Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • UGC: ইউজিসির ২১টি ভুয়ো বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় রয়েছে কলকাতার দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

    UGC: ইউজিসির ২১টি ভুয়ো বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় রয়েছে কলকাতার দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের (West Bengal) দুটি স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ‘ভুয়ো’ ঘোষণা করল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (UGC)। এদের মধ্যে একটি চৌরঙ্গির ‘ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ অল্টারনেটিভ মেডিসিন’ এবং অপরটি ঠাকুরপুকুরের ‘ইনস্টিটিউট অফ অল্টারনেটিভ মেডিসিন অ্যান্ড রিসার্চ’। সারা দেশের মোট ২১টি বিশ্ববিদ্যালয়কে ভুয়ো (Fake University) ঘোষণা করেছে ইউজিসি।

    আরও পড়ুন: কুয়েটের সঙ্গে জেইই এবং নীট সংযুক্তিকরণের পথে ইউজিসি? জানুন বিস্তারিত 

    ইউজিসির নির্ধারণ করা নিয়মগুলি মেনে না চলায় এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে ভুয়ো ঘোষণা করা হয়েছে। একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে ইউজিসি। ২১টি বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা দিতেই নারাজ ইউজিসি। প্রসঙ্গত, সবচেয়ে বেশি ভুয়ো বিশ্ববিদ্যালয় চিহ্নিত হয়েছে দিল্লিতে (Delhi)। দিল্লির মোট আটটি বিশ্ববিদ্যালয়কে ভুয়ো ঘোষণা করা হয়েছে।  

    আরও পড়ুন: পিছিয়ে গেল ইউজিসি নেটের দ্বিতীয় পর্ব, জানুন বিস্তারিত

    উত্তরপ্রদেশের চারটি প্রতিষ্ঠানকে ভুয়ো করেছে ইউজিসি। দিল্লি সরকারের অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ পাবলিক অ্যান্ড ফিজিক্যাল হেলথ সায়েন্স, কমার্শিয়াল ইউনিভার্সিটি লিমিটেড, ইউনাইটেড নেশনস ইউনিভার্সিটি, ভোকেশনাল ইউনিভার্সিটি, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, বিশ্বকর্মা ওপেন ইউনিভার্সিটি ফর সেলফ এমপ্লয়মেন্ট, আধ্যাত্মিক বিশ্ববিদ্যালয়কে ভুয়ো ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন।   

    আরও পড়ুন: ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে কুয়েট পিজি, জানাল ইউজিসি 

    কেরলের সেন্ট জোনস, মহারাষ্ট্রের রাজা আরাবিক ইউনিভার্সিটিকেও ভুয়ো ঘোষণা করা হয়েছে ইউজিসির তরফ থেকে। 

    আরও পড়ুন: বিনামূল্যে উচ্চশিক্ষার সুযোগ! নিখরচায় ২৩,০০০ -এরও বেশি কোর্স করাবে ইউজিসি 

    উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের গান্ধি হিন্দি বিদ্যাপীঠ, কানপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব ইলেক্ট্রো কমপ্লেক্স, সুভাষচন্দ্র বোস মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, ফৈজাবাদের ভারতীয় শিক্ষা পরিষদকে ভুয়ো ঘোষণা করা হয়েছে। ওড়িশার দুটি, অন্ধপ্রদেশের একটি এবং পুদুচেরির একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেও ভুয়ো বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

     

  • Nepal on Agnipath: অগ্নিপথ প্রকল্পের মাধ্যমে গোর্খা নিয়োগ স্থগিতের আর্জি নেপালের 

    Nepal on Agnipath: অগ্নিপথ প্রকল্পের মাধ্যমে গোর্খা নিয়োগ স্থগিতের আর্জি নেপালের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় সেনায় ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পে (Agnipath scheme) গোর্খাদের নিয়োগ (Gorkha Recruitment) স্থগিতের আর্জি করল নেপাল। কিছুদিন পরেই নেপাল (Nepal) সফরে যাবেন ভারতীয় সেনাপ্রধান। নেপাল সেনাবাহিনীর ‘সাম্মানিক জেনারেল’ পদে ভূষিত করা হবে ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডেকে (Manoj Pande)।  

    সেনাবাহিনীতে ভারত ও নেপালি গোর্খাদের নিয়ে গোর্খা রেজিমেন্ট ৪৩টি গোর্খা ব্যাটালিয়ন রয়েছে। নেপালের অর্থনীতিতেও বড়সড় ভূমিকা রয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর। তবে অগ্নিপথ প্রকল্পের মাধ্যমে গোর্খা সেনা নিয়োগ স্থগিত করতে ভারতকে অনুরোধ করেছে নেপাল। নেপাল বিদেশমন্ত্রকের বক্তব্য, বিষয়টি যেহেতু নতুন, তাই নেপালের সব রাজনৈতিক দল এই বিষয়ে আলোচনায় বসতে চায়। সেই অবধি সময় দিক ভারতীয় সেনা (Indian Army)। সেনায় অস্থায়ী এই চাকরি ব্যবস্থা নেপাল-ভারত-ব্রিটেনের আগের চুক্তির পরিপন্থী বলেও দাবি করেছে নেপাল সরকার। 

    আরও পড়ুন: অগ্নিবীর পরীক্ষার ফল প্রকাশ করল বায়ুসেনা, দেখবেন কী করে?

