Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Bangladesh Border: জঙ্গি যোগ! বাংলাদেশ সীমান্তে ধরা পড়ল উর্দু ও আরবিতে সন্দেহজনক ‘কোড’ বার্তা

    Bangladesh Border: জঙ্গি যোগ! বাংলাদেশ সীমান্তে ধরা পড়ল উর্দু ও আরবিতে সন্দেহজনক ‘কোড’ বার্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ সীমান্তে (Bangladesh Border) উর্দু এবং আরবি ভাষায় সন্দেহজনক সিগন্যাল ধরা পড়ল। এতেই বেড়েছে উদ্বেগ। আধিকারিকদের উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআই এ নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানেই জানানো হয়েছে, মাসদুয়েক ধরে রাতের দিকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় সেরকম সিগন্যালের হদিশ পেয়েছেন অপেশাদার হ্যাম রেডিয়োর অপারেটররা। জানা গিয়েছে, বাংলা (বাংলাদেশি টানে), উর্দু এবং আরবিতে সাংকেতিক ভাষায় সেইসব সিগন্যাল ধরা পড়েছে। এতেই উদ্বেগ আরও বেড়েছে।

    জঙ্গি কার্যকলাপ নিয়ে উদ্বেগ 

    প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে (Bangladesh Border) এখন যা অবস্থা এবং যেভাবে সে দেশে ভারত-বিরোধী মনোভাব তৈরি হয়েছে, সেই পরিস্থিতিতে সাংকেতিক ভাষায় ওইসব সন্দেহজনক সিগন্যাল ধরা পড়ায় জঙ্গি কার্যকলাপ নিয়ে ব্যাপক উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যে বিষয়টি নজরে এসেছে কেন্দ্রীয় সরকারের। সংশ্লিষ্ট সমস্ত মহলকে করা হয়েছে সতর্ক। পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ডিসেম্বরে সেই সাংকেতিক ভাষায় সিগন্যালের বিষয়টি সামনে এসেছে। জানা যাচ্ছে, উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট ও বনগাঁ এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন এলাকায় সাংকেতিক ভাষায় বাংলা, উর্দু ও আরবি এরকম অনুমোদনহীন সিগন্যালের হদিশ মিলেছে। এরপরেই তা তড়িঘড়ি জানানো হয় কেন্দ্রীয় সরকারকে। এরপরেই ট্র্যাকিংয়ের জন্য বিষয়টি পাঠানো হয় কলকাতায় ইন্টারন্যাশনাল মনিটরিং স্টেশনের (রেডিও) কাছে। ভবিষ্যতে আবারও এরকম সিগন্যালের হদিশ মিললে তা সঙ্গে সঙ্গে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    রাত ১ টা থেকে রাত ৩ টের মধ্যে সিগন্যাল

    এ প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ (Bangladesh Border) রেডিও ক্লাবের এক শীর্ষ পদাধিকারী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘রাত একটা থেকে রাত তিনটের মধ্যে সেই সন্দেহজনক সিগন্যাল ধরা পড়েছে। মূলত বাংলা (বাংলাদেশি ধাঁচে কথা), উর্দু ও আরবি ভাষায় সেই সাংকেতিক বার্তা ছিল। কখনও কখনও এমন কোনও (Ham Radio) ভাষায় সিগন্যাল ধরা পড়েছে, যেটা আমরা বুঝতে পারিনি। যখনই আমরা ওই লোকজনকে নিজেদের পরিচয় দিতে বলেছি, তখনই ওরা চুপ করে গিয়েছে।’’

    প্রথম এমন সিগন্যাল ধরা পড়েছিল সোদপুরে

    পিটিআইয়ের তরফে প্রকাশ করা ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গ (Bangladesh Border) রেডিও ক্লাবের ওই পদাধিকারী জানিয়েছেন যে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুরে প্রথমবার এমন সিগন্যাল ধরা পড়েছিল। তাঁর কথায়, ‘‘প্রাথমিকভাবে আমরা তেমন গুরুত্ব দিইনি। কিন্তু তারপর একইরকম সিগন্যাল ধরা পড়েছে বসিরহাট, বনগাঁ এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা থেকেও। জানুয়ারির মাঝামাঝি যখন গঙ্গাসাগর মেলা হচ্ছিল, তখনও একাধিক হ্যাম রেডিয়ো ব্যবহারকারী এরকম সন্দেহজনক সিগন্যালের হদিশ পাওয়ার কথা জানিয়েছেন।’’

    কেন উদ্বেগ ছড়াচ্ছে এমন সিগন্যাল?

