Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Amit Shah: মহাকুম্ভে ‘শাহি’ ডুব! পরিবার নিয়ে সঙ্গমে পবিত্র স্নান সারলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    Amit Shah: মহাকুম্ভে ‘শাহি’ ডুব! পরিবার নিয়ে সঙ্গমে পবিত্র স্নান সারলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকুম্ভে পবিত্র ডুব দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তাঁর সঙ্গে সোমবার ডুব দিতে দেখা যায় বিভিন্ন সাধু-সন্তদেরও। পবিত্র ডুব দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণ করেন সাধুরা। নিজের এক্স হ্যান্ডলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহাকুম্ভকে সনাতন ধর্মের প্রতীক বলে মন্তব্য করেন এবং এর মাধ্যমেই যে ভারতবর্ষের সনাতন সংস্কৃতি, দর্শন এবং সম্প্রীতির পরিবেশ প্রতিফলিত হচ্ছে, তাও তিনি জানান।

     

    হাজির শাহের (Amit Shah) গোটা পরিবার

    পবিত্র ডুব দেওয়ার পরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী (Yogi Adityanath) বিশেষ পুজো শুরু করেন এবং ত্রিবেণী সঙ্গমে তাঁরা আরতিও করেন। প্রসঙ্গত, অমিত শাহের সঙ্গে এদিন তাঁর পরিবারও হাজির ছিল। ছিলেন অমিত শাহের স্ত্রী সোনাল শাহ, তাঁর পুত্র জয় শাহ (ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান)। জয় শাহের স্ত্রী এবং তাঁর সদ্যোজাত সন্তানও হাজির ছিল।

     

    কুম্ভের কলসি শাহের (Amit Shah) হাতে তুলে দেন যোগী

    অমিত শাহকে একটি কুম্ভের কলসি উপহারস্বরূপ তাঁর হাতে তুলে দেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এটি মহাকুম্ভের ঐতিহ্য এবং শ্রদ্ধার প্রতীক বলে মানা হয়। এছাড়া বিভিন্ন সাধু-সন্তরা অমিত শাহকে সম্মান জানান চন্দনের তিলক এঁকে দিয়ে। অমিত শাহ এবং যোগী আদিত্যনাথ যখন পবিত্র ডুব দেন, তখন তাঁদের সঙ্গে হাজির ছিলেন জুনা আখড়ার পিঠাধীশ্বর স্বামী অবদেশানন্দা। এছাড়া আখড়া পরিষদের সভাপতি মহন্ত রবীন্দ্র পুরী এবং যোগগুরু বাবা রামদেব।

     

    সূর্য দেবতার উদ্দেশ্যে অর্ঘ্যদান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর (Amit Shah)

    প্রসঙ্গত, পবিত্র ডুব দেওয়ার পরে সূর্য দেবতার উদ্দেশ্যে অর্ঘ্যদানও করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তাঁরা নাতি-নাতনিরাও সাধুদের কাছ থেকে আশীর্বাদ পান। এমন একটি ছবি নিজের সমাজ মাধ্যমে শেয়ার করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। হর হর মহাদেব ধ্বনিতে তাঁরা গঙ্গা এবং সূর্য দেবতার উদ্দেশ্যে প্রণাম জানান।

  • Mahakumbh 2025: “সনাতন ধর্ম হল ভারতের জাতীয় ধর্ম,” ঘোষণা যোগী আদিত্যনাথের

    Mahakumbh 2025: “সনাতন ধর্ম হল ভারতের জাতীয় ধর্ম,” ঘোষণা যোগী আদিত্যনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সনাতন ধর্ম শক্তিশালী হলে, দেশ শক্তিশালী হবে।” দিন দুয়েক আগে কথাগুলি বলেছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। এবার সনাতন ধর্মকে তিনি ভারতের জাতীয় ধর্ম বলে ঘোষণা করে দিলেন।

    কী বললেন যোগী আদিত্যনাথ? (Mahakumbh 2025)

    রবিবার মহাকুম্ভ ২০২৫ উপলক্ষে সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে যোগী আদিত্যনাথ বলেন, “সনাতন ধর্ম হল ভারতের জাতীয় ধর্ম। এটি মানবতার ধর্ম। পুজোর প্রক্রিয়া আলাদা হতে পারে। কিন্তু ধর্ম একটাই এবং সেই ধর্ম হল সনাতন ধর্ম। কুম্ভ সেই সনাতন ধর্মের প্রতিনিধিত্ব করে।” তিনি বলেন, “১৪ জানুয়ারি, মকর সংক্রান্তির দিন গঙ্গা-যমুনা-সরস্বতীর সঙ্গমস্থলে অমৃতস্নান করেছেন প্রায় ৬ কোটি ভক্ত।” তিনি বলেন, “এই ঐক্যের বার্তা মহাকুম্ভ দিয়েছে। এখানে কোনও বৈষম্য ছিল না। যারা সনাতন ধর্মের সমালোচনা করতেন, আমরা বলি, আসুন এটি দেখুন। ধৃতরাষ্ট্র হবেন না, নিজের চোখে এটি দেখুন।”

    মহাকুম্ভের বার্তা

    দিন দুয়েক আগে সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “মহাকুম্ভের বার্তা হল একতা ও অখণ্ডতার বার্তা, এবং এটি বিশ্বের কাছে পৌঁছে দেওয়া উচিত৷ মহাকুম্ভের অংশীদার সমস্ত সাধু, ভক্ত বা এমনকি পর্যটকরাও যদি ঐক্যের বার্তা এগিয়ে নিয়ে যান, তাহলে সনাতন ধর্মকে শক্তিশালী করা হবে এবং, যদি সনাতন ধর্ম শক্তিশালী হয়, তাহলে আমাদের দেশ শক্তিশালী হবে।”

    গত ১৩ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে শুরু হয় মহাকুম্ভ উপলক্ষে মেলা। মেলা চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এর মধ্যে অমৃতস্নানের দিন ৫টি। দুটি স্নান হয়ে গেলেও বাকি রয়েছে তিনটি। এগুলি হল, মৌনী অমাবস্যার স্নান, বসন্ত পঞ্চমীর স্নান এবং মহা শিবরাত্রির স্নান। ইতিমধ্যে প্রয়াগরাজের (Mahakumbh 2025) এই ত্রিবেণী সঙ্গমে স্নান সেরেছেন ১২ কোটিরও বেশি মানুষ। যোগী প্রশাসনের আশা, এবার সব মিলিয়ে কুম্ভস্নান করবেন ৪০ কোটিরও বেশি মানুষ। এর মধ্যে কেবল দেশের লোকজনই নন, বিদেশ থেকেও দলে দলে আসছেন পর্যটক। কেউ পুণ্য লাভের (Yogi Adityanath) আশায়, কেউবা স্রেফ পর্যটক হিসেবে। মহা মিলনের এই মেলায় যেদিকেই চোখ যায়, শুধুই কালো মাথার সারি। আট থেকে আশি কে নেই ত্রিবেণী সঙ্গমের এই মেলায় (Mahakumbh 2025)!