    ভারতীয় সেনায় করোনা ঢেউ আসার আগে অবধিও প্রতি বছর ১২০০-১৫০০ নেপালি গোর্খা চাকরি পেয়েছেন। ভারতীয় সেনায় চাকরি করে হাজার-হাজার নেপালি গোর্খা। পেনশনও পান অনেকে। 

    সম্প্রতি নেপালের বিদেশমন্ত্রী নারায়ণ খড়কে (Narayan Khadke) সেদেশে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত নবীন শ্রীবাস্তবকে অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে আপত্তির কথা জানিয়েছেন। বর্তমানে অগ্নিপথ প্রকল্পের মাধ্যমেই ভারতীয় সেনায় নিয়োগ চলছে। নেপালের বিদেশমন্ত্রীর মতে, “এখন গোর্খাদের ভারতীয় সেনায় যেভাবে নিয়োগের কথা বলা হচ্ছে তা ১৯৪৭-এর ৯ নভেম্বর নেপাল-ভারত-ব্রিটেনের মধ্যে স্বাক্ষরিত ত্রিপাক্ষিক চুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। কাঠমাণ্ডু রাজনৈতিক দল এবং এ বিষয়ে ওয়াকিবহাল মহলের প্রত্যেকের সঙ্গে বিস্তারিতভাবে আলোচনার পরেই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক।”      

    নেপালের বিদেশ মন্ত্রী আরও বলেন, “১৯৪৭-এর যে চুক্তির ভিত্তিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে গোর্খাদের নিয়োগ করা হয়, অগ্নিপথ প্রকল্পের অধীনে ভারতীয় সেনায় নতুন নিয়োগ নীতি তার থেকে আলাদা। তাই নেপালকেও নতুন এই নীতি সম্পর্কে মূল্যায়ন করতে হবে।”

    আরও পড়ুন: নেপালি এবং গোর্খাদেরও সেনায় নিয়োগ করা হবে অগ্নিপথ প্রকল্পের মাধ্যমে 

    ১৯৪৭-র ত্রিপাক্ষিক চুক্তিতে বলা হয়, ভারতীয় সেনাদের মতোই বেতন, অবসরভাতা এবং অন্যান্য সুযোগ- সুবিধা দিতে হবে গোর্খাদের। নেপালের আশঙ্কা, অগ্নিপথ প্রকল্পের মাধ্যমে নিয়োগ হলে সেই চুক্তি বিঘ্নিত হতে পারে। সেনায় চাকরি করার সুবাদে বহু গোর্খা ভারতেই থেকে যান। এই প্রকল্পের মাধ্যমে নিয়োগের ৪ বছরের মাথায় যাঁদের বসিয়ে দেওয়া হবে, তাঁদের ভবিষ্যৎ কী হবে? সেই প্রশ্ন তুলেছে নেপাল সরকার। আলোচনায় বসতে চায় প্রতিবেশী দেশ। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেন, অগ্নিপথ প্রকল্পের মাধ্যমে নেপাল গোর্খাদের নিয়োগ করতে চলেছে ভারতীয় সেনা। তারপর নেপালের তরফ থেকে এই দাবি ওঠে। কিন্তু ভারতের তরফে পরিষ্কার করা হয়েছে, এখন প্রক্রিয়া স্থগিত করা সম্ভব নয়।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
      

     

  • CJI UU Lalit: প্রধান বিচারপতি পদে শপথ ললিতের, লক্ষ্য, দ্রুত মামলার নিষ্পত্তি করা

    CJI UU Lalit: প্রধান বিচারপতি পদে শপথ ললিতের, লক্ষ্য, দ্রুত মামলার নিষ্পত্তি করা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের ৪৯তম প্রধান বিচারপতি (CJI) পদে শপথ নিলেন উদয় উমেশ ললিত (UU Lalit)। শনিবার তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। এদিন সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে ললিতকে শপথবাক্য পাঠ করান দেশের পঞ্চদশতম রাষ্ট্রপতি। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি পদে অবসর নিয়েছেন এনভি রামানা (NV Ramana)। তাঁরই স্থলাভিষিক্ত হলেন প্রধান বিচারপতি ললিত। প্রথা অনুযায়ী, অবসর গ্রহণের আগে আগে পরবর্তী প্রধান বিচারপতির নাম প্রস্তাব করেন প্রধান বিচারপতি। সেই মতো ললিতের নাম প্রস্তাব করেন রামানাই। পরে তাতে সিলমোহর দেন রাষ্ট্রপতি। প্রসঙ্গত, মাত্র ৭৪ দিনের জন্য প্রধান বিচারপতি পদ অলঙ্কৃত করবেন ললিত। কারণ সুপ্রিম কোর্টে অবসর গ্রহণের বয়স ৬৫ বছর।  

    এদিনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ললিত পরিবারের তিন প্রজন্ম। এবং তিনজনেই রয়েছেন আইনি পেশায়। ললিতের বাবা উমেশ রঙ্গনাথ ললিতের বয়স ৯০। প্রবীণ এই আইনবিদ হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে কাজ করেছেন দীর্ঘদিন। তাঁর বাবা রঙ্গনাথ ললিত স্বাধীনতার আগে সোলাপুরের আইনজীবী ছিলেন। এদিনের অনুষ্ঠানে দুই ছেলেকে নিয়ে উপস্থিত ছিলেন ললিতের স্ত্রী অমিতা। নয়ডায় তিনি একটি স্কুল চালান। তাঁর দুই ছেলে হর্ষদ ও শ্রীয়েশ ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তেন। পরে শ্রীয়েশ আইনের পাঠ নেন। তাঁর স্ত্রী রবীনাও রয়েছেন আইনি পেশায়।

    মহারাষ্ট্রে বাস ললিত পরিবারের। ১৯৮০ সালে দিল্লি আসেন দেশের বর্তমান প্রধান বিচারপতি। তার আগে তিনি প্র্যাকটিস করতেন বম্বে হাইকোর্টে। পরবর্তীকালে সুপ্রিম কোর্টে প্র্যাকটিস করতে শুরু করেন ললিত। দ্রুত নাম করেন ফৌজদারি মামলায়। যেসব হাই-প্রোফাইল মামলা তিনি লড়েছেন, তার মধ্যে উল্লেযোগ্য হল ২জি স্পেকট্রাম অ্যালোকেশন মামলা। ওই মামলায় ললিত নিযুক্ত হয়েছিলেন স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে। ২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন ললিত। আইনি দক্ষতার জেরে ল’ ইয়ার থেকে সরসরি ওই পদে বসেন তিনি। তার পর প্রধান বিচারপতি পদে। ললিত বলেন, আমি বিশ্বাস করি যে দেশের শীর্ষ আদালতের ভূমিকা হল আইনের ব্যাখ্যা দেওয়া। বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠিয়ে যত দ্রুত সম্ভব মামলার নিষ্পত্তি করা।

    আরও পড়ুন : খয়রাতি ও জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের মধ্যে বিভাজন রেখা প্রয়োজন, মত সুপ্রিম কোর্টের

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Sonali Phogat Death: সোনালিকে জোর করে খাওয়ানো হয়েছিল মাদক, চাঞ্চল্যকর দাবি গোয়া পুলিশের 

    Sonali Phogat Death: সোনালিকে জোর করে খাওয়ানো হয়েছিল মাদক, চাঞ্চল্যকর দাবি গোয়া পুলিশের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত বিজেপি নেত্রী এবং টিকটক স্টার সোনালি ফোগাটের (Sonali Phogat) মৃত্যুর তদন্তে নেমে পুলিশ পরতে পরতে রহস্যের গন্ধ পাচ্ছে। এবার এক চাঞ্চল্যকর দাবি করল গোয়া পুলিশ। পুলিশের দাবি, সোনালিকে একটি বোতলের মধ্যে ১.৫ গ্রাম এমডিএমএ নামক মাদক (Drug) দেওয়া হয়েছিল। তাঁর আপ্তসহায়ক অভিযুক্ত সুধীরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে একথা জানতে পেরেছেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন: সোনালি ফোগাটের পোস্টমর্টেম রিপোর্টে ঘনীভূত রহস্য, গ্রেফতার দুই সহকারী

    তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ (Goa Police) জানতে পেরেছে, সোনালিকে জোর করে  এই মাদক খাওয়ানো হয়েছিল। ইতিমধ্যেই সোনালির সহকারী সুধীর ও সুখবিন্দরকে গ্রেফতার করেছে গোয়া পুলিশ। পরিবারের সদস্যরা সুধীরের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করেছেন। পুলিশের তদন্তেও উঠে এসেছে সেরকমই কিছু তথ্য। একটি নতুন সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশের হাতে এসেছে। তাতে দেখা গিয়েছে, সোনালিকে বোতল থেকে কিছু একটা দিচ্ছেন সুধীর। সোনালি বার বার বাঁধা দিচ্ছিলেন তাঁকে। খেতে চাইছিলেন না তিনি। পুলিশের অনুমান, সেটাই ছিল সেই মাদক। নিশ্চিত করতে রাসায়নিক পরীক্ষা করা হচ্ছে।   

    পুলিশের মাদকতত্ত্ব মেনে নিয়েছেন অভিযুক্তও। স্বীকার করেছেন, সোনালিকে মাদক দেওয়া হয়েছিল। তবে মাদকের কারণে সোনালির মৃত্যু হয়েছে কিনা তা এখনও জানা যায়নি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, সোনালির শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাঁকে ভোঁতা কোনও অস্ত্র দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ খুনের ধারায় এফআইআর করেছে।  

    আরও পড়ুন: ধর্ষণ করে খুন বিজেপি নেত্রীকে! বিস্ফোরক অভিযোগ সোনালি ফোগাটের পরিবারের