    কিন্তু কেন ওইসব সিগন্যাল নিয়ে সন্দেহপ্রকাশ করা হচ্ছে, সেটাও সংবাদমাধ্যমের সামনে ব্যাখ্যা করেছেন পশ্চিমবঙ্গ (Bangladesh Border) রেডিও ক্লাবের ওই পদাধিকারী। সংবাদসংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, তিনি জানিয়েছেন যে হ্যাম রেডিও ব্যবহাকারীদের ক্ষেত্রে যে বিশ্বব্যাপী নিয়ম আছে, সেটা কোনওভাবেই মানা হচ্ছে না এক্ষেত্রে। এরকম ক্ষেত্রে তৃতীয় পক্ষকে নিজেদের ‘রেডিও আইডেন্টিফিকেশন কোড’ বা ‘রেডিও কল সাইন’ দিয়ে পরিচয় দিতে হয়। কিন্তু এইসব ঘটনার ক্ষেত্রে পরিচয় জানতে চাওয়া হলেই সব কিছু স্তব্ধ হয়ে যাচ্ছে।

    এরকম সিগন্যাল উদ্বেগের, জানাচ্ছেন বিএসএফের

    এমন পরিস্থিতিতে ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ রেডিও ক্লাবের ওই পদাধিকারীর বাড়িতে এসেছেন ভারতের সুরক্ষা এজেন্সির এক আধিকারিক। তবে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তিনি। তবে ভারতীয় সুরক্ষা বাহিনী বিএসএফের তরফে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। বিএসএফের এক শীর্ষ আধিকারিক এবিষয়ে জানিয়েছেন, এরকম সিগন্যালের বিষয়টি উদ্বেগের।

    জঙ্গি সংগঠনগুলি মাঝেমধ্যেই হ্যাম রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করে 

    ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, পাচারকারী এবং জঙ্গি সংগঠনগুলি মাঝেমধ্যেই হ্যাম রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করে থাকে। কারণ মোবাইল নেটওয়ার্ক বা মোবাইলের তুলনায় হ্যাম রেডিও-র যোগাযোগের ওপরে নজরদারি চালানো কঠিন। উল্লেখযোগ্যভাবে আরও ভয়ঙ্কর তথ্য উঠে এসেছে। জানা যাচ্ছে, ২০০২-০৩ সালে এরকম সন্দেহজনক সিগন্যাল ধরা পড়েছিল। তখন অভিযান চালিয়ে ছয় উগ্রপন্থীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ রেডিও ক্লাবের ওই পদাধিকারী।

    জঙ্গি কার্যকলাপ বেড়েছে বাংলাদেশে

    প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ৫ অগাস্টের পর থেকেই ব্যাপক উত্তপ্ত বাংলাদেশ। প্রতিটি জেলায় দাপট দেখাচ্ছে মৌলবাদীরা। লাগাতার ওপার বাংলা থেকে দেওয়া হচ্ছে হিংসায় উসকানি। জঙ্গি গতিবিধির ব্যাপক হদিশও মিলেছে। এই পরিস্থিতিতে এমন সন্দেহজনক সঙ্কেত মেলায় চিন্তা বেড়েছে সরকারের। এই সঙ্কেত ট্র্যাকিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছে কলকাতায় ইন্টারন্যাশনাল মনিটরিং স্টেশনে।

  • VHP: ছ’মাসে ৬৬ হাজার হিন্দুকে রক্ষা করেছে ভিএইচপি, দাবি সংগঠনের

    VHP: ছ’মাসে ৬৬ হাজার হিন্দুকে রক্ষা করেছে ভিএইচপি, দাবি সংগঠনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালের শেষ ছ’মাসে ৬৬ হাজার হিন্দুকে রক্ষা করেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP)। এঁরা অন্য ধর্মের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন।

    লাভ জিহাদ (VHP)

    পরিষদের দাবি, লাভ জিহাদের (Love Jihad) হাত থেকে তারা রক্ষা করেছে ৩ হাজার তরুণীকে। শনিবার প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভ নগরের সেক্টর ১৮তে তিনদিনের শিবির চলছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের। সেখান থেকেই জানা গিয়েছে এই তথ্য। লাভ জিহাদের নামে হিন্দু তরুণীদের ভিন ধর্মে ধর্মান্তরিত করার ঘটনা এ দেশে নতুন নয়। এভাবেই বহু মুসলমান ধর্মান্তরিত করেছেন হিন্দু মহিলাদের। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ সক্রিয় হওয়ায় সেই হার কিছুটা কমেছে বলে অসমর্থিত সূত্রের খবর।

    ঘর ওয়াপসি

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদের দাবি, গত বছরের শেষ ছ’মাসে তারা ১৯ হাজার হিন্দুকে ঘরে ফিরিয়েছেন। এঁরা হিন্দু ধর্ম ছেড়ে অন্য ধর্মে দীক্ষিত হয়েছিলেন। পরিষদের দাবি, এই ১৯ হাজারের ঘর ওয়াপসি সম্পন্ন হয়েছে সম্মতি, আধ্যাত্মিক এবং আইনি পরামর্শের মাধ্যমে। যাঁরা হিন্দু ধর্মে ফিরে আসতে ইচ্ছুক, তাঁদের কাছ থেকে হলফনামাও নেওয়া হয়েছে (VHP)। কেবল হিন্দু নন, গো-মাতাও রক্ষা করেছে পরিষদ। এই সময়সীমায় তারা অবৈধ কষাইখানা থেকে রক্ষা করেছে ৯৭ হাজার ৯৩৪টি গরুকে।

