Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Mahakumbh: মহাকুম্ভের আকাশে বাতাসে ‘জয় শ্রী রাম’, ধ্বনি তুলছেন বাঙালি ভক্তরা

    Mahakumbh: মহাকুম্ভের আকাশে বাতাসে ‘জয় শ্রী রাম’, ধ্বনি তুলছেন বাঙালি ভক্তরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৪৪ বছর পরে মহাকুম্ভ (Mahakumbh) অনুষ্ঠিত হচ্ছে প্রয়াগরাজে। ইতিমধ্যেই সেখানে রচিত হয়েছে ইতিহাসও। পৃথিবীর বৃহত্তম ইভেন্টে ৬০ কোটি মানুষ নিজেদের পুণ্যস্নান সেরেছেন ত্রিবেণী সঙ্গমে। সেই প্রয়াগরাজেই এবার বাঙালিরা তুলছেন জয় শ্রী রাম ধ্বনি (Jai Shri Ram)। যা বর্তমান সময়ে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। পশ্চিমবঙ্গ (Mahakumbh) থেকে আগত ভক্তরা দলে দলে প্রয়াগে জয় শ্রীরাম ধ্বনি তুলছেন এবং মহা কুম্ভের বিভিন্ন সেক্টর পরিদর্শন করছেন- এই দৃশ্যই ধরা পড়ল। একইসঙ্গে হর হর গঙ্গে, ব্যোম বাম ভোলে ধ্বনিও উঠছে সেখানে।

    মমতার মন্তব্য মানতে পারেনি হিন্দু সমাজের বড় অংশ (Mahakumbh)

    কেউ কেউ বলছেন, পশ্চিমবঙ্গের তীর্থযাত্রীদের মহাকুম্ভে জয় শ্রী রাম ধ্বনি দেওয়ার পিছনে কাজ করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য। সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহাকুম্ভকে (Mahakumbh) মৃত্যুকুম্ভ বলে তোপ দেগেছেন। এতেই পশ্চিমবঙ্গের হিন্দু সমাজের বড় অংশ অসন্তুষ্ট বলে মনে করছেন কেউ কেউ। তারই প্রতিক্রিয়ায় এবার বাঙালিরা কুম্ভে গিয়ে ধ্বনি তুললেন জয় শ্রী রাম। অর্গানাইজার পত্রিকার প্রতিবেদন অনুসারে, গতকাল রবিবার আসানসোল থেকেই দু হাজারেরও বেশি ভক্ত হাজির হয়েছিলেন ৪০টি বাসে করে পবিত্র প্রয়াগরাজে। কুম্ভ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের পাড়ায় পাড়ায় উন্মাদনা নজরে পড়ছে। এমনটা আগে কখনও দেখা যায়নি বলে জানাচ্ছেন বিশ্লেষকরা।

    সমাজমাধ্যমে কড়া নজর যোগী সরকারের

    জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশ সরকার সমাজমাধ্যমে কড়া নজর রেখেছে। যাতে সেখানে মহাকুম্ভকে (Mahakumbh) নিয়ে কোনও রকমের গুজব ছড়িয়ে না পড়ে। এ নিয়ে ডিজি প্রশান্ত কুমার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘ইতিমধ্যে ৫০টা এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। যারা ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে মহাকুম্ভ সম্পর্কে এবং গুজব ছড়াচ্ছে নানা রকম, আমরা তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে চাই।’’ মুখ্যসচিব ও পুলিশের ডিজি সেখানকার ভক্তদের সঙ্গে কথাও বলেন। সরকারের দুই উচ্চপদস্থ এক আধিকারিক বলেন, ‘‘মহাকুম্ভ (Mahakumbh) শুরু হয়েছিল ১৩ জানুয়ারি থেকে, তা একদম চূড়ান্ত পর্যায়ে চলছে। প্রতিদিনই এক কোটি ভক্ত পুণ্যস্নানে অংশগ্রহণ করছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন সাধু-সন্ন্যাসী। তাঁরা সনাতন ধর্মের বিভিন্ন আখড়া থেকে এসেছেন।’’

  • RSS: হিন্দু সমাজকে সংগঠিত করতে পাঁচ পরিবর্তনের কথা শোনালেন মোহন ভাগবত

    RSS: হিন্দু সমাজকে সংগঠিত করতে পাঁচ পরিবর্তনের কথা শোনালেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) সরসংঘচালক মোহন ভাগবত আরএসএসের পঞ্চ পরিবর্তন নীতিকে ব্যাখ্যা করলেন। প্রসঙ্গত, সারা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সাংস্কৃতিক এবং সামাজিক সংগঠন বলে বিশেষ পরিচিতি রয়েছে আরএসএসের। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের অধীনে কাজ করছে ৬৩টিরও বেশি শাখা সংগঠন। হিন্দু সমাজকে সংগঠিত করতে প্রত্যেক জায়গাতেই রয়েছেন রাষ্ট্রের স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) প্রচারকরা। ব্যক্তি নির্মাণের মধ্যে দিয়ে রাষ্ট্র নির্মাণ- এই তত্ত্বে বিশ্বাস রাখা আরএসএস পঞ্চ পরিবর্তনের কথা বলছে। এরই ব্যাখ্যা গতকাল রবিবার অর্থাৎ ২৩ ফেব্রুয়ারি গুয়াহাটিতে দিয়েছেন সংঘের সর সংঘচালক মোহন ভাগবত। প্রসঙ্গত অসমের গুয়াহাটি মহানগর শাখার পক্ষ থেকে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় রবিবারই। সেখানেই হাজির ছিলেন সংঘপ্রধান (Mohan Bhagwat)।

