Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Maha Kumbh 2025: মাঘী পূর্ণিমার আগেই মহাকুম্ভে ভক্ত সংখ্যা ছাড়াবে ৪০ কোটি!

    Maha Kumbh 2025: মাঘী পূর্ণিমার আগেই মহাকুম্ভে ভক্ত সংখ্যা ছাড়াবে ৪০ কোটি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই মহাকুম্ভের (Maha Kumbh 2025) ভক্ত সংখ্য ৪০ কোটিতে পৌঁছাবে। ১২ ফেব্রুয়ারি রয়েছে মাঘী পূর্ণিমার অমৃত স্নান। মনে করা হচ্ছে তার আগেই চল্লিশ কোটির গণ্ডি অতিক্রম করে যাবে মহাকুম্ভ। একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী জানা গিয়েছে, মহাকুম্ভ শুরু হওয়ার পরে বিগত ২৪ দিনে পবিত্র স্নান সেরেছেন ৩৮.২৯ কোটি ভক্ত। হিসেব বলছে, ৫ ফেব্রুয়ারি, বুধবার দুপুর দুটো নাগাদ পবিত্র সঙ্গমে ভক্ত সংখ্যা ছুঁয়ে যায় ৫৯.২৪ লক্ষে। হিসেব বলছে, প্রতি দুই ঘণ্টায় আড়াই থেকে তিন লক্ষ ভক্ত স্নান করছেন। এভাবেই মহাকুম্ভ একটি রেকর্ড স্থাপন করেছে। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ইভেন্টে পরিণত হয়েছে। একইসঙ্গে কুম্ভমেলার যে অভূতপূর্ব্যবস্থা সেটারও প্রশংসা ঝরে পড়ছে ভক্তদের মুখে, তীর্থযাত্রীদের মুখে (Magha Purnima)। তাঁরা যোগী ও মোদি- এই দুই সরকারেরই প্রশংসা করছেন।

    লখনউ থেকে এসেছিলেন প্রমেশ্বর ত্রিপাঠী

    লখনউ থেকে এসেছিলেন প্রমেশ্বর ত্রিপাঠী। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্নানের কারণে কোনওরকমের বিঘ্ন ঘটেনি। সবকিছুই সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ভক্তদেরকে প্রটোকলের নামে কোনও সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়নি। অন্যদিকে, মুম্বই থেকে আগত ভক্ত অদিতি শ্রীবাস্তব এবং তাঁর পরিবার প্রশংসায় ভরিয়ে তোলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে। এর পাশাপাশি, প্রশাসনেরও ব্যাপক প্রশংসা করেন। তাঁরা জানান, কোনও ভিভিআইপি আসছেন বলে তাঁদেরকে কোথাও থামানো হয়নি। কোনও সমস্যার সম্মুখীন তাঁরা হননি (Maha Kumbh 2025)। অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে সবকিছু সম্পন্ন হচ্ছে।

    মাদুরাই থেকে এসেছিলেন ভক্ত রঙ্গনাথন

    মাদুরাই থেকে এসেছিলেন ভক্ত রঙ্গনাথন। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান যে, ভুটানের রাজা এসেছেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী এসেছেন, কূটনীতিক আধ্যাত্মিক সন্ন্যাসী- সকলেই এই মহাকুম্ভে স্নান করেছেন। এটা কেবলমাত্র ভারতেই ঘটছে। মোদি-যোগীর কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। তিনি পুলিশকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন। তার কারণ তিনি সঙ্গে এনেছিলেন ৭২ বছর বয়সি মাকে। তিনি হাঁটতে পারছিলেন না। তাই পুলিশ ট্রাই সাইকেলের মাধ্যমে তাঁকে পবিত্র স্নান করিয়েছেন। প্রসঙ্গত, মহাকুম্ভ (Maha Kumbh 2025) শুরু হয়েছে ১৩ জানুয়ারি, ২৬ ফেব্রুয়ারি মহাশিবরাত্রির পর্যন্ত তা চলবে।

  • PM Modi: ‘‘সনাতন ধর্মের প্রসারে আন্তরিক প্রধানমন্ত্রী মোদি’’, মত মহাকুম্ভের সন্ন্যাসীর

    PM Modi: ‘‘সনাতন ধর্মের প্রসারে আন্তরিক প্রধানমন্ত্রী মোদি’’, মত মহাকুম্ভের সন্ন্যাসীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সনাতন ধর্ম প্রচার ও পালনের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) ভূয়সী প্রশংসা করলেন গীতা মণিষী মহামণ্ডলেশ্বরের স্বামী জ্ঞাননন্দজি মহারাজ। প্রসঙ্গত, গতকাল বুধবার ৫ ফেব্রুয়ারি মহাকুম্ভে (Mahakumbh 2025) পবিত্র স্নান করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ নিয়ে এই স্বামী জ্ঞাননন্দজি মহারাজ জানিয়েছেন, এভাবেই প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি সনাতন ধর্মের প্রচার এবং পালন করছেন। এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মহামণ্ডলেশ্বর স্বামী জ্ঞাননন্দজি মহারাজ প্রয়াগরাজের পবিত্র কুম্ভে প্রধানমন্ত্রীর স্নান (Modi Kumbh Holy Dip) ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘‘এটা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। মহাকুম্ভে প্রধানমন্ত্রীর পবিত্র স্নানে (MahaKumbh Holy Dip) সনাতন ধর্ম ধর্মাবলম্বীরা গর্বিত হয়েছেন। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই বার্তাও দিয়েছেন যে সনাতন ধর্মের প্রচারে এবং প্রসারে তিনি ঠিক কতটা আন্তরিক। পবিত্র স্নান করতে তিনি আলাদা কোনও সুযোগ নেননি। তাঁর এই পবিত্র স্নানে প্রতিফলন দেখা গিয়েছে হয়ে প্রাচীন ভারতীয় সংস্কৃতি-ঐতিহ্যের।’’

