Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Rajgir: উষ্ণ প্রস্রবণ, গুহা, নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়! ঘুরে আসুন ‘পাঁচ পাহাড়ের দেশ’ রাজগীর

    Rajgir: উষ্ণ প্রস্রবণ, গুহা, নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়! ঘুরে আসুন ‘পাঁচ পাহাড়ের দেশ’ রাজগীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সময় নাম ছিল রাজগৃহ (Rajgir)। রত্নগিরি, বিপুলগিরি, বৈভবগিরি, শোনগিরি, উদয়গিরি-এই পাঁচটি পাহাড় দিয়ে ঘেরা, তাই কেউ কেউ একে ‘পাঁচ পাহাড়ের দেশ’ বলেও অভিহিত করেন। আর আপামর পর্যটকের কাছে এর পরিচিতি রাজগীর নামে। মগধরাজ জরাসন্ধের রাজধানী ছিল এই রাজগীর। সম্রাট অশোকের পিতা সম্রাট বিম্বিসারের রাজধানী ছিল এই রাজগীর। পরবর্তী কালে সম্রাট অশোক এখান থেকে রাজধানী স্থানান্তরিত করেন তৎকালীন পাটলিপুত্র, বর্তমানের পাটনাতে। ভগবান বুদ্ধ তাঁর জীবনের ১২টি বসন্ত কাটিয়েছেন এখানে। নালন্দার কাছে কুন্দলপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন জৈন তীর্থঙ্কর মহাবীর। সেই অর্থে রাজগীর হল বৌদ্ধ এবং জৈন ধর্মের অনুগামীদের জন্য এক পবিত্র তীর্থস্থান। রাজগীরের সেরা আকর্ষণ হল গৃধ্যকূট পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত বিশ্বশান্তি স্তূপ। গৌতম বুদ্ধের স্মরণে জাপানের বৌদ্ধ সংঘ এই বিশ্বশান্তি নির্মাণ করেন।

    প্রধান আকর্ষণ উষ্ণ প্রস্রবণ (Rajgir)

    রাজগীরের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হল এখানকার উষ্ণ প্রস্রবণগুলি। বৈভব পাহাড়ের পাদদেশে ব্রহ্মা মন্দিরের পাশেই এই উষ্ণ প্রস্রবণ। অনেকেই মনে করেন এই উষ্ণ প্রস্রবণের (Hot Springs) জলে বিভিন্ন ধরনের খনিজ পদার্থ থাকায় এই জলে স্নান করলে বহু রোগের নিরাময় হয়। এর কাছেই জয়প্রকাশ নারায়ণ পার্ক। এর বিপরীতে রয়েছে মনিয়ার মঠ। এটিকে অনেকেই ভারতের সবচেয়ে প্রাচীন ও মহাভারতে বর্ণিত মণিনাগের মন্দির বা মনসা মন্দির বলেন। এখান থেকে একটু এগোলেই বাঁ দিকে মৃগ উদ্যান আর সামান্য দূরে জরাসন্ধের রত্নাগার।

    সপ্তপর্ণী গুহা

    এর পরের দ্রষ্টব্য সপ্তপর্ণী গুহা (Rajgir)। বৈভব পাহাড়ের এই গুহায় বসেই লেখা হয়েছিল বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ ত্রিপিটক। এবার চলুন বেনুবন।একটি বিশাল সরোবরসহ এই সুন্দর বাগানটি ভগবান বুদ্ধকে উপহার স্বরূপ দিয়েছিলেন নৃপতি বিম্বিসার। এছাড়াও দেখুন ভীরায়তন মিউজিয়াম, রথচক্র দাগ, রণক্ষেত্র, জাপানি ও বার্মিজ টেম্পল, জৈন তীর্থঙ্কর আদিনাথের মন্দির, নওলখা মন্দির প্রভৃতি।

    নালন্দা দর্শন (Rajgir)

    রাজগীর ভ্রমণের এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হল নালন্দা দর্শন। রাজগীর থেকে প্রায় ১৪ কিমি দূরে এই প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়ের ধ্বংসাবশেষ। এটিই হল নালন্দার প্রধান আকর্ষণ। এর প্রবেশ পথের ঠিক উল্টো দিকেই রয়েছে মিউজিয়াম। এখানে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের ধ্বংসস্তূপ থেকে পাওয়া বিভিন্ন এবং অন্যান্য স্থানের বিভিন্ন দুষ্প্রাপ্য ও আকর্ষণীয় জিনিসপত্র প্রদর্শিত হয়েছে।
    ইচ্ছে এবং হাতে সময় থাকলে একই সঙ্গে ঘুরে নেওয়া যায় রাজগীর থেকে ৩১ কিমি দূরে পাওয়াপুরি থেকেও। পাওয়াপুরির জল মন্দিরটি ভালো লাগবেই।

