Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Arvind Kejriwal: “দিল্লি বিশ্ব বিখ্যাত ডুবের জন্য অপেক্ষা করছে”, যমুনার স্বচ্ছতা প্রসঙ্গে কেজরিকে নিশানা শাহের

    Arvind Kejriwal: “দিল্লি বিশ্ব বিখ্যাত ডুবের জন্য অপেক্ষা করছে”, যমুনার স্বচ্ছতা প্রসঙ্গে কেজরিকে নিশানা শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “দিল্লি (Delhi) বিশ্ব বিখ্যাত ডুবের জন্য অপেক্ষা করছে”। যমুনা নদীর দূষণকে কেন্দ্র করে অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) সরকারকে এই ভাষায়ই আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে তিনি আপ সরকারকে কাঠগড়ায় তোলেন। খুব স্পষ্টভাবে এই প্রবীণ বিজেপি নেতা অভিযোগ করেন, গত ১০ বছরে ক্ষমতায় আসার পরে দিল্লির সরকার যমুনা দূষণ নিয়ে কোনও উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। বিজেপির দাবি, ভারতে নদীকে মাতৃসম বলে মনে করা হয়। অথচ যমুনার জলকে স্বচ্ছ এবং পরিষ্কার করার প্রতিশ্রুতি পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে আপ সরকার।

    আপের শাসনে দিল্লির যমুনা নদী এখন ‘নোংরা ড্রেন’ (Delhi)

    বিজেপি নেতা অমিত শাহ নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে আপ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে (Arvind Kejriwal) নিশানা করে বলেন, “প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল নিজে কথা দিয়েছিলেন যে ৭ বছরে যমুনা নদীকে স্বচ্ছ এবং পরিষ্কার করবেন। এই যমুনা (Delhi) নদী হবে লন্ডনের টেমস্ নদীর মতো।” একই ভাবে দিল্লিবাসীকে তিনি বলেন, “এই যমুনায়ও ডুব দেবেন। তাই মানুষ অধীর অপেক্ষায় রয়েছেন কবে সেই বিশ্ব বিখ্যাত ডুব দেবেন। তবে যমুনায় যদি যেতে না পারেন তাহলে মহাকুম্ভে যেতে পারেন, তাঁর এই পাপ থেকে মুক্তি পেতে ডুব দিতে পারেন ওখানে।”
    উল্লেখ্য, আগে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সংবাদ মাধ্যম এবং একাধিক প্রচার সভায় বলেছিলেন, “আপের শাসনে দিল্লির যমুনা নদী এখন ‘নোংরা ড্রেনে’ পরিণত হয়েছে। এই নদী কার্যত কেজরিওয়ালের পাপ স্বরূপ। আমি আমার রাজ্যের মন্ত্রীদের নিয়ে ত্রিবেণী সঙ্গমে ডুব দিয়েছি। দিল্লির যমুনা নদীতে কেজরিওয়ালজিকে তাঁর রাজ্যের মন্ত্রীদের নিয়ে স্নান করার সাহস দেখাতে বলব।”

     

    “আমি ব্যর্থ হয়েছি, আমায় ভোট দেবেন না”

    এদিন দিল্লি বিধানসভার (Delhi) বিজেপি প্রার্থী পারভেশ শর্মাও আপকে তীব্র আক্রমণ করেছেন। তিনি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে (Arvind Kejriwal) আক্রমণ করে তাঁর নামাঙ্কিত কাটআউট নদীতে ভাসিয়ে দেন। তাতে লেখা, আমি ব্যর্থ হয়েছি, আমায় ভোট দেবেন না। শর্মা বলেন, “বিজেপি ক্ষমতায় এলে যমুনা নদীর জল সম্পূর্ণ স্বচ্ছ করা হবে। এই কাজে কোনও রকেট সায়েন্স লাগবে না। মেশিনের মাধ্যমে সমস্ত পলি অপসারণ করা উচিত। স্যুয়ারেজ ট্রিটমেণ্ট প্ল্যান্ট তৈরি করা উচিত। ঠিক যেমনটা আমাদের প্রধানমন্ত্রী সবরমতী নদীর ওপর কাজ করেছিলেন। একই ভাবে যমুনা রিভারেণ্ট তৈরি করা যেতে পারে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maha Kumbh 2025: ফেব্রুয়ারিতে প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে ডুব দেবেন বিশ্বের ৭৩ কূটনীতিক

    Maha Kumbh 2025: ফেব্রুয়ারিতে প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে ডুব দেবেন বিশ্বের ৭৩ কূটনীতিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াগরাজে শুরু হয়েছে মহাকুম্ভ মেলা (Maha Kumbh 2025)। মহাকুম্ভ যোগ আসে প্রতি ১৪৪ বছর অন্তর। এবার এসেছে সেই যোগ। ইতিমধ্যেই প্রায় ১০ কোটি মানুষ স্নান (Holy Dip) সেরেছেন গঙ্গা-যমুনা-সরস্বতীর সঙ্গমে। মেলা ও পুণ্যস্নান চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। তাই উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের আশা, মাস দেড়েকের এই মেলায় সব মিলিয়ে স্নান করবেন ৪০ কোটি পুণ্যার্থী। হিন্দুদের বিশ্বাস, কুম্ভস্নান করলে মোক্ষ লাভ হয়। সেই বিশ্বাসেই আমজনতার সঙ্গে সঙ্গে ত্রিবেণী সঙ্গমে ডুব দেবেন বিশ্বের ৭৩টি দেশের কূটনীতিকরা। আগামী পয়লা ফেব্রুয়ারি কুম্ভস্নান করবেন তাঁরা। মহামিলনের এই মেলায় সঙ্গমে ডুব দেবেন যুদ্ধে লিপ্ত রাশিয়া এবং ইউক্রেনের কূটনীতিকরাও। জানা গিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশ থেকেও কূটনীতিকরা আসছেন পুণ্যস্নানে।

