Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • CAG Report: আপের আবগারি নীতির কারণে দিল্লি সরকারের ক্ষতি হয়েছে ২ হাজার কোটি টাকা!

    CAG Report: আপের আবগারি নীতির কারণে দিল্লি সরকারের ক্ষতি হয়েছে ২ হাজার কোটি টাকা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২১-২২ সালের আবগারি নীতির কারণে দুর্বল নীতিগত কাঠামো থেকে শুরু করে অপর্যাপ্ত বাস্তবায়নের মতো বিভিন্ন কারণে দিল্লি সরকার ২ হাজার কোটি টাকারও বেশি সম্মিলিত ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। মঙ্গলবার বিধানসভায় একটি ক্যাগের রিপোর্ট (CAG Report) পেশ করে এ কথা জানানো হয়েছে।

    ক্যাগের রিপোর্ট (CAG Report)

    রিপোর্টটি আগের আম আদমি পার্টি সরকারের কার্যকারিতা সম্পর্কে ১৪টি রিপোর্টের একটি। প্রতিটি রিপোর্ট উপস্থাপিত করবে নয়া মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তর নেতৃত্বাধীন প্রশাসন (Delhi Govt)। এতে লাইসেন্স ইস্যু করার প্রক্রিয়ায় নিয়ম লঙ্ঘনের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, তৎকালীন উপমুখ্যমন্ত্রী এবং আবগারি মন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সুপারিশ উপেক্ষা করেছিলেন। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের আগে আলোচিত ইস্যু হিসেবে উঠে আসা কথিত মদ কেলেঙ্কারির এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাজস্ব ক্ষতির পরিমাণ ৯৪১.৫৩ কোটি টাকা। এতে দাবি করা হয়েছে যে “বিধিসম্মত নয় এমন পুরসভা ওয়ার্ডে”ও মদের দোকান খোলার জন্য সময় মতো প্রয়োজনীয় অনুমতি নেওয়া হয়নি।

    জমি ব্যবহারের নিয়মাবলী

    আবার এমন অনেক এলাকায় মদ বিক্রয় কেন্দ্র খোলার জন্য যে জমি নেওয়া হয়েছে, তা ব্যবহারের নিয়মাবলীর সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। রিপোর্টে এও উল্লেখ করা হয়েছে, “এই এলাকাগুলি থেকে তাদের লাইসেন্স ফি জমা না হওয়া এবং পুনঃনিলাম প্রক্রিয়ায় ব্যর্থতার কারণে আবগারি বিভাগ প্রায় ৮৯০.১৫ কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।” এছাড়াও, কোভিড অতিমারীর কারণে দোকান বন্ধ থাকায় লাইসেন্সধারীদের যে “অনিয়মিত ছাড়” দেওয়ার হয়েছে, তার ফলেও ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১৪৪ কোটি টাকার রাজস্ব (Delhi Govt)।

    বিভিন্ন অনিয়ম

    নীতির প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে কথিত অনিয়মগুলি (CAG Report) ২০২২ সালের জুলাই মাসে লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা যখন সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেন, তখন তা রাজ্যে বিরোধী দল বিজেপির রাজনৈতিক হাতিয়ারে পরিণত হয়। তদন্ত সংস্থাগুলির দ্বারা গ্রেফতারের পর আম আদমি পার্টির শীর্ষ নেতারা, যেমন অরবিন্দ কেজরিওয়াল, মনীশ সিসোদিয়া এবং সঞ্জয় সিং, মাসের পর মাস জেলে কাটিয়েছেন। রিপোর্টে জানা গিয়েছে, মাস্টার প্ল্যান দিল্লি-২০২১ অনুসারে অননুমোদিত এলাকায় মদের দোকান খোলার অনুমতি ছিল না। কিন্তু আবগারি নীতি ২০২১-২২ অনুযায়ী প্রতিটি ওয়ার্ডে অন্তত দুটি করে খুচরা বিক্রয় কেন্দ্র খোলার কথা বলা হয়েছিল।

    কী বলছে ক্যাগের রিপোর্ট

    রিপোর্ট অনুযায়ী, নতুন দোকান খোলার জন্য দরপত্র নথিতে উল্লেখ ছিল যে কোনও অননুমোদিত এলাকায় মদের দোকান থাকবে না। তবে, যদি কোনও দোকান অননুমোদিত এলাকায় থাকে, তবে তা সরকারের পূর্ব অনুমোদন সাপেক্ষে বিবেচিত হবে। ক্যাগের রিপোর্ট জানিয়েছে, ” অননুমোদিত এলাকায় প্রস্তাবিত বিক্রয় কেন্দ্রের জন্য আবগারি বিভাগ যথাসময়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি এবং দিল্লি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (DDA) এবং কর্পোরেশন (MCD)-এর মতামত না নিয়েই ২০২১ সালের ২৮ জুন প্রাথমিক দরপত্র প্রকাশ করা হয়েছিল (Delhi Govt)।”

    লাইসেন্স বরাদ্দ

    লাইসেন্সগুলি ২০২১ সালের (CAG Report) অগাস্টে বরাদ্দ করা হয়েছিল। এই সমস্যার সমাধান হওয়ার আগেই, এবং দোকানগুলি ১৭ নভেম্বর ২০২১ থেকে ব্যবসা শুরু করার জন্য নির্ধারিত ছিল। এর মধ্যেই, দিল্লি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি এর ঠিক আগের দিনই একটি নির্দেশিকা জারি করে, যেখানে অননুমোদিত এলাকায় দোকান চালানোর অনুমতি বাতিল করা হয়। এরপর লাইসেন্সধারীরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। ৯ ডিসেম্বর ২০২১-এ আদালত ৬৭টি অননুমোদিত ওয়ার্ডে বাধ্যতামূলক দোকানগুলির জন্য লাইসেন্স ফি প্রদানের দায় থেকে তাদের অব্যাহতি দেয়। এর ফলে প্রতি মাসে ১১৪.৫০ কোটি টাকার লাইসেন্স ফি মকুব হয়। ক্যাগের রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, “নোটিশ ইনভাইটিং টেন্ডার প্রকাশের আগে এই সমস্যার সমাধান না করায় এই ছাড় দেওয়া হয়। এজন্য ক্ষতি হয় প্রায় ৯৪১.৫৩ কোটি টাকা।”

    লাইসেন্স জমা দেওয়ার হিড়িক

    রিপোর্টে বলা হয়েছে, ১৯টি অঞ্চলিক লাইসেন্সধারী তাদের লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ২০২২ সালের অগাস্টে তাদের লাইসেন্স জমা দেন। এর মধ্যে মার্চেই জমা দেন চারজন, মে মাসে পাঁচজন এবং জুলাই মাসে ১০ জন। তবে মদের দোকান চালু রাখতে আবগারি দফতর কোনও পুনঃটেন্ডারিং প্রক্রিয়া শুরু করেনি। এর ফলে এই অঞ্চলগুলিতে লাইসেন্স ফি থেকে কোনও রাজস্ব আদায় হয়নি। উল্লেখযোগ্যভাবে, এই অঞ্চলগুলিতে মদের খুচরা বিক্রি চালিয়ে যাওয়ার জন্য অন্য কোনও ব্যবস্থাও নেওয়া হয়নি। লাইসেন্সধারীরা ২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর থেকে পরের বছরের ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত কোভিড সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করে আবগারি দফতরের কাছে ফি মকুবের আবেদন জানান। ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি হাইকোর্ট তাদের রায়ে দফতরকে এই বিষয়ে যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দেয়।