    পঞ্চ পরিবর্তন নীতি

    এই অনুষ্ঠানে হাজারেরও বেশি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) স্বয়ংসেবককে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়। তাঁরা সমবেত হয়েছিলেন গুয়াহাটির বর্ষাপাড়া সাউথ পয়েন্ট স্কুলের মাঠে। সেখানেই বক্তব্য রাখেন সর সংঘচালক মোহন ভাগবত। তাঁর বক্তব্যেই উঠে আসে সমাজ পরিবর্তনের নানা বিষয়। সামাজিক সম্প্রীতি কিভাবে রক্ষা হবে, পরিবেশের ভারসাম্যের জন্য আমাদের ভূমিকা কী এবং সাংস্কৃতিক পুনরুত্থানের জন্য আমরা ঠিক কী কী করব। এই সমস্ত বিষয়ে বক্তব্য রাখেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। গতকাল রবিবার তিনি এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বক্তব্য রাখেন । তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে পঞ্চ পরিবর্তনের কথা। এই পঞ্চ পরিবর্তন হল-

    – সামাজিক সম্প্রীতি
    -পারিবারিক মূল্যবোধ
    -পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা
    – স্বদেশিয়ানার অভ্যাস
    -নাগরিক কর্তব্য

    কী বললেন মোহন ভাগবত?

    নিজের বক্তব্যে সংঘ প্রধান জোর দেন ভারতবর্ষের ঐক্য এবং বিবিধতার ওপরে। এদিন তিনি ডাকও দেন ভারতবর্ষের জাতপাত নির্বিশেষে সমস্ত মানুষকে একত্রিত হওয়ার। নিজের বক্তব্যে মোহন ভাগবত বলেন, ‘‘সম্প্রীতির পরিবেশ যখন সমাজে গড়ে ওঠে, তখন সেটা পারস্পরিক বিশ্বাস ও শ্রদ্ধার জায়গা থেকেই তৈরি হয়। আমাদেরকে অন্য জাতির প্রতিও শ্রদ্ধা জানাতে হবে। সমস্ত হিন্দু মন্দির, যে জায়গাগুলো আমরা জল সংগ্রহ করছি সেগুলি, যেখানে হিন্দুদের মৃতদেহ সৎকার করা হয় সেই মাঠগুলি- এই সব কিছু ক্ষেত্রে আমাদের ঐক্য প্রয়োজন এবং পারস্পরিক সহযোগিতা প্রয়োজন।’’

    গুরুত্ব দিতে হবে পারিবারিক সম্পর্কের ওপর

    রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) সরসংঘচালকের বক্তব্যে এদিন উঠে আসে পারিবারিক মূল্যবোধের কথা। প্রকৃতিকে রক্ষা করার কথা। প্রতিটি পরিবারকে কিভাবে শক্তিশালী করা যায়, সে কথা। প্রসঙ্গত সংঘের সর্বভারতীয় প্রচার প্রমুখ সুনীল আম্বেকর দিন কয়েক আগেই বলেছিলেন, ‘‘যে কাজ ব্যক্তি তাঁর পরিবারের জন্য করেন, সেই কাজই যখন তিনি সমাজের জন্য করতে শুরু করেন, তখনই তাঁকে স্বয়ংসেবক বলা হয়।’’ পারিবারিক মূল্যবোধের মাধ্যমে সমাজ গঠন। সেই তত্ত্বই এদিন যেন প্রতিফলিত হল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) সর সংঘচালকের ভাষণে। নিজের বক্তব্যে মোহন ভাগবত বলেন, ‘‘সর্বদাই আমাদের চিন্তা করতে হবে, সামাজিক সুখের কথা। সর্বদাই আমাদেরকে গুরুত্ব দিতে হবে পারিবারিক সম্পর্কের ওপর। সেখানে যেন আমরা একটি শক্তিশালী বন্ধন তৈরি করতে পারি। আমাদেরকে গুরুত্ব দিতে হবে পারিবারিক মূল্যবোধের ওপরেও। কারণ এই পারিবারিক বন্ধন ও মূল্যবোধ থেকেই তৈরি হয় একটি শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ সমাজ।’’

    বাঁচাতে হবে প্রকৃতিকে

    তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাদের সামনে অনেক কিছু পরিবেশের চ্যালেঞ্জ রয়েছে। জলবায়ুর দূষণ থেকে প্রকৃতিকে ধ্বংস করার মতো নানা রকমের কাজ। এখন চোখের সামনে দেখা যায়। আমাদেরকে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে এবং পরিবেশকে রক্ষা করতে হবে। জলের অপচয় বন্ধ করতে হবে। জল সংরক্ষণ করতে হবে। প্লাস্টিকের ওপর যে নির্ভরশীলতা আমাদের রয়েছে তা আমাদের কমাতে হবে।’’ একইসঙ্গে পরিবেশ রক্ষার গুরুত্বপূর্ণ দিক হিসেবে তুলে ধরেন বৃক্ষরোপণ। তিনি বলেন, চারা গাছ আমাদেরকে রোপণ করতেই হবে এবং এটা কোন পছন্দের বা অপছন্দের বিষয় নয়। এটা আমাদের কর্তব্য হিসেবে দেখতে হবে। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুরক্ষিত করার জন্য।

