—আর বলেন, ‘ওই দেখ্‌ তোর ইষ্ট।’—তারপর গুরু ইষ্টে লীন হয়ে যান। যিনি গুরু তিনিই ইষ্ট। গুরু খেই ধরে দেন।

    অনন্তব্রত করে। কিন্তু পূজা করে—বিষ্ণুকে। তাঁরই মধ্যে ঈশ্বরের (Kathamrita) অনন্তরূপ!”

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 146: “হাজার বছরের অন্ধকার ঘর—আলো নিয়ে গেলে একক্ষণে আলো হয়ে যায়!”

    Ramakrishna 146: “হাজার বছরের অন্ধকার ঘর—আলো নিয়ে গেলে একক্ষণে আলো হয়ে যায়!”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২৫শে ফেব্রুয়ারি

    নির্জনে সাধন—ফিলজফি—ঈশ্বরদর্শন 

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) সেই পূর্ব পরিচিত ঘরে মধ্যাহ্নে সেবার পর ভক্তসঙ্গে বসিয়া আছেন। আজ ২৫শে ফেব্রুয়ারি, ১৮৮৩ খ্রীষ্টাব্দ (রবিবার, ১৪ই ফাল্গুন, কৃষ্ণা তৃতীয়া)।

    রাখাল, হরিশ, লাটু, হাজরা আজকাল ঠাকুরের পদছায়ায় সর্বদা বাস করিতেছেন। কলিকাতা হইতে রাম, কেদার, নিত্যগোপাল, মাস্টার প্রভৃতি ভক্তেরা আসিয়াছেন (Kathamrita)। আর চৌধুরী আসিয়াছেন।

    চৌধুরীর সম্প্রতি পত্নীবিয়োগ হইয়াছে। মনের শান্তির জন্য তিনি ঠাকুরকে দর্শন করিতে কয়বার আসিয়াছেন। তিনি চারটা পাশ করিয়াছেন—রাজ সরকারের কাজ করেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (রাম প্রভৃতি ভক্তদের প্রতি)—রাখাল, নরেন্দ্র, ভবনাথ এরা নিত্য সিদ্ধ—জন্ম থেকেই চৈতন্য আছে। লোকশিক্ষার জন্যই শরীরধারণ।

    আর-একথাক আছে কৃপাসিদ্ধ। হঠাৎ তাঁর কৃপা হল—অমনি দর্শন আর জ্ঞানলাভ। যেমন হাজার বছরের অন্ধকার ঘর—আলো নিয়ে গেলে একক্ষণে আলো হয়ে যায়!—একটু একটু করে হয় না

    যাঁরা সংসারে আছে তাদের সাধন করতে হয়। নির্জনে গিয়ে ব্যাকুল হয়ে তাঁকে ডাকতে হয়।

    (চৌধুরীর প্রতি)—পাণ্ডিত্য দ্বারা তাঁকে পাওয়া যায় না।

    আর তাঁর বিষয় কে বিচার করে বুঝবে? তাঁর পাদপদ্মে ভক্তি যাতে হয়, তাই সকলের করা উচিত।

    ভীষ্মদেবের ক্রন্দন—হার-জিত—দিব্যচক্ষু ও গীতা 

    তাঁর অনন্ত ঐশ্বর্য—কি বুঝবে? তাঁর কার্যই বা কি বুঝতে পারবে?

    ভীষ্মদেব যিনি সাক্ষাৎ অষ্টবসুর একজন বসু—তিনিই শরশয্যায় শুয়ে কাঁদতে লাগলেন। বললেন—কি আশ্চর্য! পাণ্ডবদের সঙ্গে স্বয়ং ভগবান সর্বদাই আছেন, তবু তাদের দুঃখ-বিপদের শেষ নাই! ভগবানের কার্য কে বুঝবে!

