Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Rashtrapatni Remark Row: ‘রাষ্ট্রপত্নী’ বিতর্কে ইতি টানতে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখে ক্ষমা চাইলেন অধীর 

    Rashtrapatni Remark Row: ‘রাষ্ট্রপত্নী’ বিতর্কে ইতি টানতে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখে ক্ষমা চাইলেন অধীর 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের পঞ্চদশ রাষ্ট্রপতি (Rastrapati) নির্বাচিত হয়েছেন ওড়িশার ময়ূরভঞ্জের জনজাতি সম্প্রদায়ের দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। সংসদে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তাঁকে রাষ্ট্রপত্নী বলে সম্বোধন করে বসেন কংগ্রেস (Congress) সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। অধীরের এই মন্তব্যে দেশজুড়ে শুরু হয় হইচই। বিজেপির (BJP) পাশাপাশি কংগ্রেসের অন্দরেও অধীরের বিরুদ্ধে বইতে থাকে উষ্মার চোরা স্রোত। এর পরেই স্বয়ং রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখে ক্ষমা চাইলেন কংগ্রেস সাংসদ।

    রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে লেখা চিঠিতে অধীর লিখেছেন, আপনার অবস্থান বর্ণনা করার জন্য একটি ভুল শব্দ ব্যবহার করার জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করতেই এই চিঠি লিখছি। আমি আপনাকে আশ্বস্ত করছি যে, শব্দটি ভুল করেই বেরিয়েছে। আমি ক্ষমাপ্রার্থী এবং আপনাকে আমার ক্ষমাপ্রার্থনা গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করছি।

    বিজেপি-বিরোধী সতেরটি দলের সম্মিলিত প্রার্থী যশোবন্ত সিনহাকে বিপুল ভোটে পরাস্ত করে দেশের পঞ্চদশ রাষ্ট্রপতি পদে শপথ নেন দ্রৌপদী। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হয় ২৫ জুলাই। দ্রৌপদী দেশের প্রথম জনজাতি সম্প্রদায়ের মহিলা যিনি রাইসিনা হিলসের বাসিন্দা হয়েছেন। তিনি দেশের কনিষ্ঠতম রাষ্ট্রপতিও। তাঁকেই অপমান করায় অধীরের পাশাপাশি কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট সোনিয়া গান্ধীকেও ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানায় বিজেপি।

    আরও পড়ুন : স্বাধীনতার ৭৫ বছরে তেরঙ্গা শাড়ি পরে রাষ্ট্রপতি পদে শপথ দ্রৌপদী মুর্মুর

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে জেরা করছে ইডি। এনিয়ে এদিন সংসদে সরব হন বহরমপুরের সাংসদ কংগ্রেসের অধীররঞ্জন চৌধুরী। এই সময়ই অধীর দ্রৌপদী সম্পর্কে ‘রাষ্ট্রপত্নী’ শব্দটি প্রয়োগ করেন বলে অভিযোগ। অধীরের এই মন্তব্য নিয়ে লোকসভার পাশাপাশি গন্ডগোল শুরু হয় রাজ্যসভায়ও। পাল্টা চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকে কংগ্রেসও। একসময় উত্তাল হয়ে ওঠে সংসদের উভয় কক্ষ। ঘটনার জেরে দফায় দফায় মুলতুবি হয়ে যায় দুই কক্ষের অধিবেশন।

    ঘটনার জেরে অধীরকে তলব করে জাতীয় মহিলা কমিশন। ঘটনার পরে পরেই অধীর অবশ্য বিষয়টিকে স্লিপ অফ টাং বলে ব্যাখ্যা করেছেন। যদিও তার পরেও অধীরকে লিখিতভাবে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি জানাতে থাকেন পদ্ম নেতৃত্ব। বিজেপির দাবি, মুখ ফস্কে নয়, ভেবেচিন্তেই অধীর এ কথা বলেছেন। আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলেন, শব্দটি মুখ ফস্কে বেরোয়নি। আপনারা যদি ভিডিও ক্লিপটি দেখেন, দেখবেন অধীররঞ্জন চৌধুরী স্পষ্টভাবে রাষ্ট্রপতি মুর্মুকে উল্লেখ করে দুবার রাষ্ট্রপতি শব্দটি বলেছেন, তারপর তিনি তাঁকে রাষ্ট্রপত্নী বলেছেন।

    আরও পড়ুন : ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী দেশ! দ্রৌপদী মুর্মুর শপথগ্রহণ নিয়ে প্রতিক্রিয়া মোদির

  • Supreme Court: ‘অযৌক্তিক’ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেওয়া বন্ধে উদ্যোগী হল সুপ্রিম কোর্ট 