    আবগারি এবং অর্থ দফতর (CAG Report) বিষয়টি পর্যালোচনা করার পর প্রস্তাব দেয় যে কোভিড সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞার কারণে লাইসেন্স ফির আনুপাতিক মকুব বিবেচনা করা যাবে না। কারণ টেন্ডার নথিতে এই বিষয়ে কোনও ব্যবস্থা নেই। তবে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, “বিভাগীয় মন্ত্রীর দ্বারা এই প্রস্তাব খারিজ করা হয় এবং ২৮ ডিসেম্বর ২০২১ থেকে ২৭ জানুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত বন্ধ থাকা দোকানগুলির জন্য প্রতিটি অঞ্চলিক লাইসেন্সধারীকে ফি মকুবের অনুমোদন দেওয়া হয় (Delhi Govt)।”

  • AAPs Powerplay: কেজরিওয়াল দিনে ৫ হাজার ৭০০ টাকার বিদ্যুৎ পুড়িয়েছেন, ২ বছরে খরচ ৪১.৫ লক্ষ টাকা!

    AAPs Powerplay: কেজরিওয়াল দিনে ৫ হাজার ৭০০ টাকার বিদ্যুৎ পুড়িয়েছেন, ২ বছরে খরচ ৪১.৫ লক্ষ টাকা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি প্রতিদিন গড়ে বিদ্যুৎ পুড়িয়েছেন ৫ হাজার ৭০০ টাকার করে। দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) এহেন বিদ্যুৎ খরচের (AAPs Powerplay) বহরে চক্ষু চড়কগাছ দিল্লিবাসীর। সম্প্রতি তথ্য জানার অধিকার আইনে দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বিদ্যুৎ খরচের হিসেব জানতে চেয়েছিলেন এক ব্যক্তি।

    কেজরির বিদ্যুৎ খরচ (AAPs Powerplay)

    তখনই জানা যায়, দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টি সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল গত দু’বছরে বিদ্যুৎ খরচ করেছেন ৪১.৫ লাখ টাকার। ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এই পরিমাণ বিদ্যুৎ তিনি ব্যবহার করেছেন। ইউনিটের হিসেবে কেজরিওয়াল এই পর্বে ব্যবহার করেছেন ৫ লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি বিদ্যুৎ। আরও জানা গিয়েছে, কেজরিওয়ালের মাসিক গড় বিদ্যুৎ খরচ ছিল ২৩ হাজার ইউনিটেরও বেশি। প্রতিদিন ৭৭০ এর বেশি ইউনিট।

    পদ্ম-পার্টির স্ক্যানারে

    সম্প্রতি আপ দুর্গে ধস নামিয়ে দিল্লিতে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। ৭০ আসনের বিধানসভায় ৪৮টি কেন্দ্রে জিতেছে বিজেপি। পূর্বতন শাসক দল আপ পেয়েছে মাত্র ২২টি আসন। শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছে সোনিয়া গান্ধীর দলকে। দিল্লির কুর্সিতে বসেছেন বিজেপির রেখা গুপ্ত। তিনি বণিক সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি। কেজরিওয়াল ক্ষমতাচ্যুত হতেই চলে এসেছেন পদ্ম-পার্টির স্ক্যানারে। কেজরিওয়ালের সরকারি বাসভবনের নাম ‘শিশমহল’। এই বিলাসবহুল বাড়িটিকে ঘিরে আমজনতারও বিস্তর অভিযোগ।

    আরটিআইয়ের তথ্য

    কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) বিদ্যুৎ খরচ কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। আরটিআইয়ের (RTI) উত্তরেও জানা গিয়েছে, অন্যান্য আপ মন্ত্রীর বিদ্যুৎ ব্যবহারের মাত্রাও অত্যন্ত বেশি (AAPs Powerplay)। সব মিলিয়ে এই মন্ত্রীরা এই দু’বছরে বিদ্যুৎ খরচ করেছেন ১.১৫ কোটি টাকার। আরটিআইয়ের তথ্য অনুসারে, শিক্ষামন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়ার মথুরা রোডের বাসভবনে ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ পর্যন্ত ১,২৬,৭৪৯.৭৫ ইউনিটের জন্য বিদ্যুৎ বিল দেওয়া হয়েছে ১৪ লাখ ৯৫ হাজার ৭২২ টাকা। একই সময়ে জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন মন্ত্রী গোপাল রাইয়ের বাড়ির ১,৬১,৮৮৩.১৪ ইউনিট বিদ্যুৎ বিল বাবদ দিতে হয়েছে ২১ লাখ ৭২ হাজার ৭০০ টাকা। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ৮, রাজ নিবাস মার্গের বাসভবনে ৬৮,৫৮১.৪৬ ইউনিটের জন্য বিদ্যুৎ বিল হয়েছে ১০ লাখ ৫৩ হাজার ৫২০ টাকা।

    বিতর্কের কেন্দ্রে ‘শিশমহল’

    কেজরিওয়ালের ‘শিশমহল’ আগেই বিতর্কের কেন্দ্রে চলে এসেছিল। প্রাক নির্বাচনী পর্বেও বিজেপির প্রচারের অন্যতম হাতিয়ার ছিল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর এই সরকারি বাসভবনটিই। এই বিল্ডিংয়েই রয়েছে দামি দামি সব আসবাবপত্র, উচ্চমানের সরঞ্জাম এবং আড়ম্বরপূর্ণ সজ্জা। এসবের জন্যই খরচ করা হয়েছিল কোটি কোটি টাকা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এটি কেজরিওয়ালের স্বঘোষিত মিতব্যয়ী এবং স্বচ্ছ শাসনের পক্ষের নেতার ভাবমূর্তির পুরোপুরি বিপরীত। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিদ্যুৎ বিল এবং আপ মন্ত্রীদের সামগ্রিক বিদ্যুৎ ব্যবহারের চমকপ্রদ বিবরণ গুরুতর উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। কারণ দলের মিতব্যয়িতার নীতির প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি বিপরীত এটি। শিশমহলে বিলাসবহুল সংস্কারের অভিযোগ এবং এখন প্রচুর বিদ্যুৎ খরচের কারণে, দলের স্বচ্ছতা এবং আর্থিক দায় এখন নজরদারির মধ্যে রয়েছে। এমন বিতর্ক চলতে থাকায়, নাগরিক এবং রাজনৈতিক বিরোধীরা এক সঙ্গে আপ নেতৃত্বের ব্যয় সংক্রান্ত বিবরণ সম্পর্কে আরও পরিষ্কার উত্তরের দাবি জানাচ্ছেন (AAPs Powerplay)।