    কেউ মনে করে আমি একটু সাধন-ভজন করেছি, আমি জিতেছি। কিন্তু হার-জিত তাঁর হাতে। এখানে একজন মাগী (বেশ্যা) মরবার সময় সজ্ঞানে গঙ্গালাভ করলে।

    চৌধুরী—তাঁকে কিরূপে দর্শন (Kathamrita) করা যায়?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—এ-চক্ষে দেখা যায় না। তিনি দিব্যচক্ষু দেন, তবে দেখা যায়। অর্জুনকে বিশ্বরূপ-দর্শনের সময় ঠাকুর দিব্যচক্ষু দিছলেন।

    তোমার ফিলজফিতে (Philosophy) কেবল হিসাব কিতাব করে! কেবল বিচার করে! ওতে তাঁকে পাওয়া যায় না।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: জমিদার তাঁর বন্দুক থেকে শূন্যে গুলি ছুড়লেই শুরু হত সন্ধিপুজো

    Durga Puja 2024: জমিদার তাঁর বন্দুক থেকে শূন্যে গুলি ছুড়লেই শুরু হত সন্ধিপুজো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোয় পরম্পরার বিচারে দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গও কম যায় না। এখানেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বহু প্রাচীন পুজো, যেগুলি জমিদার আমল থেকে বংশ পরম্পরায় চলে আসছে। কোথাও হয়তো জাঁকজমক বা আতিশয্য কম। কিন্তু আন্তরিকতায় কেউ কম যায় না। উত্তরবঙ্গের এমনই এক জেলা হল দক্ষিণ দিনাজপুর। এই জেলার গঙ্গারামপুরের ফুলবাড়ি থেকে সাত কিলোমিটার দূরে উদয় গ্রাম। বসতি থাকলেও গ্রামটি নিরিবিলি। গ্রামের মধ্যে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে জমিদার হৃষিকেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি। শোনা যায়, সন্ধিপুজো শুরুর আগে জমিদার তাঁর বন্দুক থেকে শূন্যে গুলি ছুড়তেন। তার পর শুরু হত মায়ের পুজো (Durga Puja 2024)। জমিদার এখন নেই। নেই জমিদারি প্রথাও। তাই এখন আর সন্ধিপুজোর আগে শূন্যে ছোড়া গুলির শব্দও শোনা যায় না। তবে জমিদারের বংশধররা বছরের পর বছর নিয়মনিষ্ঠা ধরে রেখেছেন।

    পঞ্চমুণ্ডির আসন প্রতিষ্ঠিত করে দুর্গাপুজো শুরু (Durga Puja 2024)

    আরও শোনা যায়, প্রজাদের মঙ্গল কামনায় জমিদার হৃষিকেশ বন্দ্যোপাধ্যায় গঙ্গারামপুরের উদয় গ্রামে পঞ্চমুণ্ডির আসন প্রতিষ্ঠিত করে দুর্গাপুজো শুরু করেন। মা দুর্গার আসনটি পঞ্চমুণ্ডির আসন হওয়ায় এক সময় মহিষ বলি দেওয়া হত। পুজোর পাঁচদিন পাত পেড়ে প্রজাদের খাওয়ানো হত। দুঃস্থদের হাতে তুলে দেওয়া হত নতুন বস্ত্র। পুজোমণ্ডপ চত্বরে বসত যাত্রাগান ও মঙ্গলচণ্ডী গানের আসর। বসত মেলাও। জমিদারের পুজো ঘিরে কয়েকটা দিন উদয় গ্রাম জমজমাট থাকত (Sandhipujo)। তবে এখনও জমিদারের পুজোয় ১০৮টি বেলপাতা দিয়ে যজ্ঞ হয়। জমিদার হৃষিকেশ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রয়াত হওয়ার পর পুজোর দায়িত্বভার একে একে কাঁধে তুলে নেন তাঁর বংশধররা। এবারে পুজোর (Durga Puja 2024) দায়িত্বে রয়েছেন জমিদারের অষ্ঠম পুরুষ স্বপন শর্মা রায়, বাবুন শর্মা রায়, দেবাশিস শর্মা রায় ও সমীর শর্মা রায়রা।

    পুজোর চারদিন সারাক্ষণ যজ্ঞের আগুন জ্বলে

    এবিষয়ে জমিদার বাড়ির বংশধররা বলেন, পুজোর (Durga Puja 2024) পুরনো রীতি আমরা এখনও ধরে রেখেছি। পুজোর চারদিন সারাক্ষণ আমাদের যজ্ঞের আগুন জ্বলে। বাবুন শর্মা রায় বলেন, ‘বাপঠাকুরদার মুখে শুনেছি আমাদের এই পুজো বহু পুরনো। তাঁর স্মৃতি হিসেবে বলি দেওয়ার খড়্গ, কাঁসার বাসনপত্র সহ বেশ কিছু জিনিস রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: লক্ষ্য শিল্পের পুনরুজ্জীবন, মা দুর্গার চিন্ময়ী রূপ ফুটে উঠেছে পাটের কারুকার্যে!

