Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • S Jaishankar: ‘‘নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য নয় ভারত, এটা গোটা বিশ্বের জন্য…’’, বার্তা জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: ‘‘নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য নয় ভারত, এটা গোটা বিশ্বের জন্য…’’, বার্তা জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের (UNSC) স্থায়ী সদস্য  দেশ নয় ভারত (India)। এটা যে কেবল ভারতের পক্ষে কাম্য নয়, তা নয়, বিশ্বের পক্ষেও ভাল বার্তা নয়। বুধবার একথাই জানালেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। এদিন জয়শঙ্করকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হতে ভারতের কতদিন সময় লাগবে? এই প্রশ্নের উত্তরেই জয়শঙ্কর জানান ভারতের সদস্য না হওয়ার বিষয়টি বিশ্বের পক্ষেও ভাল নয়।

    পনের সদস্য দেশ নিয়ে গঠিত রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। বিশ্বের পাঁচ শক্তিশালী দেশ চিন, ফ্রান্স, রাশিয়া, আমেরিকা এবং ব্রিটেন নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য। নিরাপত্তা পরিষদের রেজ্যুলেশন, নতুন দেশের অন্তর্ভুক্তি বা মহাসচিব প্রার্থীর নিয়োগে ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে এই স্থায়ী সদস্যদের। নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান অস্থায়ী সদস্য দেশগুলি হল ব্রাজিল, আলবানিয়া, ঘানা, কলম্বো, আয়ারল্যান্ড, কেনিয়া, মেক্সিকো এবং নরওয়ে। ভারতও নিরাপত্তা পরিষদের অন্যতম অস্থায়ী সদস্য। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হওয়ার সব যোগ্যতাই রয়েছে ভারতের। ভারতের স্থায়ী সদস্য হওয়ার পক্ষে একাধিকবার সওয়াল করেছে আমেরিকাও। তবে প্রতিবারই চিনের ভেটো প্রয়োগের জেরে ভারতকে থেকে যেতে হয়েছে অস্থায়ী সদস্য হয়েই। উল্লেখ্য যে, অস্থায়ী সদস্যরা নির্বাচিত হন দু বছরের জন্য।

    আরও পড়ুন : দিল্লিতে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক, কবে জানেন?

    কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও নীতি আয়োগের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অরবিন্দ পনাগারিয়ার সঙ্গে কথপোকথন হচ্ছিল জয়শঙ্করের। সেখানেই ওঠে ওই প্রশ্ন। তার জবাবও দেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পরে পরেই গঠিত হয়েছিল নিরাপত্তা পরিষদ। জয়শঙ্কর বলেন, নিরাপত্তা পরিষদ গঠিত হয়েছিল দীর্ঘ ৮০ বছর আগে। তখনকার বিশ্ব ও এখনকার বিশ্বের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। এই সময়সীমায় বিশ্বে স্বাধীন দেশের সংখ্যা হয়েছে তিনগুণ। তিনি জানান, বিশ্বের একটা বিরাট অংশই রয়ে গিয়েছে নিরাপত্তা পরিষদের বাইরে। জয়শঙ্কর জানান, অল্প কয়েক বছরের মধ্যেই ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তি হয়ে উঠবে। বিশ্বের সব চেয়ে জনবহুল সমাজেও পরিণত হবে এই দেশ। বিদেশমন্ত্রী বলেন, এরকম একটা দেশ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য নয়। এটা আমাদের পক্ষেও যেমন ভাল নয়, তেমনি ভাল নয় তামাম বিশ্বের পক্ষেও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Jignesh Mevani: ভোটের মুখে জোর ধাক্কা গুজরাট কংগ্রেসে, ৬ মাসের কারাদণ্ডের সাজা জিগনেশ মেবানির

    Jignesh Mevani: ভোটের মুখে জোর ধাক্কা গুজরাট কংগ্রেসে, ৬ মাসের কারাদণ্ডের সাজা জিগনেশ মেবানির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাট (Gujrat) প্রদেশ কংগ্রেসের (Congress) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তথা বিধায়ক জিগনেশ মেবানিকে (Jignesh Mevani) ছ মাসের কারাদণ্ড দিল আমেদাবাদ আদালত (Ahmedabad Court)। ২০১৬ সালের একটি মামলায় সাজা দেওয়া হল গুজরাটের এই দলিত নেতাকে। কেবল জিগনেশ নন, ওই মামলায় আরও ১৮ জনকেও একই সাজা দেওয়া হয়েছে। ঘটনার জেরে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি গড়ে বড়সড় ধাক্কা খেল গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি কংগ্রেস।

    গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ভবন তৈরির সময় ভবনের নাম সংবিধান রচয়িতা বিআর আম্বেদকরের নামে করার দাবিতে সোচ্চার হয়েছিলেন জিগনেশ ও তাঁর অনুগামীরা। সেটা ২০১৬ সালের ঘটনা। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে রাস্তা অবরোধও করেছিলেন তাঁরা। বিশ্ববিদ্যালয় থানায় তাঁদের বিরুদ্ধে বেআইনি সমাবেশ ও দাঙ্গা-হাঙ্গামার অভিযোগ দায়ের হয়। সেই সময় জিগনেশ সহ মোট ২০ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সেই মামলায়ই এদিন রায় দিল আদালত। তবে এদিন সাজা দেওয়া হয়েছে জিগনেশ সহ মোট ১৯ কে। কারণ বিচার চলাকালীন মৃত্যু হয়েছে এক অভিযুক্তের। তবে জিগনেশদের সাজা এখনই কার্যকর হচ্ছে না। তাঁরা যাতে আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আবেদন করতে পারেন, তাই কারাদণ্ডের সাজা ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত রেখেছেন বিচারক।

    আরও পড়ুন : গুজরাট, হিমাচল প্রদেশের সঙ্গেই নভেম্বরে ভোট হবে জম্মু-কাশ্মীরেও?

    এদিকে, সম্প্রতি আমেদাবাদের ভাস্ত্রালে একটি জনসভায় যোগ দিয়েছিলেন গুজরাট প্রদেশ কংগ্রেসের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জিগেনশ। জিগনেশ ছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন তফশিলি জাতি বিভাগের চেয়ারম্যান হিতেন্দ্র পিথাদিয়া। আচমকাই জিগনেশের ওপর হামলা হয় বলে অভিযোগ। ট্যুইটবার্তায় জিগনেশের দাবি, রাজ্যের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদীপ সিং জাদেজার মদতপুষ্ট গুন্ডা বাহিনীই ওই হামলা চালিয়েছিল।

    দলিত মুখ হিসেবেই রাজনীতিতে দ্রুত উত্থান ঘটেছিল জিগনেশের। ২০১৭ সালে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সমর্থনে নির্দল প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। পরে অবশ্য কংগ্রেসে যোগ দেন। মাস কয়েক আগে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন হার্দিক প্যাটেল। তার পরেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব বর্তায় জিগনেশের ওপর। সেই জিগনেশেরেই কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা হওয়ায় ভোটের আগে যারপরনাই বিব্রত গুজরাট কংগ্রেস।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Supreme Court: ১৩ দিনে সুপ্রিম কোর্টে নিষ্পত্তি ৫ হাজারেরও বেশি মামলার!

    Supreme Court: ১৩ দিনে সুপ্রিম কোর্টে নিষ্পত্তি ৫ হাজারেরও বেশি মামলার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর কার্যকালের বয়স মাত্র ১৩ দিন। সপ্তাহ দুয়েকেরও কম সময়ের মধ্যে গতি এসেছে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) কাজে। এনভি রমানার (NV Ramana) অবসরের পরে দেশের প্রধান বিচারপতি (CJI) হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন বিচারপতি ইউইউ ললিত (UU Lalit)। তার পরেই কার্যত কাজের জোয়ার এসেছে সুপ্রিম কোর্টে। বৃহস্পতিবার অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেণুগোপালকে উদ্ধৃত করে দেশের শীর্ষ আদালতের (Apex Court) প্রধান বিচারপতি ললিত জানান গত ১৩ দিনে সুপ্রিম কোর্টে নিষ্পত্তি হয়েছে ৫ হাজার ২০০ মামলার। এই সময় সীমার মধ্যে তালিকাভুক্ত হয়েছে ১ হাজার ১৩৫টি নতুন মামলা।