    বিজেপির বাক্য-বাণ

    আরটিআই রিপোর্টের উদ্ধৃতি দিয়ে বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র শাহজাদ পুনাওয়ালা বলেন, “আপ মোটেও সাধারণ মানুষের জন্য নয়।” এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “অবশেষে এতটা ‘আম’ (সাধারণ) নয়? আরটিআই উত্তরের অনুযায়ী, অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) অক্টোবর ২০২২ থেকে অক্টোবর ২০২৪ পর্যন্ত দুবছরের মধ্যে ₹৪১.৫১ লক্ষ মূল্যের বিদ্যুৎ ব্যবহার করেছেন। প্রতিদিনের আনুমানিক বিল ₹৫,৭০০, দৈনিক ৭৭০+ ইউনিট খরচের জন্য। সাধারণ মানুষ মাসে প্রায় ২৫০-৩০০ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ করে! এটাই ছিল কেজরিওয়ালের প্রকৃত চেহারা।” আপ সুপ্রিমোকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “কেজরিওয়ালের নাম পরিবর্তন করে বিজলিওয়াল রাখা উচিত। বিজেপির এই নেতা বলেন, বিজলিওয়ালের দৈনিক খরচ একজন সাধারণ মানুষের মাসিক খরচের তিনগুণ বেশি।”

    গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, কেজরিওয়াল বাসভবনটি সংস্কারের জন্য ৪৫ কোটি টাকা খরচ করেছিলেন। তারপরেই বিজেপি বাসভবনের নামকরণ করেছিল শিশমহল। পুনাওয়ালা বলেন, “২ বছরে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে খরচ হয়েছে ৫ লাখ ৬০ হাজার ইউনিট বিদ্যুৎ।” মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে কতগুলি এসি চালানো হচ্ছিল? এ প্রশ্ন তুলে বিজেপির মুখপাত্র বলেন, “কেজরিওয়ালের বাসভবনের এক দিনের বিল (Arvind Kejriwal) সাধারণ মানুষের এক মাসে ব্যবহৃত বিদ্যুৎ বিলের চেয়েও বেশি। এটা কি খুব বেশি বিদ্যুৎ খরচ নয়? তিনি অনেক টাকা নষ্ট করেছেন (AAPs Powerplay)।”

  • Kumbh Mela: বুধবার মহাকুম্ভে শেষ অমৃতস্নান, ডুব দিতে পারেন ১ কোটি ভক্ত, বিশেষ ব্যবস্থা যোগী সরকারের

    Kumbh Mela: বুধবার মহাকুম্ভে শেষ অমৃতস্নান, ডুব দিতে পারেন ১ কোটি ভক্ত, বিশেষ ব্যবস্থা যোগী সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার শেষ হচ্ছে মহাকুম্ভ (Kumbh Mela)। ওই দিনই হতে চলেছে মহা শিবরাত্রির (Shiv Ratri Snan) অমৃতস্নান। উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত অনুমান করা হচ্ছে, মহা শিবরাত্রি উপলক্ষে এক কোটিরও বেশি ভক্ত সমাগম হতে পারে। এই বিরাট তীর্থযাত্রীদের ব্যবস্থাপনার জন্য সর্বক্ষণ নিরন্তর কাজ করে চলেছে যোগী আদিত্যনাথ সরকার। প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে যে আজ মঙ্গলবার বিকাল থেকেই কুম্ভমেলার এলাকার আশেপাশে সমস্ত অঞ্চলকে যানবাহন মুক্ত করা হবে। ঢুকতে দেওয়া হবে না কোনও গাড়ি। উত্তরপ্রদেশ সরকার আরও জানিয়েছে যে ১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া মহাকুম্ভে এখনA পর্যন্ত পুণ্যস্নান সেরেছেন ৬৪ কোটি ভক্ত।

    সম্পন্ন হয়েছে ৫টি অমৃতস্নান (Kumbh Mela)

    প্রসঙ্গত, এখনও পর্যন্ত মোট পাঁচটি অমৃত স্নান হয়েছে। ১৩ জানুয়ারি, ১৪ জানুয়ারি, ২৯ জানুয়ারি, ৩ ফেব্রুয়ারি, ১২ ফেব্রুয়ারি। ২৬ ফেব্রুয়ারি হতে যাচ্ছে শেষ অমৃতস্নান। দেশ জুড়ে চরম উন্মাদনা দেখা গিয়েছে এনিয়ে। ট্রেন বিমান সড়কপথে গোটা ভারত যেন প্রয়াগরাজমুখী হয়ে গিয়েছে। এজন্য বিশেষ ব্যবস্থাও নিচ্ছে যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসন।

    বিশেষক্ষেত্রে ছাড় (Kumbh Mela)

    মঙ্গলবার বিকাল চারটে থেকেই প্রশাসন অভিযানে নামবে এবং যানবাহন মুক্ত করা হবে মেলা (Kumbh Mela) প্রাঙ্গণকে। যে সমস্ত যানবাহনের ক্ষেত্রে পাস থাকবে সেগুলিকেই নির্দিষ্ট এলাকার পার্কিং করার অনুমতি দেওয়া হবে। উত্তরপ্রদেশের পুলিশ জানিয়েছে, দুধ, শাকসবজি, ওষুধ, জ্বালানি, জরুরি যানবাহন এগুলির ক্ষেত্রে কোনও বিধি নিষেধ থাকবে না। এর পাশাপাশি ডাক্তার, পুলিশকর্তা এবং প্রশাসনিক কর্মীদেরও অবাধ চলাচল থাকবে।

    মহাকুম্ভকে কেন্দ্র করে বেড়েছে অর্থনীতি

    ১৪৪ বছর পর প্রয়াগরাজে অনুষ্ঠিত হচ্ছে মহাকুম্ভ। এই মহাকুম্ভে ডুব দিয়েছেন বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধান থেকে কূটনীতিক। বলিউড থেকে শিল্পপতি। দেশের রাজনৈতিক নেতা থেকে ক্রীড়া জগতের বিখ্যাত ব্যক্তিত্বরা। প্রতিদিনই সারা ভারত যেন প্রয়াগরাজের অভিমুখে এগিয়ে চলেছে। এই আবহে মহাকুম্ভের অর্থনৈতিক দিকটি সামনে এসেছে। কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স (CAIT) একটি সমীক্ষা চালিয়েছে এবং সেখানে জানানো হয়েছে যে পৃথিবীর বৃহত্তম এই যে ধর্মীয় সমাবেশ অর্থাৎ মহাকুম্ভ এখানেই বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী বিক্রি করে ও পরিষেবা দিয়ে আনুমানিক তিন লক্ষ কোটি টাকারও বেশি ব্যবসা হতে যাচ্ছে।

  • PM Modi: “যারা পশুখাদ্যও খেয়ে ফেলে, তারা দেশের কৃষকদের কল্যাণ করতে পারে না,” বললেন মোদি

