Category: পরম্পরা

Get updated History and Heritage and Culture and Religion related news from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Ramakrishna 452: আমি গাছতলায় পড়ে গিয়ে কাঁদতে লাগলাম

    Ramakrishna 452: আমি গাছতলায় পড়ে গিয়ে কাঁদতে লাগলাম

    কেউ পরে বাড়িতে পৌঁছাইয়া বলিতেছেন, “দেবেন্দ্র, আমার জন্য খাবার কিছু করো না, অমনি সামান্য শরীর তত ভালো নয়।”

    দেবেন্দ্রর বাড়িতে ভক্তদের সঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ। দেবেন্দ্রর বাড়ির বৈঠকখানায় ভক্তদের মজলিস বসেছে। ঠাকুর ভক্তদের সঙ্গে সেখানে বসে আছেন। বৈঠকখানার ঘরটি একতলায়। সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছে, ঘরে আলো জ্বলছে।

    ঘরে উপস্থিত রয়েছেন — ছোট নরেন, রাম, মাস্টার, গিরিশ, দেবেন্দ্র, অক্ষয়, উপেন্দ্র প্রমুখ বহু ভক্ত।

    ঠাকুর একটি তরুণ ভক্তের দিকে চেয়ে আছেন এবং আনন্দে ভাসছেন। সেই ভক্তকে লক্ষ্য করে ভক্তদের উদ্দেশ্যে বলছেন — “তিনটে জিনিস একেবারেই নেই ওর — জমি, টাকা আর স্ত্রী। এই তিনটে জিনিসের উপর মন রাখলে ঈশ্বর-ভক্তি হয় না।

    আমি একবার ওকে দেখেছিলাম।”

    তারপর সেই ভক্তটির দিকে ফিরে ঠাকুর বললেন — “তোরে কি দেখেছিলাম, বল?”

    কামিনী-কাঞ্চনের ত্যাগ ও ব্রহ্মানন্দ

    ভক্ত সহস্রের মধ্যে কতককে দেখেছি—কেউ কাম-ক্রোধ, লোভ-মোহ প্রভৃতির ভারে জর্জরিত; কেউ আবার সেই ভারের উপর বসে আছে, কেউ কেউ কিছুটা দূরে সরে দাঁড়িয়ে রয়েছে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ সংসারী লোকদের অবস্থা দেখেছেন—যারা ঈশ্বরকে ভুলে গেছেন, তাদের সেই করুণ দশা তিনি অনুভব করেছেন। তাই তাঁর মন থেকে নিজেই সব ত্যাগ হয়ে গিয়েছে।

    “ও কী আশ্চর্য!” — আমি তো কত জপ-ধ্যান করেছি, তারপর গিয়ে তবে কিছুটা ফল পেয়েছিলাম। কিন্তু উনি (ঠাকুর) তো একেবারে এমন শীঘ্র কেমন করে সব ত্যাগ করলেন? কাম (কামনা) মন থেকে চলে যাওয়া কি এত সহজ ব্যাপার?

    আমার নিজের মনে পড়ে, প্রায় ছয় মাস পরে যখন বুক ভারী হয়ে এলো, আমি গাছতলায় পড়ে গিয়ে কাঁদতে লাগলাম। বললাম—
    “মা! যদি সত্যিই ত্যাগ হয় না, তাহলে গলায় ছুরি দেব।”

  • Ramakrishna 451: দেবেন্দ্রর বাড়িতে ভক্তদের সঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ

    Ramakrishna 451: দেবেন্দ্রর বাড়িতে ভক্তদের সঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ

    ছোট নরেনের হাসিতে কী আর! ঠাকুর-ভক্তেরা সকলে হেসে উঠিতেছেন। ঠাকুর আনন্দে তাহাকে দেখাইয়া মাস্টারকে বলিতেছেন:

    “দেখো দেখো, ন্যাকা ন্যাকা হাসে, যেন কিছু জানে না — কিন্তু মনের ভিতর কিছু নাই। তিনটি মনে নাই: কামিনী, কাঞ্চন। মন থেকে একেবারে না গেলে ভগবান-লাভ হয় না।”

    ঠাকুর দেবেন্দ্রর বাড়ি যাইতেছেন দক্ষিণেশ্বরে। দেবেন্দ্রকে একদিন বলিতে ছিলেন, “একদিন মনে করেছি তোমার বাড়িতে যাব।” দেবেন্দ্র বলিয়াছিলেন, “আমিও তাই বলবার জন্য আজ এসেছি। এই রবিবারে যেতে হবে।” ঠাকুর বলিলেন, “কিন্তু তোমার আয় কম, বেশি লোক বলো না, আর গাড়িভাড়া বড় বেশি।”

    দেবেন্দ্র হাসিয়া বলিয়াছিলেন, “তাই কম হলেই বা! ঋণং কৃত্বা ঘৃতং পিবেত্।” অর্থাৎ, ধার করে ঘি খাবে, ঘি খাওয়া চাই।

    ঠাকুর এই কথা শুনিয়া হাসিতে লাগলেন, হাসি আর থামেনা।

    কেউ পরে বাড়িতে পৌঁছাইয়া বলিতেছেন, “দেবেন্দ্র, আমার জন্য খাবার কিছু করো না, অমনি সামান্য শরীর তত ভালো নয়।”

    দেবেন্দ্রর বাড়িতে ভক্তদের সঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ।
    দেবেন্দ্রর বাড়ির বৈঠকখানায় ভক্তদের মজলিস বসেছে। ঠাকুর ভক্তদের সঙ্গে সেখানে বসে আছেন। বৈঠকখানার ঘরটি একতলায়। সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছে, ঘরে আলো জ্বলছে।