    সনাতন ধর্মের সকল গুণ রয়েছে মোদির (PM Modi) মধ্যে

    স্বামী জ্ঞাননন্দজি মহারাজ, এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) আন্তরিকতা, মানবতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি এবং ভক্তিরও প্রশংসা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে সেই সমস্ত গুণগুলি আছে যেগুলি একজন সনাতনীর মধ্যে থাকা প্রয়োজন। স্বামী জ্ঞাননন্দজি মহারাজ আরও বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী পবিত্র স্নান (Mahakumbh 2025) করতে হাজির হয়েছেন, অন্তরের গভীর ভক্তির সঙ্গে। সাধারণ তীর্থযাত্রীদের সঙ্গে তিনি স্নান করেছেন। এত বড় উচ্চপদে অধিষ্ট যিনি, তাঁর মধ্যেও সনাতন ধর্মের প্রতি এমন গভীর আস্থা লক্ষ্য করা গিয়েছে।’’

    দেশের প্রয়োজন মোদির (PM Modi) মতো নেতা

    তিনি আরও বলেন, ‘‘ভারতবর্ষের এখন সত্যিই প্রয়োজন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মতো নেতা। যাঁর মধ্যে এমন মানবতা দৃষ্টিভঙ্গি থাকবে। তার সঙ্গে সঙ্গে যার মধ্যে থাকবে আধ্যাত্মিকতা এবং বিশেষত ভারতবর্ষের সনাতন ঐতিহ্য-পরম্পরার প্রতি আস্থা (Mahakumbh 2025)। এর পাশাপাশি জয়া বচ্চনের বিতর্কিত মন্তব্যেরও উত্তর দিয়েছেন জ্ঞাননন্দজি মহারাজ। জয়া বচ্চন সম্প্রীতি মন্তব্য করেন যে কুম্ভে পদপৃষ্টের ঘটনায় বহু দেহকে গঙ্গা জলে ফেলে গায়েব করা হয়েছে। এ নিয়ে জ্ঞাননন্দজি মহারাজ বলেন, ‘‘পদপিষ্টের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা সত্যিই গভীর দুঃখ পেয়েছি। যে সমস্ত ভক্তরা নিহত হয়েছেন তাঁদের জন্য। কিন্তু এই ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়।’’

  • Delhi Election: দিল্লি বিধানসভার কুর্সিতে এবার পদ্ম, বলছে জনমত সমীক্ষা

    Delhi Election: দিল্লি বিধানসভার কুর্সিতে এবার পদ্ম, বলছে জনমত সমীক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাসক দল আপকে নির্বাসনে পাঠাচ্ছেন দিল্লিবাসী (Delhi Election)! অন্তত একাধিক জনমত সমীক্ষায় (Exit Poll) উঠে এসেছে এমনই তথ্য। ৫ ফেব্রুয়ারি এক দফায় হয়েছে দিল্লির ৭০ আসনে নির্বাচন। নির্বাচনের ফল বের হবে ৮ ফেব্রুয়ারি। তার আগে বিভিন্ন জনমত সমীক্ষায় প্রকাশ, দিল্লিতে এবার ফুটছে পদ্ম।

    জনমত সমীক্ষার ফল (Delhi Election)

    জেভিসির এক্সিট পোল বলছে, বিজেপি পেতে পারে ৩৯ থেকে ৪৫টি আসন। আপের ঝুলিতে যেতে পারে ২২ থেকে ৩১টি আসন। কংগ্রেস পেতে পারে ০ থেকে ২টি আসন। পি মার্কের জনমত সমীক্ষা বলছে দিল্লিতে বিজেপি পেতে পারে ৩৯ থেকে ৪৯টি আসন। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল আপ পেতে পারে ২১ থেকে ৩১টি আসন। কংগ্রেসের অবস্থা শোচনীয়। সোনিয়া-রাহুল গান্ধীর দল পেতে পারে ০ থেকে ১টি আসন।

    দিল্লি পদ্মময়

    পিপলস ইনসাইটের এক্সিট পোলের (Delhi Election) রিপোর্ট অনুযায়ী, বিজেপি পেতে পারে ৪০ থেকে ৪৪টি আসন। আপ পেতে পারে ২৫ থেকে ২৯টি আসন। আর কংগ্রেসের ঝুলিতে যেতে পারে ০ থেকে ১টি আসন। পিপলস প্লাসের জনমত সমীক্ষা বলছে, বিজেপি পেতে পারে ৫১ থেকে ৬০টি আসন। কেজরিওয়ালের দল পেতে পারে ১০ থেকে ১৯টি আসন।

