Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Dhankhar meets Naidu: ধনখড়-নায়ডু সাক্ষাত! বিদায়ী সংবর্ধনায় আবেগপ্রবণ বেঙ্কাইয়া

    Dhankhar meets Naidu: ধনখড়-নায়ডু সাক্ষাত! বিদায়ী সংবর্ধনায় আবেগপ্রবণ বেঙ্কাইয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে (Vice-President Election) বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন এনডিএ মনোনীত প্রার্থী জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। বিরোধী দলের মনোনীত প্রার্থী মার্গারেট আলভাকে হারিয়ে ৭৩ শতাংশ ভোট পেয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপাল, যা ১৯৯৭ সালের পর সর্বোচ্চ ভোটের মার্জিন। সম্প্রতি বিদায়ী উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডুর সঙ্গে দেখা করেন তিনি। রবিবার উপরাষ্ট্রপতি ভবনে বিদায়ী উপ রাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ড়ু ও তাঁর স্ত্রী ঊষা নায়ড়়ুর সঙ্গে দেখা করেন সস্ত্রীক ধনখড়। উভয়ের মধ্যে সাক্ষাতের ছবিও ট্যুইট করেন ধনখড়। উপরাষ্ট্রপতি  বেঙ্কাইয়া নায়ড়ু তাঁকে উপরাষ্ট্রপতি ভবন ঘুরে দেখান। ৩০ মিনিট দুজনের কথোপকথন চলে।

    অন্যদিকে সোমবার বিদায়ী সংবর্ধনায় আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন রাজ্যসভার (Rajya Sabha) চেয়ারম্যান তথা উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডু (Venkaiah Naidu )। এদিন নায়ডুর বিদায়ী সংবর্ধনার প্রথম বক্তা ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। তাঁর সঙ্গে দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন কাটানোর গল্প বলেন মোদি। তিনি বলেন, ”আমি প্রত্যেক সাংসদ এবং যুবকদের বলতে চাই যে তাঁরা সমাজ, দেশ এবং গণতন্ত্র সম্পর্কে আপনার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পারে। আপনার অভিজ্ঞতা আমাদের তরুণদের পথ দেখাবে, গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করবে। আমি আপনার বই উল্লেখ করলাম, তার কারণ হল আপনার শব্দ প্রতিভা প্রতিফলিত হয়, যার জন্য আপনি পরিচিত। আপনার ওয়ান লাইনার উইন লাইনার। এরপর আর কিছু বলার দরকার নেই।”

    আরও পড়ুন: ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র সাফল্য! এই প্রথমবার মেরামতির জন্য ভারতে মার্কিন রণতরী

    আগামী বুধবার উপরাষ্ট্রপতি এবং রাজ্যসভার চেয়ারম্যান পদে নায়ডুর মেয়াদ শেষ হচ্ছে। বৃহস্পতিবার নবনির্বাচিত উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar) দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন।

     
  • ISIS modules: নতুন আইএসআইএস মডিউলের খোঁজ, ছয় রাজ্যে তল্লাশি চালাল এনআইএ

    ISIS modules: নতুন আইএসআইএস মডিউলের খোঁজ, ছয় রাজ্যে তল্লাশি চালাল এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইএসআইএস (ISIS) জঙ্গি মডিউলের খোঁজে সারা দেশের ছয়টি জেলায় ১৩টি জায়গায় (13 premises raided in six states) চালাল এনআইএ (NIA)। তল্লাশি চলে মধ্যপ্রদেশ, বিহার, গুজরাট, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশের একাধিক জায়গায়। এদিন ভোর থেকে তল্লাশি শুরু হয়। কর্ণাটকের ভাটকল এবং উত্তরপ্রদেশের দেওবন্দেও চলে বিশেষ তল্লাশি অভিযান। প্রচুর গোপন নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়। গত জুন মাসে নানা জায়গা থেকে খবর পেয়ে এব্যাপারে নতুন কেস নথিভুক্ত করেছিল এনআইএ।

    আরও পড়ুন: জঙ্গির গুলিতে নিহত ‘শহিদ’ অ্যাক্সেলকে শেষ বিদায় ভারতীয় সেনার

    নির্দিষ্ট সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে বেশ কিছুদিন ধরে নজরদারি চালাচ্ছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। যার পরেই মামলা দায়ের করে এনআইএ। মধ্যপ্রদেশের ভোপাল এবং রেসিনে এদিন তল্লাশি চালান হয় বলে জানায় এনআইএ। অন্যদিকে বিহারের আরারিয়া এবং মহারাষ্ট্রের দুটি জায়গায়া তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এনআইএ-র তরফে জানানো হয়েছে, সেইসব জায়গায় যারা থাকেন, তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেফতার করা হতে পারে।

