Category: পরম্পরা

Get updated History and Heritage and Culture and Religion related news from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Ramakrishna 284: “‘সরল’ এইকথা বলিতে বলিতে ঠাকুর যেন আনন্দে পরিপূর্ণ হইলেন”

    Ramakrishna 284: “‘সরল’ এইকথা বলিতে বলিতে ঠাকুর যেন আনন্দে পরিপূর্ণ হইলেন”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ভক্তসঙ্গে ও কলিকাতায় চৈতন্যলীলা-দর্শন

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ২১শে সেপ্টেম্বর

    রাখাল, নারাণ, নিত্যগোপাল ও ছোটগোপালের সংবাদ

    আজ রবিবার, (শুক্লা দ্বিতীয়া) ৬ই আশ্বিন, ১২৯১, ২১শে সেপ্টেম্বর, ১৮৮৪। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের (Ramakrishna) ঘরে অনেকগুলি ভক্ত সমবেত হইয়াছেন। রাম, মহেন্দ্র মুখুজ্জে, চুনিলাল, মাস্টার ইত্যাদি অনেকে আছেন।

    চুনিলাল সবে শ্রীবৃন্দাবন হইতে ফিরিয়াছেন। সেখানে তিনি ও রাখাল বলরামের সঙ্গে গিয়াছিলেন। রাখাল ও বলরাম এখনও ফেরেন নাই। নিত্যগোপালও বৃন্দাবনে আছেন। ঠাকুর চুনিলালের সহিত বৃন্দাবনের কথা কহিতেছেন (Kathamrita)।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—রাখাল কেমন আছে?

    চুনি—আজ্ঞে, তিনি এখন আছেন ভাল।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—নিত্যগোপাল আসবে না?

    চুনি—বলরামবাবু বলেছেন, ভাল উপযুক্ত লোকের সঙ্গে পাঠিয়ে দেব। নাম দেন নাই।

    ঠাকুর মহেন্দ্র মুখুজ্জের সঙ্গে নারাণের কথা কহিতে লাগিলেন। নারাণ স্কুলে পড়ে। ১৬।১৭ বৎসর বয়স। ঠাকুরের কাছে মাঝে মাঝে আসে। ঠাকুর বড় ভালবাসেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—খুব সরল; না?

    ‘সরল’ এইকথা বলিতে বলিতে ঠাকুর যেন আনন্দে পরিপূর্ণ হইলেন।

    মহেন্দ্র—আজ্ঞে হাঁ, খুব সরল।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—তার মা সেদিন এসেছিল। অভিমানী দেখে ভয় হল। তারপর তোমরা এখানে আসো, কাপ্তেন আসে,—এ-সব সেদিন দেখতে পেলে। তখন অবশ্য ভাবলে যে, শুধু নারাণ আসে আর আমি আসি, তা নয়। (সকলের হাস্য) মিছরি এ-ঘরে ছিল তা দেখে বললে, বেশ মিছরি! তবেই জানলে (Kathamrita), খাবার-দাবার কোন অসুবিধা নাই।

    শ্রীরামকৃষ্ণ— সিদ্ধাই থাকা এক মহাগোল। ন্যাংটা আমায় শিখালে — একজন সিদ্ধ সমুদ্রের ধারে বসে আছে, এমন সময় একটা ঝড় এল। ঝড়ে তার কষ্ট হল বলে সে বললে, ঝড় থেমে যা। তার বাক্য মিথ্যা হবার নয়। একখানা জাহাজ পালভরে যাচ্ছিল। ঝড় হঠাৎ থামাও যা আর জাহাজ টুপ করে ডুবে গেল। এক জাহাজ লোক সেই সঙ্গে ডুবে গেলো। এখন এতগুলি লোক যাওয়াতে যে পাপ হল, সব ওর হলো। সেই পাপে সিদ্ধাইও গেল, আবার নরকও হলো।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

  • Ramakrishna 282: “দুর্যোধনেরা গন্ধর্বের কাছে বন্দী হলে যুধিষ্ঠিরই উদ্ধার করলেন”

    Ramakrishna 282: “দুর্যোধনেরা গন্ধর্বের কাছে বন্দী হলে যুধিষ্ঠিরই উদ্ধার করলেন”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

    সপ্তদশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ১৯শে সেপ্টেম্বর

    পূর্বকথা—শম্ভু মল্লিকের অনাশক্তি—মহাপুরুষের আশ্রয়

    শ্রীরামকৃষ্ণ (মুখুজ্জে প্রভৃতিকে)—কাপ্তেনের ঠিক সাধকের অবস্থা (Kathamrita)।

    “ঐশ্বর্য (Ramakrishna) থাকলেই যে তাতে আসক্ত হতেই হবে, এমন কিছু নয়। শম্ভু (মল্লিক) বলত, ‘হৃদু, পোঁটলা বেঁধে বসে আছি!’ আমি বলতাম কি অলক্ষণে কথা কও! —

    “তখন শম্ভু বলে, ‘না,— বলো, এ-এব ফেলে যেন তাঁর কাছে যাই!’

    “তাঁর ভক্তের ভয় নাই। ভক্ত তাঁর আত্মীয়। তিনি তাদের টেনে নেবেন। দুর্যোধনেরা গন্ধর্বের কাছে বন্দী হলে যুধিষ্ঠিরই উদ্ধার করলেন। বললেন, আত্মীয়দের ওরূপ অবস্থা হলে আমাদেরই কলঙ্ক (Kathamrita)।”

    ঠাকুরবাড়ির ব্রাহ্মণ ও পরিচারকগণ মধ্যে ভক্তিদান 

    প্রায় নয়টা রাত্রি হইল। মুখুজ্জে ভ্রাতৃদ্বয় কলিকাতা ফিরিবার জন্য প্রস্তুত হইতেছেন। ঠাকুর একটু উঠিয়া ঘরে ও বারান্দায় পাদচারণ করিতে করিতে বিষ্ণুঘরে উচ্চ সংকীর্তন হইতেছে শুনিতে পাইলেন। তিনি জিজ্ঞাসা করাতে একজন ভক্ত (Ramakrishna) বলিলেন, তাহাদের সঙ্গে লাটু ও হরিশ জুটিয়াছে। ঠাকুর বলিলেন, ও তাই!