  • Waqf Amendment Bill: পাশ ওয়াকফ সংশোধনী বিল, ১৪টি নিয়মের সংশোধনে সবুজ সঙ্কেত জেপিসি-র

    Waqf Amendment Bill: পাশ ওয়াকফ সংশোধনী বিল, ১৪টি নিয়মের সংশোধনে সবুজ সঙ্কেত জেপিসি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ নিয়মের (Waqf Amendment Bill) সংশোধনে সবুজ সঙ্কেত দিল যৌথ সংসদীয় কমিটি। জেপিসি-তে পাশ হয়ে গেল ওয়াকফ সংশোধনী বিলের খসড়া। এই খসড়া বিলে কেন্দ্রের তরফে আনা ১৪টি সংশোধনীই গৃহীত হয়েছে। অন্যদিকে, বিরোধীদের পেশ করা সবকটি সংশোধনী ভোটাভুটিতে খারিজ হয়ে যায়।

     

    সংসদে কবে আসছে ওয়াকফ বিল

    আগামী ৩১ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের বাজেট অধিবেশন। আসন্ন অধিবেশনের প্রথম পর্বেই সংসদে এই বিলটি (Waqf Amendment Bill) আনতে পারে সরকার। গত বছরের ২৯ নভেম্বরই এই খসড়া বিল জমা দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু পরে কমিটির মেয়াদ বাড়িয়ে ১৩ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ বাজেট অধিবেশনের প্রথমার্ধের শেষদিন পর্যন্ত করা হয়। সূত্রের খবর, ওয়াকফ বিলে বিরোধীরা যে সংশোধন করতে বলেছিল, তা খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। জেপিসি-র এই খসড়া রিপোর্ট ২৮ জানুয়ারি প্রকাশ করা হবে ও ২৯ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হবে। ৩১ জানুয়ারি চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা পড়বে। এরপর নিয়মাফিক সংসদের দুই কক্ষে পেশ করা হবে বিল। পাশ হওয়ার পর, রাষ্ট্রপতি অনুমোদন দিলেই বদলে যাবে ওয়াকফ আইন। নতুন নাম হবে ‘ইউনিফায়েড ওয়াকফ ম্যানেজমেন্ট, এমপাওয়ারমেন্ট, এফিশিয়েন্সি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যাক্ট’।

     

    ওয়াকফ সম্পত্তির চরিত্র বদল নয়

    যে-সব সম্পত্তি ওয়াকফ না হওয়া সত্ত্বেও ওয়াকফের (Waqf Amendment Bill) মর্যাদা পেয়ে আসছিল, সেগুলির পুনরুদ্ধারের কথা বলা হয়েছিল সংসদে পেশ হওয়া বিলে। বিলের সেই ধারা পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে সংশোধনী আনেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। তিনি সংশোধনীতে বলেন, যেগুলি ওয়াকফ সম্পত্তি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে, তার চরিত্র বদলের চেষ্টা না করে বরং বিল পাশের পরে ভবিষ্যতে কোনও সম্পত্তি ওয়াকফ কি-না তা ভালো করে খতিয়ে দেখা হোক। নিশিকান্তের আনা ওই সংশোধনীটি আজ পাশ হয়। এর ফলে ওয়াকফ সম্পত্তি হিসেবে চিহ্নিত বা ব্যবহার করা হচ্ছে এমন কোনও সম্পত্তির চরিত্র পরিবর্তন হওয়ার আশু কোনও বিপদ থাকছে না।

     

    প্রক্রিয়া মেনেই বিল পাশ

    বিজেপি সাংসদ তথা যুগ্ম সংসদীয় কমিটির প্রধান জগদম্বিকা পাল বলেন, “ওয়াকফ (Waqf Amendment Bill) আইনের ৪৪টি ধারা নিয়েই আলোচনা হয়েছে। ৬ মাস ধরে আলোচনার পর চূড়ান্ত বৈঠকে ১৪টি সংশোধন গ্রহণ করা হয়েছে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের ভিত্তিতে। বিরোধীরাও সংশোধনের সুপারিশ করেছিল। প্রতিটি প্রস্তাব নিয়েই আলোচনা ও ভোটাভুটি হয়েছে। তাদের প্রস্তাবের পক্ষে ১০টি ভোট পড়েছে, বিরোধিতায় ১৬টি ভোট পড়েছে।” প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই এই কমিটির বৈঠক নিয়ে বিরোধী সাংসদদের সঙ্গে শাসক পক্ষের বিরোধ চরমে ওঠে।

     

    ওয়াকফ সংশোধনী বিল কী

    ১৯৫৪ সালে প্রথম ওয়াকফ আইন পাশ হয়েছিল। ১৯৯৫ সালে ওয়াকফ আইনে সংশোধনী (Waqf Amendment Bill) এনে ওয়াকফ বোর্ডের হাতে সব ক্ষমতা তুলে দেওয়া হয়। তার পর থেকেই বার বার প্রশ্ন উঠেছে বোর্ডের একচ্ছত্র অধিকার নিয়ে। বর্তমানে ওয়াকফ আইনের ধারা ৪০ অনুযায়ী, যে কোনও সম্পত্তিকে ওয়াকফ হিসাবে ঘোষণার অধিকার ছিল ওয়াকফ বোর্ডের হাতেই। ফলে ওয়াকফ বোর্ডের বিরুদ্ধে বার বার বহু গরিব মুসলিমের সম্পত্তি, অন্য ধর্মালম্বী ব্যক্তির সম্পত্তি অধিগ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। নতুন সংশোধনীতে ওয়াকফ বোর্ডের সেই একচ্ছত্র অধিকার কেড়ে নিয়ে কোনও সম্পত্তি ওয়াকফ কি না, সেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হবে জেলাশাসক বা সমপদমর্যাদার কোনও আধিকারিকের হাতে। সংশোধনের মূল লক্ষ্য হল একটি কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে ওয়াকফ সম্পত্তির নথিভুক্তিকরণ নিয়ন্ত্রণ করা। এ ছাড়াও প্রস্তাবিত অন্যান্য সংশোধনগুলির মধ্যে রয়েছে একটি কেন্দ্রীয় ওয়াকফ কাউন্সিলের পাশাপাশি প্রতি রাজ্যে ওয়াকফ বোর্ড গঠন, যেখানে মুসলিম মহিলা এবং অমুসলিমদের প্রতিনিধিত্ব থাকবে।

     

    কী কী সংশোধনের প্রস্তাব ওয়াকফ বিলে?