    আরও পড়ুন: ফের এনকাউন্টার কাশ্মীরে! রাতভর অভিযানে নিকেশ লস্কর জঙ্গি

    তল্লাশি চলে গুজরাটের ভারুচ, সুরাট, নবসারি এবং আহমেদাবাদেও। তল্লাশির পর এখনও পর্যন্ত কতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বা কী ধরনের কাগজপত্র এবং নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সে বিষয়ে বিশদে জানায়নি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। আইআইএস-এর মডিউলের খোঁজে এর আগেও দেশের বহু প্রান্তে তল্লাশি চালানো হয়। কিছুদিন আগেই উত্তরপূর্বের রাজ্য আসামে তল্লাশি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। তল্লাশি চলে দিল্লি, কেরলেও। সময় বিশেষে বাংলার সীমানাতেও অভিযান চালায় এনআইএ। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, দেশে জঙ্গিদের সঙ্গে পাকিস্তানের সরাসরি যোগ রয়েছে। এরা স্থানীয় মুসলিম যুবকদের নিশানা করছে। এব্যাপারে সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করা হচ্ছে। সেখান থেকেই যুবকদের মধ্যে নানাভাবে প্রচার চালানো হচ্ছে। যুবকদের নির্দিষ্ট করার পর তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। কখনও কখনও সেই প্রশিক্ষণ চলে দেশের বাইরেও। শেষে আক্রমণের পরিকল্পনা।

  • ED: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ইয়ং ইন্ডিয়ার অফিস সিল করল ইডি 

    ED: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ইয়ং ইন্ডিয়ার অফিস সিল করল ইডি 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় (National Herald Case) আরও সক্রিয় হল ইডি (ED)। সিল করে দেওয়া হল ইয়ং ইন্ডিয়ার (Young India) অফিস। বুধবার বিকেল থেকে কংগ্রেসের (Congress) সদর দফতর ২৪ আকবর রোড এবং ১০ নম্বর জনপথে সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) বাড়ির সামনেও মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল বাহিনী।

    বুধবার বিকেলে ইডি আধিকারিকরা ন্যাশনাল হেরাল্ড অফিসে যান। তার পরেই খবর ছড়িয়ে পড়ে বেআইনি অর্থ তছরুপের অভিযোগে ন্যাশনাল হেরাল্ডের পুরো অফিসটাই সিল করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পরে ইডির তরফে জানানো হয়, ন্যাশনাল হেরাল্ডের পুরো দফতর সিল করা হয়নি। ওই বিল্ডিংয়ে ইয়ং ইন্ডিয়ার যে দফতর ছিল সেটা সাময়িকভাবে সিল করা হয়েছে। গত দুদিন ধরে তল্লাশির সময় ইয়ং ইন্ডিয়ার দফতরে সংস্থার পদস্থ কর্তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। সেই কারণেই চালানো হয়নি তল্লাশিও। তাই সিল করা হয়েছে অফিস। ইডি সূত্রে খবর, ইয়ং ইন্ডিয়ার আধিকারিক মল্লিকার্জুন খাড়গেকে তলব করা হয়েছে। তিনি এসে গেলেই তল্লাশি চালানো হবে এবং খুলে দেওয়া হবে সিল। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি পক্ষ হল ইয়ং ইন্ডিয়া। ইডির অভিযোগ, এই ইয়ং ইন্ডিয়ার মাধ্যমেই বেআইনিভাবে ন্যাশনাল হেরাল্ডের সম্পত্তি দখল করেছেন রাহুল গান্ধী, সোনিয়া গান্ধীরা। এই সংস্থার বেশিরভাগের অংশীদার রাহুল।

    আরও পড়ুন : ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ১২ জায়গায় হানা ইডি-র

    এদিকে, অফিস সিল করে দেওয়ার পর ইয়ং ইন্ডিয়ার অফিসের বাইরে লটকে দেওয়া হয় একটি নোটিশ। তাতে লেখা ইডির আগাম অনুমতি ছাড়া এটা খোলা যাবে না। ইডির এক আধিকারিক বলেন, কেবলমাত্র ইয়ং ইন্ডিয়ার অফিস সিল করা হয়েছে। হেরাল্ড হাউসের বাকি অফিসগুলিতে কাজ হবে আগের মতোই। এদিন কেবল ইয়ং ইন্ডিয়ার অফিস সিল করা হয়নি, কংগ্রেসের সদর দফতর ও সোনিয়া গান্ধীর বাড়িতেও মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল বাহিনী। ঘটনার প্রেক্ষিতে বৈঠকে বসেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। পরে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়রাম রমেশ এক ট্যুইটবার্তায় বলেন, দিল্লি পুলিশ এআইসিসির সদর দফতরের পথ রুদ্ধ করেছে। এটা একটা ব্যতিক্রমী ব্যাপার। তারা কেন এটা করেছে, তা রহস্যজনক।