    চাণক্যস স্ট্র্যাটেজি বলছে, পদ্ম পার্টির ঝুলিতে যেতে পারে ৩৯ থেকে ৪৪টি আসন। আপ পেতে পারে ২৫ থেকে ২৮টি আসন। কংগ্রেস পেতে পারে ২ থেকে ৩টি আসন। ম্যাট্রিজের জনমত সমীক্ষা বলছে, দিল্লিতে বিজেপি পেতে পারে ৩৫ থেকে ৪০টি আসন। আপের ঝুলিতে যেতে পারে ৩২ থেকে ৩৭টি আসন। কংগ্রেস পেতে পারে মাত্র ১টি আসন।

    জনমত সমীক্ষার ইঙ্গিত বাস্তবায়িত হলে এবার দিল্লি হবে পদ্মময়। অবসান হবে আপ জমানার। তবে সাতটি জনমত সমীক্ষার ফল বলছে, খাস দিল্লিতেই কংগ্রেসের অবস্থা করুণ। তারা বড়জোর পাবে ১ থেকে ৩টি আসন। উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, এদিন বিকেল ৫টা পর্যন্ত দিল্লিতে (Exit Poll) ভোট পড়েছে ৫৭.৭০ শতাংশ (Delhi Election)।

  • AB-PMJAY Scheme: প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনায় বিপুল সাড়া, প্রকল্পের অধীনে সাড়ে ৮ কোটির বেশি মানুষ

    AB-PMJAY Scheme: প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনায় বিপুল সাড়া, প্রকল্পের অধীনে সাড়ে ৮ কোটির বেশি মানুষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আয়ুষ্মান ভারত – প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা (AB-PMJAY Scheme) প্রকল্পে বিপুল সাড়া মিলেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা (JP Nadda) মঙ্গলবার রাজ্যসভায় জানান, চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত আয়ুষ্মান ভারত – প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা (AB-PMJAY Scheme) প্রকল্পের অধীনে ৮.৫ কোটির বেশি মানুষ চিকিৎসা পরিষেবা গ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে পাবলিক ও প্রাইভেট দুই সেক্টরই রয়েছে। পাবলিক সেক্টরে ৪.২ কোটি এবং প্রাইভেট সেক্টরে ৪.৩ কোটি মানুষ চিকিৎসা পরিষেবা নিয়েছেন।

    আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা কী

    ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এই প্রকল্পে বছরে ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্যবিমার সুযোগ পায় কোনও পরিবার। গত ২৯ অক্টোবর পরিবারের প্রবীণ সদস্যের জন্য আলাদা স্বাস্থ্যবিমার ঘোষণা করেন মোদি। তিনি জানান, কোনও পরিবারে ৭০ বছর কিংবা তার বেশি বয়সি সদস্য আলাদা করে স্বাস্থ্যবিমার সুযোগ পাবেন। তিনিও বছরে ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্যবিমা পাবেন। এর সঙ্গে ওই পরিবারের স্বাস্থ্যবিমার কোনও সম্পর্ক নেই। প্রবীণ নাগরিকদের আয়ুষ্মান ভায়া বন্দনা কার্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করা হবে না। দেশের সমস্ত প্রবীণ নাগরিকই এই কার্ড পাবেন।

    কী বললেন নাড্ডা

    সংসদে একটি প্রশ্নের উত্তরে নাড্ডা (JP Nadda) জানান যে, ভারতের ৪০ শতাংশ আর্থিকভাবে দুর্বল জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে। তাদের জন্য এই প্রকল্প অমৃত সুধার মতো। সম্প্রতি, এই প্রকল্পে ৭০ বছর বা তার উপরের ৬ কোটি প্রবীণ নাগরিককে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এটি দেশব্যাপী তিন স্তরের মডেলে বাস্তবায়িত হচ্ছে— জাতীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ (এনএইচএ), রাজ্য স্বাস্থ্য সংস্থা (এসএইচএ) এবং জেলা বাস্তবায়ন ইউনিট (ডিআইইউ)। রাজ্য পর্যায়ে প্রকল্পের কার্যকর বাস্তবায়নের জন্য রাজ্য সরকারগুলি এসএইচএ গঠন করেছে। এই সংস্থা প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ করে। এই প্রকল্প এখন ২৫টি রাজ্যে ইউটিতে ট্রাস্ট মোডে, ৭টি রাজ্যে ইউটিতে বিমা মোডে এবং ২টি রাজ্যে হাইব্রিড মোডে বাস্তবায়িত হচ্ছে। নতুন নতুন হাসপাতালকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হচ্ছে।

  • US Military Aircraft: ১০৪ অবৈধ অভিবাসী নিয়ে অমৃতসরে এল মার্কিন সামরিক বিমান, এরপর কী?