    গত মাসেই হিন্দুদের এই সংগঠন দাবি করেছিল, হিন্দু জন্মহার হ্রাস পাচ্ছে। তারা এও বলেছিল, প্রতিটি হিন্দু পরিবারে অন্তত তিনটি সন্তান থাকা উচিত। আয়োজিত সন্ত সম্মেলনে বক্তৃতা দিতে গিয়ে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বজরংলাল বাংড়া বলেন, “হিন্দুদের কমে যাওয়া জন্মহার দেশের হিন্দু জনসংখ্যায় ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করেছে। হিন্দু সমাজের সম্মানিত সাধুরা আহ্বান জানিয়েছেন যে প্রতিটি হিন্দু পরিবারে অন্তত তিনটি সন্তানের জন্মগ্রহণ করা উচিত।” তাঁর দাবি, ভারতে হিন্দুরা লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছে, যেমনভাবে বাংলাদেশে পরিকল্পিতভাবে তাদের ওপর নিরবচ্ছিন্নভাবে নিপীড়ন (Love Jihad) চালানো হচ্ছে। তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার স্বৈরাচারী ও সীমাহীন অধিকার নিয়ন্ত্রণের জন্য ওয়াকফ বোর্ডের ওপর একটি আইন প্রণয়নের কাজ করছে (VHP)।”

  • VHP: হিন্দু বাড়াতে সনাতনীদের ২৫ বছরের মধ্যে বিয়ে করার আহ্বান ভিএইচপি-র

    VHP: হিন্দু বাড়াতে সনাতনীদের ২৫ বছরের মধ্যে বিয়ে করার আহ্বান ভিএইচপি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেভাবে বাড়ছে না হিন্দু জনসংখ্যা (Hindu)। এর কারণ হিসেবে হিন্দু যুবকদের দেরি করে বিয়ে করার সিদ্ধান্তকেই দায়ী করল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP)। একইসঙ্গে এই সংগঠন দেশজুড়ে আহ্বান জানিয়েছে, তরুণ হিন্দু পুরুষ এবং মহিলা উভয়েই যেন ২৫ বছরের মধ্যে বিয়ে করেন। কারণ আজকের দিনে এটি খুবই প্রয়োজনীয় বলে মনে করছে ভিএইচপি। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (VHP) সর্বভারতীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুরেন্দ্র জৈন সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন যে গত শুক্রবার মহাকুম্ভের ১৮ নম্বর সেক্টরে তিন দিনব্যাপী বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কেন্দ্রীয় বোর্ডের একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায়ই প্রস্তাব পাস করা হয়েছে, এ বিষয়ে।

    কী লেখা হল প্রস্তাবে?

    ওই প্রস্তাবে লেখা হয়েছে, ‘‘বৈদিক নিয়ম অনুসারে ২৫ বছর হল গৃহস্থ আশ্রমে প্রবেশ করার সঠিক বয়স। তাই হিন্দু যুবকদের আহ্বান জানানো হচ্ছে যে তাঁরা পুরুষ হোক বা মহিলা যেন এই বয়সে বিয়ে করেন।’’ বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP) আরও জানিয়েছে, হিন্দু জনসংখ্যা বৃদ্ধি করতে দেশের হিন্দু তরুণ-তরুণীদের এগিয়ে আসা দরকার। সুরেন্দ্র জৈন বলেন, জনসংখ্যার যে ভারসাম্যহীনতা দেখা যাচ্ছে এখানে হিন্দু সমাজ ক্রমশ অস্তিত্বের জন্য সংকটে ভুগছে।”

    আমেরিকায় দ্রুত বাড়ছে হিন্দু ধর্ম

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP) জানিয়েছে, আমেরিকায় হিন্দুধর্ম দ্রুত জনসাধারণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে এবং সেখানে প্রতিনিয়ত অ-হিন্দুরা এই ধর্মকে গ্রহণ করছেন। প্রসঙ্গত, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, হিন্দু মূল্যবোধের অভাবের কারণেই পরিবার ব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে। একইসঙ্গে পাশ্চাত্য সংস্কৃতি, আর্বান নকশাল, বিনোদন, বিজ্ঞাপন এগুলো হিন্দু যুবক-যুবতীদেরকে বিভ্রান্ত করছে। এর ফলে হিন্দু সমাজে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক এবং লিভহীন সম্পর্ক বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফে জানানো হয়েছে, প্রায় ৩০০ দেশের সংগঠনের প্রতিনিধিরা মহাকুম্ভে হওয়া এই বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। তাঁদের নিয়েই পাস করা হয় এই প্রস্তাব।

  • Droupadi Murmu: সোমবার প্রয়াগে রাষ্ট্রপতি, মহাকুম্ভে আর কে কে সারবেন অমৃতস্নান?