    আরও পড়ুন : সোনিয়া, রাহুলকে সমন ইডি-র! ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বিপাকে কংগ্রেস

  • Jammu Kashmir: জঙ্গিদের গ্রেনেড হামলায় কাশ্মীরে হত পরিযায়ী শ্রমিক, জখম ২  

    Jammu Kashmir: জঙ্গিদের গ্রেনেড হামলায় কাশ্মীরে হত পরিযায়ী শ্রমিক, জখম ২  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রক্তাক্ত ভূস্বর্গ। জঙ্গিদের ছোড়া গ্রেনেড বিস্ফোরণে (Grenade Attack) প্রাণ হারালেন এক পরিযায়ী শ্রমিক (Migrant Worker)। ওই হামলায় গুরুতর জখমও হয়েছেন দুজন। কাশ্মীরের (Kashmir) পুলওয়ামার ওই জঙ্গি হামলার ঘটনায় চাঞ্চল্য উপত্যকায়। জম্মু-কাশ্মীর (Jammu Kashmir) পুলিশ জানিয়েছে, পুলওয়ামার গদুরা এলাকায়, যেখানে ছিলেন ওই শ্রমিকরা, তার বাইরে গ্রেনেড ছোড়ে জঙ্গিরা। বিস্ফোরণের অভিঘাতে মৃত্যু হয়েছে মহম্মদ মুমতাজ নামে এক পরিযায়ী শ্রমিকের। জঙ্গিদের খোঁজে এলাকায় শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান।

    জানা গিয়েছে, বিহারের শাকওয়া পারসা এলাকার এক দরিদ্র মুসলিম পরিবারের ছেলে মুমতাজ। রোজগারের আশায় এসেছিলেন কাশ্মীরে। জঙ্গিদের ছোড়া গ্রেনেড হামলায় মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনায় জখম হয়েছেন বিহারেরই দুজন। পুলিশ জানিয়েছে, এঁরা হলেন মহম্মদ আরিফ ও তাঁর ছেলে মহম্মদ মকবুল। বিহারের রামপুরের এই দুই বাসিন্দাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে। ঘটনার নেপথ্যে লস্কর-ই-তৈইবার ছায়া সংগঠন দ্য রেসিসটেন্স ফ্রন্টের হাত দেখছে পুলিশ।

    আরও পড়ুন : জম্মু-কাশ্মীর থেকে কাউকে বিতাড়িত হতে দেব না, আশ্বাস রাজনাথের

    ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা। ট্যুইট বার্তায় তিনি লেখেন, পুলওয়ামায় কাপুরুষোচিত ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। এই দুঃখের সময় মহম্মদ মুমতাজের পরিবারকে সান্ত্বনা জানাই। আহতরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন। ঘটনার নেপথ্যে যারা, তারা শাস্তি পাবেই। আজ, ৫ অগাস্ট। তিন বছর আগে এই দিনেই জম্মু-কাশ্মীর থেকে রদ হয়েছিল ৩৭০ ধারা। তার ঠিক আগের দিন পরিকল্পিতভাবেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে অনুমান পুলিশের। উপত্যকা জুড়ে জারি হয়েছে সতর্কতা।

    এই প্রথম নয়, এর আগেও জঙ্গিরা উপত্যকায় বিচ্ছিন্নভাবে অশান্তি পাকিয়ে গিয়েছে। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে জঙ্গিদের গুলিতে জখম হয়েছিলেন চারজন পরিযায়ী শ্রমিক। এপ্রিলেরই চার তারিখে পুলওয়ামায়াতেই জঙ্গিরা তিনটি হামলার ঘটনা ঘটিয়েছিল। সেই হামলায় প্রাণ হারান একজন সিআরপিএফ জওয়ান। ওই ঘটনায় জখম হয়েছিলেন চারজন। যাঁদের মধ্যে বিহারের দুই পরিযায়ী শ্রমিক ও এক কাশ্মীর পণ্ডিতও ছিলেন। এপ্রিলেরই পাঁচ তারিখে জঙ্গিরা সিআরপিএফের দুই জওয়ানকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে শ্রীনগরের প্রাণকেন্দ্র মইসুমা চক এলাকায়। চলতি বছরেরই ১৯ মার্চ পুলওয়ামায় জঙ্গিদের গুলিতে জখম হন এক পরিযায়ী কাঠের মিস্ত্রি।

    আরও পড়ুন : গুজরাট, হিমাচল প্রদেশের সঙ্গেই নভেম্বরে ভোট হবে জম্মু-কাশ্মীরেও?