    PM Modi: “যারা পশুখাদ্যও খেয়ে ফেলে, তারা দেশের কৃষকদের কল্যাণ করতে পারে না,” বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যারা পশুর জন্য তৈরি খাদ্যও খেয়ে ফেলে, তারা দেশের কৃষকদের কল্যাণ নিয়ে ভাবতে পারে না।” সোমবার বিহারের ভাগলপুরের এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে ঠিক এই ভাষায়ই রাষ্ট্রীয় জনতা দল সুপ্রিমো তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবকে (Lalu Yadav) নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন অবশ্য লালুর নাম মুখেও আনেননি প্রধানমন্ত্রী। তবে তাঁর চাঁদমারি যে লালুই, তা বুঝতে বাকি থাকেনি উপস্থিত দর্শকদের।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী? (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কেন্দ্র ও বিহার উভয় জায়গায়ই এনডিএ সরকার সর্বদা কৃষকদের কল্যাণকে অগ্রাধিকার দেয়। এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে সারা দেশের আমার কৃষক ভাইবোনেরা প্রধানমন্ত্রী কিষান নিধির সুবিধা পেতেন না। গত ছ’বছরে কিষান প্রকল্পের প্রতিটি পাই-পয়সা সরাসরি কৃষকদের অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে।” এর পরেই লালুকে আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, “যারা পশুখাদ্যও খেয়ে ফেলে, তারা এ দেশের কৃষকদের কল্যাণ সম্পর্কে ভাবতে পারে না।”

    কৃষি রফতানি বেড়েছে

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের প্রচেষ্টার কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ভারতের কৃষি রফতানি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের ভালো দাম পেতে পারছেন। এ বছরের বাজেটে সরকার একটি মাখানা বোর্ড তৈরির কথা ঘোষণা করেছে, যা শীঘ্রই বাস্তবায়িত হবে।” মহাকুম্ভ নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছেন লালু। তিনি বলেছিলেন, “ফালতু হ্যায় কুম্ভ।” এদিন তারও তীব্র সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। তিনি বলেন, “যাঁরা জঙ্গলরাজে বিশ্বাসী, তাঁরা আমাদের ঐতিহ্য ও বিশ্বাসকে ঘৃণা করেন।”

    তিনি বলেন, “আমি আশাবাদী, প্রয়াগরাজে অনুষ্ঠিত মহাকুম্ভ সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্যকারীদের বিহারবাসী কখনও ক্ষমা করবেন না।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ইউরোপের মোট জনসংখ্যার চেয়েও বেশি মানুষ এই মহাকুম্ভ পবিত্র স্নান করেছেন। কিন্তু জঙ্গলরাজের প্রতিনিধিরা এই পবিত্র অনুষ্ঠানের সমালোচনা করছেন। যারা রাম মন্দিরের বিরোধী, তারা মহাকুম্ভকে অপমান করার প্রতিটি সুযোগ নিচ্ছে। আমি নিশ্চিত যে বিহারের জনগণ এই পবিত্র অনুষ্ঠানের বিরোধীদের কখনও ক্ষমা করবেন না।” তিনি বলেন, “বর্তমানে প্রয়াগরাজে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঐক্যের মহাকুম্ভ (Lalu Yadav)। এটি ভারতের বিশ্বাস, ঐক্য ও সম্প্রীতির সর্ববৃহৎ উদযাপনকে উপস্থাপন করে (PM Modi)।”

  • PM Modi: মাখনা তাঁর ফিটনেসের রহস্য, নিজেই ফাঁস করলেন মোদি, জানেন এই খাদ্যের উপকারিতা?

    PM Modi: মাখনা তাঁর ফিটনেসের রহস্য, নিজেই ফাঁস করলেন মোদি, জানেন এই খাদ্যের উপকারিতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাখনাকে ‘সুপারফুড’-এর তকমা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। জানালেন, ছিয়াত্তর বছর বয়সেও তাঁর ঝলমলে ও ফিট স্বাস্থ্যের অন্যতম কারণ মাখনা (Makhana)। বছরে কমপক্ষে ৩০০ দিন পুষ্টিগুণ সম্পন্ন এই মাখনা খান তিনি। দাবি করেন, গোটা বিশ্বের জন্যই স্বাস্থ্যকর মাখনার উৎপাদন জরুরি।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    রবিবার ভাগলপুরের সভায় মোদি জানান, আজ গোটা ভারত জলখাবারে মাখনা খচ্ছে। এদিন মাখনার (Makhana) মালা দিয়েই প্রধানমন্ত্রীকে (PM Modi) স্বাগত জানান স্থানীয় বিজেপি নেতারা। ভাষণে মোদি বলেন, “আজ গোটা দেশের শহরগুলিতে জলখাবারের অন্যতম অংশ হয়ে উঠেছে মাখনা। কেন্দ্রীয় বাজেটে মাখনা বোর্ডের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। মাখনা এবার গোটা বিশ্বের খাদ্য বাজারকে শাসন করবে।”

    কোথায় কোথায় হয় মাখনার উৎপাদন

    পদ্ম ফুলের বীজ থেকেই তৈরি হয় মাখনা। কেউ কেউ আবার একে ফক্স নাট বলেও ডাকেন। মূলত, বিহারের মিথিলা এলাকায় তিন জেলা জুড়ে বিস্তীর্ণ এলাকায় চাষ হয় মাখানা। এই চাষের জন্য জলাজমি দরকার হয়। দেশে ধীরে ধীর এই মাখানার জনপ্রিয়তা বাড়ছে। ভারতে তৈরি মাখনা সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয়, আমেরিকা, কানাডা, ইউকে, অস্ট্রেলিয়া, আমিরশাহি। কারণ এই সমস্ত জায়গায় বহু প্রবাসী ভারতীয়ের বাস রয়েছে। গত ২ দশক ধরে এই মাখনা বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।

    বাজেটে মাখনা বোর্ড গঠন

    চলতি বাজেটে বিহারে মাখনা বোর্ড গঠনের কথা বলেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। লক্ষ্য হল মাখনার (Makhana) উৎপাদন বৃদ্ধি এবং বিপুল হারে মাখনার বাণিজ্য থেকে অর্থ উপার্জন। উল্লেখ্য, বিহার দেশের ৮০ শতাংশ মাখনা উৎপাদন হয়। যদিও বিশ্বজুড়ে এর চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদন ও বাণিজ্যে যথেষ্ট কম। সেই কারণেই বোর্ড গঠনের ভাবনা কেন্দ্রের। তিনি জানান, ‘মাখনা চাষিদের ট্রেনিং দেওয়া হবে, এবং নিশ্চিত করা হবে, তাঁরা যাতে সমস্ত সরকারি স্কিমের সুবিধা পান।’ আইএমএআরসি অনুযায়ী, মাখনা ২০২৩ সালে ভারতের মাখনা মার্কেটের দর ৭.৮ বিলিয়ন ছিল। ২০২২ সালের এপ্রিলে জিআই ট্যাগ পেয়েছে ‘মিথিলা মাখনা’। ধীরে ধীরে মিথিলা অঞ্চল থেকে মাখানার চাষ কোশী উপত্যকায় ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে সাহারসা, সুপৌলেও চাষ চলছে মাখনার। বিহারের পূর্ণিয়া, কাটিহার, আরারিয়া, কিষাণগঞ্জ জেলাতেও চলছে এই মাখনার চাষ।