    ত্রিবেণী সঙ্গমে পুণ্যস্নান

    ১ ফেব্রুয়ারি যে ওই ৭৩টি দেশের কূটনীতিকরা ত্রিবেণী সঙ্গমে পুণ্যস্নান সারবেন, সে ব্যাপারে বিদেশমন্ত্রকের তরফে চিঠি দেওয়া হয়েছে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যসচিবকে। বিদেশমন্ত্রকের তরফে চিঠিতে জানানো হয়েছে, পবিত্র সঙ্গমে ডুব দেওয়ার পাশাপাশি তাঁরা দর্শন করবেন বড়ে হনুমান মন্দির ও অক্ষয়াবত। নৌকোয় চড়ে তাঁরা দর্শন করবেন সঙ্গমস্থল (Maha Kumbh 2025)। সঙ্গমে স্নান সেরে ওই কূটনীতিকরা যাবেন ডিজিটাল মহাকুম্ভ এক্সপিরিয়েন্স সেন্টারে। সেখানে আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে তাঁরা জানবেন মহাকুম্ভের মাহাত্ম্য সম্পর্কে। মহাকুম্ভ-পর্ব সেরে উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে যাবেন তাঁরা। কুম্ভমেলায় আখড়া পরিদর্শনও করবেন তাঁরা। একাধিক প্রদর্শনী এবং সাংস্কৃতিক ট্যুরও করানো হবে তাঁদের। ওই কূটনীতিকরা ঘুরে দেখবেন যমুনা কমপ্লেক্স, অশোক স্তম্ভ-সহ অন্যান্য দ্রষ্টব্য স্থান।

    কুম্ভমেলা

    প্রতি ১২ বছর অন্তর উত্তরপ্রদেশের এই ত্রিবেণী সঙ্গমে হয় কুম্ভমেলা। এগুলিকে বলা হয় পূর্ণকুম্ভ। ১২টি পূর্ণকুম্ভ শেষে হয় মহাকুম্ভ। এবার সেই যোগ। এই যোগ আবার আসবে ১৪৪ বছর পরে। এবার প্রয়াগরাজের এই কুম্ভমেলায় আসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। তিনি পবিত্র স্নান করবেন ৫ ফেব্রুয়ারি। ১০ ফেব্রুয়ারি কুম্ভস্নান করবেন (Holy Dip) রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় (Maha Kumbh 2025)।

  • Amit Shah: “১০ বছরে দেশের জাতীয় রাজধানী দিল্লিকে ধ্বংস করেছেন কেজরিওয়াল”, তোপ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের

    Amit Shah: “১০ বছরে দেশের জাতীয় রাজধানী দিল্লিকে ধ্বংস করেছেন কেজরিওয়াল”, তোপ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকদিন বাকি দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের। ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দলের প্রচার অভিযান ব্যাপকভাবে জমে উঠছে। এদিন প্রবীণ বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। তিনি বলেন, “কেজরিওয়াল (Arvind kejriwal) ১০ বছরে দিল্লিকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করেছেন, তিনি একজন মিথ্যাবাদী।”

    প্রতারণা করেছেন কেজরিওয়াল (Amit Shah)

    দিল্লি বিধানসভার মোট আসন ৭০। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন, ফল ঘোষণা ৮ ফেব্রুয়ারি। শনিবার বিজেপির নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। রাজৌরি গার্ডেনে বিজেপি প্রার্থী মনজিন্দর সিং সিরসার সমর্থনে বিশেষ সমাবেশও করেন। গত ১০ বছরে আপ সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন শাহ। বলেন, “গত ১০ বছর ধরে কেজরিওয়ালজির (Arvind kejriwal) আপ সরকার দিল্লিতে অপশাসন করেছে শুধু। একইভাবে, বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের নামে আর্থিক দুর্নীতি এবং মিথ্যাচার করে গিয়েছে। দেশের জাতীয় রাজধানীকে ধ্বংস করেছে। আপ সরকার শহরকে সম্পূর্ণ ভাবে জগাখিচুড়িতে পরিণত করেছে। জনগণকে দেওয়া সকল প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে। সাধারণ মানুষের বিশ্বাসের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন অরবিন্দজি।”

    ৫৪০০ কোটি টাকার রেশন কার্ড, ৪৫০০ টাকার বাস কেলেঙ্কারি

    বিজেপির প্রবীণ নেতা অমিত শাহ দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে নিশানা করে বলেন, “আপ (Arvind kejriwal) সরকার সংযোগের নামে মানুষকে ভাঙা রাস্তা দিয়েছে কেবলমাত্র। মহ্ললা ক্লিনিকের নামে তারা মেডিক্যাল টেস্টে প্রতারণা করেছে। বর্ষার জমা জলে দিল্লি বার বার প্লাবিত হয়। নিকাশি ব্যবস্থার জন্য কোনও কাজ করেনি। সরকারি স্কুলের পরিকাঠামোর জন্য কোনও উন্নয়নের কাজ করেনি। এই এলাকার গুরুদ্বার, মন্দির এবং স্কুল ময়দানের কাছে মদের দোকান খোলা হয়েছে। টাকার বিনিময়ে অবৈধ আবগারি নীতিকে বাস্তবায়ন করেছে। নিজের পরিচিত মদ ব্যবসায়ীদের বেছে বেছে মোটা টাকার বিনিময়ে লাইসেন্স দিয়েছে। আপ দল এবং দলের নেতা-কর্মীরা ৫৪০০ কোটি টাকার রেশন কার্ড, ৪৫০০ টাকার বাস কেলেঙ্কারি, ৫৭১ কোটি টাকার সিসিটিভি কেলেঙ্কারি, ৫২ কোটির শিশমহল নির্মাণের কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু আমরা দিল্লির জনতাকে আশ্বাস দিচ্ছি বিজেপি ক্ষমতায় এলে এই কুশাসনের জায়গায় সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। জনকল্যাণমূলক কোনও প্রকল্পের কাজ বন্ধ হবে না। প্রধানমন্ত্রী মোদিজির উন্নয়নের ধারায় দিল্লিবাসীর জন্য কাজ করব আমরা।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “গণতন্ত্র, মর্যাদা এবং ঐক্য আমাদের শিকড়”, সাধারণতন্ত্র দিবসে বললেন মোদি

    PM Modi: “গণতন্ত্র, মর্যাদা এবং ঐক্য আমাদের শিকড়”, সাধারণতন্ত্র দিবসে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে সংবিধান প্রণেতাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। রবিবার সকালে দেশবাসীকে সাধারণতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছা জানান তিনি। এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “গণতন্ত্র, মর্যাদা এবং ঐক্য আমাদের শিকড়। সংবিধান তা নিশ্চিত করেছে। এই সংবিধান তৈরিতে অবদান রেখেছেন বহু পুরুষ ও মহিলা। সেই সংবিধান প্রণেতাদের আমার বিনম্র প্রণাম।”