  • Data Protection Bill: বাজেট অধিবেশনের মধ্যেই পাশ হবে তথ্য সুরক্ষা বিল, আশা অশ্বিনী বৈষ্ণবের

    Data Protection Bill: বাজেট অধিবেশনের মধ্যেই পাশ হবে তথ্য সুরক্ষা বিল, আশা অশ্বিনী বৈষ্ণবের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাজেট অধিবেশনের (Budget Session) মধ্যেই ডেটা প্রোটেকশন বিল (Data Protection Bill ) বা তথ্য সুরক্ষা বিল পাশ হবে। এমনই আশা প্রকাশ করলেন কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)। এদিন লোকসভায় মন্ত্রী বলেন, ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা বিল ২০১৯ আপাতত প্রত্যাহৃত হল। সরকার আগামী দিনে একটি সংশোধিত নয়া বিল আনবে যা আইন সম্মত এবং যৌথ সংসদীয় কমিটির সুপারিশ সম্মত। মন্ত্রী বলেন, যৌথ সংসদীয় কমিটির তরফে বিলটি খুঁটিয়ে দেখা হয়েছে। বিলটিতে ৮১টি সংশোধনী ও ১২টি সুপারিশের কথা বলা হয়েছে। তার পরেই বিল প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। 

    ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা বিল নিয়ে ৫৪২ পাতার এখটি রিপোর্ট জমা দেয় সংসদের যৌথ কমিটি। সেখানে সব মিলিয়ে ৯৩টি সুপারিশ ও ৮১টি সংশোধনের কথা বলা হয়েছিল। নয়া প্যানেলের মূল আলোচ্য বিষয় ছিল, প্রস্তাবিত তথ্য সুরক্ষার বিষয়টি সাংবিধানিক বৈধতা পাবে কিনা এবং রাজ্যগুলির নিজেদের তথ্য সুরক্ষার অধিকার থাকবে কিনা।

    আরও পড়ুন : ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ইয়ং ইন্ডিয়ার অফিস সিল করল ইডি

    প্রসঙ্গত, এই বিলের বিষয়টি সামনে আসার পর শুরু হয় ব্যাপক সমালোচনা। এই বিল মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপের শামিল বলেও দাবি করা হয় কোনও কোনও মহল থেকে। অনেকের মতে, এই বিল আইনে পরিণত হলে নাগরিকদের ব্যক্তিগত মতামতের ওপর নেমে আসবে সরকারি হস্তক্ষেপ। সরকার যাকে খুশি এই আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পারবে। সরকারের সমালোচনা করা হলে, তাকেও রাষ্ট্রদ্রোহ বলে মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হতে পারে।

    এদিন লোকসভায় মন্ত্রী বলেন, আমরা নয়া বিলের একটি খসড়া প্রস্তুত করেছি। এদিনই পার্লামেন্টের পদ্ধতি শেষ হয়েছে। খুব শীঘ্রই অ্যাপ্রুভাল পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে আমরা নয়া খসড়া নিয়ে আসছি। তিনি বলেন, আশাকরি, বাজেট অধিবেশনের মধ্যেই আমরা নয়া বিলটিকে পাশ করিয়ে নিতে পারব।

    আরও পড়ুন : অক্টোবর থেকে বড়সড় পরিবর্তন আসছে জিএসটি নিয়মে, জেনে নিন

  • Ramsar list: চিনের সমান! রামসার সাইটের তালিকায় আরও ১০টি নতুন জলাভূমি যোগ করল ভারত

    Ramsar list: চিনের সমান! রামসার সাইটের তালিকায় আরও ১০টি নতুন জলাভূমি যোগ করল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরিবেশ সুরক্ষা ও সংরক্ষণের ক্ষেত্রে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল ভারত সরকার। নতুন তথ্যে জানা গিয়েছে, ভারতের আরও দশটি জলাভূমিকে রামসার সাইটে (Ramsar site) অন্তর্ভুক্ত করা হল। এর ফলে দেশে মোট ৬৪টি জলাভূমি রামসার সাইট হিসাবে স্বীকৃতি পেল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভূপেন্দর যাদব (Bhupender Yadav) ট্যুুইটে এই বিষয় জানিয়েছেন।

    জলাভূমি সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে ১৯৭১ সালে ইরানের রামসার শহরে বিভিন্ন দেশ মিলে কনভেনশন অন ওয়েটল্যান্ডস নামে একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি স্বাক্ষর করে, যেটি রামসার কনভেনশন নামে পরিচিত। রামসার কনভেনশন হল সারা বিশ্বে জৈব পরিবেশ রক্ষার একটি সম্মিলিত প্রয়াস। এই কনভেনশনের অধীনে তালিকাভুক্ত সমস্ত জলাভূমিকে রামসার সাইট বলা হয়। আন্তর্জাতিক এই তালিকায় চিনেও রামসার সাইটের সংখ্যা ৬৪টি। রামসার কনভেনশনের অধীনে  ভারতে দশটি নতুন রামসর সাইট মনোনীত হওয়ায় পরিবেশ সুরক্ষার নিরিখে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে চিনের সঙ্গে এক সারিতে উঠে এল ভারত। 