    Supreme Court: ‘অযৌক্তিক’ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেওয়া বন্ধে উদ্যোগী হল সুপ্রিম কোর্ট 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার ভোটের (Election) সময় নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেওয়া বন্ধে উদ্যোগী হল দেশের শীর্ষ আদালত। এ ব্যাপারে কী করা যায় তা কেন্দ্রকে খতিয়ে দেখতেও বলল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। 

    প্রতিবার ভোটের সময় অযৌক্তিক নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি (Irrational Freebies) দেয় বিভিন্ন রাজ্য সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলি। সে পঞ্চায়েত হোক কিংবা পুরসভা, বিধানসভা অথবা লোকসভা সব ক্ষেত্রেই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেওয়া একটা রেওয়াজ হয়ে দাঁড়িয়েছে এ দেশে। ভোটারদের প্রভাবিত করতেই এটা করা হয় বলে অভিযোগ। এই অযৌক্তিক নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেওয়া বন্ধ হওয়া উচিত বলেই দাবি উঠেছিল দীর্ঘদিন। এটা বন্ধেই এবার কেন্দ্রকে পথ খুঁজতে বলল দেশের শীর্ষ আদালত। প্রাধান বিচারপতি এনভি রামানা বিষয়টিকে সিরিয়াস আখ্যা দিয়েছেন। এ ব্যাপারে অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল কেএম নটরাজের কাছে যথাযথ উত্তর না পেয়ে প্রধান বিচারপতি কেন্দ্রকে অযৌক্তিক নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বন্ধ করা হবে কিনা, সে ব্যাপারে তাদের অবস্থান জানাতে বললেন।

    আরও পড়ুন : কমিশনের তরফে দু পক্ষকেই স্ব স্ব দাবির সমর্থনে ৮ আগস্টের মধ্যে নথিপত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ…

    এদিন শুনানি চলাকালীন কোনও কারণে কোর্টরুমে উপস্থিত ছিলেন বর্ষীয়ান আইনজীবী কপিল সিবাল। প্রধান বিচারপতি তাঁকে বলেন, সিবাল একজন বর্ষীয়ান সাংসদ। এ ব্যাপারে আপনার অভিমত কী? সিবাল জানান, অযৌক্তিক নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি একটা গুরুতর বিষয়। তবে একে নিয়ন্ত্রণ করাও কঠিন। সিবাল বলেন, কেন্দ্র এ ব্যাপারে কোনও নির্দেশিকা জারি করতে পারে না। তিনি বলেন, অর্থ কমিশনই এই ইস্যুটি খুঁটিয়ে দেখার ব্যাপারে উপযুক্ত প্রতিষ্ঠান। এর পরেই সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ বলে, আমরা কেন্দ্রকে নির্দেশ দিচ্ছি এ ব্যাপারে তাদের মতামত জানাতে। আগস্টের ৩ তারিখে মামলাটি ফের উঠবে আদালতে।

    আরও পড়ুন : নিম্ন আদালতের অবস্থান জেনেই রায় ঘোষণা, জ্ঞানবাপী মামলায় সুপ্রিম কোর্ট

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরের এপ্রিলের গোড়ায় ভারতীয় নির্বাচন কমিশন সুপ্রিম কোর্টকে ভোটের আগে কিংবা পরে অযৌক্তিক নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির বিষয়টি জানিয়েছিল। এফিডেভিট দিয়ে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, ভোটের আগে কিংবা পরে অযৌক্তিক নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এগুলি রাজ্যের অর্থনৈতিক স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। প্রভাব ফেলে ভোটারদের ওপরও। এগুলি তাঁদের সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করে।

     

  • Let Terrorist: ফের এনকাউন্টার কাশ্মীরে! রাতভর অভিযানে নিকেশ লস্কর জঙ্গি

    Let Terrorist: ফের এনকাউন্টার কাশ্মীরে! রাতভর অভিযানে নিকেশ লস্কর জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের উত্তপ্ত ভূস্বর্গ। সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে জম্মু কাশ্মীরে (Jammu Kashmir) খতম হল ১ লস্কর জঙ্গি। রবিবার ভোরে জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুল্লায় (Baramulla) জঙ্গি (Terrorists) দমন ও তল্লাশি অভিযান চালায় পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী। এরপরেই বারামুল্লার বিন্নার (Binner) এলাকায় জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলির লড়াই শুরু হয়। এনকাউন্টারে লস্কর-ই-তৈবা (Lashkar-e-Taiba) জঙ্গি সংগঠনের এক জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: লস্কর জঙ্গিকে খালি হাতে পাকড়াও, কেমন ছিল সেই রোমহর্ষক রাত?

    পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শনিবার সন্ধ্যায় অভিযানে নামে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী। তাদের কাছে খবর ছিল বিন্নার এলাকায় লুকিয়ে আছে সন্ত্রাসবাদীরা। সেই মতো তারা অভিযান শুরু করে৷ তবে তল্লাশির সময় যৌথ বাহিনীকে দেখে গুলি চালায় ওই জঙ্গি৷ তখন পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী দুইই পাল্টা গুলি চালায়। দীর্ঘক্ষণ লড়াই শেষে ওই জঙ্গিকে এনকাউন্টারে খতম করা হয় ও পরে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়৷ পরে তার নাম-পরিচয়ও জানা যায়৷

    জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের (Jammu Kashmir Police) তরফে টুইট করে জানানো হয়, নিহত জঙ্গির নাম ইরসাদ আহমেদ ভাট (Irshad Ahmd Bhat )। এই জঙ্গি বারামুল্লার পাট্টান (Pattan) জেলার বাসিন্দা। তার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে একটি একে রাইফেল, দুটি ম্যাগাজিন ও ৩০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিল ওই যুবক, এমনটাই জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যে বাকি জঙ্গিদের খোঁজে এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে যৌথ বাহিনী।

    আরও পড়ুন: অমরনাথ যাত্রার আগেই কাশ্মীরে জোড়া এনকাউন্টারে খতম ৪ জঙ্গি

    [tw]


    [/tw]

  • 7 TMC MPs Suspended: তৃণমূলের সাত সহ রাজ্যসভার ১৯ সাংসদ সাসপেন্ড

    7 TMC MPs Suspended: তৃণমূলের সাত সহ রাজ্যসভার ১৯ সাংসদ সাসপেন্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সভা চলাকালীন হইহট্টগোলের অভিযোগে মঙ্গলবার রাজ্যসভার মোট ১৯ জন বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করা হল। এঁদের মধ্যে সাত জন তৃণমূলের। সুস্মিতা দেব, মৌসম বেনজির নুর, দোলা সেন এবং শান্তনু সেন, শান্ত ছেত্রী, নাদিমূল হক, অবীররঞ্জন বিশ্বাসকে সাসপেন্ড করেছেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান। এছাড়া ডিএমকের হামিদ আবদুল্লা, আর গিরিরাজন, এনআর এলাঙ্গো, এম শানমুগান এবং কানিমোঝি, সিপিএমের এএ রহিম এবং ভি শিবাদাসান, টিআরএসের বি লিঙ্গাইয়া যাদব, রবীহান্দ্রা ভাদ্দিরাজু এবং দামোদর রাও দিভাকোন্দা, সিপিআইয়ের সন্তোষ কুমারকেও সাসপেন্ড করা হয়৷ শাস্তিপ্রাপ্ত সাংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনার দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন তাঁরা। তাঁদের চিৎকার-চেঁচামেচিতে বারবার পণ্ড হয় অধিবেশন৷ স্বাভাবিক কাজকর্ম চালাতে অসুবিধা হয়৷ আগামী শুক্রবার পর্যন্ত সাসপেন্ড হওয়া সাংসদরা আর রাজ্যসভার বিতর্কে অংশ নিতে পারবেন না। 

    গতকাল সোমবার পুরো অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করা হয় লোকসভার চার কংগ্রেস সাংসদকে৷ তাঁরা হলেন এম টেগোর, রামইয়া হরিদাস, জ্যোতিমণি এবং টিএন প্রতাপন৷ আগামী ১২ অগাস্ট পর্যন্ত চলবে বাদল অধিবেশন৷ ওই চার কংগ্রেস সাংসদের আচরণে ক্ষুব্ধ হন অধ্যক্ষ ওম বিড়লা৷ অধিবেশন চলাকালীন তাঁরা প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখান৷ ওম বিড়লা তাঁদের সতর্ক করলেও সেকথা কানে তোলেননি তাঁরা৷ তখন তাঁদের সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেন অধ্যক্ষ৷

    আরও পড়ুন: সংসদ চত্বরে প্ল্যাকার্ড বহন ও বিক্ষোভ! বাদল অধিবেশনে সাসপেন্ড চার কংগ্রেস সাংসদ

    এদিন ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধি, মুদ্রস্ফীতি, কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতি ও আইনের প্রতিবাদে রাজ্যসভায় লাগাতার স্লোগান দিচ্ছিলেন তৃণমূল সহ বিরোধী একাধিক দলের সাংসদ। ওয়ালে নেমেও বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। যার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিরোধী সাংসদদের এই আচরণকে ‘নিয়ম বিরুদ্ধ’ বলে জানিয়েছেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান। চলতি অধিবেশনের আগেই লোকসভা ও রাজ্যসভার সচিবালয়ে নির্দেশিকা জারি করে বেশ কয়েকটি শব্দ সভায় প্রয়োগের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সংসদ চত্বরে বিক্ষোভ, ধর্না প্রদর্শনও বন্ধ করা হয়েছে। যার প্রতিবাদে মুখর বিরোধী দলগুলি। নিষেধাজ্ঞা জারির পরও মঙ্গলবার তৃণমূল সাংসদরা সংসদ চত্বরে বিক্ষোভ, ধর্না দেখিয়েছেন, তাই এই সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়েছে।