    অনুষ্ঠানের সূচনা

    এদিন সকালে কর্তব্যপথে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় যুদ্ধ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক (Republic Day) অর্পণ করেন। তার পরেই সূচনা হয় প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানের। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু কর্তব্য পথে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পরেই শুরু হয় প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ। কর্তব্য পথ থেকে লালকেল্লা পর্যন্ত কুচকাওয়াজে সশস্ত্র বাহিনী, আধা সামরিক বাহিনী এবং সহায়ক বেসামরিক বাহিনীর পাশাপাশি এনসিসি এবং এনএসএসের ইউনিটগুলি অংশ নেয়। বিজয় চক থেকে এদিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ কুচকাওয়াজ শুরু হয়। বিজয় চক কর্তব্য পথ হয়ে শেষ হয় লালকেল্লায় গিয়ে।

    বার্তা শাহেরও

    এদিন দেশবাসীর উদ্দেশে বিশেষ বার্তা দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, “সমস্ত দেশবাসীকে প্রজাতন্ত্র দিবসের আন্তরিক শুভেচ্ছা। প্রজাতন্ত্র দিবস ভারতের সাংবিধানিক মূল্যবোধ, সামাজিক সাম্যের প্রতি দৃঢ়তা এবং গণতন্ত্রের প্রতি আস্থার প্রতীক। এই শুভ উপলক্ষে আমি সকল মুক্তিযোদ্ধা ও সংবিধান প্রণেতাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই যাঁরা একটি শক্তিশালী প্রজাতন্ত্রের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন।” দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।

    এদিন অনুষ্ঠানের শুরুতে পুষ্পবৃষ্টি করে বায়ুসেনার এমআই-১৭ কপ্টার। এবার প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রবোও সুবিয়ান্তো। এদিনের জমকালো উৎসব দেখার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল প্রায় ১০ হাজার বিশেষ অতিথিকে। বিভিন্ন রাজ্যের ট্যাবলোও প্রদর্শিত হয়। সামরিক শক্তি প্রদর্শন করে ‘ব্রহ্মোস’, ‘পিনাক’ মিসাইল। ডিআরডিও-র তৈরি ভূমি থেকে ভূমি ক্ষেপণাস্ত্র ‘প্রলয়’ও এদিন প্রদর্শিত হয়েছে।

    এদিন (PM Modi) ট্যাবলো নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারকে আক্রমণ শানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তিনি লেখেন, “২০২১ এও দিল্লিতে (Republic Day) প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে রাজ্য সরকারের ট্যাবলোয় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। ২০২৫-এও তাই (PM Modi)।”

  • Mohan Bhagwat: ভারতের বৈচিত্র্যকে সম্মান করা উচিত, প্রজাতন্ত্র দিবসে বললেন মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: ভারতের বৈচিত্র্যকে সম্মান করা উচিত, প্রজাতন্ত্র দিবসে বললেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার ৭৬ তম প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সর সংঘচালক (RSS) মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) বলেন, ‘‘ভারতের বৈচিত্র্যকে সম্মান করা উচিত এবং ঐক্যের ভিত্তিতে সম্প্রতির সঙ্গে বাস করতে হবে আমাদের।’’ প্রসঙ্গত, রবিবার মহারাষ্ট্রের থানে জেলার ভিওয়ান্তি আন্টি শহরের একটি কলেজে প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপনে প্রধান অতিথি হিসেবে হাজির ছিলেন আরএসএস প্রধান। সেখানেই এই মন্তব্যগুলি করেন তিনি।

    একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাবান হতে হবে (Mohan Bhagwat)

    এদিন তিনি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ওই কলেজে। তারপরে এই মন্তব্য করতে শোনা যায় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রধানকে (Mohan Bhagwat)। এদিন তিনি আরও বলেন,‘‘প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপনের সঙ্গে সঙ্গে এই দিনটিতে আমাদের মনে রাখতে হবে যে দেশের প্রতি আমাদের কর্তব্য ঠিক কী কী রয়েছে।’’ এদিন তিনি বলেন, ‘‘ভারতবর্ষের বাইরে যদি আমরা তাকিয়ে দেখি তাহলে সেখানে শুধুমাত্র বৈচিত্র্যের কারণেই সংঘর্ষ ঘটছে। কিন্তু আমাদের দেশের ক্ষেত্রে বৈচিত্রকে আমরা স্বাভাবিক বলেই মনে করি। আমাদের নিজস্ব বিশেষত্ব থাকতে পারে, কিন্তু একে অপরের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধাবান হতে হবে। যদি আমরা নিজেরা বাঁচতে চাই, তাহলে নিজেদের মধ্যে একটি সুসংহত জীবন যাপন করতে হবে। কারও পরিবার যদি অসুখী হয় তাহলে কোনও ব্যক্তি সুখী হয়ে বাঁচতে পারেনা। একইভাবে কোনও শহর যদি সমস্যার সম্মুখীন হয়, তাহলে একটি পরিবারও সুখী হতে পারবে না।’’

    আমাদের প্রত্যেকের উদ্যোগী হওয়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ

    এদিন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রধান (Mohan Bhagwat) আরও বলেন, ‘‘আপনি যদি ভাত রান্না করতে জানেন, তাহলে আপনার কাছে তিনটে জিনিসের প্রয়োজন তাহলে জল, তাপ এবং চাল। কিন্তু আপনি যদি রান্না করতে না জানেন এবং শুকনো চাল খেয়ে নেন, তার সঙ্গে জল খেয়ে নেন এবং ঘণ্টার পর ঘণ্টা সূর্যের আলোতে দাঁড়িয়ে থাকেন, তাহলে তা কখনও খাবারের পরিণত হবে না।’’ তাই তিনি এ ক্ষেত্রে বলেন, ‘‘আমাদের প্রত্যেকের উদ্যোগী হওয়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সর্বদা আমাদেরকে জ্ঞান দিয়ে কাজ করতে হবে। কিন্তু সঠিক চিন্তাভাবনা ছাড়া যে কোনও কাজ কখনও ফল দেবে না। উপরন্ত সমস্যাকে ডেকে নিয়ে আসবে।’’