    নতুন আইনে ওয়াকফ কাউন্সিল যেকোনও জমিতে দাবি জানাতে পারবে না বলা হয়েছিল।
    কমপক্ষে ৫ বছর ইসলাম ধর্ম পালনের পরই ওয়াকফে সম্পত্তি দান করা যাবে।
    ওয়াকফ বোর্ডে অমুসলিম সদস্য ও অন্তত দুইজন মহিলা সদস্য যোগ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।
    কেন্দ্রীয় ওয়াকফ কাউন্সিলে অমুসলিম একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, তিনজন সাংসদ, দুইজন প্রাক্তন বিচারপতি, উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিক সদস্য যোগ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।
    মূলত সম্পত্তিতে মুসলিম মহিলা ও শিশুদের ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্যই ওয়াকফ আইনে সংশোধনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।

  • UCC: কথা রাখলেন ধামি, উত্তরাখণ্ডে কার্যকর হল অভিন্ন দেওয়ানি বিধি

    UCC: কথা রাখলেন ধামি, উত্তরাখণ্ডে কার্যকর হল অভিন্ন দেওয়ানি বিধি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) কার্যকর হল অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (UCC)। উত্তরাখণ্ডই দেশের প্রথম রাজ্য যেখানে লাগু হল অভিন্ন দেওয়ানি বিধি। সোমবার দুপুরে ইউসিসি পোর্টালের উদ্বোধন করেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উত্তরাখণ্ড সফরের আগেই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করে দিল ধামি সরকার।

    অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (UCC)

    ২০২৫ সালের শুরুতেই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু হওয়ার কথা আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ধামি। এই বিধি অনুযায়ী, সব ধর্মের মানুষের জন্য জমি, সম্পত্তি, উত্তরাধিকার, বিয়ে এবং বিবাহবিচ্ছেদ সংক্রান্ত এক ও অভিন্ন আইন প্রচলন হবে। উত্তরাখণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে ইউসিসি পোর্টালের উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। এই অনুষ্ঠানের পরেই উত্তরাখণ্ডে কার্যকর হয়ে গেল ইউসিসি (UCC)। এর পাশাপাশি, এবার থেকে উত্তরাখণ্ডে কোনও যুগল লিভ-ইন করতে চাইলে বাধ্যতামূলকভাবে অনুমতি নিতে হবে পুলিশ বা জেলা আধিকারিকের।

    মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা

    পোর্টাল উদ্বোধনের পর মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, ২৭ জানুয়ারি রাজ্যে অভিন্ন দেওয়ানি বিধির দিন হিসেবে পালিত হবে। ইউসিসি কমিটির চেয়ারম্যান তথা প্রাক্তন মুখ্যসচিব শত্রুঘ্ন সিং বলেন, বিধিটি কার্যকর করার জন্য বহু গবেষণা করা হয়েছে। কমিটির তিনজন সদস্য রাজ্যের প্রতিটি জেলা ঘুরে দেখেন। এরপর আইন কমিশনের রিপোর্ট-সহ বাকি রিপোর্ট পড়ে দেখার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছনোর আগে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষেরও মতামত নেওয়া হয়েছে (UCC)।

    ২০২২ সালে হয় উত্তরাখণ্ড বিধানসভার নির্বাচন। ওই নির্বাচনে বিজেপি জিতলে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। নির্বাচনে জয়ী হয় বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী হন ধামি। তার পরেই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে ২৭ মে উত্তরাখণ্ডে অভিন্ন দেওয়ানি বিধির জন্য একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়। বিধি কার্যকরের জন্য আইনি প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি গঠন করা হয় সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি রঞ্জনাপ্রকাশ দেশাইয়ের নেতৃত্বে। গত বছর ২০২৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি রিপোর্ট দেয় সেই কমিটি। ৮ মার্চ বিধানসভায় পাশ হয় বিলটি। পরে পাঠানো হয় রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য। রাষ্ট্রপতির অনুমতি মিললে ১৩ মার্চ এ (Uttarakhand) ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি জারি করে উত্তরাখণ্ড সরকার (UCC)।

     

  • Republic Day 2025: রচিত হল ইতিহাস, প্রথমবার প্রজাতন্ত্র দিবসে পুলওয়ামার ত্রাল, মাও-দূর্গে উড়ল তেরঙ্গা

    Republic Day 2025: রচিত হল ইতিহাস, প্রথমবার প্রজাতন্ত্র দিবসে পুলওয়ামার ত্রাল, মাও-দূর্গে উড়ল তেরঙ্গা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৭৬তম সাধারণতন্ত্র দিবসে রচিত হল ইতিহাস। স্বাধীনতার পর থেকে এই প্রথমবার জাতীয় পতাকা (National Flag) উড়ল জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামার ত্রালে। রবিবার সাধারণতন্ত্র দিবসে (Republic Day 2025) ত্রালের ট্রায়াল চকে উড়ল তেরঙ্গা ঝান্ডা। জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর গাওয়া হয় জাতীয় সঙ্গীত। ‘ভারত মাতা কী জয়’ ধ্বনিতে মুখরিত হয় ত্রালের আকাশ-বাতাস। সাধারণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে স্থানীয় বাসিন্দাদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অন্তত হাজার খানেক মানুষ। এর সিংহভাগই তরুণ।

    তরুণ প্রজন্মের উপস্থিতি (Republic Day 2025)

    বিশেষজ্ঞদের মতে, তরুণ প্রজন্মের উপস্থিতি ঐক্যবদ্ধ ও উন্নত ভবিষ্যতের জন্য তাদের আশা-আকাঙ্খা প্রকাশ করছে। এই ত্রাল এক সময় প্রায়ই খবরের শিরোনামে আসত অশান্তির কারণে। এদিন সেখানেই মেঘমুক্ত আকাশে পতপত করে উড়তে থাকে ভারতের গর্বের প্রতীক তেরঙ্গা ঝান্ডা (Republic Day 2025)। রাষ্ট্রীয় রাইফেলস, জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ এবং সিআরপিএফের উদ্যোগে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে উদযাপিত হয় সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এদিনের অনুষ্ঠান স্থানীয় সম্প্রদায় ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় ও বিশ্বাসের প্রতিফলন। নয়া কাশ্মীরের দিকে এগিয়ে যাওয়ার একটি পদক্ষেপ।

    পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলা

    প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসার দিনই পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলায় শহিদ হন সিআরপিএফের ৪০ জন জওয়ান। সেনা কনভয়ে হামলা চালায় জঙ্গিরা। সেই ত্রালই সাক্ষী রইল দিন বদলের। প্রথমবার জাতীয় পতাকা উড়ল ত্রালের আকাশে।

    এদিন সন্ধেয় গান্ডারবল জেলার গুরুত্বপূর্ণ বিল্ডিংগুলি সাজানো হয়েছিল তেরঙ্গা আলোকমালায় (Republic Day 2025)। গান্ডারবল মিনি সেক্রেটারিয়েট এবং দুদারহামা ব্রিজ জাতীয় পতাকার উজ্জ্বল রঙে রাঙানো হয়। লালচকের প্রতীকী ঘণ্টাঘরও ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে তেরঙ্গা আলোয় সাজানো হয়েছিল (National Flag)।

    কী বললেন উপমুখ্যমন্ত্রী?

    জম্মু-কাশ্মীরের উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুরিন্দর চৌধুরী শ্রীনগরের বখশি স্টেডিয়ামে ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। তিনি বলেন, “এটি আমার জন্য গর্বের বিষয়। আজ আমি জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণ এবং মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাকে ধন্যবাদ জানাই, যিনি আমায় এই বখশি স্টেডিয়ামে তেরঙ্গা উত্তোলনের সুযোগ দিয়েছেন। আমরা এই সংবিধানের অধীনে জম্মু ও কাশ্মীরের পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা পুনরুদ্ধারের দাবি জানিয়েছি। বিশেষ মর্যাদার বিষয়ে, এটি আমাদের দাবি ছিল এবং চিরকাল থাকবে।”

    তেরঙ্গা উড়ল ছত্তিশগড়েও

    এই যদি জম্মু-কাশ্মীরের ছবিটা হয়, তাহলে প্রায় একই ছবি দেখা গিয়েছে একদা মাও- অধ্যুষিত ছত্তিশগড়েও। এদিন সেখানকার বিভিন্ন জায়গায়ও উড়েছে তেরঙ্গা ঝান্ডা। বিজাপুর, সুকমা, কাঁকের এবং নারায়ণপুর জেলার ২৬টি প্রান্তিক গ্রামে উত্তোলন করা হয়েছে জাতীয় পতাকা। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা লাভের পর এই প্রথম এই সব এলাকায় উড়ল তেরঙ্গা ঝান্ডা। ওই গ্রামগুলি এক সময় মাওবাদীদের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল।

    সুকমা জেলার তুমালপাড় গ্রামে, ৭৪তম ব্যাটালিয়নের সিআরপিএফের কমান্ড্যান্ট নেতৃত্বে প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন করা হয়। এই গ্রামটি একসময় মাওবাদী বিদ্রোহের কেন্দ্রস্থল ছিল। মাওবাদীদের দমন করে শিবির স্থাপন করে নিরাপত্তা বাহিনী। তার পরেই স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসে (National Flag)।

    মাও ঘাঁটিতেই উড়ল জাতীয় পতাকা

    একই দৃশ্য দেখা গিয়েছে, সুকমার গোমগুডা, দান্তেওয়াড়ার গোডামের ফুন্দারি এবং বিজাপুরের কোন্ডাপল্লি গ্রামেও (Republic Day 2025)। এক সময় এই গ্রামগুলিও মাওবাদীদের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল। এই জায়গায়গুলিতেও এবারই প্রথম প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন করা হয়। এই গ্রামগুলিতে সাধারণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে প্রচুর গ্রামবাসী অংশ নেন। এই সব অঞ্চলে যখন মাওবাদীদের রমরমা ছিল, তখন স্বাধীনতা দিবস ও প্রজাতন্ত্র দিবস বয়কট করার কথা ঘোষণা করত মাওবাদীরা। বনপার্টির ভয়ে ভীত-সন্ত্রস্ত্র গ্রামবাসীরা পালন করতে পারতেন না এই দুই জাতীয় উৎসব। মোদি জমানায় মাও দমনে কোমর বেঁধে নামে প্রশাসন। ধীরে ধীরে কোণঠাসা হয়ে পড়ে মাওবাদীরা। সম্প্রতি ১৬ জন মাওবাদীকে নিকেশ করে নিরাপত্তাবাহিনী। তার পরেই এবার উড়ল তেরঙ্গা ঝান্ডা (Republic Day 2025)।

    মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা

    এলাকার পরিবর্তনকে স্বাগত জানিয়ে ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই রবিবার মাওবাদী হিংসায় ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলিতে তেরঙ্গা উত্তোলন হওয়ায় খুশি প্রকাশ করেন। এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এটি বিকাশমান ছত্তিশগড়ের নতুন বস্তার, পরিবর্তিত বস্তার।” ট্যুইট-বার্তায় তিনি আরও বলেন, “আজ প্রজাতন্ত্র দিবসের এই শুভ দিনে, স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো বিজাপুর, নারায়ণপুর, সুকমা এবং কাঁকেরের ২৬টি মাওবাদী-প্রভাবিত গ্রামে তেরঙ্গা উত্তোলন করা হয়েছে। এটি এক অনন্য আনন্দ এবং আধ্যাত্মিক তৃপ্তির বিষয় (National Flag)। প্রজাতন্ত্র দিবস গর্বের সঙ্গে উদযাপিত হয়েছে (Republic Day 2025)।”

  • Brahmos Export Deal: মাস্টারস্ট্রোক মোদির! ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে ৩৮০০ কোটি টাকার ব্রহ্মোস চুক্তি ভারতের

    Brahmos Export Deal: মাস্টারস্ট্রোক মোদির! ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে ৩৮০০ কোটি টাকার ব্রহ্মোস চুক্তি ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) জমানায় প্রতিরক্ষায় ভারত এখন শুধুমাত্র আত্মনির্ভর নয়। ভারত এখন প্রতিরক্ষা-রফতানিতেও বিশ্বে নিজের ছাপ ছাড়তে শুরু করে দিয়েছে। কারণ, ফিলিপিন্সের পর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আরও একটি দেশ থেকে ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের (Brahmos Supersonic Cruise Missile) বিপুল বরাত পাচ্ছে মোদির ভারত (India Indonesia Missile Deal)। সূত্রের খবর, ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে ব্রহ্মোস চুক্তি (Brahmos Export Deal) নিশ্চিত করে ফেলেছে ভারত। চুক্তির মূল্য, প্রায় ৩৮০০ কোটি টাকা বা ৪৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার!