    ঘরে উপস্থিত রয়েছেন — ছোট নরেন, রাম, মাস্টার, গিরিশ, দেবেন্দ্র, অক্ষয়, উপেন্দ্র প্রমুখ বহু ভক্ত।

    ঠাকুর একটি তরুণ ভক্তের দিকে চেয়ে আছেন এবং আনন্দে ভাসছেন। সেই ভক্তকে লক্ষ্য করে ভক্তদের উদ্দেশ্যে বলছেন —
    “তিনটে জিনিস একেবারেই নেই ওর — জমি, টাকা আর স্ত্রী।
    এই তিনটে জিনিসের উপর মন রাখলে ঈশ্বর-ভক্তি হয় না।

    আমি একবার ওকে দেখেছিলাম।”

    তারপর সেই ভক্তটির দিকে ফিরে ঠাকুর বললেন —
    “তোরে কি দেখেছিলাম, বল?”

  • Ramakrishna 451: ঠাকুর দেবেন্দ্রর বাড়ি যাইতেছেন দক্ষিণেশ্বরে

    Ramakrishna 451: ঠাকুর দেবেন্দ্রর বাড়ি যাইতেছেন দক্ষিণেশ্বরে

    ঠাকুর গাড়ি করিয়া নিমগড়, স্বামীর গলিতে, দেবেন্দ্রর বাড়িতে যাইতেছেন। সঙ্গে ছোট নরেন, মাস্টার, আরও দুই-একজন ভক্ত। পূর্ণর কথা কইতেছেন, পূর্ণর জন্য ব্যাকুল হইয়া আছেন।

    শ্রী রামকৃষ্ণ: খুব আস্থা। তা না হলে ওর জন্য চাকরি জুটিয়ে দিতেন? ও তো এসব কথা জানে না।

    শ্রীরামকৃষ্ণ মাস্টারের প্রতি “খুব আধার, তা না হলে ওর জন্য জপ করিয়ে নিলে — ও তো এসব কথা জানে না।”

    মাস্টার ও ভক্তেরা অবাক হয়ে শুনিতেছেন যে ঠাকুর পূর্ণর জন্য বীজমন্ত্র জপ করিয়াছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ: “আজ তাকে আনলেই হত, আনলে না কেন?”

    ছোট নরেনের হাসিতে কী আর! ঠাকুর-ভক্তেরা সকলে হেসে উঠিতেছেন। ঠাকুর আনন্দে তাহাকে দেখাইয়া মাস্টারকে বলিতেছেন:

    “দেখো দেখো, ন্যাকা ন্যাকা হাসে, যেন কিছু জানে না — কিন্তু মনের ভিতর কিছু নাই। তিনটি মনে নাই: কামিনী, কাঞ্চন। মন থেকে একেবারে না গেলে ভগবান-লাভ হয় না।”

    ঠাকুর দেবেন্দ্রর বাড়ি যাইতেছেন দক্ষিণেশ্বরে। দেবেন্দ্রকে একদিন বলিতে ছিলেন, “একদিন মনে করেছি তোমার বাড়িতে যাব।” দেবেন্দ্র বলিয়াছিলেন, “আমিও তাই বলবার জন্য আজ এসেছি। এই রবিবারে যেতে হবে।” ঠাকুর বলিলেন, “কিন্তু তোমার আয় কম, বেশি লোক বলো না, আর গাড়িভাড়া বড় বেশি।”

    দেবেন্দ্র হাসিয়া বলিয়াছিলেন, “তাই কম হলেই বা! ঋণং কৃত্বা ঘৃতং পিবেত্।” অর্থাৎ, ধার করে ঘি খাবে, ঘি খাওয়া চাই।

    ঠাকুর এই কথা শুনিয়া হাসিতে লাগলেন, হাসি আর থামেনা।

    কেউ পরে বাড়িতে পৌঁছাইয়া বলিতেছেন, “দেবেন্দ্র, আমার জন্য খাবার কিছু করো না, অমনি সামান্য শরীর তত ভালো নয়।”

  • Sanskrit Language: বিশ্বের বিস্ময় সংস্কৃত, অথচ ভারতেই উপেক্ষিত সেই ভাষা!

    Sanskrit Language: বিশ্বের বিস্ময় সংস্কৃত, অথচ ভারতেই উপেক্ষিত সেই ভাষা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংস্কৃত (Sanskrit Language), অতুলনীয় গণিতিক ও মানসিক পরিপূর্ণতার একটি ভাষা। এটি বিশ্বের সত্যিকারের বিস্ময়গুলির মধ্যে অন্যতম (World)। এর গভীর প্রভাব এবং অনন্য বৈশিষ্ট্য বৈশ্বিক স্বীকৃতি লাভ করেছে। কিন্তু মাতৃভূমি ভারতেই আজও যথাযথ স্বীকৃতির জন্য সংগ্রাম করছে এই ভাষা। মহর্ষি পাণিনি প্রাচীন ভারতের এক খ্যাতনামা সংস্কৃত ব্যাকরণবিদ, যুক্তিবিদ ও ভাষাবিদ। তিনি ঘোষণা করেছিলেন, “যে আমার ব্যাকরণ জানে, সে ঈশ্বরকেও জানে।” তিনি আরও বলেছিলেন, “যে ভাষার প্রকৃত উৎস পর্যন্ত পৌঁছতে চায়, সে অবশ্যম্ভাবীভাবে সর্বজ্ঞানে পৌঁছবে।” এই ঘোষণার সত্যতা আজও অটল। কারণ কোনও ভাষাই আধুনিক কম্পিউটেশনাল ভাষাবিজ্ঞানের সঙ্গে এত সুসংবদ্ধভাবে খাপ খায়নি, যতটা সংস্কৃত খাপ খায়। এর ব্যাকরণিক গঠন পদ্ধতিগত ও দ্ব্যর্থহীন হওয়ার কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে।