    বাদল অধিবেশনের শুরু থেকেই উভয় কক্ষেই হট্টগোল চলছে। ফলে বার বার বাধা পেয়েছে অধিবেশন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযুষ গোয়েল জানান, সরকার চায় আলোচনা করতে। বিরোধীদের প্রশ্নের জবাব দিতে। সরকারের কার্যাবলী তুলে ধরতে। কিন্তু বিরোধীরা হই হট্টগোল করে ক্রমাগত সভার কাজে বাধা দিলে শুধু শুধু সময় নষ্ট হবে। বিরোধীরা কোনও কথা বলতেই চায় না বলে জানান তিনি।

  • Modi Mann Ki Baat: হর ঘর তিরঙ্গা আন্দোলনে অংশ নিন, মন কি বাতে অনুরোধ মোদির

    Modi Mann Ki Baat: হর ঘর তিরঙ্গা আন্দোলনে অংশ নিন, মন কি বাতে অনুরোধ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হর ঘর তিরঙ্গা আন্দোলনে অংশ নিন। রবিবার মন কি বাত (Mann Ki Baat) অনুষ্ঠানে দেশবাসীকে এই আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ৭৫ বছরের  স্বাধীনতা দিবসকে (Independence Day) ঐতিহাসিকও আখ্যা দেন তিনি।

    এদিন মন কি বাত অনুষ্ঠানের প্রথম দিকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজাদির অমৃত মহোৎসবের অধীনে আগামী ১৩ থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত আমরা হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচি পালন করব। আপনারাও সকলে এই কর্মসূচির অংশ হোন। এবং নিজের বাড়িতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করুন। ২ থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইল পিকচারে তিরঙ্গা (Tricolor) ব্যবহারের অনুরোধও জানান তিনি।.

    ৩১ জুলাই বিপ্লবী উধম সিংয়ের মৃত্যুদিন। এদিন শুরুতেই পাঞ্জাবের এই স্বাধীনতা সংগ্রামীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী। উধম সিংয়ের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচির প্রসঙ্গও টানেন তিনি। মোদি বলেন, স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব ইতিমধ্যেই একটি গণ আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। স্বাধীনতার পঁচাত্তর বছর উপলক্ষে দেশের পঁচাত্তরটি রেল স্টেশনকে সাজানো হচ্ছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন :বিশ্বের বড় বড় অর্থনীতির সঙ্গে পাল্লা দেবে ভারত, বললেন মোদি

    দেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের সঙ্গে ভারতীয় রেল যে গভীরভাবে জড়িয়ে রয়েছে, এদিন সে প্রসঙ্গও টানেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এমন অনেক রেলস্টেশন রয়েছে, যা স্বাধীনতা সংগ্রামে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে। তিনি জানান, এই জুলাই মাসে কেন্দ্র ও ভারতীয় রেলওয়ের তরফে অত্যন্ত মনোগ্রাহী একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যেখানে আজাদির অমৃত মহোৎসবের অধীনে বিশেষ ট্রেন চলবে। যাত্রীদের স্বাধীনতা সংগ্রামে রেলওয়ের ভূমিকা সম্পর্কে অবগত করাই এর লক্ষ্য।

    করোনা যুদ্ধে আয়ুষ যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, এদিন তারও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আয়ুষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আয়ুর্বেদ ও ভারতীয় চিকিৎসার প্রতি বিশ্ববাসীর আগ্রহ বাড়ছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। তাঁর দাবি, এই কারণেই আয়ুষ পণ্যের রফতানি বৃদ্ধি পেয়েছে। নতুন নতুন স্টার্ট-আপ শুরু হচ্ছে।

    পিভি সিন্ধু, নীরজ চোপড়া সহ ভারতীয় খেলোয়াড়দের সাম্প্রতিক সাফল্যের কথাও এদিন তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। খেলোয়াড়দের অভিনন্দনও জানান। সাফল্য কামনা করেন চলতি কমনওয়েল্থ গেমসে অংশ নেওয়া খেলোয়াড়দেরও। বক্তব্যের শেষের দিকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশবাসীকে অনুরোধ করছি এবারের স্বাধীনতা দিবস কীভাবে পালন করেছেন, তা আমাকে লিখে জানান।

