Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Indian Spy Kuldeep Yadav: দেশ কোনও সাহায্য করেনি, ৩২ বছর পর পাকিস্তান জেল থেকে ফিরে জানালেন ভারতীয় গুপ্তচর

    Indian Spy Kuldeep Yadav: দেশ কোনও সাহায্য করেনি, ৩২ বছর পর পাকিস্তান জেল থেকে ফিরে জানালেন ভারতীয় গুপ্তচর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩২ বছর পরে নিজের বাড়ি চাঁদখেড়ায় প্রিয়জনদের কাছে ফিরলেন ভারতীয় গুপ্তচর (Indian Spy) কুলদীপ যাদব (Kuldeep Yadav)। মাঝে কেটে গিয়েছে বহু সময়। পুরো সময়টাই কেটেছে পাকিস্তানি জেলে (Pakistan Jail)। ২৭ বছরের ঝকঝকে যে তরুণ বাড়ি থেকে একদিন বেরিয়েছিল সে আজ ফিরে এল ৫৯ বছরের প্রৌঢ় হয়ে। পাঞ্জাবীর নীচের জীর্ণ শরীরই বলে দেয় এই কয়েক বছরের গল্প। হৃদরোগ, টিবি, যক্ষ্মার মতো মারণ রোগ শরীরে বাসা বেঁধেছে। যে দেশের জন্যে এত কিছু সেই দেশই খোঁজ নেয়নি এত বছরে। দেশের কোনও প্রতিনিধি একটি বারের জন্যে দেখাও করতে যায়নি। এমনটাই দাবি কুলদীপ যাদবের।

    আরও পড়ুন: পাকিস্তানে এফএটিএফের প্রতিনিধি দল, ধূসর তালিকা থেকে বের হবে কি শরিফের দেশ?

    তিনি বলেন, “সরকারের পক্ষ থেকে কেউ কখনও দেখা করতে আসেনি। আমি যখন গুপ্তচর হিসেবে পাকিস্তানে গিয়েছিলাম তখন আমার বয়স ছিল মাত্র ২৭ বছর। যে দেশের জন্যে সারাটা জীবন উৎসর্গ করে দিলাম, সেই দেশ আমাকে আমার যোগ্য সম্মান ফিরিয়ে দিল না। কিছুই পাইনি আমি।” 

    ১৯৯১ সালের ১৫ মার্চ কুলদীপকে পাকিস্তানে চর হিসেবে পাঠায় ভারত সরকার। ১৯৯৪ সালের ২২ জুন ওকারা জেলা থেকে গ্রেফতার হন তিনি। সাজা শেষে ২২ অগাস্ট বাড়ি ফিরেছেন তিনি। নিজের লোকেদের কাছে। আপাতত একটাই দাবি, অর্থনৈতিক সুরক্ষা। কুলদীপ বলেন, “আমি এখন আমার ভাই দিলিপ এবং বোন রেখার ওপর নির্ভরশীল। আমার সম্বর্ধনা, অবসরকালীন ভাতা প্রাপ্য। ঠিক যেমনটা সেনা কর্মীরা পেয়ে থাকেন।”

    আরও পড়ুন: বদলার ম্যাচ পাকিস্তানের! জিতে ফাইনালে যাওয়াই লক্ষ্য টিম ইন্ডিয়ার

    তিনি আরও বলেন, “সম্মানের সঙ্গে বাঁচার জন্যে এই মুহূর্তে আমার একটি বাড়ি এবং কিছুটা আর্থিক সাহায্য প্রয়োজন।”

    কুলদীপের ভাই-বোন স্মৃতিচারণ করে বলেন, “কুলদীপ ১৯৯১ সালে একদিন হঠাৎ হারিয়ে যান। বাবা অনেক খোঁজার চেষ্টা করেন। তাঁর সন্ধানে অল্লাশি অভিযান করার আবেদন নিয়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করারও চেষ্টা করেন। কোনও লাভ হয়নি।”

    কুলদীপ বলেন, “তিন বছরের কোর্ট মার্শালের পরে আমাকে যখন জেলে স্থান্তরিত করা হয়, তখন বাড়িতে চিঠি লিখেছিলাম। সেই প্রথম বাড়ির লোক জানতে পেরেছিল, আমি বেঁচে আছি।”

    দিলিপ বলেন, “আমরা একই সঙ্গে খুশিও ছিলাম, আবার দুঃখিতও ছিলাম। আমরা জানতে পারি কুলদীপ বেঁচে আছে, তবে পাকিস্তানের জেলে।”

    কুলদীপ আরও বলেন, “আমি কখনও আমার মিশনের বিষয়ে আমার পরিবারকে বলিনি। দেশ সেবার উন্মাদনা ছিল আমার মধ্যে। এই জন্যে সরকারি চাকরির পরীক্ষাও দিতাম আমি। এমন সময় দেশের হয়ে কাজ করার সুযোগ পাই আমি। লুফে নিই সেই প্রস্তাব। কিন্তু শেষটা ভালো হল না। 

    পাকিস্তান সম্পর্কে বলতে গিয়ে কুলদীপ বলেন, “পাকিস্তানিরা অনেকেই ভারতীয়দের মতো। আমার অনেকের সঙ্গেই জেলে ভালো সম্পর্ক হয়ে গিয়েছিল।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Noida Twin Tower: নয়ডায় ট্যুইন টাওয়ারের সেই জমিতে ফের বহুতল সুপারটেকের? আদালতে যাবেন বাসিন্দারা