    Droupadi Murmu: সোমবার প্রয়াগে রাষ্ট্রপতি, মহাকুম্ভে আর কে কে সারবেন অমৃতস্নান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবারই রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে বিবৃতি জারি করে রাষ্ট্রপতির প্রয়াগরাজের সফরসূচি জানানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, সোমবার আট ঘণ্টারও বেশি সময় প্রয়াগরাজে থাকবেন রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মু (Droupadi Murmu)। বেশ কয়েকটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার কথা তাঁর। প্রথমে সঙ্গমে শাহি স্নান, তার পর অক্ষয়বট এবং হনুমান মন্দিরে পুজো দেবেন তিনি। সফরকালে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে থাকবেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।

    স্নান করবেন জগদীপ ধনখড়ও (Droupadi Murmu)

    এদিনই অমৃতস্নান করার কথা উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়েরও। রাষ্ট্রপতির এই সফরের আগে প্রয়াগরাজে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির (Droupadi Murmu) কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, বিকেল পৌনে ছটা নাগাদ তিনি প্রয়াগরাজ থেকে নয়াদিল্লির উদ্দেশে রওনা দেবেন। প্রসঙ্গত, ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদও পূর্ণকুম্ভের সময় অমৃতস্নান করেছিলেন।

    ২ দিনের সফরে দত্তাত্রেয় হোসাবলে

    মাঘী পূর্ণিমাতেই মহাকুম্ভে (Triveni Sangam) ভক্ত সংখ্যা ছুঁয়ে যাবে ৪৫ কোটি, এমনটাই অনুমান প্রসাশনের। এই আবহে মহাকুম্ভে পৌঁছেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সর কার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে। জানা গিয়েছে, মহাকুম্ভে তিনি দুদিন থাকবেন। এর পাশাপাশি রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজন লাল শর্মা এবং তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যরাও অমৃত স্নানে অংশ নিতে পৌঁছেছেন মহাকুম্ভে। উত্তরপ্রদেশের পরে রাজস্থানই হল একমাত্র রাজ্য, যেখানকার ক্যাবিনেট একসঙ্গে পবিত্র স্থান সারল।

    সবচেয়ে বেশি ভক্ত স্নান করেন মৌনী অমাবস্যায়

    ১২ জানুয়ারি মহাকুম্ভ শুরু হওয়ার আগে প্রশাসন অনুমান করেছিল ৪০ থেকে ৪৫ কোটি মানুষ স্নান সারবেন প্রয়াগরাজে। প্রশাসনের সেই অনুমানকেও ছাপিয়ে গিয়েছে পুণ্যার্থীর সংখ্যা। পরপর তিনটি গুরুত্বপূর্ণ অমৃত স্নান – মকর সংক্রান্তির স্নান, মৌনী অমাবস্যা স্নান এবং বসন্তী পঞ্চমীর স্নানের পরেও মানুষের উন্মাদনা তুঙ্গে। এখনও পর্যন্ত লক্ষ লক্ষ ভক্ত প্রতিদিন হাজির হচ্ছেন প্রয়াগরাজে। তাঁরা রীতি মেনে স্নান করছেন। একটি হিসেব বলছে, মৌনী অমাবস্যায় সব চেয়ে বেশি মানুষ হাজির হয়েছিলেন এই ত্রিবেণী সঙ্গমে। সেদিন অমৃতস্নান সেরেছেন ৮ কোটি পুণ্যার্থী।

  • Delhi Assembly Poll 2025: “দিল্লি দেখাল মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করা যায় না”, বললেন শাহ

    Delhi Assembly Poll 2025: “দিল্লি দেখাল মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করা যায় না”, বললেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “দিল্লিবাসী দেখিয়ে দিয়েছেন বারবার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করা যাবে না।” দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে (Delhi Assembly Poll 2025) বিজেপির জয়ের পর এমনই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তিনি বলেন, “জনসাধারণ নোংরা যমুনা, নোংরা পানীয় জল, ভাঙা রাস্তা, উপচে পড়া নর্দমা, প্রতিটি রাস্তায় খোলা মদের দোকানের বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে জবাব দিয়েছেন।”

    কী বললেন শাহ (Delhi Assembly Poll 2025)

    শাহ বলেন, “দিল্লিতে এই দুর্দান্ত জয়ের জন্য দিনরাত পরিশ্রম করা দিল্লির বিজেপি কর্মীদের আমি আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।” এক্স হ্যান্ডেলে তিনি বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং রাজ্য সভাপতি বীরেন্দ্র সচদেবাকেও অভিনন্দন জানিয়েছেন। ওই পোস্টে তিনি লিখেছেন, “মহিলাদের প্রতি শ্রদ্ধা, অননুমোদিত উপনিবেশের বাসিন্দাদের আত্মসম্মান বা স্ব-কর্মসংস্থানের অপার সম্ভাবনা, মোদীজির নেতৃত্বে দিল্লি এখন একটি আদর্শ রাজধানী হয়ে উঠবে।”

    ‘মোদী কি গ্যারান্টি’

    এর পরেই (Delhi Assembly Poll 2025) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “দিল্লিতে মিথ্যার রাজত্বের অবসান হয়েছে। এই পরাজয় অহংকার ও অরাজকতার। এটি ‘মোদী কি গ্যারান্টি’ এবং মোদীজির উন্নয়নের দৃষ্টিভঙ্গিতে দিল্লিবাসীর বিশ্বাসের জয়। এই বিশাল জনাদেশের জন্য দিল্লির জনগণের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। মোদীজির নেতৃত্বে, বিজেপি তার সমস্ত প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে এবং দিল্লিকে বিশ্বের এক নম্বর রাজধানীতে পরিণত করতে বদ্ধপরিকর।” তিনি বলেন, “দিল্লির হৃদয়ে রয়েছেন মোদি। জনগণ মিথ্যা, প্রতারণা এবং দুর্নীতির ‘শিসমহল’ ধ্বংস করে দিল্লিকে আপদামুক্ত করেছেন।” তিনি বলেন, “দিল্লি প্রতিশ্রুতি ভঙ্গকারীদের এমন একটি শিক্ষা দিয়েছে যে এটি সারা দেশের জনসাধারণকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেওয়াদের জন্য একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।”