    আরও পড়ুন : ফের গড়লেন ইতিহাস, বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে রুপো জয় নীরজের, উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী

  • LAC Faceoff: চিন সীমান্তে রাস্তা নির্মাণে গত পাঁচ বছরে ব্যয় প্রায় সাড়ে ১৫ হাজার কোটি টাকা

    LAC Faceoff: চিন সীমান্তে রাস্তা নির্মাণে গত পাঁচ বছরে ব্যয় প্রায় সাড়ে ১৫ হাজার কোটি টাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর চিনের সঙ্গে  সংঘর্ষের বাতাবরণ অব্যাহত। মুখে শান্তির কথা বললেও এখনও কোনও সদর্থক পদক্ষেপ নেয়নি বেজিং। তাই ডোকলাম নিয়ে অশান্তির পর চিন সীমান্তে কয়েকটি রাস্তা তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সব ক’টিই অবস্থান ও কৌশলগত ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এই রাস্তা নির্মাণে গত কয়েক বছরে প্রায় ১৫ হাজার ৪৭৭ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। সংঘর্ষের সময় নিরাপত্তা বাহিনী যাতে দ্রুত সীমান্তে পৌঁছতে পারে, তাই এই পদক্ষেপ। রাজ্যসভায় সাংসদ সরোজ পাণ্ডের এক প্রশ্নের উত্তরে একথা জানান প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী অজয় ভাট। 

    আরও পড়ুন: দ্বিতীয়বার ইডির সামনে সোনিয়া! রাহুল-সহ ১৭ জন কংগ্রেস সাংসদ আটক

    অজয় ভাট জানান,চিন সীমান্তে দু হাজার ৮৮ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণে ১৫ হাজার ৪৭৭ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।  জম্মু-কাশ্মীর থেকে অরুণাচল প্রদেশ পর্যন্ত ভারত-চিনের চার কিলোমিটারের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা। বেশ কয়েক বছর ধরে সীমান্ত এলাকায় রাস্তাঘাট-সহ অন্যান্য উন্নয়নের উপর জোর দিয়েছে চিন। ২০১৭ সালে ডোকলামকে কেন্দ্র করে দু’দেশের উত্তেজনা চরমে পৌঁছয়। তার পর ভারত সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়াতে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করেছে। জম্মু-কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, সিকিম ও অরুণাচল প্রদেশ, এই পাঁচ রাজ্যের ভারত-চিন সীমান্তে কয়েকটি কৌশলগত ভাবে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা তৈরির কাজ চলছে।

    আরও পড়ুন: দেশের চেয়ে বিরোধীরা রাজনৈতিক স্বার্থকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে, অভিযোগ মোদির

    অন্যদিকে, ভারত পাকিস্তান সীমান্তে নতুন রাস্তা নির্মাণে খরচ হয়েছে প্রায় চার হাজার ২৪২ কোটি টাকা। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর চিনের বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে কেন্দ্র চিন সীমান্তে রাস্তা নির্মাণে প্রায় তিনগুণ বেশি অর্থ ব্যয় করেছে। অজয় ভাট মায়ানমার ও বাংলাদেশের সীমান্তে নির্মিত রাস্তার দৈর্ঘ্য এবং সংশ্লিষ্ট ব্যয় সম্পর্কেও বিশদ বিবরণ দিয়েছেন। ভারত-মায়ানমার সীমান্তে খরচ হয়েছে প্রায় ১৫১ কোটি টাকা। বাংলাদেশ সীমান্তে রাস্তা নির্মাণে ব্যয় করা হয়েছে মাত্র ১৯ কোটি টাকা। 

  • PM Modi: বার দশেক ফোন করেও যেদিন দ্রৌপদীর সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি প্রধানমন্ত্রীর…

    PM Modi: বার দশেক ফোন করেও যেদিন দ্রৌপদীর সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি প্রধানমন্ত্রীর…

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি (President) পদে এনডিএ (NDA)-র বাজি হতে চলেছেন তিনি। দ্রৌপদী মুর্মুকে (Draupadi Murmu) এ খবর প্রথম দিতে চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) স্বয়ং। বার দশেক চেষ্টা করেও ফোনে পাননি তিনি। পরে অবশ্য সে খবর দেন দ্রৌপদীকে। রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হওয়ার আগাম শুভেচ্ছাও জানান তিনি। সরকারি সূত্রেই এখবর মিলেছে।