  • Republic Day: প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রধান অতিথি, ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতির মুখে মোদির ভূয়সী প্রশংসা

    Republic Day: প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রধান অতিথি, ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতির মুখে মোদির ভূয়সী প্রশংসা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবসের (Republic Day) প্রধান অতিথি তিনি। সেই ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি প্রবোও সুবিয়ানতোর মুখেই শোনা গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্তুতি। ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূয়সী প্রশংসা করেন দারিদ্র দূরীকরণে তাঁর ব্যাপক অবদানের জন্য। প্রসঙ্গত, ৭৫ বছরে পরে কোনও ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি এদেশে সফরে এলেন। জানা যায়, ১৯৫০ সালেও প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে হাজির ছিলেন ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি সুকর্ণ। ইন্দোনেশিয়ার বর্তমান রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘‘আমি খুবই গর্বিত এখানে আসতে পেরে। আমি কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নই। আমি ভালো কূটনীতিও জানি না। আমার হৃদয়ে যা আসে আমি সেটাই বলি। আমি এখানে কয়েকদিনের জন্য এসেছি কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে অনেক কিছু শিখতে পেরেছি।’’

    অংশগ্রহণ করে ইন্দোনেশিয়ার মিলিটারি ব্যান্ড (Republic Day)

    প্রসঙ্গত, এর আগে কখনও ইন্দোনেশিয়ার (Republic Day) কোনও মিলিটারি ব্যান্ড বিদেশের কোনও অনুষ্ঠানে এভাবে যোগ দেয়নি। চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি অর্থাৎ প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইন্দোনেশিয়ারের রাষ্ট্রপতি। আর সেখানেই ইন্দোনেশিয়ার এই ব্যান্ড যোগ দেয়, যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। এদিন দিল্লিতে কুচকাওয়াজ দেখার জন্যে আমন্ত্রিত সমাজের বিভিন্নস্তরের ১০ হাজার অতিথি হাজির ছিলেন। ইন্দোনেশিয়া সেনার ১৫২ জন সদস্য আজকের কুচকাওয়াজে অংশ নেন। এছাড়া ইন্দোনেশিয়ার মিলিটারি অ্যাকাডেমির ১৯০ জন ব্যান্ডও ছিল কুচকাওয়াজে।

    গুরুত্বপূর্ণ সফর

    প্রসঙ্গত প্রজাতন্ত্র দিবসের (Republic Day) আগের দিনই ভারত সফরে আসেন ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি প্রবোও সুবিয়ানতো। তাঁকে স্বাগত জানাতে সেসময়ই বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি প্রবোও সুবিয়ানতোকে স্বাগত জানাই।’  তাঁর এই সফর ব্যাপক কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও জোরদার করবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Republic Day 2025: ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবস পালন করতে চলেছে দেশ, জানেন এই দিনের গুরুত্ব

    Republic Day 2025: ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবস পালন করতে চলেছে দেশ, জানেন এই দিনের গুরুত্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৬ জানুয়ারি (Republic Day 2025) মানেই রাজধানীর রাজপথে কুচকাওয়াজ, বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। দিল্লির পাশাপাশি কলকাতার রেড রোডেও সেই আড়ম্বর চোখে পড়ে। প্রজাতন্ত্র দিবসের আগের দিন সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন দেশের রাষ্ট্রপতি। ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি ভারতীয় সংবিধান গৃহীত হওয়ার দিনটিকে স্মরণ করে প্রতি বছর সাধারণতন্ত্র দিবস পালিত হয়। আর বেশিদিন নেই ভারত অধীর আগ্রহে সাধারণতন্ত্র দিবস উদযাপনের জন্য অপেক্ষা করছে। উৎসবের মূল আকর্ষণ হবে নয়াদিল্লির ইন্ডিয়া গেটের কাছে কর্তব্য পথে দর্শনীয় কুচকাওয়াজ। রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে ইন্ডিয়া গেট পর্যন্ত বিস্তৃত এই কুচকাওয়াজে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী এবং আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যরা অংশ নেবেন। এতে বিভিন্ন রাজ্যের ট্যাবলোও অন্তর্ভুক্ত থাকবে, যা দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরবে।

    প্রথম প্রজাতন্ত্র দিবস 

    প্রথম প্রজাতন্ত্র দিবস পালিত হয় ২৬ জানুয়ারি, ১৯৫০ সালে। এ বছর সংবিধান গৃহীত হওয়ার ৭৫ বছর পূর্ণ হচ্ছে, যা ভারতবর্ষের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। অর্থাৎ ২০২৫ সালের ২৬ জানুয়ারি ভারত ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবস (76th Republic Day) উদযাপন করবে। অনেকেই ১৯৪৯ সাল থেকে গণনা শুরু করেন এবং ভাবেন যে সংবিধান সেই দিনেই কার্যকর হয়েছিল, কিন্তু বাস্তবে তা নয়। ১৯৫০ সালে দেশে সংবিধান কার্যকর করা হয় এবং ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস পালিত হয়। এমন পরিস্থিতিতে, এ বছর ৭৭তম নয়, ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবস (Republic Day 2025) পালিত হচ্ছে।

    প্রজাতন্ত্র দিবসের গুরুত্ব

    ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট বিদায় নেয় ব্রিটিশরা। ২০০ বছরের কালিমা মুছে স্বাধীনতার সূর্যোদয় হয় ভারতের আকাশে। দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হন জওহরলাল নেহরু। যদিও তখনও ভারতের সংবিধান কার্যকর হয়নি। ১৯৪৭-এর ২৯ আগস্ট একটি খসড়া কমিটি তৈরি করে প্রথম সরকার। উদ্দেশ্য সংবিধান রচনা ও কার্যকর। সেই কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন বাবাসাহেব বিআর আম্বেদকর। ১৯৪৭ সালের ৪ নভেম্বর ওই কমিটি সংবিধানের একটি আনুষ্ঠানিক খসড়া পেশ করে গণপরিষদে। এর তিন বছর পর ১৯৫০ সালের ২৪ জানুয়ারি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয় প্রস্তাবিত সংবিধান। যা আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয় ২৬ জানুয়ারি।

    RepublicDayParade preparations are in full swing! The 76th Republic Day Parade will showcase the strength, diversity and resilience of India with six elite contingents from the Indian Army, stunning displays of advanced tech & weaponry and the spirit of indigenisation. pic.twitter.com/sYs0seNxpT

