Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Teesta Setalvad: মোদির যাতে ফাঁসি হয়, তার ছক কষেছিলেন তিস্তা শেতলবাদ? চার্জশিটে শিট

    Teesta Setalvad: মোদির যাতে ফাঁসি হয়, তার ছক কষেছিলেন তিস্তা শেতলবাদ? চার্জশিটে শিট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাট (Gujrat) সরকারের ভাবমূর্তিতে কালি লাগাতে চেয়েছিলেন তিস্তা শেতলবাদ (Teesta Setalvad)। গুজরাটের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার ছকও কষেছিলেন তিনি। ২০০২ সালে গোধরা পরবর্তী হিংসায় মোদির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল বলে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম, সংক্ষেপে সিটের (SIT) চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে।

    সম্প্রতি তিস্তা শেতলবাদ, পুলিশের প্রাক্তন ডিজি আরবি শ্রীকুমার এবং প্রাক্তন আইপিএস অফিসার সঞ্জীব ভাটের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। আহমেদাবাদ মেট্রো কোর্টে ওই চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। সিটের জমা দেওয়া চার্জশিটে বলা হয়েছে, গুজরাটের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে হিংসার ঘটনার জেরে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার ছক কষেছিলেন অভিযুক্তরা। আরও মারাত্মক অভিযোগ হল, সরকারের অংশ হওয়া সত্ত্বেও আরবি শ্রীকুমার ও সঞ্জীব ভাট তিস্তার জন্য জাল নথিপত্র বানিয়েছিলেন। পরে সেগুলিকে সরকারি নথির সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়।

    কেন তাঁরা এরকম করেছিলেন? চার্জশিটে বলা হয়েছে, অভিযুক্তরা নরেন্দ্র মোদির রাজনৈতিক কেরিয়ার শেষ করে দিতে চেয়েছিলেন। চেয়েছিলেন তাঁর ভাবমূর্তিতে কালি লাগাতে। এজন্য একদল আইনজীবীকে ভাড়া করা হয়েছিল যাঁরা জাল নথিপত্র ও হলফনামা তৈরি করেন। সিটের দাবি, গোধরা পরবর্তী ওই হিংসার শিকার বলে যাঁদের বলা হচ্ছে, তাঁদের প্রভাবিত করা হয়েছে। জোর করে স্বাক্ষর করানো হয়েছে মনগড়া বিবৃতিতে। যেহেতু ওই বিবৃতির পুরোটাই ইংরেজিতে, তাই হিংসার শিকার বলে যাঁদের বলা হচ্ছে, তাঁরা বুঝতে পারেননি কোথায় স্বাক্ষর করছেন তাঁরা। তাঁকে যদি সমর্থন না করেন, তাহলে বিপদ হবে বলেও হিংসার সাক্ষীদের হুমকি দিয়েছিলেন তিস্তা শেতলবাদ।

    আরও পড়ুন : আহমেদ প্যাটেলের নির্দেশেই মোদির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিলেন তিস্তা! দাবি সিটের

    সিটের আরও দাবি, তিস্তার সঙ্গে আরও যে আইপিএস অফিসাররা জড়িত তাঁরাও তিস্তাকে এ ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছেন। একবার আরবি শ্রীকুমার এক সাক্ষীকে হুমকিও দিয়েছিলেন। শ্রীকুমার এক সাক্ষীকে বলেছেন, আপনি যদি তিস্তাকে সমর্থন না করেন, মুসলমানেরা আপনার বিরুদ্ধে চলে যাবে এবং আপনি সন্ত্রাসবাদীদের টার্গেট হয়ে যাবেন। আমরা যদি আমাদের মধ্যে লড়াই করি, শত্রুরা লাভবান হবে। একইভাবে উপকৃত হবেন মোদিও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • PFI: পিএফআই-এর বিরুদ্ধে বাংলা সহ ১০ রাজ্যে ইডি-এনআইএ যৌথ হানা, গ্রেফতার ১০০

    PFI: পিএফআই-এর বিরুদ্ধে বাংলা সহ ১০ রাজ্যে ইডি-এনআইএ যৌথ হানা, গ্রেফতার ১০০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (Popular Front Of India)-র বিরুদ্ধে যৌথভাবে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (NIA) এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে শুরু হয়েছে অভিযান। রাজ্য পুলিশের সহযোগিতায় দুই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা উত্তরপ্রদেশ, কেরল, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানা, কর্নাটক এবং তামিলনাড়ু সহ দশটি রাজ্যে একযোগে অভিযানে নেমেছে।