    ঠাকুর বিষ্ণুঘরে আসিলেন। সঙ্গে সঙ্গে ভক্তেরাও আসিলেন। তিনি শ্রীশ্রীরাধাকান্তকে ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম করিলেন।

    ঠাকুর দেখিলেন যে, ঠাকুরবাড়ির ব্রাহ্মণেরা—যারা ভোগ রাঁধে, নৈবেদ্য করে দেয়, অতিথিদের পরিবেশন করে এবং পরিচারকেরা, অনেকে একত্র মিলিত হইয়া নাম সংকীর্তন করিতেছে। ঠাকুর একটু দাঁড়াইয়া তাহাদের উৎসাহ বর্ধন করিলেন।

    উঠানের মধ্য দিয়া ফিরিয়া আসিবার সময় ভক্তদের বলিতেছেন(Kathamrita) —

    “দেখো, এরা সব কেউ বেশ্যার বাড়ি যায়, কেউ বাসন মাজে!”

    ঘরে আসিয়া ঠাকুর (Ramakrishna) নিজ আসনে আবার বসিয়াছেন। যাঁহারা সংকীর্তন করিতেছিলেন, তাঁহারা আসিয়া ঠাকুরকে প্রণাম করিলেন।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

  • Ramakrishna 281: “প্রত্যক্ষ দর্শনের পার যা যা অবস্থা হয় শাস্ত্রে আছে, সে সব হয়েছিল, বালকবৎ, উন্মাদবৎ, পিশাচবৎ, জড়বৎ”

    Ramakrishna 281: “প্রত্যক্ষ দর্শনের পার যা যা অবস্থা হয় শাস্ত্রে আছে, সে সব হয়েছিল, বালকবৎ, উন্মাদবৎ, পিশাচবৎ, জড়বৎ”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

    ষোড়শ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ১৯শে সেপ্টেম্বর

    পূর্বকথা—শ্রীরামকৃষ্ণের পুরাণ, তন্ত্র ও বেদ মতের সাধনা

    পঞ্চবটী, বেলতলা ও চাঁদনির সাধন—তোতার কাছে সন্ন্যাস গ্রহণ—১৮৬৬ 

    “মা বললেন, বেদান্তের সার—ব্রহ্ম সত্য, জগৎ মিথ্যা। যে সচ্চিদানন্দ ব্রহ্মের কথা বেদে আছে, তাঁকে তন্ত্রে বলে, সচ্চিদানন্দঃ শিবঃ (Ramakrishna)— আবার তাঁকেই পুরাণে বলে, সচ্চিদানন্দঃ কৃষ্ণঃ (Kathamrita)।

    “গীতা দশবার বললে যা হয়, তাই গীতার সার। অর্থাৎ ত্যাগী ত্যাগী!

    “তাঁকে যখন লাভ হয়, বেদ, বেদান্ত, পুরাণ, তন্ত্র—কত নিচে পড়ে থাকে। (হাজরাকে) তখন ওঁ উচ্চারণ করবার জো নাই।—এটি কেন হয়? সমাধি থেকে অনেক নেমে না এলে ওঁ উচ্চারণ করতে পারি না।

    “প্রত্যক্ষ দর্শনের পার যা যা অবস্থা হয় শাস্ত্রে আছে, সে সব হয়েছিল। বালকবৎ, উন্মাদবৎ, পিশাচবৎ, জড়বৎ।

    “আর শাস্ত্রে যেরূপ আছে, সেরূপ দর্শনও হত।

    “কখন দেখতাম জগৎময় আগুনের স্ফুলিঙ্গ!

    “কখন চারিদিকে পারার হ্রদ,—ঝক্‌ঝক্‌ করছে। আবার কখনও রূপা গলার মতো দেখতাম।

    “কখন দেখতাম রঙমশালের আলো যেন জ্বলছে!

    “তাহলেই হল, শাস্ত্রের সঙ্গে ঐক্য হচ্ছে।”

    শ্রীরামকৃষ্ণেরm (Ramakrishna) অবস্থা—নিত্যলীলাযোগ

    “আবার দেখালে, তিনিই জীব, জগৎ, চতুর্বিংশতি তত্ত্ব হয়েছেন! ছাদে উঠে আবার সিঁড়িতে নামা। অনুলোম বিলোম।

    “উঃ! কি অবস্থাতেই রেখেছে!—একটা অবস্থা যায় তো আর একটা আসে। যেন ঢেঁকির পাট। একদিক নিচু হয় তো আর-একদিক উঁচু হয়।

    “যখন অন্তর্মুখ—সমাধিস্থ—তখনও দেখছি তিনি! আবার যখন বাহিরের জগতে মন এল, তখনও দেখছি তিনি।

    “যখন আরশির এ-পিঠ দেখছি তখনও তিনি! আবার যখন উলটো পিঠ দেখছি তখনও তিনি।”

    মুখুজ্জে (Kathamrita) ভ্রাতৃদ্বয়, বাবুরাম প্রভৃতি ভক্তেরা অবাক্‌ হইয়া শুনিতেছেন।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

  • Maha Shivratri 2025: আজ মহা শিবরাত্রি, স্বপ্নে শিব দর্শন করলে কী লাভ হয় জানেন?