    গুরুত্ব স্বদেশিয়ানায়

    এদিন নিজের বক্তব্যে মোহন ভাগবত স্মরণ করিয়েছেন, আমাদের স্বদেশিয়ানার কথা। তিনি বলেন, ‘‘সর্বদাই আমাদের অভ্যাস করতে হবে মাতৃভাষার চর্চার। আমার আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমরা কথা বলব মাতৃভাষায় এবং ব্যবহার করব তাঁতের তৈরি কাপড়। এর মাধ্যমে আমাদের সংস্কৃতিকে প্রতিফলিত হবে। নাগরিক কর্তব্যের দিকটি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘‘সর্বদাই আমাদের মেনে চলতে হবে আমাদের সমাজে চলার জন্য যে ঐতিহ্যবাহী নিয়মগুলি রয়েছে সেগুলি। আমাদের মনে রাখতে হবে, এগুলি কোনও আইনের বইতে বলা নেই। নাগরিক কর্তব্য শুধুমাত্র সীমাবদ্ধ নেই যে আমি ট্রাফিক নিয়ম মানলাম কিংবা ট্যাক্স দিলাম। এটা সম্পূর্ণটাই দাঁড়িয়ে আছে নৈতিকতার ওপরে। আমাদের সামাজিক সদ্ভাবকে বজায় রাখতে গেলে এটি ভালো করে আমাদেরকে পালন করতে হবে।’’

  • BSF: শৌচালয় না বাঙ্কার! ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে কী বানাচ্ছে পাক সেনা? সতর্ক বিএসএফ

    BSF: শৌচালয় না বাঙ্কার! ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে কী বানাচ্ছে পাক সেনা? সতর্ক বিএসএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্তে শৌচালয়ের নাম করে বাঙ্কার বানাচ্ছিল পাকিস্তান (Indo-Pak Border)! আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ১৫০ গজের মধ্যে ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’-এ অবৈধ নির্মাণে লিপ্ত পাক সরকার। সম্প্রতি এমনই দাবি করেছে বিএসএফ। জানা গিয়েছে, রাজস্থানের বারমেরে ভারত-পাক সীমান্তের কাছে একটি বাঙ্কার তৈরি করছিল পাকিস্তান। এই বেআইনি নির্মাণকাজ ধরে ফেলে বিএসএফ (BSF)। এরপরই পাকিস্তানের তরফে দাবি করা হয় এই ভবনটি শৌচালয়ের কাজে ব্যবহার করা হবে। যদিও বিএসএফ এই দাবি মানতে নারাজ। তারা অবিলম্বে ওই ভবন ভেঙে ফেলতে জানিয়েছে পাকিস্তানকে।

    সীমান্তে বেআইনি নির্মাণ

    আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে কিছু তৈরি করা আইনত নিষিদ্ধ, এটি ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’ হিসেবে গণ্য করা হয়। বারমের জেলায় (Indo-Pak Border) গাদরায় নো-ম্যানস ল্যান্ডে রবিবার রাতে অবৈধ নির্মাণ কাজ করে পাকিস্তান। দাবি ভারতীয় সেনার। বিএসএফ (BSF) জানায়, সীমান্তের সততা বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। কমান্ডার কর্তৃক এই নির্মাণ নিয়ে পাকিস্তানকে প্রতিবাদ নোট পাঠানো হয়েছে। এরপরই জুনিয়র অফিসারদের একটি ফ্ল্যাগ মিটিং সম্পন্ন হয়। যেখানে ওই নির্মাণটি যে ১৫০ গজের মধ্যে ছিল এই বিষয়টি পাকিস্তান (India-Pakistan) অস্বীকার করে। এদিকে, পাকিস্তান আরও দাবি করেছিল যে, তারা সৈন্যদের জন্য একটি অস্থায়ী টয়লেট তৈরি করছে এবং এটি কোনও বাঙ্কার বা পর্যবেক্ষণ পোস্ট নয়। যদিও, এই বিষয়টি আদৌ কতটা সত্যি এই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

    বিএসএফ-এর হুঁশিয়ারি

    বিএসএফ-এর (BSF) এক অফিসার এ প্রসঙ্গে বলেন, “নির্মাণ কাজ এখন স্থগিত করা হয়েছে এবং মাঠে কর্তব্যরত ব্যাটালিয়ন কমান্ডাররা নির্মাণস্থলের মাপ পরিমাপ করার দাবি জানিয়েছেন। পাকিস্তান রাতে এটি তৈরি করেছে, এর মানে তারা জানত যে এটি অবৈধ। সদর দফতরে এই ঘটনা সম্পর্কে জানানো হয়েছে। সিনিয়র কর্মকর্তারা সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে একটি পতাকা বৈঠক চেয়েছেন। পাকিস্তান রেঞ্জার্স এখনও সাড়া দেয়নি। যদি তারা নির্মাণ অব্যাহত রাখে, তাহলে বিএসএফও তাদের সামনে একটি অনুরূপ বাঙ্কার তৈরি করবে।” এই অঞ্চলে ভারতীয় সীমান্ত রাজস্থান প্রশাসনের আওতাধীন, সীমান্ত এলাকা বিএসএফের গুজরাট ফ্রন্টিয়ারের দায়িত্বে। বিএসএফ ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের ২,২৯৬.৬৬ কিলোমিটার এবং কন্ট্রোল লাইন (LoC) এর ৪৩৫ কিলোমিটার পাহারা দেয়। তারাই বিষয়টি খতিয়ে দেখবে।