    যাতায়াত ও থাকা-খাওয়া

    যাতায়াত-কলকাতা/হাওড়া থেকে পাটনাগামী যে কোনও ট্রেন ধরে আসতে হবে পাটনার একটু আগে বখতিয়ারপুর স্টেশনে। সেখান থেকে বাস বা গাড়িতে যেতে হবে ঘণ্টা দেড়েক দূরে রাজগীর (Rajgir)।
    থাকা-খাওয়া-এখানে রয়েছে সারদা গ্রুপের বেশ কয়েকটি হোটেল। এর মধ্যে রয়েছে ১) হোটেল রাজলক্ষ্মী ২) মা সারদা লজ ৩) বঙ্গবাসী লজ ৪) হোটেল সারদা প্রভৃতি। যোগাযোগ-০৯৩৩৯৮৯৯৪৯৩, ০৯৪৩১৪৮৭৬৪৬। এদের কলকাতায় নিজস্ব অফিস আছে ৫ বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিট-এ । ফোন-৮৫৮২৯১৬৪৯৯ , ৯৪৩৩৭৫২৭২৩, ৯০৫১২৪৮৫৫৭২। প্রসঙ্গত জানাই, এখানে বাস বা গ্রুপ পার্টির থাকার ব্যবস্থাও রয়েছে।

  • Hyperloop Test Track: ৩০ মিনিটেই বেঙ্গালুরু থেকে চেন্নাই! প্রস্তুত ভারতের প্রথম হাইপারলুপ টেস্ট ট্র্যাক

    Hyperloop Test Track: ৩০ মিনিটেই বেঙ্গালুরু থেকে চেন্নাই! প্রস্তুত ভারতের প্রথম হাইপারলুপ টেস্ট ট্র্যাক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপেক্ষা আর মাত্র কয়েকদিনের। ৩০০ থেকে ৩৫০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করা সম্ভব হবে মাত্র ৩০ মিনিটে! দিল্লি থেকে জয়পুর বা বেঙ্গালুরু থেকে চেন্নাই পৌঁছতে লাগবে মাত্র আধ ঘণ্টা। ভারতের প্রথম ‘হাইপারলুপ টেস্ট ট্র্যাক’ (Hyperloop Test Track) পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পুরোপুরি তৈরি হয়ে গিয়েছে। ভারতীয় রেলের (Indian Railways) সহায়তায় এই ট্র্যাক বানিয়েছে আইআইটি মাদ্রাজ (IIT Madras)।

    দ্রুত হাইপারলুপ তৈরির চেষ্টা

    রেলমন্ত্রক সূত্রে খবর, যে ট্র্যাক তৈরি করা হয়েছে তা ৪২২ মিটার লম্বা। এই ট্র্যাক দিয়ে গেলে কমপক্ষে ৩৫০ কিলোমিটার পথ ৩০ মিনিট বা তার কমে অতিক্রম করা সম্ভব। এই ট্রেনের গতি হবে ঘণ্টায় ১ হাজার ১০০ কিলোমিটার, যা বুলেট ট্রেনের থেকেও বেশি। সেই প্রেক্ষিতে বলা যায়, হাইপারলুপ দিয়ে দিল্লি থেকে জয়পুর (দুরত্ব মোটামুটি ৩০০ কিলোমিটার) যেতে মাত্র আধ ঘণ্টা সময় লাগবে। ইতিমধ্যে এই প্রজেক্টের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)। তিনি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে দু-দফায় ১ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হয়েছে আইআইটি মাদ্রাজকে। আরও এক দফায় এই টাকা দিতে ইচ্ছুক ভারতীয় রেল মন্ত্রক। আসলে খুব দ্রুত এই হাইপারলুপ প্রজেক্ট বাস্তবায়িত করতে চাইছে তাঁরা।

    হাইপারলুপ ট্রেন কী

    হাইপারলুপ ট্রেন হল যাত্রী এবং মাল বহনের জন্য উচ্চগতির পরিবহন ব্যবস্থা। একটি হাইপারলুপ ট্রেন একটি ভ্যাকুয়াম ক্যাপসুল টিউবের মধ্যে দিয়ে চৌম্বক প্রযুক্তির সাহায্যে একটি পডের উপর চলে। টিউব ঘর্ষণহীন হওয়ায় ট্রেনের গতিবেগ সর্বোচ্চ ১২০০ কিমিতে পৌঁছতে সক্ষম। যদিও জানা গিয়েছে যে, ভারতীয় রেলের হাইপারলুপ ব্যবস্থার সর্বোচ্চ গতি হতে পারে প্রতি ঘন্টায় ৬০০ কিমি। এই ট্রেনের ক্ষেত্রে টিউবের মধ্যে কোনও বাতাস থাকে না। ফলে ট্রেনটির সামনের দিকে এগোতে বায়ুমণ্ডলের কোনও বাধা থাকে না। তাই অতি দ্রুত ট্রেন এগিয়ে যেতে পারে। তাই একে বলে হাইপারলুপ ট্রেন। সাধারণ ট্রেনের মতো হাইপারলুপ ট্রেনের একাধিক কামরা নেই, মাত্র একটি কামরা থাকে। মূলত বিদ্যুতেই চলে এই অত্য়াধুনিক অতিগতিসম্পন্ন এই ট্রেন।

  • Universal Pension Scheme: ইউনিভার্সাল পেনশন স্কিম চালু করছে মোদি সরকার! কী সুবিধা মিলবে জানেন?