    — Republic Day 2025 (@republicday2025) January 18, 2025

    সংবিধানের শাসন কার্যকর

    স্বাধীনতা দিবসের সমান গুরুত্বপূর্ণ এই দিন। সেই কারণেই বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম রাষ্ট্রের পোশাকি নাম ‘ভারতীয় সাধারণতন্ত্র’ (Republic Day 2025) । যে সাধারণতন্ত্রের গণতান্ত্রিক, সমতাবাদী এবং ন্যায়পরায়ণ সমাজের কাঠামো হল সংবিধান। সাধারণতন্ত্র দিবস স্মরণ করে স্বাধীন ভারতের চেতনাকে। ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি (76th Republic Day) থেকেই সদ্য স্বাধীন দেশটির রাষ্ট্র পরিচয় প্রতিষ্ঠিত হয়। সংবিধানের শাসন কার্যকর হয় আসমুদ্রহিমাচলে। ২৬ জানুয়ারি সকালে বর্ণাঢ্য সামরিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পর জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ভারতের রাষ্ট্রপতি। এদিন দেশের বাছাই করা নাগরিকদের পদ্ম পুরস্কারে ভূষিত করেন তিনি। এছাড়াও সেনাকর্মীদের পরমবীর চক্র, অশোক চক্র ও বীর চক্রে ভূষিত করেন রাষ্ট্রপতি।

    আরও পড়ুন: বাড়াবাড়ি নয়! চিনকে কড়া বার্তা কোয়াডের, ট্রাম্প ক্ষমতায় আসতেই বৈঠকে জয়শঙ্কররা

    প্রজাতন্ত্র দিবসের থিম

    এ বছর প্রজাতন্ত্র দিবসের (Republic Day 2025) থিম হল ‘স্বর্ণিম ভারত’  যা ভারতের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য এবং ভবিষ্যতের প্রতি নিবেদিত। ২০২৫ সালের প্রজাতন্ত্র দিবসে, ১৫টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল- অন্ধ্রপ্রদেশ, বিহার, চণ্ডীগড়, গোয়া, গুজরাট, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড, কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ, পাঞ্জাব, ত্রিপুরা, উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গ – দিল্লির কর্তব্যপথে তাদের ট্যাবলো প্রদর্শন করবে। এ বছর প্রথম বার দেশের তিন বাহিনী সেনা, বায়ুসেনা ও নৌসেনা একসঙ্গে কর্তব্য পথে সামরিক কৌশল দেখাবে।

  • One Nation One Election: এবার এক দেশ, এক নির্বাচনের পক্ষে সওয়াল করলেন রাষ্ট্রপতিও

    One Nation One Election: এবার এক দেশ, এক নির্বাচনের পক্ষে সওয়াল করলেন রাষ্ট্রপতিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার এক দেশ, এক নির্বাচনের (One Nation One Election) পক্ষে সওয়াল করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও (Draupadi Murmu)। প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক-সন্ধ্যায় তিনি বলেন, “নীতিপঙ্গুত্ব এড়াতে এ ধরনের সাহসী পদক্ষেপের প্রয়োজন রয়েছে।” প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এক দেশ, এক নির্বাচনের পক্ষে সুর চড়িয়ে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর যুক্তি, লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন এক সঙ্গে করা হলে এক দিকে যেমন কমবে নির্বাচনী ব্যয়, তেমনি অন্যদিকে বার বার ভোটের জন্য আদর্শ আচরণ বিধি লাগু হওয়ার দরুণ যে উন্নয়নমূলক কাজকর্ম ব্যাহত হয়, তা আর হবে না। প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন এক সঙ্গে করানোর ব্যাপারে কেন্দ্র যে উদ্যোগী হয়েছে, তার প্রশংসা করলেন রাষ্ট্রপতি।

    কেন্দ্রের উদ্যোগের প্রশংসা (One Nation One Election)

    কেন্দ্রের উদ্যোগের প্রশংসা করে রাষ্ট্রপতি বলেন, “এ ধাঁচের বড় মাপের সংস্কারমুখী পদক্ষেপ করার জন্য সাহসী ও দূরদর্শী দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োজন হয়।” তিনি বলেন, “এই উদ্যোগ সুসাসনকে নতুন মাত্রা দিতে সক্ষম। এক দেশ, এক নির্বাচন (One Nation One Election) ব্যবস্থা কার্যকর হলে এক দিকে যেমন অর্থের অপচয় রোখা সম্ভব হবে, আর্থিক বোঝা হ্রাস হবে, অন্যদিকে তেমনই নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে যে জড়তা সৃষ্টি হয়, তা দূর হতে পারে।” রাষ্ট্রপতি পুরনো ফৌজদারি আইন প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্তেরও প্রশংসা করেছেন। গত বছরের জুলাই মাসে কার্যকর হয়েছে এই নয়া আইনগুলি।

    কী বললেন রাষ্ট্রপতি?

    তিনি বলেন, “আমরা ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা অর্জন করেছি, কিন্তু ঔপনিবেশিক মানসিকতার অনেক নিদর্শন দীর্ঘদিন ধরে আমাদের মধ্যে রয়ে গিয়েছিল। সম্প্রতি, আমরা সেই মানসিকতা পরিবর্তনের জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রত্যক্ষ করছি। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য প্রচেষ্টাগুলির মধ্যে ছিল ভারতীয় দণ্ডবিধি, ফৌজদারি কার্যবিধি এবং ভারতীয় প্রমাণ আইনকে যথাক্রমে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম দ্বারা প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত।”

    সংবিধানের ৭৫ বছরের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি (Draupadi Murmu) বলেন, “এটি আমাদের অগ্রগতির পথকে পথনির্দেশ করেছে। “আমাদের গণপরিষদের গঠনও আমাদের প্রজাতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রমাণ (One Nation One Election)।”

  • Flag Hoisting and Unfurling: ১৫ অগাস্ট পতাকা ‘উত্তোলন’ এবং ২৬ জানুয়ারি ‘উন্মোচন’, জানুন পার্থক্য