  • Mahakumbh: ২৬ ফেব্রুয়ারি শেষ অমৃত স্নান, জোরকদমে প্রস্তুতি যোগী সরকারের, বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে রেল

    Mahakumbh: ২৬ ফেব্রুয়ারি শেষ অমৃত স্নান, জোরকদমে প্রস্তুতি যোগী সরকারের, বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে রেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছিল মহাকুম্ভ (Mahakumbh)। শেষ হচ্ছে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি মহা শিবরাত্রির দিন। যোগী আদিত্যনাথ নেতৃত্বাধীন উত্তরপ্রদেশ সরকার মহা শিবরাত্রির স্নানের জন্য ব্যাপকভাবে প্রস্তুতি শুরু করেছে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর (Yogi Adityanath) নির্দেশে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের মুখ্য সচিব মনোজ কুমার সিং এবং পুলিশের ডিজি প্রশান্ত কুমার মহাকুম্ভ (Mahakumbh) নগর পরিদর্শন করেছেন। সেখানকার পরিকাঠামো খতিয়ে দেখেছেন। অন্যদিকে, এই শেষ পুণ্যস্নানে যেন ভক্তদের যাতে কোনওরকমের অসুবিধা না হয় সেদিকে তাকিয়ে উদ্যোগ নিচ্ছে ভারতীয় রেলও।

    কী বললেন উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ডিজি

    সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে উত্তরপ্রদেশের ডিজি প্রশান্ত কুমার বলেন, ‘‘আমরা পর্যাপ্ত পরিমাণে ব্যবস্থা করছি যাতে তীর্থযাত্রীদের কোনওরকম অসুবিধা না হয়। ট্রাফিক কন্ট্রোল কিভাবে করা হবে, ভিড় নিয়ন্ত্রণ কিভাবে করা হবে এবং তীর্থযাত্রীরা সহজেই কীভাবে পুণ্যস্নান করতে পারবেন, সে বিষয়ে পরিকল্পনা নেওয়া চলছে। আমরা মনে করি, আমাদের এই চেষ্টায় ভক্তদের কোনও রকমের অসুবিধার মধ্যে পড়তে হবে না।’’

    সমাজমাধ্যমে কড়া নজর যোগী সরকারের

    জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশ সরকার ইতিমধ্যেই সমাজমাধ্যমের দিকেও কড়া নজর রেখেছে। যাতে সেখানে মহাকুম্ভকে (Mahakumbh) নিয়ে কোনও রকমের গুজব না ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে ডিজি প্রশান্ত কুমার সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘ইতিমধ্যে ৫০টা এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। যারা ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে মহাকুম্ভ সম্পর্কে এবং গুজব ছড়াচ্ছে নানা রকম, আমরা তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে চাই।’’ মুখ্যসচিব ও পুলিশের ডিজি সেখানকার ভক্তদের সঙ্গে কথাও বলেন। সরকারের দুই উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, ‘‘মহাকুম্ভ (Mahakumbh) যা শুরু হয়েছিল ১৩ জানুয়ারি থেকে, তা একদম চূড়ান্ত পর্যায়ে চলছে। প্রতিদিনই এক কোটি ভক্ত পুণ্যস্নানে অংশগ্রহণ করছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন সাধু-সন্ন্যাসী। তাঁরা বিভিন্ন আখড়া থেকে এসেছেন সনাতন ধর্মের।’’

    বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে ভারতীয় রেল

    কুম্ভের শেষ পুন্যস্নান ঘিরে কড়া নিরাপত্তা ও নজরদারির ব্যবস্থা করছে ভারতীয় রেলও। পুণ্যার্থীদের ভিড়ের কথা মাথায় রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও আঁটসাঁট করল রেল। বিশেষ করে জংশনগুলিতে নিরাপত্তায় জোর দেওয়া হচ্ছে বলে রেল সূত্রে জানানো হয়েছে। বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে উত্তর রেলের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে। প্রয়াগরাজ, বারাণসী, দীনদয়াল উপাধ্যায়-সহ একাধিক স্টেশনে পুণ্যার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে রেল।

  • PM Modi: “কিছু নেতা ধর্মকে উপহাস করেন, মানুষকে বিভক্ত করেন,” বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “কিছু নেতা ধর্মকে উপহাস করেন, মানুষকে বিভক্ত করেন,” বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কিছু নেতা ধর্মকে উপহাস করেন এবং বিদেশি শক্তির সমর্থনে মানুষকে বিভক্ত করেন। এভাবে তাঁরা আদতে দেশকেই দুর্বল করার চেষ্টা করেন।” রবিবার এমনই অভিযোগ করলেন (Bageshwar Dham) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ভারতের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের বিরোধিতা যাঁরা করেন, তাঁদেরও সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।

