Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Cheetah in India: চিতাদের পাহারায় একজোড়া হাতি! কী খাচ্ছে আগত অতিথিরা, জানেন?

    Cheetah in India: চিতাদের পাহারায় একজোড়া হাতি! কী খাচ্ছে আগত অতিথিরা, জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে (Kuno National Park) আফ্রিকার নামিবিয়া থেকে আনা হয়েছে আটটি চিতা (Cheetah)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) জন্মদিনে এই চিতাগুলো ভারতের মাটিতে পা রেখেছে। প্রধানমন্ত্রী নিজে চিতাগুলোকে খাঁচামুক্ত করেছে তাঁর জন্মদিনে। ভারতে আসার মাত্র কয়েকদিন হলেও ভালোই খোশমেজাজে রয়েছে চিতাগুলো, বলে জানা যায়। এবার এই চিতাগুলোকেই পাহারা দেওয়ার জন্য নিয়ে আসা হয়েছে ২টি হাতিকে। একজনের নাম লক্ষ্মী আর একজনের নাম সিদ্ধনাথ।

    সূত্রে খবর অনুযায়ী, নর্মদাপুরমের সাতপুরা টাইগার রিজার্ভ থেকে তাদের কুনো জাতীয় উদ্যানে নিয়ে আসা হয়েছিল গত মাসেই। চিতাগুলিকে পাহারা দেওয়ার কাজে নিযুক্ত করা হয়েছে লক্ষ্মী, সিদ্ধনাথকে। জঙ্গলে যে জায়গায় চিতাগুলোকে রাখার জন্য যে বিশেষ জায়গার ব্যবস্থা করা হয়েছে, সেই জায়গার পাশেই এই হাতি দুটি কড়া নজর রাখছে। সিদ্ধনাথ এবং লক্ষ্মী বন কর্মীদের সঙ্গে ক্রমাগত টহল দিচ্ছে, যাতে অন্য কোনও বন্যপ্রাণী চিতাগুলোর আশেপাশে না আসে।

    আরও পড়ুন: ভারতে চিতার বংশবৃদ্ধিতে ভূমিকা নেবে ‘আশা’, বাকিদের নাম কী রাখা হল জানেন?

    উল্লেখ্য, কুনোতে নতুন চিতাদের জন্য যে বিশেষ জায়গা নির্দিষ্ট করা হয়েছিল, সেখানে কিছু দিন আগে পাঁচটি চিতাবাঘ ঢুকে পড়েছিল। তখন তাদের সেখান থেকে তাড়ানোর কাজেও সহযোগিতা করেছিল এই দুই হাতি। কুনো ন্যাশনাল পার্কের ডিএফও প্রকাশ কুমার ভার্মা জানিয়েছেন, সিদ্ধনাথের বয়স ৩০ বছর। বিভিন্ন এলাকায় বাঘ উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়ে থাকে সে। তবে মাঝেমধ্যে সিদ্ধনাথের মেজাজ বিগড়ে যায় বলেও জানিয়েছেন আধিকারিকরা। ২০১০ সালে তার আক্রমণে দু’জন মাহুতের মৃত্যু হয়েছিল। অন্য দিকে ২৫ বছরের লক্ষ্মী স্বভাবে শান্ত প্রকৃতির কিন্তু তার কাজে দক্ষ।

    এখানকার পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য বর্তমানে আইসোলেশনে রেখেছে চিতাগুলোকে। সেখানেই পৌঁছে যাচ্ছে তাদের খাবার। জানা গিয়েছে, তাদের নামিবিয়া থেকে আনার সময় এক বিশেষ উদ্দেশে খালি পেটে আনা হয়েছিল। আর তাদের এখন মহিষের মাংস খেতে দেওয়া হচ্ছে। এও জানা গিয়েছে যে, আইসোলেশনে থাকাকালীন আগামী এক মাস তাদের মহিষের মাংসই খেতে দেওয়া হবে। জানা গিয়েছে চিতাগুলোকে শনিবার বিকেল ৪টে নাগাদ তাদের প্রত্যেককে তিন কেজি করে মাংস খেতে দেওয়া হয়েছিল। 

  • Rear Seat Belt Alarm: সাইরাস-কাণ্ডের জের! বাধ্যতামূলক হতে চলেছে গাড়ির পিছনের সিটবেল্ট অ্যালার্মও?

    Rear Seat Belt Alarm: সাইরাস-কাণ্ডের জের! বাধ্যতামূলক হতে চলেছে গাড়ির পিছনের সিটবেল্ট অ্যালার্মও?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার গাড়িতে সিট বেল্ট (Seat Belt) পরা নিয়ে আরও কড়াকড়ি করতে চলেছে কেন্দ্র। আগে শুধুমাত্র চালক এবং তাঁর পাশের সিটের যাত্রীর সিট বেল্ট পরা বাধ্যতামূলক ছিল। কিন্তু এখন থেকে গাড়িতে বসা পিছনের যাত্রীকেও সিট বেল্ট পরতে হবে। তাই এর জন্য কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক থেকে একটি খসড়া প্রস্তাব জারি করা হল, যেখানে বলা আছে, গাড়ির পেছনের সিটবেল্টের জন্য অ্যালার্ম সিস্টেম ইনস্টল করার বিষয়টি বাধ্যতামূলক করতে হবে। এই খসড়া প্রস্তাবের বিষয়ে সাধারণ জনগণ নিজেদের মতামত জানাতে পারবেন। জনগণের মতামত জানানোর শেষ তারিখ ৫ অক্টোবর। এ কথা ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রী নিতিন গড়কড়ি (Nitin Gadkari)।