    Noida Twin Tower: নয়ডায় ট্যুইন টাওয়ারের সেই জমিতে ফের বহুতল সুপারটেকের? আদালতে যাবেন বাসিন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশে ভাঙা হয়েছে দিল্লির উপকণ্ঠে নয়ডার (Noida) সেই ট্যুইন টাওয়ার (Twin Tower)। তার পর কেটে গিয়েছে এক সপ্তাহ। এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি যেখানে এক সময় ট্যুইন টাওয়ার গড়ে উঠেছিল, সেখানে এবার কী হবে?  বেআইনিভাবে জোড়া ওই টাওয়ার বানিয়েছিল সুপারটেক (Supertech) নামে এক সংস্থা। এই সংস্থা চায়, ওই জায়গায় ফের নতুন করে হাউজিং প্রজেক্ট গড়ে তুলতে। তবে এমারেল্ড কোর্টস (যে চত্বরে জোড়া টাওয়ার ছিল) রেসিডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (Emerald Court’s Residents’ Association) সাফ জানিয়ে দিয়েছে, সুপারটেক যদি ফের ওই জায়গায় হাউজিং প্রজেক্ট গড়ে তুলতে চায়, তাহলে তারা আবারও দ্বারস্থ হবে আদালতের। এমারেল্ড কোর্টস রেসিডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের তরফে উদয়ভান সিংহ টিওটিয়া (Uday Bhan Singh Teotia) বলেন, নির্মাতা সংস্থা এমন কিছু করে কিনা, তা আমরা লক্ষ্য রাখছি। যদি প্রয়োজন হয়, তবে আমরা আদালতে যাব।

    নয়ডার সেক্টর ৯৩এ-তে সুপারটেক তৈরি করেছিল জোড়া টাওয়ার। নাম দেওয়া হয়েছিল অ্যাপেক্স (Apex) ও সিয়ানে (Ceyane)। অ্যাপেক্সে ছিল ৩২টি ফ্লোর, আর সিয়ানে ছিল ২৯টি। দেশের উচ্চতম বহুতল এই জোড়া টাওয়ার। দুটি টাওয়ারে ছিল ৯১৫টি ফ্ল্যাট, ২১টি দোকান এবং দুটি বেসমেন্ট। জোড়া এই বহুতল দিল্লির কুতুব মিনারের চেয়েও উঁচু ছিল। জোড়া ওই টাওয়ার বেআইনিভাবে গড়ে তোলা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। এর পর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সপ্তাহখানেক আগে ভেঙে ফেলা হয় ওই জোড়া টাওয়ার।

    আরও পড়ুন : মাত্র ৯ সেকেন্ডেই ধূলিসাৎ নয়ডার সেই টুইন টাওয়ার!

    জানা গিয়েছে, জোড়া টাওয়ারের ওই জমিতে কী করা হবে, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করতে শীঘ্রই আলোচনায় বসতে চলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ওই জমিতে মন্দির গড়ার প্রস্তাব নিয়েও আলোচনা হতে পারে। উদয়ভান বলেন, এতে কোনও সন্দেহ নেই যে আমরা ওখানে একটি পার্ক বানাব। আরও কিছু প্রস্তাব এসেছে। কেউ কেউ মন্দির নির্মাণের প্রস্তাবও দিয়েছেন। কয়েক দিনের মধ্যেই আমরা আলোচনায় বসতে চলেছি। সেখানেই সিদ্ধান্ত হবে, ওই জমিতে কী করা যায়। যদিও সুপারটেক চেয়ারম্যান আরকে অরোরা জানান, ওই জমিতে হাউজিং প্রজেক্ট গড়ে তুলব। প্রয়োজনে স্থানীয়দের অনুমতি নেব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
  • LPG Cylinder Price: মাসের শুরুতেই দারুণ খবর! রান্নার গ্যাসের দাম কমল ৯১ টাকা

    LPG Cylinder Price: মাসের শুরুতেই দারুণ খবর! রান্নার গ্যাসের দাম কমল ৯১ টাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মূল্যবৃদ্ধির বাজারে এবারে সাধারণ মানুষ একটু হলেও স্বস্তি পাবে। দীর্ঘদিন ধরে জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি হয়েই চলেছে আর এরই মধ্যে এখ খুশির খবর পাওয়া গেল। মাসের প্রথম দিন অর্থাৎ ১ লা সেপ্টেম্বর একধাক্কায় অনেকটাই কমল বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের দাম। দেশের ওয়েল মার্কেটিং সংস্থাগুলির তরফে জানানো হয়েছে, বাণিজ্যিক এলপিজি সিলিন্ডারের দাম কমানো হয়েছে। ১৯ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ৯১ টাকা ৫০ পয়সা কমানো হয়েছে।

    আরও পড়ুন: হাজার পার করল রান্নার গ্যাস

    এরফলে এবার থেকে কলকাতায় বাণিজ্যিক গ্যাস সিলিন্ডারের দাম (১৯ কেজি এলপিজি) ২,০৯৫.৫ টাকা থেকে কমে ১৯৯৫.৫০ টাকা হয়েছে। দিল্লিতে দাম ১৯৭৬ টাকা থেকে কমে ১৮৮৫ টাকা হয়েছে। মুম্বইয়ে ১৯ কেজির রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম ১৯৩৬ থেকে কমে ১৮৪৪ টাকা হয়েছে। চেন্নাইয়ে সিলিন্ডারের দাম হয়েছে ২০৪৫ টাকা যা আগে ছিল ২১৪১ টাকা। আজ, ১ সেপ্টেম্বর থেকেই এই দাম কার্যকর হয়েছে। 