    Flag Hoisting and Unfurling: ১৫ অগাস্ট পতাকা ‘উত্তোলন’ এবং ২৬ জানুয়ারি ‘উন্মোচন’, জানুন পার্থক্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৬ জানুয়ারি এবং ১৫ অগাস্ট। এই দু’টি দিনই ভারতের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ (Flag Hoisting and Unfurling)। ২৬ জানুয়ারি পালিত হয় প্রজাতন্ত্র দিবস এবং ১৫ অগাস্ট পালিত হয় স্বাধীনতা দিবস। এই দুই দিনেই জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মানজ্ঞাপন করা হয়। জাতীয় পতাকা ভারতবর্ষের (India) অস্মিতার প্রতীক। গর্বের প্রতীক। জাতীয়তাবোধের প্রতীক। ভারতের সার্বভৌমত্বের প্রতীক। এক কথায় ভারত রাষ্ট্রকে বিশ্বের সামনে প্রতিনিধিত্ব করে জাতীয় পতাকা। জাতীয় পতাকার সঙ্গে ভারতবাসীর এক আবেগ মিশে আছে। যে কোনও জায়গায় জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হতে দেখলেই আমাদের মধ্যে এক অন্য অনুভূতি জেগে ওঠে। ভারতীয় হিসেবে গর্বিত ভাব স্পন্দিত হয়। জাতীয় পতাকা নিয়ে উৎসবে দেশবাসী মেতে ওঠে দুটি দিনে ১৫ অগাস্ট এবং ২৬ জানুয়ারি। একথা সকলেরই জানা। ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট দেশ স্বাধীন (Flag Hoisting and Unfurling) হয়েছিল। আত্মপ্রকাশ করেছিল এক সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে। অন্যদিকে, ২৬ জানুয়ারি ১৯৫০ সালে কার্যকর হয় ভারতবর্ষের সংবিধান। সেদিনটি পালন করা হয় প্রজাতন্ত্র দিবস হিসেবে। এই দুইদিনে জাতীয় পতাকা নিয়ে উৎসব দেখা যায়।

    ‘উত্তোলন’ এবং ‘উন্মোচন’ (Flag Hoisting and Unfurling)

    কিন্তু এই দু’টি দিনেই জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান দেখানোর পদ্ধতির পার্থক্য আছে। ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতা দিবসের দিন পতাকা নীচে থেকে ওপর পর্যন্ত তোলা হয়। একে বলা হয় উত্তোলন আর ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন পতাকা ওপরেই বাঁধা থাকে ভাঁজ করা অবস্থায়, সেখান থেকে পতাকাকে মুক্ত করা হয়। একে বলে উন্মোচন। ইংরেজি অনুযায়ী প্রথমটিকে বলা হয় ‘Hoist’, আর দ্বিতীয় পদ্ধতিটিকে ‘Unfurl’। বাংলা করে হবে ‘উত্তোলন’ এবং ‘উন্মোচন’।

    ‘উত্তোলন’ এবং ‘উন্মোচন’-এর ব্যাখা (Flag Hoisting and Unfurling)

    ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট ভারত স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছিল। জানা যায়, এই কারণে স্বাধীনতা দিবসে নীচে থেকে পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরবর্তীকালে ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি ছিল প্রজাতন্ত্র দিবস। তত দিন ভারত স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েই গিয়েছিল। তাই জাতীয় পতাকা প্রজাতন্ত্র দিবসে ওপরেই বাঁধা থাকে। জানা যায়, ২৬ জানুয়ারি পতাকার উন্মোচন করা হয় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ভারতের ডানা মেলার প্রতীক হিসেবে। ১৫ অগাস্ট ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ঐতিহাসিক লালকেল্লায়। ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতা দিবসের উৎসব ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামকে মর্যাদা দিতে এবং ঔপনিবেশিক শাসনের হাত থেকে ভারতের মুক্তিলাভের দিনকে স্মরণ করতেই পালন করা হয় (Flag Hoisting and Unfurling)। এই সময়ে পতাকা, দণ্ডের নিচ থেকে ওপর পর্যন্ত টেনে তোলা হয়।

    ১৫ অগাস্ট

    প্রসঙ্গত, স্বাধীনতা দিবসে পতাকা উত্তোলনের পদ্ধতি ১৯৪৭ সাল থেকেই দেখা যায়, কারণ ওই বছরেই ভারত সার্বভৌমত্ব লাভ করেছিল এবং ভারত একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। স্বাধীনতা দিবসের পতাকা উত্তোলনের সঙ্গে সঙ্গে বেজে ওঠে জাতীয় সঙ্গীত জনগণ মন অধিনায়ক জয় হে। এই সময়ে জাতীয় পতাকার মধ্যে থাকা পুষ্প ঝরতে থাকে। পতাকা সংযুক্ত করা থাকে একটি দড়ির সঙ্গে। পরবর্তীকালে ওই দড়ি টেনে পতাকাকে নিচে থেকে ওপরে তোলা হয়। পতাকা উত্তোলন হল দেশের মর্যাদার প্রতীক। পরবর্তীকালে পতাকা যখন ওপরে যায়, তখন সেটিকে উন্মোচিত করা হয় এবং তার মধ্যে থাকা পুষ্প ঝরে পড়ে।

    ২৬ জানুয়ারি

    অন্যদিকে, প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন পতাকা (Flag Hoisting and Unfurling) কিন্তু নিচ থেকে ওপর পর্যন্ত টেনে তোলা হয় না। পতাকা ওপরেই বাঁধা থাকে। সেই পতাকাকেই উন্মোচিত করা হয়। পতাকার মধ্যে থাকা পুষ্প ঝরে পড়ে। তার কারণ হল, ভারতবর্ষ প্রজাতন্ত্র দিবসের আগেই স্বাধীনতা পেয়েছে। ২৬ জানুয়ারি ভারত আত্মপ্রকাশ করে প্রজাতন্ত্র রাষ্ট্র হিসেবে। তাই সেই প্রতীক হিসেবেই পতাকা হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৯৫০ সালে ২৬ জানুয়ারি ভারতীয় সংবিধানকে গ্রহণ করা হয়েছিল। এই দিনে ভারতবর্ষ একটি প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই দিনেই ভারতের রাষ্ট্রপতি কর্তব্যপথে পতাকাকে উন্মোচিত করেন।