     

    বিমানবাহী রণতরী উৎপাদন নিয়ে আলোচনা

    রবিবার, প্রজাতন্ত্র দিবসে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবোয়ো সুবিয়ান্তো ভারতে আসেন প্রধান অতিথি হিসেবে। এই দিনেই, ভারতের থেকে বিমানবাহী রণতরী উৎপাদন নিয়ে সহযোগিতার বিষয়ে জোর ইচ্ছাপ্রকাশ করে জাকার্তা (Brahmos Export Deal)। দুদেশের শীর্ষস্থানীয় আধিকারিকদের মধ্যে ইতিমধ্যেই এই নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ভারত হল বিশ্বের হাতেগোনা কয়েকটি দেশের তালিকায়, যাদের নিজস্ব ক্ষমতা রয়েছে বিমানবাহী রণতরী নির্মাণ করার। ইন্দোনেশিয়া এখন ভারতের থেকে এই বিষয়ে সহযোগিতা চাইছে। আর সোমবার এল বড় সুখবর। কেন্দ্রীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, ভারত থেকে সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল কেনার চুক্তি (Brahmos Export Deal) কার্যত পাকা করে নিয়েছে ইন্দোনেশিয়া। শোনা যাচ্ছে, চুক্তিকে আরও আকর্ষণীয় করতে, ইন্দোনেশিয়াকে ‘লাইন অফ ক্রেডিট’ দিতেও রাজি নয়াদিল্লি (India Indonesia Missile Deal)।

     

    ব্রহ্মোস কেনার পাকা-কথা

    ২০২০ সালে ইন্দোনেশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভারত সফরে এসে ব্রহ্মোস মিসাইল কেনার বিষয়ে কথাবার্তা শুরু করেছিলেন। দীর্ঘ চার বছরের আলোচনার ফসল ফলছে এখন। সূত্রের খবর, ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনীর প্রধান মহম্মদ আলি সম্প্রতি ব্রহ্মোস এরোস্পেসের সদর দফতরে গিয়ে সংস্থার সিইও জয়তীর্থ জোশির সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন (Brahmos Export Deal)। সেই সময়ই নাকি ইন্দোনেশিয়ার প্রতিনিধি দলকে ব্রহ্মোসের যাবতীয় শক্তি ও ক্ষমতা সম্পর্কে অবগত করেন ব্রহ্মোস প্রধান (India Indonesia Missile Deal)। এর আগে, ভারতের থেকে ৩৭৫ মিলিয়ন ডলার মূল্যের ব্রহ্মোস মিসাইল কিনতে চুক্তি সই করেছিল ফিলিপিন্স। সেই প্রথম ভারতে তৈরি অস্ত্র বিদেশে রফতানি করা হয়।

  • Maha Kumbh 2025: ‘অমৃত কুম্ভে’র সন্ধানে ‘বিলম্বিত’ স্নান অখিলেশের, কটাক্ষ বিজেপির

    Maha Kumbh 2025: ‘অমৃত কুম্ভে’র সন্ধানে ‘বিলম্বিত’ স্নান অখিলেশের, কটাক্ষ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুণে গুণে ১১টা ডুব দিলেন। প্রয়াগরাজে অখিলেশ যাদবের পুণ্যস্নানের সেই ছবি এবং ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছে সমাজবাদী পার্টি। রবিবার উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে ত্রিবেণী সঙ্গমে ডুব দিলেন সমাজবাদী পার্টির সাংসদ। কুম্ভমেলা (Maha Kumbh 2025) শুরু হয়েছে ১৩ জানুয়ারি। এতদিন পরে কুম্ভস্নান করায় অখিলেশকে নিশানা করেছে বিজেপি (BJP)। পদ্ম পার্টির মতে, অখিলেশের মহাকুম্ভে পা রাখার ঘটনা ‘রাজনৈতিক মোক্ষ’। প্রতি ১২ বছর অন্তর প্রয়াগরাজে হয় পূর্ণকুম্ভ। ১২টি পূর্ণকুম্ভ শেষে হয় মহাকুম্ভ। এবার সেই যোগ।

    মিডিয়ার নজর কাড়ার চেষ্টা!

    হিন্দুদের বিশ্বাস, প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে স্নান করলে মোক্ষ লাভ হয়। যেহেতু এবার মহাকুম্ভ, তাই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজন এসে জড়ো হয়েছেন প্রয়াগরাজে। ১ ফেব্রুয়ারি ত্রিবেণী সঙ্গমে স্নান সারবেন বিশ্বের ৭৩টি দেশের কূটনীতিকরা। ৫ ফেব্রুয়ারি স্নান করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রীর কুম্ভস্নানের আগে ত্রিবেণী সঙ্গমে স্নান সেরে মিডিয়ার ফোকাস হয়ে কৌশলে প্রচার সেরে ফেললেন অখিলেশ।

    বিলম্বিত বোধদয়

    কুম্ভস্নান শুরু হওয়ার পর থেকে ইতিমধ্যেই কুম্ভস্নান করেছেন ১০ কোটিরও বেশি মানুষ। এক এক করে স্নান করেছেন বিজেপির নেতামন্ত্রীরা। ১০ ফেব্রুয়ারি স্নান করবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। বিরোধীদের কাউকে এতদিন কুম্ভস্নান করতে দেখা যায়নি। সেই রীতি ভেঙে প্রথম অমৃতস্নান সারলেন ইন্ডি জোটের নেতা অখিলেশ। এদিন কুম্ভস্নান (Maha Kumbh 2025) শেষে বাবা মুলায়ম সিং যাদবের মূর্তিতে মাল্যদান করেন অখিলেশ। পরে সাক্ষাৎ করেন কুম্ভমেলায় আগত পুণ্যার্থী ও সাধু-সন্তদের সঙ্গে। কুম্ভ-ডুব শেষে অখিলেশ বলেন, “সাধারণতন্ত্র দিবসের শুভ মুহূর্তে সঙ্গমে ১১ ডুব দেওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। আজকের বিশেষ দিনে ভেদাভেদ ভুলে, সৌভ্রাতৃত্ব ও সহনশীলতাকে সঙ্গী করে দেশ গঠনের প্রতিজ্ঞা করা উচিত আমাদের।”