    কিছু দিন আগেই দেশের ৪৯তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন ললিত। তাঁর তিন প্রজন্মই রয়েছেন আইনি পেশায়। অবসর গ্রহণের আগে প্রধান বিচারপতি পদে ললিতের নাম প্রস্তাব করেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা। রামানার প্রস্তাবে সিলমোহর দেয় কেন্দ্র। প্রধান বিচারপতি পদে শপথ নেন ললিত। তিন মাসেরও কম সময়ের জন্য ওই পদে থাকবেন তিনি। কারণ, নিয়ম অনুযায়ী, সুপ্রিম কোর্টে অবসরের বয়স ৬৫ বছর। এই সময়ের মধ্যেই যে তাঁর লক্ষ্য যত বেশি সম্ভব মামলার নিষ্পত্তি করা, শপথ গ্রহণের দিনই তা জানিয়ে দিয়েছিলেন ললিত। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পরে সুপ্রিম কোর্টের কাজে যে জোয়ার এসেছে, তা স্পষ্ট তাঁর দেওয়া পরিসংখ্যানেই।

    আরও পড়ুন : ইউনিফর্ম চালুর ক্ষমতা রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির, হিজাব বিতর্কে ‘সুপ্রিম’ পর্যবেক্ষণ

    সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে আয়োজন করা হয় সংবর্ধনা সভার। সভার আয়োজন করা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট চত্বরেই। যোগ দিয়ছিলেন দেশের প্রধান বিচারপতি। বলেন, সুপ্রিম কোর্টের সমস্ত বিচারপতি এবং আইনজীবীদের সমবেত প্রচেষ্টা ছাড়া এ কাজ (এত মামলার নিষ্পত্তি) সম্ভব হত না। প্রধান বিচারপতি জানান, অনেক বিষয় ফলপ্রসূ হয়েছে এবং প্রচুর মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। কিছু মামলা শেষ মুহূর্তে তালিকাভুক্ত হয়েছে। সেগুলি আমার বিচারপতি ভাইয়েরা দক্ষ হাতে সামলেছেন। নয়া ব্যবস্থায় বিচারপতিদের একাংশ খুশি নন বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। এদিন সে প্রসঙ্গ টেনে ললিত বলেন, বিচারপতিরা অখুশি, এটা ঠিক নয়।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Ukraine Returnees: ইউক্রেন ফেরত ডাক্তারি পড়ুয়াদের দেশের কলেজে ভর্তি করা যাবে না, সাফ জানাল কেন্দ্র

    Ukraine Returnees: ইউক্রেন ফেরত ডাক্তারি পড়ুয়াদের দেশের কলেজে ভর্তি করা যাবে না, সাফ জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউক্রেন থেকে (Ukraine Student) ফিরে আসা ডাক্তারি পড়ুয়াদের ভর্তির দাবিতে মামলার শুনানি শুক্রবার পর্যন্ত স্থগিত করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এই মামলায়, বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে একটি হলফনামা দাখিল করে কেন্দ্র জানিয়েছে, এই ছাত্রদের ভারতের কলেজে ভর্তি করা আইনত সম্ভব নয়।        

    আরও পড়ুন: অজিত ডোভালের আকস্মিক রাশিয়া সফর, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে শান্তির বার্তা?  

    কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, এই ছাত্ররা হয় এনইইটি-তে কম নম্বরের কারণে সেখানে গিয়েছিলেন বা কম খরচে পড়াশোনা করতে গিয়েছিলেন। কেন্দ্রের পরামর্শ,  এই শিক্ষার্থীরা ইউক্রেনীয় কলেজ থেকে অনুমতি নিয়ে অন্য কোনও  দেশে কোর্স শেষ করতে পারেন। কেন্দ্র তার হলফনামায় আরও জানিয়েছে, এই ছাত্রদের দুর্বল মেধা থাকা সত্ত্বেও যদি দেশের সবচেয়ে ভালো মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়, তবে এটি এই কলেজগুলিতে পঠনরত শিক্ষার্থীদের প্রতি অবিচার করা হবে। এনইইটি-তে কম স্কোরের কারণে তাঁরা ভর্তি হতে পারেননি। তাঁদের অন্য কলেজে ভর্তি হতে হয়েছিল।     

    আরও পড়ুন: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এই প্রথম রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দিল ভারত!  