    Universal Pension Scheme: ইউনিভার্সাল পেনশন স্কিম চালু করছে মোদি সরকার! কী সুবিধা মিলবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসংগঠিত ক্ষেত্রে চাকরি করেন? পেনশন নেই? তাতে কোনও দুঃখও নেই (India)। কারণ দেশবাসীর জন্য ইউনিভার্সাল পেনশন স্কিম (Universal Pension Scheme) চালু করার কথা ভাবছে কেন্দ্র। জানা গিয়েছে, বৃদ্ধ বয়সে মূলত অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীরা যাতে আর্থিক সুরক্ষা পান, সে কথা ভেবেই নয়া পরিকল্পনা। শ্রমমন্ত্রক সূত্রে খবর, চাকরিরত হোন বা স্বনিযুক্ত – প্রত্যেকেই চলে আসবেন পেনশন স্কিমের আওতায়।

    ইউনিভার্সাল পেনশন স্কিম (Universal Pension Scheme)

    বিশ্বের অনেক দেশেই চালু রয়েছে ইউনিভার্সাল পেনশন স্কিমের মতো প্রকল্প। আমেরিকা, কানাডা, রাশিয়া এবং চিনের মতো দেশেও চালু রয়েছে এই জাতীয় প্রকল্প। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই নয়া প্রকল্প নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছে শ্রমমন্ত্রক। অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মরত নির্মাণ শ্রমিক, পরিচারিকা, ডেলিভারি পার্সন- এঁদের প্রত্যেকের কথা মাথায় রেখেই তৈরি হচ্ছে নয়া পেনশন কাঠামো। প্রসঙ্গত, বর্তমানে সরকারি সেভিংস প্রকল্পগুলিতে অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীরা যুক্ত হতে পারেন না।

    পেনশন স্কিমে যুক্ত হতে পারেন সকলেই

    সরকার প্রস্তাবিত পেনশন স্কিমে যুক্ত হতে পারেন সকলেই। তবে কারও ক্ষেত্রেই এই স্কিম বাধ্যতামূলক নয়। বর্তমানে যেসব প্রকল্প রয়েছে, সেগুলির কয়েকটিকে নিয়ে আসা হবে নয়া এই পেনশন স্কিমের আওতায়। কর্মক্ষেত্রের সঙ্গে এই স্কিমের কোনও যোগ থাকবে না (Universal Pension Scheme)। যাঁরা এই স্কিমে নাম লেখাবেন, তাঁরা নিজেদের মতো করে নির্দিষ্ট অর্থ জমা করবেন। বয়স ষাটের কোঠা পের হলেই মিলবে পেনশন।

    বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকার এই প্রকল্পে কিছু বড় ও আকর্ষণীয় প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত করতে পারে। যেমন, প্রধানমন্ত্রী মান ধন যোজনা ও ন্যাশনাল পেনশন স্কিম। তবে এই দুই প্রকল্পই ঐচ্ছিক। এই স্কিমে যুক্ত হলে ষাট বছর পর ফি মাসে ৩ হাজার টাকা করে পেনশন মেলে। এই স্কিমে ৫৫ থেকে ২০০ টাকা জমা করতে পারেন। কোনও ব্যক্তি যতটা অবদান রাখবেন, সরকারও তাঁর কাছে তত টাকাই জমা রাখবে।

    জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে অটল পেনশন যোজনাও। এই দুটি স্কিম ছাড়াও সরকার বিল্ডিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন ওয়ার্কার্স অ্যাক্টের অধীনে সংগৃহীত সেসও অন্তর্ভুক্ত করতে পারে। এর ফলে নির্মাণ খাতের শ্রমিকদের পেনশনও দেওয়া সম্ভব হবে। এছাড়াও কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারগুলিকে তাদের পেনশন প্রকল্পগুলি অন্তর্ভুক্ত করতে উৎসাহিত করতে পারে (India)। এতে পেনশনের পরিমাণও বাড়বে। ফলে উপকৃত হবেন বহু মানুষ (Universal Pension Scheme)।

  • Jammu and Kashmir: রাজৌরিতে সেনার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি! জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি জম্মুতে

    Jammu and Kashmir: রাজৌরিতে সেনার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি! জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি জম্মুতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলওয়ামার মতো ফের ভারতীয় সেনাবাহিনীর ট্রাকে হামলা চালাল জঙ্গিরা (Terror Attack)। বুধবার দুপুরে জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) রাজৌরি জেলায় একটি সেনা ট্রাককে লক্ষ্য করে গুলি চালায় তারা। পাল্টা জবাব দেয় সেনাও। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত হতাহতের খবর মেলেনি। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, সেনার একটি ট্রাক জম্মুর রাজৌরি জেলায় সুন্দেরবানি এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় একদল দুষ্কৃতী গুলি চালায়। সঙ্গে সঙ্গে সেনাবাহিনী পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে। জঙ্গল এলাকায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

    প্যাট্রলিং-এর সময় গুলি

    গত কয়েক মাস ধরে জম্মু-কাশ্মীরে একের পর এক জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটছে। কখনও সেনার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি-বোমা চলে, আবার কখনও গ্রামে প্রবেশ করে বাড়িতে বাড়িতে হামলা চালায়। জঙ্গিদের খোঁজে জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir)  বিভিন্ন জায়গায় মাঝেমধ্যেই তল্লাশি অভিযান করে সেনা। সুন্দেরবানি মাল্লা রোড সংলগ্ন জঙ্গলে ঘেরা এলাকাগুলিতে প্রচুর জঙ্গি গা ঢাকা দিয়ে থাকে। বুধবার সেই এলাকাতেই টহল দিচ্ছিল সেনা। দুপুর একটা নাগাদ একটি জলাশয়ের ধারে পৌঁছয় টহলদারি বাহিনী। সেই সময়েই জঙ্গলের ভিতর থেকে গুলিবৃষ্টি শুরু হয়। জানা গিয়েছে, ৯ জেএকে ইউনিটের গাড়ি লক্ষ্য করে এক বা দুই রাউন্ড গুলি চালানো হয়। সঙ্গে সঙ্গে পালটা গুলি চালায় সেনাও।