    বিজেপির কটাক্ষ

    অখিলেশের ‘বিলম্বিত’ কুম্ভস্নানকে কটাক্ষ করেছে পদ্ম শিবির। উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা ব্রজেশ পাঠক বলেন, “বেটার লেট দ্যান নেভার। আজ তিনি বিশ্বাসের ঢেউ প্রত্যক্ষ করলেন।” তিনি বলেন, “তাঁর অপ্রয়োজনীয় মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকা উচিত। সনাতন সবার জন্য এবং এখানকার ব্যবস্থাপনাও চমৎকার (BJP)। তিনি নিজের চোখে দেখলেন, কীভাবে সারা বিশ্বের মানুষ এখানে জড়ো (Maha Kumbh 2025) হয়েছেন।”

    পদ্ম শিবিরের দাবি

    পদ্ম শিবিরের দাবি, মহাকুম্ভ (Maha Kumbh 2025) হল হিন্দু ঐক্যের এক বিরাট প্রদর্শন। হিন্দুদের এই একতা দেখে ভয় পেয়েছেন অখিলেশ যাবদ। যার জেরেই রাজনীতির মোক্ষলাভে কুম্ভে ডুব দিয়েছেন তিনি। উদ্দেশ্য, হিন্দু ভোট নিজের দিকে টানা। তবে সমাজবাদী পার্টির মাফিয়ারাজ ও তোষণের রাজনীতি আগেই দেখেছে উত্তরপ্রদেশ। তাই এই ডুবে বিশেষ কাজ হবে না।

    রাহুলের কুম্ভস্নান

    অখিলেশের কুম্ভস্নানের পরে কুম্ভ যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও। কংগ্রসের দাবি, প্রয়াগরাজে কুম্ভস্নান করেছেন দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। কংগ্রেস সূত্রে খবর, এবার (BJP) তাঁদের পদাঙ্ক অনুসরণ করবেন রাহুলও। কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি কবে কুম্ভস্নানে যাবেন, তা এখনও জানা যায়নি। তবে কংগ্রেসের একটি সূত্রের খবর, অমৃস্নানের এখনও তিনটি তিথি রয়েছে। একটি ৩ ফেব্রুয়ারি, বসন্ত পঞ্চমীর দিন, আর একটি ৪ ফেব্রুয়ারি মৌনী অমাবস্যা, এবং শেষ কুম্ভস্নান হবে ২৬ ফেব্রুয়ারি, মহা শিবরাত্রির দিন। কংগ্রেস সূত্রে খবর, মোক্ষ লাভের আশায় বসন্ত পঞ্চমীর দিন পুণ্যস্নান সারতে পারেন রাহুল।

    কুম্ভে অমিত শাহ

    এদিকে, আজ, সোমবার প্রয়াগরাজে কুম্ভস্নান করার কথা (Maha Kumbh 2025) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। পাঠক বলেন, “আমরা অমিত শাহজিকে স্বাগত জানাতে উত্তেজিত, যিনি দেশের যুবসমাজকে অনুপ্রাণিত করেছেন এবং উত্তরপ্রদেশের মানুষের মানুষের প্রতি অপার ভালোবাসা দেখিয়েছেন। ২৫ কোটি মানুষের পক্ষ থেকে আমি তাঁকে ধন্যবাদ জানাই।”

    সরকারি, বিবৃতি অনুযায়ী, শাহ প্রয়াগরাজে পৌঁছে অমৃতস্নান করবেন ত্রিবেণী সঙ্গমে। তিনি বড়ে হনুমানজির মন্দির, অক্ষয়বট এবং জুনা আখড়া পরিদর্শন করবেন। সাধু-সন্তদের সঙ্গে সাক্ষাৎও করবেন তিনি। মধ্যাহ্নভোজ সারবেন তাঁদের সঙ্গে। গুরু শরণানন্দজির আশ্রমেও যাওয়ার কথা তাঁর। শৃঙ্গেরি, পুরী এবং দ্বারকা থেকে (BJP) আগত শঙ্করাচার্য-সহ বিশিষ্ট ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে (Maha Kumbh 2025) সাক্ষাৎ করবেন তিনি।

  • POK: ভারতের মাথার মুকুটমণি! পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে দখলমুক্ত করতে প্রস্তুতি শুরু, ইঙ্গিত রাজনাথের

    POK: ভারতের মাথার মুকুটমণি! পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে দখলমুক্ত করতে প্রস্তুতি শুরু, ইঙ্গিত রাজনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদেশি শত্রুর দখলে যাওয়া নিজ জমি পুনর্দখল করতে গোপনে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ভারত। তাহলে কি অধিকৃত কাশ্মীরকে পাকিস্তানের দখলমুক্ত করতে গোপনে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে মোদি সরকার? প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর ইঙ্গিত তেমনই, মনে করছে কূটনৈতিক মহল। পাকিস্তান-অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীর (POK) সম্প্রতি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এর আগেও এই বিষয়ে মন্তব্য করেছেন। সম্প্রতি প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও  (Rajnath Singh) পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে ভারতের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য সওয়াল করলেন।

     

    পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (POK) ইতিহাস

    ভারত ক্রমাগত স্পষ্ট করছে যে, জম্মু ও কাশ্মীরের পূর্ণ একীকরণ, যেটা দেশ ভাগের সময়কার মতো ছিল, তা একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হিসেবে হওয়া উচিত। একত্রীভূত জম্মু ও কাশ্মীর ছিল একটি বৃহৎ রাজ্য, যার আয়তন ছিল প্রায় ২,১৮,৭৭৯ বর্গকিলোমিটার। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা লাভের সময়, জম্মু ও কাশ্মীরের শাসক মহারাজা হরি সিং ছিলেন হিন্দু, তবে কাশ্মীর উপত্যকা মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল। রাজ্যের সীমান্তে আরও নানা সংস্কৃতি ও ধর্মীয় গোষ্ঠী ছিল, যার মধ্যে ছিল লাদাখের বৌদ্ধরা, গিলগিট-বালতিস্তানের শিয়া ও ইসমাইলি মুসলিমরা।

     