    টাটা গ্রুপের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সাইরাস মিস্ত্রির মৃত্যুর পর থেকেই নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্র সরকার। পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছিল, সাইরাস মিস্ত্রি গাড়ির পিছনের সিটে ছিলেন। কিন্তু সিটবেল্ট পরে ছিলেন না তিনি। সিটবেল্ট না পরার কারণেই তিনি গুরুতরভাবে আহত হয়েছিলেন ও তাঁর মৃত্যু হয়। আর তারপরেই গাড়ির পিছনের সিটে সিটবেল্ট পরার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এরপরেই নিতিন গড়করি ও কেন্দ্র সরকারের তরফে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: অ্যামাজনকে সিট বেল্ট অ্যালার্ম বন্ধ করার ক্লিপ বিক্রি বন্ধের নির্দেশ কেন্দ্রের

    অন্যদিকে এই মাসের শুরুতেই, ই-কমার্স সংস্থাগুলিকে গাড়ির সিট বেল্ট অ্যালার্ম (Seat Belt Alarm) অচল করার ডিভাইস বিক্রি বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্র সরকার। তিনি জানিয়েছেন, তাঁদের লক্ষ্য ২০২৪ সালের মধ্যে গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমানো। তিনি আরও জানিয়েছেন, এবছরই সমস্ত গাড়িতে বাধ্যতামূলক ছয়টি এয়ারব্যাগের জন্য খসড়া তৈরি করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

    এতদিন পর্যন্ত সবাই জানতেন যে, শুধুমাত্র গাড়িতে সামনে বসা চালক এবং তাঁর পাশের সিটের যাত্রীর জন্যই সিটবেল্ট বাধ্যতামূলক ছিল ও নিয়ম না মানলে জরিমানাও দিতে হত। কিন্তু কেন্দ্রীয় মোটরযান আইনের ১৩৮(৩) ধারা অনুযায়ী পিছনের সিটে বসা যাত্রী সিট বেল্ট না পরলে তাঁকেও জরিমানা করার নিয়ম রয়েছে। এই আইনেই বলা হয়েছে, “চালক, চালকের পাশের সিটে বসা যাত্রীকে অবশ্যই সিট বেল্ট পরতে হবে। নয়তো ১ হাজার টাকা অবধি জরিমানা করা হতে পারে।” কিন্তু আইনটি থাকলেও, এই আইনের কথা অনেকেই জানেন না। আবার অনেকে জানলেও তা মেনে চলেন না। এমনকি ট্রাফিক পুলিশরাও এই নিয়ম মানেন না ও যাত্রীদের থেকে জরিমানাও নেন না।

    উল্লেখ্য, একটি রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে, ভারতে গাড়ি দুর্ঘটনায় প্রতি চার মিনিটে একজনের মৃত্যু হয়। সড়ক মন্ত্রণালয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২০ সালে সিট বেল্ট না পরার কারণে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ১৫ হাজার ১৪৬ জনের। আহত হন ৩৯ হাজার ১০২ জন।

  • UP Madrasas Survey: মাদ্রাসাগুলির উচিত সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করা, মত দারুল উলুমের

    UP Madrasas Survey: মাদ্রাসাগুলির উচিত সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করা, মত দারুল উলুমের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুমোদনহীন মাদ্রাসারগুলির (Madrasa) উপর ১০ সেপ্টেম্বর থেকে সমীক্ষা শুরু করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার (Uttar Pradesh)। সমীক্ষা রিপোর্ট জমা দেওয়ার সময়ও বেধে দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট জমা দিতে হবে ২৫ অক্টোবরের মধ্যে। এ নিয়ে মুসলিম মহলে যথেষ্ট ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু এবার উল্টো সুরে কথা বলল উত্তরপ্রদেশের দেওবন্দের দারুল উলুম। দেওবন্দের দারুল উলুমের (Darul Uloom Deoband) অধ্যক্ষ মৌলানা আরশাদ মাদানি (Maulana Arshad Madani) এই সমীক্ষায় কোনও অন্যায় দেখছেন  না। বিভিন্ন মাদ্রাসার সঙ্গে সম্পর্কিত প্রায় ৫০০ জন ব্যক্তি রবিবার দারুল উলুমের কনভেনশনে অংশ নেন। সেখানে এই সমীক্ষার বিষয়টিও উত্থাপিত হয়। সেই আলোচনার পর মৌলানা আরশাদ মাদানি বলেন, “মাদ্রাসাগুলির উপর সমীক্ষা করার অধিকার সরকারের রয়েছে। তাই তাদের সমীক্ষাটি শান্তিতে করতে দিন। আমি এর মধ্যে কোনও ভুল দেখছি না।” অবশ্য মৌলানা আরশাদ মাাদানি দাবি করেন, মাদ্রাসাগুলোতে কোনও ধরনের অবৈধ কাজ করা হচ্ছে না। তিনি বলেন, “জমি দখল করে যদি কোনও মাদ্রাসা অবৈধভাবে নির্মাণ করা হয়ে থাকে, তাহলে সরকার যদি তা ভেঙে দেয় তাহলে আমাদের কোনও সমস্যা হবে না। আমাদের কিছু বলার নেই।”     

    আরও পড়ুন: ভিনরাজ্য থেকে আসা ইমাম ও মাদ্রাসা শিক্ষকদের পুলিশ ভেরিফিকেশন বাধ্যতামূলক! অসমে কেন এই নয়া নিয়ম   