    প্রসঙ্গত, ৭০ আসনের দিল্লি বিধানসভায় ৪৮টি আসনে জিতেছে বিজেপি। গোহারা হেরেছেন কেজরিওয়াল স্বয়ং। তাঁর দল আম আদমি পার্টি জিতেছে মাত্র ২২টি আসন। খালি হাতে ফিরতে হয়েছে কংগ্রেসকে। অথচ এই দিল্লিতেই দশ বছর আগের নির্বাচনে কেজরিওয়ালের দল জিতেছিল ৬৭টি আসনে। ২০২০ সালে আপ জিতেছিল (Amit Shah) ৬২টি আসনে। এবার সেই দলকেই মুখের মতো জবাব দিলেন দিল্লিবাসী (Delhi Assembly Poll 2025)।

  • Manipur: পদত্যাগ করলেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং

    Manipur: পদত্যাগ করলেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পদত্যাগ করলেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী (N Biren Singh)। রবিবারই ইম্ফলে গিয়ে রাজ্যপাল অজয় কুমার ভাল্লার হাতে পদত্যাগপত্র তুলে দেন তিনি। এন বীরেন সিং তাঁর পদত্যাগ পত্রে লিখেছেন, ‘‘মণিপুরের (Manipur) মানুষের সেবা করতে পেরে আমি সম্মানিত। কেন্দ্রকে সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ করা, উন্নয়ন, একাধিক জনকল্যাণমুখী প্রকল্পের বাস্তবায়নের জন্য আমি ধন্যবাদ জানাই। আগামীতেও কেন্দ্র যাতে একই পথে হাঁটে সেজন্য অনুরোধ করছি।’’ সূত্রের খবর, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে বীরেনকে সরে যেতে বলেন। শাহের সিদ্ধান্ত জানার পর পদত্যাগ করেন বীরেন।

    রবিবারই দিল্লি যান বীরেন

    রবিবার সকালেই নয়াদিল্লিতে অমিত শাহ এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জেপি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করেন বীরেন। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি ও নাগা পিপল্‌স ফ্রন্ট (এনপিএফ)-এর ১৪ জন বিধায়ক। জানা গিয়েছে, এই বৈঠক হয় ১৫ মিনিটের। বৈঠকের পর ইম্ফলে ফিরেই বীরেন ইস্তফা দেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে।

    ২০২৩ সালের মে মাস থেকে উত্তপ্ত মণিপুর (Manipur)

    প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের মে মাস থেকে মেইতেই এবং কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসার জেরে উত্তপ্ত মণিপুর (Manipur)। কুকি ও মেইতেইদের বিরোধের জল প্রথমে গড়ায় মণিপুর হাইকোর্টে। ২০২৩ সালের প্রথম দিকে হাইকোর্ট জানায় যে, মেইতেই জনগোষ্ঠীকে তফশিলি উপজাতির তকমা দেওয়া যায় কিনা তা খতিয়ে দেখুক রাজ্য সরকার। হাইকোর্টের এমন নির্দেশের পরেই ২০২৩ সালের এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে মণিপুরের ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন’ একটি মিছিলের আয়োজন করে। সেই মিছিল থেকে প্রথম হিংসা ছড়ায় চূড়াচাঁদপুর জেলায়। মাঝে অবশ্য বেশ কিছু দিন বন্ধ ছিল অশান্তি। পরে গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়। ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মণিপুর। দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে মণিপুরের জেলায় জেলায়। সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংয়ের পাশাপাশি রাজ্যের বেশ কয়েক জন বিধায়কের বাড়িতেও চালানো হয় হামলা (Manipur)। এই আবহে ৯ ফেব্রুয়ারি পদত্যাগ করলেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী।

  • Love Jihad: লাভ জিহাদের অভিযোগ ভোপালে, কোর্ট চত্বরে স্থানীয় বাসিন্দারা চড়াও অভিযুক্তের ওপর

    Love Jihad: লাভ জিহাদের অভিযোগ ভোপালে, কোর্ট চত্বরে স্থানীয় বাসিন্দারা চড়াও অভিযুক্তের ওপর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাভ জিহাদের (Love Jihad) অভিযোগ উঠল ভোপালে। মধ্যপ্রদেশের ভোপালে (Bhopal) ১৮ বছর বয়সি এক হিন্দু মহিলাকে বিয়ে করতে আসে এক মুসলিম ব্যক্তি। এরপরেই লাভ জিহাদের অভিযোগে ভোপালের জেলা আদালত চত্বরে স্থানীয় বাসিন্দারা চড়াও হয় ওই অভিযুক্ত ব্যক্তির ওপরে। বিভিন্ন সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, এরপরেই ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মুখ হলেন ওই হিন্দু মহিলার মা। তিনি জানান, ওই ব্যক্তি নানাভাবে তাঁর মেয়েকে উত্যক্ত করত। এ কথা শোনার পরেই ভোপালের পুলিশ ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করে। এই ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায় ভোপালজুড়ে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের বেরিলি আদালত লাভ জিহাদ (Love Jihad) নিয়ে একটি পর্যবেক্ষণ দেয়। কোর্ট জানায়, এটি এমন একটি কাজ যেখানে মুসলমান পুরুষরা পরিকল্পিতভাবে হিন্দু নারীকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করার জন্য টার্গেট করে মিথ্যে বিয়ের নামে ছদ্মবেশে ভালোবাসার নামে প্রতারণা করে।