    Maha Shivratri 2025: আজ মহা শিবরাত্রি, স্বপ্নে শিব দর্শন করলে কী লাভ হয় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দুদের অন্যতম পবিত্র উৎসব হল মহা শিবরাত্রি (Maha Shivratri 2025)। শোনা যায়, এই দিনে ভগবান শিব (Lord Shiva) ও দেবী পার্বতীর মিলন হয়েছিল। তাই বিশ্বাস করা হয় যে, এই রাতে ভগবান শিবের শক্তি তার সর্বোচ্চ শিখরে থাকে। যে কারণে এই রাত্রি আধ্যাত্মিক উন্নতি ও স্বর্গীয় আশীর্বাদ লাভের জন্য অনন্য। প্রশ্ন হল, এই বিশেষ রাত্রিতে যদি মহাদেব স্বপ্নে আপনার সামনে উপস্থিত হন? হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী, এমন স্বপ্নের গভীর তাৎপর্য রয়েছে। এটি আপনার জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ইঙ্গিত হতে পারে।

    মহা শিবরাত্রি (Maha Shivratri 2025)

    হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে, মহা শিবরাত্রি ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে পালিত হয়। এ বছর উৎসবটি পালিত হবে আজ ২৬শে ফেব্রুয়ারি। এদিন ভক্তরা দিনভর উপোস করেন। সন্ধেয় মন্দিরে ভগবান শিবের জলাভিষেক করেন। দেবাদিদেব মহাদেবের আশীর্বাদ লাভের জন্য সারা রাত ধরে চার প্রহরের পূজা করেন। স্বপ্নকে প্রায়ই ঐশ্বরিক বার্তা হিসেবে দেখা হয়। মহা শিবরাত্রিতে যদি আপনি স্বপ্নে ভগবান শিবকে দেখেন, তাহলে এটি একটি বিরল ও অত্যন্ত শুভ ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হয়। বিভিন্ন দর্শনের অর্থ কী হতে পারে তা নিয়েই আজকের আলোচনা।

    স্বপ্নে ভগবান শিবকে হাসিমুখে দেখা

    মহা শিবরাত্রিতে (Maha Shivratri 2025) যদি আপনি স্বপ্নে মহাদেবকে আনন্দিত বা হাসিমুখে দেখেন, তাহলে এটি অত্যন্ত শুভ লক্ষণ। এই স্বপ্ন ইঙ্গিত করে যে ভগবান শিবের আশীর্বাদ আপনার ওপর রয়েছে এবং শীঘ্রই আপনার জীবনে সুখবর ও সমৃদ্ধি আসতে চলেছে। স্বপ্নে যদি আপনি একটি শিব মন্দির দেখতে পান, তাহলে এটি বিবেচিত হয় আধ্যাত্মিক জাগরণ ও ঈশ্বরীয় সুরক্ষার প্রতীক হিসেবে। এটি নির্দেশ করে যে মহাদেব আপনার প্রতি প্রসন্ন হয়েছেন। আপনার জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে চলেছে।

    স্বপ্নে যদি আপনি শিবলিঙ্গের দর্শন পান কিংবা দেবী পার্বতীর সঙ্গে শিবকে দেখেন, তা অত্যন্ত শক্তিশালী ও শুভ লক্ষণ। স্বপ্ন শাস্ত্র অনুযায়ী, এই ধরনের দর্শন ইঙ্গিত দেয় যে সামনে কোনও বড় ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে চলেছে। এটি আপনার জীবনে সুখ, সাফল্য ও পরিপূর্ণতা বয়ে আনতে পারে।

    স্বপ্নে ভগবান শিবের পূজা করা

    স্বপ্নে যদি আপনি নিজেকে ভগবান শিবের কাছে প্রার্থনা করতে বা পুজো করতে দেখেন, তবে এটি অত্যন্ত বিরল ও দৈবী দর্শন বলে মনে করা হয়। এটি ইঙ্গিত দেয় যে মহাদেবের বিশেষ আশীর্বাদ আপনার ওপর বর্ষিত হচ্ছে। এটি আপনার জীবনের সমস্ত বাধা দূর করে (Maha Shivratri 2025) শান্তি, সমৃদ্ধি ও সুখের পথ খুলে দেবে (Lord Shiva)।

  • Mahakumbh: আজ মহাশিবরাত্রিতে মহাকুম্ভে চলছে শেষ পুণ্যস্নান, এর আধ্যাত্মিক মাহাত্ম্য জানুন

    Mahakumbh: আজ মহাশিবরাত্রিতে মহাকুম্ভে চলছে শেষ পুণ্যস্নান, এর আধ্যাত্মিক মাহাত্ম্য জানুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ বুধবার মহাশিবরাত্রি। মহাকুম্ভে (Mahakumbh) চলছে শেষ পুণ্যস্নান। গতকালই উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের তরফ থেকে যে রিপোর্ট সামনে এসেছে সেখানে দেখা যাচ্ছে ইতিমধ্যে ৬৪ কোটি ভক্ত পবিত্র স্নান সেরেছেন প্রয়াগরাজে। আজকের মহাশিবরাত্রির স্নানের রয়েছে বিশেষ গুরুত্ব। এমনটাই জানাচ্ছেন শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা। এই প্রতিবেদনে আমরা মহাশিবরাত্রিতে (Maha Shivratri) কুম্ভ স্নানের গুরুত্ব নিয়েই আলোচনা করব।

    মহা শিবরাত্রিতে ত্রিবেণী সঙ্গমে স্নানের গুরুত্ব

    চলতি বছরে মহাশিবরাত্রি (Maha Shivratri) উপলক্ষে সূর্য, চন্দ্র এবং শনির একটি বিশেষ ত্রিগ্রহী যোগ তৈরি হচ্ছে। এই যোগকে সমৃদ্ধি এবং সাফল্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করছেন জ্যোতিষীরা। আরও জানা যাচ্ছে, এই দিনে শিব যোগ এবং সিদ্ধ যোগের সংমিশ্রণ রয়েছে। অনেকের মতে, মহা শিবরাত্রিতে অমৃত সিদ্ধি যোগও তৈরি হচ্ছে। হিন্দুদের ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, এই সময়ে ত্রিবেণী সঙ্গমে স্নান করলে একজন ব্যক্তির ওপর ভগবান শিবের বিশেষ কৃপা লাভ হয় বলেও জানাচ্ছেন অনেকে।