    এখন অবধি ১০০ জনেরও বেশি শীর্ষস্থানীয় পিএফআই নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়ার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যুক্ত এমন ব্যক্তিদেরই গ্রেফতার করা হয়েছে। গোয়েন্দাদের দাবি, অভিযুক্তরা সন্ত্রাসমূলক কার্যকলাপে আর্থিক সাহায্য করা, সন্ত্রাসবাদীদের জন্য ট্রেনিং ক্যাম্পের আয়োজন করা এবং সাধারণ মানুষদের এই নিষিদ্ধ সংগঠনে যোগ দেওয়ার জন্য মগজ ধোলাই করার মতো অসামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল।  কলকাতাতেও চলছে এনআইএ ও ইডি-র তল্লাশি অভিযান। গতকাল গভীর রাতে পার্ক সার্কাসে পিএফআই নেতা শেখ মোক্তারের বাড়িতে হানা দেয় এনআইএ। চলছে তল্লাশি। 

    আরও পড়ুন: অবশেষে এনআইএ-এর জালে মাওবাদী নেতা সম্রাট চক্রবর্তী, জানেন কীভাবে?  

    পিএফআই-র বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে অর্থ সাহায্য, প্রশিক্ষণ শিবির চালানো এবং এই নিষিদ্ধ সংগঠনে যোগদানের জন্য মৌলবাদী ধারণায় অন্যদের উদ্বুদ্ধ করার অভিযোগ রয়েছে। এখন পর্যন্ত পিএফআই-র বিরুদ্ধে এটাই সবচেয়ে বড় ক্র্যাকডাউন বলে দাবি করছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।      

    এদিন সকাল থেকেই তিলজলার অফিসে তল্লাশি চালাচ্ছেন এনআইএ গোয়েন্দারা। এর আগে ওই অফিসে তল্লাশি চালায় ইডি। ওই অফিস থেকে কীভাবে জঙ্গি কার্যকলাপ চালানো হত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ২০২০ সালে বেঙ্গালুরুর সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে পিএফআইয়ের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ। এছাড়া, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে উত্তরপ্রদেশে হিংসায় উস্কানি ও মদত দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। 

    আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদীদের খোঁজে দক্ষিণের দুই রাজ্যে ৩৮ জায়গায় তল্লাশি এনএইএ-র 

    পিএফআই এক বিবৃতিতে বলেছে, “পিএফআই-র জাতীয়, রাজ্য এবং স্থানীয় নেতাদের বাড়িতে অভিযান চালানো হচ্ছে। রাজ্য কমিটির অফিসেও অভিযান চালানো হচ্ছে। ভিন্নমতের কণ্ঠকে স্তব্ধ করার জন্য এজেন্সিগুলিকে ব্যবহার করার জন্য ফ্যাসিবাদী শাসনের পদক্ষেপের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি আমরা।”

    কেরলের মঞ্জেরিতে পিএফআই চেয়ারম্যান ও এম এ সালেমের (OMA Salam) বাড়িতেও সকাল থেকে অভিযান চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর কেরালাতেই ৫০-এর বেশি জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে। 

    এর আগে অন্ধ্রপ্রদেশে এবং তেলাঙ্গানার প্রায় ৪০টি জায়গায় তল্লাশি চালায় এনআইএ। গ্রেফতার করা হয় পিএফআই-এর চার নেতাকে। সেই তল্লাশিতে বেশ কিছু নথি এবং ডিজিটাল ডিভাইস উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবারের গ্রেফতারির পরেই বৃহস্পতিবারের দেশজোড়া অভিযান।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Justice Dipankar Dutta: সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হচ্ছেন বম্বে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত?

    Justice Dipankar Dutta: সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হচ্ছেন বম্বে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বম্বে হাইকোর্টের (Bomby High Court) প্রধান বিচারপতি (Chief Justice) দীপঙ্কর দত্ত (Dipankar Dutta) সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) বিচারপতি হতে চলেছেন। কারণ তাঁর পদোন্নতির জন্য সুপারিশ করেছে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম। গত ২৬ সেপ্টেম্বর দেশের প্রধান বিচারপতি উদয় উমেশ ললিতের (U U Lalit) নেতৃ্ত্বে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম (Collegium) এক বৈঠকে অনুষ্ঠিত হয় ও সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত বম্বে হাইকোর্টে নিযুক্ত হওয়ার আগে দীর্ঘদিন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন। তিনি ২০০৬ সালের ২২ জুন এই দায়িত্ব নিয়েছিলেন। এরপর ২০২০ সালের ২৮ এপ্রিল বম্বে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন তিনি। এবার কলেজিয়াম তাঁকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি করার সুপারিশ করল।

    আরও পড়ুন: রাত ৮টার মধ্যে মানিককে সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ হাইকোর্টের, আজই কি গ্রেফতার?

    বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের জন্ম ১৯৬৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি। ১৯৮৯ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় (University of Calcutta) থেকে তিনি এলএলবি ডিগ্রি (LLB Degree) নেন। সেই বছরের ১৬ নভেম্বরে তিনি আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন। তিনি কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি প্রয়াত সলিল কুমার দত্তের ছেলে এবং বিচারপতি অমিতাভ রায়ের শ্যালক, যিনি সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি ছিলেন।

    এছাড়াও তিনি ২০০২-এর মে থেকে ২০০৪-এর জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি পশ্চিমবঙ্গের জুনিয়র স্ট্যান্ডিং কাউন্সেল হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন। তার আগে তিনি ১৯৯৮ সাল থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের কাউন্সেল ছিলেন। এরপর ২০০৬ সালে কলকাতা হাই কোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। ২০২০ সাল পর্যন্ত সেই দায়িত্ব সামলানোর পর বম্বে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন তিনি। আবার তিনি ১৯৯-৯৭ থেকে ১৯৯৯-২০০০ সাল পর্যন্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিভার্সিটি কলেজ অফ ল-এ গেস্ট লেকচারার ছিলেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Rupee Vs Dollar: ডলারের তুলনায় টাকার দামে সর্বকালীন পতন!

    Rupee Vs Dollar: ডলারের তুলনায় টাকার দামে সর্বকালীন পতন!

    ডলারের তুলনায় টাকার সর্বকালীন পতন (Rupee to Dollar)

    ভারতীয় টাকার দর (Indian Rupee Price) ক্রমশ কমেই চলেছে। মার্কিন ডলারের (Rupee to Dollar) তুলনায় রেকর্ড পতন ভারতীয় মুদ্রায়। এই প্রথম টাকার দাম এতটা কমেছে। ফলে ডলার প্রতি টাকার দামে ফের একবার সর্বকালীন পতন ঘটল (Rupee to Dollar)। কিছুদিন আগেই টাকার দর নামে ৮১ টাকা ৯ পয়সায়। আর আজ আগের রেকর্ডকেও টপকে গেল ভারতীয় মুদ্রার দাম। আজ, বুধবার প্রতি ডলার পিছু টাকার দাম ৮১.৯৩-তে নামে। ডলার প্রতি টাকার মূল্য ৮২ হওয়ার দিকে দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে বলে আশঙ্কা করেছেন অর্থনীতিবিদরা।

    এই দাম আসার আগে এদিন সকালে ১০ টা নাগাদ ডলার প্রতি টাকার দাম হয়েছিল ৮১. ৯০৫০ ও এর আগে অর্থাৎ মঙ্গলবার বাজার বন্ধের সময় ডলার প্রতি টাকার দাম ছিল ৮১.৫৭৮৮। এর আগে কখনও এত নিচে নামেনি টাকার দর। এক বছর আগেও যেখানে ৭৪ টাকা দিলেই ১ ডলার পাওয়া যেত, সেখানে বর্তমানে ১ ডলার পেতে হলে ভারতীয়দের খরচ করতে হবে প্রায় ৮২ টাকা (Rupee to Dollar)। এইভাবে টাকার দর কমতে থাকলে তা ভারতীয় অর্থনীতিতেও প্রভাব পড়বে বলে আশা করা হচ্ছো। আর এমনটা বজায় থাকলে দেশের মানুষের জন্য মোটেই এটি সুবিধার হবে না।

    ফেডারেল রিজার্ভে রেপো রেট বৃদ্ধি 

    গত সপ্তাহে আমেরিকার ফেডারেল রিজার্ভের (US Federal Reserve) তরফে তৃতীয় বারের জন্য সুদের হার বাড়ানো হয়। রেপো রেট (Repo Rate) ৭৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানোয় ধসের মুখে পড়েছে টাকা। আর তারপর থেকেই টাকার দামে ২.২৫ শতাংশ পতন লক্ষ্য করা গিয়েছে। বিগত ২০ বছরে ডলারের দাম সর্বোচ্চ (Rupee to Dollar) হয়েছে। আগামী দিনেও সুদের হার আরও বাড়বে বলে আগাম জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমেরিকায় মুদ্রাস্ফীতির ফলেই তাদের সুদের হার বাড়ানো হয়। আর তারপর থেকেই ভারতীয় মুদ্রার এই বেহাল পরিস্থিতি। যত দিন যাচ্ছে ততই তলানিতে গিয়ে পৌঁছোচ্ছে ভারতীয় মুদ্রা।

    অন্যদিকে এই অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনতে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অর্থনীতিবিদরা অনুমান করেছেন, রিজার্ভ ব্যাংক এই পরিস্থিতিকে ঠিক করতে রেপো রেট বাড়াতে পারে। কিন্তু এতে টাকার দাম বাড়লেও অন্যদিকে সাধারণ মানুষের পকেটে টান পড়বে। কারণ তখন ভারতের বিভিন্ন ব্যাংক ও লোনের ক্ষেত্রে সুদের হার বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন তাঁরা। হু হু করে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়তে শুরু করবে। যদিও উৎসবের মরশুম থেকেই একাধিক জিনিসের জিনিসের দাম বাড়তে শুরু করেছে।