    ১৫ অগাস্ট ও ২৬ জানুয়ারির পার্থক্য

    এক কথায় বলতে গেলে, ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের দিনেই তৈরি হয়েছিল দেশের গণতান্ত্রিক পরিকাঠামো এবং সংবিধান। তাই পতাকা উন্মোচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে ভারতের যে আত্মপ্রকাশ, সেটাকেই প্রচার করা হয়। রাষ্ট্রপতি জাতীয় পতাকাকে উন্মোচিত করেন। এর মাধ্যমেই ডানা মেলে ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, ভারতের অগ্রগতি, ভারতের গণতন্ত্র এবং দেশের সেনাবাহিনী সাফল্য।

    ২৬ জানুয়ারি পতাকা একেবারে ওপরেই বাঁধা থাকে। এই পতাকাকে পরবর্তীকালে উন্মোচিত করেন। রাষ্ট্রপতি যখনই দড়িতে টান দেন পতাকা উন্মোচিত হয়। তার মধ্যে থাকা পুষ্প ঝরে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় সংগীত বেজে ওঠে। এর পরেই সম্পন্ন হয় প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান।

    পার্থক্যগুলি যদি আমরা এবার ভালোমতো দেখি তাহলে দেখব-

    স্বাধীনতা দিবসে পতাকা উত্তোলন করা হয় ১৫ অগাস্ট

    প্রজাতন্ত্র দিবসে পতাকা উন্মোচন করা হয় ২৬ জানুয়ারি

    নিচে থেকে ওপর পর্যন্ত পতাকা টেনে তোলা হয় ১৫ অগাস্ট। অন্যদিকে, ২৬ জানুয়ারি পতাকাকে উন্মোচন করা হয়।

    স্বাধীনতা দিবসে পতাকা উত্তোলন করা হয় ঔপনিবেশিক শাসনের হাত থেকে ভারত রাষ্ট্রের মুক্তির প্রতীক হিসেবে। ২৬ জানুয়ারি পতাকা উন্মোচন করা হয় সংবিধান গ্রহণের দিবস হিসেবে।

    ১৫ অগাস্টের উৎসব পালন করা হয় দিল্লির লালকেল্লায়। ২৬ জানুয়ার জানুয়ারি উৎসব পালন করা হয়, দিল্লির কর্তব্যপথে।

    ১৫ অগাস্ট পতাকা উত্তোলন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ২৬ জানুয়ারি পতাকা উন্মোচন করেন ভারতের রাষ্ট্রপতি।

    প্রসঙ্গত, পতাকা উত্তোলন এবং উন্মোচন। এই পার্থক্য পরিলক্ষিত হয় ভারতের স্বাধীনতা দিবস এবং প্রজাতন্ত্র দিবসে। কিন্তু দুটি উৎসবই সাক্ষী থাকে ভারতের জাতীয় অগ্রগতি এবং সার্বভৌমত্বের। আলাদাভাবেই দুই দিবসকে পালন করা হয়। স্বাধীনতা দিবসে জোর দেওয়া হয় ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনকে। প্রজাতন্ত্র দিবসে জোর দেওয়া হয় ভারতের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ওপর।

    অঙ্গরাজ্যগুলি ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতেও অনুষ্ঠিত হয় এই দুটি দিন

    প্রসঙ্গত, নয়া দিল্লিতে কেন্দ্রীয়ভাবে অনুষ্ঠান হয়। একইসঙ্গে ভারতবর্ষের অঙ্গরাজ্যগুলি ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতেও এই কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে প্রজাতন্ত্র দিবসে পতাকা উন্মোচন করা হয়। স্বাধীনতা দিবসে পতাকা উত্তোলন করা হয়। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এই কাজ করেন রাজ্যপাল। অন্যদিকে, রাজ্যের ক্ষেত্রে এই কাজ করেন সংশ্লিষ্ট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।

    গতবছর কেন্দ্রের নির্দেশিকা

    এর বাইরে দেশের নাগরিকরাও এই দুই দিনেই জাতীয় পতাকা নিয়ে উৎসবে মেতে ওঠেন। গত বছরে কেন্দ্রের তরফে এক নির্দেশিকা সামনে আসে প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে। সেখানে বলা হয়, প্রজাতন্ত্র দিবসে জাতীয়, সাংস্কৃতিক, খেলার বিভিন্ন ইভেন্টে কেউ যাতে কাগজের তৈরি পতাকাগুলি যত্রতত্র ফেলে না দেয় সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে সরকারকে। জাতীয় পতাকাকে কী ভাবে সম্মানের সঙ্গে রাখতে হবে, তার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মন্ত্রকের তরফে। নির্দেশ বলা হয়েছে, ইভেন্ট মেটার পর জাতীয় পতাকাকে যাতে সম্মানের সঙ্গে সরিয়ে ফেলা হয় সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়াও জনগণের মধ্যে এনিয়ে সচেতনতার প্রচার চালাতে হবে। প্রয়োজনে বৈদ্যুতিন ও মুদ্রণ মাধ্যমেও এনিয়ে জনগণকে সচেতন করতে হবে।

  • Ram Mandir: কর্নাটকে তৈরি হচ্ছে রাম মন্দির, এই জমিরই কৃষ্ণ শিলায় আকৃতি পান রামলালা

    Ram Mandir: কর্নাটকে তৈরি হচ্ছে রাম মন্দির, এই জমিরই কৃষ্ণ শিলায় আকৃতি পান রামলালা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অযোধ্যায় (Ayodhya) সেদিনকার অনুষ্ঠান কার্যত পরিণত হয়েছিল আন্তর্জাতিক ইভেন্টে। রামলালার মূর্তি তৈরি করেন অরুণ যোগীরাজ। বালক রামের মূর্তি প্রশংসা কুড়ায় সর্বত্র। বিশেষত রামলালা চোখ দুটি যেন আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। প্রসঙ্গত, অযোধ্যার রাম মন্দিরের (Ram Mandir) রামলালার মূর্তি যে শিলায় নির্মিত হয় তা সংগ্রহ করা হয়েছিল কর্নাটকের মহীশূরের আরোহার্লি নামক একটি জায়গা থেকে। এখানকারই কৃষ্ণশিলা ব্যবহার করা হয়েছিল রামলালার মূর্তিকে আকার দিতে। এখন অজস্র ভক্ত এই রামলালার মূর্তির সামনেই নিজেদের মনের কথা জানান। যে স্থান থেকে ওই কৃষ্ণ শিলা মিলেছিল, সেই জমির মালিক ৮০ বছর বয়সি বৃদ্ধ এইচ রামদাস। ওই জমিতে তিনি একটি ছাউনি বানিয়েছেন এবং সেখানেই তিনি রেখেছেন অযোধ্যার রামলালার মূর্তির প্রতিকৃতি। প্রতিদিন নিয়ম করে, আচার মেনে, পুজো পাঠ সম্পন্ন হচ্ছে সেখানে। রামলালার ওই প্রতিকৃতি রাখা রয়েছে যে স্থানে, তা ইতিমধ্যেই ভক্তদের একটি অন্যতম পবিত্র তীর্থস্থানেও পরিণত হয়েছে।