    তিনি আরও বলেন, “মাদ্রাসাগুলো সম্পর্কে সরকারকে তথ্য দিতে মুসলিম সমাজের কোনও সমস্যা নেই। সরকার জাতীয় স্বার্থে সব কিছু করতে পারে। কিন্তু মুসলমানদের নিশানা করা করা উচিত নয়। যদিও দেশজুড়ে সর্বত্র এমন একটি বার্তা পাঠানো হচ্ছে যাতে মনে হচ্ছে যে আমরা মাদ্রাসার উপর সমীক্ষার বিরোধিতা করছি।” মৌলানা মাদানি বলেন, “মাদ্রাসাগুলো হাজার হাজার বছর ধরে জ্ঞানার্জন ও ভালোবাসা কেন্দ্র। আমাদের ধর্মীয় চাহিদা পূরণের জন্য মাদ্রাসাগুলো আছে। লক্ষ লক্ষ মসজিদের জন্য ইমামদের প্রয়োজন। তারা এসব মাদ্রাসা থেকে এসেছেন। মাদ্রাসাগুলিকে বলেছি, সরকারের সব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। মাদ্রাসার জমি বৈধ হওয়া উচিত। মাদ্রাসা যাঁরা পরিচালনা করেন, তাঁদের বলা হয়েছে, মাদ্রাসাগুলিতে যেন স্বাস্থ্যকর খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।” উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশে মোট ১৬,৪৬১টি মাদ্রাসা রয়েছে, যার মধ্যে ৫৬০টিকে সরকারি অনুমোদনপ্রাপ্ত।         

    আরও পড়ুন: ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা মাদ্রাসা বন্ধে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ যোগীর 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Chandigarh University MMS Row: চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয় এমএমএস কাণ্ডে গ্রেফতার আরও দুই, ৬ দিনের জন্য বন্ধ ক্যাম্পাস

    Chandigarh University MMS Row: চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয় এমএমএস কাণ্ডে গ্রেফতার আরও দুই, ৬ দিনের জন্য বন্ধ ক্যাম্পাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাইরাল চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬০ জন ছাত্রীর স্নানের দৃশ্য (Chandigarh University MMS Row)। আর তারপর থেকেই বিক্ষোভ দেখিয়ে চলেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। এই ঘটনায় উত্তপ্ত পাঞ্জাব (Punjab) সহ গোটা দেশ। ফলে ক্যাম্পাসে অশান্তিকর পরিস্থিতি এড়াতে ২৪ সেপ্টেম্বর শনিবার পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে সমস্ত ক্লাস ও পঠনপাঠন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও দুর্ব্যবহারের অভিযোগে ও ভিডিও-কাণ্ডে জড়িত থাকার কারণে মেয়েদের হস্টেলের ওয়ার্ডেন রাজবিন্দর কৌরকে বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয়।

    স্নানের সময় তোলা ছাত্রীদের ভিডিও ফাঁস হয়ে গিয়েছে দাবি করে শনিবার মধ্যরাত থেকেই বিক্ষোভ চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে। আর এরই মধ্যে এই ভিডিও ভাইরাল করার অভিযোগে সিমলা থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে ইতিমধ্যেই পাঞ্জাব পুলিশের (Punjab Police) হাতে তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আরও একজন ৩১ বছর বয়সি যুবককে পুলিশ আটক করেছে। ফলে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত অভিযুক্ত ছাত্রী সহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের ছাত্রীদের স্নানের দৃশ্য ভাইরাল, মধ্যরাতে উত্তাল চণ্ডীগড়

    পুলিশ সূত্রে জানা যায়, যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে তার নাম সানি মেহেতা। সে সিমলার রহুর মহকুমার বাসিন্দা। এর পাশাপাশি এই ঘটনায় রঙ্কজ বর্মা নামে এক ব্যক্তিকেও আটক করেছে পুলিশ। এরই মধ্যে আরও এক চাঞ্চল্যকর খবর সামনে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত মাত্র একটি ভিডিওই পাওয়া গিয়েছে ও ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিয়োটি অভিযুক্ত ছাত্রীর, যার বিরুদ্ধে বাকি পড়ুয়াদের স্নানের ভিডিও ফাঁস করে দেওয়ার অভিযোগ এসেছে। অন্য কোনও ভিডিও এখনও মেলেনি বলেই দাবি পুলিশের।

    চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ (Chandigarh University Protest) অব্যাহত থাকায়, রবিবার গভীর রাতে বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলেছেন পুলিশের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) জিএস ভূল্লার। তিনি বলেন, “আইনি প্রক্রিয়ার উপর ভরসা রাখা একান্ত প্রয়োজন। আইনি প্রক্রিয়া মেনেই তদন্ত চলছে।“ রবিবার গভীর রাত পর্যন্ত ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ চলতে থাকে, ফলে জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের শান্ত করার চেষ্টা করে। বেশিরভাগ বিক্ষোভকারী কালো পোশাক পরে পুলিশের উপস্থিতিতে “উই ওয়ান্ট জাস্টিস” (We Want Justice) স্লোগান দেয়। এসময় তারা পুলিশের বিরুদ্ধেও স্লোগান দেয়। শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নয়, পুলিশের উপরও ক্ষোভ উগরে দিয়েছে পড়ুয়ারা।