    এদিকে শনিবার সকালে পুলিশ সোনালি যে রেস্তোরাঁর শেষবার খেয়েছিলেন তার মালিককে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, কার্লিস রেস্তোরাঁর (Goa Curlis Restaurant) মালিক এডউই নানসকে প্রায় সাত ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাঁর বক্তব্য একাধিক অসঙ্গতি ধরা পড়ায় এবং রেস্তোরাঁর শৌচালয় থেকে মাদক উদ্ধার হওয়ার পরই গ্রেফতার করা হয় মালিককে। মাদক পাচারকারী সন্দেহে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের অনুমান, এই ধৃত ব্যক্তিই ওইদিন সোনালি ফোগাটকে খাওয়ানোর জন্য মাদক সরবরাহ করেছিলেন রেস্তরাঁয়। 

    পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। গ্রেফতার হওয়া দুই আপ্তসহায়কের একজনের নথিতে সোনালি ফোগাটকে তাঁর স্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। যত দিন যাচ্ছে, তত ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য। উল্লেখ্য, এই দুই আপ্ত সহায়ককে আরও ১০ দিনের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • India-China-US: চিন সীমান্তের কাছে ভারত-মার্কিন সেনা মহড়া! বেজিংয়ের আপত্তি উড়িয়ে দিল দিল্লি

    India-China-US: চিন সীমান্তের কাছে ভারত-মার্কিন সেনা মহড়া! বেজিংয়ের আপত্তি উড়িয়ে দিল দিল্লি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনের (China) সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই হিমালয় পর্বতে যৌথ সামরিক মহড়া চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমেরিকা (US) ও ভারত (India)। এতে আপত্তি জানিয়েছিল বেজিং। কিন্তু তাকে আমল দিতে নারাজ দিল্লি। ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের তরফে চিনের সমালোচনা করে বলা হয়,   ভারত স্বাভাবিক ভাবে অবৈধ, অনুচিত কোনও কাজ করে না। সেনা প্রশিক্ষণের স্বার্থে এই মহড়া জরুরি।  

    আগামী ১৪ থেকে ৩১ অক্টোবর ভারত-চিন সীমান্ত থেকে ১০০ কিলোমিটারেরও কম দূরত্বে মহড়া চালাবে আমেরিকা ও ভারতের সেনা। উত্তরাখণ্ডের আউলিতে অনুষ্ঠিত এই মহড়া নিয়ে আপত্তি তুলেছিল চিন।  হিমালয় পর্বতের দক্ষিণ ঢালে অবস্থিত এবং সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১০ হাজার ফুট উচ্চতায় আউলিতে মহড়া চালাবে দিল্লি ও ওয়াশিংটন। তাতেই বাধা দিয়েছিল বেজিং। চিনের দাবি, সীমান্তে কোনও তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ চায় না তারা। যদিও ভারতের তরফে বৃহস্পতিবার জানিয়ে দেওয়া হয়, মহড়া চলবে। এটা সীমান্ত সমস্যা মোকাবিলা নয় একটা আনুষ্ঠানিক মহড়া, বলে জানান ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী (arindam bagchi)। তিনি বলেন, “এই মহড়াকে অন্য রং দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এটা কোনও চুক্তিকেই আঘাত করবে না। ভারত শান্তি বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর। দিল্লি মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেয় না।”

    আরও পড়ুন: চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরে তৃতীয় দেশের অন্তর্ভুক্তি! কড়া সমালোচনা ভারতের

    আউলি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে প্রায় ৯৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এটি ভারত ও চিনকে বিভক্ত করেছে। ১৯৬২ সালে চিন-ভারত যুদ্ধের পর থেকে দুই দেশ এই এলাকার মালিকানা দাবি করে আসছে।  

    চিন-তাইওয়ান দ্বন্দ্ব নিয়েও মুখ খোলেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী। তিনি দুপক্ষকেই সংযত হতে বললেন। পাশাপাশি আঞ্চলিক স্থিতাবস্থা যাতে বজায় থাকে তার জন্য নজর রাখার কথা বললেন দুই দেশকেই। প্রসঙ্গত জানা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবারও তাইওয়ান প্রণালীতে চিনা নৌবাহিনীর ৬ টি জাহাজ ঢুকে পড়েছে। এমনকি ২১ টি চিনা যুদ্ধবিমান তাইওয়ান প্রণালীর ওপর ঘুরে বেড়াচ্ছে। চিন তাইওয়ান যুদ্ধ আবহে ইতিমধ্যেই ব্যাপক উদ্বেগ বেড়ে গিয়েছে আন্তর্জাতিক মহলের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Kerala Judge: ‘উত্তেজক পোশাক!’ যৌন হয়রানি মামলায় বিতর্কিত মন্তব্য করায় বদলি কেরলের বিচারক