    গাছপালা হ্রাস, অত্যধিক বন্যা, জল দূষণ, শিল্পায়ন, ঘরবাড়ি, রাস্তা, সেতু নির্মাণ প্রভৃতি দেশের জলাভূমিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। জলাভূমিগুলো সংরক্ষণের জন্যই আন্তর্জাতিক স্তরে এই চুক্তি করা হয়। এর ফলে  জলাভূমিগুলোর আশেপাশে কোনও শিল্প তৈরি করা যাবে না। ভারত সরকার এ বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়েছে পরিবেশ মন্ত্রক। এই জলাভূমিগুলি বায়ুমণ্ডলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। খরা-বন্যা রোধ করতে, জলের জোগান দিতে জলাভুমির গুরুত্ব অপরিসীম।

    আরও পড়ুন: জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সঠিক নিয়ম জানেন তো? মাথায় রাখুন এই বিষয়গুলি

    ভারতের ১০টি নতুন রামসার সাইটগুলির মধ্যে তামিলনাড়ুতে ছয়টি, ওড়িশা, গোয়া, মধ্যপ্রদেশ এবং কর্ণাটকের একটি করে রয়েছে। ভারতের রামসার সাইটগুলি এখন মোট 12,50,361 হেক্টর এলাকা জুড়ে রয়েছে। ভারতে প্রথম রামসার সাইটই হল ওড়িশার চিল্কা হ্রদ। ভারতের সবচেয়ে বড় রামসার সাইট হল সুন্দরবন। সবচেয়ে ছোট হল হিমাচল প্রদেশের রেণুকা হ্রদ। এই তালিকা ক্রম পরিবর্তনশীল। স্বাধীনতার ৭৫ বছর চলছে। এই বছরেই দেশে রামসার সাইটের সংখ্যা ৭৫-এ নিয়ে যেতে চায় ভারত।

  • Amit Shah: কালো পোশাক পরে বিক্ষোভ কংগ্রেসের, কী বললেন অমিত শাহ?

    Amit Shah: কালো পোশাক পরে বিক্ষোভ কংগ্রেসের, কী বললেন অমিত শাহ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালো পোশাক (Black Clothes) পরে কংগ্রেস (Congress) কর্মীদের প্রতিবাদ কর্মসূচি আসলে রামমন্দিরের (Ram Temple) বিরুদ্ধে। এদিন এমনই অভিযোগ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Saha)। শুক্রবার ৫ অগাস্ট ছিল রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানের বর্ষপূর্তি। এদিনই কালো পোশাক পরে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে কংগ্রেস। তাকেই কটাক্ষ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    শুক্রবার মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ওপর জিএসটি বৃদ্ধির প্রতিবাদে দেশব্যাপী আন্দোলনে নামে কংগ্রেস। রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) নেতৃত্বে কালো পোশাক পরে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস কর্মীরা। দিল্লি থেকে আসাম, মধ্যপ্রদেশ থেকে তেলঙ্গানা সর্বত্রই কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা কালো পোশাক পরে শামিল হন বিক্ষোভ কর্মসূচিতে। খোদ দিল্লিতে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী সহ বেশ কয়েকজন কংগ্রেস সাংসদ সংসদ ভবনের সামনে প্রতিবাদ করেন। কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) সংসদের গেটের বাইরে একটি ব্যানার নিয়ে দলের মহিলা সাংসদের সঙ্গে প্রতিবাদে শামিল হন।

    আরও পড়ুন : দ্বিতীয়বার ইডির সামনে সোনিয়া! রাহুল-সহ ১৭ জন কংগ্রেস সাংসদ আটক

    এদিন সেদিকেই ইঙ্গিত করে অমিত শাহ বলেন, কংগ্রেস কালো পোশাক পরে একটা সূক্ষ্ম বার্তা দিতে চাইছে যে তারা রাম জন্মভূমির ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানের প্রতিবাদ করছে। পাল্টা ট্যুইট করে কংগ্রেসও। দলের নেতা জয়রাম রমেশ ট্যুইট বার্তায় লেখেন, মূল্যবৃদ্ধি, জিএসটি, বেকারত্বের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক প্রতিবাদকে ঘুরিয়ে দেওয়া, বিকৃত করা এবং মেরুকরণের মরিয়া চেষ্টা করছেন অমিত শাহ। প্রতিবাদ মোক্ষম জায়গায় লেগেছে, তা নিশ্চিত।  

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই দিনেই (৫ অগাস্ট)রাম জন্মভূমির শিলান্যাস করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এই রামজন্মভূমি কোটি কোটি লোকের বিশ্বাসের জায়গা। সাড়ে পাঁচশো বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা বিতর্কের মীমাংসা হয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে কংগ্রেস দীর্ঘদিন ক্ষমতায় ছিল। তার পরেও সমস্যার সমাধান করতে পারেনি তারা। মোদি শান্তিপূর্ণ পথে সমস্যার সমাধান করেছেন। এবং মন্দিরের শিলান্যাস করেছেন। এই দিনটি সেই পবিত্র দিন।

    আরও পড়ুন : সিএএ কবে থেকে লাগু হবে জানেন? কী বললেন অমিত শাহ?