    কেন্দ্রের হলফনামায় এও বলা হয়, এই শিক্ষার্থীদের দেশের বেসরকারি কলেজে ভর্তি হওয়ার অনুমতি দিলেও, বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ফি দিতে সক্ষম নাও হতে পারেন। এর আগে, ৬ সেপ্টেম্বর ইউক্রেন থেকে নিজেদের কোর্স ছেড়ে ফিরে আসা মেডিকেল শিক্ষার্থীদের ত্রাণ দিয়েছিল ন্যাশনাল মেডিকেল কমিশন (এনএমসি)। কমিশন একটি এনওসি জারি করে জানিয়েছিল, এই শিক্ষার্থীরা এখন দেশ ও বিশ্বের যে কোনও মেডিকেল কলেজ থেকে তাদের পড়াশোনা শেষ করতে পারবে। তবে, এনএমসি এই ছাত্রদের স্ক্রীনিং টেস্ট রেগুলেশন ২০০২-এর দ্বিতীয় মানদণ্ড পূরণ করার একটি শর্তও রেখেছিল। কেন্দ্র জানায়, এখন অবধি এনএমসি-র তরফ থেকে এই শিক্ষার্থীদের দেশে পড়ার বিষয়ে কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি। কেন্দ্রের মতে, এনএমসি অ্যাক্ট ১৯৫৬ এবং এনএমসি অ্যাক্ট ২০১৯- এর অধীনে বিদেশী প্রতিষ্ঠানের কোনও শিক্ষার্থীকে দেশের প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করার কোনও নিয়ম নেই। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Agnipath scheme: প্রধানমন্ত্রীর অগ্নিপথ প্রকল্পে মোদির পাশেই কেজরীর আম আদমি পার্টি

    Agnipath scheme: প্রধানমন্ত্রীর অগ্নিপথ প্রকল্পে মোদির পাশেই কেজরীর আম আদমি পার্টি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগে বিরোধিতা করলেও এখন কেন্দ্র সরকারের অগ্নিপথ প্রকল্পকে একযোগে এগিয়ে নিয়ে যাতে চায়, আম আদমি পার্টি। আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীবাল বলেন, অতীতে অগ্নিপথের বিরোধিতা করেছে আপ। কিন্তু এখন যখন এই প্রকল্প চালু হয়েছে, তখন পিছনে ফিরে তাকানোর প্রয়োজন নেই। এই প্রকল্পে নিয়োগের ক্ষেত্রে  সবরকম সহযোগিতা করবে আপ।

    প্রসঙ্গত, অগ্নিপথ প্রকল্পে নিয়োগ নিয়ে বিহার এবং পাঞ্জাবে সবথেকে বেশি প্রতিবাদের ঝড় বয়েছিল। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানও প্রতিবাদে সামিল হন। এখন তিনি এই বিষয়ে বেশ কিছুটা নমনীয় হয়েছেন। আসলে সেনা মান সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিল যে, রাজ্য সরকার এই প্রকল্পে নিয়োগের জন্য সহযোগিতা করছে না। বলে দেওয়া হয় যে সরকার সাহায্য না করলে এই নিয়োগ সেখান থেকে সরিয়ে অন্য কোথাও করা হবে। এরপরেই মান তাঁর সম্পূর্ণ সহায়তার কথা বলেছেন।

    আরও পড়ুন: পার্থ ‘ঘনিষ্ঠ’ মোনালিসার দাদার নামে বিপুল জমির হদিশ! বেনামে মালিক প্রাক্তন মন্ত্রী-ই?

    মুখ্যমন্ত্রী মান এক ট্যুইট বার্তায় সকল জেলার জেলা শাসককে সতর্ক থাকতে বলেছেন। নিয়োগ অভিযানের জন্য সেনা কর্মকর্তাদের সম্পূর্ণ সহযোগিতা করার আদেশ দেন। মান  ট্যুইট বার্তায় লেখেন, “যে কোনও ধরণের সাহায্যকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হবে।” রাজ্য থেকে অগ্নিপথ প্রকল্পে সর্বোচ্চ সংখ্যায় চাকরির বিষয়েও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

    আরও পড়ুন: প্রদেশ সভাপতিদের বাছবেন সনিয়া! দল কি গান্ধী-পরিবারের প্রভাবমুক্ত হবে? গুঞ্জন কংগ্রেসেই

    উল্লেখ্য, কেন্দ্র এই বছরের জুন মাসে অগ্নিপথ নিয়োগের সূচনা করেছিল। এই প্রকল্পের অধীনে, চার বছরের জন্য সৈন্য নিয়োগ করা হবে। চার বছর পর বাহিনীতে রাখা হবে প্রায় ২৫ শতাংশ জওয়ানকে। এই প্রকল্পের প্রবর্তনে দেশজুড়ে ব্যাপক উত্তেজনা শুরু হয়। প্রশ্ন উঠেছিল যে চার বছরের জন্য বাহিনীতে থাকার পরে অগ্নিবীরদের কী হবে। সমালোচকরা যুক্তি দিয়েছিলেন যে চার বছরের মেয়াদ সৈন্যদের ঝুঁকি-প্রতিরোধ করবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Chenab Bridge: নৈস্বর্গিক চেনাব সেতুর ছবি প্রকাশ ভারতীয় রেলের, অপেক্ষা আর মাত্র কয়েকদিনের