    তবে বাড়ির কাজে ব্যবহার করা এলপিজি সিলিন্ডারের দামে (LPG Cylinder Price) কিন্তু কোনও পরিবর্তন হয়নি। ১৪.২ কেজির বাড়ির রান্নার এলপিজি সিলিন্ডারের দাম একই রয়েছে। ৬ জুলাই থেকে এই দামে কোনও পরিবর্তন আসেনি। দিল্লিতে বাড়ির জন্য যে এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবহার করা হয় তার দাম ১০৫৩ টাকা, কলকাতায় ১০৭৯ টাকা, মুম্বইতে ১০৫২ টাকা ও চেন্নাইয়ে ১০৬৮ টাকা।

    আরও পড়ুন: মধ্যবিত্তের মাথায় হাত, দুধের দাম বাড়াল আমুল এবং মাদার ডেয়ারি

    এর আগে দফায় দফায় রান্নার গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বিভিন্ন হোটেল, রেঁস্তোরায় খাবারের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু এবারে পুজোর আগেই কলকাতায় বাণিজ্যিক গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ১০০ টাকা কমায় কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরল সাধারণ মানুষের। আশাও করা হচ্ছে যে এবারে হয়তো হোটেল, রেঁস্তোরার খাবারের দামও কিছুটা হলেও কমবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

  • Cyrus Mistry death: গাড়ির গতি ছিল ঘণ্টায় ১৩৫ কিমি, সিট বেল্ট না পরায় প্রাণ গেল সাইরাসের?

    Cyrus Mistry death: গাড়ির গতি ছিল ঘণ্টায় ১৩৫ কিমি, সিট বেল্ট না পরায় প্রাণ গেল সাইরাসের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্রুত গতিবেগ এবং সিট বেল্ট না পরার জন্যই প্রাণ গেল ভারতের প্রখ্যাত শিল্পপতি টাটা সন্সের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সাইরাস মিস্ত্রির। গুজরাটের উড়ওয়াড়া থেকে মুম্বই ফেরার পথে পালঘরের চারোটি চেকপোস্ট পেরিয়ে পরের ২০ কিলোমিটার মাত্র ন’মিনিটে অতিক্রম করেছিল সাইরাসদের গাড়ি। টাটা সন্সের প্রাক্তন চেয়ারম্যানের সঙ্গে ছিলেন পারিবারিক বন্ধু দুই পন্ডোলে ভাই, দারায়ুস এবং জাহাঙ্গির এবং দারায়ুসের স্ত্রী অনাহিতা ৷ মার্সিডিজ গাড়িটি চালাচ্ছিলেন অনাহিতা। তাঁর ভুলও দুর্ঘটনার পিছনে দায়ী, এমনই ধারণা পুলিশের।

    প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে, অতিরিক্ত গতির কারণেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন গাড়ির চালক। আর তাই গাড়িটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ঘণ্টায় প্রায় ১৩৫ কিলোমিটার বেগে চলছিল গাড়িটি। গাড়ির পিছনের সিটে বসে ছিলেন সাইরাস এবং দারায়ুসের ভাই জাহাঙ্গির ৷  তাঁরা কেউই সিট বেল্ট পরে ছিলেন না বলে জানিয়েছে পুলিশ। দু’জনেই প্রাণ হারিয়েছেন দুর্ঘটনায় ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, দুর্ঘটনার সময় মাথায় চোট লাগে সাইরাসের।

    আরও পড়ুন: তীব্র গতি কাড়ল প্রাণ, গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত টাটা সন্সের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সাইরাস মিস্ত্রি, শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর

    উড়ওয়াড়া এলাকায় পার্সি সম্প্রদায়ের প্রধান অগ্নিমন্দিরে দারায়ুস ও জাহাঙ্গিরের বাবা দীনশ’-এর শেষকৃত্যের প্রার্থনায় অংশ নিতে গিয়েছিলেন তাঁরা ৷  গত সপ্তাহে প্রয়াত হন তিনি ৷ কয়েক বছর ধরে এই অগ্নিমন্দিরের সংস্কার করে নতুন রূপে সাজিয়ে তোলা হয়েছে ৷ সম্পূর্ণ ব্যয় বহন করেছিল মিস্ত্রি পরিবার। মুম্বই ফেরার পথে গাড়ি চালাচ্ছিলেন ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালের নামী স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ তথা দারায়ুসের স্ত্রী অনাহিতা পন্ডোলে ৷ তাঁর পাশের আসনে ছিলেন দারায়ুস ৷ দু’জনেই গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৷

     বণিক মহলে পন্ডোলে পরিবারও গুরুত্বপূর্ণ ৷ ৬০ বছর বয়সি দারায়ুস হলেন মুম্বইয়ের জেএম ফিনান্সিয়াল প্রাইভেট ইক্যুইটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর ৷ টাটা গোষ্ঠীর ডিরেক্টর পদেও ছিলেন তিনি ৷ টাটা সন্সের চেয়ারম্যান পদ থেকে সাইরাসের অপসারণের পর দারায়ুসও পদত্যাগ করেন ৷ এই পন্ডোলে পরিবারই ছিল ঠান্ডা পানীয় ‘ডিউকস’-এর কর্ণধার ৷ ২০ বছর আগে সংস্থার সত্ত্ব তারা বিক্রি করে দেয় পেপসি-র কাছে ৷ পন্ডোলে পরিবারের বধূ অনাহিতাও স্বমহিমায় উজ্জ্বল ৷ ৫৫ বছর বয়সি এই নামী চিকিৎসক যুক্ত ছিলেন বেআইনি হোর্ডিং অপসারণ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ৷ ‘জীয়ো পার্সি’ প্রকল্পেরও মুখ অনাহিতা ৷ 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Supreme Court: মাত্র ৪ দিনেই নিষ্পত্তি প্রায় ১৩০০ মামলার, জানালেন সুপ্রিম কোর্টের নয়া প্রধান বিচারপতি