    সংস্কৃতের বৈশ্বিক স্বীকৃতি (Sanskrit Language)

    সংস্কৃতের বৈশ্বিক স্বীকৃতি নতুন কিছু নয়। ভারতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনকালে অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রতিভাবান পণ্ডিত স্যার উইলিয়াম জোন্স বাংলার ফোর্ট উইলিয়ামসের সুপ্রিম কোর্ট অফ জুডিকেচারের বিচারপতি হিসেবে ভারতে আসেন। তিনি মাত্র ছ’বছরের মধ্যেই ভাষাটি রপ্ত করে ফেলেছিলেন। তাঁর পর্যবেক্ষণ, “যে দেবনাগরী অক্ষরে সংস্কৃত লেখা হয়, তা প্রায় সমস্ত ধ্বনির প্রকাশের জন্য উপযুক্ত। প্রতিটি অক্ষরের রয়েছে স্থির এবং পরিবর্তনশীল উচ্চারণ।” সংস্কৃতের প্রশংসা করতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, “গ্রিকের চেয়ে অধিক পরিপূর্ণ, ল্যাটিনের চেয়ে অধিক সমৃদ্ধ এবং উভয়ের চেয়ে অধিক সূক্ষ্মরূপে শুদ্ধ; তবু এর শেকড় এবং ব্যাকরণিক রূপ উভয়ের সঙ্গেই এমন শক্তিশালী সাদৃশ্য বহন করে যা কেবল কাকতালীয় হতে পারে না। এতটাই শক্তিশালী যে কোনও ভাষাবিদ এদের পরীক্ষা করে এ কথা অস্বীকার করতে পারবেন না যে এদের উৎস সংস্কৃতের সঙ্গেই অভিন্ন।”

    ম্যাক্স মুলারের বক্তব্য

    জার্মান ভাষাবিজ্ঞানী ও প্রাচ্যবিদ ম্যাক্স মুলার বলেছিলেন, “যদি (Sanskrit Language) আমাকে জিজ্ঞাসা করা হয় কোন আকাশের নীচে মানব মস্তিষ্ক সর্বাধিক বিকশিত হয়েছে, সর্ববৃহৎ সমস্যাগুলি নিয়ে চিন্তা করেছে এবং তাদের মধ্যে কিছু সমস্যার সমাধানও খুঁজে পেয়েছে— এমনকি যাঁরা প্লেটো ও কান্টকেও অধ্যয়ন করেছেন তাঁদের কাছেও— তবে আমাকে ভারতের দিকেই ইঙ্গিত করতে হবে (World)।” মুলার ঋগ্বেদ অনুবাদ করেছিলেন। রচনা করেছিলেন “প্রাচীন সংস্কৃত সাহিত্যের ইতিহাস”। বর্তমানে সংস্কৃত পড়ানো হয় অস্ট্রেলিয়া, উত্তর আমেরিকা, বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, ব্রিটেন, ফ্রান্স, ফিনল্যান্ড, জার্মানি, ইতালি, রাশিয়া, নরওয়ে, নেদারল্যান্ডস, সুইজারল্যান্ড, জাপান, থাইল্যান্ড এবং চিনেও। এর এই বৈশ্বিক প্রবণতা ভারতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে। সেটি হল, দেশে সংস্কৃত প্রচার ও প্রসারে আরও দৃঢ় প্রতিশ্রুতি গড়ে তোলার। ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিকভাবে, সংস্কৃতকে গ্রিক, ল্যাটিন এবং পার্সি ভাষার দিদি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। একে আত্মীয় বলা হয় ইংরেজি, ফরাসি ও রুশ ভাষার।

    জওহরলাল নেহরুর বক্তব্য

    ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু বলেছিলেন, “যদি আমাকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে ভারতের সর্বশ্রেষ্ঠ সম্পদ কী এবং তার সবচেয়ে গৌরবময় ঐতিহ্য কোনটি, তবে আমি নির্দ্বিধায় উত্তর দেব— সেটি হল সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্য এবং এর সমস্ত দাবি। এটি এক মহিমান্বিত উত্তরাধিকার, এবং যতদিন এটি টিকে থাকবে ও আমাদের জাতির জীবনে প্রভাব বিস্তার করবে, ততদিন ভারতের মৌলিক প্রতিভা অটুট থাকবে (World)।” সংস্কৃত সমস্ত ইন্দো-আর্য ভাষার জননী (Sanskrit Language)। এই পবিত্র ভাষায়ই রচিত হয়েছিল চারটি বেদ, পুরাণ, উপনিষদ, বাল্মীকির রামায়ণ, বেদব্যাসের মহাভারত এবং ভগবদ্ গীতা। স্বামী বিবেকানন্দ ভগবদ্ গীতা সম্পর্কে বলেছিলেন, “এটি উপনিষদের উদ্যান থেকে তোলা সুন্দর ফুলের তোড়া।” জাতির জনক মহাত্মা গান্ধী প্রতিদিন ভগবদ্ গীতা পাঠ করতেন। তিনি বলেছিলেন, “যদি আমি গীতা অধ্যয়ন না করতাম, তবে ভারতের স্বাধীনতার সংগ্রামে সাহস না দেখাতে পারায় আমি পাগল হয়ে যেতাম।” কালিদাস, বাণভট্ট ও দণ্ডীর শাস্ত্রীয় রচনাগুলিও সংস্কৃত ভাষায় রচিত হয়েছিল। শঙ্করাচার্য, রামানুজ, মাধবাচার্য এবং বল্লভাচার্যের গভীর শিক্ষাগুলিও প্রকাশ পেয়েছিল সংস্কৃতে।