    কিছু নেতা ধর্মকে উপহাস করছে (PM Modi)

    তিনি বলেন, “আজকাল আমরা দেখি কিছু নেতা ধর্মকে উপহাস করছে। তারা মানুষকে বিভক্ত করার কাজে লিপ্ত। প্রায়ই বিদেশি শক্তিগুলি, যারা এই নেতাদের সমর্থন করে, তারাও দেশ ও ধর্মকে দুর্বল করার চেষ্টা করে। যারা হিন্দুদের ঘৃণা করে, তারা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এখানে বসবাস করছে। দাসত্বের মানসিকতা নিয়ে থাকা লোকেরা আমাদের বিশ্বাস, মন্দির, ধর্ম এবং আদর্শের ওপর আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। তারা আমাদের উৎসব এবং ঐতিহ্যকে অপমান করে, আমাদের ধর্মকে আক্রমণ করে, সমাজকে বিভক্ত করে আমাদের ঐক্য ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করছে।”

    মহাকুম্ভ ভারতের ঐক্যকে আরও শক্তিশালী করবে

    মহাকুম্ভ সমালোচকদেরও তীব্র আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। বলেন, “প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভ ভারতের ঐক্যকে আরও শক্তিশালী করবে। লক্ষ লক্ষ ভক্ত ইতিমধ্যেই ত্রিবেণীতে পবিত্র স্নান করেছেন। মহাকুম্ভ ঐক্যের প্রতীকে পরিণত হয়েছে এবং আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে চলবে। আমি কুম্ভে কঠোর পরিশ্রম করা পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও পুলিশ কর্মীদের অভিনন্দন জানাই।”

    প্রসঙ্গত, মহাকুম্ভ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) এহেন মন্তব্য এমন একটা সময়ে এসেছে, যখন বিরোধী দলের কিছু নেতা কুম্ভমেলায় অব্যবস্থা এবং ভক্তদের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থার অভাবের অভিযোগে সরব হয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো এক কদম এগিয়ে এই মেলাকে ‘মৃত্যুকুম্ভ’ বলে অভিহিত করেছেন। সমাজবাদী পার্টি সুপ্রিমো অখিলেশ যাদবের দাবি, ত্রিবেণী সঙ্গমে গঙ্গার জলের গুণমান সংক্রান্ত তথ্য নিয়ে উত্তরপ্রদেশ সরকার ও কেন্দ্রীয় সংস্থার পরিসংখ্যানে অমিল রয়েছে।

    প্রসঙ্গত, এদিন প্রধানমন্ত্রী মধ্যপ্রদেশের ছত্রপুর জেলায় বাগেশ্বর ধাম মেডিক্যাল ও সায়েন্স রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর ক্যান্সারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২০০ কোটিরও বেশি মূল্যের এই হাসপাতালটিতে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকবেন (Bageshwar Dham)। এখানে দরিদ্র ক্যান্সার রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হবে (PM Modi)।

  • Jharkhand: ভালোবাসা মানে না সীমা! ফিলিপাইনের কনে, ভারতের বর, বিবাহ হল রাঁচিতে

    Jharkhand: ভালোবাসা মানে না সীমা! ফিলিপাইনের কনে, ভারতের বর, বিবাহ হল রাঁচিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায়ই শোনা যায় যে ভালোবাসার কোনও সীমানা থাকে না। ভালোবাসা মুক্ত। সত্যিকারের ভালোবাসার সামনে বাধা হয়না জাত-পাত সংস্কৃতি ও ভাষা। সম্প্রতি এমনই একটি গল্প সামনে এসেছে। যেখানে ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে দুটি মন। ফিলিপাইনের ইরা ফ্রান্সিসকা বার্নাসোল এবং ঝাড়খণ্ডের পীতাম্বর কুমার সিং প্রেমে পড়েন। এরপরেই তাঁরা নিজেদের বাড়িতে জানান বিষয়টি। বাড়ির লোক রাজি হওয়াতে তাঁরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। রাঁচিতেই (Jharkhand) সম্পন্ন হয় এই বিবাহ অনুষ্ঠান। জানা গিয়েছে, তাঁদের প্রথমে কোর্ট ম্যারেজ সম্পন্ন হয়। ইরা (Filipino Bride) এখানে পীতাম্বর ও ইরার বন্ধুরাও হাজির ছিলেন। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এনিয়ে খবরও প্রকাশিত হয়। এই দম্পতি রাঁচির হিনুতে রেজিস্ট্রি অফিসে নিজেদের বিবাহ নথিভুক্ত করেন। এরপর সেখানকার আধিকারিক তাঁদের ম্যারেজ সার্টিফিকেটও দেন।

    কী বললেন ম্যারেজ অফিসার (Jharkhand)?