    ভারতের সঙ্গে চুক্তি হরি সিংয়ের

    কাশ্মীরের ভারতের সঙ্গে যুক্তির ইতিহাসও অনেক পরিচিত। ১৯৪৭ সালে ভারতীয় উপমহাদেশের স্বাধীনতার পর, জম্মু ও কাশ্মীরের শাসক মহারাজা হরি সিং স্বাধীনতার জন্য চেষ্টা করেন, কিন্তু পাকিস্তান কাশ্মীরকে (POK) তাদের অংশ হিসেবে দাবি করে এবং এর পরপরই পাকিস্তানী সেনারা কাশ্মীরে আক্রমণ শুরু করে। ১৯৪৭ সালের ২৪ অক্টোবর পাকিস্তানি সেনা এবং ট্রিবাল বাহিনী কাশ্মীরের বন্দরমুল্লা পর্যন্ত পৌঁছায়। এই আক্রমণের ফলে পরিস্থিতি সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে, এবং ২৬ অক্টোবর মহারাজা হরি সিং ভারতের সঙ্গে ‘ইনস্ট্রুমেন্ট অফ অ্যাকসেশন’ স্বাক্ষর করেন। এরপর ভারতীয় সেনা ২৭ অক্টোবর কাশ্মীরে এসে পৌঁছায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। যদিও যুদ্ধ অব্যাহত ছিল, ১৯৪৮ সালের জানুয়ারিতে রাষ্ট্রসংঘের শান্তি প্রস্তাবের পর, কাশ্মীরের সীমান্তে একটি যুদ্ধবিরতি ঘোষণা হয়। এর ফলে ভারত জম্মু ও কাশ্মীরের বেশ কিছু অংশ হারায়, বিশেষ করে পাকিস্তান-অধিকৃত উত্তরাঞ্চল, যাকে পাকিস্তান ‘আজাদ কাশ্মীর’ হিসেবে দাবি করে। পাকিস্তান-অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের (POK) আয়তন প্রায় ১৩,২৯৭ বর্গ কিলোমিটার, এবং সেখানে বসবাসকারী জনসংখ্যার প্রায় ৯৫% মুসলিম। এটি পাকিস্তানের পাঞ্জাব এবং খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের সঙ্গে যুক্ত।

     

    ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ

    গত ১২ জানুয়ারি সোনামার্গ টানেল উদ্বোধনের সময় জম্মু ও কাশ্মীরকে ভারতের সবচেয়ে বড় সংযুক্ত রাজ্য হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বিশেষজ্ঞদের মতে, কাশ্মীরের উভয় পাশের জনগণের আকাঙ্ক্ষা একীভূত হওয়ার জন্য ইচ্ছুক, যদিও এই অনুভূতি এখনও প্রকাশ্যে স্পষ্ট নয়। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সংসদে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়, যেখানে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছিল যে, জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ পুরোপুরি ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই প্রস্তাবের মাধ্যমে ভারতের রাজনৈতিক অবস্থান দৃঢ় হয়, যদিও জনগণের মধ্যে পুনঃএকীকরণের ব্যাপারে বড় কোনও বিতর্কের সৃষ্টি হয়নি। কিন্তু, পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতৃত্বের কাছে কাশ্মীর-ভূমে অস্থিরতা এবং সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ নিজেদের অস্তিত্ব বজায় রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এর ফলে কাশ্মীর ইস্যুতে শান্তি প্রতিষ্ঠা আরও জটিল হচ্ছে। ভারত এই সংকটের সমাধান করার ক্ষেত্রে শক্তি ও ঐক্যবদ্ধতার পথে এগিয়ে যাচ্ছে, বলে জানান প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ।

     

    সন্ত্রাসের ট্রেনিং ক্যাম্প চলছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (POK)

    সম্প্রতি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের অধিবাসীদের ভারতের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার বার্তা দেন রাজনাথ। তিনি বলেন, “পাকিস্তান আপনাদের সঙ্গে বিদেশির মতো আচরণ করে। আমরা তা করব না। আমরা আপনাদের আপন করে নেব।” রাজনাথ জানান, পিওকে ছাড়া জম্মু ও কাশ্মীর অসম্পূর্ণ। রাজনাথ সিং বলেন, “অধিকৃত কাশ্মীর ভারতের অভিন্ন অঙ্গ। পাকিস্তান নিজেও জানে এই অংশ আসলে তাদের কাছে বিদেশের মাটি। তাই এই মাটিকে তারা সন্ত্রাস ছড়ানোর কাজে ব্যবহার করে। অধিকৃত কাশ্মীরে (POK) ওরা জঙ্গি তৈরির কারখানা খুলেছে। সন্ত্রাসের ট্রেনিং ক্যাম্প চলছে ওখানে।”

     

    ভারতের মাথার মুকুটমণি

    পাক অধিকৃত কাশ্মীর (POK) জম্মু ও কাশ্মীরেরই অংশ, দেশ তো বটেই আন্তর্জাতিক মঞ্চে বারবার এ কথা জানিয়ে এসেছে ভারত। এই ইস্যুতে মামলাও চলছে আন্তর্জাতিক আদালতে। সাম্প্রতিক সময়ে বারবার বিজেপি নেতাদের মুখে শোনা গিয়েছে অধিকৃত কাশ্মীরকে পাক দখলমুক্ত করার বার্তা। ভারতের দাবি, পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের (POK) জমি সন্ত্রাসবাদের ব্যবসা চালাতে ব্যবহার করা হচ্ছে। সেখানে সন্ত্রাসের ট্রেনিং ক্যাম্প, সীমার কাছে লঞ্চ প্যাড যে রয়েছে তার খবর ভারত সরকারের কাছে আছে। জম্মু ও কাশ্মীর পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর ছাড়া অসম্পূর্ণ। ভারতের মাথার মুকুটমণি এই অঞ্চল।

  • Mahakumbh 2025: মহাকুম্ভেও সাধু-সন্তরা পালন করলেন প্রজাতন্ত্র দিবস, উড়ল জাতীয় পতাকা