    কেন বিশ্বের বিস্ময়

    বিশ্বখ্যাত আধ্যাত্মিক নেতা এবং ক্রিয়া যোগের দূত পরমহংস যোগানন্দ সংস্কৃতের মানবদেহের ওপর গভীর প্রভাবের কথা বলতে গিয়ে বলেছিলেন, “সংস্কৃত বর্ণমালার ৫০টি ধ্বনি ‘সহস্রার’ (মস্তিষ্কে অবস্থিত সহস্রদল পদ্ম, যা মহাজাগতিক শক্তি গ্রহণের কেন্দ্র) এর পাপড়িতে বিদ্যমান। সংস্কৃত বর্ণমালার ধ্বনিগুলি আমাদের শারীরিক দেহের ৭২,০০০ ‘নাড়ি’ (স্নায়ু) কে প্রভাবিত করে (Sanskrit Language)।” সংস্কৃতকে কেন বিশ্বের বিস্ময়গুলির মধ্যে একটি বলা হয়, তার উত্তর পেতে গেলে আমাদের পড়তে হবে সপ্তদশ শতকের কাঞ্চিপুরমের কবি ভেঙ্কটাধ্বরির অসাধারণ লেখনীটি। তিনি “রাঘব্যাদ্বীয়ম্” নামে একটি অনন্য গ্রন্থ রচনা করেছিলেন। বইটিতে মাত্র ৩০টি শ্লোক (দ্বিপদী) ছিল। এই রচনাটি বিস্ময়কর। কারণ, যখন শ্লোকগুলি বাম থেকে ডানদিকে (অনুলোমে) পড়া হয়, তখন সেখানে রামকথা বর্ণিত হয় (World)। আর একই শ্লোকগুলিকে ডান থেকে বাঁদিকে (বিলোমে) পড়া হলে সেখানে কৃষ্ণকথা বর্ণিত হয়। অর্থাৎ, মাত্র ৩০টি শ্লোক থেকে তিনি সৃষ্টি করেছিলেন ৬০টি ভিন্ন কাহিনি (Sanskrit Language)।

  • Ramakrishna 450: ঠাকুর আনন্দে তাহাকে দেখাইয়া মাস্টারকে বলিতেছেন, দেখো দেখো, ন্যাকা ন্যাকা হাসে

    Ramakrishna 450: ঠাকুর আনন্দে তাহাকে দেখাইয়া মাস্টারকে বলিতেছেন, দেখো দেখো, ন্যাকা ন্যাকা হাসে

    ছোট নরেন পশ্চিমের বারান্দার উত্তর কোণে ঠাকুরের পা ধুয়ে দিচ্ছেন। কাছে মাস্টার দাঁড়িয়ে আছেন।

    শ্রী রামকৃষ্ণ: তুমি কেমন করে ওই টুকুর ভিতর থাকো? উপরের ঘরে গরম হয় না?

    মাস্টার: আজ্ঞে হ্যাঁ, খুব গরম হয়।

    শ্রী রামকৃষ্ণ: তাতে পরিবারের মাথার অসুখ। ঠান্ডায় রাখবে?

    মাস্টার: আজ্ঞে হ্যাঁ, বলে দিয়েছি নিচের ঘরে শুতে।

    ঠাকুর বৈঠকখানার ঘরে আবার আসিয়া বসে আছেন ও মাস্টারকে বলিতেছেন— “তুমি এ রবিবারেও যাও নাই কেন?”

    মাস্টার:আগে বাড়িতে তো আর কেউ নাই। তাতে আবার ব্যারাম, কেউ দেখবার নেই।

    ঠাকুর গাড়ি করিয়া নিমগড়, স্বামীর গলিতে, দেবেন্দ্রর বাড়িতে যাইতেছেন। সঙ্গে ছোট নরেন, মাস্টার, আরও দুই-একজন ভক্ত। পূর্ণর কথা কইতেছেন, পূর্ণর জন্য ব্যাকুল হইয়া আছেন।

    শ্রী রামকৃষ্ণ: খুব আস্থা। তা না হলে ওর জন্য চাকরি জুটিয়ে দিতেন? ও তো এসব কথা জানে না।

    শ্রীরামকৃষ্ণ মাস্টারের প্রতি
    “খুব আধার, তা না হলে ওর জন্য জপ করিয়ে নিলে — ও তো এসব কথা জানে না।”

    মাস্টার ও ভক্তেরা অবাক হয়ে শুনিতেছেন যে ঠাকুর পূর্ণর জন্য বীজমন্ত্র জপ করিয়াছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ: “আজ তাকে আনলেই হত, আনলে না কেন?”

    ছোট নরেনের হাসিতে কী আর! ঠাকুর-ভক্তেরা সকলে হেসে উঠিতেছেন। ঠাকুর আনন্দে তাহাকে দেখাইয়া মাস্টারকে বলিতেছেন:

    “দেখো দেখো, ন্যাকা ন্যাকা হাসে, যেন কিছু জানে না — কিন্তু মনের ভিতর কিছু নাই।
    তিনটি মনে নাই: কামিনী, কাঞ্চন। মন থেকে একেবারে না গেলে ভগবান-লাভ হয় না।”

  • Ramakrishna 449: ঠাকুর গাড়ি করিয়া নিমগড়, স্বামীর গলিতে, দেবেন্দ্রর বাড়িতে যাইতেছেন

    Ramakrishna 449: ঠাকুর গাড়ি করিয়া নিমগড়, স্বামীর গলিতে, দেবেন্দ্রর বাড়িতে যাইতেছেন

    শ্রী রামকৃষ্ণ (পল্টুর প্রতি):— তুই তোর বাবাকে কী বললি?