  • DA Hike: প্রাক-পুজো উপহার! কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ৪ শতাংশ ডিএ বাড়াল মোদির মন্ত্রিসভা

    DA Hike: প্রাক-পুজো উপহার! কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ৪ শতাংশ ডিএ বাড়াল মোদির মন্ত্রিসভা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর ঠিক আগেই কেন্দ্র সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর। সরকারি কর্মীদের পুজো, দীপাবলির উপহার দিল মোদির মন্ত্রিসভা।  কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ডিএ ৩৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে করা হল ৩৮ শতাংশ। আর্থাৎ পুজোর আগে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ডিএ বাড়ল ৪ শতাংশ। এর ফলে উপকৃত হবেন ৫০ লাখ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী ও ৬২ লাখ পেনশন প্রাপক। 

    আরও পড়ুন: ‘‘যাঁরা বেআইনি চাকরি পেয়েছেন, পদত্যাগ করুন নইলে…’’, নির্দেশ হাইকোর্টের

    সূত্রের খবর, সপ্তম বেতন কমিশনের আওতায় চার শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সবুজ সংকেত দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। দুর্গাপুজোর আগে বুধবার মোদির নেতৃত্বে বৈঠকে বসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। সেই বৈঠকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ্য ভাতা বৃদ্ধি তার মধ্যে একটি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এদিন ডিএ বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেন অনুরাগ ঠাকুর। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, ৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির ফলে কেন্দ্রকে অতিরিক্ত ১২,৮৫২ কোটি টাকা খরচ করতে হবে। 

    আরও পড়ুন: হদিশ মিলল সিবিআই-এর হাজিরা এড়ানো ‘নিখোঁজ’ মানিকের! কোথায় তিনি?

     বর্ধিত ডিএ ২০২২ সালের ১ জুলাই থেকে কার্যকর  হওয়ার কথা। ডিএ বৃদ্ধির ফলে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের বেতন একটি নির্দিষ্ট অনুপাতে বাড়বে। কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের বেতনের একটি নির্দিষ্ট ধারা আছে। ন্যূনতম বেতন+ডিএ তার সঙ্গে বিভিন্ন অ্যালাওয়েন্স। যদি কোনও সরকারি কর্মচারীর মাসিক বেসিক হয় ২০,০০০ টাকা। অর্থাৎ এতদিন ডিএ বাবদ মাসে ৬,৮০০ টাকা যদি কোনও কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী পান এবার সেটাই বেড়ে দাঁড়াবে ৭,৬০০ টাকা। মহার্ঘ্য ভাতা বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই খুশি সরকারি কর্মীরা। শুধু উৎসব নয়, উৎসবের পাশাপাশি রয়েছে মুদ্রাস্ফীতিও। দেশে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ আবার বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে বর্ধিত ডিএ নাগরিকদের বিশেষ সুবিধা দেবে বলে মনে করছে অর্থনৈতিক মহল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • CISF: সিআইএসএফ নয়, বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় এবার বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষী!

    CISF: সিআইএসএফ নয়, বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় এবার বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষী!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এতদিন দেশের বিভিন্ন বিমান বন্দরের (Airport) দায়িত্বে ছিলেন সিআইএসএফ (CISF) জওয়ানরা। এবার তাঁদেরই মধ্যে হাজার তিনেকের জায়গা নেবেন বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষীরা (Private Security Guards)। ওই জওয়ানদের লাগানো হবে নয়া বিমানবন্দরের নিরাপত্তার কাজে। পুরানো বিমানবন্দরগুলিতে নিরাপত্তায় যাতে কোনও ফাঁকফোকর না থাকে, সেজন্য বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষীরা ব্যবহার করবেন স্মার্ট প্রযুক্তি। যার জেরে বিমানবন্দরগুলি থাকবে আগের মতোই সুরক্ষিত।

    বিমানবন্দর সহ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলির দেখভাল করেন সিআইএসএফের জওয়ানরা। এবার দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরের তিন হাজারেরও বেশি সিআইএসএফ জওয়ানকে সরিয়ে দিল সরকার। জানা গিয়েছে, তাঁদের জায়গায় বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্ব বর্তাবে বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষীদের ওপর। তাঁরাই সামলাবেন যাবতীয় দায়দায়িত্ব। বেসরকারি এই নিরাপত্তা রক্ষীদের দেওয়া হবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি যা দিয়ে তাঁরা বজায় রাখবেন বিমানবন্দরের নিরাপত্তা।