    US Military Aircraft: ১০৪ অবৈধ অভিবাসী নিয়ে অমৃতসরে এল মার্কিন সামরিক বিমান, এরপর কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০৪ জন অবৈধ অভিবাসী নিয়ে অমৃতসরের (Amritsar) শ্রী গুরু রামদাসজি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করল একটি মার্কিন সামরিক বিমান (US Military Aircraft)।

    অবতরণ করল মার্কিন সামরিক বিমান (US Military Aircraft)

    বুধবার ১.৫৫ মিনিটে বিমানটি অবতরণ করেছে। এদিন যাদের ভারতে ফেরত পাঠানো হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ৩০ জন পাঞ্জাবের, ৩৩ জন হরিয়ানার ও গুজরাটের। মহারাষ্ট্র ও উত্তরপ্রদেশে তিনজন করেও রয়েছেন। রয়েছেন চণ্ডীগড়ের দুজনও। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও যাচাই-বাছাইয়ের পর প্রশাসন তাদের পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় নিজেদের বাড়িতে ফেরানোর ব্যবস্থা করেছে। এদিন যাঁদের ভারতে ফেরত পাঠানো হয়েছে, তাঁদের পরিবারের কেউই তাঁদের নিতে বিমানবন্দরে আসেননি।

    ট্রাম্প প্রশাসনের উদ্যোগ

    প্রসঙ্গত, মার্কিন সামরিক বিমান সি-১৭-তে করে ট্রাম্প প্রশাসন ভারতে ফেরত পাঠাল প্রথম দফার অবৈধ অভিবাসীদের। ২০ জানুয়ারি ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেন ট্রাম্প। তার পরেই দেশটির আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলি অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা শুরু করে। অনেক পাঞ্জাবি, যারা লাখ লাখ টাকা খরচ করে “ডাঙ্কি রুট” বা অন্যান্য অবৈধ উপায়ে আমেরিকায় প্রবেশ করেছিলেন, মূলত তাঁদেরই তাড়াচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন।

    অপরাধের রেকর্ড থাকলে পাঠানো হচ্ছে ডিটেনশন সেন্টারে

    জানা গিয়েছে, পাঞ্জাব পুলিশ ও ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো যৌথভাবে পরীক্ষা চালাচ্ছে। যাঁদের বিরুদ্ধে কোনও অপরাধমূলক অতীত বা রেকর্ড নেই, তাঁদেরকে সঙ্গে সঙ্গেই চলে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে (US Military Aircraft)। তবে, যাঁদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক রেকর্ড রয়েছে, পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য তাঁদের নিয়ে যাওয়া হবে ডিটেনশন সেন্টারে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই সংশ্লিষ্ট রাজ্যের যাচাই প্রক্রিয়া চলছে। আমেরিকা থেকে যাঁদের ফেরত পাঠানো হয়েছে, তাঁদের অফিসিয়াল নিশ্চিতকরণের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে। প্রসঙ্গত, এর আগে বিভিন্ন প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, মার্কিন সামরিক বিমানে করে ভারতে পাঠানো হচ্ছে ২০৫ জন অবৈধ অভিবাসী। আমেরিকা থেকে ভারতে এই প্রথম পাঠানো হল অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীদের ব্যাচ।

    প্রেসিডেন্ট পদে বসার পর থেকেই মার্কিন মুলুকে বসবাসকারী অবৈধ অভিবাসীদের স্বদেশে ফেরত পাঠাতে উদ্যোগী হয়েছেন ট্রাম্প। এই অভিবাসীদের চিহ্নিত করে ধরপাকড়ও শুরু করেছে মার্কিন প্রশাসন। ইতিমধ্যেই আমেরিকায় (Amritsar) বসবাসকারী বেশ কয়েকটি দেশের অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠাতে শুরু করেছে আমেরিকা। তার মধ্যে রয়েছে ভারতও (US Military Aircraft)।

  • Gyan Bharatam Mission: পান্ডুলিপি সংরক্ষণে ‘জ্ঞান ভারতম মিশন’ চালুর কথা কেন্দ্রীয় বাজেটে, কেন তাৎপর্যপূর্ণ

    Gyan Bharatam Mission: পান্ডুলিপি সংরক্ষণে ‘জ্ঞান ভারতম মিশন’ চালুর কথা কেন্দ্রীয় বাজেটে, কেন তাৎপর্যপূর্ণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় বাজেটে ঘোষণা করা হয়েছে ‘জ্ঞান ভারতম মিশন’ চালুর কথা। ২০২৫-’২৬ অর্থবর্ষে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এই মিশন চালুর কথা ঘোষণা করেন (Indias Ancient Knowledge)। এই মিশনে এক কোটি পান্ডুলিপি সংরক্ষণ ও নথিভুক্ত করা হবে (Gyan Bharatam Mission)। এই উদ্যোগটি ভারতের বিশাল বৌদ্ধিক ঐতিহ্যকে রক্ষা ও সমৃদ্ধ করার উদ্দেশ্যে গৃহীত হয়েছে। এটি প্রাচীন জ্ঞানকে আধুনিক শিক্ষা ও প্রযুক্তির সঙ্গে সংযুক্ত করার মোদি সরকারের বৃহত্তর দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