    মহা শিবরাত্রিতে মহাকুম্ভের (Mahakumbh) স্নান

    মহা শিবরাত্রি উপলক্ষে মহাকুম্ভে (Mahakumbh) স্নানের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। যাঁরা মহাকুম্ভে রয়েছেন তাঁরা এই দিনে, ব্রহ্ম মুহূর্তে পবিত্র সঙ্গমে স্নান করতে পারেন। যদি এটি সম্ভব না হয়, তা হলে স্নানের জলে গঙ্গাজল মিশিয়ে বাড়িতে স্নান করতেও পারেন। এর পর রাখতে হবে উপবাস। শাস্ত্রকাররা বলছেন, বালি বা কাদামাটি দিয়ে একটি শিবলিঙ্গ তৈরি করে তাতে গঙ্গা জল দিয়ে জলাভিষেক করুতে পারেন। একইসঙ্গে শিবলিঙ্গে পঞ্চামৃত নিবেদন করুতে পারেন। মহাকুম্ভস্থলেও করতে পারেন এমন মাটির শিবলিঙ্গ। এর পাশপাশি সঙ্গমস্থলে পূর্বপুরুষদের নামে তর্পণ করলে পুণ্য মেলে। মহাকুম্ভের (Mahakumbh) পবিত্র স্থানে জাফরান মিশ্রিত ক্ষীর উৎসর্গ করুতে পারেন। এর পাশাপাশি রাতে ঘি-এর প্রদীপ জ্বালিয়ে চারবার পূজো করতে পারেন। নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী এদিন দানও করতে পারেন। সারা রাত জেগে কাটিয়ে দিতে পারেন।

    মহাশিবরাত্রিতে মহাকুম্ভে (Mahakumbh) স্নান করলে কী কী ফল মেলে

    মহাশিবরাত্রি উৎসবে মহাকুম্ভ স্নান করার বিশেষ কিছু ফল রয়েছে, যা ভক্তদের মন, আত্মা এবং শরীরের পবিত্র করে বলেই জানা যায়। মহাশিবরাত্রি হিন্দু ধর্মের এক অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎসব, যা সারা দেশে ব্যাপক উৎসাহের সঙ্গে পালন করতে দেখা যায়। সারা দেশের লক্ষ লক্ষ ভক্ত শিবের আশীর্বাদ লাভের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন পুণ্যস্থানে ভ্রমণ করে থাকেন। তবে চলতি বছরের শিবরাত্রি বিশেষ। কারণ ২০২৫ সালের মহাশিবরাত্রি বিশেষ। কারণ এটি মহাকুম্ভ মেলার শেষ দিনে পড়েছে। মোক্ষ লাভ করতে আজকের স্নান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা।

    দেহ ও আত্মার পবিত্রতা: মহাশিবরাত্রিতে মহাকুম্ভ স্নান শরীর এবং আত্মা দুইই পবিত্র করে। এটি ভক্তদের পুরনো পাপ থেকে মুক্তি দেয় এবং তাঁদের আত্মিক উন্নতি সাধনে সাহায্য করে।

    মোক্ষের প্রাপ্তি: মহাশিবরাত্রিতে প্রয়াগে স্নান মোক্ষ বা মুক্তি লাভের অন্যতম উপায় হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি মানব জীবনের দুর্দশা এবং পুনর্জন্মের চক্কর থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

    পূর্বজন্মের পাপ থেকে মুক্তি: মহাকুম্ভের শিবরাত্রি তিথির অমৃত স্নান জীবনে নিয়ে আসে আত্মবিশ্বাস। মেলে অপার শান্তি। শাস্ত্র বিশেষজ্ঞদের মতে, এই স্নানটি বহু জন্মের পাপ থেকে মুক্তি দেয়।

    আধ্যাত্মিক উন্নতি: মহাশিবরাত্রির রাতটি শিবের শক্তির উচ্চতম পর্যায়ে থাকে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এই সময়ে মহাকুম্ভে অমৃত স্নান করলে এটি ভক্তদের আধ্যাত্মিক জাগরণের দিকে নিয়ে যায়। দেহ, মন এবং আত্মা একত্রিত হয়ে তা দিব্য শক্তির সঙ্গে সংযুক্ত হয়।

    শিবের আশীর্বাদ মেলে: মহাকুম্ভ স্নান করার সময় শিব নিজে ভক্তদের আশীর্বাদ প্রদান করেন বলে ভক্তদের বিশ্বাস। যাঁরা এই দিনে পবিত্র স্নান করেন, তাঁদের জন্য শিবের করুণা বিশেষভাবে মেলে।

    শান্তি ও মানসিক স্বস্তি: আরও জানা যাচ্ছে, এই পবিত্র স্নান ভক্তদের মানসিক দুশ্চিন্তা, হতাশা এবং নেতিবাচক চিন্তা থেকে মুক্তি দেয়। অনেক ভক্ত এই স্নানের পর অভ্যন্তরীণ শান্তি এবং মানসিক পরিচ্ছন্নতা অনুভব করেন।

    শিবরাত্রি (Maha Shivratri) তিথিতে মহাকুম্ভ স্নানে আসে পবিত্রতা

    প্রসঙ্গত, বিশ্বের সবচেয়ে বড় ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক, আধ্যাত্মিক মিলনমেলা হল মহাকুম্ভ। প্রতি ১২ বছরে একবার ভারতের চারটি পবিত্র নদী তীরের শহরে অনুষ্ঠিত হয়—হরিদ্বার, প্রয়াগরাজ, নাসিক, এবং উজ্জয়নী। প্রতি ১২টি কুম্ভে অনুষ্ঠিত হয় একটি মহাকুম্ভ। যা চলতি বছরে সম্পন্ন হল। আজ মহাশিবরাত্রির সঙ্গে কুম্ভ মেলা। এরফলে অমৃত স্নানের আধ্যাত্মিক গুরুত্ব আরও বেড়ে গিয়েছে। শাস্ত্র বিশেষজ্ঞদের মতে, মহাশিবরাত্রির রাতটি একমাত্র সময়, যখন শিবের আধ্যাত্মিক শক্তি এবং পবিত্র নদীর স্নানের আধ্যাত্মিক শক্তি একত্রিত হয়। অনেকেই বলছেন, এই অমৃত স্নান ভক্তদের জন্য একটি বিশেষ সুযোগ, যা তাদের আধ্যাত্মিক উন্নতি এবং দেহ ও মনকে পবিত্র করার জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে।