    Supreme Court: মাত্র ৪ দিনেই নিষ্পত্তি প্রায় ১৩০০ মামলার, জানালেন সুপ্রিম কোর্টের নয়া প্রধান বিচারপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাজ হয়েছে মাত্র চারদিন। এই চারদিনেই নিষ্পত্তি হয়েছে হাজারেরও বেশি মামলার। যে চারদিনে এতগুলি মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে, সেই সময় সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতির (CJI) পদে রয়েছেন উদয় উমেশ ললিত।  গোটা দেশ যাঁকে চেনে ইউইউললিত (UU Lalit) নামে।

    সপ্তাহ খানেক আগেই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পদে অবসর নিয়েছেন এনভি রামানা (NV Ramana)। তিনিই তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে প্রস্তাব করেছিলেন ইউইউললিতের নাম। দেশের তৎকালীন প্রধান বিচারপতির প্রস্তাবিত নামে সিলমোহর দেন রাষ্ট্রপতি। রামানা অবসর নিলে দেশের প্রধান বিচারপতি পদে বসেন ললিত। তাঁর কার্যকালের মেয়াদ মাত্রই ৭৪ দিন। নিয়ম অনুযায়ী, ৬৫ বছর বয়সে অবসর নিতে হয় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে। সেই বিধির জেরেই ললিতের কার্যকালের মেয়াদ এত কম। কম সময়েই যে তিনি বিপুল কাজ করতে চান, শপথ গ্রহণের দিনই তা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন আইনি পেশায় তিন প্রজন্ম ধরে থাকা পরিবারের সদস্য ললিত। সেদিন তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, দেশের শীর্ষ আদালতে প্রতিদিন যাতে আরও বেশি করে মামলার শুনানি হয়, তার ব্যবস্থা করবেন।

    ললিত শপথ নেওয়ার পরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হল বার কাউন্সিলর অফ ইন্ডিয়ার তরফে। ওই অনুষ্ঠানে দেশের প্রধান বিচারপতি ললিত জানান, তাঁর নির্দেশে তালিকা তৈরি ও শুনানির নয়া ব্যবস্থা লাগু হয়েছে, তার জেরেই মিলেছে সুফল। দেশের প্রধান বিচারপতি বলেন, শেষ চারদিনে দেশের শীর্ষ আদালতে কী ঘটেছে, আমি তা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতে চাই। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরে পড়ে থাকা প্রচুর মামলার মধ্যে থেকে তালিকা প্রস্তুত করছি। সেই মতো চলছে শুনানি।

    আরও পড়ুন : মুসলিমদের বহুবিবাহ, নিকাহ হালালা কি বৈধ? মানবাধিকার কমিশনের মতামত চাইল সুপ্রিম কোর্ট

    এর পরেই তিনি বলেন, শেষ চার দিনে দেশের শীর্ষ আদালতে নিষ্পত্তি হয়েছে ১২৯৩টি মামলার। এর মধ্যে ৪৯৩টি বিভিন্ন মামলার নিষ্পত্তি হয়েছিল ২৯ অগাস্ট, তাঁর প্রথম কাজের দিনে। শুক্রবার নিষ্পত্তি হয়েছে ৩১৫টি মামলার। মঙ্গলবার নিষ্পত্তি হয়েছে ১৯৭টি মামলার, আর বৃহস্পতিবার হয়েছে ২২৮টির। মাঝে বুধবার গণেশ চতুর্থী উপলক্ষে বন্ধ ছিল আদালত। ললিত বলেন, যত বেশি সম্ভব মামলার নিষ্পত্তি করা যায়, এখন তার ওপর জোর দিচ্ছে আদালত। সোমবার থেকে এই চার দিনে ৪৪০টি ট্রান্সফার পিটিশনের নিষ্পত্তিও হয়েছে বলে জানান ললিত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Jharkhand Politics: পদত্যাগ করছেন না হেমন্ত সোরেন! রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত জানাল ঝাড়খণ্ডের শাসকজোট

    Jharkhand Politics: পদত্যাগ করছেন না হেমন্ত সোরেন! রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত জানাল ঝাড়খণ্ডের শাসকজোট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন না হেমন্ত সোরেন (Hemanta Soren)। বৃহস্পতিবার রাতে একথা স্পষ্ট জানিয়ে দেয় ঝাড়খন্ডের (Jharkhand) শাসকজোট। খনি মামলার জেরে বর্তমানে রাজ্যের নেতৃত্বে থাকাই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে হেমন্ত সোরেনের। মুখ্যমন্ত্রী সহ ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা-কংগ্রেসের জোট সরকারকে একহাত নিয়েছে বিজেপি (BJP)। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপালের অফিস থেকে তথ্য ফাঁস করা হচ্ছে বলে রাজ্যপাল রমেশ বাইসকে চিঠি দিল ইউপিএ (UPA)। জোট সরকারকে অপদস্থ করার চেষ্টায় মিথ্যা প্রচার চালানো হচ্ছে বলে দাবি করেন ইউপিএ নেতারা।