    Durga Puja 2024: লক্ষ্য শিল্পের পুনরুজ্জীবন, মা দুর্গার চিন্ময়ী রূপ ফুটে উঠেছে পাটের কারুকার্যে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ এক অন্য দুর্গা (Durga Puja 2024)। এখানে মা শুধু মূর্তি নন। তিনি একটি সম্প্রদায়ের কাছে ভবিষ্যৎ জীবন ধারণের আশা ও ভরসার প্রতীক। একটি উঠে যেতে বসা শিল্পের পুনরুজ্জীবনের বার্তাবাহক। শিল্পী এখানে মূর্তি গড়েছেন এক অনন্য ভাবনা নিয়ে। মূল বিষয়ে ঢোকার আগে একটু পিছন ফিরে তাকানো যাক। আমরা অনেকেই জানি, স্বাধীনতার পর দেশভাগের ফলে পাট চাষের অধিকাংশ জমিই চলে গিয়েছিল বাংলাদেশের ভাগে। উল্টোদিকে আবার বেশির ভাগ পাটকল চলে এসেছিল ভারতের দিকে বা পশ্চিমবঙ্গে। মুর্শিদাবাদ জেলায় চাষিদের মধ্যে পাট চাষের আগ্রহ ছিল প্রবল। কিন্তু হলে কী হবে, আখ চাষের মতো পাট চাষেও মূল্য না পেয়ে এই চাষ থেকে তাঁরা ধীরে ধীরে সরে যেতে থাকেন। কিন্তু চিরদিনই তো সমান যায় না। এরপর পলিথিন বা প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তে ফের তাঁরা আশার আলো দেখতে শুরু করেন। সবার মনেই আশা জাগে, বোধহয় পাঠ শিল্প এবার ঘুরে দাঁড়াবে। ঘুরে দাঁড়াবে কি না, সেটা এই মুহূর্তে লাখ টাকার প্রশ্ন। সেদিকে না গিয়ে পরিবেশ সচেতনতার কথা মাথায় রেখে বহরমপুরের রাজেশ দাস এবার কান্দির এক পুজো কমিটির জন্য মা দুর্গার চিন্ময়ী রূপ তুলে ধরছেন পাঠ শিল্পের মাধ্যমেই।

    সময় লেগেছে সাড়ে তিন মাস (Durga Puja 2024)

    রাজেশ দাস প্রতি বছরই মা দুর্গার মূর্তিতে অভিনবত্ব তুলে ধরেন। এবার তিনি মুর্শিদাবাদ জেলার অন্যতম শিল্প পাটকে নিয়ে খুব সুন্দর দুর্গা প্রতিমা কান্দির এক পুজো কমিটির জন্য তৈরি করছেন, যার প্রস্তুতি শেষের দিকে। কিন্তু কীভাবে এই কাজটা করছেন তিনি? দেখা গেল, তিনি এবার পাটের তৈরি বস্তা এবং দড়ি দিয়েই মা দুর্গার মূর্তি তৈরি করছেন। প্রতিমা তৈরি করতে তাঁর সময় ব্যয় হয়েছে সাড়ে তিন মাস। এখন কাজ (Durga Puja 2024) প্রায় শেষের দিকে। তিনি বলেন, বর্তমানে পলিথিনের রমরমা অবস্থায় পাট শিল্প বিলীনের পথে। তাই এই পাটকে মা দুর্গার মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলতে এবছর পাটের দুর্গা প্রতিমার তিনি তৈরি করলেন, যাতে মা দুর্গার সংস্পর্শে এসে পাট আবার তার শ্রেষ্ঠ আসন নিতে পারে এবং পাট চাষিরাও উৎসাহিত হয়ে ওঠেন।