    Kerala Judge: ‘উত্তেজক পোশাক!’ যৌন হয়রানি মামলায় বিতর্কিত মন্তব্য করায় বদলি কেরলের বিচারক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিযোগকারীর পোশাকের দিকে আঙুল তুলে দুটি যৌন হেনস্থার অভিযোগ থেকে এক ব্যক্তিকে নিষ্কৃতি দেন কেরলের বিচারক এস কৃষ্ণ কুমার (S Krishnakumar)। ঘটনার এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই ওই বিচারকের বদলির (Transfer) নির্দেশ জারি হল। কেরল (Kerala) হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল পি কৃষ্ণ কুমার কোঝিকোড়ের জেলা ও দায়রা আদালতের ওই বিচারকের বদলির নোটিস জারি করেছেন। 

    আরও পড়ুন: এএফসি চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রাত্য কেরলের মহিলা ফুটবল দল! প্রধানমন্ত্রীকে আবেদন

    সম্প্রতি কোঝিকোড়ের জেলা ও দায়রা আদালতের ওই বিচারক (District Judge in north Kerala’s Kozhikode)‘যৌন উত্তেজক পোশাক’ পরাকে যৌন হয়রানির (Sexual Harassment) অপরাধ বলে এক মামলার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিলেন। আর তাতেই বদলি করা হল ওই বিচারককে বলে দাবি ওয়াকিবহাল মহলের। ওই বিচারক ছাড়াও বদলির নোটিস পেয়েছেন জেলা স্তরের তিন বিচার বিভাগীয় আধিকারিকও।

    কিছুদিন আগেই দুটি পৃথক যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে লেখক তথা সমাজকর্মী চন্দ্রনের বিরুদ্ধে। দুটি মামলাতেই ওই লেখকের আগাম জামিন মঞ্জুর করে কোঝিকোড়ের জেলা ও দায়রা আদালত। এই ঘটনাতে ক্ষোভ সৃষ্টি হয় সাধারণ মানুষের মধ্যে। 

    ওই লেখকের বিরুদ্ধে ২০২২ সালে প্রথম অভিযোগ করেন এক দলিত মহিলা লেখক। চন্দ্রনের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগ এনেছিলেন তিনি। গত ১৭ জুলাই সেই মামলার আগাম জামিন পেয়েছেন ওই লেখক। মামলার রায় দিতে গিয়ে বিচারক এস কৃষ্ণ কুমার তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেন,  “অভিযুক্ত আগে থেকেই জানতেন, ওই মহিলা তফসিলি জাতিভুক্ত। সেই কথা জানার পরেও তিনি মহিলাকে স্পর্শ করবেন, এটা মোটেও বিশ্বাসযোগ্য নয়।”

    আরও পড়ুন: ‘আজাদ কাশ্মীর’ মন্তব্যে বিতর্কে সিপিএম বিধায়ক, পদত্যাগের দাবি বিজেপির      

    পৃথক একটি মামলায় ওই মালায়ালি লেখকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ জানিয়েছেন এক ৩০ বছর বয়সী লেখিকা। তাঁর অভিযোগ, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কোঝিকোড়ের সমুদ্র সৈকতে চন্দ্রন একটি লেখক-শিল্প শিবির আয়োজন করেছিলেন। সেখানেই যৌন নিপীড়েনের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় চন্দ্রনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে গত জুলাই মাসে মামলা দায়ের করেন ওই লেখিকা।

    গত ১২ অগস্ট সেই মামলার রায় দিতে গিয়ে কোঝিকোড়ের জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক এস কৃষ্ণ কুমার বলেন, “যে কোনও মহিলা যৌন উত্তেজক পোশাক পরে থাকলে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ ধারা অনুযায়ী যৌন হয়রানির অভিযোগে দায়ের করা মামলা গৃহীত হবে না।” বিচারক আরও বলেন, “অভিযুক্ত জামিনের আবেদনে যে ছবি পেশ করেছে, তাতে অন্য ছবি ধরা পড়েছে। অভিযোগকারী নিজেই এমন পোশাক পরেছে, তা যৌন উত্তেজক।” এরপরেই অভিযোগ নস্যাৎ করে ওই মালয়ালি লেখককে আগাম জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক এস কৃষ্ণ কুমার। জেলা ও দায়রা আদালতের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কেরল হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে সরকার। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • HC on Shaheen Bagh: শাহিনবাগের নেপথ্যে ছিল পিএফআই-এসডিপিআই! আদালতকে জানাল দিল্লি পুলিশ 

    HC on Shaheen Bagh: শাহিনবাগের নেপথ্যে ছিল পিএফআই-এসডিপিআই! আদালতকে জানাল দিল্লি পুলিশ 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংশোধিত নাগরিত্ব আইনের (CAA) প্রতিবাদে শাহিনবাগে (Shaheen Bagh) যে আন্দোলন হয়েছিল তা কোনও স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন ছিল না। ছিল সংগঠিত। নিরপেক্ষ আন্দোলনও ছিল না। তার নেপথ্যে ছিল বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্টকে (Delhi High Court) পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (PFI) ও সোশ্যাল ডেমক্রেটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়া (SDPI)। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টকে একথাই জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ। পুলিশ এও জানিয়েছে, শাহিনবাগ এবং স্থানীয় লোকজনও ওই আন্দোলন সমর্থন করেননি। পুলিশ এও জানিয়েছে, প্রতিবাদ আন্দোলন সংগঠিত করতে বিভিন্ন এলাকায় লোকজনও পাঠানো হয়েছিল।