  • Assam: অসমে জঙ্গিদের নতুন ছক! হাতিয়ার করা হয়েছে মাদ্রাসাগুলোকে, জানুন কীভাবে

    Assam: অসমে জঙ্গিদের নতুন ছক! হাতিয়ার করা হয়েছে মাদ্রাসাগুলোকে, জানুন কীভাবে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে অসমে প্রায় ১ হাজার বেসরকারি মাদ্রাসা রয়েছে। ২০১৬ সালে সেই সংখ্যা ছিল ৭৮৮টি। আনুমানিক ১০ হাজার শিক্ষার্থী ওই মাদ্রাসাগুলিতে পড়ে। বহু মাদ্রাসাতেই বেআইনি এবং দেশবিরোধী কাজ হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। বেশ কয়েকটি মাদ্রাসায় দেশবিরোধী কাজে মদত দেওয়া হয় বলেও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সদ্য বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত একাধিক ব্যক্তি ধরা পড়েছে অসমে। গ্রেফতার করা হয়েছে মুফতি মোস্তাফা নামের মরিগাঁও এলাকার এক মাদ্রাসা শিক্ষককে। মোস্তাফা এখন রয়েছেন পুলিশ হেফাজতে। ওই ব্যক্তি বাংলাদেশের অন্যতম জঙ্গি সংগঠন Ansar ul Bangla Team (ABT)-র সদস্য বলে পুলিশের দাবি। অসম পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মতে, ওই জঙ্গি সংগঠন মরিগাঁও এলাকা নিজেদের ‘মডিউল’ গড়ে তুলছিল। মোস্তাফাকে জেরা করে অনেক তথ্য উঠে এসেছে। 

    অসমের পুলিশের স্পেশাল ডিজি জিপি সিং (GP Singh) জানান, “মুফতি মোস্তাফা যে ‘জিহাদি ট্রেনিং’ দেখাতেন, তা তার ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসগুলিতে পাওয়া গিয়েছে। আমরা এখন দেখতে চাইছি, তাঁর ওই ভিডিয়োগুলি কতজন দেখেছেন। মাদ্রাসার পড়ুয়াদের ওপরে সেগুলির কী প্রভাব পড়েছে, তাও আমরা দেখতে চাইছি।” জিপি সিং বলেন, “ওই মাদ্রাসার শিক্ষক যে ভিডিয়োগুলি দেখাতেন, সেখানে তালিবানদের ট্রেনিং নেওয়ার বিষয়টিও আছে। সেগুলি দিয়ে তিনি ওই মাদ্রাসার পড়ুয়াদের প্রভাবিত করতেন।” তিনি জানান, একাধিক মাদ্রাসা তাঁদের ‘স্ক্যানারে’ আছে। 

    আরও পড়ুন: বিভীষিকা বিশাখাপত্তনমে! কাপড়ের কারখানায় গ্যাস লিক করে অসুস্থ ৫০জন, ভর্তি হাসপাতালে

    অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma) এক বিবৃতিতে বলেছেন, “পুলিশের সর্ববৃহৎ অভিযানে ধরা পড়েছে একঝাঁক জেহাদি। মৈরাবাড়িতে একটি কওমি মাদ্রাসার শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজ্য এই প্রথম কোনও ধর্মীয় মাদ্রাসার শিক্ষককে জেহাদি-যোগের দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে সেই মাদ্রাসাকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বরপেটাতেও বড়সড় জঙ্গি মডিউল ভেঙে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্ক, বিভিন্ন ধরনের লেনদেনের প্রমাণ মিলেছে। ধর্মীয় মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে পুলিশের সাঁড়াশি  অভিযান চলছে।”

    অসমের শিক্ষামন্ত্রী রনোজ পেগু (Ranoj Pegu) বলেন, “অসমে কোনও সরকারি মাদ্রাসা নেই। আমরা একাধিক মাদ্রাসার শিক্ষকদের সম্পর্কে কিছু অভিযোগ পেয়েছি। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওই মাদ্রাসাগুলি বন্ধ করে সেখানের পড়ুয়াদের অন্য স্কুলে যাওয়ার জন্য বলা হবে।” ইতিমধ্যেই অসমে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে প্রায় ৭৫০টি মাদ্রাসা, বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।