  • Maha Shivratri 2025: আজ মহা শিবরাত্রি, উপোস থেকে পুজো, জেনে নিন নিয়মবিধি

    Maha Shivratri 2025: আজ মহা শিবরাত্রি, উপোস থেকে পুজো, জেনে নিন নিয়মবিধি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বুধবার শিবরাত্রি। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে এই দিনটা অতি পবিত্র একটা দিন। হিন্দু শাস্ত্র মতে, এই দিনেই শিব ও পার্বতী বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। ভক্তরা তাই মনে করেন, এই দিন যদি শিব-পার্বতীর পুজো করা হয় তা হলে সংসারে শান্তি বজায় থাকে। এ ছাড়াও এই দিন শিবের পুজো করলে মোক্ষলাভ হয় বলেও কথিত রয়েছে, এমনটাই বিশ্বাস। প্রসঙ্গত, শিবরাত্রির (Maha Shivratri 2025) পুজো মহিলা ও পুরুষ নির্বিশেষে সকলেই করতে পারেন বলে শাস্ত্রে উল্লেখ রয়েছে। শিবরাত্রির (Shivratri) পুজোর বিশেষ কিছু নিয়ম রয়েছে যা অবশ্যই সঠিক ভাবে পালন করতে হবে।

    মহা শিবরাত্রির তাৎপর্য (Maha Shivratri 2025)

    সাধারণভাবে প্রতি মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে শিবরাত্রি পালিত হয়, কিন্তু ফাল্গুন মাসের শিবরাত্রি, মহা শিবরাত্রি (Maha Shivratri 2025) নামে প্রসিদ্ধ। হিন্দু ধর্ম অনুসারে, ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে শিবলিঙ্গ রূপে আবির্ভূত হয়েছিলেন মহাদেব। এই ব্রতে ভক্তরা শিবলিঙ্গে দুধ নিবেদন করেন এবং মোক্ষ প্রার্থনা করে। সারা রাত ধরে চলে ভক্তদের প্রার্থনা। শিবলিঙ্গকে স্নান করানোর জন্য মূলত গঙ্গাজল বা গঙ্গাজল মেশানো জল ব্যবহার করা হয়। শিবলিঙ্গের মাথায় অর্পণ করা হয় তিনটি পাতাযুক্ত যৌগিক বেলপাতা।

    আগের দিন থেকেই খান নিরামিষ (Maha Shivratri 2025)

    শিবরাত্রির আগের দিন থেকেই নিরামিষ আহার গ্রহণ করতে বলছেন শাস্ত্রবিদরা। অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকেই কোনও প্রকার আমিষ আহার গ্রহণ করা যাবে না। তার পর শিবরাত্রির দিন থেকে পরের দিন সকাল পর্যন্ত উপবাস করতে বলছেন শাস্ত্রবিদরা। যাঁরা অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে এই ব্রত পালন করেন তাঁরা শিবরাত্রির রাত না ঘুমিয়ে কাটান। শাস্ত্রবিদরা বলছেন, চেষ্টা করুন শিবরাত্রির রাতে একেবারে না ঘুমিয়ে জেগে কাটাতে। পরের দিন পুজো করে প্রসাদ মুখে দিয়ে উপবাস ভঙ্গ করুন।

    চার প্রহরের পুজো

    প্রসঙ্গত, শিবরাত্রির পবিত্র দিনে রাত জেগে চার প্রহরে শিবের পুজো করতে হয়। প্রথম প্রহরে জল দিয়ে পুজো হয়, দ্বিতীয় প্রহরে দই দিয়ে, তৃতীয় প্রহরে ঘি এবং চতুর্থ প্রহরে মধু দিয়ে শিবের অভিষেক করার রীতি দেখা যায়। শিবরাত্রির পুণ্যতিথিতে পুজো করার সময় শিবলিঙ্গে কাঁচা দুধ এবং গঙ্গাজল অবশ্যই অর্পণ করতে বলছেন শাস্ত্রবিদরা। এই পুজোয় অপরাজিতা, ধুতরো ফুল এবং বেলপাতা ব্যবহার করা উচিত। পুজোর শেষে শিবের নাম ১০৮বার জপ করতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। পরের দিন পর্যন্ত যদি উপবাস না রাখা যায়, অথবা সারা রাত জেগে কাটাতে না পারলে শিবরাত্রির দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত উপবাস থেকে পুজো করা উচিত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এরপর প্রসাদ গ্রহণ করে উপবাস ভঙ্গ করা যেতে পারে। তারপর ফল ও দুধ খেতে পারেন।

    মহা শিবরাত্রির পুজোর নিয়ম

    শিবরাত্রিতে (Maha Shivratri 2025)  ব্রহ্ম মুহূর্তে উঠে শিব ও পার্বতীকে প্রণাম করে পুজোর সংকল্প গ্রহণ করুন। এর পর গঙ্গায় স্নান করুন। গঙ্গা দূরে থাকলে গঙ্গাজল মেশানো জলে স্নান করুন। নতুন ও পরিষ্কার পোশাক পরে সূর্যকে অঞ্জলি দিন। মন্দিরে গিয়ে দুধ, গঙ্গাজল দিয়ে শিবের অভিষেক করুন। এ ছাড়াও বাড়িতে একটি চৌকিতে লাল কাপড় বিছিয়ে দিন। তার উপর রাখুন শিব মূর্তি। দুধ-গঙ্গাজল দিয়ে সেই প্রতিমার অভিষেক করুন। এর পর পঞ্চোপচার নিয়মে শিব ও পার্বতীর অভিষেক করুন।

    কেন শিবলিঙ্গের ওপর জল ঢালা হয় জানেন?