    অন্যদিকে দাবি করা হয় যে, পড়ুয়াদের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরে ছাত্রীরা আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু পুলিশ এই অভিযোগ কে মেনে নেয়নি। পাশপাশি পুলিশের রিপোর্টে এও বলা হয়েছে এই ঘটনায় কারও মৃত্যু হয়নি। যদিও, পড়ুয়াদের একাংশের দাবি, অন্তত ৮ জন ছাত্রী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। একজন মারা গিয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাকি ৭ জন। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা সঙ্কটজনক। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের (Chandigarh University) প্রো-চ্যান্সেলর আরএস বাওয়া বলেন, ”৬০ জন ছাত্রীর এমএমএস বানানোর বিষয়টি ভিত্তিহীন। এমনকী আট জন পড়ুয়া আত্মহত্যা করেছে এই ব্যাপারটিও গুজব।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Assam Jihadi Link: ১১৪টি জেহাদি-যোগ, দেড় হাজার যুবক জঙ্গি সংগঠনে! উদ্বিগ্ন অসমের মুখ্যমন্ত্রী কী বললেন?

    Assam Jihadi Link: ১১৪টি জেহাদি-যোগ, দেড় হাজার যুবক জঙ্গি সংগঠনে! উদ্বিগ্ন অসমের মুখ্যমন্ত্রী কী বললেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ থেকে প্রতিদিন অসমে ছুকছে জঙ্গিরা। অসম, উত্তর-পূর্ব ভারতে জঙ্গিদের আখড়া হয়ে উঠেছে। গত ১০ বছরে অসমে ১১৪টি জেহাদি-যোগ চিহ্নিত করা গিয়েছে। বিভিন্ন ইসলামিক জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্তরা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়াচ্ছে। চলতি বছরে এখনও অবধি ৪০ জনকে জঙ্গি-যোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। শরৎ অধিবেশনের প্রথম দিনে এই কথা জানালেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে হিমন্ত বলেন, গ্রেফতার হওয়া অনেকেই মাদ্রাসার ইমাম ও শিক্ষক। 

    মুখ্যমন্ত্রী যে খুব একটা ভুল বলেনি, তা বোঝা গেল সোমবারও। এদিনও রাজ্যে আরও দুই সন্ত্রাসবাদীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজন ইমামও রয়েছে। তদন্তকারী অফিসাররা জানিয়েছেন, বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন ‘আনসারুল্লা বাংলা টিম’ তথা ‘আনসার বাংলা’র সঙ্গে যোগ রয়েছে এই দুই সন্ত্রাসবাদীর। সোমবার অসমের মরিগাঁও জেলার মইরাবাড়ি এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে মুসাদিক হোসেনকে এবং নগাঁও জেলা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ইমাম ইকরামুল ইসলামকে। 

    আরও পড়ুন: মঙ্গলবারও সারাদিন বৃষ্টি চলবে, নেমেছে তাপমাত্রার পারদ, বুধে বৃষ্টি কমার পূর্বাভাস

    রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পরপর জঙ্গিদের গ্রেফতারিতে উদ্বিগ্ন প্রতিরক্ষা মহল। প্রশ্ন উঠছে, উত্তর-পূর্ব ভারতে কতটা শিকড় ছড়িয়েছে জেহাদি সংগঠন ‘আনসারুল্লা বাংলা টিম’টি? উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই মইরাবাড়ি এলাকায় একটি মাদ্রাসা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় প্রশাসন। ওই মাদ্রাসাটির সঙ্গে জঙ্গি গোষ্ঠী আল কায়দার (Al-Qaeda) যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ। আল কায়দা যোগের অভিযোগে ক’দিন আগে পাঁচ বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয়। রাজ্যে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনে দেড় হাজার যুবক নাম লিখিয়েছে। তবে, সাড়ে সাত হাজারেরও বেশি যুবককে জঙ্গি সংগঠন থেকে জীবনের মূল ধারায় ফিরিয়ে আনা গিয়েছে। হিমন্তের কথায়, ২০১৬ সাল থেকে রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর ১৫৬১ জন যুবক বিভিন্ন জঙ্গি দলে যোগ দিয়েছে। অন্যদিকে সরকারের সাফল্য হিসেবে তিনি বলেছেন, ৭হাজার ৯৩৫ জন যুবককে সন্ত্রাসের পথ থেকে জীবনের মূল স্রোতে ফেরানো গিয়েছে। অসম বিধানসভায় বিরোধী নেতা দেবব্রত সাইকিয়া শর্মার প্রশ্নের উত্তরে লিখিত বিবৃতি দিয়ে এই তথ্য জানান হিমন্ত। 

    আরও পড়ুন: জ্ঞানবাপী মামলায় পূজার্চনার আবেদনের শুনানি চলবে, জানিয়ে দিল আদালত

    মাদ্রাসা ভাঙা নিয়ে অনেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তের দিকে আঙুল তুলেছেন। তাঁকে মুসলিম-বিরোধীও আখ্যআ দেওয়া হয়েছে। এই প্রসঙ্গে হিমন্ত বলেন, “ তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতিনিধি। BJP চায় ভারতকে নতুন করে নির্মাণ করতে। হিন্দু আমাদের ডিএনএ। কিন্তু মুসলমানদের বাদ দিয়ে ভারত নয়। আমরা মুসলিম বিরোধী নই। আমরা চাইছি মুসলিম সম্প্রদায়ের উন্নতি করতে।” তিনি জানান, রাজ্যে যে সমস্ত মাদ্রাসা ভেঙে ফেলা হয়েছে সেগুলির সঙ্গে যুক্ত আছে আল কায়দা এবং বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Supreme Court : বৃহত্তর বেঞ্চের রায় সবসময় প্রাধান্য পাবে, অভিমত শীর্ষ আদালতের