  • Article 370:  ৩৭০ ধারা রদের তিন বছর পূর্তি, ভূস্বর্গ জুড়ে উন্নয়নের জোয়ার   

    Article 370:  ৩৭০ ধারা রদের তিন বছর পূর্তি, ভূস্বর্গ জুড়ে উন্নয়নের জোয়ার   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৫ অগাস্ট জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu Kashmir) রদ হয়েছিল ৩৭০ ধারা (Article 370)। হল তারই তিন বছর পূর্তি।  তার পর থেকে ক্রমেই উন্নতি হচ্ছে ভূস্বর্গের। একদিকে উপত্যকায় যেমন কমেছে পাথর ছোড়া, জঙ্গিপনা (Terrorist Act) সহ নানা অশান্তিমূলক কাজকর্ম, তেমনি হচ্ছে উন্নয়ন (Development)। রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) এবং উপত্যকার লেফটেনেন্ট গভর্নর মনোজ সিনহার (Monaj Sinha) নিরন্তর প্রচেষ্টায় নয়া রূপে সাজছে ভূস্বর্গ।

    ২০১৯ সালের ৫ তারিখে জম্মু-কাশ্মীর থেকে রদ হয় ৩৭০ ধারা। তার পরেই গেল গেল রব ওঠে বিরোধী শিবিরে। তাঁদের আশঙ্কা, ফের রক্তস্নাত হবে উপত্যকা। বাড়বে জঙ্গি হানার ঘটনাও। যদিও গত তিন বছরে জম্মু-কাশ্মীরে এমন কিছুই ঘটেনি, যা নিয়ে হইচই করতে পারেন বিরোধীরা। তবে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ইদানিং ঘটছে কাশ্মীরের কিছু জায়গায়। এখনও একেবারে বন্ধ হয়নি পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের কার্যকলাপ। সেই কারণেই ঘটছে এসব ঘটনা। গত কয়েক মাসে টার্গেট কিলিংয়ের ঘটনাও ঘটেছে। তার পরেও পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতায় শান্তি নেমে এসেছে ভূস্বর্গে। সংখ্যাতত্ত্বের হিসেবেই দেখা যাচ্ছে, জম্মু-কাশ্মীরে ২০১৯এর আগের তুলনায় ঢের কমেছে অনুপ্রবেশের ঘটনা। বিধানসভার মর্যাদা ফেরাতে হবে নির্বাচন। শেষ হয়েছে ডিলিমিটেশনের কাজও। সেই কাজ শেষের পরে শুরু হয়েছে ভোটার লিস্টে নাম তোলার কাজও। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডও। এককথায়, ভূস্বর্গের সর্বত্র স্পষ্ট সুশাসনের ছাপ।

    আরও পড়ুন : ৩৭০ ধারা বাতিলের পর উপত্যকা ছাড়েননি কোনও কাশ্মীরি পণ্ডিত, জানাল সরকার

    গত ৭০ বছর ধরে কার্যত বঞ্চনার শিকার হয়েছিল উপত্যকা। এখন অবশ্য সে ছবি বদলে গিয়েছে বেবাক। কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন উপত্যকার বাসিন্দারা। আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা এসইএইচএটি স্কিমের সুযোগও পাচ্ছেন তাঁরা। কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্পে ফি বছর ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্যবিমার সুবিধা পাচ্ছেন কাশ্মীরবাসী।

    কেবল সরকারি সুযোগ সুবিধার ক্ষেত্রেই নয়, উন্নয়নের ছবি নজরে পড়ছে অন্যত্রও। ইতিমধ্যেই ১২০০ স্টার্টআপ রেজিস্টার্ড করে ফেলেছে। এর মধ্যে ফান্ডিং করে ফেলেছে ২০০। উপত্যকায় পরিকাঠামোগত উন্নয়নও হয়েছে। এক লক্ষ কোটি টাকার নয়া প্রোজেক্টও অনুমোদিত হয়েছে। ২০১৯ সালের আগে ফি বছর আট থেকে ন হাজার প্রজেক্ট কমপ্লিট হত। এখন এই সংখ্যাটা বেড়ে হয়েছে ৫১ হাজারের ওপর। যা প্রমাণ করে সরকারি কাজে গতি এসেছে, এসেছে স্বচ্ছতাও। উন্নয়নের গতি নজরে পড়ে অন্যত্রও। আগে যেখানে প্রতিদিন ছ কিলোমিটার করে রাস্তা তৈরি হত, এখন সেখানে তৈরি হয় ২০ কিলোমিটার। ব্যবসা করার জন্য দুশোরও বেশি প্রশাসনিক সংস্কার করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন : গুজরাট, হিমাচল প্রদেশের সঙ্গেই নভেম্বরে ভোট হবে জম্মু-কাশ্মীরেও?