     কী বললেন সীতারামন? (Gyan Bharatam Mission)

    শনিবার বাজেট বক্তৃতায় সীতারামন বলেন, “আমাদের পান্ডুলিপি ঐতিহ্যের সমীক্ষা, নথিভুক্তকরণ এবং সংরক্ষণের জন্য জ্ঞান ভারতম মিশন চালু করা হবে। এটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, জাদুঘর, গ্রন্থাগার এবং ব্যক্তিগত সংগ্রাহকদের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে এক কোটি পান্ডুলিপি অন্তর্ভুক্ত করবে।”  সীতারামন এও ঘোষণা করেন, ভারতীয় জ্ঞানতন্ত্রের জন্য একটি জাতীয় ডিজিটাল ভান্ডার স্থাপন করা হবে, যা জ্ঞান বিনিময়ের সুযোগ করে দেবে। নয়া এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত বলেন, “২০২৫ সালের বাজেট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও সভ্যতাগত উত্তরাধিকারের সংরক্ষণ ও প্রচারের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।”

    শেখাওয়াতের বক্তব্য

    তিনি (Gyan Bharatam Mission) বলেন, “একটি নতুন কেন্দ্রীয় খাত প্রকল্প, ‘জাতীয় পান্ডুলিপি মিশন’ বা ‘জ্ঞান ভারতম মিশন’, আমাদের পান্ডুলিপি ঐতিহ্যের সমীক্ষা, দলিলীকরণ ও সংরক্ষণের জন্য চালু করা হয়েছে। এর মধ্যে ১ কোটিরও বেশি পান্ডুলিপি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ভারতীয় জ্ঞান ব্যবস্থার একটি জাতীয় ডিজিটাল সংগ্রহশালা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এটি প্রমাণ করে যে আমাদের সরকার আমাদের ‘বিরাসত’ রক্ষার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যাতে আমরা ‘বিকশিত ভারত’-এর পথে এগিয়ে যেতে পারি।”

    প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশাসন ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থাকে পুনর্গঠনের জন্য বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে। এই প্রচেষ্টাগুলির মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল ২০২০ সালে চালু হওয়া ‘জাতীয় শিক্ষা নীতি’, এটি ভারতীয় সংস্কৃতির মূল্যবোধ ও জ্ঞানকে শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে সমন্বিত করার লক্ষ্য নিয়েছে (Indias Ancient Knowledge)। এই নীতির সমর্থনে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে ‘ভারতীয় জ্ঞান পরম্পরা বিভাগ’ প্রতিষ্ঠা করে (Gyan Bharatam Mission)।

  • Mahakumbh 2025: “সনাতন ধর্ম নিরাপদে থাকলে ভারতও নিরাপদে থাকবে”, বললেন যোগী

    Mahakumbh 2025: “সনাতন ধর্ম নিরাপদে থাকলে ভারতও নিরাপদে থাকবে”, বললেন যোগী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যদি সনাতন ধর্ম নিরাপদে থাকে, তবে ভারতও নিরাপদে থাকবে।” মঙ্গলবার কথাগুলি বললেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। এর আগে সনাতন ধর্মকে বটবৃক্ষের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন তিনি (Mahakumbh 2025)। বলেছিলেন, “সারা বিশ্বে অসংখ্য সম্প্রদায় থাকতে পারে, তাঁদের উপাসনাবিধিও আলাদা আলাদা হতে পারে। কিন্তু ধর্ম একটাই। সেটা হল সনাতন ধর্ম। ভারতে নিষ্ঠা ও আস্থার দিক দিয়ে সকলেই সনাতন ধর্মের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে।”

    সুরক্ষিত ভারত (Mahakumbh 2025)

    তিনি এও বলেছিলেন, “মনে রাখবেন, ভারত যদি সুরক্ষিত থাকে, তাহলে আমরা সকলে সুরক্ষিত থাকব। দেশের ওপর কোনও সংকট এলে, তা সনাতন ধর্মের ওপর পড়বে। তা যদি হয়, তবে কোনও সম্প্রদায় নিজেদের সুরক্ষিত ভাববেন না। বিপদ সবার ওপর আসবে। ফলে সকলে একজোট হয়ে থাকুন।” এদিন সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী মহাকুম্ভের সেক্টর ৬-এ জগৎগুরু রামানন্দাচার্য স্বামী রাম ভদ্রাচার্যের শিবির পরিদর্শন করেন। সেখানেই ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “কিছু লোক সনাতন ধর্মের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তবে কোনো মারীচ বা সুবাহু সনাতন ধর্মের এক বিন্দুও ক্ষতি করতে পারবে না।” তিনি বলেন, “সনাতন ধর্ম লাখ লাখ সাধুদের দ্বারা সুরক্ষিত এবং একে শত্রুদের দ্বারা কখনওই টলানো সম্ভব নয়।”