    Supreme Court : বৃহত্তর বেঞ্চের রায় সবসময় প্রাধান্য পাবে, অভিমত শীর্ষ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিচারকের সংখ্যা যাই হোক উচ্চতর বেঞ্চ অর্থাৎ হায়ার বেঞ্চের রায় প্রাধান্য পাবে, সম্প্রতি এই অভিমত ব্যক্ত করেছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।  কোর্টের একটি সাংবিধানিক বেঞ্চ রায় দিয়েছে যে বিচারকের সংখ্যা নির্বিশেষে একটি বৃহত্তর বেঞ্চের দেওয়া রায়ই সবসময় গ্রহণ করা হবে। সুপ্রিম কোর্টের মত অনুযায়ী, কোনও মামলা চলাকালীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ সর্বসম্মতভাবে একরকম রায় দিল। তখন সেই মামলায় হেরে  যাওয়া পক্ষ  বৃহত্তর বেঞ্চে অর্থাৎ সাত বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে আবেদন করতে পারে। সাত বিচারপতির বেঞ্চে যদি ওই মামলার রায় ৪:৩ সংখ্যাগরিষ্ঠতার সাথে দেওয়া হয় তাহলে ৭ বিচারকের বেঞ্চের রায় সর্বসম্মতভাবে ৫ বিচারপতির বেঞ্চের উপর প্রাধান্য পাবে। 

    আরও পড়ুন: ন্যায্যমূল্যের দোকানে ওষুধ পাওয়া যায় না, জীবনদায়ী ওষুধ চুরি হয় হাসপাতাল থেকে, ওষুধ কিনতে হিমশিম সাধারণ মানুষ

    বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়, হেমন্ত গুপ্ত, সূর্য কান্ত, এম এম সুন্দ্রেশ এবং সুধাংশু ধুলিয়ার সমন্বয়ে গঠিত পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ একটি মামলা চলাকালীন এই মত ব্যক্ত করেন। উল্লেখ্য,  অনুচ্ছেদ ১৪৫(৫) অনুযায়ী, সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারকের সম্মতিই আদালতের রায় হিসাবে দেখা হয়। ২০১৭ সালে বিচারপতি আরএফ নরিমান এবং বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কৌলের সমন্বয়ে গঠিত দুই বিচারপতির বেঞ্চের রায় পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে কী খারিজ হয়ে যাবে?

    আরও পড়ুন: ভারতে চিতার বংশবৃদ্ধিতে ভূমিকা নেবে ‘আশা’, বাকিদের নাম কী রাখা হল জানেন?

    যদি সর্বসম্মতিক্রমে ৫ বিচারপতির বেঞ্চের সিদ্ধান্ত ৭ বিচারপতির বেঞ্চ দ্বারা বাতিল করা হয়, যেখানে চারজন বিজ্ঞ বিচারক সংখ্যাগরিষ্ঠতার পক্ষে কথা বলেন এবং তিনজন বিজ্ঞ বিচারক বিপক্ষে তাহলে দুজন বিচারপতির বেঞ্চের রায়ও পাঁচজন বিচারপতির রায়ের কাছে বাতিল হতে পারে। অর্থাৎ সবসময় যে কোনও মামলায় হায়ার বেঞ্চের রায়ই প্রাধান্যপাবে বলে মত প্রকাশ করল শীর্ষ আদালত। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Sit on lap controversy: ‘সিট অন ল্যাপ’ প্রতিবাদের জের, তিরুবনন্তপুরমে তৈরি হবে নতুন লিঙ্গ নিরপেক্ষ বাসস্ট্যান্ড 

    Sit on lap controversy: ‘সিট অন ল্যাপ’ প্রতিবাদের জের, তিরুবনন্তপুরমে তৈরি হবে নতুন লিঙ্গ নিরপেক্ষ বাসস্ট্যান্ড 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত জুলাই মাসের শেষের নীতি পুলিশির অভিযোগে উত্তাল হয় কেরলের (Kerala) তিরুবনন্তপুরম। ঘটনার প্রতিবাদে উত্তাল হয় সামাজিক মাধ্যমও। তিরুবনন্তপুরমের (Thiruvananthapuram) এক ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের কাছেই অবস্থিত এক পুরনো বাসস্ট্যান্ড। সেখানেই ছাত্রদের কোলে বসে আছেন ছাত্রীরা। কোনও ছাত্রের কোলে বসে একজন ছাত্রী, কোনও কোনও ছাত্রের কোলে আবার দুইজনও রয়েছেন। একেবারে গায়ে গা এলিয়ে বসে রয়েছেন কলেজ পড়ুয়ারা। এরকমই এক অভিনব প্রতিবাদের ছবি সেই সময় ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। ওই ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্রছাত্রীরা এই প্রতিবাদের নাম দিয়েছিলেন ‘সিট অন ল্যাপ প্রতিবাদ’ (Sit on lap protest)! এই প্রতিবাদ ছিল স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের নীতি পুলিশগিরির বিরুদ্ধে। 

    আরও পড়ুন: অন্তর্বাস খুলতে বাধ্য করা হয়েছিল, সেই ছাত্রীদের ফের নীট পরীক্ষায় বসার সুযোগ দিল এনটিএ