    Chenab Bridge: নৈস্বর্গিক চেনাব সেতুর ছবি প্রকাশ ভারতীয় রেলের, অপেক্ষা আর মাত্র কয়েকদিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চেনাব সেতুর (Chenab Bridge) তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে। বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু হতে চলেছে এই আর্চ ব্রিজ। যদিও রেল লাইন বসানোর কাজ এখনও শুরু হয়নি। এটি উধমপুর-শ্রীনগর-বারমুল্লা রেল লিঙ্কের প্রকল্প। ২০২২ সালের শেষ নাগাদ এই সেতু চালু হয়ে যাবে বলে আশাবাদী কর্তৃপক্ষ। এই সেতুর অনবদ্য নির্মাণ এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্যে প্রথম দিন থেকেই এই সেতু আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে। এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সেতুর কিছু অসাধারণ ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) শেয়ার করল ভারতীয় রেল (Indian Railways)। মুহূর্তেই ভাইরাল সেই ছবি।

    আরও পড়ুন: নবরাত্রিতে মুম্বই-আমেদাবাদ রুটে যাত্রা শুরু হতে পারে নতুন বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের, কেমন হবে এই ট্রেনে যাত্রা?  

    ভারতীয় রেলের শেয়ার করা ছবিতে দেখা গিয়েছে, মেঘেদের ওপরেই স্বমহিমায় দাঁড়িয়ে রয়েছে ওই সেতু। সেতুটি তৈরি করতে প্রায় ১৮ বছর সময় লেগেছে। এই রেল সেতুর উচ্চতা ৩৫৯ মিটার। ইতিমধ্যেই উচ্চতায় বিশ্ব রেকর্ড করেছে এই সেতু। মূলত, এই সেতুটি উধমপুর, শ্রীনগর, বারামুল্লা রেল সংযোগ প্রকল্পের একটি অংশ। যা দিল্লির কুতুব মিনারের থেকে পাঁচ গুণ বেশি উঁচু। ফ্রান্সের আইফেল টাওয়ার থেকেও ৩৫ মিটার বেশি উঁচু এই সেতু। এই সেতুর মাধ্যমেই কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত জুড়ে যাবে ভারতীয় রেল নেটওয়ার্ক।

     

    সরকারের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চেনাব সেতু নির্মাণে মোট ১,৪৮৬ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। ১,৩১৫ মিটার দীর্ঘ এই সেতু। প্রাকৃতিক ভাবে অত্যন্ত দুর্গম হওয়ায় এই সেতু তৈরিতে একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এই সেতু নির্মাণে সবচেয়ে বড় প্রতিকূলতা ছিল আবহাওয়া। ওই এলাকায় কখনও কখনও ঘন্টায় ১০০-১৫০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়। সেই কারণেই এই সেতুটি এতটাই মজবুত করা হয়েছে যে তা প্রতি ঘণ্টায় ২৬০ কিলোমিটার গতিবেগের বাতাসও সহ্য করতে সক্ষম।

    আরও পড়ুন: প্যাসেঞ্জার ট্রেনের বেসরকারিকরণ নয়, জানালেন রেলমন্ত্রী   

    এই সেতুটির আয়ু ১০০ বছরেরও বেশি বলে অনুমান করছে সরকার। এই সেতুতে কখনও জং ধরবে না। কারণ সেতুটি স্ট্রাকচারাল স্টিল দিয়ে তৈরি। এটি মাইনাস ১০ ডিগ্রি থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে। এছাড়াও, ভূমিকম্প ও বিস্ফোরণের ফলেও এই সেতুর কোনো ক্ষতি হবে না। যার ফলে সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনীও এটি ব্যবহার করতে পারবে। চেনাব সেতু তৈরির কাজ শুরু হয় ২০০২ সালে। কিন্তু ২০০৮ সালে এর কাজ বন্ধ হয়ে যায়। যা ফের ২০১০ সালে শুরু করা হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • DA Central Govt Employees: কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর, পুজোর মুখেই ঘোষণা হতে পারে ডিএ?