    বৃহস্পতিবার বিকেল চারটে নাগাদ রাজ্যপাল রমেশ বাইসের সঙ্গে রাজভবনে গিয়ে দেখা করে ইউপিএ জোটের বিধায়কদের প্রতিনিধি দল। তবে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন  সেই দলে ছিলেন না বলেই খবর। কংগ্রেস ইতিমধ্যেই পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে, সোরেনের ইস্তফা দেওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। বৈঠকের পর রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি বান্ধু তিরকে  জানিয়েছেন, “মুখ্যমন্ত্রী ইস্তফা দিচ্ছেন না। রাজ্যপাল আশ্বাস দিয়েছেন আর দু’দিনের মধ্যে পরিস্থিতি পরিষ্কার হয়ে যাবে। তাঁর কাছে আমরা জানতে চেয়েছি কী করে কিছু বিশেষ তথ্য এভাবে ফাঁস হয়ে গেল। তিনি দাবি করেছেন, তাঁর অফিস থেকে কোনও খবর বাইরে যায়নি।”

    আরও পড়ুন: নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগে কাঠগড়ায় হেমন্ত সোরেন, বিধায়ক পদ খারিজের সুপারিশ

    প্রসঙ্গত, খনি দুর্নীতি মামলায় হেমন্ত সোরেনকে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন রিপোর্ট পেশ করার পর থেকেই তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। এই পরিস্থিতিতে দুর্নীতিমুক্ত সরকারের দাবি জানায় বিজেপি। ৮১ সদস্যের ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় জেএমএম বিধায়ক ৩০ জন। এছাড়াও কংগ্রেসের ১৮ বিধায়ক ও একজন আরজেডি বিধায়ক রয়েছেন সরকারে। ইতিমধ্যেই বিজেপি দাবি করেছে, হেমন্ত সোরেনের উচিত নৈতিক দিক বিবেচনা করে নির্বাচনের দিকে যাওয়া। এখনই বিধানসভা ভেঙে ৮১টি কেন্দ্রেই নির্বাচন হোক। 

    অন্যদিকে বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে ঝাড়খণ্ডে পুরনো পেনশন স্কিম কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রাজনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে ৫ সেপ্টেম্বর একদিনের জন্য বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ডাকার কথা  ভাবা হয়েছে। সূত্রের খবর, হেমন্ত সোরেনের সরকার আস্থা ভোট আনার কথা ভাবছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Zomato: কলকাতায় বসেই অর্ডার করতে পারবেন হায়দ্রাবাদের বিরিয়ানি! নতুন উদ্যোগ জোম্যাটোর

    Zomato: কলকাতায় বসেই অর্ডার করতে পারবেন হায়দ্রাবাদের বিরিয়ানি! নতুন উদ্যোগ জোম্যাটোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে জোম্যাটো (Zomato) নিয়ে এল এক সুখবর। এখন থেকে আর কখনও হায়দ্রাবাদের বিরিয়ানি, বেঙ্গালুরুর মাইসোর পাক, কলকাতার মিষ্টি খেতে সেই জায়গাতে যেতে হবে না। কারণ ঘরে বসেই অর্ডার করে সেটি আপনি পেয়ে যাবেন। এমনটাই জানানো হয়েছে জোম্যাটোর তরফে। অর্থাৎ অনলাইন ফুড ডেলিভারি সংস্থাগুলির মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম জোম্যাটো, ভারতের যেকোনো শহর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে অন্যান্য খাবার পৌঁছে দেওয়ার জন্য একটি প্রকল্প শুরু করেছে।

    আরও পড়ুন: ‘মহাকাল’ থেকে থালি অর্ডার হৃত্বিক রোশনের! বিতর্কের মধ্যে বিজ্ঞাপন প্রত্যাহার জোম্যাটোর

    জোম্যাটোর প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও দীপিন্দর গোয়াল (founder & CEO Deepinder Goyal) একটি ব্লগ পোষ্ট করে লিখেছেন, কলকাতা থেকে বেকড রসগোল্লা, হায়দরাবাদের বিরিয়ানি, বেঙ্গালুরু থেকে মাইসোর পাক, লখনউ থেকে কাবাব, ওল্ড দিল্লি থেকে বাটার চিকেন, দিল্লি বা জয়পুরের পেঁয়াজ কচুরি ইত্যাদি বিখ্যাত খাবারগুলি অর্ডার করতে পারবেন এবং পরের দিনে আপনার অর্ডার আপনার শহরে পৌঁছে দেওয়া হবে। তবে তা পৌঁছতে প্রায় এক দিন সময় লাগতে পারে। গোয়াল আরও বলেন, অর্ডারটি পৌঁছনোর আগে পুনরায় গরম করা হবে এবং পুনরায় ফ্রিজ করাও যেতে পারে খাবারগুলো।

    আরও পড়ুন: সুইগিতে বাম্পার অফার! ভাইরাল ‘সুইগি বয়’-কে খুঁজে দিলে মিলবে ৫০০০ টাকা

    গোয়াল আরও জানিয়েছেন যে এই আইকনিক খাবারগুলি জোম্যাটো অ্যাপে ‘ইন্টারসিটি লিজেন্ডস’ এর মাধ্যমে অর্ডার করা যাবে এবং ফ্লাইটের মাধ্যমে পরিবহন করা হবে। খাবারটি রেস্তোরাঁয় ভালোভাবে তৈরি করা হয় এবং যাতায়াত করার সময় এটিকে নিরাপদ রাখতে পুনরায় ব্যবহারযোগ্য এবং টেম্পার-প্রুফ পাত্রে প্যাক করা হয়। এমনকি এই খাবারগুলোতে কোনওরকমের প্রিজারভেটিভ ছাড়াই সংরক্ষণ করা যায়। বর্তমানে গুরুগ্রাম ও সাউথ দিল্লির কিছু অংশে নির্দিষ্ট গ্রাহকদের জন্যই এই সরবরাহ শুরু করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     