    আগ্রহ ফেরানোই লক্ষ্য

    তিনি বলেন, পাট শিল্পীরা যাতে আবার পাট চাষে উৎসাহ ফিরে পান, সেটাই মায়ের মাধ্যমে আমার আবেদন। আমি চাই আমার কর্ম মানুষের মধ্যে জাগ্রত হয়ে থাকুক। এটা তো অর্থ দিয়ে বিচার করা যাবে না। আমি চাই আমার কর্ম (Jute Craft) মানুষ দেখুক, আমার যেটুকু পারিশ্রমিক সেটুকু পেলেই আমি খুশি। যারা ক্ষুদ্র শিল্পী তারাও হারিয়ে যাওয়া পাট শিল্পে মনোনিবেশ করে নানান ধরনের জিনিস তৈরি করুক এবং এইসব নিয়ে ভাবুক। সেই কারণেই প্রতি বারই আলাদা আলাদা নতুনত্ব জিনিস দিয়ে পরিবেশ সচেতনতার মাধ্যমে মা দুর্গার চিন্ময়ী রূপ (Durga Puja 2024) ফুটিয়ে তুলি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: “নবপত্রিকাবাসিন্যৈ নবদুর্গায়ৈ নমঃ”, নবপত্রিকা আসলে মা দুর্গারই বৃক্ষ রূপ!

    Durga Puja 2024: “নবপত্রিকাবাসিন্যৈ নবদুর্গায়ৈ নমঃ”, নবপত্রিকা আসলে মা দুর্গারই বৃক্ষ রূপ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহা সপ্তমীর (Durga Puja 2024) সকালে জলাশয় থেকে ঘটে করে নিয়ে আসা হয় জল। সেই জলেই হয় দেবীর প্রাণ প্রতিষ্ঠা। এই ঘটের সঙ্গেই স্নান করিয়ে নিয়ে আসা হয় নবপত্রিকাকে। নবপত্রিকা স্নান (Kola Bou) লোকমুখে কলাবউ স্নান হিসেবেই বেশি পরিচিত। কোনও কোনও শাস্ত্রবিদের মতে, এক সময় যখন দেবী প্রতিমা রূপকল্পনা হয়নি, তখন মানুষ দুর্গাপুজো করতেন নবপত্রিকা বসিয়ে। পরে, কল্পনা হওয়ার পর তৈরি হয় মূর্তি। তার পর থেকে মহামায়ার সঙ্গে পুজো পেয়ে আসছে নবপত্রিকাও।

    কলা বউ আসলে কে? (Durga Puja 2024)

    দেবী দুর্গার (Durga Puja 2024) পরে যিনি সচরাচর লোকের চোখে পড়েন, তিনি হলেন কলাবউ। সাধারণ মানুষ ভাবেন, তিনি গণেশের স্ত্রী। আসলে কিন্তু তা নয়। কারণ, নবপত্রিকা থাকেন গণেশের ডান দিকে। হিন্দু মতে, স্ত্রী থাকবেন পুরুষের বাম পাশে। অর্থাৎ নবপত্রিকার সঙ্গে গণেশের কোনও সম্পর্কই নেই। তবে “কলা বউ” আসলে কার বউ? এক কথায় উত্তর হবে, শিব জায়া অর্থাৎ শিবের বউ। “কলা বউ” আসলে মা দুর্গার বৃক্ষ রূপ। তাই তিনি গণেশের স্ত্রী নন, বরং মা। এ প্রসঙ্গে জানা দরকার যে “কলা বউ” প্রচলিত নাম হলেও এটি ন’টি উদ্ভিদের সমষ্টি বা সমাহার। তাই “কলা বউ”-এর আসল নাম “নবপত্রিকা”। এই ন’টি উদ্ভিদের বর্ণনা রয়েছে এই শ্লোকটিতে-রম্ভা কচ্চী হরিদ্রাচ জয়ন্তী বিল্ব দাড়িমৌ। অশোক মানকশ্চৈব ধান্যঞ্চ নবপত্রিকা। রম্ভা (কলা), কচ্চী (কচু), হরিদ্রা (হলুদ), জয়ন্তী, বিল্ব (বেল), দাড়িম্ব (ডালিম), অশোক, মানকচু ও ধান গাছ। নবপত্রিকায় একটি পাতা যুক্ত কলাগাছের সাথে অপর আটটি উদ্ভিদকে শ্বেত অপরাজিতা লতা দিয়ে বেঁধে দেওয়া হয়। তার পরে পরানো হয় শাড়ি-সিঁদুর।

    কেন কলা বউ পুজো করা হয়?