    মাখনার উপকারিতা

    মাখনা (Makhana) বা পদ্মবীজ অনেকেই ডায়েট চার্টে রেখে থাকেন। বলা হচ্ছে, এটি ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, ফসফরাসের উৎস। এরমধ্যে উচ্চ পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্টস থাকে। বহু গবেষণার দাবি, হার্টের সমস্যা থাকলে, মাখানা উপকার দিয়ে থাকে। থাকে অ্যান্টি এজিং প্রপার্টি। ওজন কমাতেও এটি সাহায্য করে থাকে। অনেকেই মাখনা ভেজে বা সেঁকে মুড়ি কিম্বা ভেলপুরীর সঙ্গে খান। আবার অনেকে ডালে মাখনা দিয়ে থাকেন। অনেকে স্ন্যাকস হিসাবেও মাখনা খান। বিশেষজ্ঞরা জানান, মাখনা শুধু খেতেই ভালো এমন নয় কিন্তু। এর অনেক উপকারিতা রয়েছে।

    ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামে ভরপুর

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মাখনায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে উপকারী উপাদান। স্বাস্থ্যের নানা ঘাটতি পূরণ করতে এর জুড়ি মেলা ভার। এতে থাকা ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন এবং ফসফরাস, ক্যালশিয়াম হাড় মজবুত রাখতে সাহায্য করে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। পেশি সচল রাখে। স্নায়ুর নানা সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

    অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস ভর্তি

    মাখনায় (Makhana) রয়েছে ভরপুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস। স্ট্রেস থেকে নানা মানসিক সমস্যা দূরে রাখতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নিয়মিত খাবাররে তালিকায় মাখনা রাখলে বিভিন্ন জটিল অসুখ দূরে থাকে। বিভিন্ন প্রকার হৃদরোগ, ক্যানসার, টাইফ টু ডায়াবিটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

    রক্তে শর্করার মাত্রা

    রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে মাখনা। তেমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। যাঁদের মধুমেহ রোগ রয়েছে, তাঁদের জন্য তো অবশ্যই দারুণ উপকারী। এছাড়াও, যাঁদের মধুমেহ নেই, তাঁরা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত খাবারের তালিকায় রাখতে পারেন।

    ওজন কমাতে সাহায্য করে

    ওজন কমানোর জন্য অনেকেই মাখনা খেয়ে থাকেন। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অনেক সময়ই অহেতুক খিদে পাওয়ার কারণে শরীরে অবাঞ্ছিত মেদ জমা হয়। মাখনা (Makhana) এই অহেতুক খিদে পাওয়াকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। পাশাপাশি এতে থাকা ফাইবার হজমশক্তি উন্নত করে। শরীরে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না মাখনা। ত্বক সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। ত্বকে টানটান ভাব বজায় রাখে, ত্বক উজ্জ্বল করে। হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রেখে বিভিন্ন প্রকার হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে মাখনা। হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক এবং আরও অন্যান্য হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

  • Mahakumbh: মহাকুম্ভে একসঙ্গে মহাস্বচ্ছতা অভিযান ১৫ হাজার সাফাই কর্মীর, তৈরি হল বিশ্বরেকর্ড

    Mahakumbh: মহাকুম্ভে একসঙ্গে মহাস্বচ্ছতা অভিযান ১৫ হাজার সাফাই কর্মীর, তৈরি হল বিশ্বরেকর্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ইভেন্টে পরিণত হয়েছে মহাকুম্ভ (Mahakumbh)। মহা শিবরাত্রি পর্যন্ত ৬০ কোটি মানুষ এখানে পবিত্র স্নানে অংশগ্রহণ করবেন বলে অনুমান উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের। ঢেলে সাজানো হয়েছে কুম্ভ মেলার নিরাপত্তা থেকে শুরু করে সমস্ত রকম ব্যবস্থা। ইতিমধ্যে ঘন ঘন মহাকুম্ভস্থল পরিদর্শন করেছেন যোগী সরকারের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। ১৪৪ বছর পরে সম্পন্ন হওয়া মহাকুম্ভ প্রতিদিনই নতুন নতুন রেকর্ড তৈরি করছে। যেমন গত সোমবারে মহাকুম্ভ স্পর্শ করে এক নয়া রেকর্ড। সোমবার, ১৫ হাজার সাফাই কর্মী একসঙ্গে মহাকুম্ভস্থল পরিষ্কার করতে মাঠে নামেন। আর এই ইভেন্টই নাম তুলে ফেলে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে। জানা গিয়েছে এর আগে এক সঙ্গে এত সাফাই কর্মীর স্বচ্ছ অভিযানের রেকর্ড (Guinness World Record) ছিল কুম্ভমেলারই। ২০১৯ সালে যে অর্ধ কুম্ভ হয়েছিল, তখন একসঙ্গে ১০ হাজার সাফাই কর্মী স্বচ্ছতা অভিযানে নামেন।

    লন্ডন থেকে এসেছিলেন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের কর্তারা

    এ নিয়ে প্রয়াগরাজের মেয়র গণেশ কেসারওয়ানি, মহাকুম্ভের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা আকাঙ্খা রানা গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের কর্তাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে বৈঠক করেন। প্রসঙ্গত, গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের তরফ থেকে লন্ডন থেকে পাঠানো হয় ঋষি নাথকে এবং তিনি এই মহাকুম্ভের ১৫ হাজার সাফাই কর্মীর একসঙ্গে স্বচ্ছতা অভিযানকে খতিয়ে দেখেন।

    চারটি জায়গায় হয় স্বচ্ছতা অভিযান (Mahakumbh)

    প্রসঙ্গত, স্বচ্ছ মহাকুম্ভ অভিযান যোগী আদিত্যনাথ নেতৃত্বাধীন সরকারের এক বড় পদক্ষেপ। এটি বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বড় স্বচ্ছতা অভিযান হিসেবে উঠে এল। এই স্বচ্ছতা অভিযানে (Mahakumbh) সাফাই কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন এবং তাঁদেরকে নির্দেশ দিতে দেখা যায় গঙ্গা সেবা দূত এবং সেক্টর এর দায়িত্বে থাকা ম্যাজিস্ট্রেটদের। সাফাই কর্মীদের এই স্বচ্ছতা অভিযান চলে মহাকুম্ভের দুই নম্বর সেক্টরের হেলিপ্যাডে, সালোরি নাগবাসুকি ক্ষেত্র, আড়াইল এবং ঝুন্সি ক্ষেত্রে।

    কী জানালেন উত্তরপ্রদেশ সরকারের মন্ত্রী

    এ বিষয়ে উত্তরপ্রদেশ সরকারের শহর পরিকল্পনা ও শক্তি বিষয়ক মন্ত্রী একে শর্মা জানিয়েছেন যে মহাকুম্ভ (Mahakumbh) ইতিমধ্যে পরিণত হয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ধর্মীয়, আধ্যাত্মিক এবং সাংস্কৃতিক ইভেন্টে। এই এত বড় কর্মযজ্ঞের পিছনে আসল হিরো হলেন সাফাই কর্মীরা। তাঁরাই এবার সফল হলেন গিনেস ওয়ার্ল্ডে নাম তুলে।

  • Indian Army: সামরিক শক্তিতে বিশ্বে চতুর্থ ভারত! পাকিস্তান, বাংলাদেশের স্থান কত নম্বরে?