    DA Central Govt Employees: কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর, পুজোর মুখেই ঘোষণা হতে পারে ডিএ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের (Central Govt Employees) জন্য সুখবর। পুজোর মুখে আশার খবর শোনাতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। যাঁরা এতদিন ধরে বেতন বৃদ্ধির (Salary Hike) জন্য অপেক্ষা করছিলেন, তাঁদের মুখে এবার ফুটবে হাসি। কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রক জুলাই মাসের জন্য এআইসিপিআই ইনডেক্স (AICPI Index) ডেটা প্রকাশ করেছে। ওই মাসের জন্য প্রকাশ করেছে অল ইন্ডিয়া সিপিআই-আইডব্লুও (CPI-IW)। এই সিপিআই-আইডব্লু ০.৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৯.৯ পয়েন্টে। এআইসিপিআই ইনডেস্ক বৃদ্ধির জেরে আগামী বছর জানুয়ারি থেকে বাড়বে মহার্ঘ ভাতা। আর জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত প্রাপ্ত ডেটার ভিত্তিতে ঘোষণা করা হতে পারে জুলাইয়ের মহার্ঘ ভাতা।

    কেন্দ্রের একটি সূত্রের খবর, পুজোর মুখেই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য মিলতে পারে সুখবর। জুলাইয়ের মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করা হতে পারে সেপ্টেম্বরের ২৮ তারিখে। এই সময় মহার্ঘ ভাতা বাড়তে পারে ৪ শতাংশ। সাধারণত বছরে দুবার কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা বাড়ে। একবার জানুয়ারিতে, পরেরটা জুলাই মাসে। সপ্তম পে কমিশনের সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই এটা করা হয়। তবে কোন বার মহার্ঘ ভাতা কত বাড়বে, তা নির্ভর করে আগের ছ মাসের এআইসিপিআই ইনডেস্কের ওপর।

    আরও পড়ুন : বাড়ল ভারতের জিডিপি, প্রথম ত্রৈমাসিকে কত জানেন?

    এআইসিপিআই ইনডেস্ক দেখেই আশা করা যাচ্ছে এবার কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ডিএ বাড়তে পারে ৪ শতাংশ। এই বৃদ্ধির জেরে এটা হতে পারে ৩৪ থেকে ৩৮ শতাংশ। বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা মহার্ঘ ভাতা পান ৩৪ শতাংশ। এটা বেড়ে ৩৮ শতাংশ হলে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের বেতন এক লপ্তে বেড়ে যাবে অনেকখানি।

    যাঁরা কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরি করেন, তাঁদের দেওয়া হয় মহার্ঘ ভাতা। আর ডিয়ারনেস রিলিফ দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় সরকারের অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের। চলতি বছরের মার্চ মাসে কেন্দ্রীয় সরকার ডিএ তিন শতাংশ বাড়িয়ে ৩৪ শতাংশ করেছে। এই বৃদ্ধির হার প্রযোজ্য হয়েছে কর্মীদের মূল মাইনের ওপর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Congress President Election: প্রদেশ সভাপতিদের বাছবেন সনিয়া! দল কি গান্ধী-পরিবারের প্রভাবমুক্ত হবে? গুঞ্জন কংগ্রেসেই

    Congress President Election: প্রদেশ সভাপতিদের বাছবেন সনিয়া! দল কি গান্ধী-পরিবারের প্রভাবমুক্ত হবে? গুঞ্জন কংগ্রেসেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফ থেকে প্রদেশ কংগ্রেস কমিটিগুলিকে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে,তাঁরা যেন অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীকেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি মনোনীত করতে অনুরোধ করেন। এ বিষয়ে প্রদেশ কংগ্রেস কমিটিগুলিতে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রস্তাব পাশ করার বার্তা দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফের দলের অভ্যন্তরে বিরোধ দেখা দিয়েছে। কংগ্রেসের অন্দরে গুঞ্জন, দলের সর্ব ভারতীয় সভাপতি নির্বাচনের রাশ নিজেদের হাতে রাখতেই গান্ধী পরিবারের এই উদ্যোগ।

    আরও পড়ুন: হিন্দি ভাষা কারও প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, বরং বন্ধু, বললেন অমিত শাহ