    সোমবার রাষ্ট্রপতি পদে শপথ নেন দ্রৌপদী মুর্মু। তিনিই দেশের কনিষ্ঠতম রাষ্ট্রপতি। দেশের প্রথম জনজাতি সম্প্রদায়ের প্রথম মহিলা রাষ্ট্রপতিও তিনিই। এদিন তাঁকে শপথ বাক্য পাঠ করান সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা। সংসদের সেন্ট্রাল হলে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে শপথ নেন তিনি। ওড়িশার ময়ূরভঞ্জের এক প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে দ্রৌপদীর রাইসিনা হিলসের যাত্রাপথ মোটেই সুগম ছিল না। যে মুহূর্তে রাষ্ট্রপতি পদে এনডিএ প্রার্থী হিসেবে তাঁর নামে সিলমোহর পড়ে, তখনই তাঁকে সেই সুখবর জানাতে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দ্রৌপদীকে সুখবর পৌঁছতে এবং আগাম শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে সেদিন বিস্তর কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে মোদিকে।

    আরও পড়ুন : স্বাধীনতার ৭৫ বছরে তেরঙ্গা শাড়ি পরে রাষ্ট্রপতি পদে শপথ দ্রৌপদী মুর্মুর

    সরকারি সূত্রে খবর, সেদিন মোদি বার দশেক দ্রৌপদীকে ফোনে ধরার চেষ্টা করেন। যদিও লাইন পাওয়া যায়নি। ওড়িশার ময়ূরভঞ্জের এক প্রত্যন্ত গ্রামে দুর্বল নেটওয়ার্কের কথা সরকারি কর্তাদের অজানা নয়। তাও চেষ্টা করে যান তাঁরা। অন্য কোনও উপায় না দেখে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের আধিকারিকরা খুঁজে বের করেন দ্রৌপদীর গ্রাম রায়রঙ্গপুরের স্থানীয় বিজেপি নেতা ও দ্রৌপদীর প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক বিকাশচন্দ্র মাহাতর ফোন নম্বর। যখন তাঁর কাছে পিএমওর ফোন যায়, তখন তিনি তাঁর নিজের দোকানে কাজ করছিলেন। ফোনের ওপার থেকে আর্জি জানানো হয়, ম্যাডাম মুর্মুর সঙ্গে তাড়াতাড়ি কথা বলান, প্রধানমন্ত্রীজি কথা বলতে চান। এর পরেই পড়ি-কি-মরি করে সাইকেল চালিয়ে দ্রৌপদীর বাড়ির দিকে রওনা দেন বিকাশ। পথে দুবার তাঁর ফোনের সংযোগ কেটে যায়। শেষমেশ দ্রৌপদীর বাড়িতে পৌঁছান বিকাশ। পিএমও থেকে ফের ফোন যায় বিকাশের কাছে। নিজের ফোন দ্রৌপদীর হাতে তুলে দিয়ে সরে যান বিকাশ। প্রধানমন্ত্রী শুভেচ্ছা জানান দ্রৌপদীকে।

    আরও পড়ুন : ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী দেশ! দ্রৌপদী মুর্মুর শপথগ্রহণ নিয়ে প্রতিক্রিয়া মোদির

  • Indian Navy Agniveer: ভারতীয় নৌসেনাতে অগ্নিবীর নিয়োগ, অনলাইনে শুরু আবেদন প্রক্রিয়া

    Indian Navy Agniveer: ভারতীয় নৌসেনাতে অগ্নিবীর নিয়োগ, অনলাইনে শুরু আবেদন প্রক্রিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় নৌসেনাতে (Indian Navy) অগ্নিবীর (Agniveer) নিয়োগ করার জন্যে গতকাল থেকেই আবেদন পত্র দেওয়া শুরু হয়েছে। বেশ কয়েকদিন আগে কেন্দ্রীয় সরকারের অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে গোটা দেশ বিক্ষোভ করলেও এখন এই প্রকল্পের মাধ্যমেই দেশের যুবকরা এগিয়ে এসেছে ভারতীয় বাহিনীতে যোগদান করার জন্যে। এবারে ভারতীয় নৌসেনার অগ্নিবীর পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ্যে আসায় আবেদন করতে শুরু করে দিয়েছে প্রার্থীরা। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা অফিশিয়াল ওয়েবসাইট joinindiannavy.gov.in-এ গিয়ে আবেদন করতে পারেন। সব মিলিয়ে মোট ২০০টি শূন্যপদে নিয়োগ করা হবে। ২৫ জুলাই থেকে ৩০ জুলাই অবধি এই পদে আবেদন করা যাবে। পুরুষ, মহিলা নির্বিশেষে এই পদে নিয়োগ করা হবে। যে কোনও ভারতীয় নাগরিকের নির্দিষ্ট শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকলেই তবে এই পদে আবেদন করতে পারবেন। ফলে যেসব পুরুষ, মহিলারা ভারতীয় নৌসেনাতে অগ্নিবীর পদে ভর্তি হতে চান, তারা শীঘ্রই আবেদন করে নিন।

    আরও পড়ুন: অগ্নিবীর নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি নৌসেনার, জেনে নিন নিয়োগ প্রক্রিয়া

    কী কী যোগ্যতা লাগবে?