    ওই বাসস্ট্যান্ডে আগে যাত্রীদের বসার জন্য একটি সিমেন্ট দিয়ে তৈরি বেঞ্চ ছিল। সেখানে ছাত্রছাত্রীরা পাশাপাশি বসে গল্পগুজব করতেন। ছেলে-মেয়েরা যাতে একে অপরের পাশে বসতে না পারেন, সেই জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ ওই সিমেন্টের তৈরি বেঞ্চ ভেঙে তাকে তিন ভাগে ভাগ করে দিয়েছিলেন। এমনভাবে ভাগ করা হয়েছিল, একটি বেঞ্চে একজনই বসতে পারেন। আর প্রতিটি আসনের মাঝে অনেকটা করে ফাঁক। এই ধরনের নীতি পুলিশদের বিরুদ্ধেই অভিনব ‘সিট অন ল্যাপ’ সকলকে চমকে দিয়েছিলেন ওই শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি না বসতে দেওয়ায়, একে অপরের কোলে বসেই গল্প করা শুরু করে দেন ওই কলেজের পড়ুয়ারা। যে ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। 

     

    এবার ঘটনার দুমাস পরে ওই বেঞ্চ সরিয়ে নিল স্থানীয় প্রশাসন। মেয়র আর্জা এস রেজেন্দ্রম কথা দিয়েছেন সেই এলাকায় নতুন করে একটি বাসস্ট্যান্ড তৈরি হবে, যেখানে কোনও লিঙ্গসাম্য বজায় থাকবে। 

    তিরুবনন্তপুরমের ওই ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের বাইরের বাসস্ট্যান্ডটিতে ছাত্রছাত্রীরা প্রায়শই পাশাপাশি বসে কথা বলত। স্থানীয় ছেলে-মেয়েরা এই ভাবে একসঙ্গে সময় কাটাচ্ছে, এটা স্থানীয় কিছু মানুষের চক্ষুশূল হয়েছিল। এই পড়ুয়াদের ‘সায়েস্তা’ করতেই তারা বাসস্ট্যান্ডের বসার বেঞ্চটিকে তিনটি আলাদা ভেঙে ফেলেছিল। কিন্তু, ছাত্রছাত্রীদের সিট অন ল্যাপ প্রতিবাদে তাদের সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। মেয়র ওই বাসস্ট্যান্ড এলাকা পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, “যেভাবে বেঞ্চটি ভেঙে তিন টুকরো করা হয়েছে এবং যে উদ্দেশ্য নিয়ে তা করা হয়েছে, সেটা আধুনিক সমাজের জন্য অশোভন। আমি তিরুবনন্তপুরম মিউনিসিপ্যাল ​​কর্পোরেশনকে এখানে একটি নতুন বাস স্ট্যান্ড তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছি।” 

    আরও পড়ুন: বন্ধ করে দিন সমস্ত বেআইনি ধর্মীয় স্থান, ‘মসজিদ’ মামলায় রায় কেরল হাইকোর্টের

    নন্দনা পিএম নামে, এই অভিনব ‘সিট অন ল্যাপ’ প্রতিবাদে অংশ নেওয়া এক ছাত্রী বলেন, “আমাদের এই ছবিটা স্থানীয় মানুষদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ছবি নয়। আমরা শিক্ষার্থীদের মধ্যে লিঙ্গ বৈষম্য ঘোচানোর প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরতে চেয়েছি। আমরা যে পরিস্থিতিতে বড় হয়েছি এবং এখন যে পরিস্থিতির মধ্যে আছি, তার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। আমরা মনে করি না যে, সমাজ রাতারাতি বদলে যাবে। তবে, শিক্ষার্থীদের আবেগে, অনুভূতিতে আঘাত করলে প্রতিবাদ হবেই। আমাদের এই ছবিটা ভাইরাল হওয়ার পর থেকে, আমরা বহু মানুষের কাছ থেকে ব্যাপক সমর্থন পাচ্ছি। যদিও, ফেসবুকে কিছু নেতিবাচক মন্তব্যও এসেছে। কিন্তু ন্যায় যখন আমাদের পক্ষে আছে, তখন এই সব সমালোচনা আমরা গায়ে মাখছি না।” কলেজের ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অশ্বিন এম বলেছেন, “৯ বছর আগে অবৈধভাবে স্থানীয় বাসিন্দারা এই বাসস্ট্যান্ডটি তৈরি করেছিল। এই বাসস্ট্যান্ডে বসা শিক্ষার্থীরা বহু বছর ধরেই সমস্যায় ভুগছেন। ছেলেমেয়েরা একসঙ্গে বসলে, স্থানীয় লোকজন তাদেরকে লক্ষ্য করে অশালীন মন্তব্যও করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • MMS Row: বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের ছাত্রীদের স্নানের দৃশ্য ভাইরাল, মধ্যরাতে উত্তাল চণ্ডীগড়

    MMS Row: বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের ছাত্রীদের স্নানের দৃশ্য ভাইরাল, মধ্যরাতে উত্তাল চণ্ডীগড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হস্টেলের ছাত্রীদের স্নানের দৃশ্য মোবাইল বন্দি করে ভাইরাল করে দেওয়া হল। ফোনে সে দৃশ্য দেখে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন আট ছাত্রী (Student)। দোষীদের কড়া শাস্তির দাবিতে শনিবার মধ্যরাতে উত্তাল পাঞ্জাবের (Punjab) মোহালির চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয় (Chandigarh University) চত্বর। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই আট ছাত্রী ভর্তি রয়েছেন স্থানীয় একটি হাসপাতালে। অভিযুক্ত ছাত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আটক করা হয়েছে তাঁর বন্ধুকে।