    Indian Army: সামরিক শক্তিতে বিশ্বে চতুর্থ ভারত! পাকিস্তান, বাংলাদেশের স্থান কত নম্বরে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় শক্তিশালী সামরিক বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ। শুধু দেশের সুরক্ষাই নয়, অন্য দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা এবং বিশ্বমঞ্চে নিজের প্রভাব বিস্তারেও সামরিক শক্তি অন্যতম বিবেচ্য বিষয়। এজন্যই বিশ্বের প্রতিটি দেশ তার সামরিক শক্তি প্রতিনিয়ত বাড়ানোর চেষ্টা করে থাকে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষণ করে প্রতি বছর একটি তালিকা প্রকাশ করে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের ২০২৫ সালের রিপোর্টে বিশ্বের চতুর্থ শক্তিধর সামরিক বাহিনীর তালিকায় চার নম্বরে আছে ভারত (Indian Army)। দিল্লির থেকে বেশ কয়েক কদম পিছনে রয়েছে ইসলামাবাদ।

    প্রতিরক্ষায় জোর কেন্দ্রের

    সাম্প্রতিক সময়ে ঘরের মাটিতে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম নির্মাণে জোর দিয়েছে কেন্দ্র। ‘হাইপারসোনিক’ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা করেছে প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও। এ ছাড়া অত্যাধুনিক ড্রোন প্রযুক্তিতেও উন্নতি লক্ষ করা গিয়েছে। ভারত মহাসাগরীয় এলাকায় শক্তি বৃদ্ধি করতে একের পর এক রণতরী এবং ডুবোজাহাজ নৌবাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছে সরকার। পাশাপাশি সবাইকে চমকে দিয়ে গত দু’বছরে পরমাণু অস্ত্রের সম্ভারও বাড়িয়েছে ভারত। চিন এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা বাড়ানোর জন্য ভারত তার প্রতিরক্ষা বাজেট (৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) বৃদ্ধি করেছে। ভারত তেজস যুদ্ধবিমান, ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র এবং উন্নত বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মতো দেশীয় অস্ত্র তৈরির উপর মনোযোগ দিয়েছে। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার ইনডেক্সে যুক্তরাষ্ট্রের পাওয়ার ইনডেক্স ০.০৭৪৪, রাশিয়ার ০.০৭৮৮, চিনের ০.০৭৮৮ এবং ভারতের ০.১১৮৪। এরপরের স্থানগুলোতে দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জাপান, তুরস্ক এবং ইতালি রয়েছে।

    কয়েক ধাপ পিছনে পাকিস্তান

    আগেরবারও এই তালিকায় ভারত (Indian Army) চার নম্বরেই ছিল। শুধু ২০২৪ সালে নয়, ২০০৬ সাল থেকেই লাগাতার চতুর্থ স্থানে আছে ভারত। ২০০৫ সালে ভারত পঞ্চম স্থানে ছিল। আর সেই বছর যে দেশ চতুর্থ স্থানে ছিল, সেই পাকিস্তান ২০২৫ সালে ১২ নম্বরে নেমে গিয়েছে। গত বছর ছিল নয় নম্বরে। অন্যদিকে এবার সামরিক শক্তির নিরিখে বিশ্বে ৩৫ নম্বরে আছে বাংলাদেশ। তালিকায় পাকিস্তানের পিছিয়ে পড়ার নেপথ্যে কয়েকটি কারণের কথা বলেছেন বিশ্লেষকেরা। এর মধ্যে অন্যতম হল ইসলামাবাদের আর্থিক দুরবস্থা। প্রায় দেউলিয়া হওয়ার মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে ভারতের পশ্চিম পারের প্রতিবেশী। এ ছাড়া হাতিয়ারের ব্যাপারে অত্যধিক চিনা নির্ভরতা রয়েছে রাওয়ালপিন্ডির সেনাকর্তাদের।

    এক নম্বরে আমেরিকা

    বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ের নিরিখে অবশ্য এক নম্বর স্থানটি ধরে রেখেছে আমেরিকা। ২০০৫ সাল থেকে চলা ‘গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারে’র তালিকায় এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের ধারেকাছে নেই অন্য কোনও দেশ। পাওয়ার ইনডেক্স ২০২৫-এ ওয়াশিংটনের প্রাপ্ত পয়েন্ট ০.০৭৪৪। সমীক্ষকদের দাবি, আমেরিকার হাতে রয়েছে ২১ লক্ষ ২৭ হাজার ৫০০ সৈনিকের এক বিশাল বাহিনী। দেশের বাইরে অন্তত ১০০টি সেনাঘাঁটি রয়েছে ওয়াশিংটনের। সেখান থেকে বিশ্বের যে কোনও জায়গায় আক্রমণ শানানোর ক্ষমতা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। ২০২৩-’২৪ আর্থিক বছরে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ৭৫ হাজার কোটি ডলার খরচ করেছে আটলান্টিকের পারের এই ‘সুপার পাওয়ার’।

    ভারত-পাকিস্তান-বাংলাদেশের সামরিক শক্তি

    স্থলভাগে অস্ত্রভাণ্ডার

    ভারত: গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের হাতে ৪,২০১টি ট্যাঙ্ক আছে। গাড়ি আছে ১,৪৮,৫৯৪টি। সেলফ-প্রপেলড আর্টিলারির সংখ্যা হল ১০০। আর ২৬৪টি মাল্টিপল লঞ্চ রকেট সিস্টেম (এমএসআরএস) আছে ভারতের হাতে।

    পাকিস্তান: ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তানের ট্যাঙ্কের সংখ্যা হল ২,৬২৭। ১৭,৫১৬টি গাড়ি আছে। সেলফ-প্রপেলড আর্টিলারি ৬৬২টি রয়েছে। মাল্টিপল লঞ্চ রকেট সিস্টেমের (এমএসআরএস) সংখ্যা হল ৬০০।

    বাংলাদেশ: বাংলাদেশের কাছে ৩২০টি ট্যাঙ্ক আছে বলে ওই রিপোর্টে জানানো হয়েছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, ১১,৫৮৪টি গাড়ি আছে। সেলফ-প্রপেলড আর্টিলারি আছে ৫৬টি। রকেট আর্টিলারি ১১০টি রয়েছ।

    আকাশপথে অস্ত্রভাণ্ডার

    ভারত: মোট এয়ারক্রাফটের সংখ্যা হল ২,২২৯। যুদ্ধবিমান আছে ৫১৩টি। আবার ৮৯৯টি হেলিকপ্টার আছে। আবার অ্যাটাক হেলিকপ্টারের সংখ্যা হল ৮০।

    পাকিস্তান: পাকিস্তানের হাতে মোট ১,৩৯৯টি এয়ারক্রাফট আছে। যুদ্ধবিমানের সংখ্যা হল ৩২৮। হেলিকপ্টার আছে ৩৭৩টি। অ্যাটাক হেলিকপ্টারের সংখ্যা হল ৫৭।

    বাংলাদেশ: বাংলাদেশের হাতে ২১৪টি এয়ারক্রাফট আছে। যুদ্ধবিমানের সংখ্যা হল ৪২। হেলিকপ্টার মাত্র ৬৫টি আছে। কোনও অ্যাটাক হেলিকপ্টার নেই।