    অতি প্রাচীন কাল থেকেই প্রকৃতি পুজো (Durga Puja 2024) ভারতীয় উপমহাদেশের রীতি। অগ্নি, জল, বায়ু, মাটি, পাহাড়, গাছ, নদী সব কিছুতেই ঈশ্বর বিরাজমান, এই ধারণা থেকেই “নবপত্রিকা” বা “কলা বউ”-এর পুজো। উদ্ভিদ প্রকৃতির সজীব অংশ। খাদ্যশস্য, নিঃশ্বাসের বাতাস, জীবনদায়ী ওষুধ-এ সবকিছুতেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে উদ্ভিদ। ভক্তদের কল্যাণকারী মা দুর্গা তাই অধিষ্ঠাত্রীদেবী নবপত্রিকার এই উদ্ভিদগুলিতে। তিনি সর্বত্র বিরাজমান। নবপত্রিকা মা দুর্গার বৃক্ষ রূপ হিসেবে পরিচিত। মহা সপ্তমীর সকালে “নবপত্রিকা”-র পুজোতে মন্ত্র পাঠ করা হয় “নবপত্রিকাবাসিন্যৈ নবদুর্গায়ৈ নমঃ” যার বাংলা অর্থ দাঁড়ায় – নবপত্রিকা বাসিনী নবদুর্গা।

    নবপত্রিকার সঙ্গে দুর্গাপুজোর সম্পর্ক

    নবপত্রিকার সঙ্গে দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2024) সম্পর্ক নিয়ে পণ্ডিত মহলে নানা মত রয়েছে। মার্কণ্ডেয় পুরাণে নবপত্রিকার কোনও বিধান নেই। আবার কালিকা পুরাণে সপ্তমীতে “পত্রিকা” পুজোর উল্লেখ পাওয়া যায়। কৃত্তিবাসী রামায়ণে রামচন্দ্র কর্তৃক নবপত্রিকা পুজোর কথা আছে। “বাঁধিল পত্রিকা নববৃক্ষের বিলাস”। পণ্ডিতদের মত অনুযায়ী, সম্ভবত শবর সম্প্রদায় কোনও এক সময়ে ন’টি উদ্ভিদের মাধ্যমে মা দুর্গার পুজো করতেন। সেই থেকেই হয়তো “নবপত্রিকা” বা “কলা বউ” পুজো হয়ে আসছে। হিন্দু ধর্মের বিভিন্ন ধর্মীয় রীতিনীতির বিষয়ে বহু গ্রন্থ রচনা করেছেন ১৯৬১ সালের অ্যাকাডেমিক পুরস্কারপ্রাপ্ত গবেষক শশিভূষণ দাশগুপ্ত। নবপত্রিকা পুজোর বিষয়ে তিনি তাঁর “ভারতের শক্তি সাধনা ও শাক্ত সাহিত্য গ্রন্থের” ২৫-২৬ পাতায় লিখছেন, “বলা বাহুল্য এসবই হল পৌরাণিক দুর্গা দেবীর সঙ্গে এই শস্য দেবীকে (পড়ুন “নবপত্রিকা”) সর্বাংশে মিলিয়ে নেওয়ার এক সচেতন চেষ্টা। এই শস্য দেবী, মাতা পৃথিবীরই রূপভেদ। সুতরাং আমাদের জ্ঞাতে অজ্ঞাতে দুর্গা পুজোর ভিতরে এখনও সেই আদিমাতা পৃথিবীর পুজো, অনেক খানি মিশিয়া আছে “। যুগ যুগ ধরে হওয়া সেই প্রথা ও ঐতিহ্যকে এখনও ধরে রেখেছেন সকলে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: দুর্গাপুজোয় কেন হয় বলিদান? সন্ধিপুজোর সঙ্গে এর কি কোনও সম্পর্ক আছে?

    Durga Puja 2024: দুর্গাপুজোয় কেন হয় বলিদান? সন্ধিপুজোর সঙ্গে এর কি কোনও সম্পর্ক আছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2024) সময় বনেদি বাড়িতে পশু বলি দেওয়ার প্রথা ছিল। বিশেষ করে অধিকাংশ জমিদার বাড়িতে এক মসয় এই প্রথা ছিল। এমনিতেই শুধু দুর্গা পুজো নয়, হিন্দু ধর্মে বহু পুজোতেই পশুবলি দেওয়ার রেওয়াজ আছে। কালের বিবর্তনে সেই নিয়ম এখন অনেকটাই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আবার অনেকে পশু হত্যাকে সমর্থন করেন না। তাই ছাগ বলির পরিবর্তে আখ, চালকুমড়ো বলি দেওয়া হয় পুজোয়। সন্ধি পুজোতেও (Sandhi Puja) বলি দেওয়ার রীতি প্রচলিত আছে।