    জানা গিয়েছে, চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হস্টেলে থাকেন মহিলা ছাত্রীরা। ওই হস্টেলেরই এক ছাত্রী প্রায় ৬০ জন আবাসিকের স্নানের দৃশ্য মোবাইল বন্দি করেন বলে অভিযোগ। পরে তিনি ওই ছবি পাঠিয়ে দেন তাঁর এক বন্ধুকে। বন্ধুটি সেই ছবি পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। ছাত্রীদের স্নানের দৃশ্যের ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায় নিমেষে। ঘটনাটি জানাজানি হতেই লজ্জায় ও অপমানে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন ওই হস্টেলের আট ছাত্রী। সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। এই আট ছাত্রীর মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।

    দোষী ছাত্রী সহ অভিযুক্তদের সাজার দাবিতে মধ্যরাতে হস্টেলের বাইরে বেরিয়ে বিক্ষোভ দেখান ছাত্রীরা। খবর পেয়ে পুলিশ গেলে উত্তেজনা আরও বাড়ে। পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, ওই হস্টেলের যে ছাত্রী আবাসিকদের স্নানের দৃশ্য মোবাইল বন্দি করেছিলেন এবং তিনি যাঁকে পাঠিয়েছিলেন দুজনেই হিমাচলের বাসিন্দা। ওই ছাত্রীকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি আটক করা হয়েছে তাঁর বন্ধুকে। শুরু হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশকে জরুরি পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছে পাঞ্জাব সরকার। সে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী জানান, এমন ন্যক্কারজনক ঘটনায় যাঁরা যুক্ত, তাঁরা অবশ্যই উপযুক্ত শাস্তি পাবেন।

    আরও পড়ুন : গুজরাট উপকূলে আটক ২০০ কোটি টাকার মাদক, বরাত দেওয়া হয়েছিল পাঞ্জাব জেল থেকে

    ধৃত ছাত্রী ও তাঁর বন্ধুকে জেরা করে কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর পেতে চাইছে পুলিশ। এক, আবাসিকদের স্নানের দৃশ্য ভিডিও বন্দি করা হয়েছিল কী জন্য?  দুই, ওই ছাত্রী কীভাবে প্রায় ৬০ জন ছাত্রীর স্নান দৃশ্য মোবাইল বন্দি করলেন? সর্বোপরি, এর পেছনে কি কোনও চাঁই রয়েছে? ওই ছাত্রী ও তাঁর বন্ধুকে জেরা করে এসব প্রশ্নেরই উত্তর পেতে চাইছে পুলিশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Gujarat: বিয়ের আট বছর পর স্ত্রী জানলেন স্বামী আদতে মহিলা ছিলেন 

    Gujarat: বিয়ের আট বছর পর স্ত্রী জানলেন স্বামী আদতে মহিলা ছিলেন 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিয়ে হয়েছে সেই আট বছর আগে। মাঝে কেটে গিয়েছে বহু সময়। কিন্তু এতদিন পরে জানতে পারেন তিনি ছলনার শিকার। স্বামীর পূর্ব পরিচয় জানতে পেরে মাথায় হাত গুজরাটের (Gujarat) ভদোদরার (Vadodara) এক মহিলার। যাকে আট বছর ধরে স্বামী হিসেবে জেনে এসেছেন, তিনি আদতে মহিলা হয়ে জন্মেছিলেন! এতদিন পরে বিষয়টি জানতে পেরেই ভদোদরার গোত্রী থানায়  অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, বিয়ের সময় নিজের লিঙ্গ পরিচয় লুকিয়ে গিয়েছিলেন স্বামী। গত আট বছরে বহুবার বিকৃত যৌনতার শিকার হয়েছেন বলেও পুলিশকে জানিয়েছেন ওই মহিলা। দিল্লির বাসিন্দা ওই অভিযুক্তকে আটক করেছে গুজরাটের গোত্রী থানার পুলিশ।

    আরও পড়ুন: ৭০ দশক পর চিতা ফিরল দেশে, ছাড়া হল কুনো জাতীয় উদ্যানে  

    ওই মহিলা জানিয়েছেন, ২০১৪ সালে বিয়ে হয় তাঁদের। একটি ম্যাট্রিমনি সাইটে পরিচয় হয় তাঁর । সেই সময় স্বামীর অতীত নিয়ে কিছুই জানতেন না বলে পুলিশকে জানিয়েছেন ওই মহিলা। পরিবারের উপস্থিতিতে আট বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর মধুচন্দ্রিমায় কাশ্মীরেও যান দুজনে। তবে কিছুদিন পরেই ছন্দ কাটে! মহিলার দাবি স্বামী বিয়ের পর থেকেই শারীরিক সম্পর্কে তেমন উৎসাহ দেখাতেন না। নানা অছিলায় এড়িয়ে যেতেন অন্তরঙ্গতা। মহিলার দাবি, শেষে জোরাজুরি করায় বিরাজ তাঁকে জানান রাশিয়াতে (Russia) একটি দুর্ঘটনার কারণে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে তিনি অক্ষম। বছর চল্লিশের ওই মহিলার এটা দ্বিতীয় বিয়ে। ২০১১ সালে তাঁর প্রথম স্বামীর মৃত্যু হয়। তাঁর একটি মেয়েও রয়েছে।                               

    কিন্তু এত কিছুর পরেও স্বামীর আসল পরিচয় জানতে পারেননি তিনি। বরং স্বামী তাঁকে আশ্বাস দেন ছোট একটি অস্ত্রোপচারের পর সব ঠিক হয়ে যাবে। এতদিন সেই আশাতেই দিন কাটিয়েছেন ওই মহিলা। পুলিশকে মহিলা জানিয়েছেন, ২০২০ সালে ওজন কমানোর সার্জারির নামে কলকাতায় যান তাঁর স্বামী। পরে মহিল জানতে পারেন ওজন কমানো নয়, লিঙ্গ বদলের অস্ত্রোপচার করিয়েছেন তিনি!