    (মাস্টারের প্রতি)— ও নাকি ওর বাবাকে জবাব দিয়েছে এখানে আসবার কথায়।

    (পল্টুর প্রতি) — তুই কী বললি, পল্টু?

    পল্টু: — বলেছিলাম, “হ্যাঁ, আমি তার (ঠাকুরের) কাছে যাই। এতে কোনো অন্যায় দেখি না।”

    (ঠাকুর ও মাস্টার হেসে ওঠেন)

    পল্টু (দৃঢ়ভাবে):— যদি দরকার হয়, আরও বেশি করে বলব।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (মাস্টারের প্রতি): না কিগো, অত দূর?

    মাস্টার: আজ্ঞে, না — অত দূর ভালো নয়। (ঠাকুরের হাস্য)

    শ্রীরামকৃষ্ণ (বিনোদের প্রতি): তুই কেমন আছিস? সেখানে গেলি না?

    বিনোদ: আগে যাচ্ছিলাম, আবার ভয় — গেলাম না। একটু অসুখ করেছে, শরীর ভালো নয়।

    শ্রীরামকৃষ্ণ: জনা, সেইখানে বেশ হওয়া সেরে যাবি।

    ছোট নরেন আছেন। ঠাকুর মুখ ধুতে যেতে চান। ছোট নরেন গামছা নিয়ে ঠাকুরকে জল দিতে গেলেন। মাস্টারও সঙ্গে সঙ্গে আছেন।

    ছোট নরেন পশ্চিমের বারান্দার উত্তর কোণে ঠাকুরের পা ধুয়ে দিচ্ছেন। কাছে মাস্টার দাঁড়িয়ে আছেন।

    শ্রী রামকৃষ্ণ: তুমি কেমন করে ওই টুকুর ভিতর থাকো?
    উপরের ঘরে গরম হয় না?

    মাস্টার: আজ্ঞে হ্যাঁ, খুব গরম হয়।

    শ্রী রামকৃষ্ণ: তাতে পরিবারের মাথার অসুখ। ঠান্ডায় রাখবে?

    মাস্টার: আজ্ঞে হ্যাঁ, বলে দিয়েছি নিচের ঘরে শুতে।

    ঠাকুর বৈঠকখানার ঘরে আবার আসিয়া বসে আছেন ও মাস্টারকে বলিতেছেন— “তুমি এ রবিবারেও যাও নাই কেন?”

    মাস্টার:আগে বাড়িতে তো আর কেউ নাই। তাতে আবার ব্যারাম, কেউ দেখবার নেই।

    ঠাকুর গাড়ি করিয়া নিমগড়, স্বামীর গলিতে, দেবেন্দ্রর বাড়িতে যাইতেছেন।
    সঙ্গে ছোট নরেন, মাস্টার, আরও দুই-একজন ভক্ত।
    পূর্ণর কথা কইতেছেন, পূর্ণর জন্য ব্যাকুল হইয়া আছেন।

    শ্রী রামকৃষ্ণ: খুব আস্থা।
    তা না হলে ওর জন্য চাকরি জুটিয়ে দিতেন?
    ও তো এসব কথা জানে না।

  • Kaushiki Amavasya: আজ কৌশিকী অমাবস্যার নিশিপালন, এই বিশেষ তিথিতে সিদ্ধিলাভ করেছিলেন সাধক বামাক্ষ্যাপা

    Kaushiki Amavasya: আজ কৌশিকী অমাবস্যার নিশিপালন, এই বিশেষ তিথিতে সিদ্ধিলাভ করেছিলেন সাধক বামাক্ষ্যাপা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাদ্র মাসের শুরুতেই যে অমাবস্যা, সেটাই কৌশিকী অমাবস্যা (Kaushiki Amavasya) নামে পরিচিত। আজ, শুক্রবার ২২ অগাস্ট (বাংলা ১৪৩২ সালের ৫ ভাদ্র) কৌশিকী অমাবস্যা। এদিন তিথি শুরু হবে বেলা ১১টা ৫৫ মিনিট থেকে। সেই হিসেবে শুক্রবারই অমাবস্যার নিশিপালন। অমাবস্যা তিথি শেষ হবে শনিবার ২৩ অগাস্ট। সেদিন সকাল ১২টা ২২ মিনিটে অমাবস্যা ছাড়ছে। কথিত আছে, এই কৌশিকী আমাবস্যার রাতে তারাপীঠের মহাশ্মশানের শ্বেতশিমূল গাছের নীচে সাধনা করে মা তারার দর্শন পেয়ে সাধনায় সিদ্ধিলাভ করেছিলেন সাধক বামাক্ষ্যাপা। সেই উপলক্ষে প্রতি বছর এই দিনটিতে কয়েক লক্ষ পুণ্যার্থীর ভিড় হয় তারাপীঠে। তারই শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। কৌশিকী অমাবস্যা উপলক্ষে তারাপীঠে লক্ষাধিক ভক্তের সমাগম হয়। অপ্রতিকর ঘটনা আটকাতে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নিরাপত্তায় নিযুক্ত থাকবেন পুলিশের ৫০০ আধিকারিক-সহ ১৫০০ জন পুলিশকর্মী এবং ২০০০ সিভিক কর্মী।