    জলপথে অস্ত্রভাণ্ডার

    ভারত: গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের হাতে ২৯৩টি ‘অ্যাসেট’ আছে। এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ারের সংখ্যা হল দুই। ডেস্ট্রয়ার আছে ১৩টি। ১৪টি ফ্রিগেট আছে। সাবমেরিন আছে ১৮টি। প্যাট্রোলিং ভেসেলের সংখ্যা হল ১৩৫।

    পাকিস্তান: পাকিস্তানর ‘অ্যাসেট’-র সংখ্যা হল ১২১টি। একটিও এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার এবং ডেস্ট্রয়ার নেই পাকিস্তানের কাছে। ন’টি ফ্রিগেট, আটটি সাবমেরিন এবং ৬৯টি প্যাট্রোলিং ভেসেল আছে পাকিস্তানের হাতে।

    বাংলাদেশ: গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশের হাতে ১১৮টি ‘অ্যাসেট’ আছে। ফ্রিগেটের সংখ্যা সাত। সাবমেরিনের সংখ্যা দুটি। ৬১টি প্যাট্রোলিং ভেসেল আছে। আর পাকিস্তানের মতো একটিও এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার এবং ডেস্ট্রয়ার নেই বাংলাদেশের হাতে।

  • ICC Champions Trophy: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থাকে কার্যত বিদায় পাকিস্তানের, ভারতের জয়ে উৎসব বারামুলায়

    ICC Champions Trophy: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থাকে কার্যত বিদায় পাকিস্তানের, ভারতের জয়ে উৎসব বারামুলায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোহলির শট বাউন্ডারি পেরোতেই উচ্ছ্বসিত উপত্যকা। কলকাতা, দিল্লি, মুম্বইয়ের মতোই আকাশে আতশবাজির রোশনাই বারামুলায়। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (ICC Champions Trophy) পাকিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছে ভারত। প্রথমবারের মতো, আর্টিকেল ৩৭০ বাতিলের পর,ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ দেখল উপত্যকাবাসী। ভারত জিততেই বারামুলা শহর উৎসবের সুরে ভরে ওঠে, যা জম্মু এবং অন্যান্য অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়ে। এই জয় শুধুমাত্র ভারতের ক্রিকেট দক্ষতার নয়, বরং আর্টিকেল ৩৭০ বাতিলের পর কাশ্মির উপত্যকায় পরিবর্তিত মনোভাবের প্রতীকও হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    চির প্রতিদ্বন্দ্বি পাকিস্তান

    ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই উত্তেজনা তুঙ্গে। শুরুতে দুবাইয়ের গ্যালারির কিছু অংশ ফাঁকা থাকলেও পরে তা ভরে যায়। ২৯ বছর পরে কোনও আইসিসি (ICC Champions Trophy) টুনার্মেন্ট পাকিস্তানে, অথচ ‘চিরশত্রু’ প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে ম্যাচটাই করাচি বা লাহোরের বদলে দুবাইয়ে। এতেই শেষ হচ্ছে না দুর্ভোগ। করাচিতে প্রথম ম্যাচে নিউ জিল্যান্ডের কাছে হারের পরে, রবিবারও রোহিতদের কাছে হেরে টুর্নামেন্ট থেকেই ছুটি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা মহম্মদ রিজওয়ানদের। লাহোর থেকে করাচি, ক্ষোভের আগুন জ্বলছে ধিকিধিকি। অন্যদিকে ওয়াঘার এপারে খুশির হাওয়া। আট বছর আগে ইংল্যান্ডের মাটিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ওভালে ভারতকে হারিয়ে জিতেছিল পাকিস্তান। ২০১৭ সালের সেই ম্যাচের বদলা নিল ভারত। এ বারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকেই প্রায় ছিটকে যাওয়ার অবস্থা পাকিস্তানের। প্রথমে ব্যাট করে ২৪১ রান করেছিল পাকিস্তান। বিরাট কোহলির শতরানে ৪৫ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে জিতল ভারত।

    ভারতের জয়েই খুশি উপত্যকা

    বারামুলায় এদিন জয় উদযাপন ছিল এক উজ্জ্বল প্রদর্শন। বিশেষত যুবক-যুবতীদের মধ্যে জাতীয় গর্ব এবং উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। যখন আকাশে রঙিন আতশবাজি ফোটে এবং চারপাশে আতশবাজির শব্দ ভেসে আসে, তখন শহরটা জীবন্ত হয়ে ওঠে। বারামুলার মানুষের জন্য, এই জয় শুধু ভারতীয় ক্রিকেট দলের মাঠে সাফল্য নয়, বরং এক বৃহত্তর গর্ব এবং ঐক্যের প্রতীক। “এটি এক অবিস্মরণীয় মুহূর্ত, বন্ধুদের সঙ্গে উদযাপন করতে পারা এক বিশেষ অনুভূতি,” বলেন এক স্থানীয় যুবক, যার মুখ আলোয় ঝলমল করছে। “ক্রিকেট আমাদের জন্য শুধু খেলা নয়; এটি আমাদের একসাথে নিয়ে আসে।”

    কিং কোহলিতে মুগ্ধ

    এক দিনের ক্রিকেটে ৫১ নম্বর শতরান করে ফেললেন কোহলি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তাঁর ১১১ বলে করা শতরান বুঝিয়ে দিল কেন তিনি বড় ম্যাচের খেলোয়াড়। ম্যাচ জেতানো বাউন্ডারিতেই শতরান পূর্ণ কোহলির। সেই শতরান করে হাত নেড়ে বুঝিয়ে দিলেন, তিনি আছেন, স্বমহিমাতেই আছেন। কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর সারা দেশ রাজকীয় এই ইনিংসকে তাড়িয়ে উপভোগ করে। যে কাশ্মীরকে এতদিন ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন বলে মনে করা হত। প্রধানমন্ত্রী মোদির জমানায় সেই কাশ্মীরে দাঁড়িয়েই বিরাট-রোহিতদের জয় উদযাপন করল উপত্যকাবাসী। এই জয় আর্টিকেল ৩৭০ বাতিলের পর উপত্যকাবাসীর মনের অবস্থা পরিবর্তনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত দিল।

    ক্রিকেটই মেলবন্ধন, পরিবর্তিত কাশ্মীরের ছবি

    ভারতীয় সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৭০ অনুসারে জম্মু ও কাশ্মীর যে বিশেষ মর্যাদা পেত, ২০১৯ সালের ৫ অগস্ট তার বিলোপ ঘটায় কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। তারপর থেকেই কাশ্মীরে এসেছে পরিবর্তনের জোয়ার। পরিবর্তিত কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতা নয় মেলবন্ধনই প্রাধান্য পায়। তৈরি হয়েছে নয়া রেলপথ। যা জম্মুকে যুক্ত করেছে বারামুলার সঙ্গে। এখন কাশ্মীরে ভারতের পতাকা ওড়ানো অপরাধ নয়। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে এখন রোহিত-বিরাটদের হয়েই গলা ফাটায় কাশ্মীর। যার প্রতিফলন ঘটেছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (ICC Champions Trophy) ভারতের জয়ের পর বারামুলার উচ্ছ্বাসে। ক্রিকেটকে কেন্দ্র করেই কাশ্মীরের স্থানীয় যুবকদের মধ্যে যে নতুন এক সম্প্রদায়ভিত্তিক অনুভূতি গড়ে উঠেছে। এটি মুহূর্তের উৎসব নয়, বরং কাশ্মীরের রাজনৈতিক-সামাজিক পরিবর্তনের একটি চিহ্ন।