  • INS Vikrant: শব্দ দিয়ে অনুভূতি প্রকাশ করতে পারব না! বিক্রান্তের ডেকে উঠে আবেগপ্রবণ মোদি

    INS Vikrant: শব্দ দিয়ে অনুভূতি প্রকাশ করতে পারব না! বিক্রান্তের ডেকে উঠে আবেগপ্রবণ মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে এটা একটা ঐতিহাসিক দিন। আইএনএস বিক্রান্তের (INS Vikrant) ডেকে উঠে কেমন লাগছিল তা ভাষায় ব্যাখ্যা করতে পারবেন না। ট্যুইটবার্তায় আবেগপ্রবণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। শনিবার বিক্রান্তের একটি ভিডিও সহ ট্যুইট করেন প্রধানমন্ত্রী। ট্যুইটে তিনি জানান, ‘আত্মনির্ভর ভারতের প্রতিফলন এই আইএনএস বিক্রান্ত। যেসকল দেশ নিজেদের প্রযুক্তিতে যুদ্ধজাহাজ তৈরি করে, সেই সব দেশের তালিকায় নাম লেখাল ভারতও।’

    কোচিন শিপইয়ার্ড, শ্রমিক ও নৌসেনার প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে প্রধানমন্ত্রী জানান, ‘স্বদেশী পদ্ধতিতে তৈরি এই জাহাজের স্টিল স্বদেশী, এই স্টিল ডিআরডিও বিজ্ঞানীরা তৈরি করেছেন। এই জাহাজ যেন এক ভাসমান শহর। জাহাজে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়, তা ৫০০০ বাড়িকে উজ্জ্বল করতে পারে। এর ফ্লাইট ডেকে দুটি ফুটবল মাঠ এঁটে যাবে।’ ফ্রান্স, রাশিয়া, ব্রিটেন, ইজরায়েল বিশ্বের নানা দেশ ভরতে তৈরি প্রথম এই রণতরীকে কুর্নিশ করেছে। রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ট্যুইটবার্তায় জানান এই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পেরে রাশিয়া গর্বিত।

    এই রণতরীর দৈর্ঘ্য ১৬২ মিটার, প্রস্থ ৬২ মিটার, উচ্চতা ৫৯ মিটার। বিশালায়তন এই জায়গায় ঢুকে যেতে পারে ২টো ফুটবল মাঠও। ৩০টি যুদ্ধবিমানকে পরিচালনা করতে সক্ষম এই রণতরীতে রয়েছে ২৩০টি ঘর, একসঙ্গে থাকতে পারবেন ১৭০০ জন। বিশালাকার এই রণতরী ভারতকে বিশ্বের প্রথম সারির দেশগুলোর পাশে নিয়ে গেল বলে ট্যুইট করেছেন ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত।

    ভারতে বর্তমানে একটিই মাত্র অপারেশনাল বিমানবাহী রণতরী রয়েছে— আইএনএস বিক্রমাদিত্য (INS Vikramaditya)। রুশ নির্মিত এই যুদ্ধজাহাজও আবার বর্তমানে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আইএনএস কারোয়ার (INS Karwar) ঘাঁটিতে বসে রয়েছে। জলে নামতে অন্ততপক্ষে জানুয়ারি। অন্যদিকে, চিনের বর্তমানে দুটি বিমানবাহী রণতরী রয়েছে। তৃতীয়টির উদ্বোধন হয়েছে সম্প্রতি। ফলে, ভারতীয় মহাসাগরে, চিনের মোকাবিলা করতে নতুন বিমানবাহী রণতরী থাকা ভারতের কাছে কৌশলগত ও সামরিক দিক দিয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বলে মনে করছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। প্রতিরক্ষা মহলের দাবি, সমুদ্রপথে যদি চিন কখনও ভারতকে আক্রমণের চেষ্টা করে তবে তা ঠেকাতে ভারতের ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ হতে পারে বিক্রান্ত। 

    আরও পড়ুন: ‘দাসত্বের ছাপ’ মুছে গেল! নৌসেনার নয়া নিশানে ছত্রপতি শিবাজির ‘রাজমুদ্রা’, গর্বিত প্রধানমন্ত্রী

     সর্বোচ্চ গতি ২৮ নট। এছাড়া এই যুদ্ধজাহাজে বারবার জ্বালানি ভরার প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন নির্মাণকারী সংস্থা। একবার জ্বালানি ভরলেই বিক্রান্ত যেতে পারবে প্রায় ৭ হাজার নটিক্যাল মাইল। অর্থাৎ একবারের জ্বালানিতে ভারতীয় জলসীমা দু’বার ঘুরে আসতে পারবে এই রণতরী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • INS Vikrant: বিমানবাহী রণতরী ঠিক কী? নৌবাহিনীতে এর তাৎপর্য কোথায়?

    INS Vikrant: বিমানবাহী রণতরী ঠিক কী? নৌবাহিনীতে এর তাৎপর্য কোথায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় নৌসেনায় (Indian Navy) ‘কমিশন্ড’ করা হল দেশে তৈরি এখনও পর্যন্ত সর্ববৃহৎ তথা প্রথম বিমানবাহী রণতরী ‘আইএনএস বিক্রান্ত’ (INS Vikrant)। শুক্রবার, কোচিতে এক অনুষ্ঠানে এই বিশাল জাহাজকে নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। এই প্রেক্ষিতে, প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের আত্মনির্ভরতার প্রতীরক হয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে বিক্রান্ত।

    আসুন জেনে নেওয়া যাক বিমানবাহী রণতরী ঠিক কী?