    নাগরিকত্ব আইন লাগু হবে এই আশঙ্কায় প্রতিবাদে মুখর হয়ে ওঠে দিল্লির শাহিনবাগ এলাকা। ওই মামলায় নাম জড়ায় দিল্লির জওহরলাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উমর খলিদের। ওই মামলায় আপাতত বন্দি রয়েছেন উমর। তাঁর বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারায় মামলা হয়েছে। উমরের জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করতে গিয়ে পুলিশ আদালতে বেশ কিছু নথিপত্র জমা দিয়েছে। সেই মামলার শুনানি চলাকালীন এদিন হাইকোর্টকে একথা জানায় দিল্লি পুলিশ।

    আরও পড়ুন : সিএএ কবে থেকে লাগু হবে জানেন? কী বললেন অমিত শাহ?

    বিচারপতি সিদ্ধার্থ মৃদুল ও রজনীশ ভাটনগরের বেঞ্চে চলছে ওই মামলার শুনানি। এদিন সেখানেই স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর অমিত প্রসাদ বলেন, শাহিনবাগে যা হয়েছিল, তাকে সংগঠিত প্রতিবাদী আন্দোলন হিসেবে দেখানো হয়েছিল। তবে এটা তা ছিল না। এটা এমন পরিস্থিতি ছিল না, যখন আচমকাই লোকজন শাহিনবাগে চলে আসে…এই প্রতিবাদী ক্ষেত্র তৈরি করা হয়েছিল। পুলিশ এও জানিয়েছে, শাহিনবাগের অন্যতম প্রতিবাদী দাদিও ছিলেন না এর পিছনে। শাহিনবাগের নেপথ্যে ছিলে বিভিন্ন মানুষ এবং সংগঠনের অ্যালায়েন্স। শাহিনবাগের আন্দোলন কোনও নিরপেক্ষ আন্দোলন ছিল না।

    স্পেশাল প্রসিকিউটর এদিন আদালতে চ্যাট মেসেজ দেখান। আন্দোলন চলাকালীন ওই মেসেজ চালাচালি হয়েছিল। এর মধ্যে অভিযুক্তরাও রয়েছে। তারাই খেপিয়েছিল জনতাকে। জড়ো করেছিল লোকজনকে। তাদের সমর্থন জানিয়েছিল। তিনি জানান, শাহিনবাগের আন্দোলনের পিছনে ছিল পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া এবং সোশ্যাল ডেমক্রেটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়া। আমি প্রথম দিনই বলেছিলাম, এর পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে। মূল চক্রীরা দৃশ্যমান এবং অদৃশ্যমান দুই ছিল। একটি দৃশ্যমান উপকরণ হল পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২৫ অগাস্ট।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Rajnath Singh: আত্মনির্ভর ভারত! বিদেশ থেকে আমদানি নয়, আরও ৭৮০টি যুদ্ধসামগ্রী তৈরি হবে দেশেই

    Rajnath Singh: আত্মনির্ভর ভারত! বিদেশ থেকে আমদানি নয়, আরও ৭৮০টি যুদ্ধসামগ্রী তৈরি হবে দেশেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসের দিনই শোনা গিয়েছিল অত্যাধুনিক দেশীয় কামানের গর্জন। এবার আত্মনির্ভর ভারত তৈরিতে আর একটি পদক্ষেপ করল ভারতীয় সেনা। প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Defence Minstry) রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) দেশে আরও নতুন যুদ্ধ সামগ্রী তৈরির তালিকা প্রকাশ করলেন। এই নিয়ে তৃতীয়বার তালিকা প্রকাশ করা হল। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, এই তালিকায় বলা হয়েছে, বিদেশ থেকে রফতানি নয় আরও ৭৮০টি যুদ্ধসামগ্রী দেশেই তৈরি হবে। কিছুদিন আগেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছিলেন দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি একাধিক অত্যাধুনিক অস্ত্র। 

    গত ১৫ অগাস্ট প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দেশেই নয়া যুদ্ধ সমাগ্রী তৈরির উদাহরণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। তাঁর স্বপ্নের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া (Make in India)’প্রকল্প প্রসারে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কথা উল্লেখ করেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘সশস্ত্র সেনাবাহিনীর সমস্ত অস্ত্রের স্বদেশীকরণের জন্য দীর্ঘ দিন ধরেই কাজ করে আসছে ভারত সরকার। নেওয়া হয়েছে একাধিক নীতিও।’

    আরও পড়ুন: কালীপুজোর সময়েই আসতে চলেছে জিও ৫জি! আগামী বছরেই সারা দেশে, জানুন কী বললেন মুকেশ আম্বানি