    টহলদারির খবর পেয়েই গুলি

    প্রাথমিকভাবে সেনার অনুমান, টহলদারির খবর ছিল জঙ্গিদের কাছে। সেই কথা জেনেই তারা গুলি চালিয়েছে সেনার গাড়িতে। তবে হামলার পরে আরও বেশি সতর্ক হয়েছে সেনা। সূত্রের খবর, পালটা গুলি চালানো হয়েছে সেনার তরফে। এছাড়াও ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত বাহিনী এবং অস্ত্র পাঠানো হয়েছে। ঘিরে ফেলা হয়েছে গোটা এলাকা। লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের খোঁজে আরও জোরদার তল্লাশি শুরু হয়েছে হামলার পর। দিন কয়েক আগেই জম্মু ও কাশ্মীরের সোপোরের জালোরা গুজ্জরপতি এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লড়াইয়ে এক জওয়ানের মৃত্যু হয়। সম্প্রতি গুলমার্গেও সেনার গাড়িতে হামলা চলেছিল। তাতে দু’জন জওয়ান এবং বাহিনীর দুই মালবাহকের মৃত্যু হয়েছিল। তবে বুধবারের হামলাও এখনও কোনও হতাহতের খবর মেলেনি। কারা হামলা চালিয়েছে, সেই তথ্যও অজানা। গুলি চালানোর দায়ও কেউ স্বীকার করেনি এখনও। এর আগে ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় সেনাবাহিনীর কনভয়ে হামলা করে জঙ্গিরা। ওই হামলায় ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যু হয়েছিল।

  • Make in India: ‘মেক ইন ইন্ডিয়া মেড ফর দ্য ওয়ার্ল্ড’! ভারত থেকে অত্যাধুনিক কামান কিনবে ট্রাম্পের আমেরিকা

    Make in India: ‘মেক ইন ইন্ডিয়া মেড ফর দ্য ওয়ার্ল্ড’! ভারত থেকে অত্যাধুনিক কামান কিনবে ট্রাম্পের আমেরিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিরক্ষা খাতে ভারতের বিরাট সাফল্য। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘মেক ইন ইন্ডিয়া (Make in India) প্রকল্পের সফল রূপায়ণ ঘটছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে। প্রতিরক্ষাতেও সেই ছবি ধরা পড়েছে। শুধু দেশীয় উৎপাদন নয়, ভারতের সমরাস্ত্রের চাহিদা এখন বিশ্ববাজারেও হু হু করে বাড়ছে। আর্মেনিয়া থেকে ফিলিপাইন্স, ফ্রান্স থেকে ভিয়েতনাম— সকলেই ভারত থেকে অস্ত্র কিনছে ও কেনার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছে। বিগত কয়েক বছরে ভারতের প্রতিরক্ষা রফতানি বিপুল হারে বেড়েছে। যা মোদির ‘মেক ইন ইন্ডিয়া, মেড ফর দ্য ওয়ার্ল্ড’ (Make in India Made For The World) নীতির পালে হাওয়া দিয়েছে। এবার সেই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও। জানা গিয়েছে, ভারত থেকে উন্নত আর্টিলারি গান বা কামান কিনতে যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশীয় সংস্থা ভারত ফোর্জের সহযোগী প্রতিষ্ঠান কল্যাণী স্ট্র্যাটেজিক সিস্টেমস লিমিটেড (KSSL) এবং এএম জেনারেলের সঙ্গে চুক্তি করেছে ট্রাম্পের আমেরিকা। আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা প্রদর্শনী আইডিএক্স ২০২৫ (IDEX 2025) এ আবু ধাবিতে একটি ইচ্ছাপত্র (Letter of Intent) স্বাক্ষরিত হয়েছে।

    মোদি-ট্রাম্প সাক্ষাতের পর চুক্তি!

    প্রতিরক্ষা খাতে মেক-ইন-ইন্ডিয়া উদ্যোগে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। প্রথমবার ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আর্টিলারি গান সরবরাহ করবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফরের পরেই এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের মধ্যে সম্প্রতি একটি দ্বিপাক্ষীয় বৈঠকে ইউএস প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে সুরক্ষা সহযোগিতার অঙ্গীকার করা হয়। দু’দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত আলোচনায় বেশ কয়েকটি বিষয় উঠে এসেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট গত জানুয়ারিতেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে বড় কিছু পদক্ষেপ করতে চলেছেন তিনি। একই সঙ্গে এটাও জানিয়েছিলেন যে, ভারতকে তাঁর দেশ আরও বেশি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বিক্রি করতে প্রস্তুত। অন্য দিকে, প্রধানমন্ত্রী মোদি জানিয়েছিলেন, ভারতের প্রতিরক্ষাকে আরও মজবুত করতে আমেরিকা ‘গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা’ নিতে চলেছে। এই আবহেই ভারত থেকে আমেরিকার কামান কেনার কথা সামনে এল।