    বলি শব্দের অর্থ কী? (Durga Puja 2024)

    প্রথমে জেনে নেওয়া যাক ‘বলি’ শব্দটির অর্থ। যজ্ঞে দেবতার উদ্দেশ্যে নিবেদিত সব কিছুকেই বলি বলা হয়। আগেকার দিনে যজ্ঞের আগুনে ঝলসে দেব-দেবীর উদ্দেশ্যে নিবেদন করে, পরে তা প্রসাদ হিসেবে গ্রহণ করতেন মুনি-ঋষিরা। পশু থেকে ফল, সব কিছুই হতে পারে বলির উপাদান। তবে সাধারণ মানুষ পশুবলিকেই একমাত্র বলি হিসেবে জানেন। দেব-দেবীর (Durga Puja 2024) উদ্দেশে এই উৎসর্গ আদতে প্রতীকী। সন্ধি পুজোতেও প্রতীকী হিসেবেই বলি দেওয়ার রীতি রয়েছে।

    সন্ধি পুজোর সঙ্গে বলির কী সম্পর্ক? (Durga Puja 2024)

    পৌরাণিক কাহিনি সূত্রে জানা গিয়েছে, অষ্টমী (Durga Puja 2024) এবং নবমী তিথির সন্ধিক্ষণে স্বর্ণ ভূষণে সজ্জিতা হন দেবী দুর্গা। স্বর্ণ বর্ণ ধারণ করেন। মহিষাসুর বধের প্রস্তুতি শুরু করেন তিনি। তবে মহিষাসুর দেবীর লক্ষ্য পূরণে বাধা দিতে তার দুই অনুচর চণ্ড এবং মুণ্ডকে দেবীকে আক্রমণ করতে পাঠান। আকস্মিক পিছন থেকে তাঁরা দেবীকে আক্রমণ করেন। সে সময় দেবী ক্রোধে রক্তবর্ণা হয়ে ওঠেন। ধারণ করেন চামুণ্ডা রূপ। খড়েগর কোপে চণ্ড ও মুণ্ডের মুণ্ডচ্ছেদ করেন দেবী। এর সঙ্গেই অশুভ শক্তির বিনাশ হয়। সে কারণেই চণ্ড-মুণ্ডের প্রতীক হিসেবে মনের অশুভ চিন্তা, খারাপ প্রবৃত্তিকে দেবীর সামনে যজ্ঞের পবিত্র আগুনে ভস্ম করতেই বলি দেওয়া হয়। মহিষাসুরের প্রতীক হিসেবে বেশিরভাগ যজ্ঞের আগে মোষ বলি দেওয়ার রীতি ছিল। পরবর্তীতে তা অনেক ক্ষেত্রে পাঁঠাবলিতে রূপান্তরিত হয়। প্রাণী হত্যা নিষিদ্ধ হওয়ার পর এখনও বহু বনেদি বাড়িতে চালকুমড়ো, আখ ইত্যাদি বলি দেওয়ার চল রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: বিজয়া দশমীর দিন কেন আকাশে ওড়ানো হত নীলকণ্ঠ পাখি? জেনে নিন এর কাহিনি

    Durga Puja 2024: বিজয়া দশমীর দিন কেন আকাশে ওড়ানো হত নীলকণ্ঠ পাখি? জেনে নিন এর কাহিনি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজো (Durga Puja 2024) আর নীলকণ্ঠ পাখি ওতঃপ্রোতভাবে জড়িত। এক সময় দুর্গাপুজোর পর এই পাখিকে উড়িয়ে দেওয়া বনেদি ও জমিদার পরিবারগুলির ঐতিহ্য ছিল। আর তা দেখতে ভিড় উপচে পড়়ত। কালের নিয়মে বিশেষ করে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের ফলে এটা এখন আর সম্ভব হয় না। তবুও এখনও বহু বনেদি বাড়িতে কাঠের বা মাটির নীলকণ্ঠ পাখি তৈরি করে সেটি প্রতিমা নিরঞ্জনের আগে জলে দেওয়ার প্রথা রয়েছে।