    পৌরাণিক কাহিনি

    এই পুজোর সঙ্গে জড়িত আছে নানা পৌরাণিক কাহিনি। মার্কণ্ডেয় পুরাণ সূত্র থেকে জানা যায়, মহাপরাক্রমী দৈত্য ভ্রাতৃদ্বয় শুম্ভ ও নিশুম্ভ ব্রহ্মাদেবের পরম ভক্ত ছিলেন। সাধনায় তুষ্ট ভগবান ব্রহ্মা ওদের বর দিয়ে বলেন, তোমরা ত্রিভুবনে অবধ্য হবে। তবে কখনও যদি কোনও অযোনিসম্ভবা নারীর সঙ্গে তোমাদের সংঘাত ঘটে তবে ওই নারীর দ্বারাই তোমরা নিহত হবে। এই কথাগুলি স্মরণে রেখো। ব্রহ্মার বরে বলীয়ান শুম্ভ নিশুম্ভ ভাবল ত্রিভুবনে এমন কোনও নারীই জন্মাতে পারে না যে মাতৃগর্ভজাত নয়। অতএব তারা অমর, এই বিষয়ে কোনও সন্দেহের অবকাশ নেই। এরপর দানব ভ্রাতৃদ্বয় প্রথমেই স্বর্গরাজ্য আক্রমণ করল। ভীত দেবকুল তখন শুম্ভ-নিশুম্ভর হাত থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য দেবাদিদেব মহাদেবের শরণাপন্ন হয়।

    দেবী কৌশিকীর জন্ম…

    মহাদেব (Lord Shiva) ঠাট্টার ছলে ঘোর কৃষ্ণবর্ণা পার্বতীকে (Goddess Parvati) ডেকে বলেন, ‘হে কালিকে, তুমি এই বিপদ থেকে দেবতাদের রক্ষা করো।’ জনসমক্ষে পতিমুখে কালিকে সম্বোধন শুনে দেবী পার্বতী অত্যন্ত মর্মাহত হন। তৎক্ষণাৎ মানস সরোবরে গিয়ে নিজেকে অভিষিক্ত করে নিজ গাত্রের সকল কৃষ্ণবর্ণ কোষগুলিকে পরিত্যাগ করে এক অসামান্যা সুবর্ণ রূপ ধারণ করে পুনঃপ্রকটিতা হন। অন্যদিকে, পার্বতীর ফেলা শরীরকোষ থেকে আর এক দেবী আবির্ভুত হন। সেই দেবী কৌশিকী নামে পরিচিত। দেবী কৌশিকীর আবির্ভাবের পর দেবী ভগবতী কৃষ্ণবর্ণ ধারণ করেন এবং দেবী কালিকা বা কালী নামে পরিচয় লাভ করেন। দেবী কৌশিকী অযোনিসম্ভবা ছিলেন, সেই কারণে কৌশিকী দেবীই শুম্ভ ও নিশুম্ভকে বধ করেন। যুদ্ধকালীন সময়ে দেবী কৌশিকীর শরীর থেকে হাজারও যোদ্ধা সৃষ্ট হয় এবং তারাই সমগ্র অসুরকুলকে বিনাশ করে দেয়। এই ঘটনাটি ভাদ্র অমাবস্যায় ঘটায়, পরবর্তীকালে এটি কৌশিকী অমাবস্যা নামে ধরাধামে খ্যাত হয়।

    বিশ্বাস, তন্ত্রমত ও শাস্ত্র মতে পুজো

    ভাদ্র মাসের এই কৌশিকী অমাবস্যা তিথি যে সকল মানুষ ধর্ম, তন্ত্র, মন্ত্র, সাধনা এবং ঈশ্বর বিশ্বাসী তাদের কাছে বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ। কৌশিকী অমাবস্যার সঙ্গে তারাপীঠের অঙ্গাঅঙ্গি সম্পর্ক। বিশ্বাস, তন্ত্রমতে ও শাস্ত্র মতে ভাদ্রমাসের এই বিশেষ তিথিতে নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে দেবীর পুজো করলে মেলে সুফল। তন্ত্রশাস্ত্র মতে গুপ্ত সাধনা ও কঠিন সাধনার বলে অনেকেই এই বিশেষ দিনে কাঙ্খিত ফল পান। কৌশিকী অমাবস্যার পবিত্র লগ্নে তারাপীঠ মন্দিরে, বিশেষ উপাচারে পুজো করা হয় তারা মায়ের৷ তন্ত্র মতে, এই রাতকে ‘তারা রাত্রি’ও বলা হয়। বিশ্বাস, এক বিশেষ মুহূর্তে স্বর্গ ও নরক দুইয়ের দরজা মুহূর্তের জন্য খোলে ও সাধক নিজের ইচ্ছা মতো ধনাত্মক অথবা ঋণাত্মক শক্তি সাধনার মধ্যে আত্মস্থ করেন ও সিদ্ধিলাভ করেন।

    বামাক্ষ্যাপাকে দর্শন দিয়েছিলেন মা তারা

    আবার কৌশিকী অমাবস্যার এই তিথিতে তন্ত্র সাধনার এক বিশেষ রাতে। কথিত আছে, ওই অমাবস্যা তিথিতেই সাধক বামাক্ষ্যাপাকে দেবী কৌশিকী ‘তারা’ নামে তারাপীঠ (Tarapith) মহাশ্মশানে দর্শন দিয়েছিলেন। অমাবস্যার এই বিশেষ তিথিতে সাধক বামাক্ষ্যাপা (Sadhak Byamakhyapa) তারাপীঠের মহাশ্মশানের শ্বেতশিমূল গাছের তলায় মা তারার (Tara Maa) আরাধনা করে সিদ্ধিলাভ করেছিলেন। লোকমুখে প্রচলিত কাহিনি সূত্রে শোনা যায়, দেবী কৌশিকী ‘তারা’ নামে ওই বিশেষ অমাবস্যায় তারাপীঠ মহাশ্মশানে বিরাজিতা থাকেন। সেই কারণে তারাপীঠ মহাশ্মশানে ওই দিন লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাবেশ ঘটে। ভক্তগণের বিশ্বাস, ওই দিন মাকে পুজো করলে মা ভক্তগণের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করে দেন।