    চুক্তি থেকে আশা

    কল্যাণী স্ট্র্যাটেজিক সিস্টেমস লিমিটেড সম্প্রতি এএম জেনারেলের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে, যার মাধ্যমে তারা আগামী প্রজন্মের আর্টিলারি সমাধানগুলি, যেমন মাউন্টেড, টোড এবং অতিক্ষুদ্র গানের সিস্টেমগুলি ১০৫ মিমি এবং ১৫৫ মিমি ক্যালিবারে তৈরি করবে। এএম জেনারেল যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বাহিনীর জন্য উন্নত আর্টিলারি সমাধান খুঁজে বের করতে কাজ করছে। কেএসএসএল এক ঘোষণায় জানিয়েছে, “এই ইচ্ছাপত্রে স্বাক্ষর আমাদের কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্প্রসারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। কেএসএসএল-এর প্রমাণিত আর্টিলারি সক্ষমতা এবং আমাদের প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনকে একত্রিত করে, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বাহিনীর জন্য উন্নত আর্টিলারি সমাধান নিয়ে আসার বিশাল সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি।”

  • PM Modi: রাশিয়ার বিজয় দিবসে অংশ নেবেন মোদি! কবে মস্কো যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী?

    PM Modi: রাশিয়ার বিজয় দিবসে অংশ নেবেন মোদি! কবে মস্কো যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রাশিয়া সফরে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। আগামী ৯ মে মস্কোর রেড স্কোয়ারে অনুষ্ঠিত হবে ‘গ্রেট প্যাট্রিয়টিক ওয়ার’ বা মহান দেশপ্রেমিক যুদ্ধের ৮০তম বিজয় দিবস (Victory Day Parade)। সেই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশ নিতে রাশিয়ায় যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।

    তাসের প্রতিবেদন (PM Modi)

    বুধবার রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা তাসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাশিয়া সফরের ভীষণ সম্ভাবনা রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৯ মে রেড স্কোয়ারে অনুষ্ঠিত প্যারেডে অংশগ্রহণ করার পরিকল্পনা করছেন। এটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময়, এবং এটি হবে বলেই মনে হচ্ছে।” সূত্রের খবর, ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি সান্ধ্য সামরিক দলও এই প্যারেডে অংশ নেবে। এই দলটি অন্তত এক মাস আগে মস্কো পৌঁছে যাবে। সেখানেই চলবে প্যারেডের জন্য প্রস্তুতি।

    মস্কোর অনুষ্ঠানে ভারতের সেনা

    জানা গিয়েছে, ভারতের সেনা কর্মীদের রাশিয়ায় পাঠানোর বিষয়টি নিয়ে বর্তমানে আলোচনা চলছে। ভারতের সামরিক প্রতিনিধিরা রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের অংশগ্রহণের বিষয়টি চূড়ান্ত করছেন। এর আগে রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ জানিয়েছেন যে, বেশ কিছু দেশ ইতিমধ্যেই মস্কোর অনুষ্ঠানে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে।

    রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাংবাদিক সম্মেলনে (PM Modi) দিমিত্রি পেসকভ বলেন, “সিআইএস (কমনওয়েলথ অব ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্টেটস)-এর বাইরে অন্য দেশগুলোকেও আমন্ত্রণ জানানো হবে।” তিনি আরও বলেন, “যাঁরা বিজয় দিবসের গুরুত্ব উপলব্ধি করেন, রাশিয়া তাঁদের সবাইকে মস্কোয় স্বাগত জানাবে।”

    মোদির এই সফর কেন গুরুত্বপূর্ণ?

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই সফর বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে। কারণ তিনি যে সময় রাশিয়ায় যাচ্ছেন, সেই সময় ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের জন্য রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে আলোচনা চলছে। সম্প্রতি সৌদি আরবে প্রথম দফার আলোচনায় অংশ নেন রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা। সেখানেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শান্তির পক্ষে জোরালো অবস্থান নেন। রাশিয়া সফরের সময় তিনি প্রেসিডেন্ট পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি উভয়ের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন (Victory Day Parade)। তিনি যে যুদ্ধ নয়, শান্তির পক্ষেই, সেই অবস্থানও স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন (PM Modi)।

  • Veer Savarkar: ‘জাতি কখনওই ভুলতে পারবে না তাঁর অবদান’, সাভারকরের মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা প্রধানমন্ত্রীর

    Veer Savarkar: ‘জাতি কখনওই ভুলতে পারবে না তাঁর অবদান’, সাভারকরের মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহান স্বাধীনতা সংগ্রামী বিনায়ক দামোদর সাভারকরের (Veer Savarkar) মৃত্যুবার্ষিকীতে জাতির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। আজ, ২৬ ফেব্রুয়ারি, বুধবার প্রধানমন্ত্রী মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীর মৃত্যুবার্ষিকীতে জাতির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা আন্দোলনে তাঁর অমূল্য অবদানের কথা জাতি কখনওই ভুলতে পারবে না। তিনি লেখেন, “সমস্ত দেশবাসীর পক্ষ থেকে বীর সাভারকরজিকে তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি। তপস্যা, ত্যাগ, সাহস ও সংগ্রামে ভরা স্বাধীনতা আন্দোলনে তাঁর অমূল্য অবদান কৃতজ্ঞ জাতি কখনও ভুলতে পারবে না।”