    আরও পড়ুন: মোদির জন্মদিনে পুজো বা কেক কাটা নয় আজ থেকে সেবাপক্ষ শুরু বিজেপির 
     
    ভদোদরার গোত্রী থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে বিকৃত যৌনতা এবং জালিয়াতির অভিযোগ দায়ের করেছেন মহিলা। তাঁর দাবি, বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলে ভয়ঙ্কর পরিণতি হবে বলেও হুমকি দেওয়া হত ওই মহিলাকে। পুলিশ জানিয়েছেন অভিযুক্ত বিরাজ বর্ধনের আসল নাম বিজয়েতা। স্ত্রীর নামে ৯০ লাখ টাকা ধার নিয়ে এক ফ্ল্যাট কেনারও অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Adani Group: এবার সিমেন্ট দুনিয়াতেও আদানি-রাজ! ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম সিমেন্ট সংস্থার মালিক গৌতম আদানি

    Adani Group: এবার সিমেন্ট দুনিয়াতেও আদানি-রাজ! ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম সিমেন্ট সংস্থার মালিক গৌতম আদানি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম সিমেন্ট সংস্থা এসে গেল গৌতম আদানির (Gautam Adani)কাছে। অম্বুজা এবং এসিসি সিমেন্ট কিনে কিনে নিয়ে সিমেন্টের জগতে নিজের প্রভাব বিস্তার করলেন গৌতম আদানি। একের পর এক রেকর্ডের অধিকারী হচ্ছেন ভারতের এই ধনকুবের। সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই আদানি বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তির শিরোপা পেয়েছেন। এশিয়ার প্রথম ব্যক্তি হিসেবে এই বিরল কৃতিত্বের অধিকারী তিনি। এবার ১৫৪ বছরের পুরোনো টাটা গ্রুপকে (Tata Group) হারিয়ে গৌতম আদানির নেতৃত্বাধীন আদানি গ্রুপ (Adani Group) দেশের সবচেয়ে মূল্যবান ব্যবসায়িক গোষ্ঠীতে (Most Valuable Business Group) পরিণত হল। শুধু তাই নয়,এই গ্রুপের মার্কেট ক্যাপ ২০.৭৪ লক্ষ কোটি টাকা। মুকেশ আম্বানির নেতৃত্বাধীন রিলায়েন্স গ্রুপের মার্কেট ক্যাপ হয়েছে ১৭.১ লক্ষ কোটি টাকা। 

    আরও পড়ুন: বিশ্বের ধনীতম তালিকার দ্বিতীয় স্থানে উঠে এলেন আদানি, সত্যি?

    প্রসঙ্গত, সিমেন্ট ব্যবসার ক্ষেত্রে গত মে মাসেই হলসিম সিমেন্ট গ্রুপের সঙ্গে একটি চুক্তির কথা ঘোষণা করেছিল আদানি লিমিটেড। শুক্রবার এসিসি এবং অম্বুজা হলসিম গ্রুপের সম্পূর্ণ অংশীদারিত্ব অধিগ্রহণ করে তারা। সুইজারল্যান্ড এর এই গোষ্ঠীর কাছে অম্বুজা সিমেন্ট লিমিটেডের ৬৩.১% এবং এসিসি সিমেন্ট লিমিটেডের ৫৪.৫% শেয়ার ধরা ছিল। সেটি অধিগ্রহণের জন্য নগদ ৬.৪ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে আদানি গোষ্ঠী। ভারতীয় মুদ্রায় এই টাকার পরিমাণ ৫১ হাজার কোটিরও বেশি। 

    আরও পড়ুন: বিক্রি হয়ে গেল ইজরায়েলের প্রধান বন্দর হাইফা, বর্তমান মালিক আদানি

    সেবির নিয়ম মেনে ওপেন অফারের মাধ্যমে এই অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এটি এখনও পর্যন্ত আদানি গোষ্ঠীর সবথেকে বড় অধিগ্রহণ। পরিকাঠামগত কাঁচামাল উৎপাদনের ক্ষেত্রে এটি ভারতের সব থেকে বড় ব্যবসায়িক লেনদেন বলে অনুমান ব্যবসায়িক মহলের। দেশে সিমেন্ট ব্যবসার সম্ভাবনা এবং বিস্তার নিয়ে আশাবাদী আদানি বলেন, “ভবিষ্যতে এই সিমেন্ট ব্যবসাকে আরও বড় করতে চান তিনি।”

    উল্লেখ্য, এখন সিমেন্ট উৎপাদনের নিরিখে দেশে এক নম্বরের রয়েছে আদিত্য বিরলা লিমিটেড গ্রুপের আলট্রাটেক সিমেন্ট। অন্যদিকে অম্বুজা এবং এসিসি বছরের সাত কোটি টন সিমেন্ট উৎপাদন করে। যৌথভাবে এই দুটি কোম্পানির ৩১ টি সিমেন্ট কারখানা রয়েছে। ১০ হাজারের বেশি কর্মী এই কারখানায় কাজ করেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

LinkedIn
Share