    দলের সর্বভারতীয় সভাপতি নির্বাচনের আগেই প্রতিটি রাজ্যে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে নেতা নির্বাচন হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোনও রাজ্যেই তা হয়নি। তাই তড়িঘড়ি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন অনেকে। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি করে ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে মনোনয়ন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা। শুক্রবার দেশে ফিরছেন কংগ্রেসের (Congress) কার্যনির্বাহী সভাপতি সনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। চিকিৎসার জন্য গত দিন পনেরো বিদেশে রয়েছেন তিনি। কংগ্রেস সূত্রে খবর, দেশে ফিরেই দলের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করবেন তিনি। এরই আগে দলের ভিতরে নতুন করে বিতর্ক দানা বাঁধছে। মনে করা হচ্ছে, দাবার বোর্ডে সৈন্য সাজতে চাইছেন সনিয়া।

    আরও পড়ুন : হিন্দি ভাষার উপন্যাস জিতে নিল আন্তর্জাতিক বুকার! ইতিহাস সৃষ্টি করলেন গীতাঞ্জলি শ্রী

    তবে, কংগ্রেসে গান্ধী পরিবারের অনুগামীদের যুক্তি,  সহমতের ভিত্তিতে নতুন সভাপতি বাছাই করতে চাইছেন সনিয়া। এক শীর্ষ নেতার কথায়, গান্ধী পরিবারের কেউ সভাপতির দৌড়ে নেই এটা এখন স্পষ্ট। সনিয়া, রাহুলরা ওই পদে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটকে চান। তবে দলের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী বলে পরিচিত জি-২৩-এর নেতাদের সঙ্গেও আলোচনায় বসতে চান সনিয়া। এই তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন তিরুবনন্তপূরমের সাংসদ শশী তারুর। অন্যদিকে, পাঞ্জাবের নেতা মনীশ তিওয়ারিও প্রার্থী হতে পারেন। ২৪ তারিখ থেকে সভাপতি পদে মনোনয়ন জমা করা শুরু হবে। চলবে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Supreme Court: অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণির জন্য সংরক্ষণ সংবিধানের সাম্যের অধিকার খর্ব করে, জানাল সুপ্রিম কোর্ট  

    Supreme Court: অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণির জন্য সংরক্ষণ সংবিধানের সাম্যের অধিকার খর্ব করে, জানাল সুপ্রিম কোর্ট  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণির (Economically Weaker Section ) জন্য সংরক্ষণ (Quota) সংবিধানের সাম্যের (Equality) অধিকার খর্ব করে। এই সাম্যের অধিকার সংবিধানের হৃদয় স্বরূপ। চাকরিতে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণির জন্য ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষণ রয়েছে। সেই মামলা সম্পর্কে রায় দিতে গিয়ে মঙ্গলবার এই মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরিতে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণির জন্য ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। একে চ্যালেঞ্জ করে আবেদন জমা পড়ে সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলার রায় দিতে গিয়েই দেশের শীর্ষ আদালত সাফ জানিয়ে দিয়ে এটা সংবিধানের হৃদয়কে নষ্ট করে দেয়।

    এদিন আদালতে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে ওই মামলার শুনানি হয়। এই পাঁচ বিচারপতি হলেন প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত, বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী, এসআর ভাট, বেলা ত্রিবেদী এবং জেবি পার্দিওয়ালা। এই বেঞ্চেই শুনানির জন্য জমা পড়েছিল ৩৯টি আবেদন। এর মধ্যে আবেদন করছিলেন জনৈক জনহিত অভিয়ানও। সংবিধানের ১০৩ নম্বর সংশোধনীকে চ্যালেঞ্জ করেন তিনি। সংবিধানের এই সংশোধনীতেই সমাজের অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণির জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে। আগে এই মামলার শুনানি হচ্ছিল তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে, বিচারপতি আর সুভাষ রেড্ডি এবং বিচারপতি বিআর গাভাই। ২০২০ সালের ৫ অগাস্ট মামলাটি পাঠানো হয় সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে। এদিন সেখানেই হয় শুনানি।

    আরও পড়ুন : পথ-কুকুর কাউকে কামড়ালে চিকিৎসার দায়িত্ব তাঁদের যাঁরা খেতে দেন, অভিমত সুপ্রিম কোর্টের