    ম্যারেজ রেজিস্ট্রার বাল্মীকি সাহু সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘ফিলিপাইনের বাসিন্দা ইরা এবং রাঁচির (Jharkhand) ধুরভার বাসিন্দা পীতাম্বর কুমার সিং আমাদের অফিসে কোর্ট ম্যারেজের জন্য আবেদন করেছিলেন। আমরা আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি। এরপর তাঁদের একটি ম্যারেজ সার্টিফিকেটও দিয়েছি।’’

    দুবাইয়ে কাজ করতেন পীতাম্বর

    জানা যায়, পীতাম্বর দুবাইয়ের একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। সেখানেই তাঁর পরিচয় হয় ইরার সঙ্গে। এরপরেই দুজনে প্রেমে পড়েন। তারপরেই বিবাহের সিদ্ধান্ত নেন (Jharkhand)। পীতাম্বর সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমার পরিবার প্রথমে বিয়ে নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত ছিল কিন্তু আমি পরিবারকে রাজি করাতে পেরেছিলাম। এরপর আমি একদিন ইরাকে রাঁচিতে নিয়ে এসেছিলাম। পরে ইরার পরিবারও এসেছিল। আমাদের পরিবার ও ইরার পরিবার মিলে বিয়ের দিন ঠিক করে।’’

    আনন্দের সঙ্গে পালন বিবাহ অনুষ্ঠান

    নিজেদের বিবাহ অনুষ্ঠান (Jharkhand) খুবই আনন্দের সঙ্গে উদযাপন করেন ইরা ও পীতাম্বর। হিন্দু রীতিতে তাঁদের বিবাহ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। ভারতীয় পোশাকে সেজেছিলেন ইরা। একেবারে নিঁখুত ভারতীয় কনের পোশাক পরেছিলেন। এনিয়ে পীতাম্বর বলেন, ‘‘আমরা আনন্দিত। আমাদের ভালোবাসা পরিণতি পেয়েছে। এজন্য আমরা সত্যিই আনন্দিত। আমার ও ইরার পরিবারকে ধন্যবাদ আমাদের সম্পর্ককে মেনে নেওয়ার জন্য।’’

  • PM Modi: “এক দিনের জন্য বিজ্ঞানী হোন,” ‘মন কি বাতে’ দেশবাসীকে পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi: “এক দিনের জন্য বিজ্ঞানী হোন,” ‘মন কি বাতে’ দেশবাসীকে পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এক দিনের জন্য বিজ্ঞানী হোন।” রবিবার দেশবাসীকে পরামর্শ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। রবিবার ১১৯তম ‘মন কি বাতে’ (Mann Ki Baat) এই পরামর্শ দেন তিনি। কীভাবে তা সম্ভব, সেই পথও বাতলে দিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর মন কি বাতে উঠে এল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রসঙ্গও।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী? (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ইসরো (ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা) একের পর এক সাফল্য অর্জন করেছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মহাকাশে আমাদের অর্জনের তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে। সে তা উৎক্ষেপণ যান তৈরি করা হোক কিংবা বিভিন্ন ভারতীয় মহাকাশযানের সাফল্য।” এর পরেই তিনি বলেন, “দেশের প্রত্যেকেই এক দিনের জন্য বিজ্ঞানী হোন। বছরের যে কোনও দিনই তা হতে পারে।” সেই নির্দিষ্ট দিনে বিভিন্ন বিজ্ঞানমূলক কাজের অংশ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

    এআইয়ের অগ্রগতি নিয়েও উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী

    ভারতে এআইয়ের অগ্রগতি নিয়েও উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “ভারত কারও থেকে পিছিয়ে নেই। সম্প্রতি আমি একটি বড় এআই সম্মেলনে যোগ দিতে প্যারিসে গিয়েছিলাম। গোটা বিশ্ব, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে ভারতের অগ্রগতির প্রশংসা করেছে। মহাকাশ হোক বা এআই, আমাদের তরুণদের ক্রমবর্ধমান অংশগ্রহণ একটি নতুন বিপ্লব এনেছে (PM Modi)। মহাকাশ বিজ্ঞানে নারীদের যোগদান বৃদ্ধি পেয়েছে, যা অভাবনীয়।”

    চলতি বছরের শুরুর দিকেই ইসরো অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে শততম উৎক্ষেপণের নজির গড়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এদিনের মন কি বাতে উঠে এসেছে সেই প্রসঙ্গও। চন্দ্রযান, মঙ্গলযান, আদিত্য এল-১-এর সাফল্য নিয়েও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।

    এদিন প্রধানমন্ত্রীর মনের কথায় উঠে এসেছে ওবেসিটির প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, “ফিট ও স্বাস্থ্যকর দেশ গড়ে তুলতে ওবেসিটির (স্থুলত্ব) সমস্যা সব চেয়ে বড় অন্তরায় হচ্ছে। গবেষণা অনুযায়ী, আজ প্রতি ৮ জনের মধ্যে একজন ওবেসিটির সমস্যায় ভুগছেন। গত কয়েক বছরে ওবেসিটির সমস্যা বেড়েছে। তবে সব চেয়ে চিন্তার বিষয় হল, শিশুদের মধ্যে ওবেসিটির সমস্যা ৪ গুণ বেড়েছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আপনারা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন প্রতি মাসে ১০ শতাংশ তেল কম খাওয়ার। প্রতি মাসে তেল কেনার সময় ১০ শতাংশ কম করে হিসেব করে কিনতে পারেন (Mann Ki Baat)। ওবেসিটি রুখতে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে (PM Modi)।”

  • BJP: ‘এক দেশ, এক ভোট’ নিয়ে প্রচারে বঙ্গ বিজেপি, রবিতে সভা কলকাতায়, সোমে শিলিগুড়ি