    এই অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করা হয়েছিল ২০১৮-’১৯ অর্থবর্ষে। সেটাই কার্যকর হচ্ছে দেশের ৫০টি সিভিল এয়ারপোর্টে। পুরো পরিকল্পনা করেছিল ব্যুরো অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি এবং অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি রেগুলেটর। সেই মতো সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে সিআইএসএফের ৩ হাজার ৪৯টি অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটিকে। এঁদের বদলে নিয়োগ করা হবে ১ হাজার ৯২৪ জন বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষী। যাত্রীদের নিরাপত্তায় যাতে কোনও গলদ না থাকে সেজন্য তাঁদের দেওয়া হবে সিসিটিভি ক্যামেরা, ব্যাগেজ স্ক্যানারের মতো স্মার্ট প্রযুক্তি। এক প্রবীণ নিরাপত্তা আধিকারিকের মতে, এই যে নয়া ব্যবস্থা, এতে একদিকে যেমন ১ হাজার ৯০০ জনেরও বেশি মানুষের অ্যাভিয়েশন সেক্টরে কর্মসংস্থান হবে, তেমনি অন্যদিকে সিআইএসএফ তাঁদের জওয়ানদের পাঠাতে পারবে অন্যত্র। দেশে যেসব নয়া বিমানবন্দর হচ্ছে, সেগুলিতে তাঁদের পাঠাতে পারবে। তিনি জানান, দেশের প্রতিটি বিমানবন্দর চত্বর মুড়ে ফেলা হবে সিসিটিভি ক্যামেরায়।

    আরও পড়ুন : গোয়া ভোটে তৃণমূলের খরচ ৪৭ কোটি টাকা, বিজেপির প্রায় ৩ গুণ!

    তবে বিমানবন্দরের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলি আগের মতোই এখনও করবেন সিআইএসএফ জওয়ানরা। অন্তর্ঘাত বিরোধী কাজকর্ম সহ গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলি করবেন তাঁরাই। আর তুলনায় হালকা কাজ করবেন বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষীরা। এয়ারলাইন্স স্টাফ এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা সহ বিভিন্ন কাজের দেখভাল করবেন তাঁরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • NavIC: ফোন প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিকে দেশী নেভিগেশন ব্যবহারের নির্দেশ কেন্দ্রের

    NavIC: ফোন প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিকে দেশী নেভিগেশন ব্যবহারের নির্দেশ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদেশি প্রযুক্তির উপর আর নির্ভরশীলতা নয়। দেশী প্রযুক্তিতে নির্ভরশীলতা বাড়াতে বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে কেন্দ্র সরকার। মোবাইল প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিকে এবার বিদেশি প্রযুক্তি ছেড়ে এবার দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি নেভিগেশন সিস্টেম (Home grown navigation system) ব্যবহার করার নির্দেশ দিল সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘আত্মনির্ভর ভারত’ অভিযানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিগত কয়েক বছর ধরে ইসরোর তৈরি স্যাটেলাইট নেভিগেশন সিস্টেম ইন্ডিয়ান কনস্টিলেশন ‘NavlC’ – কে সম্প্রসার করছে কেন্দ্র।  

    আরও পড়ুন: নিষিদ্ধ হচ্ছে পিএফআই? দেশ জুড়ে এনআইএর দ্বিতীয় দফার অভিযানের পর বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক       

    এবার এই প্রযুক্তি ভারতে বিক্রি হওয়া সমস্ত স্মার্টফোনে ব্যবহার করার  নির্দেশ দিল সরকার। Apple, Samsung, Xiaomi-সহ একাধিক সংস্থাকে এই সিদ্ধান্ত মেনে চলতে বলা হয়েছে। এই মুহূর্তে নেভিগেশন সিস্টেমের ক্ষেত্রে সর্বাধিক ব্যবহৃত প্রযুক্তি জিপিএস (GPS) বা গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এই নেভিগেশন প্রযুক্তিই বেশিরভাগ স্মার্টফোন এবং গ্যাজেটে ব্যবহৃত হয়। চিন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং জাপান তাদের নিজস্ব নেভিগেশন সিস্টেম বানিয়ে ফেলেছে ইতিমধ্যেই। সেই দেশগুলিতে তাদের নিজস্ব নেভিগেশনই ব্যবহৃত হয়। এখন সেই পথে ভারত।  

    ২০১৮ সালে দেশের নিজস্ব নেভিগেশন সিস্টেম ‘NavlC’ তৈরি করে ইসরো। কিন্তু এখন অবধি এই প্রযুক্তির সম্প্রসারণ খুব একটা হয়নি। আর সেই উদ্দেশ্যেই সরকার এবং ভারতের মহাকাশ বিশেষজ্ঞরা চান এটির ব্যবহার বাড়ুক দেশে।

    আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হচ্ছেন বম্বে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত?