    প্রধানমন্ত্রী মোদি ও লেফটেন্যান্ট গভর্নরের নিরন্তর চেষ্টায় উপত্যকায় যে আক্ষরিক অর্থেই সোনা ফলেছে, তার উদাহরণ রয়েছে আরও। ইতিমধ্যেই ৫৬ হাজার কোটি লগ্নি প্রস্তাব পেয়েছে শিল্প দফতর। শিলান্যাস হয়েছে ৩৮ হাজার ৮০ কোটি টাকার প্রকল্পের। চলতি বছরের এপ্রিল মাসের মধ্যেই হয়েছে এই শিলান্যাস। ভূস্বর্গের বাস্তুতন্ত্রের কথাও মাথায় রেখেছে প্রশাসন। সেই কারণে উপত্যকায় ব্যাপক দূষণ ছড়ায় এমন শিল্পে উৎসাহ দিচ্ছে না সরকার। এর মধ্যে রয়েছে সিমেন্ট কারখানা, ইটভাটা, স্টোন ক্র্যাশার এবং আয়রণ ও স্টিল প্ল্যান্ট।

    ৩৭০ ধারা রদের পরে এভাবেই ছন্দে ফিরছে ভূস্বর্গ!

     

  • GST Collection: জুলাই মাসে দেশের জিএসটি থেকে আয় ১.৪৯ লক্ষ কোটি টাকা, আগের বছরের তুলনায় ২৮% বেশি

    GST Collection: জুলাই মাসে দেশের জিএসটি থেকে আয় ১.৪৯ লক্ষ কোটি টাকা, আগের বছরের তুলনায় ২৮% বেশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জুলাই মাসে ভারতের জিএসটি (GST) সংগ্রহ ১.৪০ লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। পণ্য এবং পরিষেবা করের কারণে ভারতের রাজকোষে মোট ১.৪৯ লক্ষ কোটি টাকা এসেছে গতমাসে। এই নিয়ে টানা পঞ্চম মাসে বৃদ্ধি অব্যহত। আগের বছরের জুলাই মাস থেকে এ বছরের জুলাই মাসে ২৮% বৃদ্ধি পেয়েছে জিএসটি সংগ্রহ।  

    আরও পড়ুন: চাল, ডাল, আটা, গম খোলা কিনলে বাড়তি জিএসটি লাগু হবে না! ট্যুইট করে ব্যাখ্যা অর্থমন্ত্রীর

     
    ₹1,48,995 crore gross GST revenue collected in the month of July 2022

    ২০২১ সালের জুলাই মাসে জিএসটি সংগ্রহ ছিল ১১, ৬৩৯৩ কোটি টাকা। এছাড়া এক মাসে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কর আদায়ের পরিসংখ্যান। জুলাই মাসে মোট জিএসটি সংগ্রহে কেন্দ্রীয় জিএসটির অবদান ছিল ২৫৭৫১ কোটি টাকা৷   

    রাজ্য জিএসটির অবদান ছিল ৩২,৮০৭ কোটি টাকা এবং ইন্ট্রা জিএসটির অবদান ছিল ৭৯,৫১৮ কোটি টাকা৷ এছাড়া ইন্টিগ্রেটেড ট্যাক্সের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে মোট ১০,৯২০ কোটি টাকা এসেছে।   

    ৭৯,৫১৮ কোটি টাকার আইজিএসটিএ আমদানির ফলে ৪১,৪২০ কোটি টাকা সরকারের কোষাগারে জমা পড়েছে। সেই সঙ্গে ১০,৯২০ কোটি টাকার মধ্যে সেস আমদানির ফলে এসেছে ৯৯৫ কোটি টাকা। 

    আরও পড়ুন: আজ থেকে লাগু হয়েছে জিএসটির নতুন রেট, কোন খাতে বাড়ল খরচ?

    গত পাঁচ মাসে জিএসটি সংগ্রহের অঙ্ক ১.৪ লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। প্রতিনিয়ত বাড়ছে সরকারের কর আদায়। গত মাসে সরকার আমদানি কমাতে বেশ কিছু কর আরোপ করেছে কেন্দ্র সরকার। এতে যে দেশের অর্থনীতির গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী, তা জিএসটির এই পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট। 

    সম্প্রতি, জিএসটি কাউন্সিল নিত্য প্রয়োজনীয় অনেক পণ্যের ওপরেই জিএসটি ধার্য করেছে। যা আগে করমুক্ত ছিল। এতে যে আখেরে দেশের অর্থনীতিতে সুফলই এসেছে, তার প্রতিফলন দেশের কোষাগারে স্পষ্ট। 

    হোটেল রুমে ১০০০ টাকার কম হলেও এখন থেকে জিএসটি দিতে হবে। এছাড়াও, হাসপাতালের ঘরের ভাড়া ৫০০০ টাকার বেশি হলেও ৫% জিএসটি ধার্য করা হবে। প্যাকেটজাত খাবারের ওপরও ৫ শতাংশ জিএসটি আরোপ করা হয়েছে। অর্গানিক ফুডের ওপরেও ধার্য করা হয়েছে জিএসটি। আগে এই বিষয়গুলি করমুক্ত ছিল। 

LinkedIn
Share