    পুরাণ অনুসারে, দেবতা এবং অসুররা যখন অমৃত পাওয়ার জন্য সাগর মন্থন শুরু করেন, তখন সেখান থেকে উঠেছিল বিষ বা হলাহল। মহাবিশ্বের সমস্ত সৃষ্টিকে ধ্বংস করে দিতে পারত সেই হলাহল। দেবতা এবং দানবরা মিলে ভগবান শিবকে বিষ পান করার জন্য অনুরোধ করেন। মহাবিশ্বকে রক্ষা করতে মহাদেব দেবতা ও অসুরদের অনুরোধ মেনে নেন। এবং সেই বিষ পান করেন। এই বিষ মহাদেবের শরীর জুড়ে ছড়িয়ে পড়লে তীব্র পীড়া হতে পারতো। তাই, ভোলানাথকে যন্ত্রণা থেকে বাঁচানোর জন্য দেবী পার্বতী তাঁর গলায় হাত রাখেন। বিষ শরীর জুড়ে ছড়িয়ে পড়ার আগেই তা রোধ হয়ে যায়। শরীর জুড়ে হলাহল ছড়িয়ে না পড়লেও ভগবান শিবের গলায় থাকার কারণে তা তাঁর গলাকে নীল করে দিয়েছিল। একারণেই তাঁকে নীলকণ্ঠ বলা হয়ে থাকে। বিষের কারণে প্রচন্ড উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মহাদেবের শরীর। তাই ভগবান বিষ্ণু সেই তাপ কমানোর জন্য দেবতাদের (Maha Shivratri 2025) নির্দেশ দেন শিবের মাথায় জল ঢালতে। ভক্তদের এই বিশ্বাস থেকেই আজও শিবের মাথায় জল ঢালার রীতি দেখা যায়।

  • Ramakrishna 280: “কুকুরের উপর চড়ে তার মুখে লুচি দিয়ে খাওয়াতাম, আর নিজেও খেতাম, সর্বং বিষ্ণুময়ং জগৎ”

    Ramakrishna 280: “কুকুরের উপর চড়ে তার মুখে লুচি দিয়ে খাওয়াতাম, আর নিজেও খেতাম, সর্বং বিষ্ণুময়ং জগৎ”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

    ষোড়শ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ১৯শে সেপ্টেম্বর

    পূর্বকথা—শ্রীরামকৃষ্ণের পুরাণ, তন্ত্র ও বেদ মতের সাধনা

    পঞ্চবটী, বেলতলা ও চাঁদনির সাধন—তোতার কাছে সন্ন্যাস গ্রহণ—১৮৬৬ 

    শ্রীরামকৃষ্ণ (ভক্তদের প্রতি)—তিনি আমায় নানারূপ সাধন করিয়েছেন। প্রথম, পুরাণ মতের-তারপর তন্ত্র মতের, আবার বেদ মতের। প্রথমে পঞ্চবটীতে সাধনা করতাম। তুলসী কানন হল—তার মধ্যে বসে ধ্যান করতাম। কখনও ব্যাকুল হয়ে ‘মা! মা!’ বলে (Kathamrita) ডাকতাম—বা ‘রাম! রাম!’ (Ramakrishna) করতাম।

    “যখন ‘রাম রাম’ করতাম তখন হনুমানের ভাবে হয়তো একটা ল্যাজ পরে বসে আছি! উন্মাদের অবস্থা। সে সময়ে পূজা করতে করতে গরদের কাপড় পরে আনন্দ হত—পূজারই আনন্দ!”

    “তন্ত্র মতের সাধনা বেলতলায়। তখন তুলসী গাছ—সজনের খাড়া—এক মনে হত!”

    “সে অবস্থায় শিবানীর উচ্ছিষ্ট—সমস্ত রাত্রি পড়ে আছে—তা সাপে খেলে কি কিসে খেলে তার ঠিক নাই—ওই উচ্ছিষ্টই আহার।” (Kathamrita)

    “কুকুরের উপর চড়ে তার মুখে লুচি দিয়ে খাওয়াতাম, আর নিজেও খেতাম। সর্বং বিষ্ণুময়ং জগৎ।—মাটিতে জল জমবে তাই আচমন, আমি সে মাটিতে পুকুর থেকে জল দিয়ে আচমন কল্লাম।”

    “অবিদ্যাকে নাশ না করলে হবে না। আমি তাই বাঘ হতাম—হয়ে অবিদ্যাকে খেয়ে ফেলতাম!” (Kathamrita)

    “বেদমতে সাধনের সময় সন্ন্যাস নিলাম। তখন চাঁদনিতে পড়ে থাকতাম—হৃদুকে বলতাম, ‘আমি সন্ন্যাসী হয়েছি, চাঁদনীতে ভাত খাব’!”

    সাধনকালে নানা দর্শন ও জগন্মাতার বেদান্ত, গীতা সম্বন্ধে উপদেশ

    (ভক্তদের প্রতি)—“হত্যা দিয়ে পরেছিলাম! মাকে বললাম, আমি মুখ্যু—তুমি আমায় জানিয়ে দাও—বেদ, পুরাণ, তন্ত্রে—নানা শাস্ত্রে—কি আছে ।” (Ramakrishna)

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

  • Maha Shivratri 2025: আজ মহাশিবরাত্রি, কখন লাগছে তিথি? থাকবে কতক্ষণ?

    Maha Shivratri 2025: আজ মহাশিবরাত্রি, কখন লাগছে তিথি? থাকবে কতক্ষণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার ২৬ ফেব্রুয়ারি, মহাশিবরাত্রি (Maha Shivratri 2025)। শাস্ত্র অনুযায়ী, দেবাদিদেব মহাদেব এবং দেবী পার্বতীর বিয়ে হয়েছিল এই তিথিতেই। আবার শিবপুরাণ অনুযায়ী, মহাদেব যেদিন শিবলিঙ্গ রূপে আবির্ভূত হয়েছিলেন। সেই দিনই ছিল ফাল্গুন কৃষ্ণ চতুর্দশী তিথি। প্রসঙ্গত, ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে পালিত হয় মহা শিবরাত্রির (Shivratri) ব্রত। দলে দলে ভক্তরা পুণ্য ও মোক্ষ লাভের আশায় শিবের মাথায় জল ঢালেন। শাস্ত্রবিদরা বলছেন, যত ব্রত আছে সকল ব্রতের শ্রেষ্ঠ হল মহাশিবরাত্রি (Maha Shivratri 2025)। ভক্তদের বিশ্বাস, এই তিথিতে দেবাদিদেব মহাদেব এবং দেবী পার্বতীর আরাধনায় অজ্ঞতা, অন্ধকার দূর হয়। পূরণ হয় মনের সকল বাসনা।

    কখন শুরু হচ্ছে তিথি? থাকবে কতক্ষণ?

    বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে-

    চতুর্দশী তিথি আরম্ভ: ২৬ ফেব্রুয়ারি বা ১৩ ফাল্গুন, বুধবার

    সময়: সকাল ১১টা ১০ মিনিট

    চতুর্দশী তিথি শেষ: ১৪ ফাল্গুন বা ২৭ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার

    সময়: সকাল ৮টা ৫৫ মিনিট

    গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা মতে-

    চতুর্দশী তিথি আরম্ভ: ১৩ ফাল্গুন বা ২৬ ফেব্রুয়ারি, বুধবার

    সময় সকাল: ৯টা ৪১ মিনিট ৮ সেকেন্ড

    চতুর্দশী তিথি শেষ: ১৪ ফাল্গুন বা ২৭ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার

    সময়: সকাল ৮টা ২৯ মিনিট ৩১ সেকেন্ড

    ব্রত পালনের রয়েছে বিশেষ কিছু নিয়ম

    শিবরাত্রির (Maha Shivratri 2025) ব্রত পালনের রয়েছে বিশেষ কিছু নিয়ম। এই ব্রত পালন শুরু করা হয় ঠিক শিবরাত্রির আগের দিন। ব্রত শেষ হয় শিবরাত্রির পরের দিন। শাস্ত্রবিদরা জানাচ্ছেন, ব্রত শুরু হওয়ার আগের দিন থেকেই ভক্তদের নিরামিষ খেতে হবে। এরপর মহাশিবরাত্রির দিন উপবাস থাকতে হবে। গঙ্গাজল, দুধ, ঘি এবং মধু মাখিয়ে শিবলিঙ্গকে চার প্রহরে চার বার স্নান করাতে হবে। ব্রতের নিয়ম অনুযায়ী, মহাদেবকে অর্পণ করতে হবে বেলপাতা, ধুতরো ফুল, আকন্দ ফুল, অপরাজিতা (নীল) ফুল এবং ফল-মিষ্টি। শিবরাত্রির (Maha Shivratri 2025) পরের দিন কোনও ধর্মপ্রাণ মানুষকে বাড়িতে আমন্ত্রণ জানিয়ে ভোজন করিয়ে এই ব্রত উদ্‌যাপন করা হয়।

  • Ramakrishna 279: “ডুব দিলেও হাঙ্গর-কুমিরের ভয় আছে—কাম-ক্রোধাদির ভয় আছে, হলুদ মেখে ডুব দাও”

    Ramakrishna 279: “ডুব দিলেও হাঙ্গর-কুমিরের ভয় আছে—কাম-ক্রোধাদির ভয় আছে, হলুদ মেখে ডুব দাও”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

    পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ১৯শে সেপ্টেম্বর

    হাজরা মহাশয়

    পূর্বকথা—স্ত্রীর অসুখে কামারপুকুরবাসীর থর থর কম্প

    “ও-দেশে একজনের পরিবারে অসুখ হয়েছিল। সারবে না মনে করে লোকটা থর থর করে কাঁপতে লাগলো—অজ্ঞান হয় আর কি!

    “এরূপ ঈশ্বরের (Ramakrishna) জন্য কে হচ্ছে!”

    হাজরা ঠাকুরের পায়ের ধুলা লইতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (সঙ্কুচিত হইয়া)—“উগুনো কি?”

    হাজরা—যাঁর কাছে আমি রয়েছি তাঁর পায়ের ধুলা লব না?

    শ্রীরামকৃষ্ণ—ঈশ্বরকে তুষ্ট কর, সকলেই তুষ্ট হবে। তস্মিন্‌ তুষ্টে জগৎ তুষ্টম্‌। ঠাকুর যখন দ্রৌপদীর হাঁড়ির শাক খেয়ে বললেন, আমি তৃপ্ত হয়েছি, তখন জগৎসুদ্ধ জীব তৃপ্ত—হেউ-ঢেউ হয়েছিল! কই মুনিরা খেলে কি জগৎ তুষ্ট হয়েছিল—হেউ-ঢেউ হয়েছিল (Kathamrita)?

    ঠাকুর (Ramakrishna) লোকশিক্ষার্থ কিছু কর্ম করতে হয়, এই কথা বলিতেছেন।

    পূর্বকথা—বটতলার সাধুর গুরুপাদুকা ও শালগ্রামপূজা

    শ্রীরামকৃষ্ণ (হাজরার প্রতি)—জ্ঞানলাভের পরও লোকশিক্ষার জন্যে পূজাদি কর্ম রাখে।

    “আমি কালীঘরে যাই, আবার ঘরের এই সব পট নমস্কার করি; তাই সকলে করে। তারপর অভ্যাস হয়ে গেলে যদি না করে তাহলে মন হুস্‌ফুস্‌ করবে।

    “বটতলায় সন্ন্যাসীকে দেখলাম। যে আসনে গুরুপাদুকা রেখেছে তারই উপরে শালগ্রামও রেখেছে! ও পূজা করছে! আমি জিজ্ঞাসা করলাম (Kathamrita), ‘যদি এতদূর জ্ঞান হয়ে থাকে তবে পূজা করা কেন? সন্ন্যাসী বললে,—সবই করা যাচ্ছে—এ ও একটা করলাম। কখনও ফুলটা এ-পায়ে দিলাম; আবার কখনও একটা ফুল ও-পায়ে দিলাম।’

    “দেহ থাকতে কর্মত্যাগ করবার জো নাই—পাঁক থাকতে ভুড়ভুড়ি হবেই।”

    The three stages—শাস্ত্র, গুরুমুখ, সাধনা; Goal প্রত্যক্ষ

    (হাজরাকে)—“এক জ্ঞান থাকলেই আনেক জ্ঞানও আছে। শুধু শাস্ত্র পড়ে কি হবে?

    “শাস্ত্রে বালিতে চিনিতে মিশেল আছে—চিনিটুকু লওয়া বড় কঠিন। তাই শাস্ত্রের মর্ম সাধুমুখে গুরুমুখে শুনে নিতে হয়। তখন আর গ্রন্থের কি দরকার?