    বীর সাভারকর (PM Modi)

    ১৮৮৩ সালে ২৮ মে জন্মগ্রহণ করেছিলেন বীর সাভারকর (Veer Savarkar)। খুব অল্প বয়সেই তিনি শুরু করেছিলেন তাঁর রাজনৈতিক যাত্রা। তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতেন যে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে স্বদেশি ভাবনা ও বিদেশি পণ্যের বর্জন, শিক্ষা দেওয়ার মাধ্যমে জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং বিপ্লবী চেতনার বিকাশ অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব সাভারকর ছিলেন একজন আইনজীবী, লেখক ও সমাজকর্মী। তিনি বহু গ্রন্থ রচনা করেছেন। তাঁর লেখা ‘হিন্দুত্ব: হু ইজ আ হিন্দু?’ বইটির জন্য তিনি বিশেষ খ্যাতি লাভ করেন।

    কারাদণ্ড ভোগ

    মর্লে-মিন্টো সংস্কারের বিরোধিতা করায় সাভারকরকে (Veer Savarkar) ১৯১১ সালে আন্দামানের সেলুলার জেলে ৫০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তবে ১৯২৪ সালে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়। জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর,  তিনি রত্নগিরিতে অস্পৃশ্যতা দূর করার লক্ষ্যে কাজ করেন। পরে সাভারকর হন হিন্দু মহাসভার সভাপতি। ১৯৪২ সালে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের বিরোধিতা করেন তিনি। ভারতের (PM Modi) বিভাজন মেনে নেওয়ার জন্য ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসেরও সমালোচনা করেছিলেন এই দেশপ্রেমিক।

    সাভারকরকে (Veer Savarkar) শ্রদ্ধা জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, তিনি ছিলেন একজন গতিশীল চিন্তক, জাতীয়তাবাদী ভাবনার ধারক এবং মহান স্বাধীনতা সংগ্রামী। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “… সাভারকরজি তাঁর জীবনের মাধ্যমে দেখিয়েছিলেন কীভাবে মাতৃভূমি, নিজের সংস্কৃতি এবং জাতির জন্য ত্যাগ ও নিবেদনের শিখরে পৌঁছানো যায়। জাতীয় ঐক্যের দৃঢ় ভিত্তি স্থাপন করে সমাজকে জাত-পাতের বেড়াজাল থেকে মুক্ত করেছিলেন যে সাভারকরজি (Veer Savarkar), তাঁর জীবনগাথা মাতৃভূমির সেবার পথে ধ্রুবতারার মতো অনুপ্রেরণা জুগিয়ে যাবে (PM Modi)।”

  • Maha Kumbh 2025: মহা শিবরাত্রিতে মহাকুম্ভে শেষ অমৃত স্নান! উপচে পড়ল ভিড়, কন্ট্রোল রুমে বসে যোগী

    Maha Kumbh 2025: মহা শিবরাত্রিতে মহাকুম্ভে শেষ অমৃত স্নান! উপচে পড়ল ভিড়, কন্ট্রোল রুমে বসে যোগী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহা শিবরাত্রির (Maha Shivratri) উপলক্ষে মহা কুম্ভের শেষ অমৃত ‘স্নান’ (Last Amrit Snan)। মহা কুম্ভের (Maha Kumbh 2025) শেষ দিনে পবিত্র স্নান করার জন্য ত্রিবেণী সঙ্গমে (Prayagraj Sangam) বিপুল ভক্ত সমাগম। কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে তৎপর উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন। গোটা পরিস্থিতির ওপর নিজের অফিস থেকে নজরদারি চালাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) স্বয়ং। জানা গিয়েছে, গোরক্ষনাথ মন্দিরে একটি কন্ট্রোল রুম খুলেছেন যোগী। সেখান থেকেই অনবরত নজরদারি চালাচ্ছেন তিনি। উত্তরপ্রদেশ সরকারের হিসেব জানাচ্ছে, এদিন সকাল ১১টা পর্যন্ত প্রায় ৮২ লক্ষ মানুষ পুণ্যডুব দিয়েছেন। এদিন সকালে এক্স হ্যান্ডলে যোগী আদিত্যনাথ জানান, কুম্ভে ৬৩.৬৩ কোটি মানুষ স্নান করেছেন। মেলা শেষে সেই সংখ্যা আরও বাড়বে, তা নিশ্চিত।