    এদিন আদালতে সওয়াল করতে গিয়ে অধ্যাপক মোহন গোপাল সংবিধানের সংশোধনীকে আক্রমণ করে বলেন, সংরক্ষণের এই ব্যবস্থা সংবিধানের প্রতি প্রতারণা। তিনি বলেন, সংরক্ষণ পিছিয়ে পড়া শ্রেণির প্রতিনিধিত্বের জন্য একটা হাতিয়ার মাত্র। কিন্তু অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণির জন্য সংরক্ষণের সুবিধা ভোগ করছেন সমাজের অগ্রসর শ্রেণিও। এর পরেই সওয়াল করতে ওঠেন প্রবীণ আইনজীবী মিনাক্ষী অরোরা। তিনিও বলেন, এটা সমাজের একটি বিশেষ অংশকে অধিকার থেকে বঞ্চিত করে। এবং এভাবে সাম্যের অধিকারকে খর্ব করে। প্রবীণ আইনজীবী সঞ্জয় পারিখও বলেন, সংবিধানের এই সংশোধনী সাম্যের অধিকারকে খর্ব করে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Sonali Phogat: বিজেপি নেত্রী সোনালি ফোগাটের রহস্যমৃত্যুর তদন্তে সিবিআই, নির্দেশ স্বরাষ্টমন্ত্রকের

    Sonali Phogat: বিজেপি নেত্রী সোনালি ফোগাটের রহস্যমৃত্যুর তদন্তে সিবিআই, নির্দেশ স্বরাষ্টমন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি তারকা নেত্রী সোনালি ফোগাটের (Sonali Phogat) রহস্যময় মৃত্যুর তদন্ত করবে সিবিআই (CBI)। সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে সেই নির্দেশের কথা জানানো হয়েছে। ২৩ অগাস্ট গোয়ায় মৃত্যু হয় তাঁর। তাঁর মৃত্যু স্বাভাবিক নয় জানিয়ে খুনের অভিযোগ তুলেছিল তাঁর পরিবার। সোনালি মামলার তদন্ত চালাচ্ছিল গোয়া পুলিশ। তবে গোয়া পুলিশে অনাস্থা প্রকাশ করেছিল তাঁর পরিবার। বারবার সিবিআই তদন্তের দাবি করেছিল তাঁরা। এরপরেই সিবিআই তদন্তের দাবি মেনে নিয়েই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

    গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সবন্ত এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে চিঠি দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। এর পরেই সোনালি খুনের তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়ার নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

    সোনালির মৃত্যুর প্রসঙ্গে গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী জানান, তিনি গোয়া পুলিশের তদন্তের ওপর ভরসা করেন। কিন্তু হরিয়ানার মানুষ, সোনালির পরিবার বিশেষত, সোনালির মেয়ের ক্রমাগত দাবির ফলে তাঁরা এই ঘটনার তদন্ত ভার সিবিআইকে দিচ্ছে। এই ব্যাপারে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন। ফলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকও সিবিআই তদন্তে সম্মতি দিয়েছে।

    আরও পড়ুন: বিজেপি নেত্রী সোনালি ফোগাট খুনে নয়া মোড়, এ কী বললেন তাঁর সহকারী?

    জানা গিয়েছে, গত রবিবার সিবিআই তদন্তের দাবিতে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টরের সঙ্গে দেখা করে সোনালির পরিবার। গোয়া পুলিশের (Goa Police) তদন্তে উপর অনাস্থা প্রকাশ করে তাঁরা। পরিবারের সেই দাবি হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী পাঠিয়ে দেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। এরপরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ফলে সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এই সিদ্ধান্তে খুশী সোনালির পরিবার।

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ২৩ অগস্ট গোয়ায় হয় সোনালি ফোগাটের। হাসপাতাল থেকে প্রথমে জানা হয়েছিল যে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন অভিনেতা তথা রাজনীতিবিদ। কিন্তু সোনালির পরিবার এই ঘটনাকে খুন বলে দাবি করে। এরপরেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসতে এই মৃত্যু ঘিরে রহস্য দানা বাঁধে। এখনও পর্যন্ত এই মামলায় সোনালির দুই সহকারী-সহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে গোয়া পুলিশ। দুই ব্যক্তিগত সহকারী সুধীর সাঙ্গোয়ান এবং সুখবিন্দ্র ওয়াসির সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে গোয়া পুলিশ। এবারে সিবিআই তদন্তে আসল দোষী ধরা পড়বে বলে আশা করেছে সোনালির পরিবার।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

LinkedIn
Share