    দ্বারকা নদীতে স্নান করলে পুণ্যলাভ হয়

    দেবী কৌশিকী এবং তারা মা অভিন্ন বলে বিশ্বাস ভক্তদের। অনেকেই বিশ্বাস করেন, এই দিন মা তারার পুজো দিলে এবং দ্বারকা নদীতে স্নান করলে পুণ্যলাভ হয় এবং কুম্ভস্নান করা হয়। বিশেষ এই তিথিতে তারাপীঠে তারা মায়ের পুজো করলে সকল মনের ইচ্ছে পূরণ হয়। এই বিশ্বাসে আজও ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ ওই দিনটিতে তারাপীঠে ছুটে আসেন। কৌশিকী অমাবস্যার দিন বাড়ি রাখুন পরিচ্ছন্ন। পুরনো ছেঁড়া কোনও জামাকাপড় থাকলে তা ফেলে দিন। সন্ধ্যের পর বাড়ির তুলসী মঞ্চে তিলের প্রদীপ জ্বালালে তা সংসারে কোনও নেতিবাচক শক্তি প্রবেশ করতে দেয় না। এই তিথি কেবলমাত্র হিন্দুশাস্ত্রে নয়, বৌদ্ধ শাস্ত্রেও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।

  • Ramakrishna 448: ছোট নরেন গামছা নিয়ে ঠাকুরকে জল দিতে গেলেন, মাস্টারও সঙ্গে সঙ্গে আছেন

    Ramakrishna 448: ছোট নরেন গামছা নিয়ে ঠাকুরকে জল দিতে গেলেন, মাস্টারও সঙ্গে সঙ্গে আছেন

    মাস্টার বলিতেছেন, এই ছেলেটি বেশ ঈশ্বরের কথায় খুব আনন্দ

    শ্রীরামকৃষ্ণ সহাস্যে- চোখ দুটি যেন হরিণের মতো

    ছেলেটি ঠাকুরের পায়ে হাত দিয়ে ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম করিল ও অতি ভক্তিভাবে ঠাকুরের পথ সেবা ঠাকুর ভক্তদের কথা কহিতেছেন

    শ্রীরামকৃষ্ণ- মাস্টার কি রাখালের বাড়িতে আছে। তারও শরীর ভালো নয়। ফোড়া হয়েছে একটি ছেলে বুঝি তার হবে শুনলাম

    পল্টু ও বিনোদ সম্মুখে বসে আছেন

    শ্রী রামকৃষ্ণ (পল্টুর প্রতি):— তুই তোর বাবাকে কী বললি?

    (মাস্টারের প্রতি)— ও নাকি ওর বাবাকে জবাব দিয়েছে এখানে আসবার কথায়।

    (পল্টুর প্রতি) — তুই কী বললি, পল্টু?

    পল্টু: — বলেছিলাম, “হ্যাঁ, আমি তার (ঠাকুরের) কাছে যাই। এতে কোনো অন্যায় দেখি না।”

    (ঠাকুর ও মাস্টার হেসে ওঠেন)

    পল্টু (দৃঢ়ভাবে):— যদি দরকার হয়, আরও বেশি করে বলব।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (মাস্টারের প্রতি):
    না কিগো, অত দূর?

    মাস্টার:
    আজ্ঞে, না — অত দূর ভালো নয়।
    (ঠাকুরের হাস্য)

    শ্রীরামকৃষ্ণ (বিনোদের প্রতি):
    তুই কেমন আছিস? সেখানে গেলি না?

    বিনোদ: আগে যাচ্ছিলাম, আবার ভয় — গেলাম না। একটু অসুখ করেছে, শরীর ভালো নয়।

    শ্রীরামকৃষ্ণ: জনা, সেইখানে বেশ হওয়া সেরে যাবি।

    ছোট নরেন আছেন। ঠাকুর মুখ ধুতে যেতে চান। ছোট নরেন গামছা নিয়ে ঠাকুরকে জল দিতে গেলেন। মাস্টারও সঙ্গে সঙ্গে আছেন।

    ছোট নরেন পশ্চিমের বারান্দার উত্তর কোণে ঠাকুরের পা ধুয়ে দিচ্ছেন। কাছে মাস্টার দাঁড়িয়ে আছেন।

  • Ramakrishna 447: শ্রী রামকৃষ্ণ (পল্টুর প্রতি):— তুই তোর বাবাকে কী বললি?

    Ramakrishna 447: শ্রী রামকৃষ্ণ (পল্টুর প্রতি):— তুই তোর বাবাকে কী বললি?

    মাস্টার: – “আজ্ঞে হ্যাঁ, কথা হয়েছিল। সে ৪–৫ দিন ধরে বলছে, ‘ঈশ্বরচিন্তা করতে গেলেই আর তাঁর নাম জপ করতে গেলেই চোখ দিয়ে জল পড়ে, রোমাঞ্চ হয়’ — এইসব লক্ষণ দেখা যায়।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ: – “তবে আর কী?”

    ঠাকুর চুপ করে থাকেন। মাস্টার কিছুক্ষণ পরে আবার বলতে শুরু করেন —

    মাস্টার: – “সে দাঁড়িয়ে আছে।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ: – “কে?”