    লাখ লাখ পূণ্যার্থী প্রয়াগরাজে

    গত ১৩ জানুয়ারি মহাকুম্ভের (Maha Kumbh 2025) সূচনা ঘটেছিল। ৬ সপ্তাহ ধরে চলেছে এই ধর্মীয় ‘মহামিলন’। এর মধ্যে মোট ৬ দিন ‘শাহি স্নানের যোগ’ ছিল- ১৩ জানুয়ারি (পৌষ পূর্ণিমা), ১৪ জানুয়ারি (মকর সংক্রান্তি), ২৯ জানুয়ারি (মৌনী অমাবস্যা), ৩ ফেব্রুয়ারি (বসন্ত পঞ্চমী), ১২ ফেব্রুয়ারি (মাঘী পূর্ণিমা), ২৬ ফেব্রুয়ারি (মহা শিবরাত্রি)। মহাকুম্ভের শেষ শাহি স্নানের সময় সঙ্গমে ডুব দিতে ভোররাত থেকেই ঘাটে ঘাটে ভিড় জমিয়েছেন লক্ষাধিক পূণ্যার্থী। মহা শিবরাত্রি (Maha Shivratri) উপলক্ষে মহাকুম্ভে ডুব দিয়ে পুণ্য অর্জনের ‘শেষ সুযোগ’ যাতে হাতছাড়া না হয়ে যায়, তার জন্যে লাখ লাখ পুণ্যার্থী প্রয়াগরাজে ভিড় জমিয়েছেন।

    কুম্ভে কড়া নিরাপত্তা

    শেষ অমৃত স্নান (Last Amrit Snan) উপলক্ষে গোটা কুম্ভ এলাকায় গাড়ি চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এদিকে আজ কোনও ভিআইপি-র জন্যে বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হবে না কুম্ভে। এদিকে পুণ্যার্থীদের উদ্দেশে একাধিক নির্দেশিকা জারি করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। নিকটবর্তী ঘাটেই স্নান করতে বলা হয়েছে পুণ্যার্থীদের। এদিকে উত্তরপ্রদেশ পুলিশে ডিআইজি (কুম্ভ) বৈভব কৃষ্ণ দাবি করেছেন, শিবরাত্রিতে ‘জোড়া পরিস্থিতি’ সামাল দেওয়ার মতো প্রস্তুতি করেছে পুলিশ বাহিনী। ৩৭ হাজার পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে, ১৪ হাজার হোমগার্ড মোতায়েন করা হয়েছে। ২৭৫০টি এআই ভিত্তিক সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। ৩টি জল পুলিশ স্টেশন বসানো হয়েছে। এছাড়াও ১৮টি জল কন্ট্রোল রুম বসানো হয়েছে। এরই সঙ্গে ৫০টি ওয়াচটাওয়ার বসানো হয়েছে। এর পাশাপাশি ২৪ ঘণ্টা ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় নজরারি চালানো হচ্ছে যাতে কোনও ভুয়ো খবর না ছড়ানো হয়। ভারতীয় রেলওয়েও মহা শিবরাত্রির (Maha Shivratri) জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, ২৬ ফেব্রুয়ারি মহা কুম্ভ ২০২৫-এর (Maha Kumbh 2025) চূড়ান্ত অমৃত স্নানের (Last Amrit Snan) পর তীর্থযাত্রীদের ফিরে যাওয়ার সুবিধার্থে প্রয়াগরাজ থেকে ৩৫০ টিরও বেশি অতিরিক্ত ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।

  • Indian railway: রেলের এক তৃতীয়াংশ রাজস্বের উৎস এসি থ্রি-টিয়ার! এর কারণ কী?

    Indian railway: রেলের এক তৃতীয়াংশ রাজস্বের উৎস এসি থ্রি-টিয়ার! এর কারণ কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা পরবর্তী সময়কাল থেকেই ভারতীয় যাত্রীদের (Indian railway) মধ্যে একটি প্রবণতা দেখা যাচ্ছে যে তাঁরা বাতানুকূল তৃতীয় শ্রেণিতে যাতায়াত করতে পছন্দ করছেন। যে কারণে, রেলের এক তৃতীয়াংশ রাজস্ব আসছে তৃতীয় শ্রেণির এসি থেকেই। প্রসঙ্গত, ট্রেনকে এদেশের লাইফ লাইন বলা হয়। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ যাত্রা করেন এবং মধ্যবিত্তের সবচেয়ে সুবিধা জনক যাত্রা ট্রেনেই সম্ভব হয়। এই সময়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ পেয়েছে এই রিপোর্টগুলিতে দেখা যাচ্ছে যে, আগে সাধারণ স্লিপার শ্রেণিগুলোই সবচেয়ে ভালো পারফরম্যান্স করত এবং ভারতের সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আসত স্লিপার ক্লাসগুলো থেকে।

    কী বলছে পরিসংখ্যান (Indian railway)

    ২০১৯ সালের পরিসংখ্যান বলছে যে যাত্রীদের মধ্যে থেকে ১.৪ শতাংশ মাত্র পছন্দ করতেন থার্ড এসি (Indian railway)। সংখ্যার বিচারে যা ছিল ১১ কোটি। এরপরে ২০২০ তে এল করোনা অতিমারি। লকডাউনের আবহে থার্ড এসির চাহিদা ব্যাপক বেড়ে যায়। ২০২৪-২৫ সালে ১৯ শতাংশ যাত্রী তাঁরা ভ্রমণ করার জন্য পছন্দ করেছেন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত তৃতীয় শ্রেণি কামরা। এই সংখ্যা ২৬ কোটি। জানা যাচ্ছে, ২০১৯ সালে এসি থ্রি-টিয়ার থেকে ভারতীয় রেলের আয় হয়েছিল ১২,৩৭০ কোটি টাকা। অন্যদিকে, ২০২৪-২৫ সালে সেই আয় বেড়েছে ৩০ হাজার ৮৯ কোটি টাকা।

    কেন এত চাহিদা বাড়ছে?