    এই পদে নিয়োগের জন্য আবেদন করতে প্রার্থীকে স্বীকৃত বোর্ড থেকে দশম শ্রেণি পাশ হতে হবে। আর যাদের জন্ম ১৯৯৯ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০০৫ সালের ৩১ মে-এর মধ্যেই তারাই এই পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

    কী কী পদ্ধতিতে নিয়োগ করা হবে?

    • দশম শ্রেণীর রেজাল্টের ভিত্তিতে প্রথমে বাছাই করা হবে।
    • এরপর বাছাই করা প্রার্থীদের লেখা পরীক্ষা ও পিএফটি-এর জন্য চিঠি পাঠানো হবে।
    • এরপর লেখা পরীক্ষা ও পিএফটি-এর ওপর ভিত্তি করেই মেরিট লিস্টে প্রার্থীদের বাছাই করা হবে।

    আরও পড়ুন: অগ্নিবীর নিয়োগের পরীক্ষার পাঠক্রম প্রকাশ বায়ুসেনার, জানুন বিস্তারিত

    কীভাবে আবেদন করবেন?

    • অফিশিয়াল ওয়েবসাইট joinindiannavy.gov.in-এ যান।
    • এরপর রেজিস্টারে গিয়ে প্রোফাইলের রেজিস্ট্রেশন করুন।
    • যে কোর্সের জন্য আবেদন করছেন সেটির ফর্ম পূরণ করুন ও বিভিন্ন ডকুমেন্ট আপলড করুন।
    • ফর্ম পূরণের টাকা দিন ও ফর্মটি জমা দিয়ে দিন।
    • এরপর ফর্মটি ডাউনলোড করে একটি প্রিন্ট করে নিন।

     

  • Sanjay Raut: উদ্ধব ঘনিষ্ঠ শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউতের বাড়িতে ইডি-র হানা, কেন জানেন?  

    Sanjay Raut: উদ্ধব ঘনিষ্ঠ শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউতের বাড়িতে ইডি-র হানা, কেন জানেন?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার সাতসকালে ইডির (ED) হানা শিবসেনা (Shiv Sena) মুখপাত্র প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray) ঘনিষ্ট সঞ্জয় রাউতের (Sanjay Raut) বাড়িতে। জমি-দুর্নীতির অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে ইডিকে, বলছেন বিরোধীরা।

    বেআইনি আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত মামলায় ফেব্রুয়ারি মাসে গ্রেফতার হন সঞ্জয় ঘনিষ্ঠ প্রবীণ রাউত। তখন থেকেই ইডির আতস কাচের তলায় ছিলেন সঞ্জয়। ইডি সূত্রে খবর, একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হলেও, একবারই হাজিরা দিয়েছেন সঞ্জয়। তাঁর স্ত্রী বর্ষাকেও একপ্রস্ত জেরা করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা। সেই সময় আলিবাগের ৮টি জমি ও দাদরের একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট বাজেয়াপ্ত করা হয়।

    আরও পড়ুন : এবার ইডি-র নজরে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে থাকা পার্থ-অর্পিতার একাধিক জমি?

    জানা গিয়েছে, পয়লা জুলাই ওই মামলায় জেরা করার জন্য সঞ্জয়কে তলব করে ইডি। সেদিন ঘণ্টা দশেক ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। পরে ২০ জুলাই ও ২৭ জুলাই তাঁকে ফের তলব করে ইডি। এই দুবারই হাজিরা দেননি সঞ্জয়। আইনজীবী মারফত জানিয়ে দেন, সংসদ অধিবেশন চলায় এই মুহূর্তে হাজিরা দেওয়া সম্ভব নয় তাঁর পক্ষে। হাজিরা দিতে পারবেন ৭ আগস্টের পর। এর পরেই এদিন সাতসকালে সঞ্জয়ের বাড়িতে হাজির হন ইডির আধিকারিকরা।

    বাড়িতে ইডির অভিযান প্রসঙ্গে ট্যুইটবার্তায় সঞ্জয় বলেন, কোনও দুর্নীতির সঙ্গে আমার সম্পর্ক নেই। আমি শিবসেনা প্রধান বালাসাহেব ঠাকরের নামে শপথ নিয়ে এ কথা বলছি। বালাসাহেব আমাদের লড়াই করতে শিখিয়েছেন। আমি শিবসেনার জন্য লড়াই চালিয়ে যাব। আমি শিবসেনা ছাড়ব না। যদি মরেও যাই, তবুও আত্মসমর্পণ করব না। জয় মহারাষ্ট্র। বিজেপি বিধায়ক রাম কদমের প্রশ্ন, যদি উনি(সঞ্জয় রাউত) নির্দোষ হল, তবে ইডিকে ভয় পাচ্ছেন কেন? ওনার কাছে সাংবাদিক বৈঠক করার সময় রয়েছে, অথচ তদন্তকারী সংস্থার কাছে হাজিরা দেওয়ার সময় নেই?