    একটি এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ার বা বিমানবাহী রণতরী (Aircraft Carrier) হল একটি বিশাল জাহাজ যা যুদ্ধবিমান বহন করতে সক্ষম। এতে একটি দীর্ঘ, সমতল পৃষ্ঠ থাকে যেখান থেকে বিমানগুলি ওঠানামা করতে পারে। এই রণতরীগুলো এতটাই বড় যেহেতু এখান থেকে যুদ্ধবিমান ওঠানামা করতে পারে, তাই এদের ‘ফ্লোটিং এয়ারবেস’ বা ভাসমান বিমানঘাঁটি বলে উল্লেখ করা হয়ে থাকে। বিমানবাহী রণতরীতে যে পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ফ্লাইট ডেক থাকে, সেখান থেকে যুদ্ধবিমান টেক-অফ, ল্যান্ডিং ও রিকভারি করতে পারে।

    আরও পড়ুন: আত্মনির্ভর ভারতের প্রতিফলন বিক্রান্ত! যুদ্ধবিমানবাহী দেশে তৈরি প্রথম রণতরীর উদ্বোধনে গর্বিত প্রধানমন্ত্রী

    বিমানবাহী রণতরীগুলি যুদ্ধ এবং শান্তির সময়ে একটি নৌবহরের ‘কমান্ড এবং কন্ট্রোল’ কেন্দ্র হিসাবে কাজ করে। বিমানবাহী রণতরী হল যে কোনও নৌবাহিনীর কাছে ‘কোহিনূর’-এর সমতুল্য। কারণ, ঘাঁটি বা দেশের সীমা থেকে দীর্ঘ দূরত্বে সমুদ্রে বায়ুশক্তি প্রদান করার ক্ষমতা একমাত্র রয়েছে এই বিশেষ জাহাজের। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই একে রক্ষার জন্য সর্বদা থাকে অন্য জাহাজ। কোনও সময়ই বিমানবাহী রণতরী একলা থাকে না। প্রত্যেক বিমানবাহী রণতরীক ঘিরে তৈরি হয় একটি ক্যারিয়ার ব্যাটল গ্রুপ। 

    প্রত্যেক ব্যাটল গ্রুপের মাথায় থাকে একটি করে বিমানবাহী রণতরী। এছাড়া গ্রুপের বাকি সদস্যদের মধ্যে থাকে ডেস্ট্রয়ার, ফ্রিগেট, সাবমেরিন, ট্যাঙ্কার এবং আকাশে চক্কর কাটতে থাকা বিশেষ নজরদারি বিমান। এদের প্রত্যেকের কাজ হল বিমানবাহী রণতরীকে চারদিকে থেকে এসকর্ট বা পাহারা দেওয়া, যাতে কোনওভাবে এই এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ারের কোনও ক্ষতি না হয়। এর থেকেই অনুমেয়, একটি নৌসেনার কাছে তাদের বিমানবাহী রণতরী কতটা গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

    আরও পড়ুন: এক ভাসমান দুর্গ যার নাম ‘আইএনএস বিক্রান্ত’

    ভারতে বর্তমানে একটিই মাত্র অপারেশনাল বিমানবাহী রণতরী রয়েছে— আইএনএস বিক্রমাদিত্য। রুশ নির্মিত এই যুদ্ধজাহাজও আবার বর্তমানে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আইএনএস কারোয়ার ঘাঁটিতে বসে রয়েছে। জলে নামতে অন্ততপক্ষে জানুয়ারি। অন্যদিকে, চিনের বর্তমানে দুটি বিমানবাহী রণতরী রয়েছে। তৃতীয়টির উদ্বোধন হয়েছে সম্প্রতি। ফলে, ভারতীয় মহাসাগরে, চিনের মোকাবিলা করতে নতুন বিমানবাহী রণতরী থাকা ভারতের কাছে কৌশলগত ও সামরিক দিক দিয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই পরিস্থিতিতে আইএনএস বিক্রান্ত-এর অন্তর্ভুক্তি অনেকটাই আত্মবিশ্বাস জোগাবে। 

    আরও পড়ুন: ‘বিক্রান্ত’ নামের কী মাহাত্ম্য? নৌসেনায় তাৎপর্যই বা কী? ফিরে দেখা ইতিহাস

    আইএনএস বিক্রান্ত অনেক দিক থেকেই তাৎপর্যপূর্ণ। প্রথমত, এটিই হল ভারতে তৈরি প্রথম রণতরী। এই জাহাজের ৭৬ শতাংশ দেশে তৈরি। দেশের ১৮টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত এলাকায় তৈরি হয়েছে এর যন্ত্রাংশ। এটা জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। এর ফলে, ভারতের সামরিক সক্ষমতা বহুগুণ বৃদ্ধি পেল। এই নির্মাণ ভারতকে বিশ্বের হাতেগোনা রাষ্ট্রের একটি এলিট তালিকায় বসিয়ে দিল। বিশ্বের হাতে গোনা দেশ রয়েছে, যারা বিমাণবাহী রণতরী ব্যবহার করে। তৈরি করাটা অনেক দূরের ব্যাপার। সেই দিক দিয়ে, ভারত নিজের বিমানবাহী রণতরী নির্মাণ করে আত্মনির্ভরতা ও সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে।