    Mahakumbh 2025: মহাকুম্ভেও সাধু-সন্তরা পালন করলেন প্রজাতন্ত্র দিবস, উড়ল জাতীয় পতাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবসের উদযাপন হল মহাকুম্ভে (Mahakumbh 2025)। রবিবার ২৬ জানুয়ারি যে ছবি ধরা পরল তাতে দেখা গেল সাধু সন্তরা দেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করছেন। মহকুম্ভের একাধিক জায়গাতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে দেখা যায় এদিন। সাধু-সন্তদের আখড়াগুলি দেশপ্রেমের অন্যতম কেন্দ্রে পরিণত হয়। এর পাশাপাশি, এদিন উপস্থিত সাধু-সন্তরা সমবেত কণ্ঠে গাইতে থাকেন জাতীয় সঙ্গীত। দেশের সাধু-সন্তদের এমনভাবে প্রজাতন্ত্র দিবস পালন করা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন সকলে। মহকুম্ভের যে সমস্ত স্থানে রয়েছে গৈরিক ধ্বজ, তার সঙ্গে ত্রিবর্ণ রঞ্জিত পতাকাও উড়তে দেখা যায় এদিন।

    প্রজাতন্ত্র দিবসের উদযাপন শুরু দণ্ডি স্বামীনগর থেকে (Mahakumbh 2025)

    প্রথম প্রজাতন্ত্র দিবসের উদযাপন শুরু হয় দণ্ডি স্বামীনগর থেকে। যেখানে হাজারেরও বেশি সন্তরা জড়ো হয়েছিলেন দেশের প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন করতে। প্রসঙ্গত, দণ্ডি স্বামীনগরের সভাপতি রয়েছেন জগৎগুরু স্বামী মহেশ্বরম। তিনি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। তাঁদের সংগঠনের নাম সর্বভারতীয় দণ্ডি স্বামী পরিষদ। প্রজাতন্ত্র দিবসের পতাকা উত্তোলনের পর স্বামী মহেশ্বরম অন্যান্য সন্ন্যাসীদের উদ্দেশ্যে দেশের প্রতি কী কী কর্তব্য তা বলেন। এর পাশাপাশি জাতীয় সংহতি, অখণ্ডতা এবং ঐক্যের জন্য আমাদের কী কী করতে হবে, সে কথাও তিনি বলেন। এর পাশাপাশি তিনি একটি পরিকল্পনারও কথা বলেন যে, দেশের প্রত্যেক গ্রামে একজন করে দণ্ডি স্বামী তিনি পাঠাতে চান। যেখানে তাঁরা দুর্বল হিন্দুদের উন্নয়নের জন্য কাজ করবেন। এর পাশাপাশি সনাতন ধর্মের (Mahakumbh 2025) প্রচারও করবেন তাঁরা।

    দিকে দিকে শোনা যায় জাতীয় সঙ্গীত (Republic Day)

    প্রজাতন্ত্র দিবসের মহাকুম্ভে (Mahakumbh 2025) দিকে দিকে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে থাকেন সাধুরা। একইসঙ্গে ধ্বনি শোনা যায় হর হর গঙ্গে, হর হর মহাদেব ধ্বনি। গঙ্গা-যমুনার তীর এই ধ্বনিতে মেতে ওঠে। অন্যদিকে শ্রী নিরঞ্জনি আখড়াতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদের সভাপতি মহন্ত রবীন্দ্র পুরী। সেখানেও অসংখ্য সন্ন্যাসী এবং ভক্ত হাজির ছিলেন। তাঁরা সমবেত কণ্ঠে গাইতে থাকেন জাতীয় সঙ্গীত। একই সঙ্গে নাগা সাধুদের মহিলা সংগঠন শ্রী পঞ্চদশ নাম সন্ন্যাসী আখড়াও প্রজাতন্ত্র দিবস পালন করে এদিন।

  • Mahakumbh Mela 2025: প্রাণনাশের হুমকি উপেক্ষা করে মহাকুম্ভে ডুব রেমো ডি’সুজার

    Mahakumbh Mela 2025: প্রাণনাশের হুমকি উপেক্ষা করে মহাকুম্ভে ডুব রেমো ডি’সুজার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান থেকে দেওয়া হয়েছিল প্রাণনাশের হুমকি। এবার সেই হুমকিকে উপেক্ষা করে ঠিক দুই দিন পরেই প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে ডুব দিলেন বলিউড বিখ্যাত নৃত্য পরিচালক রেমো ডি’সুজা (Remo D’Souza)। জানা গিয়েছে, তাঁকে ইমেল দ্বারা প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। তবে হুমকির বিষয়ে কিছু মুখ না খুললেও স্ত্রী লিজেল ডি’সুজাকে নিয়ে অমৃত স্নান করেছেন এই পূর্ণ মহাকুম্ভে (Mahakumbh Mela 2025)।

    সূর্য দেবতার উদ্দেশ্যে প্রণাম করছেন (Mahakumbh Mela 2025)

    ১৪৪ বছরের পর হিন্দুদের মহামিলন মেলা পূর্ণ মহাকুম্ভ মেলায় (Mahakumbh Mela 2025) ইশ্বরের কাছে আশীর্বাদ কামনায় বিশেষ প্রার্থনা করলেন রেমো ডি’সুজা (Remo D’Souza)। নিজেকে সম্পূর্ণ ভাবে কালো পোশাকে সজ্জিত করে স্নান করেছেন তিনি। এই অমৃত স্নানের চিত্র নিজেই সামাজিক মাধ্যমে বিনিময় করেছেন। তবে মেলায় যাওয়ার আগে কালোকাপড় দিয়ে নিজের মুখ ঢেকে রেখেছিলেন। নদীতে স্নানের পর গলায় ভেসে উঠল রুদ্রাক্ষের মালা। নিজের হাত জোর করে দেখা গেল সূর্য দেবতার উদ্দেশ্যে প্রণাম করছেন। একই ভাবে স্বামী কৈলাসনন্দ গিরি মহারাজের কাছ থেকেও আশির্বাদ কামনা করেছেন।

    “পরিণতি ভয়াবহ হবে!”

    জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার রেমোর কাছে ওই হুমকির বার্তা এসেছিল। উল্লেখ্য বলিউডের চলচ্চিত্র অভিনেতা, অভিনেত্রী, নৃত্য পরিচালকদের টার্গেট করে বার বার হামলা বা হুমকির ঘটনা আগেও ঘটেছে। সম্প্রতি সইফ আলি খানের ওপর এক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীর হামালার ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছিল। হুমকি দিয়ে রেমোকে (Remo D’Souza) উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে, “নিজেদের প্রচারের জন্য এমন বার্তা দেওয়া হয়নি। তাই কেউ এই বিষয়টিকে হালকা ভাবে নেবেন না। আমরা আপনাদের রোজকার জীবনযাপনের উপর নজর রাখছি। আট ঘণ্টার মধ্যে কোনও সদুত্তর না এলে পরিণতি ভয়াবহ হবে।”

LinkedIn
Share