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত প্রকাশিত তিনটি তালিকায় মোট ২,৫০০ যুদ্ধ সামগ্রী দেশে তৈরি হওয়ার কথা। শীঘ্রই দেশের পদাতিক সেনায় যান্ত্রিক সরঞ্জামের সংযুক্তিকরণ ঘটবে বলে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনা। সেনাকে ভবিষ্যতমুখী বানাতেই এই পদক্ষেপ করা হবে। যানবাহন, ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা এবং রাত্রিকালীন যুদ্ধের গিয়ার থেকে শুরু করে অ্যান্টি-ড্রোন ব্যবস্থায় এই নয়া সংযুক্তিকরণ ঘটবে। দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করেই সেনাকে আধুনিকতার পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে। গোয়েন্দাগিরি থেকে নজরদারির ক্ষেত্রে এই আধুনিকীকরণ খুব কার্যকরী হবে বলে আশা সেনার। দ্রুত গতিতেই এই নয়া যান্ত্রিক ব্যবস্থায় সাজিয়ে ফেলা হবে সেনাকে।

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে,স্বদেশী পদ্ধতিতে তৈরি একাধিক অস্ত্র আসছে সেনা বাহিনীতে। এর মধ্যে ল্যান্ড মাইন্স, পার্সোনাল ওয়েপেন্স এবং ইনফেন্ট্রী কমব্যাট যানও রয়েছে। প্রসঙ্গত, চলতি বছরে জুন মাসে প্রতিরক্ষামন্ত্রক ৭৬৩৯০ কোটি টাকার দেশীয় সেনা উপকরণ কেনার জন্য সম্মতি দেয়। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • INS Vikrant: বিক্রান্তের ডেকে নামবে কে? চলছে তীব্র প্রতিযোগিতা, দৌড়ে এগিয়ে…

    INS Vikrant: বিক্রান্তের ডেকে নামবে কে? চলছে তীব্র প্রতিযোগিতা, দৌড়ে এগিয়ে…

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অন্তর্ভুক্তির অপেক্ষায় ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্ত (INS Vikrant)। বিক্রান্তের জন্য ২৬টি ফাইটার জেট কেনার কথা ভাবছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। আগামী ২ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi) কোচিতে দেশের বৃহত্তম যুদ্ধজাহাজ বিক্রান্তকে আনুষ্ঠানিকভাবে নৌবাহিনীতে (Indian Navy) অন্তর্ভুক্ত করবেন।

    মার্কিন সংস্থা বোয়িং (Boeing) নির্মিত সুপার হর্নেট (F/A-18 E/F Super Hornet) আর ফরাসি সংস্থা দাসো নির্মিত রাফাল-এম (Rafale-M) গত জুন মাসে গোয়ার সমুদ্র সৈকতের কাছে গড়ে ওঠা ভারতীয় নৌসেনার পরীক্ষাকেন্দ্র আইএনএস হানসা-য় তাদের কর্মদক্ষতা দেখিয়েছে। নৌসেনার তরফে দাবি করা হয়েছে, এরা প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দেশকে সেরাটা দিতে প্রস্তুত। তাই বোয়িংয়ের ফাইটার জেট কেনার ক্ষেত্রে ইতিবাচক সাড়া মিলবে বলে অনুমান।

    আরও পড়ুন: নৌসেনার হাতে এল দেশে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্ত, অন্তর্ভুক্তি কবে?

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, বোয়িংয়ের তরফে নতুন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, ভারত যদি তাদের যুদ্ধবিমান নেয়, তাহলে আগামী ১০ বছরে ভারতে ৩৬০ কোটি মার্কিন ডলারের অর্থনৈতিক ফায়দা হবে। সংস্থার দাবি, তাদের ফাইটার জেটকে যদি নির্বাচিত করা হয়, তাহলে ভারতে উৎপাদন থেকে শুরু করে কারিগরি ও প্রযুক্তি হস্তান্তর, পরিকাঠামো এবং প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে বিনিয়োগ করবে আমেরিকা।

    বম্বার্স অ্যান্ড ফাইটার্স বোয়িং ডিফেন্স স্পেস অ্য়ান্ড সিকিউরিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট স্টিভ পার্কার জানিয়েছেন,  ভারতকে “এফ/এ-১৮ ই/এফ সুপার হর্নেট ব্লক ৩” (F/A-18 E/F Super Hornet Block 3) দিতে প্রস্তুত তারা।  আধুনিক মানের এই যুদ্ধবিমান যে কোনও শত্রুর মোকাবিলা করতে সক্ষম। সুপার হর্নেট ভারতীয় সেনাকে আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে দেবে। বোয়িংয়ের তৈরি সুপার হর্নেট মার্কিন নৌবাহিনীর কাছে ভরসার যুদ্ধবিমান। বিমানবাহী রণতরীর জন্য নির্মিত বহুমুখী ফাইটার জেটটি ১৯৯১ উপসাগরীয় যুদ্ধের (1991 Gulf War) সময় থেকে স্ট্রাইক অপারেশন করে এসেছে।

    আরও পড়ুন: চতুর্থ সি-ট্রায়াল সফলভাবে সম্পন্ন ‘আইএনএস বিক্রান্ত’-এর, ছবি প্রকাশ নৌসেনার