    বিমানবাহী রণতরী থাকার তাৎপর্য

    বর্তমানে, বিশ্বের প্রধান সামরিক শক্তিধর দেশগুলির কাছে বিমানবাহী রণতরী রয়েছে। প্রায় প্রত্যেকটি দেশ— মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু করে চিন, রাশিয়া, ফ্রান্স ও ব্রিটেন— সকলেই নিজ দেশে বিমানবাহী রণতরী (Indigenous Aircraft Carrier) নির্মাণ করে থাকে। সেই তালিকায় সংযোজিত হল ভারত। বলা বাহুল্য, এক এলিট গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত হল ভারতীয় নৌবাহিনী। যে কোনও দেশের সামরিক বাহিনীতে বিশেষ করে নৌসেনায় বিমানবাহী রণতরীর তাৎপর্য অপরিসীম। এটি সেই সকল দেশের কাছে অতীব গুরুত্বপূর্ণ যাদের বিস্তৃত জলসীমা রয়েছে। যেমন ভারত। আফ্রিকার পূর্ব সীমান্ত থেকে পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগর— সমগ্র ভারত মহাসাগর অঞ্চলে নিজেদের নৌ-শক্তি ও জলসীমার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিমানবাহী রণতরী অপরিহার্য। এক কথায় দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষার্থে আস্তিনে বিমানবাহী রণতরী থাকা ও না থাকার মধ্যে ফারাকটা বিস্তর। এধরণের আস্ত বিমানঘাঁটি মাঝ-সমুদ্রে ভেসে বেড়ালে, শক্তিশালী শত্রুও যে কোনও আগ্রাসনের আগে দশবার ভাববে। আর ভারতের জলসীমা বা সমুদ্র অঞ্চল এতটাই বিস্তৃত যে, তৃতীয় (দ্বিতীয় দেশীয়) বিমানবাহী রণতরীর নির্মাণ নিয়ে মোদি সরকারের শীর্ষস্তরে ইতিমধ্যেই জোর আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। 

     

  • Shivamurthy Sharanaru: নাবালিকা নির্যাতন! পকসো আইনে গ্রেফতার কর্ণাটকের লিঙ্গায়ত মঠের প্রধান শিবমূর্তি

    Shivamurthy Sharanaru: নাবালিকা নির্যাতন! পকসো আইনে গ্রেফতার কর্ণাটকের লিঙ্গায়ত মঠের প্রধান শিবমূর্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাবালিকাদের যৌন নির্যাতনের অভিযোগ গ্রেফতার হলেন কর্ণাটকের (Karnataka) লিঙ্গায়ত (Lingayat ) মঠের সাধু শিবমূর্তি মুরুগা শরনারু (Shivamurthy Sharanaru)। তাঁর বিরুদ্ধে পকসো (POCSO) আইনে এক স্কুল ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ রয়েছে। মঠের মুখ্য সন্ন্যাসী সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। কর্নাটকের অন্যতম জনপ্রিয় চিত্রদুর্গার এই মঠের প্রধানকে ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নিয়মিত ভাবে পড়ুয়াদের যৌন নির্যাতন করতেন। এই কাজে তাঁকে সাহায্য করতেন মঠের অন্যান্য কর্মী। যদিও শিবমূর্তির দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে দীর্ঘ দিন ধরেই চক্রান্ত হচ্ছে। এই অভিযোগ তারই অংশ। শেষমেশ তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হবেন বলেই দাবি শিবমূর্তির।

    উল্লেখ্য, অভিযোগকারিণী দুই নাবালিকার বয়স যথাক্রমে ১৫ এবং ১৬ বছর। দুই নাবালিকা মঠ পরিচালিত একটি স্কুলে পাঠরত ছিলেন এবং স্কুল সংলগ্ন হোস্টেলে তারা থাকতেন। গত ২৪ জুলাই তাঁরা হোস্টেল ত্যাগ করেন এবং ২৫ জুলাই তাদের কটনপেট থানায় পাওয়া যায়। এরপর ২৬ অগাস্ট লিঙ্গায়ত স্বামী শিবমূর্তির বিরুদ্ধে মাইসোরের নজরবাদ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। পুলিশকে ওই দুই নাবালিকা জানায় গত সাড়ে তিন বছর ধরে তাদের ওপর যৌন হেনস্থা চালাতেন ওই লিঙ্গায়ত মঠের সাধু।

    আরও পড়ুন: দুমকার পর দিল্লি, সম্পর্ক ছেদ করায় কিশোরীকে লক্ষ্য করে গুলি

    অভিযুক্ত সাধু শিবমূর্তি মুরুগা শরনারু কর্ণাটকের লিঙ্গায়ত সম্প্রদায়ের। এই সম্প্রদায়েরই নেতা বিএস ইয়েদুরাপ্পা। কর্ণাটকের সিংহভাগ অধিকাংশ ভোটার এই সম্প্রদায়ের। এই রাজনৈতিক সমীকরণ মাথায় রেখেও শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত সাধুকে। কয়েকদিন আগেই কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘পুলিশের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে তদন্তের জন্য। তারা তদন্ত করবে আর সত্যিটা বেরিয়ে আসবে।’ 

    জগদ্গুরু মুরুগরাজেন্দ্র বিদ্যাপীঠ মঠের গুরু শিবমূর্তি। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে তিনি দুই নাবালিকার শ্লীলতাহানী করেছেন। চিত্রদুর্গের দ্বিতীয় জেলা ও দায়রা আদালত যৌন হেনস্থার মামলায় শিবমূর্তির আগাম জামিনের আবেদনের শুনানি শুক্রবার পর্যন্ত স্থগিত করেছিল। এর মধ্যেই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সূত্রের খবর, শিবমূর্তিকে শুক্রবারই আদালতে পেশ করে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের হেফাজতে চাইবে পুলিশ। এর আগে প্রভাবশালী এই ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে ‘লুকআইট সার্কুলার’ জারি করা হয়েছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share