    “চিঠিতে খবর এসেছে,—‘পাঁচ সের সন্দেশ পাঠাইবা—আর একখানা রেলপেড়ে কাপড় পাঠাইবা।’ এখন চিঠিখানি হারিয়ে গেল। তখন ব্যস্ত হয়ে চারদিকে খোঁজে। অনেক খোঁজবার পর চিঠিখানি পেলে, পড়ে দেখে,—লিখেছে—‘পাঁচ সের সন্দেশ আর একখানা রেলপেড়ে কাপড় পাঠাইবা।’ তখন চিঠিখানি আবার ফেলে দেয়। আর কি দরকার? এখন সন্দেশ আর কাপড়ের যোগাড় করলেই হল।

    মুখুজ্জে, বাবুরাম, মাস্টার প্রভৃতি ভক্তদের প্রতি—“সব সন্ধান জেনে তারপর ডুব দাও। পুকুরের অমুক জায়গায় ঘটিটা পড়ে গেছে, জায়গাটি ঠিক করে দেখে নিয়ে সেইখানে ডুব দিতে হয়।

    “শাস্ত্রের মর্ম গুরুমুখে শুনে নিয়ে, তারপর সাধন করতে হয়। এই সাধন ঠিক হলে তবে প্রত্যক্ষ দর্শন হয়।

    “ডুব দিলে তবে তো ঠিক ঠিক সাধন হয়! বসে বসে শাস্ত্রের (Ramakrishna) কথা নিয়ে কেবল বিচার করলে কি হবে? শ্যালারা পথে যাবারই কথা—ওই নিয়ে মরছে—মর শ্যালারা, ডুব দেয় না!

    “যদি বল ডুব দিলেও হাঙ্গর-কুমিরের ভয় আছে—কাম-ক্রোধাদির ভয় আছে।—হলুদ মেখে ডুব দাও—তারা কাছে আসতে পারবে না। বিবেক-বৈরাগ্য হলুদ (Kathamrita)।”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

  • Ramakrishna 278: “যৌবনকাল হইতে তাঁহার বৈরাগ্যের ভাব—কোথায় সাধু, কোথায় ভক্ত, খুঁজিয়া বেড়ান”

    Ramakrishna 278: “যৌবনকাল হইতে তাঁহার বৈরাগ্যের ভাব—কোথায় সাধু, কোথায় ভক্ত, খুঁজিয়া বেড়ান”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

    পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ১৯শে সেপ্টেম্বর

    হাজরা মহাশয়

    হাজরা মহাশয় এখানে দুই বৎসর আছেন (Kathamrita)। তিনি ঠাকুরের জন্মভূমি কামারপুকুরের নিকটবর্তী সিওড় গ্রামে প্রথম তাঁহাকে দর্শন করেন, ১৮৮০ খ্রী:। এই গ্রামে ঠাকুরের (Ramakrishna) ভাগিনেয়, পিসতুতো ভগিনী হেমাঙ্গিনী দেবীর পুত্র, শ্রীযুক্ত হৃদয় মুখোপাধ্যায়ের বাস। ঠাকুর তখন হৃদয়ের বাটীতে অবস্থিতি করিতেছিলেন।

    সিওড়ের নিকটবর্তী মরাগোড় গ্রামে হাজরা মহাশয়ের নিবাস। তাঁহার বিষয়-সম্পত্তি, জমি প্রভৃতি একরকম আছে। পরিবার, সন্তান-সন্ততি আছে। একরকম চলিয়া যায়। কিছু দেনাও আছে, আন্দাজ হাজার টাকা।

    যৌবনকাল হইতে তাঁহার বৈরাগ্যের ভাব—কোথায় সাধু, কোথায় ভক্ত, খুঁজিয়া বেড়ান। যখন দক্ষিণেশ্বর-কালীবাড়িতে প্রথম আসেন ও সেখানে থাকিতে চান ঠাকুর (Kathamrita) তাঁহার ভক্তিভাব দেখিয়া ও দেশের পরিচিত বলিয়া, ওখানে যত্ন করিয়া নিজের কাছে রাখেন।

    হাজরার জ্ঞানীর ভাব। ঠাকুরের ভক্তিভাব ও ছোকরাদের জন্য ব্যাকুলতা পছন্দ করেন না। মাঝে মাঝে তাঁহাকে মহাপুরুষ বলিয়া মনে করেন। আবার কখনও সামান্য বলিয়া জ্ঞান করেন।

    তিনি ঠাকুরের (Ramakrishna) ঘরের দক্ষিণ-পূর্বের বারান্দায় আসন করিয়াছেন। সেইখানেই মালা লইয়া অনেক জপ করেন। রাখাল প্রভৃতি ভক্তেরা বেশি জপ করেন না বলিয়া লোকের কাছে নিন্দা করেন।

    তিনি আচারের বড় পক্ষপাতী। আচার আচার করিয়া তাঁহার একপ্রকার শুচিবাই হইয়াছে। তাঁহার বয়স প্রায় ৩৮ হইবে।

    হাজরা মহাশয় ঘরে প্রবেশ করিলেন। ঠাকুর (Kathamrita) আবার ঈষৎ ভাবাবিষ্ট হইয়াছেন ও কথা কহিতেছেন।

    ঈশ্বর প্রার্থনা কি শুনেন? ঈশ্বরের জন্য ক্রন্দন কর, শুনবেন

    শ্রীরামকৃষ্ণ (হাজরার প্রতি)—তুমি যা করছ তা ঠিক,—কিন্তু ঠিক ঠিক বসছে না।

    “কারু নিন্দা করো না—পোকাটিরও না। তুমি নিজেই তো বল, লোমস মুনির কথা। যেমন ভক্তি প্রার্থনা করবে তেমনি ওটাও বলবে—‘যেন কারু নিন্দা না করি’।”

    হাজরা—(ভক্তি) প্রার্থনা করলে তিনি শুনবেন?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—এক—শো—বার! যদি ঠিক হয়—যদি আন্তরিক হয়। বিষয়ী লোক যেমন ছেলে কি স্ত্রীর জন্য কাঁদে সেরূপ ঈশ্বরের জন্য কই কাঁদে?

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

LinkedIn
Share