    কিন্তু কেন এসি তৃতীয় শ্রেণিতে (Indian railway) এত চাহিদা বাড়ছে? এ নিয়ে বিশেষজ্ঞরা কিছু সম্ভাব্য কারণ সামনে এনেছেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া এবং দূষণের পরিমাণ যেভাবে বাড়ছে সেখানে এসি বিহীন বা সাধারণ স্লিপার ক্লাসে যাত্রা করা একেবারেই আরামদায়ক হচ্ছে না। কারণ ভারতে গ্রীষ্মকাল খুব দীর্ঘ হয়। এই কারণেই জনগণ এসিকে বেছে নিচ্ছেন।

    অন্যদিকে, আরও বেশ কিছু কারণে আসছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো স্লিপার কোচের সঙ্গে থার্ড এসি কোচের ভাড়ার ফারাক খুব বেশি নয়। সাধারণ মধ্যবিত্তের পকেট সাশ্রয়ী। এর ফলে আরামদায়ক জার্নির জন্য অনেকেই এসি থ্রি-টিয়ারকে বেছে নিচ্ছেন।

    একই সঙ্গে স্লিপার ক্লাসে (Railways) অনেক ঘটনার সামনে আসে। চুরি নিরাপত্তার অভাব- এমন অনেক কিছুই অভিযোগ দায়ের হয়। যেগুলি সাধারণত স্লিপার এবং জেনারেল ক্লাসেই হয়। কিন্তু এসিতে সে জাতীয় কিছু হয় না এবং তা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে ও পর্যাপ্ত নিরাপত্তাও থাকে। সেখানে কোনও অবাঞ্ছিত যাত্রীদের প্রবেশও হয় না।

  • Amit shah: “জম্মু-কাশ্মীরে আর কারও কাছে কোনও অস্ত্র থাকবে না,” ভূস্বর্গের শিশুদের বললেন শাহ

    Amit shah: “জম্মু-কাশ্মীরে আর কারও কাছে কোনও অস্ত্র থাকবে না,” ভূস্বর্গের শিশুদের বললেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সেই দিন খুব বেশি দূরে নয়, যেদিন জম্মু ও কাশ্মীরে (Kashmir) আর কারও কাছে কোনও অস্ত্র থাকবে না। তখন আর কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলের ভেতরে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের প্রয়োজন হবে না। তাদের ভূমিকা সীমাবদ্ধ থাকবে সীমান্ত পাহারায়।”

    ‘ওয়াতন কো জানো’

    সোমবার কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit shah)। ‘ওয়াতন কো জানো’ (নিজের দেশকে জানো) কর্মসূচির অংশ হিসেবে দিল্লি সফরে এসেছে জম্মু-কাশ্মীরের স্কুল পড়ুয়াদের একটি দল। সেই দলের সঙ্গে দেখা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বলেন, “এদের মধ্যে কারও কারও বয়স মাত্র আট, অনেকেই প্রথমবারের মতো নিজেদের বাড়ি ও কেন্দ্র-শাসিত অঞ্চলের বাইরে এসেছে।”

    দেশের প্রতিটি অংশই তোমাদের

    তিনি বলেন, “এই দেশের প্রতিটি অংশ তোমাদের ঠিক ততটাই নিজের, যতটা জম্মু-কাশ্মীর।” শিশুরা যাতে মাঝপথে পড়াশোনা ছেড়ে না দেয়, সেই অনুরোধও করেন শাহ। বলেন, “দেশজুড়ে তোমাদের জন্য প্রচুর সুযোগ অপেক্ষা করছে। এই সুযোগগুলো তোমাদের কাজে লাগাতে হবে। জম্মু ও কাশ্মীরে এখন শান্তি বিরাজ করছে। তবে তোমাদের নিশ্চিত করতে হবে এই শান্তি যেন স্থায়ী হয়।” তিনি শিশুদের বলেন, “ওয়াতন কো জানো সফরের সময় যে শান্তি ও উন্নয়নের ছবি তোমরা দেখেছ, সেই বার্তা তোমরা নিজেদের পরিবার, বন্ধু, প্রতিবেশী ও গ্রামের মানুষের কাছে পৌঁছে দিও।” এদিন প্রায় ২৫০ জন শিশু জম্মু-কাশ্মীর থেকে জয়পুর ও দিল্লি সফরে গিয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল তাদের দেশের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের সঙ্গে পরিচয় করানো। এই দলের এক পড়ুয়া বলে,

    “আমরা হাওয়া মহল পরিদর্শনের সুযোগ পেয়েছিলাম এবং জয়পুরে কাশ্মীরের বাইরের খাবার এনজয় করেছি।”  কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit shah) বলেন, “আমি আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করি, কোনও সরকারই জম্মু-কাশ্মীরে শান্তি বজায় রাখতে পারবে না। কেবল এখানকার শিশুরাই তা পারবে।” স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জম্মু-কাশ্মীরের শিশুদের তাদের বাবা-মা এবং প্রতিবেশীদের বোঝাতে বলেন যে সমগ্র দেশ তাদেরই এবং সন্ত্রাসবাদকে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের (Kashmir) মাধ্যমে প্রতিস্থাপন করতে হবে, যা দেশের অন্যান্য অংশে দেখা যায় (Amit shah)।

LinkedIn
Share