    সরকারের তরফে স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাস থেকে বিক্রি হওয়া সমস্ত স্মার্টফোনে জিপিএসের পাশাপাশি NavlC ব্যবহার করার অপশন দিতে হবে। হার্ডওয়্যারে সেইমতো বদলও আনতে হবে। 

    বিষয়টি একটু চিন্তায় ফেলেছে প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিকে। কারণ স্মার্টফোনে এই প্রযুক্তির পর্যাপ্ত পরীক্ষার প্রয়োজন। এতে বাড়বে উৎপাদন খরচও। যে সময়সীমা দেওয়া হয়েছে তাতে সংস্থাগুলির নতুন বছরে পরিকল্পনায় প্রভাব পরবে। Samsung এর ইন্ডিয়া এক্সিকিউটিভ বিনু জর্জ বলেন, “উদ্বেগের বিষয় হল ফোনে NavIC সমর্থনের জন্য শুধু নতুন চিপসেট নয়, অন্যান্য অনেক উপাদানেরও প্রয়োজন। এর ফলে খরচ বাড়বে এবং  একাধিক হার্ডওয়্যার পরিবর্তন করতে হবে।” সূত্রের খবর, এই সময়সীমা বাড়িয়ে ২০২৫ সাল করার আবেদন জানিয়েছে সংস্থাগুলি। আশা করা হচ্ছে, খুব শীঘ্রই এই বিষয়ে একটি বড় ঘোষণা করবে কেন্দ্র।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Ghulam Nabi Azad: উপত্যকায় নতুন রাজনৈতিক দল! নিজের দলের নাম ঘোষণা করলেন গুলাম নবি আজাদ

    Ghulam Nabi Azad: উপত্যকায় নতুন রাজনৈতিক দল! নিজের দলের নাম ঘোষণা করলেন গুলাম নবি আজাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেস (Congress) ছেড়েছিলেন আগেই। তখনই শুরু হয়েছিল জল্পনা। তাহলে কি এবার উপত্যকায় নতুন আর একটি রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটবে গুলাম নবি আজাদের (Ghulam Nabi Azad) হাত ধরে। অবশেষে সেটাই সত্যি হল। সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন দলের নাম ঘোষণা করলেন গুলাম নবি আজাদ। আগামী দিনে তিনি ও বাকি সঙ্গীরা নির্বাচনে লড়বেন ‘ডেমোক্রেটিক আজাদ পার্টি’ (Democratic Azad Party) এই নামে। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে গুলাম নবি আজাদ জানিয়েছেন, ‘নতুন দলের জন্য দেড় হাজারের বেশি নাম জমা পড়েছিল। তার মধ্যে ছিল উর্দু, সংস্কৃত নামও। তেমনি হিন্দি ও উর্দুর মিশ্রণে হিন্দুস্তানি ভাষায়ও নাম ছিল। সব কিছু বিবেচনার পর ডেমোক্রেটিক আজাদ পার্টি নামকরণ হয়েছে নতুন দলের।’

    আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী গুলাম নবি আজাদ! জানেন কী বললেন তাঁর অনুগামী

    গত ২৬ অগাস্ট কংগ্রেস ছেড়েছিলেন ৭৩ বছরের আজাদ। ইস্তফাপত্রে তিনি অভিযোগ করেছিলেন, এই মুহূর্তে কংগ্রেস দলে সিনিয়রদের কোনও মর্যাদা নেই। আদতে তিনি ঘুরিয়ে তোপ দেগেছিলেন রাহুল গান্ধীকেই। কংগ্রেসের জি-২৩ নেতারা তাই দলে সংস্কার চেয়েছিলেন। তার জন্য কংগ্রেস সমর্থকদের হামলার মুখে পড়তে হয়েছিল কপিল সিব্বলকেও।

    আরও পড়ুন: আজাদকে প্রাণনাশের হুমকি জঙ্গিগোষ্ঠীর, ‘রাজনৈতিক গিরগিটি’ বলে কটাক্ষ

    অনেকেই ভেবেছিলেন, এই বয়সে গুলাম নবি আজাদ হয়তো নতুন রাজনৈতিক দল গড়ার ঝুঁকি নেবেন না। কিন্তু কংগ্রেস পরিত্যাগের পর উপত্যকায় প্রথম সমাবেশে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নেওয়ার এখনই কোনও পরিকল্পনা নেই তাঁর। বরং তিনি জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষের স্বার্থে নতুন ব্যানারে রাজনৈতিক লড়াই চালিয়ে যাবেন। তখন থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল আজাদের নতুন দল গঠনের কাজ। রাজ্যের একে একে কংগ্রস নেতা দল ছাড়তে শুরু করেন গুলাম নবি আজাদের ডাকে সাড়া দিয়ে। সেই তালিকা বেশ দীর্ঘ। জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তারা চাঁদও রয়েছেন সেই দলে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • PFI: মধ্যপ্রাচ্য থেকে বাংলাদেশ, মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলিতে রমরমা পিএফআইয়ের