    লাভ জিহাদ, কী বলল আদালত (Love Jihad)

    উত্তরপ্রদেশের বেরিলি আদালতের মতে, ‘লাভ জিহাদ ইচ্ছাকৃতভাবে কিছু অরাজকতাবাদী উপাদান দ্বারা ভারতের ওপর আধিপত্য স্থাপনের চেষ্টা। এটি একটি জনসংখ্যাগত যুদ্ধ, যা সম্ভবত একটি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ। সম্প্রতি এই আদালতই এক মুসলমান যুবককে এক হিন্দু মহিলাকে বারংবার ধর্ষণের অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে। ৪২ পাতার একটি নির্দেশে অতিরিক্ত জেলা ও সেশন বিচারক রবি কুমার দেওয়াকার জানান, লাভ জিহাদের মাধ্যমে অবৈধ ধর্মান্তরণ একটি বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ এবং তিনি ভারত সরকারকে এর গুরুতর পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। অভিযোগ, লাভ জিহাদের (Love Jihad) অপরাধটা একটা সিন্ডিকেট দ্বারা চালানো হচ্ছে। যারা অ-মুসলিম, তফসিলি জাতি-উপজাতি এবং ওবিসি সম্প্রদায়ের দুর্বল অংশের মানুষদের মগজ ধোলাই করে নারী ও শিশুদের প্রভাবিত করছে।

    উত্তরপ্রদেশের ঘটনা

    উত্তরপ্রদেশের ওই ঘটনায় একটি কোচিং সেন্টারে কম্পিউটার কোর্স করতে গিয়ে অভিযুক্ত মহম্মদ আলমের সঙ্গে পরিচয় হয় এক হিন্দু তরুণীর। আলম ওই তরুণীকে আনন্দ বলে পরিচয় দেন। এই পরেই প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একটি হোটেলে নিয়ে গিয়ে ওই মহিলাকে ধর্ষণ করে আলম। শারীরিক সম্পর্কের এই ঘটনাটি মোবাইলে রেকর্ড করে আলম। অভিযোগ, তারপর থেকে নানা সময় ব্ল্যাকমেইল করে ভিডিওটি দেখিয়ে ওই তরুণীকে একাধিকবার হোটেলে যেতে বাধ্য করে। তরুণী গর্ভবতী হয়ে পড়লে, গর্ভপাতও করানো হয়। এরপরে হিন্দু ওই তরুণীকে আলম ও তার পরিবার ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হতে বাধ্য করার চেষ্টা করে। তাতে রাজি না হওয়ায় ওই তরুণীকে শারীরিক নিগ্রহ করা হয়। এরপরেই মামলা দায়ের হয় আদালতে। তারই পর্যবেক্ষণে বরেলি আদালত এমন মন্তব্য করে।

  • Swati Maliwal: অতিশীর নাচ ভাইরাল সমাজমাধ্যমে! ‘নির্লজ্জ’ বলে কটাক্ষ দলীয় সাংসদ স্বাতীর

    Swati Maliwal: অতিশীর নাচ ভাইরাল সমাজমাধ্যমে! ‘নির্লজ্জ’ বলে কটাক্ষ দলীয় সাংসদ স্বাতীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দল হেরেছে শোচনীয়ভাবে। নয়াদিল্লি আসনে হেরেছেন খোদ অরবিন্দ কেজরিওয়াল। মণীশ সিসোদিয়া, সৌরভ ভরদ্বাজ, সত্যেন্দ্র জৈনদের মতো হেভিওয়েটরাও ধরাশায়ী হয়েছেন। কিন্তু তাতে কি? দিল্লির বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী অতিশী মারলেনা (Atishi Marlena) নিজে জিততেই আনন্দে আত্মহারা হলেন। সেই ভিডিও সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হতেই কটাক্ষ করলেন আপের রাজ্যসভার সাংসদ স্বাতী মালিওয়াল (Swati Maliwal)। দিল্লির বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রীকে নির্লজ্জ বলে কটাক্ষ করলেন স্বাতী।

    নির্লজ্জের মতো নাচছেন কীভাবে, কটাক্ষ স্বাতীর (Swati Maliwal)