    কেন নীলকণ্ঠ পাখি ওড়ানো হত? (Durga Puja 2024)

    বিজয়া দশমীর দিন (Durga Puja 2024) নীলকণ্ঠ পাখির দেখা পাওয়াকে শুভ এবং সৌভাগ্যদায়ী বলে মনে করা হয়। কথিত আছে, এই পাখিটি দেখা গেলে সম্পদ বৃদ্ধি পায়, জীবনের সমস্ত অশুভ প্রভাব বিনষ্ট হয়। ফলস্বরূপ, বাড়িতে নিত্য শুভ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হতে থাকে। নীলকণ্ঠ পাখি দেখার বিষয়ে বিভিন্ন ধারণা রয়েছে। নীলকণ্ঠ পাখি উড়ে যাও, সেই কৈলাসে যাও, খবর দাও, উমা আসছে। তখন নীলকণ্ঠ পাখি আগমনের বার্তা নিয়ে মহাদেবের কাছে এসেছিল। আরেকটি জনপ্রিয় বিশ্বাস হল, মনে করা হয়, রাবণবধের ঠিক আগে এই পাখিটির (Durga Puja 2024) দেখা পান রামচন্দ্র। আবার অন্য একটি পৌরাণিক মতে, রাবণবধের আগেও, সেতুবন্ধনের সময় হাজির হয়েছিল নীলকণ্ঠ পাখি। পথ দেখিয়ে রাম-সেনাকে লঙ্কায় নিয়ে গিয়েছিল এই পাখি। এরকম পৌরাণিক কাহিনি থেকেই এই পাখির মাহাত্ম্য ছড়িয়ে পড়ে সমস্ত জায়গায়। তখন থেকেই মনে করা হয়, এই পাখির দর্শন অত্যন্ত শুভ।

    নীলকণ্ঠ পাখিকে শিবের প্রতিনিধি মানা হয়

    পৌরানিক মতে, লঙ্কা বিজয়ে রাম ব্রাহ্মণ হত্যার পাপ করেছিলেন। কারণ দশানন রাবণ ছিলেন ব্রাহ্মণ। তখন লক্ষ্মণ সহ রামচন্দ্র শিবের পুজো করেছিলেন এবং ব্রাহ্মণকে বধ করার পাপ থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। সেই সময় শিব নীলকণ্ঠ পাখির (Nilkontho Pakhi) রূপে পৃথিবীতে এসেছিলেন বলে অনেকের বিশ্বাস রয়েছে। নীলকণ্ঠ অর্থ, যার গলা নীল। দেবাদিদেব মহাদেব সমুদ্র মন্থন করার সময় বিষ পান করেছিলেন। কণ্ঠে সেই বিষকে ধারণ করার ফলে মহাদেবের কণ্ঠ নীল হয়ে যায়। তাই শিবের আর একটি নাম হল নীলকণ্ঠ। নীলকণ্ঠ পাখিকে (Durga Puja 2024) মর্ত্যলোকে শিবের প্রতিনিধি মানা হয় এবং দেবাদিদেব মহাদেবের রূপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। জনশ্রুতি অনুসারে, শিব পৃথিবীতে নীলকণ্ঠ পাখি রূপেই ঘোরাফেরা করেন।

    নীলকণ্ঠ পাখি কেন কৃষকদের বন্ধু?

    নীলকণ্ঠ পাখির বিজ্ঞানের ভাষায় নাম ইন্ডিয়ান রোলার। এই পাখিটিকে কৃষকদের মিত্রও বলা হয়। কারণ, নীলকণ্ঠ পাখি জমিতে ফসলের সাথে জড়িত পোকামাকড় খেয়ে কৃষকদের উপকার করে থাকে। এ প্রসঙ্গে বলা দরকার, এক সময় দুর্গাপুজোর পর কলকাতার শোভাবাজার রাজবাড়িতে (Durga Puja 2024) নীলকণ্ঠ পাখি ওড়ানো হত বিজয়া দশমীর দিনে। তা দেখতে ভিড়ও হত। এখন বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের ফলে এটা সম্ভব হয় না। শুধু শোভাবাজার নয় রাজ্যের অধিকাংশ জায়গায় আর এই পাখি ওড়ানো হয় না। তবে, প্রতীকী মেনে প্রথাটিকে বনেদি বাড়িতে ধরে রাখা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 145: “হাততালি দিলে যেমন বৃক্ষের উপরের পাখি সব পালায়, সব পাপ তাঁর নামগুণকীর্তনে চলে যায়”