    আরও পড়ুন : নির্বাচন কমিশনকে রুখতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ মহারাষ্ট্রের উদ্ধব ঠাকরে শিবির

  • Maharasthra Crisis: নির্বাচন কমিশনকে রুখতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ মহারাষ্ট্রের উদ্ধব ঠাকরে শিবির

    Maharasthra Crisis: নির্বাচন কমিশনকে রুখতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ মহারাষ্ট্রের উদ্ধব ঠাকরে শিবির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কে প্রকৃত শিবসেনা (Shiv Sena), তা নিয়ে লড়াই অব্যাহত মহারাষ্ট্রে (Maharasthra)। প্রকৃত শিবসেনা কে, তা বাছাইয়ের দায়িত্ব যাতে নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) হাতে না যায়, সেজন্য সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray) গোষ্ঠী। শিবসেনার প্রতিষ্ঠাতা বালাসাহেব ঠাকরের পুত্র উদ্ধর ঠাকরে খাতায় কলমে শিবসেনার নেতা। তবে দলের মধ্যে বিদ্রোহ করে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন একনাথ শিন্ডে। বর্তমানে তিনিই নিজেকে দলের নেতা ঘোষণা করেছেন। তাঁর অনুগতদের দাবি, শিন্ডে শিবিরই আসল শিবসেনা। বিধানসভার সিংহভাগ বিধায়ক এবং সাংসদদেরও বেশিরভাগের সমর্থন একনাথের দিকে রয়েছে বলেও দাবি শিন্ডে শিবিরের। স্বীকৃতির জন্য শিন্ডে শিবির দ্বারস্থ হয় নির্বাচন কমিশনের। এর পরেই কমিশনের তরফে দু পক্ষকেই স্ব স্ব দাবির সমর্থনে ৮ আগস্টের মধ্যে নথিপত্র জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুন : মহারাষ্ট্র মামলা বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট, পরবর্তী শুনানি ১ অগাস্ট

    এ সংক্রান্ত চিঠিও পৌঁছে যায় উদ্ধব ঠাকরে ও শিন্ডে শিবিরের কাছে। চিঠি পেয়েই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের অনুগামীরা। তাঁদের যুক্তি, দলীয় বিধায়কদের একাংশকে প্রথমে গুজরাট ও পরে আসামে তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে। এভাবে দলবিরোধী কাজ করেছেন তিনি। শিন্ডে নিজেকে নেতা ঘোষণার আগেই শিবসেনার কয়েকজন বিধায়ককে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কার করেছেন শিবসেনা নেতৃত্ব। সেই শাস্তিকে ধর্তব্যের মধ্যে আনলে শিন্ডে আর নিজেকে সংখ্যাগরিষ্ঠের নেতা বলতে পারেন না। উদ্ধব অনুগামী তথা শিবসেনার সাধারণ সম্পাদক সুভাষ দেশাই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে জানিয়েছেন, বিষয়টি আপাতত বিচারাধীন হওয়ায় কেউই নিজেকে আসল শিবসেনা বলে দাবি করতে পারবেন না।  

    আরও পড়ুন : মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে লড়া উচিত মহা বিকাশ আঘাড়ি জোটের, মত পাওয়ারের

    এদিকে, বিধানসভার স্পিকারকে শিন্ডে শিবির জানিয়েছে, উদ্ধবের অনুগামী বিধায়কদের বহিষ্কার করে দিতে। ১১ জুলাই শুনানির পরে সুপ্রিম কোর্ট স্পিকারকে নির্দেশ দিয়েছে, আপাতত উদ্ধব শিবিরের বিধায়কদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা যেন না নেন তিনি। শিন্ডে শিবিরের দাবি, উদ্ধব অনুগামী বিধায়কদের বহিষ্কার হতেই হবে। কারণ আস্থাভোটের সময় দলীয় হুইপ অমান্য করেছেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টে শিবসেনার তরফে পাঁচটি আবেদনপত্র জমা পড়েছে। একটি আবেদনপত্র জমা করা হয়েছে শিন্ডে শিবিরের তরফে। আর পাঁচটি উদ্ধব শিবিরের তরফে।

     

LinkedIn
Share