    ভাইরাল ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, নিজের কেন্দ্র কালকাজিতে জয়ী হয়েই কর্মীদের সঙ্গে নাচতে শুরু করেন অতিশী। এরপরে অতিশীর এই ‘নাচ’ নিয়েই প্রশ্ন ওঠে দলের অন্দরে। আম আদমি পার্টির রাজ্যসভার সাংসদ স্বাতী মালিওয়াল (Swati Maliwal) বলেন, “দল হেরেছে, সব বড় নেতা হেরেছেন। তারপরও অতিশী মারলেনা এভাবে নির্লজ্জের মতো নাচছেন কীভাবে?” প্রসঙ্গত, শনিবারই দিল্লিতে বিপুল জয় পেয়েছে বিজেপি। মুখ থুবড়ে পড়েছে কেজরিওয়ালের দল আম আদমি পার্টি। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে ৭০টি আসনের মধ্যে ৪৮টিতেই জয়ী হয়েছে বিজেপি। পেয়েছে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা। দলের জয়ের পরে এদিনই বিজেপির সদর দফতরে বক্তৃতা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    দলের পরাজয়কেই কি তিনি এভাবে সেলিব্রেশন করছেন?

    প্রসঙ্গত, ১০ বছর পর দিল্লিতে ক্ষমতাচ্যুত হল কেজরিওয়ালের দল। ২০২০ সালে তারা ৬২ আসনে জিতেছিল। এবার সেই আসনসংখ্যা নেমে এসেছে একেবারে ২২-এ। এই হারের দায় কেজরিওয়ালের পাশাপাশি বর্তায় অতিশী মারলেনার ওপরেও। কারণ শেষ কয়েক মাস ধরে তিনিই ছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। এমন শোচনীয় হারের পরে তিনি কর্মীদের পাশে থাকার বার্তা না দিয়ে নিজেই নাচতে শুরু করলেন। এতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, দলের হার নিয়ে কি কোনও মাথাব্যাথা দিল্লির বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রীর? নাকি দলের পরাজয়কেই তিনি এভাবে সেলিব্রেশন করছেন? দল হারলেও বিশেষ অখুশি নন তিনি, এই বার্তাই কি দিতে চাইলেন অতিশী?

  • Maoists Death: ছত্তিশগড়ে এনকাউন্টারে খতম ৩১ মাওবাদী, চলছে অভিযান

    Maoists Death: ছত্তিশগড়ে এনকাউন্টারে খতম ৩১ মাওবাদী, চলছে অভিযান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাওবাদী দমনে ফের বড়সড় সাফল্য পেল যৌথবাহিনী। রবিবার সকালে ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) বিজাপুর জেলায় যৌথবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে খতম হন ৩১ জন মাওবাদী (Maoists Death)। শহিদ হয়েছেন নিরাপত্তা বাহিনীর দুই সদস্যও। জখমও হয়েছেন দুজন। সপ্তাহখানেক আগেই এই বিজাপুরেই নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে এনকাউন্টারে নিকেশ হয়েছিল অন্তত ১৮ জন মাওবাদী। এদিন দুপুর পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, মাওবাদীদের খোঁজে চলছে অভিযান।

    পুলিশের বক্তব্য (Maoists Death)

    ছত্তিশগড় পুলিশের এক কর্তা বলেন, “শুক্রবার বিজাপুরের জঙ্গল এলাকায় মাওবাদীদের পশ্চিম বস্তার ডিভিশনের সদস্যদের উপস্থিতি সম্পর্ক খবর মেলে সূত্র মারফত। তার পরেই ওই এলাকায় অভিযান শুরু করে সিআরপিএফ, ছত্তিশগড় সশস্ত্র পুলিশ এবং কোবরা ইউনিটের সদস্যরা। শনিবার রাত থেকে শুরু হয় গুলির লড়াই। রবিবার সকালে উদ্ধার হয় ৩১ জন মাওবাদীর দেহ।” চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি থেকে বস্তার ডিভিশনজুড়ে নতুন করে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে যৌথবাহিনী। বিজাপুর ও সুকমার পাশাপাশি নারায়ণপুর, দান্তেওয়াড়া, জগদলপুর, কাঁকের এবং কোন্ডাগাঁও জেলার পাহাড় জঙ্গলেও চলছে তল্লাশি অভিযান। তার জেরেই হচ্ছে এনকাউন্টার। নিকেশ হচ্ছেন একের পর এক মাওবাদী। যাঁদের অনেকেরই মাথার দাম কোটি টাকা।

    মাও গেরিলাদের সমাজের মূল স্রোতে ফেরানোর চেষ্টা

    মাও-দমন অভিযান চালানোর পাশাপাশি চলছে মাও গেরিলাদের সমাজের মূল স্রোতে শামিল করানোর প্রয়াস (Maoists Death)। প্রশাসনের এই প্রচারে সাড়া দিয়ে ইতিমধ্যেই আত্মসমর্পণ করেছেন গান্ধী তাঁতি ওরফে কমলেশ এবং মাইনু ওরফে হেমলাল কোররাম, রঞ্জিত লেকামি ওরফে অর্জুন এবং তাঁর স্ত্রী কোসি ওরফে কাজলের মতো মাওবাদীরা।