    অখণ্ড ভারত সংকল্প মহাযজ্ঞ

    এদিন মুখ্যমন্ত্রী ১৫১ কুণ্ডি অখণ্ড ভারত সংকল্প মহাযজ্ঞে অংশ নেন। তিনি জানান, ইতিমধ্যেই প্রায় ৩৮ কোটি ভক্ত ত্রিবেণী সঙ্গমে পবিত্র স্নান (Mahakumbh 2025) করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “মহাকুম্ভ সারা বিশ্বের ভক্তদের জন্য এক ডিভাইন অভিজ্ঞতা এনে দিয়েছে। তাদের সামনে সনাতন ধর্মের আধ্যাত্মিক মহিমার এক ঝলক তুলে ধরেছে।” যোগী বলেন, “এরা সেই একই মানুষ, যারা রাম জন্মভূমির বিরোধিতা করেছিল এবং কুম্ভ মেলার তাৎপর্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। তারা কোভিড-১৯ অতিমারির সময় পরীক্ষার, চিকিৎসার এবং টিকাকরণেরও বিরোধিতা করেছিল।”

    এর পরেই তিনি বলেন, “যদি সনাতন ধর্ম নিরাপদ থাকে, তবে ভারত নিরাপদ থাকবে। যদি ভারত নিরাপদ থাকে, তবে মানবতাও নিরাপদ থাকবে।” মুখ্যমন্ত্রী (Yogi Adityanath) বলেন, “এই অনুষ্ঠান (মহাকুম্ভ স্নান) মহাশিবরাত্রি পর্যন্ত, অর্থাৎ ২৬শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। ইতিমধ্যেই তিনটি অমৃতস্নান হয়েছে। সকল আখড়া ও ধর্মীয় নেতারা ত্রিবেণী সঙ্গমে পবিত্র স্নান (Mahakumbh 2025) করেছেন।”

  • PM Modi: মহাকুম্ভে মোদি, গেরুয়া পোশাকে প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে পুণ্য-ডুব প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi: মহাকুম্ভে মোদি, গেরুয়া পোশাকে প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে পুণ্য-ডুব প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাতে রুদ্রাক্ষের মালা, শরীরে গেরুয়া পোশাক, মহাকুম্ভে এলেন মোদি (PM Modi)। গঙ্গা, যমুনা এবং অন্তঃসলিলা সরস্বতী নদীর সঙ্গমে পুণ্যস্নান সারলেন প্রধানমন্ত্রী। বুধবার সকালে মহাকুম্ভে পৌঁছে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে বোটে করে সঙ্গমে যান তিনি। দিল্লি ভোটের দিনই প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে ডুব দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। স্নান সেরে সূর্য প্রণাম করে প্রার্থনাও করলেন প্রধানমন্ত্রী (Modi in Maha Kumbh)।

    কেন এদিন স্নান

    মকর সংক্রান্তি, মৌনী অমাবস্যা এবং বসন্ত পঞ্চমীতে ‘অমৃত স্নান’ সেরেছেন অসংখ্য মানুষ। সামনে আসছে মাঘী পূর্ণিমার ‘অমৃত স্নান’-ও। তার পরিবর্তে বুধবার যে প্রধানমন্ত্রী ত্রিবেণী সঙ্গমে পুণ্যস্নান সারলেন, সেটার নেপথ্যে বিশেষ মাহাত্ম্য আছে বলে বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে। বিজেপি সূত্রে খবর, আজ মাঘী অষ্টমী তিথি পড়েছে। মহাভারতের কাহিনী অনুযায়ী, আজকের দিনেই প্রাণত্যাগ করেছিলেন ভীষ্ম। সেজন্যই পুণ্যস্নানের জন্য আজকের দিনটা বেছে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যদিও বিরোধীদের দাবি, হিন্দু ধর্মীয় ভাবাবেগে টোকা দিয়ে রাজনৈতিক কার্যসিদ্ধির জন্য দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের দিনই মহাকুম্ভে গেলেন মোদি (PM Modi)। তবে বিশেষজ্ঞদের দাবি, প্রতিদিন কোটি কোটি মানুষের ভিড় হচ্ছে কুম্ভে। তাই ভিড় এড়াতে শাহি স্নানের দিন বাদ দিয়ে একটি বিশেষ দিনকে বেছে নেন প্রধানমন্ত্রী (Modi in Maha Kumbh)। এমনিতে এবার কুম্ভমেলার বিশেষ গুরুত্ব আছে। কারণ ১৪৪ বছর পরে মহাকুম্ভ হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছে, ইতিমধ্যে মহাকুম্ভে দেশ ও বিদেশ থেকে ৩৮ কোটি মানুষ এসেছেন। সেরেছেন পুণ্যস্নান। শেষপর্যন্ত পুণ্যার্থীর সংখ্যা ৪০ কোটি পেরিয়ে যাবে বলে দাবি করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার।