    ভারতে বোয়িংয়ের কর্ণধার সলিল গুপ্ত জানিয়েছেন, সুপার হর্নেটকে নির্বাচন করা হলে তা ভারতীয় প্রতিরক্ষা শিল্পের ক্ষেত্রকে আরও উজ্জীবিত করবে। আত্মনির্ভর ভারতের ক্ষেত্রেও এটা একটা বড় দিক। উল্লেখ্য, ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি রণতরী বিক্রান্তে ব্যবহার করা হয়েছে ৪৫ হাজার টন স্টিল, যা দিয়ে তৈরি করা যাবে চারটি আইফেল টাওয়ার। ২৬২ মিটার দৈর্ঘের এ রণতরী দেড় হাজার সেনা সদস্য ও ৩০টির বেশি যুদ্ধবিমান বহনে সক্ষম। পাড়ি দিতে পারবে টানা ২ হাজার ৪০০ কিলোমিটার পথ।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Supreme Court on PMLA: পিএমএলএ আইন নিয়ে আগের রায় পর্যালোচনায় সুপ্রিম কোর্ট, বিবেচনায় দুটি ধারা 

    Supreme Court on PMLA: পিএমএলএ আইন নিয়ে আগের রায় পর্যালোচনায় সুপ্রিম কোর্ট, বিবেচনায় দুটি ধারা 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত মাসেই আর্থিক দুর্নীতি মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (Enforcement Directorate) ক্ষমতাকে (PMLA) ছাড়পত্র দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। সেই রায়ের বিরোধীতা করেছিল দেশের বিরোধী দলগুলি। সুপ্রিম কোর্টের ইডিকে বিশেষ ক্ষমতা দেওয়ার এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে বিষয়টিকে পুনর্বিবেচনা করার আবেদন জানিয়ে মামলা দায়ের করেছিলেন কংগ্রেস সাংসদ কার্তি চিদম্বরম। এবার আর্থিক দুর্নীতি মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের ক্ষমতা বহাল রাখার রায় পুনর্বিবেচনা (Review) করতে সম্মত হল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শীর্ষ আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, আর্থিক দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন অনুসারে রায়ের দুটি বিষয় রয়েছে। একদিকে যেমন ইডির গ্রেফতারির সময় প্রতিক্ষেত্রে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ইসিআইআরের অনুলিপি দেখানো বাধ্যতামূক নয়। তেমনি অন্যদিকে, অভিযুক্তকে নির্দোষ প্রমাণের সুযোগ। এই দুইটি বিষয় সামনে রেখে আগের রায় পুনর্বিবেচনার প্রয়োজন রয়েছে বলে সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ২৯ অগাস্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে ২৫টি সাংবিধানিক বেঞ্চের মামলার শুনানি শুরু 

    ইডির ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কিছুদিন আগেই বিরোধী দলগুলি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। ইডির বিরুদ্ধে সেই মামলায় সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলা হয়েছিল। অনেক ক্ষেত্রেই ইডি গ্রেফতারের সময় ইসিআইআরের অনুলিপি অভিযুক্ত বা অভিযুক্তের আইনজীবীকে দেখাচ্ছেন না বলে অভিযোগকারীরা আদালতে জানিয়েছিলেন। এবার এই ইসিয়াইআর কী? ইসিআইআরের অনুলিপি হল এনফোর্সমেন্ট কেস ইনফোর্সমেন্ট রিপোর্ট। ইডির ইসিআইআর অনেকটাই পুলিশের এফআইআরের মতো। এছাড়া ইডির বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের অভিযোগও করা হয়েছিল। পাশাপাশি বিরোধীরা এও অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক হিংসা চরিতার্থ করতে ক্ষমতা অপব্যবহার করছে ইডি। 

    ইডির ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিমকোর্টে ২৪০টির বেশি পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল। জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী অনিল দেশমুখ, কংগ্রেস সাংসদ কার্তি চিদাম্বরম ইডির বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। এই তালিকায় রয়েছেন দেশের আরও অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও বিশিষ্ট জনেরা। ২৭ জুলাই সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি এএম খানইউলকরের বেঞ্চ ইডির ক্ষমতার পক্ষে রায় দিয়েছিল।

    আরও পড়ুন: অসাংবিধানিক! ১৯৮৮ সালের বেনামি লেনদেন আইনের একটি ধারা বাতিল করল সুপ্রিম কোর্ট 

    সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়েছিল, কোনও ব্যক্তিকে গ্রেফতার করার আগে তাঁকে ইডির তরফে কেস ইনফরমেশন কপি (ECIR) দেওয়ার কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। আরও বলা হয়েছিল অভিযুক্তকে দোষী প্রমাণ করার কোনও দায় নেই তদন্তকারী সংস্থার। বরং অপরাধীকে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে হবে। এই দুটি নির্দেশই পুনরায় বিবেচনা করে দেখা হবে এদিন পুনর্বিবেচনা করা হবে জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি এন ভি রমণের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানিয়েছে, “এই দুটি প্রাথমিক বিষয়ের পুনর্বিবেচনা করার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

LinkedIn
Share