    Ramakrishna 145: “হাততালি দিলে যেমন বৃক্ষের উপরের পাখি সব পালায়, সব পাপ তাঁর নামগুণকীর্তনে চলে যায়”

    বেলঘরে গ্রামে গোবিন্দ মুখোপাধ্যায়ের বাটীতে শ্রীরামকৃষ্ণের নরেন্দ্র প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে কীর্তনানন্দে

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১৮ই ফেব্রুয়ারি

    বেলঘরেবাসী ও পাপবাদ 

    প্রতিবেশী—আমরা পাপী, আমাদের কি হবে (Kathamrita)?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—তাঁর নামগুণকীর্তন করলে দেহের সব পাপ পালিয়ে যায়। দেহবৃক্ষে পাপপাখি; তাঁর নামকীর্তন যেন হাততালি দেওয়া। হাততালি দিলে যেমন বৃক্ষের উপরের পাখি সব পালায়, তেমনি সব পাপ তাঁর নামগুণকীর্তনে চলে যায়।

    আবার দেখ, মেঠো পুকুরের জল সূর্যের তাপে আপনা-আপনি শুকিয়ে যায়। তেমনি তাঁর নামগুণকীর্তনে পাপ-পুষ্করিণীর জল আপনা-আপনি শুকিয়ে যায়।

    রোজ অভ্যাস করতে হয়। সার্কাসে দেখে এলাম ঘোড়া দৌড়ুচ্ছে তার উপর বিবি একপায়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। কত অভ্যাসে ওইটি হয়েছে।

    আর তাঁকে দেখবার জন্য অন্ততঃ একবার করে কাঁদ।

    এই দুটি উপায়—অভ্যাস আর অনুরাগ, অর্থাৎ তাঁকে দেখবার জন্য ব্যাকুলতা।

    বেলঘরেবাসীর ষট্‌চক্রের গান ও শ্রীরামকৃষ্ণের সমাধি 

    বৈঠকখানাবাড়ির দোতলা ঘরের বারান্দায় ঠাকুর ভক্তসঙ্গে প্রসাদ পাইতেছেন; বেলা ১টা হইয়াছে। সেবা সমাপ্ত হইতে না হইতে নিচের প্রাঙ্গণে একটি ভক্ত গান ধরিলেন:

    জাগ জাগ জননি,
    মূলাধারে নিদ্রাগত কতদিন গত হল কুলকুণ্ডলিনী।

    ঠাকুর (Ramakrishna) গান শুনিয়া সমাধিস্থ। শরীর সমস্ত স্থির, হাতটি প্রসাদপাত্রের উপর যেরূপ ছিল, চিত্রর্পিতের ন্যায় রহিল। খাওয়া আর হইল না। অনেকক্ষণ পরে ভাবের কিঞ্চিৎ উপশম হইলে বলিতেছেন (Kathamrita), “আমি নিচে যাব, আমি নিচে যাব।

    একজন ভক্ত (Ramakrishna) তাঁহাকে অতি সন্তর্পনে নিচে লইয়া যাইতেছেন।

    প্রাঙ্গণেই সকালে নামসংকীর্তন ও প্রেমানন্দে ঠাকুরের নৃত্য হইয়াছিল। এখনও সতরঞ্চি ও আসন পাতা রহিয়াছে। ঠাকুর এখনও ভাববিষ্ট; গায়কের কাছে আসিয়া বসিলেন। গায়ক এতক্ষণে গান থামাইয়াছিলেন। ঠাকুর অতি দীনভাবে বলিতেছেন, বাবু, আর-একবার মায়ের নাম শুনব।

    গায়ক আবার গান গাহিতেছেন (Kathamrita):

    জাগ জাগ জননি,
    মূলাধারে নিদ্রাগত কতদিন গত হল কুলকুণ্ডলিনী।
    স্বকার্যসাধনে চল মা শিরোমধ্যে, পরম শিব যথা সহস্রদলপদ্মে,
    করি ষট্‌চক্র ভেদ (মাগো) ঘুচাও মনের খেদ, চৈতন্যরূপিণি।

    গান শুনিতে শুনিতে ঠাকুর আবার ভাবাবিষ্ট।

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share