    মোদির সঙ্গী যোগী

    বুধবার সকালে প্রয়াগরাজে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)। এরপর স্পিড বোডে করে সঙ্গম স্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। মোদির জন্য প্রয়াগরাজে উপচে পরেছে ভক্তদের ঢল। প্রধানমন্ত্রী মোদি (Modi in Maha Kumbh) প্রয়াগরাজে আসেন সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে। ডিপিএস হেলিপ্যাড-এ নামেন তিনি। সকাল ১১টার সময় তিনি নিষাদরাজ ক্রুজে ভিআইপি জেটি থেকে যাত্রা করেন, তাঁর সঙ্গে একই জলযানে দেখা গেল যোগীকে। এরপরই পূর্ব নির্ধারিত সময় মেনেই ত্রিবেণী সঙ্গমে আসেন মোদি।

  • Dattatreya Hosabale: “ঔপনিবেশিক কাঠামোর কারণে ভারতের প্রাচীন শিক্ষাব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে”, বললেন হোসাবলে

    Dattatreya Hosabale: “ঔপনিবেশিক কাঠামোর কারণে ভারতের প্রাচীন শিক্ষাব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে”, বললেন হোসাবলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “লর্ড মেকলের চাপিয়ে দেওয়া ঔপনিবেশিক কাঠামোর কারণে ভারতের প্রাচীন শিক্ষাব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।” কথাগুলি বললেন আরএসএস (RSS) সরকারের সাধারণ সম্পাদক দত্তাত্রেয় হোসাবলে (Dattatreya Hosabale)। ভারতের বৈদিক শিক্ষা ব্যবস্থা, ঐতিহ্য ও মূল্যবোধের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার ওপরও জোর দেন তিনি। তাঁর মতে, এটি দেশের জ্ঞান-প্রবাহের অংশ।

    কী বললেন দত্তাত্রেয় (Dattatreya Hosabale)

    বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ রাজীব মালহোত্র ও সহ-লেখক বিজয়া বিশ্বনাথন রচিত “হু ইজ রেইজিং ইয়োর চিলড্রেন” গ্রন্থের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন দত্তাত্রেয়। অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছিল বিবেকানন্দ ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনে। তিনি ভারতের দেশীয় শিক্ষা ব্যবস্থাকে পুনরুদ্ধারের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। এর পরেই তিনি বলেন, লর্ড মেকলের চাপিয়ে দেওয়া ঔপনিবেশিক কাঠামোর কারণে ভারতের প্রাচীন শিক্ষাব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

    “ধর্মযোদ্ধা”

    সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে হোসাবলে (Dattatreya Hosabale) বলেন, “বিগত কয়েক দশকে ভারতের জ্ঞান-ঐতিহ্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কিছু নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তি যাঁরা আদতে “ধর্মযোদ্ধা”, বৈদিক শিক্ষা ব্যবস্থার পুনর্জাগরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।” বইটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “এটি ঐতিহ্যগত জ্ঞান ও ঐতিহাসিক প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে লেখা একটি সুচিন্তিত গবেষণা।” এই বাইটি ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থায় ইতিবাচক অবদান রাখবে এবং নতুন শিক্ষানীতির লক্ষ্যগুলির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

    হোসাবলে ভারতের শিক্ষাব্যবস্থা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে দুর্বল করতে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার বিষয়ে সতর্ক করেন। তবে, তিনি উল্লেখ করেন যে, রাজীব মালহোত্রা ও বিজয়া বিশ্বনাথনের মতো চিন্তাবিদরা সক্রিয়ভাবে এই প্রভাবগুলোর মোকাবিলা করছেন এবং সত্য উন্মোচন করছেন। তিনি বলেন, “বৈদিক শিক্ষার সমৃদ্ধ জ্ঞান ভারতের সমাজ ও পারিবারিক কাঠামোকে শক্তিশালী করে দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে।”

    অনুষ্ঠান চলাকালীন লেখকরা উপস্থিত দর্শকদের সঙ্গে একটি প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন এবং ভারতের দেশীয় জ্ঞান ব্যবস্থা সংরক্ষণ ও প্রচারের জন্য (RSS) তাঁদের গবেষণা ও প্রচেষ্টাকে অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দেন (Dattatreya Hosabale)।

  • India Defence: শক্তি বাড়ছে ‘পিনাকা’ সিস্টেমের, ১০ হাজার কোটি দিয়ে বিশেষ রকেট কিনছে ভারত

    India Defence: শক্তি বাড়ছে ‘পিনাকা’ সিস্টেমের, ১০ হাজার কোটি দিয়ে বিশেষ রকেট কিনছে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও শক্তি বাড়তে চলেছে ভারতীয় সেনায় বিপুল জনপ্রিয় দেশে তৈরি পিনাকা মাল্টি ব্যারেল রকেট লঞ্চারের (Pinaka MBRL System)। বিশ্বের নজর টানা এই আর্টিলারি রকেট সিস্টেমকে আরও ক্ষমতাশালী করতে সম্প্রতি ২টি বড় প্রতিরক্ষা চুক্তিতে অনুমোদন দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি বা সিসিএস। এই এক জোড়া চুক্তির মোট মূল্য প্রায় ১০ হাজার ২০০ কোটি টাকা। এর ফলে, পিনাকা সিস্টেমের ধার ও ভার উভয়ই প্রভূত পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে (India Defence)।