    BJP: ‘এক দেশ, এক ভোট’ নিয়ে প্রচারে বঙ্গ বিজেপি, রবিতে সভা কলকাতায়, সোমে শিলিগুড়ি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘এক দেশ, এক ভোট’ (One Nation One Vote) নিয়ে এবার পশ্চিমবঙ্গেও শুরু হল জনমত তৈরির কাজ। বিজেপি (BJP) সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনসলের বৈঠকেই স্থির হয়েছে, যে সমস্ত পঞ্চায়েতে এবং পুরসভার ওয়ার্ডে বিজেপির নিজস্ব জনপ্রতিনিধি রয়েছে, সেগুলিতে টিম তৈরি করে এক দেশ এক ভোটের প্রচার করা হবে। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই যা শুরু হয়েছে। দিন কয়েক আগে এই রাজ্যে পা রেখে হাওড়ায় প্রথম সম্মেলন করে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন প্রসাদ।

    আজ সম্মেলন ভবানীপুরে (BJP)

    এরপরে আজ অর্থাৎ রবিবার ২৩ ফেব্রুয়ারি ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে একটি সম্মেলন করছেন বিজেপির (BJP) কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনসল। তবে এই সম্মেলন সরাসরি বিজেপির ব্যানারে হচ্ছে না। এর পরিবর্তে বিজেপি প্রভাবিত নানা সংগঠনকে ব্যবহার করা হচ্ছে। আসলে এই সম্মেলনগুলির মাধ্যমে এক দেশ এক ভোটের গুরুত্ব মানুষকে বোঝাতে চাইছে বিজেপি। প্রসঙ্গত, রাজনীতির বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এক দেশ এক ভোট খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষত নির্বাচনী খরচ কমানোর ক্ষেত্রে তো বটেই। এবার এই কথাগুলিই পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে বোঝাতে চায় বিজেপি। তার জন্যই এধরনের জন আন্দোলনের প্রয়োজনীতা রয়েছে বলে বোঝানো হচ্ছে।

    এই ইস্যুতে রাজ্যজুড়ে জন আন্দোলন করতে চায় বিজেপি

    এবার এই ইস্যুতে জন আন্দোলন করতে চায় বিজেপি (BJP)। সেভাবেই জনমত গঠন করতে চাইছেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। সেই লক্ষ্যে পরিকল্পনা শুরু করেছে বিজেপি। গোটা দেশের বাছাই করা কয়েকজন নেতৃত্বকে নিয়ে গত সোমবার বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান, সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুনীল বনসলরা। সোমবার দলের কেন্দ্রীয় দফতর ৬ দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গে এই পরিকল্পনা বৈঠক করেন বিজেপি নেতৃত্ব। তারপরেই একেবারে মাঠে নেমে শুরু কাজ। জানা গিয়েছে, আগামীকাল ২৪ ফেব্রুয়ারি সোমবারই শিলিগুড়িতে দলের বৈঠকে যোগ দিতে চলেছেন সুনীল বনসল। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ছাব্বিশের প্রস্তুতিতে কোনও খামতিই রাখতে ছাইছে না গেরুয়া ব্রিগেড। সূত্রের খবর, ‘বাজেট টক’ শীর্ষক এক সভাতেই যোগ দিতে শিলিগুড়ি আসছেন সুনীল বনসল। দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা হবে ওই বৈঠকে। সেখানে উঠে আসবে এই ইস্যু। সুনীল বনসলের সভা নিয়ে বিজেপি (BJP) বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের দাবি, “ছাব্বিশের নির্বাচনে বাংলায় সরকার বদল হবে। আমরা তাঁর প্রস্তুতি নিচ্ছি।”

  • Amit Shah: “সমবায় ক্ষেত্রকে গতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রচেষ্টা,” বললেন অমিত শাহ

    Amit Shah: “সমবায় ক্ষেত্রকে গতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রচেষ্টা,” বললেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কেন্দ্রীয় সরকারের প্রচেষ্টা দেশের সমবায় ক্ষেত্রকে গতি দিয়েছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে একটি উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে এই ক্ষেত্রের গুরুত্বকে তুলে ধরেছে।” শনিবার কথাগুলি বললেন (Modi Govt) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)।

    কী বললেন শাহ (Amit Shah)

    এদিন পুণেতে জনতা সহকারী ব্যাংক লিমিটেডের হীরক জয়ন্তী উৎসবের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন তিনি। সেখানেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার ভারতের সমবায় ক্ষেত্রকে বাজারের উপযোগী করে তুলেছে।” সমবায় সেক্টরকে উন্নত প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়ার অনুরোধও জানান তিনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “গত তিন বছরে কেন্দ্র দেশজুড়ে সমবায় আন্দোলনকে গতি দেওয়ার জন্য কাজ করেছে। আমরা ভারতের সমবায় খাতের মডেলটিকে বাজারজাত করার উপযোগী করে তুলেছি। আমরা একটি সমবায় বিশ্ববিদ্যালয় বিল আনার মাধ্যমে সমবায় শিক্ষাকে শক্তিশালী করছি।”