     

    ধুমধাম করে পালন করা হয় প্রাণ প্রতিষ্ঠার বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান

    গত ২২ জানুয়ারি রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠার বর্ষপূর্তি সারাদেশে ধুমধাম করে পালন করা হয়। ওই দিনে মহীশুরের আরোহার্লিতে চারশোর বেশি ভক্ত জমায়েত করেন বলে জানা যায়। রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠার প্রথম বছরেই ধুমধাম করে সেখানে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেই সময়ে ওই তীর্থক্ষেত্রে হাজির হয়ে যান স্থানীয় বিধায়ক জিটি দেবগৌড়া। তিনি পুজোতেও অংশগ্রহণ করেন (Ram Mandir)। একইসঙ্গে ওই দিন রামলালার প্রতিকৃতিকে পুজো করেন সেখানকারই এক গণেশ মন্দিরের পুরোহিত।

     

    সহযোগিতা করেন স্থানীয় বিধায়ক (Ram Mandir)

    প্রসঙ্গত, গত বছরের ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের নির্মাণের জন্য এখানে জমি দেখা হয়েছিল বলে জানা যায়। তখন থেকেই শুরু হয় উদ্যোগ নেওয়ার পালা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পরবর্তীকালে নির্মাণ কাজ শুরু হতে কিছুটা সময় যায়। স্থানীয়দের অত্যাধিক উৎসাহে জমির মালিক রামদাস পরিকল্পনা করেন যে সেখানে একটি ছোট মন্দির গড়ে তোলা হবে এবং এর পরেই তিনি যোগাযোগ করেছিলেন স্থানীয় বিধায়ক জিটি দেবেগৌড়ার সঙ্গে। স্থানীয় বিধায়ক তাঁকে আশ্বস্ত করেন যে সম্পূর্ণভাবে সহযোগিতা করা হবে এবং সম্পূর্ণভাবে আর্থিক ফান্ডিংও করা হবে। একইসঙ্গে একটি ট্রাস্ট গঠন করে মন্দিরকে পরিচালনা করার কথা তখনই বলেন বিধায়ক।

     

    সংবাদমাধ্যমে কী বললেন রামদাস

    সংবাদমাধ্যমকে রামদাস আরও বলেন, ‘‘আমাদের জমিতে এমন পাথর (কৃষ্ণ শিলা) সরানোর জন্য আমরা মাইনিং এজেন্সির কাছে আবেদন করেছিলাম। কারণ পাথর সরালে তবেই আমাদের জমি চাষযোগ্য হয়ে উঠতে পারত। কিন্তু পরবর্তীকালে অযোধ্যার রাম মন্দিরে বালক রামের মন্দির নির্মাণের জন্য আমাদের এখান থেকেই কৃষ্ণ শিলাকে নেওয়া হয়। একই সঙ্গে চারটি আলাদা পাথর নেওয়া হয়, যেগুলি দিয়ে মাতা সীতা, লক্ষণ, ভরতের মূর্তি তৈরি করা হয়। আমরা এই মূর্তিগুলি তৈরি করে দেওয়ার জন্য কোনও রকমের মূল্য নিইনি।’’

     

    অযোধ্যার মন্দির নির্মাণের (Ram Mandir) পরেই আরোহার্লিতে ভিড় জমান ভক্তরা

    অযোধ্যার রাম মন্দির (Ram Mandir) প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকেই কর্নাটকের ওই স্থানে (আরোহার্লি) তীর্থযাত্রীরা ভিড় জমাতে থাকেন। এরপরেই তাঁর জমির অনেকটা অংশ মন্দির নির্মাণের জন্য দান করে দেন রামদাস। এ বিষয়ে তিনি কথা বলেছিলেন তাঁর চার সন্তানের সঙ্গে। তাঁরাও রাম মন্দিরের নির্মাণের জন্য জমি দান করার পক্ষেই কথা বলেন। রামদাস সংবাদমাধ্যমকে আরও বলেন, ‘‘প্রথমে আমরা পরিকল্পনা করেছিলাম যে একটি ছোট মন্দির অথবা মণ্ডপের মতো কিছু তৈরি করব। কিন্তু পরবর্তীকালে আমাদের স্থানীয় বিধায়ক জিটি দেবেগৌড়া আমাদেরকে আশ্বস্ত করেন যে প্রয়োজনীয় সমস্ত ফান্ডিং করা হবে। যার ফলে আমরা একটি বড় মন্দির নির্মাণের জন্য উদ্যোগ নেওয়া শুরু করি। এরপরেই একটি ট্রাস্টকে রেজিস্ট্রেশন করাই এবং তারপরে জমি দান করি আমরা।’’

     

    অরুণ যোগীরাজের কাছে কী আবেদন জানালেন উদ্যোক্তারা

    প্রসঙ্গত তাঁদের আরও একটি দাবি রয়েছে যে মন্দির নির্মাণের পরে অযোধ্যার রাম মন্দিরের রামলালার মূর্তি যিনি বানিয়েছিলেন সেই অরুণ যোগীরাজকে তাঁরা আবেদন জানাবেন, এখানেও একটি রামমূর্তি বানানোর জন্য। তাঁরা আশাবাদী এতে অরুণ যোগীরাজ রাজিও হবেন। এ বিষয়ে স্থানীয় বিধায়ক জিটি দেবেগৌড়া সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে এখানে আবিষ্কার হওয়া কৃষ্ণ শিলা দিয়েই তৈরি হয় অযোধ্যার রামের মূর্তি। আমরা তাই এখানে মন্দির তৈরির জন্য যাবতীয় সহযোগিতা করব। অন্যদিকে অরুণ যোগীরাজও এ বিষয়ে সহযোগিতা করার কথা জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share