    দু’ধরনের রকেট উৎপাদনের চুক্তি

    প্রথম চুক্তির মূল্য ৫ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। চুক্তিটি করা হয়েছে ৪৫ কিলোমিটার পাল্লা সম্পন্ন হাই-এক্সপ্লোজিভ প্রি-ফ্র্যাগমেন্টেড রকেট অ্যামুনিশন কেনার জন্য। দ্বিতীয় চুক্তির মূল্য ৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এই চুক্তির আওতায় ৩৭ কিলোমিটার পাল্লার এরিয়া ডিনাইয়াল অ্যামুনিশন কেনা হবে, যেগুলি ব্যবহার করা হবে ভারতীয় সেনার ১০টি পিনাকা রেজিমেন্টের জন্য। এরিয়া ডিনাইয়াল মুনিশনের বিশেষত্ব হল এটি ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী ও মাইন-বিধ্বংসী হিসেবেও অত্যন্ত কার্যকর। বিশেষজ্ঞদের মতে, যুদ্ধক্ষেত্রে এই বিশেষত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে (India Defence)।

    সেনায় আরও গুরুত্ব পিনাকা-কে

    জানা গিয়েছে, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা মুনিশনস ইন্ডিয়া লিমিটেডের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই বিশেষ রকেট ও অস্ত্রগুলি উৎপাদন করবে নাগপুরস্থিত বেসরকারি সংস্থা সোলার গ্রুপ। সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই এই মর্মে দুপক্ষের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। বর্তমানে ভারতীয় সেনায় ৪টি পিনাকা রেজিমেন্ট রয়েছে। এর একাংশ বর্তমানে দুর্গম চিন সীমান্তে মোতায়েন রয়েছে। নতুন আরও ৬টি রেজিমেন্ট গড়ে তোলা হচ্ছে। সেই প্রক্রিয়া চলমান।

    পিনাকা নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ভারতের

    কেন্দ্রীয় সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, পিনাকা সিস্টেমে (Pinaka MBRL System) ব্যবহৃত রকেটের একাধিক সংস্করণ তৈরি করেছে দেশের প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও। কোনওটার পাল্লা ৪৫ কিলোমিটার তো কোনওটার ৭৫ কিমি পর্যন্ত। অধিক দীর্ঘ পাল্লার (৭৫ কিমি) রকেটগুলি গাইডেড প্রকৃতির। তবে, এখানেই থামতে রাজি নয় ডিআরডিও। ভবিষ্যতে, এই রকেটের পাল্লা আরও বৃদ্ধি করে প্রথমে ১২০ কিমি এবং আরও পরে ৩০০ কিমি পর্যন্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদীর মতে, একবার এই পাল্লা ভারতের হাতে চলে এলে, পিনাকা হয়ে উঠবে বাহিনীর অন্যতম প্রধান অস্ত্র (India Defence)।

    কারগিলে জাত চিনিয়েছিল পিনাকা

    পুরাণ মতে, দেবাদিদেব মহাদেবের ধনুকের নাম ‘পিনাক’। সেই অনুসারে এই রকেটের নামকরণ করা হয় ‘পিনাকা’। সাবেক সোভিয়েত আমলের ‘গ্রাদ বিএম-২১’ রকেট লঞ্চারের বিকল্প হিসেবে তৈরি করা হয় পিনাকা। প্রথম এটি ব্যবহার করা হয়েছিল কারগিল যুদ্ধে। সেখানেই নিজের জাত চিনিয়ে দিয়েছিল এই দেশীয় রকেট সিস্টেম। কারগিল যুদ্ধের সময় দুর্গম এলাকায় এই পিনাকা ব্যবহার করে পাক ফৌজকে পর্যুদস্ত করেছিল ভারতীয় সেনা (India Defence)। সেই সময় পাক সেনার ওপর মুহুর্মুহু আঘাত হেনেছিল পিনাকা রকেট। কার্যত রকেটের বর্ষণ হয়েছিল, যা পাক হামলার মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছিল। এখন পিনাকা মোতায়েন রয়েছে চিন সীমান্ত লাগোয়া দুর্গম অঞ্চলে।

    পিনাকায় মজেছে পশ্চিমি দুনিয়া

    বর্তমানে পিনাকা বিশ্বের অন্যতম সেরা আর্টিলারি সিস্টেম (India Defence)। কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে ১২টি রকেট নিক্ষেপ করা যায় এই সিস্টেমের দৌলতে। এখন এই সিস্টেমের সর্বাধিক পাল্লা ৬০ কিমি। দুর্গম এলাকার লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুল আঘাত হানতে সক্ষম পিনাকা। যে কারণে, পাশ্চাত্য দেশেও এটি ভূয়সী প্রশংসা কুড়িয়েছে। আরমেনিয়া ইতিমধ্যে এই সিস্টেম কিনেছে এবং চুক্তি মোতাবেক প্রথম ব্যাচ তাজের হাতে পৌঁছে গিয়েছে। ফ্রান্স সহ বিশ্বের একাধিক দেশ পিনাকা (Pinaka MBRL System) কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

LinkedIn
Share