    PFI: মধ্যপ্রাচ্য থেকে বাংলাদেশ, মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলিতে রমরমা পিএফআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বয়স মাত্র ১৬ বছর। ইতিমধ্যেই কেবল ভারত (India) নয়, মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলিতে জাল বিস্তার করেছে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া, সংক্ষেপে পিএফআই (PFI)। বৃহস্পতিবারই দেশজুড়ে পিএফআই নেতা-কর্মীদের বাড়ি ও অফিসে চালানো হয়েছে তল্লাশি অভিযান। বাজেয়াপ্ত হয়েছে প্রচুর নথিপত্র এবং নগদ টাকা। তার পরেই উঠে আসছে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। গোয়েন্দাদের দাবি, ভারত ছাড়াও একাধিক মুসলিম অধ্যুষিত রাষ্ট্রে জাল বিস্তার করেছে পিএফআই।

    ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পরে তিনটি মুসলিম সংগঠন একত্রিত হয়ে তৈরি করা হয় পিএফআই। ২০০৬ সালে কেরলে গঠিত এই সংগঠনের নাম ছিল ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ফ্রন্ট। পরবর্তী কালে মানিথা নীতি পাসারাই, কর্নাটক ফোরাম ফর ডিগনিটি সহ তিনটি সংগঠন মিলিত হয়ে তৈরি হয় পিএফআই। দেশবিরোধী ও সমাজবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গেই যুক্ত ছিল এই সংগঠন। বিভিন্ন রাজ্যে এই সংগঠনের শাখাও রয়েছে।

    বৃহস্পতিবার গোটা দেশের ১৩টি রাজ্যে পিএফআইয়ের অফিসগুলিতে তল্লাশি চালায় এনআইএ (NIA) এবং ইডি (ED)। এই দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে সাহায্য করেছে বিভিন্ন রাজ্য পুলিশও। পিএফআইয়ের ৪৫ জন নেতা সহ গ্রেফতার করা হয়েছে প্রায় দুশোজনকে। সূত্রের খবর, উপসাগরীয় দেশগুলিতে পিএফআই তিনটি নামে সংগঠন চালায়। এগুলি হল ইন্ডিয়া ফ্র্যাটারনিটি ফোরাম (IFF), ইন্ডিয়ান সোশ্যাল ফোরাম (ISF) এবং রিহ্যাব ইন্ডিয়ান ফাউন্ডেশন (RIF)। বিদেশে ভারত বিরোধী নানা কাজে লিপ্ত এই সংগঠনগুলি।

    আরও পড়ুন : টার্গেট আরএসএস? সংঘের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি চালাত পিএফআই! চক্রান্ত ফাঁস

    জানা গিয়েছে, ইন্ডিয়া ফ্র্যাটারনিটি ফোরাম এবং ইন্ডিয়ান সোশ্যাল ফোরাম মধ্য প্রাচ্যে পোক্ত সংগঠন গড়ে তুলেছে। দেশবিরোধী কার্যকলাপ চালানোর জন্য অর্থ সংগ্রহ করছে তারা। জামাত-ই-ইসলামির ধর্মীয় কয়েকজন নেতা এবং পিআইএফ নেতারা প্রায়ই সংযুক্ত আরব আমিরশাহি পরিদর্শন করেন। কেবল সংযুক্ত আরব আমিরশাহি নয়, ওমান, কাতার, কুয়েত, তুরস্ক, পাকিস্তান মায় বাংলাদেশেও জাল বিছিয়েছে পিএফআই। বাহরিন, শ্রীলঙ্কা এবং মালদ্বীপেও পা রেখেছে এই সংগঠন। পিএফআইয়ের এক ক্যাডারকে গ্রেফতার করা হয় লখনউ থেকে। তখনই জানা যায় বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ ভারতে বিস্ফোরণ ঘটানোর প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Tamil Nadu: তামিলনাড়ুতে বিজেপি-আরএসএস কর্মীদের ওপর পেট্রল বোমা হামলার ঘটনায় গ্রেফতার ১১