    নতুন বছরের প্রথম থেকে এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে এনকাউন্টারে ছত্তিশগড়ে নিকেশ হয়েছে প্রায় ৬০ জন মাওবাদী। এর মধ্যে ৩৪ জনই বস্তারের। মাওবাদীদের আক্রমণে শহিদ হয়েছেন ১১জন জওয়ান এবং একজন সাধারণ নাগরিক। এদিকে, নকশাল-মুক্ত ঘোষণা করা হল কর্ণাটককে। তার আগে আত্মসমর্পণ করেছেন শেষ মাওবাদী। চিক্কমাগালুরু জেলায় আত্মসমর্পণ করেছেন ওই মাওবাদী। পুলিশ সুপার বিক্রম আমাথে বলেন, “এই আত্মসমর্পণের সঙ্গে সঙ্গে এখন সম্পূর্ণ নকশাল-মুক্ত হল কর্ণাটক।”

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শুরুতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ এ দেশে মাওবাদীদের শেষ দিন হতে চলেছে (Chhattisgarh)। তার আগেই দেশ থেকে নির্মূল করা হবে মাওবাদীদের। গত বছরই এনকাউন্টারে খতম হয়েছে ২০৭ জন মাওবাদী (Maoists Death)।

  • Parvesh Verma: দিল্লির নয়া মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির পরবেশ ভার্মা! চেনেন তাঁকে?

    Parvesh Verma: দিল্লির নয়া মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির পরবেশ ভার্মা! চেনেন তাঁকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনীতি তাঁর রক্তে। উত্তরাধিকার সূত্রেই তিনি পেয়েছেন রাজনীতির রাজদণ্ড। নয়াদিল্লি আসনে আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে তিনি হারিয়েছেন ৪ হাজার ৪৯ ভোটে। এহেন জায়ান্ট কিলার পরবেশ ভার্মাই (Parvesh Verma) কি হতে চলেছেন দিল্লির নয়া মুখ্যমন্ত্রী? দিল্লির রাজনৈতিক মহলে এবং বিজেপির (BJP) অন্দরে পরবেশের নাম নিয়ে চলছে জোর চর্চা। প্রশ্ন হল, কে এই পরবেশ?

    রাজনৈতিক উত্তরাধিকার (Parvesh Verma)

    দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন পরবেশের বাবা সাহিব সিং ভার্মা। তিনি বিজেপির প্রাক্তন সহ-সভাপতিও। ত্রয়োদশ লোকসভায় তিনি ছিলেন কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী। জাঠ সম্প্রদায়ের অন্যতম বড় মুখ সাহিব। পরবেশের কাকা আজাদ সিংও বিজেপির প্রভাবশালী নেতা ছিলেন। তিনি ছিলেন উত্তর দিল্লি পুরনিগমের মেয়র। ২০১৩ সালের দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে মেহরাউলি আসন থেকে জিতে বিধায়ক হন পরবেশ। ২০১৪ সালে পশ্চিম দিল্লি লোকসভা কেন্দ্র থেকে জিতে সাংসদ হন তিনি। উনিশের লোকসভা নির্বাচনেও সাড়ে ৫ লাখেরও বেশি ভোটে জিতেছিলেন পরবেশ (Parvesh Verma)।

    জায়ান্ট কিলার

    দিল্লি বিজেপির প্রথম সারির নেতা পরবেশ। তিনি হারিয়েছেন কেজরিওয়ালকে। পরাস্ত করেছেন কংগ্রেসের হেভিওয়েট প্রার্থী, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের ছেলে সন্দীপ দীক্ষিতকে।  পরবেশ দিল্লি বিজেপির প্রথম সারির নেতা। বাবার মতোই জাঠদের মধ্যেও তাঁর বিরাট প্রভাব। দিল্লির নয়া মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে হয়তো তাঁকেই বেছে নেবেন বিজেপি নেতৃত্ব। পরবেশ স্বয়ং বলছেন, এ ব্যাপারে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবেন দলীয় নেতৃত্ব। পরবেশ ছাড়াও মুখ্যমন্ত্রিত্বের দৌড়ে রয়েছেন প্রয়াত বিজেপি নেত্রী তথা দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুষমা স্বরাজের মেয়ে বাঁশুরি স্বরাজ, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিও।

    ১৯৭৭ সালে জন্ম পরবেশের। পড়াশোনা দিল্লি পাবলিক স্কুলে। কিরোরি মাল কলেজ থেকে স্নাতক হওয়ার পর এমবিএ করেন ফোর স্কুল অফ ম্যানেজমেন্ট থেকে।

    ২০১৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময় পরবেশ ছিলেন দিল্লি বিজেপি নির্বাচন কমিটির সদস্য। সদ্য সমাপ্ত দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে বেরিয়ে পরবেশ ঘুরেছেন বিভিন্ন বস্তিতে। বলেছেন, “বস্তির যাঁরা বিশুদ্ধ পানীয় জল এবং শূন্য বিদ্যুৎ বিল পাচ্ছেন, তাঁরা দয়া করে কেজরিওয়ালকে ভোট দিন। আর যাঁরা পাচ্ছেন না, তাঁরা দয়া করে বিজেপিকে (BJP) ভোট দিন।” ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই ‘মন্ত্রে’ই বাজিমাত করেছেন পরবেশ (Parvesh Verma)।

LinkedIn
Share