    সমবায় খাতকে দিশা দেখিয়েছেন মোদি

    তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদী সমবায় খাতকে দিশা দেখিয়েছেন এবং সমবায় ক্ষেত্রে নতুনত্ব আনার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন (Amit Shah)।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদি জাতির সামনে দুটি সংকল্প নিয়েছেন – ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে একটি সম্পূর্ণ উন্নত দেশ হিসাবে গড়ে তোলা এবং ২০২৭ সালের মধ্যে দেশকে ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত করা। সমবায় খাতের উন্নয়ন ছাড়া এই সংকল্পগুলি অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।” তিনি বলেন, “প্রত্যেক ব্যক্তির উন্নয়ন এবং প্রতিটি ঘরের সমৃদ্ধি না হলে, এই দুটি সংকল্প বাস্তবায়িত নাও হতে পারে।”

    শাহ বলেন, “প্রতিটি ব্যক্তিকে তাদের দক্ষতা অনুযায়ী কাজ দেওয়া এবং দেশের উন্নয়নের সঙ্গে তাদের সংযুক্ত করা, যাতে প্রতিটি পরিবার সমৃদ্ধ হয়, তা কেবলমাত্র সমবায় আন্দোলনের মাধ্যমেই সম্ভব।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদি গত ১০ বছরে (Modi Govt) দেশের কোটি কোটি মানুষকে অনেক মৌলিক সুবিধা দিয়েছেন। এখন, এই মানুষগুলো ভারতের উন্নয়নে অবদান রাখতে চান (Amit Shah)।”

  • Ganga: পৃথিবীর একমাত্র স্বচ্ছ নদী গঙ্গা, ৫০ গুণ দ্রুত দূষণ মুক্ত করে ১,১০০ ধরনের ব্যাকটেরিওফেজ

    Ganga: পৃথিবীর একমাত্র স্বচ্ছ নদী গঙ্গা, ৫০ গুণ দ্রুত দূষণ মুক্ত করে ১,১০০ ধরনের ব্যাকটেরিওফেজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি একটি গবেষণায় উঠে এসেছে যে গঙ্গা (Ganga) হল পৃথিবীর মধ্যে একমাত্র নদী। যেখানে ১,১০০ ধরনের ব্যাকটেরিওফেজ স্বাভাবিকভাবেই সেখানকার দূষণকে দূর করে। ওই রিপোর্টে আরও উঠে এসেছে, যে ওই ব্যাকটেরিওফেজগুলি তাদের যা সংখ্যা তার চেয়ে ৫০ গুণ বেশি জীবাণু দূর করতে সক্ষম। শুধু তাই নয়, ওই জীবাণুগুলির আরএনএকে পরিবর্তন করেও জলকে বিশুদ্ধ করে ওই ব্যাকটেরিওফেজগুলি। এনিয়েই গবেষণা চালিয়েছেন পদ্মশ্রী প্রাপক ডক্টর অজয় সোনকারয তিনি মহা কুম্ভের গঙ্গাজল সম্পর্কে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন। শীর্ষস্থানীয় এই বিজ্ঞানী সেখানেই দেখিয়েছেন যে এই ব্যাকটেরিওফেজগুলি কীভাবে সদা গঙ্গা নদীর প্রহরায় নিযুক্ত রয়েছে। প্রসঙ্গত ক্যান্সার, জেনেটিক কোড, কোষ- এই সমস্ত কিছু নিয়ে গবেষণা করেন ডঃ সোনকার।

    বিজ্ঞানীর আরও দাবি (Ganga)

    দেশের শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানী পদ্মশ্রী ড. অজয়কুমার সোনকার (Ajay Sonkar)। দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালামের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধু বলেই তাঁর পরিচয়। এই বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, ল্যাবরেটরিতে তিনি পরীক্ষা করে দেখেছেন কেবল স্নানের (Ganga) উপযুক্তই নয়, এই জল একেবারেই খাঁটি। ওই বিজ্ঞানীর দাবি, কুম্ভের জল আলকালাইন ওয়াটারের মতোই শুদ্ধ। জলের ph লেভেল ৮.৪-৮.৬. যা বিশুদ্ধতার সূচক। তাঁর দাবি, জলে জীবাণুর পরিমাণ বেশি হলে জলের এসিডিটি বেড়ে যায়। Ph লেভেল কমে যায়। কিন্তু কুম্ভের জলের ক্ষেত্রে কোনওটাই হয়নি।

    বিরোধীদের চ্যালেঞ্জ

    আর নিজের এই দাবির সপক্ষে একেবারে ‘ওপেন চ্যালেঞ্জ’ ছুড়েছেন ড. সোনকার। তাঁর দাবি, কারও মনে যদি এই নিয়ে সামান্যতম সন্দেহও থাকে তাহলে তিনি যেন তাঁর কাছে গঙ্গাজল নিয়ে হাজির হন। তিনি পরীক্ষা করে দেখিয়ে দেবেন জল (Ganga) কতটা বিশুদ্ধ। তিনি জানিয়েছেন, পাঁচটি পৃথক ঘাট থেকে তিনি গঙ্গাজল সংগ্রহ করেছেন। যার মধ্যে সঙ্গম, আরেইলের জলও রয়েছে। আর সেই জল নিয়ে তিনমাস ধরে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে, গঙ্গা জল (Ganga) সবচেয়ে বিশুদ্ধ। এতে স্নান করলে স্বাস্থ্যের কোনও ঝুঁকি নেই। এমনটাই দাবি খ্যাতনামা বিজ্ঞানীর।

LinkedIn
Share