    Tamil Nadu: তামিলনাড়ুতে বিজেপি-আরএসএস কর্মীদের ওপর পেট্রল বোমা হামলার ঘটনায় গ্রেফতার ১১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তামিলনাড়ুতে (Tamil Nadu) বিজেপি-আরএসএস কর্মীদের (BJP) আক্রমণের ঘটনায় রবিবার ১১ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এর মধ্যে ৫ জন সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়ার (SDPI) কর্মী। শনিবার আরএসএস (RSS) আধিকারিকের বাড়িতে পেট্রল বোমা (Petrol Bomb) হামলার অভিযোগ ওঠে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৭ঃ৩৮ মিনিট নাগাদ অনুপ্পনদী হাউসিং বোর্ড এলাকায় এমএস কৃষ্ণানের বাড়িতে হামলা হয়। পুরো ঘটনা একটি সিসিটিভি ক্যমেরায় ধরা পড়েছে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা যায়, একটি বাইকে চেপে দুই ব্যক্তি আসে। মুহুর্তের মধ্যে পরপর তিনটি পেট্রল বোমা ছুঁড়ে দিয়েই পালিয়ে যায় তারা। এছাড়াও শনিবার ভোরে চেন্নাইয়ের কাছে টাম্বারামে চিটলাপাক্কামে আরএসএস কর্মী সীথারামনের বাড়িতে পেট্রল বোমা নিক্ষেপ করে দুষ্কৃতীরা।  

    আরও পড়ুন: পিএফআই সদস্যদের মুখে ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান! কড়া পদক্ষেপ সরকারের

    সীথারামন বলেন, “ভোর চারটে নাগাদ আমরা বিকট শব্দ শুনতে পাই এবং বাইরে আগুন দেখতে পাই। আমরা শর্ট সার্কিট ভেবেছিলাম কিন্তু তা হয়নি। আমরা আ গুন নেভাই এবং পুলিশকে ফোন করি। তারা অভিযুক্তদের ফুটেজ পেয়েছে।”  

    আরও পড়ুন: বিজেপির নবান্ন অভিযানে ‘অশান্তি’, সিবিআই তদন্তের দাবি অনুসন্ধান কমিটির রিপোর্টে

    অপর আক্রান্ত কৃষ্ণান বলেন, “আমি বিগত ৪৫ বছর ধরে আরএসএস-র সঙ্গে যুক্ত আছি। শনিবার সন্ধ্যায় বাড়িতে পুজো ছিল। প্রায় ৬৫ জন লোক সেখানে উপস্থিত ছিলেন। হঠাৎই বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাই। আমার জীবনের উপর ঝুঁকি ছিল। ২০১৪ সালে আমাকে পুলিশি  সুরক্ষা দেওয়া হয়। ২০২১ সালে আবার এই সুরক্ষা প্রত্যাহারও করে নেওয়া হয়। আমার মতো আরও ২০ জন আরএসএস কর্মীর উপর এমন হামলা হয়েছে।” 

     



     
    এই ঘটনায় এসডিপিআই- এর জেলা সভাপতি এন সায়েদ আলী, ওয়ার্ড সভাপতি কে খাদির হুসেন- সহ মোট পাঁচ জন এসডিপিআই কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ২২ সেপ্টেম্বর বিজেপি কর্মীর দোকানে হামলা চালানোর অভিযোগে। সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতেই অভিযুক্তদের চিহ্নিত করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে দোকানেও পেট্রল বোমা নিক্ষেপ করে হামলাকারীরা। 

    এর আগে বুধবার গভীর রাত একটা থেকে দেড়টা নাগাদ বিজেপি দফতরে পেট্রল বোমা নিক্ষেপ করে এক দুষ্কৃতী। বিজেপি নেতা কারাতে থ্যাগারাজন জানিয়েছেন, “রাত ১.৩০ মিনিট নাগাদ আমাদের কার্যালয়ে পেট্রল বোমা হামলা চালানো হয়। ১৫ বছর আগে একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। আমরা এই ঘটনার জন্য তামিলনাড়ু সরকারের নিন্দা করছি। আমরা পুলিশকেও জানিয়েছি। বিজেপি ক্যাডাররা এই ধরনের জিনিসে ভয় পায় না।” 

    দলীয় কার্যালয়ে পেট্রোল বোমা হামলার ঘটনায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তামিলনাড়ু বিজেপির রাজ্য সভাপতি কে আন্নামালাই। তিনি বলেছেন, “আমরা এই ঘটনায় ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এনআইএ) তদন্ত দাবি করছি। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। আমাদের রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে। এনআইএ এই ঘটনার একমাত্র সমাধান যেখানে সত্য এবং ষড়যন্ত্র বেরিয়ে আসবে।”

    এই ঘটনায় প্রমাণের ভিত্তিতে পাঁচটি মামলা দায়ের করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। মনে করা হচ্ছে এই ঘটনায় পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার (PFI) যোগ থাকতে পারে।  ইতিমধ্যেই সন্ত্রাসবাদে যুক্ত থাকার অভিযোগে পিএফআই – এর শতাধিক নেতাকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি (CID)।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
LinkedIn
Share