  • PM Modi: “পরীক্ষা চলছে, তাই দেরি হয়ে গেল”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “পরীক্ষা চলছে, তাই দেরি হয়ে গেল”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’দিনব্যাপী ইনভেস্ট এমপি গ্লোবাল ইনভেস্টর সামিট ২০২৫-এর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। মধ্যপ্রদেশের ভোপালে (Bhopal) হচ্ছে ওই সম্মেলন। এখানে অন্তত ৬০টি দেশের উদ্যোক্তাদের স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী। সোমবার সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন তিনি। ১৫ মিনিট দেরিতে পৌঁছনোর জন্য দুঃখপ্রকাশও করেন।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    তিনি জানান, রাজভবন থেকে তাঁর রওনা হওয়ার সময়সূচি আজ অনুষ্ঠিত দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার সময়ের সঙ্গে মিলে যাওয়ায় এই অসুবিধা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গতকাল এখানে পৌঁছে জানলাম, আজ দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা রয়েছে। পরীক্ষার সময় ও রাজভবন থেকে আমার রওনা হওয়ার সময় এক সঙ্গে পড়ে যাচ্ছিল।” তিনি বলেন, “আমার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে গিয়ে রাস্তাগুলি বন্ধ থাকবে। তাতে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে অসুবিধা হবে। এই অসুবিধা এড়ানোর জন্য, শিক্ষার্থীরা যাতে সময়ে তাদের পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে পারে, আমি ভেবেছিলাম সব শিক্ষার্থী তাদের পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছনোর পরেই আমি রাজভবন থেকে রওনা হব। তাই আমি সচেতনভাবে আমার যাত্রার সময় ১৫-২০ মিনিট দেরি করেছি (PM Modi)।”

    জিআইএস ২০২৫ ইভেন্টে বক্তৃতা

    জিআইএস ২০২৫ ইভেন্টে বক্তৃতা দেওয়ার সময়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, ভারতের অর্থনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে বিশ্ব আশাবাদী। তিনি বলেন, “মধ্যপ্রদেশ জনসংখ্যার বিচারে ভারতের পঞ্চম বৃহত্তম রাজ্য। কৃষি ও খনিজ সম্পদের দিক থেকেও এটি শীর্ষ রাজ্যগুলির মধ্যে একটি।” তিনি বলেন, “গত দু’দশকে মধ্যপ্রদেশে বহু রূপান্তর ঘটেছে। একসময় বিদ্যুৎ ও জলের সমস্যা ছিল, আইন-শৃঙ্খলাও খুব খারাপ অবস্থায় ছিল। সেই পরিস্থিতিতে শিল্পোন্নয়ন কঠিন ছিল। কিন্তু গত বিশ বছরে, জনগণের সহায়তায়, বিজেপি রাজ্য সরকার শাসন ব্যবস্থার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। দু’দশক আগে, মানুষ এখানে বিনিয়োগ করতে সংকোচ বোধ করতেন। আর আজ এটি দেশের শীর্ষ বিনিয়োগবান্ধব রাজ্যগুলির মধ্যে একটি।”

    সম্মেলনে ৬০টি দেশের উদ্যোক্তা, ১৩ জন রাষ্ট্রদূত, ৬ জন হাই কমিশনার এবং বেশ কয়েকজন কনসাল জেনারেল (Bhopal) অংশগ্রহণ করেন। বিশিষ্ট শিল্পপতিদের মধ্যে রয়েছেন কুমার মঙ্গলম বিড়লা, গৌতম আদানি, নাদির গোদরেজ, পিরুজ খানবাটা, বাবা এন কল্যাণী, রাহুল আওয়াস্থী এবং নীরজ আখৌরি (PM Modi)।

  • S Jaishankar: “বাংলাদেশকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা ভারতের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক রাখতে চায়,” বললেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: “বাংলাদেশকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা ভারতের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক রাখতে চায়,” বললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাংলাদেশকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা ভারতের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক রাখতে চায়।” এমনই মন্তব্য করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। শনিবার এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি (Bangladesh crisis) বলেন, “ঢাকা একদিকে ভালো সম্পর্ক চাওয়ার কথা বলবে, আর অন্যদিকে দেশের অভ্যন্তরীণ সব সমস্যার জন্য ভারতকে দোষারোপ করবে — এ ধরনের অবস্থান গ্রহণ করা যায় না।”

    নেতিবাচকতা না ছড়ানোর আহ্বান (S Jaishankar)

    ভারতের পক্ষ থেকে ঢাকার কর্তৃপক্ষকে দুই দেশের সম্পর্কে নেতিবাচকতা না ছড়ানোর আহ্বানও জানান তিনি। বিদেশমন্ত্রী বলেন, “প্রতিদিন যদি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কেউ উঠে ভারতের ওপর সব কিছুর জন্য দোষারোপ করে, তার মধ্যে কিছু বিষয় রিপোর্ট অনুযায়ী একেবারেই অযৌক্তিক। আপনি একদিকে বলতে পারেন যে আপনি ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখতে চান, কিন্তু প্রতিদিন সকালে উঠে সব সমস্যার জন্য ভারতকে দায়ী করেন — এটা তো একসঙ্গে চলতে পারে না। এটি তাদেরই একটি সিদ্ধান্ত, যা তাদের নিতে হবে।”

    জয়শঙ্করের বক্তব্য

    তিনি (S Jaishankar) বলেন, “দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সমস্যাগুলির দুটি দিক রয়েছে, প্রথমটি হল সংখ্যালঘুদের ওপর সাম্প্রদায়িক হামলা। আর দ্বিতীয় দিকটি হল তাদের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়।” জয়শঙ্কর বলেন, “বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর একের পর এক হামলার ঘটনা, অবশ্যই এটি এমন একটি বিষয় যা আমাদের চিন্তাভাবনাকে প্রভাবিত করে এবং এটি এমন একটি বিষয় যা নিয়ে আমাদের কথা বলা প্রয়োজন — যা আমরা করেছি। দ্বিতীয় দিকটি হল, তাদের নিজেদের রাজনৈতিক বিষয়। তবে দিনের শেষে, দুই দেশ প্রতিবেশী।”

    এর পরেই ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, “তাদের (বাংলাদেশকে) সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে ভবিষ্যতে আমাদের সঙ্গে তারা কী ধরনের সম্পর্ক বজায় রাখতে চায়। বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের খুবই বিশেষ একটি ইতিহাস রয়েছে, যা ১৯৭১ সালের সময় থেকে চলে আসছে।” প্রসঙ্গত, গত (Bangladesh crisis) ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। তারপর থেকে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার চরমে উঠেছে সে দেশে। তার জেরেই অবনতি ঘটেছে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে (S Jaishankar)।

LinkedIn
Share