    মাস্টার: – “পূর্ণ — তার বাড়ির দরজার কাছেই বোধহয় দাঁড়িয়ে আছে। আমরা কেউ গেলে দৌড়ে আসবে, এসে আমাদের নমস্কার করবে — তারপর চলে যাবে।”

    শ্রী রামকৃষ্ণ- আহা আহা

    ঠাকুর তাকিয়ায় হেলান দিয়া বিশ্রাম করিতেছেন। মাস্টারের সঙ্গে একটি দ্বাদশ বর্ষীয় বালক আশি আছে মাস্টারের স্কুলে পড়ে নাম ক্ষীরোদ।

    মাস্টার বলিতেছেন, এই ছেলেটি বেশ ঈশ্বরের কথায় খুব আনন্দ
    শ্রীরামকৃষ্ণ সহাস্যে- চোখ দুটি যেন হরিণের মতো

    ছেলেটি ঠাকুরের পায়ে হাত দিয়ে ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম করিল ও অতি ভক্তিভাবে ঠাকুরের পথ সেবা ঠাকুর ভক্তদের কথা কহিতেছেন

    শ্রীরামকৃষ্ণ- মাস্টার কি রাখালের বাড়িতে আছে। তারও শরীর ভালো নয়। ফোড়া হয়েছে একটি ছেলে বুঝি তার হবে শুনলাম

    পল্টু ও বিনোদ সম্মুখে বসে আছেন

    শ্রী রামকৃষ্ণ (পল্টুর প্রতি):— তুই তোর বাবাকে কী বললি?

    (মাস্টারের প্রতি)— ও নাকি ওর বাবাকে জবাব দিয়েছে এখানে আসবার কথায়।

    (পল্টুর প্রতি)
    — তুই কী বললি, পল্টু?

    পল্টু: — বলেছিলাম, “হ্যাঁ, আমি তার (ঠাকুরের) কাছে যাই। এতে কোনো অন্যায় দেখি না।”

    (ঠাকুর ও মাস্টার হেসে ওঠেন)

    পল্টু (দৃঢ়ভাবে):— যদি দরকার হয়, আরও বেশি করে বলব।

  • Ramakrishna 446: ঠাকুর তাকিয়ায় হেলান দিয়া বিশ্রাম করিতেছেন

    Ramakrishna 446: ঠাকুর তাকিয়ায় হেলান দিয়া বিশ্রাম করিতেছেন

    মাস্টার: সেই যে আপনি বলেছিলেন, সামান্য আধার হলে ভাব সংবরণ করতে পারে না; বড় আধার হলে ভিতরে খুব ভাব হয়, কিন্তু বাইরে প্রকাশ থাকে না। যেমন বলেছিলেন—সাইয়ের দিঘিতে হাতি নামলে টের পাওয়া যায় না, কিন্তু ডোবাতে নামলে তোলপাড় হয়ে যায় আর পাড়ের উপর জল উপচে পড়ে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ: – “বাহিরে ভাব হলেই তো হবে না। তার আকর আলাদা চাই। আর সব লক্ষণ ভালো, তা ঠিক, কিন্তু…”

    মাস্টার: – “চোখদুটো বেশ উজ্জ্বল — যেন ঠেলে বেরিয়ে আসছে।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ: – “চোখ উজ্জ্বল হলেই হয় না। তবে ঈশ্বরীয় চোখ আলাদা। আচ্ছা, তাকে কিছু জিজ্ঞাসা করেছিলে?”

    মাস্টার: – “আজ্ঞে হ্যাঁ, কথা হয়েছিল। সে ৪–৫ দিন ধরে বলছে, ‘ঈশ্বরচিন্তা করতে গেলেই আর তাঁর নাম জপ করতে গেলেই চোখ দিয়ে জল পড়ে, রোমাঞ্চ হয়’ — এইসব লক্ষণ দেখা যায়।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ: – “তবে আর কী?”

    ঠাকুর চুপ করে থাকেন। মাস্টার কিছুক্ষণ পরে আবার বলতে শুরু করেন —

    মাস্টার: – “সে দাঁড়িয়ে আছে।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ: – “কে?”

    মাস্টার: – “পূর্ণ — তার বাড়ির দরজার কাছেই বোধহয় দাঁড়িয়ে আছে। আমরা কেউ গেলে দৌড়ে আসবে, এসে আমাদের নমস্কার করবে — তারপর চলে যাবে।”

    শ্রী রামকৃষ্ণ- আহা আহা

    ঠাকুর তাকিয়ায় হেলান দিয়া বিশ্রাম করিতেছেন। মাস্টারের সঙ্গে একটি দ্বাদশ বর্ষীয় বালক আশি আছে মাস্টারের স্কুলে পড়ে নাম ক্ষীরোদ।

    মাস্টার বলিতেছেন, এই ছেলেটি বেশ ঈশ্বরের কথায় খুব আনন্দ
    শ্রীরামকৃষ্ণ সহাস্যে- চোখ দুটি যেন হরিণের মতো

    ছেলেটি ঠাকুরের পায়ে হাত দিয়ে ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম করিল ও অতি ভক্তিভাবে ঠাকুরের পথ সেবা ঠাকুর ভক্তদের কথা কহিতেছেন

    শ্রীরামকৃষ্ণ- মাস্টার কি রাখালের বাড়িতে আছে। তারও শরীর ভালো নয়। ফোড়া হয়েছে একটি ছেলে বুঝি তার হবে শুনলাম

    পল্টু ও বিনোদ সম্মুখে বসে আছেন

LinkedIn
Share